Tag: Madhyom

Madhyom

  • Boroline: বোরোলিনের উত্থানের নেপথ্যে স্বদেশী আন্দোলন? জানুন অজানা কাহিনি

    Boroline: বোরোলিনের উত্থানের নেপথ্যে স্বদেশী আন্দোলন? জানুন অজানা কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীত এলেই শুষ্ক রুক্ষ ত্বকের যত্ন নিতে চাই বোরোলিন (Boroline)। ঠোঁট ফাটছে, পা ফাটছে, যে কোনও বাঙালি বাড়িতে তো বটেই, ভারতের অনেক বাড়িতেও মানুষ হতে তুলে নেবেন ‘সুরভিত অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম, বোরোলিন’। প্রজন্মের পর প্রজন্ম বাঙালি তথা ভারতীয়দের ঘরে ঘরে নিজের জায়গা স্থায়ী করেছে বোরোলিন (Boroline Antiseptic Cream)। মেক ইন ইন্ডিয়ার প্রতীক বোরোলিন। ভারতের জাতীয়তাবাদের প্রতীক হল বোরোলিন। শুধু শুষ্ক ত্বকের সমস্যা কেন, কাটা, ফোলা, পোড়া– ত্বকের যে কোনও সমস্যার ম্য়াজিক সমাধান এই সবুজ রঙের টিউব থেকে বেরিয়ে আসা সাদা ক্রিম।

    জাতীয়তাবাদের প্রতীক বোরোলিন

    বোরোলিনকে (Boroline) আর পাঁচটা প্রসাধনী পণ্যের সঙ্গে গুলিয়ে ফেললে হবে না। প্রায় একশো বছর আগে বঙ্গভঙ্গ এবং ব্রিটিশদের অত্যাচারের প্রেক্ষাপটে, ভারতের ‘আত্মনির্ভরতা’র অন্যতম প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল বোরোলিন। ১৯২৯ সালে জিডি ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গৌরমোহন দত্ত। এটিই বোরোলিনের মাদার কোম্পানি। এক অতি সাধারণ সবুজ রঙের টিউবে প্যাকেজিং করা শুরু হয়েছিল (এখন অবশ্য কৌটোও পাওয়া যায়)। চিকিৎসা বা প্রসাধনী পণ্যের বাইরেও, বোরোলিন ছিল বিদেশি পণ্য এবং ঔপনিবেশিক শাসকদের অর্থনৈতিক শোষণের বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিবাদের এক মাধ্যম।

    দেশীয় পণ্যের নির্ভরযোগ্যতা

    গৌর মোহন দত্ত বিদেশি পণ্যের আমদানিকারক ছিলেন। কিন্তু তারপর তিনি স্বদেশী আন্দোলনে যোগ দেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে ভারতকে সাহায্য করার সর্বোত্তম উপায় হল- এটিকে আর্থিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা। তাই তারা এমন পণ্য তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যা মানসম্মত বিদেশি পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে। কিন্তু এ কাজটা সহজ ছিল না। অনেকে তাঁর উদ্যোগের বিরোধিতা করলেও গৌর মোহন দত্ত হাল ছাড়েননি। ভারতকে স্বাধীন ও স্বনির্ভর করার স্বপ্নকে হৃদয়ে রেখে তিনি নিজ বাড়িতে বিদেশি পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় দেশীয় পণ্য তৈরি শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে বোরোলিন-এর (Boroline) জনপ্রিয়তার পিছনে ছিল, দেশীয় পণ্যের নির্ভরযোগ্যতা। বিদেশি পণ্যের পাশে অত্যন্ত সস্তায় পাওয়া যেত দেশেই তৈরি এই ক্রিম।

    স্বাধীনতার দিন বিনামূল্যে বোরোলিন

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পৃথক প্যাকেজিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল ৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, যুদ্ধের কারণে যে অভাব সৃষ্টি হয়েছিল, সেই সময়ে প্রচলিত প্যাকেজিং না করে তখন বোরোলিন (Boroline) উপলব্ধ পাত্রে প্যাকেজ করা হয়েছিল। পণ্যের সত্যতা সম্পর্কে গ্রাহকের মনে সন্দেহ দূর করার জন্য, এই জিনিসটি প্যাকের নীচে কিছু কথা মুদ্রিত হয়েছিল। তাতে লেখা থাকত, “যুদ্ধের জরুরি অবস্থার কারণে মূল প্যাকিং পরিবর্তন করা হয়েছে, উপাদানের পরিমাণ এবং গুণমান অপরিবর্তিত রয়েছে।” সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল, এটা ছিল ভারতীয়দের জাতীয়তাবাদের প্রতীক। ১৯৪৭-এর ১৫ অগাস্ট যখন ভারত স্বাধীনতা লাভ করেছিল, সেই সময় বোরোলিনের পক্ষ থেকে প্রায় ১ লক্ষ ক্রিমের টিউব বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছিল।

    বোরোলিনের গোপন ফর্মুলা

    বোরোলিন (Boroline) শব্দের প্রথম অংশটি হল বোরো, যা বোরিক অ্যাসিড থেকে উদ্ভূত যার একটি অ্যান্টি-সেপটিক (Boroline Antiseptic Cream) বৈশিষ্ট্য রয়েছে। দ্বিতীয় অংশ হল ওলিন, এই শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ ওলিয়ন (oleon) থেকে, যার অর্থ তেল। বলা হয়ে থাকে যে, সরকারি কোষাগারের এক টাকাও কখনও এই কোম্পানির কাছে পাওনা ছিল না। ক্রিমটির ফর্মুলা কখনও গোপন রাখা হয়নি৷ প্রায়ই কোম্পানিগুলি তাদের পণ্যের ফর্মূলা গোপন রাখে যাতে অন্য কেউ একই পণ্য তৈরি করতে না পারে। কিন্তু জিডি ফার্মাসিউটিক্যালস কখনও ‘বোরোলিন’ তৈরির এই ফর্মুলা গোপন রাখেনি। বোরোলিন অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম অ্যান্টিসেপটিক বোরিক অ্যাসিড, অ্যাস্ট্রিনজেন্ট এবং সানস্ক্রিন জিংক অক্সাইড এবং ইমোলিয়েন্ট ল্যানোলিন ব্যবহার করে।

    বোরোলিনের গৌরব অক্ষুণ্ণ

    সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, পণ্যের প্যাকেজিং আধুনিক হয়েছে। নতুন নতুন বিজ্ঞাপন তৈরি হয়েছে। তবে, পণ্যের গুণমানের সঙ্গে কখনও আপোষ করা হয়নি। আর এভাবেই বোরোলিন (Boroline) ভারতের অন্যতম শক্তিশালী উপভোক্তা ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম পার করে প্রায় ৯৬ বছর। মা-ঠাকুরমা থেকে শুরু করে জেন জি-এর যুবক-যুবতীরাও অন্ধভাবে এই সবুজ টিউবের উপর নির্ভর করে। বলা যেতে পারে, বোরোলিন বাঙালি তথা ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। স্বাধীনতা-পূর্ব ভারতে, কাশ্মীরিরা হিমশীতল এবং শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি পেতে এটি ব্যবহার করত এবং দক্ষিণ ভারতের লোকেরা তাপ থেকে বাঁচতে এটি ব্যবহার করত। বোরোলিন প্রতিটি ত্বকের ধরনের জন্য উপযুক্ত একটি ক্রিম (Boroline Antiseptic Cream)। বাজারে প্রচুর নামী-দামি ক্রিম এসেছে, গিয়েছে। কিন্তু কেউই বোরোলিনের গৌরবকে ক্ষুণ্ণ করতে পারেনি।

  • Bangladesh: পাকিস্তানকে বিশ্বাস করার আগে বাংলাদেশের উচিত একাত্তরের গণহত্যার ঘটনার কথা মনে রাখা

