Tag: Madhyom

Madhyom

  • Himachal Pradesh: মুখ্যমন্ত্রী সুখুর শিঙারা খেল কে? সিআইডি তদন্তের নির্দেশ হিমাচলে, কটাক্ষ বিজেপির

    Himachal Pradesh: মুখ্যমন্ত্রী সুখুর শিঙারা খেল কে? সিআইডি তদন্তের নির্দেশ হিমাচলে, কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর  (Sukhvinder Singh Sukhu) জন্য আনা শিঙারা কে খেল? এটাই হিমাচলে (Himachal Pradesh) এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তরের সন্ধানে হিমাচল প্রদেশের প্রশাসন৷ এমনকী, গায়েব হয়ে যাওয়া শিঙারার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি৷ ইতিমধ্যে রিপোর্টও জমা পড়েছে৷

    কী ঘটেছিল

    ঘটনার সূত্রপাত হয় ২১ অক্টোবর৷ সেদিন সিআইডি-র সদর দফতরে এক অনুষ্ঠানে যান মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু৷ তাঁর জলখাবারের জন্য এক নামকরা রেস্তোরাঁ থেকে শিঙাড়া (Samosa Controversy) ও কেক আনা হয়৷ কিন্তু অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সেই খাবার পৌঁছয়নি৷ বরং, ভুল করে সেই খাবার খেয়ে নেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা৷ ভিভিআইপি প্রোটোকল উপেক্ষা করে কী করে এই ঘটনা ঘটল? সেই প্রশ্নের উত্তর খুজতে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ নির্দেশ পাওয়ার পর তদন্তও শুরু করে দেন সিআইডি কর্তারা৷ ইতিমধ্য়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা৷ ডেপুটি পুলিশ সুপার পদমর্যাদার এক আধিকারিককে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁর দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, সমন্বয়ের অভাবেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয় হিমাচলে৷

    বিজেপির কটাক্ষ

    এ নিয়ে রাজ্যের শাসক দল কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি ৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বিজেপি বিধায়ক তথা মিডিয়া সেলের ইনচার্জ রণধীর শর্মা বলেছেন, “একাধিক সমস্যা জর্জরিত হিমাচলের মানুষ ৷ অথচ এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রীর শিঙাড়া কোথায় গেল, তা নিয়ে চিন্তিত রাজ্য়ের সরকার ৷ রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে এই সরকারের কোনও চিন্তা নেই ৷” মুখ্যমন্ত্রী সুখুর ‘অপূর্ণ রসনাতৃপ্তি’ নিয়ে কটাক্ষ করে বিজেপি বলেছে, এই সরকার রাজ্যের উন্নয়নের কথা না ভেবে শিঙাড়ায় মজে রয়েছে। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করে সরকারি দল যে বিবৃতিই দিচ্ছে তাতে এখন পাল্টা মিম তৈরি হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Article 370: ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে ফের উত্তাল জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা, ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ বিজেপি বিধায়কদের

    Article 370: ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে ফের উত্তাল জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা, ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ বিজেপি বিধায়কদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৭০ ধারা (Article 370) নিয়ে শুক্রবারও উত্তপ্ত হল জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা। বৃহস্পতিবার এই ইস্যুতে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়করা। এদিন বিজেপি বিধায়কদের পাশাপাশি মার্শালের নিশানা হলেন আওয়ামি ইত্তেহাদ পার্টির বিধায়ক খুরশিদ আহমেদ শেখ। স্পিকার আব্দুল রহিম রাথেরের নির্দেশে শুক্রবার খুরশিদের পাশাপাশি ১২ জন বিজেপি বিধায়ককেও সভা থেকে বার করে দেন মার্শাল। এর প্রতিবাদে বিজেপির বাকি ১১ বিধায়ক ওয়াকআউট করেন।

    এদিন ঠিক কী ঘটেছিল? (Article 370)

    এই নিয়ে টানা তিন দিন ৩৭০ ধারা (Article 370) নিয়ে অশান্তি হল দেশের নবীনতম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভায়। শুক্রবার সভার শুরুতেই বিরোধী বিজেপির বিধায়কেরা জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। জবাবে বারামুলার সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার রশিদের ভাই খুরশিদ জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার দাবিতে স্লোগান তোলেন। আর এক বিরোধী দল পিডিপির বিধায়কেরাও তাঁর সঙ্গে গলা মেলান। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে মার্শালকে তলব করেন স্পিকার। পরে, বিজেপি বিধায়কদের বের করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবারও দু’পক্ষের অশান্তির কারণে মার্শাল ডেকে কয়েক জন বিজেপি বিধায়ককে বার করে দিয়েছিলেন স্পিকার। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সরকার বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরাতে চেয়ে প্রস্তাব পাশ করেছিল সেখানকার বিধানসভায়। তার পর থেকেই শুরু হয়েছে অশান্তি।

