Tag: Madhyom

Madhyom

  • Ghar Wapsi: ছত্তিশগড়ে ‘ঘর ওয়াপসি’, অন্য ধর্ম ত্যাগ করে ৩৫০ জন ফিরলেন সনাতন ধর্মে

    Ghar Wapsi: ছত্তিশগড়ে ‘ঘর ওয়াপসি’, অন্য ধর্ম ত্যাগ করে ৩৫০ জন ফিরলেন সনাতন ধর্মে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে অন্যান্য ধর্ম ত্যাগ করে ৩৫০ জন ব্যক্তি সনাতন ধর্মে ফিরে এসেছেন। উল্লেখ্য তাঁদের ধর্মান্তরিত করার জন্য বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। সাময়িক ভাবে নিজের শেকড় থেকে বিছিন্ন হলেও সনাতন ধর্মের আধ্যাত্মিক শিকড়ের কারণে ‘ঘর ওয়াপসি’ (Ghar Wapsi) হয়েছেন। 

    ‘বাঁচো এবং বাঁচতে দাও’(Ghar Wapsi)

    রায়পুরের বিটি গ্রাউন্ডে রবিবার একটি সন্ত প্রবুদ্ধ জন সম্মলেনের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে দক্ষিণ ভারতের বিশিষ্ট ধর্মগুরু উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ধর্মগুরু এবং সন্ত সমাজের নেতারা ক্রমবর্ধমান হিন্দুধর্মের উপর বিধর্মী কূচক্রীদের আগ্রাসনের কথা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে ধর্মান্তকরণ এবং হিন্দু ধর্মের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই কর্মযজ্ঞে ৩০০ জন সাধক সনাতন ধর্মের সেবায় দীক্ষা গ্রহণ করেন। অপরদিকে একই ভাবে আরও ৩৫০ জন, যাঁরা আগে অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন, তাঁরাও ‘ঘর ওয়াপসি’ করেন, অর্থাৎ পুনরায় আবার সনাতন ধর্ম (Ghar Wapsi) গ্রহণ করেন। এদিন অনুষ্ঠানে ধর্মগুরুরা বলেন, ‘বাঁচো এবং বাঁচতে দাও।’

    আরও পড়ুনঃ মহারাষ্ট্রের ভোটে প্রভাব ফেলছে অনুপ্রবেশকারী মুসলমানরা! বলছে সমীক্ষা

    হিন্দু ধর্মের পুনঃজাগরণ

    উল্লেখ্য, এই রাজ্যে ‘ঘর ওয়াপসি’ অনুষ্ঠানের ঘটনা আগেও হয়েছে। ছত্তিশগড়ের কাঙ্কের জেলার রামনগরে এই মাসের শুরুতে আরও একটি অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেখানে ৩ নভেম্বর মা ভুবনেশ্বরী জনকল্যাণ সমিতি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রায় ১১টি পরিবার হিন্দু ধর্মে ফিরে আসেন। একই ভাবে বলরামপুর জেলার কান্ডারি গ্রামে বনবাসী রামকথা এবং মহাযজ্ঞের সমাপনী অনুষ্ঠানে ৫০টির বেশি পরিবারের শত শত লোক সনাতন ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এই কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আচার্য সদানন্দজি মহারাজ। তিনি এই অনুষ্ঠানে শ্রীরামের জীবনীর উপর আধ্যাত্মিক দর্শন সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। জানা গিয়েছে, মিথ্যা প্রলোভন, অসত্য কথন এবং দুর্বলতার সুযোগে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়। সম্প্রতি এই ঘটনাগুলিতে হিন্দুধর্মের যে পুনঃজাগরণ (Ghar Wapsi) ঘটেছে তা নিয়ে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Baranti: ছোট ছোট পাহাড়, ঝর্না, শাল-পলাশ-শিমুল-মহুয়া গাছের অরণ্য, ‘বড়ন্তি’ যেন ছবি!

    Baranti: ছোট ছোট পাহাড়, ঝর্না, শাল-পলাশ-শিমুল-মহুয়া গাছের অরণ্য, ‘বড়ন্তি’ যেন ছবি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেড়াতে যাওয়া মানেই কি অনেক দূরে, নিজের রাজ্য ছেড়ে অন্য রাজ্যে পাড়ি দেওয়া? আমাদের নিজের রাজ্য, অর্থাৎ এই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এমন বহু স্থান, নৈসর্গিক সৌন্দর্যের নিরিখে যে স্থানগুলি অনায়াসে মুগ্ধ করতে পারে প্রকৃতিপ্রেমিক পর্যটকদের। এমনই একটি অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান হল পুরুলিয়া জেলার ‘বড়ন্তি’ (Baranti)। এমনিতেই ছোট ছোট পাহাড়, ঝর্ণা, শাল, পলাশ, শিমুল, মহুয়া গাছের অরণ্য দিয়ে সাজানো এই পুরুলিয়া। আর এই পুরুলিয়ার প্রধান আকর্ষণ যদি হয় অযোধ্যা পাহাড়, দ্বিতীয় আকর্ষণ অবশ্যই হতে পারে এই বড়ন্তি।

    অরণ্যের ছায়ায় ঢাকা এই বড়ন্তি (Baranti)

