Tag: Madhyom

Madhyom

  • Jharkhand Assembly Election 2024: “এই জোট অনুপ্রবেশকারীদের জোট”, ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী সভায় তোপ মোদির

    Jharkhand Assembly Election 2024: “এই জোট অনুপ্রবেশকারীদের জোট”, ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী সভায় তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের অধিবাসীদের নিরাপত্তা, নারীর সুরক্ষা এবং জমি বাঁচানোর জন্য সেখানে বিজেপি সরকার গঠনের আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে (Jharkhand Assembly Election 2024) এসে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতৃত্বাধীন জোটকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী। জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডিকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই জোট অনুপ্রবেশকারীদের জোট।” একইসঙ্গে এই তিন দলের জোটকে ‘মাফিয়াদের গোলাম’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। সোমবার গাড়োয়া জেলায় নির্বাচনী প্রচারে এসে দুর্নীতি ইস্যুতেও বিরোধীদের আক্রমণ করেন মোদি। 

    তোষণের রাজনীতি

    আদিবাসী সমাজের জন্য ঝাড়খণ্ডে অনুপ্রবেশ বন্ধ হওয়া উচিত বলে মনে করেন মোদি। তিনি বলেন, ‘‘তোষণের রাজনীতিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং আরজেডি। এই তিনটি দলই অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন করে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোট পাওয়ার জন্য এদের গোটা ঝাড়খণ্ডে বসবাসের জায়গা করে দিচ্ছে এই তিনটি দল।’’ এর পরেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘পরিস্থিতি এখানে এমন হয়ে গিয়েছে যে সরস্বতী বন্দনার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে বিপদ কতটা গুরুতর। যখন উৎসবে পাথর ছোড়া হয়, দুর্গামাকেও আটকে দেওয়া হয়, যখন কার্ফু জারি করা হয়, তখন জানা যায়, যে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ। মেয়েদের সঙ্গে বিয়ের নাম করে যখন প্রতারণা হচ্ছে, তখন বুঝতে হবে জল কোথায় পৌঁছেছে। এটা চলতে থাকলে, এই রাজ্যে আদিবাসী সম্প্রদায় ক্রমশ হারিয়ে যাবে।’’ 

    বিজেপির গ্যারান্টি

    প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand Assembly Election 2024) মোট ৮১টি আসনে দুই দফায় ভোটগ্রহণ হবে। ১৩ নভেম্বর প্রথম দফা। ও দ্বিতীয় দফা ২০ নভেম্বর। এর মধ্যেই রয়েছে ছট পুজো। ঝাড়খণ্ডবাসীকে ছট পুজোর শুভেচ্ছাও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি ঝাড়খণ্ডের আসন্ন নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনের আর্জি জানান। বিজেপিই রাজ্যের সমৃদ্ধি করতে পারবে বলে ‘গ্যারান্টি’ দেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্কল্প পত্রের প্রশংসা করে মোদি জানান, বিজেপি একমাত্র দল যারা ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। তাই রাজ্যে নারী নিরাপত্তা রক্ষার্থে, নিজের জমি নিজের রাখতে বিজেপি তথা এনডিএ-র সরকার গঠনের কথা বলেন। 
      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: “আসলদের বাঁচানোর জন্য আমাকে ফাঁসিয়েছে”, বিস্ফোরক ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়

    RG Kar Case: “আসলদের বাঁচানোর জন্য আমাকে ফাঁসিয়েছে”, বিস্ফোরক ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আসলদের বাঁচানোর জন্য আমাকে ফাঁসিয়েছে।” আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় প্রিজন ভ্যান থেকে চিৎকার করে এই কথা বলেছেন। সোমবার শিয়ালদা আদালতে তাঁকে তোলা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে এদিন চার্জ গঠন করা হয়েছে। মমতা সরকারের বিরুদ্ধে ধৃতের এদিন বক্তব্য ছিল স্পষ্ট। আরজি করের চেস্ট ডিপার্টমেন্ট নিয়ে তিনি আরও যে দাবি করেছেন, তা যদি সত্যি হয়, তাহলে তো রাজ্য সরকারের মুখ পুড়তে বাধ্য। কারণ, এটা স্পষ্ট যে এর মধ্যে প্রশাসনের একাংশ জড়িত। এদিন কড়া নিরাপত্তায় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে শিয়ালদা আদালতে নিয়ে আসা হয় সঞ্জয়কে। অন্যদিকে, বিজেপি এদিন এই ইস্যুতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে।

    ঠিক কী বললেন সিভিক (RG Kar Case)?

    আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার বলেন, “আমি কিন্তু পুরোপুরি নির্দোষ। আসলদের বাঁচানোর জন্য আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমি এত দিন চুপচাপ ছিলাম। আমি কিন্তু রেপ (ধর্ষণ) অ্যান্ড (এবং) মার্ডার (খুন) করিনি। আমার কথা শুনছে না। সরকারই আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমায় সব জায়গায় ভয় দেখাচ্ছে যে, তুমি কিছু বলবে না। আমার ডিপার্টমেন্টও আমায় ভয় দেখিয়েছে। আমি কিন্তু নির্দোষ।” রাজ্যের প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্যে প্রশাসনের একাংশ এখন কাঠগড়ায়। যদিও মামলায় প্রথম থেকেই পুলিশ এবং ডাক্তার সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে ছিল।

    বিচারকের সামনেও বলেন নির্দোষ 

    উল্লেখ্য সোমবার দুপুর ২ টো নাগাদ ধর্ষণ ও খুনের মামলায় অভিযুক্ত সিভিকের (RG Kar Case) বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ঘটনার ৮৭ দিন এবং সিবিআইয়ের চার্জশিট পেশের ২৮ দিনের মাথায় মামলায় চার্জ গঠন হয়। এর পর শুরু হবে মামলায় বিচার প্রক্রিয়া। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিচারকের সমানেও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন অভিযুক্ত ধৃত সিভিক।

    চার্জশিটে সিবিআই জানিয়েছিল, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারই (RG Kar Case) মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় জড়িত। তার একাধিক প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। সংগৃহীত বয়ান, ভিডিয়ো এবং ফরেন্সিক বা সায়েন্টিফিক রিপোর্টের ভিত্তিতে ধৃতের বিরুদ্ধে মোট ১১টি ‘প্রমাণ’-এর উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। পাশাপাশি চার্জশিটে ছিল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের নামও। সেই সঙ্গে বলা হয় গোটা ঘটনার নেপথ্যে কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    ধৃত সঞ্জয় রায়ের (RG Kar Case) বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটা প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ষণ-খুন। তিলোত্তমা এমন কিছু জেনে ফেলেছিল, তাকে শিক্ষা দিতে চেয়েছিল মমতা ঘনিষ্ঠ ডাক্তাররা। সঞ্জয় যা বলেছে, সেটা বঙ্গবাসীও মনে করে। ওপরতলার চাপে প্রমাণ লোপাট করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশের নিচুতলা। এর জন্য দায়ী স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী। আমরা মমতার পদত্যাগ চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assembly Bypolls 2024: কেরল, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশের ১৪ বিধানসভায় উপনির্বাচনের দিন বদল করল কমিশন

    Assembly Bypolls 2024: কেরল, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশের ১৪ বিধানসভায় উপনির্বাচনের দিন বদল করল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরল, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশের ১৪টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের (Assembly Bypolls 2024) দিন বদলে দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বিবিধ উৎসব থাকায় ১৩ নভেম্বরের বদলে ২০ নভেম্বর করা হবে উপনির্বাচন। সোমবার (৪ নভেম্বর), কয়েকটি আসনে উপনির্বাচনের দিন বদল করে কমিশন জানিয়েছে যে, বেশ কয়েকটি জাতীয় এবং রাজ্য স্তরের দলের পক্ষ থেকে ১৩ তারিখ ভোট না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। 

    কেন দিন বদল

    তিন রাজ্যের বিধানসভা আসনগুলিতে উপনির্বাচনের (Assembly Bypolls 2024) সময় বেশ কিছু উৎসব রয়েছে। নির্বাচন কমিশন (Election Commission) সূত্রে জানা গিয়েছে, কলপথি রসথোলসভম (১৩-১৫ নভেম্বর), কার্তিক পূর্ণিমা (১৫ নভেম্বর), গুরু নানকের প্রকাশ পর্ব (১৫ নভেম্বর)-এর জন্য রাজনৈতিক দলগুলি ভোটের দিন বদলের আর্জি জানিয়েছিল। তাদের আশঙ্কা, ওই সময়ে উৎসবে মেতে থাকবেন সাধারণ মানুষ। তাই ভোটদানের হার কমতে পারে। সেই যুক্তি মেনে ভোটগ্রহণের দিনক্ষণ পরিবর্তন করা হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: প্রস্তুত লাদাখে দেশের সর্বোচ্চ এয়ারফিল্ড, চিনকে টেক্কা দিতে তৈরি বায়ুসেনা

    কোথায় কোথায় বদল

    ১৩ এবং ২০ নভেম্বর ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Bypolls 2024) পাশাপাশি ১৫টি রাজ্যের দু’টি লোকসভা আসন এবং ৪৮টি বিধানসভা আসনে হচ্ছে উপনির্বাচন। কেরলের ওয়েনাড় লোকসভা আসনেও উপনির্বাচন রয়েছে। সেখানে আগের মতো ১৩ নভেম্বর হচ্ছে ভোটগ্রহণ। উত্তরপ্রদেশের ন’টি, পঞ্জাবের চারটি এবং কেরলের একটি বিধানসভা আসনে ১৩ তারিখের বদলে  ভোটগ্রহণ হবে ২০ নভেম্বর। উত্তরপ্রদেশের মীরাপুর, কুন্ডার্কি, গাজিয়াবাদ, খৈর, করহাল, সিশামৌ, ফুলপুর, কাটেহারি, মাঝাওয়ান, পঞ্জাবের ডেরা বাবা নানক, ছাব্বেওয়াল, গিদ্দেরবাহা, বর্নালা, কেরলের পলাক্কড়ে ২০ তারিখ হবে উপনির্বাচন। নির্বাচন কমিশন (Election Commission) আগেই জানিয়েছিল, এই ৪২টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে ২৩ নভেম্বর। এই দিন অপরিবর্তিতই থাকছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India’s Highest Airfield: প্রস্তুত লাদাখে দেশের সর্বোচ্চ এয়ারফিল্ড, চিনকে টেক্কা দিতে তৈরি বায়ুসেনা

