Tag: Madhyom

Madhyom

  • The Hindu Manifesto: প্রাচীনের সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন, স্বামী বিজ্ঞানানন্দের লেখা ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো’ প্রকাশ করবেন ভাগবত

    The Hindu Manifesto: প্রাচীনের সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন, স্বামী বিজ্ঞানানন্দের লেখা ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো’ প্রকাশ করবেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৬ এপ্রিল দিল্লিতে ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো’ (The Hindu Manifesto) নামের একটি বই প্রকাশ করবেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘচালক ডঃ মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। জানা গিয়েছে, ওই বইটি লিখেছেন আইআইটির প্রাক্তনী তথা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বর্তমানে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বামী বিজ্ঞানানন্দ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই সাধারণ সম্পাদক অর্থাৎ স্বামী বিজ্ঞানানন্দ হলেন বিশ্ব হিন্দু কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা। এর পাশাপাশি বিশ্ব হিন্দু ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠনের তিনি আন্তর্জাতিক চেয়ারম্যান।

    সভ্যতা নির্মাণে ৮ নির্দেশিকা (The Hindu Manifesto)

    জানা গিয়েছে, এই বইটি যা প্রকাশ করতে চলেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘচালক সেখানে আটটি নির্দেশিকার নীতি বা সূত্রের কথা বলা হয়েছে। এই নির্দেশিকা নীতির উপরে ভিত্তি করেই একটি সুসভ্যতার রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। বইটিতে আটটি নির্দেশিকা নীতি বা সূত্রের উপর ভিত্তি করে একটি সভ্যতা নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। এগুলি হল- সকলের জন্য সমৃদ্ধি, জাতীয় নিরাপত্তা, মানসম্মত শিক্ষা, দায়িত্বশীল গণতন্ত্র, নারীর প্রতি শ্রদ্ধা, সামাজিক সম্প্রীতি, প্রকৃতির পবিত্রতা এবং ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা।

    ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো’ বইটি প্রকাশ করছে ব্লুওয়ান ইঙ্ক নামের প্রকাশনী সংস্থা

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই নেতা অর্থাৎ স্বামী বিজ্ঞানানন্দ আইআইটি খড়্গপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন। তিনি সংস্কৃত ব্যাকরণ এবং আচার্য ডিগ্রি প্রাপ্ত। একইসঙ্গে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন পূর্ব দর্শনের ওপরে। হিন্দু সভ্যতা, সাহিত্য, ধর্মগ্রন্থ- এই বিষয়গুলিতে তাঁর বিশেষ অধ্যয়ন রয়েছে। ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো’ (The Hindu Manifesto) বইটি প্রকাশ করছে ব্লুওয়ান ইঙ্ক নামের প্রকাশনী সংস্থা। বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে ভারতে শাসন, সভ্যতাগত মূল্যবোধ সম্পর্কিত বিষয়গুলির ওপর আলোকপাত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    প্রাচীনের সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন (The Hindu Manifesto)

    প্রসঙ্গত, বেদ, রামায়ণ, মহাভারত, কৌটিল্যের লেখা অর্থশাস্ত্র- এই সমস্ত গ্রন্থগুলির উপর ভিত্তি করেই লেখা হয়েছে ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো’ (Mohan Bhagwat)। এখানে শাসন পদ্ধতি, সামাজিক কাঠামো, শিক্ষা সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ, কর্তব্যবোধ- এ সমস্ত কিছু আলোচনা করা হয়েছে। এই বইতেই রাম রাজ্যকে একটি মডেল হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন বর্ণ জাতি সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়েও উল্লেখ করা হয়েছে। মর্যাদা, সাম্য ও বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলা হয়েছে। এই বইটিতে দেখানো হয়েছে যে কীভাবে হিন্দু সভ্যতা ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধি লাভ করেছে। হিন্দু সভ্যতা কীভাবে ন্যায় বিচারকে প্রতিষ্ঠা করেছে এবং জনকল্যাণকে সর্বদাই রক্ষা করে এসেছে। হিন্দু সমাজের বৌদ্ধিক ও আধ্যাত্মিক উৎকর্ষতা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে এই বইতে। প্রাচীন সভ্যতার সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন করে বইটিকে তৈরি করা হয়েছে।

    বিশ্বের সভ্যতাকেন্দ্রিক যেকোনও সমস্যার সমাধান সম্ভব

    বিশ্লেষকদের মতে, দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো বইটি (The Hindu Manifesto)  কেবলমাত্র একটি বই নয়। গবেষকরা বলছেন, এটি ভারতবর্ষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিলও বটে। সাম্প্রতিক কালে বিশ্বজুড়ে যে সমস্ত চ্যালেঞ্জ এবং সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সভ্যতার ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলি গুরুতর হয়ে দাঁড়াচ্ছে, সেই প্রত্যেকটি সমস্যার এবং চ্যালেঞ্জের সমাধান রয়েছে এই বইটিতে। জ্ঞানের সঙ্গে কর্মের অভূতপূর্ব মিশ্রণ দেখা যায় বইটিতে। স্বামী বিজ্ঞানানন্দ নতুনভাবে একটি দৃষ্টিভঙ্গি রেখেছেন বইটিতে। সভ্যতা এবং সুশাসনের ওপর লেখা হয়েছে বইটি। বইটির গুরুত্ব কতটা বোঝাই যাচ্ছে! কারণ এটি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরসংঘচালক উদ্বোধন করছেন।

    ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো’ বইটি কেন পড়া উচিত?

