Tag: Madhyom

Madhyom

  • India GDP Growth: ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি পৌঁছতে পারে ৬.৪ শতাংশে, দাবি মর্গানের রিপোর্টে

    India GDP Growth: ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি পৌঁছতে পারে ৬.৪ শতাংশে, দাবি মর্গানের রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষের জন্য ভারতের সামগ্রিক জিডিপি বৃদ্ধি (India GDP Growth) পৌঁছতে পারে ৬.৪ শতাংশে। কারণ অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে জিডিপি বৃদ্ধির হার উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৬.৭ শতাংশে। অন্তত এমনই আশার বাণী শোনানো হয়েছে জেপি মর্গানের (JP Morgan) একটি প্রতিবেদনে।  

    জিডিপি বৃদ্ধির গতি ধীর (India GDP Growth)

    ২০২৪ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি ৫.৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যা সাত ত্রৈমাসিকের মধ্যে সবচেয়ে ধীর গতির। বাজারের পূর্বাভাসের চেয়েও অনেকটাই কম। জিডিপি বৃদ্ধির এই মন্দা সাইক্লিক্যাল ফ্যাক্টর দ্বারা চালিত। প্রত্যাশার তুলনায় ভোক্তা ব্যয়, বিনিয়োগ এবং রফতানিতে দুর্বল পারফরম্যান্সই এ জন্য দায়ী (India GDP Growth)। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে এই ধীরগতি পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত ছিল না। কারণ সাম্প্রতিক মাসগুলিতে অর্থনীতি ধীর গতি হওয়ার লক্ষণ দেখিয়েছিল।

    নেমেছে গ্রস ভ্যালু অ্যাডেডও

    কোর গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড নেমে এসেছে ৫.৩ শতাংশে। এর মধ্যে অবশ্য কৃষি, সরকারি প্রশাসন এবং ভর্তুকি বাদ রয়েছে। গ্রস ভ্যালু অ্যাডেডের এই পতন গত সাত ত্রৈমাসিকের মধ্যে সব চেয়ে কম। মানিটারি জিডিপি বৃদ্ধিও (India GDP Growth) ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। এটাও ডিসেম্বর ২০২০ থেকে এ পর্যন্ত চেয়ে সবচেয়ে দুর্বল পারফরম্যান্স। আসন্ন ত্রৈমাসিকগুলিতে প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর সম্ভাব্য কারণগুলোর উল্লেখ করে জেপি মর্গানের (JP Morgan) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে প্রবৃদ্ধির গড় প্রায় ৬.৭ শতাংশ হতে পারে বলে আমরা আশা করছি। এটা পুরো অর্থবর্ষের জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে ৬.৪ শতাংশে নিয়ে যাবে।”

    আরও পড়ুন: “বিরোধী দল ভোটব্যাংকের রাজনীতি করে”, কংগ্রেসকে তোপ গিরিরাজের

    প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, একটি স্থিতিশীল সরকারি পুঁজি ব্যয় পরিকল্পনা, গ্রামীণ ভোগব্যয়ের অব্যাহত বৃদ্ধি এবং পরিষেবা রফতানির জন্য আসন্ন ত্রৈমাসিকগুলিতে আরও অনুকূল বৈশ্বিক পরিবেশ প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করতে পারে (India GDP Growth)। তবে, প্রতিবেদনে দেওয়া হয়েছে সতর্কবার্তাও। বলা হয়েছে, শহুরে ভোগব্যয় এবং পণ্যের রফতানি সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলোকে ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • PFI: ‘নিষিদ্ধ সংগঠন মানহানির মামলা করতে পারে না’, পিএফআই-এর আবেদন খারিজ কেরল হাইকোর্টে

    PFI: ‘নিষিদ্ধ সংগঠন মানহানির মামলা করতে পারে না’, পিএফআই-এর আবেদন খারিজ কেরল হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির ভারত প্রকাশন মিডিয়া হাউস লিমিটেডের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিল কেরলের নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)। এই প্রকাশনী সংস্থার অধীনেই রয়েছে অর্গানাইজার পত্রিকা। গত ২৬ নভেম্বর কেরল হাইকোর্ট এই মামলা খারিজ করে দিয়েছে। বিচারপতি পিভি কুনহিয়কৃষ্ণাণ নিজের রায়ে জানিয়েছেন যে পিএফআই বা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া হল একটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন। তাই এরা কোনও রকমের মানহানির অভিযোগ দায়ের করতে পারে না। কারণ, এই সংগঠনের আইনি সত্ত্বা বলে কিছু নেই। প্রসঙ্গত, ভারত প্রকাশনের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়। এই ভারত প্রকাশনের অধীনেই বের হয় অর্গানাইজার ও পাঞ্চজন্য পত্রিকা।

