Tag: Madhyom

Madhyom

  • Madhyom: জামিন পেলেন ‘মাধ্যম’-এর দুই সাংবাদিক, পুলিশি হানায় সরব সুকান্ত-শমীক

    Madhyom: জামিন পেলেন ‘মাধ্যম’-এর দুই সাংবাদিক, পুলিশি হানায় সরব সুকান্ত-শমীক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মাধ্যম’ (Madhyom) ডিজিটাল মিডিয়ার দুই সাংবাদিককে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। বুধবার দুই সাংবাদিককে বিধাননগর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেন। ঠিক কী হয়েছিল মঙ্গলবার? সম্প্রতি কালীপুজোয় দক্ষিণদাড়িতে একটি অশান্তিকে কেন্দ্র করে হওয়া ঘটনার প্রতিবেদন মাধ্যম ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়। তার ভিত্তিতেই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এফআইআর দায়ের করে মঙ্গলবার ‘মাধ্যম’ কমিউনিকেশন প্রাইভেট লিমিটেডের অফিসে তল্লাশি অভিযানে চলে আসে। দীর্ঘ জেরার পর দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার করে। এদিন দুজনই আদালতে জামিন পেয়ে যান।  

    কড়া সমালোচনা করলেন সুকান্ত? (Madhyom)

    এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। উত্তর ২৪ পরগনার নিউ বারাকপুরে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে এসে ‘মাধ্যম’ (Madhyom) ডিজিটাল মিডিয়া অফিসে পুলিশি হানা নিয়ে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘ গণতন্ত্রের ওপর হামলা। মাধ্যম অফিসে পুলিশি হানা, ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি সাংবাদিকদের গ্রেফতার করার ঘটনা জরুরি অবস্থার শামিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতা থাকলে জরুরি অবস্থা জারি করে দিতেন। উগ্রপন্থীদের সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করা উচিত। কিন্তু, এই রাজ্যে তা আমরা করতে দেখিনি। মহামান্য আদালতের কাছে আবেদন এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দৃষ্টান্তমূলক আদেশ দেওয়া হোক, যাতে পুলিশ এই ধরনের কাজ করতে না পারে। এটা পুলিশ অপরাধ করেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া দরকার।”

    কী বললেন শমীক ভট্টাচার্য?

    এই ঘটনা (Madhyom) নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে সাম্প্রদায়িক বিভাজন বাড়ছে। দক্ষিণদাঁড়ি এলাকায় রাজ্যের এক মন্ত্রীর বাড়়ির কাছে কালী মন্দিরে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনাটি মাধ্যমের সাংবাদিকরা তুলে ধরেছিলেন। আগুন জ্বলছে, পাথর ছোড়া হচ্ছে। সেই প্রকৃত সত্য ঘটনাটি পোস্ট করা কি অপরাধ? তারপর পুলিশ ওই মিডিয়ার অফিসে হানা দেয়। দুজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করে। এদিন আদালতে সাতদিনের পুলিশ হেফাজত চাওয়া হয়েছিল। আদালতের ওপর মানুষের ভরসা রয়েছে। বিচারক তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছে। ’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Share Market: ট্রাম্প জিততেই ফুলেফেঁপে উঠল ভারতের শেয়ার বাজার, রকেট গতিতে সেনসেক্স ৮০ হাজার পার

    Share Market: ট্রাম্প জিততেই ফুলেফেঁপে উঠল ভারতের শেয়ার বাজার, রকেট গতিতে সেনসেক্স ৮০ হাজার পার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ আমেরিকা। সেই দেশেরই প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে গড়লেন রেকর্ডও। আর ফল প্রকাশ হতেই ইতিবাচক প্রভাব দেখা গেল ভারতের শেয়ার বাজারে (Share Market)। চড়চড়িয়ে বাড়ছে সেনসেক্স-নিফটির সূচক।

    সেনসেক্সের সূচকও বেড়ে ৮০,৫০০ অঙ্কে পৌঁছেছে (Share Market)

    প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল কী হতে চলেছে, সকাল থেকেই তার দিকে নজর ছিল শেয়ার বাজারের (Share Market)। দুপুর ১টা নাগাদ পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম সামনে আসতেই হু হু করে বাড়তে থাকে শেয়ার সূচক। তথ্যপ্রযুক্তি থেকে শুরু করে অটো, ধাতু, পিএসইউ ব্যাঙ্কের শেয়ার সূচকগুলি চড়চড়িয়ে বাড়তে থাকে। নিফটি মিডক্যাপ ও নিফটি স্মলক্যাপ ১০০ দারুণ পারফর্ম করছে। নিফটির সূচক ২৪,৫০০ পয়েন্টে পৌঁছেছে। সেনসেক্সের সূচকও এক লাফে ১০০০ পয়েন্ট বেড়ে ৮০,৫০০ অঙ্কে পৌঁছেছে। বিটকয়েনের মূল্যও হু হু করে চড়েছে। মার্চের রেকর্ড ভেঙে বিটকয়েনের মূল্য ৭৫০৬০ ডলারে বেড়ে দাঁড়িয়েছে। বুধবার, ৬ নভেম্বর সেনসেক্স ও নিফটিতে এক শতাংশের বেশি বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। এই নিয়ে পরপর দু’দিন ঊর্ধ্বমুখী হল স্টক বাজার। যা লগ্নিকারীদের মুখের হাসি চওড়া করেছে।

    আরও পড়ুন: হোয়াইট হাউসে ফিরছেন ট্রাম্প, “আমেরিকাকে আবার শ্রেষ্ঠ করব”, প্রতিশ্রুতি ভাবী-প্রেসিডেন্টের

    কোন স্টকের কী অবস্থা?

