Tag: Madhyom

Madhyom

  • Bhai Phota 2024: ভাইফোঁটা নিয়ে রয়েছে নানান পৌরাণিক আখ্যান, জানেন সেই গল্প?

    Bhai Phota 2024: ভাইফোঁটা নিয়ে রয়েছে নানান পৌরাণিক আখ্যান, জানেন সেই গল্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাইফোঁটা (Bhai Phota 2024) বাঙালিদের চিরকালীন সম্প্রীতির উত্‍সব। বাঙালির ঘরে ঘরে ভাই-বোনদের ভিতর এই মিষ্টি-মধুর মঙ্গলময় উৎসব, যার নাম ভাইফোঁটা, সেটিকেই মহারাষ্ট্র, গুজরাটের মতো পশ্চিম ভারতে বলা হয় ভাইদুজ। আবার কর্ণাটক, গোয়ায় ভাইফোঁটাকে বলে ভাইবিজ। উত্তরবঙ্গেই ভাইফোঁটাকে বলে ভাইটিকা। হিন্দুদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই উত্‍সব ঘিরে রয়েছে নানান পৌরাণিক কাহিনী।  

    যম-যমুনার গল্প

    কথিত, সূর্য ও তাঁর স্ত্রী সংজ্ঞার ছিল যমুনা নামে এক কন্যা ও যম নামে এক পুত্র। পুত্র ও কন্যা সন্তানের জন্মদানের পর সূর্যের উত্তাপ স্ত্রী সহ্য করতে না পেরে প্রতিলিপি ছায়ার কাছে রেখে চলে যান। সংজ্ঞার প্রতিরূপ হওয়ায় কেউ ছায়াকে চিনতে পারে না। ছায়ার কাছে ওই দুই সন্তান কখনও মায়ের মমতা, ভালবাসা পায়নি। দিনের পর দিন ধরে অত্যাচার করতে থাকে। অন্য দিকে, সংজ্ঞার প্রতিলিপি ছায়াকে বুঝতে না পেরে সূর্যদেবও কোনও দিন কিছু বলেননি। ছায়ার ছলে স্বর্গরাজ্য থেকে বিতাড়িত হন যমুনা। এক সময় যমুনার বিয়েও হয়। বিয়ে হয়ে যমের থেকে অনেক দূরে সংসার করতেন যমুনা। দীর্ঘ কাল ধরে দিদিকে দেখতে না পেয়ে মন কাঁদে যমের। মন শান্ত করতে এক দিন দিদির বাড়ি চলে যান যমরাজ। প্রিয় ভাইয়ের আগমনে হাসি ফোটে দিদির মুখেও। দিদির আতিথেয়তা ও স্নেহে মুগ্ধ হয়ে ফেরত যাওয়ার সময় যম একটি বর চাইতে বলেন যমুনাকে। তখন যমুনা বলেছিলেন, এই দিনটি ভাইদের মঙ্গল কামনা চেয়ে প্রত্যেক বোন যেন ভ্রাতৃদ্বিতীয়া হিসেবে পালন করে। সেই বর দান করে যম পিতৃগৃহে চলে যান। যমের মঙ্গল কামনায় এ দিনটি পালন করায় যমরাজ অমরত্ব লাভ করেন। 

    কৃষ্ণ-সুভদ্রার কাহিনী

    আরও এক পৌরাণিক কাহিনিতে বলা হয়েছে, একসময় বালির হাতে পাতালে বন্দি ছিলেন বিষ্ণু। সেইকারণে চরম বিপদের মুখে পড়লেন স্বর্গের সব দেবতারা। কোনও ভাবেই যখন বিষ্ণুকে উদ্ধার করা যাচ্ছে না, ঠিক সেই সময় লক্ষ্মীর উপর সকলে ভরসা করতে শুরু করেন। নারায়ণকে উদ্ধার করা জন্য় লক্ষমী বালিকে ভাই পাতিয়ে ফেলেন। তাকে ফোঁটাও দেন লক্ষ্মী। সেই দিনটি ছিল কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয় তিথি। ফোঁটা পেয়ে লক্ষ্মীকে উপহার দিতে চাইলে লক্ষ্মী তখন বিষ্ণুর মুক্তি চেয়ে উপহার চেয়ে নেন। ভাইফোঁটা নিয়ে কৃষ্ণ ও সুভদ্রার উপাখ্যানও শোনা যায়। কথিত রয়েছে, ধনত্রয়োদশীর পরের দিন চতুর্দশী তিথিতে নরকাসুরকে বধ করেন কৃষ্ণ। তারপর দ্বারকায় ফিরে আসলে বোন সুভদ্রার আনন্দের সীমা থাকে না। কৃষ্ণের আদরের বোন হল সুভদ্রা। কৃষ্ণকে অনেকদিন পর দেখতে পেয়ে তার কপালে বিজয়তিলক পরিয়ে দেন। কপালে ফোঁটা দিয়ে দাদাকে মিষ্টিও খেতে দেন। সেই থেকে নাকি ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে ভাইফোঁটা উত্‍সব পালন করা হয়।

    আরও পড়ুন: নদিয়ার মাজদিয়ার ১১২ বছরের ‘ডাকাতে কালী’র কাহিনি আজও যেন গায়ে কাঁটা দেয়!