    ২০১৭ সালে করা হয় মানহানির মামলা

    পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) অর্গানাইজার পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবরের জন্য ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মানহানির মামলা করে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। তাই তারা আদালতে মামলা করতে পেরেছিল তখন। সে সময়ে ভারতে চালু ছিল ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বা আইপিসি। প্রসঙ্গত, আইপিসির ৪৯৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী মানহানির মামলা করেছিল পিএফআই। কিন্তু বিচারক স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, বর্তমানে যেহেতু নিষিদ্ধ এই সংস্থা, তাই এই মানহানির মামলার গ্রহণযোগ্যতা নেই। 

    ২০২২ সালে নিষিদ্ধ করা হয় পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে (PFI)

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করা হয়েছে কেরল হাইকোর্টের (Kerala High Court) রায়ে। প্রসঙ্গত ওই দিনই পপুলার ফ্রন্ড অফ ইন্ডিয়া এবং তার সহযোগী সংস্থাগুলিকে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের দ্বারা নিষিদ্ধ করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Hydrogen Powered Train: ভারতের প্রথম হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন চালু আগামী বছর, চলবে কোন রুটে? গতি কত?

    Hydrogen Powered Train: ভারতের প্রথম হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন চালু আগামী বছর, চলবে কোন রুটে? গতি কত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রথম হাইড্রোজেন (Hydrogen Powered Train) চালিত ট্রেন চলবে জিন্দ স্টেশন থেকে সোনিপথ স্টেশনের মধ্যে। যদিও এখনও এই ট্রেনের (Indian Rail) নামকরণ কী হবে তা ঠিক হয়নি। তবে ট্রেনের নকশা করছে আরডিএসও। মূলত ৮টি যাত্রীবাহী কোচ রয়েছে। একসঙ্গে ২৬৩৮ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম হবে এই হাইড্রোজেন ট্রেন। জাপান এবং চিনে এই জ্বালানি নিয়ে ট্রেন চালানোর কাজ করছে। তবে এখনও পর্যন্ত জার্মানিই সফল দেশ যেখানে হাইড্রোজেন দিয়ে ট্রেন চলছে।

    আরডিএসও নকাশা করেছে (Hydrogen Powered Train)

    গত দশ বছরে কেন্দ্রের মোদি সরকার রেলে ব্যবস্থার যুগান্তকারী দিকের সূচনা করে বন্দে ভারত ট্রেন (Indian Rail) চালু করেছে। এবার রেলের মুকুটে যুক্ত হবে হাইড্রোজেন (Hydrogen Powered Train) চালিত ট্রেনর পালক। এই বিশেষ ট্রেন মাইল ফলক হবে। খুব দ্রুত হরিয়ানার নামানো হবে ট্রেন। ট্রেনের আধুনিক রিসার্চ, ডিজাইন এবং স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন (আরডিএসও) ট্রেনটির নকশা তৈরি করেছে। এই ট্রেনের উদ্বোধনের পর বিশ্বের বাকি এমন দেশগুলির সঙ্গে এখন থেকে তুলনা করা হবে যাদের হাইড্রোজেন দ্বারা ট্রেন চালানো হয়। এই প্রচেষ্টাকে এখন বিশ্বজুড়ে বড় মাপের প্রচেষ্টা বলা যায়। জৈব জ্বালানীর খরচ এবং পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে এই অভিনব ভাবনার পথে পদার্পণ করবে ভারতীয় রেল। ইতিমধ্যে বিকল্প জ্বালানীতে ভারত মিথেন, ইথানল, হাইড্রোজেন, জৈব গ্যাসের অনন্য নজির গড়ছে সড়ক পরিবহণে।

