Tag: Madhyom

Madhyom

  • Anmol Bishnoi: আনমোল বিষ্ণোইকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরাতে প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শুরু মুম্বই পুলিশের

    Anmol Bishnoi: আনমোল বিষ্ণোইকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরাতে প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শুরু মুম্বই পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউড অভিনেতা সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনায় নাম উঠে আসে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের। তদন্তে উঠে আসে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের (Lawrence Bishnoi) ভাই আনমোলের (Anmol Bishnoi) নাম। আনমোল হলেন বিষ্ণোই গ্যাংয়ের অন্যতম মাথা। বর্তমানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন বলে খবর। বলিউড অভিনেতার বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনায় আনমোল বিষ্ণোইকে মার্কিন দেশ থেকে ফিরিয়ে আনতে প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শুরু করল মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ।

    জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা

    মুম্বই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্ট আনমোল বিষ্ণোইয়ের (Anmol Bishnoi) গ্রেফতারির জন্য একটি জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে আনমোলকে গ্রেফতার করার জন্য বেশ কিছু আদালতের নথি প্রয়োজন। এরপরে সেই সমস্ত নথি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হবে। প্রসঙ্গত, সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনায় লরেন্স বিষ্ণোই, আনমোল বিষ্ণোই ছাড়াও আর এক গ্যাংস্টারের নাম উঠে এসেছে। তিনি গোল্ডি ব্রার।

    আনমোলের (Anmol Bishnoi) মাথার দাম ১০ লাখ

    প্রসঙ্গত, আনমোল যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন তার প্রমাণ ইতিমধ্যে পাওয়া গিয়েছে, এর আগে মুম্বই পুলিশ মনে করছিল, তিনি কানাডায় রয়েছেন। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ গতমাসেই তাদের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় আনমোল বিষ্ণোইয়ের নাম যুক্ত করেছে। তাঁকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ লাখ টাকা পুরস্কারেরও ঘোষণা করেছে এনআইএ।

    ২০২২ সালে বিষ্ণোই গ্যাং খুন করে পাঞ্জাবি গায়ককে

    ২০২২ সালে পাঞ্জাবের জনপ্রিয় গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে হত্যার পরেই ব্যাপক খবরের শিরোনামে আসে বিষ্ণোই গ্যাং। এরপরে চলতি বছরে সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। ১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসায়র হরিণ শিকার করেছিলেন সলমন খান। বিষ্ণোই সম্প্রদায় এই হরিণকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করে। সম্প্রতি, এই ঘটনার কারণে সলমান খানকে লাগাতার হুমকি দিতে থাকেন লরেন্স বিষ্ণোই (Lawrence Bishnoi)।

    গতমাসেই হত্যা করা হয় বাবা সিদ্দিকিকে

    গত অক্টোবর মাসে সলমন খানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রাজনীতিবিদ বাবা সিদ্দিকিকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় ফের উঠে আসে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নাম। ২০২২ সালে দিল্লি এবং দেশের অন্যান্য অংশে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য তহবিল সংগ্রহ ও যুবকদের নিয়োগ করার ষড়যন্ত্রে বারবার উঠে আসে লরেন্স বিষ্ণোই ও আনমোল বিষ্ণোইয়ের নাম।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India: সৌদিকে টপকে ইউরোপের শীর্ষ পরিশোধিত জ্বালানি সরবরাহকারী দেশ এখন ভারত

    India: সৌদিকে টপকে ইউরোপের শীর্ষ পরিশোধিত জ্বালানি সরবরাহকারী দেশ এখন ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌদি আরবকে দাঁড়িয়ে গোল দিচ্ছে নরেন্দ্র মোদির ভারত (India)! মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বের আমলেই বিশ্বের বৃহত্তম দেশের তালিকায় পাঁচ নম্বরে ঠাঁই হয়েছে ভারতের। এই জায়গাটা দীর্ঘদিন দখলে রেখেছিল ব্রিটেন। সেই রানির দেশকে নীচে নামিয়ে ভারত উঠেছে ওপরে। এবার ভারতীয়দের গর্বিত হওয়ার আরও একটি খবর এল। জানা গিয়েছে, সৌদি আরবকে টপকে ইউরোপের শীর্ষ পরিশোধিত জ্বালানি সরবরাহকারী দেশ হয়ে উঠেছে ভারত।

    ‘অক্সিজেন’ জোগাচ্ছে ভারত (India)

    ভারত ব্রিকসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সেই দেশই ‘অক্সিজেন’ জোগাচ্ছে ইউরোপকে (Refined Fuel Supplier)। ট্রেড ইন্টেলিজেন্স প্রতিষ্ঠান কেপলারের প্রকাশিত রিপোর্টেই এ খবর জানা গিয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার তেলের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পশ্চিমের দেশগুলি। এহেন আবহে ইউরোপ ভারত থেকে পরিশোধিত তেলের আমদানি দিন প্রতি ৩৬০,০০০ ব্যারেল হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় বৈশ্বিক জ্বালানি বাণিজ্য পথগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    বাড়ল আমদানির পরিমাণ

    সৌদি আরব বিশ্বের শীর্ষ তেল উৎপাদকদের মধ্যে একটি দেশ। দশকের পর দশক ধরে তেল বাণিজ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ধরে রেখেছে এই দেশটি। তবে, ইউরোপীয় বাজার থেকে রাশিয়া সরে যাওয়ায় ইউরোপ তার জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে নতুন বিকল্প খুঁজছে (India)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে ইউরোপ ভারতীয় রিফাইনারদের কাছ থেকে প্রতিদিন গড়ে ১,৫৪,০০০ ব্যারেল তেল আমদানি করত। এই সংখ্যাটা এক ধাক্কায় অনেকখানি বেড়ে যায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৫ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায়। আমদানি বেড়েছে দিন পিছু ২,০০,০০০ ব্যারেল। কেপলারের অনুমান, ভারতের রাশিয়ার  তেলের আমদানি আগামী বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে প্রতিদিন ২০ লক্ষ ব্যারেল অতিক্রম করতে পারে, যা ভারতের মোট তেল আমদানির ৪৪ শতাংশ হবে।

    আরও পড়ুন: গেরুয়া নিশান ওড়ানোয় দেশদ্রোহিতার অভিযোগ বাংলাদেশের ১৮ হিন্দুর বিরুদ্ধে

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইউরোপীয় দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি ভারতকে একটি নির্ভরযোগ্য শক্তি অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শক্তি বাণিজ্য যাতে আরও উন্নত করা যায় সেজন্য (Refined Fuel Supplier) দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করে চলেছেন (India) তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO: লাদাখে দেশের প্রথম অ্যানালগ স্পেস মিশন চালু করল ইসরো, কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই পদক্ষেপ?

