Tag: Madhyom

Madhyom

  • Eknath Shinde: মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিলেন শিবসেনার শিন্ডে, মহারাষ্ট্রের কুর্সিতে এবার কে?

    Eknath Shinde: মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিলেন শিবসেনার শিন্ডে, মহারাষ্ট্রের কুর্সিতে এবার কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিলেন শিবসেনার একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। আজ, মঙ্গলবারই শেষ মহারাষ্ট্র বিধানসভার মেয়াদ। তবে শিন্ডেকে নতুন সরকার গঠিত হওয়া পর্যন্ত কার্যনির্বাহী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন রাজ্যপাল।

    নয়া সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কে (Eknath Shinde)

    এদিনই পদত্যাগপত্র জমা দিতে রাজভবনে গিয়েছেন এনসিপি প্রধান অজিত পাওয়ার এবং দেবেন্দ্র ফড়ণবীশও। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহাযুতি জোট। নয়া সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি বলেই বিজেপি সূত্রে খবর। দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসানো হতে পারে। কারণ, অভিজ্ঞতার পাশাপাশি তিনি বিজেপির বিধায়ক। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় একক বৃহত্তম দল বিজেপিই। তবে মহারাষ্ট্রে চালকের আসনে কাকে বসানো হবে, তা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোটের নেতারা। দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রধান দাবিদার হলেও, শিন্ডেকেই মুখ্যমন্ত্রী রাখার পক্ষপাতী শিন্ডেসেনা (একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা) গোষ্ঠী।

    শিন্ডের অনুরোধ

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই শিন্ডে তাঁর দলীয় কর্মীদের মুম্বইয়ে সমবেত না হওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছিলেন, “আমার প্রতি ভালোবাসার জন্য, কিছু সমর্থক সবাইকে একত্রিত হয়ে মুম্বইয়ে আসার আবেদন করেছেন। আমি আপনাদের ভালোবাসার জন্য গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। তবে আমি অনুরোধ করছি যে কেউ যেন এভাবে আমার সমর্থনে একত্রিত না হন। আবারও বিনীতভাবে অনুরোধ করছি যে শিবসেনার কর্মীরা যেন বর্ষা বাংলো (মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন) বা অন্য কোথাও সমবেত না হন।”

    আরও পড়ুন: ‘‘গোধরার মতো পূর্বপরিকল্পিত’’, সম্ভল সংঘর্ষে বিরোধীদের নিশানা করলেন গিরিরাজ

    মহাযুতি জোটের শক্তির উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিপুল আসন নিয়ে জয়ের পরেও জোট ঐক্যবদ্ধ থাকবে।” পোস্টে তিনি লিখেছেন, “মহাযুতির এই মহান বিজয়ের পরে, রাজ্যে ফের আমাদের সরকার গঠিত হবে। একটি বৃহৎ জোট হিসাবে, আমরা একসঙ্গে নির্বাচনে লড়েছি এবং আজও একত্রিত রয়েছি।” তিনি লিখেছেন, “একটি শক্তিশালী ও সমৃদ্ধশালী মহারাষ্ট্রের জন্য মহাযুতি সব সময়ই শক্তিশালী ছিল এবং থাকবে (Eknath Shinde)।”

    প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮। এর মধ্যে বিজেপি একাই পেয়েছে ১৩২টি আসন। জোট শরিক শিবসেনা পেয়েছে ৫৭টি আসন। আর এক শরিক পেয়েছে ৪১টি আসন। সব মিলিয়ে বিজেপির (Maharashtra) নেতৃত্বাধীন এই জোট পেয়েছে ২৩৫টি আসন (Eknath Shinde)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ‘‘হিন্দুদের সুরক্ষা দিন’’, চিন্ময় প্রভুর জামিন খারিজ হতেই বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দিল ভারত

    Bangladesh: ‘‘হিন্দুদের সুরক্ষা দিন’’, চিন্ময় প্রভুর জামিন খারিজ হতেই বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন্ময় দাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। এবার ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল। ঢাকা-সহ বিভিন্ন জায়গায় মশাল মিছিল, বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা। গ্রেফতারির পর থেকেই দেশ জুড়ে আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রতিবাদ হয়েছে ভারতেও। তারপরও মঙ্গলবার চিন্ময় দাসের জামিন খারিজ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর জামিন হতেই বাংলাদেশে থাকা হিন্দুসহ সমস্ত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়ার দাবি জানাল ভারত।

    প্রতিবাদে মশাল মিছিল (Bangladesh)

    সোমবার ঢাকার (Bangladesh) শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় দাসকে গ্রেফতার করা হয়। চিন্ময় দাস বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি চিন্ময় প্রভু নামে পরিচিত। এছাড়া তিনি পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ। সম্প্রতি চিন্ময় দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম ও রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ৮ দফা দাবি নিয়ে কয়েকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জানা গিয়েছে, গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় দাস-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এক ব্যক্তি। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এই মামলা করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সেই মামলাতে গ্রেফতার করা হয়েছে চিন্ময় দাসকে। চিন্ময় দাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রতিবাদে সরব হন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও। গ্রেফতারির খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়। পথে নামেন বাংলাদেশের হিন্দুরা। বিভিন্ন জায়গায় মশাল মিছিলও হয়। ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন তাঁরা। চিন্ময় দাসের মুক্তির দাবি জানান।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন, বৈঠকে বিজেপির ইস্তাহার কমিটি