    বিশ্লেষকরা বলছেন যে কোন ক্ষেত্রে নীতি নির্ধারক শিক্ষাবিদ আধ্যাত্মিক চিন্তাবিদ এবং ভারতবর্ষের যে কোন নাগরিক যিনি জাতীয়তাবোধে বিশ্বাস রাখেন তাদের পক্ষে এই দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো (The Hindu Manifesto) পড়া খুবই প্রয়োজন কারণ এখানেই আধুনিক সুশাসনকে প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটানো হয়েছে এখানে শিক্ষা অর্থনীতি নারী অধিকার এই সমস্ত বিষয়গুলির উপরেই আলোকপাত করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো’ হল সভ্যতার নবজাগরণের একটি রূপরেখা। ভারতীয় নাগরিক ও জাতিকে এই বইয়ের মাধ্যমে সমৃদ্ধশালী সভ্যতা গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে ।

  • Suvendu Adhikari: ‘কাশ্মীর মডেলের দাবি মুর্শিদাবাদে’, আগামী দিনে হিন্দুদের বড় বিপদের আশঙ্কা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘কাশ্মীর মডেলের দাবি মুর্শিদাবাদে’, আগামী দিনে হিন্দুদের বড় বিপদের আশঙ্কা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে মেনে চলা হোক কাশ্মীর মডেল। সীমান্তবর্তী গ্রামে যেখানে ২০ শতাংশের কম হিন্দুদের বাস, তাদের আত্মরক্ষার জন্য অস্তর রাখার অনুমতি দেওয়া হোক। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। বিগত কয়েকদিনে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে মালদা, মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকা। আক্রান্ত হয়েছে হিন্দুরা। রাজ্য সরকার বারবার শান্ত থাকার কথা বলেছে, কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করেনি। পুলিশ-প্রশাসন কার্যত চুপ করে দেখেছে। বাধ্য হয়ে আদালতের নির্দেশে নামানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু বাহিনী তো সব সমসয় থাকবে না। তখন হিন্দুদের কী হবে প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু।

    আত্মরক্ষায় বৈধ অস্ত্র রাখার আবেদন

    মুর্শিবাদের সীমান্তবর্তী এলাকায় সুরক্ষার জন্য হিন্দুদের অস্ত্র রাখার অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কথায়, “এটা কমিউনাল রাইট নয়, ধর্মযুদ্ধ। এরা কাশ্মীরের মতো হিন্দুদের ওখান থেকে সরাতে চায়। তাই যে সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকায় ২০ শতাংশেরও কম হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন তাঁদের সুরক্ষায় বৈধ অস্ত্র রাখার অনুমতি দেওয়া হোক।” এমনটাই দাবি করছেন তিনি। শুভেন্দুর সাফ কথা, “বিএসএফ-সিআরপিএফ সব সময় থাকে না। বাংলাদেশ থেকে যে ৫০ কিলোমিটার বর্ডার এলাকা রয়েছে, যেখানে হিন্দু জনসংখ্যা ২০ শতাংশের কম, তাঁদের কাশ্মীরের পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকার মতো বৈধ লাইসেন্স যুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া উচিত। কারণ, আত্মরক্ষার অধিকার প্রত্যেকের আছে।” এখানেই না থেমে তাঁর আরও ব্যাখ্যা, “কাশ্মীরে তো বর্ডারের বহু গ্রামে এই ব্যবস্থা আছে। স্পেশ্যাল অ্য়াক্টের আওতায় এই ব্যবস্থা করা হয়। কাশ্মীরের মতো একই মডেল মুর্শিদাবাদে না করতে পারলে ১০-১৫ শতাংশ হিন্দু যেখানে আছে তা থাকবে না।” শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, ‘‘মুর্শিদাবাদের আসল ঘটনা রাজ্য চেপে গিয়েছিল কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক প্রকৃত তথ্য নিজেরা খোঁজ নিয়ে জেনেছে। আদালতে সেটা জানিয়েছে।’’ তাঁর মতে, শুধু মুর্শিদাবাদ না কোচবিহারের দিনহাটা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, বাসন্তী আগামী নির্বাচনে কোথাও হিন্দুরা ভোট দিতে পারবে না। রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে তবেই নির্বাচন করতে হবে।

    অশান্ত মালদা-মুর্শিদাবাদ

    প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিনে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে মুর্শিদাবাদের (High Court on Murshidabad) একাধিক এলাকায়। হিংসার আগুনে জ্বলে সামশেরগঞ্জ, সুতির মতো এলাকা। ঝরেছে প্রাণ। আধাসেনার দাবিতে শুভেন্দুই গিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত বিএসএফের পাশাপাশি প্যারা মিলিটারি ফোর্স নামে মুর্শিবাদাবাদে। কিন্তু, আশঙ্কা ছিল ১৭ এপ্রিলের পর কী হবে! কারণ, কলকাতা হাইকোর্টের আগের নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার পর্যন্তই মুর্শিদাবাদের কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকার কথা ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার মেয়াদ বাড়ছে। পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত বহাল থাকছে বাহিনী। বর্তমানে মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

    মুর্শিদাবাদে আপাতত থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    সন্ত্রস্ত মুর্শিদাবাদে (High Court on Murshidabad) আপাতত থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শান্তিরক্ষা, পুনর্বাসনের জন্য রাজ্য সরকারকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও রাজা বসু চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। গোটা বিষয়টিকে গোয়েন্দা ব্যর্থতা বলে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছে বিচারপতি সৌমেন সেন ও রাজা বসু চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ। মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে একটি কমিটি গঠনের কথাও বলেছে আদালত। মৌখিক নির্দেশে হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই কমিটিতে থাকবেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, রাজ্য মানবাধিকার কমিশন এবং রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিসেস কমিটির এক জন করে সদস্য। মুর্শিদাবাদের অশান্তির পরে অনেকে ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। ওই ঘরছাড়াদের পুনরায় ঘরে ফেরানোই হবে হাইকোর্টের গঠিত কমিটির মূল লক্ষ্য। ধুলিয়ানে ঘরছাড়াদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে এই কমিটি। বস্তুত, গত কয়েক দিনে পুলিশ এবং বিএসএফের যৌথ উদ্যোগে ঘরছাড়াদের অনেকেই বাড়ি ফিরেছেন। এ বার বাকিদেরও ঘরে ফেরানোর লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠনের কথা বলেছে আদালত।

