Tag: Madhyom

Madhyom

  • Weather Update: মকর সংক্রান্তিতে জাঁকিয়ে শীত নয়, জানাল আলিপুর, বৃষ্টির সম্ভাবনা কোথায়?

    Weather Update: মকর সংক্রান্তিতে জাঁকিয়ে শীত নয়, জানাল আলিপুর, বৃষ্টির সম্ভাবনা কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রাজ্যজুড়ে ঠান্ডার আমেজ থাকবে। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হল ২২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২.৪ ডিগ্রি কম। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হল ১৩.২ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৭ ডিগ্রি কম। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানিয়েছে, শনিবারও তাপমাত্রার হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে, রবিবার থেকে পারদ চড়তে পারে। সোমবারও আরও তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী পাঁচ দিন দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।

    মকর সংক্রান্তিতে জাঁকিয়ে শীত নয় (Weather Update)

    রবিবার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Weather Update) যথাক্রমে ২৬ ডিগ্রি ও ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। এরপর সোমবার ১৩ জানুয়ারি আরও একটু বাড়তে পারে তাপমাত্রা। সোমবার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ২৭ ডিগ্রি ও ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। তারপর ফের মঙ্গল থেকে সামান্য কমতে পারে তাপমাত্রা। তবে, কনকনে শীত এখনই ফিরে আসবে না বলেই পূর্বাভাস। রবিবার থেকে উত্তুরে হাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে মূলত পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। নতুন করে রাজ্যে প্রবেশ করছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশ ও অসম সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগরের উপর এবং উত্তর তামিলনাড়ু সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে দুটি ঘূর্ণাবর্ত। যার জেরে পৌষ সংক্রান্তিতে শীতের পথে রয়েছে একাধিক বাধা। মকর সংক্রান্তিতে (Makar Sankranti) (১৪ জানুয়ারি) জাঁকিয়ে শীত থাকবে না।

    আরও পড়ুন: ‘২০৩১ সালের পরে হিন্দুদেরও পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে’, কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    বৃষ্টির সম্ভাবনা কোথায়?

    পৌষ সংক্রান্তিতে (Weather Update) হালকা বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। ১৩ জানুয়ারি দার্জিলিং ও কালিম্পঙের কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিঙেও। উত্তরবঙ্গেও আগামী ২ দিন তাপমাত্রা একই থাকবে। তারপর বাড়তে পারে তাপমাত্রা। আপাতত শুষ্ক আবহাওয়াই বিরাজ করবে রাজ্যজুড়ে। ভোরের দিকে কুয়াশার দাপটও বজায় থাকবে আপাতত। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার দাপট কমে যাবে। উত্তরবঙ্গে কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও উত্তর দিনাজপুর জেলায়। মাঝারি কুয়াশার সতর্কবার্তা রয়েছে বাকি জেলাগুলিতেও। আপাতত ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। এদিকে উত্তর ভারতজুড়ে চলছে শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গিয়েছে রাজধানী দিল্লি। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন অংশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে ও সর্বোচ্চ ২০ ডিগ্রির কাছে থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বাম আমলে শিক্ষা-দুর্নীতি! ২০০৯ সালে প্রাথমিকে চাকরিপ্রাপ্তদের নিয়ে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বাম আমলে শিক্ষা-দুর্নীতি! ২০০৯ সালে প্রাথমিকে চাকরিপ্রাপ্তদের নিয়ে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক, নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে বাম আমলে ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড দেখিয়ে প্রাথমিকে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এই বিষয়ে বড় পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট।

    আদালতের কী পর্যবেক্ষণ? (Calcutta High Court)

    জানা গিয়েছে, এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড (Calcutta High Court) ব্যবহার করে ২০০৯ সালে প্রাথমিকে চাকরি (Primary Recruitment) পান কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী। অভিযোগ ওঠে, বহু চাকরিপ্রার্থী ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড দেখিয়ে চাকরি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার ২০০৯ সালের প্রাথমিকে চাকরি পাওয়া সব শিক্ষকের এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড যাচাই করতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশ, পরবর্তী শুনানির দিন ওই বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাকে। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, কার্ড জালিয়াতি করে চাকরি মামলায় আগামী ২৭ জানুয়ারি সব কার্ড যাচাই করে রিপোর্ট দিতে হবে শিক্ষা দফতরের কমিশনারকে। ওই দিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    আরও পড়ুন: ‘২০৩১ সালের পরে হিন্দুদেরও পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে’, কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    সিট গঠনের ইঙ্গিত!

