Tag: Madhyom

Madhyom

  • Kavach 5.0: ভারতে উচ্চ-গতি সম্পন্ন ট্রেন হবে কবচ ৫.০, প্রতি ঘণ্টায় ছুটবে ২৮০ কিমি বেগে

    Kavach 5.0: ভারতে উচ্চ-গতি সম্পন্ন ট্রেন হবে কবচ ৫.০, প্রতি ঘণ্টায় ছুটবে ২৮০ কিমি বেগে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কবচ ৫.০ ট্রেন (Kavach 5.0) ভারতে ২৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে ছুটবে। ভারতীয় রেলের আরও এক হাই—স্পিড ট্রেন (Train) চালু হবে। উল্লেখ্য ভারতের রেল ব্যবস্থায় মোদির আমালে বিরাট পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করছেন যাত্রীদের একাংশ। এক দিকে বুলেট ট্রেন, বন্দে ভারত ট্রেন এবং অপর দিকে অত্যাধুনিক উন্নত সিগন্যালিং সিস্টেম, যা রেল যোগাযোগে এক আমূল পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে দেশ।

    ৩২০ কিমির বেশি রেলপথে কাজ সম্পন্ন প্রায় (Kavach 5.0)

    কবচ ৫.০ ট্রেন (Kavach 5.0) একটি দেশীয় উচ্চ-গতি সম্পন্ন ট্রেন। এই ট্রেনের (Train) বিশেষত্ব হল উচ্চ গতি সম্পন্ন। অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় সুরক্ষা ব্যবস্থাও রয়েছে ট্রেনে। আপাতত মুম্বই-আমেদাবাদ রুটে এই ট্রেন চালানো হবে। ইতিমধ্যে ৩২০ কিমির বেশি রেলপথের জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে এবং কাজ চলছে জোর কদমে। খুব দ্রুত এই রেলপথে এই ট্রেন ছুটবে। উল্লেখ্য মহারাষ্ট্রে এনডিএ সরকার গঠনের পর থেকে রেলের প্রকল্পে ব্যাপক প্রচার প্রসার লাভ করেছে।

    রেলের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, “এমএএইচএসআর প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল, ভারতে উচ্চগতি সম্পন্ন রেল পথের বিস্তার করা। ভারত দ্রুত বুলেট ট্রেন করিডোরে সজ্জিত হবে। ২৫০ কিমি রেলপথ এবার ঘন্টায় ২৮০ কিমি গতিবেগে চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে বুলেট ট্রেনের মাধ্যমে। এই ট্রেন উন্নত বগি এবং পাওয়ার ট্রেন যুক্ত রেলের বডি থাকবে। এই প্রকল্প শেষ হতে আরও ৩ বছর সময় লাগবে।”

    আরও পড়ুনঃ এক অ্যাকাউন্টে চার নমিনি! ব্যাঙ্কিং আইন সংশোধনী বিল পাশ লোকসভায়

    জাপানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারত

    কবচ ৫.০ (Kavach 5.0) ট্রেন প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (ICF) এবং ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড (BEML) এই হাই-স্পিড ট্রেনগুলি তৈরি করার জন্য চালু করা হয়েছে। ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, টুলিং এবং টেস্টিং সুবিধা সহ বিইএমএল (BEML) প্রতি ইউনিট ২৭.৮৬ কোটি টাকায় কোচ তৈরি করবে, যার মোট খরচ হবে ৮৬৬.৮৭ কোটি টাকা। জাপানের শিনকানসেন সিস্টেমের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতের কোম্পানিগুলি একত্রে কাজ করবে। এমএএইচএসআর (MAHSR) করিডোরের জন্য লাইনের কাজ ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ সম্পূর্ণ হয়েছে। এই ভাবনা একটি শক্তিশালী অগ্রগতির ইঙ্গিত। ৩২০ কিমি ঘণ্টা গতিতে চলা এই হাই-স্পিড ট্রেনটি (Train) মুম্বই এবং আমেদাবাদের মধ্যে ৫০৮.১৭ কিমি দূরত্ব মাত্র দুই ঘন্টায় অতিক্রম করবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘প্রিন্স অফ ক্যামাক স্ট্রিটের” সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বলেই কি পুলিশের রদবদল? বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘প্রিন্স অফ ক্যামাক স্ট্রিটের” সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বলেই কি পুলিশের রদবদল? বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশে বড় রদবদল। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে গোয়েন্দা প্রধান রাজাশেখরনকে। কলকাতা পুলিশে একাধিক রদবদল হচ্ছে। হাওড়া পুলিশেও এই বদলির ইস্যু বাদ পড়েনি। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বড় দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শাসক দলের অন্দরে কোন্দল কতটা রয়েছে তা তিনি এই বদলি ঘটনাতেই স্পষ্ট বলে জানিয়ে দিলেন।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার? (Sukanta Majumdar)

    বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুদার (Sukanta Majumdar) নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করলেন, আর তুলে ধরলেন রাজনৈতিক তত্ত্ব। রাজ্য পুলিশের রদবদলের নির্দেশিকার পরই সুকান্ত লিখলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ কয়েকটি সিদ্ধান্তে বোঝা যাচ্ছে তৃণমূল অন্দরে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুর পরিবর্তন হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ‘‘আরজি করের ঘটনার তদন্তে নেমে সরকারের পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আনুগত্য দেখানোর সীমা লঙ্ঘন করেছিল। তারপরও তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত পুলিশ একাধিক সমালোচনার মুখে পড়ে। কারণ তারা দলের নেতা এবং কাউন্সিলরদের সুরক্ষা দিতে পারেনি। তাই অজানা কিছু শক্তির চাপেই রদবদল হল।”