    গতিবেগ হবে ১১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা

    জানা গিয়েছে, ভারতের এই হাইড্রোজেন (Hydrogen Powered Train) চালিত ট্রেনের নকশা সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়ে গিয়েছে। আগামী বছরের প্রথমের দিকেই এই ট্রেন (Indian Rail) চালু হয়ে যাবে। তবে ট্রেনের প্রাথমিক নকশা তৈরি হয়েছিল ২০২১ সালেই। আবার আরডিএসও-এর মহাপরিচালক উদয় বোরওয়াঙ্কা বলেন, “আমাদের সংস্থা ধারবাহিক ভাবে রেলের নতুন নতুন ভাবনাকে উত্থাপন করছে। এইবারে বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেমন হাইড্রোজেন দিয়ে পরিবহণকে চালানো হচ্ছে, ঠিক তেমনি ভাবে আমরাও রেলের জন্য বিশেষ প্রয়োগ করেছি। স্থায়িত্বের বিচারের ভারতীয় রেলের এই যান দারুণ উন্নত হবে বলে আমরা আশা প্রকাশ করছি। ট্রেনের এখনও নামকরণ হয়নি। গতিবেগ হবে ১১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ট্রেনে থাকবে হাইড্রোজেন সিলিন্ডার এবং হাউজিং ইন্টিগ্রেটেড ফুয়েল সেল কনভার্টার, ব্যাটারি এবং এয়ার রিজার্ভার। স্বল্প দূরত্বের জন্য এই ট্রেন বেশ কার্যকরি। বর্তমানে, চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে (ICF) ইন্টিগ্রেশনের কাজ চলছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: সপ্তাহের শেষে পারদ পতন, ইঙ্গিত হাওয়া অফিসের, কবে থেকে শীত কলকাতায়?

    Weather Update: সপ্তাহের শেষে পারদ পতন, ইঙ্গিত হাওয়া অফিসের, কবে থেকে শীত কলকাতায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরের শুরুতেও সেভাবে শীতের দেখা নেই শহরে। শীত-কাতুরে বাঙালির এখন একটাই চিন্তা কবে, থেকে জাঁকিয়ে শীত (Winter in Kolkata) পড়বে শহরে? এখনও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কলকাতার তাপমাত্রা, তবে সপ্তাহের শেষে দক্ষিণবঙ্গে পারদ পতনের ইঙ্গিত দিল হাওয়া অফিস (Weather Update)। জমিয়ে শীতের আমেজ ফেরার সম্ভাবনা আগামী সপ্তাহ থেকেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ২ দিন পর থেকেই ধীরে ধীরে পারদ নামবে। চলতি সপ্তাহের শেষেই ২-৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমার আশা রয়েছে।

    শহরের আবহাওয়া

    হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকেই পারদ নামতে পারে কলকাতায়। সেই সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও ঠান্ডা পড়বে। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে যা ৩.৪ ডিগ্রি বেশি। রবিবার ১৯ ডিগ্রিতে নেমেছিল শহরের (Winter in Kolkata) তাপমাত্রা। সোমে তা আবার এক ডিগ্রি বেড়েছে। যদিও দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখনও স্বাভাবিকের চেয়ে কম রয়েছে। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৩ ডিগ্রি কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ। আপাতত রাজ্যের কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা আর নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সর্বত্র থাকবে শুকনো আবহাওয়া।

    আরও পড়ুন: খাবার নেই, জল নেই! কুয়েত বিমানবন্দরে ১৩ ঘণ্টা দুর্ভোগের শিকার ভারতীয় যাত্রীরা

    কুয়াশা ঘেরা সকাল

    রাজ্যে সেভাবে শূত না পড়লেও সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশায় ঢাকছে আকাশ। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, মালদা এবং দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি। শহর কলকাতাতেও ভোরের দিকে কুয়াশা থাকছে। দক্ষিণে সেভাবে শীত না পড়লেও ইতিমধ্যে পারদ নামতে শুরু করেছে পাহাড়ে। দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি সিকিমেও চলছে তুষারপাত। কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে কালিম্পং, কার্শিয়াং। সান্দাকফুতে বরফ দেখতে নেমেছে পর্যটকদরে ঢল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Joe Biden: হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে ছেলে হান্টারকে ক্ষমা করে দিলেন জো বাইডেন

    Joe Biden: হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে ছেলে হান্টারকে ক্ষমা করে দিলেন জো বাইডেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেলেকে ক্ষমা করে দিলেন বাবা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) রবিবার তাঁর ছেলে হান্টার বাইডেনকে (Hunter Biden) ক্ষমা করে দিয়েছেন। এর ফলে ফেডারেল অপরাধমূলক অস্ত্র ও কর ফাঁকির শাস্তির খাঁড়া থেকে মুক্তি পেলেন বাইডেন-পুত্র। ঘটনায় মার্কিন প্রদেশে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রেসিডেন্সির বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার না করার পূর্ববর্তী প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসে ছেলেকে ক্ষমা করে দিলেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    কী বললেন বাইডেন (Joe Biden)

    হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, “আজ আমি আমার ছেলে হান্টারের জন্য একটি ক্ষমার আদেশে স্বাক্ষর করেছি। আমি যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন থেকেই বলেছিলাম যে আমি বিচার বিভাগের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করব না। আমি আমার কথা রেখেছি। এমনকী, যখন দেখেছি আমার ছেলেকে বেছে বেছে এবং অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তখনও।” ডেলাওয়ার ও ক্যালিফোর্নিয়ায় দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে বাইডেন বলেছিলেন, যে তিনি তাঁর ছেলেকে ক্ষমা করবেন না বা তাঁর সাজা লঘু করবেন না। এই সিদ্ধান্তটি এমন সময়ে তিনি জানিয়েছিলেন যখন হান্টার বাইডেন বন্দুক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন এবং কর মামলায় দোষ স্বীকার করার পর শাস্তির মুখোমুখি হতে যাচ্ছিলেন।

    হান্টারকে ভিন্নভাবে বিবেচনা করা হয়েছে

    সেই বাইডেনই ছেলেকে ক্ষমা করলেন এমন একটা সময়ে যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মাত্র দুমাসের মধ্যেই দায়িত্ব নিতে চলেছেন তিনি। জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে (Joe Biden), “যারা সিরিয়াস অ্যাডিকশনের কারণে তাঁদের কর সময়মতো পরিশোধ করতে পারেননি, কিন্তু পরে সুদ ও জরিমানা সহ তা পরিশোধ করেছেন, সাধারণত তাদের ক্ষেত্রে অপরাধমূলক শাস্তি দেওয়া হয় না। তবে এটা পরিষ্কার যে হান্টারকে ভিন্নভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। হান্টার একজন মাদকাসক্তি থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তি, যিনি রিপাবলিকানদের, বিশেষ করে ট্রাম্পের, লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন।”

    আরও পড়ুন: ‘কমপক্ষে তিন সন্তান নিন’, নিদান মোহন ভাগবতের

    বাইডেন বলেন, “হান্টারের মামলার তথ্য বিবেচনা করে কোনও বিচার-বিবেচনা বোধ থাকা ব্যক্তি এ ছাড়া অন্য কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে না যে তাকে শুধু আমার ছেলে হওয়ার কারণে আলাদা করে টার্গেট (Hunter Biden) করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “হান্টারকে ভাঙার চেষ্টা করতে গিয়ে, তারা আমাকেও ভাঙার চেষ্টা করেছে – এবং এটা এখানে থামবে এমন কোনও কারণ নেই। তাই ঢের হয়েছে, আর না (Joe Biden)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ভারতীয় হিন্দু জানতেই খুনের চেষ্টা ঢাকায়! বেলঘরিয়ার যুবক ফিরলেন প্রাণ হাতে করে

    Bangladesh: ভারতীয় হিন্দু জানতেই খুনের চেষ্টা ঢাকায়! বেলঘরিয়ার যুবক ফিরলেন প্রাণ হাতে করে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) গিয়ে আক্রান্ত হলেন উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ার যুবক। অভিযোগ, ভারতীয় হিন্দু পরিচয় (Indian Hindu Assaulted) প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর ওপর চড়াও হন বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা। টাকা, মোবাইল ছিনতাইয়ের পাশাপাশি তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়। এলোপাথাড়ি কিল, চড়, ঘুষির সঙ্গে মুখে ছুরি দিয়ে এবং মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। জখম যুবকের মুখে দু’টি এবং মাথায় চারটি সেলাই পড়েছে। এমনকী, তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে প্রহৃত হয়েছেন সঙ্গে থাকা মুসলিম বন্ধুও। হামলাকারীরা সেই বন্ধুর মোবাইল ফোনটিও ছিনিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। এমনকী, যুবকের অভিযোগ, বাংলাদেশের পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সাহায্য তো মেলেইনি, উলটে কোথাও কোনও অভিযোগ জানালে তাঁদের খুন করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Bangladesh)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ভারতীয় যুবকের (Bangladesh) নাম সায়ন ঘোষ (২২)। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ার (Belghoria) ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের দেশপ্রিয় নগর এলাকায়। ২৩ নভেম্বর ঢাকায় বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। ফেরার কথা ছিল নভেম্বরের ২৬ তারিখ। অভিযোগ, ফেরার আগের দিন বন্ধুর সঙ্গে ঢাকার বাজারে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন সায়ন। সে সময়ই আচমকা এক দল লোক এসে তাঁদের ঘিরে ধরেন। শুরু হয় ‘জেরা’। ভারত থেকে গিয়েছেন এবং হিন্দু পরিচয় (Indian Hindu Assaulted) জানতে পেরেই নাকি তাঁর ওপর চড়াও হন তাঁরা। শুরু হয় মারধর। প্রকাশ্য রাস্তায় এমন ঘটনা দেখেও এগিয়ে আসেননি কেউই। শেষ পর্যন্ত ওই বন্ধুর তৎপরতায় দুষ্কৃতীরা পিছু হটে। তবে তত ক্ষণে রক্তে ভেসে যাচ্ছে সায়নের গোট শরীর।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে পেট্রাপোল সীমান্তে আজ প্রতিবাদ-সভা শুভেন্দুর