    India’s Highest Airfield: প্রস্তুত লাদাখে দেশের সর্বোচ্চ এয়ারফিল্ড, চিনকে টেক্কা দিতে তৈরি বায়ুসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC)-র কাছে নতুন বায়ুসেনা ঘাঁটি তৈরি করেছে নয়াদিল্লি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, পূর্ব লাদাখের (Ladakh) মুধ-নিয়োমাতে নবনির্মিত বিমানঘাঁটির যাবতীয় কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হবে দেশের সর্বোচ্চ ‘এয়ারফিল্ড’-এর (India’s Highest Airfield)। তারই অপেক্ষায় রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা।

    বিমানঘাঁটির কৌশলগত গুরুত্ব

    পূর্ব লাদাখের ওই এয়ারফিল্ডটির উচ্চতা মাটি থেকে আনুমানিক ১৩ হাজার ৭০০ ফুট। এর পোশাকি নাম ‘অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড’ (এএলজি)। যুদ্ধের সময়ে এর কৌশলগত অবস্থান বাহিনীকে বাড়তি সুবিধা দেবে। পাশাপাশি, লাদাখের মতো পাহাড়ি এলাকায় সংঘর্ষ বাধলে দ্রুত ফৌজকে রণাঙ্গনে নিয়ে যাওয়া বা সৈনিকদের জন্য হাতিয়ার ও জরুরি রসদের জোগান ঠিক রাখতেও এই ঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দুর্গম এলাকাগুলিতে নজরদারি চালানো খুবই চ্যালেঞ্জিং। স্থলসেনার সেখানে পৌঁছতে কালঘাম ছুটে যায়। এত দিন পর্যন্ত ওই এলাকায় কোনও বায়ু সেনাঘাঁটি না থাকায় সে ভাবে নজর রাখতে পারছিল না বায়ুসেনা। এবার স্থলবাহিনীর পাশাপাশি চিন সীমান্তের উপর কড়া নজরদারি করতে পারবে তারাও।

    তিন কিলোমিটার লম্বা রানওয়ে

    এলএসি লাগোয়া ওই ঘাঁটিতে নিয়মিত ওঠানামা করবে সুখোই, রাফাল বা তেজসের মতো যুদ্ধবিমান। নিয়োমার নবনির্মিত বায়ুসেনা ঘাঁটিতে রয়েছে তিন কিলোমিটার লম্বা রানওয়ে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যাবতীয় অপারেশন চালিয়ে যাওয়ার কথা মাথায় রেখে ওই রানওয়ে তৈরি করা হয়েছে। সেতু ও পাহাড়ি সুড়ঙ্গের মাধ্যমে লাদাখের একাধিক এলাকার সঙ্গে মুধ-নিয়োমাকে সংযুক্ত করা হয়েছে, যা সীমান্তে মোতায়েন ফৌজকে গোলা-বারুদ এবং অন্যান্য রসদ সরবরাহে সাহায্য করবে। এগুলির কৌশলগত গুরুত্বও নবনির্মিত এয়ারফিল্ডের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।

    প্রশংসা প্রাক্তন সেনাকর্তাদের

    ২০২১ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে এই ঘাঁটি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্র। এর জন্য আনুমানিক ২১৪ কোটি টাকা খরচ করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। উল্লেখ্য, সাড়ে ১৩ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায় বায়ুসেনার ঘাঁটি নির্মাণ মোটেই সহজ কাজ ছিল না। এটি তৈরিতে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতাই ছিল সবচেয়ে বেশি। সেই প্রতিকূলতা সয়ে সময়ের মধ্যে কাজ হওয়ায় সরকারের সদিচ্ছার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রাক্তন সেনাকর্তারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মুহূর্তে পাশার দান উল্টে দিতে সক্ষম হবে এই এয়ারফিল্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভে পরিষেবা প্রদানকারীদের জন্য বিশেষ পোশাক চালু যোগী প্রশাসনের

    Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভে পরিষেবা প্রদানকারীদের জন্য বিশেষ পোশাক চালু যোগী প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ ২০২৫ (Mahakumbh 2025) উপলক্ষে উত্তর প্রদেশের যোগী সরকার, ভক্তদের সহায়তা করার জন্য গাড়ি চালক, নৌ-চালক, গাইড এবং কার্ট অপারেটারদের জন্য বিশেষ ট্র্যাকস্যুট (Special Dress) চালু করেছে। এই বিশেষ পোশাক কুম্ভমেলায় পরিষেবা প্রদানকারীদের আলাদা করে চিনতে দর্শক বা ভক্তদের জন্য সহায়ক হবে। মহাকুম্ভের মেলাকে আরও উপভোগ্য, নিরাপদ, সুন্দর এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে যোগী সরকার সংকল্পবদ্ধ বলে জানিয়েছে।

    রং দেখে পরিষেবা নিতে পারবেন (Mahakumbh 2025)

    মহাকুম্ভের মেলাকে সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানকারীদের মূলত চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। যথা-গাড়ি চালক বা ড্রাইভার, বোটম্যান বা নৌ চালক, গাইড বা পথনির্দেশক এবং কার্ট অপারেটার। জানা গিয়েছে প্রতিটি শ্রেণির জন্য ভিন্ন ভিন্ন পোশাক (Special Dress) থাকবে। দর্শনার্থী বা ভক্তরা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী পোশাকের রং দেখে পরিষেবা নিতে পারবেন।

    বিভ্রান্তি দূরীকরণে সহযোগী হবে পোশাক

    এই পোশাকগুলিতে মহাকুম্ভ মেলা (Mahakumbh 2025) এবং পর্যটন বিভাগের লোগো লাগানো থাকবে। মেলার যে কোনও সহযোগিতা এবং তথ্য পেতে স্বেচ্ছাসেবকরা সহযোগিতা করবে। অত্যধিক ভিড়ে এই পোশাক দর্শনার্থীদের যে কোনও রকম বিভ্রান্তি দূরীকরণে সহযোগী হবে। প্রশাসনও জানিয়েছে মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা যে কোনও উপায়ে পৌঁছে দেওয়াই একমাত্র কাজ। প্রত্যেক কুম্ভতেই (Mahakumbh 2025) লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। তাই উপযুক্ত সুবিধা, স্বচ্ছতা পেতে এই ভাবনা বেশ কার্যকরী হবে বলে মনে করছে উত্তর প্রদেশ প্রশাসন। স্থানীয় আঞ্চলিক পর্যটন বিভাগের প্রধান অপরাজিতা সিং এই তথ্য দিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুনঃ মুম্বই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন, ভাপি ও সুরাটের মধ্যে ন’টি নদী সেতুর কাজ সম্পূর্ণ

    ১৩ জানুয়ারি মহাকুম্ভ শুরু

    মেলার (Mahakumbh 2025) নগরে প্রবেশ পথে বিরাট পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। অতিরিক্ত কুম্ভমেলা অফিসার বিবেক চতুর্বেদী নিরাপত্তার দিকটি তদারকি করবেন। মোট চারটি স্তরের অফিসার, ছয় পরিদর্শক, নয়জন সাব-ইন্সপেক্টর এবং ৪০ জন পুলিশ কর্মী ট্র্যাফিকের কাজ এবং নিরাপত্তার বিষয়ে নজরে রাখবেন। মহাকুম্ভ মেলা পৌষ পূর্ণিমা স্নানের মাধ্যমে শুরু হবে ১৩ জানুয়ারি (২০২৫) এবং ২৬ ফেব্রুয়ারিতে (২০২৫) মহাশিব রাত্রিতে স্নানের মাধ্যমে শেষ হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sohrai Utsav: আদিবাসীদের সোহরাই উৎসব, দেবতাজ্ঞানে পুজো করা হয় গবাদিপশুদের

    Sohrai Utsav: আদিবাসীদের সোহরাই উৎসব, দেবতাজ্ঞানে পুজো করা হয় গবাদিপশুদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলি উৎসব শেষ হওয়ার পরেই আদিবাসীরা সোহরাই (Sohrai) উৎসবে মেতে ওঠেন। কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষে পালিত হয় এই উৎসব। চলতি বছরে, সোহরাই উৎসব শুরু হয়েছে গত ১ নভেম্বর থেকে। ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশা, ছত্তিশগড় ও পশ্চিমবঙ্গে বেশ জাঁকজমকভাবেই এই উৎসব পালন হতে দেখা যায়। প্রসঙ্গত, সোহরাই হল ছয় দিনের উৎসব। কোথাও কোথাও ৩ থেকে ৫ দিনের উৎসবও হয় এটি। দীপাবলির পরে দেশজুড়ে যে গোবর্ধন পুজো হয়, সেই উৎসবের সঙ্গে অনেক মিল দেখা যায় সোহরাইয়ের (Sohrai)। সাঁওতাল বা আদিবাসীদের অন্যতম বড় উৎসব হল এই সোহরাই। সোহরাই মূলত পশু পালনের উৎসব। রীতি অনুযায়ী, গ্রামবাসীরা এই উৎসবে গরু ও ষাঁড়ের পুজো করে থাকেন।