    ‘‘প্রিন্স অফ ক্যামাক স্ট্রিটের” সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বলেই পুলিশের রদবদল

    সম্প্রতি, নবান্ন সভাঘরের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য পুলিশ ও সিআইডি-র একাংশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। সেদিনই ডিজি-কে বলে দিয়েছিলেন, শীঘ্রই তিনি সিআইডি-তে বদল আনবেন। তারপরই এদিন রাজ্য পুলিশে বদলের নির্দেশিকা। সব থেকে উল্লেখ্যযোগ্য চারটে পদে বদল। সরিয়ে দেওয়া হল গোয়েন্দা প্রধানকেই। আর এই ইস্যুতে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে  বলেন, ‘‘প্রিন্স অফ ক্যামাক স্ট্রিটের প্রভাবে পুলিশ ফোর্স এতদিন বিরোধীদের কণ্ঠস্বর দাবিয়ে রাখত। প্রিন্সের ঘনিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিকের বদলি এটা বুঝিয়ে দিল মুখ্যমন্ত্রী এখন গোটাটাই একা হাতে নিয়ন্ত্রণ করবেন। প্রশাসন ও দল দুটোই।’’ সুকান্ত খোঁচা দিয়ে লিখলেন, ‘‘এরপরও বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের অন্তর্দ্বন্দ্ব আর কতটা প্রতীয়মান হবে?’’

    মমতাকে তোপ

    বেলডাঙ্গা, শ্যামপুর, রাজাবাজারের অশান্তির ঘটনা নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে আক্রমণ করেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । তাঁর অভিযোগ, তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে সীমা ছাড়িয়ে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এইসব জায়গার অশান্তির ঘটনা তাঁর চোখে পড়ে না। শাসক দলের হয়ে কু-কাজ করা নেতাদের সুরক্ষা না দিতে পারায় পুলিশের বদলি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হলে সরকার চুপ। সুকান্ত মজুমদারের প্রশ্ন, এটাই কি গণতন্ত্রের ছবি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal: গত পাঁচ বছরে রাজ্য থেকে বিদায় নিয়েছে ২,২৭৭টি কোম্পানি! শমীকের প্রশ্নে বলল কেন্দ্র

    West Bengal: গত পাঁচ বছরে রাজ্য থেকে বিদায় নিয়েছে ২,২৭৭টি কোম্পানি! শমীকের প্রশ্নে বলল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছর ঘটা করে শিল্প সম্মেলন হচ্ছে বাংলায় (West Bengal)। ছোট-বড়-মাঝারি শিল্পপতিরাও আসছেন। সরকারি পয়সায় মোচ্ছবও হচ্ছে। তবে ক’টা শিল্প হয়েছে তৃণমূলের জমানায়, তা জানা যায়নি (Companies Left)। দু’-একটা স্পঞ্জ আয়রন কারখানা হওয়ার কথা থাকলেও, সেগুলির কী হাল, তাও জানা যায়নি। রাজ্যের এহেন ‘শিল্পছবি’র গায়ে লাগল কেলেঙ্কারির কালো রং।

    পাততাড়ি গুটিয়েছে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান 

    জানা গিয়েছে, মমতা জমানার (Mamata Banerjee) শেষ পাঁচ বছরে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) থেকে ব্যবসা গুটিয়ে ভিন রাজ্যে চলে গিয়েছে ২ হাজার ২৭৭টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৩৯টি শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিও রয়েছে। রাজ্যসভার একটি প্রশ্নের উত্তরে এ খবর জানানো হয়েছে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের (Shamik Bhattacharya) এক প্রশ্নের উত্তরে এ খবর জানায় কর্পোরেট বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। শমীকের প্রশ্ন ছিল, তৃণমূল কংগ্রেস সরকার কি এই কোম্পানিগুলির স্থানান্তরের কারণ নির্ধারণ করেছে এবং ব্যবসা আকৃষ্ট ও ধরে রাখার জন্য কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে? উত্তরে, কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়— প্রশাসনিক, কার্যকরী সুবিধা, খরচ-সাশ্রয় এবং উন্নত নিয়ন্ত্রণ-সহ আরও কিছু কারণে এই স্থানান্তর ঘটেছে।

    শমীকের প্রশ্ন

    শমীকের (Shamik Bhattacharya) প্রশ্ন, (ক) কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী কি অনুগ্রহ করে ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) থেকে অন্যান্য রাজ্যে তাদের রেজিস্টার্ড কার্যালয় স্থানান্তরিত করা কোম্পানিগুলির মোট সংখ্যা, (খ) সেই কোম্পানিগুলির মধ্যে কতগুলি শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত এবং তারা মূলত কোন খাতে অন্তর্ভুক্ত, (গ) সরকার কর্তৃক চিহ্নিত স্থানান্তরের কারণ, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে যে কোনও অসুবিধা বা চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করা হয়েছে এবং (ঘ) এই সমস্যাগুলির সমাধান ও পশ্চিমবঙ্গে ব্যবসা ধরে রাখা এবং আকৃষ্ট করার জন্য সরকার গ্রহণ করা পদক্ষেপগুলি জানানোর জন্য সম্মতি প্রকাশ করবেন (Mamata Banerjee)?

