Tag: Madhyom

Madhyom

  • Jagadhatri Puja 2024: বিশেষত্ব বনেদিয়ানা আর আভিজাত্য, একই গ্রামে ২৭টি জগদ্ধাত্রী পুজো মুর্শিদাবাদে!

    Jagadhatri Puja 2024: বিশেষত্ব বনেদিয়ানা আর আভিজাত্য, একই গ্রামে ২৭টি জগদ্ধাত্রী পুজো মুর্শিদাবাদে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগদ্ধাত্রী পুজো মানে একবাক্যে সকলেই চন্দননগর, কৃষ্ণনগরের নাম বলবেন। কিন্ত, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সালারের কাগ্রামের জগদ্ধাত্রী পুজোয় (Jagadhatri Puja 2024) আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। শুধুমাত্র একটি গ্রাম জুড়ে হয় ২৭টি জগদ্ধাত্রী পুজো। আধুনিকতা কিংবা চাকচিক্য নয়, এখানকার পুজোর বিশেষত্ব সাবেক বনেদিয়ানা আর আভিজাত্য। এরই সঙ্গে মিশে আছে মেলা, নাগরদোলা, কবিগান, বাউলগান আর আবালবৃদ্ধবনিতার অনাবিল আনন্দ। জগদ্ধাত্রী এক দিনের পুজো হলেও এর রেশ থেকে যায় বেশ কয়েকটা দিন।

    কৃষ্ণচন্দ্রের পুজো দেখে গ্রামে পুজোর প্রবর্তন (Jagadhatri Puja 2024)

    কাগ্রাম জেলার প্রান্তবর্তী এক প্রাচীন বনেদি গ্রাম। রয়েছে বহু ব্রাহ্মণ, শাক্ত ও বৈষ্ণব পরিবার। মধ্য রাঢ়ের অতি প্রাচীন এই গ্রামের নামকরণ গ্রাম্যদেবী কঙ্কচণ্ডীর নামানুসারে। অতীতের কাগাঁ আজকের কাগ্রাম। পারিবারিক ও বারোয়ারি মিলিয়ে এখানে পুজোর সংখ্যা ২৭টি। এ গ্রামে দুর্গাপুজো, কালীপুজো সহ অন্যান্য পুজো (Jagadhatri Puja 2024) হলেও মুখ্য আকর্ষণ সাবেক মেজাজের জগদ্ধাত্রী পুজো। এ গ্রামের প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম মার্সায় বাড়ির পুজো। সাবেক বাংলা রীতির প্রতিমায় আজও দেখা যায় অভিজাত্যের ছোঁয়া। শোনা যায়, পরিবারের আদিপুরুষ নদিয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের পুজো দেখে গ্রামে পুজোর প্রবর্তন করেন। পরবর্তী কালে বর্তমান মন্দিরটি নির্মিত হয়। আজও পুজোর প্রধান আকর্ষণ মহিষ বলি। পুরনো প্রথা মেনে হয় কুমারী পূজাও। এই পুজো ঘিরে হয় সাত দিন ব্যাপী মেলাও। এছাড়া রায়বাড়ির পুজো, পালবাড়ির পুজো, পশ্চিমপাড়ার বারোয়ারি পুজো দেখতে ভিড় উপচে পড়়ে। সারা রাত ধরে প্রতিমা দেখতে আশপাশর বহু গ্রামের হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন।

    বিসর্জনে শোভাযাত্রা

    শুধু সাড়ম্বরে পুজো নয়। কাগ্রামের জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja 2024) বিসর্জনের শোভাযাত্রাও সমান আকর্ষণীয়। এক একটি প্রতিমার শোভাযাত্রা হয় দীর্ঘ বিস্তৃত। সঙ্গে থাকে আলোকসজ্জা এবং নানা ধরনের বাজনা। যেমন ব্যান্ড তাসা ইত্যাদি। বিসর্জন উপলক্ষে মেলে প্রশাসনের বিশেষ সহযোগিতা। প্রতিটি পাড়ার প্রতিমার সঙ্গে থাকে পুলিশ পোস্টিং।  আগে বাহকদের কাঁধে চেপে প্রতিমা বিসর্জনে গেলেও এখন ট্রলিতে কিংবা ভ্যানে প্রতিমা বিসর্জনে যায়। যে সব পুজোগুলি শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে প্রশাসনের তরফে পুজো কমিটিকে প্রতিমা তোলার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় দেওয়া থাকে। সেই অনুযায়ী হয় বিসর্জন। মণ্ডপ থেকে বেরিয়ে এই সব প্রতিমা সারা রাত গ্রাম প্রদক্ষিণ করে পরদিন সকাল ৯টা নাগাদ মণ্ডপে ফেরে। তার পরে শুরু হয় বিসর্জন পর্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ফের অশান্ত মণিপুর, সিআরপিএফ শিবিরে হামলা, গুলিতে হত ১১ কুকি জঙ্গি

    Manipur Violence: ফের অশান্ত মণিপুর, সিআরপিএফ শিবিরে হামলা, গুলিতে হত ১১ কুকি জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে সিআরপিএফের শিবিরে হামলা কুকি জঙ্গিদের। এলোপাথাড়ি গুলি (Gunfight) চালায় জঙ্গিরা (Manipur Violence)। প্রতিরোধ গড়ে তোলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। নিহত হন ১১ জন। সিআরপিএফের দাবি, নিহত ১১ জনই জঙ্গি। জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর জখম হয়েছেন বাহিনীর এক জওয়ান।