    প্রসঙ্গত, এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ (Calcutta High Court) কার্ড ব্যবহার করে ২০০৯ সালে প্রাথমিকে চাকরি পান কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী। অভিযোগ ওঠে, বহু চাকরিপ্রার্থী ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড দেখিয়ে চাকরি পেয়েছেন। এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। উত্তর ২৪ পরগনায় ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড ব্যবহার করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে ২৬ জনের চাকরি বাতিল হয়। অন্য জেলাগুলিতে ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড ব্যবহার করে চাকরি পাওয়ার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ। বৃহস্পতিবার সব জেলার প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিলকে ২০০৯ সালে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের এক্সচেঞ্জ কার্ড খতিয়ে দেখতে বলল হাইকোর্ট। বৃহত্তর জালিয়াতির ইঙ্গিত পেলে সিট গঠন করা হতে পারে বলে বিচারপতি জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Schools Dropouts: বাংলায় ছাত্রশূন্য স্কুলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি! কেন্দ্রের রিপোর্টে রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল দশা

    Schools Dropouts: বাংলায় ছাত্রশূন্য স্কুলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি! কেন্দ্রের রিপোর্টে রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল দশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রশূন্য স্কুলের সংখ্যা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাতেই (Schools Dropouts)। সম্প্রতি এই নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী সারা দেশের স্কুল-ছুটদের সংখ্যার নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। পশ্চিমবঙ্গে গত শিক্ষাবর্ষে তিন হাজারেরও বেশি স্কুল রয়েছে যেখানে কোনও পড়ুয়াই ভর্তি হয়নি। সম্পূর্ণ ছাত্রশূন্য। রাজ্যের (West Bengal) স্কুলগুলির এই পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে, শুধুমাত্র ভাতা বা বই খাতা ট্যাব পাইয়ে দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করা যায় না। তার জন্য দরকার বুনিয়াদি কাঠামোর উন্নয়ন, এমনই দাবি শিক্ষামহলের।

    কেন্দ্রের রিপোর্টে ভয়ঙ্কর তথ্য

    দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্কুলগুলিতে (Schools Dropouts) পড়ুয়া ভর্তির হার কেমন, তা নিয়ে সম্প্রতি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের হিসেবে ওই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ওই তালিকা অনুযায়ী বাংলায় স্কুলছুটের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। রাজ্যে ছাত্রশূন্য স্কুলের সংখ্যা ৩২৫৪। অথচ কোনও পড়ুয়া না থাকা এই স্কুলগুলিতে ১৪ হাজার ৬২৭ জন শিক্ষক ছিলেন। আবার এমন অনেক স্কুলও রয়েছে যেখানে পড়ুয়া ভর্তি হলেও শিক্ষক রয়েছেন মাত্র এক জন। কেন্দ্রের রিপোর্টে গত শিক্ষাবর্ষে রাজ্যে এক জন শিক্ষক থাকা স্কুল রয়েছে ৬ হাজার ৩৬৬টি।

    অন্য রাজ্যের অবস্থান

    কেন্দ্রের তরফে প্রকাশিত ২০০ পাতার ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, গোটা দেশের নিরিখে প্রায় ১৩ হাজার (১২৯৫৪টি) স্কুলে কোনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি গত শিক্ষাবর্ষে। সেই স্কুলগুলিতে শিক্ষক ছিলেন ৩১ হাজার ৯৮১ জন। আবার প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার স্কুলে পড়ুয়া ভর্তি হলেও সেখানে মাত্র এক জন করে শিক্ষক নিযুক্ত থেকেছেন। কোনও পড়ুয়া ভর্তি না হওয়া স্কুলের সংখ্যার নিরিখে বাংলার পরেই রয়েছে রাজস্থান। সেখানে ২১৬৭টি স্কুলে কোনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি। তালিকায় তৃতীয় তেলঙ্গানা। দক্ষিণের এই রাজ্যে ২০৯৭টি স্কুলে গত শিক্ষাবর্ষে কোনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি।

    রাজ্যের দেওয়া তথ্য থেকেই রিপোর্ট

    কোন রাজ্যে কেমন পরিস্থিতি সে বিষয়ে প্রতি বছরই একটি রিপোর্ট (Schools Dropouts) প্রকাশ করে কেন্দ্র। শিক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস’ থেকে এই রিপোর্টটি দেওয়া হয়। বস্তুত, রাজ্যগুলি থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রক। রাজ্যের কোন স্কুলে কী পরিস্থিতি সে বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফেই একটি অনলাইন ব্যবস্থায় তথ্য আপলোড করা হয়। সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকেই তা করতে হয়। সেখান থেকে পাওয়া তথ্য এবং পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এই রিপোর্টটি প্রকাশ করে কেন্দ্র। 

    বিরোধীদের নিশানায় রাজ্য সরকার

    কেন্দ্রের এই রিপোর্ট (Schools Dropouts) প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শিক্ষা ব্যবস্থায় রাজ্যের গাফিলতি নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী ও শিক্ষক সংগঠনগুলি। বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে দেশের সবচেয়ে বেশি স্কুল ড্রপআউট রয়েছে, যা লজ্জার। তিনি বলেন, “বীরভূমে স্কুল ড্রপআউটের হার ১৭.২ শতাংশ, মুর্শিদাবাদে ১৬.৯ শতাংশ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৬.১ শতাংশ। তাঁর মতে, রাজ্যের সকল জেলা গুলিতেই স্কুল ড্রপআউটের হার ১২ শতাংশের বেশি। কেউ জানে না স্কুল ড্রপআউটদের কী হচ্ছে। আমাদের রাজ্য থেকে ৭০ লাখ পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছে। সারা রাজ্যে বেকারত্ব চরমে। এমন পরিস্থিতি, কেউ জানে না এই স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীরা কোথায় যাচ্ছে।” শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারীও বলেন, “রিপোর্ট অনুসারে সারা দেশের নিরিখে এ রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ছাত্রশূন্য স্কুল। বহু স্কুলে এক জন করে শিক্ষক। এটি আমাদের লজ্জা। গত ১৩ বছর ধরে তৃণমূল সরকার রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে একেবারে ভেঙে দিয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে ‘কল্পবাস’ পালন করবেন স্টিভ জোবসের স্ত্রী লরেন! জানেন হিন্দু ধর্মে এই রীতির মাহাত্ম্য?