    Bangladesh: পাকিস্তানকে বিশ্বাস করার আগে বাংলাদেশের উচিত একাত্তরের গণহত্যার ঘটনার কথা মনে রাখা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবর্তনের মুখে বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক পরিস্থিতি। শেখ হাসিনার অপসারণ এবং মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এটি হল পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার একটি ইঙ্গিত। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সেটি হল, বাংলাদেশের নেতারা কি ১৯৭১ সালের রক্তাক্ত ইতিহাস ভুলে যেতে চাইছেন? দীর্ঘদিন ভারতের অকৃত্রিম বন্ধু ছিল বাংলাদেশ। হাসিনা-উত্তর জমানায় বদলাতে চলেছে সেই পরিস্থিতি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের এই পরিবর্তন শুধুমাত্র আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতির জন্য নয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্যও গভীর উদ্বেগের।

    শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ গণহত্যা (Bangladesh)

    ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে পূর্ব পাকিস্তানের (অধুনা বাংলাদেশ) জনগণের ওপর পাকিস্তানের নৃশংস সামরিক দমন-পীড়ন ছিল বিংশ শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ গণহত্যা। ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বাধীন সামরিক জুন্টা, শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামি লিগকে দেওয়া গণতান্ত্রিক রায় মেনে নিতে রাজি হয়নি। এর পরেই “অপারেশন সার্চলাইট” নামের একটি অভিযান শুরু করে। এই অভিযান চলাকালীন ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ এবং জোরপূর্বক গুম হয়। এই অভিযানে অকালে প্রাণ খোয়ান প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি। বাস্তুহারা হন লাখ লাখ মানুষ। পাক সামরিক বাহিনী, জামাত-ই-ইসলামির মতো স্থানীয় সহযোগীদের সহায়তায়, পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবী, ছাত্র এবং হিন্দু সংখ্যালঘুদের নিশানা করেছিল অত্যাচারীরা। এই অভিযানের উদ্দেশ্যই ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন দমন করা।

    বেদনাবিধুর গল্প

    এই সময়ের ক্ষত এখনও (Bangladesh) দগদগে বাংলাদেশের পরিচয়ের সঙ্গে। ঢাকার গণকবর, ধর্ষণ, জীবিতদের সাক্ষ্য এবং পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর নৃশংসতায় বিচ্ছিন্ন হওয়া অসংখ্য পরিবারের বেদনাবিধুর গল্প কেবল ইতিহাসের পাতার ফুটনোট নয়, বরং মনে করিয়ে দেয় কেন বাংলাদেশ পাকিস্তানের (Pakistan) দমনমূলক শাসন থেকে মুক্তির জন্য লড়াই করেছিল। প্রশ্ন হল, ঢাকার নয়া সরকার কি ১৯৭১ সালে লাখ লাখ বাংলাদেশির আত্মত্যাগকে উপেক্ষা করে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করবে? যে দেশ এক সময় বাংলাদেশের অস্তিত্বটাকেই মুছে ফেলতে চেয়েছিল, তাদের সঙ্গে ফের গড়বে সখ্যতা?

    ক্ষমা চায়নি বাংলাদেশ

    বাংলাদেশে এই গণহত্যার পর পার হয়ে গিয়েছে অর্ধশতকেরও বেশি সময়। তার পরেও পাকিস্তান আজও তাদের নৃশংসতার জন্য ক্ষমা চায়নি। ঐতিহাসিক অপরাধ স্বীকার করার কোনও সদিচ্ছাও তারা দেখায়নি। জার্মানি যেমন তাদের নাৎসি অতীতের মুখোমুখি হয়ে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে পুনর্মিলনের চেষ্টা করেছিল, পাকিস্তান তার বদলে বেছে নিয়েছে অস্বীকারের পথ। একের পর এক পাকিস্তানি সরকার ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে একটি সাজানো গল্প হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছে, যা বাংলাদেশ-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আরও উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

    বিদ্বেষের দৃষ্টি

    বাংলাদেশ অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে (Bangladesh) পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চেয়েছিল। তবে তখনও পাকিস্তানের নেতারা দায় এড়িয়ে গিয়েছিলেন। বরং তারা ১৯৭১ সালের হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সামরিক কর্মকর্তাদের গৌরবান্বিত করেছিল। অতীতের এই অপরাধ স্বীকার করতে অস্বীকার করাটা শুধু ইতিহাসের প্রতি অবমাননাই নয়, বরং পাকিস্তানের অপরিবর্তিত মানসিকতার প্রতিফলন। এই (Pakistan) মানসিকতা থেকে এখনও পাকিস্তান বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে নয়, বরং বিদ্বেষের দৃষ্টিতে দেখে।

    পাকিস্তান-প্রীতির বিপদ

    এর পরেও ইউনূস নেতৃত্বাধীন প্রশাসন ইসলামাবাদের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, পাকিস্তান যদি কখনও তার অপরাধের জন্য অনুতাপ প্রকাশ না করে, তবে আজ বাংলাদেশ কীভাবে আশা করতে পারে যে তারা একটি বিশ্বাসযোগ্য অংশীদার হবে? শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ (Bangladesh) একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বিকশিত হয়েছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলির একটি হিসাবে তার জায়গা সুসংহত করেছে। তার সরকারের ভারতের সঙ্গে কৌশলগত জোট বাংলাদেশকে নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা দিয়েছে। তবে নয়া প্রশাসনের পাকিস্তান-প্রীতির কারণে এসবই এবার ভেস্তে যেতে পারে।

    ভারতের প্রভাব খর্ব করার চেষ্টা

    পাকিস্তানের বাংলাদেশকে কাছে টানার প্রয়াস নিঃস্বার্থ নয়। দীর্ঘদিন ধরে তারা দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব খর্ব করার চেষ্টা করে আসছে। এটা একমাত্র সম্ভব হতে পারে এই অঞ্চলের অসন্তোষকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে (Pakistan)। যদি বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে নিজেকে একীভূত করে, তবে এটি নিজের নিরাপত্তা কাঠামোকে অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি নেবে। কারণ ইসলামাবাদ ঐতিহাসিকভাবে প্রক্সি গ্রুপ ব্যবহার করে অভ্যন্তরীণ অশান্তি সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশে জামাত-এ-ইসলামির মতো চরমপন্থী গোষ্ঠীর পুনরুত্থান বিপদ সংকেত দেয়। এরাই ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর পক্ষে ছিল। তাই বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের নয়া সম্পর্ক ভারতের পক্ষে বিপদ সংকেত বই কি!

    বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তান (Bangladesh) বরাবর বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে আসছে। বাংলাদেশের জন্মলগ্নের সময় থেকেই তারা ঢাকার রাজনীতিতে মাথা গলানোর চেষ্টা করেছে। হাসিনা জমানায় পাত্তা না পেয়ে বাংলাদেশের কাছে তারা আদতে হয়েছিল ফেউ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরেও, পাকিস্তান সক্রিয়ভাবে ঢাকার স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ধ্বংসযজ্ঞ স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন স্বাধীনতার পরে তারা বাংলাদেশের ন্যায্য আর্থিক সম্পদের অংশ হস্তান্তর করতে অস্বীকার করে। এটি একটি সদ্যোজাত রাষ্ট্রের কাছে বড় অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেছিল (Pakistan)।

    পাকিস্তান কি আদৌ আন্তরিক

    পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গি নেটওয়ার্কও সমানভাবে উদ্বেগজনক। পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স সংস্থা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য জঙ্গি ইসলামি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে জড়িত ছিল। বিশেষ করে, পাকিস্তানি গোয়েন্দারা হরকাত-উল-জিহাদ-আল-ইসলামি নামক জঙ্গি সংগঠনকে সমর্থন করেছে। এটি দেশে অশান্তি সৃষ্টির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, পাকিস্তান বারবার কূটনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, বহুপাক্ষিক ফোরামে ঢাকার সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে। এই প্রতারণার ইতিহাসের প্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ কেন বিশ্বাস করবে যে পাকিস্তানের “ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের” নতুন আগ্রহটি আদতে আন্তরিক?