    সংঘর্ষ শুরু গত বছর

    গত বছরের শুরুর দিক থেকেই সংঘর্ষ শুরু হয়েছে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে। তার জেরে অশান্তির আগুন জ্বলছে চিত্রাঙ্গদার দেশে। দিন দুই আগে বছর একত্রিশের এক আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে ঝিরিবাম জেলায়। ওই মহিলা তিন সন্তানের জননী। অভিযোগ, সশস্ত্র হামলাকারীরা প্রথমে গ্রামে ঢুকে লুটপাট চালায়। নির্বিচারে গুলিও করতে শুরু করে। আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি বাড়ি। সব মিলিয়ে এদিন পোড়ানো হয়েছে ১৭টি বাড়ি।

    সিআরপিএফ শিবিরে গুলি

    সেই ঘটনার রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের অশান্তির আগুন জ্বলল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে আচমকাই জঙ্গিরা হামলা চালায় সিআরপিএফের ক্যাম্পে। তার আগে তারা হামলা চালায় বড়বেকরা মহকুমা সদর থানায়। এরপর তারা লুটপাট চালায় এলাকার কয়েকটি বাড়িতে (Manipur Violence)। দোকানও লুটপাট করে জঙ্গিরা। পরে তারা হামলা চালায় সিআরপিএফের ওপর। এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। শুরু হয় দুপক্ষের গুলির লড়াই। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতরা প্রত্যেকেই কুকি জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য। জঙ্গিদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে বাহিনী।

    আরও পড়ুন: “সারা বিশ্ব ভারতবর্ষের দিকে তাকিয়ে আছে”, বললেন মোহন ভাগবত

    শনিবার রাতে জিরিবামের জাইরাওন নামে এক গ্রামে মেইতেই সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাম্বাই টেঙ্গল এবং ইনএনএলএফের যৌথ বাহিনীর হামলায় এক কুকি মহিলা নিহত হয়েছিলেন। রবিবার কুকি-জো জনজাতিদের যৌথ মঞ্চ আইটিএলএফের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা এক মেইতেই মহিলাকে খুন করে।

    এদিকে, পূর্ব ইম্ফল জেলার থামনাপোকপি, ইয়াইঙ্গাংপোকপি, সাবুংখোক এবং সানসাবি-সহ বিভিন্ন এলাকায় মেশিনগান রকেটচালিত গ্রেনেড নিয়ে হামলা চলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের (Gunfight) ওপর। এদিনও রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে সংঘর্ষের খবর এসেছে দফায় দফায় (Manipur Violence)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

     

  • Jagadhatri Puja 2024: জগদ্ধাত্রী পুজোয় কৃষ্ণনগরে ঘট বিসর্জনের শোভাযাত্রা, রাজবাড়িতে হল সিঁদুর খেলা

    Jagadhatri Puja 2024: জগদ্ধাত্রী পুজোয় কৃষ্ণনগরে ঘট বিসর্জনের শোভাযাত্রা, রাজবাড়িতে হল সিঁদুর খেলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার একদিকে যখন কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে সিঁদুর খেলাকে কেন্দ্র করে মহিলারা উন্মাদনায় মেতে ওঠেন, ঠিক সেই সময় শহর জুড়ে বিভিন্ন বারোয়ারির ঘট বিসর্জন ঘিরেও উচ্ছ্বাস দেখা গেল শহরে। বিভিন্ন রাস্তায় তিল ধারণের জায়গা ছিল না। জগদ্ধাত্রী পুজোকে (Jagadhatri Puja 2024) কেন্দ্র করে এ যেন এক অন্য কৃষ্ণনগর!

    ঘট বিসর্জনে শোভাযাত্রা (Jagadhatri Puja 2024)

    পুজো এবং প্যান্ডেলের পাশাপাশি কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মূল আকর্ষণ বিসর্জন। বিসর্জন ঘিরে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। রবিবার কৃষ্ণনগরের প্রতিটি জগদ্ধাত্রী মাতা (Jagadhatri Puja 2024) একদিন পূজিতা হন। সোমবার সকাল থেকেই একাধিক বারোয়ারি ঘট বিসর্জনের জন্য শোভাযাত্রা নিয়ে রাজপথে রওনা দেয়। তবে অন্যান্য বারোয়ারি ঘট বিসর্জন করলেও কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি তা করে না। সেই কারণেই রাজবাড়িতে দেখা গেল রানিমার উপস্থিতিতে সিঁদুর খেলা। তা চলল দফায় দফায়। অন্যদিকে, কৃষ্ণনগর শহরের প্রাণকেন্দ্র পোস্ট অফিস মোড়ে সকাল থেকে রাস্তার পাশে মানুষের উপস্থিতি। তাদের মধ্যে মূল আকর্ষণ চাষাপাড়া বারোয়ারির বুড়িমাকে ঘিরে। সকাল থেকে ঘট বিসর্জনের পর রাতে জগদ্ধাত্রী মাতাকে নিয়ে বের হয় তারা। মূলত সাং যাত্রার মাধ্যমে চলে রাতের শোভাযাত্রা। এখানে প্রতিমা কোনও গাড়িতে করে যায় না। মূলত মানুষের কাঁধে করে বিসর্জনের পথে রওনা দেয় কৃষ্ণনগরের প্রতিটি বারোয়ারির জগদ্ধাত্রী মাতা। বিভিন্ন বারোয়ারি নিত্যনতুন আকর্ষণ তুলে ধরেছে। পুরুলিয়ার ছৌ নাচ থেকে শুরু করে বাংলার যে সমস্ত সংস্কৃতি এবং শিল্প রয়েছে সেগুলো তুলে ধরা হয় এই শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে।