    তৃণমূল সরকারের অবহেলা

    রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, মুখে সংখ্যালঘু উন্নয়নের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেটা শুধু ভোটের রাজনীতি, বাস্তব ছবিটা অন্য। রাজ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (Schools Dropouts) উন্নতির জন্য কোনও কাজ হচ্ছে না। মুর্শিদাবাদে বড় একটি সংখ্যালঘু জনগণ রয়েছে, প্রায় ১৭ শতাংশ। সেখানে স্কুলছুটের সংখ্যা বেশি। এরা কোথায় যাচ্ছে, কী করছে তা জানতে আগ্রহী নয় সরকার।  রাজ্যের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রাইভেট এবং সেগুলিতে সিট খালি রয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে কোনও মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তৃণমূল সরকার শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি নিয়ে আগ্রহী নয়। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিক স্তরের ড্রপআউটের হার ১৮.৭৫ শতাংশ। রাজ্য প্রশাসন এবং শিক্ষা বিভাগকে এই বিষয়টি নজর দিতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar Case Verdict: আরজি করকাণ্ডে শেষ হল বিচার প্রক্রিয়া, শিয়ালদা কোর্টে ১৮ জানুয়ারি সাজা ঘোষণা

    RG Kar Case Verdict: আরজি করকাণ্ডে শেষ হল বিচার প্রক্রিয়া, শিয়ালদা কোর্টে ১৮ জানুয়ারি সাজা ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Case Verdict) বিচারপর্বের চূড়ান্ত রায়দানের দিনও জানিয়ে দিল আদালত। গত ১১ নভেম্বর আরজি করের ঘটনায় বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। টানা দু’মাস ধরে তা চলল। এই মামলায় আগেই চার্জশিট দিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেখানে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কেই একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। আদালতে তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নভেম্বর থেকে মামলার শুনানি শুরু হওয়ার পর ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার শিয়ালদা ফার্স্ট অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজ (ফার্স্ট এডিজে) অনিবার্ণ দাসের এজলাসে এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে।

    ১৮ জানুয়ারি রায় ঘোষণা (RG Kar Case Verdict)

    আদালত (RG Kar Case Verdict) সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৮ জানুয়ারি দুপুর দুটো থেকে আড়াইটের মধ্যে এই মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবেন বিচারক। এই বিষয়ে এক আইনজীবী বলেন, “আমাদের দাবি বা যারা এই ঘটনায় যুক্ত তারা যে সাজা পায়। এক চার্জশিট জমা হয়েছে। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া হতে পারে। তদন্ত এখনও শেষ হয়নি।” গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার হল থেকে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পরের দিনই কলকাতা পুলিশ অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল। চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয় বাংলা। লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রতিবাদে উত্তাল হয় দেশ থেকে বিদেশ। পরে এই ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। সুপ্রিম কোর্টেও ওঠে মামলা। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ প্রথমে আর্থিক বেনিয়ম ও দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরে, ধর্ষণ মামলাও যুক্ত করা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ধর্ষণের পর তথ্য প্রমাণ লোপাটের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। গ্রেফতারের ৯০ দিন পরেও চার্জশিট দিতে পারেনি সিবিআই। সে কারণেই সন্দীপ-অভিজিৎকে ধর্ষণ মামলায় জামিন দিয়েছে শিয়ালদা আদালত। তবে, আর্থিক দুর্নীতির মামলায় জেলেই রয়েছেন সন্দীপ।

    সঞ্জয়ের আইনজীবী কী বললেন?

    শুনানিতে সঞ্জয়কে নির্দোষ বলে দাবি করে তার আইনজীবী (RG Kar Case Verdict) সৌরভ বন্দ্যোপাধয়ায়। এই বিষয়ে ধৃতের আইনজীবী সওয়ালে বলেন, “এই ঘটনার স্বপক্ষে সিবিআই যে প্রমাণ দিচ্ছে, তা অপর্যাপ্ত। সঞ্জয় এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। এছাড়াও নির্যাতিতার শরীরে ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। গোটা ঘটনা সাজানো হতে পারে। ধৃতকে ফাঁসানো হয়েছে। অভিযুক্ত কিছুই করেনি। অভিযুক্তের আঙুলের ছাপও মেলেনি। হতে পারে পুরোটাই পরে সাজানো হয়েছে।”

