Tag: Madhyom

Madhyom

  • Kali Puja 2024: শিকড়ের ঝাড়ের মধ্যে গুহাই এখানে মন্দির! ছিল রঘু ডাকাতের প্রধান আস্তানা

    Kali Puja 2024: শিকড়ের ঝাড়ের মধ্যে গুহাই এখানে মন্দির! ছিল রঘু ডাকাতের প্রধান আস্তানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মূর্তি নেই। অশ্বত্থ গাছ-ই কালী রূপে পূজিতা হন। বারাসতের অন্যতম পুরানো কালীমন্দির কাঠোর রোডের ডাকাত কালীবাড়ি। এই ডাকাত কালীবাড়ি  ঘিরে বহু কথা প্রচলিত রয়েছে আজও। আজও কালীপুজোয় (Kali Puja 2024) এখানে ভক্তদের ভিড় হয় চোখে পড়ার মতো। শুধু তাই নয়, প্রতিমা তো নেই-ই, নেই কোনও পুরোহিতও৷ সেখানে কোনও প্রতিমাও নেই। অশ্বত্থ গাছেরও সঠিক বয়স এখন জানা নেই কারও। এখানে এসে মায়ের কাছে মানত করে নমস্কার করে মোমবাতি-ধূপকাঠি জ্বালিয়ে নিজেই পুজো করে যায়।

    মন্দিরের কোনও দরজা নেই (Kali Puja 2024)

    আনুমানিক ৪০০ বছরের পুরানো এই কালীমন্দির। বারাসতের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে এই ডাকাত কালীবাড়ি বর্তমানে পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে। স্থানীয় বাসিন্দা অরুণ বিশ্বাস বলেন, এক সময় রঘু ডাকাত (Raghu dakat) এই মন্দির থেকেই পুজো করে ডাকাতির উদ্দেশ্যে বের হতেন। আবার ডাকাতি করে তাঁর দলবল নিয়ে এই মন্দিরেই ফিরে আসতেন৷ এটাই তাঁর প্রধান আস্তানা ছিল। রঘু ডাকাত সেসময় জমিদারদের বাড়ি ডাকাতি করে গরিবদের বিলিয়ে দিতেন৷ রঘু ডাকাত কখনও গরিবদের ওপর অত্যাচার করতেন না৷ এসব কথা তিনিও শুনেছেন৷ পাশাপাশি আর এক বাসিন্দা সোমনাথ ব্রহ্মচারী জানান এই মন্দিরের কোনও দরজা নেই। যতবারই দরজা লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে, ততবারই সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখা গিয়েছে, সেই দরজা নেই। সবার বিশ্বাস, মা স্বয়ং দরজায় দাঁড়িয়ে আছেন। তাই দরজার কোনও দরকার পড়ে না এই মন্দিরে।

    এই ডাকাত কালীবাড়ি জাগ্রত

    এক সময় এই এলাকায় মানুষ আসতে ভয় পেতেন৷ গোটা এলাকা জঙ্গলে ঘেরা ছিল৷ রাতে এই রাস্তায় কেউ যাতায়াত করত না৷ বাড়িঘরও তেমন ছিল না এখানে৷ আজ চিত্রটা সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। তবে আজও দূর-দূরান্তের মানুষের কাছে এই ডাকাত কালীবাড়ি (Kali Puja 2024) জাগ্রত। মন্দিরটির ছাদ বলতে অশ্বত্থ গাছের শিকড়৷ ইটগুলি রঘু ডাকাত সহ তার দলবলই কাঠের ডাইস বানিয়ে তাতে মাটি দিয়ে সেই সময় তৈরি করেছিল বলেই শোনা যায়৷ তাঁর দাবি, এই ইট দেখলেই বোঝা যায় একেবারে আলাদা। নেই কোনও নম্বর এবং অক্ষর, যা অন্যান্য ইটের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। মন্দির বলতে গাছে শিকড়ের ঝাড়ের মধ্যে গুহা, যার চারিদিকে ইট দিয়ে গাঁথা। আজও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মধ্যে অন্যতম এই মন্দির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Trade in Diwali: দেশে বেড়েছে ভারতীয় পণ্য কেনার ঝোঁক, ১.২৫ লক্ষ কোটির ক্ষতি চিনের

    Indian Trade in Diwali: দেশে বেড়েছে ভারতীয় পণ্য কেনার ঝোঁক, ১.২৫ লক্ষ কোটির ক্ষতি চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা মতো দেশীয় পণ্য (Indian Trade in Diwali) কেনার দিকে মন দিয়েছে ভারতবাসী। সস্তার চিনা পণ্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ক্রেতারা, এমনটাই জানিয়েছে সিএআইটি। আর এর এতেই, কপাল পুড়ল চিনের। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, চলতি উৎসবের (Diwali 2024) মরসুমে, ভারতীয়দের মধ্যে দেশীয় পণ্য কেনার ঝোঁক বেড়েছে। এর ফলে, চিনের ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার!