    কদমতলা ঘাটে নিরঞ্জন

    কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) বিভিন্ন রাজপথ অতিক্রান্ত করে কদমতলা ঘাটে বিসর্জন হয় জগদ্ধাত্রী মাতার। অন্যদিকে, এই শোভাযাত্রা (Jagadhatri Puja 2024) ঘিরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে কারণে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ-প্রশাসন। বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Karnataka: কর্নাটকে ৪০ হাজার কোটি টাকার ‘দুর্নীতি’! ৩৩ কংগ্রেস মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি বিজেপির

    Karnataka: কর্নাটকে ৪০ হাজার কোটি টাকার ‘দুর্নীতি’! ৩৩ কংগ্রেস মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকে কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ কংগ্রেস-শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে। অভিযোগের তীর মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ ৩৩ জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি, সরকারি অর্থের অপব্যবহার এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় সন্দেহজনক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নানা দিকে। বিরোধী দলগুলো কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে স্বচ্ছতার অভাব এবং আইন মেনে চলার প্রতি উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছে। বিরোধীদের দাবি, অর্থের বিনিময়ে কর্নাটক সরকারের কিছু মন্ত্রী বিশেষ কিছু ঠিকাদারদের স্বার্থের কথা ভেবে কাজ করে। তাদের হাতেই রয়েছে ক্ষমতার চাবি কাঠি।

    বিবিএমপি সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট স্ক্যাম

    সম্প্রতি কংগ্রেস সরকার পরিচালিত বিবিএমপি-এর (ব্রুহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিক) সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট (কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) নিয়ে এক বিপুল পরিমাণ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অ্যান্টি-কোরাপশন ফোরামের সভাপতি তথা বিজেপি নেতা এন আর রমেশ এই  অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি, কর্নাটক সরকার একটি ঠিকাদারকে ২৫ বছরের জন্য বর্জ্য নিষ্কাশনের চুক্তি প্রদান করেছে। আগে থেকেই অর্থের বিনিময়ে ওই ঠিকাদারকে নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছিল। যা প্রোকিওরমেন্ট এবং টেন্ডারিং আইনের লঙ্ঘন। এই অভিযোগের সঙ্গে ১,৫৭০ পৃষ্ঠার নথি জমা দেওয়া হয়েছে। ওই নথিতে কংগ্রেস সরকারের ৩৩ জন মন্ত্রীকে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং পাবলিক ফান্ড চুরির অভিযোগ অভিযুক্ত করা হয়েছে। রমেশ দাবি করেছেন যে, এই চুক্তি রাম্মি ইনসা স্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামক একটি কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে, যা অতীতে ব্ল্যাকলিস্টেড হয়েছিল। অভিযোগ অনুযায়ী, এই চুক্তি ২৫ বছরের মধ্যে ৪০,০০০ কোটি পর্যন্ত সরকারি অর্থের অপব্যবহারের কারণ হতে পারে। এটা কর্ণাটকের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ দুর্নীতির ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এই অভিযোগ সামনে আসার পর থেকেই বিজেপি নেতারা মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া ও অন্যান্য মন্ত্রীদের থেকে জবাবদিহি চাইছে। সরকারকে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চাপ দিচ্ছে বিরোধীরা।

    জমি দুর্নীতি

    কর্নাটক কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতিরও অভিযোগ উঠেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, কংগ্রেস নেতারা ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম করেছেন এবং নির্বাচিত কিছু ব্যক্তির হাতে সরকারি জমি বিক্রি করেছেন। এসব সম্পত্তি বেচে সরকারি কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত লাভ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া, ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি জমির অবহেলা করে প্রাইভেট ডেভেলপারদের কাছে তা বিক্রির অভিযোগও রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, এসব লেনদেনের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা কমিশন হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে।

    নির্মাণ চুক্তি ও পরিকাঠামোগত অব্যবস্থাপনা

    কংগ্রেস সরকারকে বিভিন্ন নির্মাণ ও পরিকাঠামোগত প্রকল্পে অব্যবস্থাপনার জন্যও অভিযুক্ত করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে যে, সরকার অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ করে এবং প্রকল্পগুলির জন্য টেন্ডার ছাড়া ঠিকাদারি কাজ দিয়েছে। যেমন রাস্তাঘাট নির্মাণ এবং শহরের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পে নিম্ন মানের কাজের অভিযোগ রয়েছে। বিজেপি নেতারা দাবি করেছেন যে, ঠিকাদাররা এই প্রকল্পগুলির খরচ বাড়িয়ে প্রকল্পের মান কমিয়েছে, এবং তাদের দুর্নীতির ফলস্বরূপ সরকারি অর্থের অপব্যবহার হয়েছে।

    শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে দুর্নীতির ছায়া

    কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষা ও কর্মসংস্থান খাতে দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। শিক্ষক নিয়োগ, ছাত্র স্কলারশিপ এবং পেশাদারি প্রশিক্ষণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে এরকম  ব্যক্তিদের চাকরি দেওয়ার এবং স্কলারশিপের টাকা আত্মসাত করার অভিযোগও উঠেছে।

