Tag: Madhyom

Madhyom

  • Belgium Court: পলাতক মেহুল চোকসিকে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ বেলজিয়ামের আদালতের

    Belgium Court: পলাতক মেহুল চোকসিকে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ বেলজিয়ামের আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক প্রতারণা মামলায় মূল অভিযুক্ত পলাতক মেহুল চোকসিকে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দিল বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প আদালত (Belgium Court)। বেলজিয়াম পুলিশের হাতে চোকসি এবং ভারত সরকারের কৌঁসুলির যুক্তি শোনার পরে বিচারক তাঁর নির্দেশে (Mehul Choksi) বলেন, “চোকসিকে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের আবেদন বৈধ।”

    চোকসির বিরুদ্ধে তছরুপের অভিযোগ (Belgium Court)

    চোকসির বিরুদ্ধে ১৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে দেশ ছাড়া তিনি। সম্প্রতি খবর মিলেছে, ভারত ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে চোকসি রয়েছেন বেলজিয়ামে। এর পরেই চোকসিকে দেশে ফেরানোর জন্য ভারত সরকারের তরফে বেলজিয়ামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ১২ এপ্রিল বেলজিয়ামের পুলিশ একটি হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে বছর পঁয়ষট্টির চোকসিকে। আদালতে পেশ করার পর শুরু হয় প্রত্যর্পণের আইনি প্রক্রিয়া।

    বেলজিয়ামের জেলেই চোকসি

    গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে বেলজিয়ামের জেলেই রয়েছেন চোকসি। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা প্রতারণার মামলায় চোকসির বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের আদালতে দু’টি জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। ২০১৮ সালে সস্ত্রীক ভারত ছেড়েছিলেন চোকসি। গত সাত বছর ধরে পলাতক রয়েছেন এই ব্যবসায়ী। তাঁর মুম্বইয়ের একটি আবাসনের ফ্ল্যাটের দেখভালের জন্য বকেয়া রয়েছে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা। মুম্বইয়ের মালাবার হিল এলাকায় ওই আবাসনে নবম, দশম এবং একাদশ তল মিলিয়ে তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর নামে (Mehul Choksi)।

    জামিনের আবেদন খারিজ

    গত অগাস্টেই চোকসির জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় বেলজিয়ামের আদালত। কারণ ভারতের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি আদালতকে জানিয়েছিল, চোকসি একজন পাকা অপরাধী। জামিন পেলে অন্য কোনও দেশে পালিয়ে যেতে পারেন তিনি। প্রসঙ্গত, বেলজিয়ামের আগে মেহুল ধরা পড়েছিলেন ডমিনিকান রিপাবলিকে। সেখানে ভারতীয় সংস্থার বিরুদ্ধে অপহরণ করে তাঁকে ভারতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। গুজরাটের এই হিরে ব্যবসায়ী এখনও অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব নিয়ে রেখেছেন (Belgium Court)। জানা গিয়েছে, সিবিআই চোকসির বিরুদ্ধে প্রমাণ তুলে ধরতে তিনবার বেলজিয়ামে গিয়েছিল। আইনি সাহায্যের জন্য একটি ইউরোপীয় বেসরকারি আইন সংস্থাকে নিয়োগও করেছে। সংস্থাটি বেলজিয়ামের আদালতে চোকসির ভারতের অর্থনৈতিক অপরাধে জড়িত থাকার বিস্তারিত তথ্য ও তাঁর বিরুদ্ধে জারি হওয়া দু’টি খোলা গ্রেফতারি পরোয়ানার কপি জমা দেয়। এছাড়াও, সংস্থাটি আদালতকে জানায় যে অতীতে চোকসি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অ্যান্টিগুয়া থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন (Belgium Court)।

    প্রত্যর্পণ চাইছে ভারত

    চোকসিকে যাতে দেশের আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচার করা যায়, তাই তাঁর প্রত্যর্পণ চাইছে ভারত। এজন্য ভারত রাষ্ট্রসংঘের আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংঘবদ্ধ অপরাধ দমন সনদ (UNTOC) এবং রাষ্ট্রসংঘের দুর্নীতিবিরোধী সনদ (UNCAC)–সহ একাধিক আন্তর্জাতিক চুক্তির উল্লেখ করেছে। ভারত বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে, প্রত্যর্পণের পর চোকসিকে মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলের ব্যারাক নম্বর ১২-তে রাখা হবে (Mehul Choksi)। সেখানে ইউরোপীয় মান অনুযায়ী পরিষ্কার জল, খাবার, সংবাদপত্র, টেলিভিশন এবং ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সুযোগ-সুবিধা থাকবে।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব রাকেশ কুমার পাণ্ডে ৪ সেপ্টেম্বর বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষের (Belgium Court) কাছে পাঠানো এক চিঠিতে লিখেছেন, “মহারাষ্ট্র সরকারের একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার নিশ্চিত করছে যে চোকসিকে আর্থার রোড জেল কমপ্লেক্সের ব্যারাক নম্বর ১২-তে রাখা হবে। এছাড়াও নিশ্চিত করা হচ্ছে যে তাঁকে এমন একটি সেলে রাখা হবে, যেখানে তিনি অন্তত তিন বর্গমিটার ব্যক্তিগত স্থান (আসবাবপত্র বাদে) পাবেন, তাঁর সম্ভাব্য আটক (বিচার-পূর্ব ও দণ্ড-পরবর্তী) সময়কাল জুড়ে, যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হন।” পাণ্ডের আশ্বাস, চোকসিকে একাকী সেলে রাখা হবে না। তাঁকে উচ্চমানের নিরাপত্তাও দেওয়া হবে। তাঁকে পরিষ্কার মোটা তুলোর গদি, বালিশ, চাদর এবং কম্বল দেওয়া হবে। তিনি আরও নিশ্চিত করেন যে চোকসির সেল প্রতিদিন পরিষ্কার করা হবে এবং সেখানে নিয়মিত বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করা হবে। খোলা আকাশের নীচে তিনি ব্যায়াম, বিশ্রাম, দাবা ও কেরমের মতো বোর্ড গেম এবং ব্যাডমিন্টন খেলার সুবিধা পাবেন।

    চোকসির আইনজীবীর বক্তব্য

    যদিও চোকসির আইনজীবী জানিয়েছেন, অ্যান্টওয়ার্প আদালতের ওই নির্দেশকে উচ্চতর আদালতে চ্যালেঞ্জ জানানো হবে। তাই আপাতত ওই ব্যবসায়ীকে (Mehul Choksi) ভারতে আনা সম্ভব নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ উচ্চ আদালতে চোকসির আইনজীবীরা প্রত্যর্পণ ঠেকানোর চেষ্টা করবেন বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা (Belgium Court)। সূত্রের খবর, চোকসির বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের আদালতে যে দুটি জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে, মেহুলকে প্রত্যর্পণের জন্য মূলত আদালতের এই পরোয়ানাকেই হাতিয়ার করা হবে।

  • iPhone 17 Pro: দীপাবলির আগে চাহিদা মেটাতে বাজারে এলো ভারতে তৈরি আইফোন ১৭ প্রো

    iPhone 17 Pro: দীপাবলির আগে চাহিদা মেটাতে বাজারে এলো ভারতে তৈরি আইফোন ১৭ প্রো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলিকে কেন্দ্র করে ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে ভারতে তৈরি আইফেন ১৭ প্রো (iPhone 17 Pro) এবং প্রো ম্যাক্স (iPhone 17 Pro Max) এই সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন রিটেল স্টোরে পৌঁছতে শুরু করেছে। এতে করে দেশে সরবরাহ ঘাটতি কিছুটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও এই বছর দেশে উৎপাদন বেড়েছে, রিটেলারদের অভিযোগ— আইফোন (iPhone 16) সিরিজের তুলনায় এবার মাত্র ৬০ শতাংশ ইউনিটই সরবরাহ করা হয়েছে। তবুও, অ্যাপল-এর বিক্রি গত বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। বিশেষ করে নতুন ডিজাইনের আইফোন-এর প্রতি চাহিদা প্রবল।

