Tag: Madhyom

Madhyom

  • Odisha CM: ‘বিজেডি আমলে দুর্নীতিতে ডুবে ছিল ওড়িশা’, অভিযুক্তদের রেয়াত নয়, হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

    Odisha CM: ‘বিজেডি আমলে দুর্নীতিতে ডুবে ছিল ওড়িশা’, অভিযুক্তদের রেয়াত নয়, হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪ বছর ধরে দুর্নীতিতে ডুবে ছিল পূর্বতন বিজেডি সরকার। ভিজিল্যান্স অ্যাওয়ারনেস উইকের একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী (Odisha CM) মোহন চরণ মাঝি। ভুবনেশ্বরের লোকসভা ভবনে মুখ্যমন্ত্রী মাঝি বলেন, ‘‘বিজেডি সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রেই দুর্নীতিতে ডুবে ছিল এবং বহু অফিসার এর মধ্যে যুক্ত ছিলেন।’’ সেই সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্ত আধিকারিকদের কোনওভাবে ছাড়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মোহন মাঝি (CM Mohan Majhi)। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপির যে জিরো টলারেন্স নীতি, তাও এদিন নিজের বক্তব্যে বলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী।

    বিজেপি সরকার ক্ষমতা আসার পরেই ভিজিল্যান্স দফতর অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছে

    ওড়িশায় (Odisha CM) বিজেপি সরকার ক্ষমতা আসার পরেই ভিজিল্যান্স দফতর অত্যন্ত শক্তিশালী এবং সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এখনও পর্যন্ত দুর্নীতির অভিযোগে ছয় জন প্রধান ইঞ্জিনিয়ার, একজন জয়েন্ট কমিশনারকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ওই জয়েন্ট কমিশনার আবগারি দফতরের বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি, ‘সিটি এবং জিএসটি’র একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে, মৎস্য দফতরের একজন ডেপুটি ডিরেক্টর ছাড়াও, দুজন তহসিলদার, দুজন বিডিও, একজন ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার, একজন জেল সুপারিনডেন্ট, একজন ডাক্তার ও সাতজন পুলিশ কর্মীকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী (Odisha CM)। নিজের বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা শুরু, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরও লড়াই আমাদের বাকি রয়েছে।’’ যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেককে দুর্নীতির আওতায় আসতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    ঢেলে সাজানো হচ্ছে ভিজিল্যান্স টিমকে

    এর পাশাপাশি, এদিন মোহন চরণ মাঝি (Odisha CM) ভিজিল্যান্স ফরেন্সিক সায়েন্স ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করার কথাও ঘোষণাও করেন। এই সংস্থার স্থাপন ওড়িশাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও তীব্র করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ভিজিল্যান্স টিমকে আরও শক্তিশালী করতে ৮ জন নতুন এসপি পদমর্যাদার অফিসার, ২৪ জন ডিএসপি এবং ১৬ জন সাব ইন্সপেক্টরকে নিযুক্ত করা হয়েছে বলে খবর। এঁরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করবেন। একইসঙ্গে, ব্যাঙ্কিং ও সাইবার সিকিউরিটির ক্ষেত্রে ২৪ জন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট নিয়োগ করেছে ওড়িশা সরকার। এছাড়া, ভিজিল্যান্স দফতরে গতি আনতে ১৩৫টি নতুন মোটরসাইকেল ও দেড়শোটি মতো ল্যাপটপ ও কম্পিউটার দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মোহন মাঝি (CM Mohan Majhi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rojgar Mela: রোজগার প্রকল্পে ৫১ হাজার যুবক-যুবতীকে নিয়োগপত্র দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Rojgar Mela: রোজগার প্রকল্পে ৫১ হাজার যুবক-যুবতীকে নিয়োগপত্র দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোজগার মেলার (Rojgar Mela) মাধ্যমে ফের ৫১ হাজার যুবক-যুবতীকে চাকরি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় স্কিল ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রকের আওতায় এই চাকরির ব্যবস্থা করা হয়। এই চাকরি মেলার (Job News) উদ্বোধনও করেন তিনি। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিওবার্তায় সকলকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। এই বছর দীপাবলিতে অযোধ্যায় নিজের আলয়ে পূজিত হবেন ভগবান শ্রী রাম। তাই এই দীপাবলিকে বিশেষ বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)।

