Tag: Madhyom

Madhyom

  • Krishna Janmabhoomi Case: কৃষ্ণ জন্মভূমি মামলা, আদালত উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এল পাকিস্তান থেকে

    Krishna Janmabhoomi Case: কৃষ্ণ জন্মভূমি মামলা, আদালত উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এল পাকিস্তান থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাহাবাদ হাইকোর্টে চলছে কৃষ্ণ জন্মভূমি মামলা (Krishna Janmabhoomi Case)। এবার সেই আদালতই বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এল পাকিস্তান (Pakistan) থেকে। নভেম্বরের ১৩ তারিখে ওই হুমকি দেওয়া হয় ২২টি অডিও রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে। অডিও পাঠানো হয়েছিল আশুতোষ পাণ্ডে নামের এক ব্যক্তির কাছে। তিনি কৃষ্ণ জন্মভূমি মামলার একজন আবেদনকারী। মথুরাভিত্তিক শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মুক্তি নির্মাণ ট্রাস্টের সভাপতিও তিনি।

    হুমকি বার্তা পাকিস্তান থেকে (Krishna Janmabhoomi Case)

    তিনি জানান, এই অডিও বার্তাগুলো হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাকিস্তানের দুটি নম্বর থেকে পাঠানো হয়। তিনি নভেম্বর ১৩ তারিখ রাত ৯টা ৩৬ মিনিটে এই বার্তাগুলো পান। সেখানেই তিনি এলাহাবাদ হাইকোর্টে বোমা হামলার হুমকি শুনতে পান। বোমা হামলার হুমকির পাশাপাশি বার্তাগুলিতে অশ্লীল ভাষা এবং পাণ্ডেকে ব্যক্তিগতভাবে হুমকি দেওয়া হয়। কলার সতর্ক করে বলে, নভেম্বর ১৯ তারিখে এলাহাবাদ হাইকোর্টে বোমা হামলা করা হবে এবং পরেরদিন পাণ্ডের ওপর হামলা হবে।

    পুলিশের হাতে অডিও ক্লিপ

    অডিও ক্লিপগুলি পুলিশের হাতে তুলে দেন তিনি। পাণ্ডে জানান, একইসঙ্গে তিনি পাকিস্তানের ওই নম্বরগুলি থেকে ফোন কলও পান। সেই কলেও একই ধরনের হুমকি দেওয়া হয়। পাণ্ডে শামলির কান্দলা এলাকার বাসিন্দা। এই হুমকি-বার্তাগুলি তিনি শামলি পুলিশের কাছে জমা দেন। পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের ইমেইলও করেছেন। তিনি বলেন, “এর আগেও আমি একই ধরনের হুমকি পেয়েছিলাম। তাই প্রয়াগরাজ, কৌশাম্বী, ফতেপুর এবং মথুরায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল।”

    আরও পড়ুন: শুক্রবারের ‘খুতবা’ দিতে হলে আগাম অনুমতি নিতে হবে, ছত্তিশগড়ের মসজিদগুলিকে নির্দেশ

    শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমিকে (Krishna Janmabhoomi Case) শাহি ইদগাহ মসজিদের নিয়ন্ত্রণ-মুক্ত করতে সব মিলিয়ে আবেদন করেছিলেন ১৮ জন। পাণ্ডে তাঁদেরই একজন। তিনি মসজিদের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মসজিদ কমিটির কর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছিল।

    প্রসঙ্গত, মইনপুরীর জনৈক অজয় প্রতাপ সিং তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় সারা দেশের মন্দিরগুলির তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। তাতে মথুরায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান সম্পর্কেও তথ্য চাওয়া হয়েছিল। এর উত্তর দিতে গিয়ে ১৯২০ সালে প্রকাশিত একটি গেজেটের ভিত্তিতে তথ্য দেয় এএসআই। সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আগে মসজিদের জায়গায় ছিল (Pakistan) কাটরা কেশবদেবের মন্দির (Krishna Janmabhoomi Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হানা, পাকিস্তানে হত ১২ জওয়ান