    ভারতে চাহিদা প্রচুর

    গত বছরের তুলনায় এবার ভারতে তৈরি প্রো মডেলগুলোর বাজারে পৌঁছানোর সময় অনেকটাই কমেছে। সূত্র জানিয়েছে, “২০২৪-এ গ্লোবাল লঞ্চ আর ভারতে তৈরি ইউনিটের মধ্যে ৮ সপ্তাহের ব্যবধান ছিল, কিন্তু এবার সেই ব্যবধান অনেকটাই কম।”প্রাথমিকভাবে, আ্যাপল সাধারণত আমদানি করা ইউনিট দিয়েই বাজারে ধাপে ধাপে প্রবেশ করে, ফলে অনেক সময় সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হয়। তবে এবার অ্যাপল আগেভাগেই উচ্চ চাহিদা অনুমান করে আমদানি করা ইউনিটের সংখ্যাও বাড়িয়েছে। বর্তমানে ফক্সকন এবং টাটা পরিচালিত পেগাট্রন তৈরি করছে আইফোন ১৭ প্রো, এবং উইসট্রন (কর্নাটক ও হোসুরে) তৈরি করছে আইফোন ১৭-এর বেস মডেল। ফক্সকন-এর শ্রীপেরুম্বুদুর প্লান্টে তৈরি হচ্ছে অ্যাপল-এর সবচেয়ে স্লিম মডেল, আইফোন এয়ার (iPhone Air)। যদিও এই উৎপাদনের একটি বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে রফতানি হচ্ছে, তবে ভারতীয় বাজারও কিছুটা উপকৃত হচ্ছে।

    সেপ্টেম্বর ১৯ থেকে চলছে ঘাটতি

    অল ইন্ডিয়া মোবাইল রিটেলর অ্যাসোসিয়েশন (All India Mobile Retailers Association) এবং দক্ষিণ ভারতের ওআরএ (Organised Retailers of South India) জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর ১৯ থেকে প্রো মডেলগুলোর সংকট চলছে। অল ইন্ডিয়া মোবাইল রিটেলর অ্যাসোসিয়েশন (AIMRA) একটি চিঠিতে জানিয়েছে, “এই বছর আমাদের সদস্যরা গত বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ কম ইউনিট পেয়েছেন। এর ওপর অনেক সময় পুরনো আইফোন ১৫ ও ১৬ মডেলগুলোর সাথে নতুনগুলো জোড়া দিয়ে পাঠানো হচ্ছে, যা ডিজকাউন্টসহ অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে।” ওরা বলেছে, “যখন ক্রেতারা খোলা বাজারে এই ফোনগুলোর জন্য অতিরিক্ত মূল্য দিতে রাজি হয়, তখন রিটেলারদের ওপর ব্ল্যাক মার্কেটিং-এর অভিযোগ আসে, যা তাঁদের বিশ্বাসযোগ্যতায় আঘাত করছে।”

    দীপাবলির আগে সরবরাহে উন্নতি

    বেশ কয়েকজন রিটেলার জানিয়েছেন, এ সপ্তাহে ভারতে তৈরি ইউনিট বাজারে পৌঁছাতে শুরু করায় সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। “দশেরা সময়ে প্রো মডেলের ঘাটতির কারণে বিক্রি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছিল।” এক আধুনিক রিটেল চেইনের মুখপাত্র জানিয়েছেন। তবে দীপাবলির আগে এই ঘাটতি পূরণের আশা করছেন তাঁরা। আরও এক রিটেলার জানান, “যদি সরবরাহ এমনই অব্যাহত থাকে, তাহলে দীপাবলির পরেও বিক্রি ভালো চলবে।” অ্যাপলের নতুন প্রজন্মের এই আইফোনে রয়েছে উন্নত ক্যামেরা সিস্টেম, প্রিমিয়াম ডিজাইন এবং শক্তিশালী প্রসেসর।

    আইফোন ১৭ প্রো মডেলের দাম

    আইফোন ১৭ সিরিজের বেস মডেলের ২৫৬ জিবি স্টোরেজ মডেলের দাম ৮২,৯০০ টাকা। আইফোন এয়ার- এর ২৫৬ জিবি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টের দাম ১,১৯,৯০০ টাকা। আইফোন ১৭ প্রো মডেলের ২৫৬ জিবি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টের দাম ১,৩৪,৯০০ টাকা। আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স ফোনের ২৫৬ জিবি স্টোরেজ মডেলের দাম ১,৪৯,৯০০ টাকা। অ্যাপেল স্টোর ৬ মাস পর্যন্ত নো-কস্ট ইএমআই অপশনের সুবিধা দেবে ক্রেতাদের। এছাড়াও থাকছে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ইনস্ট্যান্ট ডিসকাউন্ট পাওয়ার সুবিধা। আমেরিকান এক্সপ্রেস, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের কার্ডে ফোন কিনলে এই ইনস্ট্যান্ট ডিসকাউন্ট পাবেন ক্রেতারা।

    অ্যাপল-এর রিটেল প্রসার এবং বিক্রি বৃদ্ধি

    অ্যাপল বর্তমানে ভারতে চারটি নিজস্ব রিটেল স্টোর চালু করেছে — মুম্বাইয়ের বিকেসি ও দিল্লির সাকেতের পরে নতুন করে বেঙ্গালুরু ও পুনেতে দুটি স্টোর খুলেছে। শুধু বিকেসি এবং সাকেত স্টোরেই প্রথম বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে, যার ৬০ শতাংশ এসেছে ছোট সাকেত স্টোর থেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে এবার প্রো মডেলের অংশীদারিত্ব দ্বিগুণ হয়ে “ডাবল ডিজিটে” পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। চিনে এই অংশীদারিত্ব ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে। ভারতে এবার প্রো মডেলের অংশীদারিত্ব দ্বিগুণ হয়ে “ডাবল ডিজিটে” পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। চীনে এই অংশীদারিত্ব ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে। অ্যাপল-এর গড় বিক্রয়মূল্য (ASP) এ বছর উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে, বলে মনে করা হচ্ছে।

  • DIG Harcharan Singh Bhullar: ৭.৫ কোটির বেশি নগদ টাকা, ২.৫ কেজি সোনা, ৫০ টি সম্পত্তি উদ্ধার হরিচরণ ভুল্লার বাড়িতে

    DIG Harcharan Singh Bhullar: ৭.৫ কোটির বেশি নগদ টাকা, ২.৫ কেজি সোনা, ৫০ টি সম্পত্তি উদ্ধার হরিচরণ ভুল্লার বাড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন পঞ্জাবের ডিআইজি হরিচরণ ভুল্লার (DIG Harcharan Singh Bhullar)। তাঁর মতো পুলিশ অফিসার যে দুর্নীতি করে বিপুল সম্পত্তির পাহাড় গড়েছিলেন সেই সত্যকেই এবার প্রকাশ করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই জানিয়েছে, ৭.৫ কোটির বেশি নগদ টাকা, ২.৫ কেজি সোনা, ৫০ টি সম্পত্তি এবং আরও নানা জিনিসের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সিবিআই-এর (CBI) এই অভিযানে একশ্রেণীর মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে সরকারি অফিসার এতো সম্পত্তির মালিক কীভাবে হলেন? স্তম্ভিত গোটা পুলিশ মহল এবং আমজনতা! উত্তর নেই ভুল্লারের কাছেও। অবশ্য ভুল্লার নিজেও দুর্নীতি দমনে খুব দক্ষ অফিসার ছিলেন, অথচ নিজেই সেই কাজে এখন অভিযুক্ত। এই প্রশ্নই এখন দেশজুড়ে সমাজমাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল ফেলেছে।

    ১০০টি তাজা কার্তুজ সহ চারটি আগ্নেয়াস্ত্রও বাজেয়াপ্ত (DIG Harcharan Singh Bhullar)

    সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিআইজি ভুল্লারের (DIG Harcharan Singh Bhullar) বাসভবনে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে ৫ কোটি নগদ টাকা এবং ১.৫ কেজি সোনার অলঙ্কার। সেই সঙ্গে এই বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে আরও বিপুল পরিমাণ মূল্যবান জিনিসপত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। আবার ভুল্লারের চণ্ডীগড়ের বাসভবন থেকে প্রায় ৭.৫ কোটি টাকা নগদ অর্থ, ২.৫ কেজি ওজনের সোনার গয়না, রোলেক্স এবং রাডোর মতো ব্র্যান্ড সহ ২৬টি বিলাসবহুল ঘড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যের নামে সন্দেহজনক বেশকিছু বেনামী সম্পত্তিরও খোঁজ মিলেছে। এখনও পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি স্থাবর সম্পত্তির নথি, লকারের চাবি এবং একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণের তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও তাঁর বাড়ি থেকে ১০০টি তাজা কার্তুজ সহ চারটি আগ্নেয়াস্ত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আবার সমরালায়ে ওঁই অফিসারের মালিকানাধীন খামারবাড়ি থেকে ১০৮ বোতল মদ, ৫.৭ লক্ষ টাকা নগদ অর্থ এবং ১৭টি তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

    ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে মোহালিতে গ্রেফতার

    সিবিআই (CBI) আরও জানিয়েছে, ভুল্লার (DIG Harcharan Singh Bhullar) আরও একজন সহযোগীর বাড়ি থেকে ২১ লক্ষ টাকা নগদ পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর নথিও উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্ত পঞ্জাব পুলিশের রোপার রেঞ্জের ডিআইজি হরচরণ সিং ভুল্লার এবং তাঁর সহযোগীকে আজ চণ্ডীগড়ের সিবিআই আদালতে হাজির করা হয়েছে। আদালত অভিযুক্ত অফিসার এবং তাঁর সহযোগীকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় মোহালিতে সিবিআইয়ের  হাতে ধরা পড়েন ভুল্লার। এরপরই তথ্যের সূত্রে ধরে চলে অভিযান এবং অবৈধ সম্পত্তি টাকা উদ্ধারের কাজ।

  • Brahmos Missiles: ধনতেরাসেই ব্রহ্মসের প্রথম ব্যাচের ডেলিভারি, উদ্বোধন করবেন যোগী-রাজনাথ

    Brahmos Missiles: ধনতেরাসেই ব্রহ্মসের প্রথম ব্যাচের ডেলিভারি, উদ্বোধন করবেন যোগী-রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ১৮ অক্টোবর যোগী রাজ্য থেকে ডেলিভারি হবে ব্রহ্মসের (Brahmos Missiles) প্রথম ব্যাচের। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ‘অপারেশন সিঁদুরে’র সময় পাকিস্তানের রাতের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছিল এই ব্রহ্মস। শক্তিশালী এই সুপারসনিক মিসাইলের ঘায়ে ছারখার হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের অন্দরমহল। উত্তরপ্রদেশ ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডরের ভাটগাঁও এলাকায় রয়েছে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের লখনউ (Lucknow) ইউনিট। গত ১১ মে, জাতীয় প্রযুক্তি দিবসে এই ইউনিটটির উদ্বোধন করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

    কী বলেছিলেন রাজনাথ? (Brahmos Missiles)

    ব্রহ্মস ইন্টিগ্রেশন ও টেস্টিং ফ্যাসিলিটি সেন্টারের ভার্চুয়াল উদ্বোধনী ভাষণে তিনি বলেছিলেন, “অপারেশন সিঁদুর শুধুমাত্র একটি সামরিক অভিযানই ছিল না, এটি ছিল ভারতের রাজনৈতিক, সামাজিক ও কৌশলগত দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক।” লখনউয়ের এই ইউনিটটি তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই মিসাইল প্রথম দিকে বছরে ৮০-১০০টি তৈরি করার টার্গেট নেওয়া হয়েছিল। পরে এই লক্ষ্যমাত্রাই বাড়িয়ে করা হয় ১৫০টি। এই কারখানায় যেমন একদিকে মিসাইল উৎপাদন হয়, ঠিক তেমনই একই সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং তার চূড়ান্ত মানও নির্ণয় করা হয়। শনিবার, ধনতেরাসের দিন এই কারখানা থেকে বের হবে ব্রহ্মসের প্রথম ব্যাচ। জানা গিয়েছে, শুধু ভারতের জন্য মিসাইল উৎপাদন নয়, অস্ত্র রফতানির জন্যও ব্রহ্মস উৎপাদন করা হবে। বিশ্ব বাণিজ্যে সমরাস্ত্র রফতানিতে নয়া বাজার ধরতে চাইছে ভারত (Brahmos Missiles)।

    অনুষ্ঠানসূচি

    জানা গিয়েছে, এদিন মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে উদ্বোধন করা হবে বুস্টার ভবনের। বুস্টার ডকিং প্রক্রিয়ার একটি প্রদর্শনীতেও যোগ দেবেন যোগ এবং রাজনাথ। এয়ারফ্রেম এবং এভিওনিক্স, ওয়ারহেড ভবনে পিডিআই এবং ব্রহ্মস সিমুলেটর সরঞ্জামের ওপর অনুষ্ঠিত প্রদর্শনীও ঘুরে দেখবেন তাঁরা। পালিত হবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও। একটি স্টোরেজ ট্রলি প্রদর্শনী, জিএসটি বিল উপস্থাপনা এবং মোবাইল অটোনমাস লঞ্চারও প্রদর্শিত হবে। প্রসঙ্গত, লখনউয়ের ব্রহ্মস উৎপাদন ইউনিটটি ২০১৮ সালের গ্লোবাল ইনভেস্টরস সম্মেলনে ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রতিরক্ষা শিল্প করিডর প্রকল্পের অংশ হিসেবে ঘোষণা করা হয় ওই প্রকল্পের। এই প্রতিরক্ষা করিডরে ছ’টি কেন্দ্র রয়েছে। এগুলি হল (Lucknow), লখনউ, কানপুর, আলিগড়, আগ্রা, ঝাঁসি এবং চিত্রকূট (Brahmos Missiles)।

  • Bangladesh: ত্রিপুরায় তিন মৃত বাংলাদেশি গরু পাচারে অভিযুক্ত, দাবি বিদেশ মন্ত্রকের

    Bangladesh: ত্রিপুরায় তিন মৃত বাংলাদেশি গরু পাচারে অভিযুক্ত, দাবি বিদেশ মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ত্রিপুরায় তিন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (Ministry of External Affairs) বিবৃতি জারি করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে গণপিটুনির দাবি সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্যা। নিহত তিন বাংলাদেশি নাগরিক (Bangladesh) চোরাকারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রথমে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ করেছিল তারা এবং সেই সঙ্গে সীমান্তবর্তী গ্রামবাসীদের ওপরে হামলা চালিয়ে হিংসাত্মক কাজ করে। ফলে ইউনূস সরকারের মিথ্যা অভিযোগকে সম্পূর্ণভাবে আরও একবার প্রত্যাখান করায় মুখ পুড়ল বাংলাদেশেরই।

    গ্রাম থেকে গরু চুরি করার অপচেষ্টা করে

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র (Ministry of External Affairs) রণধীর জয়সওয়ালের সাফ কথা, ঘটনাটি গত ১৫ অক্টোবর ত্রিপুরায় ঘটেছিল। ভারতীয় সীমান্ত খোয়াই জেলার ৩ কিমি ভিতরে এই এলাকা। বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে তিনজন দুষ্কৃতীর একটি দল আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে ঢুকে পড়েছিল। এরপর বিদ্যাবিল গ্রাম থেকে গরু চুরি চেষ্টা করে তারা। সেই সঙ্গে তারা লোহার দা ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে এবং একজন গ্রামবাসীকে কুপিয়ে খুন করে। এরপর গ্রামবাসীরাই চোরদের আক্রমণের জবাব দেয়। ঘটনাস্থলে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই চোরকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। অপর আরেকজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরের দিন মৃত্যু হয়।