    সোহরাই (Sohrai) উৎসবের কাহিনী 

    আদিবাসীদের বিশ্বাস, প্রাচীনকালে অয়নী, বায়ানি, সুগি, সাওয়ালি, কড়ি ও কপিল- এই সমস্ত নামে দৈবক্ষমতাসম্পন্ন গবাদিপশু ছিল। এই গবাদিপশুরা স্বর্গ লোকে থাকত ভগবান শিবের কাছে। আদিবাসী ভক্তদের বিশ্বাস, তাঁদের দেবতা মারাংবুরু ভগবান শিবের চেয়ে কম শক্তিশালী ছিলেন না। মূলত শিশুদের দুধের প্রয়োজন মেটাতে মারাংবুরুর অনুরোধেই এই গবাদিপশুরা মর্ত্যলোকে এসেছিল। মারাংবুরু, দৈবক্ষমতাসম্পন্ন এই গবাদিপশুগুলিকে বলেছিলেন, পৃথিবীর মানুষ যুগ যুগ ধরে তাদের উপাসনা করবেন। সোহরাই একটি ফসল কাটারও উৎসবও বটে। সাঁওতাল, ওরাওঁ, মুন্ডা প্রভৃতি উপজাতি এই উৎসবের (Cattle Festival) মাধ্যমে তাঁদের গবাদি পশুর সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করেন। প্রসঙ্গত, আদিবাসীদের কাছে নিজেদের পরিবারের ভরণ পোষণ এবং জীবিকার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল গবাদিপশু। তাই সোহরাইয়ের (Sohrai) মাধ্যমে সেই গবাদি পশুগুলিকে পুজো করার রীতি দেখা যায়।

    গবাদি পশুদের আবাসস্থল গোয়ালঘর কার্যত মন্দিরে পরিণত হয়

    উৎসবের (Sohrai) মাধ্যমে গ্রামবাসীরা নাচ-গানে মেতে ওঠেন। কেউ কেউ লাঠি খেলাও দেখাতে থাকেন। প্রতিটি আদিবাসী বাড়িতেই সোহরাই গান গাওয়া হয়। সোহরাই উৎসবকে কেন্দ্র করে গবাদি পশুদের আবাসস্থল গোয়ালঘর কার্যত মন্দিরে পরিণত হয়। নিজেদের মতো করে আদিবাসীরা গোয়ালঘর সাজিয়ে তোলেন। এখানে মাটির প্রদীপে জ্বলে। গরু-ষাঁড়ের শিং-এ তেল দেওয়া হয়। উৎসবের দিনগুলিতে মাঝিথান বা গ্রামের উপাসনালয়গুলিতে বিশেষ পুজো করা হয়। এই পুজো খুন্তদেব পুজো নামেও পরিচিত।

    গবাদি পশুদের (Cattle Festival) বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়

    গ্রামবাসীরা সোহরাইয়ের দিনগুলিতে গবাদি পশুদের কপালে সিঁদুর লাগান ও মালা পরান। গবাদি পশুদের এই দিন বিশেষ যত্ন নেওয়া হয় এবং বিশেষ খাবার দেওয়া হয়। সোহরাইয়ের প্রায় এক মাস আগে থেকে আদিবাসীরা লাঠি দিয়ে গরু-মহিষকে আঘাত করাও বন্ধ করে দেন। এই উৎসবে স্থানীয় পুকুর ও জলাশয়গুলি থেকে গ্রামবাসীরা মাছ ও কাঁকড়া ধরেন। এছাড়া, তাঁরা কাছাকাছি বনে শিকার করতেও যান।

    কী বলছেন গবেষক?

    রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগপুরী ভাষার অধ্যাপক বীরেন্দ্র কুমার মাহতো বলেন, ‘‘গড় পুজো দিয়ে সোহরাই উৎসব শুরু হয়। স্তূপ করা ধান এদিন একটি খোলা জায়গায় রাখা হয়। ধানের স্তূপে একটি ডিমও রাখা হয়। তারপরে, গরু এবং ষাঁড়গুলিকে স্তূপের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। যে গবাদি পশু ডিম ভাঙতে পারে, তাকে ভাগ্যবান বলে গণ্য করা হয় এবং পুজো করা হয়।’’

    উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়

    উৎসবকে (Cattle Festival) কেন্দ্র করে বিবাহিত মেয়েরা তাঁদের বাপের বাড়িতে যান। কবে অনুষ্ঠিত হবে এই উৎসব সেরকম নির্দিষ্ট কোনও দিনক্ষণ নেই। আদিবাসী গ্রামের মাথারা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে এই উৎসবের দিন ঠিক করেন। সোহরাই উৎসবে খোলা মাঠে বাঁশের মাথায় সাদা পতাকা (ঝান্ডি) বাঁধা হয়। তারপর এর চারদিক ঘিরে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে নারী-পুরুষের নাচ-গান। বিভিন্ন সাঁওতাল গ্রামগুলিতে দেখা যায় অনুষ্ঠানকে ঘিরে দূরদূরান্ত থেকে আসা প্রতিযোগীরা দলবদ্ধ হয়ে নাচ-গান পরিবেশন করছেন। উৎসব ঘিরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। একেবারে শেষে সোহরাই উৎসব কমিটি বিজয়ী প্রতিযোগিতার মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