    Pakistan: সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হানা, পাকিস্তানে হত ১২ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানে (Pakistan) হত ১২ জওয়ান। মঙ্গলবার মধ্য রাতে ঘটনাটি ঘটে পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া (Khyber Pakhtunkhwa) এলাকায়। বুধবার পাক সেনার তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয় হামলার কথা। জানা গিয়েছে, খাইবার-পাখতুনখোয়ায় একটি সেনাছাউনিতে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা।

    বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ির ধাক্কা (Pakistan)

    বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি দুরন্ত গতিতে গিয়ে ধাক্কা মারে সেনা ছাউনির দেওয়ালে। মৃত্যু হয় ১২ জওয়ানের। জওয়ানদের ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ছ’জন জঙ্গির। জঙ্গিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এই হামলার নেপথ্যে কারা, সে বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে পাক সেনা। যদিও হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে গুল বাহাদুর গ্রুপ নামের এক জঙ্গি গোষ্ঠী।

    হামলা হয়েছে আগেও

    এই প্রথম নয়, খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশে আগেও একাধিকবার হামলা চালিয়েছে (Pakistan) তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান এবং গুল বাহাদুর গ্রুপ। গুল বাহাদুর গ্রুপ সুপ্রিমো হাফিজ গুল বাহাদুর এক সময় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান ছিলেন। পরে নয়া সংগঠন গড়েন। তার পর থেকেই দুই জঙ্গি গ্রুপ মাঝে মধ্যেই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে খাইবার-পাখতুনখোয়া এলাকায়। অক্টোবর মাসের শেষের দিকে ওই এলাকায় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (Pakistan) হামলায় পাকিস্তানের ১০ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। নভেম্বরে বালুচিস্তানের কোয়েটা রেলস্টেশন বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। সেবার মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জনের। জখমও হয়েছিলেন অনেকে। সেই বিস্ফোরণে যাঁরা মারা গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে পাক সেনা ছিলেন ১৪ জন।

    আরও পড়ুন: ভারত-চিন সম্পর্ক এখন একটি নয়া সূচনাবিন্দুতে পৌঁছেছে, বলছে বেজিং

    সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের মতে, চলতি বছরের তৃতীয় কোয়ার্টারে পাকিস্তানে হিংসার ঘটনা বেড়েছে ৯০ শতাংশ। এদিন যে হামলা হয়েছে, তার ঠিক এক দিন আগে দেশের সামরিক ও অসামরিক নেতৃত্ব বালুচিস্তানে জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের অনুমোদন দিয়েছিল। গত কয়েক মাসে ওই প্রদেশে একাধিক প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে। তার প্রেক্ষিতেই জঙ্গি দমনে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাক প্রশাসন। তার পরেই সেনার (Khyber Pakhtunkhwa) ওপর হামলা করে জঙ্গিরা বুঝিয়ে দিল, পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই (Pakistan)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: বাংলাদেশ থেকে নকল টাকা এনে মহাকুম্ভে ছড়ানোর চক্রান্ত, বাংলার জাকিরের খোঁজে পুলিশ

    Uttar Pradesh: বাংলাদেশ থেকে নকল টাকা এনে মহাকুম্ভে ছড়ানোর চক্রান্ত, বাংলার জাকিরের খোঁজে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভে নকল টাকা ছড়ানোর চক্রান্ত ভেস্তে দিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (ATS)। মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, এটিএস প্রয়াগরাজ এলাকার কাছে সারনাথ থেকে সুলেমান ও ইদ্রিশ নামে দু’জনকে আটক করে। তাদের কাছে প্রায় ১.৯৭ লক্ষ মূল্যের নকল টাকা মেলে। এদের ধরতে পারলেও পুলিশ এখন জাকিরের খোঁজ চালাচ্ছে। পুলিশের অনুমান, এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড জাকির।