    আদ্যন্ত আদিবাসী অধ্যুষিত ছোট্ট একটি পাহাড়ি গ্রাম বড়ন্তি। প্রকৃতি যেন নিজের হাতে সাজিয়েছেন বড়ন্তিকে। ছোট ছোট পাহাড়, সুবিশাল জলাশয়, অগভীর অরণ্য, সেই অরন্যের বুক চিরে চলে গিয়েছে লাল মাটির রাস্তা। দুপাশে ছোট ছোট আদিবাসী মানুষজনের মাটির কুটির। সেই সব আদিবাসী কুটিরের মাটির প্রাচীরের গায় রং-বেরঙের অসাধারণ আলপনার শিল্প। পূর্ণিমার রাতে যখন এই সব আদিবাসী গ্রাম থেকে ভেসে আসে বাঁশের বাঁশিতে ঝুমুর গানের সুর “কালো জলে কুচলা তলে ডুবলো সনাতন/আজ সারানা কাল সারানা পাই যে দরশন”-তখন মন উদাস হয়ে যায় বৈকি। শাল, পলাশ, মহুয়া গাছের অরণ্যর ছায়ায় ঢাকা এই বড়ন্তি (Baranti)। তার মাঝেই মুরাডি পাহাড়ের (Small hills) গা ঘেঁষে চলে গিয়েছে বড়ন্তি নদী। এই নদীর বুকেই বাঁধ দিয়ে তৈরি হয়েছে বড়ন্তি রামচন্দ্র জলসেচ প্রকল্প। চারদিকে ছোটখাট পাহাড়, বিশাল জলাধারে শীতকালে বসে হরেক রঙের হরেক কিসিমের পাখির মেলা। দেখা মেলে অসংখ্য বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখির। ইচ্ছে হলে বড়ন্তি থেকে ঘুরে আসা যায় মুরাডির ছিন্নমস্তা মন্দির বা প্রায় আধ ঘণ্টার দূরের জয়চণ্ডী পাহাড়, প্রায় সমদূরত্বে অবস্থিত বিহারীনাথ পাহাড়, গড় পঞ্চকোট থেকেও।

    যাতায়াত, থাকা-খাওয়া (Baranti)

    বড়ন্তি যাওয়ার জন্য প্রথমে আসতে হবে আসানসোল। হাওড়া থেকে প্রচুর ট্রেন আসছে আসানসোল। এখান থেকে লোকাল বা প্যাসেঞ্জার ট্রেনে সামান্য দূরত্বে অবস্থিত মুরাডি। মুরাডি থেকে অটো বা গাড়িতে মাত্র ৫ কিমি দূরে বড়ন্তি। এখানে রয়েছে রিসর্ট সলিটারি ভেল। এখানে বাচ্চাদের খেলার ব্যবস্থা, সুইমিং পুল, রেস্তোরাঁ, মিনি জু সহ সব রকমের সুব্যবস্থা আছে। ফোন ৯৪৩৪৩২২৫৩২, ৭৫৮৪০২৪৬৬৮। এছাড়াও আছে বড়ন্তি ভিলেজ রিসর্ট, বড়ন্তি (Baranti) ইকো ট্যুরিজম রিসর্ট প্রভৃতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: আদালতে শুরু আরজি কর মামলার বিচার প্রক্রিয়া, রুদ্ধদ্বার কক্ষে হবে সওয়াল-জবাব

    RG Kar Case: আদালতে শুরু আরজি কর মামলার বিচার প্রক্রিয়া, রুদ্ধদ্বার কক্ষে হবে সওয়াল-জবাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলায় সোমবার থেকে শিয়ালদা আদালতে শুরু হল বিচার প্রক্রিয়া। সিবিআই তদন্তভার গ্রহণের ৮৭ দিন পর সোমবার থেকে ‘ইন ক্যামেরা’ বা বন্ধ কক্ষে হচ্ছে মামলার শুনানি। সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে এই আদালতে চলছে আরজি কর মামলা। রোজ চলবে এই মামলার শুনানি। এর আগে এই মামলায় সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের নাম ছিল। ধর্ষণ-খুনে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় ছাড়াও একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারেন বলে বারে বারে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের তরফে। যদিও সিবিআইয়ের চার্জশিটে বা শুরুর দিকে কলকাতা পুলিশের তদন্তে তেমন কোনও তথ্য উঠে আসেনি। তবে সূত্রের খবর, সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ রয়েছে সিবিআই এর হাতে।

    আমাকে ফাঁসানো হয়েছে (RG Kar Case)

    আদালত সূত্রের খবর, সিবিআই চার্জগঠন (RG Kar Case) করার সময় ১২৮ জনকে সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আদালতে প্রথম পর্যায়ে ৫৬ জনের সাক্ষী নেওয়া হবে। এই মামলায় প্রথম দুই সাক্ষী হিসাবে আদালতে বয়ান নথিবদ্ধ করাবেন নির্যাতিতার বাবা-মা। এই ১২৮ জনের মধ্যে রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তার, কলকাতা পুলিশ, ফরেন্সিক বিভাগের আধিকারিকেরাও। ধাপে ধাপে প্রত্যেকেরই বয়ান নথিবদ্ধ করা হবে।সূত্রের খবর, ১১ নভেম্বর আরজি কর মেডিক্যালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলার বিচার প্রক্রিয়ার শুরুর দিনই নির্যাতিতার পরিবারের কারও সাক্ষ্য নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, গত সোমবার শিয়ালদা আদালতে চার্জ গঠনের দিনে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে বড় অভিযোগ সামনে এনেছিলেন ধৃত সঞ্জয় রায়। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমার কোনও কথা শোনেনি আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার নামে সব দোষ দেওয়া হচ্ছে। আমি ধর্ষণ-খুন করিনি। আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি, আমাকে নীচে নামিয়ে দেওয়া হল। আমি পুরোপুরি নির্দোষ, আমায় ফাঁসানো হয়েছে।’’ স্বভাবতই, এই সোমবার থেকে শুরু হওয়া শুনানিতে সঞ্জয়ের প্রসঙ্গটিও উঠে আসে কিনা, সঞ্জয় এব্যাপারে নতুন কিছু বলেন কিনা, তা নিয়েও কৌতূহল তৈরি হয়েছে সব মহলে।