    ফাঁসির দাবি করেছে সিবিআই

    আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে আদালতে এর আগেও সিবিআই নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছে। ধৃতের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা বিরলতম ঘটনা বলে মন্তব্য করে সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবি করেছে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Passport Scam: একবছরেই সমীরের একতলা বাড়ি হয়ে যায় চারতলা প্রাসদোপম অট্টালিকা, পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে গ্রেফতার ৪

    Passport Scam: একবছরেই সমীরের একতলা বাড়ি হয়ে যায় চারতলা প্রাসদোপম অট্টালিকা, পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে গ্রেফতার ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একতলা সাধারণ বাড়ি হয়ে যায় চারতলা প্রাসদোপম অট্টালিকা। আর সেটা হয়েছিল এক বছরের মধ্যে। করোনাকাল এবং তার পরবর্তী সময়েই পাসপোর্ট (Passport Scam) জালিয়তিকাণ্ডে ধৃত সমীর দাসের জাল নথির কারবারে রমরমা হয়েছিল। রীতিমতো একটি বিশাল চক্র তৈরি করে তিনি কারবার ফেঁদে বসেছিলেন। শুধু এপার বাংলা নয়, তার হাত ছিল ওপার বাংলা পর্যন্ত। সেখান থেকেও কাজের বরাত পেতেন তিনি। আর বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির জন্য তাঁর চাহিদাও খুব বেড়ে গিয়েছিল। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে। তারাও সমীর দাসের চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিল। এছাড়াও টিকিয়াপাড়া থেকে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। সব মিলিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ঠিক কীভাবে করতেন কারবার? (Passport Scam)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসাত আদালতে (Passport Scam) মুহুরির কাজ করার সুবাদে ঝুঁকি এড়াতে আদালতের হলফনামা দিয়েই জাল নথি তৈরি করতেন সমীর। জাল নথিতে থাকত তাঁরই বাড়ির ঠিকানা। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিজের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে, নিজের ঠিকানা ব্যবহার করে ভুয়ো পরিচয় পত্র বানিয়ে দিতেন সমীর। ইতিমধ্যেই তাঁর ২ ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পলাতক আরও একজনের খোঁজ চলছে। সমীর দাস গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন ওই ব্যক্তি। বারাসাতের নবপল্লিরই বাসিন্দা তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই সমীর দাস এবং তাঁর সহযোগীরা এই জাল নথির কারবার রমরমিয়ে চালাচ্ছিলেন। অথচ অন্ধকারে ছিল প্রশাসন। সূত্রের খবর, গত বছর মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশে অচলাবস্থা শুরু হওয়ার পরে, ওপার বাংলা থেকে এপারে আসার চাহিদা বেড়েছে। সেই সঙ্গে হেরফের হয়েছে সমীর দাসের তৈরি করা রেট চার্টেও। টাকার অঙ্ক বেড়েছে বই কমেনি। কোনও জনপ্রতিনিধির থেকে শংসাপত্র নেওয়ার প্রয়োজনই ছিল না। বাংলাদেশ থেকে যাঁরা আসতেন, তাঁরা আগেই যোগাযোগ করতেন সমীর দাসকে। রীতিমতো বরাত দেওয়া হত। এপারে নথি তৈরি হলে খবর পৌঁছে যেত পড়শি দেশে। তারপরই হত অনুপ্রবেশ। আর আদালতের হলফনামার সাহায্যেই যাবতীয় নথিপত্র পৌঁছে যেত অনুপ্রবেশকারীদের হাতে।

    নথি জালিয়াতিতে ধৃত দুজনের কী কারবার ছিল?

    সমীর দাসের যে দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে (Passport Scam) গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে একজনের নাম কৌশিক মণ্ডল। অন্যজন চন্দন চক্রবর্তী। জানা গিয়েছে, কৌশিক মণ্ডলের বাড়ি বারাসাতের চৈতন্য নগরে। বারাসাতের চাঁদুর মোড়ে শীতলাতলা রোডে একটি দোকান ছিল তাঁর। দোকানের বয়স তিন বছর। আধার কার্ড,প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড সংশোধন-সহ বিভিন্ন নথি তৈরির কাজ হতো ওই দোকানে। তিন বছর ধরে চুটিয়ে চলছিল ব্যবসা। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাইরে থেকে অনেক লোক এসে এই দোকানে ভিড় জমাতেন। অনেক রাত পর্যন্ত চলত কাজ। কৌশিক ওই দোকানে রেশন কার্ড তৈরি করতেন বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আধার কার্ড, ভোটার কার্ড সংশোধনের জন্য চড়া দামও নেওয়া হতো, প্রায় ৪০০ টাকা। এমনই অভিযোগ করেছেন এক স্থানীয় বাসিন্দা। কোনও পরিস্থিতিতেই ‘রেট’ কমত না। আর শুধু বারাসাত কিংবা অন্যান্য শহরতলি নয়, কলকাতা শহরের বিভিন্ন প্রান্তেও ছড়িয়ে রয়েছে সমীর দাসের এই জাল নথি কারবারের সহযোগীরা।