    দেশে সওয়া চার লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা

    দুই দেশের ভূ-রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে টানাপেড়েনের ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে চিনা পণ্য সরিয়ে ভারতীয় পণ্য কেনার ঝোঁক বাড়ছে। দীপাবলির (Diwali 2024) মরসুমে দেশব্যাপী প্রায় সওয়া চার লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসার (Indian Trade in Diwali) আশা করছে কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স বা সিএআইটি। ব্যবসায়ী সংগঠনটির আশা, সারা দেশের মধ্যে শুধুমাত্র দিল্লিই প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করতে পারে। ই-কমার্স সংস্থা এবং চিনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পাল্লা দেওয়ার জন্য কোমর বেঁধে নামতে চলেছে দেশের বিভিন্ন অংশের খুচরো ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। 

    উপহারে দেশি পণ্য চাই

    লোকাল সার্কল নামের একটি সংস্থার সমীক্ষা অনুসারে, উৎসবের দিনে ভারতীয়রা একে অপরকে উপহার দেন। এবার সেই উপহারে ভারতীয় পণ্যের প্রতি ঝোঁক বাড়ছে। এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে, উৎসবের মরসুমে (Diwali 2024) শহুরে নাগরিকরা আনুমানিক ১.৮৫ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করতে পারেন (Indian Trade in Diwali)। সমীক্ষাটি প্রকাশ করেছে যে, সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে ইতিমধ্যেই ১.২ লক্ষ কোটি টাকা উৎসবের জন্য খরচ করে ফেলেছেন ভারতীয়েরা। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ৫৩ শতাংশ ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি, বেকারির পণ্য বা চকোলেট জাতীয় উপহার কিনতে পছন্দ করেন। ৪৮ শতাংশ মানুষ উপহার দেওয়ার জন্য শুকনো ফল বেছে নেন। ২৭ শতাংশ মানুষ সুগন্ধি, মোমবাতি এবং বাতি বেছে নেন। ১৮ শতাংশ জনতা রান্নাঘরের জিনিসপত্র কেনেন। ১২ শতাংশ ভারতীয় দীপাবলি (Diwali 2024) উপলক্ষে বাড়ির জন্য আসবাব ও বাসনপত্র কিনতে পছন্দ করেন। চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধির আশায় ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সামগ্রী যেমন উপহার, পোশাক, গয়না, ইলেকট্রনিক্স, মোবাইল ফোন, আসবাবপত্র, সাজসজ্জার জিনিসপত্র, পূজার সামগ্রী, রঙ্গোলি, দেবতার প্রতিমা ও ছবি, তৈরি পোশাক ইত্যাদি কিনেছেন।

    আরও পড়ুন: আর চিনা সামগ্রী নয়, দীপাবলিতে অযোধ্যার রাম মন্দির সেজে উঠেছে শুধুই মাটির প্রদীপে

    চিনের লোকসান

    উৎসবের মরসুমে (Indian Trade in Diwali) পড়শি দেশ চিনের ব্যবসা কমেছে, এমন পরিসংখ্যানও তুলে ধরেছে সিএআইটি। ফেডারেশনের সচিব প্রবীণ খান্ডেলওয়াল জানিয়েছেন, উৎসবের মরসুমে চিনা পণ্যের চাহিদা কমেছে। যার ফলে, প্রায় ১.২৫ লক্ষ কোটির ব্যবসা মার খেতে পারে চিন, বলে অনুমান করছেন প্রবীণ। ধনতেরাস ও কালিপুজোর বাজার আশা যোগাচ্ছে মৃৎশিল্পীদেরও। চিনা বাতির দাপটে (Diwali 2024) কৌলিন্য হারাতে বসেছিল ভারতীয় সংস্কৃতির অন্যতম প্রদীপ শিল্প। কিন্তু গত দু-তিন বছর ধরে প্রদীপের চাহিদা ধীরে ধীরে বেড়েছে। রঙবেরঙের নানা নকশায় সজ্জিত বিভিন্ন প্রদীপ বাজার ছেয়েছে। এখন মাটির প্রদীপের চাহিদা তুঙ্গে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tab: ট্যাব কেনার ১০ হাজার টাকা বহু পড়ুয়ার ব্যাঙ্কে জমাই পড়েনি! প্রশ্নের মুখে শিক্ষা দফতর

    Tab: ট্যাব কেনার ১০ হাজার টাকা বহু পড়ুয়ার ব্যাঙ্কে জমাই পড়েনি! প্রশ্নের মুখে শিক্ষা দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর আগে রাজ্য সরকার ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৬ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী ট্যাব (Tab) কেনার টাকা দিতে শুরু করে। সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া শুরু করে। কিন্তু, অনেকের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ঢোকেনি বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য পড়েছে। প্রশ্নের মুখে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের ভূমিকাও।

    বহু পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি টাকা! (Tab)

    এ বারই প্রথম রাজ্য সরকার একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির সব পড়ুয়াকে এই টাকা (Tab) দিচ্ছে। যা বাজেট পেশের সময়েই রাজ্যের পক্ষে জানানো হয়েছিল। প্রথমে ঠিক ছিল প্রতি বছরের মতো এ বারেও শিক্ষক দিবসের দিন ৫ সেপ্টেম্বর উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার। শেষ বেলায় তা পিছিয়ে যায়। তবে পুজোর আগেই টাকা পাঠানো শুরু করে দেয় শিক্ষা দফতর (Education Department)। দীপাবলি এসে গেলেও বেশির ভাগ পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তা জমা পড়েনি। বিভিন্ন জেলা থেকেই এমন অভিযোগ এসেছে যে, ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের আওতায় ট্যাব বা মোবাইল কেনার টাকা থেকে বঞ্চিত বৃত্তিমূলক শিক্ষার্থীরা। সরকারি পোর্টালে পড়ুয়াদের নাম নথিভুক্ত না থাকার কারণেই এই জটিলতা বলে শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এ নিয়ে অনেক অভিযোগ উঠলেও শিক্ষা দফতরের বক্তব্য, কিছু কিছু ক্ষেত্রে গোলমাল হয়ে থাকলেও তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঠিক হয়ে যাবে, সকলেই টাকা পাবে। অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, ‘‘বৃত্তিমূলক শাখার পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা এখনও আসেনি। বাংলা শিক্ষা পোর্টালে নাম নেই বলেই এই টাকা দেওয়া হচ্ছে না।’’