    জৈন ধর্মের কাহিনী

    চতুর্দশ শতাব্দীর পুথি অনুসারে, জৈন ধর্মের অন্যতম প্রচারক মহাবীর বর্ধমানের মহাপ্রয়াণের পরে তাঁর অন্যতম সঙ্গী রাজা নন্দীবর্ধন মানসিক এবং শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েন। সেই সময়ে তাঁর বোন অনসূয়া নন্দীবর্ধনকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে। সেখানে অনেক প্রার্থনার পরে নন্দীবর্ধন বোনের কাছে অনশন ভঙ্গ করেন। এই কাহিনি সত্যি হলে ভাইফোঁটা উৎসবের (Bhai Phota 2024) বয়স আড়াই হাজার বছরের বেশি। কারণ, মহাবীরের প্রয়াণে হয়েছিলেন ৫২৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। ছোট-বড় এরকম নানা গল্প কহিনীকে মনে রেখে কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে, কালীপুজোর পরের পরের দিন ভাইফোঁটা উৎসবটি পালিত হয়। এদিন বোনেরা ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় উপবাস রেখে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • iPhone 16: ‘আইফোন ১৬’র বিক্রি ছাপিয়ে গিয়েছে ১৫কে, রাজস্বে সর্বকালের রেকর্ড করল অ্যাপল

    iPhone 16: ‘আইফোন ১৬’র বিক্রি ছাপিয়ে গিয়েছে ১৫কে, রাজস্বে সর্বকালের রেকর্ড করল অ্যাপল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইফোন (iPhone 16) ১৫কে ছাপিয়ে গিয়েছে আইফোন ১৬র বিক্রি। ভারতে অ্যাপল ফোন বিক্রির রাজস্ব সর্বকালের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে সিইও কুক চারটি নতুন স্টোরের কথা ঘোষণা করেছেন এবং এই সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। ফলে আইফোনের বাজারে চিনের তুলনায় অনেক এগিয়ে গেল ভারত। ভারতে আইফোনের এই সাফল্যে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    সর্বকালের রাজস্ব রেকর্ড (iPhone 16)

    অ্যাপল সাম্প্রতিক কালে ত্রৈমাসিক বিক্রিতে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্বের কথা ঘোষণা করেছে। বিশ্বব্যাপী আইফোন বিক্রিতে বিশেষ স্থান দখল করেছে তারা। সংস্থার সিইও টিম কুক বলেন, “ভারতে আইফোন (iPhone 16) বিক্রি সর্বকালের উচ্চতায় পৌঁছেছে। আমরা ভারতে যে আগ্রহ দেখছি, তাতে আমরা উৎসাহ পেয়েছি। আমরা সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া তিন মাসের মধ্যেই রাজস্বে সর্বকালের রেকর্ড স্থাপন করেছি। আইফোন অপারেটিং সিস্টেমের চাহিদাও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রাহক এবং কারিগরদের কাছ থেকে অসামান্য প্রতিক্রিয়া এসেছে। আইফোনের বাইরে, অ্যাপলের আইপ্যাডের চাহিদাও ভারতে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিক্রির পরিমাণ দুই অঙ্কের সংখ্যায় পৌঁছে গিয়েছে। অ্যাপল এখন ভারতের বেঙ্গালুরু, পুণে, মুম্বই এবং দিল্লি-এনসিআর-এ চারটি নতুন স্টোর খোলার পরিকল্পনা করেছে। ক্রমেই এখন খুচরো বিক্রির দিকে জোর দেওয়ার চেষ্টা চলছে।”

    আরও পড়ুনঃ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের ১২০ জন পড়ুয়ার উত্তরপত্র উধাও!

    বিক্রি ৯৪.৯ বিলিয়নে পৌঁছে গিয়েছে

    বর্তমানে কেবলমাত্র অ্যাপলের মুম্বই এবং নয়াদিল্লিতে স্টোর রয়েছে। প্রথম স্টোরটি গত বছরের এপ্রিল মাসে মুম্বইয়ের বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্সে খোলা হয়েছিল। তারপরে দিল্লির সিলেক্ট সিটিওয়াকে দ্বিতীয় স্টোরটি খোলা হয়। বিশ্বব্যাপী অ্যাপলের আয় ওয়াল স্ট্রিট অনুমানকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। মোট বিক্রি ৬.১ শতাংশ বেড়ে ৯৪.৯ বিলিয়নে পৌঁছে গিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের প্রত্যাশা ছিল ৯৪.৪ বিলিয়ন, যা তাঁদের প্রত্যাশা ছাপিয়ে গিয়েছে।

    যদিও চিন অ্যাপলের (iPhone 16) বাজারে মন্দার সম্মুখীন হয়েছে। কারণ স্থানীয় প্রতিযোগিতার প্রভাবে রাজস্ব কিছুটা কমে ১৫ বিলিয়ন হয়েছে তাদের। তবে সমস্ত ভৌগোলিক অঞ্চল জুড়ে আইফোনের বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। কুক অবশ্য অন্যান্য পণ্য লাইনে দুর্বল কর্মক্ষমতাকে চিনের পতনের জন্য দায়ী করেছেন। আইফোন ১৬-র প্রাথমিক চাহিদা একই সময়সীমার মধ্যেই গত বছরের আইফোন ১৫র থেকে অনেকটা ছাপিয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • LAC: ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ গলল ৪ বছর পর! পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলদারি শুরু

    LAC: ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ গলল ৪ বছর পর! পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলদারি শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ গলল ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ! চার বছরেরও বেশি সময় পর পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর টহল দেওয়া (Patrolling Begins) শুরু করেছে ভারতীয় ও চিনা সেনারা। ২০২০ সালে গলওয়ানে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট সীমান্ত উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে এটি একটি বড় পদক্ষেপ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    শুরু টহলদারি (LAC)

    বৃহস্পতিবার, দীপাবলি উপলক্ষে মিষ্টি বিনিময়ের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়ে দেপসাং এবং দেমচক এলাকায় সেনারা টহল দেন। মিলিটারি ডিসএনগেজমেন্টের একদিন পর শুরু হয়েছে এই টহলদারি। ২০২০ সালের মে-জুন মাসে প্যাঙ্গং লেক ও গলওয়ান অঞ্চলে সংঘর্ষের পর এই দুই এলাকায় প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে টহল বন্ধ ছিল। ভারত-চিনের সেই সংঘর্ষে শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় সেনা। দুই দেশের সেনাবাহিনী গত সপ্তাহে টহল সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির লক্ষ্য চার বছরেরও বেশি সময় ধরে সীমান্তে চলা উত্তেজনার অবসান ঘটানো। এই বিচ্ছিন্নতা চুক্তির আওতায় ডেপসাং এবং দামচোক থেকে সৈন্য ও পরিকাঠামো অপসারণ করা হয়। এপ্রিলে ২০২০-র আগের অবস্থানে সৈন্যদের প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে।

