Tag: Madhyom

Madhyom

  • CM Yogi Adityanath: যোগী আদিত্যনাথের শিরশ্ছেদ করার হুমকি দিয়ে গ্রেফতার মুসলিম যুবক

    CM Yogi Adityanath: যোগী আদিত্যনাথের শিরশ্ছেদ করার হুমকি দিয়ে গ্রেফতার মুসলিম যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (CM Yogi Adityanath) শিরশ্চেদ করে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এক মুসলিম যুবক (Muslim Youth)। এবার বেরিলি থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য অভিযুক্ত এই যুবক আগেও একাধিকবার হিন্দু সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে নাশকতার হুমকি দিয়েছিল। সে রামমন্দিরকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল।

    মুসলিমরা এই বছর মহাকুম্ভ মেলা হতে দেবে না (CM Yogi Adityanath)!

    জানা গিয়েছে, প্রেমনগর থানায় এই মুসলিম যুবকের (Muslim Youth) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। নাম মাইজান রাজা। তার বয়স মাত্র ৩০। সামাজিক মাধ্যমে হিন্দুদের উদ্দেশ্যে উস্কানি মূলক মন্তব্য করে প্ররোচনা দেওয়ার কাজ করে। রামমন্দির যেমন উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল, একই ভাবে আবার কুম্ভমেলায় আক্রমণ করার কথাও ঘোষণা করেছিল। হিন্দু সম্প্রদায়কে টার্গেট করে বলে, “মুসলিমরা এই বছর মহাকুম্ভ মেলা হতে দেবে না। প্রত্যেক মুসলিমের উচিত প্রত্যেক হিন্দুর বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করা। এই বছর ২০২৫ সাল হবে রাম মন্দিরের শেষ বছর।” মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে (CM Yogi Adityanath) প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয় তার পোস্ট।

    আরও পড়ুনঃ অশান্ত মণিপুর, জ্বালিয়ে দেওয়া হল অসম রাইফেলসের ক্যাম্প

    সামাজিক মাধ্যমে উস্কানি এবং নাশকতার ছক

    অপর দিকে, রাজ্যের বিশ্বহিন্দু পরিষদের নেতা কেকে শঙ্খধর, এডিজি বেরেলি এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে অবিলম্বে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের (Muslim Youth) সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া উস্কানিমূলক বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের ষড়যন্ত্র (CM Yogi Adityanath) এবং নাশকতার চক্রান্তের অভিযোগে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    দেশের মুসলিম সমাজের একাংশ যে হিন্দু সমাজের প্রতি ব্যাপক হিংসার মনোভাব পোষণ এবং ধারণ করে, তা এই ঘটনায় আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। একই ভাবে মহাকুম্ভ মেলায় মেলার জায়গা নিয়ে বড় দাবি করেছেন সর্বভারতীয় মুসলিম জামাতের সভাপতি মাওলানা শাহাবুদ্দিন রাজভি বেরেলভি। তিনি বলেন, “৫ বিঘা ওয়াকফ জমি হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। মহাকুম্ভে শুধুমাত্র হিন্দুদের প্রবেশাধিকার রয়েছে। কেন শুধু হিন্দু সাধুদের আহ্বান করা হয়েছে? প্রয়াগরাজের স্থানীয় মুসলমানরা মহাকুম্ভ মেলায় দোকান দিতে চায়। এত বিশাল জনসমাগমে ভালো বাণিজ্যের সুযোগ রয়েছে। তাদের বসতে না দিয়ে বঞ্চনা করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 13 January 2025: আধ্যাত্মিক কাজে কিছু দান করতে হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 13 January 2025: আধ্যাত্মিক কাজে কিছু দান করতে হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদ অনেক দূর গড়াতে পারে।

    ২) প্রবাসী কারও আসার খবরে আনন্দ লাভ।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    বৃষ

    ১) মেরুদণ্ডের রোগের জন্য কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে হঠাৎ করে প্রচুর অতিথির আগমনে আনন্দ লাভ।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মিথুন

    ১) ধর্ম বিষয়ক আলোচনা থেকে মানসিক পরিবর্তন হতে পারে।

    ২) অযথা ব্যয়বৃদ্ধি নিয়ে দুশ্চিন্তা।

    ৩) বেশিরকাজ কাজেই সাফল্য মিলবে।

    কর্কট

    ১) নতুন সম্পর্ক গড়ার আগে ভালো করে চিন্তা করুন।

    ২) সারা দিন বহু দিক থেকে আয়ের সুযোগ আসতে পারে। 

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    সিংহ

    ১) কর্মস্থানে একটু সাবধানে কাজ করুন, আঘাত লাগতে পারে।

    ২) আধ্যাত্মিক কাজে কিছু দান করতে হতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    কন্যা

    ১) অপরের কথায় চললে অশান্তি বাধতে পারে।

    ২) পুরনো কোনও আশা পূরণের চেষ্টা।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    তুলা

    ১) চিকিৎসার খরচ বাড়তে পারে।

    ২) বন্ধুদের কথায় চললে আপনার খুব ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসায় কর্মচারীদের নিয়ে বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) কোনও উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হওয়ায় উপকার পাবেন।

    ৩) ধর্মস্থানে ভ্রমণ।

    ধনু

    ১) চাকরিজীবীদের জন্য খুব খরচের সময়।

    ২) কাউকে বেশি আপন ভাবলে কষ্ট পেতে হবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মকর

    ১) সকালের দিকে অতিরিক্ত রাগের কারণে কারও সঙ্গে হাতাহাতি ও রক্তপাতের সম্ভাবনা।

    ২) ব্যবসায় সুখবর প্রাপ্তিতে আনন্দ লাভ।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কুম্ভ

    ১) কর্মক্ষেত্রে সুখবর আসার পথে বাধা পড়তে পারে।

    ২) শত্রুর চক্রান্তে একটু বিভ্রান্ত হবেন।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মীন

    ১) বাড়িতে কোনও দামি জিনিস নষ্ট হওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ২) অসৎ সঙ্গ ত্যাগ না করলে সম্মানহানির যোগ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbha: নানা অছিলায় কুম্ভমেলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ব্রিটিশরা, জানুন অজানা কাহিনি

    Maha Kumbha: নানা অছিলায় কুম্ভমেলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ব্রিটিশরা, জানুন অজানা কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে শুরু হচ্ছে মহাকুম্ভ (Maha Kumbha)। ১৪৪ বছর পরে এবার হচ্ছে মহাকুম্ভ। প্রতি ১২ বছর অন্তর এখানে হয় কুম্ভমেলা। আর ১২টি কুম্ভ শেষে হয় মহাকুম্ভ। এবার সেই যোগ। সনাতনীদের এই অনুষ্ঠানের ওপর দিয়ে একাধিকবার বয়ে গিয়েছে ঝড় (British Suppression)। তা সত্ত্বেও কুম্ভের আকর্ষণ কমেনি একটুও। এখনও অমৃত কুম্ভের সন্ধানে এক যুগ অন্তর এখানে ভিড় করেন পুণ্যার্থীরা। গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে স্নান করে আত্মশুদ্ধি করেন তাঁরা।

    কুম্ভ বন্ধের চেষ্টা! (Maha Kumbha) 