    আরও পড়ুন: ৯৭ বছরে পা দিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি, জন্মদিনে বর্ষীয়ান নেতাকে শুভেচ্ছা মোদি-শাহের

    বিশেষ মর্যাদা বিলোপের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক নয়

    জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট নরেন্দ্র মোদি সরকার ৩৭০ নম্বর (Article 370) ধারা বাতিল করে। ফলে, বিশেষ মর্যাদা হারায় জম্মু ও কাশ্মীর। এমনকি, কেড়ে নেওয়া হয় রাজ্যের তকমাও। জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ-দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়। এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বরের রায়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক নয়।

    জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে!

    পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, ওই বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দল (Article 370) এবং কংগ্রেস। বিজেপির (BJP) জম্মু- কাশ্মীর সভাপতি রবীন্দ্র রায়না ন্যাশনাল কনফারেন্স-কংগ্রেস জোটকে নিশানা করে বলেন, “ওরা পাকিস্তানের হাত শক্ত করছে। জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Aligarh University: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু তকমা! ঐকমত্যে না পৌঁছানোয় ঝুলে রইল সুপ্রিম কোর্টে

    Aligarh University: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু তকমা! ঐকমত্যে না পৌঁছানোয় ঝুলে রইল সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে (Aligarh University) সংখ্যালঘু তকমা দেওয়ার বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রইল। সংখ্যালঘু তকমা দেওয়া নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারল না প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ। যদিও সাত সদস্যের এই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি-সহ চার সদস্য এলাহাবাদ হাইকোর্টের আগের রায় খারিজ করে দিয়েছেন।

    ঠিক কী হয়েছে? (Aligarh University)

    আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে (Aligarh University) সংখ্যালঘু তকমা দেওয়ার সাংবিধানিক বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের রায়টি লেখেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সহমত পোষণ করেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। অন্যদিকে, বিরুদ্ধমত পোষণ করে স্বতন্ত্র রায় দেন বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্র। সংখ্যাগরিষ্ঠের মতানুসারে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু তকমা ফেরার পথ প্রশস্ত হলেও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নতুন বেঞ্চ নেবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। চারজন পক্ষে এবং তিনজন বিপক্ষে রায় দিয়েছেন। তবে এই রায়ে এখনই সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পাচ্ছে না আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। এর জন্য তিন বিচারপতির আলাদা একটি বেঞ্চ গঠিত হবে। সেই বেঞ্চই যাবতীয় পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে যে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পাবে কি না। প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির সংখ্যালঘু তকমা খারিজ করেছিল শীর্ষ আদালত। ইন্দিরা গান্ধীর আমলে ১৯৮১-তে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন করে এই প্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ সংরক্ষণ চালু হয়েছিল। ২০০৬-এ ওই আইন খারিজ করে দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: ৯৭ বছরে পা দিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি, জন্মদিনে বর্ষীয়ান নেতাকে শুভেচ্ছা মোদি-শাহের

    সংখ্যালঘু তকমা পেলে কী সুবিধা মিলবে?

    কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংখ্যালঘু তকমা পেলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকে। যদিও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (Aligarh University) বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ সরকারের সংরক্ষণ নীতি মেনে চলে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ স্কুল-কলেজের পড়ুয়ার জন্য সেখানে ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকে। মোদি সরকার প্রথম থেকেই আলিগড় এবং দিল্লি জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ তকমা দেওয়ার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে রাজনৈতিক বিরোধিতার মুখে পড়লেও মোদি সরকারের যুক্তি হল, এই তকমা অসাংবিধানিক। সংসদের আইনের মাধ্যমে যে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে, পরে তাকে ধর্মের ভিত্তিতে বিশেষ তকমা দেওয়া দেশের ধর্মনিরপেক্ষ নীতির বিরুদ্ধে। তাছাড়া, সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্ধেক আসন সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত থাকায় তফসিলি জাতি, উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির পড়ুয়াদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। কারণ, সেখানে জাতপাতের ভিত্তিতে সংরক্ষণ থাকে না।

    সলিসিটর জেনারেল কী বললেন?