    টিকিয়াপাড়া থেকে গ্রেফতার আরও ২

    জাল পাসপোর্টকাণ্ডের (Passport Scam) তদন্তে নেমে জাল নথি তৈরির অভিযোগে টিকিয়াপাড়া থেকে ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ। ধৃতরা মোটা টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন জাল নথি তৈরি করে দিত বলে অভিযোগ। ধৃতদের জেরা করে তারা জাল পাসপোর্টচক্রের সঙ্গে যুক্ত কি না জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতরা হল বিশ্বজিৎ দে ও ফাহরুখ আনসারি। দীর্ঘদির ধরে জাল নথির কারবারে যুক্ত এরা। জাল মাধ্যমিকের সার্টিফিকেট, জাল বার্থ সার্টিফিকেট, জাল স্ট্যাম্প পেপার থেকে শুরু করে হেন কোনও জাল নথি নেই যা এরা তৈরি করে না। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জেরা শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। তারা কাদের কাদের জাল নথি তৈরি করে দিয়েছেন তা জানার চেষ্টা চলছে। ধৃতদের সঙ্গে জাল পাসপোর্ট চক্রের যোগ রয়েছে কিনা তাও জানার চেষ্টা চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: মহাকুম্ভে ‘কল্পবাস’ পালন করবেন স্টিভ জোবসের স্ত্রী লরেন! জানেন হিন্দু ধর্মে এই রীতির মাহাত্ম্য?

    Mahakumbh Mela 2025: মহাকুম্ভে ‘কল্পবাস’ পালন করবেন স্টিভ জোবসের স্ত্রী লরেন! জানেন হিন্দু ধর্মে এই রীতির মাহাত্ম্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হচ্ছে মহাকুম্ভ  মেলা (Mahakumbh Mela 2025)। ইতিমধ্যেই প্রয়াগরাজে গঙ্গা, যমুনা এবং পৌরাণিক নদী সরস্বতীর সঙ্গমে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন পুণ্যার্থীরা। জানা গিয়েছে সম্ভবত ১৩ জানুয়ারি, মেলার প্রথমদিনই মহাকুম্ভে যোগ দেবেন ‘অ্যাপল’ সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রাক্তন সিইও, প্রয়াত স্টিভ জোবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল জোবস। এ বারের মহাকুম্ভে ‘কল্পবাস’ পালন করবেন বিশ্বের অন্যতম ধনী মহিলা লরেন।

    কল্পবাস কী?

    কল্পবাস হল, হিন্দুধর্মের একটি অতি প্রাচীন রীতি। এই রীতি পৌষ পূর্ণিমা থেকে মাঘী পূর্ণিমায় আয়োজিত হয়। যাঁরা তা পালন করেন, তাঁদের কল্পবাসী বলা হয়। এই সময়কালে কল্পবাসীরা প্রতিদিন গঙ্গায় পূণ্যস্নান করেন। সন্ন্যাসীদের আখাড়ায় ভ্রমণ করেন। সাধু, সন্ন্যাসীদের ধর্মীয় বাণী শোনেন। এছাড়াও ভজন, কীর্তনে অংশ নেন। হিন্দু শাস্ত্রে মনে করা হয়, আধ্যাত্মিক বিকাশের ক্ষেত্রে এই কল্পবাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জানা যায়, এই সময় অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করতে হয়। হিন্দু ধর্মে মাঘ মাসকে (Magh Month) কল্পবাস (Kalpvas) বলা হয়। কল্পবাসের ঐতিহ্য অনেক পুরনো। ‘কল্প’ তাঁকেই বলা হয় যে একই রুটিন একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সম্পূর্ণ ব্রহ্মচর্যের সঙ্গে ভগবানের প্রতি ভক্তি সহকারে পালন করে। 

    যুধিষ্ঠিরের কল্পবাস

    মহাভারতের (Mahabharata) যুদ্ধে নিহত স্বজনদের মুক্তির জন্য যুধিষ্ঠির কল্পবাস করেছিলেন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, যদি সঙ্গমে (Sangam) কল্পবাস করা হয়, তাহলে ব্যক্তির শরীর ও আত্মা নতুন হয়ে ওঠে। এই কারণেই প্রতি বছর প্রয়াগে মাঘ মাসে কল্পবাসের আয়োজন করা হয়। এ সময় ভক্তরা পৌষ পূর্ণিমা (Purnima) থেকে মাঘ মাসের পূর্ণিমা পর্যন্ত এক মাস এখানে থাকেন এবং কঠোর নিয়ম-কানুন ও দৃঢ়তার সঙ্গে জীবন অতিবাহিত করেন।

    কল্পবাসের নিয়ম খুব কঠিন

    কল্পবাস হল নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার এবং নিজেকে শুদ্ধ করার প্রচেষ্টা। বেদ থেকে শুরু করে রামচরিত্রমানস ও মহাভারতে পর্যন্ত এটি বিভিন্ন নামে উল্লেখ করা হয়েছে। এই সময়ে একজন ব্যক্তিকে তপস্বীর মতো জীবনযাপন করতে হয়। একমাস কাম, ক্রোধ, আসক্তি, মোহ থেকে দূরে থাকার সংকল্প নেওয়া হয় এবং নিয়ম ও সংযমের সঙ্গে গঙ্গা-যমুনা সঙ্গমের তীরে নির্জনে উপবাস, পুজো ও স্নান-দান করা হয়। দিনে তিনবার গঙ্গায় স্নান করা এবং সকালে উদিত সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করতে হয়। ভক্তরা ভজন-কীর্তন করে, দান করে এবং মাটিতে ঘুমায়। ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র একবার খাবার পরিবেশন করা হয়। একবার কল্পবাস শুরু হলে, এই ঐতিহ্য টানা ১২ বছর ধরে অনুসরণ করা হয়।