    বিএসইতে এদিন ২৫টি স্টক সবুজ জোনে (Share Market) শেষ করেছে। সবচেয়ে লাভ করেছেন টিসিএস, ইনফোসিস, টেক মাহিন্দ্রা, এইচসিএল টেক ও আদানি পোর্টের লগ্নিকারীরা। আর দর কমেছে টাইটান, ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেড, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক ও এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের শেয়ারের। বিএসইতে ছোট ও মাঝারি পুঁজির সংস্থাগুলির সূচক যথাক্রমে ২.২৮ এবং ১.৯৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিএসইতে তালিকাভুক্তি সংস্থাগুলির সামগ্রিক বাজার মূলধন আগের সেশনের চেয়ে প্রায় ৪৫৩ লক্ষ কোটি টাকা বেড়েছে। মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর এই অঙ্ক ছিল ৪৪৫ লক্ষ কোটি। একদিনে লগ্নিকারীরা চার লক্ষ কোটি টাকা আয় করেছেন। এনএসইতে তেল ও গ্যাস এবং রিয়েল এস্টেট সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম তিন শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থা, ফার্মা, সংকর ধাতু, মিডিয়া এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের স্টকের দর এক শতাংশের বেশি চড়েছে।

    কমেছে টাকার দাম

    এদিন সকাল থেকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট দলের কমলা হ্যারিসের থেকে এগিয়ে ছিলেন। বেলা গড়াতেই তিনি যে দ্বিতীয় বারের জন্য প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসতে চলেছেন, তা স্পষ্ট হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর সরাসরি প্রভাব পড়ে বম্বে ও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে। এই দুই শেয়ার বাজারের সূচকও রকেট গতিতে চড়তে থাকে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিনে শেয়ার বাজারে (Share Market) রকেট গতি দেখা গেলেও ফের কমেছে টাকার দাম। এ দিন ডলারের নিরিখে ৮৪.১৯-এ নেমে আসে ভারতীয় মুদ্রা। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) অবশ্য ৮৪.১৩-তে নেমে গিয়েছিল ভারতীয় টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • US President Election 2024: জয়ী হতে চলেছেন ট্রাম্প, সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস

    US President Election 2024: জয়ী হতে চলেছেন ট্রাম্প, সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে (US President Election 2024) জয়ী হতে চলেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস জিতলে ভালো, তবে ট্রাম্প জিতলে বাংলাদেশের কপালে দুঃখ আছে। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দুই দলের পদস্থ নেতাদের সঙ্গেই মহম্মদ ইউনূসের সম্পর্ক ভালো। তাই এই নির্বাচনের ফলের কোনও প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়বে না।” 

    হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন ট্রাম্প (US President Election 2024)

    বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন ট্রাম্প। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, “আমি বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বর্বর হিংসার তীব্র নিন্দা করছি। তাদের আক্রমণ করেছে উন্মত্ত জনতা, লুটপাট করেছে। সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আমি ক্ষমতায় থাকলে এটা ঘটত না। কমলা (কমলা হ্যারিস) এবং জো (জো বাইডেন) সারা বিশ্বের এবং আমেরিকার হিন্দুদের উপেক্ষা করছে। ইজরায়েল থেকে ইউক্রেন, এমনকী আমাদের দক্ষিণ সীমান্তেও বিপর্যয় নেমে এসেছে। কিন্তু আমরা আমেরিকাকে আবার শক্তিশালী করব এবং শক্তির মাধ্যমে শান্তি ফিরিয়ে আনব।”

    ট্রাম্প-ইউনূস সম্পর্ক

    ট্রাম্পের সঙ্গে ইউনূসের সম্পর্কও (US President Election 2024) ভালো নয়। ২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তখন প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ইউনূস বলেছিলেন, “এই জয় একটি সূর্যগ্রহণ…অন্ধকার দিন, যা আমাদের ধ্বংস করতে বা আমাদের মনোবল শুষে নিতে পারবে না।” হিন্দুদের ওপর নির্যাতন এবং ইউনূসের এই তির্ষক মন্তব্যের জেরে বঞ্চিত হতে পারে বাংলাদেশ। দেশ পুনর্গঠনের জন্য আমেরিকার কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছে ইউনূস সরকার। বাইডেন প্রশাসন তা দেবে বলে আশ্বাসও দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘আসুন জনগনের উন্নতির জন্য কাজ করি’’, ‘বন্ধু’ ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা মোদির

    উন্নয়নমূলক প্রকল্পে সাহায্যের পাশাপাশি নানা খাতে ২০ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার আর্থিক সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায়ও ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছিলেন বাইডেন। বাইডেনের দল ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস জিতলে মার্কিন-বাংলাদেশ সুসম্পর্ক বজায় থাকত। কিন্তু আগামী চার বছরের জন্য হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হতে চলেছেন ট্রাম্প। এই পর্বে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক খুব একটা ভালো হবে না বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে বাংলাদেশকে অর্থ সাহায্য দিতে আগ্রহী (Bangladesh) হবেন না বলেই আন্তর্জাতিক মহলের একটা বড় অংশের ধারণা (US President Election 2024)। সেই কারণেই প্রমাদ গুণছে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vidyalaxmi Scheme: উচ্চশিক্ষায় ১ লক্ষ মেধাবী পড়ুয়াকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ, বিদ্যালক্ষ্মী প্রকল্প আনল কেন্দ্র