    এর আগে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্রের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা তাঁর সওয়ালে বলেন, “১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় (Aligarh University) প্রাক্- স্বাধীনতা যুগেও জাতীয় স্তরের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। তাই তাকে কেবলমাত্র সংখ্যালঘুদের জন্য বলা যেতে পারে না।”

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “আদালতকে দেখতে হবে কে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ভাবনার নেপথ্যে কে আছেন। যদি দেখা যায় এই প্রতিষ্ঠান নেপথ্যে সংখ্যালঘু কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ছিল, তাহলে ৩০(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সেই প্রতিষ্ঠান সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পেতে পারে।” ১৯৬৭ সালের প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান করতেই এবার তিন বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলা পাঠালেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam Bypoll: অসম উপনির্বাচনে ২ কোটি টাকায় দলীয় টিকিট বিক্ৰি করেছে কংগ্রেস, বিজেপি মন্ত্রীর দাবিতে চাঞ্চল্য

    Assam Bypoll: অসম উপনির্বাচনে ২ কোটি টাকায় দলীয় টিকিট বিক্ৰি করেছে কংগ্রেস, বিজেপি মন্ত্রীর দাবিতে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে উপনির্বাচনে (Assam Bypoll) দলীয় টিকিট ২ কোটি টাকায় বিক্রি করেছে কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতারা। এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপির মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা (BJP Minister Pijush Hazarika)। তিনি দাবি করেছেন, কংগ্রেস তাদের টিকিট বিক্রি করছে। বেহালি উপনির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে এক নির্বাচনী সভায় এই মন্তব্য করেন পীযুষ। আাগামী ২৩ শে নভেম্বর ওই উপনির্বাচন হবে।

    বিজেপির অভিযোগ 

    বিজেপি মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা বলেন, কংগ্রেসে একাধিক সিনিয়র নেতার মাধ্যমে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। এর পিছনে রয়েছেন অসমের (Assam Bypoll) জোরহাটের সংসদ সদস্য গৌরব গগৈ এবং রাজস্থানের কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জিতেন্দ্র সিং। মন্ত্রী হাজারিকার দাবি, কংগ্রেসের প্রার্থী জয়ন্ত বরা, যিনি সম্প্রতি বিজেপি থেকে কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন, তাঁকে টিকিট পাওয়ার জন্য ২ কোটি টাকা দিতে হয়েছে। এই টাকার অর্ধেক গৌরব গগৈয়ের কাছে এবং বাকি অর্ধেক জিতেন্দ্র সিংয়ের কাছে গিয়েছে। হাজারিকা বলেন, “এটি কংগ্রেস দলের জন্য এক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। যারা দলের জন্য কাজ করছে, তারা এখন নিজের নেতাদের কাছে প্রতারিত হচ্ছে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, কংগ্রেস নেতারা জানতেন জয়ন্ত বরা বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেবেন, তার পরেও তার টিকিটকে কেন্দ্র করে ২ কোটি টাকা আদান-প্রদান হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহেই বাড়বে উত্তুরে হাওয়ার দাপট! বাংলায় শীত কবে থেকে?

    কংগ্রেসের ঘৃণ্য রাজনীতি

    পীযূষ হাজারিকা (BJP Minister Pijush Hazarika) আরও বলেন, কংগ্রেসের এই আচরণ অসমে বিরোধী ঐক্যকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছে। কংগ্রেসের কারণে বিরোধী জোট ভেঙে গিয়েছে। তারা এককভাবে বেহালি কেন্দ্রের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে অন্য বিরোধী দলগুলি ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন লড়তে চেয়েছিল। উল্লেখ্য, অসমের (Assam Bypoll) পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে ২৩ নভেম্বর উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিজেপি, কংগ্রেস, ইউপিপিএল, এজিপি সহ মোট ২৪ জন প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Terrorist Attack: ভূস্বর্গে দুই ডিফেন্স গার্ডকে অপহরণ করে খুন, সেনার হামলায় নিকেশ দুই জঙ্গি

    Terrorist Attack: ভূস্বর্গে দুই ডিফেন্স গার্ডকে অপহরণ করে খুন, সেনার হামলায় নিকেশ দুই জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্ত ঝরল জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir)। গত ৯ দিনের মধ্যে পর পর দুবার জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটল। আর এবার জঙ্গিদের (Terrorist Attack) হামলায় জম্মু-কাশ্মীরের কিস্তেওয়ার থেকে দুই ভিলেজ ডিফেন্স গার্ডকে অপহরণ করা হয়। পরে তাদের হত্যাও করে জঙ্গিরা। পরিযায়ী শ্রমিকদের পর এবার নিশানায় নিরাপত্তা বাহিনী। এই ঘটনায় চরম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে উপত্যকায়।