    আরও পড়ুন: এআই ব্যবহার করেই কাশ্মীরে নিকেশ ৩ জঙ্গি, রহস্য ফাঁস করল সেনা

     কী সাফাই দিল বিকাশ ভবন?

    শুধু বৃত্তিমূলক পড়ুয়ারাই নয়, বিভিন্ন জেলার কোথাও চার হাজার, কোথাও ছ’হাজার পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে (Tab) এখনও টাকা পৌঁছয়নি। তবে এই টাকা না পৌঁছনোর কারণ হিসেবে বিকাশ ভবনের দাবি, অ্যাকাউন্ট নম্বর ভুল দেওয়া, অন্যের অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া এমন কারণেও অনেকের টাকা পৌঁছায়নি। ভুল অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়ায় অনেকের টাকা সেখানে চলে যাওয়ার ঘটনাও রয়েছে। তবে পুজোর ছুটি মিটে যেতেই দ্রুত সমাধানে উদ্যোগী হচ্ছে বিকাশ ভবন। ৩০ অক্টোবর থেকেই সব পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে কি না তার খোঁজ নেওয়া এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা দফতর। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, হাওড়া, দক্ষিণ দিনাজপুরে বহু পড়ুয়া টাকা পাননি বলে অভিযোগ।

    সরকারি অর্থের অপচয়

    বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘বিদ্যালয়গুলোকে বাঁচাতে, পরিকাঠামো উন্নয়ন করতে ও শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করতে যদি এর দশ ভাগের এক ভাগ (Tab) তৎপরতা দেখাত, তা হলে এই রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাটা বেঁচে যেত। সরকারি অর্থের অপচয় কী ভাবে করতে হয় তা এই সরকারের কাছ থেকে শেখা উচিত।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: নিরঞ্জনের আগে মাতা মহিষখাগীকে দেওয়া হয় পান্তা ভাত, খয়রা মাছ এবং রুইমাছের ভোগ!

    Kali Puja 2024: নিরঞ্জনের আগে মাতা মহিষখাগীকে দেওয়া হয় পান্তা ভাত, খয়রা মাছ এবং রুইমাছের ভোগ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমার কুঁড়ে ঘরে থাকতে ভালো লাগছে না, অতি তাড়াতাড়ি মন্দির তৈরি করে দে।” রাজাকে স্বপ্নাদেশ দেওয়ার পরে এতটুকুও বিলম্ব না করে মন্দির তৈরি করেন রাজা। এর পর থেকেই ১৫ ফুট উচ্চতার হাড়িকাঠে ১০৮টি মহিষ বলি দিয়ে শুরু হয় জাগ্রত দেবী মহিষখাগীর বিশেষ পুজো-অর্চনা (Kali Puja 2024)।

    তান্ত্রিকের হাতে পুজোর সূচনা

    নদিয়ার শান্তিপুর শহরের প্রায় ৩৫০ বছরের প্রাচীন মহিষখাগী কালীমাতার পুজোর ইতিহাস অনন্য। শোনা যায়, এই স্থানে এক তান্ত্রিকের হাতে পুজোর সূচনা হয়। পরবর্তীতে চ্যাটার্জি বংশের কাঁধে পুজোর দায়িত্বভার পড়ে। কিন্তু দেবীর মন্দির না থাকায় স্বপ্নাদেশে মন্দির নির্মাণ করেন স্বয়ং নদিয়ার মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র। বর্তমানে স্থানীয় বারোয়ারির তত্ত্বাবধানেই হয়ে আসছে এই জাগ্রত কালীমায়ের পুজো। প্রথমদিকে মন্দির ছিল একটি কুঁড়েঘরের আদলে। পুজোটি (Kali Puja 2024) আগে ছিল চ্যাটার্জি বংশের দায়িত্বে, পরে তাঁরা গত হলে বারোয়ারির হাতে দিয়ে যান পুজোর দায়িত্বভার। আগের মন্দির বহু প্রাচীন হয়ে যাওয়ায় এখন মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ হয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায়। শোনা যায়, বাঙালি বিয়ের রীতি অনুযায়ী পুজো করা হয় মহিষীখাগী কালীমা’কে। মাকে প্রথম পাটে তোলার সময় থাকে একাধিক নিয়মরীতি। পাটে তোলার পরে মন্দির প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করে সেদিন ভোররাতে হয় দধিমঙ্গল। তারপরে অমাবস্যা শুরু হলে বিয়ের রীতি মেনেই পুজো করা হয় দেবীকে। পরের দিন পালন করা হয় বাসি বিয়ের রীতি। বাসি বিয়ের রীতি অনুযায়ী পূজিত হন মা। পুজো সম্পন্ন হওয়ার পর কাঁধে করে নিয়ে যাওয়া হয় মা’কে নিরঞ্জনের জন্য।