    আরও পড়ুন: ভারতে আগেই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’! নিজ্জর-ঘনিষ্ঠ খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা গ্রেফতার কানাডায়

    বন্ধ দরজার পিছনে সওয়াল-জবাব

    গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Case) চারতলায় সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত দেহ। ধর্ষণ ও খুনের মামলা দায়ের হয় কলকাতার সিঁথি থানায়। ঘটনার পরদিন কলকাতা পুলিশ একটি ছেঁড়া হেডফোনের তার ও সিসিটিভির ফুটেজের সূত্র ধরে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে। পরে সিবিআই (CBI) এই ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তভার হাতে নেয়। তারপর গত ৭ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। সেখানে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের নামই ছিল। ১১ নভেম্বর থেকে মামলার বিচারপর্ব বা ‘ট্রায়াল’ শুরু হয় দুপুর ২ টোয়। সওয়াল জবাব চলবে বন্ধ দরজার পেছনে। ছুটির দিনগুলি ছাড়া প্রত্যেকদিনই বিচারপর্ব চলবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: হিজবুল্লার ওপর পেজার হামলার অনুমোদন তিনিই দিয়েছিলেন, স্বীকার নেতানিয়াহুর

    Israel: হিজবুল্লার ওপর পেজার হামলার অনুমোদন তিনিই দিয়েছিলেন, স্বীকার নেতানিয়াহুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেজার বিস্ফোরণের মাধ্যমে হিজবুল্লার জঙ্গি নিকেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনিই। স্বীকার করলেন ইজরায়েলের (Israel) প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। গত সেপ্টেম্বরে পেজার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ইরানের হিজবুল্লা জঙ্গিগোষ্ঠীর চল্লিশজনকে নিকেশ করে ইজরায়েলের বাহিনী এবং আহত হয় প্রায় তিন হাজারেরও বেশি হিজবুল্লা সদস্য। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মুখপাত্র ওমর দোস্তরি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, গত ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর হিজবুল্লা অধ্যুষিত অঞ্চলে পেজার বিস্ফোরণের অনুমোদন দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। প্রসঙ্গত, পেজার বিস্ফোরণে হিজবুল্লার ৪০ জন জঙ্গি যেমন মারা গিয়েছে, তেমনই বহু জঙ্গির আঙুল বা দৃষ্টিশক্তিও হারিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালায় প্যালেস্তাইনের হামাস জঙ্গিরা। এরপরেই যুদ্ধ শুরু হয় হামাস-ইজরায়েলের। তারপরেই যুদ্ধে জড়ায় ইরান সমর্থিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লা (Hezbollah)। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তারা।

    আসলে কী এই পেজার বিস্ফোরণ (Israel)?

    যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হয় পেজার। পেজারের মাধ্যমে লোকেশন ট্র্যাক করা যায় না। বহু সময় আগে এটি পুরোদস্তুর ব্যবহার হত। তবে মোবাইল আসার পর তার ব্যবহার কমেছে। কিন্তু হিজবুল্লা (Hezbollah) গোষ্ঠী এই পেজার ব্যবহার করে, যাতে তাদের লোকেশন ট্র্যাক না করা যায়। সাধারণত হাতে বা পকেটে থাকে এই পেজার। মূলত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে মেসেজ পাঠায় ও গ্রহণ করে এই পেজার। ডিভাইসটির ছোট স্ক্রিনে সেই বার্তা দেখা যায়। মেসেজ এলে ফোনের মেসেজ টোনের মতো আওয়াজও হয় তাতে। এই পেজারের মধ্যেই বিস্ফোরক রাখার ছক কষে মোসাদ। কারণ পেজার বেজে উঠলে তাতে বোতামে আঙুল ঠেকালেই তা ট্রিগারের কাজ করবে। এভাবেই হয় পেজার তৈরি সময়, নয়তো তাইওয়ান থেকে পাঠানোর সময় কিংবা ডুপ্লিকেট পেজার হিজবুল্লার হাতে এসেছিল, যা বরাত পাওয়া সংস্থার মতো দেখতে হলেও তাদের তৈরি নয়।

    ওয়াকি-টকি, মোবাইলেও বিস্ফোরণ ঘটায় ইজরায়েল

    ইজরায়েল(Israel) আগেও এইভাবে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। ১৯৯৬ সালে হামাস নেতা ইয়াহা আয়াসকে খুন করার জন্য মোবাইল ফোনে ১৫ গ্রাম আরডিএক্স বিস্ফোরক রেখেছিল। হামাস নেতা ফোন করা মাত্রই বিস্ফোরণ হয়। তবে, পেজারের মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষেত্রে এই ধরনের বিস্ফোরণ প্রথম। পেজারে বিস্ফোরণ ঘটিয়েই থেমে থাকেনি ইজরায়েল। হিজবুল্লাকে নিকেশ করতে পেজারের পরে একসঙ্গে শতাধিক ওয়াকি-টকি ও মোবাইল ফোনেও বিস্ফোরণ ঘটায় ইহুদি রাষ্ট্রের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SATHEE: জেইই মেইন-এর প্রস্তুতি নিচ্ছেন? পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আইআইটির সঙ্গে ‘সাথী’ চালু কেন্দ্রের

    SATHEE: জেইই মেইন-এর প্রস্তুতি নিচ্ছেন? পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আইআইটির সঙ্গে ‘সাথী’ চালু কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেইই মেইন ২০২৫ (JEE Main 2025) প্রস্তুতিতে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার জন্য, সাথী (SATHEE), আইআইটি কানপুর এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের মধ্যে একটি ৪৫ দিনের ক্র্যাশ কোর্স চালু করা হয়েছে। আজ, সোমবার১১ নভেম্বর থেকে তা শুরু হয়েছে। এই প্রোগ্রামটি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতিকে অপ্টিমাইজ করার জন্য এবং একটি সুসংগঠিত অধ্যয়নের সুযোগ করে দেবে। আগ্রহীরা দ্রুত আবেদন করুন।

    বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দৈনিক লাইভ (SATHEE)

    সাথী (SATHEE)-তে ৪৫-দিনের ক্র্যাশ কোর্সটি বিভিন্ন শিক্ষার উপাদান সরবরাহ করবে। মূল বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দৈনিক লাইভ অনলাইন সেশন, অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের নেতৃত্বে প্রয়োজনীয় বিষয় এবং কার্যকর সমস্যা সমাধানের ক্লাস (JEE Main 2025) করানো হবে। শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ভাবে কোর্সটিতে প্রতিদিনের অনুশীলন পর্বে প্রশ্ন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সঠিকভাবে ডিজাইন করা মক টেস্টের একটি সেটও দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের প্রকৃত পরীক্ষার শর্ত প্রতিলিপি করতে এবং তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পরীক্ষার প্রস্তুতি মূল্যায়ন করতে সাহায্য করবে।

    থাকবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-চালিত বিশ্লেষণ

    সাথী (SATHEE) ক্র্যাশ কোর্সের স্ট্যান্ডআউট বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-চালিত বিশ্লেষণের ব্যবহার। জানা গিয়েছে, এই পদ্ধতিতে প্রতিটি শিক্ষার্থীদের উপর ভিত্তি করে ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়া প্রদান করবে। এই বৈশিষ্ট্যটি শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করতে এবং তাদের জিজ্ঞাসার ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করে সামধান করবে। পড়ুয়াদের পড়াশোনার (JEE Main 2025) কৌশলগুলিকে সামঞ্জস্যপূর্ণ, পরিমার্জিত করে পরীক্ষায় যাওয়ার মানসিকতাকে প্রস্তুত করবে।

    আরও পড়ুনঃ সঙ্ঘের সেবিকা সমিতির ‘শাখা সঙ্গম’ অনুষ্ঠান, উপস্থিত হাজারেরও বেশি মহিলা

    বিনামূল্যে কোচিং

    কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক, আইআইটি কানপুরের সহযোগিতায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সাথী (SATHEE) প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রকার অভিজ্ঞ শিক্ষকদের ক্লাস প্রদান করা হবে। থাকবে রেফারেন্স ভিডিও লেকচার, মক টেস্ট এবং পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সাহায্য করার জন্য অতিরিক্ত উপকরণ। তবে সাথী (SATHEE) প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ কোনও পরীক্ষায় (JEE Main 2025) সাফল্য বা কোনও প্রতিষ্ঠানে ভর্তির নিশ্চয়তা দেয় না। জেইই (JEE), নিট (NEET), এসএসসি (SSC), আইবিপিএস (IBPS), আইসিএআর (ICAR) এবং সিইউইটি (CUET)-সহ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা sathee.iitk.ac.in ওয়েবসাইটে বা সাথী SATHEE মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মটি অ্যাক্সেস করতে পারবে। আইওএস (Ios) এবং  অ্যান্ড্রয়েড (Android) উভয় ডিভাইসেই উপলব্ধ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra Assembly Elections 2024: মহারাষ্ট্রের ভোটে প্রভাব ফেলছে অনুপ্রবেশকারী মুসলমানরা! বলছে সমীক্ষা

    Maharashtra Assembly Elections 2024: মহারাষ্ট্রের ভোটে প্রভাব ফেলছে অনুপ্রবেশকারী মুসলমানরা! বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরব সাগরের তীরেও মাথাব্যথার কারণ সেই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। প্রতিনিয়ত যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ঝাড়খণ্ড, ধামাচাপা দিয়ে কেন্দ্রের আইওয়াশ করছে পশ্চিমবঙ্গ (অন্তত এমনই অভিযোগ বিরোধীদের), সেই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরাই ‘এক্স ফ্যাক্টর’ মহারাষ্ট্র (Maharashtra) বিধানসভা নির্বাচনে (Maharashtra Assembly Elections 2024)।

    কী বলছে গবেষণাপত্র (Maharashtra Assembly Elections 2024)

    সম্প্রতি টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেসের (টিস) একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে আগত মুসলমানদের সংখ্যা মুম্বইতে বাড়ছে হুহু করে। কিছু রাজনৈতিক দল তাদের ব্যবহার করছে ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে। এই গবেষণায় এও বলা হয়েছে, অনুপ্রবেশকারীরা শহরের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থাকে প্রভাবিত করছে। তারা অদক্ষ শ্রমিকের কাজ করছে। শ্রমিক সহজলভ্য হওযায় মজুরি কমছে স্থানীয়দের। প্রসঙ্গত, গবেষণাপত্রটির শিরোনাম ছিল ‘মুম্বইতে অবৈধ অভিবাসী: সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিণতি বিশ্লেষণ’।

    মুসলমানদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার

    যুগের পর যুগ ধরে ভারতের রাজনৈতিক দলগুলির একটা অংশ মুসলমানদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবেই ব্যবহার করে আসছে। এই দলগুলিই অনুপ্রবেশকারীদের ব্যবহার করছে নানা কাজে। কখনও জাল নথি বানিয়ে, কখনও আবার অন্য কোনওভাবে ওই রাজনৈতিক দলগুলি অনুপ্রবেশকারীদের মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এ দেশের মূলস্রোতে। টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেসের গবেষণাপত্রেও প্রায় একই কথা বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘কিছু রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে গিয়ে ব্যবহার করে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। ভোটার নিবন্ধন কারসাজির অভিযোগও উঠেছে। অনথিভুক্ত অনুপ্রবেশকারীরা জাল ভোটার আইডি সংগ্রহ করে অংশগ্রহণ করে নির্বাচনে। ফলে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অখণ্ডতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে (Maharashtra Assembly Elections 2024)।’

