Tag: Madhyom

Madhyom

  • BJP: ‘‘ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উৎখাত করতে হবে’’, বললেন বিজেপি প্রার্থী চম্পাই সোরেন

    BJP: ‘‘ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উৎখাত করতে হবে’’, বললেন বিজেপি প্রার্থী চম্পাই সোরেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারাইকেলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) প্রার্থী এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন সোমবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে (Jharkhand Assembly Election) তাঁর দলের জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্যে প্রথম দফার ভোট হয়ে গিয়েছে। বুধবার দ্বিতীয় দফার ভোট। তার আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে বিজেপি (BJP) এই রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী? (BJP)

    এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলার সময় বিজেপি (BJP) প্রার্থী চম্পাই সোরেন বলেন, ‘‘আমরা ঝাড়খণ্ডে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জিতব। সাঁওতাল পরগনায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ সবচেয়ে বড় সমস্যা, আমাদের অনুপ্রবেশকারীদের উৎখাত করতে হবে।’’ এর আগে অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড নির্বাচনের বিজেপি সহ-ইনচার্জ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন যে প্রচারে ভালো সাড়া মিলেছে। এবার এই রাজ্যে জনগণ রাজ্যে একটি ডাবল ইঞ্জিন সরকার চায়। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘‘আমরা গত ৪ মাস ঝাড়খণ্ডে কাটিয়েছি। মানুষ প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্য খুবই উচ্ছ্বসিত। মানুষ ডাবল ইঞ্জিনের সরকার চায়। ঝাড়খণ্ডে উন্নয়ন হওয়া উচিত। জনগণের আকাঙ্খা পূরণ করা এই নির্বাচনে আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘‘আমরা আত্মবিশ্বাসী যে এনডিএ রাজ্যে সরকার গঠন করবে। মানুষ চায় সরকার আসুক, অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, যুব ও মহিলাদের আশা পূরণ হোক। আমি মনে করি আমরা নির্বাচনে ভালো প্রচার চালিয়েছি। আমাদের দলে কর্মীরা একসঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করেছে। আমি নিশ্চিত যে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করব। ’’

    আরও পড়ুন: বন্ধু মাক্রঁ ও স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাত মোদির, জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে কী নিয়ে আলোচনা?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: অসমের করিমগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে হল শ্রীভূমি, ঘোষণা হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    Himanta Biswa Sarma: অসমের করিমগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে হল শ্রীভূমি, ঘোষণা হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের (Assam) করিমগঞ্জ জেলার নাম পরিবর্তন করে হবে শ্রীভূমি জেলা। যার অর্থ মা লক্ষ্মীর ভূমি। সিলমোহর পড়েছে অসমের রাজ্য ক্যাবিনেটে। এছাড়া ক্যাবিনেট বৈঠকে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তেও সিলমোহর পড়েছে। কেন করিমগঞ্জের নাম বদল করা হয়েছে, এর পিছনে যুক্তিও ব্যাখ্যা করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)।

    কী বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী? (Himanta Biswa Sarma)

    দিসপুরে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma) বলেন,“ আমরা অসমের বিভিন্ন জেলায় বেশ কয়েকটি গ্রামীণ এলাকার নাম পরিবর্তন করেছি। রাজ্য মন্ত্রিসভা করিমগঞ্জ জেলার নাম পরিবর্তন করে শ্রীভূমি জেলা করতে সম্মত হয়েছে। এর নতুন নাম হবে শ্রীভূমি।” ঐতিহাসিক এবং ভাষাগত প্রাসঙ্গিকতার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা ধীরে ধীরে সেই সব জায়গার নাম পরিবর্তন করব যেখানে ঐতিহাসিক বা আভিধানিক অর্থ নেই। অসমের আরও বহু গ্রাম, অঞ্চলের নামও পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন করা হবে।” নতুন নামকরণের এই সিদ্ধান্তকে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন,  “উদাহরণস্বরূপ, কালাপাহাড় ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ নয়। একইভাবে করিমগঞ্জও অর্থহীন। অসমীয়া এবং বাংলা অভিধান করিমগঞ্জের কোনও অর্থ নেই।”  একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে, ‘‘এই পদক্ষেপটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও সম্মান জানানো হবে। কারণ, তিনি এই অঞ্চলটিকে অবিভক্ত ভারতের শ্রীভূমি হিসেবে মনোনীত করেছিলেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক শতাব্দীরও বেশি আগে অসমের বর্তমান করিমগঞ্জ জেলাকে শ্রীভূমি বা মা লক্ষ্মীর দেশ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। অসম মন্ত্রিসভা আমাদের জনগণের এই দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ করেছে।’’