    নারী-পুরুষদের সাজ পোশাক

    এ সময় আদিবাসী রমণীদের হলুদ-লাল ও সাদা-লাল পাড়ের শাড়ি পরতে দেখা যায়। তাঁরা নিজেদের সাজাতে গায়ে অলঙ্কার পরেন, খোঁপায় বাহারি রঙের ফুল বাঁধেন। হাতে ফুলের চুরি, পায়ে নূপুর পরে নাচ-গানে সামিল হন। অন্যদিকে, পুরুষদের পরনে থাকে সাদা ধুতি, গায়ে গেঞ্জি, মাথায় পাগড়ি। গলায় মাদল ঝুলিয়ে দলবদ্ধ হয়ে কাঁধে কাঁধ, হাতে হাত রেখে ঢাকঢোল পিটিয়ে নৃত্য পরিবেশন করেন তাঁরা। এই নৃত্য বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Canada Temple Attack: কানাডায় মন্দিরে হামলার ঘটনায় প্রকট ট্রুডোর ব্যর্থতা, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    Canada Temple Attack: কানাডায় মন্দিরে হামলার ঘটনায় প্রকট ট্রুডোর ব্যর্থতা, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা (Canada Temple Attack)। এবার ঘটনাস্থল টরন্টোর ব্রাম্পটন এলাকা। ঘটনার (Justin Trudeau) নেপথ্যে এবারও সেই খালিস্তানপন্থীরা। বারবার হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় একটা বিষয় খুব স্পষ্ট, সেটা হল সরকার চালাতে ব্যর্থ ট্রুডো প্রশাসন। ‘সংখ্যালঘু’ সরকারের প্রধান ট্রুডো। তার ওপর ভারত বিরোধিতার জেরে দলের অন্দরেই তাঁর বিরুদ্ধে দানা বাঁধছে অসন্তোষ। সব মিলিয়ে বিবৃতি দেওয়ার দায় ছিল ট্রুডোর। তিনি দিয়েছেনও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে আজকের হিংসার ঘটনাগুলো মেনে নেওয়া যায় না। প্রতিটি কানাডিয়ানের নিজস্ব ধর্ম পালন করার অধিকার স্বাধীনভাবে ও নিরাপদে রয়েছে।”

    ট্রুডোর পুলিশও ঠুঁটো (Canada Temple Attack)

    সরকার নড়বড়ে হওয়ায় ট্রুডোর পুলিশও ঠুঁটো। সেই কারণেই বারংবার একই ঘটনা ঘটলেও, কোনওভাবেই তা রুখতে পারছে না কানাডা প্রশাসন। যেহেতু গদি বাঁচাতে শিখদের সমর্থন নিতে হয়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোকে, তাই খালিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে কড়া কোনও ব্যবস্থাও নিতে পারছেন ট্রুডো সরকার। সেই কারণেই খালিস্তানপন্থীরা কানাডায় পক্ষ্ম বিস্তার করলেও নিতান্তই দ্রষ্টার ভূমিকা অবলম্বন করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারছেন না কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টির অন্দরেই ট্রুডোর বিরুদ্ধে দানা বাঁধছে অসন্তোষ।

    কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    এদিকে, হিন্দু মন্দিরে (Canada Temple Attack) খালিস্তানপন্থীদের হামলার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারতীয় হাইকমিশন। জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘টরন্টোর কাছে ব্রাম্পটনে হিন্দু সভা মন্দিরের সঙ্গে মিলে কনস্যুলার ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল ভারতীয় হাইকমিশন। সেখানে আজ ভারত বিরোধীরা এসে হিংসাত্মক হামলা চালায়। কানাডার বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষকে এই ধরনের ঘটনা বন্ধের জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। রুটিন কনস্যুলার কাজে এই ধরনের ব্যাঘাত ঘটতে দেখে আমরা খুবই হতাশ। ভারত বিরোধীদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আমাদের কনস্যুলেট এক হাজার জনেরও বেশি ভারতীয় ও কানাডিয়ান আবেদনকারীকে লাইফ সার্টিফিকেট ইস্যু করতে সক্ষম হয়েছিল।”

    আরও পড়ুন: জনজাতিদের বাদ দিয়েই ঝাড়খণ্ডে চালু হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, ঘোষণা শাহের

    এদিকে, কানাডার ওই ঘটনার প্রতিবাদে নর্থ আমেরিকার হিন্দু কোয়ালিশন শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে আজ, সোমবার। খালিস্তানপন্থীদের হুমকি এবং হিন্দু বিরোধী ঘৃণা ছড়ানোর (Justin Trudeau) প্রতিবাদেই দেওয়া হয়েছে এই প্রতিবাদ মিছিলের ডাক (Canada Temple Attack)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Murshidabad: কান্দিতে তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, তাজা বোমা! তীব্র চাঞ্চল্য