    ঐতিহাসিক প্রতিপক্ষ

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ইউনূস প্রশাসন (Bangladesh) পাকিস্তানের সঙ্গে ফের সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী বলে মনে হলেও, তারা তাদের ঐতিহাসিক প্রতিপক্ষ। তাদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার ভারত। বাংলাদেশ প্রশাসনের এই পাকিস্তান প্রেমের জেরে তলানিতে ঠেকেছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক। অথচ বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ভারতই প্রথম দেশ যে তাদের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় সাহায্য করেছিল সামরিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সহায়তা দিয়ে (Pakistan)। তার পর থেকে বছরের পর বছর ধরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ক্রমেই পোক্ত হয়েছিল। ভারত বাংলাদেশের উন্নয়নে পরিকাঠামোগত নানা সাহায্য করেছিল। দিয়েছিল নিরাপত্তাও। সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা থেকে শুরু করে জ্বালানি বাণিজ্য পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশ পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের এই ‘মাখামাখি’ আদতে হয়ে দাঁড়াবে আরও একটি আত্মঘাতী পদক্ষেপ। আর যদি তা হয়, তবে তা দুর্বল করে দেবে বাংলাদেশের আঞ্চলিক অবস্থানকে।

    সাধু সাবধান!

    পাকিস্তান তার ইসলামপন্থী এজেন্ট ও গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে আসছে। ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে সদ্য উষ্ণ সম্পর্ক হয়তো পাকিস্তানের জন্য সেই সুযোগ এনে দিতে পারে, যার মাধ্যমে তারা পূর্বের হারানো প্রভাব ফিরে পেতে পারে (Pakistan)। বাংলাদেশ এ ব্যাপারে সতর্ক না হলে দক্ষিণ এশিয়ার একটি উদীয়মান শক্তি হিসেবে যে কয়েক দশকের অগ্রগতি অর্জন করেছে, তা পড়তে পারে (Bangladesh) কুমিরের মুখে।

    অতএব, সাধু সাবধান!

  • Khalistani: লন্ডনে জয়শঙ্করকে হেনস্থার চেষ্টা, তিরঙ্গা ছিঁড়েও ছাড়! ব্রিটেন কি এখন খালিস্তানিদের ‘আপন দেশ’?

    Khalistani: লন্ডনে জয়শঙ্করকে হেনস্থার চেষ্টা, তিরঙ্গা ছিঁড়েও ছাড়! ব্রিটেন কি এখন খালিস্তানিদের ‘আপন দেশ’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেন সফরে রয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর সফরে খালিস্তানপন্থী (Khalistani) উগ্রপন্থীরা তাঁকে হেনস্থা করার চেষ্টা করে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ভারতজুড়ে। উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। বিদেশমন্ত্রীর গাড়িকে লক্ষ্য করে ছুটতে দেখা যায় খালিস্তানপন্থী এক উগ্রপন্থীকে। সেখানে ভারতের জাতীয় পতাকাও ছিঁড়ে ফেলা হয়। ব্রিটিশ (United Kingdom) পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তাদেরকে বড়ই অসহায় মনে হতে থাকে। যখনই ঘটনা ঘটছিল তারা চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। তবে খালিস্তানপন্থীদের এমন আচরণ আরও একবার প্রশ্ন তুলল যে ব্রিটেন কি খালিস্তানপন্থীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে? এর পাশাপাশি এই ঘটনা আরও একবার সামনে আনল সে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক কতটা দুর্বল। যদি একটি দেশের বিদেশমন্ত্রীর ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটতে পারে তাহলে কল্পনা করাই যেতে পারে সাধারণ মানুষের জন্য ব্রিটেনে নিরাপত্তার ঠিক কী অবস্থা।

    নিন্দা জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক

    ভারতের বিদেশমন্ত্রক খালিস্তানপন্থীদের (Khalistani) এমন আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী চরমপন্থীদের উস্কানিমূলক কার্যকলাপ বলে এই ঘটনাকে অভিহিত করেছে বিদেশমন্ত্রক। একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রক বলেছে, ‘‘আমরা বিদেশমন্ত্রীর সফরে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ফুটেজ দেখেছি। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আশা করি ব্রিটিশ সরকার তাদের কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতা সম্পূর্ণভাবে পালন করবে।’’

    এমারজেন্সি সিনেমার প্রদর্শনের সময় চলে বিক্ষোভ

    প্রসঙ্গত, ভারত বারবার বলে আসছে যে ব্রিটেনে খালিস্তানপন্থীদের (Khalistani) কার্যকলাপ বাড়ছে। সাম্প্রতিককালে বেশ কিছু খালিস্তানপন্থী উগ্রপন্থীকে দেখা যায় যে ব্রিটেনে এমারজেন্সি সিনেমার প্রদর্শনের সময় তার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে। থিয়েটারের বাইরে এই বিক্ষোভ চললেও, ব্রিটেন প্রশাসন এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপই করেনি। পরবর্তীকালে ওই বিক্ষোভের পরে পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। তারা জানায় যে পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তু যখন তাদের বলা হয় যে ভারতীয়রা সিনেমা হলের ভিতরে আছে, তখন কেন এই খালিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে কোনওরকমের মামলা রুজু করা হল না? তখন আশ্চর্যজনকভাবে ব্রিটিশ পুলিশ উত্তর দেয় যে খালিস্তানপন্থী নিজেদের অধিকারের দাবিতে এই বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।

    খালিস্তানপন্থীদের আপন দেশ ব্রিটেন?

    খালিস্তানপন্থী (Khalistani) জঙ্গিদের কার্যকলাপ নিয়ে সম্প্রতি সামনে এসেছে এক রিপোর্টে। ১৬৫ পাতার এই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে কীভাবে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে ব্রিটেন এবং ব্রিটিশ প্রশাসনের নাকের ডগাতেই তারা ভারত বিরোধিতা চালিয়ে যাচ্ছে। ওই রিপোর্টে ৩৩ বার উল্লেখ করা হয়েছে খালিস্তান শব্দ। কিন্তু পরবর্তীকালে রিপোর্টটি ধামাচাপা পড়ে যায়। অনেকের ব্যাখ্যা, চাপের কারণেই ধামাচাপা পড়েছে ওই রিপোর্ট। খালিস্তানপন্থীরা ব্রিটেনে এতটাই প্রভাবশালী যে তাদের চাপে এই রিপোর্টকে ধামাচাপা দিতে হয় ব্রিটিশ সরকারকে। প্রসঙ্গত, রিপোর্টটি তৈরি করেছিলেন ব্রিটেনের পাঁচজন মন্ত্রী, চারজন সেক্রেটারি। ধামাচাপা পড়লেও এই রিপোর্টেই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে কীভাবে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত চলছে ব্রিটেনে। ওই রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে আর বেশ কিছু শিখ ও উগ্রপন্থী গ্রুপ নিজেদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে চলেছে ফান্ডিং এর জন্য। এই ফান্ডিং তারা কাজে লাগাচ্ছে ঘৃণার প্রচার ও সাম্প্রদায়িকতায়। এই আবহে মনে হচ্ছে ব্রিটেন যেন খালিস্তানপন্থীদের নিজের দেশ হয়ে উঠেছে।

    হেনস্থার চেষ্টা বিদেশমন্ত্রীকে, নিরাপত্তাহীনতায় প্রবাসী ভারতীয়রা

    প্রসঙ্গত ব্রিটেনে ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে হেনস্তা করার এমন প্রচেষ্টায় যে কোনও ব্যক্তি খুব ভালোভাবেই অনুধাবন করতে পারছেন যে খালিস্তানপন্থীদের সমস্যা ব্রিটেনে ঠিক কোন জায়গায় পৌঁছেছে! খালিস্তানপন্থীদের বিক্ষোভ হামলার একাধিক ঘটনা সাম্প্রতিককালে ঘটেছে। এই সমস্ত ঘটনায় যখন তদন্তের দাবি উঠেছে সেই সময় ব্রিটেনের প্রশাসন বারবার এগুলোকে ধামাচাপা দিয়েছে। তাদের যুক্তি এগুলো নাকি বাক স্বাধীনতার অধিকার। ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়রাও ভয় পাচ্ছে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের এমন কাজে। এই প্রবাসী ভারতীয়রা এতটাই ভীত হয়ে রয়েছেন যে তাঁরা জানাচ্ছেন যে, কোনও মুহূর্তে তাঁদের ওপরে বড়সড় ধরনের হামলা শুরু হতে পারে এবং তাঁদেরকে ভারতে ফেরত যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হতে পারে। শুধুমাত্র তাই নয়। যে সমস্ত শিখ পরিবার এই খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের সমর্থন করেন না, তাঁরাও ব্রিটেনে নিরাপদ নয়। একটি শিখ পরিবার সম্প্রতি একটি ভিডিও আপলোড করে টিকটকে এবং তারপর থেকেই তাঁরা জানায় যে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিরা লাগাতার খুনের হুমকি দিচ্ছে তাঁদের।

    হামলা-ভাঙচুরও ব্রিটেনে বাক স্বাধীনতা?