    অসমের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন সুকান্ত

    কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “অসমের মানুষের স্বপ্নপূরণ হল। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেওয়া নাম ক্যাবিনেটে অনুমোদন করায় অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে (Himanta Biswa Sarma) ধন্যবাদ জানাই।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Moody’s: বাংলাদেশের ঋণমান ফের কমাল মুডি’স, ইউনূসের দেশের অর্থনীতির পূর্বাভাসও ‘নেতিবাচক’

    Moody’s: বাংলাদেশের ঋণমান ফের কমাল মুডি’স, ইউনূসের দেশের অর্থনীতির পূর্বাভাসও ‘নেতিবাচক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের হাল ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladeshs Ratings) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। সম্প্রতি এ খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ। এহেন আবহে প্রকাশ্যে এল আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডি’স-এর রিপোর্ট (Moody’s)। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের দীর্ঘমেয়াদি ঋণমান এবং সিনিয়র আনসিকিওরড রেটিংস ‘বি ১’ থেকে কমিয়ে ‘বি ২’ করেছে। স্বল্পমেয়াদি ঋণমান রেটিংসকে ‘নট প্রাইম’ বা ‘শ্রেষ্ঠ গুণসম্পন্ন নয়’ করা হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস স্থিতিশীল থেকে কমিয়ে করা হয়েছে নেতিবাচক। এর আগে, গত মে মাসে বাংলাদেশের ঋণমান এক ধাপ কমিয়ে ‘বিএ৩’ থেকে ‘বি১’-এ নামিয়ে দেয় মুডি’স।

    রাজনৈতিক ঝুঁকি (Moody’s)

    মুডি’স সোমবার জানিয়েছে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার ফলে সরকার পরিবর্তন হয়েছে, যা রাজনৈতিক ঝুঁকি বাড়িয়েছে এবং নিম্নতর প্রবৃদ্ধি তৈরি করেছে। এর ফলে সরকারি অস্থিরতার ঝুঁকি, বৈশ্বিক ভঙ্গুরতা এবং ব্যাঙ্কিং খাতের ঝুঁকি বেড়েছে। বিশ্বব্যাপী এই রেটিং সংস্থা জানিয়েছে, চলমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং দুর্বল প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশকে তার ঘাটতি পূরণের জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে স্বল্পমেয়াদি অভ্যন্তরীণ ঋণের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য করছে, যা আদতে বাড়াচ্ছে লিক্যুইডিটি ঝুঁকি।

    মুডিসে’র বক্তব্য

    মুডি’স (Moodys) জানিয়েছে, সম্পদের গুণগত মানের ওপর উচ্চ ঝুঁকি ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় কাঠামোগতভাবে দুর্বল মূলধন ও লিক্যুইডিটিকে আরও জোরদার করে, সার্বভৌম সরকারের জন্য সম্ভাব্য দায়বদ্ধতার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। উন্নত রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ঋণ বিতরণ করা সত্ত্বেও, গত কয়েক বছরে মজুত অর্থ ধারাবাহিকভাবে কমে যাওয়ায় বহিরাগত ঝুঁকি দুর্বল রয়ে গিয়েছে।

    উচ্চ সামাজিক ঝুঁকি, একটি সুস্পষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপের অভাব, আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং সম্প্রদায়ভিত্তিক উত্তেজনার পুনরুত্থান রাজনৈতিক ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলেছে। মুডি’স জানিয়েছে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে আরও নীচে নেমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এটি দেশের দুর্বল আর্থিক অবস্থাকে আরও চাপের মুখে ফেলতে পারে, বাড়িয়ে তুলতে পারে বহিরাগত ঝুঁকি।

    আরও পড়ুন: ‘‘এক দশকে দেশের ২৫ কোটি মানুষের দারিদ্রতা দূর করা গিয়েছে’’, জি২০ সম্মেলনে বললেন মোদি