    রোজগার মেলার উদ্দেশ্য

    কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রকের থেকে দেওয়া তথ্য বলছে, রোজগার মেলার (Rojgar Mela) মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ দেওয়া হয়। যেমন, জিএসটি ইনস্পেক্টর, ইনস্পেক্টর, হেড কনস্টেবল, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার, প্রফেসর, রেজিস্ট্রার, স্পোর্টস অফিসার, টেকনিশিয়ান, সায়েন্টেফিক অফিসার, ক্লার্ক, চিকিৎসক এবং অধ্যাপক পদে সরকারি চাকরির সুযোগ দেওয়া হয় রোজগার মেলার মাধ্যমে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরে এই চাকরির ব্যবস্থা করা হয়। সরকারি তথ্য বলছে, রাজস্ব থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্র, উচ্চ শিক্ষা, পরমাণু শক্তি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, প্রতিরক্ষা, আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রকের বিভিন্ন পদে এই নিয়োগ দিয়ে থাকে কেন্দ্রীয় সরকার। অষ্টম শ্রেণি পাশ থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পাশ, উচ্চমাধ্যমিক পাশ, আইটিআই পাশ, কিংবা কোনও ডিপ্লোমা ডিগ্রি বা স্নাতক পাশ… বিভিন্ন স্তরের শিক্ষাগত যোগ্যতার আবেদনকারীরা সুযোগ পান রোজগার মেলায়।

    আরও পড়ুন: আখনুরে সেনা কনভয়ে হামলায় ব্যবহৃত স্টিল-বুলেট, পাল্টা অভিযানে খতম তিন জঙ্গি

    কর্মযোগী পোর্টালের কাজ

    নিয়োগের পরে আইজিওটি কর্মযোগী পোর্টালের অধীনে ‘কর্মযোগী প্রাধ্যম’ নামে একটি অনলাইন প্রশিক্ষণ মডিউলে কর্মীদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই পোর্টালে পাওয়া যাবে ১৪০০-রও বেশি ই-লার্নিং সিলেবাস। এই নতুন পোর্টালের প্রশিক্ষণ মডিউলে দেশের উন্নতির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সমস্ত স্কিল শেখানো হবে যার মাধ্যমে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীরাও নিজেদের পেশাগত স্তরে উন্নতি করতে পারবে। ২০২২ সালের ২২ অক্টোবর থেকে দেশে শুরু হয়েছিল এই রোজগার মেলা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র প্রসাদ জানান যে এই রোজগার মেলার (Rojgar Mela) মাধ্যমে একটি বোতাম টিপেই ৫১ হাজার বেকার যুবককে চাকরি দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kali Puja 2024: “কেউ নূপুর পরে দরজা পর্যন্ত এসে চলে যাচ্ছে”, কালীবাড়ি ঘিরে গা ছমছম করা কাহিনি!

    Kali Puja 2024: “কেউ নূপুর পরে দরজা পর্যন্ত এসে চলে যাচ্ছে”, কালীবাড়ি ঘিরে গা ছমছম করা কাহিনি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৭৬৬ খ্রিস্টাব্দে কৃষ্ণেন্দু হোতা মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাচীন সয়দাবাদে শিবমন্দির সহ একটি কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই সময় থেকে এখনও পর্যন্ত এই মন্দিরের গর্ভগৃহে কোনও রকম বৈদ্যুতিক আলো জ্বালানো হয় না। এখানে প্রদীপের আলো এবং মোমবাতি জ্বালিয়েই সারা বছর মায়ের পুজো (Kali Puja 2024) হয়। মুর্শিদাবাদ জেলায় চারচালা বৃহত্তম মন্দির বলে এই দয়াময়ী কালীবাড়িকেই মানুষ জানে। কিন্তু এই কৃষ্ণেন্দু হোতা কে? জানা যায়, তিনি কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির নায়েক ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন সাধকও। এই মন্দির এবং মায়ের মূর্তি তিনিই প্রতিষ্ঠা করেন। দয়াময়ী মন্দিরের (Dayamayee kalibari) সামনের দালানমন্দিরে গ্রহরাজের পুজো হয়। দয়াময়ী মা জাগ্রতা বলে সবাই বিশ্বাস করেন। কৃষ্ণেন্দু হোতার বাড়ি ছিল মায়ের মন্দিরের পিছনে। তিনি সাধনায় সিদ্ধিলাভ করে মায়ের দর্শন পান। শোনা যায়, সে সময় সেখানে মায়ের ছাল রেখে গিয়েছিলেন। তিনি তার পর মাকে এখানে প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে কোনও রকম ঘটে পুজো হয় না। কারণ মা এখানে তাঁর দেহের অংশ ছেড়ে রেখে গিয়েছেন। সে কারণে এখানে মায়ের পুজো হয় দেহে। অমাবস্যার দিন ১২ মাসেই তাঁর পুজো এখানে হয়। বিশেষ আমাবস্যার পুজো হয় কার্তিক মাসে। এই সময় বহু মানুষের সমাগম হয় এই দয়াময়ী কালীবাড়িতে এবং হাজার চার-পাঁচেক লোকের ভোগ রান্না করা হয়।