    ধর্মীয় জনসংখ্যার ভারসাম্যেও পরিবর্তন

    গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, কিছু রাজনীতিবিদ ভোটের জন্য অনুপ্রবেশকারীদের আইডি বা রেশন কার্ড তৈরি করে দেওয়ার পক্ষে। তবে এতে সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে। কারণ রাজনীতি-চালিত অনুপ্রবেশের জেরে বাড়ছে মেরুকরণ। এটি প্রভাব ফেলতে পারে নির্বাচনী ফলে। এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক ইস্যুগুলি থেকে মনোযোগ সরে যেতে পারে।গবেষণায় আরও দাবি করা হয়েছে, মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের উল্লেখযোগ্য প্রবাহ ধর্মীয় জনসংখ্যার ভারসাম্যেও পরিবর্তন এনেছে। যার জেরে বিশেষ করে মুম্বইয়ের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বাড়ছে নিরাপত্তাহীনতা ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে শহরে অপরাধ বৃদ্ধির সম্পর্ক রয়েছে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে ওই গবেষণাপত্রে।

    আরও পড়ুন: আমেরিকায় ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় লাভবান হবে ভারত, বলছে রেটিং সংস্থা মুডিজ

    প্রভাব পড়ছে জনবিন্যাসেও

    মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) কিছু এনজিও এবং ধর্মীয় সংগঠনগুলিও এই অনুপ্রবেশকারীদের নিরন্তর সাহায্য করে চলেছে। তার জেরে ঘটছে এলাকার জনসংখ্যাগত পরিবর্তন। যার প্রভাব পড়ছে আরবসাগরের তীরের রাজ্যটির অর্থনীতি এবং রাজনীতিতে। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, কঠোর নিয়মের কারণে রেজিস্টার্ড এনজিওগুলি প্রায়ই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সহায়তা করা থেকে বিরত থাকে। সেই ফাঁক পূরণ করে অবৈধ এনজিওগুলি। তার জেরেই দ্রুত বদলে যাচ্ছে শহরের জনবিন্যাস। গবেষকরা প্রায় ৩০০০ জন অনুপ্রবেশকারীর সঙ্গে কথা বলেছেন। এর মধ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ৩০০ জনের সঙ্গে কথা বলে প্রকাশ করেছেন রিপোর্টটি (Maharashtra Assembly Elections 2024)। এই তিনশোজন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ধারাভি, গোভান্ডি, মানখুর্দ, মাহিম পশ্চিম এবং আম্বেদকর নগরে।

    লোকসভা নির্বাচনে অনুপ্রবেশকারীদের প্রভাব

    চলতি বছর মে-জুন মাসে হয় লোকসভা নির্বাচন। তার আগে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল একটি বেসরকারি সংস্থা। তারা জানিয়েছিল, মুসলমানরা মহারাষ্ট্রে বিশেষত বিজেপিকে পরাজিত করতে সংঘটিত হয়েছিল। এ রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের ফল খুবই চমকপ্রদ। এখানে বিজেপি ছাড়া অন্য দলগুলোকে সমর্থন করেছিল মুসলমানরা। ওই নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা জেতে ৭টি আসনে। পদ্ম ফোটে ৯টি কেন্দ্রে। অন্যদিকে, এনসিপি (শরদ পাওয়ার), ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস এবং শিবসেনা (ইউবিটি), যারা মুসলমান এবং কমিউনিস্টদের সমর্থন পেয়েছিল, তারা যথাক্রমে জয়লাভ করে ৮, ১৩ এবং ৯টি আসনে। এ থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার, মহারাষ্ট্রের মুসলমানরা বিজেপি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে থাকা রাজনৈতিক দলগুলিকেই ভোট দিয়েছিল (Maharashtra Assembly Elections 2024)। শিবসেনা নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী দীপক কেসারকার, যিনি মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের ঘনিষ্ঠ, পরে একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। তাতে তিনি বলেছিলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে মুসলিমদের ‘ফতোয়া’ জারি হওয়ার কারণেই শিবসেনা (ইউবিটি), ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস, এবং এনসিপি (শরদ পাওয়ার) মুম্বই ও রাজ্যের আরও বেশ কিছু অঞ্চলে বেশিরভাগ আসন জিততে পেরেছে।

    বিজেপির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি

    জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রেরই পুণে অঞ্চলে ইসলামপন্থীরা বিজেপির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছিল। মুসলমান ভোটারদের পুণে, শিরুর, বারামতি এবং মাওয়াল কেন্দ্রের জন্য যথাক্রমে কংগ্রেস, এনসিপি (শরদ পওয়ার) এবং শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে) প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। ইসলামি নেতারা এই ঘোষণা করেছিল ২ মে, কন্ডওয়া অঞ্চলে কুল জামাতি তানজিম পুণে কর্তৃক আয়োজিত ‘তাকরির বাই হযরত মাওলানা সাজ্জাদ নোমানি’ অনুষ্ঠানে। বক্তৃতা দিতে গিয়ে, নোমানি বলেছিলেন যে আজকের প্রত্যেক মুসলিম ভোটারের উচিত তার সম্প্রদায়ের স্বার্থে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করা। তিনি মুসলমানদের মনে ভীতি সঞ্চার করতে গিয়ে বলেন, “যদি মোদি ক্ষমতায় আসেন, তবে সমস্ত মাজার ও মাদ্রাসা ধ্বংস করে দেওয়া হবে।” শিবসেনা (ইউবিটি) দ্বারা মুম্বইয়ে আয়োজিত ওই সমাবেশে ইসলামিক পতাকাও উত্তোলন করা হয়েছিল।

