Tag: Madhyom

Madhyom

  • Bengal Violence: ‘অযৌক্তিক মন্তব্য না করে নিজেদের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করুক বাংলাদেশ’, সাফ জানাল ভারত

    Bengal Violence: ‘অযৌক্তিক মন্তব্য না করে নিজেদের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করুক বাংলাদেশ’, সাফ জানাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে হিংসার আগুনে পুড়েছে মুর্শিদাবাদের (Bengal Violence) বহু হিন্দুর ঘর। ওই হিংসায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল পুলিশের গাড়ি। হিংসা কবলিত এলাকায় মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এহেন আবহে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ভারতকে বার্তা দিয়ে বলেন, “মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ অশান্তির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়কে রক্ষা করুন, যেখানে তিনজন নিহত ও শত শত জখম হয়েছেন।”

    বাংলাদেশের মন্তব্য প্রত্যাখ্যান (Bengal Violence)

    বাংলাদেশের মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, বাংলাদেশ যেন অযৌক্তিক মন্তব্য করার পরিবর্তে তার নিজস্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করে। এও বলা হয়, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশি পক্ষের মন্তব্য আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে তুলনা করার জন্য এটি একটি খারাপ প্রচেষ্টা। সেখানে এই ধরনের অপরাধের অপরাধীরা এখনও মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে।” তিনি বলেন, “অনর্থক মন্তব্য করা ও বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না এমন অবস্থান প্রকাশ না করে বাংলাদেশের উচিত নিজেদের সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় মনোযোগ দেওয়া।” তিনি বলেন, “ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে সামঞ্জস্য খোঁজার এটা একটা অসৎ ও প্রচ্ছন্ন চেষ্টা।”

    হিন্দু নির্যাতন

    প্রবল আন্দোলনের জেরে গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পর থেকে সে দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। বস্তুত, পড়শি দেশের শুরু হয় হিন্দুমেধ যজ্ঞ। যে যজ্ঞে বলি হন শয়ে শয়ে হিন্দু। ভাঙচুর করা হয় হিন্দু মন্দির, বিগ্রহ। গ্রেফতার করা হয় একের পর এক হিন্দু নেতাদের (Bengal Violence)। মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকেও।

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২৪ সালে বাংলাদেশে (Bangladesh) ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর ২,৪০০টি অত্যাচারের ঘঠনা ঘটেছে এবং ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২টিতে (Bengal Violence)।

  • PM Modi: শুল্কযুদ্ধের আবহেই ফোনে কথা মোদি-মাস্কের, কী আলোচনা হল দু’জনের?

    PM Modi: শুল্কযুদ্ধের আবহেই ফোনে কথা মোদি-মাস্কের, কী আলোচনা হল দু’জনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুল্কযুদ্ধের আবহেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দীর্ঘ সময় ফোনে কথা হল টেসলা ও স্পেসএক্সের কর্তা ইলন মাস্কের (Elon Musk)। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন ক্ষেত্রে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু’জনের মধ্যে। মাস্কের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়টি নিজেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। চলতি বছরের শুরুতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ওয়াশিংটনে মাস্কের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল মোদির। এবার হল টেলিফোনিক কনভার্সেশন।

    কী বললেন মোদি? (PM Modi)

    মাস্কের সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি জানিয়ে মোদি লেখেন, “বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে ওয়াশিংটন ডিসিতে আমাদের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছিল, সেই বিষয়গুলিও উঠে এসেছে। আমরা প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। এই সব ক্ষেত্রে আমেরিকার সঙ্গে আমাদের অংশীদারিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    টেলিফোনে কথাবার্তা

    মাস্কের সংস্থা ভারতে বৈদ্যুতিন গাড়ি শিল্পে নিয়োগ শুরু করেছে। যদিও তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ভারতে প্রবেশ করেনি। অতীতে বৈদ্যুতিন গাড়ি শিল্প নিয়ে ভারত সরকার ও মাস্কের মধ্যে চাপানউতোর ছিল। মাস্কের প্রধান উদ্বেগের বিষয় ছিল, ভারতে বৈদ্যুতিন গাড়িতে উচ্চ আমদানি শুল্ক! তবে গত বছরের মার্চে বৈদ্যুতিন গাড়িতে শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। তার পরেই ওয়াশিংটনে হয় মোদি-মাস্ক মুখোমুখি বৈঠক (PM Modi)। এবার হল টেলিফোনে কথাবার্তা।

    মার্কিন রাজনীতিতে মাস্কের প্রভাব কারও অজানা নয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারেও তাঁর গুরুত্ব অপরিসীম। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পর মাস্ককে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন ট্রাম্প। ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির মাথায় বসানো হয় তাঁকে। মার্কিন প্রশাসনের সমস্ত খরচের হিসেব রাখে এই দফতর।

    প্রসঙ্গত, ওয়াশিংটনের ব্লেয়ার হাউসে মুখোমুখি বৈঠক হয়েছিল ইলন মাস্কের। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সঙ্গিনী শিভন জিলিস ও মাস্কের তিন শিশু সন্তান। মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্স মহাকাশযানের একটি অংশও প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন মাস্ক। প্রধানমন্ত্রীও মাস্কের (Elon Musk) তিন সন্তানের জন্য বই নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই তালিকায় ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বইও (PM Modi)।

  • UNESCO: ইউনেস্কোর রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ হল গীতা ও নাট্যশাস্ত্র, ‘গর্বের মুহূর্ত’ বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    UNESCO: ইউনেস্কোর রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ হল গীতা ও নাট্যশাস্ত্র, ‘গর্বের মুহূর্ত’ বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনেস্কোর (UNESCO) মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে (Memory of World Register) লিপিবদ্ধ করা হল হিন্দুদের অন্যতম ধর্মগ্রন্থ শ্রীমদ্ভগবত গীতা এবং ভরত মুনি রচিত নাট্যশাস্ত্র। এই ঘটনাকে গর্বের মুহূর্ত বলে আখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। প্রসঙ্গত, গতকালই ইউনেস্কোর মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ হয় ৭৪টি নতুন বিষয়। ইউনেস্কো জানিয়েছে, নতুন খোদাই করা সংগ্রহগুলির মধ্যে ১৪টি বৈজ্ঞানিক তথ্যচিত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই প্রাচীন বিষয়গুলির মধ্যে ছিল ভারতের এই দুই প্রাচীন শাস্ত্র। এর ফলে ইউনেস্কোর মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে মোট লিপিবদ্ধ সংগ্রহের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৭০।

    এক্স মাধ্যমের পোস্টে কী লিখলেন নরেন্দ্র মোদি?