    ISRO: লাদাখে দেশের প্রথম অ্যানালগ স্পেস মিশন চালু করল ইসরো, কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই পদক্ষেপ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার লাদাখে প্রথম অ্যানালগ স্পেস মিশন চালু করার কথা ঘোষণা করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো (ISRO)। ইসরোর এই হিউম্যান স্পেসফ্লাইট সেন্টার (Human Spaceflight Centre) মিশনের পেছনে এএকেএ স্পেস স্টুডিও, লাদাখ বিশ্ববিদ্যালয়, আইআইটি বম্বে এবং লাদাখের স্বশাসিত পার্বত্য উন্নয়ন কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগ রয়েছে। তবে বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা এই মিশন নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী বলে জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে, ইসরোর চন্দ্রযান ৩, গগনযান, আদিত্য এল-১, মঙ্গলযান অভিযানের মাধ্যমে বিশ্বের নজর কেড়ে নিয়েছে ভারত। বিশেষ করে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ডিং নাসাকেও চমক দিয়েছে। মহাকাশ গবেষণায় কেন্দ্রের মোদি সরকার যে সজাগ নজর রেখে চলেছে তাতেও অনেক বিজ্ঞানীরা উৎসাহী বলে জানিয়েছেন। নাসাও একাধিক গবেষণায় ইসরোকে পাশে চায় বলে অভিজ্ঞতার কথা বিনিময় করেছে। ফলে ভারত মহাকাশ গবেষণায় বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে।

    মূল লক্ষ্য হল আন্তঃগ্রহের আবাসস্থলে প্রাণের সন্ধান (ISRO)

    ইসরোর (ISRO) পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে বলা হয়েছে, “লাদাখে এই হিউম্যান স্পেসফ্লাইট সেন্টারের (Human Spaceflight Centre) মিশনের মূল লক্ষ্য হল ভিন্গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের খোঁজ করা। একই ভাবে পৃথিবীর বাইরে একটি স্পেস স্টেশন নির্মাণের জন্য সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করার ভাবনা রয়েছে। এই মিশন ভারতের প্রথম অ্যানালগ স্পেস মিশন, যা লে-তে শুরু হয়েছে। একই কাজে এএকেএ স্পেস স্টুডিও, লাদাখ বিশ্ববিদ্যালয়, আইআইটি বম্বে এবং লাদাখের স্বশাসিত পার্বত্য উন্নয়ন কাউন্সিল বিশেষ ভাবে সহযোগিতা করবে।”

    মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণ এবং গবেষণা

    ইসরো (ISRO) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মিশন হল মঙ্গল এবং চাঁদে অভিযানের মতো একটি বড় পদক্ষেপ। লাদাখের জলবায়ু, আবহাওয়া, ভূ-প্রকৃতি এবং আনুসঙ্গিক নানা উপকরণের প্রতিবন্ধকতা মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণ এবং গবেষণার জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে। এই জায়গার সমস্যাকে সামনে রেখে মহাকাশের নানাবিধ প্রতিরোধ সম্পর্কে গবেষণা করতে অনেক সহজ হবে। যে কোনও গবেষণায় ভীষণ উপযোগী এই লাদাখের উচ্চ ভূ-মণ্ডল। এই মিশন ভারতের গগনযান এবং ভবিষ্যতের মহাকাশ গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। লাদাখের শুষ্ক জলবায়ু, ভৌগলিক উচ্চতা এবং অনুর্বর জমির সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে মঙ্গল এবং চাঁদের ভৌগলিক ও ভূতত্ত্বের। তাই এই ধরনের অ্যানালগ গবেষণা, ভারতে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানী ডক্টর আলোক কুমার প্রথম এই ধরনের গবেষণার জন্য বিশেষ প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ঠিক তারপর থেকেই একই ভাবনাকে প্রসারিত করা হয়।

    অ্যানালগ মিশন কী?

    নাসার মতে অ্যানালগ মিশন (Human Spaceflight Centre) হল, পৃথিবীর মধ্যেই পরিবেশের উপর পরীক্ষালব্ধ প্রমাণ সংগ্রহ করা। অর্থাৎ মহাকাশের অনুরূপ পরিবেশ এবং পরিস্থিতিকে অনুসরণ করে বিস্তর গবেষণা করা যায় মিশনে। এই মিশন ভূ-মণ্ডলের মধ্যে উপযুক্ত পরিবেশ নির্মাণ করে। যার মাধ্যমে মানুষ বা রোবট অথবা যন্ত্রাংশকে কীভাবে মহাকাশের মতো উপযুক্ত অনুকুল পরিবেশে রাখা যায় তা নির্ণয় করা যায়। এতে যে কোনও রকম মহাকাশ অভিযানের আগে থেকেই সমস্যা এবং সমস্যা থেকে মুক্তির পথকে অনুসন্ধান করা যায়। প্রযুক্তিবিদ এবং প্রকৌশলীরা নিজেদের অভিজ্ঞতাকে অনেকটাই আগে থেকে ভালো-মন্দ বা সাফল্যকে আন্দাজ করতে পারেন। নাসাও এই ধরনের একাধিক মিশনে কাজ করে থাকে। আগে থেকে উপযুক্ত পরিবেশ এবং জায়গা ঠিক করে একাধিক সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি সংস্থার সঙ্গে কাজ করে থাকে। এবার ভারতের লাদাখেও এমন একটি পরিকল্পনা করেছে ইসরো (ISRO)। সেই সঙ্গে বিজ্ঞনীরাও এনিয়ে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুনঃ আজ দেশজুড়ে ভক্তরা মেতে উঠেছেন গোবর্ধন পুজোয়, জানুন এর মাহাত্ম্য

    পরীক্ষালব্ধ এলাকায় কী কী থাকে?

    এই অ্যানালগ মিশনের (Human Spaceflight Centre) মধ্যে পরীক্ষা করতে যে সব উপকরণ লাগে তার মধ্যে রয়েছে, নতুন প্রযুক্তি, রবোটিক সরঞ্জাম, যানবাহন, পরিবহণ, বাসস্থান, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ পরিষেবা, উৎপাদন, গতিশীলতা, পরিকাঠামো, মানবশ্রম এবং স্টোরেজ। এই মিশনের কাজ এবং প্রশিক্ষণ মূল গবেষণার কাজের গতিকে পর্যবেক্ষণ করতে পারে। একই ভাবে উদ্ভূত সমস্যার কথা তুলে ধরে দ্রুত সমাধানের বিষয়েও প্রস্তুতি নিতে সহায়ক হয়। গভীর মহাকাশে গিয়ে কী ধরনের মুহূর্ত হবে, সেই দিকগুলির উপর পুঙ্খানুপুঙ্খ নজর রাখা হয় মিশনে। এই রকম মিশনের আরও পরীক্ষালব্ধ এলাকা হতে পারে, যেমন-মহাসাগর, মরুভূমি, আগ্নেয়গিরি ইত্যাদি। তবে ইসরো (ISRO) গবেষণার জন্য লাদাখকেই বেছে নিয়ে কাজ শুরু করছে।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pollution in Delhi: দীপাবলির রাতের আনন্দ, সমীক্ষা বলছে বিশ্বের সর্বোচ্চ দূষণের মাত্রা ছাড়াল দিল্লি