    এহেন কুম্ভই বন্ধ করতে চেষ্টার কসুর করেনি ব্রিটিশরা। কুম্ভমেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তারা। ১৯৪২ সালে ব্রিটিশরা কুম্ভমেলায় অংশগ্রহণকারী ভক্তদের ওপর জারি করেছিল নিষেধাজ্ঞা। ঔপনিবেশিক এই শক্তি ১৯ শতকেও কুম্ভমেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। সেটা হয়েছিল ৮৫ বছর আগে। তবে এই দুবার নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণ ছিল ভিন্ন। ১৯৪২ সালে ধর্মীয় সমাবেশে ভিড় প্রতিরোধের জন্য একটি যুক্তি দিয়েছিল ব্রিটিশরা। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিল। গুজব রটেছিল যে জাপান হয়তো এই পবিত্র সমাবেশে বোমা ফেলতে পারে। এই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে ব্রিটিশ সরকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করেছিল। এলাহাবাদ (বর্তমান প্রয়াগরাজ) যাওয়ার ট্রেন এবং অন্যান্য পরিবহণ মাধ্যম ভালোভাবে তল্লাশি করা হত। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে যাত্রী ও যানবাহন ফেরতও পাঠানো হত।

    কুম্ভমেলা নিষিদ্ধ করেছিল ব্রিটিশ সরকার!

    প্রয়াগরাজের (Maha Kumbha) ধর্মীয় মেলা যে এলাকায় হয়, সেই যমুনা নদীর তীরে ছিল আকবরের দুর্গ। এটি ছিল একটি সামরিক ঘাঁটি। জাপানের সম্ভাব্য বিমান হামলার আশঙ্কায় সেবার কুম্ভমেলা নিষিদ্ধ করেছিল ব্রিটিশ সরকার। ব্যাপক প্রাণহানির ঝুঁকি কমাতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। এলাহাবাদগামী ট্রেনের টিকিট বিক্রিও সীমিত করা হয়েছিল। ভক্তদের বৃহৎ সংখ্যায় সমবেত না হওয়ার পরামর্শও দিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। বোমা হামলা হলেও যাতে প্রাণহানি এড়ানো যায়, তাই এই ব্যবস্থা। যদিও জাপানের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার গুজব মিথ্যা প্রমাণিত হলেও, ব্রিটিশ সরকার সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেনি। এই সিদ্ধান্তের কারণে হাজার হাজার ভক্ত সেবার কুম্ভমেলার সময় প্রয়াগের সঙ্গমে পবিত্র স্নান করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন (British Suppression)।

    ব্রিটিশদের অজুহাত

    কুম্ভমেলা উপলক্ষে হিন্দুদের জন্য ব্রিটিশরা কোনও বিশেষ ব্যবস্থা করত না। বরং বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে আখড়া এবং তীর্থযাত্রীদের কুম্ভস্নানে আসতে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করেছিল। তাদের অজুহাত ছিল, যে কোনও দিন জাপান পূর্ব সীমান্ত দিয়ে আক্রমণ করতে পারে। এই আক্রমণ প্রতিহত করতে ব্রিটিশরা কোনও ব্যবস্থাও নেয়নি। কুম্ভ সম্পর্কিত কোনও নথির অনুপস্থিতি এই তত্ত্বকে সমর্থন করে বলে জানান আঞ্চলিক আর্কাইভ অফিসার (RAO) অমিত অগ্নিহোত্রি। জাপানি বোমার সেই ভয় উপেক্ষা করেও, বেশ কয়েকটি সম্প্রদায় পবিত্র এই উৎসবে অংশ নিয়েছিল সেবার।

    আরও পড়ুন: ১৬ পরমাণু বিজ্ঞানী অপহরণে মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের, আদৌ ছাড়া পাবেন তাঁরা?

    ইতিহাসবিদদের বক্তব্য

    ইতিহাসবিদদের একাংশের মতে, এই সিদ্ধান্তের পেছনে আর একটি কারণ ছিল। ব্রিটিশরা আশঙ্কা করেছিল যে মেলায় বিপুল সংখ্যক জনসমাগম স্বাধীনতা আন্দোলনকে উজ্জীবিত করতে পারে। তাদের মতে, কুম্ভমেলার সময় স্বাধীনতা সংগ্রামীরা একত্রিত হতেন। ১৯৪২ সালে, ভারত ছাড়ো আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন কুম্ভমেলার মতো একটি বড় জমায়েত ব্রিটিশ সরকারের বুকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল। সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ভয় পেয়েছিল যে, কুম্ভে উপস্থিত জনগণ স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত হতে পারে। তাঁদের মতে, ব্রিটিশ সরকারের এই সিদ্ধান্তের পেছনে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল। এই উদ্বেগ সত্ত্বেও, ওই বছরের কুম্ভমেলা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছিল। অবশ্য সীমিত সংখ্যক পুণ্যার্থীই এতে অংশ নিতে পেরেছিলেন।

    সিপাহি বিদ্রোহ

    ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহ হয়েছিল। সেই সময় ব্রিটিশরা কেবল কুম্ভমেলার (Maha Kumbha) নির্ধারিত স্থানে গোলাবর্ষণ করেনি, সেই এলাকাটিকে একটি সেনাছাউনিতেও রূপান্তরিত করেছিল। স্বাধীনতা আন্দোলন দমন করা এবং পবিত্র সমাবেশ ঘটতে না দেওয়ার অজুহাত খাড়া করেছিল। ঔপনিবেশিক নথি অনুযায়ী, কুম্ভের সঙ্গে জড়িত প্রয়াগওয়াল সম্প্রদায় (যাত্রী পুরোহিতগণ) ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। তাঁরা ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে সমর্থন ও সাহায্য করেছিলেন। ঔপনিবেশিক সরকারের বিরোধিতা করে সক্রিয় প্রচারও চালিয়েছিলেন তাঁরা। কারণ, ব্রিটিশ সরকার খ্রিস্টান মিশনারিদের সমর্থন করেছিল। এরা প্রয়াগওয়াল ও তীর্থযাত্রীদের “অজ্ঞ সহধর্মী” বলে গণ্য করত। হিন্দু তীর্থযাত্রীদের খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করার আগ্রাসী প্রচেষ্টাও চালিয়েছিল তারা (British Suppression)। ব্রিটিশ সরকার প্রয়াগওয়ালদের ওপর এলাহাবাদে অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ তোলে। ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ উসকে দেওয়ার জন্য আংশিকভাবে তাদের দায়ী করে। কর্নেল নীল কুম্ভ এলাকা লক্ষ্য করে নির্বিচারে গোলাবর্ষণ করে প্রয়াগওয়ালদের বসতি ধ্বংস করে দেন। প্রয়াগওয়ালরা পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে এলাহাবাদে মিশনারি প্রেস এবং গির্জাগুলো ধ্বংস করে দিয়েছিলেন।

    প্রয়াগওয়ালদের তীব্র নির্যাতন

    ১৮৫৭ সালের জুন মাসে কুম্ভমেলার আগে আগে এলাহাবাদের মিশন কম্পাউন্ডে আগুন লাগানো হয়েছিল। আগুনে পুড়ে গিয়েছিল আমেরিকান প্রেসবাইটেরিয়ান চার্চ মিশনও। লেখক রেভারেন্ড এম.এ. শেরিংয়ের মতে, এই ঘটনাটি (Maha Kumbha) মিশনারি কার্যকলাপকে স্থগিত করে দিয়েছিল। ব্রিটিশরা নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করার পর, প্রয়াগওয়ালদের তীব্র নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। অনেককে ফাঁসিতে ঝোলানোও হয়েছ। গঙ্গা ও যমুনা নদীর সঙ্গমস্থলের আশেপাশের বেশিরভাগ জমি দখল করে তা সরকারি সেনাছাউনির অঙ্গীভূতও করা হয়েছিল।