    চোখ বাঁধা অবস্থায় রক্তাক্ত মৃতদেহের ছবি পোস্ট (Terrorist Attack)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাজির আহমেদ ও কুলদীপ কুমার নামক দুই নিরাপত্তারক্ষীকে মুঞ্জলা ধর জঙ্গল থেকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। তারা গরু চড়াতে গিয়েছিল। সেখান থেকে তাদের অপহরণ করে খুন করে জঙ্গিরা (Terrorist Attack)। সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা বাড়ি না ফেরায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়। জইশ-ই-মহম্মদের শাখা কাশ্মীর টাইগারস এই হত্যার দায় স্বীকার করে নিয়েছে। চোখ বাঁধা অবস্থায় রক্তাক্ত মৃতদেহের ছবিও পোস্ট করেছে তারা। এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। এই এলাকাটিতে গত কয়েক মাস ধরে জঙ্গি-হামলা হয়েই চলেছে। একজন সিনিয়র অফিসার বলেছেন, সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের সময় অন্তত দুবার এলাকায় জঙ্গি ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময় হয়েছে। দিন কয়েক আগেই শ্রীনগরের বাজারে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ওই ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছিলেন। ২৯ শে অক্টোবর, সেনাবাহিনী জম্মু জেলার বাটাল এলাকায় একটি অ্যাম্বুল্যান্সে হামলাকারী তিন জঙ্গিকে হত্যা করে।

    আরও পড়ুন: ৯৭ বছরে পা দিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি, জন্মদিনে বর্ষীয়ান নেতাকে শুভেচ্ছা মোদি-শাহের

    যৌথ অভিযানে দুই জঙ্গি নিকেশ

    ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানের অধীনে সন্ত্রাসবাদী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর শুক্রবার বারামুল্লা জেলার সোপোর এলাকায় দুই জঙ্গি (Terrorist Attack) নিহত হয়েছে। কাশ্মীর জোন পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বারামুল্লার সোপোর এলাকার পানিপোরায় জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কিত একটি নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা একটি যৌথ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু হয়েছিল। তল্লাশি চালানোর সময় গুলি বিনিময় হয়। তাতে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। সনাক্তকরণ এবং সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। অপরাধমূলক উপকরণ, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও বিশদ বিবরণ অনুসরণ করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০ অক্টোবর গান্দেরবাল জেলার শ্রীনগর-লেহ জাতীয় সড়কে একটি টানেল নির্মাণের জায়গায় জঙ্গিরা হামলা চালালে একজন ডাক্তার এবং ছয়জন নির্মাণ শ্রমিক নিহত হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: আগামী সপ্তাহেই বাড়বে উত্তুরে হাওয়ার দাপট! বাংলায় শীত কবে থেকে?

    Weather Update: আগামী সপ্তাহেই বাড়বে উত্তুরে হাওয়ার দাপট! বাংলায় শীত কবে থেকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাঁকিয়ে না হলেও আগামী সপ্তাহ থেকেই ধীরে ধীরে কমবে তাপমাত্রা। হাওয়া অফিস বলছে, ১৫ নভেম্বর থেকে উত্তুরে হাওয়ার দাপট দেখা যাবে। সাধারণত, যখন উত্তুরে হাওয়া (Weather Update) শক্তিশালী হতে শুরু করে, তখনই তাপমাত্রা দ্রুত কমতে থাকে। চলতি বছরে ১৫ নভেম্বরের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় উত্তুরে হাওয়ার (Weather Update) প্রবাহ বাড়বে বলে জানা যাচ্ছে, যা শীতের আবহ তৈরি করতে সাহায্য করবে।

    রাজ্যে উত্তরে হাওয়া প্রবেশ

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। তা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। চলতি সপ্তাহের শেষে নিম্নচাপ তৈরি হলে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে তা কোন দিকে যায়, তা নজরে রেখেছেন আবহবিদেরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ১৫ নভেম্বরের পর থেকে বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে রাজ্যে উত্তুরে হাওয়া প্রবেশ করবে। শীতের আমেজ (Winter in Bengal) অনুভূত হবে বিস্তীর্ণ অংশে। উত্তুরে হাওয়া ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই রাতরাতি পরিবর্তন দেখা যাবে আকাশেও। সকালের দিকে হালকা কুয়াশা বা ধোঁয়াশাবৃত আবহওয়া দেখা যাবে। বেলা বাড়লেও কোনও কোনও জায়গায় আংশিক মেঘলা আকাশ দেখা যেতে পারে। 

