Tag: Madhyom

Madhyom

  • Pakistan: পাকিস্তানের এই শহরটি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত! দিল্লির থেকে ৬ গুণ খারাপ! নাম জানেন?

    Pakistan: পাকিস্তানের এই শহরটি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত! দিল্লির থেকে ৬ গুণ খারাপ! নাম জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতি-তীব্র বায়ু দূষণের কারণে পাকিস্তান সরকার স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। একই ভাবে সকল সরকারি-বেসরকারি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার আদেশ জারি করার মতো জরুরি ঘোষণা করেছে। রবিবার পাকিস্তানের (Pakistan) লাহোরে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) দাঁড়িয়েছে ১৯০০। উল্লেখ্য এটি সর্বকালের সর্বোচ্চ মাত্রা। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর হিসেবে তকমা পেয়েছে লাহোর (Most Polluted City)।

    ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে ১৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়ছে বায়ু দূষণ (Pakistan)

    ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষের শহর লাহোরের বায়ু দূষণের মাত্রা (AQI) পরিমাপ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’ (WHO)। জানা গিয়েছে, কমপক্ষে ছয়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দূষণের পিএম ২.৫ কণা। দূষণের এই সূক্ষ্ম কণাগুলি স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। তার মাত্রা দাঁড়িয়েছে ৬১০। ‘হু’ নির্ধারিত বাতাসে পিএম ২.৫ কণার স্বাভাবিক পরিমাণ ৪০। লাহোরে (Most Polluted City) এখন গত ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে ১৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়ছে। ফলে বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের।

    নাগরিকদের বাড়ির ভিতরে থাকতে নির্দেশিকা

    লাহোরের (Pakistan) বায়ু দূষণকে উপেক্ষা করতে সর্তকতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। পাঞ্জাবের মন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব বলেন, “সকল নাগরিকদের অনুরোধ করব বাড়ির ভিতরে থাকতে। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন এবং প্রয়োজন না হলে বাড়ি থেকে বের হবেন না। বায়ু দূষণের জন্য হাসপাতালগুলিতে স্মগ কাউন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সরকার রিকশা নামে পরিচিত তিন চাকার গাড়ির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে। সেইসঙ্গে দূষণের মাত্রা কমাতে নির্দিষ্ট এলাকায় নির্মাণকাজও বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ ভারতীয় পর্যটকদের জন্য সুখবর! অনির্দিষ্টকালের জন্য ভিসা ফ্রি হয়ে গেল তাইল্যান্ডে

    কাউকে দোষারোপ করছি না

    এদিকে, দূষণের জন্য ভারতে থেকে আসা বাতাসকে নিশানা করেছে পাকিস্তান (Pakistan)। উল্লেখ্য,  দেশের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচিব রাজা জাহাঙ্গির আনোয়ার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে আমাদের জলবায়ুর বিষয়কে মাথায় রেখে কূটনৈতিক ভাবে সম্পর্ক স্থাপন প্রয়োজন। ভারত থেকে বয়ে আসা বাতাসের কারণে লাহোরে আমরা এককভাবে ভুগছি। আমরা কাউকে দোষারোপ করছি না, তবে এটি একটি নিছক স্বাভাবিক ঘটনা।”

    উত্তর ভারতের মতো, পাকিস্তানেও শীতকালে দূষণ বৃদ্ধি পায়, যার ফলে বাসিন্দাদের (Most Polluted City) মধ্যে শ্বাসকষ্ট, কাশি এবং চোখ জ্বালা সহ স্বাস্থ্যগত জটিলতা দেখা দেয়। শীতকালে ধোঁয়াশা (স্মগ) বিশেষভাবে বৃদ্ধি পায়। এই সময় স্থলভাগের শহরগুলিতে যানবাহন, কলকারখানা এবং নিম্নমানের জ্বালানি ব্যবহারের কারণে ধূলিকণা ও দূষিত কালো ধোঁয়া ঘন কুয়াশার সঙ্গে মিলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি করে।

    লাহোর বাসিন্দাদের আয়ু গড় ৭.৫ বছর কমিয়ে দিয়েছে

    সোমবার বিকেলে দিল্লিতে একিউআই-এর (AQI) পরিমাণ ছিল ২৭৬। ১৫১-২০০ পর্যন্ত একিউআই (AQI) অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়। যখন ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে একিউআই (AQI) রেটিং হয়, তখন বেশি ক্ষতিকারক নয়। আর যদি ৩০০-এর বেশি একিউআই হয় তাহলে অত্যন্ত বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছায়। ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগোর এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত দূষণের মাত্রা লাহোর (Pakistan) বাসিন্দাদের আয়ু গড় ৭.৫ বছর করে কমিয়ে দিয়েছে। ইউনিসেফের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ৬০ কোটি শিশু ব্যাপক মাত্রার বায়ু দূষণের সংস্পর্শে আসছে এবং শৈশবে নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর অর্ধেক বায়ু দূষণের সাথে জড়িত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “কংগ্রেস ও জোটসঙ্গীরা ঝাড়খণ্ডকে গরিব করে রেখেছে”, তোপ মোদির