    মন্ত্রকের জবাব

    মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য থেকে অন্যান্য রাজ্যে তাদের রেজিস্টার্ড অফিস স্থানান্তরিত করেছে ২২২৭টি কোম্পানি। (খ) উপরে উল্লিখিত ২২২৭টি কোম্পানির মধ্যে ৩৯টি তালিকাভুক্ত কোম্পানি। এই কোম্পানিগুলি উৎপাদন, অর্থায়ন, কমিশন এজেন্ট, বাণিজ্যিক কার্যক্রম ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত। (গ) ও (ঘ) কোম্পানিগুলিকে তাদের রেজিস্টার্ড অফিস এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে স্থানান্তর করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে কোম্পানি আইন, ২০১৩-এর ধারা ১৩(৪) এবং কোম্পানি (ইনকর্পোরেশন) বিধি, ২০১৪-এর রুল ৩০ অনুসারে। কোম্পানিগুলি তাদের আবেদনপত্রে রেজিস্টার্ড অফিস স্থানান্তরের কারণ হিসেবে প্রশাসনিক, কার্যকরী সুবিধা, ব্যয় সাশ্রয়, ভালো নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি উল্লেখ করেছে।

    আরও পড়ুন: ফড়ণবীশেই সিলমোহর, বৃহস্পতিতে জমকালো অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ দেবেন্দ্রর

    সরকারের নীতিগুলির উল্লেখ নেই

    উল্লেখ্য যে, ভবিষ্যতে এমন কোম্পানিগুলির স্থানান্তর প্রতিরোধে সরকারের নীতিগুলির উল্লেখ করা হয়নি। এদিকে, বিজেপির জাতীয় তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বে থাকা এবং পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) কো-ইনচার্জ অমিত মালব্যও এই তথ্য তুলে ধরে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমোকে আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্পোরেট স্থানান্তরের রিপোর্ট কার্ড এবং একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি কতটা বিশাল বিপর্যয়, তার উদাহরণ। তিনি বলেন, এটি একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা, যা পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) চাকরি, ব্যবসা এবং শিল্প বৃদ্ধির অভাবের করুণ ছবি তুলে ধরে। এই তথ্যটি রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক দিয়েছে। বিজেপির দাবি, রাজ্যের বর্তমান সরকার শিল্পবিরোধী এবং এই উন্নয়ন তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসনের জন্য বড় অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

    আরও পড়ুন: স্বর্ণমন্দিরে অকালি প্রধান সুখবীর সিং বাদলকে লক্ষ্য করে চলল গুলি, ধৃত হামলাকারী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Shamsi Shahi Masjid: বদায়ুঁর শামসি শাহী মসজিদ আসলে নীলকণ্ঠ মহাদেবের মন্দির, কীভাবে ভাঙা হয়েছিল জানেন?

    Shamsi Shahi Masjid: বদায়ুঁর শামসি শাহী মসজিদ আসলে নীলকণ্ঠ মহাদেবের মন্দির, কীভাবে ভাঙা হয়েছিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁর শামসি শাহী মসজিদ (Shamsi Shahi Masjid) হল হিন্দু নীলকণ্ঠ মহাদেবের মন্দির (Nilkanth Mahadev Mandir)। ঐতিহাসিক তথ্য এবং প্রমাণ তুলে ধরে হিন্দুরা মসজিদ থেকে মন্দির উদ্ধারের জন্য দাবি তুলেছেন। ইতিমধ্যে মামলা আদালতে গড়ালে আইনি লড়াইকে দ্রুত নিস্পত্তি করতে ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্ট গঠন করা হয়। ৩ ডিসেম্বর মামলার শুনানি ছিল আদালতে কিন্তু মুসলিম পক্ষ উপস্থিত না থাকায় আগামী ১০ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়। সম্ভলের মসজিদ যেমন হরিহর মন্দির ঠিক, একই ভাবে শামসিও শৈব মন্দির। আসুন জেনে নিই এই মন্দিরের ইতিহাস।

    প্রত্নতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের তরফ থেকে সংরক্ষণ করা হয়েছে (Shamsi Shahi Masjid) 

    হিন্দু পক্ষ থেকে মুকেশ প্যাটেল দাবি তুলে বলেন, “বদায়ুঁর শামসি শাহী মসজিদের (Shamsi Shahi Masjid) বিতর্কিত কাঠামোটি আদতে শিবের মন্দির। প্রথমে সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশন ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বাদী-বিবাদী পক্ষ নিজেদের বিষয় রাখবেন। মুসলিম পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা উপস্থিত ছিলেন না। মন্দিরের (Nilkanth Mahadev Mandir) সম্পূর্ণ এলাকা প্রত্নতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের তরফ থেকে সংরক্ষণ করা হয়েছে। মামলার বিষয় যেহেতু ধর্মীয় সংবেদনশীলতায় পূর্ণ তাই নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।” আবার হিন্দুপক্ষের আইনজীবী বেদ প্রকাশ সাহু বলেন, “মুসলিমপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশ্য মামলাটি দীর্ঘায়িত করা। একই ভাবে তাঁরা মামলায় যুক্তির নামে আমাদের সময় এবং আদালতের সময় নষ্ট করতে চাইছে।”