    Murshidabad: কান্দিতে তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, তাজা বোমা! তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দিতে তৃণমূল নেতার (TMC Leader) বাড়ি থেকে উদ্ধার একটি আগ্নেয়াস্ত্র, চারটি কার্তুজ এবং তাজা বোমা। শনিবার রাতে কান্দি থানার কুমারষণ্ড গ্রামপঞ্চায়েতের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য আলিমুল শেখের বাড়ি থেকে ওই সব আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা পলাতক বলে জানা গিয়েছে। তবে এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগও রয়েছে।

    ওয়ান শটার বন্দুক, চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার (Murshidabad)!

    কান্দি (Murshidabad) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম ইলু আহম্মেদ, নাজমুল হক এবং তাজমুল শেখ। সকলেরই বাড়ি কান্দি থানার গোকর্ণ বিজয়নগর অঞ্চলে। ধৃতদের কাছ থেকেও চারটি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কেন এই আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা মজুত করা হয়েছিল এবং কোন উদ্দেশ্যে তা ব্যবহার করা হবে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোনও রকম নাশকতা মূলক ছক রয়েছে কিনা, কোথা থেকে আনা হয়েছে এই অস্ত্র, এই বিষয়েও তদন্ত শুরু করছে পুলিশ।

    আবার স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “পুলিশি অভিযানের খবর পেয়ে আগেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতা (TMC Leader)। গতকাল রাতে তার বাড়িতে হানা দিয়ে বোমা, বন্দুক ও গুলি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ওই তৃণমূল নেতার তিন অনুগামীকেও। তাদের কাছ থেকে ওয়ান শটার বন্দুক, চার রাউন্ড গুলি ও ৪টি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ এখনই ঠান্ডার আমেজ নয়, থাকবে কুয়াশা! রাজ্যে শীত নিয়ে কী পূর্বাভাস?

    তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    বহরমপুর মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের (TMC Leader) সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, “কী উদ্ধার হল, না হল তা প্রশাসনের দেখার কাজ। আমরা শান্তির জন্য লড়াই করি। আর শান্তির জায়গায় যদি বাধা সৃষ্টি হয়, তা হলে পুলিশকে রাজনৈতিক রং না দেখেই আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলব। পুলিশ-প্রশাসনের ওপর ভরসা রয়েছে আমাদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bullet-Train: মুম্বই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন, ভাপি ও সুরাটের মধ্যে ন’টি নদী সেতুর কাজ সম্পূর্ণ

    Bullet-Train: মুম্বই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন, ভাপি ও সুরাটের মধ্যে ন’টি নদী সেতুর কাজ সম্পূর্ণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই-আমেদাবাদ (Bullet-Train) বুলেট ট্রেন প্রকল্পে ভাপি এবং সুরাতের মধ্যে নয়টি নদী সেতুর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এনএইচএসআরসিএল (NHSRCL) জানিয়েছে, ৫০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ মুম্বই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন করিডরের জন্য গুজরাটের মোট ২০টি নদী সেতুর মধ্যে ১২টি নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।

    নদীর উপর ১২০ মিটার সেতু (Bullet-Train)

    ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচএসআরসিএল) রবিবার (৩ নভেম্বর) জানিয়েছে,  প্রকল্পের গুজরাট অংশের অন্তর্গত নভসারি জেলার খারেরা নদীর উপর একটি ১২০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি  সমাপ্তির পর্যায়ে। গুজরাটে ৩৫২ কিমি এবং মহারাষ্ট্রে ১৫৬ কিমি (Bullet-Train) বিস্তৃত হয়েছে এই রেলপথ। এই পথে গুজরাটে ২০টি নদী সেতু রয়েছে। এটি হতে চলেছে দ্বাদশ সেতু। বুলেট ট্রেন প্রকল্পে মুম্বই, ঠানে, ভিরার, বোইসার, ভাপি, বিলিমোরা, সুরাট, ভারুচ, ভাদোদরা, আনন্দ বা নদিয়াদ, আমেদাবাদ এবং সবরমতিতে ১২টি স্টেশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ যোগীকে খুনের হুমকি, মুম্বই পুলিশ গ্রেফতার করল মুসলিম তরুণীকে