    দীপাবলি

    দীপাবলি উপলক্ষে, গতকাল পাঁচটি জায়গায় যেমন লাদাখের চুশুল মল্ডো এবং দৌলত বেগ ওল্ডি-তে, সৈন্যরা মিষ্টি বিনিময় করেন। সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনাবাহিনী এখন দেখছে, চিন চুক্তি অনুসারে সত্যিই তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করেছে কি না। ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে প্রতিটি পক্ষের স্থল-স্তরের কমান্ডাররা টহল দেওয়ার আগে একে অপরকে অবহিত করবেন (LAC)। দেপসাং ও দেমচকে উভয় পক্ষই নজরদারির বিকল্পগুলি বজায় রাখতে পারবে।

    আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস! অস্তিত্বের সঙ্কটে হিমাচলি হিন্দুরা, পালটা প্রতিরোধের ডাক

    বৃহস্পতিবারই সেনার তরফে জানানো হয়, দেমচক ও দেপসাংয়ে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকা থেকে সম্পূর্ণভাবে সেনা প্রত্যাহার করেছে দুই দেশ। শুরু হয়েছে স্বাভাবিক নজরদারি। তবে এখনও যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো মেটানোর জন্য নিয়মিত আলোচনায় বসবেন দুই দেশের সেনার কমান্ডার পর্যায়ের আধিকারিকরা। সীমান্ত এলাকায় যাতে কোনও (Patrolling Begins) ভুল বোঝাবুঝি না হয়, তাই সেদিকেও নজর রাখবেন তাঁরা (LAC)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: স্যুটেড অ্যান্ড বুটেড! পাজামা-পাঞ্জাবি ছেড়ে ব্রাজিলে নতুন লুকে সুকান্ত‌ মজুমদার

    Sukanta Majumdar: স্যুটেড অ্যান্ড বুটেড! পাজামা-পাঞ্জাবি ছেড়ে ব্রাজিলে নতুন লুকে সুকান্ত‌ মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্যুট-টাই পরে‌ বিদেশের মাটিতে নতুন রূপে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সুকান্ত মজুমদারের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের পেজে বৃহস্পতিবার এরকম একাধিক ছবি ও ভিডিও সামনে এসেছে। পাজামার সঙ্গে ধবধবে সাদা আবার কখনওবা হরেকরকম পাঞ্জাবির সঙ্গে তাঁর নিত্যসঙ্গী থাকে উত্তরীয়। এই বেশেই তাঁকে দেখতে অভ্যস্ত বাংলার মানুষ। কিন্তু জি২০ সম্মেলনে বিদেশের মাটিতে ভারত সরকারের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে যাওয়া সুকান্ত এখন অন্য সাজে।

    চেনা ছকের বাইরে

    সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) দেখা যাচ্ছে, কখনও ব্রাজিলের ফোর্টালেজায় জি ২০ অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্রগুলির শিক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে সৌদি আরবের শিক্ষামন্ত্রী ইউসুফ আল বেনিয়ার সঙ্গে। আবার কখনও অন্য কারোর সঙ্গে। বৈঠকের পর স্যুট- টাই পরা অবস্থায় একসাথে সকলের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন তিনি। বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে এগিয়ে চলা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির বিষয়গুলির মধ্যে দিয়ে জাতীয় শিক্ষানীতির বিষয় সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বক্তব্য রাখেন সুকান্ত। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার দিন সুকান্ত মজুমদারকে দেখা যায় একেবারে বাঙালি বেশে ধুতি পাঞ্জাবি পরে শপথ নিতে। দিল্লিতে তাঁর দফতর হোক বা বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও পাজামা পাঞ্জাবি‌ পরতেই দেখা যায় সুকান্ত মজুমদারকে। সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে কিম্বা অধ্যাপনা করার সময়‌ শার্ট- প্যান্ট বেশির ভাগ সময় তাঁর পরনে থাকলেও পুরোদস্তুর রাজনীতিতে পা রাখার পর থেকেই পাজামা পাঞ্জাবি আর জহর কোটেই সুকান্ত মজুমদারকে এখন বেশি দেখা যায়।

    ব্রাজিলে (Brazil) অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক স্তরে শিক্ষা মন্ত্রীদের জি২০ বৈঠকে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন বাংলা থেকে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।‌‌ সেখানেই ‘নিউ লুক’ সুকান্তর। ঘনিষ্ঠ মহলে সুকান্ত মজুমদার বার বারই বলে থাকেন‌ যে, সাধারণ বাঙালি বেশেই তিনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তবে পরিস্থিতির কারণে কখনও কখনও নিজেকে ‘পরিবর্তন’ করতেই হয়। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, ‘‘ব্রাজিলের ফোর্টালেজায় অনুষ্ঠিত শিক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি গর্বিত বোধ করছি। বৈঠকে বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে এগিয়ে চলা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির বিষয়গুলির মধ্যে দিয়ে জাতীয় শিক্ষানীতির (NEP) বিষয় সম্পর্কে উপস্থাপন করলাম।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hindus: বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস! অস্তিত্বের সঙ্কটে হিমাচলি হিন্দুরা, পালটা প্রতিরোধের ডাক

