Tag: Madhyom

Madhyom

  • Daily Horoscope 01 November 2024: পেটের কষ্ট বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 01 November 2024: পেটের কষ্ট বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) চক্ষুরোগ দেখা দিতে পারে।

    ২) মায়ের ব্যবহারে কষ্ট পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কপালে অপমান জুটতে পারে।

    ৩) দিনটিতে বিবাদে জড়াবেন না।

    মিথুন

    ১) অধিক খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কর্কট

    ১) শেয়ার বাজারে লগ্নি নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) পেটের কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    সিংহ

    ১) সকাল থেকে শরীরে জড়তা বাড়তে পারে।

    ২) মাথার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে বেশি।

    কন্যা

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মানসিক যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) বাড়তি আয় করতে গিয়ে বিপদ ঘটতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    তুলা

    ১) রাজনীতির লোকেদের একটু চিন্তার কারণ দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রেমের ক্ষেত্রে অশান্তি মিটে যেতে পারে।

    ২) কোনও কারণে মনে ভীষণ সংশয় বা ভয় কাজ করবে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    ধনু

    ১) কাউকে কোনও ব্যাপারে কথা দেবেন না।

    ২) আধ্যত্মিক বিষয়ে বিশেষ মনোযোগী হয়ে উঠবেন।

    ৩) সংযমী হতে হবে।

    মকর

    ১) গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ।

    ২) খুব নিকট কোনও মানুষের জন্য দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ।

    কুম্ভ

    ১) সখ মেটাতে বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ২) কোনও বন্ধুর জন্য বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মীন

    ১) মহিলাদের জন্য নতুন কিছু শুরু করার ভালো সময়।

    ২) কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) ভালোই কাটবে দিন।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: কালীপুজোতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা একাধিক জেলায়, কবে থেকে শীত শহরে?

    Weather Update: কালীপুজোতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা একাধিক জেলায়, কবে থেকে শীত শহরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোতেও মেঘ সরেনি বাংলার আকাশ থেকে। আজ, বৃহস্পতিবার জেলায় জেলায় আংশিক মেঘলা আকাশ। দিনভর বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে কালীপুজোর পরেরদিন থেকেই আবহাওয়ার (Weather Update) বড়সড় রূপবদল হবে বাংলায়। হালকা শীতের আমেজ অনুভূত হবে একাধিক জেলায়, এমনই বলছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কলকাতায় (Rainfall in Kolkata) বিকেলের পরে কোথাও কোথাও দু’এক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    কোথায় কোথায় বৃষ্টি

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতার পাশাপাশি বৃষ্টি হতে পারে হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং নদিয়ার কিছু কিছু জায়গায়। তবে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রামে। শুক্রবারও দক্ষিণবঙ্গের দু’একটি জেলার কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। 

    উত্তরের আবহাওয়া

    দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বৃহস্পতি এবং শুক্রবার হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার উত্তরবঙ্গের যে জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে সেগুলি হল, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা। সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে। তার পর আকাশ পরিষ্কারই থাকবে। দক্ষিণবঙ্গে শনিবার থেকে আকাশ একদম পরিষ্কার থাকবে।

    আরও পড়ুন: সেনা প্রত্যাহার-পর্ব শেষ, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দীপাবলিতে মিষ্টি বিনিময় ভারত-চিনের

    কলকাতার আকাশ

    কলকাতার (Rainfall in Kolkata) আকাশ বৃহস্পতি ও শুক্রবার আংশিক মেঘলা রয়েছে। বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে কয়েকটি অংশে বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতার (Weather Update) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে রয়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রির আশপাশে। হাওয়া অফিস বলছে, নভেম্বরের শুরু থেকেই শুষ্ক আবহাওয়ার প্রভাব আরও বেশি মাত্রায় শুরু হয়ে যাবে রাজ্যে। আরও কমে যাবে তাপমাত্রা। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও কমতে থাকবে। অর্থাৎ, শীতের যে আর বেশি দেরি নেই, তাই আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: নদিয়ার মাজদিয়ার ১১২ বছরের ‘ডাকাতে কালী’র কাহিনি আজও যেন গায়ে কাঁটা দেয়!

    Kali Puja 2024: নদিয়ার মাজদিয়ার ১১২ বছরের ‘ডাকাতে কালী’র কাহিনি আজও যেন গায়ে কাঁটা দেয়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডাকাতি করে এসে ডাকাতরা করত মা কালীর পুজোl তাই নাম ডাকাতে কালীl এই পুজোর বয়স ১১২ বছরের মতো l ভীষণ জাগ্রত এই কালী। পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস। নদিয়ার মাজদিয়ার ঘোষপাড়ায় এই ডাকাতে কালীতলায় ধুমধাম করে পুজো (Kali Puja 2024) হচ্ছে এবারেও l প্রাচীন এই পুজোকে ঘিরে রয়েছে দারুণ কাহিনিl

    তরতাজা যুবক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, তাঁরা ডাকাতি করবেন