    কল্পবাসের গুরুত্ব

    কথিত আছে, সঙ্গমের বালিতে এক মাস কল্পবাস করলে মানুষ সেই ফল পায়, যা অন্নভোগ না করে ১০০ বছর তপস্যা করলে পাওয়া যায়। কল্পবাস দ্বারা মানুষের সকল প্রকার পাপ দূর হয়ে যায়। সমস্ত হিন্দু ধর্মীয় গ্রন্থে কল্পবাসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি কল্পবাস করে সে যত ত্যাগ স্বীকার করে তার সমান পুণ্য পায়। কল্পবাস এমন একটি সাধনা যা একজন মানুষকে জন্মের পর জন্ম থেকে মুক্তি দিতে পারে। কল্পবাসকে ৫০ বছর পূর্ণ করা ব্যক্তিদের জন্য সর্বোত্তম বলা হয়, কারণ জীবনের সমস্ত কর্তব্য সমাপ্ত করার পরে, জীবনে ত্যাগের অবস্থা আসে।

    মহাকুম্ভে কল্পবাস

    সনাতন ধর্মের শাস্ত্রে বর্ণিত আছে যে মাঘ মাসে দেবতারা প্রয়াগরাজ ভূমিতে অধিবাস করেন। এ কারণে মাঘ মাসে কল্পবাসের বিধান রয়েছে। এমনও একটি বিশ্বাস আছে যে কল্পবাস করলে পরিবারে সুখ-শান্তি সহ মানুষ জন্ম-মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্তি পায়। ভক্তরাও মোক্ষলাভের আকাঙ্ক্ষায় কল্পবাস করেন। সঙ্গমের তীরে গঙ্গার বালিতে প্রতি বছর কুম্ভ, মহা কুম্ভ এবং মাঘ মেলার সময় কল্পাবাস পালনের প্রথা বহু শতাব্দী ধরে চলে আসছে। এমনও বিশ্বাস করা হয় যে প্রয়াগরাজে কল্পবাস করলে মা গঙ্গার আশীর্বাদ পরিবারে থাকে, যার ফলে ঘরে সুখ শান্তি থাকে এবং মায়ের ভক্তরাও মোক্ষ লাভ করে। এই কারণেই দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে হাজার হাজার পরিবার প্রতি বছর প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ ও মাঘ মেলায় কল্পবাস করতে আসে।

    আরও পড়ুন: বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত চর্চায় যুক্ত হচ্ছে দেশের মেয়েরা, এক দশকে হার বৃদ্ধি ৪ শতাংশ

    কল্পবাসে লরেন পাওয়েল জোবস

    দূর-দূরান্তের সাধু-সন্ন্যাসী ও সাধারণ মানুষের পাশাপাশি মহাকুম্ভে অংশ নিতে চলেছেন বহু ভিভিআইপি-ও। এই মেলার প্রধান আকর্ষণ হাজার-হাজার ‘কল্পবাসী’। সাধারণত, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের গ্রামের পুরুষ ও মহিলারাই ‘কল্পবাসী’ হিসেবে যোগ দেন মহাকুম্ভে। এবার তাঁদের সঙ্গে যোগ দেবেন ‘অ্যাপল’ সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রাক্তন সিইও, প্রয়াত স্টিভ জোবসের স্ত্রী লরেন। নিরঞ্জনী আখড়ার স্বামী কালিয়াশানন্দের শিবিরে থাকার কথা তাঁর। ১৩ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি মহাকুম্ভে (Mahakumbh Mela 2025) কবেন। আর পাঁচ জন কল্পবাসীর মতো লরেনও সঙ্গমে ডুব দিয়ে পুন্যস্নান করবেন এবং নিয়মিত ধর্মোপদেশ শুনবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 10 January 2025: ধর্মীয় স্থানে দান করায় শান্তিলাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 10 January 2025: ধর্মীয় স্থানে দান করায় শান্তিলাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ভালো কোনও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ বাড়তে পারে।

    ২) কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) ধর্মীয় স্থানে দান করায় শান্তিলাভ।

    ২) কাজের জন্য বাড়ির কেউ বাইরে যাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) সুবক্তা হিসেবে সুনাম পেতে পারেন।

    ২) শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে। 

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) পড়াশোনার খুব ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) কোনও ভুল কাজ করার জন্য অনুতপ্ত হবেন।

    ২) সারা দিন ব্যবসা ভালো চললেও পরে জটিলতা দেখা দিতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ২) নিজের চিকিৎসায় বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) কর্মক্ষেত্রে বৈরী মনোভাব ত্যাগ করাই ভাল।

    ২) মামলায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) কাজের জায়গায় আঘাত লাগা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সংসারে খুব সংযত থাকতে হবে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) ব্যবসায় ভালো লাভ হতে পারে।