    আতঙ্ক গ্রামে-গ্রামে, সরকারকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মুর্শিদাবাদের (High Court on Murshidabad) উপদ্রুত এলাকায় শান্তি রক্ষায় এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য রাজ্যকে এখনই স্কিম তৈরির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মৃতদের পরিবারকে শুধু টাকা দেওয়া নয়, প্রয়োজনে চাকরি দেওয়ার বিষয়েও চিন্তাভাবনার পরামর্শ দিয়েছে উচ্চ আদালত। সম্প্রতি ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় অশান্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Situation) একাধিক এলাকা। হিংসার জেরে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি এখনও থমথমে সেখানে। এখনও টহল দিচ্ছে বিএসএফ। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। ধুলিয়ানে পুরসভায় ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে। একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয় এবং পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। লুটপাট চালানো হয় একটি শপিংমলে। এখনও পুলিশের উপরে আস্থা রাখতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। তাঁরা গ্রামে গ্রামে স্থায়ী বিএসএফের ক্যাম্প চাইছেন। গন্ডগোলের সময় যাঁরা ভয়ে ঘর ছেড়েছিলেন, তাঁদের অনেকের কথায়, ‘‘পুলিশ-প্রশাসন আশ্বাস দেওয়ায় বাড়িতে ফিরলাম। এখন এলাকায় বিএসএফ ও পুলিশ রয়েছে। কিন্তু তারা ফিরে গেলে, কী হবে জানি না! আতঙ্ক আছেই। বাড়ির মহিলাদের আনা হয়নি। ভয়ে ভয়ে ছেলেরাই ফিরেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, মহিলাদের নিয়ে আসব।’’

  • Daily Horoscope 18 April 2025: ধর্মীয় স্থানে দান করায় শান্তিলাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 18 April 2025: ধর্মীয় স্থানে দান করায় শান্তিলাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্যের যোগ।

    ২) কুচক্রে পড়ে কোনও ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) কোনও যন্ত্র খারাপ হওয়ায় প্রচুর খরচ হতে পারে।

    ২) কর্মে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) ভালো কোনও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ।

    ২) কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) ধর্মীয় স্থানে দান করায় শান্তিলাভ।

    ২) কাজের জন্য বাড়ির কেউ বাইরে যাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) সুবক্তা হিসাবে সুনাম পেতে পারেন।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকতে হবে, প্রতারিত হওয়ার যোগ।

    ৩) মোটামুটি কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) পড়াশোনার খুব ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) ধর্মালোচনায় আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) উপার্জন নিয়ে মনে প্রচুর ক্ষোভ থাকবে।

    ২) ভ্রাতৃস্থানীয় কারও সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্রে বৈরী মনোভাব ত্যাগ করাই ভালো।

    ২) মামলায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) সংসারে খুব সংযত থাকতে হবে।

    ২) সন্তানদের নিয়ে একটু চিন্তা থাকবে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) বাড়তি ব্যবসায় ভালো লাভ হতে পারে।

    ২) নিজের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবেন।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) উচ্চপদস্থ কোনও ব্যক্তির প্রতি অনুগত থাকলে লাভ হতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর ঝামেলায় নাক গলাতে যাবেন না।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Indian Railway: এবার চলন্ত ট্রেনেই মিলবে ক্যাশ টাকা, এটিএম চালু হল পঞ্চবটি এক্সপ্রেসে

    Indian Railway: এবার চলন্ত ট্রেনেই মিলবে ক্যাশ টাকা, এটিএম চালু হল পঞ্চবটি এক্সপ্রেসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ইতিহাসে প্রথমবার! চলন্ত ট্রেনের মধ্যেই তোলা যাবে টাকা! এটিএম বসল ট্রেনে (Indian Railway)। আপাতত পরীক্ষামূলক ভাবে একটি এটিএম বসানো হয়েছে পঞ্চবটী এক্সপ্রেসে। জানা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্রের মানমাড় থেকে মুম্বই পর্যন্ত প্রতিদিন চলাচল করে এই ট্রেনটি। রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবারই প্রথম এটিএম বসিয়ে পরীক্ষামূলক চালানো হয়েছে ট্রেনটিকে। ট্রেনে এটিএম বসানোর এই ভিডিও নিজের এক্স মাধ্যমে শেয়ার করেছেন রেলমন্ত্রী (Indian Railway) অশ্বিনী বৈষ্ণব।

    ২৫ মার্চ বৈঠকে বসেছিলেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা

    রেলকে ভারতের লাইফ লাইন বলা হয়ে থাকে। কারণ প্রতিদিনই লক্ষাধিক মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করে। ভারতে রেল (Indian Railway) পরিষেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে অনেক সময়ই তাড়াহুড়োয় টাকা নিয়ে বেরনো হয় না অনেক যাত্রীর কিংবা দূরপাল্লার ট্রেনে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে যাওয়াকে অনেকে নিরাপদ বলেও মনে করেন অনেকে। এবার সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই বড় সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় রেল। এরফলে যাত্রী সুবিধা অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ট্রেনে এটিএম (ATM) বসানোর এমন সিদ্ধান্ত নিতে গত ২৫ মার্চই বৈঠকে বসেছিলেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

    ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্রের তরফে বসানো হয়েছে এটিএম

    ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্রের তরফে ট্রেনের (Indian Railway) এই এটিএম বসানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। একইসঙ্গে শাটার দরজাও বসানো হয়েছে সুরক্ষার জন্য। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, শুধু এটিএম পরিষেবাই নয়, যাত্রীরা চেক বই অর্ডার করতে এবং অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট পেতেও এই এটিএম ব্যবহার করতে পারবেন। সম্প্রতি আরও কয়েকটি ট্রেনে এই ধরনের এটিএম পরিষেবা চালু হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। এটিএম এর সুরক্ষার জন্য সেখানে একটি সিসিটিভি ক্যামেরাও রাখা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছেন অসংখ্য রেলযাত্রী। রেলের এমন সিদ্ধান্তে তাঁরা উপকৃত হবেন বলেই জানিয়েছেন। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে যাত্রীদের থেকে ইতিবাচক সাড়া পেলে, বাকি ট্রেনেও এই পরিষেবা (ATM) চালু করা হবে।

  • Amit Shah: “ব্রহ্মাকুমারীরা প্রতিটি মানুষের আধ্যাত্মিক সাধনার প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করার কাজ করছেন,” বললেন শাহ

    Amit Shah: “ব্রহ্মাকুমারীরা প্রতিটি মানুষের আধ্যাত্মিক সাধনার প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করার কাজ করছেন,” বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ব্রহ্মাকুমারীরা (Brahma Kumari Sansthan) যোগ ও ধ্যানের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে প্রতিটি মানুষের শান্তি ও আধ্যাত্মিক সাধনার প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করার কাজ করছেন।” বৃহস্পতিবার রাজস্থানে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “এখানে প্রতিটি মানুষের অন্তর্নিহিত ভালো গুণকে জাগ্রত করার চেষ্টা করা হয় এবং তারা দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ করে চলেছেন।” শাহ জানান, এখানে এসেই একজন অবিশ্বাস্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অনুভব করতে পারেন, যা এই স্থানের আধ্যাত্মিক শক্তির ফল।

    আলোর পথে (Amit Shah)

    তিনি বলেন, “যখন কেউ তাঁর জীবনে একজন গুরু খুঁজে পান, তখন তিনি ধার্মিকতার পথে চলতে সক্ষম হন। এর অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। কিছু মানুষ এমন কাজ করেন যা প্রতিটি মানুষের আত্মাকে আলোর প্রদীপে রূপান্তরিত করে এবং তাঁদের আলোর পথে এগিয়ে নিয়ে যান।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ব্রহ্মাকুমারী প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে লেখরাজ কৃপালনীজি প্রতিটি মানুষের আত্মাকে একটি প্রদীপে পরিণত করে আলোর পথে এগিয়ে চলার এক মহান আহ্বান জানিয়েছিলেন, যা আজ সমাজে গভীর প্রভাব ফেলেছে।”

    ব্রহ্মাকুমারীদের ত্যাগ-তপস্যা

    তিনি বলেন, “ব্রহ্মাকুমারীরা তাঁদের ত্যাগ, তপস্যা ও মেধার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে সরলতা, সংযম ও সহযোগিতার (Brahma Kumari Sansthan) এক অনন্য পরিবেশ গড়ে তুলেছেন (Amit Shah)।”
    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আজ এখানে এক সঙ্গে দুটি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে – প্রথমত, ব্রহ্মাকুমারী সংস্থানের ২০২৫-২৬ সালের থিম “ধ্যান: বিশ্ব ঐক্য ও বিশ্ববিশ্বাসের জন্য” চালু করা, এবং দ্বিতীয়ত, নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীদের আত্ম-শক্তিবৃদ্ধির লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ জাগরণ বিষয়ক জাতীয় সংলাপের সূচনা।” তিনি বলেন, “স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর ভারত দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যেই আমরা তৃতীয় স্থান অধিকার করব।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষে আমরা বিশ্বের প্রতিটি ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানকারী শক্তি হিসেবে গড়ে ওঠার লক্ষ্য রাখছি। বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধের দিকে পরিচালিত করতে সক্ষম, প্রতিটি মানুষের আত্মাকে ঐশ্বরিক সত্তার সঙ্গে যুক্ত করতে এবং প্রতিটি জীবনকে সদগতির পথে নিয়ে যেতে সক্ষম আমাদের (Brahma Kumari Sansthan) ঐতিহ্যকে এগিয়ে নেওয়াই ভারতের লক্ষ্য হওয়া উচিত এবং এই দিকে ব্রহ্মাকুমারীসের মতো সংগঠনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে (Amit Shah)।”

  • Sukanta Majumder: রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর পুলিশ কি ওয়েব সিরিজ বানাচ্ছিল? প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumder: রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর পুলিশ কি ওয়েব সিরিজ বানাচ্ছিল? প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad Incident) যে হিংসা ও অশান্তির ছবি দেখা গিয়েছে, তার কোনওটাই স্বতঃস্ফূর্ত জনরোষের কারণে নয়। বরং সেখানকার সূতি, ধুলিয়ান ও সামশেরগঞ্জের বিভিন্ন অংশকে উপদ্রুত বানানোর ব্লু-প্রিন্ট তিন মাস আগেই তৈরি হয়েছিল। তদন্ত করে এমনই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তারা কেবল একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। ওয়াকফ আইন পাশ হয়ে যেতেই তাকেই ইস্যু করা হয়। তাই যদি হয়, তাহলে সব জানার পরেও কেন আগে থেকে কোনও পদক্ষেপ করলেন না পুলিশমন্ত্রীর গোয়েন্দারা? প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)।