    রাজ্যে শীত শীত ভাব

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস (Weather Update) অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও ২ ডিগ্রি পর্যন্ত কমতে পারে। ফলে রাজ্যজুড়ে শীত শীত ভাব অনুভূত হবে। উত্তুরে হাওয়া বঙ্গে শীত নিয়ে আসে। এই হাওয়া মূলত উত্তর ভারত ও হিমালয়ের পাদদেশ থেকে বয়ে আসে এবং এটাই বঙ্গে শীতল আবহাওয়া (Weather Update) সৃষ্টি করে। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে এই হাওয়ার শক্তি বাড়তে শুরু করলে রাতের দিকে তাপমাত্রা হ্রাস পায় এবং শীতের আবহ স্পষ্ট হতে শুরু করে। তবে এরই মধ্যে আবার আছে নিম্নচাপের পূর্বাভাস। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হলে, তা বঙ্গে শীতের (Winter in Bengal) প্রভাবকে কিছুটা বিলম্বিত করতে পারে। সাধারণত নিম্নচাপের প্রভাবে মেঘলা আকাশ, মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত এবং আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়। ফলে দিনের বেলায় গরম অনুভূত হতে পারে, যদিও রাতের দিকে ঠান্ডা হাওয়া বইতে পারে। এ কারণে শীতের প্রকৃত প্রভাব অনেক সময় পিছিয়ে যেতে পারে। তবে, এই নিম্নচাপের প্রকৃতি কেমন হবে এবং তার প্রভাব কতটা হবে তা এখনও নির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়। আবহাওয়া দফতর পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।

    আরও পড়ুন: দূরদৃষ্টি এবং বুদ্ধিমত্তার জন্য সর্বত্র সমাদৃত, ৯৭ বছরে লালকৃষ্ণ আডবানিকে শুভেচ্ছা মোদি-শাহের

    উত্তরবঙ্গে অবশ্য আগামী সপ্তাহে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর। দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। কাঞ্চনজঙ্ঘা রেঞ্জে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তবে জলীয় বাষ্প থাকায় বাতাসে ধোঁয়াশার কিছুটা সৃষ্টি হবে। শনিবার পর্যন্ত সকালের দিকে সুস্পষ্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সম্ভাবনা থাকবে। জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বুধবার এবং বৃহস্পতিবার। তবে উত্তরের আর কোনও জেলায় আপাতত বৃষ্টি হবে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ayodhya Gurukul: বৈদিক শিক্ষার প্রসারে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের, অযোধ্যার গুরুকুলকে অনুমোদন, মিলবে স্কলারশিপও

    Ayodhya Gurukul: বৈদিক শিক্ষার প্রসারে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের, অযোধ্যার গুরুকুলকে অনুমোদন, মিলবে স্কলারশিপও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ পরিচালিত অযোধ্যার গুরুকুল বিদ্যাপীঠ (Ayodhya Gurukul) কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের কাছ থেকে অনুমোদন পেল। প্রসঙ্গত, এই গুরুকুলে চার বেদের (Vedic Education) ওপরে শিক্ষাদান করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে বৈদিক শিক্ষা ত্বরান্বিত হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, এই গুরুকুলের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি হলেন আচার্য মনোজ দীক্ষিত। কেন্দ্রীয় সরকারের এই ঘোষণার কথা একটি সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি।

    কী বলছেন গুরুকূলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি 

    তিনি বলেন, এই গুরুকুলে বৈদিক শিক্ষা প্রদানের জন্য আচার্যের পদও তৈরি করা হয়েছে। ৬ জন আচার্য থাকবেন। এদের মধ্যে তিনজন শুক্ল যজুর্বেদের বিষয়ে পাঠদান (Ayodhya Gurukul) করবেন। বাকি তিনজন যথাক্রমে অথর্ববেদ, সামবেদ এবং ঋকবেদ পড়াবেন। তিনি আরও বলেন, এই গুরুকুলে (Ayodhya Gurukul) আধুনিক বিষয় হিসেবে গণিত ও কম্পিউটার সায়েন্সও পড়ানো হবে ছাত্রদের। সংস্কৃত ভাষারও আচার্য নিয়োগ করা হয়েছে ইতিমধ্যে।

    আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হিন্দুদের ওপর হামলা, ঢাকাকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাল ভারতের বিদেশমন্ত্রক

    ১২ হাজার বর্গমিটার জুড়ে গুরুকূল, মিলবে স্কলারশিপও (Ayodhya Gurukul) 