    নিজের সমাজ মাধ্যমের পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, ‘‘সারা বিশ্বের ভারতীয়দের পক্ষে এটা একটা খুব গর্বের মুহূর্ত। গীতা এবং নাট্যশাস্ত্র ইউনেস্কোর (UNESCO) মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে স্থান পেয়েছে। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের প্রাচীন ভারতের জ্ঞান এবং সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতিকে বহন করছে গীতা এবং নাট্যশাস্ত্র। এই দুটোই ভারতীয় সভ্যতাকে লালন-পালন করে আসছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। এখনও পর্যন্ত এই দুই গ্রন্থ বিশ্বকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছে।’’ ইউনেস্কোর ডিরেক্টর জেনারেল অড্রে আজোলে ৭৪টি নতুন বিষয় ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে স্থান পাওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

    কী জানালেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি এবং পর্যটনমন্ত্রী গজেন্দর সিং শেখাওয়াত

    গীতা এবং নাট্যশাস্ত্রের এমন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির (UNESCO) বিষয়ে মতামত জানিয়েছেন দেশের সংস্কৃতি এবং পর্যটন মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। নিজের এক্স মাধ্যমের পোস্টে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, এটি আমাদের দেশবাসীর জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন গীতা এবং নাট্যশাস্ত্র ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড রেকর্ড রেজিস্টারের স্থান পাওয়াতে এদেশের মোট ১৪টি প্রাচীন লিপি স্থান পেল সেখানে। তিনি বলেন, ‘‘এটি ভারতের সভ্যতা এবং ঐতিহ্যের জন্য অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত। যে শ্রীমদ্ভাগবত গীতা এবং ভারত মুনির লেখা নাট্যশাস্ত্র বর্তমানে ইউনেস্কোর মেমোরিয়াল অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে স্থান পেয়েছে। এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সম্মান জানাল প্রাচীন ভারতের শাশ্বত-সনাতন সংস্কৃতিকে। প্রাচীন ভারতের এই দুই গ্রন্থ আক্ষরিক অর্থে একটি জ্ঞান এবং জীবন দর্শনের ভাণ্ডার। এই দুই গ্রন্থের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়েছে বিশ্বের কাছে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি। আমাদের অনুভূতি, আমাদের ভাবনা, আমাদের জীবন শৈলী- এই সমস্ত কিছুই প্রতিফলিত হয়েছে এই দুই গ্রন্থে। এর ফলে আমাদের দেশ থেকে ১৪টি ধরনের লিপি বর্তমানে আন্তর্জাতিক রেজিস্টারে স্থান পেয়েছে।’’

    ১৯৯২ সালে শুরু হয় ইউনেস্কোর (UNESCO) মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারের পথ চলা

    আন্তর্জাতিক প্রাচীন ঐতিহ্যশালী গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংরক্ষণের কথা রাষ্ট্রসংঘের বেশ কয়েকটি অধিবেশনে আলোচিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সুইৎজারল্যান্ডে জেনেভা কনভেনশন উল্লেখযোগ্য। এক্ষেত্রে বলা দরকার ইউনেস্কোর মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে তৈরি হয়েছিল ১৯৯২ সালে। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে বহু অসামান্য মূল্যবান প্রামাণ্য নথি এবং ঐতিহ্য এখানে তালিকাভুক্ত হয়ে রয়েছে। ইউনেস্কোতে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত রয়েছেন বিশাল শর্মা। তিনি এই ঘটনাকে দেশবাসীর জন্য একটা অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত বলে জানিয়েছেন। তাঁর মতে, ‘‘ভারতীয়দের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত এবং ভারতীয় চিন্তা ভাবনার প্রতিফল ঘটায় ভগবত গীতা। এর প্রভাব বিশ্বব্যাপী। অন্যদিকে, ভারত মুনির নাট্যশাস্ত্রের পান্ডুলিপি হল অন্যতম মৌলিক পাঠ।’’

    ভারতের আর কী কী তালিকাভুক্ত হয়েছে এই গ্রন্থে?

    অন্যান্য ভারতীয় লিপির মধ্যে ইউনেস্কোর মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে স্থান পেয়েছে পুনের ভান্ডারকর ওরিয়েন্টাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের আর্কাইভ থেকে সংগ্রহ করা ঋগ্বেদের ৩০টি পাণ্ডুলিপি, ২০০৫ সালে পন্ডিচেরি থেকে শৈব পাণ্ডুলিপিকে ইউনেস্কোর মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে স্থান দেওয়া হয়। ঠিক ৮ বছর আগে ২০১৭ সালে ইউনেস্কোতে স্থান পায় গিলগিট পাণ্ডুলিপি এবং ২০২৩ সালে মৈত্রেয়বরকরণ তালিকাভুক্ত হয় ইউনেস্কোতে।

    গীতা এবং ভরত মুনি রচিত নাট্যশাস্ত্র

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৮টি অধ্যায়ে ৭০০টি শ্লোক রয়েছে গীতায়। গীতা হল মহাভারতের অংশ। প্রাচীন এই গ্রন্থের ভীষ্মপর্বে (অধ্যায় ২৩-৪০) পাওয়া যায় গীতা। গীতায় মূল বিষয় হল জ্ঞান যোগ, কর্ম যোগ, ভক্তি যোগ। অন্যদিকে, ভরত মুনির নাট্যশাস্ত্র ভান্ডারকর ওরিয়েন্টাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে সংরক্ষিত ছিল। গবেষকরা জানাচ্ছেন, খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীর কাছাকাছিতে সংকলিত হয় এই শাস্ত্রটি। এটি গন্ধর্ববেদ নামে পরিচিত। ৩৬,০০০ শ্লোক নিয়ে তৈরি এই শাস্ত্রে নাট্য (নাটক), রসবোধ, ভাব (আবেগ) এবং সঙ্গীত রয়েছে।

  • FBI Arrested Punjab Terrorist: এফবিআইয়ের জালে পাঞ্জাবে গ্রেনেড হামলার চক্রী খালিস্তানি জঙ্গি হরপ্রিত সিং

    FBI Arrested Punjab Terrorist: এফবিআইয়ের জালে পাঞ্জাবে গ্রেনেড হামলার চক্রী খালিস্তানি জঙ্গি হরপ্রিত সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি হরপ্রিত সিং (Harpreet Singh) ওরফে হ্যাপি পাসিয়াকে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে আমেরিকা (FBI Arrested Punjab Terrorist)। পাঞ্জাবে গত ৬ মাসে অন্তত ১৪টি গ্রেনেড হামলার চক্রী হ্যাপি কানাডা থেকে অবৈধভাবে আমেরিকায় ঢুকেছিল। তাকে খুঁজছিল এনআইএ-ও। অবশেষে সেই হ্যাপি পাসিয়াকে গ্রেফতার করেছে আমেরিকার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট। এনআইএ সূত্রে খবর, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় পাঞ্জাবে হামলা চালিয়েছিল হরপ্রীত সিং। তাকে ধরার জন্য ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এই গ্যাংস্টার সম্পর্কে কোনও তথ্য দেওয়া হলেই ওই টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছিল এনআইএ।

    হরপ্রিত সিং এর পরিচয়

    পাঞ্জাবের অমৃতসরের আজনালা তহসিলের বাসিন্দা হরপ্রিত সিং (Harpreet Singh) ওরফে হ্যাপি। ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর, একটি মামলায় তাকে ফেরার আসামি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এদেশে তার বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা চলছে। তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ, মাদক আইন ও অবৈধ অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, পাসিয়া পাকিস্তানি গ্যাংস্টার থেকে জঙ্গি হওয়া হরবিন্দর সিং সাঁধু ওরফে রিন্ডার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তার সঙ্গে পাক চর সংস্থা আইএসআই এবং নিষিদ্ধি জঙ্গি সংগঠন বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের যোগাযোগ ছিল। তাদের হয়েও বেশ কয়েকটি অপারেশন চালিয়েছিল পাসিয়া। গোড়ার দিকে ছিল গ্যাংস্টার, পরে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয় পাসিয়া।

    বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক

    বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল (বিকেআই) খালিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত একটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন, যারা ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে। এই সংগঠনটি ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮০-এর দশকে পাঞ্জাবে জঙ্গি কার্যকলাপে সক্রিয় ছিল। ১৯৮৫ সালে এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১৮২-এর বোমা হামলা, যাতে ৩২৯ জন নিহত হয়েছিল, বিকেআই-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল। সংগঠনটি বর্তমানে পাকিস্তান, আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপে সক্রিয় এবং পাকিস্তানের আইএসআই-এর সমর্থনে কাজ করে।

    পাঞ্জাব পুলিশের সঙ্গে শত্রুতা

    ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে চণ্ডীগড়ে এক অবসরপ্রাপ্ত পাঞ্জাব পুলিশ অফিসারের বাড়িতে গ্রেনেড হামলায় অভিযুক্ত ছিল পাসিয়া। হরপ্রিত এবং রিন্ডা মিলে এই গ্রেনেড হামলার লজিস্টিক সহযোগিতা, তহবিল এবং অস্ত্র সরবরাহ করেছে। এছাড়াও পাঞ্জাবে পুলিশের উপরেও একাধিক হামলা চালানোর অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। ওই হামলা করার পরে সোশ্যাল মিডিয়াতে তার দায় স্বীকার করত হ্যাপি পাসিয়া। পাঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে অমৃতসর এবং অন্যান্য এলাকায় পুলিশ এবং পুলিশের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত বাড়ি এবং প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়। সেখানে কোথাও গ্রেনেড হামলা হয়। আবার, একাধিক থানার সামনে গ্রেনেড বিস্ফোরণও হয়। এই হামলার পিছনে হরপ্রীত সিং আছে বলে জানতে পারে পুলিশ। তখন থেকেই তার খোঁজ করতে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী।

    পাঞ্জাবে আরও বড় হামলার হুঁশিয়ারি

    গত মার্চ মাসেই অমৃতসরে একটি মোটর সাইকেল লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়ে দুই জন। তাদের মধ্যে একজন পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে মারা যায়। পাঞ্জাবের এক বিজেপির নেতার বাড়ি ছাড়াও এক ইউটিউবারের বাড়ি লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। এর সঙ্গেও ওই গ্যাংস্টার জড়িত ছিল বলে অভিযোগ। আগামী দিনে পাঞ্জাবে আরও বড় হামলা এবং বিস্ফোরণ ঘটানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল হ্যাপি।

    এফবিআই-এর উদ্যোগ

    এফবিআই-এর (FBI Arrested Punjab Terrorist) সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলা হয়েছে, “আজ, ভারতের পাঞ্জাবে জঙ্গি হামলার জন্য অভিযুক্ত জঙ্গি হরপ্রীত সিংকে এফবিআই এবং ইআরও স্যাক্রামেন্টোতে গ্রেফতার করেছে। দুটি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সে অবৈধভাবে আমেরিকা প্রবেশ করেছিল এবং ধরা এড়াতে বার্নার ফোন ব্যবহার করছিল।” বার্নার ফোন মূলত আত্মগোপনের কাজে ব্যবহৃত অত্যন্ত পুরনো ধাঁচের ফোন। আমেরিকা সহ সারা বিশ্বের আত্মগোপনকারী গুপ্তচর, জঙ্গি, পাচারকারীরা এই ধরনের ফোন ব্যবহার করে থাকে। এই ফোনের কয়েকটি বিশেষত্ব হল, এতে ডিটাচেবল ব্যাটারি থাকে। ফলে ব্যাটারি খুলে নিলে এই ফোনকে ট্র্যাক করা যায় না। এছাড়াও সুইচ বন্ধ করে রাখলেও লোকেশন বোঝা যায় না। ব্যক্তিগত কোনও তথ্যও এতে সংগৃহীত থাকে না।

    হরপ্রীত-এর গ্রেফতারির গুরুত্ব

    ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বিশ্বাস করে যে হরপ্রীত সিং-এর (Harpreet Singh) গ্রেফতার বিকেআই-এর আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করতে পারে। হরপ্রীত সিং-এর গ্রেফতার খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের চলমান লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। পাঞ্জাবে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা এবং আইএসআই-এর সমর্থনে বিকেআই-এর ক্রিয়াকলাপ ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই গ্রেফতার ভারত-আমেরিকার সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতাকে শক্তিশালী করবে এবং পাঞ্জাবে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।

    ভারতে ফেরানোর তোড়জোড়

    এফবিআইয়ের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হ্যাপি পাঞ্জাবে জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ। ভারতের তরফে এনআইএ এবং পাঞ্জাব পুলিশ তার বিরুদ্ধে জঙ্গি হামলার মামলা করে। আমেরিকাকে জানানো হয় যে, সে কানাডা হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আত্মগোপন করে আছে। অপরাধে অভিযুক্ত হিসেবে তার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিসও বের হয়। গ্রেফতারির পর ইন্টারপোলের সাহায্য নিয়ে পাসিয়াকে ভারতে ফেরানোর তোড়জোড় শুরু হবে।

  • Waqf Amendment Act: ওয়াকফ আইনকে পূর্ণ সমর্থন, মুসলিম প্রতিনিধি দল ধন্যবাদ জানালেন মোদিকে

    Waqf Amendment Act: ওয়াকফ আইনকে পূর্ণ সমর্থন, মুসলিম প্রতিনিধি দল ধন্যবাদ জানালেন মোদিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধনী ওয়াকফ আইনের (Waqf Amendment Act) প্রতিবাদে জ্বলছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, ভাঙড়। বেছে বেছে টার্গেট করা হয়েছে হিন্দুদের বাড়িঘর-দোকানদানি। ভাঙচুর করার পাশাপাশি লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে আগুন। এই আইন নিয়ে ১০০টিরও বেশি পিটিশন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এহেন আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মুসলমানদের একটা বড় অংশ। সংশোধনী ওয়াকফ আইনের জন্য তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসাও করলেন। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের এক প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন লোককল্যাণ মার্গে যান। সেখানেই তাঁরা সংশোধিত ওয়াকফ আইনের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান।

    প্রধানমন্ত্রীর অকুণ্ঠ প্রশংসা (Waqf Amendment Act)

    এই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই ওয়াকফ সংশোধনী। তাঁরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাসের দর্শনেও পূর্ণ আস্থা রয়েছে তাঁদের। পরে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে দারুণ বৈঠক হল। কথোপকথনের সময় আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছি।” বৈঠকের সময় প্রতিনিধি দলের এক সদস্য প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তাঁরা ১৯২৩ সাল থেকে ওয়াকফ বিধি থেকে ছাড়ের দাবি জানিয়ে আসছেন। নয়া আইনের মাধ্যমে ‘সংখ্যালঘুদের মধ্যে সংখ্যালঘু’ যাঁরা, তাঁদের যত্ন নিতে উদ্যোগী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর অকুণ্ঠ প্রশংসা করেন প্রতিনিধি দলের ওই সদস্য।

    কেনা সম্পত্তিকে ওয়াকফ বলে দাবি!