    স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি

    কর্নাটকের স্বাস্থ্য খাতও দুর্নীতির আকরভূমি। সরকারি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না হওয়া এবং নিন্মমানের চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে। আরও অভিযোগ করা হচ্ছে যে, রাজনৈতিক সংযোগের মাধ্যমে কিছু ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। যার ফলে সরকারি হাসপাতালগুলিতে অত্যন্ত উচ্চমূল্যে নিম্নমানের ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: খনিজ সম্পদেও ‘আত্মনির্ভর ভারত’! নিলামে প্রথম বিক্রি টাংস্টেন-কোবাল্ট

    কৃষি ক্ষেত্রে বিতর্ক

    কৃষকদের জন্য ঘোষিত ঋণ এবং সহায়তা প্রকল্পেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করা হয়েছে যে, কংগ্রেস সরকার কৃষকদের জন্য ঘোষিত ঋণ শুধুমাত্র নির্বাচিত কিছু রাজনৈতিক সমর্থকদের মধ্যে বিতরণ করছে। এছাড়া, কৃষকদের জন্য বরাদ্দ অর্থ ও সাহায্য নানা কারণে বিলম্বিত হয়েছে এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অনেক সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।

    তদন্তের দাবি

    কর্নাটকে এই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতারা কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে। এন আর রমেশের দাবি, সরকারের বিরুদ্ধে যে সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত করা উচিত। বিজেপি প্রতিনিধি দলের যুক্তি, যদি এসব অভিযোগের সঠিকভাবে তদন্ত না করা হয়, তাহলে তা রাজ্যের অর্থনীতি এবং জনগণের আস্থার জন্য বিপজ্জনক হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘একটি ক্যামেরা লাগাতে খরচ ৩.৫ লক্ষ টাকা’’! সিসিটিভি-দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘একটি ক্যামেরা লাগাতে খরচ ৩.৫ লক্ষ টাকা’’! সিসিটিভি-দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোয় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোশ্যাল মিডিয়ায় নথি পেশ করে শুভেন্দুবাবু দাবি করেছেন, আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর খরচ দেখানো হয়েছে ৩ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা। শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, অবিশ্বাস্য, নির্লজ্জ। প্রত্যেকে জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত। কিন্তু এবার তারা নিজেরাই নিজেদের ছাপিয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভারতে আগেই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’! নিজ্জর-ঘনিষ্ঠ খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা গ্রেফতার কানাডায়

    কী অভিযোগ করলেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে মহিলা চিকিৎসক ও নার্সদের সুরক্ষার জন্য সুপ্রিম কোর্ট নিরাপত্তা বৃদ্ধির নির্দেশ দেওয়ার পর সিসিটিভি লাগানো নিয়ে রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা সর্বোচ্চ আদালতে অনেক গলাবাজি করেছেন। এরপর স্বাস্থ্য দফতর সিসিটিভি লাগাতে টেন্ডার জারি করে। আর হাসপাতালে সেই সিসি ক্যামেরা লাগানোর নাম করেই তৃণমূল সরকার টাকা তুলছে বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। ঝাড়গ্রাম এবং আরামবাগের দুটি হাসপাতালের তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তিনি। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৯৫টি সিসিটিভি লাগানোর কথা, তাতে মোট খরচ হবে ৩ কোটি ২২ লক্ষ ৫২ হাজার ৯২৩! অর্থাৎ ইউনিট প্রতি খরচ ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪০০ টাকা। অন্যদিকে, আরামবাগের প্রফুল্লচন্দ্র সেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫০টি সিসিটিভি লাগাতে হবে। তার জন্য খরচ হবে ১ কোটি ৭৫ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৩৯ টাকা। ইউনিট প্রতি খরচ ৩ লক্ষ ৫১ হাজার ৯৭৪! বিজেপি নেতার স্পষ্ট দাবি, কলেজ-হাসপাতালগুলিতে সিসিটিভি বসানো নিয়ে কাটমানি তুলছে তৃণমূল। গোটা ঘটনাকে অত্যাশ্চর্য, অভাবনীয় বলার পাশাপাশি লজ্জাজনকও বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার যে দুর্নীতিগ্রস্থ তা সকলের জানা। কিন্তু এই কাজ করে তাঁরা সব সীমা ছাড়িয়ে চলে গিয়েছে। এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিকে টাকা কামানোর সুযোগে পরিণত করার জন্য তৃণমূলের হাততালি প্রাপ্য।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Elon Musk: শীঘ্রই ভারতে আসছে স্টারলিঙ্ক! কেন্দ্রের ডেটা স্থানীয়করণ শর্তে রাজি মাস্কের স্পেসএক্স

    Elon Musk: শীঘ্রই ভারতে আসছে স্টারলিঙ্ক! কেন্দ্রের ডেটা স্থানীয়করণ শর্তে রাজি মাস্কের স্পেসএক্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইলন মাস্কের (Elon Musk) স্পেসএক্স, যা বেশ কয়েকটি দেশে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করে থাকে, এবার ভারতেও চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, স্পেসএক্সের স্টারলিঙ্কের (SpaceX Starlink) কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এই সংস্থাটি ডেটা বা তথ্যের বিষয়ে স্থানীয়করণ এবং অন্যান্য সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য ভারত সরকারের শর্তে সম্মতি দিয়েছে।

    ভারতে স্টারলিঙ্ক লঞ্চের ইঙ্গিত (Elon Musk)