    Vidyalaxmi Scheme: উচ্চশিক্ষায় ১ লক্ষ মেধাবী পড়ুয়াকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ, বিদ্যালক্ষ্মী প্রকল্প আনল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেল পিএম বিদ্যালক্ষ্মী প্রকল্প (Vidyalaxmi Scheme)। এই কর্মসূচিতে মূলত নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মেধাবী পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষায় আর্থিক ঋণ দেবে নরেন্দ্র মোদি সরকার। পাশাপাশি, পড়ুয়ারা বিভিন্ন ধরনের বৃত্তিমূলক ক্ষেত্রে শিক্ষাগ্রহণে আর্থিক সহায়তা পাবে। ভারত হোক অথবা বিদেশ, কোনও বিশেষ বিষয় নিয় উচ্চ শিক্ষা করতে যাওয়া মানেই তা একটি ব্যয়বহুল ব্যাপার। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার জন্য অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের সমর্থন করার জন্য আর্থিক ভাবে ততটাও সক্ষম নন। কেন্দ্রীয় সরকার সেই জায়গাতেই ছাত্রছাত্রীর সমস্যা সমাধানের জন্য বিদ্যালক্ষ্মী এডুকেশন লোনের ঘোষণা করেছে। এর জন্য সরকারের বরাদ্দ ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ থেকে ২০৩০-৩১ সালের মধ্যে ৭ লক্ষ নতুন ছাত্রছাত্রীকে এই প্রকল্পের আওতায় আনতে চাইছে সরকার।

    কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের ঘোষণা

    কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক সূত্রের খবর, বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক (Vidyalaxmi Scheme) থেকে মিলবে এডুকেশন লোন। প্রায় ৭০টি বিভিন্ন আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি থাকবে প্রধানমন্ত্রী বিদ্যালক্ষ্মী প্রকল্পের আওতায়। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘‘এই প্রকল্পে ঋণ পেতে গেলে কোনও জামিনদার বা গ্যারেন্টার লাগবে না। প্রধানমন্ত্রী মোদির লক্ষ্য, কোনও মেধাবী পড়ুয়া যাতে বঞ্চিত না হন।’’ অর্থ মন্ত্রক, উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং ভারতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশন বিদ্যালক্ষ্মী প্রকল্পের অধীনে আগ্রহী এবং যোগ্য প্রার্থীদের শিক্ষা ঋণ দেওয়ার জন্য একত্রিত হয়েছে। প্রার্থীরা এই ঋণ প্রকল্পগুলির জন্য আবেদন করতে সরাসরি নিজেরাই বিদ্যালক্ষ্মী এডুকেশন লোনের পোর্টালে লগ ইন করতে পারেন। 

    বিদ্যা লক্ষ্মী এডুকেশন লোনের মূল বৈশিষ্ট্য:

    ১) শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার ব্যাপারে উৎসাহিত করা। পোর্টাল ভিত্তিক বিদ্যালক্ষ্মী এডুকেশন লোনের সহায়তায় কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে ইচ্ছুক কিন্তু আর্থিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, এমন সমস্ত ছাত্রদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে চায়৷ ফলে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্চ শিক্ষা অর্জনে উৎসাহিত হবে ছেলেমেয়েরা।

    ২) ঋণ এবং বৃত্তির জন্য আবেদন করতে সক্ষম হওয়া। অ্যাকাডেমিক কোর্সের জন্য আর্থিক প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য ঋণ বা সরকারি স্পনসরড স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য পোর্টাল চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বৃত্তির জন্য আবেদন করা যাবে সহজে।

    ৩) নানা ধরনের কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। এই বিদ্যালক্ষ্মী এডুকেশন লোনের পোর্টালের সহায়তায় আগ্রহী প্রার্থীরা নানা ধরনের কোর্সের অধীনে শিক্ষা গ্রহণের জন্য আর্থিক সহায়তা পেতে সক্ষম হবে। প্রায় ৭০টি বিভিন্ন স্কিম এই প্রকল্পের আওতায় থাকবে।

    ৪) একটি মাত্র আবেদনপত্রেই হবে কাজ। আবেদনকারী প্রার্থীরা শুধু মাত্র একটি ফর্ম পূরণ করে নির্দিষ্ট ঋণ বা বৃত্তি বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। সাধারণ শিক্ষাগত ঋণের আবেদনপত্র বা সিইএলএএফ হল আবেদনপত্রের ধরন।

    ৫) প্রত্যেক শিক্ষার্থী সাধারণ আবেদনপত্রের সহায়তায় সর্বাধিক তিনটি ব্যাঙ্কে আবেদন করতে সক্ষম হবেন। ব্যাঙ্কের পছন্দ প্রার্থীর পছন্দের উপর নির্ভর করবে।