    ২০২৩ সালে একদল খালিস্তানপন্থী (Khalistani) উগ্রপন্থী ভারতীয় দূতাবাসের উপর হামলা চালায় ভয়ঙ্কর সেই হামলায় দুজন কর্মী আহত হন। কিন্তু তারপরেও নিশ্চুপ ছিল ব্রিটিশ প্রশাসন। এত সাহস খালিস্তানপন্থীরা পাচ্ছে কোথা থেকে? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, এর কারণ হল তাদের পিছনে রয়েছে একটি বড় শক্তি। যে শক্তি সরকারের নির্ণায়ক শক্তি। যাদেরকে রাজনীতির পরিভাষায় বলা যায় চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী। ব্রিটিশ সরকারের একটাই কথা এগুলো সবটাই বাক স্বাধীনতা। কিন্তু বিদেশমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে, তাঁর গাড়িতে হামলা চালানোর প্রচেষ্টা, ভারতের দূতাবাসে হামলা চালানো-এগুলো কোন মাপকাঠিতে বাক স্বাধীনতা?

  • RSS: “শিক্ষার উচিত মূল্যবোধ এবং জাতীয় উন্নয়নের গঠনে ভূমিকা রাখা”, বললেন মোহন ভাগবত

    RSS: “শিক্ষার উচিত মূল্যবোধ এবং জাতীয় উন্নয়নের গঠনে ভূমিকা রাখা”, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শিক্ষার উচিত নয় কেবলমাত্র বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা, তার উচিত মূল্যবোধ, চরিত্র এবং জাতীয় উন্নয়নের গঠনেও ভূমিকা রাখা।” এমনই মন্তব্য করলেন আরএসএসের (RSS) সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে পালিত হল বিদ্যা ভারতী অখিল ভারতীয় শিক্ষা সংস্থান কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে যোগ দেন ভাগবত।

    সমাজের মঙ্গলের জন্য কাজ করতে হবে

    তিনি বলেন, “আমাদের কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট শ্রেণি বা গোষ্ঠীর কল্যাণে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। আমাদের সমগ্র সমাজের মঙ্গলের জন্য কাজ করতে হবে। আমাদের শক্তি এবং সম্পদের উচিত সকলের অগ্রগতিতে অবদান রাখা।” এদিনের কর্মসূচিতে ভাগবত আহ্বান জানান, সামগ্রিক সামাজিক অগ্রগতি ও সমন্বিত শিক্ষার। আরএসএস কর্তা বিভিন্ন মতাদর্শের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব দেন। বলেন, “যাঁরা আমাদের মতের সঙ্গে একমত নন, তাঁদেরও আমাদের সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।”

    শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

    ভবিষ্যৎ গঠনে শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি (RSS) বলেন, “বিদ্যা ভারতী শুধুমাত্র শিক্ষার জন্য নয়, এটি জীবনের মূল্যবোধ এবং চরিত্র গঠনে কাজ করে। বিশ্ব এখন ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে। তাই আমাদের মানবতার সঠিক পথনির্দেশনা দেওয়া উচিত।” প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে বলতে গিয়ে ভাগবত এর ব্যবহার পরিচালনা করার জন্য নৈতিক কাঠামোর ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “প্রযুক্তি সমাজের প্রতিটি দিককে গঠন করছে। আমরা যখন অগ্রগতিকে গ্রহণ করছি, তখন আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে এটি মানবকল্যাণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এর ক্ষতিকর উপাদানগুলোকে আমরা বর্জন করব।”

    ভারতীয় অন্তর্ভুক্তিমূলক দর্শনের উল্লেখ করে ভাগবত সমষ্টিগত সম্প্রীতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতি সবসময় বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যকে লালন করে এসেছে। আমাদের বুঝতে হবে যে আমরা সমাজের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সামাজিক পরিবর্তন ব্যক্তিগত পরিবর্তনের মাধ্যমেই শুরু হয়।” প্রসঙ্গত, আরএসএসের সহযোগী বিদ্যা ভারতী আয়োজন করেছে পাঁচ দিনের সর্বভারতীয় পূর্ণকালীন কর্মী প্রশিক্ষণ (Mohan Bhagwat) কর্মসূচি। এটি হচ্ছে ভোপালের শারদা বিহার আবাসিক স্কুল ক্যাম্পাসে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মোহন ভাগবত (RSS)।

  • S Jaishankar: ‘‘পাকিস্তানের চুরি করা অংশ জুড়তে পারলেই সমাধান হবে কাশ্মীর সমস্যার’’, স্পষ্ট কথা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘পাকিস্তানের চুরি করা অংশ জুড়তে পারলেই সমাধান হবে কাশ্মীর সমস্যার’’, স্পষ্ট কথা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীর যদি ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় তবেই মিটে যাবে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ সংঘাত! ব্রিটেন সফরে গিয়ে এমনই দাবি করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তাঁর মন্তব্য, ‘‘পাকিস্তানের চুরি করা অংশটুকু জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে জুড়ে দিতে পারলেই সমস্যার সমাধান হবে।’’ অর্থাৎ পাকিস্তানই যে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কাশ্মীর সমস্যাকে জিইয়ে রেখেছে। এদিন আন্তর্জাতিক মঞ্চে সে কথাই ঘোষণা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    পাক-অধিকৃত কাশ্মীর কি ফেরত আসছে?

    লোকসভা ভোটের সময় থেকেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর ইস্যুতে জোর চর্চা শুরু হয়। ২০২৪ সালের মে মাসে দুদিন জয়শঙ্করকে এনিয়ে মন্তব্য করতে শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘‘আশা করব দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলই মনে করেন পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই অংশ এবং তা আমাদের কাছে ফের আসা উচিত।’’ সেসময় একাধিক জনসভায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে মন্তব্য করতেও শোনা যায়, অধিকৃত কাশ্মীর খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে ভারতে। এই আবহে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাক অধিকৃত কাশ্মীর (Kashmir) নিয়ে জয় শঙ্করের এমন মন্তব্যে ফের একবার চর্চা শুরু হয়েছে এই ইস্যুতে। মোদি সরকার পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফেরত আনতে কোনও পদক্ষেপ শুরু করে কিনা সেটাই এখন দেখার। গতকাল বুধবার ব্রিটেনে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) সাফ জানান, পাক অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) থেকে পাকিস্তান সরে গেলেই কাশ্মীর সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান হবে। গতকাল বুধবার লন্ডন-থিঙ্কট্যাঙ্ক অনুষ্ঠানে এক অতিথির প্রশ্নের জবাবে তিনি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে এই মন্তব্য করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    ব্রিটেনে কী প্রশ্ন করা হয়েছিল বিদেশমন্ত্রীকে (S Jaishankar)

    বুধবার বিদেশমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন? এর উত্তরে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘আমি মনে করি, যে অংশটির জন্য আমরা অপেক্ষা করছি তা হল কাশ্মীরের অধিকৃত হওয়া অংশের প্রত্যাবর্তন, যা অবৈধভাবে পাকিস্তান দখল করে রেখেছে। যখন এই সমস্যা সমাধান হবে, আমি আপনাকে আশ্বস্ত করছি যে, কাশ্মীর সমস্যারও সমাধান করা হবে।’’