    PM Modi: “কংগ্রেস ও জোটসঙ্গীরা ঝাড়খণ্ডকে গরিব করে রেখেছে”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস ও তার জোটসঙ্গীরা উপজাতির মানুষদের দীর্ঘদিন ধরে গরিব করে রেখেছে। বিজেপি ঝাড়খণ্ডকে দারিদ্রমুক্ত করতে দায়বদ্ধ।” সোমবার ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী (Jharkand Assembly Polls) প্রচারে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    কংগ্রেস-জেএমএমকে নিশানা মোদির (PM Modi)

    প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনকে যথাযথ মর্যাদা না দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী আক্রমণ শানান রাজ্যের শাসক দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাকে। ঝাড়খণ্ডের নিজস্ব সত্ত্বা রক্ষায় যে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি বিপদস্বরূপ, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “আশির দশকে যখন বিহার ও দিল্লিতে কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল, সেই সময় ঝাড়খণ্ড বিহারের অংশ ছিল। তখন গয়া গোলি কাণ্ড ঘটেছিল – যেভাবে ব্রিটিশরা এখানে বর্বরতা করেছিল, কংগ্রেসও তেমনটাই করেছিল আদিবাসীদের রক্ত দিয়ে… আরজেডি নেতারা তখন বলতেন যে ঝাড়খণ্ড তাঁদের লাশের ওপর গড়ে উঠবে… আরজেডি ঝাড়খণ্ড গঠনের সমর্থকদের দমন করতে চেয়েছিল। আজ সেই আরজেডির কোলে কে বসে আছে? আজ ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা আরজেডির কোলে বসে আছে।”

    ক্ষমতায় আসবে বিজেপি, প্রত্যয়ী মোদি

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “এই অঞ্চলের মানুষ রাজ্যে বিজেপিকে আবার ক্ষমতায় আনতে আগ্রহী। কোলহান আবারও জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডির অত্যাচারী সরকারকে উচ্ছেদ করতে প্রস্তুত। সবাই বলছে যে কোলহান ইতিহাস তৈরি করতে চলেছে… আমি নিশ্চিত, বিজেপি-এনডিএ আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে বেশি আসন নিয়ে সরকার গঠন করবে।” তিনি বলেন, “তারা (জেএমএম) কোলহানের গর্বিত সন্তান, চম্পাই সোরেনকে অসম্মান করেছে। যেভাবে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে অসম্মান করা হয়েছে, গোটা দেশ তা দেখেছে। এটা পুরো কোলহানের প্রতি অসম্মান।”

    আরও পড়ুন: নয়াদিল্লির চাপে পড়েই কি ‘বিদ্রোহী’ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করল কানাডা?

    এদিনের সভায় কংগ্রেসকেও নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “আমাদের বোন সীতা সোরেনের সঙ্গে তারা যা করেছে – আমরা সবাই তা দেখেছি। কংগ্রেসের এক নেতা সীতা সোরেন সম্পর্কে যে কথা বলেছেন – আমরা সবাই তা দেখেছি। এটি সমস্ত আদিবাসী মা-বোনদের প্রতি অসম্মান। মহারাষ্ট্রেও একজন বোন যিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাঁর জন্য কেমন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে? কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। এটাই হল জেএমএম-এর আসল চেহারা।” বিজেপি ক্ষমতায় এলে যে ঝাড়খণ্ডকে দারিদ্রমুক্ত করা হবে, এদিন সেই প্রতিশ্রুতিও দেন প্রধানমন্ত্রী।

    এদিকে, ১০ নভেম্বর ফের ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী (Jharkand Assembly Polls) প্রচারে যাবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বিজেপির তরফে ঝাড়খণ্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এ খবর জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramayana-in-China: চিনের সাহিত্য ও লৌকিক কাহিনিতেও রামভক্ত হনুমানের কথা! কীভাবে জানেন?

    Ramayana-in-China: চিনের সাহিত্য ও লৌকিক কাহিনিতেও রামভক্ত হনুমানের কথা! কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনেও রামায়ণের পদচিহ্ন (Footprints)। পণ্ডিতেরা বৌদ্ধ গ্রন্থে এর স্পষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করেছেন। ধর্মীয় প্রভাবের ওপর অনেক দিন ধরে চিনা পণ্ডিতেরা গবেষণার কাজ করছিলেন। ওই দেশের ইতিহাস, শিল্প, লোককাহিনি এবং সাহিত্যে ভারতীয় সংস্কৃতির একটা প্রভাব যে পড়েছে, তা আরও একবার প্রমাণিত হল। চিনের (Ramayana-in-China) বহু শতাব্দীর পুরাতন বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থে রামায়ণের নানা প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। অনেক চিনা পণ্ডিত বলেছেন, চেকার্ড ইতিহাসে ভারতীয় হিন্দু ধর্মের প্রভাব সামনে এসেছে। বিশেষ করে দশরথ এবং হনুমানের প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়েছে চিনের সাহিত্যে। আসুন এখন চৈনিক গবেষকদের বক্তব্য শুনে নেওয়া যাক।

    ‘রামায়ণ-এ টাইমলেস গাইড’-শীর্ষক আলোচনাচক্র (Ramayana-in-China)