    ৬) আবেদনের হার্ড কপির প্রয়োজনীয়তা নেই। যখন আগ্রহী প্রার্থীরা বিদ্যা লক্ষ্মী এডুকেশন লোনের এই অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে কোনও ব্যাঙ্কে ঋণ সংক্রান্ত কোনও আবেদন করেন, তখন ব্যাঙ্কগুলিতে সেই আবেদনপত্রের হার্ড কপি জমা দেওয়ার দরকার নেই। ভবিষ্যতের রেফারেন্সের জন্য এটি বরং সহজ ভাবে ডাউনলোড করে কম্পিউটারে, ট্যাবে বা মোবাইলে রেখে দেওয়া যেতে পারে।

    ৭) ব্যাঙ্ক এবং ঋণ প্রকল্প সম্পর্কে বিশদ তথ্য ছাড়াও শিক্ষার্থীরা সরকারি বৃত্তি কর্মসূচি সম্পর্কেও নানা ধরনের তথ্য পাবেন। কারণ সরকারি বৃত্তি পোর্টালগুলি বিদ্যালক্ষ্মী এডুকেশন লোনের পোর্টালের সঙ্গে যুক্ত।

    ৮) আবেদনকারীর ফর্মের বর্তমান অবস্থা বা স্টেটাস সম্পর্কে আবেদনকারীদের অবহিত রাখা প্রতিটি ব্যাঙ্কের দায়িত্ব৷ এই বিশদ বিবরণ সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী শুধু মাত্র লগ ইন করার মাধ্যমে অর্জন করতে পারেন বা জানতে পারেন।

    ৯) উপরে উল্লিখিত এই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলি ছাড়াও, প্রার্থীরা যে কোনও রকমের সমস্যা এবং অভিযোগ জমা দেওয়ার জন্য এই পোর্টালেই রেজিস্টার করার সুযোগ পাবেন।

    ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত শিক্ষাঋণ

    প্রতি বছর সর্বোচ্চ এক লক্ষ শিক্ষার্থী এই প্রকল্পে ঋণ পাবেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, ‘‘আট লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক পারিবারিক আয়ের একজন পড়ুয়া ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত শিক্ষাঋণ পাবেন পিএম বিদ্যালক্ষ্মী প্রকল্পে (Vidyalaxmi Scheme)। সুদের হার হবে ৩ শতাংশ।’’ ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এই ঋণ মঞ্জুর হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে বার্ষিক সাড়ে চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের পরিবারের পড়ুয়ারা উচ্চশিক্ষায় কেন্দ্রীয় ঋণ পেতেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Usha Chilukuri Vance: দাদু ছিলেন আরএসএস কর্মী, মার্কিন ভাবী ভাইস প্রেসিডেন্টের স্ত্রীর ভারত-যোগ

    Usha Chilukuri Vance: দাদু ছিলেন আরএসএস কর্মী, মার্কিন ভাবী ভাইস প্রেসিডেন্টের স্ত্রীর ভারত-যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকানদের জয়জয়কার। ফের একবার প্রেসিডেন্ট পদে বসতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের আগে জেডি ভান্সকে তাঁর ‘রানিং মেট’ হিসেবে মনোনীত করেছিলেন ট্রাম্প। ফলে, এখন তিনি প্রেসিডেন্ট হলে, ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন ভান্স। জেডি ভান্সের স্ত্রী ঊষা চিলুকুড়ি ভান্স (Usha Chilukuri Vance) আবার একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ঊষার দাদু ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের কর্মী। ভারতে জরুরি অবস্থার সময় (১৯৭৫-১৯৭৭) তাঁকে কারাবরণ করতে হয়েছিল।

    ঊষার ভারত-যোগ

    ৩৮ বছর বসয়ি ঊষা চিলুকুড়ি ভান্স (Usha Chilukuri Vance) ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগোতে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানেই তাঁর বেড়ে ওঠা। তাঁর বাবা-মা ভারত থেকে আমেরিকায় গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছিলেন। ঊষা চিলুকুড়ি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতক ডিগ্রি করেছেন। তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর করেন। দীর্ঘদিন আইনি বিভাগে কাজ করেছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি জন রবার্টস এবং বিচারপতি ব্রেট কেভানার অধীনেও কাজ করেছেন৷ 

    ঊষার ৯৬ বছর বয়সি কাকিমা শান্তাম্মা চিলুকুরি, ভারতের প্রবীণতম অধ্যাপক হিসেবে পরিচিত, এখনও প্রতিদিন ৬০ কিলোমিটার যাত্রা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান পড়ান। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার স্বামী সুব্রহ্মণ্যর বড় দাদা ছিলেন রামশাস্ত্রী। ঊষা হল রামশাস্ত্রীর নাতনি। আমার স্বামী এমার্জেন্সির সময় ২ বছর কারাবাসও করেছিলেন।’’ তিনি আরও জানান, তাঁঁদের পরিবার বেদ ও উপনিষদ চর্চায় পারদর্শী। ঊষার দাদু এবং বাবা দুজনই আইআইটি-র সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