    শুধুমাত্র তাই নয়, গুরুকুলের ছাত্ররা স্কলারশিপও পাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, কুড়িজন ছাত্র যারা বাটুক ব্রহ্মচারী নামে পরিচিত, তাদেরকে ৬০০০০ টাকা স্কলারশিপ প্রদান করা হবে বছরে। এছাড়া ১২ জন ছাত্রকে বছরে ১২ হাজার টাকা স্কলারশিপ প্রদান করা হবে। স্কলারশিপের মাধ্যমে ওই পড়ুয়ারা নিজেদের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারবে। প্রসঙ্গত গুরুকুলটি ১২,০০০ বর্গমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থিত রয়েছে। ক্যাম্পাসে বর্তমানে এখানে পাঁচটি স্কুল (Vedic Education) চলছে। আরও অন্যান্য স্কুল তৈরি করার পরিকল্পনাও রয়েছে কর্তৃপক্ষের। ২০০ ব্রহ্মচারী থাকার মতো হস্টেল নির্মাণেরও কাজ চলছে। জানা গিয়েছে, ২০০ ছাত্র একসঙ্গে বসতে পারে, এমন একটি সেমিনার হল তৈরির কাজও ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে। এছাড়া বড় একটি গ্রন্থাগার নির্মাণেরও কাজ চলছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Tunnel: যানজট কমাতে বড় পদক্ষেপ, গঙ্গার তলা দিয়ে কলকাতা-হাওড়া সুড়ঙ্গপথ তৈরিতে উদ্যোগী কেন্দ্র

    Kolkata Tunnel: যানজট কমাতে বড় পদক্ষেপ, গঙ্গার তলা দিয়ে কলকাতা-হাওড়া সুড়ঙ্গপথ তৈরিতে উদ্যোগী কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মধ্যে প্রথম নদীর তলা দিয়ে মেট্রো চলাচল শুরু হয়েছে কলকাতাতেই। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য কলকাতা (Kolkata Tunnel) থেকে হাওড়া পর্যন্ত গঙ্গার (Ganges) নীচ দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলের সুড়ঙ্গ তৈরি। এ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের প্রাথমিক কথাবার্তা হয়ে গিয়েছে। আগামী বছর থেকেই সেই কাজ শুরু হয়ে যেতে পারে।

    কোথায় তৈরি হবে সুড়ঙ্গপথ? (Kolkata Tunnel)

    কেন্দ্রীয় সরকার কোন প্রকল্পে এই কাজ করবে, তাও ঠিক হয়ে গিয়েছে। এমনকী গঙ্গার নীচে কোথায় সেই সুড়ঙ্গ পথ তৈরি করা হবে, তার প্রাথমিক জায়গাও ঠিক করা হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি প্রকল্পের অধীনেই ওই সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতার দক্ষিণ প্রান্তে মেটিয়াবুরুজ থেকে হাওড়া যাওয়ার প্রস্তাবিত সুড়ঙ্গ (Kolkata Tunnel) মূলত ট্রাক যাতায়াতের জন্যই তৈরি হবে। এর ফলে বন্দর এলাকার ট্রাক হাওড়া হয়ে বিভিন্ন জাতীয় সড়ক ধরে রাজ্যের অন্যত্র যেতে পারবে। ২০২২ সালেই এমন পরিকল্পনা করেছিল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর পরে গঙ্গার তলা দিয়ে বন্দর এলাকায় ট্রাক যাতায়াতের জন্য সুড়ঙ্গ বানানো সম্ভব কি না, তার পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু হয়। ইতিমধ্যেই সেই কাজ শেষ হয়ে বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রকে রিপোর্ট জমা পড়েছে।

    আরও পড়ুন: ৯৭ বছরে পা দিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি, জন্মদিনে বর্ষীয়ান নেতাকে শুভেচ্ছা মোদি-শাহের