    শনিবার চিনের (Ramayana-in-China) ভারতীয় দূতাবাসে আয়োজিত ‘রামায়ণ-এ টাইমলেস গাইড’-শীর্ষক আলোচনাচক্র আয়োজিত হয়েছিল। কীভাবে চিনে ভারতীয় ধর্মের প্রভাব পড়েছিল, এই অনুষ্ঠানে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। রামায়ণ কীভাবে একটি পথ অনুসরণ করে চিন দেশে পৌঁছে প্রভাব বিস্তার করেছে, সেই কথাই এদিন শিল্প এবং সাহিত্যের আঙ্গিকে বিস্তৃত আলোচনা হয়। ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড এরিয়া স্টাডিজের ডিন প্রফেসর ডক্টর জিয়াং জিংকুই বলেন, ধর্ম এবং ধর্মনিরপেক্ষ দেশের মধ্যে একটি মহাকাব্যের আন্তঃসংযোগ হয়েছে। ধর্মীয় এই মিশ্রণের ফলে ভারতীয় রামায়ণের (Footprints) প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে পড়েছে চিনে। চিনও একই ভাবে রামায়ণের মতো মহাকাব্য দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। তা কেবলমাত্র বৃহৎ চিনা সংস্কৃতির মধ্যে প্রভাব ফেলেনি, একইভাবে জিজাং বা তিব্বতেও প্রভাব ফেলেছে। মহাকাব্য এবং সাধারণ পাঠ্য সাহিত্যের মধ্যে এর প্রভাব পড়েছে ব্যাপকভাবে। আবার চিনের প্রাচীন হান সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে রামায়ণের প্রত্যক্ষ প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। একই ভাবে বৌদ্ধ ধর্মের নানা গ্রন্থের মধ্যে রামায়ণের প্রভাব পড়েছে।”

    সাহিত্য এবং লোককাহিনিতে হনুমানের প্রভাব

    ডক্টর জিয়াং আরও বলেন, চিনের হান সংস্কৃতির উপর রামায়ণ (Ramayana-in-China) কখনই সম্পূর্ণ আগ্রাসী হয়নি। সবটাই সমন্বয় এবং সংমিশ্রণ হয়েছে।তবে এই মহাকাব্যের কিছু কিছু প্রভাব হীনযান বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থের মধ্যে পড়েছে। এই চিনা গ্রন্থের মধ্যে দশরথ এবং হনুমানের মতো প্রধান চরিত্রগুলি বৌদ্ধ চরিত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। হনুমান একজন বানর রাজা কিন্তু বৌদ্ধ অষ্টাঙ্গিকমার্গ মেনে চলেন। ফলে রামায়ণের ক্ল্যাসিক্যাল চরিত্রে বৌদ্ধ শীল বা আচার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সান উকং নামক মানব চরিত্র হলেন বানর রাজা। এই চরিত্র চিনের জনপ্রিয় সাহিত্য এবং লোককাহিনির মধ্যে ব্যাপক ভাবে প্রভাব ফেলেছে।”

    সান উকংয়ের চরিত্র হনুমান থেকেই এসেছে

    আবার চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সোশ্যাল সায়েন্সেসের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিসের প্রো লিউ জিয়ান বলেন, চিনা পণ্ডিতরা একমত যে চিনের বৌদ্ধ সাহিত্যের প্রধান চরিত্র সান উকুং-এর মধ্যে রামায়ণের হনুমানকে সন্ধান করা যেতে পারে। তবে আবার কেউ কেউ এই চরিত্রকে চিনের ‘দেশীয় চরিত্র’ বলে উল্লেখ করেছেন। তবে চিনা পণ্ডিতেরা একমত যে সান উকংয়ের চরিত্র হনুমান (Ramayana-in-China) থেকেই এসেছে। ফলে সান উকং শুধু ‘চিনের স্বদেশী নিজস্ব’ (Footprints) ভাবনায় পুষ্ট নয়, তা ভারতের মহাকাব্য রামায়ণ দ্বারা অবশ্যই প্রভাবিত। রামায়ণ কেবলমাত্র একটি মহাকাব্য নয়, আদর্শ ব্যক্তিত্ব এবং আদর্শ সামজের গভীর প্রকাশও বটে।”

    বিভিন্ন হিন্দু দেবতার ছবি প্রদর্শন হয়

    সিচুয়ান ইউনিভার্সিটি চয়না সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের প্রধান গবেষক প্রফেসর কিউ ইয়াংহুয়াই তাঁর আলোচনায় কোয়ানঝো জাদুঘরে বিভিন্ন হিন্দু দেবতার ছবি প্রদর্শন করেছিলেন। এই যাদুঘর চিনের ফুজিয়ান প্রদেশে রয়েছে। সেই সঙ্গে একজন হিন্দু পুরোহিতের দ্বারা পরিচালিত একটি বৌদ্ধ মন্দিরের ছবিও দেখান। সাংস্কৃতিক প্রবাহ কতটা গভীর, তা বোঝানোর চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, “বৌদ্ধ ধর্মের মাধ্যমেই ভারতীয় ধর্ম-চেতনা-দর্শন চিনে বিস্তার লাভ করেছে। বহুমুখী ভারতীয় সংস্কৃতি, চিনের বৌদ্ধ এবং অ-বৌদ্ধ এমন ধর্মে প্রভাব বিস্তার করেছে। রামায়ণের (Ramayana-in-China) পদচিহ্ন খুব স্পষ্টভাবে পড়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ নয়াদিল্লির চাপে পড়েই কি ‘বিদ্রোহী’ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করল কানাডা?