    জামিন খারিজ করে দিল আদালত

    বাংলাদেশে (Bangladesh) ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন খারিজ করে দিল চট্টগ্রামের আদালত। দেশদ্রোহের অভিযোগে সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে পেশ করা হয় আদালতে। তাঁর হেফাজত চায়নি পুলিশ। চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে হিন্দুদের ওপর চলছে অত্যাচার। মারধর, ঘরবাড়ি লুট থেকে জোর করে চাকরি ছাড়ানোর মতো একাধিক অভিযোগ উঠেছে। হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ। হিন্দুদের একজোট করার কাজ করেছিলেন।

    বাংলাদেশকে বার্তা দিল ভারত

    চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রনধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডলে বাংলাদেশে হিন্দু সহ সমস্ত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার আর্জি জানিয়েছেন।

    কী বার্তা দিলেন চিন্ময় প্রভু?

    চট্টগ্রামের (Bangladesh) আদালত নির্দেশ দিয়েছে, জেলের মধ্যে চিন্ময়কৃষ্ণ যাতে সমস্ত রকম ধর্মীয় আচার-আচরণ করতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকে। এ দিন আদালত চত্বরে সংবাদ মাধ্যমকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বার্তা দেন, পূর্বপরিকল্পিত সমস্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে হিন্দুদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jama Masjid Sambhal: বাবরের নির্দেশেই কি সম্ভলের বিষ্ণু মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ হয়েছিল? এএসআই কী বলছে?

    Jama Masjid Sambhal: বাবরের নির্দেশেই কি সম্ভলের বিষ্ণু মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ হয়েছিল? এএসআই কী বলছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুঘল সম্রাট বাবরের নির্দেশেই কি সম্ভলের বিষ্ণু মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে? ১৮৭৫ সালের এএসআই (ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ) এবং বাবরনামা কি বলছে? উল্লেখ্য ভারতের প্রাচীন মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরির ঘটনা নতুন কিছু নয়। বাবরি মসজিদ থেকে জ্ঞানবাপি, মথুরার শাহি ইদগাহ্ থেকে বাংলার আদিনা মসজিদ, সবক্ষেত্রে মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণের নানা দৃষ্টান্ত উঠে এসেছে সংবাদ মাধ্যমের পাতায়। উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের জামা মসজিদ (Jama Masjid Sambhal) হিন্দু মন্দির (Vishnu Temple) ছিল বলে মামলা দায়ের হয়। যার প্রেক্ষিতে সেখানে জরিপের নির্দেশ দেয় আদালত।  রবিবার এএসআই-এর পক্ষ থেকে মসজিত জরিপের কাজ করতে গেলে স্থানীয় উগ্র মুসলিম জনতা ব্যাপকভাবে পাথর-ইট বর্ষণ করে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। নামানো হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী। এখন যে মসজিদ নিয়ে বিবাদ, তার সম্পর্কে বিস্তৃত রিপোর্টে কি ধরনের তথ্য উঠে এসেছে শুনলে চমকে যাবেন।

    সম্ভল কীভাবে ভগবান বিষ্ণুর অবতার ভূমি (Jama Masjid Sambhal)?

    ভগবান কল্কিকে ভগবান বিষ্ণুর দশম এবং শেষ অবতার হিসাবে বিবেচনা করা হয়। হিন্দু শাস্ত্রের বিশ্বাস অনুসারে, কল্কি কলিযুগ শেষ করে সত্যযুগ শুরু করতে সম্ভলে আবির্ভূত হবেন। বিভিন্ন যুগে সম্ভলের বিভিন্ন নাম ছিল। একে সত্যযুগে সম্ভলেশ্বর, ত্রেতাযুগে মহাদগিরি, দ্বাপর যুগে পিংলা এবং কলিযুগে সম্ভল বলে বর্ণনা করা হয়েছে। এই স্থানেই বিষ্ণুর মন্দির নির্মাণ হয়। পরে মুসলমান শাসনে মন্দির ভেঙে মসজিদ (Jama-Masjid-Sambhal) নির্মাণ হয়।

    মসজিদের স্তম্ভ হিন্দু মন্দিরের

    ১৮৭৫ সালে ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ জামা মসজিদের (Jama Masjid Sambhal) আসল তথ্য তুলে ধরেছিল। ‘ট্র্যাভেলস ইন দ্য সেন্ট্রাল দোয়াব অ্যান্ড গোরখপুর ১৮৭৪-৭৫ এবং ১৮৭৫-৭৬’-এর একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, “মসজিদের ভিতরে ও বাইরে স্তম্ভগুলি প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের। সেগুলি প্লাস্টার দিয়ে লুকোনোর চেষ্টা করা হয়েছিল। মসজিদের স্তম্ভগুলির একটি থেকে প্লাস্টার সরানো হলে প্রাচীন লাল রঙের হিন্দু মন্দিরের নকশা বেরিয়ে আসবে। স্তম্ভের নকশা হিন্দু স্মৃতি চিহ্নবহ। মসজিদের গম্বুজ হিন্দু সম্রাট পৃথ্বীরাজ চৌহানের আমলে নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদে এমন অনেক নিদর্শন রয়েছে যাতে স্পষ্ট এটি এককালে প্রাচীন হিন্দু মন্দির ছিল।”