    আগে এই পুজোয় উৎসর্গ করা হত মহিষকে (Kali Puja 2024)

    পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে জানা যায়, বহু বছর আগে এই পুজোয় উৎসর্গ করা হত মহিষকে, পরবর্তীতে হয় পাঁঠা বলি। তবে অনেক বছর আগে একবার পুজার্চনা করতে দেরি হয়ে যাওয়াতে বলি উৎসর্গের সময় পেরিয়ে যায়। সেই দিন থেকেই মহিষখাগী কালীমায়ের পুজোতে কোনও রকম বলি উৎসর্গ করা হয় না। সেই থেকেই বন্ধ হয়ে যায় মহিশখাগী মাতার পুজোতে বলি প্রথা। তবে নিরঞ্জনের আগে মাতা মহিষখাগীকে (Goddess Mahishkhagi) দেওয়া হয় পান্তা ভাত, খয়রা মাছ এবং রুইমাছের ভোগ। এই পুজোকে (Kali Puja 2024) কেন্দ্র করে সারা শান্তিপুরবাসী মেতে ওঠেন দীপাবলির আনন্দে। দেবীর নিরঞ্জনের ক্ষেত্র রয়েছে দেবী ও ভক্তদের মেলবন্ধন, ভক্তদের কাঁধে করেই নিরঞ্জনযাত্রায় নিয়ে যাওয়া হয় দেবী মহিষখাগীকে। মনের ভক্তি ও মায়ের আবার আগমনীর আহ্বান জানিয়ে চিৎকার করতে থাকেন হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Apple: মাথায় হাত চিনের! ভারতে তৈরি ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের আইফোন রফতানি করল অ্যাপল

    Apple: মাথায় হাত চিনের! ভারতে তৈরি ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের আইফোন রফতানি করল অ্যাপল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত থেকে ৬ বিলিয়ন (৬০০ কোটি) মার্কিন ডলার মূল্যের আইফোন (IPhone) রফতানি করল আমেরিকান কোম্পানি অ্যাপল (Apple)। সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ছ’মাসে রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে এক তৃতীয়াংশ। মার্কিন এই কোম্পানি যে ক্রমেই চিনের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর চেষ্টা করছে, এই ঘটনাই তার সব চেয়ে বড় প্রমাণ। এতে বার্ষিক রফতানি ২০২৪ অর্থবর্ষে ১০ বিলিয়ন বা এক হাজার কোটি মার্কিন ডলারের চৌকাঠ পার হতে চলেছে বলে খবর।

    অ্যাপলের কৌশল (Apple)

    মার্কিন কোম্পানি অ্যাপল ভারতে উৎপাদন নেটওয়ার্ক দ্রুত সম্প্রসারণ করছে। স্থানীয় ভর্তুকি, দক্ষ শ্রমিক এবং দেশীয় প্রযুক্তিগত দক্ষতার উন্নতির সুযোগ নিচ্ছে এই কোম্পানি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে উৎপাদন বৃদ্ধি করা আদতে চিনের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বেজিংয়ের সঙ্গে হোয়াইট হাউসের উত্তেজনার কারণেই এই কৌশল।

    বাড়ছে অ্যাপলের রফতানির পরিমাণ 

    অ্যাপল (Apple) ভারতের স্মার্টফোন বাজারের প্রায় ৭ শতাংশ দখল করে রেখেছে। এই কোম্পানির তিনটি সরবরাহকারী সংস্থা – তাইওয়ানের ফক্সকন টেকনোলজি গ্রুপ এবং পেগাট্রন কর্প এবং দেশীয় টাটা ইলেকট্রনিক্স – ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে আইফোন অ্যাসেম্বল করে। চেন্নাইয়ের শহরতলিতে অবস্থিত ফক্সকনের স্থানীয় ইউনিটটি ভারতের শীর্ষ সরবরাহকারী কোম্পানি। দেশের মোট আইফোনের সিংহভাগ রফতানি করে এরাই। টাটা গ্রুপের ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন শাখাটি গত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কর্নাটকের কারখানা থেকে প্রায় ১৭০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের আইফোন রফতানি করেছে বলে সূত্রের খবর (Apple)। টাটা গত বছর উইস্ট্রন কর্পের কাছ থেকে এই ইউনিটটি অধিগ্রহণ করে। এটাই অ্যাপলের সর্বাধিক বিক্রিত পণ্য অ্যাসেম্বল করা প্রথম ভারতীয় প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে।  

    আরও পড়ুন: আর চিনা সামগ্রী নয়, দীপাবলিতে অযোধ্যার রাম মন্দির সেজে উঠেছে শুধুই মাটির প্রদীপে