    ঊষার জীবনবৃত্তান্তও চমকপ্রদ 

    ঊষার (Usha Chilukuri Vance) নিজস্ব জীবনবৃত্তান্তও চমকপ্রদ। ভারতীয় অভিবাসীদের কন্যা ঊষা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে উঠেছেন। তিনি হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী। ২০১৪ সালে কেন্টাকিতে জেডির সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। এদিকে শুরুতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ঊষা রেজিস্টার্ড ডেমোক্র্যাট ছিলেন। পরে ২০২২ সালে তিনি রেজিস্টার্ড রিপাবলিকান হন। ঊষা জানান, জেডি ভান্সের সঙ্গে তাঁর দেখা হয় ইয়েল ল স্কুলে। প্রথম থেকেই জেডিকে খুব ‘ইন্টারেস্টিং’ লেগেছিল ঊষার। নিজের স্বামীকে ঊষা ‘ওয়ার্কিং ক্লাস’ বলে উল্লেখ করেন। সেই সঙ্গে তিনি জানান, জেডি ভান্স তাঁর জন্যই ভারতীয় খাবার রান্না করতে শিখেছিলেন। এমনকি ঊষার মাকেও ভারতীয় পদ রান্না করে খাওয়ান জেডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: হোয়াইট হাউসে ফিরছেন ট্রাম্প, “আমেরিকাকে আবার শ্রেষ্ঠ করব”, প্রতিশ্রুতি ভাবী-প্রেসিডেন্টের

    Donald Trump: হোয়াইট হাউসে ফিরছেন ট্রাম্প, “আমেরিকাকে আবার শ্রেষ্ঠ করব”, প্রতিশ্রুতি ভাবী-প্রেসিডেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার বছর আগে তিনিই ছিলেন মার্কিন প্রশাসনের দণ্ডমুন্ডের কর্তা। ছিলেন হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, ফের চার বছরের (US President Election 2024) জন্য হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। নিজের জয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর ফ্লোরিডার পাম বিচে প্রথম বিজয় ভাষণ দিলেন তিনি। তাঁর দলও ম্যাজিক ফিগার পার করেছেন বলে খবর।

    “আমেরিকাকে আবার শ্রেষ্ঠ করব” (Donald Trump)

    সমর্থকদের শোনালেন পুরানো সেই স্লোগান – “আমেরিকাকে আবার শ্রেষ্ঠ করব।” ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “সব সমস্যার সমাধান করব। আমরা আবার আমেরিকার সোনালি যুগ ফিরিয়ে আনব।” এদিন ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মেলানিয়াও। ছিলেন পরিবারের অন্য সদস্যরাও। ছিলেন আমেরিকার হবু ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেডি ভ্যান্সও। নিজের রাজনৈতিক সাফল্যের জন্য পরিবার বিশেষত স্ত্রী মেলানিয়াকে ধন্যবাদ জানান ট্রাম্প।

    অনুপ্রবেশ বন্ধের প্রতিশ্রুতি

    এদিন ট্রাম্পের বক্তৃতাজুড়ে ছিল নির্বাচনী প্রচারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের গল্প। আমেরিকায় অনুপ্রবেশ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। এদিন বিজয়-বক্তৃতায় আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা সীমান্ত বন্ধ করব। অনুপ্রবেশ বন্ধ করব।” আবেগতাড়িত কণ্ঠে তিনি (Donald Trump) বলেন, “আমি প্রতিটি দিন আপনার জন্য, আপনার পরিবারের জন্য এবং আপনার ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করব। আমার প্রতিটি নিঃশ্বাসের সঙ্গে আমি আপনাদের হয়ে লড়াই করব।” ট্রাম্প বলেন, “আমেরিকার স্বর্ণযুগের সূচনা হতে চলেছে। আমি আপনাদের নিরাশ করব না।” তিনি বলেন, “যতদিন না আমি নিরাপদ, সুরক্ষিত ও সমৃদ্ধশালী আমেরিকা তৈরি করতে পারি, ততদিন আমি বিশ্রাম নেব না। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত প্রতিদিন আমি আপনাদের অধিকার নিয়ে লড়ব।”

    আরও পড়ুন: আমেরিকায় লাল-বিপ্লব! ৪ বছর পর মার্কিন সেনেটও রিপাবলিকানদের দখলে

    ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমেরিকা আমায় অপরিসীম ক্ষমতা দিয়েছে। এটা আমেরিকানদের জয়। এই মতাদেশ দেশকে সাহায্য করবে। আমাদের দেশের সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা সীমান্তে সংস্কার করব। দেশে যা যা প্রয়োজন, সব কিছু ঠিক করব। আমরা অবিশ্বাস্য রাজনৈতিক সাফল্য অর্জন করেছি।” ট্রাম্প বলেন, “এমন বাধা-বিপত্তি পার করে এসেছি, যা কেউ কোনওদিন সম্ভব নয় বলেই ভেবেছিল। এটা সর্বকালের সেরা একটি রাজনৈতিক সাফল্য।” নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে প্রাণঘাতী হামলার প্রসঙ্গও (US President Election 2024) টানেন ট্রাম্প। বলেন, “ঈশ্বর এই কারণেই আমার প্রাণ রক্ষা করেছেন (Donald Trump)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Donald Trump: ‘‘আসুন জনগনের উন্নতির জন্য কাজ করি’’, ‘বন্ধু’ ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা মোদির