    বাংলার যোগ

    উত্তরপ্রদেশ এটিএস সূত্রে খবর, জাকির পশ্চিমবঙ্গের মালদার বাসিন্দা। জাকিরই সুলেমান ও ইদ্রিশকে ভুয়ো মুদ্রা সরবরাহ করত। যেগুলি তারা উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানে বিতরণ করত। তদন্তে জানা গিয়েছে যে, জাকির ভুয়ো ভারতীয় মুদ্রা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসত। সুলেমান ও ইদ্রিশ, বিহারের বৈশালী জেলার বাসিন্দা। মালদায় সুলেমানের পরিচয় হয়েছিল জাকিরের সাথে। সুলেমানকে জাল টাকা সহ আগেও বিহার পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তখন সে হাজিপুর জেলে প্রায় ৬ মাস ছিল।

    কীভাবে অভিযান

    এটিএস-এর (ATS) ইনস্পেক্টর ভারতভূষণ তিওয়ারি সারনাথ থানায় ইতিমধ্যেই একটি মামলা নথিভুক্ত করেছেন। জানা গিয়েছে, ১৯ নভেম্বর এটিএস গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, একটি দল ভুয়ো মুদ্রা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বারাণসীতে এসেছে। পুলিশ সন্দেহভাজনদের খোঁজ করতে শুরু করে। ফরিদপুর বাইপাসে দুজন ব্যক্তিকে ব্যাগসহ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে পুলিশ। পুলিশকে সামনে দেখে পালিয়ে যায় তারা। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ তাদের ধরে ফেলে। তাদের কাছে ছিল একটি মোবাইল ফোন, প্যান কার্ড, টিকিট ও নগদ টাকা। তাদের কাছ থেকে ৫০০ টাকার ভুয়ো নোটের ব্যান্ডেল উদ্ধার হয়। 

    আরও পড়ুন: মোদির মুকুটে নয়া পালক, গায়ানা-বার্বাডোজেও সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান প্রধানমন্ত্রীকে

    জেরায় সুলোমান ও ইদ্রিশ জানায়, দুই দিন আগে তারা বৈশালী থেকে মালদা এসেছিল এবং জাকির তাদের প্রায় ২ লক্ষ টাকার ভুয়ো নোট সরবরাহ করেছিল। তারা আরও জানায় যে, তারা পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসার পর ভুয়ো নোটগুলি বারাণসীতে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছিল এবং বাকি নোটগুলি আগামী জানুয়ারি মাসে পরবর্তী মহাকুম্ভ মেলা উপলক্ষে প্রয়াগরাজে ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: “সাদা পোশাক পরলেই পুলিশ হওয়া যায় না”, চরম ভর্ৎসনা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের

    Calcutta High Court: “সাদা পোশাক পরলেই পুলিশ হওয়া যায় না”, চরম ভর্ৎসনা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) চরম ভর্ৎসনার মুখে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিক। এক ব্যক্তির বাড়িতে হামলার ঘটনায় রাজারহাট থানার পুলিশ তদন্ত করে। সেই তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে বুধবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সরকারি আইনজীবীকে রাজারহাট থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করেন।

    “সাদা পোশাক পরলেই পুলিশ হওয়া যায় না” (Calcutta High Court)

    রাজারহাটে এক মামলাকারীর (Calcutta High Court) বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন ১২ জন এসেছিল হামলা করতে। আক্রান্ত ব্যক্তি তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আদালত ধর্তব্যযোগ্য কি না, তা জানতে নিম্ন আদালতে আবেদন করে পুলিশ। পুলিশের এই আবেদনে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, “এটাই বেআইনি। যেখানে পুলিশ আদালতগ্রাহ্য অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে, সেখানে নিম্ন আদালতের অনুমতির কোনও প্রয়োজন নেই। এই আইনটুকু যদি না জানে পুলিশ, তাহলে কীভাবে মানুষ বিচার পাবে?” এর পরই তাঁর প্রশ্ন, “আপনার মনে হয় এই পুলিশ অফিসারদের থানায় থাকার যোগ্যতা রয়েছে? কীভাবে ফৌজদারি মামলার তদন্ত করতে হয়, সেটা এরা জানে বলে মনে হচ্ছে আপনার? অভিযোগ যা আছে সেই অনুযায়ী তদন্ত কোথায়? এই অফিসারদের আইনের জ্ঞান কতটা? কমিশনারের জানা দরকার তিনি কাদের নিয়ে কাজ করছেন। সাদা পোশাক পরলেই পুলিশ (Kolkata Police) হওয়া যায় না।”

    আরও পড়ুন: ২৫ হাজার কার্ডের নম্বর এক! রাজ্যে বিপুল ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড আবিষ্কার কমিশনের

    মামলায় চূড়ান্ত নির্দেশ কবে?