    মুসলমানদের মধ্যে প্রচার

    মহারাষ্ট্র বিধানসভার নির্বাচন হবে ২০ নভেম্বর। জানা গিয়েছে, আসন্ন নির্বাচনের প্রচারে ১৮০টির মতো এনজিও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ফিল্ডে কাজ করছে ‘সচেতনতা’ বাড়াতে। মুসলমানরা যাতে বেশি করে ভোটদান প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, সেই প্রচারও চালাচ্ছে। এই কৌশলটি লোকসভা নির্বাচনের সময় মহা বিকাশ আগাড়িকে সাহায্য করেছিল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিবাজিনগর, মুম্বাদেবী, বাইকুল্লা এবং মালেগাঁও সেন্ট্রালের মতো মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায়, লোকসভা নির্বাচনের সময় ভোটারদের উপস্থিতি পার্শ্ববর্তী বিধানসভা অঞ্চলের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ছিল। এই বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিভিন্ন সংস্থা মুসলিম ভোটারদের উদ্বেগ এবং গত এক বছর ধরে এই সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা (Maharashtra Assembly Elections 2024) বৃদ্ধির প্রচেষ্টার উল্লেখ করেছে।

    মহারাষ্ট্র মুসলিম সেবা সঙ্ঘ

    মহারাষ্ট্র মুসলিম সেবা সঙ্ঘ ১৮০টিরও বেশি এনজিওর সঙ্গে সহযোগিতা করেছে এবং এই প্রতিষ্ঠানগুলি মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে ভোটার নিবন্ধন ও সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করছে। সংগঠনটি রাজ্যজুড়ে মুসলিম ভোটারদের সঙ্গে বৈঠক ও তথ্য জানানো সেশনের আয়োজন করেছে। সংগঠনের নেতা ফকির মাহমুদ ঠাকুর বলেন, “এর ফলে লোকসভা নির্বাচনে ভোটের হার ৬০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা আগের চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। আমরা মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যাতে তাঁরা ধর্মনিরপেক্ষ প্রার্থীদের সমর্থন করেন এবং সংবিধানের প্রতি সম্মান রেখে ভোট দেন। অন্যান্য সংগঠন ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতার ফলে একটি শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া এসেছে। রাজ্যজুড়ে (Maharashtra) ২০০টিরও বেশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা ভোটারদের উপস্থিতি বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে (Maharashtra Assembly Elections 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

  • ICC Champions Trophy 2025: ভারতের ‘না’! বিসিসিআই-কে মান্যতা, পাকিস্তানে বাতিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অনুষ্ঠান

    ICC Champions Trophy 2025: ভারতের ‘না’! বিসিসিআই-কে মান্যতা, পাকিস্তানে বাতিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অনুষ্ঠান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে বিপাকে আইসিসি। বিসিসিআই-এর চাপে কার্যত দোদুল্যমান অবস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের। বিসিসিআইয়ের (BCCI) পক্ষ থেকে আইসিসিকে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy 2025) খেলার জন্য পাকিস্তানে যাবে না ভারতীয় দল। একইসঙ্গে সূচি নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানও বাতিল করল আইসিসি। এই অনুষ্ঠানটি পাকিস্তানে হওয়ার কথা ছিল। এর ফলে ক্ষোভে ফুঁসছে পিসিবি।

    ভারতের দাবির মান্যতা

    ফেবরুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে পাকিস্তানের মাটিতে শুরু হওয়ার কথা আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025)। প্রথমে কথা ছিল, গোটা প্রতিযোগিতাই অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানের মাটিতে। সেই মতোই, সব দেশই প্রায় রাজি হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার ব্যাপারে, ব্যতিক্রম ছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। এবার ভারতের চাপে পড়েই বড় সিদ্ধান্ত নিতে হল আইসিসিকে। যেমন কথা তেমন কাজ, আগেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড(BCCI) জানিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানে খেলতে যাবে না তাঁরা। আইসিসি ইভেন্ট হলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে না যাওয়ার কড়া মনোভাবে অনড় থাকে ভারতীয় দল। হাইব্রিড মডেলেই আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করতে চায়। সেক্ষেত্রে পাকিস্তান দলের অন্যান্য সব ম্যাচ পাকিস্তানে হলেও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সেদেশে হবে না। এমনকি ফাইনালে টিম ইন্ডিয়া উঠলে সেই ম্যাচও পাকিস্তানে হবে না।  এর ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষুব্ধ পিসিবি। 

    আরও পড়ুন: দলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ, আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানে যাবে না ভারত

    আইসিসির অনুষ্ঠান বাতিল

    এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে আইসিসির সঙ্গে যৌথভাবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy 2025) উন্মোচনের কথা ছিল ১১ নভেম্বর। সোমবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর ১০০ দিন বাকি উপলক্ষ্যে লাহোরে সেই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। যদিও ভারতীয় দল সেদেশে যাব না জানিয়ে দেওয়ায়, সেই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। যদিও পিসিবির ঘনিষ্ঠ এক আইসিসি কর্তা ভারতের জন্য এই ইভেন্ট বাতিল হয়েছে বলে মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, লাহোরে এই মূহূর্তে আবহাওয়া ঠিক নেই। সেখানে বাতাসে বিষাক্ত ধূলিকনা রয়েছে, সেই কারণেই আপাতত ট্রফির ফ্ল্যাপ অফ সেরিমনি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: ‘‘ট্রাম্পের জয়ে অনেক দেশই উদ্বিগ্ন, তবে ভারত নয়’’, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    Donald Trump: ‘‘ট্রাম্পের জয়ে অনেক দেশই উদ্বিগ্ন, তবে ভারত নয়’’, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন মসনদে দারুণভাবে কামব্যাক করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ট্রাম্প ঝড়ে কার্যত উড়ে গিয়েছেন কমলা হ্যারিস। এদিকে ট্রাম্পের ফেরা নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের ইউনূস সরকার সহ অনেকেই। এই আবহে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) জানিয়ে দিলেন, ট্রাম্পের মসনদে বসা নিয়ে উদ্বেগে নেই দেশ। বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘‘ট্রাম্পের জয়ে অনেক দেশই উদ্বিগ্ন, তবে ভারত নয়।’’