    আরও পড়ুনঃ স্বর্ণমন্দিরে অকালি প্রধান সুখবীর সিং বাদলকে লক্ষ্য করে চলল গুলি, ধৃত হামলাকারী

    হিন্দু-মুসলিম পক্ষের বক্তব্য

    প্রসঙ্গত স্থানীয় হিন্দু পরম্পররা ইতিহাস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জামে মসজিদ শামসি (Shamsi Shahi Masjid) তৈরি হয়েছে হিন্দু দেবতা নীলকণ্ঠ মহাদেবের মন্দিরটিকে (Nilkanth Mahadev Mandir) ভেঙে ফেলার মাধ্যমে। এক সময় এই মসজিদ কাঠামোর উপর শৈব মন্দির দাঁড়িয়ে ছিল। আবার পাল্টা মুসলিম পক্ষের দাবি, মসজিদ যে মন্দির ভেঙে নির্মাণ করা হয়েছে তার কোনও উল্লেখ নেই। এই শামসি মসজিদটি সুফি সাধক বাদশা শামসুদ্দিন আলতামাশ নির্মাণ করেছিলেন। এই এলাকায় আল্লার ইবাদত করতে এই মসজিদ স্থাপন হয়েছিল।

    মসজিদের ছোট খোদাই করা স্তম্ভ মন্দিরের অংশ

    উত্তরপ্রদেশে বদায়ুঁ জেলার গেজেটিয়ারের মতো ঐতিহাসিক নথি এই মন্দির বিতর্কটিকে ব্যাপকভাবে চাঞ্চাল্য তৈরি করেছে। গেজেটিয়ার থেকে জানা গিয়েছে, শামসি শাহী মসজিদটি (Shamsi Shahi Masjid) মন্দিরের (Nilkanth Mahadev Mandir) ভাঙা পাথরের উপর নির্ভর করে গড়া হয়েছে। শহরের মৌলভি টোলা এলাকার উচু জায়গায় রয়েছে। আগে এই এলাকায় প্রচুর হিন্দু বসবাস করত। এখানেই উঁচু স্থানে মন্দির প্রথমে ছিল, যা পরে মসজিদের জন্য জায়গা নির্ধারিত করা হয়। এখানকার প্রথম গভর্নর শামস-উদ্দিন ইলতুৎমিশ ১২০২ থেকে ১২১০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তাঁর শাসনামলে মসজিদের নির্মাণ হয়। মসজিদের মিহরাবের পাশে ছোট খোদাই করা স্তম্ভ, যা পুরানো হিন্দু মন্দিরের অংশ। উত্তর থেকে দক্ষিণে মোট বিস্তৃতি হল আনুমানিক ৮৫.৩ মিটার।

    মহিপাল দ্বারা নির্মিত হরমান্দর মন্দিরকে ভাঙা হয়

    ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, প্রাচীন মন্দিরের বেলে পাথরের ব্লকগুলি মসজিদ (Shamsi Shahi Masjid) নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। একই ভাবে দুই পাশে দণ্ডায়মান স্তম্ভগুলি হিন্দু ভবন থেকে নেওয়া হয়েছে। তবে মসজিদের জন্য কিছুটা ছোট করা হয়েছে। একইভাবে গাঙ্গেয় প্রদেশ ভ্রমণের রিপোর্ট (১৮৫৭-৭৬ এবং ১৮৭৭-৭৮) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মসজিদ হল আদতে পালরাজা মহিপাল দ্বারা নির্মিত হরমান্দর নামে একটি মন্দির। খুব পরিকল্পনার সঙ্গে ইসলামি আক্রমণের সময় মন্দিরটিকে ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। একই ভাবে মসজিদের গাত্রে হিন্দু শৈলী, শিল্পকলা, নকশা এবং নানাবিধ উপকরণ লক্ষ্য করা গিয়েছে। এত সব প্রমাণের উপর নির্ভর করে হিন্দু পক্ষের দাবি এই মসজিদ আগে হিন্দু মন্দিরই (Nilkanth Mahadev Mandir) ছিল।

    হিন্দু সংস্কৃতির পুনঃজাগরণ

    উল্লেখ্য এই মামলায় ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক মন্ত্রককে পক্ষ করা হয়েছে। এই মসজিদ (Shamsi Shahi Masjid) কাঠামো বিতর্কে ২০২২ সালে প্রথম মামলা দায়ের করা হয়েছিল। একই ভাবে গত ২৪ নভেম্বর সম্ভলে মসজিদ জরিপ করতে গেলে সরকারি কাজে বাধা দিয়ে উস্কানি ছড়ায় উন্মত্ত মুসলমানরা। তদন্তে দুষ্কৃতীরা যে অস্ত্র ব্যবহার করেছেন তাতে পাকিস্তান-আমেরিকার নাম এসেছে। ফলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন মসজিদের কবল থেকে মন্দিরকে (Nilkanth Mahadev Mandir) পুনঃপ্রতিষ্ঠা যথার্থ ভাবে হিন্দু সংস্কৃতির পুনঃজাগরণ বটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘নৌসেনার অঙ্গীকার দেশের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করে’’, নৌ-দিবসে কুর্নিশ মোদি-শাহের