    জহুরা মায়ের ইচ্ছা (Kali Puja 2024) 

    এ বিষয়ে দয়াময়ী কালীবাড়ির পুরোহিত বলেন, যতক্ষণ মা শিবের উপর দণ্ডায়মান আছেন, ততক্ষণ শক্তি। যেই মা নেমে যাবেন, আর আমাদের শক্তি থাকবে না। এই দয়াময়ী কালীবাড়ির মূর্তি নিয়ে নানান ধরনের ঘটনা উল্লেখিত আছে। কথিত আছে, একবার জহুরা মা এসে সাধনার জন্য জবরদস্তি করেছিলেন। তাঁর ইচ্ছে ছিল, মায়ের আসনে বসে সাধনা করবেন। কিন্তু আমার দাদু বলেছিলেন, “আপনি অবশ্যই সাধনা করতে পারবেন। কিন্তু তার আগে আপনার যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে।” কী সেই পরীক্ষা? “আমি একটা মালা ওখানে রেখে দিয়ে আসব। সেই মালাটি কোনও রকম স্পর্শ না করে কারও সহযোগিতা না নিয়ে মায়ের গলায় পরাতে হবে।” এই কথা শোনার পর জহুরা মা বলেন, এটা কখনও সম্ভব? তার উত্তরে তিনি বলেন, সম্ভব এবং তিনি তা করেও দেখিয়েছেন। তাঁর দাবি, দাদু বেশ কয়েকবার মায়ের দর্শন পেয়েছেন।

    নূপুরের শব্দ (Dayamayee kalibari)

    তাঁর মুখ থেকে শোনা যাক তেমনই কিছু ঘটনা। তিনি বলে চলেন, “দুপুরবেলায় বাচ্চারা এখানে খেলতে আসত। সে সময় বন্যা হওয়ার কারণে মন্দিরের নীচের চত্বর থেকে জলে পরিপূর্ণ ছিল।। তারা খেলতে এসে দেখে, মন্দিরের সামনে একজন মাথা নিচু করে পড়ে আছে। তার চুলগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। বাচ্চারা ওই দেখে ভয় পেয়ে ছুটে গিয়ে দাদুকে সমস্ত কথা জানায়। তখন দাদু ছুটে এসে দেখে মায়ের সেই রূপ।” এই দয়াময়ী কালীবাড়ির (Kali Puja 2024) মাকে নিয়ে নানান ধরনের ঘটনা আছে। শোনা যাক আরও একটি ঘটনা। তিনি বুলেন, “দাদুর বন্ধু ঠাকুর-দেবতায় বিশ্বাসী ছিলেন না। দাদু ওই বন্ধুকে বলেছিলেন, মন্দিরের এই ঘরে তুই যদি থাকতে পারিস এক রাত, তোকে ৫ টাকা দেওয়া হবে এবং পেট ভর্তি রসগোল্লা খাওয়ানো হবে। এই কথা শুনে সেই বন্ধু ওই ঘরে রাতে থাকার জন্য ঢোকেন। দু-দিন পর সেই বন্ধু বাড়িতে আসেন এবং দাদুকে বলেন, আমি আর জীবনে কোনও দিন মন্দিরে রাতের বেলায় প্রবেশ করব না। কী হয়েছে জানতে চাইলে ওই বন্ধু বলেন, আমি যখনই শুতে যাচ্ছি, তখনই দেখা যাচ্ছে কেউ নূপুর পরে আমার দরজা পর্যন্ত এসে চলে যাচ্ছে। কিন্তু দরজা খুলে দেখা যাচ্ছে, কেউ নাই। এই রকম ঘটনা তিন-চার বার হওয়ার পর ওই বন্ধু নিজেকে সামলাতে না পেরে পাশে কাঠের দরজা টপকে পালিয়ে যান। জানিয়ে দিয়ে যান, তিনি আর জীবনে কোনও দিন এই মন্দিরে থাকবেন না। এই কারণে রাত নটা-দশটার পর এই মন্দিরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।