    এই রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তৎকালীন কর্তা এসিএল কার্লাইল। তিনি স্পষ্ট করে আরও বলেন, “সম্ভলের প্রধান ভবনটি হল জামা মসজিদ, যা হিন্দুরা মূলত হরি মন্দির (Vishnu Temple) বলে দাবি করে। এটি একটি কেন্দ্রীয় গম্বুজ বিশিষ্ট ২০ ফুট বর্গাকার কক্ষ নিয়ে গঠিত, যার দুটি ডানা অসম দৈর্ঘ্যের। উত্তর দিকের একটি অংশ ৫০ ফুট ৬ ইঞ্চি, যখন দক্ষিণ দিকের অংশ মাত্র ৩৮ ফুট ১.৫ ইঞ্চি। উভয় অংশে তিনটি খিলানযুক্ত দরজা রয়েছে। যার সবকটিই বিভিন্ন প্রস্থের, ৭ ফুট থেকে ৮ ফুট পর্যন্ত পরিবর্তিত।” উল্লেখ্য সম্প্রতি স্থানীয় আদালত মসজিদ সমীক্ষা কাজের নির্দেশ দিয়েছে। এই সমীক্ষার রিপোর্ট দেওয়া হবে আগামী ২৯ নভেম্বর।

    হিন্দু পক্ষের দাবি

    সম্ভলের শাহি জামা মসজিদ (Jama Masjid Sambhal) সম্পর্কে হিন্দু পক্ষের দাবি হল, এই নির্মাণ আদতে হিন্দু দেবতা হরিহরের। এএসআই সমীক্ষা করে জানিয়েছে, মসজিদ আদতে মন্দির ছিল। ব্রিটিশ রাজত্বের সময় এএসআই সার্ভে করে ১৮৭৫ সালে মসজিদ থেকে পুরাতন পুঁথির সন্ধান পেয়েছে, যা হিন্দু সংস্কৃতির আরও বড় প্রমাণ। একই ভাবে মসজিদের একটি শিলালিপি থেকে জানা গিয়েছে, ৯৩৩ হিজরিতে মসজিদ নির্মাণ করেছিল মীর হিন্দু বেগ। মীর ছিল বাবরের দরবারের লোক। এক হিন্দু মন্দিরকে মসজিদে পরিণত করে এই মুসলমান সেনা।

    বাবর নামাতে উল্লেখ

    হিন্দু পক্ষের তরফে বিবাদের আবেদনকারী হরিশঙ্কর জৈন বাবরনামার উল্লেখ করে বলেন, “এই বাবরনামা বাবর স্বয়ং লিখেছেন। ব্রিটিশ প্রাচ্যবিদ অ্যানেট বেভারিজ সেটি নিজে অনুবাদ করেছেন। পুস্তকের ৬৮৭ পৃষ্ঠায় লেখা আছে, বাবরের নির্দেশ মীর হিন্দু বেগ সম্ভলের হিন্দু মন্দিরকে জামা মসজিদে (Jama Masjid Sambhal) রূপান্তর করেছিল। প্রাপ্ত শিলালিপির সঙ্গে এই তথ্য মিলে গিয়েছে। তাতে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ রয়েছে মীর হিন্দু বেগ ৯৩৩ হিজরিতে এই মসজিদ নির্মাণ করেছে।

    মামলার সূত্রপাত

    সম্ভলের জেলা আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করা হয় প্রথমে। পিটিশনে বলা হয়েছে সম্ভলে অবস্থিত জামা মসজিদটি (Jama Masjid Sambhal) শতাব্দী প্রাচীন শ্রী হরিহর মন্দিরের (Vishnu Temple) উপর নির্মিত হয়েছে। এটি কার্যত ভগবান কল্কিকে উৎসর্গ করা হয়েছিল এবং মুসলমান শাসক বাবর তা ধ্বংস করে দিয়েছিল। আবেদনকারীরা বলেছেন, স্থানটি হিন্দুদের জন্য ধর্মীয় তাৎপর্য রাখে এবং মুঘল আমলে জোর করে একটি মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এই আবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং অ্যাডভোকেট বিষ্ণু শঙ্কর জৈনের বাবা, হরি শঙ্কর জৈন, নয়ডার পার্থ যাদব এবং অন্যান্য আবেদনকারীরা মামলা দায়ের করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: চিন-কানাডার পণ্যে চড়া আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

    Donald Trump: চিন-কানাডার পণ্যে চড়া আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কা ছিলই। শেষমেশ সত্যিই হল। প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার আগেই বড় ঘোষণা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাবী (এখনও শপথ নেননি) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়ে দিলেন তাঁর আগামী বাণিজ্য-নীতির কথা। তিনি বলেন, “২০ জানুয়ারি, আমার প্রথম এক্সিকিউটিভ নির্দেশগুলোর একটি হিসেবে, আমি সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিতে স্বাক্ষর করব, যা মেক্সিকো এবং কানাডা (Tariffs On China Canada) থেকে আমেরিকায় প্রবেশ করা সমস্ত পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।”