    PM Modi: ‘‘নৌসেনার অঙ্গীকার দেশের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করে’’, নৌ-দিবসে কুর্নিশ মোদি-শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌবাহিনীর অঙ্গীকার দেশের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করেছে। নৌবাহিনী দিবসে (Indian Navy Day 2024) বাহিনীর জওয়ানদের সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়ে এই কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রতি বছর ৪ ডিসেম্বর নৌবাহিনী তার প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করে। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাকিস্তানের করাচি বন্দরে নৌবাহিনীর হামলার স্মরণে এই প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়। এদিন নৌসেনাদের স্যালুট জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ অন্যান্যরা।

    প্রধানমন্ত্রীর কুর্ণিশ

    বুধবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) লিখেছেন, “নৌবাহিনী দিবসে, আমরা ভারতীয় নৌবাহিনীর বীর জওয়ানদের অভিবাদন জানাই, যাঁরা অতুলনীয় সাহস এবং নিষ্ঠার সঙ্গে আমাদের সমুদ্র রক্ষা করেন। তাঁদের অঙ্গীকার আমাদের দেশের সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করেছে। ভারতের সমৃদ্ধ সামুদ্রিক ইতিহাসেও আমরা গর্ব করি।”

     স্যালুট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর 

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও (Amit Shah) টুইট বার্তায় ভারতীয় নৌবাহিনীর অভূতপূর্ব সাহস এবং কৌশলগত দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমাদের নৌবাহিনী কেবল সমুদ্রপথ রক্ষা করে না বরং বৈদেশিক নীতির উন্নতিতেও সাহায্য করে। নৌবাহিনী দিবসে, আমি আমাদের সাহসী নৌ কর্মীদের এবং তাদের পরিবারকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আমরা আমাদের সামুদ্রিক সীমান্ত রক্ষায় নৌবাহিনীর বীরত্ব, নিষ্ঠা ও অঙ্গীকারকে অভিনন্দন জানাই।’’

    সবসময় পাশে নৌসেনা

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও (Rajnath Singh) নৌসেনাদের কুর্নিশ জানান। তিনি লেখেন, ‘‘ভারতীয় নৌবাহিনীর অবদান শুধু দেশের নিরাপত্তায় নয়, বিদেশ নীতিকেও শক্তিশালী করে। আমাদের সমুদ্রপথের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তা, মানবিক কাজে নৌবাহিনীর অবদান অতুলনীয়। এই দিনটি নৌবাহিনীর আত্মত্যাগ এবং তাদের অনন্য কর্মকে স্মরণ করার এক অভাবনীয় সুযোগ। ভারতীয় নৌবাহিনীর ইতিহাস সমৃদ্ধ ও গৌরবময়। স্বাধীনতা সংগ্রামেও ভারতীয় নৌবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। আজও তারা আমাদের সামুদ্রিক এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • UGC New Rule: এক বছর আগেই হাতে ডিগ্রি! স্নাতকস্তরে নতুন নিয়ম আনতে চলেছে ইউজিসি

    UGC New Rule: এক বছর আগেই হাতে ডিগ্রি! স্নাতকস্তরে নতুন নিয়ম আনতে চলেছে ইউজিসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিগ্রি কোর্সের ক্ষেত্রে ইউজিসি (UGC New Rule) কর্তৃপক্ষ বড়সড় নতুন নিয়ম চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা পড়ুয়াদের কাছে সুখবর। মূলত, স্নাতক ডিগ্রি পেতে আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না এবার। তিন বছরের ডিগ্রি কোর্সে (Bachelor’s Degree) ভর্তি হলে আড়াই বছরের মাথায় সেই কোর্স শেষ করা যাবে। আবার কেউ যদি চার বছরের ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হন, তবে সেটি শেষ করা যাবে তিন বছরের মাথায়। সম্প্রতি নতুন ধরনের এমনই এক ব্যবস্থা জারি করার কথা ভাবছে ইউজিসি। আগামী শিক্ষাবর্ষ অর্থাৎ ২০২৫-২৬ সাল থেকেই এই ব্যবস্থা শুরু করতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।

    নতুন নিয়মে কী কী সুবিধা মিলবে? (UGC New Rule)

    চেন্নাইয়ে সার্দান জোন কনফারেন্সে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই বিষয়টির উল্লেখ করেন ইউজিসি (UGC New Rule) চেয়ারম্যান এম জগদীশ কুমার। ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে এই বিশেষ কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। সেখানেই নতুন ধরনের এই শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বৃহস্পতিবার মুখ খোলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান। এই পদ্ধতি চালু হলে পড়ুয়ারা হাতে বেশ কিছুটা সময় পাবে। ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত অতিরিক্ত সময় তাঁরা হাতে পাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই সময়টুকু কেরিয়ার গড়ার পিছনে অন্যভাবে ব্যয় করতে পারবে পড়ুয়ারা। মাঝপথে ছাড়া যাবে কোর্স। ধীরে ধীরে অর্থাৎ পুরানো সময়সীমা মেনে কোর্স শেষ করার বদলে মাঝপথেও একজন কোর্স ছেড়ে দিতে পারে। পরে কোর্সটি শেষ করার জন্য ছেড়ে যাওয়া অংশটি থেকেই শুরু করতে পারবে পড়ুয়া। এই নতুন ব্যবস্থায় সময় নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও কমবে।

    আরও পড়ুন: ভীত বাংলাদেশ! ত্রিপুরার উপ-দূতাবাস বন্ধ করল ঢাকা, অমিল ভিসা পরিষেবা

    কী বললেন ইউজিসি চেয়ারম্যান?