    স্বাধীনতা আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে প্রয়াগরাজের এই কুম্ভমেলা। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এটি স্থানীয় মানুষ এবং রাজনীতিবিদদের বৃহৎ সংখ্যায় একত্রিত হওয়ার সুযোগ করে দিত। ১৯০৬ সালে প্রয়াগ কুম্ভমেলায় সনাতন ধর্ম সভা আয়োজন করে বৈঠকের। ভারতরত্ন প্রয়াত মদন মোহন মালব্যের নেতৃত্বে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই বৈঠকেই। কুম্ভমেলা হিন্দুত্ব আন্দোলন এবং এর রাজনীতির জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে ওঠে। ১৯৬৪ সালে হরিদ্বার কুম্ভে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি দেখিয়ে দিয়েছে যে কুম্ভের (Maha Kumbha) মতো সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় উৎসবের শুধু আধ্যাত্মিক গুরুত্বই নয়, রাজনৈতিক (British Suppression) এবং সামাজিক গুরুত্বও রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: “সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ সাম্প্রদায়িক নয়”, ইউনূসের দাবিতে নিন্দার ঝড়

    Bangladesh: “সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ সাম্প্রদায়িক নয়”, ইউনূসের দাবিতে নিন্দার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ সাম্প্রদায়িক নয়, সবটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।” অন্তত এমনই দাবি করলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। নোবেলজয়ী এহেন মন্তব্যে নিন্দার ঝড় বিশ্বজুড়ে।

    প্রশ্ন হল, হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়প্রভুকে মিথ্যা মামলা, হিন্দু (Minority Hindu) মন্দির ভাঙচুর, হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণ, খুন, বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি সবটাই শুধু রাজনৈতিক চক্রান্ত? কেন দুর্গাপুজোর সময় এবং বিসর্জনের সময় বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখার ফাতোয়া জারি করেছিল ইউনূস প্রশাসন? কেন উত্তরায় দুর্গাপুজা করলে মিছিল করে মৌলবীরা খুনের স্লোগান দিয়েছিল? কেন ইসকন মন্দিরে জগন্নাথদেবকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল? কেন সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় হিন্দুদের পিষে মারার নিদান দেওয়া হয়েছিল? এই সব প্রশ্নের ভিত্তি কি সাম্প্রদায়িক, নাকি কেবল রাজনৈতিক? অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে তার সঠিক বিশ্লেষণ দেওয়া হয়নি। ফলে শাক দিয়ে মাছ যে ঢাকা যায় না, তা ইউনূস প্রশাসন আরও একবার প্রমাণ করল বলেও ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    শুধুমাত্র ১.৫৯ শতাংশ ঘটনা সাম্প্রদায়িক কারণে ঘটেছে (Bangladesh)!

    বাংলাদেশ (Bangladesh) নিউজ আউটলেট ঢাকা ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “পুলিশ তদন্তে জানিয়েছে দেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মোট হামলা ও ভাঙচুরের রিপোর্ট করা ১৪১৫টি ঘটনার মধ্যে ৯৮.৪ শতাংশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। শুধুমাত্র ১.৫৯ শতাংশ ঘটনা সাম্প্রদায়িক কারণে ঘটেছে। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রচার বিভাগের মুখপাত্র সূত্রে পুলিশের অনুসন্ধানের এই তথ্য প্রকাশ করেছে। ১৭৬৯টি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ১৪১৫টি ঘটনার তদন্ত শেষ হয়েছে। ৩৫৪টি মামলার তদন্ত এখনও চলছে। তদন্ত করা মামলাগুলির মধ্যে ১২৫৪ টি প্রমাণিত হয়েছে এবং ১৬১টি ক্ষেত্রে প্রমাণে তথ্যের অভাব রয়েছে। তবে মোট মামলার মধ্যে ১৪৫২টি ঘটনা ঘটেছিল এক দিনেই।”

    ৩ দিনের ২০৫টি হামলা (Bangladesh)!

    আসুন তাহলে দেখে নিই, কীভাবে হামলার পরম্পরা চলেছে ওই দেশে। বাংলাদেশ (Bangladesh) হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে ৪ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার মোট ২০১০টি ঘটনা ঘটেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ঘটনার সংখ্যা আরও অনেক বেশি। হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর ৩ দিনের মধ্যে হিন্দু মন্দির, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অন্তত ২০৫টি হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে উগ্র মুসলিমরা। ৬০ জনের বেশি হিন্দু শিক্ষক, অধ্যাপককে জোর করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী এবং ব্লগার আসাদ নূর বলছেন, “হিন্দুদের জামাতে-ইসলামী-তে যোগদান করতে বাধ্য করা হচ্ছে।” আবার বিশিষ্ট লেখিকা তসলিমা নাসরিন একাধিক বার হিন্দু নির্যাতন নিয়ে তোপ দেগেছেন। তাঁর দাবি, বিএনপি, হিজবুল তেহেরির এবং জামাত শিবির বাংলাদেশকে হিন্দু শূন্য করতে চাইছে। ৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে গণেশ ঠাকুরের শোভাযাত্রায় হিন্দু (Minority Hindu) ভক্তদের ওপর হামলা করা হয়েছিল। দুর্গাপুজোর সময় ময়মনসিংহে ইয়াসিন মিয়া নামক এক ব্যক্তি গৌরীপুর শহরের পুজোয় হামলা চালায়। ঋষিপাড়া বারোয়ারি পুজো মণ্ডপে, মানিকাদি পালপাড়া বারোয়ারিতে ২৮ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর কট্টর মুসলমানরা হামলা করেছিল। দুর্গার পুজোর অষ্টমীতে ঢাকার তাঁতি বাজার এলাকায় পেট্রোল বোমা মারা হয়েছিল পুজো মন্দিরে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার সময়। এক কথায়, সাম্প্রদায়িকতার আগুনে হিন্দু জীবন চূড়ান্ত বিপর্যস্ত।

    মহাশ্মশান কালী মাতা মন্দিরে আক্রমণ জেহাদিদের

    ৩রা অক্টোবর, বাংলাদেশের (Bangladesh) ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জে গোপীনাথ জিউর আখড়া দুর্গাপূজো মণ্ডপে হিন্দু দেবদেবীর ৭টি মূর্তি ভাঙা হয়। ৫ নভেম্বর, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরের হাজারি গলিতে হিন্দুদের ব্যাপক মারধর করে পুলিশ। ২৯ নভেম্বর, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার পাথরঘাটায় হিংস্র মুসলিম জনতা হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ করে ৩টি মন্দির ভেঙে দেয়। মুসলমানরা যে হিন্দু ধর্মীয় স্থানগুলোকে টার্গেট করেছিল তার মধ্যে রয়েছে শান্তনেশ্বরী মাতৃ মন্দির, শনি মন্দির এবং কালীবাড়ি মন্দির। শুক্রবার নমাজের পরপরই ওখানে হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের ঢাকার কারওয়ান বাজার থেকে মুন্নি সাহা নামে বিশিষ্ট হিন্দু সাংবাদিককে পুলিশ মিথ্যা মামলায় আটক করেছিল। তাঁর দোষ, হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি মুখ খুলেছেন। ১৩ ডিসেম্বর একদল জেহাদি মহাশ্মশান কালী মাতা মন্দিরে আক্রমণ করেছিল। সেখানে ৭টি দেবতার মূর্তি ভাঙচুর করে তারা। চুরি করেছিল মন্দিরের বিগ্রহের সোনার গয়না। 

    আরও পড়ুনঃ ১৬ পরমাণু বিজ্ঞানী অপহরণে মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের, আদৌ ছাড়া পাবেন তাঁরা?