    শুল্ক আরোপ (Donald Trump)

    তিনি যে মেক্সিকো, কানাডা এবং চিন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ করবেন, সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন। সোমবার রীতিমতো ঘোষণাই করে দিলেন। নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে একাধিক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারদের থেকে আমদানিকৃত সব পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করবেন।’ অন্য একটি পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘অতিরিক্ত শুল্কের বাইরে তিনি চিনের ওপরও ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন।’ তিনি বলেন, “ফেন্টানিল পাচার মোকাবিলায় ব্যর্থতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই শুল্ক আরোপ করা হবে।”

    ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি

    প্রসঙ্গত, শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তিনি মিত্র এবং প্রতিপক্ষ উভয়ের উপরই ব্যাপক শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এদিন সেই সংক্রান্ত ঘোষণাটিই করলেন ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া দিতে দেরি করেনি চিন ও কানাডা। দুই দেশই জানিয়েছে, আমেরিকার সঙ্গে তাদের প্রত্যেকের বাণিজ্যিক সহযোগিতা ‘মিউচুয়ালি বেনিফিসিয়াল’। চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ জানান, কেউই বাণিজ্য যুদ্ধে জয়ী হবে না। ফেন্টানিল পাচার রোধে চিনের প্রচেষ্টার পক্ষে সাফাইও গেয়েছেন তিনি। লিউ বলেন, “চিন বিশ্বাস করে, চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা প্রকৃতিগতভাবে মিউচুয়ালি বেনিফিসিয়াল।”       

    কানাডা জানিয়েছে, এটি আমেরিকার জ্বালানি সরবরাহের জন্য অপরিহার্য এবং এই (Donald Trump) সম্পর্ক আমেরিকার শ্রমিকদের জন্যও উপকারী। কানাডার উপ প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা অবশ্যই নতুন প্রশাসনের সঙ্গে এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাব।”

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গ্রেফতার নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ চিন্ময় প্রভু

    উল্লেখ্য যে, এর আগের দফায় হোয়াইট হাউসে থাকাকালীন, ট্রাম্প চিনের সঙ্গে সর্বাত্মক বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। শত শত বিলিয়ন ডলারের চিনা পণ্যের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করেছিলেন। সেই সময় তিনি যুক্তি হিসেবে (Tariffs On China Canada) উল্লেখ করেছিলেন অন্যায্য বাণিজ্য প্রথা, মেধাস্বত্ব চুরি এবং বাণিজ্য ঘাটতির কথা (Donald Trump)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Ladakh: বরফ ঘেরা সিয়াচেন, দৌলত বেগ ওলডিতে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপন

    Ladakh: বরফ ঘেরা সিয়াচেন, দৌলত বেগ ওলডিতে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারো মাস বরফে ঢাকা লাদাখের (Ladakh) সিয়াচেন এবং দৌলত বেগ ওলডিতে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপন করল ভারতীয় সেনা। এর ফলে চরম প্রতিকূল আবহাওয়া থাকা সত্ত্বেও ওই অঞ্চলের খবর পাবে সেনাবাহিনী। সহজ হবে যোগাযোগ। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, সিয়াচেনের অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে, ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোরে’র সিগন্যালার-রা চরম প্রতিকূল আবহাওয়া ও বিপজ্জনক দুর্গম ভূমি উপেক্ষা করে ১৮ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতার এলাকা পার করে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপন করেছে। এর ফলে দেশের নিরাপত্তা জোরদার হবে বলে জানিয়েছে সেনা।

    কঠিন লড়াই করে সংযোগ স্থাপন

    সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮,০০০ থেকে ২০,০০০ ফুট উচ্চতায় কাশ্মীরের কারাকোরাম পর্বতশ্রেণিতে অবস্থিত সিয়াচেন হিমবাহ। এটি বিশ্বের উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত। এখানে কর্মরত সেনাদের তীব্র ঠান্ডা, প্রচণ্ড বাতাস, এবং বরফ সহ নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। সম্প্রতি ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোর তাদের একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে সেনারা বরফে ঢাকা পাহাড়ে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল স্থাপন করছেন। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সেনারা বরফে হাঁটছেন, বরফ-ঢাকা শিখরে ওঠা এবং চরম খাড়াই ঢাল পার করার পর ধীরে ধীরে কেবল স্থাপন করছেন।