    ১৯৮০ সালে সংস্কৃত থেকে প্রথম চিনা ভাষায় রামায়ণ অনুবাদ হয়

    উল্লেখ্য ডক্টর জিয়াং নিজের আলোচনায় সপ্তম শতকের বিখ্যাত চিনা পণ্ডিত জুয়ানজাং ভারতে কীভাবে পরিভ্রমণ করেছিলেন, সেই সূত্রও উল্লেখ করেছেন। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পর্যটক অধ্যয়ন করেছিলেন। ভারতীয় শিক্ষা-আধাত্মকে আত্মস্থ করেছিলেন। ১৯৮০ সালে জি জিয়ানলিন সংস্কৃত থেকে প্রথম চিনা ভাষায় রামায়ণ (Ramayana-in-China) অনুবাদ করেন। প্রায় ২৪০০০ শ্লোকের অনুবাদ করেছিলেন। একইভাবে এদিনের অনুষ্ঠানে চিনে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রতীপকুমার রাওয়াত বলেন, “রামায়ণ মানব সভ্যতার প্রাচীনতম কাব্য।” একইভাবে তাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতেরাও তাঁদের দেশে রামায়ণের প্রভাব (Footprints) সম্পর্কে দৃষ্টান্ত দিয়ে উল্লেখ করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhath Puja 2024: ছটপুজোর তাৎপর্য কী জানেন? কতদিন ধরে চলবে এই উৎসব?

    Chhath Puja 2024: ছটপুজোর তাৎপর্য কী জানেন? কতদিন ধরে চলবে এই উৎসব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলি উৎসব শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এবার জোরকদমে ছটপুজোর (Chhath Puja 2024) প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এই উৎসব মূলত উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বিদেশের মাটিতেও উদযাপিত হয়। উৎসবটি (Festival) সূর্য দেবতা (সূর্য) এবং ছঠি মাইয়া (মা ষষ্ঠী), যাকে সূর্যের বোন বলে বিশ্বাস করা হয়, তাদেরকে উৎসর্গ করা হয়। পবিত্র উৎসবটি চার দিন ব্যাপী উদযাপিত হয়। পৃথিবীতে জীবন টিকিয়ে রাখার জন্য সূর্য দেবতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য কঠোর আচার এবং উপবাস পালন করা হয়। এবছর ৫ নভেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে শুরু ৮ নভেম্বর (শুক্রবার) পর্যন্ত উৎসবটি পালিত হবে।

    কীভাবে ছট পালিত হয়? (Chhath Puja 2024)

    উৎসবটি (Chhath Puja 2024) শুরু হয় ‘নাহে খায়ে’ (স্নান এবং ভোজ) দিয়ে, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা একটি ধর্মীয় স্নান করে এবং একটি সাধারণ খাবার গ্রহণ করে। পরের দিন, ভক্তরা ‘খরনা’ পালন করেন, যার মধ্যে সারা দিন উপবাস থাকে, সূর্যাস্তের পর দেবতাদের উদ্দেশে নৈবেদ্য হিসেবে দেওয়া হয়। ছট পালনকারী ব্যক্তি পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুবান্ধব একসঙ্গে কলা পাতায় একই খাবার খেতে জড়ো হওয়ার আগে রোটি (চাপাটি) এবং খির (পায়েশ) খাবার গ্রহণ করেন। তৃতীয় দিনে ভক্তরা, সাধারণত মহিলারা, জলাশয়ে, তা নদী হোক বা পুকুর, সূর্যোদয়ের আগে জড়ো হন। কোমর-গভীর জলে দাঁড়িয়ে, তাঁরা উদীয়মান সূর্যকে অর্ঘ্য (জল নিবেদন) দেয়, স্তোত্র ও প্রার্থনা করেন। ছট পুজোর এই অনন্য দিকটি পবিত্রতা, আত্ম-শৃঙ্খলা এবং জীবনের ধারাবাহিকতার প্রতীক। অস্তগামী (ঊষা) সূর্য আরেক দফা অর্ঘ্যের সাক্ষী, এইবার দিনটিকে বিদায় জানাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় ‘দুর্নীতি’, ইডি তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে বঙ্গ বিজেপি

    ছট কখন উদযাপিত হবে?

    নাহে খায়ে: ৫ নভেম্বর (Chhath Puja 2024) সকাল ৬:৩৬ থেকে বিকেল ৫:৩৩ পর্যন্ত। খরনা: ৬ নভেম্বর সকাল ৬:৩৭ থেকে বিকেল ৫:৩২ পর্যন্ত। সন্ধ্যা অর্ঘ্য: ৭ নভেম্বর সকাল ৬:৩৮ থেকে বিকেল ৫:৩২ পর্যন্ত। উষা অর্ঘ্য: ৮ নভেম্বর সকাল ৬:৩৮ থেকে বিকেল ৫:৩১ পর্যন্ত।

    ছট কেন অনন্য?