    প্রতিনিধি দলের আর এক সদস্য জানান, ২০১৫ সালে তাঁদের সম্প্রদায় মুম্বইয়ের ভিন্ডি বাজারে একটি প্রকল্পের জন্য একটি দামি সম্পত্তি কিনেছিল। ২০১৯ সালে নাসিকের এক ব্যক্তি সেটিকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে দাবি করেছিল। এই আবহে সংশোধিত ওয়াকফ আইনে তাঁরা খুব খুশি বলেই জানান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা (Waqf Amendment Act)। দাউদি বোহরা মুসলমান সম্প্রদায়েরই অংশ। ভারতের পশ্চিম অংশেই মূলত এঁদের বাস। গোটা বিশ্বের ৪০টি দেশে ছড়িয়ে রয়েছেন এই সম্প্রদায়ের মুসলমান। এঁরা মেনে চলেন আল-দাই-আল-মুতলাক নামে এক ধর্মগুরুর আদর্শ। ওয়াকফ সংক্রান্ত আইনে বদল আনার কথা বারবার বলেছিলেন তাঁরা। শেষমেশ মোদি সরকার তা কার্যকর করায় খুশি তাঁরা। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে এসেছিলেন (PM Modi) তাঁরা।

    ওয়াকফ পরিচালনায় স্বচ্ছতা আনাই লক্ষ্য

    ওয়াকফের অধীনে ভারতে মোট সম্পত্তি রয়েছে ৮.৭ লাখ। এর নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে ওয়াকফ বোর্ড। এই পরিমাণ সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য ১.২ লাখ কোটি টাকা। দেশে সব চেয়ে বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। মোট ওয়াকফ সম্পত্তির ২৭ শতাংশই রয়েছে এই রাজ্যে। এই তালিকায় উত্তরপ্রদেশের পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এ রাজ্যে ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে ৮০ হাজার ৫৪৮টি। বাংলায় ওয়াকফ সম্পত্তির ওপরে রয়েছে ১৫৮টি স্কুল, ৪টি মডেল ইংলিশ মিডিয়াম মাদ্রাসা, ১৯টি মুসলিম হস্টেল, ৯টি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র। বীরভূমে ওয়াকফের জমির ওপরে রয়েছে একটি শপিং কমপ্লেক্সও। তবে এত সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও ভারতে ওয়াকফে বার্ষিক আয় মাত্রই ১৬৩ কোটি টাকা (Waqf Amendment Act)। অভিযোগ, ওয়াকফ সম্পত্তি পরিচালনায় গাফিলতি রয়েছে। ওয়াকফ পরিচালনায় স্বচ্ছতা আনতেই সংশোধিত ওয়াকফ আইন আনা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রের (PM Modi)।

    সৈয়দনা সাহেবের ভূয়সী প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর

    এদিনের বৈঠকে সংশোধিত ওয়াকফ আইন গঠনে দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। খসড়া প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য দাউদি বোহরা আধ্যাত্মিক নেতা সৈয়দনা মুফাদ্দাল সাইফুদ্দিনেরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “হয়ত আপনাদের মধ্যে খুব কম লোকই জানেন যে, যখন আমার মাথায় সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে কাজ করার ধারণা আসে, তখন আমি সর্বপ্রথম যাঁর সঙ্গে পরামর্শ করেছিলাম, তিনি হলেন সৈয়দনা সাহেব।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সৈয়দনা সাহেব তাঁর পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন এমনকি আইনের আইনি পর্যালোচনা ও খসড়া তৈরিতে সাহায্য করার জন্য বোহরা সম্প্রদায়ের সদস্যদেরও পাঠিয়েছেন। তিনি পরে আপনাকে আমার কাছে পাঠিয়েছেন। এরপর আমি তিন বছর ধরে তাঁকে বিরক্ত করেছিলাম, তাঁকে তাঁর নিজস্ব উপায়ে এটি দেখতে, আমাকে আইনি পরামর্শ দিতে, আমাকে একটি খসড়া দিতে বলেছিলাম। পরামর্শের সময় তিনি আমাকে কতটা সাহায্য করেছিলেন, তা আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না। তিনি আপনার সম্প্রদায় থেকে জ্ঞানী ব্যক্তিদের নিয়ে এসেছিলেন, এমনকি কমা এবং দাঁড়ি (PM Modi) পর্যন্ত – প্রতিটি পদক্ষেপে আমি ওঁর সাহায্য পেয়েছি (Waqf Amendment Act)।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “উনিশের লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ১,৭০০ এরও বেশি অভিযোগ এসেছিল। এর মধ্যে বেশিরভাগই ছিল ন্যায়বিচার চাওয়া নারী ও কন্যার। তখনই আমি এই আইনের বাস্তবতাটা বুঝতে পেরেছিলাম (Waqf Amendment Act)।”

  • Karnataka: পরীক্ষাকেন্দ্রে নিরাপত্তার নামে পৈতা ছেঁড়া হল ব্রাহ্মণ ছাত্রের, শোরগোল কর্নাটকে

    Karnataka: পরীক্ষাকেন্দ্রে নিরাপত্তার নামে পৈতা ছেঁড়া হল ব্রাহ্মণ ছাত্রের, শোরগোল কর্নাটকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিরাপত্তার নামে কর্নাটকে (karnataka) এক ব্রাহ্মণ পরীক্ষার্থীর যজ্ঞোপবীত বা পৈতা কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে এমন অভিযোগ সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পড়ুয়াদের মধ্যে দেখা দেয় ব্যাপক ক্ষোভ। জানা গিয়েছে, শিবমোগগার আদিচুঞ্চনগিরি সিইটি পরীক্ষাকেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তার নামে হিন্দু ধর্মের অবমাননা করার অভিযোগও আনা হয়েছে এক্ষেত্রে। বলা দরকার, হিন্দু ধর্মে ব্রাহ্মণদের মধ্যে পৈতা পরার একটি রীতি রয়েছে। হিন্দু ধর্মে ব্রাহ্মণদের কাছে পৈতা হল ধর্ম এবং আস্থার প্রতীক। কিন্তু সেই পবিত্র পৈতা ছিড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র নিরাপত্তার অজুহাতে। এক্ষেত্রে শাসক দল কংগ্রেসের তরফ থেকে কোনও বিবৃতি না আসায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে।

    ছাত্র অরাজি ছিল পৈতা খুলতে, তাও জোরপূর্বক খোলা হয় পৈতা

    কর্নাটকের (karnataka) আঞ্চলিক ভাষায় প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা কর্মীরা ওই পড়ুয়াকে তাঁর কব্জির ধাগা খুলে ফেলার কথা বলে। একই সঙ্গে তাঁকে বলা হয়, পৈতাও খুলতে হবে। কিন্তু ওই ছাত্র দৃঢ়ভাবে একথার প্রতিবাদ জানায়। নিরাপত্তা আধিকারিকদের সামনে ওই পরীক্ষার্থী প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন, কেন এগুলোকে খোলা হবে? এরপর ওই ছাত্র জানায়, যা ইচ্ছা আপনারা করতে পারেন আমি কোনওভাবেই আমার পৈতা খুলব না। এরপরেই তাঁর পৈতে কেটে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে পড়ুয়া মহলে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাঁরা নিজেদের অভিভাবকদেরও বিষয়টি জানিয়েছেন।

    ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেছে বিভিন্ন ব্রাহ্মণ সংগঠন

    ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেছে বিভিন্ন ব্রাহ্মণ সংগঠন। রঘুরাম নামের ব্রাহ্মণ সমাজ নামের এক প্রতিনিধি, ওই কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক কেবি সহ ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের নেতা প্রসন্নকুমার ও দত্তাত্রেয়-এই চারজনের প্রতিনিধি দল ওই পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করতে আসেন। কেন ওই ছাত্রের সঙ্গে এমন আচরণ করা হল তা কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁরা জানতে চান। একইসঙ্গে জেলা শাসকের কাছেও আবেদন জানানো হয়েছে। এর বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

    এ ধরনের ঘটনা ধর্মীয় অধিকারকে আঘাত হেনেছে (karnataka)

    প্রতিনিধি দলটি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরিদর্শন করার পরে এধরনের কাজের তীব্র নিন্দা করেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। পৈতা খুলে নেওয়া এবং তা ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়াকে চরম অবমাননাকর উল্লেখ করেছেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এ ধরনের ঘটনা ধর্মীয় অধিকারকে আঘাত হেনেছে বলেও দাবি করে ওই প্রতিনিধি দল। এমনকি ব্যক্তিগতভাবে ওই ছাত্রের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। প্রতিনিধি দলের অভিযোগ, সংবিধানে যেখানে ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করা আছে। সেখানে এভাবে একটি হিন্দু ঐতিহ্যকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে কোন স্বার্থে? অনেকেরই প্রশ্ন, ধর্মনিরপেক্ষতার নামে যেখানে সংখ্যালঘুদের রীতিনীতিগুলিকে সুরক্ষিত রাখা হয়, সেখানে হিন্দুদের রীতিনীতিকে এইভাবে অপমান কেন করা হল?