    আমিষ ভোগ (Kali Puja 2024) 

    তিনি জানান, এখানে আগাগোড়া আমিষ ভোগ দেওয়া হয়। এখানে মায়ের ভোগে মাছ প্রত্যেক দিন লাগবে। মাছবিহীন কখনও ভোগ হবে না। এখানে আমাবস্যার দিন মায়ের বিশেষ দুটি পছন্দের মাছ বোয়াল এবং শোল ভোগে দেওয়া হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sardar Vallabhbhai Patel: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবস’ পালনের নির্দেশ ইউজিসি-র, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    Sardar Vallabhbhai Patel: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবস’ পালনের নির্দেশ ইউজিসি-র, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩১ অক্টোবর। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের (Sardar Vallabhbhai Patel) জন্মবার্ষিকী। দিনটিকে ভারত সরকার ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবস’ (Rashtriya Ekta Diwas) হিসেবে ঘোষণা করেছে। যুবসমাজের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও দিনটিকে স্মরণীয় করে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনও উদ্যোগী হয়েছে। তারা দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবস’ পালনের আহ্বান জানিয়েছে। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মবার্ষিকী যাতে যথাযথভাবে পালিত হয়, তাই এই উদ্যোগ। এ বছর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী। দু’বছর ধরে দেশজুড়ে অনুষ্ঠান পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবসে’র গুরুত্ব (Sardar Vallabhbhai Patel)

    ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবস’ একটি বিশেষ দিন, যা আমাদের বল্লভভাই প্যাটেলের ভারতের একীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দেয়। তাঁর দূরদর্শিতা ও নেতৃত্ব ভারতের একতা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ছিল। এই দিনটি আমাদের জাতির একতা ও অখণ্ডতা রক্ষায় আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করার সুযোগ দেয়। ইউজিসির বক্তব্য, রাষ্ট্রীয় একতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো একতা ও অখণ্ডতা প্রচারের প্রতি তাদের অঙ্গীকার প্রদর্শন করতে পারে, যা দেশের যে কোনও চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে কাজে লাগবে।

    কী কী অনুষ্ঠান করতে হবে

    এই অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণ কেবল বল্লভভাই প্যাটেলের ঐতিহ্যকে সম্মান জানায় না, শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্মীদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ নীতিগুলিকে ধারণ করতে অনুপ্রাণিত করে (Sardar Vallabhbhai Patel)। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। শপথ নেওয়ার সময় কী পাঠ করতে হবে, বিজ্ঞপ্তিতে তাও বলে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ধনতেরাসে বিধি মেনে পুজোয় অকাল মৃত্যুর হাত থেকে মুক্তি, লাভ হয় অপার ঐশ্বর্য

    ঐক্যের জন্য দৌড়ের আয়োজনও করতে বলা হয়েছে। জাতীয় ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দিতেই আয়োজন করা প্রয়োজন ঐক্যের জন্য দৌড়ের। এই দৌড়ে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে শামিল করানোর কথাও বলা হয়েছে। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবসে’ (Rashtriya Ekta Diwas) কী কী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হল, তার ছবি এবং ভিডিও ইউএএমপি পোর্টালে আপলোড করতেও বলা হয়েছে (Sardar Vallabhbhai Patel)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • By Election 2024: সিতাইয়ের তৃণমূল প্রার্থীর তফশিলি জাতি সার্টিফিকেট কি ভুয়ো? কমিশনে নালিশ

    By Election 2024: সিতাইয়ের তৃণমূল প্রার্থীর তফশিলি জাতি সার্টিফিকেট কি ভুয়ো? কমিশনে নালিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে যে ছ’টি জায়গায় উপনির্বাচন (By Election 2024) হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম কোচবিহারের (Cooch Behar) সিতাই বিধানসভা। এবার সেখানকার তৃণমূল (Trinamool Congress) প্রার্থী তথা জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার স্ত্রী সঙ্গীতা রায়ের তফশিলি জাতি সার্টিফিকেট নিয়ে উঠল প্রশ্ন। তাঁর জাতিগত শংসাপত্র কি জাল? প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। হলফনামায় স্বামীর নামের জায়গায় বাবার নাম দিয়ে মনোনয়ন দাখিল করেছেন বলেও অভিযোগ।