    গুজব রটিয়ে ও ইসলামকে অবমাননার অজুহাতে আক্রমণ

    ১৯ ডিসেম্বর, ময়মনসিংহ (Bangladesh) জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় আলাল উদ্দিন নামে একজন মুসলিম ব্যক্তি পলাশকান্দা কালী মন্দিরে একটি মূর্তি ভাঙচুর করেছিল। এখানকার আজহারুল নামে এক ৩৭ বছর বয়সী মুসলিম ব্যক্তি বেশ কয়েকটি দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুর করেছিল। একই ভাবে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু এবং তাঁর  সহযোগীদের সাম্প্রতিক সময়ে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে ইউনূস প্রশাসন। সকল হিন্দু সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টা এবং ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ মামলা দিয়ে হিন্দু বিক্ষোভ দমন করার কাজ তীব্র গতিতে করছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই ভাবে আবার গুজব রটিয়ে এবং ইসলামকে অবমাননার অজুহাতে হিন্দুদের ওপর হামলার একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে। হৃদয় পাল, উৎসব মন্ডল, পার্থ বিশ্বাস পিন্টু, আকাশ দাস এবং উত্সব কুমার গায়নের ওপর সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি হিন্দু নিপীড়নের উজ্জ্বল উদাহরণ। হিন্দুদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হিংসা, ভুয়ো মামলা দিয়ে কঠিন নির্যাতন করা হচ্ছে প্রতিদিন।

    মহিলা অন্তর্বাস হাতে নিয়ে উল্লাসে মেতেছিল জামাত!

    গত ৫ অগাস্ট থেকে উত্তপ্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। ‘কোটা’ বনাম ‘মেধাবী’ আন্দোলনের অন্তরালে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের গণভবন লুট করেছে কট্টর মৌলবাদীরা। একই ভাবে একজন ৭৫ বছরের মহিলা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ‘অন্তর্বাস’ হাতে নিয়ে উল্লাস করেছে ওই দেশের জামাত শিবিরের সমর্থকেরা। বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙচুর এবং মাথায় মূত্র ত্যাগের ঘটনায় বিরাট নিন্দার ঝড় উঠেছিল। আন্দোলনের আড়ালে ছিল ক্ষমতা দখলের অসৎ উদ্দেশ্য। হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে ক্ষমতায় বসেছেন মহম্মদ ইউনূস। এরপর থেকেই আওয়ামি লিগ এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর লাগাতার আক্রমণ হয়ে চলছে। অপরদিকে পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে লাগাতার চট্টগ্রাম বন্দরের মালামাল আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গোপনে অস্ত্র আমদানি করেছে ইউনূস প্রশাসন। দেশের অভ্যন্তরে ঢাকায় ভারতবিরোধী ভাবনার স্পষ্ট উচ্চারণ হচ্ছে। সীমান্তে বিজিপি ভারতের বিএসএফের সঙ্গে আচরণ বদলে ফেলেছে। সীমান্তে অনুপ্রবেশ এবং ভারতের জমি দখলের চেষ্টা করছে জেএমবির জঙ্গিরা। আর ঢাকা সহ একাধিক জেলায় মন্দির ভাঙচুর, লুটপাট, ধর্ষণ, খুন, হত্যা (Minority Hindu) ইত্যাদি ঘটে চলেছে। তবুও নির্লজ্জ ইউনূস নিজের কৃতকর্মের জন্য কোনও অনুতাপ করেননি।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Los Angeles: “বিষাক্ত ধোঁয়া এড়াতে বাড়িতে থাকুন”, বিধ্বংসী দাবানলে বিধ্বস্ত লস এঞ্জেলেস

    Los Angeles: “বিষাক্ত ধোঁয়া এড়াতে বাড়িতে থাকুন”, বিধ্বংসী দাবানলে বিধ্বস্ত লস এঞ্জেলেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা লস এঞ্জেলেস (Los Angeles) জুড়ে বিধ্বংসী দাবানলের (Devastating Fire) কারণে সরকার পক্ষের তরফে গভর্নর চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছেন। আগুনে পুড়ে এখনও পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, “আপনারা বিষাক্ত ধোঁয়া এড়াতে বাড়িতে থাকুন”। একইভাবে এখনও পর্যন্ত ১২০০০ ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মারাত্মক আগুন থেকে বহু মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং সরকারি সংস্থা দুর্গতদের সাহায্য এবং উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

    ৩৯০০০ একর জমিতে আগুন (Los Angeles)

    জানা গিয়েছে, লস এঞ্জেলেসে দাবানলের (Devastating Fire) কারণে দৈনন্দিন জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি থেকে ৩৯০০০ একর জমিতে জ্বলছে আগুন। ১৩৫০ কোটি থেকে ১৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পত্তি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই দাবানল সব থেকে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়। এখন সকল স্কুল, কলেজ, বিনোদনের জায়গা, হোটেল, রেস্তোরা বন্ধ। খেলাধুলা, কামিউনিটি ইভেন্ট বাতিল করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এবং বিপর্যয় কবলিত এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণ এবং নেভানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর মধ্যে ইটন ফায়ার ৫৬ বর্গ কিমি, দ্যা পালিসেডস ফায়ার সমৃদ্ধি প্যাসিফিক প্যালিসেডস আশপাশের এলাকাকে ব্যাপক ভাবে ধ্বংস করেছে। প্রচুর পরিমাণ গাছপালা, বাড়িঘর এবং প্রাকৃতিক সম্পত্তি আগুনের লেলিহান শিখায় ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।

    গলা ব্যথা এবং মাথাব্যথায় প্রচুর মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন

    স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে সকল বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এঞ্জেলেস ডিপার্টমেন্ট অফ পাবলিক হেলথের প্রধান অনীশ মহাজন বলেন, “আমরা সবাই দাবানলের ধোঁয়ার সংস্পর্শের মধ্যে পড়ে গিয়েছি। এই ধোঁয়ায় ছোট কণা, গ্যাস এবং জলীয় বাষ্পের মিশ্রণ রয়েছে। সূক্ষ্মকণাগুলি শরীরে প্রবেশ করে নাক এবং গলাকে প্রভাবিত করবে। তীব্র জ্বালা অনুভব হবে। ফলে গলাব্যথা এবং মাথাব্যথায় প্রচুর মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ইতিমধ্যে হশেরিফ রবার্ট লুনা প্যাসাডেনায় একটি পারিবারিক সাহায্য কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এই দাবানল আবার সান ফ্রান্সিসকোর একটি বড় এলাকাকে পুড়িয়ে দিয়েছে।

    ট্রাম্পকে পরিদর্শনের আর্জি

    ক্যালিফোর্নিয়ার (Los Angeles) গভর্নর গ্যাভিন নিউজম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দাবানলে (Devastating Fire) ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের অনুরোধ করেছেন। দুর্গত এবং আর্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সব রকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। নিজের এক্স হ্যান্ডলে বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, “ভয়াবহ দাবানলে প্রচুর মানুষের বাড়িঘর পুড়ে গিয়েছে। মানুষ নিজের জীবন নিয়ে বিপন্নবোধ করছেন। সরকার পক্ষ এবং একাধিক নানা বেসরকারি সংস্থা সবরকমভাবে সাহায্যের জন্য মাঠে নেমে পড়েছে। অযথা কেউ আতঙ্কিত হবেন না এবং সবরকম গুজব থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে চলুন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistani Nuclear Scientists Abducted: ১৬ পরমাণু বিজ্ঞানী অপহরণে মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের, আদৌ ছাড়া পাবেন তাঁরা?