    ভারত ক্রমেই বেশি বেশি করে আইফোন উৎপাদন করছে। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম পাঁচ মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ রফতানির জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে ভারত। এর মূল্য ২.৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পাঁচ বছর আগে, যখন অ্যাপল ভারতে উৎপাদন শুরু করেনি, তখন আমেরিকায় ভারতের বার্ষিক স্মার্টফোন রফতানির পরিমাণ ছিল মাত্র ৫২০ কোটি মার্কিন ডলার (Apple)। এখন সেটাই এক লপ্তে বেড়ে গিয়েছে অনেকখানি (IPhone)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Awas Yojana scheme: আবাস যোজনায় ফের ‘দুর্নীতি’! জেলায় জেলায় ব্যাপক ক্ষোভ ‘বঞ্চিতদের’, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Awas Yojana scheme: আবাস যোজনায় ফের ‘দুর্নীতি’! জেলায় জেলায় ব্যাপক ক্ষোভ ‘বঞ্চিতদের’, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার আবাস যোজনায় (Awas Yojana scheme) নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ দেগঙ্গায়। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে রাজ্যের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। ঘটনা ঘটেছে দেগঙ্গা থানার বেড়াচাঁপা ২ পঞ্চায়েতের পশ্চিম যাদবপুর গ্রামে। মূলত আবাস যোজনার সমীক্ষা করতে গেলে দুর্নীতির ইস্যুতে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়েন। ঘটনায় তৃণমূল অত্যন্ত চাপের মুখে। পাল্টা বিজেপি এক হাত নিয়েছে চুরি নিয়ে। উল্লেখ্য একই ভাবে সোমবারও পুরুলিয়া-জলপাইগুড়ি-বীরভূমে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল।

    যাঁদের বাড়ি দরকার তাঁদের বাড়িতে সমীক্ষা হয়নি (Awas Yojana scheme)

    মমতা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আবাস যোজনার (Awas Yojana scheme) পরিকল্পনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। ক্যাগ রিপোর্টের ভিত্তিতে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে যে, তৃণমূল সরকার আবাস যোজনায় প্রচুর পরিমাণে আর্থিক নয়-ছয় করেছে। লোকসভার ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একাধিক বার আবাসে আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন। দুর্নীতির কারণে রাজ্যের বরাদ্দ অর্থও কমিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র।

    মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনায় সমীক্ষার কাজে গেলে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা ক্ষোভের মুখে পড়েন। স্থানীয়দের বক্তব্য, “তৃণমূলের নেতারা মানুষের ন্যায্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত করেছে। প্রকৃত প্রাপকরা নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কারণে। যাঁদের বাড়ি দরকার তাঁদের বাড়িতে সমীক্ষা হয়নি। যাঁদের দুটো তিনটে বাড়ি আছে তাঁদের বাড়িতেই সমীক্ষা করেছে রাজ্য সরকারের জনপ্রতিনিধি এবং আধিকারিকরা। প্রকল্পের সুবিধা থেকে গরিবদের বঞ্চনা করা হয়েছে।” এক সরকারি আধিকারিক বলেন, “পুরনো তালিকা অনুযায়ী আবাসের (Awas Yojana scheme) সমীক্ষা হচ্ছে। তালিকা চূড়ান্ত হলে সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে।” 

    পুরুলিয়া-জলপাইগুড়ি-বীরভূমে ব্যাপক ক্ষোভ

    একই ভাবে পুরুলিয়া জেলার মানবাজার ১ ব্লকে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। অভিযোগে ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত সোনাইজুড়ি পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দেন। আবার পঞ্চায়েতকে অন্ধকারে রেখে সরকারি সমীক্ষা করছেন বলে অভিযোগ তুলে কয়েকদিন আগে তৃণমূল পরিচালিত বাঘমুণ্ডি ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত অযোধ্যায় তালা ঝুলিয়ে দেন দলেরই কর্মীরা। আবার জলপাইগুড়ির সদর ব্লকে আরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের করলাভ্যালি চা বাগানের শ্রমিক মহল্লার বঞ্চিতরা বিডিও-র দ্বারস্থ হয়ে দ্রুত সমাধানের দাবি করেন। অন্যদিকে, বীরভূমের ইলামবাজারের মঙ্গলডিহি পঞ্চায়েতের সামনে আবাস যোজনার সমীক্ষা চালাতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন ব্লকের আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুনঃ কালীপুজোয় আরও রাত পর্যন্ত চলবে মেট্রো, কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর রুটের সূচি পরিবর্তন

    শুভেন্দুর তোপ

    আসানসোলে একটি কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আবাসে ব্যাপক রাজনীতি হচ্ছে। তৃণমূল অনেকদিন খেতে পায়নি। তাই প্রকল্প বিক্রি করতে পথে নেমেছে। প্রথমত এই তালিকাতেই কয়েক লক্ষ যোগ্য লোকের নাম নেই ৷ দ্বিতীয়ত, যে নাম এসেছে, অধিকাংশই তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেদের নাম৷ যাঁদের পাকাবাড়ি (Awas Yojana scheme) আছে, পাওয়ার যোগ্য নয়৷ আমি অন্তত ১০০টা ছবি দেখাতে পারি।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pedro Sanchez: ইউপিআইয়ের মাধ্যমে গণেশ মূর্তি কিনলেন স্পেনের প্রেসিডেন্ট, সস্ত্রীক পালন করলেন দীপাবলিও

    Pedro Sanchez: ইউপিআইয়ের মাধ্যমে গণেশ মূর্তি কিনলেন স্পেনের প্রেসিডেন্ট, সস্ত্রীক পালন করলেন দীপাবলিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউপিআই (UPI) ব্যবহার করে গণেশ মূর্তি কিনলেন স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো স্যাঞ্চেজ (Pedro Sanchez)। যেহেতু তিনি এ ব্যাপারে সড়গড় নন, তাই স্যাঞ্চেজ নিজে ইউপিআই ব্যবহার করতে পারেননি। স্পেনের প্রেসিডেন্টকে লেনদেনে সাহায্য করেছেন এক ভারতীয় প্রতিনিধি। ইউপিআই ব্যবহার করে গণেশ মূর্তি কিনতে পারায় যারপরনাই খুশি স্যাঞ্চেজ।