    ক্ষুব্ধ বিচারপতির মন্তব্য, “এই মামলায় (Calcutta High Court) অভিযোগের ভিত্তিতে যে রকম ভাবে তদন্ত হওয়ার দরকার, সেরকম তদন্ত করতে হবে। এই শেষ সুযোগ পুলিশকে। এরপর যদি এমন ত্রুটি দেখা যায় তাহলে পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিতে বাধ্য হব।” বিচারপতির আরও মন্তব্য, “নিউটাউন আর রাজারহাট থানা নিয়ে একই সমস্যা।” ৫ ডিসেম্বর এই মামলায় চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে আদালত। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে একই ধরনের একটি মামলায় নিউটাউন থানার আইসি প্রসাদ রায়কে তুমুল ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি ঘোষ। তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Poorvi Prahar: অরুণাচলে ‘অপারেশন পূর্বী প্রহার’! চিন সীমান্তে ভারতের তিন বাহিনীর মহড়া

    Poorvi Prahar: অরুণাচলে ‘অপারেশন পূর্বী প্রহার’! চিন সীমান্তে ভারতের তিন বাহিনীর মহড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচলের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) যৌথ যুদ্ধ মহড়া শেষ হল মঙ্গলবার। ‘অপারেশন পূর্বী প্রহার’ নামে গত আট দিন ধরে চলা যুদ্ধাভ্যাসের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে সেনা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই প্রস্তুতি।

    কেন এই মহড়া

    ভারতের সামরিক বাহিনীর তিন শাখা অরুণাচল প্রদেশে ‘ইস্টার্ন স্ট্রাইক’ মহড়া চালাচ্ছে। এই যৌথ মহড়ার উদ্দেশ্য হল প্রতিকূল পার্বত্য অঞ্চলে যৌথ অভিযান চালানোর জন্য ভারতীয় বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করা। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, পূর্ব লাদাখে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে চিনের সঙ্গে আলোচনার ইতিবাচক পরিণতির পরে এ বার সিকিম এবং অরুণাচলে ‘নজর’ দিতে চাইছে নয়াদিল্লি। তারই প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে এই ‘পূর্বী প্রহার’ বা ‘ইস্টার্ন স্ট্রাইক’ মহড়া।

    প্রকৃত যুদ্ধ পরিস্থিতির মোকাবিলা 

    সেনা সূত্রের খবর, চিন সীমান্তে এই মহড়ায় যোগ দেয় বায়ুসেনার বিভিন্ন যুদ্ধবিমান ও নজরদারি বিমান, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার’ রুদ্র। আমেরিকা থেকে আনা ১৫৫ মিলিমিটারের এম-৭৭৭ আলট্রালাইট হাউইৎজারের পাশাপাশি সোয়ার্ম ড্রোন, ফার্স্ট পার্সন ভিউ (এফপিভি) ড্রোন, এবং লয়টারিং মিউনিশন (আত্মঘাতী ড্রোন)-সহ অত্যাধুনিক নানা প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক ব্যবহার করেছে সেনা। দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগে সেনার তিন শাখার জওয়ান ও অফিসারেরা পরিচিত হয়েছেন। প্রকৃত যুদ্ধ পরিস্থিতির কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় তা, তরুণ অফিসারদের শেখানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: মোদির মুকুটে নয়া পালক, গায়ানা-বার্বাডোজেও সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান প্রধানমন্ত্রীকে