    প্রয়োজনীয় স্থানে বেড়া দিতে হবে

    নিহত তিন চোরাকারবারির মৃতদেহ শনাক্ত করার পর জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা বাংলাদেশের (Bangladesh) হবিগঞ্জের বাসিন্দা। তাদের পরিচয় জুয়াল মিয়া, সজল মিয়া এবং পণ্ডিত মিয়া। তিন জনের মৃতদেহ বাংলাদেশের প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে মৃতদেহ পাঠানোর সময় ভারতের বিএসএফ এবং বাংলাদেশের বিজেবি সহ পুলিশ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইতিমধ্যে ত্রিপুরা সরকার এই বিষয়ে একটি মামলাও দায়ের করেছে। তবে বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনাকে ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়ালে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক কঠোর ভাবে নিন্দা জানায়। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (Ministry of External Affairs) ইতিমধ্যে দুই দেশের সীমান্তে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আবেদন করেছে। চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ রোধের জন্য প্রয়োজনীয় স্থানে বেড়া দেওয়ার বিষয়েও মত প্রকাশ করেছে। একই ভাবে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে উভয় সীমান্তে সতর্কতার বার্তাও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

  • PM Modi on Unstoppable Bharat: “ভারতকে আর থামানো যাবে না, ভারত সব চ্যালেঞ্জকে জয় করেছে” দাবি প্রধানমন্ত্রী মোদির

    PM Modi on Unstoppable Bharat: “ভারতকে আর থামানো যাবে না, ভারত সব চ্যালেঞ্জকে জয় করেছে” দাবি প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত এখন থামার মেজাজে নেই। পথে অনেক ধরনের বাধা রয়েছে। তা সত্ত্বেও ভারতের অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে। দিল্লির ভারত মণ্ডপমে অনুষ্ঠিত এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড সামিট ২০২৫-এ “অপ্রতিরোধ্য ভারত: বর্তমানের শক্তি” (Unstoppable Bharat: The Force of Now) শীর্ষক বক্তৃতায় এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, একসময়ের ‘ফ্র্যাজাইল ফাইভ’-এর অংশ থাকা ভারত আজ বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি অর্থনীতির একটি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজকের বিশ্বে নানা অনিশ্চয়তা ও সঙ্কট থাকলেও, ভারত থেমে নেই। ১৪০ কোটির বেশি ভারতবাসী দৃঢ় সংকল্পে এগিয়ে চলেছে।”

    ভারত সব চ্যালেঞ্জকে জয় করেছে

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালের পূর্ববর্তী সময়কে স্মরণ করে বলেন, “আগে বিশ্ব ভাবত, ভারত এই দুর্যোগ সামলাতে পারবে তো? নীতি স্থবিরতা, দুর্নীতি, নারীদের নিরাপত্তাহীনতা, সন্ত্রাসবাদ ও মূল্যবৃদ্ধি ছিল দেশের বড় সমস্যা। কিন্তু গত ১১ বছরে ভারত সব চ্যালেঞ্জকে জয় করেছে।” প্রধানমন্ত্রী জানান, কোভিডের পর বিশ্ব যখন মন্দায় পড়েছিল, তখনও ভারত ৭.৮% গড় হারে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। তাঁর কথায়, “কোভিড, যুদ্ধ, বৈশ্বিক সঙ্কট — সবকিছুর মধ্যেও ভারত এগিয়ে গিয়েছে। আজ মূল্যস্ফীতি ২%–এর নিচে, আর প্রবৃদ্ধি ৭%–এর উপরে।”

    আত্মনির্ভর ভারত

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চিপ থেকে জাহাজ পর্যন্ত, সর্বত্রই রয়েছে আত্মনির্ভর ভারত। আজ ভারত আত্মবিশ্বাসী, সক্ষম, এবং সারা বিশ্বে একটি নির্ভরযোগ্য, দায়িত্বশীল ও স্থিতিশীল অংশীদার।” প্রযুক্তিগত আত্মনির্ভরতা নিয়েও মোদি বলেন, “ভারত আজ বিশ্বের অন্যতম দেশ যারা নিজেদের ৪জি স্ট্যাক তৈরি করেছে, এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ডিজিটাল নেটওয়ার্ক পৌঁছে দিচ্ছে।” তিনি জানান, গুগলসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ভারতের শক্তি ও সেমিকন্ডাক্টর খাতে বিনিয়োগ করছে। জিএসটি ও আয়কর সংস্কারের ফলে নাগরিকদের ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। ডিজিটাল অর্থনীতির ক্ষেত্রেও মোদি বলেন, “আজকের দিনে বিশ্বজুড়ে হওয়া ডিজিটাল লেনদেনের ৫০ শতাংশই ভারতে হচ্ছে, ইউপিআই ব্যবস্থার মাধ্যমে।”

    সন্ত্রাসবাদের যোগ্য জবাব

    সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান নিয়েও এদিন মোদি বলেন, “আজকের ভারত আর নীরব থাকে না, প্রত্যুত্তর দেয় সার্জিকাল স্ট্রাইক, এয়ার স্ট্রাইক ও ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে।” নকশাল সন্ত্রাস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নকশালবাদ ভারতের যুব সমাজের সঙ্গে এক ভয়ানক অবিচার, এক গর্হিত পাপ।” দেশজুড়ে মাওবাদী দমন অভিযানে ‘ঐতিহাসিক সাফল্য’ অর্জনের দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার রাতে এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড সামিট ২০২৫-এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০৩ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি বলেন, তাঁর সরকার ‘দেশীয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান’ নিয়েছে এবং ‘রক্তপাতের যে দীর্ঘ ইতিহাস’, তা শেষ করার প্রয়াস চলছে। মোদি বলেন, “গত ৫০-৫৫ বছরে হাজার হাজার মানুষ মাওবাদী সন্ত্রাসে প্রাণ হারিয়েছেন। এই নকশালরা স্কুল-হাসপাতাল গড়তে দিত না, চিকিৎসকরা যাতে গ্রামে যেতে না পারেন, তার জন্য হামলা চালাত, প্রতিষ্ঠান উড়িয়ে দিত। মাওবাদী সন্ত্রাস যুবসমাজের প্রতি এক ভয়ঙ্কর অন্যায় ছিল।”তিনি আরও যোগ করেন, “আমি বহুবার ভিতরে ভিতরে ক্ষুব্ধ হতাম। আজ প্রথমবার সেই বেদনা আমি প্রকাশ করছি।” তিনি জানান, গত এক দশকে নকশাল-প্রভাবিত জেলার সংখ্যা ১২৫ থেকে নেমে এসেছে মাত্র ১১-তে। তিনি বলেন, “এক সময়ের খবর ছিল — বস্তারে বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া গাড়ি, শহিদ জওয়ান। আজ সেখানে হচ্ছে ‘বস্তার অলিম্পিক’। এটি এক বিশাল পরিবর্তন।”

    ব্যাঙ্কিং সেক্টর থেকে গ্যাসের সংযোগ

    প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আমরা ব্যাঙ্কিং সেক্টরে সংস্কার করেছি। আজ গ্রামে গ্রামে ব্যাঙ্ক পৌঁছে গিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী মোদি ২০১৪ সালের উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, “২০১৪ সালে গ্যাসের সংযোগ জন্য মানুষকে হয়রান হতে হত। তখন সাংসদরা কুপন পেতেন, যার ভিত্তিতে গ্যাস কানেকশন পাওয়া যেত। সাংসদদের বাড়ির সামনে মানুষ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত। আজ বিজেপি সরকার ১০ কোটি গরিব মানুষকে বিনামূল্যে গ্যাস কানেকশন দিয়েছে।” সমাপ্তিতে মোদি বলেন, “বিশ্ব যখন অনিশ্চয়তার কিনারায় দাঁড়িয়ে, ভারত তখন সুযোগের দ্বারে। আমরা ঝুঁকিকে রূপান্তর করেছি সংস্কারে, সংস্কারকে রূপ দিয়েছি স্থিতিতে, আর স্থিতিকে এক বিপ্লবে।” এই সামিটে প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক এবং শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হরিনী অমরসূরিয়া উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।

  • JK Accession: জম্মু-কাশ্মীরের ভারতভুক্তি কোন অবদান ছিল আরএসএসের গুরুজির?