    নীরব থেকেছে ধর্মনিরপেক্ষ কংগ্রেস

    বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, মুসলিম পড়ুয়ারা যখন স্কুলের ভিতরে হিজাব পরার জন্য জোর করে আন্দোলন শুরু করে তখন কংগ্রেসের মতো রাজনৈতিক দলগুলি ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য চিৎকার করে আওয়াজ তোলে, গলা ফাটায়। তবে হিন্দু পড়ুয়াদের পৈতা যখন জোর করে খুলে দেওয়া হয়, হাতের ধাগা কেটে দেওয়া হয়, তখন ধর্মনিরপেক্ষ কংগ্রেস হিন্দু ঐতিহ্যকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য কোনও আন্দোলনেই নামে না। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার পৈতা কোনও বাহ্যিক সৌন্দর্যের জন্য পরা হয় না। বরং তা হিন্দু ধর্মের এক গভীর আধ্যাত্মিক এবং ধর্মীয়ভাবের প্রতীক হয়ে উঠেছে। ব্রাহ্মণ সমাজ এই পৈতা ধারণ করে।

    এর আগে কর্নাটকে মঙ্গলসূত্র খোলার অভিযোগও এসেছে

    অন্যদিকে, কংগ্রেস এবং তাদের সহযোগী রাজনৈতিক সংগঠনগুলি হিন্দু বিরোধী অবস্থান প্রথম থেকেই নেয়। হিন্দুদের ধর্মীয় ঐতিহ্যকে যে কোনও সময় আঘাত করলে তারা রাজনৈতিকভাবে নীরব থাকে। কিন্তু যখন উগ্র মৌলবাদীরা যে কোনও ধরনের দেশদ্রোহি কাজ করে তখনও নীরব থাকে কংগ্রেস সমেত অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনগুলি। এখানেই অনেকে প্রশ্ন তুলছেন! কংগ্রেস দলের ধর্মনিরপেক্ষতার সংজ্ঞা কি কেবল সংখ্যালঘু তোষণেই সীমাবদ্ধ? দেখা যায় যে হিন্দু ধর্মের সঙ্গে একটা দূরত্ব তারা বজায় রেখেই চলে। যেখানে যে কোনও মন্দিরকেন্দ্রিক (Yajnopavita) ঘটনা হোক পৈতা খুলে নেওয়া হোক- সবকিছুতেই তারা অদ্ভুতভাবে নীরব থাকে। একি কেবলই তোষণের জন্য? এমন প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে অনেকে উদাহরণ দিচ্ছেন এক বছর আগের একটি ঘটনা। কর্নাটক রাজ্যেই ঘটেছিল। পরীক্ষাকেন্দ্রে এক পরীক্ষার্থীকে মঙ্গলসূত্র খুলতে বাধ্য করা হয়। এখানেও কংগ্রেস নীরব (karnataka) ছিল। কারণ মঙ্গলসূত্র হিন্দু ধর্মের প্রতীক।

    চাপে পড়ে জেলা প্রশাসন রিপোর্ট তলব করেছে

    এ ধরনের অভিযোগ পাওয়ার পরেই চাপে পড়ে যায় জেলা প্রশাসন। সরকারের এক আধিকারিক গুরুদত্ত হেগড়ে তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে ধর্মীয় অনুভূতিতে যে কোনও ধরনের আঘাতের ঘটনা কখনও সহ্য করা হবে না। এই ঘটনায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে একটি রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অন্যায় যদি প্রমাণিত হয় তাহলে দায়ী কর্মীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কথাও বলেছেন ওই জেলা প্রশাসনের আধিকারিক। প্রসঙ্গত, অনেকে বলছেন এই ঘটনাতে প্রতিবাদ হওয়া দরকার। তার কারণ পৈতা খুলে নেওয়ার এই ধরনের ঘটনাগুলির মাধ্যমে হিন্দু প্রতীকগুলিতে অত্যন্ত সুক্ষভাবে আঘাত আনা হচ্ছে। তাই এগুলি কেবলমাত্র কোনও ব্যক্তির উপর আক্রমণ নয়, একটি সমাজকে (karnataka) লক্ষ্যবস্তু বানানোর প্রচেষ্টা। এই পরিস্থিতিতে ওই ব্রাহ্মণ সংগঠন সমগ্র হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছে।

  • Murshidabad Incident: বেছে বেছে হামলা, হিংসার আগে হিন্দুদের বাড়িগুলিতে দেওয়া হয় কালো কালির চিহ্ন!

    Murshidabad Incident: বেছে বেছে হামলা, হিংসার আগে হিন্দুদের বাড়িগুলিতে দেওয়া হয় কালো কালির চিহ্ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইন ছুতো মাত্র। মুর্শিদাবাদে (Murshidabad Incident) হিন্দুদের বাড়িতে যে হামলা হবে, তা পূর্বপরিকল্পিত (Hindu) বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, হিংসার আবহে যাতে হিন্দু-মুসলমানের বাড়ি গুলিয়ে না যায়, তাই বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়িগুলিতে কালো কালি দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার এই তথ্য ফাঁস করেছে এনএমএফ নিউজ নামে এক সংবাদমাধ্যম।

    হিন্দুদের বাড়িতে কালির দাগ (Murshidabad Incident)

    গ্রাউন্ড জিরোতে গিয়ে সংস্থার সাংবাদিককে বলতে শোনা যায়, ওরা (মুসলমানরা) এই চিহ্নগুলো দিয়ে রেখেছে, যাতে দাঙ্গাবাজরা জানতে পারে কোন বাড়িতে বোমা নিয়ে হামলা করতে হবে, কোন বাড়িতেই বা লাগিয়ে দিতে হবে আগুন। তিনি বলেন, ‘‘দাঙ্গা শুরুর আগে হিন্দুদের বাড়িগুলি এভাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এই এলাকার প্রতিটি হিন্দু বাড়িতে কালো কালি দিয়ে চিহ্ন দেওয়া হয়েছিল। দাঙ্গার সময় শুধুমাত্র সেই সব বাড়িকেই আক্রমণ করা হয়েছিল। বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল এবং বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’’ স্থানীয় হিন্দুদের সঙ্গে কথা বলে ওই সাংবাদিক জানতে পারেন, উন্মত্ত মুসলমান জনতা হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ঢুকে আগে থেকে চিহ্ন দিয়ে রাখা বাড়িগুলিতে হামলা চালায়।