    ২) প্রতিভা প্রকাশের সুযোগ পাবেন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) উচ্চপদস্থ কোনও ব্যক্তির অনুগত থাকলে লাভবান হবেন।

    ২) প্রতিবেশীর ঝামেলায় বেশি কথা না বলাই শ্রেয়।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্যের যোগ।

    ২) কুসঙ্গে পড়ে নিজের ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) কোনও যন্ত্র খারাপ হওয়ায় প্রচুর খরচ হতে পারে।

    ২) কর্মে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Santipur: মহিলা চিকিৎসককে হুমকি সুপারের, শান্তিপুর হাসপাতালে পৌঁছল জাতীয় মহিলা কমিশন

    Santipur: মহিলা চিকিৎসককে হুমকি সুপারের, শান্তিপুর হাসপাতালে পৌঁছল জাতীয় মহিলা কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলা চিকিৎসককে হুমকির ঘটনায় বৃহস্পতিবার শান্তিপুর হাসপাতালে যান জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা অর্চনা মজুমদার। সম্প্রতি, নদিয়ার শান্তিপুর (Santipur) স্টেট জেনারেল হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসক হাসপাতাল সুপারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য দফতর সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

    বৈঠক করলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা (Santipur)

    জানা গিয়েছে, হুমকি পাওয়ার পর প্রাথমিক নিরাপত্তা চেয়ে শান্তিপুর (Santipur) থানায় সুপারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা চিকিৎসক। পাশাপাশি জাতীয় মহিলা কমিশনেও একটি অভিযোগ করেন তিনি। সেই অভিযোগের তদন্তে বৃহস্পতিবার নদিয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যান জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা অর্চনা মজুমদার। প্রথমে তিনি হাসপাতালের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করেন। বিশেষ করে চিকিৎসা কেমন চলছে, নার্স পর্যাপ্ত আছে কিনা এবং রোগীরা সঠিক পরিষেবা পাচ্ছেন কিনা সেই নিয়ে প্রত্যেকের সঙ্গে তিনি কথাবার্তা বলেন। পরবর্তীতে, হুমকি ইস্যুতে শান্তিপুর সরকারি হাসপাতালের সুপার তারক বর্মন এবং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ২২ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদে রাম মন্দিরের সূচনা, ঘোষণা অম্বিকানন্দের, কারা কারা আমন্ত্রিত?

    কী বললেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য?

    বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অর্চনা মজুমদার বলেন, “যে অভিযোগ মহিলা ডাক্তার করেছেন, সেটা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তবে, সঠিক সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি। আমরা চেষ্টা করছি বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত করার। তবে এই বিষয়ে বলার কিছু নেই। তার, কারণ মহিলা ডাক্তারের সঙ্গে ইতিমধ্যে আমি কথা বলেছি। যদি কোনও প্রমাণ তিনি দিতে পারেন, তাহলে সুপারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।” জানা গিয়েছে, শান্তিপুর হাসপাতাল পরিদর্শনের শেষে শান্তিপুর থানায় গিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। প্রসঙ্গত, আরজি করকাণ্ডের পরে সারা রাজ্যব্যাপী শুরু হয়েছিল প্রতিবাদের ঝড়। তার রেশ কাটতে না কাটতেই শান্তিপুর (Santipur) হাসপাতালের সুপারের বিরুদ্ধে এক মহিলা চিকিৎসক বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন। তার সঠিক তদন্ত করতে এদিন হাসপাতালে পরিদর্শনে এলেন জাতীয় মহিলা কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF-BGB Flag Meeting: বাংলাদেশ সীমান্তে অশান্তির আবহে বিএসএফ-বিজিবির বৈঠক, কী কথা হল?

    BSF-BGB Flag Meeting: বাংলাদেশ সীমান্তে অশান্তির আবহে বিএসএফ-বিজিবির বৈঠক, কী কথা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ (Bangladesh) সীমান্ত লাগোয়া মুর্শিদাবাদ, মালদা, নদিয়ায় লাগাতার উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। ঠিক এই উত্তেজনাময় আবহের মধ্যে পেট্রাপোল সীমান্তে বৃহস্পতিবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। বিজিবি কমান্ডারের সঙ্গে এই বৈঠক হয়েছে বিএসএফ (BSF-BGB Flag Meeting) দক্ষিণবঙ্গের ফ্রন্টিয়ারের আইজি মণিন্দ্র সিং পাওয়ারের। সূত্রের খবর জানা গিয়েছে, বিজিবির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে সীমান্ত নিয়ে কেন এই ভাবে বার বার উস্কানি দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে?

    বিজিবিরা কেন ভারতীয় ভূখণ্ডে ছুটে আসে (BSF-BGB)?