    JK Accession: জম্মু-কাশ্মীরের ভারতভুক্তি কোন অবদান ছিল আরএসএসের গুরুজির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটিশ কবলমুক্ত হয়ে ভারত স্বাধীনতা লাভ করেছিল ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট। এরও দু’মাসেরও বেশি সময় পরে জম্মু-কাশ্মীর যুক্ত (JK Accession) হয়েছিল ভারতের সঙ্গে। দিনটি ছিল ২৬ অক্টোবর, ১৯৪৭।

    ভারত-ভঙ্গ (JK Accession)

    ভারতের স্বাধীনতা লাভ, দেশভাগ এবং পাকিস্তান সৃষ্টির ঘটনা এত দ্রুত ঘটে গিয়েছিল যে, এর সঙ্গে যুক্ত কারও জন্যই সময়টি সহজ ছিল না (Guruji Golwalkar)। ব্রিটিশদের জন্য তো নয়ই, নয় দেশপ্রেমিক ভারতীয়দের জন্যও, যাঁরা স্বাধীনতা লাভ করতে জান-প্রাণ এক করেছিলেন। কারণ দেশপ্রেমিক ভারতীয়দের জন্য এই ভারত-ভঙ্গ ছিল এমন এক গভীর আঘাত, যা এর আগে কখনও অনুভব করেননি তামাম ভারতবাসী। দেশভাগ, যার ফলে জন্ম হয়েছিল পাকিস্তানের, তা আজও ভারতের জন্য এক দগদগে ঘায়ের মতো। ১৯৪৭ সালের অক্টোবরে এটি ছিল একটি তাজা ও গভীর ক্ষত, বিশেষ করে জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে। সেই সময় দেশীয় রাজ্য ছিল ভূস্বর্গ। এর অর্ধেকেরও বেশি ভূখণ্ড পাকিস্তানের হাতে চলে গিয়েছিল এক বিশ্বাসঘাতক হামলার মাধ্যমে। পাকিস্তান মহারাজা হরি সিংকে ধোঁকা দিয়ে বিশ্বাস করিয়েছিল যে তাদের উদ্দেশ্য সম্মানজনক ও সৎ। অগাস্ট ১৯৪৭-এ যখন মহারাজা স্ট্যান্ডস্টিল চুক্তিতে সই করেছিলেন, পাকিস্তান তখন সেই কথাই বলেছিল।

    সংঘচালক বদ্রী দাস

    পাঞ্জাব ও বাংলায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও অস্থিরতা দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পণ্ডিত প্রেম নাথ ডোগরা মহারাজাকে পরামর্শ দেন যাতে তিনি দ্রুত তাঁর রাজ্যকে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত করেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি জনমত গঠন করেন এবং বহু রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি মহারাজার কাছে পেশ করেন। প্রতিবেশী পাঞ্জাবের সংঘচালক বদ্রী দাস স্বয়ং মহারাজার সঙ্গে দেখা করেন। তার পরেও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন মহারাজা হরি সিং।

    হরি সিংয়ের প্রতি বৈরিতা

    কী কারণে মহারাজার এই দশা? এর উত্তর হল স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর মহারাজা হরি সিংয়ের প্রতি বৈরিতা। সেই কারণেই মহারাজা দ্রুত স্বাধীন ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহ দেখাননি। এই হিংসার শেকড় মেলে ১৯৪৬ সালের গ্রীষ্মকালের কোহালা ঘটনায়। সেই সময় নেহরু, তাঁর বন্ধু (দেশদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত) শেখ মহম্মদ আবদুল্লাকে রক্ষা করতে শ্রীনগরে যাওয়ার (Guruji Golwalkar) চেষ্টা করেছিলেন। সেই সময় আবদুল্লা ছিলেন গারদে। পথে বাধা দেওয়া হয় নেহরুকে। তাঁকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, হরি সিংয়ের রাজ্যে আর এগোতে পারবেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এই ঘটনাই নেহরুর মানসিকতায় গভীর ছাপ ফেলেছিল। এর পর থেকে তিনি হরি সিংকে শত্রু হিসেবেই বিবেচনা করতে শুরু করেন (JK Accession)।

    জম্মু-কাশ্মীরের ইতিহাসে স্মরণীয় দিন

    ১৭ অক্টোবর, জম্মু-কাশ্মীরের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন। কারণ ১৯৪৭ সালের এই দিনেই শ্রী গুরুজি গোলওয়ালকর শ্রীনগরে মহারাজা হরি সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এজন্য গুরুজি দিল্লি থেকে বিমানে শ্রীনগর গিয়েছিলেন এবং মহারাজাকে তৎক্ষণাৎ ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে রাজি করিয়েছিলেন। গুরুজি তিন দিন শ্রীনগরে থেকে দিল্লিতে ফেরেন ১৯ অক্টোবর। এর পর তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অসংখ্য কর্মীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। ১৯৪৭ সালে ভারতে ৫৬০টিরও বেশি দেশীয় রাজ্য ছিল। এই দেশীয় রাজ্যগুলির নিজ নিজ ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার ছিল। তারা চাইলে ভারত কিংবা পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হতে পারত। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমাও ছিল না। তা সত্ত্বেও হরি সিংয়ের প্রতি নেহরুর বৈরী মনোভাবের কারণেই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন ভূস্বর্গের মহারাজা। অথচ, ১৯৩০-৩১ সালেই লন্ডনে অনুষ্ঠিত দেশীয় রাজ্যগুলির গোলটেবিল বৈঠকে মহারাজা স্পষ্টভাবে ভারতের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন (JK Accession)।

    নেহরুর চালাকি!

    মনে রাখতে হবে, নেহরু মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার দায়িত্ব ন্যস্ত হয়েছিল তাঁর ওপরই। অথচ, জম্মু-কাশ্মীর ছিল এমন এক দেশীয় রাজ্য, যেটির ব্যাপারে নেহরু নিজেই সিদ্ধান্ত নেন যে এটি তিনি তাঁর নিজের হাতে রাখবেন (Guruji Golwalkar)। নেহরু সরাসরি এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন। কারণ তিনি তাঁর বন্ধু শেখ আবদুল্লাকে একটি সুবিধাজনক চুক্তি দিতে চেয়েছিলেন। নেহরুর এই ব্যক্তিগত ইচ্ছাই জম্মু-কাশ্মীর সমস্যার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে দেয়। নেহরু চেয়েছিলেন হরি সিংহকে জব্দ করতে। ইচ্ছে পূরণে তিনি যেসব পদক্ষেপ করেছিলেন, তার জেরেই জম্মু-কাশ্মীর সম্পর্কিত বহু জটিল সমস্যার সৃষ্টি হয়, যার মোকাবিলা আজও করতে হচ্ছে ভারতকে। হরি সিং জানতেন, পাকিস্তানে যোগ দিলে হিন্দুরা নির্যাতনের শিকার হবেন। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে যোগ দিতে চাননি তিনি।

    গুরুজির হাতযশ

    ক্রান্তিকাল। এহেন পরিস্থিতিতে গুরুজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ১০ দিনের মধ্যেই হরি সিং স্বাক্ষর করেন ভারতভুক্তির দলিলে। তাঁর পুরো রাজ্য একীভূত হয়ে যায় ভারতের সঙ্গে (Guruji Golwalkar)। তবে বিষয়টি এখানেই শেষ হয়নি, এ রাজ্যের বিরাট একটা অংশ, যেমন গিলগিট-বালতিস্তান, পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর (PoJK) এবং আরও কিছু অঞ্চল তৎকালীন সরকার রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছিল। এই অঞ্চলগুলি জোর করে দখল করে ফেলেছিল পাকিস্তান। যার মাশুল ভারতীয়দের গুণতে হচ্ছে আজও (JK Accession)।

  • Pakistan vs Afghanistan: ভারতই ঠিক! পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট খেলবে না আফগানিস্তান, পাক হামলায় নিহত ৩ আফগান ক্রিকেটার