    Pollution in Delhi: দীপাবলির রাতের আনন্দ, সমীক্ষা বলছে বিশ্বের সর্বোচ্চ দূষণের মাত্রা ছাড়াল দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলির পরদিন বিশ্বের সর্বোচ্চ দূষণের মাত্রা ছাড়াল দিল্লি (Delhi)। সমীক্ষায় (Delhi Pollution Survey) উঠে এসেছে এমনই তথ্য। সুইৎজারল্যান্ডের ‘আইকিউএয়ার’ নামে একটি সংস্থা দূষণ-র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানে রেখেছে দিল্লিকে (Pollution in Delhi)। শনিবার সকাল ১০টায় দিল্লির আনন্দ বিহার স্টেশনে বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছিল ৩৮৮, যা পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। বায়ু দূষণে দিল্লিকে জোর টক্কর দিয়ছে কলকাতাও।

    দূষিত দিল্লি

    দীপাবলিতে বায়ু দূষণ (Pollution in Delhi) নিয়ে আগে থেকেই উদ্বেগ ছিল। বাস্তবে সেই ছবিই ধরা পড়ল। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য বলছে, শুক্রবার রাতে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ যথেষ্ট উদ্বেগের ছিল। আনন্দ বিহারে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার (Air Pollution) পরিমাণ সর্বোচ্চ ছিল ৫০০ মাইক্রোগ্রাম। দিল্লি বিমানবন্দর এলাকায়ও প্রতি ঘনমিটার বাতাসে সর্বোচ্চ অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ ছিল ৫০০ মাইক্রোগ্রাম। রোহিণীতে যা ছিল সর্বোচ্চ ৪৮৪ মাইক্রোগ্রাম। আর লোদী রোড এলাকায় ছিল সর্বোচ্চ ৩৭৮ মাইক্রোগ্রাম।

    স্বাস্থ্যের উপর প্রভব

    দিল্লি ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণ (Pollution in Delhi) দেখে সরকারের পক্ষ থেকে আগে থেকেই বাজি ফাটানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও রক্ষা হয়নি। দিল্লিবাসীদের একাংশ বিধিনিষেধের পরোয়া না করে দীপাবলিতে বাজি ফাটিয়েছেন। তাতে যা হওয়ার, তা-ই হয়েছে। বাতাসের মান জায়গা পেয়েছে ‘খুব খারাপ’ ক্যাটেগরিতে। দিল্লির বেশির ভাগ অংশে একিউআই ৩৫০-এর উপরে। আয়া নগরে ৩৫২, জাহাঙ্গিরপুরিতে ৩৯০ এবং দ্বারকায় ৩৭৬। বিশেষজ্ঞদের মতে বাতাসের এই ভয়ানক খারাপ অবস্থা জনস্বাস্থ্যের জন্য খুব বিপজ্জনক। রিপোর্ট বলছে, প্রতি ৭ থেকে ১০টি পরিবারের মধ্যে কমপক্ষে একজন এই দূষণের শিকার। রাজধানী এবং এনসিআরের (NCR) শতকরা ৬৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একজন ভুক্তভোগী বলে রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে। ক্রমবর্ধমান দূষণের কারণে গলা ব্যথা বা কাশি, চোখে জ্বালাপোড়া ভাব, নাক দিয়ে জল পড়া সহ একাধিক উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। সমীক্ষকদের দাবি, রাজধানীর দূষণ (Delhi Pollution) যেভাবে বেড়েছে তা সরাসরি জনগণের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলছে।

    আরও পড়ুন: ভোর ও রাতে ঠান্ডার আমেজ! আগামী সপ্তাহেই কমতে পারে তাপমাত্রা

    পিছিয়ে নেই কলকাতাও

    বায়ু দূষণে (Air Pollution) খুব পিছিয়ে নেই বাংলাও। শুক্রবার রাতে হাওড়া ও কলকাতার একাধিক জায়গায় বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ ভয় ধরানোর মতো। বালিগঞ্জে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ সর্বোচ্চ ছিল ৫০০ মাইক্রোগ্রাম। বিধাননগর ও যাদবপুরেও প্রতি ঘনমিটার বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ ছিল ৫০০ মাইক্রোগ্রাম। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: গেরুয়া নিশান ওড়ানোয় দেশদ্রোহিতার অভিযোগ বাংলাদেশের ১৮ হিন্দুর বিরুদ্ধে

    Bangladesh Crisis: গেরুয়া নিশান ওড়ানোয় দেশদ্রোহিতার অভিযোগ বাংলাদেশের ১৮ হিন্দুর বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপরাধ বলতে হিন্দুত্বের নিশান উড়িয়েছিলেন। গেরুয়া এই পতাকা ওড়ালে যে ‘সোনার বাংলা’য় (!) দেশদ্রোহিতার অভিযোগে (Sedition Case) অভিযুক্ত হতে হবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি বাংলাদেশের কয়েকজন হিন্দু। মুসলমান অধ্যুষিত দেশে হিন্দুত্বের ধ্বজা ওড়ানোয় ১৮ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা ঠুকে দেওয়া হয়েছে (Bangladesh Crisis)।

    হিন্দুদের টার্গেট করা হচ্ছে (Bangladesh Crisis)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, মহম্মদ ইউনূস জমানায় বেছে বেছে হিন্দুদের টার্গেট করা হচ্ছে। এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট তথা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্পও। বাংলাদেশের ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন চট্টগ্রামে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য আইন ও ট্রাইব্যুনালের দাবি জানিয়ে বিশাল সমাবেশ করেছে। তার পরে পরেই দায়ের হয়েছে দেশদ্রোহিতার মামলা। এই দাবিটি ছাড়াও আরও সাত দফা দাবি ছিল হিন্দুদের।

    ‘সনাতন জাগরণ মঞ্চে’র ব্যানারে সমাবেশ

    সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল ‘সনাতন জাগরণ মঞ্চে’র ব্যানারে। প্রথমে সমাবেশে বাধা দেয় পুলিশ। পরে অবশ্য সফলভাবেই শেষ হয় সমাবেশ। এর পরেই ১৮ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা ঠুকে দেওয়া হয়। যদিও সনাতন জাগরণ মঞ্চের দাবি, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বুধবার মামলা রুজু হওয়ার পর মঞ্চের পক্ষ থেকে চেরাগি পাহাড় মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। সেই সঙ্গে শুক্রবার, ১ নভেম্বর দেশের ৬৪টি জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাকও দেওয়া হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: “ছেলে কাঁদে কতক্ষণ? যতক্ষণ না স্তন পান করতে পায়, তারপরই কান্না বন্ধ হয়ে যায়”