    Hindus: বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস! অস্তিত্বের সঙ্কটে হিমাচলি হিন্দুরা, পালটা প্রতিরোধের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্তিত্বের সঙ্কটে হিমাচলপ্রদেশের (Himachal Pradesh) হিন্দুরা (Hindus)! দ্রুত ঝাড়েবংশে বাড়ছে সে রাজ্যের মুসলমানরা। বদলে যাচ্ছে হিমাচলপ্রদেশের জনবিন্যাস। স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগে সে রাজ্যের হিন্দুরা। অগত্যা এক প্রকার বাধ্য হয়েই তাঁরা গড়ে তুলেছেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। সম্প্রতি হিন্দু ধর্ম জাগরণ যাত্রাও করেছিলেন হিমাচলপ্রদেশের হিন্দুরা। তাঁরা সরব হয়েছিলেন রাজ্যে গজিয়ে ওঠা অবৈধ মসজিদ-মাজারের সংখ্যা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে। এলাকায় অবৈধভাবে বসবাসকারী মুসলমানের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ায় উদ্বিগ্ন সে রাজ্যের হিন্দুরা। তাঁরা শুরু করেছেন ‘সেভ হিমাচল’ আন্দোলন। স্থানীয়দের দাবি, তাঁদের এই প্রতিবাদ শুধু অবৈধভাবে গজিয়ে ওঠা মসজিদ-মাজারের বিরুদ্ধে নয়, এটা তাঁদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষার লড়াই, যা তাঁদের পূর্বপুরুষরা সহস্রাব্দ ধরে সুরক্ষিত করেছেন।

    ইসলামিকরণের চেষ্টার প্রতিবাদ (Hindus)

    হিমাচলপ্রদেশে, বিশেষত সিমলায়, হিমাচলি হিন্দু সম্প্রদায় রাজ্যটিকে ইসলামিকরণের চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। এই অশান্তি শুরু হয় তখন, যখন দেখা যায় ৮৮ জন মুসলিম বিক্রেতার মধ্যে ৪৬ জনেরই আধার কার্ডে একই জন্মতারিখ রয়েছে। এর পরেই পরিচয় জালিয়াতির সন্দেহ জোরালো হয়। পরে জানা যায়, সমস্ত বিক্রেতাই বহিরাগত। ব্যবসা শুরু করার উদ্দেশ্যে এই অঞ্চলে এসেছিলেন। এ খবর চাউর হতেই ব্যাপকভাবে প্রতিবাদ শুরু করেন হিমাচলিরা (Hindus)। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যে তাঁদের নিরাপত্তার ঝুঁকি এবং জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের ভয়ে বিক্রেতাদের পরিচয়ের তদন্ত দাবি করেন তাঁরা। কীভাবে তারা এ রাজ্যে প্রবেশ করল, তাও জানতে চান তাঁরা।

    মসজিদের সংখ্যা বৃদ্ধি

    বছরের পর বছর ধরে হিমাচলিরা অবৈধ নির্মাণ, বিশেষত মসজিদের সংখ্যা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তাঁদের মতে, এটা সাংস্কৃতিক অবক্ষয় এবং জনসংখ্যাগত পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করছে। উত্তেজনা চরমে ওঠে ৩০ অগাস্ট, মালিয়ানা অঞ্চলে একটি হিংসাত্মক ঘটনা ঘটার পর। এখানে  মুসলিম যুবকদের একটি দল হিন্দু ব্যবসায়ীদের আক্রমণ করে। মুসলমানদের হামলায় গুরুতর জখম হন বিক্রম সিং নামে এক ব্যবসায়ী। এই ঘটনার পরেই এলাকায় গজিয়ে ওঠা একটি অবৈধ মসজিদের বিরুদ্ধে চড়া হয় প্রতিবাদের সুর।

    ওয়াকফ বোর্ডের দাবি

    মসজিদটির মালিকানা দাবি করে ওয়াকফ বোর্ড। তাদের দাবি, বিরোধের সূত্রপাত মূলত মসজিদ ভবন সম্প্রসারণ নিয়ে। তবে স্থানীয় হিন্দুদের অভিযোগ, মসজিদের তিনতলা বর্ধিত অংশ-সহ কিছু অবৈধ নির্মাণ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। মান্ডি এবং কুল্লু-সহ রাজ্যের অন্যান্য জায়গাতেও এই ধরনের অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়েছে (Hindus)। কুল্লুতে, খাদি ও গ্রাম শিল্প বোর্ডের জমিতে নির্মিত একটি অবৈধ জামা মসজিদ ২০১৭ সালে সম্প্রসারিত হওয়ার পর থেকেই রয়েছে বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে। 

    হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি

    রাজ্যের হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি, এই ধরনের অবৈধ নির্মাণগুলি বহিরাগতদের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ, যাদের মধ্যে অনেকেই সামাজিক নানা অস্থিরতার সঙ্গে জড়িত। এরা রাজ্যের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ। প্রতিবাদকারীদের মতে, সমস্যার মূল হল এই অবৈধ নির্মাণ এবং রাজ্যের জনসংখ্যাগত ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্ট অস্তিত্বের হুমকি। কেবল শিমলা নয়, রাজ্যের অন্যান্য জায়গার হিমাচলি (Himachal Pradesh) হিন্দুরাও অবৈধ মসজিদের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন। সেপ্টেম্বর মাসের শেষেও কুল্লুতে অবৈধ মসজিদ ভেঙে ফেলার দাবিতে গর্জে উঠেছিল হিন্দু সংগঠনগুলি।

    হিন্দু ধর্ম জাগরণ যাত্রা

    জানা গিয়েছে, কুল্লুতে হিন্দু ধর্ম জাগরণ যাত্রার সময় হিন্দু প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে পুলিশের সামান্য সংঘর্ষও হয়েছিল। বহু মহিলা গেরুয়া পতাকা ও ট্র্যাডিশনাল বাদ্যযন্ত্র সহযোগে হনুমান মন্দির থেকে আখড়া মসজিদ পর্যন্ত মিছিল করেন (Hindus)। আন্দোলনকারীরা কুল্লুর অবৈধ মসজিদ ভাঙার দাবি জানিয়েছেন। যদিও রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের দাবি, রাজ্যের কোনও মসজিদই অবৈধ নয়। ২৯ সেপ্টেম্বর কুল্লু জেলা কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দেয়, আখাড়া বাজার মসজিদটি অবৈধ নয়, তবে মসজিদের রেকর্ডকৃত এলাকা ও প্রকৃত এলাকার মধ্যে প্রায় ১৫০ বর্গমিটারের পার্থক্য রয়েছে। ১৯৯০-১৯৯১ সালে একতলা মসজিদটি নির্মাণের পর ২০১৭ সালে তা চারতলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়, যা অনুমোদিত ম্যাপের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলেও দাবি হিন্দু সংগঠনগুলির।