    ইউজিসি চেয়ারম্যান (UGC New Rule) এম জগদীশ কুমার বলেন, ‘‘যেসব পড়ুয়ারা দ্রুত কোর্স শেষ করতে সমর্থ, তাদের জন্য ইউজিসি এই বিশেষ সুবিধা দেবে। এমন একটা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে। সবটাই এখনও আলোচনার স্তরে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে নতুন ধরনের এই নিয়ম চালু হলেও পুরোনো নিয়ম আগের মতোই বহাল থাকবে বলে জানান তিনি। তাঁর কথায়, যারা ধীরে সুস্থে কোর্স শেষ করতে চান, তাঁরা চার বছরের শিক্ষা কাঠামো মেনেই কোর্স শেষ করতে পারবেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Banking Laws Amendment Bill 2024: এক অ্যাকাউন্টে চার নমিনি! ব্যাঙ্কিং আইন সংশোধনী বিল পাশ লোকসভায়

    Banking Laws Amendment Bill 2024: এক অ্যাকাউন্টে চার নমিনি! ব্যাঙ্কিং আইন সংশোধনী বিল পাশ লোকসভায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে একজন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টধারী সর্বোচ্চ চারজনকে নমিনি রাখতে পারবেন। কোন নমিনি কত শতাংশ টাকা পাবেন, তাও উল্লেখ করা যাবে। মঙ্গলবারই লোকসভায় পাশ হয়েছে ব্যাঙ্কিং আইন (সংশোধনী বিল), ২০২৪ (Banking Laws Amendment Bill 2024)। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, যে কোনও আমানতকারীর আইনি উত্তরাধিকারীদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এমন পদক্ষেপ।

    নয়া আইনে কী সুবিধা

    ১৯৪৯ সালের ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন আইনের ৪৫ জেডএ (১) ধারা অনুযায়ী একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এক জনের বেশি নমিনি করা যেত না। কিন্তু এবার সেই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেই নমিনির সংখ্যা বাড়ানোর পক্ষেই সায় দিয়েছে মোদি সরকার। শুধুমাত্র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নয়, লকারে রাখা সামগ্রির ক্ষেত্রেও একাধিক নমিনি রাখার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নয়া ব্যাঙ্কিং আইন সংশোধনীতে। এছাড়াও নতুন বিলে সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে পরিচালকদের মেয়াদ ৮ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করার প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের এক জন পদমর্যাদার আধিকারিককে রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কের বোর্ডে নিয়োগের কথাও জানানো হয়েছে।

    সুরক্ষা ও নিরাপত্তাই লক্ষ্য

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা জানান, ২০১৪ সাল থেকে সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ব্যাঙ্কগুলিকে স্থিতিশীল রাখতে কাজ করছে। তাই সারা দেশে ব্যাঙ্কগুলো এখন নিরাপদ এবং স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, এই সংশোধনীগুলি ব্যাঙ্কিং (Banking Laws Amendment Bill 2024) খাতে শাসনব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে এবং মনোনয়ন সংক্রান্ত গ্রাহক সুবিধা আরও বাড়াবে যাতে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা জোরদার হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ঘূর্ণিঝড়ের মেঘ সরতেই রাজ্যে ফিরল শীতের আমেজ, দার্জিলিঙে তুষারপাতের পূর্বাভাস

    Weather Update: ঘূর্ণিঝড়ের মেঘ সরতেই রাজ্যে ফিরল শীতের আমেজ, দার্জিলিঙে তুষারপাতের পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড়ের মেঘ সরতেই ফিরল ঠান্ডার আমেজ। চলতি সপ্তাহের শেষেই পারদপতনের ইঙ্গিত দিল আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতর। একদিনে কমল ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। হাওয়া অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে, সপ্তাহান্তেই জমিয়ে শীতের আমেজ ফিরতে পারে দক্ষিণবঙ্গে।

    তাপমাত্রার পারদ কত নামতে পারে? (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) অফিস সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হবে না। তবে পরবর্তী তিন দিনে ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি নামতে পারে পারদ। দক্ষিণের জেলাগুলিতে কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সর্বত্র শুষ্কই থাকবে আবহাওয়া। সপ্তাহভর পরিষ্কার থাকবে আকাশ। তবে উপকূল- সংলগ্ন কিছু জেলায় আকাশ আংশিক মেঘে ঢাকতে পারে। সব জেলাতেই সকালের দিকে কমবেশি হালকা কুয়াশা দেখা যাবে। বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশায় ঢাকতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, বীরভূম এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার কয়েকটি এলাকা। শুক্রবার মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম জেলায় মাঝারি কুয়াশা সতর্কতা রয়েছে। বুধবার আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি বেশি। জেলাতেও নামল পারদ। বৃহস্পতিবার আরও কিছুটা পারদ নামার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, শ্রীনিকেতনে পারদ ১৪.০ ডিগ্রি, কৃষ্ণনগরে ১৫.২ ডিগ্রি, বাঁকুড়ায় ১৬. ০ ডিগ্রি এবং দমদমে ১৬.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

    আরও পড়ুন: ভীত বাংলাদেশ! ত্রিপুরার উপ-দূতাবাস বন্ধ করল ঢাকা, অমিল ভিসা পরিষেবা

    দার্জিলিঙে তুষারপাত!