    তাণ্ডব, ভাঙচুর, লুটপাট

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার জুম্মার নমাজ আদায় শেষে শুরু হয় মুসলমানদের তাণ্ডব। মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন অংশে বেছে বেছে নিশানা করা হয় হিন্দুদের বসত ভিটে, দোকানদানি। বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি চালানো হয় অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটও। প্রথমে অত্যাচার শুরু হয় সূতি ও সামশেরগঞ্জে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে জেলার বিস্তীর্ণ অংশে। জানা গিয়েছে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ছদ্মবেশে উন্মত্ত মুসলমান জনতা এক হিন্দু দম্পতির মিষ্টির দোকান ধ্বংস করে তাদের সমস্ত জিনিসপত্র লুট করে নেয়। দোকানের মালিক কাঁদতে কাঁদতে শুধু বললেন, “এখানে আমার একটি মিষ্টির দোকান ছিল।” আর কথা বলতে পারলেন না ওই নির্যাতিত। কেবল ইঙ্গিত করলেন ধ্বংসপ্রাপ্ত তাঁর সাধের ‘শুভ স্মৃতি হোটেল’-এর দিকে। দোকান মালিকের স্ত্রী বলেন, “ওরা দোকানের ভিতরে রাখা নগদ টাকা-সহ আমাদের সব কিছু কেড়ে নিয়েছে (Hindu)। কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। এখন আমরা কী খাব?” মুসলিমরা ‘শ্রী হরি হিন্দু হোটেল অ্যান্ড লজ’ নামের আরও একটি প্রতিষ্ঠানও ভাঙচুর করেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই এই ক্ষয়ক্ষতির ছবি শেয়ার করেছে (Murshidabad Incident)।

    ভাঙা হয়েছে মূর্তি

    মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু মন্দিরেও হামলা হয়েছে। হয়েছে মূর্তি ভাঙাও। সংবাদ মাধ্যমের শেয়ার করা একটি ভিডিওতে স্থানীয় সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের খলিলুর রহমান প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন, জঙ্গিপুরে একটি মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ, সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত জেলায় হিন্দু পরিবারগুলির একাধিক বাড়িকে টার্গেট করা হয় এবং দোকানে হামলা চালানো হয়। বিক্ষোভকারীরা হিংসার মধ্যে পড়ে যাওয়া একটি অ্যাম্বুলেন্সকেও রেহাই দেয়নি। তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। অ্যাম্বুলেন্সটিতে আগুন লাগানোর আগে চালককে নিষ্ঠুরভাবে মারধর করা হয়। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “মুসলিমরা একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং চালককে আক্রমণ করে।”

    আক্রমণকারীরা স্থানীয় মুসলিম!

    ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘‘আমরা ভয়ে ঘরের ভিতরে বসেছিলাম। আমি আমার বাবা-মা, স্ত্রী ও শিশুদের বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিলাম।’’ তিনি বলেন, “আক্রমণকারীরা স্থানীয় মুসলিম, বাইরের কেউ নয়।” সম্প্রতি অনলাইনে প্রকাশিত একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এক আক্রমণকারী একটি হিন্দু (Hindu) পরিবারের গাড়ি ভাঙচুর করছে। মুসলমানদের এই হিংসার শিকার হয়েছিলেন আরও এক হিন্দু। তিনি বলেন, “ওরা আমার বাইক ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমাদের জিনিসপত্র লুট করে নিয়েছে এবং দোকানে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ‘‘ওই রাতে আমি ঘুমোতে পারিনি। ভয়ে সবাই জেগে ছিলাম। হিংসা চলাকালীন এখানে কোনও পুলিশ আসেনি। প্রাণ বাঁচাতে কয়েকজন পুলিশ কর্মীকেও দৌড়তে দেখেছি (Murshidabad Incident)।”

    ‘‘মেয়েটার কিছু হয়ে গেলে কী করতাম?’’

    হিন্দু ব্যবসায়ী অমর ভগতের স্ত্রী মঞ্জু ভগত সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘ওরা (মুসলিম জনতা) সামনের গেট দিয়ে আমাদের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। ব্যর্থ হয়ে পিছনের গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে। ওরা আমাদের বাইক ভেভেছে, বাড়ি ভাঙচুর করেছে, চেয়ার, গদি, টিভি থেকে শুরু করে দামি দামি গৃহস্থালির জিনিসপত্র সব লুটে নিয়ে গিয়েছে (Hindu)।’’ তিনি আরও বলেন, “আমরা ছাদে লুকিয়ে ছিলাম। মনে মনে শুধুই ভগবানকে ডেকে গিয়েছি। লোকগুলো যাতে দ্রুত আমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যায়, তাই। ওই সময় আমার মেয়েটার কিছু হয়ে গেলে আমি কী করতাম?” শুক্রবার শুরু হওয়া হিংসার এই ঘটনা ঘটতে থাকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত। ওই রাতেই ভিটে ছেড়ে মালদায় গিয়ে আশ্রয় নেন হাজার হাজার হিন্দু (Murshidabad Incident)।

  • Abhishek Nayar: ভারতীয় দলের থেকে অপসারিত সহকারী কোচ অভিষেক নায়ার, ছাঁটাই আরও ৩! কেন এমন সিদ্ধান্ত?

    Abhishek Nayar: ভারতীয় দলের থেকে অপসারিত সহকারী কোচ অভিষেক নায়ার, ছাঁটাই আরও ৩! কেন এমন সিদ্ধান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেঁটে ফেলা হল ভারতীয় সিনিয়র ক্রিকেট দলের (Team India) হেড কোচ গৌতম গম্ভীরের সহকারী অভিষেক নায়ারকে (Abhishek Nayar)। একইসঙ্গে, ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ এবং স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচ সোহম দেসাইয়েরও চাকরি গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, চাকরি গিয়েছে দলের ম্যাসারেরও। যদিও সরকারী ভাবে বোর্ড এখনও কিছু জানায়নি। আইপিএল শেষ হলেই ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ খেলতে যাবে ভারত। নতুন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে সেটাই তাদের প্রথম সিরিজ। অস্ট্রেলিয়ার মতো ইংল্যান্ডে গিয়েও যাতে দুরবস্থার মধ্যে পড়তে না হয়, সেই লক্ষ্যেই হাল ফেরানোর নীতি নেওয়া হয়েছে।

    কাদের কাদের সরতে হচ্ছে

    বোর্ডের এক সূত্র জানান, সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজে ব্যর্থতার জন্যই নায়ারকে সরানো হচ্ছে। কিন্তু বোর্ডের অনেকেই মনে করছেন, তাঁকে বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে। একজন সিনিয়র তারকার সঙ্গে সাপোর্ট স্টাফের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের ঝামেলার জেরেই তাঁকে সরতে হচ্ছে। ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ এবং স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ সোহম দেশাইকেও ছাঁটাই করা হবে। ভারতীয় দলে তিন বছর হয়ে গিয়েছে তাঁদের। শুধু তাই নয়, দলের ম্যাসারেরও চাকরি গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত ফিল্ডিং কোচ হিসাবে আর এক সহকারী কোচ রায়ান টেন দুশখাতে দায়িত্ব সামলাবেন বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়া সোহমের জায়গায় আসতে পারেন আদ্রিয়ান ল্য রু, যিনি এখন আইপিএলের দল পঞ্জাব কিংসের সঙ্গে যুক্ত। ২০০৩ বিশ্বকাপের সময় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়েরর দলে ফিটনেস সংস্কৃতি তৈরি করেছিলেন তিনি। যদিও এই প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাননি বিসিসিআই সচিব। দেবজিৎ সাইকিয়া বলেন, ‘‘কিছু জিনিস ঠিক করা হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যেই বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রেস নোট চলে যাবে।’’ অভিষেক এবং দিলীপের পরিবর্ত হিসাবে এখনও কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি।