    রাজ্যপালের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়াদের সাক্ষাৎ (Sukanta Majumder)

    বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্যপালের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়াদের সাক্ষাৎ করিয়ে দেন সুকান্ত। তার পরেই মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ-প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “পুলিশের গোয়েন্দাবিভাগ বলে তো একটা বিভাগ ছিল। তারা কী করছিল? সবাই তো শুনলাম ওরা জানত, বলছে তিন মাস ধরে মুর্শিদাবাদে অশান্তির ছক কষা হয়েছে। তুরস্ক থেকে নাকি টাকা এসেছে। তা যদি এতদিন ধরে ছক কষা হয়েই থাকে, তাহলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে থাকা গোয়েন্দা বিভাগ কী করছিল? ওয়েব সিরিজ বানাচ্ছিল? নাকি বসে বসে ফ্যাক্ট চেক করছিল? ওদের তো এখন কাজই হল ফ্যাক্ট চেক করা।” ঘরছাড়াদের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি মনে করিয়ে দেন, “এঁরা মুখ্যমন্ত্রীর ওপর ভরসা রেখেছিলেন। কিন্তু তারপর কী হল? পুলিশের সামনেই ঘর লুট হল, নির্যাতনের শিকার হলেন। এর দায় কার (Murshidabad Incident)?”

    গোয়েন্দাদের হাতে বিস্ফোরক তথ্য

    দু’দিন আগেই জানা গিয়েছিল, মুর্শিদাবাদের ওই তিন অংশে যে কায়দায় হিংসাত্মক ঘটনাগুলি ঘটানো হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিশৃঙ্খলার ছাপ স্পষ্ট। শুক্রবার অশান্তি শুরুর দিনও সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গিপুর মহকুমায় ফোন এসেছিল ৩০টিরও বেশি। গোয়েন্দাদের দাবি, আন্দোলনকে ঢাল করে কীভাবে হিংসাশ্রয়ী হতে হবে, তার নির্দেশ দেওয়া আরও ৭০টি ঘরোয়া মোবাইল কলকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। তদন্তকারীরা এমন ৫০ জনের হদিশ পেয়েছেন (Sukanta Majumder), যাঁরা এই হামলার পরিকল্পনায় যুক্ত ছিল। জানা গিয়েছে, রেললাইনের পাথর মজুত করা, দোকানপাট লুট, বাছাই করে কিছু বাড়িতে হামলা, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস, অগ্নিসংযোগ, সড়ক ও রেল যোগাযোগ থমকে দেওয়া – সবই পূর্ব পরিকল্পিত।

    মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিলেন না রাজ্যপাল

    এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিলেন না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি জানিয়ে দেন, আজ, বৃহস্পতিবারই মুর্শিদাবাদের পথে রওনা দিচ্ছেন তিনি। এদিন রাজভবনে ঘরছাড়াদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, মুর্শিদাবাদের যেসব জায়গায় অশান্তি হয়েছে, শুক্রবার সেই সব জায়গা ঘুরে দেখবেন তিনি। তিনি বলেন, “সত্যিই যদি শান্তি ফেরে তার চেয়ে ভালো খবর আর কিছুই হতে পারে না।” তবে কী পরিস্থিতি সেখানকার, গ্রাউন্ড জিরো ঘুরে চাক্ষুষ করতে চান তিনি। সেই মতো রিপোর্টও তৈরি করবেন বলে জানান রাজ্যপাল।

    মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ

    প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন শোনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী কার্যত তাঁকে অনুরোধ করেন, তিনি যেন এখনই সেখানে না যান। মমতা বলেন, “আমি আবেদন করব কিছুদিন অপেক্ষা করুন। মহিলা কমিশনও যেতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদেরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে বলেছি।” তিনি বলেন, “বাইরে থেকে কেউ কেউ এসে অত্যাচারটা করেছে। তারা ভয় দেখাচ্ছে। হোম মিনিস্টারকে ত্রিপুরায়, মণিপুরে যেতে বলুন।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এলাকায় যে শান্তির বাতাবরণ ফিরে এসেছে, প্রশাসন যে কনফিডেন্সটা বিল্ড আপ করেছে, আমরা কেউ যেন গিয়ে সেটা নষ্ট না করি (Sukanta Majumder)।”

    সুকান্তর নিশানায় মমতা

    মমতার এহেন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “উনি যাচ্ছেন না কেন, উনি তো ইমামদের নিয়ে মিটিং করছেন। আর ওখানে গেলেই অসুবিধা হবে রাজ্যপালকে কেন বারণ করছেন? তিনি কী লুকোতে চাইছেন? পুরো সত্যটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।” সুকান্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজে যেহেতু যেতে পারেননি, তাই তিনি সেখানে যেতে বারণ করছেন। এদের সবার বাড়িঘর, দোকান, মন্দির তৈরি করে দিতে হবে, চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে, সব থেকে বড় কথা বিএসএফ ক্যাম্প তৈরি করতে হবে (Murshidabad Incident)।”

    সুকান্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যেবাদী। আপনি যে কোনও মানুষকে জিজ্ঞাসা করুন। পুলিশকে বলছে হাতে চুড়ি পরে থাকুন। আর বিএসএফকে বলছে ভগবান। ওখানকার মানুষই এসব কথা বলছেন।” সুকান্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন (Sukanta Majumder)।”

  • Two Nation Theory: দ্বিজাতি তত্ত্বের আড়ালে ঐক্যবদ্ধ মুসলিম ব্লক গঠনের চেষ্টা পাক সেনা প্রধানের! তুলোধনা ভারতের