    স্থানীয় শিক্ষক সুকুমার ঘোষের কাছ থেকে জানা যায়, আজ থেকে প্রায় ১১২ বছর আগে ওই গ্রামের মানুষের দিন কাটছিল অভাব-অনটনের মধ্যে দিয়েl অনেকেই পাচ্ছিলেন না দুবেলা দুমুঠো খাবারl সেই করুণ অবস্থা দেখে ব্যথিত হয়ে পড়লেন গ্রামবাসীরা। ওই গ্রামের কয়েকজন তরতাজা যুবক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, তাঁরা ডাকাতি করবেনl ডাকাতি করেই জোগাড় করবেন গ্রামের মানুষের জন্য খাবারl তখন চলছে কড়া ব্রিটিশ শাসনl আচমকা ওই যুবকেরা খবর পেলেন, ঢাকার দিকে যাচ্ছে ব্রিটিশদের মালবাহী ট্রেনl ওই ট্রেনেই তাঁরা ডাকাতি করার সিদ্ধান্ত নেন। রাত হয়ে গিয়েছে। মাজদিয়ার ইছামতী ব্রিজের ওপর দিয়ে ব্রিটিশদের মালবাহী ট্রেনটি যাচ্ছিল কু-ঝিক ঝিক করেl হাতে লন্ঠনের লাল আলো দেখিয়ে ব্রিজের ওপরই দাঁড় করিয়ে দেওয়া হল ট্রেনটিকেl সময় নষ্ট না করে ট্রেনের বগি থেকে কাপড়ের বান্ডিল বেশ কয়েকটা ফেলে দেওয়া হল নদীর জলেl লুট করা হল খাদ্যসামগ্রীওl এরপর ডাকাতরা লাল আলো নিয়ে সরে যেতেই ট্রেন ছাড়ে। ট্রেন বেরিয়ে গেল ঠিকই, কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই খবর পৌঁছে গিয়েছিল ব্রিটিশ বাহিনীর কাছেl শুরু হয়ে গেল খোঁজ-খোঁজl ডাকাতদলের লোকজন আশ্রয় নিয়েছিলেন জঙ্গলেl ব্রিটিশ বাহিনী নদীতে ফেলা কাপড়ের বান্ডিলের হদিশ পায়নি l সেই কাপড় তুলে ও লুট করা খাদ্যসামগ্রী ওই ডাকাতেরা গ্রামের মানুষের মধ্যে বিলি করেন। কিন্তু যারা করেছে এই কাজ, তাদের সন্ধানে ব্রিটিশ পুলিশদের খোঁজখবর চলছিল কড়াভাবেইl

    ‘মা, তুমি বাঁচিয়ে দাও, আমরা তোমার পুজো দেব’ (Kali Puja 2024)

    ডাকাতে কালীপুজো কমিটির সভাপতি সুমন ঘোষের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, ওই ডাকাতদলে ছিলেন দুলাল প্রামাণিক, হেমন্ত বিশ্বাস, ভরত সর্দার, কৃত্তিবাস মিত্র, অবিনাশ ক্যারিয়া, গিরীন্দ্রনাথ ঘোষ নামে কয়েকজন যুবকl ব্রিটিশবাহিনীর কাছে ধরা পড়ার ভয়ে জঙ্গলেই কাটতে লাগল তাঁদের সময়l সেই সময় তাঁরা স্মরণ করেছিলেন মা কালীকেl বলেছিলেন, ‘মা, তুমি বাঁচিয়ে দাওl আমরা তোমার পুজো দেবl ‘অলৌকিকভাবেই সেবার তাঁদের সন্ধান পায়নি বৃটিশের পুলিশl ফিরে যেতে হয় তাদেরl ব্রিটিশবাহিনীর ফিরে যাওয়ার পরদিনই ছিল অমাবস্যা,কালীপুজোl জঙ্গল থেকে বেরিয়ে একটি বেল ও নিমগাছের পাশেই বেদি বানিয়ে ডাকাতরা করেছিলেন মা কালীর পুজোর আয়োজনl

    ডাকাতি করা জিনিসপত্র তাঁরা বিলিয়ে দিতেন

    জোর করে ভূদেব মালাকার নামে একজন প্রতিমাশিল্পীকে ধরে এনে ঠাকুর বানানো হলl গ্রামের চক্রবর্তী পরিবারের লোককে দিয়ে বাধ্য করানো হল পুজো করতেl প্রতিমা বানিয়ে সঙ্গে সঙ্গে রং করিয়ে পাটে তোলা হলl সেই সময়ের ডাকাত হেমন্ত বিশ্বাসের পরিবারের সদস্য সুনীল বিশ্বাসের কাছ থেকে জানা যায় সেদিনের অনেক কাহিনি-ইl যদিও সেদিন যাঁরা ডাকাত বলে পরিচিত ছিলেন, তাঁদের মাজদিয়ার ঘোষপাড়ার মানুষ সম্মানের চোখেই দেখেন বলে জানালেন প্রাক্তন শিক্ষক সুকুমার ঘোষ। তাঁদের বক্তব্য, ‘ওঁরা ডাকাতি করতেন ঠিকই, তবে কোনও দিন মানুষ খুন করেননিl শুধু তাই নয়, ডাকাতি করা জিনিসপত্র তাঁরা বিলিয়ে দিতেন গ্রামের মানুষের মধ্যেইl তাঁরাই আবার ডাকাতির টাকা-পয়সা দিয়ে করতেন মায়ের পুজোl তাই এখানে মা কালী ডাকাতে কালী বলেই পরিচিতl যদিও সেদিনের সেই ডাকাতদের পরিবারের উত্তরসূরীরা কেউ শিক্ষক, কেউ পুলিশে, কেউ সেনাবহিনীতে কাজ করেনl ডাকাত হেমন্ত বিশ্বাসের পরিবারের সদস্য সুনীল বিশ্বাস একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বছরে অন্য সময় তাঁরা ডাকাতি না করলেও ডাকাতি ছিল মাকে স্মরণ করার একটা পন্থা। তাইতো কালীপুজোর আগে ওঁদের ডাকাতি করা চাই-ইl নইলে যে মায়ের পুজো (Kali Puja 2024) হবে নাl

    কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি, ট্রেজারিতেও ডাকাতি

    একবার ডাকাতি আটকাতে পুলিশ (Nadia) ওঁদের থানায় নিয়ে গিয়ে আটকে রাখল সন্দেহের বশে l থানার সামনে চাদর-কম্বল মুড়ি দিয়ে ওঁরা ষোল-সতেরো জন শুয়ে থাকলl পরদিনই কালীপুজোl কী হবে? অনেক রাত হয়ে গিয়েছেl গ্রামের কয়েকজন পুলিশের নজর এড়িয়ে ওঁদের চাদর-কম্বলের তলায় আশ্রয় নিলl ওঁরা বেড়িয়ে গেলেন ডাকাতি করতেl ডাকাতি সেরে ডাকাতির মালপত্র এক জায়গায় রেখে ওঁরা নিজেদের জায়গায় ফিরে এসে কম্বলের তলায় শুয়ে পড়েl যারা আগে থেকে ছিল, তারা বেরিয়ে আসেl পুলিশ বুঝতে পারেনিl পরদিন ওঁরা ছাড়া পেয়ে মায়ের পুজো দিলেনl বাকি সামগ্রী গ্রামের মানুষদের বিলিয়ে দেনl আসলে ওঁরা সব সময়ই মাকে স্মরণ করতেনl ডাকাতি করতেন গরিব মানুষদের জন্যl জানা যায়, ওঁরা কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি, ট্রেজারিতেও ডাকাতি করেছেনl

    ‘কথা দে, আর তোরা ডাকাতি করবি না’ (Kali Puja 2024)

    বাংলাদেশের দর্শনাতে একবার ডাকাতি করতে যাওয়ার পর ঘটেছিল একটা অদ্ভুত ঘটনাl ওইখানেই কর আদায়ের দায়িত্বে ছিলেন যে রানি, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, ডাকাতদল হানা দিয়েছেl এখান থেকে ডাকাতরা ডাকাতি করতে গিয়ে অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী হন। দেখেন, ঢোকার মুখে যেন স্বয়ং মা দাঁড়িয়েl যিনি বলেন, তোরা কথা দে, আর তোরা ডাকাতি করবি নাl আসলে ওঁদের শিক্ষা দিতে ওই রানি নিজেই নগ্ন হয়ে মা কালীর রূপ নিয়েছিলেনl হ্যাঁ, সেদিনের পর থেকে ওঁরা ডাকাতি বন্ধ করে দেনl ‘পরবর্তীকালে গ্রামের ঘোষপাড়ায় চাঁদা তুলে মায়ের মন্দির গড়ে তোলেনl আজও ডাকাতদের সেই কালী-ই ডাকাতে কালী নামে পুজো হয়ে আসছেl আর যেখানে নিমগাছ তলায় (Nadia) প্রথম কালীপুজো করেছিলেন ডাকাতরা, সেই থানে গ্রামের মহিলারা আজও সকাল-সন্ধ্যায় পূজা দেন ভক্তি ভরে। এই কালী এখানকার মানুষের কাছে অত্যন্ত জাগ্রতl বহু মানুষ এখানে মায়ের পুজো দেনl পুজোর দিন হয় পাঁঠা বলিl

    জল-বাতাসা সহ মাকে মিষ্টিমুখ

    প্রথা মেনে ভাতৃদ্বিতীয়ার দিন কাঁধে করে পুরো মাজদিয়া বাজার ঘুরে ডাকাতে কালীকে বিসর্জন করা হত। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এখন টানা গাড়িতে করে বিসর্জিত হয় ডাকাতে কালী মাথাভাঙা নদীতে। কালী মা বাজারের মধ্যে প্রতিটি দোকানের সামনে পৌঁছানো মাত্রই দোকানদাররা জল-বাতাসা সহ মাকে মিষ্টিমুখ করান। শোভাযাত্রায় হাজার হাজার পুরুষ-মহিলা পা মেলান। বলা যেতেই পারে, ডাকাতে কালী এখন এলাকার মানুষের কাছে একটা আবেগ (Kali Puja 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Google: ২-এর পরে ৩৬টি শূন্য! গুগলকে অবিশ্বাস্য জরিমানা রাশিয়ার আদালতের, কেন?