    PM Modi: মোদির মুকুটে নয়া পালক, গায়ানা-বার্বাডোজেও সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান প্রধানমন্ত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে জি২০ শীর্ষ বৈঠক শেষে বুধবার গায়ানা পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গায়ানায় দু’দিন কাটিয়ে শুক্রবার দেশের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। ইতিমধ্যে গায়ানা ও বার্বাডোজ প্রশাসন ঘোষণা করেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তাদের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান প্রদান করা হবে। বুধবারই গায়ানার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করার অঙ্গীকার করেন তিনি। দুই দেশের মধ্যে শক্তি সম্পদের আদান প্রদান প্রসঙ্গেও কথা হয়।

    ৫৬ বছর পর গায়ানায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী 

    বুধবার সকালে গায়ানায় অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিমান। বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন গায়ানার প্রেসিডেন্ট মহম্মদ ইরফান আলি। ছিলেন দেশের গুরুত্বপূর্ণ নেতানেত্রীরাও। উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালের পরে এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী গায়ানা সফরে গেলেন। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী গায়ানায় গিয়েছিলেন। তার পর দীর্ঘ ৫৬ বছর গায়ানার মাটিতে পা পড়েনি কোনও ভারতীয় রাষ্ট্রনেতার। গায়ানায় প্রায় ৩ লক্ষ ২০ হাজার ভারতীয় বংশোদ্ভূতের বাস। মোদিকে সে দেশে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন তাঁরাও। প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস, দু’দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করবে তাঁর এই গায়ানা সফর।

    শক্তি-সম্পদ নিয়ে আলোচনা

    গায়ানার প্রচলিত শক্তি-উৎসের সঙ্গে ভারতের অপ্রচলিত শক্তির উৎস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে গায়ানার প্রেসিডেন্ট মহম্মদ ইরফান আলির কথা হয়েছে। গায়ানার জ্বালানি শক্তির ব্যবহার যদি ভারতে করা যায় সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের উপর নির্ভরশীলতা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই দুই দেশের মধ্যে শক্তি-সম্পদের আদান-প্রদানের উপর জোর দিচ্ছে ভারত।

    প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান

    দিন দুয়েক আগেই নাইজেরিয়া তাদের দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মানে সম্মানিত করে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। এবার গায়ানা ও বার্বাডোজও সর্বোচ্চ সম্মানে সম্মানিত করল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। জানা গিয়েছে, গায়ানা তাদের দেশের সর্বোচ্চ সম্মান ‘দ্য অর্ডার অব এক্সিলেন্স’-এ সম্মানিত করবে। বার্বাডোজে “অনারারি অর্ডার অব ফ্রিডম অব বার্বাডোজ” সম্মানে সম্মানিত করা হবে প্রধানমন্ত্রীকে। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্মানের সংখ্যা ১৯-এ পৌঁছল। তাঁর দক্ষ নেতৃত্ব ও দেশের জন্য ত্যাগ এবং সুকৌশল আন্তর্জাতিক মহলে সমাদৃত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pollution: দিল্লির পরই লখনউ-পাটনা, কলকাতাসহ দেশের অন্য শহরের দূষণের চিত্র কেমন?

    Pollution: দিল্লির পরই লখনউ-পাটনা, কলকাতাসহ দেশের অন্য শহরের দূষণের চিত্র কেমন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে দূষণ (Pollution)। তবে, দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় দিল্লিতে দূষণ-মাত্রা অত্যন্ত ভয়ানক পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত কয়েক দিনের পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে। তবে, দিল্লির দূষণ নিয়ে যখন গোটা দেশে চর্চা হচ্ছে, সেই তালিকায় খুব একটা পিছিয়ে নেই দেশের আরও দুই শহর লখনউ এবং পাটনা।

    দিল্লির দূষণের গুণগত মান কত?(Pollution)