    বিদেশমন্ত্রীর জবাবে উঠে এল ৩৭০ ধারার প্রসঙ্গ

    কাশ্মীর সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘‘৩৭০ ধারা বাতিল করা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটের আয়োজন সেই প্রক্রিয়ারই অঙ্গ।’’ ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) আরও জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন প্রশাসন বহুমুখীতার দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যা ভারতের স্বার্থের ক্ষেত্রে খুবই অনুকূল ৷ দুই দেশই ইতিমধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সম্মত হয়েছে ৷

    জয়শঙ্করের মন্তব্যকে সমর্থন বিজেপি-কংগ্রেসের

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেনে এস জয়শঙ্করের এমন মন্তব্যের পরেই বিজেপি এবং কংগ্রেস- এই দুই দলই এই মন্তব্যের সমর্থন করেছে। প্রত্যেক দলই দাবি করেছে যে পাক অধিকৃত কাশ্মীর হল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিজেপির নেতা মুক্তার আব্বাস নখভি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘ভারতীয় সংসদ ১৯৯৪ সালে সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে যে জম্মু-কাশ্মীর এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর এই দুটোই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রায় কুড়ি বছর আগে পাশ হওয়া এই প্রস্তাবটি আজও একটি ভিত্তিপ্রস্তর এবং এখানেই ভারতের অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে।’’ এই আবহে মোদি সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপগুলিকেও তুলে ধরেন তিনি। বিশেষত জম্মু কাশ্মীরের সীমানা নির্ধারণ ও রাজ্যের বিধানসভায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য ২৪টি আসন সংরক্ষণের কথা বলেন তিনি। একই কথা শোনা গিয়েছে বিজেপি বিধায়ক বিক্রম রান্ধোয়ার গলাতে। তিনিও বলেন যে কাশ্মীরের যে অংশ বর্তমানে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তা আমাদের ছিল আছে এবং থাকবে। অন্যদিকে কংগ্রেসের বিধায়ক রিজওয়ান আরশাদ বিদেশমন্ত্রীর দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত হয়েছেন এবং তাঁর বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন।

    অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘ভারতের উত্থান এবং বিশ্বে ভূমিকা’

    প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় লন্ডনের চ্যাথাম হাউস থিঙ্ক ট্যাঙ্কে ‘ভারতের উত্থান এবং বিশ্বে ভূমিকা’ শীর্ষক একটি সম্মেলনেই বক্তব্য রাখেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। প্রসঙ্গত, ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডে ছয় দিনের সফরে রয়েছেন জয়শঙ্কর ৷ অতিথিদের করা প্রশ্নে চিন সম্পর্কেও মন্তব্য করেন বিদেশমন্ত্রী। চিনের সম্পর্ক বলতে গিয়ে তিনি ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে তিব্বতে কৈলাস পর্বত তীর্থযাত্রার পথ খোলা-সহ বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।

    ব্রিটেন সফরে জয়শঙ্কর বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে

    ব্রিটেন সফরে গিয়ে বুধবার সে দেশের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আলোচনা হয় দু’দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, জনগণের মধ্যে আদান-প্রদান বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির মতো নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে হওয়া ওই বৈঠকে ছিলেন সে দেশের বিদেশসচিব ডেভিড ল্যামি এবং অন্যান্য বর্ষীয়ান নেতা। বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি আলোচনায় রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী।

  • Bharat Bhutan Rail: ট্রেনে চেপে মাত্র এক ঘণ্টায় ভুটানে! প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্যোগে পর্যটনে জোয়ার

    Bharat Bhutan Rail: ট্রেনে চেপে মাত্র এক ঘণ্টায় ভুটানে! প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্যোগে পর্যটনে জোয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ হাতে নিয়েছে ভারতীয় রেল (Bharat Bhutan Rail)। বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির পর এবার ভুটানের সঙ্গে রেল সংযোগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অসমের কোকড়াঝাড় থেকে ভুটানের গেলেফু পর্যন্ত রেলপথ বসানোর যাবতীয় প্রকল্প রিপোর্ট উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল তুলে দিয়েছে ভারতীয় রেলবোর্ডের কাছে।

    প্রস্তাবিত প্রকল্প কাঠামো

    গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এই প্রকল্পের কথা গুয়াহাটিতে ঘোষণা করেছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। গুয়াহাটিতে আয়োজিত বিনিয়োগ ও পরিকাঠামো শীর্ষ সম্মেলন অ্যাডভান্টেজ অসম ২.০-তে প্রস্তাবিত ৬৯.০৪ কিলোমিটার রেললাইনটির কথা ঘোষণা করেছিলেন রেলমন্ত্রী। প্রস্তাবিত ৬৯.০৪ কিলোমিটার রেললাইনটি অসমের কোকড়াঝাড় স্টেশনকে ভুটানের গেলেফুর সঙ্গে যুক্ত করবে। লাইন বসানোর জন্য আনুমানিক ব্যয় নির্ধারণ হয়েছে ৩,৫০০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের অধীনে ৬টি নতুন স্টেশন নির্মাণ হবে। স্টেশনগুলি হল বালাজান, গারুভাসা, রুনিখাতা, শান্তিপুর, দাদাগিরি ও গেলেফু। সেইসঙ্গে পরিকাঠামো পরিকল্পনায় থাকছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু, ২৯টি বড় সেতু, ৬৫টি ছোট সেতু, ১টি রোড ওভার ব্রিজ ও ৩৯টি রোড আন্ডার ব্রিজ ও ১১ মিটার দৈর্ঘ্যের ০২টি ভায়াডাক্ট। ফাইনাল লোকেশন সমীক্ষা রিপোর্ট রেলবোর্ডের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন মিললেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।

    ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’র দিকে এগোচ্ছে রেল

    প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার জন্য বেশ কিছু নতুন রেলওয়ে (Bharat Bhutan Rail) প্রকল্প গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’ ও ‘নেবারহুড ফার্স্ট পলিসি’-র দিকে সক্রিয় ভাবে এগিয়ে চলেছে ভারতীয় রেল। প্রধানমন্ত্রীর ভিশনের সঙ্গে সংগতি রেখে কোকরাঝাড় থেকে গেলেফু পর্যন্ত নতুন রেললাইন বসানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এই লাইনই অসম ও ভুটানকে যুক্ত করবে। দুই দেশের মধ্যে সংযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মজবুত করার জন্য এই লাইন বসানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

    দীর্ঘমেয়াদি বিকাশ ও উন্নয়নের পথ

    প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের ফাইনাল লোকেশন সার্ভে (এফএলএস) সফল ভাবে সম্পূর্ণ করা হয়েছে এবং পরবর্তী অনুমোদন ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনার জন্য বিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত এই রেললাইনটি উল্লেখযোগ্য ভাবে ভারত-ভুটান সম্পর্ককে মজবুত করবে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়কে বৃদ্ধি করবে। সেই সঙ্গে যাতায়াত ব্যবস্থাকেও উন্নত করবে, এবং এর মাধ্যমে ভুটানকে সর্বপ্রথম বার রেলওয়ে সংযোগ ব্যবস্থা প্রদান করা হবে, যা বাধাহীন পরিবহণে সহায়ক হয়ে উঠবে। সেই সঙ্গে, এই রেললাইন বড়োল্যান্ডের জন্য একটি বাণিজ্য ও ট্রানজিট হাব হিসাবে গড়ে উঠবে। যার ফলে স্থানীয় ব্যবসা ও জনসাধারণের সুবিধা হবে। সামগ্রিক ভাবে, এই অসম-ভুটান রেললাইন বড়োল্যান্ডের অর্থনীতিতে ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় রূপান্তর সাধন করবে, যা দীর্ঘমেয়াদি বিকাশ ও উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করবে।

