Tag: Madhyom

Madhyom

  • NIA: লস্কর জঙ্গি সলমন রহমনকে আফ্রিকা থেকে ভারতে ফেরাল এনআইএ, রয়েছে পাকিস্তান যোগ

    NIA: লস্কর জঙ্গি সলমন রহমনকে আফ্রিকা থেকে ভারতে ফেরাল এনআইএ, রয়েছে পাকিস্তান যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সলমন রহমন খানকে ভারতে ফেরাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বজায় রেখে তাকে আফ্রিকার রোয়ান্ডা থেকে ভারতে আনা হয়েছে। যৌথভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA) এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। এ কাজে সাহায্য করে ইন্টারপোলও।

    ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে? (NIA)

    পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবার মদতে বেঙ্গালুরুতে নাশকতার কাজে যুক্ত ছিল সলমন। বেঙ্গালুরুতে (NIA) বিশাল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের পর তার নাম উঠে আসে। তদন্তে নেমে জানা যায়, টি নাসির নামে এক লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি, যে যাবজ্জীবনের সাজা কাটার জন্য ওই সংশোধনাগারে বন্দি, সে-ই আবাসিকদের মধ্যে জঙ্গি প্রচার চালানোর ষড়যন্ত্র করেছিল। এনআইএ-র দাবি, একটি পকসো মামলায় বেঙ্গালুরু কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি ছিল সলমন রহমান খানও। সেখানে সে নাসিরের সংস্পর্শ আসে। পরে নাসিরের নির্দেশে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য বিস্ফোরক ও অস্ত্র হামলাকারীদের মধ্যে বিতরণের দায়িত্ব নেয়। বেঙ্গালুরুতে অস্ত্র সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর সংশোধনাগারে মৌলবাদী ভাবধারা প্রচার এবং মৌলবাদীদের নিয়োগের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ রয়েছে। পারাপ্পানা অগ্রহর সেন্ট্রাল প্রিজন অর্থাৎ জেল থেকে সাতটি পিস্তল, চারটি হ্যান্ড গ্রেনেড, একটি ম্যাগাজিন ও ৪৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছিল। চারটি ওয়াকিটকিও উদ্ধার হয় সেসময়। তারপরই অস্ত্র সরবরাহ-সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালে এনআইএ-র অপরাধী তালিকায় যুক্ত হয় তার নাম। অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়। তার খোঁজে তল্লাশি চলছিলই।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আজ সংসদে বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর

    এনআইএ কী জানাল?

    এই ইস্যুতে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনআইএ-এর (NIA) তরফে জানানো হয়েছে – ‘‘বেঙ্গালুরু কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সন্ত্রাসী মৌলবাদী ভাবধারার প্রচার এবং সন্ত্রাস চালানোর জন্য পরবর্তীতে মৌলবাদীদের নিয়োগ সংক্রান্ত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত সলমনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এনআইএ। এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেছে রোয়ান্ডা ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (আরআইবি), ইন্টারপোল এবং ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। ওই ব্যক্তিকে ২৭ নভেম্বর হেফাজতে নেওয়া হয় এবং পরে তাকে ভারতে নিয়ে আসা হয়।’’ এনআইএ-র তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ‘‘২০২০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও না কোনও গুরুতর মামলায় যুক্ত মোট ১৭ জন অভিযুক্ত সন্ত্রাসবাদীকে অন্য কোনও দেশ থেকে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে।’’

    জঙ্গি গ্রেফতার প্রসঙ্গে কী বলল সিবিআই?