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই মনে করছেন, পারফরম্যান্সটা আসল কারণ নয়। ভারতীয় দল তার পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে এই কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফদের নিয়েই। ফলে আসল কারণটা শৃঙ্খলাজনিত। অস্ট্রেলিয়া সফরে মেলবোর্ন টেস্টের পর ভারতীয় দলের সাজঘরে গম্ভীর ধমক দিয়েছিলেন ক্রিকেটারদের। তিনি কাকে কী বলেছেন, তা সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায়। তখন জানা গিয়েছিল, সেই সফরে ভারতীয় দলে থাকা ক্রিকেটার সরফরাজ খান সংবাদমাধ্যমে এই কথা ফাঁস করেছিলেন। কিন্তু এখন মনে করা হচ্ছে, সাপোর্ট স্টাফেদের মাধ্যমেই সাজঘরের কথা বাইরে বেরিয়েছিল। সরফরাজ এই কাজ করবেন— এটা ভাবা একটু কঠিন। কারণ, তিনি সদ্য জাতীয় দলে খেলছেন। তা-ও নিয়মিত নন। ফলে তাঁর মতো এক জন ক্রিকেটার নিজের কেরিয়ার নিয়ে এত বড় ঝুঁকি নেবেন, এটা অনেকের কাছেই বিশ্বাসযোগ্য ঠেকেনি।

  • The Hindu Manifesto: প্রাচীনের সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন, স্বামী বিজ্ঞানানন্দের লেখা ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো’ প্রকাশ করবেন ভাগবত

    The Hindu Manifesto: প্রাচীনের সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন, স্বামী বিজ্ঞানানন্দের লেখা ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো’ প্রকাশ করবেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৬ এপ্রিল দিল্লিতে ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো’ (The Hindu Manifesto) নামের একটি বই প্রকাশ করবেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘচালক ডঃ মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। জানা গিয়েছে, ওই বইটি লিখেছেন আইআইটির প্রাক্তনী তথা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বর্তমানে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বামী বিজ্ঞানানন্দ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই সাধারণ সম্পাদক অর্থাৎ স্বামী বিজ্ঞানানন্দ হলেন বিশ্ব হিন্দু কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা। এর পাশাপাশি বিশ্ব হিন্দু ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠনের তিনি আন্তর্জাতিক চেয়ারম্যান।

    সভ্যতা নির্মাণে ৮ নির্দেশিকা (The Hindu Manifesto)

    জানা গিয়েছে, এই বইটি যা প্রকাশ করতে চলেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘচালক সেখানে আটটি নির্দেশিকার নীতি বা সূত্রের কথা বলা হয়েছে। এই নির্দেশিকা নীতির উপরে ভিত্তি করেই একটি সুসভ্যতার রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। বইটিতে আটটি নির্দেশিকা নীতি বা সূত্রের উপর ভিত্তি করে একটি সভ্যতা নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। এগুলি হল- সকলের জন্য সমৃদ্ধি, জাতীয় নিরাপত্তা, মানসম্মত শিক্ষা, দায়িত্বশীল গণতন্ত্র, নারীর প্রতি শ্রদ্ধা, সামাজিক সম্প্রীতি, প্রকৃতির পবিত্রতা এবং ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা।

    ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো’ বইটি প্রকাশ করছে ব্লুওয়ান ইঙ্ক নামের প্রকাশনী সংস্থা

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই নেতা অর্থাৎ স্বামী বিজ্ঞানানন্দ আইআইটি খড়্গপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন। তিনি সংস্কৃত ব্যাকরণ এবং আচার্য ডিগ্রি প্রাপ্ত। একইসঙ্গে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন পূর্ব দর্শনের ওপরে। হিন্দু সভ্যতা, সাহিত্য, ধর্মগ্রন্থ- এই বিষয়গুলিতে তাঁর বিশেষ অধ্যয়ন রয়েছে। ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো’ (The Hindu Manifesto) বইটি প্রকাশ করছে ব্লুওয়ান ইঙ্ক নামের প্রকাশনী সংস্থা। বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে ভারতে শাসন, সভ্যতাগত মূল্যবোধ সম্পর্কিত বিষয়গুলির ওপর আলোকপাত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    প্রাচীনের সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন (The Hindu Manifesto)

    প্রসঙ্গত, বেদ, রামায়ণ, মহাভারত, কৌটিল্যের লেখা অর্থশাস্ত্র- এই সমস্ত গ্রন্থগুলির উপর ভিত্তি করেই লেখা হয়েছে ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো’ (Mohan Bhagwat)। এখানে শাসন পদ্ধতি, সামাজিক কাঠামো, শিক্ষা সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ, কর্তব্যবোধ- এ সমস্ত কিছু আলোচনা করা হয়েছে। এই বইতেই রাম রাজ্যকে একটি মডেল হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন বর্ণ জাতি সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়েও উল্লেখ করা হয়েছে। মর্যাদা, সাম্য ও বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলা হয়েছে। এই বইটিতে দেখানো হয়েছে যে কীভাবে হিন্দু সভ্যতা ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধি লাভ করেছে। হিন্দু সভ্যতা কীভাবে ন্যায় বিচারকে প্রতিষ্ঠা করেছে এবং জনকল্যাণকে সর্বদাই রক্ষা করে এসেছে। হিন্দু সমাজের বৌদ্ধিক ও আধ্যাত্মিক উৎকর্ষতা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে এই বইতে। প্রাচীন সভ্যতার সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন করে বইটিকে তৈরি করা হয়েছে।

    বিশ্বের সভ্যতাকেন্দ্রিক যেকোনও সমস্যার সমাধান সম্ভব

    বিশ্লেষকদের মতে, দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো বইটি (The Hindu Manifesto)  কেবলমাত্র একটি বই নয়। গবেষকরা বলছেন, এটি ভারতবর্ষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিলও বটে। সাম্প্রতিক কালে বিশ্বজুড়ে যে সমস্ত চ্যালেঞ্জ এবং সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সভ্যতার ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলি গুরুতর হয়ে দাঁড়াচ্ছে, সেই প্রত্যেকটি সমস্যার এবং চ্যালেঞ্জের সমাধান রয়েছে এই বইটিতে। জ্ঞানের সঙ্গে কর্মের অভূতপূর্ব মিশ্রণ দেখা যায় বইটিতে। স্বামী বিজ্ঞানানন্দ নতুনভাবে একটি দৃষ্টিভঙ্গি রেখেছেন বইটিতে। সভ্যতা এবং সুশাসনের ওপর লেখা হয়েছে বইটি। বইটির গুরুত্ব কতটা বোঝাই যাচ্ছে! কারণ এটি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরসংঘচালক উদ্বোধন করছেন।

    ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো’ বইটি কেন পড়া উচিত?