    প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’

    দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্ন ও বঞ্চিত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে উন্নয়নের গতি আনাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভিশন ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’। বাংলাদেশ ও মায়ানমার এই দুই প্রতিবেশী দেশ ভারতের অ্য়াক্ট ইস্ট পলিসির কেন্দ্রস্থলে রয়েছে ৷ কারণ, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে এই দুই দেশের মধ্যে দিয়ে যুক্ত করা যায়। যেহেতু এই দুই দেশে ঝামেলা ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছে ৷ তাই নয়াদিল্লির জন্য ভুটান, নেপাল, সিঙ্গাপুরের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করা প্রয়োজন ৷ সেক্ষেত্রে এই প্রস্তাবিত রেলপথ ভারত-ভুটান সম্পর্ককেঅন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে, বলে অনুমান কূটনৈতিক মহলের।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্যোগ

    ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi Initiatives) ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক-এর সঙ্গে বৈঠকে এই রেললাইন নিয়ে আলোচনা হয়। এই রেললাইনের ৭০ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ভুটানের ভেতরে ৫৮ কিলোমিটার রেলপথ বিছানোর পরিকল্পনা রয়েছে । উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের সারপাং-এর গেলেফু পর্যন্ত এই রেলপথ পাতা হবে। পরে, ২০২৪ সালে মার্চ মাসে ভুটান সফরে গিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সেসময় মোদি ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের মধ্যে এই রেলপথ নিয়ে আলোচনা হয় ৷ তারপর দু’দেশের মধ্যে এই রেললাইন নিয়ে মৌ স্বাক্ষরও হয়েছিল।

    কোথা থেকে কোথায় রেলপথ

    ভুটানের (Bharat Bhutan Rail) সারপাং জেলার গেলেফুকে ভুটানের বৃহত্তম ইকোনমিক জোন হিসেবে ধরা হয় । এই রেলপথ তৈরি হলে ভুটানের আর্থ সামাজিক মান আরও উন্নত হবে ৷ ভারত ও ভুটানের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি বাড়বে । পর্যটন মানচিত্রে বিরাট জায়গা করে নেবে এই রেলপথ । শুধু তাই নয়, দ্বিতীয় রেললাইন হিসেবে ভুটানের সামসি জেলা থেকে ভারতের সীমান্ত চা বাগানের মধ্যে দিয়ে কোকরাঝাড় রেলপথ বানারহাট রেললাইনে মিশবে।

    ভারতের রেল নেটওয়ার্ক

    ভারতের রেল (Bharat Bhutan Rail) নেটওয়ার্ক হার মানিয়ে দেয় অনেক দেশকেই। শুধু দেশের অন্দরে নয়, আন্তর্জাতিক রেল নেটওয়ার্কও রয়েছে ভারতের। বর্তমানে ভারতের বাইরে ট্রেনে চেপে আরও দুটি দেশে যাওয়া যায়- বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। তবে এবার ভারতের গা ঘেঁষে থাকা ভুটানেও পৌঁছে যাওয়া যাবে ট্রেনে চেপেই। ভারত-ভুটান সরাসরি রেলপথ নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। কারণ, তাতে আমজনতা, পর্যটকরা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনই দুই দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য আরও সহজ ও সম্প্রসারিত হবে। ভুটানের সঙ্গে আরও পোক্ত হবে ভারতের সম্পর্ক।

    প্রাথমিক পরিকল্পনা

    ভারতের সঙ্গে ভুটানের সরাসরি রেল যোগাযোগ গড়ে তুলতে প্রাথমিকভাবে পাঁচটি সম্ভাব্য রুটের কথা ভাবা হয়েছিল। এগুলির মধ্য়ে অসম থেকে ভুটান পর্যন্ত তিনটি রুটে ট্রেন চালানোর সম্ভাবনা উঠে আসে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে একটি করে সম্ভাব্য রুট নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। অন্যদিকে, অসম থেকে ভুটান পর্যন্ত প্রস্তাবিত রেলরুটগুলির মধ্য়ে অন্যতম ছিল কোকড়াঝাড়-গেলেফু। শেষ পর্যন্ত সেই রুটটিকেই বেছে নেয় রেল মন্ত্রক। এরপর, ভারত ও ভুটান – দুই দেশের সম্মতিক্রমে ২০২২ সাল থেকে এই রুটে সমীক্ষার কাজ শুরু করে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। প্রায় দুই বছর ধরে ধাপে ধাপে সেই সমীক্ষার কাজ চলে। অবশেষে, ফাইনাল লোকেশন সার্ভের কাজ শেষ হয় গত নভেম্বর মাসে। এবার তৈরি হল প্রকল্প রিপোর্ট।

    ভারত-ভুটান এক ঘণ্টায়

    তথ্যাভিজ্ঞ মহলের হিসাব বলছে, সরাসরি রেলরুট চালু হলে অসমের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের গেলেফু পৌঁছতে ঘণ্টা খানেক সময় লাগবে। তাছাড়া, এই রুটে দুই দেশের মধ্য়ে পণ্য পরিবহণও শুরু করা যাবে। তাতে পরিবহণ খরচ কমবে এবং সময় বাঁচবে। যার জেরে লাভবান হবে দুই পক্ষই।

    পর্যটনে জোয়ার

    ভুটান (Bharat Bhutan Rail) ভারতের ঠিক পাশেই অবস্থিত। ভারতীয়দের ছুটি কাটানোর অন্যতম ঠিকানা এই দেশ। হিমালয়ের কোলে থাকা সেই ভুটানে এবার যাওয়া যাবে ট্রেনে। সেই পরিকল্পনা করছে রেল। অসমের কোকরাঝাড় জেলাকে ভুটানের গেলফু শহরের সঙ্গে যুক্ত করবে রেল লাইন। একবার এই রেল যোগাযোগ স্থাপন হয়ে গেলে, ভারত থেকে ভুটানে যাতায়াত করা মানুষের পক্ষে সহজ হয়ে যাবে। এই রেল যোগাযোগ ভারত ও ভুটানের মধ্যে পর্যটনের প্রসার ঘটাবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও ভারতীয়দের ভুটান ভ্রমণের জন্য ভিসার প্রয়োজন হয় না, তবে রেলপথ নির্মাণের পরে, ভারতীয়দের জন্য ভ্রমণ আরও সহজ হয়ে উঠবে।

  • RSS Founder: শতবর্ষে আরএসএস, প্রকাশিত হচ্ছে সংঘ প্রতিষ্ঠাতা হেডগেওয়ারের জীবনী

    RSS Founder: শতবর্ষে আরএসএস, প্রকাশিত হচ্ছে সংঘ প্রতিষ্ঠাতা হেডগেওয়ারের জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। ২০২৫ সালের বিজয়া দশমীতে এই সংগঠন শতবর্ষে পা রাখতে চলেছে। বিগত ১০০ বছর ধরে পৃথিবীর সব থেকে বড় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের তকমা পেয়েছে আরএসএস। সংগঠনের ১০০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠাতা (RSS Founder) ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের জীবনী প্রকাশ করছে আরএসএস। প্রসঙ্গত, স্বয়ংসেবকদের কাছে কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার ডাক্তারজি নামে পরিচিত। তাঁরই জীবনী প্রকাশ করতে চলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। বইটি লিখেছেন শচীন নন্দা। বইটির নাম- হেডগেওয়ার: আ ডেফিনিটিভ বায়োগ্রাফি (Hedgewar: A Definitive Biography)। এই বইতে বিশ্লেষণ করা হয়েছে, কোন পরিস্থিতিতে কীভাবে তিনি সংগঠনকে প্রতিষ্ঠা করেন। কীভাবে শুরু হয় এর যাত্রা। জানা গিয়েছে, বইতে রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS Founder) প্রতিষ্ঠাতার ভূমিকা এবং তাঁর সংগঠন ক্ষমতা বিস্তারিত ব্যাখ্যা।

    ১৮৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার (RSS Founder)

    এই বই থেকে এই পাঠকরা আরও সূক্ষ্মভাবে বুঝতে পারবেন সংঘ প্রতিষ্ঠাতার জীবন। এখানে রয়েছে সংঘ প্রতিষ্ঠাতার (RSS Founder) শৈশব থেকে কিশোরবেলা ও তাঁর জীবনের নানা ঘটনা। প্রসঙ্গত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার জন্মগ্রহণ করেন ১৮৮৯ সালের ১ এপ্রিল। তিনি প্রয়াত হন ১৯৪০ সালের ২১ জুন। বইটি নিয়ে শচীন নন্দা জানিয়েছেন যে বিগত সাত বছর ধরে তিনি এ নিয়ে গবেষণা করেছেন। গবেষণার কাজে তিনি বিভিন্ন স্থানে যেমন পৌঁছেছেন তেমনই ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের জীবনের চ্যালেঞ্জগুলিকেও অনুধাবন করেছেন।

    কী বললেন শচীন নন্দা?