    সিবিআই-এর পক্ষ থেকেও আলাদা একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ‘‘এনআইএ-র অনুরোধ অনুসারে গত ২ অগাস্ট সিবিআই-এর পক্ষ থেকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে সলমন খানের (Militant) নামে একটি রেড নোটিশ জারি করা হয়। ওই ওয়ান্টেড অপরাধীকে শনাক্ত করতে সারা বিশ্বের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলিকে সেই অ্যালার্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শেষমেশ রোয়ান্ডায় সলমন রহমান খানের হদিশ পাওয়া যায়। এরপরই সিবিআই-এর তরফ থেকে রোয়ান্ডার রাজধানী এবং সবথেকে বড় শহর কিগালিতে অবস্থিত ইন্টারপোল-এর ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর কাছে সলমন খানকে ধরার জন্য সাহায্য চাওয়া হয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: আনসারুল্লা বাংলা জঙ্গিদের আশ্রয়, তিন বাংলাদেশিকে ৫ বছর কারাদণ্ড দিল এনআইএ আদালত

    NIA: আনসারুল্লা বাংলা জঙ্গিদের আশ্রয়, তিন বাংলাদেশিকে ৫ বছর কারাদণ্ড দিল এনআইএ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আল-কায়দার সহযোগী সংগঠন বলে পরিচিত আনসারুল্লা বাংলা টিমের জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার তিন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে (Bangladeshi Infiltrators) পাঁচ বছরের জন্য কারাবাসের সাজা দিয়েছে মুম্বইয়ের এনআইএ-র (NIA) বিশেষ আদালত।আনসারুল্লা বাংলা টিম (ABT) হল বাংলাদেশের একটি জঙ্গি সংগঠন এবং উপমহাদেশে তারা আল-কায়দা সহযোগী সংগঠন হিসেবে কাজ করে। আনসারুল্লা বাংলা টিমের ওই আশ্রয় দানের জন্য ওই তিন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হল মহম্মদ হাবিবুর রহমান হাবিব (ওরফে রাজ জেসুব মণ্ডল), হান্নান আনোয়ার হুসেন খান (ওরফে হান্নান বাবুরালি গাজী), এবং মহম্মদ আজরালি সুবহানাল্লাহ্ (ওরফে রাজা জেসুব মণ্ডল)।

     

    আনসারউল্লা বাংলা টিমকে সাহায্য করত ধৃতরা

    এনআইএ (NIA) যে প্রেস বিবৃতি দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে আনসারুল্লা বাংলা টিমের সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন করা, তাদেরকে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করা, নকল ভারতীয় পরিচয় পত্র বানিয়ে দেওয়া এবং তাদেরকে পুণেতে থাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়া। এটা নতুন বা প্রথম কিছু নয়। এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরেও দুই বাংলাদেশি নাগরিক (Bangladeshi Infiltrators), রিপেন হোসেন (ওরফে রুবেল) এবং মহম্মদ হাসান আলি মহম্মদ আমের আলিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

    মামলার তদন্ত শুরু হয় ২০১৮ সালের মার্চ মাসে 

    প্রসঙ্গত, এই মামলার (NIA) তদন্ত শুরু হয় ২০১৮ সালের মার্চ মাসে। তখনই পুণে পুলিশ জানতে পারে, সে শহরে অবৈধভাবে বসবাস করা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সম্পর্কে। গোপন সূত্রে তখন উঠে আসে আনসারুল্লা বাংলা টিমের নামও। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ হাবিবুর রহমান হাবিব নামের একজনকে। মহারাষ্ট্রের ধোবিঘাট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরে একে একে অভিযান চালিয়ে বাকিদের গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় পুলিশ।

    ২০১৮ সালের মে মাসে মামলা যায় এনআইএ-র (NIA) হাতে

    ২০১৮ সালের মে মাসে মামলাটি মহারাষ্ট্র পুলিশের হাত থেকে যায় এনআইএ-র হাতে। তখনই এনআইএ তদন্তে উঠে আসে যে অভিযুক্তরা বেআইনিভাবে এবং জালিয়াতি করে ভারতে প্রবেশ করেছিল। তাদেরকে প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড- সমস্ত কিছু বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhubaneshwar: পান্নুনের হুমকিকে উপেক্ষা করে আজ ভুবনেশ্বরে শুরু ডিজি-আইজিদের সম্মেলন