    দেশদ্রোহিতার অভিযোগ

    দেশদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযু্ক্ত পুণ্ডরীক ধামের সভাপতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের একটি অংশ আট দফা দাবি তুলে ধরে এটিকে আওয়ামি লীগ ও ভারত সরকারের সমর্থনপুষ্ট হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছে (Bangladesh Crisis)।” তিনি বলেন, “এই প্রতিবাদগুলি রাজনৈতিক নয়, বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধেও নয়।” কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী জানান, প্রশাসনের ওপর সংখ্যালঘু অধিকার সংরক্ষণের কাজে চাপ সৃষ্টি করতেই এই প্রতিবাদ আন্দোলন। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক মনোভাব চিরকালই প্রবল। ১৯৫১ সালে, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২২ শতাংশ। এখন সেটাই নেমে এসেছে ৮ শতাংশের নীচে। হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬৪ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে ১ কোটি ১০ লাখের বেশি হিন্দু বাংলাদেশ (Sedition Case) ছেড়ে চলে গিয়েছে।

    যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে

    যে ১৮ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ তোলা হয়েছে, চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় সেই মামলা দায়ের করেন জনৈক ফিরোজ খান। বাংলাদেশের ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি অনুযায়ী, রাষ্ট্রদ্রোহের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, মাথায় গেরুয়া ফেট্টি বাঁধা একদল লোক চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট এলাকায় জিরো পেয়েন্টে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার পাশে একটি গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করছে। তার জেরেই দায়ের হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা। কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেন, “ওই গেরুয়া পতাকা তোলার সঙ্গে সনাতনী সংগঠনগুলির কোনও সম্পর্ক ছিল না। ঘটনাটি লালদিঘির প্রতিবাদস্থল থেকে ২ কিমি দূরে ঘটেছিল।” তিনি বলেন, “আমি কোনওভাবেই ওই মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। ঘটনাটার সময় আমি স্থানীয় বিএনপি অফিসে ছিলাম।”

    মামলা প্রত্যাহারের দাবি

    চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধাম বাংলাদেশে হিন্দুদের দুটি পবিত্র তীর্থস্থানের একটি। কৃষ্ণ দাস সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্রও। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা ৩১ অক্টোবর রাতে দায়ের করেন বিএনপি-র এক স্থানীয় নেতা। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না। আমি শুনেছি যে আমায় গ্রেফতার করা হবে। তবে সারা বাংলাদেশে প্রতিবাদ আন্দোলন চলায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হচ্ছে। তাই গ্রেফতারিটা বিলম্বিত হতে পারে (Bangladesh Crisis)।”

    ত্রুটিপূর্ণ মামলা

    বাংলাদেশের এই হিন্দু নেতার মতে, মামলাটি অনেক দিক থেকেই ত্রুটিপূর্ণ। তিনি বলেন, “প্রথমত, যে পতাকাটিকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বলা হচ্ছে, তাতে চার কোণায় চারটি চাঁদ ও তারা আঁকা রয়েছে। এটি একটি ইসলামপন্থী পতাকা। দ্বিতীয়ত, যেটিকে জাতীয় পতাকা বলা হচ্ছে, তা পতাকা উত্তোলন সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘন করেই ওড়ানো হয়েছিল। তৃতীয়ত, গেরুয়া পতাকাগুলি আলাদা খুঁটিতে উত্তোলন করা হয়েছিল।” বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠনগুলির অভিযোগ, সমাবেশে ব্যাপক ভিড় দেখেই প্রশাসনের একাংশ ও উগ্র ইসলামপন্থী দলগুলি অপপ্রচার শুরু করে। কৃষ্ণ দাস বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দু সংগঠনগুলি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে।”

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে সরব হয়েছেন ট্রাম্পও। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, “বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য (Sedition Case) সংখ্যালঘুদের ওপর গণহিংসা ও লুটপাটের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। পুরো দেশটি এক ধরনের বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • UPI: এক মাসে ১৬০০ কোটি লেনদেন! অক্টোবরে নতুন রেকর্ড গড়ল ইউপিআই

    UPI: এক মাসে ১৬০০ কোটি লেনদেন! অক্টোবরে নতুন রেকর্ড গড়ল ইউপিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইউপিআই (UPI) গত অক্টোবরে মাসে ১৬০০ কোটি সংখ্যক লেনদেন করেছে। নবরাত্রি থেকে দীপাবলি পর্যন্ত এই উৎসবের মরসুমে (Festive Season) ডিজিটাল টাকা লেনদেনের সাহায্যে নতুন রেকর্ড স্থাপিত হয়েছে। এই রেকর্ড ভারতীয় অর্থ ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত ভালো খবর। এর ফলে, পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ থেকে তৃতীয় বৃহত্তম হওয়ার দিকের যাত্রা আরও সহজ হবে ভারতের বলে মনে করছেন দেশের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকরা।

    সেপ্টেম্বরে ১৫০০ কোটি লেনদেনের রেকর্ড ছিল

    ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এনপিসিআই) সূত্রে জানা গিয়েছে, অক্টোবর মাসে ১৬৫৮ কোটি ইউপিয়াই (UPI) লেনদেনের রেকর্ডকে স্পর্শ করেছে। যা গত বছরের অক্টোবর মাসের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেশি। এত সংখ্যক লেনেদেনের মাধ্যমে মোট ২৩৫ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে ইউপিআই-তে। যা গত বছরের অক্টোবর মাসের তুলনায় ৩৪ শতাংশের বেশি। উল্লেখ্য ঠিক আগের মাস সেপ্টেম্বরে ১৫০০ কোটি লেনদেনের ল্যান্ডমার্ক অতিক্রম করেছিল ইউপিআই। ওই সময়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০ কোটি করে লেনদেন হয়েছিল। কিন্তু অক্টোবরে এই সংখ্যা পৌঁছে যায় ৫৩ কোটি ৩ লক্ষে। একই ভাবে ধনতেরাসের দিন তা পৌঁছে গিয়েছিল ৫৪ কোটি ৬ লক্ষে। এক দিনের ইউপিআই-এর লেনদেনে বিরাট রেকর্ড স্পর্শ করেছে। নিঃসন্দেহ ভারতীয় অর্থনীতিতে এই রেকর্ড বিশেষ সাফল্য।