    মানি কন্ট্রোলের একটি খবরে জানা গিয়েছে, স্টারলিঙ্কের লাইসেন্সের আবেদন আবার ট্র্যাকে ফিরে এসেছে। কারণ মাস্ক তাঁর মালিকানাধীন কোম্পানি ভারত সরকারের দেওয়া শর্তে সম্মত হয়েছে। স্টারলিঙ্ক (SpaceX Starlink) বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতীয় বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। সাম্প্রতিক এই অগ্রগতিতে অদূর ভবিষ্যতে ভারতে স্টারলিঙ্ক নেটওয়ার্ক সূচনার ইঙ্গিত দিতে পারে। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, “টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠকে স্টারলিঙ্ক (SpaceX Starlink) নীতিগতভাবে সরকারের প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে সম্মতি দিয়েছে। ইলন মাস্ক (Elon Musk) হলেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনে জয়ের পর তিনি অনেক বেশি প্রভাবশালী হতে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। মাস্ক প্রকাশ্যে ট্রাম্পকে সমর্থন করেছিলেন এবং প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনও করেছিলেন। মার্কিন মুলুকে নতুন ট্রাম্প সরকারেও তিনি প্রধান ভূমিকা পালন করতে চলেছেন।”

    আরও পড়ুনঃ রাশিয়ায় তৈরি প্রথম স্টেল্থ ফ্রিগেট ‘তুশিল’ ডিসেম্বরেই আসছে ভারতের হাতে

    কে এই ইলন মাস্ক (Elon Musk)?

    ইলন মাস্ক একজন দক্ষিণ আফ্রিকান প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী। তিনি মহাকাশ ভ্রমণ সংস্থা স্পেসএক্সের সিইও ও প্রধান প্রযুক্তি আধিকারিক। তিনি একই ভাবে আবার বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টেসলা মোটরসের-ও প্রধান কার্যনির্বাহী আধিকারিক। তিনি পণ্য প্রস্তুতকারক সোলারসিটির চেয়ারম্যান। সেই সঙ্গে তিনি দি বোরিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতাও। একই ভাবে নিউরালিঙ্কের সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা, ওপেনএআইয়ের সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান। তিনি পেপালেরও (PayPal) একজন সহযোগী-প্রতিষ্ঠাতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: “সারা বিশ্ব ভারতবর্ষের দিকে তাকিয়ে আছে”, বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “সারা বিশ্ব ভারতবর্ষের দিকে তাকিয়ে আছে”, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সারা বিশ্ব ভারতবর্ষের দিকে তাকিয়ে আছে।” কথাগুলি বললেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “পশ্চিমী দৃষ্টিকোণ থেকে এখন পর্যন্ত যে উন্নয়ন ঘটেছে তা অসম্পূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে, ধর্ম এবং রাজনীতির ধারণাকে একসময় ব্যবসা বানানো হয়েছিল। পরবর্তীকালে, বৈজ্ঞানিক যুগের আগমনের পর এটি অস্ত্রের বাণিজ্যেও পরিণত হয় এবং দুটি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই প্রেক্ষাপটে, এতে সুখ এবং সমৃদ্ধি আসেনি, বরং আরও বেশি ধ্বংস হয়েছে।”

    কী বললেন আরএসএস কর্তা? (Mohan Bhagwat)

    আরএসএস (RSS) কর্তা (Mohan Bhagwat) বলেন, “পুরো বিশ্ব দুটি মতাদর্শে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল—নাস্তিক ও আস্তিক। পরে এটি সংঘর্ষের কারণও হয়ে ওঠে, যেখানে শক্তিশালীরা বেঁচে থাকে এবং দুর্বলরা হারিয়ে যায়।” বর্তমান সময়ে বিশ্বকল্যাণের জন্য হিন্দুত্বের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক বিষয়ে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। অনুষ্ঠান হয়েছিল জবলপুরে। ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “গোষ্ঠীগুলির শক্তির ধারণাও সামনে আসে এবং এর সঙ্গে সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। সম্পদ সীমাহীন হয়ে উঠেছে। কিন্তু সঠিক পথ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই কারণেই আজ সারা বিশ্ব আধ্যাত্মিক শান্তির প্রত্যাশায় ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।”

    ভারত তার জ্ঞান ভুলে গিয়েছে

    তিনি বলেন, “পৃথিবীর কল্যাণ প্রয়োজন। যদি তাই হয়, তবে কার ওপর এর প্রতি সর্বাধিক বৈশ্বিক দায়িত্ব বর্তায়? আজকের দিনে পৃথিবী কার কাছ থেকে এই সমস্যার সমাধান আশা করছে?” সরসঙ্ঘ চালক (Mohan Bhagwat) বলেন, “আজ বিশ্ব সম্পদে পরিপূর্ণ, জ্ঞানের কোনও সীমা নেই। কিন্তু মানবকল্যাণের জন্য প্রয়োজনীয় পথ নেই। এই দিক থেকে ভারত সমৃদ্ধশালী। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত তার জ্ঞান ভুলে গিয়েছে। এর অনেক কারণ আছে, যার মধ্যে একটি হল বিলাসিতা এবং শান্তিপূর্ণ জীবনের প্রাপ্তি। কিন্তু আমাদের স্মরণ করতে হবে আমরা কী ছিলাম। তাই আমাদের এই বিস্মৃতির গহ্বর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।”

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের ভোটে প্রভাব ফেলছে অনুপ্রবেশকারী মুসলমানরা! বলছে সমীক্ষা