    Bhubaneshwar: পান্নুনের হুমকিকে উপেক্ষা করে আজ ভুবনেশ্বরে শুরু ডিজি-আইজিদের সম্মেলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানপন্থী জঙ্গি গুরুপতওয়ান্ত সিং পান্নুনের (Gupatwant Singh Pannun) হুমকিকে উপেক্ষা করে আজ ভুবনেশ্বরে (Bhubaneshwar) শুরু হচ্ছে ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ এবং ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশের সর্বভারতীয় সম্মেলন (All India DG-IG Police Conference)। এই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সংস্থার শীর্ষ নিরাপত্তা শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত থাকবেন। এই সম্মেলন শুরুর একদিন আগে এখানে হামলার হুমকি দেন পান্নুন। তারপরই এই সম্মেলন স্থলের নিরাপত্তা কয়েক গুণে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    পান্নুনের ভিডিও বার্তাকে উপেক্ষা

    বৃহস্পতিবার একটি ভিডিও বার্তায়, নিষিদ্ধ শিখস ফর জাস্টিস (SFJ) সংগঠনের নেতা পান্নুন (Gupatwant Singh Pannun), তার সমর্থকদের ভুবনেশ্বরে ডিজিপি-আইজি সম্মেলনটি ব্যাহত করার জন্য মন্দির ও হোটেলে হামলা চালানোর কথা বলেন। তিনি, মাওবাদী এবং কাশ্মীরি জঙ্গিদের ভুবনেশ্বরে (Bhubaneshwar) বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য উসকানিমূলক মন্তব্য করেছেন। পান্নুনের দাবি, এই সম্মেলনের (All India DG-IG Police Conference) এজেন্ডায় খালিস্তানপন্থী, কাশ্মীরি যোদ্ধা (পড়তে হবে জঙ্গি) ও মাওবাদীদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করা হবে। পান্নুনের হুমকির পরই ভুবনেশ্বরকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। শহরের একাধিক এলাকায় ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ডিজিপি সম্মেলনের সময় ওডিশায় আরও একাধিক অনুষ্ঠান চলছে। রাজ্য বিধানসভা শীতকালীন অধিবেশন চলছে। ভারতীয় নৌবাহিনী ৪ ডিসেম্বর পুরীতে নৌবাহিনী দিবস উদযাপন করবে, যেখানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু উপস্থিত থাকবেন। এই সমস্ত সম্মেলন ও অনুষ্ঠানের কারণে রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে, বলে ওড়িশা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আজ সংসদে বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর

    ওড়িশায় প্রধানমন্ত্রী মোদি

    ওড়িশায় (Bhubaneshwar) এই সম্মেলনে (All India DG-IG Police Conference) যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) ২৯ নভেম্বর শুক্রবার বিকাল সওয়া ৪টে নাগাদ ভুবনেশ্বরে পৌঁছবেন। বিজু পট্টনায়ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হবে। এরপর তিনি বিজেপি অফিসে একটি সভায় অংশগ্রহণ করবেন এবং রাজভবন পরিদর্শন করবেন। আগে বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীর একটি রোডশো করার পরিকল্পনা ছিল, তবে নিরাপত্তার কারণে এই রুটটি পরিবর্তন করা হয়েছে। ডিজিপি সম্মেলনটি ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে, যার সভাপতিত্ব করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Central Government: রাজ্যে খনিজ তেলের ভাণ্ডার, বার বার চিঠি দিলেও গুরুত্ব দিচ্ছে না নবান্ন, অভিযোগ কেন্দ্রের

    Central Government: রাজ্যে খনিজ তেলের ভাণ্ডার, বার বার চিঠি দিলেও গুরুত্ব দিচ্ছে না নবান্ন, অভিযোগ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের একাধিক জায়গায় খনিজ তেলের সন্ধান মিলেছে, এমনটাই দাবি কেন্দ্রের (Central Government)। কিন্তু রাজ্য সরকারের গাফিলতির কারণে সব জায়গায় এখনও খননকার্য শুরু করা যায়নি, এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র (West Bengal)। কেন্দ্রীয় সরকারের আরও অভিযোগ, রাজ্যের তরফে এখনও পিএমএল (পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ) দেওয়া হয়নি। এর ফলে রাজ্যে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ১০০ বর্গ কিমি জায়গা খনন করতে চেয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র। সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। প্রসঙ্গত, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার রাজ্যে পেট্রোলিয়াম শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে জানতে চান। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যকে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী।