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    এখন বন্দর থেকে কোনও ট্রাককে জাতীয় সড়কে যেতে হলে প্রধান পথ দ্বিতীয় হুগলি সেতু। সেই সেতু দিয়েই যাতায়াতের জন্য কলকাতা (Kolkata Tunnel) শহরে ঢুকতে হয় ট্রাককে। শহরের যান চলাচলে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, তার জন্যই সুড়ঙ্গপথের প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সড়কমন্ত্রী নীতীন গড়কড়িকে দিয়েছিলেন শান্তনু। বনগাঁর বিজেপি সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পরেই ওই প্রস্তাব দেন। পরে ‘সম্ভাবনা’ পরীক্ষার অনুমোদন পাওয়া যায়। বন্দর কর্তৃপক্ষ সেই পরীক্ষা চালান একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে। সেই রিপোর্ট যে মন্ত্রকে জমা পড়েছে, সম্প্রতি তা লোকসভাতেই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। প্রকল্প প্রসঙ্গে জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর  বলেন, “আপাতত যা ঠিক হয়েছে, তাতে ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে ওই প্রকল্পের জন্য। মোট ১৫ কিলোমিটার রাস্তা হবে। তার মধ্যে ৮ কিলোমিটার থাকবে সুড়ঙ্গপথ। ফলে, এই কাজ শুরু করা যেতে পারে। আর সুড়ঙ্গ তৈরি হয়ে গেলে শহরে কোনও ট্রাক ঢুকবে না। ফলে, যানজট অনেকটাই কমবে। আর শুধু কলকাতা নয়, গোটা রাজ্যের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হবে ওই সুড়ঙ্গ। যা পরিকল্পনা, তাতে ভিন্ রাজ্য তো বটেই, রাজ্যেরও সর্বত্র সহজে পৌঁছে যাওয়ার জন্য সংযোগকারী রাস্তা তৈরি এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে।”

    কোথায় যানজট?

    এখন কলকাতায় যানজট কমাতে দিনে ৮ ঘণ্টা ভারী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। এর পরেও রাস্তায় বাকি গাড়ির জটের মধ্য দিয়ে গতি বাড়াতে পারে না ট্রাক। ফলে রাত পর্যন্ত অপেক্ষ করতে হয় অনেক ট্রাককে। আবার বন্দর থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু যাওয়ার জন্য গার্ডেনরিচ সার্কুলার রোড, খিদিরপুর রোড, হেস্টিংস পর্যন্ত যানজট তৈরি হয়। গঙ্গার তলা দিয়ে হাওড়ায় যাওয়ার সুবিধা হয়ে গেলে এ সব থেকে কলকাতা মুক্তি পাবে বলে দাবি শান্তনুর। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গোটা দেশেই সড়কপথের চরিত্র বদলে গিয়েছে। দেশের গতি বেড়েছে। অনেক টানেল পথ দিয়ে গাড়ি, ট্রেন, ছুটছে। এ বার সেই গতি পাবে কলকাতা তথা বাংলাও।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kiren Rijiju: কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি মহারাষ্ট্রের মানুষ বিশ্বাস করবে না, ভোটের আবহে তোপ কিরেণ রিজিজুর

    Kiren Rijiju: কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি মহারাষ্ট্রের মানুষ বিশ্বাস করবে না, ভোটের আবহে তোপ কিরেণ রিজিজুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra)  জনগণ কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করবে না, এভাবেই তোপ দাগলেন সংসদীয় মন্ত্রী তথা ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা কিরেণ রিজিজু (Kiren Rijiju)। একই সঙ্গে এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকেও একহাত নেন তিনি। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নাগপুরে সংবিধান সম্মেলন করেন রাহুল গান্ধী। এ নিয়েই রিজিজু বলেন, ‘‘কংগ্রেস সংবিধান নিয়ে আলোচনা করতেই পারে না। কারণ পূর্বে একাধিকবার দেখা গিয়েছে সংবিধানকে সবচেয়ে বেশি অবমাননা করেছে তারা।’’

    কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরাতে চায় কংগ্রেস (Kiren Rijiju)

    তিনি বলেন, ‘‘ডক্টর বাবাসাহেব আম্বেদকরের তৈরি করা সংবিধানকে তারা (কংগ্রেস) অশ্রদ্ধা করে।’’ রিজিজু (Kiren Rijiju) আরও বলেন, ‘‘কংগ্রেস বলেছে সংবিধানের ৩৭০ ধারা পুনরায় কাশ্মীরে ফেরানো উচিত। কিন্তু এই ৩৭০ ধারার জন্যই সেখানে সংরক্ষণ ব্যবস্থা ছিল না। মোদিজি এই ধারা তুলে দিয়েছেন এবং সেখানকার তফশিলি জাতি এবং উপজাতিরা আজও সংরক্ষণ পাচ্ছেন। কংগ্রেস এইভাবে জনগণকে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারে না।’’ মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে কংগ্রেস এবং তার জোট সঙ্গীরা যোগ্য জবাব পাবে বলেও মন্তব্য করেন রিজিজু। প্রসঙ্গত, আগামী ২০ নভেম্বর ভোট রয়েছে মহারাষ্ট্রে। সে রাজ্যের ২৮৮টি আসনে হবে নির্বাচন। ভোট গণনা হবে ২৩ নভেম্বর।