    সিপিসিবি-র তথ্য অনুযায়ী, বাতাসের গুণগত মান যদি শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তা হলে তা ভালো পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। ৫১-১০০ (সন্তোষজনক), ১০১-২০০ (সামান্য খারাপ), ২০১-৩০০ (খারাপ), ৩০১-৪০০ (খুব খারাপ), ৪০১-৫০০ (অতি ভয়ানক)। মঙ্গলবার রাজধানীতে বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) ৫০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। আর তার সঙ্গেই দেশের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় নাম উঠে এসেছে দিল্লির। কেন্দ্রীয় দূষণ (Pollution) নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (সিপিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, দূষণে দিল্লির পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে পাটনা এবং লখনউ। পটনায় বাতাসের গুণগত মান ৩৫০ এবং লখনউয়ে ৩২১। যা খুব খারাপ পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। উত্তরপ্রদেশের আটটি জেলাতেও দূষণের ছবি উদ্বেগজনক বলেই জানা গিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মিরাট, গাজিয়াবাদ, শামলি, বুলন্দশহর, মুজফ্ফরনগর, হাপুর, বাগপত এবং গৌতমবুদ্ধ নগর। রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজকুমার সিং ইতিমধ্যেই সমস্ত জেলা প্রশাসনকে দূষণ পরিস্থিতির ওপর নজরদারি চালানোর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: বন্ধু মাক্রঁ ও স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাত মোদির, জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে কী নিয়ে আলোচনা?

    দেশের অন্যান্য শহরের কী অবস্থা?

    বিহারের রাজধানী পাটনা সহ বেশ কয়েকটি জেলায় বাতাসের গুণগত মান খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় দূষণ (Pollution) নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তথ্য বলছে, দানাপুরে বাতাসের গুণগত মান ৩৩২। পাটনার পরই। তার পরই রয়েছে হাজিপুর। সেখানে বাতাসের গুণগত মান ৪০৩। গয়ায় ২৯৪, আরারিয়ায় ২২১। তবে, পূর্ণিয়ায় বাতাসের গুণগত মান সন্তোষনজক। দিল্লি, পাটনা এবং লখনউ ছাড়াও কলকাতা-সহ দেশের অন্য শহরগুলির দূষণের ছবিটা কেমন? সিপিসিবি-র তথ্য অনুযায়ী, দিল্লি, পাটনা এবং লখনউয়ের পরেই রয়েছে ভোপাল (২০৯)। তার পর চণ্ডীগড় (২০৪), কলকাতা (Kolkata) (১৭৬), জয়পুর (১৪৯), ভুবনেশ্বর (১৩৭), রায়পুর এবং বেঙ্গালুরু (১২৮), চেন্নাই (১২২), আহমেদাবাদ (১১০)। খারাপ এবং সামান্য খারাপ পর্যায়ের মধ্যে রয়েছে এই সব শহরের বাতাসের গুণগত মান। মুম্বইয়ে বাতাসের গুণগত মান সন্তোষজনক (৯৯)। তবে অসমের গুয়াহাটি (৪৮) এবং কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে (৬৬) বাতাসের গুণগত মান ভালো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Winter infections: তাপমাত্রার পারদ নামতেই বাড়ছে সংক্রমণ! হাঁচি-কাশি-গলাব্যথার মতো নানা উপসর্গে কাবু?

    Winter infections: তাপমাত্রার পারদ নামতেই বাড়ছে সংক্রমণ! হাঁচি-কাশি-গলাব্যথার মতো নানা উপসর্গে কাবু?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের পরেই বদলে গিয়েছে আবহাওয়া। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই কমেছে। তবে আবহাওয়ার এই বদলে‌ বাড়ছে ভোগান্তি। বিশেষত প্রবীণদের একাংশ বাড়তি ভোগান্তির শিকার। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ষাটোর্ধ্বদের অধিকাংশের হাঁচি-কাশি-গলাব্যথার মতো নানান উপসর্গ (Winter infections) দেখা দিচ্ছে। আবার ফুসফুসের নানান সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ছে। ফলে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। একাধিক ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের জেরে জ্বরও হচ্ছে। 