    ২০২০ সাল থেকে ১৯টি চিঠি রাজ্যকে দিয়েছে কেন্দ্র (Central Government)

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর থেকে খনিজ তেল উত্তোলনের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে পিএমএলের আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় সংস্থা ওএনজিসি। জানা গিয়েছে, ২০২০ সাল থেকে রাজ্য সরকারকে মোট ১৯টি চিঠি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) তরফে। এর মধ্যে ১৪টি চিঠি দিয়েছে ওএনজিসি। ৩টি চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক। অন্যদিকে, ২টি চিঠি প্রাকৃতিক গ্যাসের ডাইরেক্টরেট জেনারেলের তরফ থেকে পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে।

    ১০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে খনিজ তেল (Central Government)

    কোনও রাজ্যের মাটির তলায় খনিজ তেল থাকলে কেন্দ্রকে সেখানে খননের জন্য রাজ্যের কাছ থেকে আগে পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ বা পিএমএল নিতে হয়। তবে, রাজ্যের তরফে খনন কার্য শুরু করার জন্য গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া যায়নি বলেই দাবি কেন্দ্রের (Central Government)। ২০১৮ সালেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরে বিপুল পরিমানে খনিজ তেলের সন্ধান পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি রানাঘাট, কাঁকপুল ও ভুরকুণ্ডার মতো এলাকাতেও খনিজ তেলের সন্ধান মিলেছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, অশোকনগরের মোট ৫.৮৮ বর্গ কিলোমিটার এবং রাজ্যের অন্যান্য প্রান্ত মিলিয়ে মোট ৯৯.০৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় খনিজ তেলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Attacks on Hindus: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আজ সংসদে বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর

    Attacks on Hindus: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আজ সংসদে বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু তথা সংখ্যালঘুরা (Attacks on Hindus)। প্রতিদিনই নতুন নতুন জায়গায় আক্রান্ত হচ্ছেন হিন্দুরা। সংখ্যালঘু ও হিন্দুদের সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে। পদ্মাপাড়ের (Bangladesh) এই অবস্থায় উদ্বিগ্ন ভারত। বারবার বাংলাদেশ সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েও ফল মিলছে না। এবার কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে মোদি সরকার। শুক্রবার এই নিয়েই সংসদে আলোচনা করার কথা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের। ইতিমধ্যেই ভারত সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে হবে বাংলাদেশের সরকারকে।  

    কড়া জবাব ভারতের

    সম্প্রতি বাংলাদেশে (Bangladesh) সাধু চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতারের পরেই ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে পদ্মাপাড়। এই পরিস্থিতিতে ভারতের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। সংখ্যালঘু এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা (Attacks on Hindus) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কড়া বার্তা দিয়ে চিঠি লেখা হয়েছিল বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারকেও। বাংলাদেশের জনসংখ্যার মাত্র 8 শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। কিন্তু ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই বার বার প্রশ্নের মুখে পড়েছে তাঁদের সুরক্ষা। প্রায় ২ হাজারের বেশি হামলার সম্মুখীন হয়েছে সংখ্যালঘুরা অন্তত ১৭০০-র বেশি সংখ্যালঘু পরিবার আক্রান্ত হয়েছে। এই আবহে ফের বাংলাদেশ সরকারকে সচেতন করল ভারত। রাজ্যসভায় বৃহস্পতিবার বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, ‘‘ঢাকা শহরের তান্তিবাজার পুজা মণ্ডপে হামলা এবং সাতক্ষীরার জেসোরেশ্বরী কালী মন্দিরে চুরি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত সরকার। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষা করা সেখানকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব।’’