    ভাগবত (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, “ভারতীয় জীবনদর্শনে অজ্ঞতা ও জ্ঞান উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ, উভয়ের একটি সমন্বয় প্রয়োজন যাতে জাগতিক ও আধ্যাত্মিক জীবনে ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। এটি হিন্দু ধর্মে গৃহীত হয়েছে, তাই হিন্দু ধর্ম অজ্ঞতা ও জ্ঞানের উভয় পথেই চলে (RSS)। যে কারণে এখানে কোনও চরমপন্থী বা উগ্রপন্থী নেই। অথচ পশ্চিমের ধারণায় চরমপন্থা ও উগ্রতা দেখা যায়। কারণ তারা তাদের স্বার্থের ক্ষতির আশঙ্কা করে, যার ফলে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অসম্পূর্ণ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

     

  • Railway Recruitment: উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলে ৫,৬৪৭টি অ্যাপ্রেনটিস পদে নিয়োগ হচ্ছে, কী যোগ্যতা লাগবে?

    Railway Recruitment: উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলে ৫,৬৪৭টি অ্যাপ্রেনটিস পদে নিয়োগ হচ্ছে, কী যোগ্যতা লাগবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলে (Railway Recruitment) অ্যাপ্রেনটিস পদে প্রচুর পরিমাণে কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে। চাকরিতে কারা আবেদন করতে পারবেন তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কত কর্মী নিয়োগ করা হবে তাও উল্লেখ রয়েছে। অধিকাংশ টেকনিক্যাল বিভাগে কর্মী নিয়োগ করা হবে। ইতিমধ্যে আবেদনপত্র জমা নেওয়ার কাজ চলছে। কতদিন পর্যন্ত আবেদন জমা নেওয়া হবে তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    কত কর্মী নিয়োগ করা হবে? (Railway Recruitment)

    রেল (Northeast Frontier Railway) সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলে ৫ হাজার ৬৪৭টি অ্যাপ্রেনটিস (Railway Recruitment) পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে। ম্যাট্রিকুলেশন (দশম শ্রেণি) এবং আইটিআই নম্বরের ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে। যোগ্য প্রার্থীরা এনএফআর-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নভেম্বর ৪ তারিখ থেকে আবেদন জমা নেওয়া শুরু হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন জমা নেওয়া চলবে।  

    আরও পড়ুন: ভারতে আগেই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’! নিজ্জর-ঘনিষ্ঠ খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা গ্রেফতার কানাডায়

    কোথায় কত কর্মী নিয়োগ?

    উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলে (Railway Recruitment) একাধিক বিভাগে শূন্যপদ রয়েছে। জানা গিয়েছে, কাটিহার (KIR) এবং তিন্ধরিয়া (TDH) কর্মশালা: ৮১২টি পদ রয়েছে। আলুপুরদুয়ার (APDJ): ৪১৩টি পদ রয়েছে।  রাঙ্গিয়া (RNY): ৪৩৫টি পদ, লুমডিং (এলএমজি): ৯৫০টি পদ রয়েছে। তিনসুকিয়া (TSK): ৫৮০টি পদ রয়েছে। নতুন বোঙ্গাইগাঁও ওয়ার্কশপ (NBQS) এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ (EWS/BNGN): ৯৮২টি পদ রয়েছে। ডিব্রুগড় ওয়ার্কশপ (DBWS): ৮১৪টি ​​এবং মালিগাঁওয়ে এনএফআর-এর সদর দফতর (HQ): ৬৬১টি পদ রয়েছে।

    যোগ্যতা কী?

    এনএফআর শিক্ষানবিশ নিয়োগে (Railway Recruitment) যোগ্যতার জন্য আবেদনকারীদের আবেদনের শেষ তারিখ অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে বয়স হতে হবে। প্রার্থীদের অবশ্যই কমপক্ষে ৫০ শতাংশ মোট নম্বর সহ তাদের ম্যাট্রিকুলেশন পাশ হতে হবে। আর চাহিদা মতো ট্রেডে আইটিআই সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

    নির্বাচন প্রক্রিয়া

    নির্বাচন প্রক্রিয়া (Railway Recruitment) মেধা-ভিত্তিক এবং ইউনিট। আর সম্প্রদায় বিভাগ বিবেচনা করে। প্রতিটি ইউনিটে ম্যাট্রিকুলেশন এবং আইটিআই-তে প্রার্থীদের স্কোরের ভিত্তিতে একটি মেধা তালিকা তৈরি করবে। চূড়ান্ত নির্বাচন উভয় স্কোরের গড় হিসেবে গণনা করা হবে। আবেদন ফি? আবেদনের ফি হল ১০০ টাকা। তবে, এসসি, এসটি, বিডব্লুবিডি, ইবিসি বিভাগ এবং মহিলাদের প্রার্থীদের জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীরা প্রতি পরিবর্তনের জন্য ৫০ টাকা ফি দিয়ে জমা দেওয়ার পরে তাদের আবেদন সংশোধন করতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • INS Tushil: রাশিয়ায় তৈরি প্রথম স্টেল্থ ফ্রিগেট ‘তুশিল’ ডিসেম্বরেই আসছে ভারতের হাতে