    সময় ব্যবধান প্রায় ৩ ঘণ্টা কমিয়ে দেবে

    একবার বুলেট ট্রেনটি (Bullet-Train) চালু হলে সময় ব্যবধান অনেক কমে যাবে। আমেদাবাদ এবং মুম্বইয়ের মধ্যে ভ্রমণের সময় লাগে ৬-৮ ঘণ্টা। এবার এই সময় ব্যবধান প্রায় ৩ ঘণ্টা কমিয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। মুম্বই-আমেদাবাদ হাই-স্পিড রেল করিডরে ভাপি এবং সুরাট স্টেশনগুলির মধ্যে নয়টি নদী সেতু তৈরি হওয়ার কথা। সবকটিই তৈরি হয়ে গিয়েছে। খরেরা নদী হল অম্বিকা নদীর একটি উপনদী, যা গুজরাট-মহারাষ্ট্র সীমান্তের কাছে অবস্থিত। ভানসদা তালুকের পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়েছে নদী। নদীটি ভাপি বুলেট ট্রেন স্টেশন থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার এবং বিলিমোরা স্টেশন থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। খারেরা ছাড়াও ভাপি ও সুরাতের মধ্যে পার, পূর্ণা, মাইন্ধোলা, অম্বিকা, আওরঙ্গা, কোলাক, কাবেরী এবং ভেঙ্গানিয়া নদীর উপরও সেতু তৈরি করা হয়েছে। একটি বিবৃতিতে এনএইচএসআরসিএল বলেছে, “টানেলের মোট ২১ কিলোমিটারের মধ্যে ১৬ কিলোমিটার টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) ব্যবহার করে এবং বাকি ৫ কিলোমিটার নিউ অস্ট্রিয়ান টানেলিং পদ্ধতি দ্বারা নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।”

    বোরিং-এর কাজ জোর কদমে চলছে

    বুলেট ট্রেনের (Bullet-Train) রেলপথ নির্মাণে ১৩.৬ মিটার কাটার হেড ব্যাস সহ স্লারি টাইপ টিবিএমগুলি জমির অবস্থা এবং নির্ভরযোগ্যতার কথা মাথায় কাজ করছে। টিবিএম কমানো এবং পুনরুদ্ধারের জন্য তিনটি শ্যাফ্টের কাজ প্রায় শেষের দিকে। আরও, ৩৯৪ মিটার দীর্ঘ অ্যাডিশনাল ড্রিভেন ইন্টারমিডিয়েট টানেল (এডিআইটি) ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং কাজের গতি বাড়ানোর জন্য এনএটিএম (NATM)-এর মাধ্যমে টানেল বোরিং-এর কাজ জোর কদমে চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand Bus Accident: উত্তরাখণ্ডের আলমোড়ায় খাদে যাত্রীবোঝাই বাস, অধিকাংশের মৃত্যু

    Uttarakhand Bus Accident: উত্তরাখণ্ডের আলমোড়ায় খাদে যাত্রীবোঝাই বাস, অধিকাংশের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড়ি রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী একটি বাস উল্টে পড়ল গভীর খাদে। সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের আলমোড়ায়। অন্তত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাসটি দুর্ঘটনার অভিঘাতে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। ভিতরে এখনও কিছু যাত্রী আটকে আছেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। 

    খরস্রোতা নদীতে বাস

    সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, নৈনিতাল জেলার অন্তর্গত রামনগরে সোমবার সকালে বাসটি খাদে পড়ে যায়। বাসটি পাউরি থেকে নৈনিতালের দিকে যাচ্ছিল। মার্চুলার সল্ট এলাকায় পাহাড়ের খাদে গড়িয়ে পড়ে যাত্রীবাহী বাসটি। স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উদ্ধারকাজে সহায়তা করেন স্থানীয়রাও। তারা ঘটনাস্থল থেকে যে ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, পাহাড়ি খরস্রোতা নদীর ধারে একটি বাস উল্টে পড়ে রয়েছে। বাসের অধিকাংশ তুবড়ে গিয়েছে। স্থানীয় বহু মানুষ বাস থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন। ওই অংশে নদী গভীর না হওয়ায় অনেকে নদী পেরিয়ে বাসের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। 

    কেন দুর্ঘটনা

    পুলিশ জানিয়েছে, বাসটিতে কমপক্ষে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। ২০০ মিটার গভীর খাদে গড়িয়ে পড়ার পর নদীর ধারে এসে পড়ে সেটি। বাসটি পুরোপুরি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। শেষপর্যন্ত ৩৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও ৫ জন নিখোঁজ। উদ্ধার করা হয়েছে ১৪ জনকে। আহতদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কীভাবে বাসটি উল্টে পড়ল, চালক কেন নিয়ন্ত্রণ হারালেন, তা ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিতে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী ছিলেন বলে কেউ কেউ অভিযোগ করছেন। 

    ক্ষতিপূরণের ঘোষণা

    উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এই ঘটনার পর দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রশাসনিক আধিকারিকদের প্রয়োজনয়ীয় সকল পদক্ষেপের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রামনগরের কাছে বাস দুর্ঘটনার খবর অত্যন্ত দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যের। জেলা প্রশাসনকে উদ্ধারকাজের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। আহতদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যাঁরা গুরুতর জখম, তাঁদের প্রয়োজনে আকাশপথে উড়িয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হবে।’’ মৃতদের পরিবার পিছু চার লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share