    Pakistani Nuclear Scientists Abducted: ১৬ পরমাণু বিজ্ঞানী অপহরণে মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের, আদৌ ছাড়া পাবেন তাঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের লাগানো বিষবৃক্ষে ফল ধরতে শুরু করেছে! ভারতে নিত্য অশান্তি জিইয়ে রাখতে লাগাতার জঙ্গিদের মদত দিয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের (Pakistani Nuclear Scientists Abducted) সরকার। যিনিই মসনদে বসেছেন, তিনিই দেশের বিভিন্ন সমস্যা থেকে দেশবাসীর নজর ঘোরাতে অক্সিজেন জুগিয়ে গিয়েছেন বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীকে। এবার সেই জঙ্গিফাঁদে পড়েই অপহৃত পরমাণু বিজ্ঞানীদের ছাড়াতে কার্যত নাকানি চোবানি খাচ্ছে পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফের সরকার।

    টিটিপির হানা তেজস্ক্রিয় খনিতে (Pakistani Nuclear Scientists Abducted)

    ঘটনার সূত্রপাত দিন দুই আগে। তেহরিক-ই-তালিবান, সংক্ষেপে টিটিপির (TTP Terrorists) কয়েকশো জঙ্গি দিনে-দুপুরে হানা দেয় পাকিস্তানের বৃহত্তম ইউরেনিয়াম খনিতে। সশস্ত্র জঙ্গিদের রণমূর্তি দেখে পালিয়ে যায় খনি প্রহরারত নিরাপত্তারক্ষীরা। বিনা বাধায় খনিতে লুটপাট চালায় জঙ্গিরা। যাওযার সময় সঙ্গে নিয়ে যায় প্রচুর ইউরেনিয়াম। পণবন্দি করে ১৬ জন পাক পরমাণু বিজ্ঞানী-সহ মোট ১৮ জনকে। এই খনির নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল পাক রেঞ্জার্স এবং আধা কমান্ড বাহিনী। জঙ্গিদের দেখে প্রাণ বাঁচাতে গা-ঢাকা দেয় তারা। অসহায়ের মতো জঙ্গিদের সঙ্গে যেতে বাধ্য হন পাক পরমাণু বিজ্ঞানীরা। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা-সহ পশ্চিম দুনিয়া। ভয়েস অফ আমেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে পাক বিজ্ঞানীদের অপহরণ করেছে টিটিপি। পরে তাঁদের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের অনুমান, ইউরেনিয়ামের সাহায্যে এবার শক্তিশালী বোমা তৈরির চেষ্টা করবে টিটিপি। তাই খনি থেকে ইউরেনিয়াম লুট করেছে তারা (Pakistani Nuclear Scientists Abducted)।

    সুপ্ত ইচ্ছে পূরণ হবে জঙ্গিদের!

    দীর্ঘ সময় ধরে পরমাণু বোমা তৈরির সুপ্ত ইচ্ছে পোষণ করেছে বহু জঙ্গি নেতা। একই সঙ্গে বিজ্ঞানী ও তেজস্ক্রিয় লুট করে সেই স্বপ্ন সফল করতে পারে জঙ্গিরা। জঙ্গি সংগঠনগুলি পরমাণু বোমা তৈরি করলে বিশ্বজুড়ে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট হবে বলেই শঙ্কা মার্কিন গোয়েন্দাদের। এর আগেও পাক সেনাবাহিনীর হাতে থাকা পারমাণবিক হাতিয়ারের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা। আমেরিকার বহু বিশেষজ্ঞই ইসলামাবাদের কাছে আণবিক অস্ত্র থাকাকে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে মনে করেন। ইউরেনিয়াম খনি লুট এবং বিজ্ঞানীদের অপহরণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লিও।

    মুখ পোড়ার ভয়

    বিশ্বে মুখ পোড়ার ভয়ে প্রথমে বিজ্ঞানীদের অপহরণের কথা স্বীকার করেনি পাক সরকার। পরে অবশ্য জঙ্গি-কবল থেকে বিজ্ঞানীদের মুক্ত করতে শাহবাজ শরিফের সরকার দর কষাকষি করছে বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর। যদিও এ ব্যাপারে অফিসিয়ালি কিছু জানানো হয়নি পাক সরকারের তরফে। তবে টিটিপি (TTP Terrorists) জঙ্গিরা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রাণ বাঁচাতে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের কাছে কাতর আর্জি জানাচ্ছেন পাকিস্তানের অপহৃত ১৬ জন বিজ্ঞানী এবং দুই ইঞ্জিনিয়র।

    টিটিপির গুচ্ছের শর্ত

    এদিকে পণবন্দিদের জীবিত ছেড়ে দিতে গুচ্ছের শর্ত দিয়েছে টিটিপি জঙ্গিরা (Pakistani Nuclear Scientists Abducted)। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল, অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে তাদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে পাক ফৌজকে। মুক্তি দিতে হবে পাক জেলে বন্দি টিটিপির সমস্ত নেতা ও যোদ্ধাকে। আর পাক-আফগান সীমান্তের ‘ডুরান্ড লাইন’ বাতিল করে নয়া সীমান্ত নির্ধারণ করতে হবে। গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশে বড়সড় হামলা চালায় টিটিপি। মৃত্যু হয়েছিল পাক সেনা বাহিনীর এক মেজর-সহ বেশ কয়েকজন জওয়ানের। বদলা নিতে ২৫ ডিসেম্বর আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে এয়ারস্ট্রাইক চালায় পাকিস্তানের বায়ুসেনা। পরে পাকিস্তান দাবি করে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসন জানায়, পাকিস্তানের বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন শিশু ও মহিলা-সহ প্রায় ৫০ জন। এর পরেই সীমান্তে কয়েক হাজার জঙ্গি পাঠিয়ে দেয় তালিবানরা। তালিবান এবং টিটিপি জঙ্গিদের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেনি পাক সেনা। এই ঘটনার সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই পরমাণু বিজ্ঞানীদের অপহরণ করে টিটিপি বুঝিয়ে দিল পাক সেনার তুলনায় তারা কতটা শক্তিশালী।

    আরও পড়ুন: “হিন্দুরা জোটবদ্ধ না হলে এখানেও বাংলাদেশের মতো সংখ্যালঘু হয়ে পড়বেন”, বার্তা শুভেন্দুর

    রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

    গত ডিসেম্বর (TTP Terrorists) থেকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে টিটিপি ও পাক সেনার মধ্যে। এই সশস্ত্র গোষ্ঠীকে জঙ্গির তকমা দিয়েছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের অভিযোগ, আড়ালে থেকে টিটিপিকে (Pakistani Nuclear Scientists Abducted) ক্রমাগত মদত দিয়ে চলেছে তালিবান প্রশাসন। জঙ্গিদের তারা আশ্রয়ও দিচ্ছে বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে ইসলামাবাদ ও কাবুলের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানে এয়ারস্ট্রাইক চালানোর পরে পরেই সীমান্তে অন্তত দুটি পাক চৌকি দখল করে টিটিপির জঙ্গিরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় সেই ভিডিও-ও। চাপে পড়ে পাক সরকার জানায়, চৌকিগুলি খালি ছিল।

    ২০২১ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য আফগানিস্তানের ক্ষমতায় বসে তালিবান। সেই সময় উল্লাস করেছিল পাকিস্তান। তবে ইসলামাবাদের সেই আনন্দ অবশ্য বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কারণ ‘ডুরান্ড লাইন’কে কোনওদিনই মান্যতা দেয়নি তালিবান। তারাই নিয়মিত অক্সিজেন জুগিয়ে গিয়েছে টিটিপিকে (TTP Terrorists)। সেই টিটিপিই কালি লেপে দিল পাক সরকারের মুখে (Pakistani Nuclear Scientists Abducted)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: সীমান্তে ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিএসএফের ওপর চোরাচালাকারীদের হামলা, পাল্টা চলল গুলি

    BSF: সীমান্তে ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিএসএফের ওপর চোরাচালাকারীদের হামলা, পাল্টা চলল গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে ফের উত্তপ্ত মালদার বৈষ্ণবনগরের সুখদেবপুর সীমান্ত। এরই মধ্যে মালদার নওদায় ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালানকারীদের আটকাতে গুলি চালাল বিএসএফ। অভিযোগ, প্রথমে বিএসএফ (BSF) জওয়ানরা বাধা দেওয়ায় তাঁদের ওপরে প্রাণঘাতী হামলা চালায় চোরাচালানকারীরা। তখন আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালান বিএসএফ জওয়ানরাও। এর পরই বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BSF)

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে ফের একবার মালদার ভারত-বাংলাদেশ (BSF) সীমান্তে চোরাচালানকারীদের আটকাতে গিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। জওয়ানদের বিভ্রান্ত করতে তাঁদের চোখে হাই বিম টর্চের আলো ফেলতে থাকে বাংলাদেশি চোরাচালানকারীরা। দুষ্কৃতীদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে শূন্যে গুলি চালান বিএসএফ জওয়ানরা। এরই মধ্যে জওয়ানদের ওপরে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুষ্কৃতীদের দল। শেষ পর্যন্ত আত্মরক্ষার জন্য পাচারকারীদের দিকে পর পর দুরাউন্ড গুলি চালান বিএসএফ জওয়ানরা। সীমান্ত রক্ষীদের দিকে তেড়ে যায় দুষ্কৃতীরা। বাঁশ, লাঠি নিয়ে চলে আক্রমণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্যে গুলি চালায় বিএসএফ। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে মালদার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে বেশ ভিড় জমতে দেখেই সন্দেহ জাগে সীমান্ত রক্ষীদের। কৌতূহলের বশেই সেই ভিড়ের দিকে এগিয়ে যান প্রহরারত দুই রক্ষী। তারপরই তাদের ওপর ঘন কুয়াশার আড়াল থেকে চলে আক্রমণ। রক্ষীদের বন্দুক কেড়ে নেওয়া চেষ্টাও করে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু, ওই দুই জওয়ানকে বাগে পেলেও নিজেদের কার্য সিদ্ধি করতে পারেননি তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্যে গুলি চালায় দুই জওয়ান। গুলির ভয়ে কাঁটাতার পার করা ভুলে, প্রাণ হাতে নিয়ে পালায় ওই বাংলাদেশিরা। 

    আরও পড়ুন: দার্জিলিং থেকে পুরুলিয়ার ফারাক মাত্র দেড় ডিগ্রি! ১২ ডিগ্রিতে নামল কলকাতার তাপমাত্রা

    বাজেয়াপ্ত ধারালো অস্ত্র, নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ

    পাচার কাজেই বাংলাদেশ (BSF) থেকে কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। এপারে আসার পরেই তাদের মদত দিতে সেখানেই দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশি চোরাচালানকারীদের ভারতীয় সঙ্গীরা। তাদের ফিসফিসে গলার শব্দ পেয়ে সেদিকে ছুটে যান দুই জওয়ান, তাঁদের দিকে হামলা চালালেও, রক্ষীদের রুখতে ব্যর্থ হয় তারা। বাজেয়াপ্ত হয় কয়েকটি ধারালো অস্ত্র, নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। এর পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের নন্দনপুর, ফর্জিপাড়া এবং মালদা জেলার হরিনাথপুর ও চুরিয়ন্তপুর সীমান্ত দিয়েও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢোকার চেষ্টা ব্যর্থ করেছে বিএসএফ। উদ্ধার করা হয় মাদক, ৫টি গরু এবং অন্যান্য বেআইনি সামগ্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbha 2025: কুম্ভমেলায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন, কত খরচ জেনে নিন

    Mahakumbha 2025: কুম্ভমেলায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন, কত খরচ জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকদিনের। তার পরই প্রয়াগরাজে শুরু হচ্ছে মহাকুম্ভ। সারা দেশ থেকে সাধু সন্তদের আগমণ হচ্ছে পূণ্যতীর্থ প্রয়াগে। ভারতীয় রেলওয়ে মহাকুম্ভের (Mahakumbh 2025) সময় প্রায় ৩০০০ বিশেষ ট্রেন চালাবে। সঙ্গে ১ লক্ষেরও বেশি যাত্রীদের থাকার জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছে। মহাকুম্ভ উপলক্ষে ভক্তদের জন্য রাজকীয় বন্দোবস্ত করল আইআরসিটিসি। পাশাপাশি সরকারি, বেসরকারি উদ্যোগে সেখানে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারতীয় রেল এবং পর্যটন বিভাগ যৌথভাবে প্রয়াগরাজে ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মহাকুম্ভ মেলা উপলক্ষে বিশেষ ব্যবস্থা করেছে। এবার আইআরসিটিসি ত্রিবেণী সঙ্গমের কাছে আরাইল উপকূলে একটি বিলাসবহুল তাঁবুর শহর ‘মহাকুম্ভ গ্রাম’ তৈরি করেছে।

    মহাকুম্ভ গ্রামে কী রয়েছে? (Mahakumbh 2025)