    কেন এই আবহাওয়ায় বাড়ছে নানা রোগের দাপট? (Winter infections)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশু এবং বয়স্কদের মধ্যেই নানা রোগের প্রকোপ বাড়ছে‌। তবে এই বছরে বয়স্কদের ভোগান্তি বেশ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। অধিকাংশ প্রবীণ নাগরিক নানা ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের জেরে জ্বরে আক্রান্ত। তার সঙ্গে দেখা দিচ্ছে বক্ষঃরোগের দাপট। শ্বাসনালীতে সংক্রমণও দেখা দিচ্ছে। যার জেরে হাঁচি-কাশির মতো সমস্যা হচ্ছে। নানান অ্যালার্জি ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শহরের একাধিক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় আক্রান্ত প্রবীণ রোগীদের ভিড় বাড়ছে। বিশেষত ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে আক্রান্তদের ভোগান্তি বেশি হচ্ছে।

    এই ভোগান্তির অন্যতম কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতের শুরুতে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়। এর জেরে একদিকে তাপমাত্রার পারদ হঠাৎ করেই কমে যায়। আবার, বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়। আর সব মিলিয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠে একাধিক ভাইরাস। ফলে ভোগান্তি (Sneezing-cough-sore throat) বাড়ে। তার উপরে প্রবীণদের মধ্যে ফুসফুসের রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তাই এই আবহাওয়াতে ভোগান্তি বাড়ছে।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বিশেষত বয়স্কদের সুস্থ থাকার জন্য বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রবীণদের অনেকেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যায় ভোগেন (Winter infections)। তার জন্য নিয়মিত ওষুধ খান। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। সেই ওষুধের ডোজে হেরফের করা চলবে না। এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। নিয়মিত কিছু শারীরিক কসরত করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতের শুরুতে অনেকেই পেশি ও রক্ত সঞ্চালনের নানা সমস্যায় ভোগেন। তাই নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক কসরত নিয়মিত করা জরুরি। এতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হবে। শরীর সুস্থ থাকবে।

    জল পর্যাপ্ত খাওয়া জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার পারদ পড়ে যাওয়ায় অনেকেই জল খেতে চান না। ফলে শরীরে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি তৈরি হয়। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে শরীরে ভাইরাস সংক্রমণের (Winter infections) ঝুঁকিও কমানো সহজ হয়।

    খাবারে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সহজপাচ্য খাবার নিয়মিত খেতে হবে। তবে ব্যালান্স ডায়েট জরুরি। অর্থাৎ ভাত-রুটির সঙ্গে পরিমিত সব্জি, প্রাণীজ প্রোটিন যেমন মাছ-ডিম-মাংস নিয়মিত খাওয়া দরকার। সঙ্গে অবশ্যই রাখতে হবে দুধ কিংবা দুগ্ধজাত কোনও খাবার। তাহলে শরীর সহজে এনার্জি পাবে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বজায় থাকবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kho Kho World Cup: আইওএ-র সহায়তায় ভারতে বসতে চলেছে প্রথম খো-খো বিশ্বকাপের আসর, কবে থেকে?

    Kho Kho World Cup: আইওএ-র সহায়তায় ভারতে বসতে চলেছে প্রথম খো-খো বিশ্বকাপের আসর, কবে থেকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রের মুকুটে যুক্ত হতে চলেছে আরও একটি পালক। এবার খো খো বিশ্বকাপ (Kho Kho World Cup) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ভারতে। আগামী বছর বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব ১৩ থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দিল্লির আইজি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। এই ক্রীড়াযজ্ঞকে সফল করতে ভারতীয় খো খো ফেডারেশনের সঙ্গে হাতে হাত রেখে কাজ করবে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার একথা জানিয়েছেন আইওএ-র সভাপতি পিটি উষা।

    আইওএ-র সহায়তা 

    মোট ২৪টি দেশ থেকে ছেলে এবং মেয়েদের ১৬টি দল খো খো বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করবে। ভারতীয় খো খো ফেডারেশনে সভাপতি সুধাংশু মিত্তাল বলেন, ‘খো খোর উৎস ভারতে। এই বিশ্বকাপ দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরবে। খেলার প্রতিযোগিতামূলক দিকটাও প্রকাশ পাবে। যে খেলাটা মাটিতে শুরু হয়েছিল, এখন ম্যাটে হয়। বিশ্বের মোট ৫৪টি দেশ খেলে। আমরা ২০৩২ সালে অলিম্পিকে খো খোর অন্তর্ভুক্তি দেখতে চাই। এই বিশ্বকাপ সেই স্বপ্নের প্রথম পদক্ষেপ। তাই তাকে সফল করতে এগিয়ে এসেছে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। আমরা তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।’ 