    বিহারীদের কাছে এই উৎসবের (Chhath Puja 2024) একটি বিশেষ অর্থ রয়েছে, যারা একে মহাপর্ব (মহোৎসব) বলে মনে করেন। দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা লক্ষ লক্ষ বিহারীরা এই উৎসব উদযাপন করতে নিজেদের জন্মভূমিতে ফিরে আসেন। যেটি ছটকে একটি অনন্য উৎসব করে তোলে তা হল যে কোনও ব্যক্তি উৎসবটি পালন করতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Andhra Pradesh: লক্ষ্য সনাতনী ধর্মরক্ষা! ‘নরসিংহ ভারাহি গণম’ নামের সংগঠন চালু অন্ধ্রের উপমুখ্যমন্ত্রীর

    Andhra Pradesh: লক্ষ্য সনাতনী ধর্মরক্ষা! ‘নরসিংহ ভারাহি গণম’ নামের সংগঠন চালু অন্ধ্রের উপমুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্মের রক্ষা ও প্রচারের উদ্দেশে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) উপমুখ্যমন্ত্রী তথা জনসেনা পার্টির সভাপতি পবন কল্যাণ নতুন একটি সংগঠন তৈরি করলেন। দলেরই মধ্যে এই সংগঠন তৈরি করেছেন তিনি। নাম ‘নরসিংহ ভারাহি গণম’। এইভাবেই সনাতন ধর্মের মূল্যবোধ ও বিভিন্ন তত্ত্বকথা সাধারণ মানুষের কাছে সহজেই পৌঁছানো যাবে বলে মনে করছেন তিনি। একই সঙ্গে এই সংগঠন, সনাতন ধর্ম রক্ষার্থেও কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    কী বললেন পবণ কল্যাণ (Andhra Pradesh)? 

    গত সপ্তাহে শুক্রবার একটি সভাতে (Andhra Pradesh) পবন কল্যাণ ব্যাখ্যা করেন নরসিংহ ভারাহি গণমের কাজ ঠিক কী হতে চলেছে। তিনি সেখানেই বলেছিলেন, ‘‘মন্দির উন্নয়ন থেকে সনাতন ধর্মকে রক্ষা, সব কাজই করবে এই সংগঠন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি সমস্ত ধর্মকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আমার ধর্মকে বহুক্ষেত্রেই অশ্রদ্ধা এবং হুমকির সম্মুখীন হতে  হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সনাতন ধর্মের ওপর যখনই আঘাত আসে তখন কাউকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় না। এই সমালোচকরাও এখন সিলেক্টিভ প্রতিবাদ করেন।’’

    হিন্দুদের জেগে ওঠার সময় এসেছে 

    একই সঙ্গে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধেও সরব হন অন্ধপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী (Andhra Pradesh) এবং তিনি (Pawan Kalyan) বলেন, ‘‘হিন্দুদের জেগে ওঠার সময় এসেছে এবং তাদের কর্তব্য হল যখনই, যে কোনও রকমের আঘাতকে প্রতিহত করা। যথাযথ মূলক ব্যবস্থা নেওয়া তাদের বিরুদ্ধে যারা সনাতন ধর্মকে ছোট করছে।’’ একইসঙ্গে সমাজ মাধ্যমে হিন্দুধর্ম বিরোধী যে কোনও পোস্টের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী (Pawan Kalyan)। তিনি আরও বলেন, ‘‘একটি ভয়মুক্ত পরিবেশেই হিন্দুরা যেন তাঁদের ধর্মের আচার-অনুষ্ঠান করতে পারেন, সে ব্যবস্থাও আমাদের তৈরি করতে হবে।’’ অন্ধ্রপ্রদেশের সমগ্র প্রশাসনের কাছে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন যে মন্দির রক্ষায় এবং ভক্তদের রক্ষায় বিশেষত মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে যেন তারা কাজ করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Canada Relation: নয়াদিল্লির চাপে পড়েই কি ‘বিদ্রোহী’ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করল কানাডা?

    India Canada Relation: নয়াদিল্লির চাপে পড়েই কি ‘বিদ্রোহী’ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করল কানাডা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় (Canada) হিন্দু মন্দিরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন খালিস্তানপন্থীরা। বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন এক পুলিশ কর্মীও। খালিস্তানপন্থীদের হলুদ পতাকা হাতে বিক্ষোভ-আন্দোলনে দেখা গিয়েছে তাঁকে (India Canada Relation)। হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় কানাডা প্রশাসনের তীব্র নিন্দা করেছে ভারত।

    পুলিশ কর্মী সাসপেন্ড (India Canada Relation)

    প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টির অন্দরেও বিষয়টি নিয়ে জোরদার চর্চা হয়েছে। ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়ে ওই পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে কানাডা প্রশাসন। সাসপেন্ডেড পুলিশ কর্মীর নাম হরিন্দর সোহি। কানাডার পিল অঞ্চলে সার্জেন্ট পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। সোহিকে সাসপেন্ড করার কথা জানিয়েছেন পিল অঞ্চলের পুলিশের মুখপাত্র রিচার্ড চিন।

    মন্দিরে হামলায় ছিলেন ওই পুলিশ কর্মীও!