    Google: ২-এর পরে ৩৬টি শূন্য! গুগলকে অবিশ্বাস্য জরিমানা রাশিয়ার আদালতের, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ায় (Russia) একটি আদালত গুগলকে (Google) ২ আনডেসিলিয়ন রুবল জরিমানা ধার্য করেছে, যা কিনা ২-এর পরে ৩৬টি শূন্য সহ একটি অবিশ্বাস্য সংখ্যা। গুগল রাশিয়ার মিডিয়া আউটলেটগুলি নিষিদ্ধ করার ফলেই এই জরিমানা। পৃথিবীর সব টাকা একসঙ্গে করলেও এই পরিমাণ অর্থ হবে কিনা বলা দায়। রাশিয়ার আদালতের তরফে জানানো হয়, “গুগলকে প্রশাসনিক দায়িত্বের আওতায় এনে এই জরিমানা করা হয়েছে, এবং আদালত গুগলকে চ্যানেলগুলোর পুনরুদ্ধার করার নির্দেশ দিয়েছে।”

    কত অর্থ জরিমানা

    সোমবারের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রুশ (Russia) আদালত গুগলকে (Google) ২ আনডেসিলিয়ন রুবল বিশাল পরিমাণ অর্থ পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে। সংখ্যার বিচারে, আনডেসিলিয়ন হল ১-এর পরে ৩৬টি শূন্য। জরিমানা করা হয়েছে ২ আনডেসিলিয়ন রুবল। মার্কিন ডলারের হিসেব অনুযায়ী, যা ২০ ডেসিলিয়ন দাঁড়ায়। এখান বলে দেওয়া দরকার, ডেসিলিয়ন হল ১-এর পর ৩৩টি শূন্য। অর্থাৎ, রুশ (Russia) আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, গুগলকে যে পরিমাণ জরিমানার অর্থ ধার্য করা হয়েছে, তা প্রায়  ২০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০ মার্কিন ডলারের সমান।

    এই পরিমাণ অর্থ গুগলের (Google) প্যারেন্ট কোম্পানি আলফাবেটের বাজার মূল্যকেও শুধু ছাড়িয়ে যায় তা নয়। বরং এটি বিশ্বের মোট জিডিপির পরিমাণকেও অতিক্রম করে, যা প্রায় ১০০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়াও বলা হয়েছে, যদি গুগল এই জরিমানা নয় মাসের মধ্যে না দেয়, তবে প্রতিদিন এটি দ্বিগুণ হয়ে যাবে এবং এর কোনও সর্বোচ্চ সীমা নেই। এর মানে, প্রতিদিন এটি দ্বিগুণ হতে থাকবে। 

    আরও পড়ুন: সেনা প্রত্যাহার-পর্ব শেষ, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দীপাবলিতে মিষ্টি বিনিময় ভারত-চিনের

    কেন জরিমানা

    গুগলের (Google) মালিকানাধীন ইউটিউবে ১৭টি রাশিয়ান টেলিভিশন চ্যানেলের অ্যাকাউন্ট আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ করে দেওয়ায় অস্বাভাবিক জরিমানার মুখে পড়েছে সংস্থাটি। নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া ক্রেমলিনপন্থী চ্যানেলগুলোর মধ্যে রাশিয়া-ওয়ান এবং রাশিয়া টুডে উপস্থাপক ও পুতিনের মুখপাত্র মার্গারিটা সিমোনিয়ানের চ্যানেলও রয়েছে। চার বছর ধরে রাশিয়ার (Russia) আদালতে গুগলের বিপক্ষে মামলা চলছে। রাশিয়ায় চলমান মামলা নিয়ে সম্প্রতি এক বিবৃতিতে গুগল বলেছিল—‘আমরা বিশ্বাস করি না, চলমান এই আইনি বিষয়গুলো কোনও বস্তুগত বিরূপ প্রভাব ফেলবে।’ গুগল সম্ভবত এই জরিমানাও পরিশোধ করবে না, কারণ তারা ২০২২ সালে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আক্রমণের পর তাদের রাশিয়ান কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: আরও গাড্ডায় ট্রুডো! কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে সরাতে এবার গোপন ভোটের দাবি উঠল দলেই

    Justin Trudeau: আরও গাড্ডায় ট্রুডো! কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে সরাতে এবার গোপন ভোটের দাবি উঠল দলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও গাড্ডায় কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)! অচিরেই বোধ হয় ভারত বিরোধিতার মাশুল গুণতে হবে তাঁকে। ক্রমেই দলে সুর চড়ছে ট্রুডো বিরোধিতার। আগামী বছর সাধারণ নির্বাচন রয়েছে কানাডায়। সেই নির্বাচনে ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি লড়তে চায় না ট্রুডোকে সামনে রেখে। তাই ক্রমেই জোরালো হচ্ছে ট্রুডোকে সরানোর দাবি। দিন কয়েক আগেই লিবারেল পার্টির সাংসদদের একাংশ সরব হয়েছিলেন ট্রুডোর পদত্যাগের দাবিতে। এবার তাঁকে সরাতে গোপন ভোটের দাবি জানালেন তাঁরা।