    এই ঝুঁকিগুলি তৈরি হয়েছে দুর্বল দেশীয় চাহিদা এবং সাম্প্রতিক প্রতিবাদ ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে সরবরাহে বাধা থেকে। এটি রফতানি সম্ভাবনা অনিশ্চিত করে তুলছে, নষ্ট করছে রেডিমেড পোশাক ক্ষেত্রের সম্ভাবনাকে। মুডি’স এও জানিয়েছে, যদিও অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিস্তৃত সংস্কার অ্যাজেন্ডার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবুও তার বাস্তবায়ন ক্ষমতা অনিশ্চিত রয়ে গিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও উচ্চ বেকারত্ব (Bangladeshs Ratings) মোকাবিলায় ব্যর্থ হলে দুর্বল হয়ে পড়বে বাংলাদেশের (Moodys) রাজনৈতিক ভিত্তি। তাতে বিপদ বাড়বে বই কমবে না!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Nuclear War: দোরগোড়ায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ! পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের নীতি শিথিল করলেন পুতিন, কী কারণ?

    Nuclear War: দোরগোড়ায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ! পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের নীতি শিথিল করলেন পুতিন, কী কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি দোরগোড়ায়? এবার কি তবে পারমাণবিক যুদ্ধ (Nuclear War)? অন্তত এমনই আশঙ্কা দানা বেঁধেছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে (World War III)। সোমবারই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া ৬টি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে নিক্ষেপ করেছে ইউক্রেন। মঙ্গলবার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের নীতিতে বদলে এনে প্রয়োগের সীমা (Nuclear Weapons Doctrine) কমিয়ে এনেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। এর পরই, শঙ্কিত ইউরোপ। বিশ্বের আকাশে যে ক্রমেই যুদ্ধের মেঘ ঘনাচ্ছে, তা স্পষ্ট ন্যাটোর সদস্য দেশগুলির পরিস্থিতি দেখেও। ওই দেশগুলি ইতিমধ্যেই তাদের নাগরিকদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়ে পুস্তিকা বিলি করেছে।

    কী পরিবর্তন রাশিয়ার নয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের নীতিতে?

    পুতিনের স্বাক্ষর করা নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, শুধু পারণবিক অস্ত্র সমৃদ্ধ দেশের পাশাপাশি পরমাণু শক্তিধর নয় এমন দেশেও হামলা চালাতে পারবে রাশিয়া। অর্থাৎ, যদি কোনও পরমাণু শক্তিধর দেশের সাহায্যে রাশিয়ার মাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় কোনও পরমাণু শক্তিশূন্য রাষ্ট্র, সেক্ষেত্রেও পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে রাশিয়া। এক্ষেত্রে দেশটি পরমাণু শক্তিধর না হলেও হামলা চালাতে পিছুপা হবে না ক্রেমলিন।

    কী বলছে সুইডেন (Nuclear War)

    জানা গিয়েছে, সুইডেন তার নাগরিকদের পরমাণু যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কায় ‘আশ্রয় নিন’ বলে সতর্ক করে একটি পুস্তিকা বিলি করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে মাত্র পাঁচবার এমন পুস্তিকা বিলি করা হয়েছে। সেই পুস্তিকা এবার সুইডেনের প্রতিটি বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে কীভাবে এক সপ্তাহ আত্মনির্ভরশীল থাকা যায়, তা নিয়ে পরামর্শ দিয়ে একটি জরুরি পুস্তিকা প্রকাশ করেছে নরওয়ে-ও। এর মধ্যে একটি সর্বাত্মক যুদ্ধের সম্ভাবনাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

    ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ!

    বছর তিনেক ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) একাধিকবার যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেও, বন্ধ হয়নি সংঘাত। এহেন আবহে মঙ্গলবার রাতে ইউক্রেনীয় বাহিনী আমেরিকায় তৈরি ছ’টি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র (ATACMS) নিক্ষেপ করেছে রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকই এ খবর জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, এটি মস্কোর কাছে একটি বড় উসকানি হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রত্যাশিতভাবেই বাজতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ (World War III) এমনকী, পরমাণু যুদ্ধের (Nuclear War) দামামা।

    আরও পড়ুন: “মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ”, মেইতেই হত্যাকাণ্ডে মন্তব্য মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর

    অনেক ন্যাটো দেশ তাদের নাগরিকদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে বলছে। ডেনমার্ক ইতিমধ্যেই সে দেশের নাগরিকদের ইমেল পাঠিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, শুকনো খাবার, জল এবং ওষুধ মজুত করুন। জরুরি পরিস্থিতিতে, এমনকী পারমাণবিক হামলার (Nuclear War) সময়ও যাতে তিন দিনের জন্য বেঁচে থাকা যায়, তাই এগুলি মজুত করতে হবে।

    ফিনল্যান্ডও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine Russia War) ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে ঘটনা ও সঙ্কট মোকাবিলার প্রস্তুতি সম্পর্কে তাদের অনলাইন ব্রোশিওর আপডেট করেছে। এদিকে, মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি সংশোধিত পারমাণবিক নীতি অনুমোদন করেছেন (Nuclear Weapons Doctrine)। তার জেরে যুদ্ধের ১০০০তম দিনে পারমাণবিক উত্তেজনা (World War III) বৃদ্ধির আশঙ্কা তীব্রতর হয়ে উঠেছে বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের (Nuclear War)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Maharashtra Assembly Elections: মহারাষ্ট্রে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহাজুটি জোটকে পূর্ণ সমর্থন শিখ সম্প্রদায়ের

    Maharashtra Assembly Elections: মহারাষ্ট্রে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহাজুটি জোটকে পূর্ণ সমর্থন শিখ সম্প্রদায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে (Maharashtra Assembly Elections) মহারাষ্ট্রে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহাজুটি জোটকে পূর্ণ সমর্থনের কথা ঘোষণা করল শিখ সম্প্রদায়। সোমবার শিখ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, “গত আড়াই বছরে, সরকার গুরু নানক নাম লেবা সঙ্গত, শিখ, হিন্দু পাঞ্জাবি, লুবানা, সিকলিগার এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের কল্যাণে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে।” তারা আরও উল্লেখ করেছে, “বিজেপি সরকার শুধু এই সম্প্রদায়গুলির জন্য উপকারি ঘোষণাই করেনি, বরং তাদের উন্নতির জন্য ঐতিহাসিক পদক্ষেপও করেছে।”

    মহাজুটি জোটের পাশে শিখরা

    সোমবার মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি আসনের সবগুলিতেই প্রচার (Maharashtra Assembly Elections) শেষ হয়েছে। বুধবার ওই কেন্দ্রগুলিতে ভোটগ্রহণ হবে। বুধবার এক দফায় মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। গণনা ২৩ নভেম্বর। মূল লড়াই বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-এনসিপি-র (অজিত) জোট ‘মহাজুটি’এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি-র (শরদ) ‘মহাবিকাশ আঘাড়ি’র মধ্যে। সম্প্রতি, একজন শিখ সদস্যকে মহারাষ্ট্র সরকারের মাইনরিটি কমিশনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ১১ সদস্যের মহারাষ্ট্র রাজ্য পাঞ্জাবি সাহিত্য অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগগুলি স্পষ্টভাবে সরকারের উদ্দেশ্য এবং শিখ সম্প্রদায়ের কল্যাণ ও অগ্রগতির প্রতি প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে বলে মনে করা হচ্ছে।

    শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা গুরু নানক নাম লেবা সঙ্গত, শিখ, হিন্দু, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, সিকলিগার, বানজারা ও লুবানা সম্প্রদায় এই ইতিবাচক পদক্ষেপগুলির জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা আশাবাদী যে, সরকার ভবিষ্যতেও সমস্ত সম্প্রদায়ের কল্যাণে একই উদ্দেশ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করবে। তাই এই সম্প্রদায়ের সকল প্রতিনিধিদের মহাজুটি জোটকে ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছে শিখ সংগঠনটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’ ছবিকে করমুক্ত ঘোষণা করলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই

    Chhattisgarh: ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’ ছবিকে করমুক্ত ঘোষণা করলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোধরায় করসেবক ভর্তি ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হিন্দি সিনেমা ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’-কে ছত্তিশগড় (Chhattisgarh) সরকার করমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত একটি সরকারি বিবৃতি দিয়ে একথা জানানো হয়েছে।

     ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন? (Chhattisgarh)

    ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’ ছবিকে করমুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই সিনেমাটি দেখা উচিত। কারণ কেবলমাত্র অতীতের অধ্যয়নই আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যত সম্পর্কে আরও ভালো দিক নির্দেশনা দিতে পারে। সিনেমাটিতে সংবেদনশীলতার সঙ্গে বেদনাদায়ক ঘটনাটি উপস্থাপন করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এই সিনেমাটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়।  ইতিহাসের ভয়ঙ্কর সত্যকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সিনেমাটিতে বাস্তব ঘটনাটি তুলে ধরা হয়েছে।” প্রসঙ্গত, এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত বিক্রান্ত ম্যাসি অভিনীত ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’-এর প্রশংসা করেছিলেন। এই সিনেমাটি ২০০২ সালের গোধরা ট্রেন-কোচ পোড়ানোর ঘটনার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। প্রধানমন্ত্রী একজন এক্স ব্যবহারকারীকে উত্তর দিয়েছিলেন, যিনি সিনেমাটির প্রশংসা করেছিলেন। তাঁকে ছবিটির ট্রেলারের একটি ভিডিও দিয়ে ট্যাগ করেছিলেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “ভালো বলেছেন। এটা ভালো যে এই সত্য বেরিয়ে আসছে এবং সেটাও সাধারণ মানুষ দেখতে পাচ্ছে। একটি জাল বর্ণনা শুধুমাত্র একটি সীমিত সময়ের জন্য চলতে পারে। অবশেষে, সত্য সবসময় বেরিয়ে আসবে!”  

    আরও পড়ুন: ২৫ হাজার কার্ডের নম্বর এক! রাজ্যে বিপুল ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড আবিষ্কার কমিশনের

    একতা কাপুর কী বললেন?

    সিনেমাটি ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরা স্টেশন (গুজরাট) এর কাছে সবরমতি এক্সপ্রেসের এস-৬ কোচ পোড়ানোর ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। অযোধ্যা থেকে ফিরে আসা কমপক্ষে ৫৯ হিন্দু ধর্মাবলম্বী এই ঘটনায় পুড়ে মারা গিয়েছিলেন, যার ফলে দাঙ্গা শুরু হয়েছিল। মর্মান্তিক ঘটনার সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ধীরাজ সারনা পরিচালনা করেছেন। শোভা কাপুর, একতা আর কাপুর, অমুল ভি মোহন এবং আনশুল মোহন প্রযোজনা করেছেন এই সিনেমাটি। ট্রেলার লঞ্চ ইভেন্টের সময় চলচ্চিত্র নির্মাতা একতা কাপুর ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’  (The Sabarmati Report) সম্পর্কে কথা বলেছেন এবং কেন তিনি গল্পটি মানুষের কাছে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। একতা বলেন, “সিনেমাটিতে মর্মান্তিক ঘটনা এবং এর উৎপত্তি সম্পর্কে অজানা তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur Crisis: “মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ”, মেইতেই হত্যাকাণ্ডে মন্তব্য মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর

    Manipur Crisis: “মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ”, মেইতেই হত্যাকাণ্ডে মন্তব্য মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ নীরবতা ভাঙলেন মণিপুরের (Manipur Crisis) মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং (Biren Singh)। মেইতেই পরিবারের ছ’জন নারী ও শিশুকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনাকে তিনি অভিহিত করেছেন ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলে। তিনি জানান, অপরাধীদের ধরতে চলছে চিরুনি তল্লাশি। ১১ নভেম্বর সশস্ত্র বেশ কিছু জঙ্গি হামলা চালায় একটি ত্রাণ শিবিরে। কয়েকদিন পরে ওই শিবিরের মেলে আটজন মেইতেই বাসিন্দার দেহ। এই ঘটনার পর সিআরপিএফের সঙ্গে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় ১০ জন জঙ্গির। 

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী (Manipur Crisis)

    ১১ নভেম্বরের ঘটনা প্রসঙ্গে ভিডিও বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ আমি গভীর দুঃখ ও ক্ষোভ নিয়ে এখানে দাঁড়িয়ে আছি। জিরিবামে নিরীহ তিন শিশু ও তিন মহিলাকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। পরে উদ্ধার হয় তাঁদের দেহ। এমন বর্বরোচিত কাজ কোনও সভ্য সমাজে স্থান পেতে পারে না।” তিনি বলেন, “আমি আপনাদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে এই জঙ্গিদের খোঁজার কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই তাদের কাঠগড়ায় তোলা হবে। আমরা তাদের অমানবিক কাজের জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত না করা পর্যন্ত থামব না।”