    সেনার উল্লেখযোগ্য সাফল্য

    ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোর তাদের পোস্টে জানিয়েছে, ‘‘এই প্রথমবার এবং সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে অপটিক্যাল ফাইবার কেবলগুলি দক্ষতার সঙ্গে স্থাপন করা হয়েছে, যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যোগাযোগ চালু রাখা যায়।’’ তারা আরও বলেছে, ‘‘বিপজ্জনক গর্ত এবং তীব্র ঠান্ডা বাতাসের মধ্যেও, সংকেতবাহিনীর সদস্যরা অটুট মনোবল এবং নিষ্ঠা নিয়ে তাদের কাজ সম্পন্ন করেছেন।’’ এছাড়াও, ডেমচক ও ডেপসাং সমভূমিতে গত একমাস ধরে ভারত-চিন সেনা প্রত্যাহারের পর, এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর প্যাট্রলিং পুনরায় শুরু হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী সতর্ক এবং সজাগ রয়েছে, পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। এই আবহে কারাকোরাম পর্বতমালার এই রেঞ্জগুলিতে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপন সেনার উল্লেখযোগ্য সাফল্য। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: চিন্ময়কৃষ্ণকে মুক্তি না দিলে সীমান্তে অবরোধ হবে, ইউনূসকে কড়া বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: চিন্ময়কৃষ্ণকে মুক্তি না দিলে সীমান্তে অবরোধ হবে, ইউনূসকে কড়া বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সেদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের গুরুতর অভিযোগ এনে কড়া বার্তা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ইসকনের চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার হতেই উত্তাল বাংলাদেশ। রাস্তায় নামছেন সেখানকার হিন্দুরা। এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতার পাশাপাশি বাংলাদেশের সনাতনীদের আশঙ্কা, ইউনূসের প্রশাসন যা খুশি করতে পারে। এমনকী, প্রশাসনের ওপর চাপ এলে শেষ করেও দিতে পারে। চিন্ময় কৃষ্ণদাস প্রভুর একটি ভিডিও শেয়ার করে শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনায় ভারতের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

    সীমান্তে সনাতনীরা অবরোধ করবে (Suvendu Adhikari)

    চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘সোমবার রাতের মধ্যে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে ইউনূসের সরকার মুক্তি না দিলে মঙ্গলবার থেকে সীমান্তে সনাতনীরা অবরোধ করবে। ভারত থেকে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে কোনও পরিষেবা বাংলাদেশে ঢুকতে দেব না।’’ একই সঙ্গে কলকাতায় থাকা বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারের অফিসও টানা ঘেরাও অবস্থানের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর কথায়, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যেভাবে দমন পীড়ন শুরু হয়েছে, তাতে আমরা চিন্তিত, ব্যথিত। এই জিনিস আর বরদাস্ত করা হবে না।’’ বিষয়টি তিনি কেন্দ্রকেও জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: চিটফান্ডকাণ্ডে ফের সক্রিয় ইডি, কলকাতার নিউ আলিপুর, জোকায় চলছে অভিযান

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি

    কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। আন্দোলনের জেরে গত অগাস্টে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই বাংলাদেশে গঠিত হয় ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের বিরুদ্ধে সেদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারে অভিযোগ উঠেছে। চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বিষয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে একটি টুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ঢাকার বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণদাস প্রভুকে বাংলাদেশ গোয়েন্দা বিভাগ আটক করেছে। হিন্দু সংখ্যালঘুদের বাঁচানোর লড়াইয়ে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।

    ১০৮টি দেশে প্রতিবাদের ডাক

    এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিশ্বের ১০৮টি দেশে প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয়েছে। একাধিক হিন্দু সংগঠনের তরফে প্রতিবাদ হবে আমেরিকাতেও। এমনকী, মঙ্গলবার থেকে রাজধানী ঢাকা (Bangladesh) সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অংশে আন্দোলন আরও তীব্র করার ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই মতো বিভিন্ন জায়গা থেকে সনাতনীদের মিছিল বের হবে বলে খবর।  বিক্ষোভ থেকে লাগাতার জয় শ্রী রাম-জয় বজরঙ বলির নামে স্লোগান তোলেন সে দেশে বসবাসকারী হিন্দু সংখ্যালঘুরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sambhal Violence: ‘‘গোধরার মতো পূর্বপরিকল্পিত’’, সম্ভল সংঘর্ষে বিরোধীদের নিশানা করলেন গিরিরাজ

    Sambhal Violence: ‘‘গোধরার মতো পূর্বপরিকল্পিত’’, সম্ভল সংঘর্ষে বিরোধীদের নিশানা করলেন গিরিরাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে সংঘর্ষের (Sambhal Violence) জন্য বিরোধীদের কাঠগড়ায় তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সাংসদ বিজেপির গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh)। তাঁর মতে, ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত, গোধরার মতো।

    মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের (Sambhal Violence)

    রবিবার মুঘল আমলে তৈরি জামা মসজিদে আদালতের নির্দেশে শুরু হয় সমীক্ষার কাজ। সেই সময় সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। জখম হন ২০ জনেরও বেশি পুলিশ কর্মী। এঁদের মধ্যে একজন কনস্টেবলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার মৃত্যু হয় জখম হওয়া আরও একজনের। অশান্তির আঁচ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তাই এলাকায় ব্যবস্থা করা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তার। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএ) প্রয়োগ করা হয়েছে।

    তদন্তের নির্দেশ

    জানা গিয়েছে, হিংসার ঘটনার কারণ জানতে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় পুলিশ সাতটি এফআইআর দায়ের করেছে। এর মধ্যে একটিতে অভিযুক্ত করা হয়েছে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জিয়াউর রহমান বার্ক এবং স্থানীয় সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক ইকবাল মাহমুদের ছেলে সোহেল ইকবালকে। এদিকে, সম্ভল মসজিদ কমিটি অশান্তির জন্য দায়ী করেছে পুলিশকে।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গ্রেফতার নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ চিন্ময় প্রভু