    ক্ষোভ ট্রুডোর দলেই (Justin Trudeau)

    গত বছর খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুন হন কানাডায়। ওই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন ট্রুডো। কানাডার সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি সরাসরি তোপ দেগেছিলেন ভারতের বিরুদ্ধে। নিজ্জর খুনে ভারত-যোগের প্রমাণ চেয়েছিল নয়াদিল্লি। যদিও ট্রুডো সরকার তা দিতে পারেনি। ওই ঘটনায় তলানিতে ঠেকে ভারত-কানাডা সম্পর্ক। তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন তাঁরই দলের লোকজন।

    গোপন ভোটের দাবি

    সম্প্রতি ট্রুডো প্রকাশ্যে স্বীকার করেন, উপযুক্ত কোনও প্রমাণ ছাড়াই তিনি দোষারোপ করেছিলেন ভারতকে। তারপরেই দলে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়েন ট্রুডো (Justin Trudeau)। ট্রুডোরই দলের ২৪ সাংসদ ‘নিজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ’ করতে ট্রুডোকে সময় দিয়েছিলেন ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত। তাঁদের দাবি মেনে ট্রুডো অবশ্য পদত্যাগ করেননি। তাই এবার গোপন ভোটের দাবি তুললেন তাঁর দলের সাংসদরাই। কানাডার একটি জনপ্রিয় সংবাদপত্রের দাবি, নতুন করে লিবারেল পার্টির আরও ছজন সাংসদ সরব হয়েছেন ট্রুডোর পদত্যাগের দাবিতে।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় একতা দিবসে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর

    সাম্প্রতিককালে দুই সুরক্ষিত আসনে হেরে যায় ট্রুডোর দল। তার পরেই ফের প্রশ্ন ওঠে ট্রুডোর নেতৃত্ব নিয়ে। সম্প্রতি এক জনমত সমীক্ষায় প্রকাশ, ট্রুডোর নেতৃত্বে নির্বাচনে গেলে ধরাশায়ী হবে লিবারেল পার্টি। ভারত-বিরোধিতার ক্ষোভের যে ধোঁয়া পুঞ্জীভূত হচ্ছিল ট্রুডোর দলের অন্দরে, জনমত সমীক্ষার ফল তাতে অক্সিজেন জোগায়। তার পরেই জোরালো হতে থাকে ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি। সম্প্রতি এক শরিক সমর্থন প্রত্যাহার করায় ট্রুডো সরকার এমনিতেই সংখ্যালঘু। তার ওপর দলেই উঠছে পদত্যাগের দাবি। সব মিলিয়ে লেজেগোবরে দশা ট্রুডোর (Justin Trudeau)।

    ট্রুডোকে (Canada) ভারত বিরোধিতার মাশুল গুণতে হবে প্রধানমন্ত্রীর পদ খুইয়ে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

      

  • Kali Puja 2024: ১০৮টি নরমুণ্ড দিয়ে চলত তন্ত্রমতে দেবীর উপাসনা! পুজো হয় মদ, কাঁচা মাংস দিয়ে

    Kali Puja 2024: ১০৮টি নরমুণ্ড দিয়ে চলত তন্ত্রমতে দেবীর উপাসনা! পুজো হয় মদ, কাঁচা মাংস দিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিগঙ্গার পাড়ে কয়েকশো বছরের প্রাচীন মন্দিরবাজারের দক্ষিণ বিষ্ণুপুর শ্মশান। এই শ্মশানেই আগে ভিড় জমাতেন তান্ত্রিক ও সাধকরা। শব সাধনায় বসতেন অনেকেই। এখনও শ্মশানে ঢুকলে গা ছমছমে পরিবেশ। স্থানীয়দের বিশ্বাস, তান্ত্রিকদের সাধনার জোরে আজও রাতের অন্ধকারে জেগে ওঠে শ্মশান। ১১০ বছর আগে এই শ্মশান লাগোয়া জঙ্গলের মধ্যে টালির ছাউনির নীচে কালীপুজো (Kali Puja 2024) শুরু করেছিলেন তান্ত্রিক মণিলাল চক্রবর্তী। ১০৮টি নরমুণ্ড দিয়ে চলত তন্ত্রমতে দেবীর উপাসনা। সেই থেকেই শ্মশানে পূজিত হয়ে আসছেন মা করুণাময়ী কালী।

    কালীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে পুজো শুরু (Kali Puja 2024) 