    গতকাল রবিবার মুম্বইতে এই কথাগুলি বলেন বিদেশমন্ত্রী

    রবিবার মুম্বইতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই বক্তব্য রাখেন বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) এস জয়শঙ্কর। কেমন হতে চলেছে ভারতের সঙ্গে মার্কিন দেশের সম্পর্ক? এ নিয়ে জয়শঙ্করের বক্তব্য, ‘‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রথম তিনজন রাষ্ট্রনেতার মধ্যে অন্যতম যিনি ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন টেলিফোনের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন প্রথম মার্কিন সফরে যান, তখন ওবামা ছিলেন প্রেসিডেন্ট। তারপরে হলেন ট্রাম্প (Donald Trump)। এরপর বাইডেন। তাহলে আপনারা অনুমান করতেই পারছেন যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কীভাবে সম্পর্কগুলিকে রেখে চলেছেন।’’

    ট্রাম্প (Donald Trump) প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন আমেরিকায় অনুষ্ঠিত হয় হাওডি মোদি

    প্রসঙ্গত, শেষবারের মতো ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্মানে আয়োজিত হয়েছিল ‘হাওডি মোদি’ অনুষ্ঠান। অন্যদিকে, এর ঠিক কয়েক মাস পরেই ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমেদাবাদে ট্রাম্পের সম্মানে মোদি অনুষ্ঠিত করেন ‘নমস্তে ট্রাম্প’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করলে ৭ দিনে টাকা উদ্ধার’’, আশ্বাস শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করলে ৭ দিনে টাকা উদ্ধার’’, আশ্বাস শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনকে (By Election 2024) কেন্দ্র করে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রবিবার তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে বেরিয়ে শাসক দলকে ভোট না দিলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বন্ধ করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বাঁকুড়ার তালডাংরার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। সেখানেই প্রচারে গিয়ে পালটা হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    ঠিক কী বলেনছেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    এদিন বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে এক জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বিনপুরের সিভিক ভলান্টিয়ারের ছবি দিয়েছি আমি। বিনপুর থানার সিভিক ভোট চাইতে যাচ্ছে। বলছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেব। ওর বাপের টাকা? সরকারের টাকা। আমার জেলায় ১৫টা বিধানসভায় হেরেছে। সৌমিত্র খাঁ জিতেছে। আমাদের এলাকায় একটা মা দিদি বোনের কোনও ভাতা – টাকা – বন্ধ করার ক্ষমতা ওরা দেখাতে পারেনি। আর তালডাংরায় বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য যদি একজন মহিলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়, তাহলে শুধু হোয়াটসঅ্যাপে অ্যাকাউন্ট নম্বরটা দেবেন। সুদ সহ টাকা ৭ দিনের মধ্যে যদি আদায় করতে না পারি, বিরোধী দলনেতা আর কোনও দিন আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসবে ন।’’

    সিভিককে তোপ

    এক্স হ্যান্ডেলে কয়েকটি ছবি পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ‘‘ইনি ভীম মণ্ডল। বাঁকুড়ার জেলার ইন্দপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। দেখা যাচ্ছে, তিনি তালডাংরা বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচার করছেন। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, ভোট না দিলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন এই সিভিক ভলান্টিয়ার। ওর বাপের টাকা? এটা সরকারের টাকা।’’

    কমিশনে বিজেপি

    বাঁকুড়া জেলা বিজেপির তরফে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দ্রুত পদক্ষেপের আর্জি জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যদিও ইন্দপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রেজাউল খাঁ বলেন, ‘‘আমাদের লোক সবাই। শুধু সিভিক ভলান্টিয়ার কেন? আমাদের লোক, একজন হাইস্কুলের মাস্টার। প্রাইমারি স্কুলের মাস্টার। আশাকর্মী। সবাই আমাদের লোক। মিথ্যা অভিযোগ। আমাদের দলের ছেলেরা প্রচারে বেরিয়েছিল। রাস্তায় দেখা পেয়েছে। তাঁদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলেছে। ব্যস, এটুকুই। অন্য কিছু নয়। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার জানান, সিভিক ভলান্টিয়ার প্রচার করছেন, এমন কোনও তথ্য আসেনি।’’ ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Apple iPhone: উৎপাদনের পাশাপাশি ভবিষ্যতে আইফোনের নকশাও হবে ভারতে! নয়া সংস্থা গড়ল অ্যাপল

    Apple iPhone: উৎপাদনের পাশাপাশি ভবিষ্যতে আইফোনের নকশাও হবে ভারতে! নয়া সংস্থা গড়ল অ্যাপল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাপল (Apple iPhone) এখন ভারতে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে স্থানীয় ডিজাইন এবং পরিকাঠামোকে বৃদ্ধি করতে উদ্যোগী হচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত এই কোম্পানির কোনও বিশেষ ডিজাইন কাঠামো ভারতে ছিল না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন এবং ইজরায়েলের মতো দেশেই এই ধরনের কাজ বেশি হত। এবার থেকে ভারতেও হবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য ভারত এখন গত ২০২৩-২৪ অর্থ বর্ষে এই স্মার্টফোন উৎপাদনে (Manufacturing) বিশেষ গুরুত্ব রাখছে। ইতিমধ্যে দেশীয় বাজার এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় উৎপাদন বিশেষ প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। দেশে কেন্দ্রের মোদি সরকারও স্থানীয় পরিকাঠামো দিয়ে কোম্পানিগুলিকে ব্যাপক সহযোগিতা করছে। 

    মূল লক্ষ্য কী (Apple iPhone)?