    আক্রান্ত যুবক কী বললেন?

    সায়নের অভিযোগ, থানায় (Bangladesh) গিয়েও কোনও লাভ হয়নি। প্রথমেই পুলিশ চিকিৎসা করে আসতে বলে। কিন্তু সে ব্যাপারে কোনও সাহায্য করেনি। তার পর আহত অবস্থাতেই একের পর এক হাসপাতালে ঘুরেছেন সায়ন এবং তাঁর বন্ধু। কেউই সায়নের চিকিৎসা করতে রাজি হননি। শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে এসে চিকিৎসা হয় তাঁর। অভিযোগ, সায়নের কাছে থাকা মোবাইল এবং টাকাপয়সা সব কেড়ে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ওই অবস্থাতেই ভয়ে কোনও মতে প্রাণ হাতে করে গেদে সীমান্ত থেকে চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে চলে আসেন সায়ন (Indian Hindu Assaulted)। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে জানিয়েছেন সায়ন। সোমবার তিনি বিষয়টি নিয়ে কলকাতায় বাংলাদেশ (Bangladesh) ডেপুটি হাইকমিশনের অফিসে গিয়ে অভিযোগ জানাবেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Unrest: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে পেট্রাপোল সীমান্তে আজ প্রতিবাদ-সভা শুভেন্দুর

    Bangladesh Unrest: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে পেট্রাপোল সীমান্তে আজ প্রতিবাদ-সভা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Unrest) গ্রেফতার হওয়া সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তি ও হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে আজ সোমবার ভারত-বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্তে প্রতিবাদ সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) এই সভায় উপস্থিত থাকবেন বিজেপির একাধিক বিধায়ক এবং বহু সাধু, গোসাঁইদের। প্রসঙ্গত, এই সভা হবে সনাতনী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে। সভা নিয়ে বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া বলেন, ‘‘সভায় বিজেপির কোনও পতাকা, ব্যানার থাকবে না। সভা হচ্ছে সনাতনী ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে।’’ প্রসঙ্গত, গতকালই বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার পথে ৫৪ ইসকন ভক্তকে আটকে দেয় সেদেশের প্রশাসন। এনিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই আবহে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, শুভেন্দুর প্রতিবাদ সভার জেরে পেট্রাপোল সীমান্ত অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।

    বাংলাদেশিরাও (Bangladesh Unrest) ক্ষোভ উগরে দেন ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে 

    সে কারণে রবিবারই আরও বেশি করে বাংলাদেশিদের দেশে ফিরতে দেখা যায়। বাংলাদেশ (Bangladesh Unrest) যাওয়ার আগে ইউনূসের সরকারের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন অনেকেই। বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরে মতুয়া ভক্ত গোলক বলেন, ‘‘গুরুধামে আরও কয়েক দিন থাকার কথা ছিল। কিন্তু জীবনের আশঙ্কায় দ্রুত ফিরে আসতে বাধ্য হলাম।’’ তাঁর কথায়, ‘‘ভারতীয়দের এখন ওই দেশে দেখলেই গালিগালাজ করা হচ্ছে। ওষুধের দোকান থেকে ভারতীয় বলে আমাকে ওষুধ পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছিল না। অনেক অনুরোধ করে এক পাতা ওষুধ কিনতে পেরেছি।’’