    রবিবার ব্রাম্পটনে হিন্দু সভা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন কয়েকজন পুণ্যার্থী। ওই সময় মন্দিরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কয়েকজন খালিস্তানপন্থী। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল খালিস্তানপন্থী সংগঠনের ঝান্ডা, লাঠি। অভিযোগ, ভক্তরা মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করতেই তাঁদের ওপর হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। মারধর করা হয় পুণ্যার্থীদের। এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। তাতে দেখা গিয়েছে সোহিকে। খালিস্তানপন্থী পতাকা হাতে (India Canada Relation) তিনিও ছিলেন বিক্ষোভকারীদের মধ্যে।

    আরও পড়ুন: কানাডায় হিন্দু মন্দিরে ‘ইচ্ছাকৃত’ হামলার তীব্র নিন্দা করলেন প্রধানমন্ত্রী, ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান

    ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায়। হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় নয়াদিল্লি। এর পরেই চাপে পড়ে যায় ট্রুডো সরকার। কানাডা পুলিশের মুখপাত্র রিচার্ড জানান, ভিডিওটি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। বিক্ষোভের সময় তিনি কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন না। কানাডার সম্প্রদায় সুরক্ষা ও পুলিশ আইন অনুসারে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ওই দিন ওই মন্দিরে ঠিক কী ঘটেছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর পর থেকে বিক্ষোভ যাতে শান্তিপূর্ণ থাকে, তা নিশ্চিত করতে আরও বেশি সংখ্যক পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে পিল রিজিওনাল পুলিশ।

    ব্রাম্পটনের মেয়র প্যাট্রিক ব্রাউন বলেন, “প্রার্থনাস্থলের সামনে যাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ হয়, তা নিয়ে সিটি কাউন্সিলে শীঘ্রই প্রস্তাব পেশ করা হবে। শহরের সলিসিটরদের বিষয়টি পর্যালোচনা করতেও বলা হয়েছে।” আগামী সিটি কাউন্সিলের বৈঠকে (Canada) এ সংক্রান্ত আইনি ধারার বৈধতা নিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি (India Canada Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Nutrition for kids: শিশু কি পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছে? সন্তানের বুদ্ধির বিকাশ হবে কোন পাঁচ খাবারে?

    Nutrition for kids: শিশু কি পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছে? সন্তানের বুদ্ধির বিকাশ হবে কোন পাঁচ খাবারে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সুস্থ থাকতে জরুরি সঠিক খাদ্যাভ্যাস। পুষ্টি ঠিকমতো না হলে শিশুর বিকাশ সম্ভব নয়। আর স্বাস্থ্যকর খাবার আর পুষ্টি ঠিকমতো না পেলে শিশুর একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষত বুদ্ধির বিকাশে মারাত্মক প্রভাব পড়ে! কারণ, শিশু কী খাবার খাচ্ছে, তার উপরে অনেকটাই তার মস্তিষ্কের বিকাশ নির্ভর করে। তাই ঠিকমতো পুষ্টিগুণ (Nutrition for kids) না পেলে শিশুর বুদ্ধির বিকাশ হয় না। যার প্রভাব সরাসরি তার পড়াশোনার উপরেই পড়ে। তাই পরীক্ষায় ভালো ফলের জন্য, সন্তানের বুদ্ধির বিকাশের জন্য পুষ্টির দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের মতে, ৩ থেকে ৫ বছর বয়সি শিশুদের খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।‌ কারণ, এটা শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের আদর্শ সময়। এই সময়ে তাই তার খাবারেও‌ বিশেষ‌ নজরদারি প্রয়োজন। কিন্তু প্রশ্ন হল, কোন পাঁচ খাবারে বুদ্ধির বিকাশের পথ সহজ হবে? এবার সেই বিষয়েই আলোচনা করা যাক।

    জলখাবারে থাকুক বাদাম (Nutrition for kids)

    বছর তিনেক বয়স থেকেই জলখাবারে বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার নিয়মিত দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঠবাদাম, কাজু কিংবা পেস্তা যে কোনও ধরনের বাদাম জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি থাকে। এই উপাদান শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই জলখাবারে নিয়মিত যে কোনও এক ধরনের বাদাম খাওয়া জরুরি। এর ফলে শিশুর বিভিন্ন বিষয় মনে রাখতে সুবিধা হয়।

    দিনে অন্তত এক ধরনের বেরি জাতীয় ফল 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিনের যে কোনও সময় শিশুদের অন্তত এক ধরনের বেরি জাতীয় ফল (Nutrition for kids) দিতে হবে। স্ট্রবেরি, ব্লু বেরি বা যে কোনও বেরি জাতীয় ফল নিয়মিত খেলে মস্তিষ্কের বিকাশে বাড়তি সাহায্য হয়। কারণ, যে কোনও বেরি জাতীয় ফলে ভিটামিন সি পর্যাপ্ত থাকে।‌ এর পাশপাশি থাকে ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস। এই উপাদানগুলি মস্তিষ্কের গঠনে বিশেষ সাহায্য করে। আবার স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।

    দুপুরের মেনুতে থাকুক মাছ এবং ডিম (Nutrition for kids)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুর বিকাশের জন্য মাছ এবং ডিম, এই দুই খাবারের পুষ্টিগুণ অত‌্যন্ত জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের বিভিন্ন পেশি মজবুত করতে, রক্তে আয়রনের অভাব মেটাতে এবং শরীরে ভিটামিন‌-ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে মাছ এবং ডিম সাহায্য করে। তেমনি, মস্তিষ্কের বিকাশেও মাছ এবং ডিম-এই দুই খাবার‌ বিশেষভাবে সাহায্য করে। তাই শিশুকে নিয়মিত দুপুরে মাছ অথবা ডিম দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাছ এবং ডিম এই দুই খাবারেই থাকে ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপাদান মস্তিষ্কের বিকাশে‌ বিশেষত স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত এই দুই খাবার শিশুকে দিলে তার বিশেষ উপকার হবে।