    আরও পড়ুন: ভোর ও রাতে ঠান্ডার আমেজ! আগামী সপ্তাহেই কমতে পারে তাপমাত্রা

    ভারতীয় ব্যাঙ্কের একটা ইকো সিস্টেম কার্যকর হয়েছে

    এনপিসিআই-র অধীনে পরিচালিত অন্যান্য পেমেন্ট মোডগুলির মধ্যে স্বয়ংক্রিয় একটি পেমেন্ট সিস্টেম ফাস্টট্যাগ মারফৎ ৩৪ কোটি ৫ লক্ষ লেনদেন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এটা গত বছরের তুলনায় ৮ শতাংশর বেশি। অপর দিকে তাৎক্ষণিক অর্থপ্রদান পরিষেবায় বা আইএমপিএস, ব্যাঙ্ক-ভিত্তিক খুচরা তহবিল স্থানান্তর ব্যবস্থা আইএমপিএস, ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৪৬ কোটি ৭ লক্ষ লেনদেন করেছে। তবে সেপ্টেম্বরে রেকর্ড করা ইউপিআই (UPI) লেনদেনের সংখ্যা ছিল ৪৩ কোটির বেশি। এই ইউপিআই দেশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে টাকা লেনদেন করার জন্য অত্যন্ত সহজলভ্য মাধ্যম হয়ে গিয়েছে। এই গোটা পদ্ধতির মধ্যে ভারতীয় ব্যাঙ্কের একটা ইকো সিস্টেম কার্যকর হয়েছে। উৎসবের মাসে (Festive Season) কোনও রকম জালিয়াতি ছাড়াই এই ধরনের লেনদেন, স্বল্প সময়ে ডিজিটেল লেনদেনকে আরও সম্প্রসারিত করেছে।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Govardhan Puja: আজ দেশজুড়ে ভক্তরা মেতে উঠেছেন গোবর্ধন পুজোয়, জানুন এর মাহাত্ম্য

    Govardhan Puja: আজ দেশজুড়ে ভক্তরা মেতে উঠেছেন গোবর্ধন পুজোয়, জানুন এর মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলি ও কালীপুজোর পর্ব মিটে যেতেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মেতে উঠেছেন গোবর্ধন পুজোয় (Govardhan Puja)। আজ শনিবার ২ নভেম্বর সারা দেশ জুড়ে মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে গোবর্ধন পুজো। এই উৎসবে সাধারণত কৃষ্ণভক্তরা অংশগ্রহণ করেন এবং এই দিনে তাঁরা ভগবানের উদ্দেশে বিশেষ প্রার্থনাও করেন। গোবর্ধন পুজোর দিনে অনেকে বাড়িতে গোবর থেকে গোবর্ধন (Govardhan Puja) পাহাড়ের মূর্তিও তৈরি করেন এবং ভগবান কৃষ্ণের জন্য বিশেষ পুজো করা হয়। এই দিনেই নতুন ফসল থেকে অন্নকূটও দেওয়া হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই পুজোয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ (Lord Krishna) প্রসন্ন হন এবং তাঁর আশীর্বাদে ঘরে কখনও খাবারের অভাব হয় না।

    গোবর্ধন পুজোর (Govardhan Puja) পৌরাণিক আখ্যান

    মনে করা হয়, বিশেষ এই তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পুজো করলে তাঁর আশীর্বাদপ্রাপ্ত হন ভক্তরা। মথুরা-বৃন্দাবন সহ উত্তর ভারতে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় গোবর্ধন পুজো। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথিতেই এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, দীপাবলির ঠিক পরের দিনে গিরি গোবর্ধনকে তাঁর আঙুলের ডগায় তুলেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং সেই গোবর্ধন পাহাড়ের নিচেই আশ্রয় নিয়েছিলেন বৃন্দাবনের সকল মানুষ। পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী, তারপর থেকেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে গোবর্ধন পুজো। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, দেবরাজ ইন্দ্রের পুজো করতেন বৃন্দাবনবাসী। ভালো বর্ষা ও উৎকৃষ্ট মানের ফসলের আশাতেই চলত এই পুজো। বৃন্দাবনবাসীরা ছিলেন অত্যন্ত গরিব, তাই দেবরাজ ইন্দ্রের পুজোর জন্য তাঁকে বিপুল পরিমাণ ভোগ নিবেদন করতে হত, যা শ্রীকৃষ্ণের পছন্দ হয়নি। শ্রীকৃষ্ণ মনে করতেন, সেই ভোগ ইন্দ্রকে না দিয়ে বৃন্দাবনের গরিবদের খাওয়ানো উচিত। এর পরবর্তীকালে শ্রীকৃষ্ণের কথা মেনে নেন বৃন্দাবনবাসী এবং ইন্দ্রের পুজো না করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। তখনই দেবরাজ ইন্দ্র প্রচন্ড ক্ হন বৃন্দাবনবাসীর ওপর। এরপরেই বৃন্দাবনের সাধারণ মানুষের ওপর রেগে গিয়ে প্রবল বৃষ্টি নামান দেবরাজ ইন্দ্র। বৃষ্টিতে বৃন্দাবন তখন ভেসে যাচ্ছে, তখন একথা জানতে পেরে বৃন্দাবনবাসীকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। নিজের আঙুলের ডগায় গোবর্ধন পাহাড়কে অনায়াসে তুলে ফেলেন তিনি। বৃষ্টির হাত থেকে বৃন্দাবনবাসী বাঁচতে গোবর্ধন পাহাড়ের নিচে আশ্রয় নেয়। এরপরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে প্রবল বৃষ্টি বন্ধ করেন দেবরাজ ইন্দ্র।

    পালিত হয় অন্নকূট উৎসবও

    দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই দিনটিতে অন্নকূট উৎসবও পালন করতে দেখা যায় অনেককে। এই দিনে, প্রত্যেকে তাঁদের বাড়ি থেকে চাল, ডাল, শাকসবজি এবং অন্যান্য খাবারের মতো বিভিন্ন ধরনের খাবার সংগ্রহ করে এবং এক জায়গায় রাখেন ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে (Lord Krishna) অর্পণ করে। এর সঙ্গে, ভগবানকে ৫৬ ভোগের একটি বিশেষ নৈবেদ্যও দেওয়া হয়। ৫৬ ভোগ মানে দিনের ৮ ঘণ্টা অনুসারে প্রতি ঘন্টায় ৭ প্রকারের খাবার ভগবানকে নিবেদন করা হয়। এই নৈবেদ্য ভগবান কৃষ্ণের (Govardhan Puja) প্রতি ভালোবাসা এবং উৎসর্গের প্রতীক। কলকাতার বহু মন্দির ও পরিবারেও অন্নকূট উৎসব পালিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় উৎসব হয় বাগবাজারের মদনমোহন মন্দিরে। সেখানে ১১৫ রকমের রান্না করা, ১২০ রকমের মিষ্টির ভোগ অর্পণ করা হয়ে থাকে। মোচা, থোড়, কুমড়ো এসব তো থাকেই, এর পাশাপাশি ফুচকা, আইসক্রিমও অর্পণ করেন অনেকে। আসলে, গোবর্ধন পুজোর দিনে যে অন্নকূট উৎসব হয় তা হল সম্পদ এবং প্রাচুর্যের প্রতীক। মনে করা হয়, এই দিন অন্নকূট উৎসব পালন করলে কোনও অভাব থাকে না।