    Pakistan vs Afghanistan: ভারতই ঠিক! পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট খেলবে না আফগানিস্তান, পাক হামলায় নিহত ৩ আফগান ক্রিকেটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতই ঠিক পথে হেঁটেছে, বুঝতে পারল আফগানিস্তানও। পাকিস্তানের হামলায় নিহত হয়েছে আফগানিস্তানের (Pakistan vs Afghanistan) তিন ক্রিকেটার। এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী নভেম্বরের ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে দল তুলে নিল আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (ACB)। সিরিজে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলার কথা ছিল আফগানিস্তানের। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারা না-খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। বুধবার ৪৮ ঘণ্টার সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করেছিল দুই দেশ। তার মেয়াদ শেষ হয়েছে শুক্রবার। তার পরেই রাতে পাকিস্তান বর্বরোচিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

    সাধারণ মানুষের উপর হামলা

    শুক্রবার রাতে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে আকাশপথে হামলা চালায় ইসলামাবাদ। তাতেই তিন জন ক্রিকেটার-সহ মোট আট জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তিন ক্রিকেটারের নাম এবং ছবি প্রকাশ করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (ACB)। নিহতেরা হলেন কবীর, শিবঘাতুল্লা এবং হারুন। এসিবি-র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘পাকতিকা প্রদেশের উরগুন জেলার ক্রিকেটারদের উপর কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। তাঁরা শহিদ হয়েছেন। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এই ঘটনায় গভীর ভাবে শোকাহত। উরগুন জেলার তিন ক্রিকেটার এবং আরও পাঁচ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। সাত জন জখম। এই ক্রিকেটারেরা একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে এর আগে পাকতিকার রাজধানী শারানায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে উরগুনে ফেরার পরেই তাঁদের নিশানা করা হয়।’’

    বোর্ডের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ক্রিকেটাররা

    বোর্ডের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘আফগানিস্তানের ক্রীড়াজগতে এটা অপূরণীয় ক্ষতি। ওঁদের পরিবারের প্রতি এবং পাকতিকার মানুষের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী নভেম্বরে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যে ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজ খেলার কথা ছিল আফগানিস্তানের, তাতে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগান বোর্ড।’’ আফগানিস্তানের টি২০ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রশিদ খান সমাজমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। লিখেছেন, ‘‘পাকিস্তানের হামলায় আফগানিস্তানের নাগরিকদের মৃত্যুতে আমি গভীর ভাবে শোকাহত। এই হামলায় অনেক মহিলা, শিশুর প্রাণ গিয়েছে। প্রাণ গিয়েছে তরুণ ক্রিকেটারদের, যাঁরা এক দিন আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এভাবে অসামরিক পরিকাঠামোয় হামলা বর্বরোচিত এবং অনৈতিক। এই ধরনের কাজ মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, একে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।’’ বোর্ডের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এর পর রশিদ বলেন, ‘‘এতগুলো নিষ্পাপ প্রাণের মৃত্যু হয়েছে। আমি আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। এই কঠিন সময়ে আমি আমাদের দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। দেশের মর্যাদা সবচেয়ে আগে।’’

    তিন উদীয়মান ক্রিকেটারের করুণ পরিণতি

    তিন জনের মধ্যে কবীরকে আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের তারকা হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। ক্লাব পর্যায়ের ক্রিকেটে কবীর নজর কাড়ছিলেন গত দু’মরসুম ধরে। আগ্রাসী ব্যাটার হিসাবে পরিচিত ছিলেন। সাধারণত ওপেন করতেন। কখনও কখনও তিন নম্বরেও ব্যাট করতেন। ধারাবাহিকতার জন্য আফগানিস্তানের দক্ষিণ প্রাদেশিক অনূর্ধ্ব-২৩ প্রশিক্ষণ শিবিরে ডাক পেয়েছিলেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য আফগানিস্তানের জাতীয় নির্বাচকদের নজরেও ছিলেন। পাকতিকা প্রদেশের বাসিন্দা শিবঘআতুল্লা ছিলেন জোরে বোলার। হাতে ছিল ভাল ইনসুইং। পাকতিকা প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ছিলেন। আগামী মরসুমে উরগুন ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ছিলেন শিবঘাতুল্লা। হারুন ছিলেন প্রতিভাবান অলরাউন্ডার। টেনিস বলের ক্রিকেট থেকে উঠে এসেছিলেন। পাকতিকা প্রদেশের স্থানীয় একটি টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় নজর কেড়েছিলেন। ডান হাতি ব্যাটার কার্যকর স্পিন বল করতে পারতেন। তিনিও শিবঘাতুল্লার মতোই পাকতিকা প্রদেশের উরগুনের বাসিন্দা ছিলেন। ক্রিকেটের পাশাপাশি পড়াশোনায়ও ভাল ছিলেন। স্থানীয় এক কলেজে স্নাতক স্তরে পড়াশোনাও করছিলেন। মৃত তিন ক্রিকেটারের ছবি প্রকাশ করেছে আফগান বোর্ড।

    ভারতের পথেই আফগানিস্তান ক্রিকেট

    ভারতের পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর টিম ইন্ডিয়া যেভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিল, এটিও ঠিক সেইরকমই৷ ভারত যেমন আর পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ক্রিকেট খেলে না, এখন আফগানিস্তানও একই কাজ করতে চলেছে। আফগান ক্রিকেটারদের টার্গেট করছে পাকিস্তান। শুক্রবার সন্ধ্যায় পাকিস্তান আফগানিস্তানে অসামরিক টার্গেটে বোমাবর্ষণ করে। পাকিস্তানি বিমান বাহিনী এমন একটি স্থানেও বোমাবর্ষণ করে যেখানে আফগানরা ক্লাব-স্তরের ক্রিকেট ম্যাচ খেলে বাড়ি ফিরছিল। এর আগে থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে আইসিসি ইভেন্ট ছাড়া কোনও ম্যাচই খেলে না ভারত। এবার আফগানিস্তানও সেই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। আসলে পাকিস্তান বরাবরই অসামরিক লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করে। ভারত-পাক সীমান্তেও সাধারণ মানুষদের নিশানা করা হয়েছিল। এবার পাকিস্তানের নজরে আফগানিস্তান।

  • Dhanteras 2025: ধনতেরাসের পিছনে রয়েছে নানান কাহিনী! জানেন কি সেই পৌরাণিক গল্পগুলি?

    Dhanteras 2025: ধনতেরাসের পিছনে রয়েছে নানান কাহিনী! জানেন কি সেই পৌরাণিক গল্পগুলি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। বিশেষত এই সময়টা অর্থাৎ শরৎকাল এবং হেমন্তকাল যেন পুজোর ঋতু। মহালয়া থেকে শুরু, দুর্গাপুজো, লক্ষ্মী পুজো, কালীপুজো। পরপরই চলতে থাকে। কিন্তু কালীপুজোর ঠিক দু’দিন আগে পালন করা হয় আরও একটি উত্‍সব, যার নাম ধনতেরাস। ধন শব্দের অর্থ সম্পদ, এবং তেরাস শব্দের অর্থ ত্রয়োদশী। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে এই উত্‍সব পালিত হয়। আলোর ঝরনায় যখন মেতে ওঠে সম্পূর্ণ বিশ্ব, তখন আত্মীয় স্বজন, পরিবারের মঙ্গল কামনায় এবং ধন-সম্পদের আশায় বহু মানুষ দেবতা কুবেরের আরাধনা করেন। কুবের হল ধন দেবতা‌। বিশ্বাস মতে, এই দিন কোন না কোন মূল্যবান ধাতু, বাসনপত্র অথবা নতুন পোশাক কিনলে মা লক্ষ্মী সন্তুষ্ট হন। আশীর্বাদ করেন তাঁর ভক্তদের।