    কংগ্রেসকে আক্রমণ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর

    অন্যদিকে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মাও কংগ্রেসকে এক হাত নেন। বৃহস্পতিবার তিনি হাজির ছিলেন মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে এক নির্বাচনী জনসভায়। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস জনগণকে বোকা বানাতে চায়। কিন্তু জনগণ সেটা ধরে ফেলেছে, প্রত্যেকেই নিশ্চয়ই দেখেছেন কংগ্রেস কীভাবে জনতাকে জাতি ও বর্ণ ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করে।’’ তিনি আরও মন্তব্য করেন, ‘‘মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ডবল ইঞ্জিন সরকারই প্রতিষ্ঠিত হবে।’’ তাঁর মতে, ‘‘ভারত ও মহারাষ্ট্রের জনগণ নরেন্দ্র মোদিতেই আস্থা রেখেছেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা সম্পর্কে জানেন এবং তাঁর ইতিবাচক পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে অবহিত।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • L K Advani: দূরদৃষ্টি এবং বুদ্ধিমত্তার জন্য সর্বত্র সমাদৃত, ৯৭ বছরে লালকৃষ্ণ আডবানিকে শুভেচ্ছা মোদি-শাহের

    L K Advani: দূরদৃষ্টি এবং বুদ্ধিমত্তার জন্য সর্বত্র সমাদৃত, ৯৭ বছরে লালকৃষ্ণ আডবানিকে শুভেচ্ছা মোদি-শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতিতে যখন ছাত্র তিনি, পুরোদস্তুর নেতা ছিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি (Lal Krishna Advani)। ৯৭ বছর বয়সে এখন আর রাজনীতিতে সক্রিয় নন। কিন্তু তাঁর অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শুক্রবার, ৮ নভেম্বর জন্মদিন আডবানির। ৯৭ বছরে প্রবীণ নেতা। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় আডবানিকে শুভেচ্ছা জানান মোদি। (Lal Krishna Advani Birthday)। 

    জন্মদিনের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    ভারতের রাজনীতিতে তিনি লৌহপুরুষ। দেশের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপির অন্যতম বরিষ্ঠ নেতা লালকৃষ্ণ আডবানিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখেন, ‘ভারতের উন্নয়নে আডবানিজির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দূরদৃষ্টি এবং বুদ্ধিমত্তার জন্য দেশের সর্বত্র সমাদৃত উনি। বিজেপি-র খুঁটি মজবুত করতে ওঁর ভূমিকা অতুলনীয়। ওঁর দীর্ঘায়ু এবং সুস্থতা কামনা করি। এই বছর ওনার জন্মদিন বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে, উনি ভারতরত্ন’। 

    আডবানির অবদান

    অটল বিহারি বাজপেয়ীর সরকারে ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আডবানি। বিগত তিন দশকে বিজেপি-কে মূলস্রোতের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার নেপথ্যে আডবানির ভূমিকা অনস্বীকার্য। নয়ের দশকে লোকসভায় যেখানে মাত্র দু’টি আসন ছিল বিজেপি-র, ২০১৪ সালে মোদির নেতৃত্বে লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রাপ্তি ঘটে বিজেপি-র। আটের দশকে অযোধ্যায় রাম মন্দির আন্দোলনকে সব স্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার নেপথ্যেও ছিলেন আডবানি। সেই দাবি নিয়ে তাঁর নেতৃত্বেই বেরিয়েছিল ‘রথযাত্রা’। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই লালকৃষ্ণ আজবানিকে ভারতরত্ন সম্মান দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় কেন্দ্রের তরফে। শারীরিক অসুস্থার কারণে বাসভবনে গিয়ে লালকৃষ্ণ আডবানিকে ভারতরত্ন সম্মান প্রদান করা হয়। 

    শুভেচ্ছা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বর্ষীয়ান নেতাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘আমাদের প্রাক্তন ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবানিজিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। গোটা জীবন ধরে তিনি দেশ এবং দেশের মানুষের জন্য নিজেকে অর্পণ করেছেন। ডেপুটি প্রধানমন্ত্রীর মতো গুরুদায়িত্ব সামলেছেন। সুরক্ষা, একতা এবং সম্প্রীতির লক্ষ্যে কড়া অবস্থান নিয়েছেন তিনি। ভারতের রাজনীতিতে স্বচ্ছতার এক নজির গড়েছেন তিনি। তাঁর সুদীর্ঘ জীবনে তিনি দেশ, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের জন্য লড়াই করেছেন। দল এবং আদর্শের জন্য তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share