    Donald Trump: ‘‘আসুন জনগনের উন্নতির জন্য কাজ করি’’, ‘বন্ধু’ ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়জয়কার। হোয়াইট হাউজ দখলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে বিপুল ভোটে হারিয়ে ফের মার্কিন মসনদে বসতে চলেছেন ট্রাম্প (Donald Trump)। বুধবার সকালে এই খবর টিভির পর্দায় ভেসে উঠতেই রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে গোটা বিশ্ব। কারণ, ট্রাম্পের আগমনে বিশ্বের অনেক কিছু বিশেষত চিন-মার্কিন সম্পর্ক, ইরান ও ইউক্রেনের যুদ্ধের ওপর বড় প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞেরা। ইতিমধ্যেই  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার ‘বন্ধু’ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানালেন মোদি (Donald Trump)

    ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছে নয়াদিল্লি। কারণ ট্রাম্পের বিগত প্রেসিডেন্সিতে (২০১৬-২০২০) ভারতের সঙ্গে আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বিশেষ উচ্চতা লাভ করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গেও বিশেষ সখ্যতা গড়ে উঠেছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump)। সেই সূত্র ধরে ট্রাম্পের এই জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘ঐতিহাসিক নির্বাচনে বিজয়ের জন্য আমার বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আন্তরিক অভিনন্দন। ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে আমাদের সহযোগিতার পুনর্নবীকরণের জন্য উন্মুখ। আসুন একসঙ্গে আমাদের জনগণের উন্নতির জন্য এবং বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্য কাজ করি।’’

    আমেরিকাবাসীর উদ্দেশে কী বললেন ট্রাম্প?

    নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর প্রথমবার জনসমক্ষে এসেই ট্রাম্প (Donald Trump) প্রতিশ্রুতি দিলেন, ‘‘আমরা আমেরকিকে আবার মহান বানাব। আমাদের দেশ এমন আগে কখনও হয়নি। ধন্যবাদ আমাকে ৪৭তম এবং ৪৫তম রাষ্ট্রপতি বানানোর জন্যে। আমি প্রতিদিন লড়াই করব আপনাদের পরিবারের জন্যে’’। এদিকে এদিনের ভাষণে একইসঙ্গে অনুপ্রবেশ নিয়েও সুর চড়ালেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘অভিভাসীরা আমেরিকায় আসতে পারবেন। তবে তাদের বৈধ ভাবে আসতে হবে এখানে।’’ পাশাপাশি ট্রাম্প বলেন, ‘‘দেশের সব সমস্যার সমাধান করব আমি।’’ ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, ‘‘আমি ততদিন বিশ্রাম নেব না, যতদিন না আমেরিকা ফের ধনী হয়ে উঠছে। আমেরিকার সোনালি অধ্যায়ের সূচনা হল। এটা আমেরিকার মানুষদের জন্যে এক বিশাল জয়। আর ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেটগুলিকে আমি ভালোবাসি। আমরা মোট ৩১৫ ইলেক্টোরাল ভোটে পৌঁছে যাব। আমরা এবার পপুলার ভোটেও জিতেছি আমেরিকা আমাদের নজিরবিহীন এক জয় দিয়েছে। আমরা সেনেটে ক্ষমতা পুনর্দখল করেছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Republicans Win Senate: আমেরিকায় লাল-বিপ্লব! ৪ বছর পর মার্কিন সেনেটও রিপাবলিকানদের দখলে

    Republicans Win Senate: আমেরিকায় লাল-বিপ্লব! ৪ বছর পর মার্কিন সেনেটও রিপাবলিকানদের দখলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রং বদলাল মার্কিন সেনেটের (Republicans Win Senate)। হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানের হাতেই গেল মার্কিন (US) সেনেটের রাশ। ভারতের মতো মার্কিন মুলুকেও আইনসভার দুটি কক্ষ – উচ্চকক্ষ (ভারতে নাম রাজ্যসভা) ও নিম্নকক্ষ (ভারতে নাম লোকসভা)। মার্কিন কংগ্রেসের (সংসদ) নিম্নকক্ষের নাম হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং উচ্চকক্ষের নাম সেনেট। এই সেনেটের রং দীর্ঘদিন ছিল নীল (পড়ুন ডেমোক্র্যাটদের দখলে, যে পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস)। সেই সেনেটেই এবার জয়জয়কার ট্রাম্পের পার্টির। হাউস অফ রিপ্রেজেন্টিটিভসও যেতে চলেছে লাল পার্টির (পড়ুন ট্রাম্পের দলের) দখলে।

    সেনেটের রং লাল (Republicans Win Senate)

    মার্কিন সেনেটের আসন সংখ্যা ১০০। তার মধ্যে চার নির্দলের সমর্থন নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের দখলে ছিল ৫১টি আসন। ট্রাম্পের দলের হাতে ছিল ৪৯টি আসন। বুধবার, ৬ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় মার্কিন মুলুকে। এদিনই নির্বাচন হয় সেনেটের ৩৪টি আসনেও। তার পরেই স্পষ্ট হয়ে যায়, এবার সেনেট দাপিয়ে বেড়াবেন রিপাবলিকানরা। জানা গিয়েছে, সেনেটের ৫১টি আসনের রশি গিয়েছে রিপাবলিকানদের (ট্রাম্পের দলের)  হাতে। একবার (Republicans Win Senate) নির্বাচনে জিতে যিনি সেনেটর হবেন, তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ৬ বছর। প্রতি দু’বছর অন্তর নির্বাচন হয় এক তৃতীয়াংশ আসনে। সেই হিসেবেই এবার ভোট হয়েছিল ৩৪টি আসনে। তার পরেই স্পষ্ট হয়ে যায়, চার বছর পর রং বদলাচ্ছে সেনেটের।