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর লাগাতার হামলা চলছেই! জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

    সংসদে আলোচনা

    ভারত সরকার বাংলাদেশের (Bangladesh) কাছে অনুরোধ করেছে তারা যেন হিন্দুদের নিরাপত্তা (Attacks on Hindus) নিশ্চিত করে। তাদের উপাসনাস্থলগুলোর সুরক্ষার দায়িত্ব নেয়। শুক্রবার অশান্ত বাংলাদেশ নিয়ে সংসদে আলোচনা করার কথা রয়েছে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের। বদলের বাংলাদেশে এখন তীব্র অরাজক পরিস্থিতি। হাসিনা বিদায়ের পর থেকেই সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুরা নানাভাবে কোণঠাসা হয়েছিলেন। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় তাদের উপর নির্যাতন মাত্রাছাড়া হয়ে উঠেছে। সরকারের তরফে এ নিয়ে বিবৃতিও দেওয়া হতে পারে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISKCON: ‘‘ইসকন জঙ্গি গোষ্ঠী নয়, কেন নিষিদ্ধ করার কথা উঠছে?’’ প্রশ্ন সন্ন্যাসী রাধারমণের

    ISKCON: ‘‘ইসকন জঙ্গি গোষ্ঠী নয়, কেন নিষিদ্ধ করার কথা উঠছে?’’ প্রশ্ন সন্ন্যাসী রাধারমণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের চরমে উঠেছে সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলা। এই আবহে ইসকন (ISKCON) প্রতিবাদ জানাতেই সেই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি তুলছে জামাত ও বিএনপি সদস্যরা। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার অনৈতিকভাবে গ্রেফতার করেছে ইসকন সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসকে। এই ইস্যুতে উপমহাদেশের রাজনীতি সরগরম। এমন সময় কলকাতার ইসকনের অন্যতম কর্মকর্তা রাধারমন দাস একাধিক প্রশ্ন তুললেন। কেন হঠাৎ করে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার কথা বলা হচ্ছে? কেনই বা জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইসকনের তুলনা হবে? বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস তো শান্তির জন্য নোবেল পেয়েছিলেন, তাহলে তাঁর আমলে বাংলাদেশের এহেন অবস্থা কেন? এই সমস্ত প্রশ্নই বৃহস্পতিবার তুলললেন কলকাতার ইসকনের এই কর্মকর্তা।

    আতঙ্কে গত দুই দিন ঘুমোতে পারিনি

    বর্তমানে বাংলাদেশের হিন্দুদের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন রাধারমন দাস (Radharaman)। বৃহস্পতিবারই তিনি একটি নিউজ পোর্টালকে সাক্ষাৎকার দেন। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে যে ধরনের অত্যাচার চলছে, তাতে তিনি উদ্বিগ্ন ও ব্যথিত। তিনি বলেন, ‘‘ইসকনকে (ISKCON) বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে। অত্যাচার করা হচ্ছে। আতঙ্কে গত দুই দিন ঘুমোতে পারিনি। শরীরও খারাপ হয়ে যাচ্ছে আমার।’’

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হয়রানির শিকার আরও এক হিন্দু সন্ন্যাসী, এবার গ্রেফতার সন্ত মহারাজ স্বরূপ দাস

    আতঙ্কিত বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা

    রাধারমণ (Radharaman) বলেন, ‘‘এর আগেও ২০২১ সালে বাংলাদেশে হিন্দুদের মন্দিরে আক্রমণ করা হয়েছিল। তখনও আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম, কীর্তনের মাধ্যমে। এখনও একইভাবে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তারপরও আমরা নাকি টেররিস্ট?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘হাসিনা দেশ ছাড়ার পর শেষ ১০০ দিনে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বেড়েছে। সংখ্যালঘুরা আতঙ্কিত। ওরা হামলার পর আতঙ্ক ছড়াতে সগর্বে সেই ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। কতটা নৃশংস হলে এমনটা হয়!’’ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ইসকনের (ISKCON) অন্যতম কর্মকর্তার প্রশ্ন, ‘‘ইউনূস তো শান্তির জন্য নোবেল পেয়েছিলেন? এই তাঁর আচরণ?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: ‘‘শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে ইউনূসকেও’’, চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবি জানালেন হাসিনা