    রাতের খাবারে থাকুক ‘রামধনু’ সব্জি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সব্জি খাওয়ায় (Nutrition for kids) শিশুদের অভ্যস্ত করা জরুরি।‌ টমেটো, কুমড়ো, পটল কিংবা পালং শাক, বিভিন্ন রঙের সব্জি, সবুজ সব্জি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে।‌ কিন্তু অধিকাংশ শিশুই এখন নিয়মিত সবুজ সব্জি খায় না।‌ এর জেরে নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মস্তিষ্কের বিকাশে এই সবুজ সব্জি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিট, মূলা, পটল কিংবা গাজর-এই বিভিন্ন রঙের সব্জিতে থাকে বিটা ক্যারোটিন। এই উপাদান মস্তিষ্কের বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে। তাই একসঙ্গে বিভিন্ন রঙের সব্জি খাওয়ার অভ্যাস করা জরুরি। একেই ‘রামধনু’ সব্জি বলছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সব সব্জি (Nutritious food) খেলে একদিকে শরীরের বিকাশ ঠিকমতো হবে, আবার মস্তিষ্কও সক্রিয় থাকবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বাংলার ফুটবল ইতিহাসে বেনজির ঘটনা! কেন্দ্রীয়মন্ত্রীকে নালিশ জানালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বাংলার ফুটবল ইতিহাসে বেনজির ঘটনা! কেন্দ্রীয়মন্ত্রীকে নালিশ জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার ফুটবল ময়দানে ঢুকে গেল রাজনীতি। বিধানসভা উপনির্বাচনে নৈহাটির তৃণমূল প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন ময়দানের তিন প্রধান ক্লাবের কর্তারা। যা বাংলার ময়দানি ফুটবলে বেনজির ঘটনা। এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। এই ঘটনায় সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তদন্ত এবং হস্তক্ষেপ চেয়ে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যকে চিঠি দিয়েছেন তিনি।

    ঠিক কী লিখেছেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রীকে পাঠানো চিঠি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘একটি বেনজির এবং অনৈতিক পদক্ষেপে, মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান স্পোর্টিংয়ের মতো ফুটবল এবং স্পোর্টিং ক্লাবের কিছু শীর্ষ কর্মকর্তা নৈহাটির আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে-কে সমর্থন করেছেন। আরও আশ্চর্যের বিষয় হল, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ফুটবলের গভর্নিং বডির সেক্রেটারি; আইএফএ (ভারতীয় ফুটবল সংস্থা); অনির্বাণ দত্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বার্তাও প্রকাশ করেছেন যা নির্বাচনের আগে সনৎ দে-এর পক্ষে সমর্থন হিসেবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে স্পোর্টিং ক্লাব এবং গভর্নিং বডিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের দ্বারা এই ধরনের নির্লজ্জ রাজনৈতিক সমর্থন প্রার্থীর সঙ্গে ক্লাব এবং গভর্নিং বডির নাম যুক্ত করার একটি অন্যায্য কৌশল, যা সম্পূর্ণরূপে খেলাধূলোর মতো নয় এবং আচরণবিধির লঙ্ঘনও। আমি মাননীয় কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখেছি, মনসুখ মাণ্ডব্যজিকে অনুরোধ করছি দয়া করে বিষয়টি বিবেচনা করুন, একটি তদন্ত শুরু করুন এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’

    বাংলার ফুটবল ইতিহাসে বেনজির ঘটনা!

    সম্প্রতি, আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে একজোট হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। তাঁদের সমর্থকরাও কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হয়েছিলেন। এবার তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে কর্তাদের একজোটে ভিডিও বার্তা, বাংলার ফুটবল ইতিহাসে বেনজির ঘটনা। এমনকী তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে-র প্রচারে রাজ্য ফুটবল নিয়ামক সংস্থা আইএফএ কর্তাও। প্রসঙ্গত,পশ্চিমবঙ্গের ছয়টি বিধানসভা আসন – নৈহাটি, মেদিনীপুর, তালডাংরা, সিতাই, মাদারিহাটসহ ৬ কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে ১৩ নভেম্বর। আর ২৩ নভেম্বর ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় ‘দুর্নীতি’, ইডি তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে বঙ্গ বিজেপি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: কানাডায় হিন্দু মন্দিরে ‘ইচ্ছাকৃত’ হামলার তীব্র নিন্দা করলেন প্রধানমন্ত্রী, ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান

    PM Modi: কানাডায় হিন্দু মন্দিরে ‘ইচ্ছাকৃত’ হামলার তীব্র নিন্দা করলেন প্রধানমন্ত্রী, ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার (Canada) ব্রাম্পটনে হিন্দু মন্দিরে খালিস্তানপন্থীদের হামলার তীব্র নিন্দা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ওই ঘটনার নিন্দা করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকও। এই ধরনের হামলা থেকে মন্দির ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থানগুলি রক্ষা করার জন্য জাস্টিন ট্রুডোর সরকারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    ঘটনার নিন্দা করে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “কানাডায় হিন্দু মন্দিরে ইচ্ছাকৃত এই হামলার তীব্র নিন্দা করছি। আমাদের কূটনীতিকদেরও কাপুরুষের মতো ভয় দেখানোর চেষ্টা হয়েছে। এই ধরনের হিংসা ভারতের সঙ্কল্পকে দুর্বল করতে পারবে না।” এই ঘটনার বিরুদ্ধে কানাডা সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    সমালোচনা বিদেশ মন্ত্রকেরও