    বিএসএফ সূত্রে খবর, এদিন বেলা ১১টায় বৈঠক শুরু হয়েছে। ভারতীয় বিএসএফের পক্ষ থেকে আইজি যশোর বিভাগের আঞ্চলিক নয়া কমান্ডার কাছে জানতে চেয়েছেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (Bangladesh) যে আচরণ প্রত্যাশা করা হয়, তা এখন করা হচ্ছে না। বাংলাদেশের বিজিবি কেন ভারতীয় ভূখণ্ডে ছুটে এসে নিজেদের বলে দাবি করছেন। একই ভাবে আরও একাধিক বিষয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন (BSF-BGB Flag Meeting)।

    উল্লেখ্য, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে বাংলাদেশের যশোর, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, মেহরপুর, চুয়াডাঙার মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ঘেঁষা জায়গাগুলিতে উদ্বেগের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই জায়গাগুলিতে বাংলাদেশের জঙ্গি হেফাজত, জেএমবি এবং আরও একাধিক কট্টরপন্থী সংগঠনগুলি অতিসক্রিয়। ফলে সীমান্ত টপকে অনুপ্রবেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিজিবিকে (BSF-BGB) পরামর্শ দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার, নইলে…’’! বাংলাদেশে প্রবল জনরোষের মুখে ইউনূস সরকার

    বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম মিথ্যা প্রচার করছে

    প্রসঙ্গত বাংলাদেশের (Bangladesh) সাতক্ষীরা জেলা জামাতের অন্যতম আঁতুরঘর হিসেবে পরিচিত। সেক্ষেত্রে অনুপ্রবেশের রুখতে বিজিবি দাবি করেছে, ঝিনাইদহে বিতর্কিত ৫ কিমি ভূখণ্ডকে ভারত দখল করেছে। এই নিয়ে আলোচনা হতেই বিশেষ ভাবে সক্রিয় হয় বিএসএফ। ভারতীয় বাহিনী (BSF-BGB) স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, “বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ওই প্রতিবেদন সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফের ভূমিকা অপরিবর্তিত থাকছে (BSF-BGB Flag Meeting)। ভারতের এক ইঞ্চি জমিও নিতে পারেনি কেউ। বিএসএফ এবং বিজিবি শান্তিপূর্ণ ভাবেই অবস্থান করছে। ১৯৭৫ সালের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নির্দেশিকা মেনে চলা হচ্ছে।” একই ভাবে বাংলাদেশ লাগোয়া মালদার বৈষ্ণবনগর থানার অন্তর্গত সুকদেবপুর গ্রামসংলগ্ন আন্তর্জাতিক সীমান্তেও উত্তেজনা ছড়ায়। সীমান্তে ফেন্সিং করা নিয়ে বাংলাদেশের সেনার সঙ্গে ভারতীয় বিএসএফের বচসা হয় এবং ঝামেলা বাধে (BSF-BGB Flag Meeting)। এই পরিস্থিতির পিছনে যে মহম্মদ ইউনূসের ভারত বিদ্বেষী পরিকল্পনা রয়েছে তা ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ‘‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার, নইলে…’’! বাংলাদেশে প্রবল জনরোষের মুখে ইউনূস সরকার

    Bangladesh Crisis: ‘‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার, নইলে…’’! বাংলাদেশে প্রবল জনরোষের মুখে ইউনূস সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের (Bangladesh Crisis) বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের।  অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে (Muhammad Yunus) ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নতুন কর প্রত্যাহার না করলে সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকিও শোনা গিয়েছে।  দিন দিন নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জেরে নাজেহাল আমজনতা। সেই সঙ্গেই মোবাইল ফোনের রিচার্জ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর আরোপ করা হয়েছে। এ নিয়ে নিজের দেশেই জনরোষের মুখে পড়েছে ইউনূস সরকার।

    কেন ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের জনগন

    শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়ে ক্ষমতায় আসেন ইউনূস (Muhammad Yunus)। আর তারপর থেকেই একের পর এক নতুন নিয়ম চালু করেছেন তিনি। বাংলাদেশের নতুন সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, এবার থেকে রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে গেলে, বিলের উপরে অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। আগে এই ভ্যাট ৫ শতাংশ ছিল। সেই ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হল। বিস্কুট, আচার, ম্যাট্রেস, টিস্যু পেপারেও ১৫ শতাংশ করে ভ্যাট বসানো হবে। এছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির ক্ষেত্রেও ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। এমনিতেই ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চাল, তেল-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ইউনূসের সরকারকে নিশানা করেছে আওয়ামি লিগও। ১০০ টাকার মোবাইল রিচার্জ করতে কর হিসেবে দিতে হবে ৫৬ টাকা ৩০ পয়সা। এখন সেখানে গ্যাসের দাম দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি হাসিনার দলের। 

    আরও পড়ুন: বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত চর্চায় যুক্ত হচ্ছে দেশের মেয়েরা, এক দশকে হার বৃদ্ধি ৪ শতাংশ

    সরকারকে হুঁশিয়ারি জনতার

    ইতিমধ্যেই দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে, বুধবার রাতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে সাধারণ মানুষ। নতুন করে যে ভ্যাট বা কর বসানো হয়েছে তা প্রত্যাহার করার জন্য ইউনূস (Muhammad Yunus) সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দাবি মানা না হলে বাংলাদেশকে (Bangladesh Crisis) অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। অতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হলে তা মেনে নেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। গ্যাস সহ অন্যান্য জিনিসের ওপর আরোপ করা কর কমানো না হলে ছাত্র জনতাকে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ জাগ্রত জনতা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share