    Sheikh Hasina: ‘‘শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে ইউনূসকেও’’, চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবি জানালেন হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসের গ্রেফতারির পর থেকে বাংলাদেশে (Bangladesh) বারবার হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এক আইনজীবীর মৃত্যুতেও উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশের রঙপুর সহ একাধিক জায়গা। এবার সেই ইস্যুতে মুখ খুললেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। সঙ্গে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তিরও দাবি করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। নিজের বিবৃতিতে হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে ‘অসংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী’ বলেও উল্লেখ করলেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূসের প্রতি শেখ হাসিনার এই বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির প্রতিবাদে সরব

    হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেন, “সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের একজন শীর্ষ নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দিতে হবে।” সব সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আর্জি জানিয়েছেন মুজিব-কন্যা। সব শেষে তিনি বলেছেন,নৈরাজ্যবাদী ক্রিয়াকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নিজের বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করেছেন শেখ হাসিনা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণ, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে ইউনূস প্রশাসন বলে দাবি করেছেন তিনি।

    তোপ ইউনূস সরকারকে (Sheikh Hasina)

    বৃহস্পতিবার আওয়ামি লিগের তরফে দলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট শেয়ার করা হয়। সেখানে দাবি করা হয় শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) এই দুই ঘটনা প্রসঙ্গে বিবৃতি দিয়েছেন। সেই বিবৃতি অনুযায়ী শেখ হাসিনা বলেছেন, “চট্টগ্রামে একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে খুঁজে বার করে দ্রুত শাস্তি দিতে হবে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। একজন আইনজীবী তাঁর পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলেন। আর তাঁকে এ ভাবে যারা পিটিয়ে হত্যা করেছে তারা সন্ত্রাসবাদী। তারা যেই হোক না কেন শাস্তি তাদের পেতেই হবে।” তিনি আরও বলেন, “অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী ইউনূস সরকার যদি এই সন্ত্রাসবাদীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে তাঁকেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। দেশবাসীর প্রতি আমি আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ান।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Attacks On Hindus: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর লাগাতার হামলা চলছেই! জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

    Attacks On Hindus: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর লাগাতার হামলা চলছেই! জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর লাগাতার হামলা চলছেই। ঠিক এই আবহে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করেন। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ ইস্যুতে দুজনের মধ্যে অনেকক্ষণ আলোচনা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, প্রতিবেশী রাষ্ট্রে হিন্দু নির্যাতনের (Attacks On Hindus) বিষয়টি সংসদে উঠতে পারে। এবিষয়ে শীঘ্রই বিবৃতিও দিতে পারেন বিদেশমন্ত্রী।

    ২৫ নভেম্বর গ্রেফতার হন ইসকনের সন্ন্যাসী

    প্রসঙ্গত, গত ২৫ নভেম্বর ঢাকা বিমানবন্দরে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে ইউনূস সরকার (Attacks On Hindus)। বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের প্রাণ ভোমরা রয়েছে জামাত ও বিএনপি’র মতো মৌলবাদী সংগঠনগুলির হাতে। এই মৌলবাদী সংগঠনগুলি প্রতিনিয়ত বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ (Attacks On Hindus) করার দাবি জানিয়ে আসছে। ইসকনের একাধিক মন্দিরে হামলা চলছেই। প্রসঙ্গত, হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় দাস প্রভুকে যখন চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হয়, তখন তাঁর সমর্থনে হাজার হাজার হিন্দুকে আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হতেও দেখা যায়।