    পর্যটকদের জন্য রয়েছে সুখবরও। দার্জিলিং ও কালিম্পঙের উঁচু জায়গাগুলিতে হতে পারে তুষারপাত। আলিপুর (Weather Update) জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের শেষে উত্তরের জেলাগুলিতেও ধীরে ধীরে রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমবে। বৃহস্পতির রাত থেকে রবিবারের মধ্যেই এক ধাক্কায় ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি নামতে পারে পারদ। বৃহস্পতি ও শুক্রবার দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর এবং মালদা জেলায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার সকালে কুয়াশার চাদরে ঢাকতে পারে দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা জেলা। শনি ও রবিবার দার্জিলিং ও কালিম্পঙের উঁচু জায়গাগুলিতে হালকা বৃষ্টি কিংবা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Devendra Fadnavis: ফড়ণবীশেই সিলমোহর, বৃহস্পতিতে জমকালো অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ দেবেন্দ্রর

    Devendra Fadnavis: ফড়ণবীশেই সিলমোহর, বৃহস্পতিতে জমকালো অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ দেবেন্দ্রর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যমের খবরেই পড়ল সিলমোহর! মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নয়া মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়ণবীশই (Devendra Fadnavis)। বুধবারের বৈঠকে তাঁর নামেই সিলমোহর দিল পদ্ম-পার্টির পরিষদীয় দল। বিধানসভায় বিজেপির নেতাও তিনি। ৫ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন ফড়ণবীশ।

    ফড়ণবীশের নামেই সিলমোহর

    মুখ্যমন্ত্রী পদে কাকে বসানো হবে, তা ঠিক করতে এদিন মুম্বইয়ে বৈঠকে বসে বিজেপির পরিষদীয় দল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক – কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। এই বৈঠকেই ফড়ণবীশের নাম প্রস্তাব করেন রূপানি। তাতে সায় দেন সকলেই। এই বৈঠকেই পরিষদীয় দলের নেতা হিসেবেও বেছে নেওয়া হয় মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীকেই (Devendra Fadnavis)। এদিনই বিকেলে ফড়ণবীশের নেতৃত্বাধীন বিজেপি বিধায়কদের একটি দল রাজভবনে যাবে। রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণের কাছে সরকার গঠনের দাবি জানাবেন তাঁরা। বিজেপির সঙ্গে এনসিপির অজিত গোষ্ঠীরও নেতারাও রাজভবনে যাবেন বলে খবর।

    জমকালো শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আজাদ ময়দানে হবে শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান। এদিন ফড়ণবীশের সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন শিবসেনার একনাথ শিন্ডে এবং এনসিপির অজিত পাওয়ারও। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নাম ঘোষণার পর দলীয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফড়ণবীশ প্রধানমন্ত্রীর ‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’ স্লোগানটির উল্লেখ করেন। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, মহাযুতি জোট একত্রিত।

    আরও পড়ুন: স্বর্ণমন্দিরে অকালি প্রধান সুখবীর সিং বাদলকে লক্ষ্য করে চলল গুলি, ধৃত হামলাকারী

    মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮। তার মধ্যে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছিল ১৪৯টি আসনে। পদ্ম ফুটেছে ১৩২টি কেন্দ্রে। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট (মহারাষ্ট্রে মহাযুতি জোট নামে পরিচিত)-এর বাকি দুই শরিক শিবসেনার একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী পেয়েছে ৫৭টি আসন। আর এনসিপির অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী পেয়েছে ৪১টি আসন। শিন্ডেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। তাই তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা চেয়েছিলেন শিন্ডেকেই ফের বসানো হোক মুখ্যমন্ত্রী পদে। তবে যেহেতু বিজেপিই একক বৃহত্তম দল এবং জোটের মধ্যে তারই ঝুলিতে রয়েছে সব চেয়ে বেশি আসন, তাই মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার ছিল বিজেপিই। সেই দাবিতেই পড়ল সিলমোহর। মুখ্যমন্ত্রী পদে (Maharashtra) বসানো হচ্ছে গৈরিক শিবিরের ফড়ণবীশকে (Devendra Fadnavis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Sambhal Violence: সম্ভল হিংসায় উদ্ধার হওয়া কার্তুজে পাকিস্তান, আমেরিকা যোগ! বলছে ফরেনসিক রিপোর্ট

    Sambhal Violence: সম্ভল হিংসায় উদ্ধার হওয়া কার্তুজে পাকিস্তান, আমেরিকা যোগ! বলছে ফরেনসিক রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে (Sambhal Violence) কট্টর মুসলমানদের দ্বারা সংগঠিত হিংসার ঘটনায় ফরেনসিক দল তদন্ত করে জানিয়েছে, সেদিনের হামলায় পাকিস্তান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি কার্তুজ ব্যবহার করা হয়েছিল। পুলিশ সবরকম যোগসূত্রের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার কার্তুজগুলিকে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে সেগুলি পাকিস্তান (Pakistan) অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে তৈরি হয়েছে। ফলে সম্ভলে মসজিদ বিতর্ক এবং হিংসার পিছনে আন্তর্জাতিক চক্রের সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে। উল্লেখ্য, হিন্দু পক্ষের দাবি, এই সম্ভলের জামা মসজিদ আদতে ভগবান বিষ্ণুর কল্কির মন্দির। মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল মুঘল আমলে।

    রাস্তার ড্রেন থেকে উদ্ধার কার্তুজ (Sambhal Violence)!