    শ্যামাকালী পুজোর দিন আজও এলাকার হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান এই মন্দিরে। স্থানীয়দের মুখে মুখে প্রচলিত আছে, তন্ত্রের দীক্ষা নিয়ে শ্মশানে সাধনা শুরু করেছিলেন ব্রাহ্মণ মণিলাল চক্রবর্তী। কালীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে শ্মশান লাগোয়া জঙ্গলের মধ্যে পুজো শুরু করেন তিনি। দেবী নিত্যপুজোর ইচ্ছা প্রকাশ করলে পাকাপাকি ভাবে তৈরি করা হয় মন্দির। গঙ্গার তীরে ঘন জঙ্গল। সেই জঙ্গলে বাস ছিল হিংস্র জীবজন্তুদের। কোনও ভাবে মানুষের প্রবেশ ছিল না। সেই জঙ্গল সাফ করে জঙ্গলের মধ্যেই তৈরি হয় মন্দির। দেবীমূর্তির পিছনে বসানো হয় ১০৮টি নরমুণ্ড। এইসব নরমুণ্ড হল অপঘাতে মৃত্যু যাদের হয়েছিল, তাদের মাথার খুলি, এমনটাই জানা যায়। সামনে পঞ্চমুণ্ডির আসন মায়ের বেদির নীচে দেওয়া হয় নরমুণ্ড। মায়ের মূর্তি মাটি ছাড়া তৈরি হয় বালি-সিমেন্ট দিয়ে কংক্রিটের। এখানে তন্ত্রমতে দেবীকে পুজো দেওয়া হলেও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ বলি। কালীপুজোর দিন প্রথমে শ্মশানে আসা শবদেহকে আত্মার শান্তি কামনা করে পুজো দিয়ে তারপরেই ১০৮টি নরমুণ্ড পুজো দেওয়া হয়। তারপরেই শুরু হয় মা কালীর পুজো (Kali Puja 2024)। পুজোর দিন মদ, কাঁচা মাংস ও শোল মাছ দিয়ে পুজো করা হয়।

    আধুনিকতার ছোঁয়া

    মণিলালের মৃত্যুর পর থেকে তাঁর পুত্র ৮০ ঊর্ধ শ্যামল চক্রবর্তী মন্দিরের দায়িত্ব সামলে আসছেন। তিনিই এখন প্রধান সেবাইত। শ্যামলবাবু বললেন, ‘‘বাবার মৃত্যুর পর কাকা ফণীভূষণ চক্রবর্তীর কাছ থেকে তন্ত্রের শিক্ষা নিতে থাকি। পরে করুণাময়ী মন্দিরে মায়ের নিত্যপুজো (Kali Puja 2024) শুরু করি। পুজোর দিন দূরদূরান্ত থেকে বহু ভক্ত আসেন এই পুজো দেখতে। ভক্তদের মনস্কামনার জন্য মন্দিরের সামনে একাধিক ঢিল বেঁধে রাখা হয়। তবে এক সময় এই মন্দিরে আসতে ভক্তরা ভয় পেত। চারিদিকে গা ছমছমে ভাব। অন্ধকার জঙ্গল এখন অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বসার জায়গা। লাগানো হয়েছে আলো। কিছুটা হলেও আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়েছে মন্দির চত্বর (South 24 parganas)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSNL: আত্মনির্ভর ভারত! দেশজুড়ে ৫০ হাজারেরও বেশি ৪জি নেটওয়ার্ক বসাল বিএসএনএল

    BSNL: আত্মনির্ভর ভারত! দেশজুড়ে ৫০ হাজারেরও বেশি ৪জি নেটওয়ার্ক বসাল বিএসএনএল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারত (Atma Nirbhar Bharat) কর্মসূচিতে দেশ জুড়ে পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি ৪জি নেটওয়ার্ক সাইট স্থাপন করল বিএসএনএল (BSNL)। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। ওই প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৪জি নেটওয়ার্কগুলি স্থাপন করা হয়েছে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস, তেজস নেটওয়ার্কস, সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ টেলিমেটিক্স (C-DOT), এবং আইটিআই লিমিটেডের মতো ভারতীয় প্রযুক্তি সংস্থাগুলির সাহায্যে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিএসএনএলের এমন সাফল্য দেশের প্রযুক্তিক্ষেত্রের অগ্রগতিকেই তুলে ধরেছে এবং এর মাধ্যমে সারা দেশে নেটওয়ার্ক তৈরি করা সম্ভব হয়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে।

    এক লাখেরও বেশি ৪জি সাইট স্থাপনের লক্ষ্য রেখেছে বিএসএনএল (BSNL)

    প্রসঙ্গত, বিএসএনএলের (BSNL) ৪জি নেটওয়ার্ক স্থাপনের এই কর্মসূচি, সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় কোম্পানিগুলির (Atma Nirbhar Bharat) দ্বারা পরিকল্পনা করা হয়েছে। ভারতীয় টেলিকম ক্ষেত্রে এ এক বড় মাইলস্টোন বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফ থেকে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে, গত ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৫০ হাজারেরও বেশি ৪জি সাইট ইনস্টল করেছে বিএসএনএল, যার মধ্যে ৪১ হাজারেরও বেশি সাইট বর্তমানে কাজ করছে। তবে এখানেই শেষ নয়, আরও জানানো হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে এক লাখেরও বেশি ৪জি সাইট স্থাপনের লক্ষ্য রেখেছে বিএসএনএল এবং দ্রুত গতিতে সেই কাজ এগিয়ে চলেছে।

    টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসের সঙ্গে বিএসএনএলের ২৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকার চুক্তি 

    পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত বিএসএনএলের ১৫ হাজার ৪জি সাইট ছিল। গত তিন মাসে ২৫ হাজারেরও বেশি নতুন ৪জি সেট যোগ হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিএসএনএলের (BSNL) তরফ থেকে যে একলাখেরও বেশি নতুন টেলিকম ৪জি টাওয়ার স্থাপনের কর্মসূচি নেওয়া সেখানে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসের সঙ্গে তাদের ২৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে ১০ বছর টাওয়ারগুলিকে রক্ষণাবেক্ষণ করবে টিসিএস। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sardar Vallabhbhai Patel: রাষ্ট্রীয় একতা দিবসে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর

    Sardar Vallabhbhai Patel: রাষ্ট্রীয় একতা দিবসে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় একতা দিবসে (Rashtriya Ekta Diwas) সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে (Sardar Vallabhbhai Patel) শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ৩১ অক্টোবর প্যাটেলের জন্মদিন। ফি বছর এই দিনটিকে রাষ্ট্রীয় একতা দিবস (National Unity Day) হিসেবে পালন করে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেই মতো এদিন গুজরাটের একতা নগরে সর্দারকে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    তিনি বলেন, “আজ সর্দার প্যাটেলের (Sardar Vallabhbhai Patel) সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী বর্ষের সূচনা হল। আগামী দু’বছর ধরে দেশ এই মাইলফলক উদযাপন করবে। এটি তাঁর অসাধারণ অবদানগুলির প্রতি একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি। এই সময়টা তাঁর অসামান্য কৃতিত্বকে সম্মানিত করার জন্য বরাদ্দ থাকবে। জাতীয় ঐক্যের প্রতিফলন সরকারি প্রতিটি উদ্যোগ ও মিশনে থাকবে।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “যখন ভারত স্বাধীনতা লাভ করে, তখন বিশ্বে কিছু মানুষ ভেবে নিয়েছিল ভারত ভেঙে যাবে। তারা আশা করেনি যে শত শত রাজ্যকে একত্রিত করে একটি ঐক্যবদ্ধ ভারত সৃষ্টি করা সম্ভব। সর্দার সাহেব (Sardar Vallabhbhai Patel) তা করে দেখিয়েছিলেন। এটি সম্ভব হয়েছিল কারণ সর্দার সাহেব ছিলেন তাঁর আচরণে বাস্তববাদী, তাঁর সংকল্পে সত্যনিষ্ঠ, তাঁর কর্মে মানবিক এবং তাঁর লক্ষ্য ছিল জাতীয়তাবাদী।”

    আরও পড়ুন: শাহি-দরবারে আর্জি বিজেপির, উপনির্বাচনে রাজ্যে আসছে আরও ১৯ কোম্পানি বাহিনী

    ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি

    এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে কেওড়িয়ায় স্ট্যাচু অব ইউনিটিতে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে (Sardar Vallabhbhai Patel) ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে ভারতীয় বিমান বাহিনী (IAF Flypast)। বায়ুসেনার একটি ফ্লাইপাস্টও ছিল। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) স্বয়ং পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তিনি একতা দিবসের শপথবাক্য পাঠ করান। একতা দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল কুচকাওয়াজেরও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Border: সেনা প্রত্যাহার-পর্ব শেষ, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দীপাবলিতে মিষ্টি বিনিময় ভারত-চিনের

    India China Border: সেনা প্রত্যাহার-পর্ব শেষ, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দীপাবলিতে মিষ্টি বিনিময় ভারত-চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক বছরে ভারত-চিন সীমান্তে (India China Border) শুধুই শোনা গিয়েছে বাক-বিতণ্ডা। এবার দীপাবলিতে ছবিটা ভিন্ন। পূর্ব লাদাখের (Eastern Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্ররেখা (LAC)-র বিতর্কিত অঞ্চলগুলিতে ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছোনো’-র কাজ শেষ করেছে ভারত ও চিন। আজ, বৃহস্পতিবার দীপাবলির শুভেচ্ছার নজির তৈরি করতে এলএসিতে চিন সেনাকে মিষ্টিমুখ করাল ভারতীয় সেনা। সাম্প্রতিক অতীতে এই খবর বিরল। তাই বাস্তবিকই এই দীপাবলি বিশেষ বার্তাবহ। চিনা দূতাবাসের তরফেও ভারতীয়দের দীপাবলির শুভেচ্ছা জানানো হয়।

    সীমান্তে মিষ্টিমুখ

    বুধবারই সেনা সূত্রে জানানো হয়, “লাদাখ (India China Border) সেক্টরের ডেপসাং এবং ডেমচকে সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং শীঘ্রই টহলদারি শুরু হবে। সেনা প্রত্যাহার যাচাইয়ের কাজ চলছে এবং স্থানীয় কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা চলছে। ব্রিগেডিয়ার এবং তার নীচের স্তরের গ্রাউন্ড কমান্ডাররা আলোচনা করে টহল পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন।” বৃহস্পতিবার সকালে সেনার তরফে জানানো হয়,  দীপাবলি উপলক্ষে ভারত ও চিনের মধ্যে সমস্ত সীমান্ত কর্মীদের মিটিং পয়েন্টে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। আমেরিকার ম্যাক্সার টেকনোলজির নেওয়া সাম্প্রতিক উপগ্রহচিত্রে স্পষ্ট, ডেপসাং ও ডেমচক এলাকায় বিভিন্ন অস্থায়ী সেনা ছাউনি ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেনা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ডেমচক এবং ডেপসাং-এ যাতে দুই পক্ষের আর কোনও মুখোমুখি সংঘর্ষ না হয়, তার জন্য টহলের বিষয়ে দুই বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করা হবে। প্রতিটি টহলদারি দলে ২০ জন সৈন্যর একটি ব্যাচে থাকবে। তাদের হাতে অস্ত্রশস্ত্রও থাকবে। 