    শচীন নন্দা বলেন, ‘‘আমি এই বইতে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের (RSS Founder) ভূমিকা। তাঁর বই প্রকাশ নিয়েই মুম্বইয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন শচীন নন্দা। সেখানেই এই কথাগুলি বলেন তিনি। ওই বইতে রয়েছে ভারতে ব্রিটিশ শাসন ও সেই সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অশান্তির খবর। বইতে ব্যাখ্যা রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের মতাদর্শ সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ।’’ ওই সাংবাদিক সম্মেলনে শচীন নন্দা বলেন, ‘‘আমি সাত বছর ধরে এমন একটা মানুষ সম্পর্কে গবেষণা করেছি এবং লিখেছি যে মানুষটাকে (Keshav Baliram Hedgewar) এখনও অনেকজনই জানেন না। কিন্তু তাঁর তৈরি আদর্শ এবং নীতি প্রভাব বিস্তার করছে বিশ্বজুড়ে প্রতি পাঁচ জন মানুষের মধ্যে একজনের মধ্যে।’’

  • S Jaishankar: “বহু মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প, এটা ভারতের জন্য…”, বড় বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “বহু মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প, এটা ভারতের জন্য…”, বড় বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমেরিকায় এখন আমরা একজন রাষ্ট্রপতি ও প্রশাসন দেখছি যারা বহু মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতের পক্ষে এটা বেশ উপযোগী।” কথাগুলি বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    কী বললেন জয়শঙ্কর? (S Jaishankar)

    লন্ডনে চ্যাথাম হাউসের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ব্রোনওয়েন ম্যাডক্সের সঙ্গে এক আলোচনায় জয়শঙ্কর বলেন, “ট্রাম্পের আমলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিতে (Donald Trump) দিল্লি আশ্চর্য হয়নি। বেশিরভাগ সময় রাজনৈতিক নেতারা যা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার বেশিরভাগটাই করেন বা অন্তত চেষ্টা করেন। তাঁরা সব সময় সফল হন না, বা সব সময় যা চান, তা পান না। কিন্তু সব রাজনৈতিক নেতাদের নিজেদের একটা অ্যাজেন্ডা থাকে। এই আবহে আমি মনে করি, গত কয়েক সপ্তাহে আমরা যা দেখেছি এবং শুনেছি, তার বেশিরভাগটাই প্রত্যাশিত ছিল। তাই আমি একটু অবাক হয়েছি যে অন্যরা তা দেখে অবাক হচ্ছেন।”

    বহু মেরুকরণ

    এর পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমেরিকায় এখন আমরা একজন রাষ্ট্রপতি ও প্রশাসন দেখছি যারা বহু মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতের পক্ষে এটা বেশ উপযোগী। আমাদের কখনও মার্কিন রাষ্ট্রপতিদের সঙ্গে কোনও সমস্যা হয়নি, অন্তত সাম্প্রতিক সময়ে। আমাদের ওপর এমন কোনও বোঝা নেই যা আমরা বহন করে চলেছি।” ব্রিকস দেশগুলি আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে ডলারের বদলি খুঁজছে বলে কিছুদিন আগেই অভিযোগ করেছিলেন ট্রাম্প। সে প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “আন্তর্জাতিক মুদ্রারূপে মার্কিন ডলারের বদলি খোঁজার কোনও নীতি ভারতের নেই।” তিনি বলেন, “মার্কিন ডলার মুদ্রা রূপে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার উৎস। আর আমরা বিশ্বে আরও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা চাই। বিশ্বব্যাপী মার্কিন ডলারকে প্রতিস্থাপন করার ব্যাপারে ব্রিকসের সদস্য দেশগুলির মধ্যে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেই।”

    বুধ-সন্ধ্যায় চ্যাথাম হাউস থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আয়োজিত ‘বিশ্বে ভারতের উত্থান ও ভূমিকা’ শীর্ষক এক অধিবেশনেও যোগ দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। সেখানেও তিনি ট্রাম্পের বহু মেরুকরণের উল্লেখ করেন। ট্রাম্পের প্রশংসা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের মধ্যে একটি বড় যৌথ উদ্যোগ হল কোয়াড, যা এমন একটি বোঝাপড়া যেখানে প্রত্যেকে তাদের ন্যায্য অংশ প্রদান করে। এখানে ফ্রি রাইডার্স কেউ নেই। এটি (Donald Trump) একটি ভালো মডেল, কার্যকরীও বটে (S Jaishankar)।”

  • ASTRA MK-III: চিন-আমেরিকাকে টেক্কা! ভারত তৈরি করছে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল ‘গাণ্ডীব’

    ASTRA MK-III: চিন-আমেরিকাকে টেক্কা! ভারত তৈরি করছে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল ‘গাণ্ডীব’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র আনছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)। ভারতের সর্বশেষ এবং সবচেয়ে উন্নত এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল, অস্ত্র মার্ক-থ্রি-র (ASTRA MK-III) নতুন নামকরণ করা হল ‘গাণ্ডীব’। মহাভারতের অর্জুনের ধনুকের নাম ছিল গাণ্ডীব। শত্রুকে নিশানা এর লক্ষ্য ছিল নির্ভুল। ঠিক সেই রকম ভাবেই অস্ত্র মার্ক-থ্রি আধুনিক আকাশ যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে আশা ডিআরডিও-র। এই মিসাইলটি আকাশ-যুদ্ধের দৃশ্যপটকে নতুন সংজ্ঞা দিতে সক্ষম হবে, বিশেষত “বিয়ন্ড ভিজুয়াল রেঞ্জ” (BVR) যুদ্ধে নতুন দিশা দেখাবে। ডিআরডিও-র নজরদারিতে এখনও এই ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিকীকরণ চলছে।

    ভারতের জন্য গেম-চেঞ্জার

    বর্তমানে, ভারতীয় বায়ুসেনার রাফাল যুদ্ধবিমানগুলি ফরাসি এমবিডিএ নির্মিত মিটিওর বিভিআর মিসাইল দ্বারা সজ্জিত। যার বিয়ন্ড ভিজুয়াল রেঞ্জ পরিসীমা ২০০ কিলোমিটার। তবে, গাণ্ডীব মিসাইলটি তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে আরও দীর্ঘ পরিসীমা প্রদান করবে। এর সর্বোচ্চ পরিসীমা ৩৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। মিসাইলটি ২০ কিলোমিটার উচ্চতায় ৩৪০ কিলোমিটার এবং ৮ কিলোমিটার উচ্চতায় ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত শত্রু বিমান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। যা এই মিসাইলটিকে ভারতের সামরিক শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তনকারী এক বিপ্লবী অস্ত্র হিসেবে গড়ে তুলবে।