    খো খো বিশ্বকাপের প্রস্তুতি

    দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশেই খো খো খেলা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইংল্যান্ডেও এই খেলার প্রচলন আছে। কাবাডির পর ভারতে এটাই সবচেয়ে ট্র্যাডিশনাল খেলা। ২০২২ সালের অগাস্টে ভারতে আল্টিমেট খো খো নামক একটি টুর্নামেন্ট হয়। সেটাই এই খেলার প্রথম পেশাদার লিগ। ফ্র্যাঞ্চাইজি‌ লিগের প্রথম বছর মোট ছটি দল অংশ নেয়। চ্যাম্পিয়ন হয় গুজরাট জায়ান্টস। খো খো বিশ্বকাপের অংশগ্রহণকারী দেশগুলির মধ্যে রয়েছে ঘানা, কেনিয়া, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ব্রাজিল এবং অস্ট্রেলিয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “মমতা বড় নাকি ভাইপো, তৃণমূলে এখন এটাই সব থেকে চিন্তার বিষয়”, তোপ দিলীপের

    Dilip Ghosh: “মমতা বড় নাকি ভাইপো, তৃণমূলে এখন এটাই সব থেকে চিন্তার বিষয়”, তোপ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাকদ্বীপে বিজেপির পক্ষ থেকে সদস্যপদ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশ মন্ত্রী করার যে দাবি উঠেছে সেই দাবি নিয়ে সেখানে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, এর মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের (Trinamool Congress) মধ্যে দুটি গোষ্ঠী তৈরি হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী যে ব্যর্থ তা পরিষ্কার হয়ে গেল। তাই তাঁর পদত্যাগ করা দরকার।

    মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত (Dilip Ghosh)

    কসবার গুলিকাণ্ডে অনুপ্রবেশকারী দুষ্কৃতীদের প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “ বিহার থেকে কিভাবে দুষ্কৃতীরা বাংলায় ঢুকল, তাও কি বিজেপি দেখবে। এটা পুলিশের ব্যর্থতা ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ব্যর্থতা।”  এর পাশাপাশি একাধিক বিষয় নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বোঝা দরকার মানুষের কাছে তাঁর আর গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাঁর নিজে থেকে পদত্যাগ করে নেওয়াটাই ভালো হবে।” একইসঙ্গে অশান্ত মণিপুর প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “মণিপুরের ঘটনা দীর্ঘদিনের। এর আগেও একাধিক মানুষের প্রাণ গিয়েছে। যেহেতু মণিপুর এবং মায়ানমারের মধ্যে কোনও কাঁটাতার নেই, সেই কারণেই এই ঘটনা।”  

    আরও পড়ুন: ২৫ হাজার কার্ডের নম্বর এক! রাজ্যে বিপুল ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড আবিষ্কার কমিশনের

    পুলিশরা তৃণমূলের ক্যাডার!

    ই এম বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় জমি দখল নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “তৃণমূলের কালচারই হচ্ছে জমি হাতানো,  গরু পাচার, কয়লা পাচার করা। সরকারি জমি আবার কখনও বা সাধারণ মানুষের জমি জায়গা বাড়ি সমস্ত কিছুই দখল করে নিয়ে দাদাগিরি করা। আর তার জন্য পুলিশদের তৃণমূল ক্যাডার হিসেবে ব্যবহার করেছে। আর যে কারণেই কখনও জমিদখলকে কেন্দ্র করে কখনও বা পুকুর দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীর মধ্যে গুলি চলছে, বোমাবাজি হচ্ছে। তৃণমূলের মধ্যে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড় হবে, নাকি ভাইপো বড় হবে সেটাই এখন ওদের সবথেকে চিন্তার বিষয়। আর যে কারণেই ভাইপোকে পুলিশ মন্ত্রী করার দাবি জানিয়েছেন ওদের দলের নেতারা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share