    স্বামীকে সারারাত জাগিয়ে রাখলেন নববধূ…

    ধনতেরাসকে ঘিরে রয়েছে অজস্র পৌরাণিক কাহিনী। তারই মধ্যে একটি জনপ্রিয় কাহিনী হল, প্রাচীনকালে হিম নামে এক রাজা ছিলেন। তাঁর পুত্রের একটি অভিশাপ ছিল যে বিয়ের চার দিনের মাথায় তাঁর সর্প দংশনে মৃত্যু হবে। এই দিনের কথা সকলেই জানতেন। তাই স্বামীকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানোর জন্য নববধূ সারারাত স্বামীকে ঘুমাতে দেননি, নানা কৌশলে জাগিয়ে রেখেছিলেন তাঁর স্বামীকে। তাঁদের শয্যা কক্ষের বাইরে প্রচুর ধন-সম্পদ, সোনা রুপোর গয়না, বাসনপত্র সাজিয়ে রেখেছিল নববধূ। ঘরের সর্বত্র প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছিলেন। এতো ভালো, উজ্জ্বল, আলোকময় পরিবেশের জন্য সারারাত সেই ঘরে কোনও সাপ প্রবেশ করতে পারেনি। স্বামীকে জাগিয়ে রাখার জন্য সারারাত নববধূ গল্প এবং গান করে কাটিয়ে ছিলেন।

    পরদিন মৃত্যুর দেবতা যমরাজ সেখানে আসেন। ঘরের দরজায় গয়নার জৌলুস এবং প্রদীপের আলোতে চোখ ধাঁধিয়ে যায় তাঁর। তিনি রাজপুত্রের কাছে পৌঁছাতে পারলেন না। রাজপুত্রের ঘরের বাইরে সারারাত ওই গয়নার ওপর শুয়ে শুয়ে রানীর গান এবং গল্প শুনে বিভোর হয়ে পরের দিন তিনি ফিরে যান‌। এই ঘটনার পর থেকে প্রতিবছর রাজ পরিবারে সোনার এবং রুপোর তিথি ধনতেরাস উত্‍সব পালন করা শুরু হয়ে যায়। কুবেরের সঙ্গে এই দিন লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করা হয়, একথা পূর্বেই বলা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের জন্য এই দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই দিন ধনদেবী লক্ষ্মীরও আরাধনা করা হয়‌। অর্থাৎ একই মাসে দুবার লক্ষ্মী পুজোর রীতি হিন্দু ধর্মে দেখা যায়‌। ধনতেরাস বা ধন ত্রয়োদশীর দিন লক্ষ্মী পুজোর কারণ কী? পুরাণে বলা হয়েছে যে, একসময় দুর্বাসা মুনির অভিশাপে সৌভাগ্যের দেবী লক্ষ্মী স্বর্গ থেকে চলে যান এবং মহাসাগরে বসবাস শুরু করেন। লক্ষ্মী চলে যাওয়াতে স্বর্গলোক শ্রীহীন হয়ে পড়ে। এরপর দেবতারা অসুরের সঙ্গে ব্যাপক যুদ্ধ করে সমুদ্র মন্থনে ফিরিয়ে এনেছিলেন লক্ষ্মীকে। এই দিনটি ছিল ধনতেরাসের দিন মানে কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথি। তাই তখন থেকেই দেবী লক্ষ্মীর উদ্দেশ্যে সূচনা করা হয়েছিল দীপাবলি উত্‍সব এবং তার আগে ধনদেবীর আরাধনা করা হয়।

    ধন্বন্তরি ও সমুদ্র মন্থন

    আবার অন্য একটি মতে, ধনতেরাসের এই দিনটি আবার ধন্বন্তরি ত্রয়োদশী নামেও পরিচিত। ধন্বন্তরি হিন্দু ধর্মের একজন দেবতা এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক। পুরাণ অনুযায়ী, সমুদ্র মন্থনের সময় এই তিথিতেই হাতে অমৃত কলস নিয়ে ধন্বন্তরী প্রকট হন। কথিত আছে, ইন্দ্রের অভদ্র আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে মহর্ষি দুর্বাসা তিন লোককে শ্রীহীন হওয়ার অভিশাপ দেন। এর ফলে পৃথিবী থেকে নিজের লোকে গমন করেন অষ্টলক্ষ্মী। জগৎ সংসারে শ্রী প্রতিষ্ঠার জন্য সমুদ্র মন্থনের পরামর্শ দেন শিব। সমুদ্র মন্থনের ফলে ১৪টি প্রমুখ রত্নের উৎপত্তি হয়। চতুর্দশ রত্ন হিসেবে স্বয়ং অমৃত কলশ নিয়ে ধন্বন্তরী প্রকট হন। এর ঠিক দুদিন পর প্রকট হন লক্ষ্মী। তাই ধনতেরাসের (Dhanteras 2024) দুদিন পর দীপাবলীতে লক্ষ্মী পুজো করা হয়।

    ধন্বন্তরীর উপাসনা

    বিষ্ণু ধন্বন্তরীকে দেবতাদের বৈদ্য ও বনস্পতি এবং ঔষধির অধিপতি নিযুক্ত করেন। তাঁর আশীর্বাদেই সমস্ত বৃক্ষ ও বনস্পতির মধ্যে রোগনাশক শক্তির সঞ্চার হয়। জনকল্যানের জন্য ধন্বন্তরীই অমৃতময় ঔষধির খোঁজ করেন। মহর্ষি বিশ্বামিত্রের পুত্র সুশ্রুত তাঁর শিষ্য ছিলেন। সুশ্রুতই আয়ুর্বেদের মহানতম গ্রন্থ সুশ্রুত সংহিতার রচনা করেন। এদিন স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ধন্বন্তরীর উপাসনা করা হয়। পৌরাণিক ধারণা অনুযায়ী, ধনতেরাসের দিনে বিধি মেনে পুজো করলে ও দীপ দান করলে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

    লক্ষ্মীর অভিশাপ…

    অন্য একটি পৌরাণিক কাহিনী হল, একসময় বিষ্ণু মর্ত্যলোকে বিচরণ করতে এলে লক্ষ্মী ও তাঁর সঙ্গে আসতে চান। তখন বিষ্ণু বলেন, তাঁর কথা মেনে চললে মা লক্ষ্মী তাঁর সঙ্গে যেতে পারেন। তাঁর কথা মান্য করে মা লক্ষ্মী বিষ্ণুর সঙ্গে পৃথিবীতে আসেন। একটি জায়গায় এসে বিষ্ণু মা লক্ষীকে অপেক্ষা করতে বলেন। তিনি বলেন যে, তিনি দক্ষিণ দিকে যাচ্ছেন এবং তাঁর না আসা পর্যন্ত লক্ষ্মী যেন সেখান থেকে কোথাও না যায়। লক্ষ্মীর মনে দক্ষিণ দিকে বিষ্ণুর যাওয়ার কারণ জানার কৌতুহল জেগে ওঠে। এরপর তিনি বিষ্ণুর পিছু নেন। কিছু দূর এগোনোর পর সর্ষের ক্ষেতে ফুল ফুটে থাকতে দেখে সেই ফুল দিয়ে লক্ষ্মী নিজেকে সাজানোর জন্য সেই দিকে অগ্রসর হন। কিছুদূর যাওয়ার পর আখের ক্ষেত থেকে আখ তুলে তার রস পান করেন। সেই সময় বিষ্ণু সেখানে আসেন এবং লক্ষ্মীকে দেখে ভীষণ রেগে যান। এরপর বিষ্ণু মা লক্ষ্মীকে অভিশাপ দেন। বলেন যে, বারণ সত্ত্বেও লক্ষ্মী তাঁর পিছু নেন ও দরিদ্র কৃষকের ক্ষেত থেকে চুরির অপবাদ করে বসেন। লক্ষ্মীকে ১২ বছর পর্যন্ত কৃষকের সেবা করতে বলে ক্ষীর সাগরের উদ্দেশ্যে প্রস্থান করেন বিষ্ণু।