    ফরেনসিক রিপোর্টের তথ্য তুলে ধরে ঘটনায় যে পরিকল্পিত এবং বৃহৎ ষড়যন্ত্র জড়িত রয়েছে তা তুলে ধরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) শ্রীশ চন্দ্র বলেন, “মঙ্গলবার ফরেনসিক দল কোট গারভি (Sambhal Violence) পাড়ায় পৌঁছেছিল। এখানেই গত ২৪ নভেম্বর শাহি জামা মসজিদদের জরিপ চলাকালীন হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। একটি বিশেষ দুষ্কৃতীর দল ইট-পাথর বর্ষণ করেছিল। তদন্তকারী দল রাস্তার পাশের ড্রেন থেকে ছয়টি কার্তুজ উদ্ধার করেছে। এই খালি কার্তুজের মধ্যে একটি পাকিস্তান অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে তৈরি করা হয়েছে।” এই তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই এলাকার মধ্যে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। 

    মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করে তল্লাশি অভিযান চলছে

    পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, পাকিস্তানের তৈরি হওয়া অস্ত্র ভারতের মধ্যে ব্যবহার করে এদেশের শান্তি-শৃঙ্খলাকে বিঘ্নিত করা হচ্ছে।  ভারতের বাইরে থেকে পাচার হয়ে আসা অস্ত্র দিয়ে ভারতের ক্ষতি সাধনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র আরও প্রকট হয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের নিরপাত্তায় থাকা বাহিনী এবং সংস্থাগুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই এলাকার (Sambhal Violence) বিভাগীয় কমিশনার অঞ্জনেয়া সিং বলেন, “একটি কার্তুজের গায়ে ‘পিওএফ’ (অর্থাৎ পাকিস্তান অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি) লেখা রয়েছে। এটি একটি ৯ মিমি কার্তুজ। বুলেটটি বন্দুক থেকে নিক্ষিপ্ত। অর্থাৎ এটি ফায়ার করা হয়েছিল। এটি সম্ভবত পাকিস্তানে (Pakistan) তৈরি। ‘টু স্টার উইথ এফএল’ সহ আরেকটি ৯ মিমি কার্তুজ সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি। এছাড়াও, দুটি ১২-বোরের এবং দুটি ৩২-বোরের খোল পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের দল এখনও মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। অভিযানে আমরা পুর নিগমের সহায়তা নিচ্ছি।”

    দুটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে

    সম্ভল (Sambhal Violence) মসজিদ জরিপের কাজে সরকারী কর্মীদের উপর হামলা করার পর ব্যাপক হিংসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যোগী সরকার দুটি বিশেষ তদন্ত দল এসআইটি গঠন করেছে। সম্ভলের পুলিশ সুপার কৃষাণ কুমার বলেন, “আন্তর্জাতিক কার্তুজ উদ্ধার পুলিশের জন্য চমকপ্রদ ঘটনা এবং তদন্ত সংস্থার সহায়তায় এটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হবে। অতীতে, এনআইএ দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত অপরাধীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে স্থানীয় পুলিশের সহায়তা নিয়েছিল। আমরা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সব অপরাধীর ইতিহাস খতিয়ে দেখব এবং হিংসার সঙ্গে জড়িত কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। এমনকী, পাকিস্তানে (Pakistan) তৈরি কার্তুজগুলি হিংসাকে উস্কে দেওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

    আরও পড়ুনঃ স্বর্ণমন্দিরে অকালি প্রধান সুখবীর সিং বাদলকে লক্ষ্য করে চলল গুলি, ধৃত হামলাকারী

    সংঘর্ষে ৪ বন্দুকবাজের মৃত্যু হয়েছিল

    গত ১৯ নভেম্বর উত্তর প্রদেশের সম্ভলে (Sambhal Violence) জামা মসজিদে আদালতের নির্দেশে জরিপের কাজ শুরু হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে বিষ্ণু শঙ্কর জৈন এবং সাতজন বাদী পক্ষের দায়ের করা মামলার পিটিশনের জবাবে মসজিদ জরিপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের দাবি, আদতে এই মসজিদ হল ভগবান বিষ্ণুর হরিহর দেবতার মন্দির। মুসলমান শাসক বাবর এই মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি করেন। মসজিদ কাঠামোটি বেআইনি, এই নিয়ে হিন্দু পক্ষ তীব্র আপত্তি জানায়। কিন্তু ২৪ অগাস্ট সম্ভলে দ্বিতীয়বার জরিপের কাজ করতে গেলে উত্তেজিত মুসলিম দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। ইট-পাথর বর্ষণ করে হত্যা করতে পরিকল্পনা করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এতে ২০ জন পুলিশ কর্মী গুরুতর আহত হন। একই ভাবে দুষ্কৃতীদের বন্দুক থেকে গুলির আঘাতে ৩ জন মানুষের মৃত্যু হয়। আবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৪ বন্দুকবাজের মৃত্যু হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share