    বাহিনীর প্রশংসা

    সিআরপিএফ এবং রাজ্য বাহিনীর প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন (Manipur Crisis), “সিআরপিএফ এবং রাজ্যের বাহিনীর অসাধারণ সাহস এবং তাদের কর্তব্যের প্রতি অঙ্গীকারের জন্য আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি আমার কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতিও কৃতজ্ঞ, যাঁরা রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।” তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি ২০ কোম্পানি সিএপিএফ পাঠিয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার ও শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আরও ৫০টি কোম্পানি পাঠানো হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম ভারতে আসছেন পুতিন

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান সংঘাত চলছে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রশ্ন নিয়ে।” তাঁর অভিযোগ, এই সংঘাতের বীজ বপন করা হয়েছিল ২০০৮ সালে, পি চিদম্বরম কর্তৃক জোমি রেভলিউশনারি আর্মি (জেডআরএ)-এর সঙ্গে একটি ‘সাসপেনশন অফ অপারেশন্স’ চুক্তি করার মাধ্যমে।জানা গিয়েছে, বর্তমান সংঘাত শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে, বীরেন সিংহ সরকার জেডআরএ-সহ দুই কুকি-জো বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে করা ওই চুক্তি থেকে সরে এসেছিল। এই গোষ্ঠীগুলি বনের জমি দখলকারীদের মধ্যে আন্দোলনকে প্রভাবিত করছে বলে অভিযোগ ওঠে। তার (Biren Singh) জেরেই বাতিল করা হয় চুক্তি (Manipur Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ফের নিম্নচাপের আশঙ্কা! রাজ্যে জাঁকিয়ে শীতের আগেই কি ফের দুর্যোগ?

    Weather Update: ফের নিম্নচাপের আশঙ্কা! রাজ্যে জাঁকিয়ে শীতের আগেই কি ফের দুর্যোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে শীতের আমেজ। দিন দিন পারদ কমেই চলেছে। এরমধ্যে নতুন করে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে তার অভিমুখ বঙ্গের দিকে হবে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। আপাতত ২১ নভেম্বর নাগাদ আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই ঘূর্ণাবর্ত ২৩ নভেম্বরের মধ্যে শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। সত্যিই যদি ঘূর্ণাবর্ত (Weather Update) থেকে সৃষ্ট নিম্নচাপটি বঙ্গ অভিমুখী হয়, তাহলে শীত (Winter) আসার আগে দুর্যোগ অপেক্ষা করে থাকবে।

    জাঁকিয়ে বসেছে ঠান্ডা (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) অফিস বলছে, ‘জেট স্ট্রিম’-এর হাত ধরে বঙ্গে ঠান্ডা জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। বুধবার কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর ছাড়া সারাটা দিন রৌদ্রজ্জ্বল। কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ২৮ ডিগ্রি এবং ১৮ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। সারাটা দিন যেমন তেমন চললেও সন্ধ্যা নামার পরে হিমেল হাওয়ায় বেশ ভালো রকম শীত অনুভূত হচ্ছে। আপাতত এই পরিস্থিতি চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কিন্তু প্রশ্ন হল, জেট স্ট্রিম কী? আবহাওয়াবিদরা বলছেন, “ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার ওপরে ঠান্ডা বাতাস ঘণ্টায় প্রায় ১৭০ কিলোমিটার গতিবেগে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঢুকে উত্তরের সমভূমির ওপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এটাই হচ্ছে জেট স্ট্রিম। এই বছর এখনও পর্যন্ত কোনও পশ্চিমি ঝঞ্ঝার বাধার মুখে পড়েনি। ফলে ঠান্ডা বাতাস অবাধে ঢুকছে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে। তার প্রভাব পড়ছে বঙ্গেও।

    আরও পড়ুন: ২৫ হাজার কার্ডের নম্বর এক! রাজ্যে বিপুল ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড আবিষ্কার কমিশনের

    কোথায় কত তাপমাত্রা?