    সেই কৃষকের বাড়িতে কৃষকের স্ত্রীকে স্নান করে লক্ষ্মীপুজো ও তারপর রান্না করার কথা বলেন। পুজোর পর কৃষকের স্ত্রীর সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়ে যায়। ফলে দ্বিতীয় দিন থেকেই কৃষকের ঘর অন্ন, বস্ত্র, রত্নতে ভরে যায়। এভাবে বারো বছর পর্যন্ত খুব আনন্দে কাটে কৃষকের। ১২ বছর পর বিষ্ণু লক্ষীকে নিতে এলে কৃষকের স্ত্রী তাঁকে যেতে দেন না। তখন বিষ্ণু জানান, লক্ষ্মীকে কেউ যেতে দিতে চায় না। লক্ষ্মী চঞ্চলা, কোথাও টিকতে পারেন না। তখন লক্ষ্মী কৃষককে জানান তাঁর কথা মত চললে পরিবারে কখনও অর্থাভাব থাকবে না। ধনতেরাসের দিনে ঘরবাড়ি পরিষ্কার করার কথা বলেন লক্ষ্মী, এরপর রাতে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখে সন্ধ্যাকালে পুজো করতে বলেন, একটি রুপোর ঘটে তাঁর জন্য টাকা ভরে রাখার কথাও বলেন তিনি।

  • Dhanteras 2025: দুর্ভাগ্য এড়াতে ধনতেরাসে কী কিনবেন? জেনে নিন সৌভাগ্য ফেরানোর উপায়

    Dhanteras 2025: দুর্ভাগ্য এড়াতে ধনতেরাসে কী কিনবেন? জেনে নিন সৌভাগ্য ফেরানোর উপায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর পর এবার কালীপুজোর (Kali Puja 2025) প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন বাঙালিরা। তবে, কালীপুজোর আগে রয়েছে ধনতেরাস (Dhanteras 2025)। আগে সাধারণত, অবাঙালি হিন্দুদের মধ্যে দীপাবলির (Diwali 2025) আগে এই পুজোর চল ছিল। এখন বাঙালিরাও ধনতেরাস পালন করেন। ধনতেরাসের অর্থ ধন ত্রয়োদশী। কার্তিক মাসের কৃষ্ণ ত্রয়োদশীর দিন ধনতেরাস পালিত হয়। এই ধনতেরাসে শুভ মুহূর্তে সোনা সহ নানান সামগ্রী কিনে ধনলক্ষ্মীর কৃপা লাভের আশায় থাকেন ভক্তরা (Dhanteras Good Luck Purchases)।

    ধনতেরাসের দিন জিনিস কেনার আগে ভাবুন

    ধনতেরাসের (Dhanteras 2025) দিন ভগবান ধন্বন্তরীর পুজো করা হয়। কথিত রয়েছে এই দিনে সমুদ্র মন্থন করে শ্রী ধন্বন্তরী অমৃত কলস নিয়ে আবির্ভূত হন। এই দিনে সোনা, রুপো সহ নানান ধাতু কেনা শুভ। এছাড়াও এমন বহু সামগ্রী রয়েছে, যা ধনতেরাসের দিন কেনা শুভ হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এমন কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলি এই দিন একেবারেই কেনা উচিত নয়। এর ফলে সৌভাগ্যের বদলে দুর্ভাগ্য নেমে আসতে পারে। জেনে নেব এই দিন কী কেনা উচিত এবং কী কেনা উচিত নয়।

    ধনতেরাসে কী কী কেনা শুভ?

    ধার্মিক মান্যতা অনুসারে ধনতেরাসে (Dhanteras 2025) ঝাড়ু কেনা খুবই শুভ। এই ঝাড়ুকে লক্ষ্মীদেবীর প্রতীক বলে মনে করা হয়। এই দিনে ঝাড়ু কিনলে আর্থিক কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই সময় জমি, বাড়ি কেনা যায় ও সোনা, রুপোও কেনা যায়। এছাড়াও গাড়িও কেনা যায়। কথিত রয়েছে, এই দিন যদি সোনা কেনা যায় তা হলে ধনসম্পত্তি তিন গুণ বৃদ্ধি পায়। রুপোর কয়েন বা রুপোর অন্যান্য জিনিস কেনাও এই দিন শুভ বলে মানা হয়। বিশেষ করে রুপোর গয়না যদি বাড়ির মহিলাদের উপহার দিতে পারেন তা হলে খুবই ভালো হয়। এই দিন বাড়িতে অবশ্যই নুন কিনবেন এবং সেই নুন দিয়েই বাড়ির সমস্ত রান্না করবেন। ধনতেরাসের দিন গুড়ের বাতাসা, গাঁট হলুদ, কড়ি, গোমতীচক্র, জায়ফল, হরিতকি, সুপুরি, ধান এই কয়েকটা জিনিস কেনা অত্যন্ত শুভ। এই দিন বাড়িতে গণেশ-লক্ষ্মীর মূর্তি কেনা অত্যন্ত শুভ।

    কাঁসা বা পিতলের বাসনপত্র কিনুন, তবে…

    যাঁদের ইচ্ছে থাকলেও, সোনা কেনার সামর্থ্য নেই, তাঁরা ধনতেরাসের (Dhanteras 2025) দিনে কাঁসা কিংবা পিতলের বাসনপত্রও কেনেন। তবে মনে রাখবেন, কিনে খালি বাসন নিয়ে ঘরে ঢুকবেন না। কলসি কিংবা বালতি কিনলে তাতে জল কিংবা চাল ভরে ঘরে ঢুকবেন। এই জল গঙ্গার হলে ভাল হয়। নিতান্তই তা করতে না পারলে অন্তত জলাশয়ের জল ভরে নিন। সেই জলও না মিললে চাল ভরে নিন। আতপ চাল হলেই ভাল হয়। না হলে সিদ্ধ চালই সই। কলসি কিংবা বালতি না কিনে যদি বাসনকোসন কেনেন, তাহলে তাতেও চাল ভরে নিন। মধু কিংবা দুধ ভরেও বাড়ি ফিরতে পারেন। এসবের চেয়ে ভাল হয় যদি সাত ধরনের অন্ন ভরে ঘরে ফিরতে পারেন। বিশ্বাসীদের মতে— কৃষ্ণতিল, যব, মাসকলাই, ধান, ছোলা, সাদা সর্ষে এবং মুগের ডাল ভরে তবেই ঘরে ঢুকুন। এই সাতটি অন্নই সৌভাগ্যের প্রতীক।

    ধনতেরাসের দিন কী কী কিনবেন না

    ধনতেরাসের (Dhanteras 2025) দিন লোহা এবং কাচের তৈরি কোনও জিনিস কিনবেন না। এই দিন বাড়িতে কোনও পাত্র কিনে খালি অবস্থায় আনবেন না, তাতে কিছু জিনিস ভরে তবেই বাড়িতে আনবেন। এই দিন নকল সোনার জিনিস অর্থাৎ নকল গয়না কিনবেন না। এই দিন অ্যালুমিনিয়ামের কোনও জিনিস বাড়িতে কিনে আনবেন না। এতে মা লক্ষ্মী অসন্তুষ্ট হন। ধনতেরাসের দিন কোনও ধারালো জিনিস কেনা উচিত নয়। অর্থাৎ ছুরি, কাঁচি, ব্লেড জাতীয় কোনও ধারালো জিনিস না কেনাই ভালো। তা দুর্ভাগ্য বয়ে আনতে পারে। ধনতেরাসের দিন ধাতুর জিনিস কেনার চল রয়েছে। মিশ্র কোনও ধাতুর জিনিসপত্র না কেনাই ভাল। লোহার জিনিস কিনবেনই না। কিনবেন না স্টিলের বাসনকোসনও। চলবে না প্লাস্টিকও। আসলে এগুলির কোনওটাই অর্থকরী নয়। তাই বোধহয় এগুলি কিনতে বারণ করা হয়েছে। তার চেয়ে শুদ্ধ ধাতুর জিনিস কিনুন। মনে রাখবেন, ধর্মের মোড়কে সঞ্চয়ের এহেন দিশা বোধ হয় অন্য কোনও ধর্মেই নেই! ধনতেরাসের (Dhanteras 2025) পুজো করতে গেলে ঘি, তেল লাগবেই। কিন্তু তা আগে থেকে কিনে রাখুন। এই দিনে তেল, ঘি কিনবেন না। পোশাক কিনলেও মনে রাখবেন তার রং যেন কালো না হয়। এদিন কোনও ব্যক্তিকে টাকা ধার দেবেন না কারোর থেকে ধার নেবেন না।

LinkedIn
Share