    ঘটনার (Sambhal Violence) নেপথ্যে বিরোধীরা রয়েছে বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তাঁর অভিযোগ, ঘটনাটি বিরোধীদের কারণে ঘটেছে। তারা দেশকে পুড়িয়ে দিতে চায়। সম্ভলকে বাংলাদেশে পরিণত করতে চায়। গিরিরাজ বলেন, “বিরোধীদের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। এটি একটি পূর্ব পরিকল্পিত কৌশল, গোধরাকাণ্ডের মতো।” তিনি আরও বলেন, “এটি সমীক্ষক দলের ওপর আক্রমণ ছিল না। আক্রমণ ছিল ভারতের সংবিধান ও গণতন্ত্রের ওপর। তারা (পড়ুন বিরোধীরা) দেশকে জ্বালিয়ে দিতে চায়। তারা সম্ভলকে বাংলাদেশে পরিণত করতে চায়। যারা মারা গিয়েছে তারা হামলাকারীদের গুলিতে মারা গিয়েছে, পুলিশের গুলিতে নয়। ময়নাতদন্ত থেকেই এটা পরিষ্কার।” মন্ত্রী (Giriraj Singh) বলেন, “দেশ এটা সহ্য করবে না (Sambhal Violence)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Dandruff: শীত পড়তেই বাড়ছে খুসকি! কেন‌ হয় এই সমস্যা? কোন ঘরোয়া উপাদানে হবে মুশকিল আসান? 

    Dandruff: শীত পড়তেই বাড়ছে খুসকি! কেন‌ হয় এই সমস্যা? কোন ঘরোয়া উপাদানে হবে মুশকিল আসান? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাড়ির একরত্তি সদস্য হোক কিংবা পরিবারের সবচেয়ে প্রবীণ, শীতের আমেজ শুরু হতেই এক অদ্ভুত সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। কত বয়স, ছেলে না মেয়ে-এই পরিচয় আর তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই সমস্যার জেরে নাজেহাল আট থেকে আশি। তাপমাত্রার পারদ নামতেই অনেকেই খুসকির (Dandruff) সমস্যায় কাবু। ঘন ঘন মাথা চুলকানো, অস্বস্তিবোধের মতো পরিস্থিতি তৈরি করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সমস্যার সহজ সমাধান রয়েছে। নিয়মিত কিছু ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করলেই হবে মুশকিল আসান।

    কেন শীতের শুরুতে বাড়ে খুসকি? (Dandruff)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কের চামড়ার অপরিচ্ছন্নতা থেকেই খুসকির সমস্যা তৈরি হয়। অনেকেই নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার করেন না। আর ধুলো ও দূষণের জেরে মস্তিষ্কের চামড়া অর্থাৎ চুলের ভিতরের অংশ অপরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। তার জেরেই তৈরি হয় খুসকির সমস্যা। তবে, এই সমস্যাকে আরও জটিল করে শুষ্ক ত্বক। ত্বক শুষ্ক হলে খুসকির সমস্যা বাড়ে। আর শীতের শুরুতে ত্বকের শুষ্কতা এমনিতেই বাড়ে। আরেক দিকে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণও বেড়ে যায়। তাই শীতের শুরুতে ভোগান্তি বাড়ায় খুসকি। তাছাড়া, অনেকের নানা ধরনের অ্যালার্জি থাকে। যার জেরেও খুসকির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। শীতের প্রথমে অনেক সময়েই তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করার জেরে রক্তে অ্যালার্জির ঝুঁকি বাড়ে। শরীরে তৈরি হয় নানান ছত্রাকের সংক্রমণ। এর জেরে খুসকির মতো সমস্যাও বাড়তে থাকে। কিন্তু কীভাবে মুশকিল আসান হবে? বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘরোয়া কিছু উপাদানের মাধ্যমে সহজেই কমতে পারে খুসকির ভোগান্তি।

    রাতভর ভেজানো নিমপাতার মিশ্রণ

    খুসকির সমস্যা কমাতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে নিমপাতা। নিমপাতা শরীরের একাধিক রোগ‌ মোকাবিলায় সাহায্য করে। খুসকি কমাতেও বিশেষ উপকারী এই নিমপাতা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ১০ থেকে ১৫টা নিমপাতা সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপরে সেই ভেজানো নিমপাতা বেটে মসৃণ মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। সেই মিশ্রণ মাথায় মাখলে খুসকির (Dandruff) সমস্যা অনেকটাই কমবে‌।

    মেথি বীজ এবং পাতিলেবুর রস মিশিয়ে চামড়ায় লাগানো (Dandruff)

    মস্তিষ্কের চামড়ায় অর্থাৎ চুলের ফাঁকে ভালো ভাবে মেথির বীজ এবং পাতিলেবুর রসের মিশ্রণ লাগালে দ্রুত খুসকির সমস্যা কমে‌। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সারা রাত মেথির বীজ ভিজিয়ে রেখে তাকে মসৃণ ভাবে বেটে নিতে হবে। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে লেবুর রস। পাতিলেবুর রস মেশানো সেই মেথির বীজের মিশ্রন মাথায় সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন মাখলেই কমবে খুসকির (Dandruff) সমস্যা।