    ইতিমধ্যে হেমন্তে (Weather Update) পুরুলিয়া টেক্কা দিচ্ছে কালিম্পংকে। পুরুলিয়ার পারদ ১২ ডিগ্রির ঘরে। বীরভূমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির আশেপাশে। ক্যানিং, ঝাড়গ্রাম, বর্ধমান, নদিয়াতে ঠান্ডার অনুভূতি বেশ। এই সব হচ্ছে উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে ছুটে আসা ঠান্ডা বাতাসের সৌজন্যে। আগামী পাঁচদিন একইরকম চলবে পরিস্থিতি। ফলে শীত না-হলেও শীতের আগমনী হিসেবে এই জোরালো ঠান্ডার অনুভূতি হবে সন্ধ্যা নামার পর।

    জেলায় জেলায় কুয়াশার দাপট

    পশ্চিম বর্ধমান বীরভূম মুর্শিদাবাদ পুরুলিয়া উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে কুয়াশার (Weather Update) সম্ভাবনা বেশি। এছাড়া হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা হতে পারে বিক্ষিপ্তভাবে বাকি জেলাতেও। এই সপ্তাহে এরকমই আবহাওয়া থাকবে। বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। ঘূর্ণাবর্তের তেমন কোনও প্রভাবের খবর আপাতত নেই। উত্তরবঙ্গে সকালের দিকে কুয়াশার চাদর থাকবে দার্জিলিং এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে। আপাতত ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা নেই। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা কুয়াশা সকালের দিকে থাকলেও বেলা বাড়লে পরিষ্কার আকাশের সম্ভাবনা। হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ইউনূসের পাকপ্রীতি! ইসলামাবাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

    Bangladesh: ইউনূসের পাকপ্রীতি! ইসলামাবাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনা দেশ (Bangladesh) ছাড়ার পর ভাঙা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি। দাবি উঠেছে, জিন্নাকে ‘জাতির পিতা’ ঘোষণার। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় জিন্নার মৃত্যুদিনে উর্দু শের-শায়েরি-বক্তৃতার আয়োজন দেখেছে ঢাকা। এবার একদা পাকসেনার গণহত্যার অপরাধের সাক্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামাবাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক ফোরাম সিন্ডিকেটের এক বৈঠকে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। গত ১৩ নভেম্বরের ওই সিদ্ধান্ত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

    কী বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ- উপাচার্য? (Bangladesh)

    হাসিনার জমানায় (Bangladesh) ২০১৫ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তৎকালীন উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘‘পাকিস্তান ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে টানা ন’মাস ধরে এ দেশে বিশেষত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা চালিয়েছে, এবং তা পরবর্তীকালে অস্বীকার করেছে। যত দিন না পাকিস্তান গণহত্যা এবং নির্যাতনের কথা স্বীকার করবে, ততদিন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে এ প্রতিষ্ঠান কোনও ধরনের সম্পর্ক রাখবে না।” তিনি জানান, ‘‘নতুন করে  বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও শিক্ষার্থী পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার জন্য যাবে না। পাকিস্তানে কোনও পড়ুয়াকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠনের সুযোগ দেওয়া হবে না।” সোমবার সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dhaka University) সহ- উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা বলেন, ‘‘এক সময় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছিল। আমাদের যেহেতু অ্যাকাডেমিক প্রতিষ্ঠান, ফলে অনেকে স্কলারশিপ নিয়ে কিংবা কনফারেন্সে যোগ দিতে যেতে চায়। সেই বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা সভায় আলোচনা করে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” এর ফলে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা পাকিস্তানে ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়শোনা করতে পারবে।

    আরও পড়ুন: বন্ধু মাক্রঁ ও স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাত মোদির, জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে কী নিয়ে আলোচনা?

    আলি জিন্নার প্রথম বিরোধিতা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে

    পাকিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পরে কায়েদ-এ-আজম মহম্মদ আলি জিন্নাকে প্রথম বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Bangladesh)। উর্দু চাপিয়ে দেওয়ার সরকারি নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে কার্জন হলে জিন্নার উপস্থিতিতেই ছাত্রছাত্রীরা আওয়াজ তুলেছিলেন-রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। মাতৃভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবোধের সেই প্রথম বহিঃপ্রকাশই পরবর্তীকালে পাথেয় হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে। পাকিস্তান সেনার অত্যাচারের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মী, বাঙালি সেনা আর আমজনতার মরণপণ লড়াই বদলে দিয়েছিল এশিয়ার মানচিত্র। জন্ম নিয়েছিল নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশ। পালাবদলের বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সে সবই এখন অতীত। নিন্দায় সরব মুক্তি যোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Pollution: বাতাসে বিষ, দিল্লিতে ঘরবন্দি মানুষ! প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃত্রিম বৃষ্টির আর্জি