    হিন্দুদের প্রতিবাদ

    সেপ্টেম্বরের প্রথমদিকে সিমলার একটি মসজিদের অংশ সরানোর দাবিতেও হয় আন্দোলন। একই ধরনের প্রতিবাদ হয় মান্ডিতেও। আন্দোলনকারীদের হঠাতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ।হিমাচলপ্রদেশের হিন্দুরা তাঁদের জমি অবৈধ দখলমুক্ত রাখতে উদ্যোগী হয়েছেন। জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সরকারকে চাপ দিতে তারা রাস্তা অবরোধের মতো আন্দোলনের পথও অবলম্বন করেছেন। প্রতিবাদ আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন বিভিন্ন বয়সের হিন্দুরা।

    আরও পড়ুন: ইজরায়েলে রকেট হামলা লেবাননের, নিহত ৭, ‘হিজবুল্লা যেন প্রস্তুত থাকে’, হুঁশিয়ারি ইহুদি দেশের

    এই মিছিলেই ছিলেন এক বয়স্ক ব্যক্তিও। তিনি বলেন, “ওয়াক্‌ফ বোর্ড দীর্ঘদিন ধরে হিন্দুদের জমি অধিগ্রহণ করছে।” তাঁর প্রশ্ন, “কেন হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে হিন্দু স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে না?” হিমাচলপ্রদেশের হিন্দুদের প্রতি তাঁর আহ্বান, তাঁরা যেন হিন্দু স্বার্থকে সর্বাগ্রে রাখেন। বাংলাদেশে কীভাবে মুসলমানরা সংখ্যালঘু হিন্দুদের লক্ষ্যবস্তু করছে, তারও উল্লেখ করেন তিনি। এই ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের সমর্থন এবং সুরক্ষাও যে তারা পাচ্ছে, তাও জানান তিনি।

    ‘দেবভূমি সংগ্রাম কমিটি’

    এদিকে, সম্প্রতি ‘দেবভূমি সংগ্রাম কমিটি’ একটি অবৈধভাবে নির্মিত ও সম্প্রসারিত সোলান মাজার চিহ্নিত করেছে। এই অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার দাবিতে গভর্নরকে পিটিশনও জমা দিয়েছে তারা।হিমাচলপ্রদেশের সমাজকর্মী কামাল গৌতম অবৈধ দখল থেকে পাহাড়ি রাজ্যকে মুক্ত করার আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেই কারণে মুসলমান জঙ্গিরা তাঁকে টার্গেটও করেছিল। তা সত্ত্বেও হিমাচলপ্রদেশের হিন্দুরা তাঁদের অবস্থানে অটল। অন্যদিকে, হিমাচলি প্রতিবেশীদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে উত্তরাখণ্ডের হিন্দুরা একটি মিছিল বের করেন। তাঁরাও অবৈধ মসজিদ ধ্বংসের দাবি জানান। মিছিলের আয়োজন করেছিল উত্তরাখণ্ডের হিন্দু সংগঠনগুলো। এই মিছিলেও যোগ দিয়েছিলেন কয়েক হাজার হিন্দু।

    তুষ্টিকরণের রাজনীতি

    তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে এবং গদি আঁকড়ে থাকতে গিয়ে বছরের পর বছর ধরে মুসলমানদের তোল্লাই দিয়ে গিয়েছে বিজেপি বিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তারই বিষময় ফল ফলতে শুরু করেছে। ভারতে যে হারে মুসলমান জনসংখ্যা বাড়ছে, তাতে হয়তো অচিরেও এ দেশে বাংলাদেশের মতোই হিন্দুরা হয়ে পড়বেন সংখ্যালঘু। সেদিন যে এ দেশেও (Himachal Pradesh) বাংলাদেশের মতো ঘটবে না, হলফ করে তা বলতে পারে (Hindus) কে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  •  Legislative Assembly: ২৫ নভেম্বর থেকে বিধানসভার অধিবেশন, আবাস নিয়ে উত্তপ্ত হতে পারে কক্ষ

     Legislative Assembly: ২৫ নভেম্বর থেকে বিধানসভার অধিবেশন, আবাস নিয়ে উত্তপ্ত হতে পারে কক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে বিধানসভায় শীতকালীন (Winter Session) অধিবেশন (Legislative Assembly) শুরু হবে। জানা যাচ্ছে, এবারের অধিবেশন উত্তপ্ত হতে পারে রাজ্য বিধানসভায় ১০০ দিনের কাজ থেকে আবাস দুর্নীতির অভিযোগকে ঘিরে। গত অধিবেশনে পাশ হয়েছিল ‘অপরাজিতা’ বিল। এদিকে, গত রবিবার পশ্চিমবঙ্গে একদিনের সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রবীণ নেতা অমিত শাহ। তিনি মমতা সরকারকে তোপ দেগে বলেছিলেন, “রাজ্যে বিজেপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসুন, ১০০ দিনের কাজের পাই-পয়সার হিসেব দেব।” অপর দিকে, আবাস থেকে মনরেগার কাজে দুর্নীতির অভিযোগে ব্যাকফুটে রাজ্য সরকার। ফলে তৃণমূল সরকারের উপর যে চাপ বাড়াতে চলেছে বিরোধী শিবির, তা রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন।

    সরগরম হবে বিধানসভা?