    চিন-আমেরিকাকে টেক্কা

    বলে রাখা ভালো, বর্তমানে বিশ্বে আর কোনও বিভিআর এয়ার টু এয়ার মিসাইলের পাল্লা এত বেশি নয়। গাণ্ডীব ক্ষেপণাস্ত্রের (Gandiva Missile) চূড়ান্ত অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে, ভারত বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ-পরিসীমার বিয়ন্ড ভিজুয়াল রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলের অধিকারী হবে। এর ফলে, ভারত চিনের পিএল-১৫ (PL-15) ক্ষেপণাস্ত্রকে অতিক্রম করবে, যার পরিসীমা ৩০০ কিলোমিটার। যুক্তরাষ্ট্রের এআইএম-১৭৪ ও বিভিআরএএএম (AIM-174 BVRAAM) মিসাইলকেও টেক্কা দেবে যার পরিসীমা ২৪০ কিলোমিটার। গাণ্ডীব ভারতীয় বিমান বাহিনীর (IAF) সুখোই-৩০এমকেআই (Su-30MKI) এবং লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট তেজস যুদ্ধবিমানে স্থাপন করা হবে। গাণ্ডীব একটি ডুয়াল-ফুয়েল ডাকটেড র‌্যামজেট ইঞ্জিন দ্বারা চালিত। এটিকে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অথবা ২০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে উৎক্ষেপণ করা যাবে। এটি বিভিন্ন ধরনের শত্রু বিমান যেমন ফাইটার, বম্বার, সামরিক পরিবহণ বিমান, রিফুয়েলিং প্লেন, এবং এয়ারবর্ন ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম বিমানকে ধ্বংস করতে সক্ষম।

  • Suvendu Adhikari: মমতাকে ফের গোহারা হারাতে নয়া ‘গেম প্ল্যান’ শুভেন্দুর, ভবানীপুরে খোলা হচ্ছে কার্যালয়ও

    Suvendu Adhikari: মমতাকে ফের গোহারা হারাতে নয়া ‘গেম প্ল্যান’ শুভেন্দুর, ভবানীপুরে খোলা হচ্ছে কার্যালয়ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের এখনও বাকি এক বছরেরও বেশি সময় (Assembly Elections 2026)। এখন থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    মমতার ‘গড়ে’ ধস নামানোর ছক (Suvendu Adhikari)

    ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতার ভবানীপুর কেন্দ্রে মমতা ফের প্রার্থী হচ্ছেন ধরে নিয়েই যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন শুভেন্দু। বিজেপি সূত্রে খবর, ভবানীপুর বিধানসভার কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড। এখানেই কার্যালয় তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পয়লা মে কার্যালয়ের উদ্বোধনও করতে চান তিনি। মঙ্গলবার এনিয়ে শুভেন্দু আলোচনা করেন ভবানীপুরের বিজেপি নেতা- কর্মীদের সঙ্গে। বিজেপি ধরেই নিয়েছে নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে ভবানীপুর ‘গড়ে’ই এবারও প্রার্থী হবেন মমতা। এই গড়েই ধস নামাতে কোমর কষে নামেছন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    রেডি প্ল্যান ‘এ’

    জানা গিয়েছে, এই কেন্দ্রে মমতাকে গোহারা হারাতে ১০০ জনেরও বেশি সক্রিয় কর্মীকে নিয়ে একটি টিম গঠন করা হচ্ছে। এই টিমের কাজ হবে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নানা তথ্য সংগ্রহ করা। তবে এই টিমে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি এই কেন্দ্রের ভোটারদের মন বোঝারও চেষ্টা হবে বলে অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর। গত বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দুকে টেক্কা দিতে নন্দীগ্রামে ঘাসফুলের প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা। সেই নির্বাচনে পদ্ম চিহ্নে দাঁড়িয়েছিলেন শুভেন্দু।

    নন্দীগ্রামে গোল দিয়ে ঘোল খাইয়েছিলেন

    নির্বাচনের ঢের আগেই তিনি ঘোষণা করে দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে তাঁর ঘরের মাঠে দাঁড়িয়ে গোল দেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতাকে। নির্বাচনের ফল বের হলে দেখা যায়, ‘কথা’ রেখেছেন শুভেন্দু। গোহারা হারিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমোকে। শেষে ভবানীপুরে উপনির্বাচন করিয়ে ভোটে জিতিয়ে আনতে হয় মমতাকে। এভাবেই (Suvendu Adhikari) সেবার কোনওক্রমে মুখ রক্ষা হয় তৃণমূল সুপ্রিমোর (Assembly Elections 2026)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু যে অস্ত্রে বধ করেছিলেন মমতাকে, এবারও সেই অস্ত্র প্রয়োগ করেই ভবানীপুরে তৃণমূল নেত্রীর গায়ে ছিটিয়ে দিতে চান পরাজয়ের কালি।

    ভবানীপুরে জেতা সহজ

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই শুভেন্দু বলেছিলেন, নন্দীগ্রামের চেয়ে ভবানীপুরে জেতা সহজ। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে শুভেন্দু বৈঠকে দেখিয়ে দিয়েছেন, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের আটটি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টিতে এগিয়ে বিজেপি। এই ওয়ার্ডগুলি হল ৬৩, ৭০, ৭১, ৭২ এবং ৭৪। আর তৃণমূল এগিয়েছিল মাত্র তিনটিতে – ৭৩, ৭৭ এবং ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে। মুখ্যমন্ত্রী এই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডেরই ভোটার। গত লোকসভা নির্বাচনে এই ওয়ার্ডে বিজেপি তৃণমূল প্রার্থীর চেয়ে পিছিয়ে ছিল মাত্র ২৭৯ ভোটে। মুখ্যমন্ত্রী যে ওয়ার্ডের ভোটার, সেখানেই কার্যালয় খুলে তৃণমূল সুপ্রিমোর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে চান শুভেন্দু। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই জায়ান্ট কিলারের (নন্দীগ্রামে মমতাকে হারানোর পর এমন খেতাব দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুকে) এহেন উদ্যোগ।

    শুভেন্দুর নির্দেশ

    বিজেপি সূত্রে খবর, মঙ্গল-সন্ধ্যার বৈঠকে শুভেন্দু জানিয়েছেন, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের দিকে বিশেষ নজর না দিলেও চলবে। তবে বাকি ওয়ার্ডগুলিতে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আর যদি তা করা যায়, তাহলে এই কেন্দ্রে বিজেপির জয় এক প্রকার নিশ্চিত। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, আগামী এক বছরের মধ্যে যাতে প্রতিটি বুথে বিজেপি লড়াই করার মতো শক্তি সঞ্চয় করতে পারে, সেই বিষয়ে এখন থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীদের পদক্ষেপ করতে বলেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কলকাতা জেলার বিজেপির এক নেতা। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে লড়াই হবে বলে মানসিকভাবে আমরা অনেকেই পিছিয়ে থাকি। কিন্তু শুভেন্দুদা আমাদের শক্তি জুগিয়েছেন।” তিনি বলেছেন, “বুথে শক্তি জোগাতে পারলেই আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে লড়াইয়ের মুখে ফেলতে পারব। প্রতিটি বুথ আগলে রাখতে পারলেই যে জোরদার লড়াই সম্ভব, বৈঠকে আমাদের মনোবল বাড়িয়ে সে কথাই বলেছেন শুভেন্দুদা।”

    শুভেন্দুর গেম প্ল্যান

    বিজেপি সূত্রে খবর, শুভেন্দুর নির্দেশ, যে ওয়ার্ডগুলিতে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এগিয়ে ছিল, সেগুলিতে জয়ের ব্যবধান আরও বাড়াতে হবে। আর যেগুলিতে পদ্ম-প্রার্থী পিছিয়েছিলেন, সেগুলিতে কমাতে হবে ব্যবধান। দলীয় কর্মীদের ভোটার লিস্টের দিকেও বাড়তি নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বৈঠকে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছেন, ভুয়ো ভোটার বাদ দেওয়ার অছিলায় যেন বিরোধী ভোটারদের নাম বাদ না দেওয়া হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে। বৈঠকে শুভেন্দু জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়লে কেবল ভবানীপুরই নয় (Assembly Elections 2026), দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী কেন্দ্রেও বিজেপি প্রার্থীর জয় সম্ভব (Suvendu Adhikari)।

LinkedIn
Share