    আটকে দেওয়া হয় ৫৪ জন ইসকন ভক্তকে

    অন্যদিকে, ইসকনের ৫৪ জন সদস্যকে রবিবার বেনাপোল সীমান্তে আটক করে বাংলাদেশের (Bangladesh Unrest) ইমিগ্রেশন পুলিশ। বৈধ কাগজপত্র থাকলেও আটক করা হয় তাঁদের যশোরে বাংলাদেশের বেনাপোল চেকপোস্ট পেরিয়ে বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের পর আটকে দেওয়া হয় তাঁদের। ইউনূস সরকারের এমন আচরণেই বোঝা যাচ্ছে, সেদেশে সংখ্যালঘুরা ঠিক কতটা অসুরক্ষিত। বেনাপোলে বাংলাদেশ সরকারের ইমিগ্রেশন বিভাগের অফিসার ইমতিয়াজ আহসানুল কাদের ভুঁইয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইসকন সদস্যদের কাছে বৈধ পাসপোর্ট, ভিসা থাকলেও বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ সরকারি অনুমতি ছিল না। অন্যদিকে, সৌরভ তপনদার চেলি নামে এক ইসকন সদস্যের বক্তব্য, বিশেষ সরকারি অনুমতির বিষয়টি তাদের কাছে স্পষ্ট করেনি ইমিগ্রেশন অফিসার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indian Passengers Harrassed: খাবার নেই, জল নেই! কুয়েত বিমানবন্দরে ১৩ ঘণ্টা দুর্ভোগের শিকার ভারতীয় যাত্রীরা

    Indian Passengers Harrassed: খাবার নেই, জল নেই! কুয়েত বিমানবন্দরে ১৩ ঘণ্টা দুর্ভোগের শিকার ভারতীয় যাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই থেকে ম্যাঞ্চেস্টারগামী বিমানে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ১৩ ঘণ্টা কুয়েত বিমানবন্দরে (Kuwait Airport) কার্যত বন্দি থাকতে হল ভারতীয় যাত্রীদের (Indian Passengers Harrassed)। অভিযোগ, তাদের জন্য খাবার বা জলের ব্যবস্থাটুকুও করা হয়নি। সাহায্য তো দূর, তাদের লাউঞ্জেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সমাজমাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়তে কুয়েতের ভারতীয় দূতাবাস (MEA) ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারপর বিমানবন্দরে লাউঞ্জে ঢোকার সুযোগ পান ভারতীয় যাত্রীরা। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার। অবশেষে সোমবার ভোর রাতে সাড়ে তিনটের বিমানে ম্যাঞ্চেস্টারে পৌঁছন ওই যাত্রীরা।

    কী ঘটেছিল 

    রবিবার মুম্বই থেকে ম্যাঞ্চেস্টারে আসছিল একটি বিমান। কিন্তু আচমকাই ইঞ্জিনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, জরুরি অবতরণের পর বিমান পরীক্ষার সাফাই দিয়ে বিমানবন্দরে (Kuwait Airport) ভারতীয় যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রাখা হয় (Indian Passengers Harrassed)। যার জেরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা যায় যাত্রীদের। ইতিমধ্যে বিমান কর্মীদের সঙ্গে যাত্রীদের বাদানুবাদের ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানেই দেখা যায়, দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকলেও যাত্রীদের কোনওরকম সাহায্য করা হচ্ছে না। ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে কুয়েত বিমানবন্দরে। ঘটনার (Indian Passengers Harrassed) তীব্র নিন্দা করে কুয়েতের ভারতীয় দূতাবাস (MEA) এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছে। সেখানে গাল্ফ এয়ারের গাফিলতির অভিযোগ তুলে অবিলম্বে জবাব চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। যদিও এ বিষয়ে সংস্থার তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    তৎপর দূতাবাস