    হাউসেও এগিয়ে ট্রাম্পের দল

    হাউস অফ রিপ্রেজেন্টিটিভসে রিপাবলিকানরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। প্রাথমিক গণনার ফল বলছে, এবারও সেখানে দাপিয়ে বেড়াবে তারা। হাউসের আসন সংখ্যা ৫৩৮। ম্যাজিক ফিগার ২৭০। বুধবার বিকেল পর্যন্ত (ভারতীয় সময়) ২৬৭টি আসনে জয়ী হয়েছে ট্রাম্পের দল। ডেমোক্র্যাট পার্টি জয় পেয়েছে ২২৪টি আসনে। ফলে, এটা স্পষ্ট, হোয়াইট হাউসেও ফিরতে চলেছে ট্রাম্প-যুগ।

    আরও পড়ুন: ময়নায় বিজেপি নেতা খুন, কোমরে দড়ি পরিয়ে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল এনআইএ

    মার্কিন দেশের প্রেসিডেন্ট পদে যেই জিতুন না কেন, নয়া কোনও আইন পাশ করাতে গেলে এই দুটি কক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন। তবে সেনেটের গুরুত্ব খানিকটা হলেও বেশি। এ দেশে সেনেটের দখল পাওয়ার (US) অর্থ কর নির্ধারণ থেকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ, সবেতেই ক্ষমতা কায়েম থাকবে ট্রাম্পের দলের (Republicans Win Senate)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Dengue: পুজো কাটতেই জেলায় জেলায় চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি-চিকুনগুনিয়া! উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মালদা-মুর্শিদাবাদ

    Dengue: পুজো কাটতেই জেলায় জেলায় চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি-চিকুনগুনিয়া! উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মালদা-মুর্শিদাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো মিটতেই রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গির প্রকোপ। ফলে বাড়ছে চিন্তা। জেলায় জেলায় উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি। গত বছরের তুলনায় এবার রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা কম হলেও, এমন কয়েকটি জায়গায় সংক্রমণ বেড়েছে, যেখানে আগে এই হারে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়েনি। সবথেকে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদে। তালিকার ৭ নম্বরে রয়েছে কলকাতা। তবে একা ডেঙ্গি নয়, দোসর হিসেবে উপস্থিত চিকুনগুনিয়াও। ভয় ধরানো খবর এল মালদা থেকে।

    কোন জেলায় কত আক্রান্ত? (Dengue)

    স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ৬৩। সবথেকে বেশি সংক্রমণ মুর্শিদাবাদে। আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৩২১। এরপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। অক্টোবর মাস পর্যন্ত এই জেলায় ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৬৩ জন। সংক্রমণের নিরিখে তিন নম্বরে মালদা। আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৯০৪। অক্টোবর পর্যন্ত তালিকায় সাত নম্বরে থাকা কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩১।

    আরও পড়ুন: ভোটে কারচুপি মার্কিন মুলুকে! ট্রাম্পের অভিযোগে শোরগোল আমেরিকায়

    কোন কোন এলাকায় মৃত্যু?

    গত বছরের তুলনায় এবার রাজ্যে আক্রান্তের (Dengue) সংখ্যা কম হলেও, এমন কয়েকটি জায়গায় সংক্রমণ বেড়েছে, যেখানে আগে এই হারে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়েনি। বিশেষজ্ঞদের কপালে ভাঁজ ফেলছে বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের পরিসংখ্যান। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত শনিবার রাজারহাট গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা ডেঙ্গি আক্রান্ত ৭০ বছরের এক মহিলার মৃত্যু হয়। গত ৭ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গি আক্রান্ত ১১ বছরের এক বালকের মৃত্যু হয় বাগুইআটিতে।

    কোন কোন ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে, উপসর্গ কী?

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন জ্বর যেগুলি হচ্ছে, প্রথমে ডেঙ্গি (Dengue) আছে কিনা, দেখে নিতে হবে। অন্যান্য বছরের তুলনায় কম হলেও, হচ্ছে কিছুটা। সতর্কবার্তা এটাই, জ্বর হলে কিন্তু রক্ত পরীক্ষা করে অবশ্যই দেখতে হবে। ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়া রুটিন পরীক্ষা অনুযায়ী করতে হবে। হলে তখন কী করা উচিত? বিশেষজ্ঞরা জানান, এই সময়ে শিরার মধ্যে থেকে জল বাইরে চলে আসে। তাই প্রচুর পরিমাণে জল এবং ওআরএস খেতে হবে।

    ডেঙ্গির দোসর চিকুনগুনিয়া!

    ডেঙ্গির (Dengue) পাশাপাশি এবার দোসর হল চিকুনগুনিয়া। মশাবাহিত এই অসুখের থাবা এবার মালদায়। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, হবিবপুর ব্লকের শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের কলাইবাড়ি গ্রামে ২৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে এই মুহূর্তে ডেঙ্গি আক্রান্তের নিরিখেও ৩ নম্বরে রয়েছে মালদা জেলা। আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ হাজার ৯০৪ জন। মশাবাহিত এই রোগের পরিসংখ্যান উদ্বেগ বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের। মাসখানেক ধরেই কলাইবাড়ি অজানা জ্বরের আতঙ্ক দেখা দিয়েছিল। হাতে-পায়ে অসহ্য ব্যথা হচ্ছিল জ্বরে আক্রান্তদের। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের রিপোর্টের ভিত্তিতে তড়িঘড়ি রক্তের নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। রিপোর্ট আসার পর কলাইবাড়ি গ্রামে খোলা হয়েছে স্বাস্থ্য শিবির। চিকুনগুনিয়ার (Chikungunya) সংক্রমণ রুখতে শুরু হয়েছে মশা-নিধনের কাজ।

    কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত?