    আসন্ন অধিবেশনে (Winter Session) আবাস থেকে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে সরকার বনাম বিরোধীপক্ষের বাকবিতণ্ডা দেখা যেতে পারে। জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ‘বঞ্চনার’ বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনতে উদ্যোগী শাসক দল। প্রতিবাদে জানাতে কোমর বাঁধছে বিজেপিও। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের আগে ক্যাগ (সিএজি) রিপোর্ট নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছিল বিজেপি। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা সরাসরি রাজ্যের মানুষ পাচ্ছেন না বলে মামলা হাইকোর্টে গড়িয়ে ছিল। ১০০ দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, মিড ডে মিল-সহ একাধিক প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির ইস্যুতে লোকসভার ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মমতাকে তোপ দেগেছিলেন। ফলত, এই ইস্যুতে সরগরম হতে পারে বিধানসভা (Legislative Assembly)।

    আরও পড়ুনঃ নভেম্বর মাসে কোন কোন দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ? রাজ্যের সরকারি ছুটিই বা কতদিন?

    জেলায় জেলায় বিক্ষোভ তৃণমূলের বিরুদ্ধে!

    গত রবিবার রাজ্যে একদিনের সফরে এসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিজেপি নেতা অমিত শাহ। তিনি তৃণমূলের দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সারাসরি আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “রাজ্যে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনুন, আমরা ১০০ দিনের কাজের পাই পাই হিসেব দেব।” তার মন্তব্যে রাজ্যে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। এরপর রাজ্য সরকার এলাকায় এলাকায় সমীক্ষা শুরু করলে জেলাবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়ে শাসক পক্ষ। ইতিমধ্যে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, বীরভূম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া-সহ একাধিক জেলায় তৃণমূল জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি আধিকারিকদের ঘেরাও করে ব্যাপক বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটেছে। তাই নতুন করে পুনর্মূল্যায়ন করতে রাজ্য সরকার নবান্ন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hezbollah: ইজরায়েলে রকেট হামলা লেবাননের, নিহত ৭, ‘হিজবুল্লা যেন প্রস্তুত থাকে’, হুঁশিয়ারি ইহুদি দেশের

    Hezbollah: ইজরায়েলে রকেট হামলা লেবাননের, নিহত ৭, ‘হিজবুল্লা যেন প্রস্তুত থাকে’, হুঁশিয়ারি ইহুদি দেশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর পর রকেট হামলা ইজরায়েলে (Israel)। হামলার জেরে মৃত সাতজন নিরীহ নাগরিক। জানা গিয়েছে, লেবানন থেকে উত্তর ইজরায়েল লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। হামলার অভিযোগ উঠেছে জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লার (Hezbollah) বিরুদ্ধে। হামলায় নিহতদের মধ্যে চার জন বিদেশিও রয়েছেন খবর। হামলার পরেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইজরায়েলও। ইহুদি দেশের দাবি, হিজবুল্লা তাদের (Hezbollah) প্রতিটি হামলার যোগ্য জবাব পাবে।

    ২৫টি রকেট হামলা

    ইজরায়েল সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করেই ২৫টি রকেট হামলা চালানো হয় লেবানন থেকে। হামলার সময়ই সেখানকার জলপাইয়ের বাগানে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। সেই হামলায় মৃত্যু হয় সাত জনের। প্রসঙ্গত, গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লেবানন (Hezbollah) এবং ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। অন্যদিকে, ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধ চলছে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। এরই মধ্যে প্যালেস্তাইনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, যুদ্ধে তাদের দেশের মোট ৪৩ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে ইজরায়েল। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আচমকাই ইজরায়েলে রকেট হামলা করে গাজার হামাস জঙ্গিরা। তারপর পাল্টা প্রত্যাঘাত শুরু করে ইজরায়েল। তারপর থেকে ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ায় লেবানন ও ইরানও।

    গতকালই হিজবুল্লা (Hezbollah) প্রধানের আলোচনার প্রস্তাব, তারপরেই হামলা জঙ্গি গোষ্ঠীর 

    হিজবুল্লাকে নিকেশ করতে আকাশপথে ইজরায়েলি বিমানবাহিনীর অভিযান তো চলছেই, এর পাশাপাশি লেবাননে ঢুকেও সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েলি বাহিনী। দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লার একের পর এক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি ইজরায়েলের। ইজরায়েলের আঘাতে হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লার সম্প্রতি মৃত্যুও হয়েছে। হিজবুল্লার নতুন প্রধান নঈম কাশেমের সময় ফুরিয়ে এসেছে বলে সম্প্রতি হুঁশিয়ারি দেয় ইজরায়েল। গতকাল বৃহস্পতিবারই কাশেম বার্তা দেন, ইজরায়েল (Israel) চাইলে আলোচনার রাস্তা খোলা থাকছে। তারপরেই এমন হামলার ঘটনা ঘটল ইজরায়েলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bibek Debroy: প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেক দেবরায় প্রয়াত, শোকপ্রকাশ মোদির

    Bibek Debroy: প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেক দেবরায় প্রয়াত, শোকপ্রকাশ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সকালে প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেক দেবরায় (Bibek Debroy)। শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে তিনি ভর্তি ছিলেন দিল্লির এইমসে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। অর্থনীতিবিদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    অত্যন্ত বিদ্বান মানুষ ছিলেন বিবেক দেবরায় (Bibek Debroy), শোকবার্তায় জানালেন মোদি

    বিবেক দেবরায়ের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নিজের পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ড. বিবেক দেবরায় অত্যন্ত বিদ্বান মানুষ ছিলেন। অর্থনীতি, ইতিহাস, সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা সহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান ছিল তাঁর। কাজের মাধ্যমে তিনি ভারতের বুদ্ধিজীবী সমাজে বিশেষ রেখাপাত করেছেন।” প্রধানমন্ত্রী নিজের পোস্টে আরও উল্লেখ করেছেন, ‘‘বিবেক দেবরায় শুধুমাত্র বিভিন্ন নীতি নিয়ে কাজ করেছেন এমনটাই নয়, প্রাচীন বই নিয়েও তাঁর অনেক কাজ রয়েছে। বিবেক দেবরায় চেয়েছিলেন, যুবসমাজের হাতে সহজেই যেন পৌঁছে যায় সেই সব প্রাচীন গ্রন্থ।’’