    Two Nation Theory: দ্বিজাতি তত্ত্বের আড়ালে ঐক্যবদ্ধ মুসলিম ব্লক গঠনের চেষ্টা পাক সেনা প্রধানের! তুলোধনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনির দ্বি-জাতি তত্ত্বের (Two Nation Theory) প্রচার করছেন। পাকিস্তানিরা হিন্দুদের থেকে “ভিন্ন”– এমন মন্তব্যও করছেন। তাঁর এহেন বক্তব্য প্রমাণ করে যে তিনি একটি গভীরভাবে হতাশ এবং একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের জেনারেল হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সংবাদ মাধ্যমে এমনই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারত সরকারের এক শীর্ষ কর্তা। তিনি জানিয়েছেন, মুনিরের সাম্প্রতিক হিন্দুবিরোধী বক্তব্যকে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং ভারতের ওয়াকফ আইন সংশোধনের সময়ের প্রেক্ষাপটে দেখা উচিত। তিনি ভারতের বিরুদ্ধে একটি ঐক্যবদ্ধ মুসলিম ব্লক গঠন করতে চাইছেন, যেখানে মৌলবাদী, চরমপন্থী ও জঙ্গিদের আক্রমণ চালানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে।

    পাক সেনা প্রধানের লক্ষ্য (Two Nation Theory)

    ওই কর্তা বলেছেন, ‘‘মুনিরের বক্তব্যের লক্ষ্যই হল লস্কর ও জইশের মতো পাকিস্তানের দেশি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে ভারত ও হিন্দু শক্তির বিরুদ্ধে সক্রিয় করতে উদ্বুদ্ধ করা। তাঁর মতে, মুনিরের কাহিনিটি হিন্দু-মুসলিম সভ্যতাগত পার্থক্যকে তুলে ধরার ওপর নির্ভরশীল এবং এই বিভাজনে পাকিস্তানকে নেতৃত্বের অবস্থানে স্থাপন করা হয়েছে। ভারতকে মুসলিমদের নিপীড়ক হিসেবে তুলে করে তিনি ভারতের বৈশ্বিক অবস্থানকে দুর্বল করতে চাইছেন। এই কৌশলটি ভারতকে একটি গুরুত্বপূর্ণ হুমকি হিসেবে উপস্থাপন করে বালুচিস্তানের বিদ্রোহের মতো অভ্যন্তরীণ সংকট থেকে মনোযোগ সরানোর কাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে।’’

    কাশ্মীর দখলকে অবৈধ!

    কেন্দ্রের ওই কর্তার মতে, ‘ভারত কাশ্মীর দখল করেছে’ দাবি করে মুনির পাকিস্তানের সামরিক অবস্থানকে বিশ্বব্যাপী মুসলিম সংহতির সঙ্গে একাত্ম করেছেন, যা গাজায় প্যালেস্তাইনিদের প্রতি তাঁর সমর্থনেরই প্রতিফলন। ওই কর্তার মতে, ‘‘এটি এমন সময়ে এসেছে যখন পাকিস্তানের শাসনব্যবস্থার ব্যর্থতা ক্রমেই প্রকাশ্যে আসছে। মুনির নিজেকে বিশ্বব্যাপী মুসলিম স্বার্থের রক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন (India)।’’

    ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করা

    ভারত সরকারের ওই কর্তা আরও জানান, ভারতের সংশোধিত ওয়াকফ আইন এবং বর্তমানে ঘটে চলা বিক্ষোভের সময় কৌশলগতভাবে মুনির এই বক্তব্য রাখছেন, যাতে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের (Two Nation Theory) ন্যারেটিভগুলিকে শক্তিশালী করে ভারতকে মুসলিমবিরোধী হিসেবে দেগে দেওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘‘ওয়াকফ ইস্যুর টানাপোড়েনকে কাজে লাগিয়ে মুনিরের লক্ষ্য, ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করা, এবং এর পাশাপাশি ভারত ও বাংলাদেশে ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে উৎসাহিত করা। অভ্যন্তরীণভাবে, তিনি (মুনির) এমন এক পরিস্থিতিতে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে চাইছেন যেখানে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদের সঙ্গেই সেনাপ্রধানের দায়িত্বকাল শেষ হয়। তাঁর এই বক্তব্য উগ্রবাদী ভোটার ও ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর কাছে সামরিক বাহিনীর ভূমিকাও শক্তিশালী করছে। মুনিরের বক্তব্য বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের অংশ, যেখানে বাংলাদেশের সঙ্গে চাল আমদানি ফের শুরু ও উচ্চপর্যায়ের সফর বজায় রেখে সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা চলছে নিরন্তর।’’

    জাতির জন্মকাহিনি

    প্রসঙ্গত, বুধবার ইসলামাবাদে (Two Nation Theory) পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতদের সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে মুনির বলেন, “প্রতিটি পাকিস্তানি নাগরিকের উচিত তাদের সন্তানদের কাছে জাতির জন্মকাহিনি বর্ণনা করা। তিনি বলেন, “আপনাদের সন্তানদের কাছে পাকিস্তানের গল্প বলতে হবে, যাতে তারা ভুলে না যায় কীভাবে আমাদের পূর্বপুরুষরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজেদের হিন্দুদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন মনে করতেন।” তিনি বলেন, “আমাদের দেশের রাষ্ট্রদূতদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে তাঁরা একটি উন্নততর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক। আপনাদের অবশ্যই আপনার সন্তানদের কাছে পাকিস্তানের গল্প বলা উচিত। আমাদের পূর্বপুরুষরা ভাবতেন যে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা হিন্দুদের থেকে আলাদা। আমাদের ধর্ম, আমাদের রীতিনীতি, ঐতিহ্য, চিন্তাভাবনা এবং উচ্চাকাঙ্খা পৃথক। এটাই ছিল দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তি (India)।”