    মূলত মশা থেকে এই রোগ ছড়ায়। তাই মশা নিধনের জন্য কীটনাশক প্রয়োগ করা উচিত। এছাড়াও জমা জল কোথাও যেন না থাকে সে বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে। এই সময় উচিত হাত-পা ঢাকা দেওয়া জামা পরা। রাতে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা উচিত।  আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে। স্বাস্থ্য দফতর থেকে গ্রামবাসীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রায় তিন মাস ধরে অজানা জ্বর নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে মালদার কলাইবাড়ি গ্রামে। জ্বরের সঙ্গে অসহ্য হাতে পায়ে ব্যাথা অনুভব করছেন এখানকার চিকুনগুনিয়া আক্রান্তরা। প্রথমদিকে, এই রোগ নির্ণয় করা যায়নি বলেই জানা গিয়েছে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের রিপোর্টের পর জ্বরে আক্রান্ত ৫০ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাতেই জানা যায় সাধারণ জ্বর নয়, এই গ্রামে বহু মানুষ চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bandhavgarh Elephant Deaths: বিষপ্রয়োগের তত্ত্ব খারিজ! বাজরার ছত্রাক থেকেই ১০ হাতির মৃত্যু বান্ধবগড়ে

    Bandhavgarh Elephant Deaths: বিষপ্রয়োগের তত্ত্ব খারিজ! বাজরার ছত্রাক থেকেই ১০ হাতির মৃত্যু বান্ধবগড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিষ প্রয়োগ নয়, বাজরার ছত্রাকের বিষক্রিয়ায় সম্প্রতি প্রাণ গিয়েছে বান্ধবগড়ের ১০টি হাতির (Bandhavgarh Elephant Deaths)। এমনই উঠে এসেছে বরেলির ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিপোর্টে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মৃত হাতিগুলিকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিষ খাওয়ানো হয়নি। ছত্রাক সংক্রামিত কোদো বাজরা খেয়েই ওই হাতিগুলির মৃত্যু হয়েছে। ময়ানাতদন্তে হাতিগুলির পেটে মাত্রাতিরিক্ত বাজরা মিলেছে।

    বাজরায় জন্ম নেওয়া ছত্রাক থেকেই বিষক্রিয়া

    সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড় (Bandhavgarh Elephant Deaths) জাতীয় উদ্যানে একের পর এক হাতির মৃত্যুতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই সেখানে ১০টি হাতির মৃত্যু হয়। হাতি মৃত্যুর কারণ প্রসঙ্গে অনেকে বলছিলেন, বিষ খাইয়ে মারা হয়েছে ওই হাতিদের। সাসপেন্ড করা হয়েছিল বন দফতরের দুই আধিকারিককেও। সেই আবহেই এ বার টক্সিকোলজি রিপোর্ট জানিয়ে দিল, ‘ইচ্ছাকৃত’ বিষপ্রয়োগে নয়, বরং কোদো বাজরায় জন্ম নেওয়া ছত্রাক থেকেই বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে হাতিগুলির। বরেলির ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিষাক্ত সাইক্লোপিয়াজোনিক অ্যাসিড, যা কোদো বাজরার বীজে থাকা অন্যতম প্রধান মাইক্রোটক্সিনগুলির মধ্যে একটি, তা মৃত হাতিদের পেটে মেলে। সেই থেকেই বিষক্রিয়া ছড়ায়।

    আরও পড়ুন: ফের নিম্নচাপ সাগরে! মেঘলা আকাশ, হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা, এখনই কমছে না তাপমাত্রা

    হাতি মৃত্যু নিয়ে তদন্ত

    ইতিমধ্যেই এই ঘটনার (Bandhavgarh Elephant Deaths) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের বনমন্ত্রী রামনিবাস রাওয়াত। দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একসঙ্গে ১০টি হাতির মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দলও গঠন করে মধ্যপ্রদেশ সরকার। সেই মতো দিল্লি থেকে বিশেষজ্ঞ দল বান্ধবগড়ে পৌঁছয়। ১৪ জন পশুচিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় ময়নাতদন্ত। প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে হাতিগুলির। মৃত হাতিগুলির সকলেরই পেটে প্রচুর পরিমাণে বাজরা পাওয়া গিয়েছিল। গত ২৯ অক্টোবর বিকেলে বান্ধবগড় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের কোর খিটৌলি এলাকায় জঙ্গলে চারটি হাতির নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন বন দফতরের কর্মীরা। আশপাশের জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে আরও পাঁচটি হাতিকে অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাদেরও মৃত্যু হয়। শুক্রবার মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় আরও একটি হাতিকে। বন দফতর সূত্রে খবর, দলে মোট ১৩টি হাতি ছিল। তার মধ্যে তিনটি হাতি চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই তিনটি হাতি আপাতত সুস্থ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share