    তুলসী পাতা এবং আমলার ব্যবহার

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত তুলসী পাতা এবং আমলা একসঙ্গে বেটে মাথায় মাখলে খুসকি দ্রুত কমে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, আমলা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে‌। দশ থেকে বারোটা তুলসী পাতা ভিজিয়ে বেটে নিতে হবে। আমলার গুঁড়ো এবং তুলসী পাতা বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে ভালোভাবে মাথায় মেখে অন্তত তিরিশ মিনিট রাখতে হবে। নিয়মিত এটা ব্যবহার করলেই খুসকির সমস্যা কমবে। 

    তবে এই সব ঘরোয়া উপাদান‌ (Domestic ingredients) ব্যবহারের পাশাপাশি নিয়মিত ভালোভাবে স্নান করা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চুল পরিষ্কার থাকলে, মাথার ত্বক পরিষ্কার থাকলে খুসকির সমস্যা সহজেই কমানো যায়। তাই নিয়মিত শ্যাম্পু করা জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • One Nation One Subscription: গবেষণায় ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’-কে ছাড়পত্র কেন্দ্রের, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    One Nation One Subscription: গবেষণায় ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’-কে ছাড়পত্র কেন্দ্রের, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সব গবেষণাকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা হবে। একই ভাবে সমান সুযোগ পাবে কেন্দ্র এবং রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (UGC) অধীনে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি গবেষণার কাজ করবে। সোমবার এমনই ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ (One Nation One Subscription) একটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। শীতকালীন সংসদের অধিবেশনের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার (Modi cabinet) বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    ২০২২ সালে মোদি উল্লেখ করেছিলেন (One Nation One Subscription)  

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২২ সালে স্বাধীনতা দিবসে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় গবেষণার উপর জোর দেওয়ার কথা প্রথম বলেছিলেন। ভাষণে উঠে এসেছিল ‘জয়-অনুসন্ধান’-এর কথা। আধুনিক ভারতে দেশের গবেষকরা বড় ভূমিকা নেওয়ার কথা তুলে ধরেছিলেন। ঠিক তার পরবর্তী পদক্ষেপ স্বরূপ উঠে আসল এবারের গবেষকদের কথা। গবেষণার কথা ভেবেই এবার মোদির মন্ত্রী পরিষদের নতুন প্রকল্পের সূচনা হয়েছে। এই প্রকল্পের নাম ‘এক দেশ এক সাবস্ক্রিপশন’ (One Nation One Subscription)। এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হল রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের কোনও বিভাজন করা হবে না। সকলে একই সংস্থার অধীনে গবেষণায় যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন। একই প্রকল্পের বাস্তবায়ন করতে চান মোদি (Modi cabinet)। আগামী ২০২৫, ২০২৬ এবং ২০২৭ সালে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হবে।

    কেন্দ্র ৬০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার (Modi cabinet) বৈঠকে জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধীনে থাকা কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা নিজের গবেষণা কাজ করবেন। এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র ৬০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এই টাকা ৩ বছরে খরচ করা হবে। ২০২৫ সাল থেকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই প্রকল্পে (One Nation One Subscription) ৬ হাজার ৩০০ প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করা হয়েছে। ফলে অনুমানিক ২ কোটি গবেষক সুবিধা পাবেন। কাজের সুবিধার জন্য বিশেষ গ্রন্থাগারের ব্যবস্থা করা হবে। তথ্য এবং আইএনএফএলআইবিএনইটি (INFLIBNET) হল ইউজিসির একটি অন্তর্ভুক্ত একটি সংস্থা। এখানে ৩০টি প্রধান আন্তর্জাতিক জার্নাল প্রকাশককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রকাশকদের প্রায় ১৩ হাজার ই-জার্নাল গবেষণার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।”

    ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ স্কিমের মূল বিষয় গুলি হল–

    ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন (One Nation One Subscription) স্কিমটি গবেষণায় উৎসাহ বাড়াতে এবং ভারতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে এক একটি গবেষণা-ভিত্তিক সংস্কৃতিক কেন্দ্রে পরিণত করতে চায়। এই উদ্যোগটিতে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, পরীক্ষাগারগুলিতে গবেষণা এবং নানা উদ্ভাবনী প্রচারের জন্য অনুসন্ধান কেন্দ্র বা ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (NRF) এর মতো প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করতে চায় কেন্দ্র সরকার।

    তথ্য ও গ্রন্থাগার নেটওয়ার্ক (INFLIBNET) গবেষণার কাজের জন্য আবশ্যক করা হবে প্রকল্পে। সেই সঙ্গে স্বায়ত্তশাসিত ইউজিসি (UGC) স্কিমটিকে কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকার দ্বারা পরিচালিত ৬,৩০০ টিরও বেশি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং গবেষণা কেন্দ্রগুলিকে সুবিধা প্রদান করবে।