    জনপ্রিয়তা বাড়ছে ইউপিআইয়ের (Pedro Sanchez)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মস্তিষ্ক প্রসূত ইউপিআই দেশে তো বটেই বিদেশেও ভীষণ জনপ্রিয় হচ্ছে। কিছুদিন আগেই মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু ভারত সফরে এসেছিলেন। মলদ্বীপেও যাতে ইউপিআইয়ের মাধ্যমে লেনদেন করা যায়, তার ব্যবস্থা পাকা করে গিয়েছেন তিনি। অচিরেই মলদ্বীপেও মিলবে ইউপিআইয়ের মাধ্যমে লেনদেনের সুবিধা। ইউপিআইয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতা। ফ্রান্স সহ একাধিক দেশে এখন কার্যকর ইউপিআই। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও গেয়েছেন ইউপিআই-প্রশস্তি। যেভাবে প্রযুক্তিকে সর্বসাধারণের কাজে লাগানো হয়েছে, তা বিশ্বের আর কোনও দেশ, এমনকী আমেরিকাও করে দেখাতে পারেনি বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক পল রোমার। সেই ব্যবস্থাই কাজে লাগিয়ে মুম্বইয়ে গণেশের মূর্তি কিনলেন স্পেনের প্রেসিডেন্ট।

    দীপাবলি পালন

    সস্ত্রীক তিনদিনের ভারত সফরে এসেছেন স্পেনের প্রেসিডেন্ট (Pedro Sanchez)। সোমবার স্ত্রী বেগোনা গোমেজকে নিয়ে মুম্বইয়ে দীপাবলি উৎসবে মাতলেন তাঁরা। প্রেসিডেন্ট ও তাঁর স্ত্রীকে প্রদীপ জ্বালাতে দেখা যায়। তারাবাতিও জ্বালাতে দেখা যায় তাঁদের। লাড্ডু-সহ বিভিন্ন সুস্বাদু ভারতীয় মিষ্টির স্বাদও গ্রহণ করেন তাঁরা (Pedro Sanchez)। স্যাঞ্চেজ বলেন, “স্পেন ও ভারত ২০২৬ সালকে সংস্কৃতি, পর্যটন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বছর হিসেবে উদযাপন করছে।”

    আরও পড়ুন: কালীপুজোর আগে ভূত চতুর্দশীতে ১৪ শাকে আটকে যায় বহু রোগ! কী কী জানেন?

    তিনি জানান, স্পেন ভারতের জন্য ফুটবল কোচ পাঠাবে। আর ভারত স্পেনে ক্রিকেট প্রচার করতে পারে। সাঞ্চেজ স্পেন ও ভারতের মধ্যে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সহযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় উন্নত করার কথাও বলেন। তিনি জানান, শীঘ্রই স্প্যানিশ দল ভারতের ফুটবল ম্যাচে অংশ নেবে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “ভারতের ডিজিটাল বিপ্লবকে সরাসরি প্রত্যক্ষ করলেন (পেদ্রো সাঞ্চেজ)। প্রেসিডেন্ট পেদ্রো স্যাঞ্চেজ আজ মুম্বইতে ইউনিফাইড পেমেন্টস ইন্টারফেসের মাধ্যমে পেমেন্ট করেছেন। এর রিয়েল-টাইম ও সাচ্ছন্দ্যপূর্ণ লেনদেন প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করেছেন। ডিজিটাল পথ দ্রুতই ভারত-স্পেন প্রযুক্তিগত (UPI) অংশীদারিত্বকে সংযুক্ত করছে (Pedro Sanchez)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Mandir: আর চিনা সামগ্রী নয়, দীপাবলিতে অযোধ্যার রাম মন্দির সেজে উঠেছে শুধুই মাটির প্রদীপে

    Ayodhya Ram Mandir: আর চিনা সামগ্রী নয়, দীপাবলিতে অযোধ্যার রাম মন্দির সেজে উঠেছে শুধুই মাটির প্রদীপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামায়ণের কাহিনী অনুযায়ী, রাম বনবাসের পরে দীপাবলির সময়ে অযোধ্যায় ফিরে এসেছিলেন। ২০১৫ থেকে সেই দীপাবলির আগের দিন অযোধ্যায় দীপোৎসব শুরু হয়েছে। চলতি বছর এই উৎসব ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম সেখানে দীপোৎসবের আয়োজন চলছে। এই উৎসবে স্থানীয় কারিগরদের উৎসাহ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ভোকাল ফর লোকাল’ নীতি মেনে অযোধ্যা মন্দিরে সব রকম চিনা পণ্য (Chinese Lights in Diwali) নিষিদ্ধ করেছে শ্রী রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। জ্বলবে শুধু মাটির প্রদীপ।