    সরব স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী 

    এদিকে মোদি সরকারের একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাংলাদেশ হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় সরব হয়েছেন। স্বরাষ্ট্র দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং ইতিমধ্যে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে, যাতে সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুদের (Attacks On Hindus) উপাসনালয় এবং মন্দিরগুলিকে রক্ষা করা হয়। বাংলাদেশ হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে সারা বিশ্বব্যাপী। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আমেরিকা শাখার নেতা অজয় শাহ হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনার বিচার চেয়ে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

    সরব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ

    প্রসঙ্গত, গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের হাসিনা সরকারের পতনের পরে ২০০টিরও বেশি হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা সামনে এসেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং গতকালই বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা প্রমাণ করছে যে সে দেশের সরকার আসলে মৌলবাদীদের খপ্পরে (Attacks On Hindus) রয়েছে। হিন্দুদের ওপর হামলা মানবতাবাদ বিরোধী বলেও তোপ দাগেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দুরা! কলকাতায় সনাতনীদের মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার, ভাঙল ব্যারিকেড!

    Bangladesh Protest: বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দুরা! কলকাতায় সনাতনীদের মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার, ভাঙল ব্যারিকেড!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Protest) হিন্দুদের ওপর লাগাতার নির্যাতনের প্রতিবাদে ও ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণদাসের মুক্তির দাবিতে কলকাতার রাস্তায় বিশাল মিছিল করল হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। আর তাতে সামিল হল একাধিক হিন্দু সংগঠন। আর সেই প্রতিবাদ মিছিলকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bangladesh Protest)

    হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ডাকে বৃহস্পতিবারের এই মিছিলে (Bangladesh Protest) অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন। মূলত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন সনাতনীরা। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিভিন্ন মঠ ও মিশনের সন্ন্যাসীরা। মিছিলে যোগদান করেন বিজেপি সাংসদ, বিধায়ক থেকে দলের নেতা-কর্মীরা। শিয়ালদা (Kolkata) থেকে মিছিল শুরু হয়। বেকবাগানের কাছে পুলিশ মিছিল আটকাতে ব্যারিকেড দিয়ে দেয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে জগদীশচন্দ্র বসু রোড ধরে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের কাছাকাছি এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আর তারপরই বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। এক পুলিশকর্মী আহত হন। ব্যারিকেডের নীচে চাপা পড়ে আহত হন বেশ কয়েকজন।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হয়রানির শিকার আরও এক হিন্দু সন্ন্যাসী, এবার গ্রেফতার সন্ত মহারাজ স্বরূপ দাস

    মিছিলের আয়োজকরা কী বললেন?

    মিছিল থেকেই হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে উঠছে স্লোগান। মিছিলের আয়োজকদের বক্তব্য, অবিলম্বে বাংলাদেশে (Bangladesh Protest) হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না করা হলে বড়সড় আন্দোলনে নামবে এখানকার হিন্দুরা। প্রসঙ্গত, কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। আন্দোলনের জেরে গত অগাস্টে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই বাংলাদেশে গঠিত হয় ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের বিরুদ্ধে সে দেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের সনাতন জাগরণ মঞ্চের অন্যতম মুখ সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করেছে ইউনূসের সরকার। এরপর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে বাংলাদেশের সরকারের প্রতি হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের জোরালো অভিযোগ সামনে এসেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Fengal: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনজল’! তামিলনাড়ু উপকূলে দুর্যোগ রুখতে প্রস্তুত নৌবাহিনী

    Cyclone Fengal: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনজল’! তামিলনাড়ু উপকূলে দুর্যোগ রুখতে প্রস্তুত নৌবাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে ঘনাচ্ছে সাইক্লোন ‘ফেনজল’। শনিবার তামিলনাড়ু-পুদুচেরি উপকূলে মহাবলীপুরম এবং কারাইকলের মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড়টি। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে তামিলনাড়ুর উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। এই পরিস্থিতিতে দুর্যোগ মোকাবিলায় তামিলনাড়ুতে প্রস্তুত রয়েছে নৌবাহিনী। 

    ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ 

    দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর (ইন্ডিয়ান মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট বা আইএমডি)। আইএমডি তাদের সর্বশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে যে গভীর নিম্নচাপটি তৈরি হয়েছে, সেটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে তামিলনাড়ু উপকূলে। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার। মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে পুদুচেরি এবং উপকূলবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশেও।

    ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব

    তামিলনাড়ুর আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে চেন্নাই, ময়িলাদুথুরাই, তিরুভারুর, নাগাপট্টিনম, তিরুভাল্লুর, কাঞ্চিপুরম, চেঙ্গলপেট এবং কাড্ডালোর জেলায়। ইতিমধ্যেই এই আট জেলায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। নাগাপট্টিনম, তিরুভারুরের মতো উপকূলবর্তী জেলায় মঙ্গলবার থেকেই আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তাই মঙ্গলবার থেকেই সেখানে স্কুল-কলেজ বন্ধ। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ১,৬৩৪টি ত্রাণশিবির প্রস্তুত রাখছে রাজ্য প্রশাসন।

    নিম্নচাপের অবস্থান

    আবহাওয়ার রিপোর্ট বলছে, শ্রীলঙ্কার উপকূলে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপটি প্রায় ৯ ডিগ্রি উত্তর এবং ৮২ ডিগ্রি পূর্বে কেন্দ্রীভূত। নিম্নচাপটি পুদুচেরির প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং তামিলনাড়ু উপকূল অভিমুখে ধীরে ধীরে উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আজ রাত এবং শুক্রবার সকালের মধ্যে শক্তি সঞ্চয়ে সচেষ্ট হবে ঘূর্ণিঝড়টি। তবে শনিবার সকালে প্রত্যাশিত ল্যান্ডফলের আগে ঝড়টি আরও দুর্বল হতে পারে বলে মনে করছে আবহবিদরা৷ সিস্টেমটি উত্তর তামিলনাড়ুর উপকূলের কাছাকাছি চলে এলে, নাগাপট্টিনাম, কারাইকাল, কাড্ডালোর, পুদুচেরি, তাম্বারাম এবং চেন্নাইয়ের মতো বেশ কয়েকটি জায়গায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার ঝুঁকি থাকবে। 

    বিপর্যয় রুখতে সক্রিয় নৌবাহিনী

    শুক্রবার থেকেই ঘূর্ণিঝড়টি তীব্রতা এবং বিস্তার বাড়াবে এবং শুক্রবার ভোর রাত থেকে ৩০ নভেম্বর অর্থাৎ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জারি থাকতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব। একইসঙ্গে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের জেরে আগামী দু’দিন অবিরাম বৃষ্টি এবং প্রবল ঝোড়ো দমকা বাতাস রেল, সড়ক ও বিমান চলাচল ব্যাহত করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তামিলনাড়ুর উপকূলে ভারী বৃষ্টি, প্রবল বাতাস ও বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য, নৌবাহিনী স্থানীয় প্রশাসন ও সিভিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। নৌবাহিনী বিভিন্ন ভৌগলিক এলাকায় দুর্যোগ সহায়তা দল (FRTs) এবং ডাইভিং টিমকে প্রস্তুত রেখেছে, যারা জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রস্তুত। এছাড়া, জরুরি ত্রাণ সামগ্রী যেমন খাদ্য, জল, ওষুধ এবং প্রস্তুত খাবারের বাক্স সহ অন্যান্য সরঞ্জাম পূর্ণ বিশাল যুদ্ধজাহাজগুলিকে সমুদ্রে পাঠানো হয়েছে। ত্রাণের উপকরণ দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাঠানোর জন্য পরিবহণ যানও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দলগুলি উদ্ধার ও ত্রাণ প্রচেষ্টার জন্য বোট ও হেলিকপ্টার নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে। বিপদাপন্ন অঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্কতা হিসেবে, কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, যাতে তাঁরা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে পারেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share