    Delhi Pollution: বাতাসে বিষ, দিল্লিতে ঘরবন্দি মানুষ! প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃত্রিম বৃষ্টির আর্জি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের শুরু থেকেই দিল্লিতে দূষণের (Delhi Pollution) মাত্রা চরম আকার নিয়েছে। দিল্লি ও তার আশেপাশের অঞ্চলে দৃশ্যমানতা যথেষ্ট কমে যাচ্ছে। বুধবার রাজধানীর বাতাসের গুণমান সূচকের সামান্য উন্নতি হয়েছে। এদিন দিল্লির বাতাসের গুণমাণ সূচক নেমেছে ৫০০-র নীচে। তবে এখনই বিপদ কাটছে না রাজধানীর। সকাল থেকেই ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা দিল্লি এবং তার আশপাশের অঞ্চল। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তথ্য বলছে, বুধবার সকালে রাজধানীর বাতাসের গুণমান সূচক নেমেছে ৪২২ এ। 

    বিষ বাতাসে প্রাণ হাঁসফাঁস

    রবিবার থেকে টানা দিল্লির বায়ু দূষণ মাত্রা ‘সিভিয়ার প্লাস’ ক্যাটিগরিতে রয়েছে। অর্থাৎ ভয়ানক দূষিত রাজধানীর বাতাস। সাধারণত বাতাসের গুণমানের সূচক ৪৫০ অতিক্রম করলেই তা ‘অতি ভয়ানক’ বলে বিবেচিত হয়। গত কয়েক দিন রাজধানীর বাতাসের গুণমান সূচকের মান ৪৫০-র কাঁটা পেরিয়ে গিয়েছিল। বুধবার সে তুলনায় কিছুটা কম হলেও বিপদসীমার খুব কাছে দিল্লির গুণমান। দূষণ হ্রাসের ইঙ্গিত মিললেও এখনও দিল্লির ১২টির বেশি জায়গার বাতাস ‘অতি ভয়ঙ্কর’ পর্য়ায়ে রয়েছে। রাজধানী ও সংলগ্ন অঞ্চলে বাতাসের গুণমান পর্যবেক্ষণের জন্য মোট ৩৫টি কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় এক ডজন কেন্দ্রের বাতাসের গুণমান সূচক ভয়ানক পর্যায়ে রয়েছে। দিল্লির রোহিণী, আনন্দ বিহার, অশোক বিহার, নরেলা, আলিপুর, সনিয়া বিহার, বাওয়ান, মুন্ডকা এবং জাহাঙ্গিরপুরীর মতো এলাকায় বাতাসের গুণমাণ সূচক ৪৫০-এর উপর। আবার কয়েকটি জায়গায় গুণমান সূচক ৫০০ ছুঁয়েছে। 

    বাড়ি থেকেই কাজ

    মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবারও দিল্লিতে (Delhi Pollution) ঘন কুয়াশা থাকবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরা ফেরা করবে। বিষ বাতাসে যাতে সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও নিষ্কৃতি পায় তাই দিল্লিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ঘোষণা করেছে আপ সরকার। বুধবার দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই জানিয়েছেন, এবার থেকে দিল্লির সরকারি কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ বাড়ি থেকে কাজ করবেন। দূষণ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দিল্লির সমস্ত স্কুলে অনলাইনে পঠনপাঠনের শুরু হয়েছে। দিল্লি ও জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলিতেও অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে। দিল্লির পাশাপাশি গুরুগ্রাম এবং নয়ডার স্কুলগুলিতেও অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। 

    কৃত্রিম বৃষ্টির আর্জি

    একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করা সত্ত্বেও দিল্লির দূষণ (Delhi Pollution) নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। এ বার রাজধানী শহরে কৃত্রিম বৃষ্টির প্রয়োগ করার আর্জি জানিয়ে মঙ্গলবার দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। কেবলমাত্র দিল্লি নয়, উত্তর ভারত জুড়েই পরিস্থিতি দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। দৃশ্যমানতাও যথেষ্ট কম। ফলে বিমান পরিষেবা, রেল পরিষেবাও ব্যাহত হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share