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও জানিয়েছেন, প্রয়াত অর্থনীতিবিদের (Bibek Debroy) সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। প্রসঙ্গত, দেশের উন্নয়নের রূপরেখা ঠিক করতে একটি কমিটি তৈরি করেছিল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। ‘এক্সপার্ট কমিটি ফর ইনফ্রাস্ট্রাকচার ক্লাসিফিকেশন অ্যান্ড ফিনান্সিং ফ্রেমওয়ার্ক ফর অমৃত কাল’-এর চেয়ারপার্সন ছিলেন বিবেক দেবরায়।

    সংক্ষিপ্ত জীবনী

    জানা যায়, বিবেক দেবরায়ের (Bibek Debroy) জন্ম শিলংয়ের এক বাঙালি পরিবারে। স্বাধীনতার সময়ই অর্থাৎ ১৯৪৭ নাগাদ তাঁর পিতামহ, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সিলেট থেকে শিলংয়ে এসেছিলেন। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে পড়াশোনা করেন তিনি। এরপর ‘দিল্লি স্কুল অফ ইকনমিক্স’-এ পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। সেখান থেকে তিনি যান কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজ। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে নীতি আয়োগ তৈরি করেন। সেই নীতি আয়োগের পরিচালন পর্ষদের অন্যতম সদস্য ছিলেন বিবেক দেবরায়। ২০১৫ সালে পদ্মশ্রী পান এই অর্থনীতিবিদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Alexa Launches Diwali Rocket: দীপাবলির রকেট ছাড়ল অ্যালেক্সা! ভিডিও ভাইরাল, “নাসাকে পাঠাও’’, প্রতিক্রিয়া নেট-দুনিয়ার

    Alexa Launches Diwali Rocket: দীপাবলির রকেট ছাড়ল অ্যালেক্সা! ভিডিও ভাইরাল, “নাসাকে পাঠাও’’, প্রতিক্রিয়া নেট-দুনিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলি উদযাপনের একটি প্রধান আকর্ষণীয় দিক হল আতশবাজি ফাটানো। যা বেশিরভাগই হাতে কলমে করা হয়। এবার একটি ছোট রকেট ছাড়তে অ্যালেক্সা (Alexa Launches Diwali Rocket) ব্যবহার করা হয়েছে। বিশেষ আতশবাজি চালু করতে আলেক্সা ব্যবহার করার ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে সামজিক মাধ্যমে। ইতিমধ্যে দর্শকদের মধ্যে এই আধুনিক প্রযুক্তি এবং ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ দর্শকদের মধ্যে বিশেষ আকর্ষণ তৈরি করেছে।

    ‘বস রকেট উৎক্ষেপণ করছি’ (Alexa Launches Diwali Rocket)

    ভিডিওটি (Viral Video) ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছে মানির প্রজেক্টস ল্যাব। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন ব্যক্তি (যাঁকে দেখা যাচ্ছে না), তিনি তাঁর অ্যামাজন অ্যালেক্সাকে (Alexa Launches Diwali Rocket) নির্দেশ দিচ্ছেন রকেটের পলতেতে আগুন লাগানোর জন্য। ভিডিওতে শোনা যায় ওই ব্যক্তিকে বলতে ‘‘আলেক্সা, রকেটটা ছাড়ো।’’ উত্তরে, আলেক্সা বলে, ‘‘আচ্ছা, বস রকেট ছাড়ছি।’’ এর পরই রকেটবাজি উড়ে যায় আকাশে এবং ফাটে।

    এই ভিডিওটি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। নেটাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ভিডিওটি। প্রযুক্তি এবং ঐতিহ্যের এই সমন্বয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা রোমাঞ্চিত হন। ব্যবহারকারীরা আলোর উৎসব উদযাপনের এই অনন্য উপায়ের প্রশংসাও করেছেন। অনেকেইই সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন। 

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Mani’s Projects Lab (@manisprojectslab)

    দর্শক মহলে প্রতিক্রিয়া

    একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন “হ্যাকার হ্যায় ভাই হ্যাকার।” অন্য একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “আলেক্সা (Alexa Launches Diwali Rocket) কাঁপিয়ে দিল, মানুষ হতবাক!’’ একটি মজার ঠাট্টা নিয়ে, একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, “এলন মাস্ক যখন বলেছিলেন যে এআই বিপজ্জনক তখন তিনি এটি বোঝাননি।” সুইগি ইনস্টামার্টের অফিসিয়াল হ্যান্ডেল একটি মজার নোটের সাথে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, “এআই অনেক দূরে চলে গিয়েছে।” আবার আরেক ব্যবহারকারী বলেছেন “নাসাকে পাঠিয়ে দাও এই ভিডিও (Viral Video)। কে জানত আলেক্সা একটি আতশবাজি লঞ্চার হতে পারে? এরপর আর কী?”

    অন্ধ্র প্রদেশে বাজি বিস্ফোরণে ১ নিহত!

    আবার পৃথক একটি ঘটনায় বৃহস্পতিবার আতশবাজির দুর্ঘটনায় একজন নিহত এবং কমপক্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন। পিটিআই-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রদেশের এলুরু শহরে ঘটেছে। যেখানে দুই ব্যক্তি দীপাবলির জন্য ‘পেঁয়াজ বোমা’ নিয়ে যাচ্ছিলেন। মারাত্মক প্রকৃতির জন্য বারবার প্রশ্ন তোলা হয়েছে এই পেঁয়াজ বোমার ব্যবহার নিয়ে। এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাইকে করে নিয়ে যাওয়ার সময়পেঁয়াজ বোমা এবং অন্যান্য বাজি সম্বলিত একটি ব্যাগ রাস্তায় পড়ে গেলে তাতে বিস্ফোরণ ঘটে। বহু মানুষ আহত হন। ঘটনাস্থলেই চালক নিহত হন। অপর দিকে, সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনও বিস্ফোরণে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bengaluru: ইসলামি কালা যাদু মতে সন্তানকে খুনের চেষ্টা! লাভ জিহাদের শিকার হিন্দু মহিলা