    চিনা পণ্য নয়

    রামমন্দির উদ্বোধনের পর প্রথমবার সেখানে দীপাবলি উদযাপন হচ্ছে। আয়োজনে কোনওরকম খামতি রাখতে রাজি নয় মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ড। এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, এবছর দীপাবলি উদযাপনে শ্রীরামের জন্মভূমি ক্ষেত্র অযোধ্যা, মন্দির চত্বরে একেবারে নিষিদ্ধ চাইনিজ লাইট-সহ (Chinese Lights in Diwali) যে কোনও চিনা সামগ্রীর ব্যবহার। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট দীপাবলির সময় চিনা সামগ্রীর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, স্থানীয় কারিগরদের উৎসাহ দিতে এবং ‘ভোকাল ফর লোকাল’ উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আত্মনির্ভর ভারতের দিকে এগিয়ে যেতে চায় অযোধ্যা।

    রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) চিনা সাজসজ্জার সামগ্রী ব্যবহার না করা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে, অযোধ্যার কমিশনার গৌরব দয়াল বলেন, “শুধুমাত্র স্থানীয় কারিগরদের তৈরি স্থানীয় সামগ্রী ব্যবহার করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। মানুষের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে। তবে মন্দির চত্বরের বাইরে গোটা শহরে চিনা উপাদান ব্যবহার না করার কোনও নির্দেশ নেই। এটি তাঁদের উপর নির্ভর করবে। আমরা মানুষকে জোর করতে পারি না।”

    প্রধানমন্ত্রীর শুভ-কামনা

    ইতিমধ্যেই দীপাবলি উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভ কামনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “এই বছরের দীপাবলি বিশেষ বার্তাবহ। কারণ, ৫০০ বছর পর এই প্রথম ভগবান রাম অযোধ্যায় নিজের মন্দিরে দীপাবলি পালন করবেন। আমরাও তাঁর বিশালাকার মন্দিরে এই প্রথম শ্রীরামের সঙ্গে উৎসব পালন করব। এই মহান ও বিশাল দীপাবলির সাক্ষী হতে পারার মতো মুষ্টিমেয় সৌভাগ্যবান আমরা।” দীপাবলিতে মূল মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) পাশাপাশি পুরো চত্বর-সহ মূল সড়ক সর্বত্র সেজে উঠবে মাটির প্রদীপে। দীপাবলি উপলক্ষে রামলালার মূর্তি এবং লক্ষ্মণের মূর্তিকে পরানো হবে নতুন ডিজাইনার পোশাক। পোশাক ডিজাইন করবেন বিশিষ্ট ফ্যাশন ডিজাইনার মণীশ মালহোত্রা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: সেবক পাহাড় কেটে তৈরি হয়েছে মন্দির! কালীপুজোয় ভেসে যায় আলোর ঝর্নাধারায়

    Kali Puja 2024: সেবক পাহাড় কেটে তৈরি হয়েছে মন্দির! কালীপুজোয় ভেসে যায় আলোর ঝর্নাধারায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড় কেটে তিনশো ফুট উঁচুতে তৈরি হয়েছে মায়ের মন্দির। এখানে রয়েছে দক্ষিণাকালীর মুর্তি। সেবক পাহাড়ে মন্দিরটি হওয়ায় এর নাম সেভকেশ্বরী কালীমন্দির। মায়ের দর্শন পাওয়ার জন্য সেবক পাহাড়ে ১০৭টি সিঁড়ি ভেঙে উঠতে হবে। কালীপুজোর দিন ভক্তদের ঢল নামে এই কালীমন্দিরে (Kali Puja 2024)। শিলিগুড়ি ও লাগোয়া এলাকাই নয়, কলকাতা, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ থেকেও বহু মানুষ কালীপুজোর দিন এখানে আসেন, রাত জেগে পুজো দেন ও দেখেন। ভোর হতে প্রসাদ নিয়ে ফিরে যান।

    কোথায় এই মন্দির? (Kali Puja 2024)

    শিলিগুড়ি শহর থেকে ২০ কিমি দূরে এই মন্দির। শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক, কালিম্পং বা ডুয়ার্স যাওয়ার পথে সেবক পাহাড়ে ওঠার মুখে রাস্তার বাঁ-দিকে সেভকেশ্বরী কালীমন্দির। স্বপ্নে পাওয়া এই মন্দির জাগ্রত বলে প্রচলিত। কথিত আছে, এখানে মানত করে সকলেরই মনোবাসনা পূর্ণ হয়। তাই সারা বছরই সেভকেশ্বরী কালীমন্দিরে ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকে। এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে অনেক গাড়ি থামে। মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে যাত্রা করেন সকলে। আবার কিছু গাড়ি না থামলেও মন্দিরের সামনে এসে গতি মন্থর করে। যাত্রী ও গাড়ির ড্রাইভার নীচ থেকেই মা’কে প্রণাম করে যান।

    সেভকেশ্বরী মন্দির তৈরির কাহিনি

    এখানকার অন্যতম পুরোহিত নন্দকিশোর গোস্বামী বলেন, সেবকে রাজ্য সরকারের একটি অফিসের কর্মী ছিলেন মাতৃসাধক দীনেন্দ্রনাথ সান্যাল। তিনি স্বপ্নে দেখেন, সেবক পাহাড়ের জঙ্গলে ঢাকা পড়ে রয়েছে পঞ্চমুন্ডির আসন ও ত্রিশূল (Kali Puja 2024)। সেই মতো জঙ্গল কেটে সেই আসন বের করে সেবক পাহাড়ে তিনি কয়েক জনের সহযোগিতায় ১৯৫২ সালে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরের সামনে সেই পঞ্চমুন্ডির আসন ও ত্রিশূল রাখা আছে। তারপর ভক্ত সংখ্যা বাড়তে থাকে। ভক্তদের সহযোগিতায় ১৬ বছর আগে পুরো মন্দির ও সিঁড়ি পাকা করা হয়।