    স্মার্টফোন নির্মাতা অ্যাপল (Apple iPhone) ভারতে তার উৎপাদন প্রসারিত করার জন্য কাজ শুরু করেছে। ভারতের দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারিং দ্বারা স্থানীয় চাহিদা এবং মূল্য সংযোজন করার লক্ষ্যই সংস্থার প্রধান উদ্দেশ্য। একই ভাবে অ্যাপল দেশের অভ্যন্তরে গবেষণা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং উন্নত ডিজাইন পরিচালনার জন্য ভিত্তি তৈরির ভাবনা রেখেছে। অ্যাপেল ভারতে স্থায়ী বাজার নির্মাণের ভিত্তি স্থাপন করতে অত্যন্ত আগ্রহী। তবে উৎপাদনের জন্য অ্যাসেম্বলি অপারেশন এবং গ্রাহকদের জন্য অফিসিয়াল স্টোর একান্ত আবশ্যক। এই দুই ব্যবস্থা স্মার্টফোনের বাজারকে আরও গতি দেবে। আইফোন উৎপাদনের জন্য সরকারের পিএলআই প্রকল্পের অন্যতম সুবিধাভোগী হবেন গ্রাহকরা। চিন, আমেরিকা, ইজারেয়েলের মতো উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হবে ভারতও।

    অ্যাপেল অপারেটিং ইন্ডিয়া স্থাপন হয়েছে

    অ্যাপল অপারেটিং ইন্ডিয়া (Apple Operations India) নামে একটি সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সাবসিডিয়ারি সংস্থা ভারতে স্থাপন করেছে অ্যাপল। প্রকিওরমেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ডেভেলপিং, ম্যানুফ্যাকচারিং সাপোর্ট এবং অন্যান্য বিভিন্ন কাজ এখানে হবে। সেই সঙ্গে প্রক্রিয়াকরণ, বিজ্ঞান, প্রকৌশল, প্রযুক্তি এবং ডিজাইন সম্পর্কিত ভাবনাগুলি ব্যবসায় জড়িত থাকবে কীভাবে তাও ঠিক করা হয়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহার, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, আর অ্যান্ড ডি (গবেষণা ও  উৎপাদন) এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা, পরীক্ষা এবং বিশ্লেষণ সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ে ভারত সরকার অ্যাপলের মতো কোম্পানিগুলিকে উপযুক্ত কাজের পরিবেশ গড়ে দিয়েছে।

    একই ভাবে গবেষণা, উন্নয়ন এবং ডিজাইন অপারেশন্স পরিচালনার ক্ষেত্রে স্থানীয় উপকরণ ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি, বিশেষ করে সেমিকন্ডাক্টর স্পেসগুলির জন্য ভারত একটি প্রধান ডিজাইন হাব হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। তাই এখন থেকে বেশিরভাগ স্মার্টফোন (Apple iPhone) কোম্পানি এখনও ভারতেই ডিজাইন করে প্রস্তুত করতে পারবে। একই ভাবে দেশের মধ্যে যেমন উৎপাদন কারখানা হবে, তেমনি দেশে-বিদেশে রফতানি করতেও পারবে। আন্তর্জাতিক বিশ্বে স্মার্টফোনের বাজারে ভারতের গুরুত্ব বিশেষ ভাবে বৃদ্ধি পাবে।  

    গবেষণা ইকোসিস্টেমে একটি বৃহত্তর স্থান হবে

    কেন্দ্রীয় সরকার ইলেকট্রনিক্স সেক্টরে স্থানীয় মূল্য নির্ধারণে উৎপাদনের নকশা, গুণমান দেখে বিচার করে থাকে। অবশ্য কোম্পানিগুলি তাদের অ্যাসেম্বলি অপারেশনগুলিকে স্থানীয় কারখানা নিয়ে গিয়ে একটি পরিকাঠামো ইউনিট স্থাপন করে থাকে। একই ভাবে অ্যাপলও ভারতে উৎপাদন পরিকাঠামো স্থাপন এবং গবেষণা ইকোসিস্টেমের মধ্যে একটি বৃহত্তর স্থান তৈরি করতে সাহায্য করবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন সঞ্জীব খান্না, জেনে নিন তাঁর ট্র্যাক রেকর্ড

    বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের ১৪ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করে ভারত

    এক সিনিয়র সরকারি কর্তা বলেছেন, “আমাদের দেশে ইঞ্জিনিয়ারদের একটি বড় জোগান রয়েছে। যার কারণে সমস্ত বড় কোম্পানি এখানে গবেষণা ও  উৎপাদন কাজ করতে আগ্রহী হয়। এখন আমরা স্মার্টফোন (Apple iPhone) সেক্টরের ক্ষেত্রেও অনুরূপ উন্নয়ন আশা প্রকাশ করতেই পারি।” এটি আইফোনের জন্য ভারতে একটি উল্লেখযোগ্য উৎপাদন ভিত্তি তৈরি করেছে। অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩-২৪ অনুসারে, ২০২৪ অর্থবছরে ভারত ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের আইফোন (iPhones) অ্যাসেম্বলিংয়ের কাজ করেছিল। অ্যাপলের বিশ্বব্যাপী ডিভাইসের উৎপাদনের ১৪ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করে। এখন ভারতে অ্যাপলের প্রোডাক্টের প্রস্তুতকারক সংস্থা ফক্সকন যে ফোনগুলি তৈরি করছে তা দেশেও বিক্রি হচ্ছে এবং রফতানিও হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share