    Bengaluru: ইসলামি কালা যাদু মতে সন্তানকে খুনের চেষ্টা! লাভ জিহাদের শিকার হিন্দু মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাভ জিহাদের লক্ষ্য হল, মুসলিম পুরুষরা নিজের আসল পরিচয় আত্মগোপন করে হিন্দু সেজে প্রথমে মন্দিরে হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করে। কিছু দিন পরে মুসলমান পরিচয় দিয়ে বিবাহিত স্ত্রীকে জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে বাধ্য করে। সম্প্রতি দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মুম্বই, কর্নাটকে এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। হিন্দু মহিলাদের হিন্দু নাম-পরিবর্তন ও ধর্ম-পরিবর্তন করে শরিয়া মতে ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়। আর না করতে চাইলে চলে অকথ্য অত্যাচার, এমনকী খুনও করা হয়! এই ভাবেই হিন্দু মহিলাদের টার্গেট করে চলে লাভ জিহাদের ষড়যন্ত্র। সম্প্রতি, এমনই একটি লাভ জিহাদের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যা ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে বেঙ্গালুরুতে  (Bengaluru)। 

    ইসলাম গ্রহণের জন্য ব্যাপক মারধর অত্যাচার (Bengaluru)

    খবরে প্রকাশ, বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) একজন হিন্দু মহিলা নিজের এবং তাঁর ছেলের সুরক্ষা চেয়ে পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ কোনও ভূমিকা পালন করেনি। ওই হিন্দু মহিলা বলেন, “আমার স্বামী সাদ্দাম আমার ৩ বছরের সন্তানকে কালা জাদুর জন্য খুন করতে চেয়েছিলেন। আমি, ২৭ সেপ্টেম্বর আরকে পুরম পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। শুধু তাই নয়, ২৮ অক্টোবর পুলিশের কাছে সুরক্ষা চেয়েছিলাম। ওই সময় আমাকে এবং ছেলেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য ব্যাপক ভাবে মারধর করা হয় এবং খুনের চেষ্টা পর্যন্ত করা হয়। এমনকী আমার মাকেও টার্গেট করা হয়। আমি, পুলিশকে সাদ্দাম ও নিয়াজের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছিলাম। কিন্তু পুলিশ যথেষ্ট সক্রিয় ছিল না। তবে আমার কোনও ক্ষতি হলে সাদ্দামকে সম্পূর্ণরূপে দায়ী করব।”

    ছদ্মবেশে হিন্দু রীতিতে মহিলাকে বিয়ে

    মহিলার দাবি, ওই হিন্দু মহিলার সঙ্গে ২০২০ সালে সাদ্দামের সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেই সময় সাদ্দাম নিজের পরিচয় আধি ঈশ্বর নামের একজন হিন্দু হিসেবে দিয়েছিলেন। যেহেতু সাদ্দাম তাঁকে বিয়ে করতে আগ্রহী ছিলেন, তাই ২০২০ সালের নভেম্বরেই হিন্দু রীতি অনুযায়ী বিয়ে করেন। এই সময়ে সাদ্দাম একজন হিন্দু বলেই জানতেন মহিলা। মহিলা তাঁর অভিযোগে জানান, ২০২১ সালে তাঁদের ছেলের জন্ম হয়। তাঁদের ছেলের জন্মের পর সদ্দাম বারবার বলত ছেলেকে একটি অনুষ্ঠানের জন্য জবাই দিতে চান এবং এতে অনেক অর্থ আসবে। কিন্তু  অত্যচার আরও বেশি বেশি হওয়ায় জীবনের ভয়ে ছেলেকে নিয়ে তুমাকুরুতে (Bengaluru) চলে যান ওই হিন্দু মহিলা। মহিলার দাবি, সাদ্দাম এবং সঙ্গী ল্যাংদা নায়াজ খোঁজ করে ২০২৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ছেলেকে অপহরণ করার চেষ্টা করে। কিন্তু এখনও সম্পূর্ণ ভাবে নিরাপদ নন হিন্দু মহিলা এবং তাঁর পুত্র।

    হিন্দু মহিলা আরও বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে প্রবঞ্চনা হয়েছে। পরিচয় গোপন রেখে বিয়ে করানো হয়েছে। বিবাহের পর আমার ধর্ম এবং নাম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমি পুলিশকে সাদ্দাম ও নিয়াজের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি। আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে খুব চিন্তার মধ্যে রয়েছি। প্রতিসময় আমকে ওরা নজরে রাখতে চায়। হিন্দু ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য সব সময় হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি আমার ছেলে এবং মায়ের জন্য উদ্বিগ্ন। আমি জরুরি ভিত্ততে পুলিশি নিরাপত্তার জন্য অনুরোধ করছি। কিন্তু পুলিশ সক্রিয়তা দেখিয়ে এখনও পর্যন্ত আমার সুরক্ষার ব্যবস্থা করেনি। উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সঙ্গেও দেখা করেছি। লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছি। সাদ্দামের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ চাই।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘সীমান্তের এক ইঞ্চি জায়গা নিয়েও আপস করবে না ভারত’’, গুজরাতের কচ্ছে বললেন মোদি

    পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেবে আশ্বাস

    কেআর পুরমের (Bengaluru) এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ওই হিন্দু মহিলা ২০২১ সালে আরকে পুরমে তাঁর বাড়ি ছেড়ে দিয়েছিলেন। এরপর তিনি তুমাকুরুতে থাকতেন এবং বর্তমানে নেলামঙ্গলার কাছে বসবাস করছেন। সেপ্টেম্বরে তাঁর অভিযোগটি একটি পিটিশন হিসাবে নিয়েছিলাম এবং পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে বলেছিলাম। মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর স্বামীর ফোন নম্বর দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি যে নম্বর দিয়েছেন তা সংযোগ করা যাচ্ছে না। আমরা এটাও জানতে পারি যে তিনি পুলিশ কমিশনারের অফিসেও গিয়েছিলেন। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশের ভিত্তিতে আমরা আরও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share