    ত্রিবেণী সঙ্গম থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে সেক্টর ২৫ এর আড়াইল রোডে তৈরি হয়েছে এই গ্রাম। এখান থেকে ঘাটে যাওয়ার সুবিধা রয়েছে। পর্যটকদের জন্য সবরকম সুবিধা রয়েছে এই গ্রামে। রয়েছে আধুনিক সব ব্যবস্থা। বিশেষত ত্রিবেণী ঘাট খুবই কাছে, ফলে পুন্যর্থীদের বিশেষ সুবিধা (Mahakumbh 2025) হবে। কুম্ভ গ্রাম হল একটি অত্যাধুনিক আবাসন। সেখানে পর্যটকদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি এবং সমস্ত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সজ্জিত। ত্রিবেণী ঘাটের সঙ্গে তাঁবুর শহরের স্নান করতে ইচ্ছুক অতিথিদের জন্য একটি অতিরিক্ত সুবিধা থাকবে এখানে। সুপার ডিলাক্স তাঁবু ও ভিলা তাঁবু তৈরি করা হয়েছে। এগুলো আধুনিক সুযোগ- সুবিধা দিয়ে সজ্জিত। সহজেই এই তাঁবু বুকিং করা যাবে। এখানে সিসিটিভি নজরদারি থাকবে অতিথিদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। মহাকুম্ভ গ্রামে প্রাথমিক চিকিৎসার সুবিধা এবং সর্বক্ষণ জরুরি সহায়তাও থাকবে। IRCTC -র তরফে মহাকুম্ভ গ্রামে পুন্যর্থীদের আহ্বান জানানোর জন্য সব প্রস্তুতি শেষ।

    আরও পড়ুন: দার্জিলিং থেকে পুরুলিয়ার ফারাক মাত্র দেড় ডিগ্রি! ১২ ডিগ্রিতে নামল কলকাতার তাপমাত্রা

    কীভাবে IRCTC মহাকুম্ভ গ্রামে তাঁবু বুকিং করবেন?

    ১। প্রথমে আপনাকে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.irctctourism.com/mahakumbhgram এ যেতে হবে।

    ২। সেখানে আপনাকে লগ ইন করতে হবে।

    ৩। আপনার যদি ইতিমধ্যে একটি অ্যাকাউন্ট না থাকে, আপনি আপনার ইমেল ঠিকানা এবং ফোন নম্বর প্রদান করে “অতিথি ব্যবহারকারী” হিসাবে লগইন করতে পারেন।

    ৪। এরপর বুক নাও তে ক্লিক করুন। মহাকুম্ভ গ্রাম পৃষ্ঠার হোমপেজে, “এখনই বুক করুন” বোতামটি সন্ধান করুন এবং বুকিং ফর্মটি পূরণ করুন। আপনার যাবতীয় তথ্য দিন এবং লগ ইন (প্রবেশ) এবং লগ আউটের (প্রস্থান) দিনক্ষণ লিখুন।

    ৫। আপনার পছন্দ এবং বাজেটের উপর ভিত্তি করে তাঁবুর দুটি বিভাগ থেকে নির্বাচন করুন- সুপার ডিলাক্স তাঁবু এবং ভিলা তাঁবু। আপনার পুরো নাম, যোগাযোগের নম্বর, ইমেল ঠিকানা এবং আপনার যে কোনো বিশেষ প্রয়োজনীয়তা সহ প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য লিখুন।

    ৬। ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, নেট ব্যাঙ্কিং, UPI, বা ডিজিটাল ওয়ালেটের মতো নিরাপদ বিকল্পগুলির থেকে বেছে নিয়ে অর্থ প্রদান করুন। এরপরই আপনার বুকিং নিশ্চিত হয়ে যাবে। মহাকুম্ভ গ্রাম সম্পর্কিত আরও তথ্যের জন্য www.irctctourism.com/mahakumbhgram এই পেজটিতে যান। IRCTC মহাকুম্ভ গ্রাম তাঁবু গুলিকে অনন্যভাবে সজ্জিত করে তুলেছে। এখানে তাঁবু বুকিং করা যাবে। বুকিংয়ের পাশাপাশি IRCTC-এর রেল ট্যুর প্যাকেজ এবং ভারত গৌরব ট্রেনের মাধ্যমে, পরিষেবা প্রদান এবং সুবিধা নিশ্চিত করবে। মহাকুম্ভ গ্রামে, পর্যটকদের চিকিৎসা ও নিরাপত্তা সুবিধা সহ বিশ্বমানের আবাসন ও খাবারের সুবিধা দেওয়া হবে। চারটি ক্যাটাগরির আলাদা আলাদা তাঁবুর দাম রয়েছে। ডিলাক্স, প্রিমিয়াম, ডিলাক্স অন রয়‍্যাল বাথ, প্রিমিয়াম অন রয়‍্যাল বাথ। আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট থেকে এগুলি বুক করা যাবে।

    কোনটির কত খরচ?

    জানা গিয়েছে, ডিলাক্স রুমের (Mahakumbh 2025) জন্য একজনের জন্য ভাড়া ১০,৫০০ টাকা, দুজনের জন্য ভাড়া ১২ হাজার টাকা (ব্রেকফাস্ট সহ)। আর প্রিমিয়াম রুমের জন্য একজনের জন্য ভাড়া ১৫,৫২৫ টাকা, দুজনের জন্য ভাড়া ১৮ হাজার টাকা (ব্রেকফাস্ট সহ)। আর ডিলাক্স রুম অন রয়‍্যাল বাথে একজনের জন্য ভাড়া ১৬,১০০ টাকা, দুজনের জন্য ভাড়া ২০ হাজার টাকা (ব্রেকফাস্ট সহ)। প্রিমিয়াম রুম অন রয়‍্যাল বাথে একজনের জন্য ভাড়া ২১,৭৩৫ টাকা, দুজনের জন্য ভাড়া ৩০ হাজার টাকা (ব্রেকফাস্ট সহ)। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত বেডের জন্য ডিলাক্স রুমে লাগবে ৪২০০ টাকা এবং প্রিমিয়াম রুমের জন্য লাগবে ৬৩০০ টাকা ভাড়া। আর রাজকীয় স্নানের দিনে ডিলাক্স রুমে আপনাকে বেডের জন্য ৭০০০ টাকা এবং প্রিমিয়াম রুমে আপনাকে ১০,৫০০ টাকা ভাড়া দিতে হবে।

    কম খরচের ঘরও রয়েছে

     মহাকুম্ভের (Mahakumbh 2025) অফিসিয়াল ওয়েবসাইট mahakumbh.in-এ গিয়ে থাকার জন্য জায়গা বুকিং করতে পারেন আগে থেকে। এক্ষেত্রে নিজের জন্য ট্যুরও বুক করতে পারবেন আপনি। এক্ষেত্রে নিজের জন্য ট্যুরও বুক করতে পারবেন আপনি। এমনকী kumbh.gov.in ওয়েবসাইট থেকে বুকিং করলে আপনি অনেক কম খরচে ১৫০০ টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়ায় ঘর বুক করতে পারেন।

    ৪৪টি বিলাসবহুল তাঁবু

    এছাড়া কুম্ভমেলায় থাকার জায়গা হিসেবে প্রথমেই (Mahakumbh 2025) আসে দ্য আল্টিমেট ট্রাভেলিং ক্যাম্প। এই ক্যাম্পসাইটে ৪৪টি বিলাসবহুল তাঁবু রয়েছে যেখানে দুজনের থাকার ভাড়া প্রতিদিনের জন্য ১ লক্ষ টাকা করে। বাটলার, রুম হিটার, গিজার সহ আরও অনেক সুবিধে রয়েছে। এই তাঁবুগুলির বেশিরভাগই ১৪ জানুয়ারি, ২৯ জানুয়ারি এবং ৩ ফেব্রুয়ারি জন্য বুকিং হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISL Kolkata Derby: ডার্বির রং সবুজ-মেরুন, দ্রুততম গোলে লিগ টেবিলে শীর্ষেই মোহনবাগান