    জ্যোতিষশাস্ত্রেও উল্লেখযোগ্য দিন

    গোবর্ধন পুজোর (Govardhan Puja) এই বিশেষ দিনটি জ্যোতিষ শাস্ত্রেও অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হয়। এই বিশেষ দিনে কিছু কাজ করা হলে সৌভাগ্য আসতে পারে বলেই ধারণা অনেকের। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, গোবর্ধন পুজোর দিন, গরুকে স্নান করিয়ে দেওয়ার পরে তিলক লাগিয়ে, ৭ বার প্রদক্ষিণ করলে অর্থভাগ্য ফিরে যায়।

    গোবর্ধন পুজোর তাৎপর্য

    গোবর্ধন পুজোতে ভারতীয় সভ্যতা ও পরম্পরার প্রতিফলনও দেখা যায়।

    প্রকৃতিকে শ্রদ্ধা: গোবর্ধন পুজোর দিনটি আমাদের প্রকৃতিমাতাকে শ্রদ্ধা করতে শেখায়। প্রকৃতির ভরপুর সংস্থানকেও পুজো করতে শেখায়। তার কারণ, পাহাড়, নদী, অরণ্য অথবা মাঠ এগুলি থেকে আমাদের প্রতিদিনকার খাদ্য, পানীয় ও এবং বাসস্থানের বন্দোবস্ত হয়। তাই বর্তমান যুগে গোবর্ধন পুজোর মাধ্যমে প্রকৃতিদেবীকে রক্ষা করারও একটি বার্তা দেওয়া হয়।

    ভগবানে বিশ্বাস:  গোবর্ধন পুজো, আমাদেরকে শেখায় যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ওপর বিশ্বাস রাখা ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, বৃন্দাবনের সাধারণ মানুষ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ওপরে ভরপুর ভরসা করেছিল, ইন্দ্রদেবের ক্রোধ থেকে বাঁচতে। পরে ভগবানের আশীর্বাদেই বৃন্দাবনে নাগরিকরা সুরক্ষিত হন।

    অহঙ্কার না করা: গোবর্ধন পুজো আমাদের অহঙ্কার না করতে শেখায়। নিজের ক্ষমতার দম্ভে বৃন্দাবনবাসীর ওপরে প্রয়োগ করেছিলেন দেবরাজ ইন্দ্র এবং এর মাধ্যমেই তিনি বৃন্দাবনবাসীর ওপর বদলা নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ইন্দ্রের সেই দর্পকে চূর্ণ করেন। আমাদের সর্বদাই মনে রাখতে হবে, অহঙ্কার এবং দম্ভ বিনাশের কারণ হয়।

    গোবর্ধন পাহাড়ের চারিপাশে ভক্তদেরকে হাঁটতে দেখা যায়

    গোবর্ধন পুজো সারা দেশজুড়ে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। মথুরা এবং বৃন্দাবনে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল এই উৎসব। এই দিন কৃষ্ণভক্তরা বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের পালন করে থাকেন। গোবর্ধন পাহাড়ের চারিপাশে ভক্তদেরকে হাঁটতে দেখা যায়। সেখানেই তাঁরা প্রার্থনা জানান ও মন্ত্র পাঠ করেন ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করেন। এর মাধ্যমে প্রতিফলিত হয় প্রকৃতি এবং আধ্যাত্মিকতার প্রতি তাদের সমর্পণভাব।

    এই দিন গো মাতারও পুজো করেন অনেকে

    হিন্দু ধর্মে গরুর এক আলাদা মর্যাদা রয়েছে। গোবর্ধন পুজো হল সেই দিন, যেদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা গরুকে পুজো করে। বিভিন্ন গ্রাম এবং গ্রামীণ অঞ্চলগুলিতে এদিন গরুকে স্নান করানো হয়। ফুল দিয়ে পুজো করা হয়। গরুকে বিশেষ খাবার খেতে দেওয়া হয়। এই আচার অনুষ্ঠানই প্রতিফলিত করে যে ভারতীয় সভ্যতা,সংস্কৃতি ও কৃষিক্ষেত্রে গরু ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

    মহারাষ্ট্রে বর্ষগণনা শুরু হয়

    অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে গোবর্ধন পুজো বালি প্রতিপদ নামে পরিচিত। এই দিনে সেখানে নতুন বছরেরও সূচনা হয় বলে মনে করা হয়। মারাঠীরা তাঁদের স্ত্রীদের বিশেষ উপহার প্রদান করেন এই বিশেষ দিনে। দম্পতিরা নিজেদের সমৃদ্ধি ও সুখী জীবনের জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেন।

    গুজরাতের গোবর্ধন পুজো

    গুজরাতে গোবর্ধন পুজোর বিশেষ স্থান রয়েছে। এই দিনেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে বিশেষ ভোগ অর্পণ করেন গুজরাতিরা এবং নানারকমের আধ্যাত্মিক ও ভক্তিগীতিতে ভরে ওঠে কৃষ্ণ মন্দিরগুলি। বিশেষ কিছু অঞ্চলে মাটির তৈরি গোবর্ধন পাহাড়ের প্রতিকৃতি তৈরি করা হয় এবং তা পুজো করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ratna Bhandar: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডারে কোনও গোপন সুড়ঙ্গ নেই, জানালেন ওড়িশার আইনমন্ত্রী

    Ratna Bhandar: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডারে কোনও গোপন সুড়ঙ্গ নেই, জানালেন ওড়িশার আইনমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডারে (Ratna Bhandar) কোনও গোপন সুড়ঙ্গ বা চেম্বার নেই। শুক্রবার ঠিক এই কথাই জানালেন ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন। উল্লেখ্য, দ্বাদশ শতকে নির্মিত জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডারের মধ্যে সুড়ঙ্গ নিয়ে রহস্যের জট বেঁধেছিল। এবার তার সমাধান সূত্র পাওয়া গেল।

    শীঘ্রই সমীক্ষার প্রতিবেদন প্রকাশ হবে (Ratna Bhandar)

    দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডারকে (Ratna Bhandar) ঘিরে ওড়িশায় লোকমুখে নানা গল্প-গুজব তৈরি হয়েছে। এই বিষয়ে সঠিক সমাধানের জন্য ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের (এএসআই) পক্ষ থেকে সমীক্ষা করা হয়। সংস্থার পক্ষ থেকে একটি লেজার স্ক্যানিং করা হয়। লোক মুখে গুজব ছিল যে, ওই জায়গায় সুড়ঙ্গের মধ্যে প্রচুর ধনরত্ন সঞ্চয় করা আছে। এই সব তথ্যকে নস্যাৎ করে দিয়েছে এএসআই। আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন জানান এই বিষয়ে একটি চূড়ান্ত এবং বিশদ মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে শীঘ্রই সমীক্ষার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