    বিশ্লেষকরা বলছেন যে কোন ক্ষেত্রে নীতি নির্ধারক শিক্ষাবিদ আধ্যাত্মিক চিন্তাবিদ এবং ভারতবর্ষের যে কোন নাগরিক যিনি জাতীয়তাবোধে বিশ্বাস রাখেন তাদের পক্ষে এই দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো (The Hindu Manifesto) পড়া খুবই প্রয়োজন কারণ এখানেই আধুনিক সুশাসনকে প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটানো হয়েছে এখানে শিক্ষা অর্থনীতি নারী অধিকার এই সমস্ত বিষয়গুলির উপরেই আলোকপাত করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো’ হল সভ্যতার নবজাগরণের একটি রূপরেখা। ভারতীয় নাগরিক ও জাতিকে এই বইয়ের মাধ্যমে সমৃদ্ধশালী সভ্যতা গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে ।

  • Suvendu Adhikari: ‘কাশ্মীর মডেলের দাবি মুর্শিদাবাদে’, আগামী দিনে হিন্দুদের বড় বিপদের আশঙ্কা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘কাশ্মীর মডেলের দাবি মুর্শিদাবাদে’, আগামী দিনে হিন্দুদের বড় বিপদের আশঙ্কা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে মেনে চলা হোক কাশ্মীর মডেল। সীমান্তবর্তী গ্রামে যেখানে ২০ শতাংশের কম হিন্দুদের বাস, তাদের আত্মরক্ষার জন্য অস্তর রাখার অনুমতি দেওয়া হোক। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। বিগত কয়েকদিনে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে মালদা, মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকা। আক্রান্ত হয়েছে হিন্দুরা। রাজ্য সরকার বারবার শান্ত থাকার কথা বলেছে, কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করেনি। পুলিশ-প্রশাসন কার্যত চুপ করে দেখেছে। বাধ্য হয়ে আদালতের নির্দেশে নামানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু বাহিনী তো সব সমসয় থাকবে না। তখন হিন্দুদের কী হবে প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু।

    আত্মরক্ষায় বৈধ অস্ত্র রাখার আবেদন

    মুর্শিবাদের সীমান্তবর্তী এলাকায় সুরক্ষার জন্য হিন্দুদের অস্ত্র রাখার অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কথায়, “এটা কমিউনাল রাইট নয়, ধর্মযুদ্ধ। এরা কাশ্মীরের মতো হিন্দুদের ওখান থেকে সরাতে চায়। তাই যে সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকায় ২০ শতাংশেরও কম হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন তাঁদের সুরক্ষায় বৈধ অস্ত্র রাখার অনুমতি দেওয়া হোক।” এমনটাই দাবি করছেন তিনি। শুভেন্দুর সাফ কথা, “বিএসএফ-সিআরপিএফ সব সময় থাকে না। বাংলাদেশ থেকে যে ৫০ কিলোমিটার বর্ডার এলাকা রয়েছে, যেখানে হিন্দু জনসংখ্যা ২০ শতাংশের কম, তাঁদের কাশ্মীরের পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকার মতো বৈধ লাইসেন্স যুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া উচিত। কারণ, আত্মরক্ষার অধিকার প্রত্যেকের আছে।” এখানেই না থেমে তাঁর আরও ব্যাখ্যা, “কাশ্মীরে তো বর্ডারের বহু গ্রামে এই ব্যবস্থা আছে। স্পেশ্যাল অ্য়াক্টের আওতায় এই ব্যবস্থা করা হয়। কাশ্মীরের মতো একই মডেল মুর্শিদাবাদে না করতে পারলে ১০-১৫ শতাংশ হিন্দু যেখানে আছে তা থাকবে না।” শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, ‘‘মুর্শিদাবাদের আসল ঘটনা রাজ্য চেপে গিয়েছিল কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক প্রকৃত তথ্য নিজেরা খোঁজ নিয়ে জেনেছে। আদালতে সেটা জানিয়েছে।’’ তাঁর মতে, শুধু মুর্শিদাবাদ না কোচবিহারের দিনহাটা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, বাসন্তী আগামী নির্বাচনে কোথাও হিন্দুরা ভোট দিতে পারবে না। রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে তবেই নির্বাচন করতে হবে।

    অশান্ত মালদা-মুর্শিদাবাদ

    প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিনে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে মুর্শিদাবাদের (High Court on Murshidabad) একাধিক এলাকায়। হিংসার আগুনে জ্বলে সামশেরগঞ্জ, সুতির মতো এলাকা। ঝরেছে প্রাণ। আধাসেনার দাবিতে শুভেন্দুই গিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত বিএসএফের পাশাপাশি প্যারা মিলিটারি ফোর্স নামে মুর্শিবাদাবাদে। কিন্তু, আশঙ্কা ছিল ১৭ এপ্রিলের পর কী হবে! কারণ, কলকাতা হাইকোর্টের আগের নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার পর্যন্তই মুর্শিদাবাদের কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকার কথা ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার মেয়াদ বাড়ছে। পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত বহাল থাকছে বাহিনী। বর্তমানে মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

    মুর্শিদাবাদে আপাতত থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    সন্ত্রস্ত মুর্শিদাবাদে (High Court on Murshidabad) আপাতত থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শান্তিরক্ষা, পুনর্বাসনের জন্য রাজ্য সরকারকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও রাজা বসু চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। গোটা বিষয়টিকে গোয়েন্দা ব্যর্থতা বলে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছে বিচারপতি সৌমেন সেন ও রাজা বসু চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ। মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে একটি কমিটি গঠনের কথাও বলেছে আদালত। মৌখিক নির্দেশে হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই কমিটিতে থাকবেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, রাজ্য মানবাধিকার কমিশন এবং রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিসেস কমিটির এক জন করে সদস্য। মুর্শিদাবাদের অশান্তির পরে অনেকে ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। ওই ঘরছাড়াদের পুনরায় ঘরে ফেরানোই হবে হাইকোর্টের গঠিত কমিটির মূল লক্ষ্য। ধুলিয়ানে ঘরছাড়াদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে এই কমিটি। বস্তুত, গত কয়েক দিনে পুলিশ এবং বিএসএফের যৌথ উদ্যোগে ঘরছাড়াদের অনেকেই বাড়ি ফিরেছেন। এ বার বাকিদেরও ঘরে ফেরানোর লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠনের কথা বলেছে আদালত।

    আতঙ্ক গ্রামে-গ্রামে, সরকারকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মুর্শিদাবাদের (High Court on Murshidabad) উপদ্রুত এলাকায় শান্তি রক্ষায় এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য রাজ্যকে এখনই স্কিম তৈরির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মৃতদের পরিবারকে শুধু টাকা দেওয়া নয়, প্রয়োজনে চাকরি দেওয়ার বিষয়েও চিন্তাভাবনার পরামর্শ দিয়েছে উচ্চ আদালত। সম্প্রতি ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় অশান্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Situation) একাধিক এলাকা। হিংসার জেরে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি এখনও থমথমে সেখানে। এখনও টহল দিচ্ছে বিএসএফ। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। ধুলিয়ানে পুরসভায় ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে। একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয় এবং পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। লুটপাট চালানো হয় একটি শপিংমলে। এখনও পুলিশের উপরে আস্থা রাখতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। তাঁরা গ্রামে গ্রামে স্থায়ী বিএসএফের ক্যাম্প চাইছেন। গন্ডগোলের সময় যাঁরা ভয়ে ঘর ছেড়েছিলেন, তাঁদের অনেকের কথায়, ‘‘পুলিশ-প্রশাসন আশ্বাস দেওয়ায় বাড়িতে ফিরলাম। এখন এলাকায় বিএসএফ ও পুলিশ রয়েছে। কিন্তু তারা ফিরে গেলে, কী হবে জানি না! আতঙ্ক আছেই। বাড়ির মহিলাদের আনা হয়নি। ভয়ে ভয়ে ছেলেরাই ফিরেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, মহিলাদের নিয়ে আসব।’’

LinkedIn
Share