    ISL Kolkata Derby: ডার্বির রং সবুজ-মেরুন, দ্রুততম গোলে লিগ টেবিলে শীর্ষেই মোহনবাগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের কাছে অপরাজিতই রইল মোহনবাগান। এখনও পর্যন্ত আইএসএলে ১০ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। তার মধ্যে ৯ বারই জিতল মোহনবাগান। শনিবার ইস্টবেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারাল মোহনবাগান। ম্যাচের ১ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের মাথায় একমাত্র গোলটি করেন জেমি ম্যাকলারেন। থ্রু পাস বাড়িয়েছিলেন মোহনবাগানের আশিস রাই (Asish Rai)। সেই পাস ধরে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের ফাঁক দিয়ে গোল জেমি ম্যাকলারেনের (Jamie Maclaren)। আইএসএল ডার্বির ইতিহাসে এটাই দ্রুততম গোল। গোটা ম্যাচে বারবার সুযোগ পেলেও সেই গোল আর পরিশোধ করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানও ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট করে। ম্যাচে ২টি হলুদ কার্ড দেখে লাল কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের শৌভিক চক্রবর্তী।

    মোহনবাগানের দাপট 

    আইএসএলের প্রথম লেগের ডার্বি জিতেছিল মোহনবাগান। আইএসএলের প্রথম লেগের ডার্বি জিতেছিল মোহনবাগান। দ্বিতীয় ডার্বি জিতে মোহনবাগান ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেল। ইস্টবেঙ্গল যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই। বেঙ্গালুরুর সঙ্গে সবুজ-মেরুনের ব্যবধান শনিবারের পর আট পয়েন্টের। বাকিদের পক্ষে মোহনবাগানকে ধরা কার্যত অসম্ভব। বেশ কয়েক বছর ধরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে হারটাই দস্তুর হয়ে গিয়েছে লাল হলুদ শিবিরের। আইএসএলে টপ সিক্সে যাওয়ার আশা ইস্টবেঙ্গলের ক্রমশ ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে। এদিন হারের পরে সেই রাস্তা আরও কঠিন হয়ে গেল। ধারে ও ভারে এই মোহনবাগান চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের থেকে অনেকটাই শক্তিশালী। মাঠেও তা প্রমাণিত হয়েছে বাংরবার। 

    ছোটদের ডার্বিতেও জয়ী মোহনবাগান 

    শনিবার, বড়দের আগে ছোটদের ডার্বি জেতে মোহনবাগান। ২-১ গোলে জেতে সবুজ-মেরুন। কল্যাণীর মাঠে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবলারেরা নেমেছিল। প্রথমে গোল করে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের অনেকটা সময় পর্যন্ত এগিয়ে ছিল লাল-হলুদ। মোহনবাগানের রক্ষাকর্তা হয়ে ওঠে রাজদীপ পাল। নির্ধারিত সময়ের খেলায় সমতা ফেরায় সে। পরে সংযুক্তি সময়ে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করে রাজদীপ। মোহনবাগান সমতা ফেরানোর পরে আবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। পেনাল্টি পায় তারা। কিন্তু গোল করতে পারেনি লাল-হলুদ ফুটবলার। তার খেসারত দিতে হয় দলকে। রাজদীপ দ্বিতীয় গোল করার পরে আর ফেরার সম্ভাবনা ছিল না ইস্টবেঙ্গলের। ১-২ গোলে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Liquor Policy Case: আবগারি দুর্নীতিতে ক্ষতি ২০২৬ কোটি! ভোটের মুখে সিএজি রিপোর্টে আরও বিপাকে কেজরি

    Delhi Liquor Policy Case: আবগারি দুর্নীতিতে ক্ষতি ২০২৬ কোটি! ভোটের মুখে সিএজি রিপোর্টে আরও বিপাকে কেজরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের আগে বিপাকে দিল্লির আপ সরকার (Delhi Liquor Policy Case)। দিল্লিতে আম আদমি পার্টি (আপ) সরকারের জমানায় আবগারি লাইসেন্স বণ্টন সংক্রান্ত নীতিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠে এল ‘ফাঁস’ হওয়া সিএজি রিপোর্টে (CAG Report)। সেই রিপোর্টে দাবি, এর ফলে দিল্লি সরকারের অন্তত ২০২৬ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে আপ সরকারকে নিশানা করেছে বিজেপি।

    নতুন আবগারি নীতি কার্যকরের ক্ষেত্রে অনিয়ম

    ২০২১-২২ সালে দিল্লির আবগারি নীতি (Delhi Liquor Policy Case) বদল করেছিল তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। ২০২১ সালের নভেম্বরে তা কার্যকর হয়েছিল। ‘ফাঁস’ হওয়ায় সিএজি রিপোর্ট (CAG Report) বলছে, দিল্লির তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আবগারি মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করে নতুন আবগারি নীতি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, দিল্লির উপরাজ্যপাল (লেফটেন্যান্ট গভর্নর) ভিকে সাক্সেনা ২০২২ সালের জুলাই মাসেই অভিযোগ করেছিলেন, নতুন আবগারি নীতি কার্যকর করার ক্ষেত্রে অনিয়ম হচ্ছে। নতুন আবগারি নীতি কার্যকরের ক্ষেত্রে অসম্মতি জানানোর পাশাপাশি তিনি এ বিষয়ে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন।

    ক্যাগ রিপোর্টে দাবি

    সিএজি রিপোর্ট (CAG Report) বলছে, দিল্লিতে (Delhi Liquor Policy Case) আপ যে আবগারি নীতি চালু করেছিল তা রাজধানীর কোষাগারে বড় ধাক্কা দিয়েছে। অন্তত ২ হাজার ২৬ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে দিল্লি সরকারের। যদিও সিএজির এই রিপোর্ট এখনও দিল্লি বিধানসভায় পেশ হয়নি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ওই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আপ সরকারের আমলে ঘোষিত ওই আবগারি নীতিতে প্রচুর ত্রুটি ছিল এবং সেটা প্রকশ্যে আসার পরও ব্যবস্থা নেয়নি দিল্লি সরকার। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার নেতৃত্বের মন্ত্রীদের কমিটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অগ্রাহ্য করে। যথেচ্ছাচারে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। দিল্লির ক্যাবিনেট ও লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অনুমোদন উপেক্ষা করা হয়েছে। লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের সমস্যা, জরিমানা না করা, নিয়ম লঙ্ঘন, দিল্লি বিধানসভাতেও প্রয়োজনীয় অনুমোদন মানা হয়নি। যেসব লাইসেন্স সারেন্ডার করা হয়েছে, সেগুলির ক্ষেত্রে রিটেন্ডার করা হয়নি। যার জেরে ৮৯০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ।  

    আরও পড়ুন: ব্রহ্মস থেকে পিনাকা, রোবট কুকুর! প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে থাকবে আর কোন চমক?

    ইতিমধ্যেই আবগারি দুর্নীতি (Delhi Liquor Policy Case) মামলায় সরাসরি অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো হয়েছে আম আদমি পার্টিকে। যা ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা।  এই মামলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া সহ কয়েকজন হেভিওয়েটকে জেল খাটতে হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে আবগারিকাণ্ডে ফের অস্বস্তিতে আপ সরকার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share