    লেজার স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে ফাটল দেখা গিয়েছে

    আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন বিতর্কিত রত্ন ভান্ডার (Ratna Bhandar) নিয়ে এএসআই-এর চলা সমীক্ষার উপর বিশেষ বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ নিয়ে দ্রুত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই সমীক্ষা এবং অনুসন্ধান চালিয়ে স্পষ্ট জানা গিয়েছে যে, ভিতরে কোনও রকম সুড়ঙ্গের অস্তিত্ব নেই। তবে লেজার স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে ভিতরে অনেক ফাটলের চিত্র ধরা পড়েছে। এই সব বিষয়গুলিকে দ্রুত ঠিকঠাক করা হবে। এই রত্ন ভান্ডারের ভিতর বাইরে ক্ষয়ক্ষতির জায়গায়গুলিকে দ্রুত মেরামত করা হবে। এই গর্ভের ভিতরে থাকা মূল্যবান রত্ন, ধন এবং সামগ্রীর দ্রুত গণনার কাজ শুরু হবে। তবে গণনার সময় লক্ষ লক্ষ জগন্নাথ ভক্তের আস্থা এবং বিশ্বাসে যেন আঘাত না পড়ে, সেই দিকগুলিও নজরে রাখা হবে। মন্দিরের পবিত্রতা এবং সম্মানকে সামনে রেখে গোটা প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা রাখা হবে। এই কার্তিক মাস পবিত্র মাস, এই মাসে ভগবানকে দর্শন করার জন্য প্রচুর ভক্তদের ভিড় মন্দির চত্বরে দেখা যায়। তাই আপাতত মেরামতের কাজ স্থগিত রয়েছে। আগামী জানুয়ারি থেকে একই কাজ শুরু হবে।”

    আরও পড়ুনঃ জঙ্গিদের গুলিতে কাশ্মীরে আহত উত্তরপ্রদেশের দুই পরিযায়ী শ্রমিক

    রথ যাত্রার পর থেকে সমীক্ষা শুরু

    উল্লেখ্য রত্ন ভান্ডার (Ratna Bhandar) নিয়ে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে। তাঁদের কাজ হবে রত্ন ভান্ডার মেরমতের কাজ দেখা, রত্ন, অলঙ্কার সহ মূল্যবান সম্পদের হিসেব রাখা। হিসেব করে রীতিমতো একটি সম্পূর্ণ তালিকা প্রস্তুত করা হবে। গত রথযাত্রা উৎসবের পর থেকে এই কাজ শুরু হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ের সমীক্ষার কাজটি গত ১৮ সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে। সমীক্ষার দ্বিতীয় পর্যায় গত ২২ সেপ্টেম্বরের থেকে শুরু হয়েছে এবং এখনও তা প্রবাহমান। এই পর্যায়ের কাজ, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আনন্দ কুমার পাণ্ডের নেতৃত্বে ন্যাশনাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এনজিআরআই) দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chess World Record: বয়স সবে সাড়ে তিন! দাবায় বিশ্বরেকর্ড বিস্ময় প্রতিভা কলকাতার অনীশের

    Chess World Record: বয়স সবে সাড়ে তিন! দাবায় বিশ্বরেকর্ড বিস্ময় প্রতিভা কলকাতার অনীশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স সবে সাড়ে তিন পেরিয়েছে। তারই মধ্যে সাদা-কালো খোপে দাপট দেখাতে শুরু করেছে কৈখালির ছোট্ট অনীশ। কনিষ্ঠতম দাবাড়ু হিসাবে ফিডে রেটিং (Chess World Record) পেল বাংলার খুদে অনীশ সরকার। ভেঙে দিল ভারতেরই তেজস তিওয়ারির রেকর্ড। গ্র্যান্ডমাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়ার ছাত্র অনীশ সরকার। এন্টালির সেন্ট জেমস স্কুলের লোয়ার নার্সারির এই পড়ুয়া। অঙ্কই তার ধ্যান-জ্ঞান। দাবার বোর্ড তার স্বপ্ন। ৩ বছরের জন্মদিনে মামা তাকে ভালবেসে দাবা উপহার দিয়েছিল। সেই দাবাই বদলে দিল ছোট মনের কল্পনা।

    কোন পথে বিশ্ব রেকর্ড

    দাবার (Chess World Record) বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, ফিডে রেটিং অর্জন করতে হলে কোনও ফিডে রেটিং প্রাপ্ত দাবাড়ুকে হারিয়ে এক পয়েন্ট পেতে হবে। তার জন্য সর্বোচ্চ ২৬ মাস সময় দেওয়া হবে, পাঁচজন দাবাড়ুর বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে অক্টোবর মাসে তিনজনের বিরুদ্ধে খেলেই সেই লক্ষ্য পূরণ করে ফেলেছে সাড়ে তিন বছর বয়সি অনীশ। গত মাসে রাজ্য স্তরের অনূর্ধ্ব ৯ এবং অনূর্ধ্ব ১৩ দুটি বিভাগের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল অনীশ। অনূর্ধ্ব ১৩ বিভাগে একটিও ম্যাচে জিততে পারেনি সে। অনূর্ধ্ব ৯ বিভাগে খেলতে নেমেও প্রথম ম্যাচে হারতে হয়। তবে সেখান থেকে দুরন্ত কামব্যাক খুদে অনীশের। পরপর দুই ম্যাচে ফিডে রেটিংপ্রাপ্ত দাবাড়ুকে চেকমেট করে সকলকে চমকে দেয় বাংলার দাবাড়ু। দুই পয়েন্ট পেয়ে ফিডে রেটিং অর্জন করা নিশ্চিত করে ফেলে সে। মাসের প্রথম দিনেই প্রকাশিত হয়েছে নভেম্বরের ফিডে রেটিং। দেখা যাচ্ছে, ১৫৫৫ পয়েন্ট রয়েছে অনীশের নামের পাশে। এত কম বয়সে আর কোনও দাবাড়ু ফিডে রেটিং অর্জন করতে পারেনি। সর্বকনিষ্ঠ হিসাবে ফিডে রেটিং পাওয়ার বিশ্বরেকর্ড এতদিন ছিল ভারতেরই তেজস তিওয়ারির দখলে। গত বছরই মাত্র পাঁচ বছর বয়সে ফিডে রেটিং অর্জন করেছিল সে।