    যাত্রীদের অভিযোগ, বিমানে থাকা ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন, আমেরিকার যাত্রীদেরই থাকার ব্যবস্থা করেছে এয়ারলাইন্স। ভারতীয়, পাকিস্তানি ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যাত্রীদের জন্য কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি (Indian Passengers Harrassed)। এমনকী, তাদের হেনস্থাও করা হয় লাউঞ্জে ঢুকতে চাইলে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের (Kuwait Airport) তরফে আটকে থাকা যাত্রীদের বলা হয়, ভারতীয়, পাকিস্তানিরা এই ধরনের পরিষেবা পাওয়ার ‘যোগ্য’ নয়। ট্রানজিট ভিসা পাওয়ার অধিকার থাকলে তবেই বিমানবন্দরের বাইরে হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। এই কথা শুনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। এমনকী, প্রথম চার ঘণ্টা যাত্রীদের এক বিন্দু জলও দেওয়া হয়নি। কুয়েতে ভারতীয় দূতাবাস (MEA) এই খবর পেতেই তৎপর হয়ে ওঠে। আটকে পড়া ভারতীয় যাত্রীদের (Indian Passengers Harrassed) সাহায্যের জন্য একটি টিম পাঠানো হয়। তারা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের (Kuwait Airport) সঙ্গে কথা বলে এবং যাত্রীদের দুটি লাউঞ্জে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Iskcon: বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু! নিরাপত্তার দাবিতে বিশ্বের ১৫০ দেশের ৮০০ মন্দিরে শান্তিপ্রার্থনা ইসকনের

    Iskcon: বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু! নিরাপত্তার দাবিতে বিশ্বের ১৫০ দেশের ৮০০ মন্দিরে শান্তিপ্রার্থনা ইসকনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) আক্রান্ত একের পর এক ইসকন মন্দির। সে দেশে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন হিন্দুরা। গ্রেফতার করা হয়েছে ইসকনের একাধিক সন্ন্যাসীকে (Iskcon)। এই আবহে গতকাল রবিবারই বিশ্বের দেড়শোটি দেশে প্রার্থনা-কীর্তনের মাধ্যমে প্রতিবাদের আয়োজন করেছিল ইসকন। আমেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ মহাদেশের ১৫০টি দেশে ইসকনের প্রায় ৮০০-এরও বেশি মন্দিরে স্থানীয় সময় অনুসারে বাংলাদেশ ইস্য়ুতে কর্মসূচির আয়োজন করা হয় রবিবার। কোথাও শান্তিপ্রার্থনা কোথাও আবার কীর্তনের আয়োজন করেন ইসকন ভক্তরা। একটাই প্রার্থনা করা হয় সর্বত্র, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা।

    রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থনার মাধ্যমে প্রতিবাদ (Iskcon)

    রবিবার এদেশেরও একাধিক বড় শহরে প্রতিবাদ জানায় ইসকন (Iskcon)। রাজ্যের মধ্য়ে কলকাতা, শিলিগুড়ি, মায়াপুর, রাজস্থানের জয়পুর, অসমের গুয়াহাটি, ওড়িশার ভুবনেশ্বর, কর্নাটকের বেঙ্গালুরু সহ দেশের একাধিক জায়গাতে ইসকনের মন্দিরগুলিতে প্রার্থনা ও কীর্তনের মাধ্যমে শান্তি প্রার্থনা করা হয়। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপরে অত্যাচার চলছে সেই অত্যাচারের প্রতিবাদ জানানো হয়। ইসকনের সন্ন্যাসীদের হাতে পোস্টার দেখা যায়, ‘আমরা সন্ত্রাসী নই’, ‘আমাদের মন্দিরকে রক্ষা করো বাংলাদেশে’। একইসঙ্গে গ্রেফতার হওয়া সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের নিঃস্বার্থ মুক্তির দাবিও জানান তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে পথে নেমে প্রতিবাদ জানান ইসকনের ভক্তরা। রবিবারে আসানসোলের বার্নপুরে ত্রিবেণী মোড় থেকে এক পদযাত্রা করা হয়। ইসকনের ওই পদযাত্রায় সামিল হতে দেখা গিয়েছে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলকে। প্রসঙ্গত, একইভাবে প্রতিবাদ দেখা গেছে এ রাজ্যের দুর্গাপুরেও। সেখানে প্রতিবাদ জানায় বিশ্ব সনাতনী হিন্দু একতা সঙ্ঘ নামের একটি সংগঠন।