    INS Tushil: রাশিয়ায় তৈরি প্রথম স্টেল্থ ফ্রিগেট ‘তুশিল’ ডিসেম্বরেই আসছে ভারতের হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের শেষেই ভারত রাশিয়া থেকে প্রথম স্টেলথ ফ্রিগেট ‘তুশিল’ গ্রহণ করবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ৯ ডিসেম্বর রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদের ইয়ন্তর শিপইয়ার্ড থেকে এই অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করবেন। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ২৫০ কোটি ডলার অস্ত্র-চুক্তির মধ্যে এটি হল অন্যতম। ২০২৩ সালেই এই যুদ্ধজাহাজ ভারতের হাতে আসার কথা ছিল। কিন্তু প্রথমে কোভিড অতিমারি ও পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য প্রায় এক বছর পর তুশিল হাতে পেতে চলেছে ভারত। 

    তুশিলের ক্ষমতা

    তুশিল একটি সংস্কৃত শব্দ। এর অর্থ রক্ষাকবচ। রাশিয়ায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত ডি বালা ভেঙ্কটেশ বর্মার উপস্থিতিতে এই চুক্তি হয়েছিল। ভারত মহাসাগরে প্রহরা দেবে ‘তুশিল’। স্টেলথ প্রযুক্তির প্রয়োগ করা হয়েছে এই যুদ্ধজাহাজ প্রস্তুতিতে। এয়ার ডিফেন্স থেকে শুরু করে অ্যান্টি-শিপ ও অ্যান্টি-সাবমেরিন যুদ্ধে পারদর্শী এই অত্যাধুনিক ফ্রিগেট। এতে হেলিকপ্টারও অবতরণ করতে পারবে। বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজন অনুসারে এর দায়িত্বও বাড়ানো হবে।

    আরও পড়ুন: খনিজ সম্পদেও ‘আত্মনির্ভর ভারত’! নিলামে প্রথম বিক্রি টাংস্টেন-কোবাল্ট

    নৌসেনার ক্ষমতা বাড়বে

    তুশিল ভারতীয় নৌসেনার হাতে এলে স্বাভাবিক ভাবেই ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে ভারতের দাপট বাড়বে। ফ্রিগেটটি ভারতের নৌবাহিনীর সামুদ্রিক অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার এবং গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে কাজ করবে। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে রাশিয়া এবং ভারত চারটি স্টেলথ ফ্রিগেট ক্রয়ের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির আওতায় দুটি ফ্রিগেট সরাসরি আমদানি করা হবে, এবং বাকি দুটি গোয়া শিপইয়ার্ড লিমিটেড (জিএসএল)-এ স্থানীয়ভাবে নির্মাণ করা হবে। প্রথম দুটি ফ্রিগেটের সরাসরি ক্রয়ের জন্য ১ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISKCON: ট্রাম্পের বিপুল জয়ে উদ্বিগ্ন ইউনূস, ইসকনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ নাও করা হতে পারে

    ISKCON: ট্রাম্পের বিপুল জয়ে উদ্বিগ্ন ইউনূস, ইসকনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ নাও করা হতে পারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ব্যাপক আক্রমণের ঘটনা ঘটতে থাকে। এমন অবস্থায় প্রতিবাদ জানাতে দিকে দিকে শুরু হয় বিক্ষোভ সমাবেশ। ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিপুল জনসমাগম হয়। সেই জনজোয়ার নজর কাড়ে গোটা বিশ্বের। এই দুই সমাবেশেই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল ইসকন। এরপরে ইসকনের ওপর বাংলাদেশ সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে, এমন খবর রটে যায়। জল্পনার অবশ্য বিশেষ কিছু কারণও ছিল। বাংলাদেশে বর্তমানে ইউনূস সরকারের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে জামাত-বিএনপির এবং হেফাজতে-ইসসামের হাতে। সেই মৌলবাদীরা সম্প্রতি ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে। চট্টগ্রামে বিপুল জনসমাগমের পরেই এক মৌলবাদী সমাজ মাধ্যমে ইসকন (ISKCON) বিরোধী পোস্ট করে। সংস্থাকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানায়। যার ফলে অশান্ত হয় চট্টগ্রাম। এই ঘটনায় ৫৮২ জনকে আটক করে পুলিশ। প্রশাসনের তরফ থেকেও বলা হয়, ধৃতরা প্রত্যেকেই ইসকনের সদস্য। অনেকে বলতে থাকেন, আসলে প্রশাসন অশান্তি ছড়ানোর জন্য মৌলবাদীদের বদলে ইসকনকে দায়ী করছে মূলত দুটি কারণে- প্রথমতঃ বাংলাদেশের প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ বর্তমানে মৌলবাদীদের হাতে এবং দ্বিতীয়তঃ সে কারণেই ইসকনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে মৌলবাদীদের খুশি করতে চায় বাংলাদেশের প্রশাসন। তার পরেই যেন খেলা ঘুরতে শুরু করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Donald Trump) নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যখন তিনি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ছিলেন, তখনই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন। তাই ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই উদ্বেগে রয়েছে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার। এমন অবস্থায় ওয়াকিবহাল মনে করছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ইসকনের (ISKCON) বিরুদ্ধে কোনওরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা অন্ততপক্ষে আর নিতে পারবে না।

    ইউনূস আত্মবিশ্বাসী ছিলেন কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট হবেন

    বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূসের সঙ্গে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। অনেকের ধারণা, ইউনূসকে বাংলাদেশে ক্ষমতার মসনেদ বসাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল ডেমোক্র্যাটরা। ২০২৪ সালের মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ইউনূস আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস জিতবেন। ইউনূস ভেবেছিলেন, ডেমোক্র্যাট রাষ্ট্রপতির অধীনে যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থাকে সেক্ষেত্রে তাঁর সোনায় সোহাগা হবে। বাংলাদেশে ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর যে ধরনের নির্যাতন চলছে, সে নিয়ে মার্কিন প্রশাসন কোনও কথা বলবে না। একইসঙ্গে কট্টরপন্থী ইসলামিক মৌলবাদীদের সঙ্গে ইউনূসের যোগকেও উপেক্ষা করে চলবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাই আশা ছিল কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট হবেন। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প বিপুল ভোটে জয়ী হতেই সে আশা ভেঙে যায়। বাংলাদেশে ধর্মীয়ভাবে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় গত ৩১ অক্টোবরই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে, এর প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্ট করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ট্রাম্পের ওই পোস্টে ইউনূস ও তাঁর কট্টর মৌলবাদী ইসলামপন্থী বন্ধুরা খুবই অস্বস্তিতে পড়ে যান। নিজের পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘‘হিন্দু খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যে বর্বর অত্যাচার হচ্ছে বাংলাদেশে, তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ বর্তমানে উপদ্রুত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে।’’

    কী বলছেন আওয়ামী লিগের নির্বাসিত নেতা?

    ট্রাম্পের এমন ট্যুইটবাণ ইউনূসকে হজম করতে হয়। তিনি তখনও আশায় মগ্ন ছিলেন যে কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে বদলে গিয়েছে। ইউনূস সরকার আশঙ্কিত যে কোনও মুহূর্তে নতুন মার্কিন প্রশাসন, বাংলাদেশের হিন্দু সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় নিয়ে ফের সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। ইউনূস নিজেও জানেন, এক্ষেত্রে তাঁর ডেমোক্র্যাট বন্ধুরা কিছুই করতে পারবেন না। স্বরাজ্য পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, এক আওয়ামী লিগের নির্বাসিত নেতা দাবি করেছেন, ‘‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় ইউনূস ও তাঁর প্রশাসনকে কঠিন তদন্তের মুখোমুখি হতে হবে। কোনওভাবেই আর কট্টর ইসলামপন্থী মৌলবাদীদের প্রতি নরম হতে পারবে না ইউনূস।’’ আওয়ামী লিগের ওই নেতার আরও দাবি, ‘‘ইউনূস নিজেও জানেন যে ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা যদি হয় তবে সেখানে নজরদারি চালাতে থাকবে ট্রাম্প প্রশাসন এবং তিনি নিজেও মৌলবাদীদের খুশি করার মতো পদক্ষেপ করতে পারবেন না।’’

    মার্কিন দেশে রয়েছেন প্রচুর ইসকন (ISKCON) ভক্ত

    প্রসঙ্গত, অনেকেই বলছেন যে, ইউনূস প্রশাসন ইসকনের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইসকনের প্রচুর প্রভাবশালী ভক্ত রয়েছেন। এই তালিকায় রয়েছেন শিল্পপতি থেকে বিভিন্ন পেশাদাররা, যাঁরা প্রত্যেকেই রিপাবলিকানদের ঘনিষ্ঠ। এমনকী, খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইসকনের সুসম্পর্ক রয়েছে। আবার বেশ কিছু প্রভাবশালী ইসকন ভক্তের সঙ্গে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ‘‘ট্রাম্পের সঙ্গে বহু পুরনো এবং দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ইসকনের। মার্কিন মুলুকে ইসকনের রথযাত্রার সূচনার নেপথ্যে বিরাট ভূমিকা ছিল ট্রাম্পের। ইসকনের রথযাত্রার অন্যতম বড় পৃষ্ঠপোষকও ট্রাম্প। 

    ট্রাম্প ও ইসকনের (ISKCON) ইতিহাস 

    ৪৮ বছর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প জগন্নাথের রথ তৈরির জন্য মুফতে জায়গা দিয়েছিলেন। ১৯৭৬ সাল। মার্কিন মুলুকে প্রথমবার রথযাত্র উৎসবের উদ্যোগ চলছে। রথ কোথায় তৈরি করা হবে, তা নিয়ে ইসকনের কর্তারা যখন ধন্দে, তখনই প্রায় ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন ট্রাম্প। জানা যায়, ইসকনের কর্তারা নিউইয়র্ক শহরের ধনী ব্যক্তিদের কাছে রথ বনানোর জন্য জায়গা চেয়ে অনুনয়-বিনয় করছেন। কেউ তাঁদের জায়গা দিচ্ছেন না। জায়গার খোঁজে তাঁরা যখন হন্যে হচ্ছেন, তখনই একদিন তাঁরা গেলেন ট্রাম্পের কাছে। সব শুনে তাঁর সেক্রেটারি বললেন, ওঁর সঙ্গে দেখা করে অনুরোধ জানাতে পারেন। তবে তাতে কাজ হবে না। ইসকনের কর্তারা ট্রাম্পের সেক্রেটারির হাতেই তাঁর জন্য নিয়ে যাওয়া মহাপ্রসাদ তুলে দিয়ে এসেছিলেন। এর কয়েক দিন পরেই এসেছিল ট্রাম্পের সই করা চিঠি। তার পরেই তাঁর একটি ফার্ম হাউসে শুরু হয় রথ তৈরির কাজ। মার্কিন মুলুকে সেই প্রথম গড়ায় রথের চাকা। ফলে, আমেরিকায় এখন ট্রাম্প ক্ষমতায় চলে আসার ফলে, বাংলাদেশে ইউনূস সরকারের ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দুরভিসন্ধি হয়ত সম্ভব হবে না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share