    আরও পড়ুন: গত অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষায় ১.২৭ লক্ষ কোটি টাকার উৎপাদন, জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    গত ২১ অক্টোবর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দাবি করেছিলেন, পূর্ব লাদাখের (Eastern Ladakh) এলএসিতে টহলদারির সীমানা (India China Border) নির্ধারণের প্রশ্নে দুই দেশ ঐকমত্যে পৌঁছেছে। তার ভিত্তিতেই ভারত ও চিনের সেনা ২০২০-র মে মাসের আগেকার অবস্থানে পিছিয়ে যেতে শুরু করেছে। তার পর রাশিয়ায় কাজানে ব্রিকস বৈঠকের সময় এই বিষয় নিয়ে পার্শ্ববৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বার্তা দেন তাঁরা। গত বুধবার থেকে দুই পক্ষ লাদাখের এই দুই এলাকা থেকে অস্থায়ী সেনা ছাউনি ও তাঁবুগুলি এবং সৈন্যদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার মাধ্যমে লাদাখের অধিকাংশ সংঘর্ষের জায়গায় টহল দেওয়া নিয়ে দুই দেশ ঐক্যমত হলেও, ডেমচক এবং ডেপসাং নিয়ে বিরোধ ছিল। অবশেষে, রাশিয়ার কাজানে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের বৈঠকের ঠিক আগে, এই দুই জায়গায় টহলের বিষয়েও দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাস থেকে এই দুই এলাকায় ভারতীয় সেনাদের টহল দিতে বাধা দিয়েছিল চিন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: দুর্গাপুজোয় রাজ্যে একাধিক মণ্ডপে হামলা! রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: দুর্গাপুজোয় রাজ্যে একাধিক মণ্ডপে হামলা! রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর সময় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মণ্ডপে হামলা ও মূর্তি ভাঙার অভিযোগ (Vandalism Durga Puja Pandal) উঠেছিল। সেই ঘটনাগুলির স্বচ্ছ তদন্তের দাবিতে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এবার এনিয়েই রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পুজোর সময় যে গোলমাল হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে কতগুলি অভিযোগ দায়ের হয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রশাসন কী কী পদক্ষেপ করেছে, সেই সব রিপোর্ট জেলার পুলিশ সুপার বা কমিশনারেটের সিপি-রা রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে পাঠাবেন। সেই সসমস্ত তথ্যগুলি খতিয়ে দেখে ডিজি রাজীব কুমারকে একটি রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে পেশ করতে হবে। আগামী ১৪ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে সেই রিপোর্ট (vandalism Durga Puja pandal) রাজ্যকে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য ৷

    মামলা (Calcutta High Court) করেন নদিয়ার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    উল্লেখ্য, গার্ডেনরিচ-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় পুজো মণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটে। সেগুলির স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। সেখানে নিরপেক্ষ কোনও সংস্থাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। সেই মামলাটি দায়ের করেছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নদিয়া জেলার নেতা ঋতু সিং। এদিনের শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী সওয়ালে বলেন, ‘‘পুজোর সময় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। গার্ডেনরিচ পুজো মণ্ডপে দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। কোচবিহারের শীতলকুচি, হাওড়ার শ্যামপুর এবং নদিয়া জেলায় মূর্তি ভাঙার ঘটনা ঘটেছে।’’

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য মামলাকারীর আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনারা কী চান? তদন্তের হস্তান্তর? কিন্তু, কেন?’’ যার জবাবে আইনজীবী বলেন, ‘‘রাজ্য পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে ৷ ওই ঘটনাগুলির তদন্ত রাজ্য পুলিশ করতে পারবে না।’’ এরপর বিচারপতি জানতে চান, ‘‘কোন গ্রাউন্ডে ট্রান্সফার চাইছেন?’’ মামলাকারী আইনজীবীর বক্তব্য, ‘‘এই ঘটনা কলকাতা-সহ একাধিক জায়গায় ঘটেছে। নিরপেক্ষ তদন্ত হবে না, যদি রাজ্য পুলিশ তদন্ত করে।’’ এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিচারপতি ভট্টাচার্য অ্যাডভোকেট জেনারেলকে প্রশ্ন করেন, ‘‘এই ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে রাজ্য কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে?’’ তার জবাবে রাজ্য সরকারের তরফে এজি রিপোর্ট পেশ করতে কিছুটা সময় চান। অ্যাডভোকেট জেনারেলের আবেদন মেনে নিয়ে আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে ডিজি-র রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য। রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে (Calcutta High Court) পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share