    আরও পড়ুনঃ প্যান কার্ডে জুড়ছে কিউআর কোড, সিদ্ধান্ত মোদি সরকারের, আরও বাড়বে সুরক্ষা

    বিকশিত ভারতের অঙ্গ এই প্রকল্প

    এই প্রকল্প (One Nation One Subscription) বিকশিত ভারত (Viksitbharat@2047), ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি বা জাতীয় শিক্ষা নীতির (NEP 2020) এবং অনুসন্ধান ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (Anusandhan National Research Foundation)-এর লক্ষ্যগুলির সঙ্গে অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই প্রকল্প শহর-গ্রামীণ সমস্ত শাখার ছাত্র, গবেষকেরা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লেখক তথা বরিষ্ঠ গবেষক, বিজ্ঞানী এবং নানা ধরনের জার্নালগুলিকে ব্যবহার করে নিজের গবেষণার কাজকে খুব সহজেই প্রস্তুত করতে পারবেন। অনুসন্ধান ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন পর্যায়ক্রমে ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ ব্যবহার এবং এই প্রতিষ্ঠানগুলির ভারতীয় লেখকদের প্রকাশনা পর্যালোচনা করবে।

    কেন্দ্রীয় উচ্চশিক্ষা অধিদফতর এবং অন্যান্য মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যাদের এইচইআই (HEI) এবং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (R&D) প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তাদের ব্যবস্থাপনায় সক্রিয়ভাবে এই প্রতিষ্ঠানগুলির ছাত্র, শিক্ষক এবং গবেষকদের মধ্যে এই প্রকল্পের সুবিধা এবং পদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করবে। একই ভাবে সারা দেশে ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’-এর (One Nation One Subscription) সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানের ছাত্র, শিক্ষক এবং গবেষকদের অনন্য সুবিধার সর্বাধিক ব্যবহাররের জন্য সর্ব স্তরে প্রচার চালানো হবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Manifesto Committee: দুয়ারে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন, বৈঠকে বিজেপির ইস্তাহার কমিটি

    BJP Manifesto Committee: দুয়ারে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন, বৈঠকে বিজেপির ইস্তাহার কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন (Delhi Assembly Elections)। প্রস্তুতি শুরু করে দিল বিজেপি। সোমবার বৈঠকে বৈঠকে বসল পদ্ম-পার্টির ইস্তাহার কমিটি (BJP Manifesto Committee)। দলের নেতা রামবীর সিং বিধুরির সভাপতিত্বে হয়েছে বৈঠক। সদ্যই মহারাষ্ট্রে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট। দুরমুশ করে দিয়েছে বিরোধীদের। প্রত্যাশিতভাবেই উল্লসিত গেরুয়া শিবির। তার পর এদিন বৈঠকে বসল ইস্তাহার কমিটি।  

    কী বললেন সচদেব? (BJP Manifesto Committee)

    দিল্লি বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব বলেন, “দলটি দিল্লিতেও বিপুল ভোটে জয়ী হবে।” সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ দিল্লির বিজেপি কর্মীদের উজ্জীবিত করেছে। এখন দিল্লিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে এমন লোকদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার সময় এসেছে।” তিনি বলেন, “জনগণ একটি পরিচ্ছন্ন, দুর্নীতিমুক্ত দিল্লি চায়। মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানার পর, জনগণ দিল্লিতেও বিজেপি সরকার বেছে নেবে। আসন্ন দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি বিশাল জনসমর্থন পাবে।”

    দুর্নীতিমুক্ত সরকার

    ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার কথা (BJP Manifesto Committee) দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। গেরুয়া শিবিরের কাছে এটি প্রেস্টিজ ফাইট। প্রেস্টিজ ইস্যু আম আদমি পার্টির কাছেও। সচদেব বলেন, “জনগণ চায় দুর্নীতিমুক্ত একটি সরকার। মহারাষ্ট্রে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহাযুতি জোট বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হয়েছে। দিল্লিতেও তেমনই হবে।” মহারাষ্ট্রে বিজেপির বিপুল ভোটে জয় অক্সিজেন জুগিয়েছে বিজেপির উত্তুঙ্গ আত্মবিশ্বাসে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহাযুতি জোটের বিজয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “মহারাষ্ট্রের জনগণ নেতিবাচক ও পরিবারভিত্তিক রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।”

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গ্রেফতার নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ চিন্ময় প্রভু

    উত্তর-পূর্ব দিল্লির সাংসদ বিজেপির মনোজ তিওয়ারিও পদ্ম-পার্টির এই জয়কে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যেমন প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, ৫০ বছরের মধ্যে প্রথমবার, একটি দল বা জোট এত বড় ম্যান্ডেট পেয়েছে। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে দলের এই জয় ঐতিহাসিক… জনগণ তাদেরই বেছে নিচ্ছে যাদের জন্য জাতি আজ সর্বাগ্রে।” প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮। এর মধ্যে বিজেপি একাই পেয়েছে ১৩২টি আসন (Delhi Assembly Elections)। জোট শরিক শিবসেনা ও এনসিপি পেয়েছে যথাক্রমে ৫৭ ও ৪১টি আসন (BJP Manifesto Committee)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share