    কোচের আশা

    ছাত্রের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাংলার গ্র্যান্ডমাস্টার (Chess World Record) দিব্যেন্দু বড়ুয়া। প্রথমে নিজের অ্যাকাডেমিতে অনীশকে নিতেই চাননি দিব্যেন্দু। কারণ ৫ বছরের আগে তাঁর অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হয় না। কিন্তু বারবার গুরুর পরীক্ষায় সফল হয় ছোট্ট অনীশ। দিব্যেন্দু বাধ্য হন তাকে সুযোগ দিতে। এখন অ্যাকাডেমিতেই দিনের ৭-৮ ঘণ্টা কাটে অনীশের। দিব্যেন্দু বললেন, “প্রথম দিন আমি পরীক্ষা নিয়েছিলাম, এখন সেই ছেলে আমাকে বিভিন্ন ঘুঁটি সাজিয়ে দিয়ে পরীক্ষা নেয়।” দিব্যেন্দু বললেন, “ও বিস্ময় বালক। মাত্র ক’মাস হয়েছে খেলছে। তাতেই বুঝিয়ে দিচ্ছে ও কতটা প্রতিভাধর। তবে ফিডে রেটিং পাওয়াটাই তো সব নয়। এখন অনেকটা পথ যাওয়া বাকি। অনীশ সেটা পারবে। ওর শেখার ইচ্ছা আছে। এখন ও জানতে চায় বিভিন্ন জিনিস। শিখতে চায়। আমাকে জিজ্ঞেস করে দাবা খেলার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন শব্দের মানে। ও হয়তো এখনই সবটা বোঝে না। কিন্তু বোঝার ইচ্ছেটা রয়েছে পুরো। দিনে সাত-আট ঘণ্টা অ্যাকাডেমিতে কাটায়। খেলা ছেড়ে উঠতে চায় না। আমি মাঝেমাঝে বাড়িতেও ডেকে নিই। আশা করছি আরও অনেক সাফল্য পাবে অনীশ।”

    আরও পড়ুন: ‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা’, জেনে নিন রবিবার ভাইকে টিকা পরানোর শুভ সময়

    গর্বিত মা-বাবা

    অনীশ এতই ছোট যে চেয়ার বসে ঘুঁটিতে হাত পায় না। চেয়ারের উপর হাঁটু মুড়ে বসে দাবা খেলতে হয়। উচ্চতা কম হলেও ইতিমধ্যেই আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু হয়ে গিয়েছে তাকে নিয়ে। মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম অনীশের। বাবা স্কুলে অঙ্কের শিক্ষক। মা গৃহবধূ। অনীশকে নিয়েই সময় কাটে মায়ের। নাম প্রকাশ্যে আনতে অনিচ্ছুক তাঁরা। ছেলের কৃতিত্বে উচ্ছ্বসিত হলেও চান না তাঁদের পরিচয় জানুক সকলে। নেপথ্যে থেকেই ছেলেকে এগিয়ে দিতে চাইছেন তাঁরা। অনীশের মা-এর কথায়, “অন্য কোনও খেলনার থেকে দাবাটাই মনে হয়েছিল বেশি সুরক্ষিত। ও তো খুব ছোট, কোনও কিছু পেলেই মুখে দেওয়া অভ্যেস। দাবার ঘুঁটিগুলো বড়, তাই মুখে দিলেও গিলে ফেলতে পারবে না। সেই কারণেই দাবা নিয়ে বসিয়ে দেওয়া হত ওকে। ইউটিউব দেখে দেখে খেলা শিখত। আমি খেলতে বসলে ওর সঙ্গে পাঁচ দানও খেলতে পারি না। দাবার প্রতি এই ভালবাসা দেখেই দিব্যেন্দু বড়ুয়ার কাছে নিয়ে যাই। ওঁর হাতেই তৈরি হচ্ছে অনীশ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Governor CV Bose: জনগণের দরজায় যাবেন রাজ্যপাল, চালু হল ‘আপনা ভারত, জাগতা বেঙ্গল’ কর্মসূচি

    Governor CV Bose: জনগণের দরজায় যাবেন রাজ্যপাল, চালু হল ‘আপনা ভারত, জাগতা বেঙ্গল’ কর্মসূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল (Governor CV Bose) চালু করলেন ‘আপনা ভারত, জাগতা বেঙ্গল’ (Apna Bharat Jagta Bengal) কর্মসূচি। এর মাধ্যমে সাধারণ জনগণের সমস্যার সমাধান করতে উদ্যোগ নেবে রাজভবন। জানা গিয়েছে, আগামী ২৩ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদে দু’বছর পূর্ণ করবেন সিভি আনন্দ বোস। সেই উপলক্ষে একমাসব্যাপী রাজভবনের পক্ষ থেকে ‘আপনা ভারত, জাগতা বেঙ্গল’ কর্মসূচি পালন করা হবে। কর্মসূচি শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর থেকে। এনিয়ে রাজ্যপাল (Governor C V Bose) সিভি বোস বলেন, “মানুষ নিজের সমস্যার সম্পর্কে আমাকে জানাবেন। সেই কারণেই মানুষের পাশে যাচ্ছি, মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছি। আমি অন্য কারও কোনও প্রকল্পের কপি করছি না।”

    ‘‘বাংলার মানুষের কাছ থেকে আমরা অনেক ভালোবাসা পেয়েছি’’

    একইসঙ্গে রাজ্যপাল (Governor CV Bose) আরও বলেন, “আমার এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই।” তিনি আরও বলেন, “শেষ দু’বছরে বাংলার মানুষের কাছ থেকে আমরা অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। আমি অনেক কিছু শিখেছি। কিন্তু দিতে পেরেছি অল্প। আমার যতটুকু করার ছিল, তার তুলনায় অল্প করেছি। এটা আমাকে আরও অনেক কিছু করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। আমাকে অনেক প্রতিকূল অবস্থার মুখোমুখি হওয়ার শিক্ষাও দিয়েছে।”

    ‘আপনা ভারত, জাগতা বেঙ্গল’ (Apna Bharat Jagta Bengal) কর্মসূচি –

    ১) এই কর্মসূচির মাধ্যমে ‘আপনা ভারত, জাগতা বেঙ্গল’ কর্মসূচির অধীন রাজ্যের মোট ২৫০টি স্থান পরিদর্শন করবেন রাজ্যপাল (Governor CV Bose)।

    ২) রাজ্যের পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলি পরিদর্শন করবেন রাজ্যপাল (Governor CV Bose) এবং সেইসব এলাকার হতদরিদ্র মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যাবেন তিনি।

    ৩) কর্মসূচির অধীনে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন কলেজ এবং স্কুল ক্যাম্পাসগুলি পরিদর্শন করবেন রাজ্যপাল বোস।

    ৪) এই কর্মসূচির মাধ্যমে যে কোনও জনতা বা বাসিন্দা চাইলেই রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। রাজ্যপাল তাঁর কথা শুনবেন।

    ৫) চালু হবে রাজ্যপালের গোল্ডেন গ্রুপ।

    ৬) চালু হবে রাজ্যপালের স্কলারশিপ প্রকল্প।

    ৭) চালু হবে রাজ্যপালের অ্যাওয়ার্ড স্কিম।

    ৮) এই কর্মসূচিতে ‘অভয়া প্লাস’ নামে কেবলমাত্র মেয়েদের জন্য একটি কোর্স চালু করা হয়েছে। এখানে মেয়েদের আত্মরক্ষার পাঠ পড়ানো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share