    “পাকিস্তানের নিয়তি”

    বালুচিস্তানে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করে সেনাপ্রধান এ অঞ্চলকে “পাকিস্তানের নিয়তি” বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, “জঙ্গিদের আগামী দশ প্রজন্মও বালুচিস্তান ও পাকিস্তানের ক্ষতি করতে পারবে না।” তিনি বলেন, “কাশ্মীর হল ইসলামাবাদের গলার শিরা। তাই পাকিস্তানিরা কখনওই তাকে ভুলতে পারবে না।” বালুচ বিদ্রোহীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “বালুচিস্তান পাকিস্তানের গর্ব! তোমরা এত সহজেই এটা কেড়ে নেবে?” তিনি বলেন, “আপনাদের কি মনে হয় জঙ্গিরা পাকিস্তানের ভাগ্য নির্ধারণ করবে? ভারতের সেনার সংখ্যা ১৩ লাখের (India) বেশি। তবুও আমরা তাদের পরোয়া করি না। জঙ্গিরা তো কোন ছার (Two Nation Theory)!”

  • Mithun Chakraborty: ‘‘হিন্দু সমাজের জন্য হুমকি মমতা’’, ওয়াকফ-হিংসা নিয়ে তীব্র আক্রমণ মিঠুনের

    Mithun Chakraborty: ‘‘হিন্দু সমাজের জন্য হুমকি মমতা’’, ওয়াকফ-হিংসা নিয়ে তীব্র আক্রমণ মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বাংলার হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছেন। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে হিংসা-বিতর্ক ইস্যুতেই এমন মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা। মমতা দাবি করেছিলেন, বাংলায় ওয়াকফ আইন কার্যকর করতে দেবেন না। মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে ব্যঙ্গের সুরে মিঠুন বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কি সংবিধানের ঊর্ধ্বে, এই অধিকার তাঁকে কে দিয়েছে?’’ একইসঙ্গে, পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবিও জানিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। মিঠুন চক্রবর্তী ওই সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, বাংলায় এখন হিন্দু সম্প্রদায় একজোট হচ্ছে।

    কোনও কিছুই বাঁচাতে পারবে না মমতাকে, তোপ মিঠুনের

    এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) বলেন, ‘‘রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসার জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। তারা সম্প্রদায়কে বিভক্ত করার জন্য কাজ করছে। বাঙালি হিন্দুরা এখন গৃহহীন, ত্রাণ শিবিরে খিচুড়ি খাচ্ছে। তাদের দোষ কী?’’ ওই সাক্ষাৎকারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পরিকল্পনাকেও নিশানা করে মিঠুন বলেন, ‘‘এখন কিছুই তাদের বাঁচাতে পারবে না, হিন্দুরা তাদের খেলা বুঝতে পেরেছে।’’

    মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলিম সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করছেন

    মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনাকে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বলে দাবি করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, বিএসএফ, কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং বিজেপি এই হিংসার সঙ্গে জড়িত ছিল। মমতা অভিযোগ করেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীদের অনুপ্রবেশ করতে নাকি সাহায্য করেছিল বিএসএফ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এমন দাবি নিয়ে তোপ দাগেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)। মমতার এমন বক্তব্যকে বিভ্রান্তিকর বলে অভিহিত করে মিঠুন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলিম সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করছেন। ভারতের সংসদে পাস হওয়া আইন কার্যকর না করার ক্ষমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কে দিয়েছে? তিনি শুধু মুখ্যমন্ত্রী, সংবিধানের ঊর্ধ্বে নন।’’

  • JNUSU Elections: জেএনইউ-র ভোট ২৫ এপ্রিল, প্রচার শুরু এবিভিপির, মিলছে অভূতপূর্ব সাড়া

    JNUSU Elections: জেএনইউ-র ভোট ২৫ এপ্রিল, প্রচার শুরু এবিভিপির, মিলছে অভূতপূর্ব সাড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের (JNUSU Elections) নির্বাচনের দিনক্ষণ স্থির হয়েছে। আগামী ২৫ এপ্রিল হতে চলেছে ভোট। এই আবহে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) শুরু করেছে প্রচার। ক্যাম্পাসে এবিভিপির প্রচারে ব্যাপক সাড়া মিলছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যার্থী পরিষদের নেতৃত্ব। সমস্ত বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরাই এবিভিপির প্রচারে অংশগ্রহণ করছেন বলেও জানানো হয়েছে। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠ-অবাধ-স্বচ্ছ হয় সে দাবিও রেখেছে এবিভিপি। বিদ্যার্থী পরিষদ এই নির্বাচনে প্রচার অভিযান চালাচ্ছে দুটি থিমের ওপর একটি হল, ‘রুম-টু-রুম’ এবং অপরটি হচ্ছে ‘ক্লাস-টু-ক্লাস’। এভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে ক্লাসরুম, ক্যান্টিন থেকে কমনরুম- সমস্ত জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে এবিভিপি।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের কথা উঠে আসছে এবিভিপির প্রচারে (JNUSU Elections)

    বিগত বছরগুলিতে বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে উন্নত হয়েছে, সে নিয়েও প্রচার চালাচ্ছে এবিভিপি। প্রচারে উঠে আসছে র‍্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাসের কথা। এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNUSU Elections) নানা বিভাগের সংস্কারের কথাও বলছে এবিভিপি। বিদ্যার্থী পরিষদের নেতৃত্ব জানাচ্ছে, ভর্তির পদ্ধতিও আগের থেকে অনেক সহজ হয়েছে। একইসঙ্গে, সময় মতো পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়া এবং হস্টেলগুলিতে জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন, নতুন ফেলোশিপ, স্কলারশিপ চালু হওয়ার কথাও নিজেদের প্রচারে তুলে এনেছে এবিভিপি।

    কী বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি (ABVP) নেতৃত্ব?

    জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNUSU Elections) এবিভিপির তরফ থেকে প্রচার প্রমুখের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অর্জুন আনন্দকে। অর্জুন আনন্দ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা প্রচার চালাচ্ছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনকে (JNUSU Elections) সামনে রেখে। প্রচারের কাজে আমরা টিম তৈরি করেছি। এই টিম প্রত্যেকটা ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে। তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করছে। তাঁদের মতামত শুনছে এবং কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর উন্নয়ন আরও ভালোভাবে করা যায় সে নিয়েও তাঁরা কথা বলছেন।’’ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সহ-সম্পাদক হলেন এবিভিপির বিকাশ প্যাটেল। তিনি বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের মধ্যে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।’’

  • Train Sabotage: চালকের তৎপরতায় ভেস্তে গেল ট্রেন অন্তর্ঘাতের চেষ্টা, প্রাণে বাঁচলেন গরিব রথের যাত্রীরা

    Train Sabotage: চালকের তৎপরতায় ভেস্তে গেল ট্রেন অন্তর্ঘাতের চেষ্টা, প্রাণে বাঁচলেন গরিব রথের যাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন বন্ধ থাকার পর রেলে ফের অন্তর্ঘাতের (Train Sabotage) চেষ্টা! চালকের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন যাত্রীরা। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) দিলওয়ার নগর ও রহিমাবাদ স্টেশনের মাঝের ঘটনা। দুষ্কৃতীরা রেললাইনের ওপর কাঠের ব্লক ফেলে রেখেছিল। তাতে একটা গামছা জড়ানো। গামছায় লেখা ছিল ‘রাম’ নাম। গভীর রাতে ওই লাইনে আসছিল গরিব রথ। ট্রেন ধাক্কা খায় কাঠের ব্লকে। তবে ট্রেনটির গতি কম থাকায় এড়ানো গিয়েছে দুর্ঘটনা। চালক সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি জানান সংশ্লিষ্ট রেল কর্তৃপক্ষকে। কর্তৃপক্ষ লখনউ থেকে আসা ০৫৫৭৭ সহরসা আনন্দ বিহার গরিব রথ নামের ওই ট্রেনটিকে থামিয়ে দেন মাহিলাবাদ স্টেশনে। ঘটনাস্থলে গিয়ে কাঠের ব্লক সরিয়ে দেয় পুলিশ। উদ্ধার করা হয় রাম নাম লেখা গামছা। সন্দেহজনক এই সব জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে ১১০৯/১১ নম্বর পোলের কাছে। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে আরপিএফ এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একটি দল। রেললাইনে পাওয়া জিনিসপত্রের ফরেনসিক পরীক্ষাও করবে পুলিশ।

    লাইনে কাঠের ব্লক (Train Sabotage)

    দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সম্ভাব্য সব দিক খতিয়ে দেখছে। জানা গিয়েছে, গরিব রথকে লাইনচ্যুত করতে দুর্বৃত্তরা দিলাওয়ার নগর ও রহিমাবাদের মধ্যে প্রায় আড়াই ফুট লম্বা ও ছয় ইঞ্চিরও পুরু একটি কাঠের ব্লক আড়াআড়িভাবে রেখেছিল রেলওয়ে ট্র্যাকের ওপর। অন্তর্ঘাতের দিক থেকে নজর ঘোরাতে লাইনের ওপর ফেলে রাখা হয়েছিল কিছু সবুজ গাছের ডালপালাও। তদন্তকারী এক পদস্থ পুলিশ কর্তা বলেন, “যে সময়ে (রাত ২.৪৩ মিনিট), যে অবস্থানে এবং যে পদ্ধতিতে বাধাটি স্থাপন করা হয়েছিল, তাতে ব্যাপক প্রাণহানির উদ্দেশে একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা ছিল বলে ইঙ্গিত মিলেছে।” তিনি বলেন, “আমরা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছি এবং ঘটনাটিকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অন্তর্ঘাতের চেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করছি।”

    অন্তর্ঘাতের চেষ্টা হয়েছে আগেও

    এর আগে গত বছর একাধিকবার ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটিয়ে নাশকতার ছক কষা হয়েছিল। সময়মতো রেলকর্মী ও স্থানীয়দের তৎপরতায় সেগুলি ভেস্তে যায়।  উত্তরপ্রদেশেরই কানপুরে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায় কালিন্দী এক্সপ্রেস। সেবার কানপুরের শিবরাজপুরের কাছে রেললাইনের ওপর রাখা ছিল রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার (Train Sabotage)। সিলিন্ডার উদ্ধারের পাশাপাশি আরপিএফ ওই জায়গা থেকে সন্দেহজনক কয়েকটি জিনিসও উদ্ধার করে। সিলিন্ডারটি যেখানে (Uttar Pradesh) রাখা ছিল, সেখানে একটি হলুদ রংয়ের পদার্থও উদ্ধার করে পুলিশ (Train Sabotage)। কখনও রায়বরেলীতে রেললাইনের ওপর সিমেন্টের ব্লক ফেলে রাখা হয়। আবার কোথাও রেললাইনে ডাঁই করা মাটি, তো কোথাও আবার মোটরসাইকেলের স্ক্র্যাপ ফেলে রাখা হয়। কোথাও ফিশপ্লেট খুলে রাখা হয়। ফের একবার, রেলে নাশকতা তৈরির ছক বানচাল করা হল।

LinkedIn
Share