    কালীপুজোর রাতে পাহাড়ে নামে আলোর ঝর্নাধারা (Kali Puja 2024)

    নিত্যপুজোর পাশাপাশি প্রতি অমাবস্যায় এখানে বড় করে মায়ের পুজো হয়। কালীপুজোর দিন ধুমধাম করে পুজো হয়। ভক্তদের মানসিক পুজোর ডালায় ভরে যায়। এখনও একই রকম ধুমধাম করে পুজো হয়। গোটা এলাকা ভেসে যায় আলোর ঝর্নাধারায়। তবে গত বছর থেকে এখানে পশুবলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পুরোহিত (Sevokeshwari Kali Temple) নন্দকিশোর গোস্বামী বলেন, গত বছর থেকে শুধু ফল ও সবজি বলি দেওয়া হয়। ভক্তরা কেউ পশু বলি মানত করে থাকলে আমরা তা মা’কে উৎসর্গ করে ছেড়ে দেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: কালীপুজোয় আরও রাত পর্যন্ত চলবে মেট্রো, কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর রুটের সূচি পরিবর্তন

    Kolkata Metro: কালীপুজোয় আরও রাত পর্যন্ত চলবে মেট্রো, কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর রুটের সূচি পরিবর্তন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোয় বিশেষ মেট্রো ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করেছে কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)। দর্শনার্থীদের যাতে ঠাকুর দর্শন এবং বাড়ি ফিরতে অসুবিধা না হয় সেই জন্য রাত ১১টা পর্যন্ত মিলবে পরিষেবা। কলকাতা শহর এবং শহরতলির প্রচুর মানুষ কালীপুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন। বড় বড় ক্লাব এবং প্রসিদ্ধ মন্দিরস্থল দর্শন করে থাকেন ভক্তরা। রাত পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে যাতে অসুবিধা না হয়, তাই কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রোর সময়সূচির পরিবর্তন করা হয়েছে।

    কালীঘাট-দক্ষিণেশ্বরে ভক্তদের ব্যাপক লাইন পড়ে (Kolkata Metro)

    দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও (Kolkata Metro) ব্যাপক ভিড় হয় দর্শনার্থীদের। বিশেষ করে কালীঘাট এবং দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ভক্তদের প্রচুর লাইন পড়ে। এবার যাতে ভক্তদের ভিড়ে অসুবিধা না হয় তাই গভীর রাত পর্যন্ত মেট্রো ট্রেনের সূচিতে বদল করা হয়েছে। মেট্রো জানিয়েছে, কালীপুজোর রাতে চার জোড়া বিশেষ মেট্রো ট্রেন চলবে। বৃহস্পতিবার রাতে কালীপুজো পড়েছে তাই শহরের কিছু বিখ্যাত ঠাকুর দেখার জন্য বিশেষ পরিষেবা দেওয়া হবে। সাধারণ দিনে কবি সুভাষ এবং দক্ষিণেশ্বর থেকে শেষ মেট্রো ছাড়া হয় ৯টা ৪০ মিনিটে। কিন্তু কালীপুজোর দিনে এই দুই স্টেশন থেকে আরও রাত পর্যন্ত অতরিক্ত দুটো করে মোট চারটি ট্রেন চলবে।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘পুরো সিস্টেমেই মরচে ও পচন’’, এসএসকেএমের কাঁচিকাণ্ডে মমতাকে কাঠগড়ায় তুললেন শুভেন্দু

    কোন কোন সময়ে চলবে মেট্রো

    মেট্রোর (Kolkata Metro) বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ৯টা ৪০ মিনিটের পর রাত ১১টা পর্যন্ত, ২০ মিনিট অন্তর অন্তর স্পেশ্যাল মেট্রো চলবে। কবি সুভাষ থেকে যে চারটি বিশেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১০টা, ১০টা ২০ মিনিট, ১০টা ৪০ মিনিট এবং ১১টায়। অপর দিকে দক্ষিণেশ্বর থেকে স্পেশ্যাল মেট্রো ছাড়বে রাত ৯টা ৪৮ মিনিট, ১০টা ০৮ মিনিট, ১০টা ২৮ মিনিট এবং ১০টা ৪৮ মিনিটে। তবে কালীপুজোতে শিয়ালদা থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত গ্রিন লাইনে অন্যান্য দিনের তুলনায় কম মেট্রো চলবে। এই লাইনে শিয়ালদা থেকে প্রথম ট্রেন চলবে সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে। একই ভাবে সেক্টর ফাইভ থেকে ৭টা ৫ মিনিটে প্রথম ট্রেন চলবে। অন্যান্য দিন ওই লাইনে আপ-ডাউন মিলিয়ে ১০৬টি ট্রেন চলে। কিন্তু বৃহস্পতিবার গ্রিন লাইনে ৯০টি ট্রেন চলবে। তবে প্রথম এবং শেষ মেট্রোর সময় সূচিতে তেমন পরিবর্তন হয়নি। পার্পেল লাইন, অরেঞ্জ লাইনে তেমন কিছু বদল নেই। একইভাবে মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “মেট্রোতে কোনও ভাবেই আতশবাজি বা দাহ্য পদার্থ বহন করা যাবে না।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share