    মায়াপুরের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবাদ

    অন্যদিকে, ইসকনের (Iskcon) মায়াপুর আন্তর্জাতিক প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি নিয়ে প্রার্থনা সভা কীর্তন হয়। রবিবার সকাল সাতটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ইসকনের এই প্রার্থনা চলে। ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানিয়েছে, অশান্ত বাংলাদেশে শান্তি ফেরাতেই এমন আয়োজন। মায়াপুরের চন্দ্রোদয় মন্দিরে রাধামাধব বিগ্রহের সামনে অসংখ্য কৃষ্ণ ভক্তরা জমায়েত হন রবিবার এবং বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ক্রমাগত নির্যাতনের প্রতিবাদে তাঁরা নাম সংকীর্তন শুরু করেন। প্রসঙ্গত, ইসকনের সন্ন্যাসীর মুক্তির দাবিতে মায়াপুরেও প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে বিক্ষোভ দেখায় বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। এরপরে তারা বিক্ষোভ সভাও করে সেখানে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: বন্ধ ইন্টারনেট, মণিপুরে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি! অসমেও মোতায়েন অতিরিক্ত বাহিনী

    Manipur Violence: বন্ধ ইন্টারনেট, মণিপুরে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি! অসমেও মোতায়েন অতিরিক্ত বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির জের অব্যাহত মণিপুরে (Manipur Violence)। তাই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে এখনই চালু হচ্ছে না মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। এর আগে সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছিল, রবিবার থেকেই ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক হতে চলেছে রাজ্যে। কিন্তু ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করে রবিবার নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে মণিপুর সরকার। তাতেই বলা হয়েছে, আপাতত বুধবারের আগে চালু হচ্ছে না ইন্টারনেট। রাজ্যের ন’টি জেলায় বৃদ্ধি করা হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ।

    কোন কোন জেলায় নিষেধাজ্ঞা

    রাজ্য সরকারের তরফে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে বলা হয়েছে, মণিপুরের (Manipur Violence) ন’টি জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার মেয়াদ আরও দু’দিনের জন্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, কাকচিং, বিষ্ণুপুর, থৌবল, চূড়াচাঁদপুর, জিরিবাম, ফেরজওল এবং কাংপোকপি জেলায় আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর থেকেই মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে ওই জেলাগুলিতে। গত মে মাস থেকে মেইতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ঘিরে উত্তপ্ত মণিপুর। এ পর্যন্ত ২৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন হয়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ। চলতি মাসে মণিপুরের জিরিবামে কুকি জঙ্গি এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। অভিযোগ, সেই সময় একদল কুকি জঙ্গি মেইতেই সম্প্রদায়ের তিন মহিলা এবং তিন শিশুকে অপহরণ করে। দিন কয়েক পরে অপহৃত ছ’জনের দেহ নদীতে ভেসে আসে। প্রকাশ্যে আসে শিউরে ওঠার মতো ময়নাতদন্তের রিপোর্টও। জিরিবামের এই ঘটনার পর থেকেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় মণিপুরে। 

    আরও পড়ুন: প্রধান পর্যটন কেন্দ্রের তালিকায় নাম যোগনগরী হৃষিকেশের, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ধামীর

    অসমে প্রভাব

    রবিবার অসমের (Assam) মুখ্য়মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, মণিপুরে (Manipur Violence) যে হিংসা চলছে তার জেরে অসমের শান্তিতে প্রভাব ফেলছে, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর প্রভাব পড়ছে। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিবেশী রাজ্যে হিংসার জেরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মণিপুর থেকে প্রায় ১২ কিমি দূরে অসমের লাখিপুর মহকুমা। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এই কথা জানান তিনি। প্রসঙ্গত গত বছরের মে মাস থেকে মণিপুরের হাজার হাজার বাসিন্দা অসমে আশ্রয় নিয়েছিলেন। অনেকেই সেখানে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেন। সরকারি তথ্য় অনুসারে প্রায় ৫০০০ জিরিবামের বাসিন্দা কাছাড়ে বাস করা শুরু করেছিলেন। তাদের মধ্য়ে বেশিরভাগই ফিরে যান। ৭ নভেম্বর ফের জিরবামে সংঘর্ষ শুরু হয়। তারপরই ফের বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছড়ায় মণিপুর লাগোয়া অসমের কাছাড়ে। এরপর ২০০ কিমি সীমান্ত এলাকা সিল করে দেওয়া হয়। বরাক উপত্যকায় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে হিংসা-বিধ্বস্ত মণিপুরের কোনও প্রভাব অসমে না পড়ে। উল্লেখ্য, অসমের কাছাড় জেলার বরাক উপত্যকা মণিপুরের জিরিবাম জেলার লাগোয়া। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share