    বিবৃতি জারি করা হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “গতকাল (রবিবার) অন্টারিওর ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে চরমপন্থী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার নিন্দা করছি (PM Modi)।” তিনি বলেন, “আমরা আশা করি, যারা হিংসায় জড়িত ছিল, তাদের বিচার করা হবে। আমরা কানাডায় ভারতীয় নাগরিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।” কানাডার মাটিতে এই ধরনের হামলা থেকে মন্দির ও অন্য ধর্মীয় স্থানগুলিকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: “এই জোট অনুপ্রবেশকারীদের জোট”, ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী সভায় তোপ মোদির

    বিদেশ মন্ত্রকের আগে ওট্টোয়ায় অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনের তরফেও ব্রাম্পটনের ওই হিন্দু মন্দিরে এই হামলার নিন্দা করা হয়েছে। হাই কমিশন বলেছে, স্থানীয় সহ-সংগঠকদের পূর্ণ সহযোগিতায় আমাদের কনস্যুলেটগুলির নিয়মিত কাজে এই ধরনের ব্যাঘাত ঘটানো অত্যন্ত হতাশাজনক। আমরা ভারতীয় নাগরিক-সহ সকল আবেদনকারীদের নিরাপত্তা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। তাঁদের দাবিতেই এই ধরনের অনুষ্ঠান করা হয়। ভারত বিরোধী উপাদানগুলির এই প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, আমাদের কনস্যুলেট ভারতীয় ও কানাডিয়ান আবেদনকারীদের হাজারটিরও বেশি লাইফ সার্টিফিকেট দিয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি মাসেই ভ্যাঙ্কুভার ও সারেতে একই ধরনের শিবিরেরে আয়োজন করা হয়েছিল। সেই (PM Modi) শিবিরগুলিতেও ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করেছিল (Canada) খালিস্তানপন্থীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Muslim Women: সংসদের কমিটির বৈঠকে ওয়াকফ বোর্ডের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুসলিম মহিলারা

    Muslim Women: সংসদের কমিটির বৈঠকে ওয়াকফ বোর্ডের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুসলিম মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল সোমবার ওয়াকফ (Waqf Board) সংশোধনী আইনের আরও একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটির এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিজেপির সাংসদ জগদম্বিকা পাল। প্রকৃতপক্ষে এটাই ছিল প্রথমবার, যখন জয়েন্ট পার্লামেন্টের এই কমিটির বৈঠকে মুসলিম মহিলারাও (Muslim Women) হাজির ছিলেন। আজ ৫ নভেম্বর আরও একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যাচ্ছে। জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটির এই বৈঠকে অখিল ভারতীয় অধিবক্তা পরিষদকেও নামের একটি সংগঠনকেও ডাকা হয়েছে। হাজির থাকবেন সংগঠনের নেতা শ্রী হরিবোরিকর। আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মহম্মদ হানিফ আহমেদ, ইমরান চৌধুরীদেরও হাজির থাকার কথা রয়েছে আজকের বৈঠকে। গতকাল সোমবার যে সমস্ত প্রতিনিধিদের ডাকা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে এই বৈঠকে হাজির ছিলেন মুসলিম বুদ্ধিজীবী মহলের অন্যতম মুখ শালিনি আলি। ওয়াকফ আইন সংশোধনের বিষয়ে তিনি নিজের মতামত রাখেন এবং প্রস্তাবও দেন বলে সূত্রের খবর।

    মুসলিম মহিলারা (Muslim Women) প্রশ্ন তুলেছেন ওয়াকফ বোর্ডের কার্যকারিতা নিয়ে 

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বৈঠকে মুসলিম মহিলারা প্রশ্ন তুলেছেন ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Board) কার্যকারিতা নিয়ে। তাঁরা এমন অভিযোগও করেছেন যে ওয়াকফ বোর্ড সামাজিক কল্যাণে কোনও অংশগ্রহণ করে না। কোনও ভূমিকাই নেই এই বোর্ডের। মুসলিম মহিলারা (Muslim Women) জানিয়েছেন, এই বোর্ডকে শুধুমাত্র কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি পরিচালনা করেন। যাঁরা পরিচালনা করেন তাঁদের মধ্যে কখনও মহিলা প্রতিনিধি অথবা সমাজের ভূমিস্তরের প্রতিনিধিদেরও দেখা যায় না। মুসলিম মহিলাদের দাবি, ওয়াকফ বোর্ড পরিষ্কার করে জানাক যে সমাজের কল্যাণে তাদের ঠিক কী কী ভূমিকা রয়েছে।

    কী বললেন শিয়া ধর্মগুরু?

    সোমবারের বৈঠকে শিয়া মুসলিম (Muslim Women) ধর্মগুরুরাও হাজির ছিলেন, নেতৃত্বে ছিলেন মওলানা মুস্তফা। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা আমাদের বিষয় রেখেছি, জয়েন্ট পার্লামেন্টের কমিটির কাছে।’’ সূত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, ওই ধর্মগুরু প্রস্তাবিত বিলকে সমর্থন করেছেন কিন্তু তাঁর মতভেদ রয়েছে জেলাশাসকদের সার্ভে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করার বিষয়ে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share