    ঠিক কী অভিযোগ? (By Election 2024)

    সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে (By Election 2024) তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার স্ত্রী সঙ্গীতা রায়। তিনি বর্তমানে সিতাই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। পঞ্চায়েতের দেওয়া হলফনামায় তিনি তাঁর স্বামী হিসেবে জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার নাম হলফনামায় জানিয়েছিলেন। অথচ সিতাই বিধানসভার উপনির্বাচনে তিনি স্বামীর নামের জায়গায় বাবার নাম দিয়েছেন। আর এই নিয়েই জলঘোলা হচ্ছে। বিরোধীরাও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা তাঁর হয়ে প্রচারে এসে সঙ্গীতা রায়কে তৃণমূলের সাংসদ জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার স্ত্রী হিসেবেই সম্বোধন করে গিয়েছেন। এরপর হঠাৎ করে স্বামীর নামের জায়গায় বাবার নাম কেন লিখলেন সঙ্গীতা, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন বিরোধীরা। এর পাশাপাশি তাঁর তফশিলি জাতির সার্টিফিকেটটিও জাল বলে বিরোধীদের অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: বদলে গেল সময়, ২০২৫-এর একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু কখন?

    কমিশনে নালিশ 

    সোমবার স্ক্রুটিনির সময় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রিটার্নিং অফিসারের কাছে সঙ্গীতার তফশিলি জাতির সার্টিফিকেটটি দেখানোর দাবি করা হয়। কিন্তু, আধিকারিকরা তা দেখাতে রাজি হননি বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে বিজেপি। কংগ্রেসের তরফে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর মনোনয়নপত্র নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের (By Election 2024) কাছে অভিযোগ জমা দেন কংগ্রেস প্রার্থী ও তাঁর এজেন্ট। সোমবার দুপুরে মনোনয়নপত্র পরীক্ষার সময় মহকুমা শাসকের দফতরে এসে কংগ্রেস প্রার্থী হরিহর রায় সিনহা ও তাঁর এজেন্ট অভিযোগ জমা দেন বলে জানা গিয়েছে। সঙ্গীতা রায়ের এসসি সার্টিফিকেট নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। অবজার্ভারের উপস্থিতিতে সেই কাগজ দেখতে চাইলেও, অবজার্ভার চলে যাওয়ার পর তা তাঁদের দেখানো হয়নি বলে অভিযোগ। এই সমস্যার সমাধান না হলে হাইকোর্ট যাওয়ার হুমকিও দেন তাঁরা। বিজেপি প্রার্থী দীপক রায় বলেন, উপযুক্ত প্রমাণ সহ বিষয়টি সঠিক জায়গায় জানানো হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyber Crime: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ভাড়া নিয়ে’ গজিয়ে উঠেছে সাইবার প্রতারণা-চক্র, সতর্কবার্তা কেন্দ্রের

    Cyber Crime: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ভাড়া নিয়ে’ গজিয়ে উঠেছে সাইবার প্রতারণা-চক্র, সতর্কবার্তা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার জালিয়াতি (Cyber Crime) নিয়ে ফের দেশবাসীকে সতর্ক করল কেন্দ্র। অবৈধ পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে নেট দুনিয়ায় প্রতারণার জাল বুনছে অপরাধীরা। কোনও পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করার আগে ভালো করে তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Home Ministry)। কেন্দ্রের রিপোর্ট, অনলাইনে আর্থিক লেনদেনের একাধিক বেআইনি মাধ্যম চালু করেছে প্রতারকরা, তাই সেই অ্যাকাউন্টগুলো সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত। কেন্দ্রের তরফে এই অ্যাকাউন্টগুলো চিহ্নিত করার কাজ চলছে।

    তৃতীয় কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ব্যবহার

    অনলাইন প্রতারণার (Cyber Crime) ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়েই দেখা যায় প্রতারকরা নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে না। কারণ এতে ধরা পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই তৃতীয় কোনও ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়। এগুলিকে অনেকটা ভাড়ায় নেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বলা যায়। সম্প্রতি এই ভাড়ায় নেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বেআইনি ‘পেমেন্ট গেটওয়ে’ তৈরি করে ফেলেছে প্রতারকরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (আই৪সি) থেকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, গুজরাট পুলিশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ সম্প্রতি দেশের একাধিক প্রান্তে হানা দিয়েছিল। সেই অভিযান চলাকালীনই এই তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। মূলত সাইবার অপরাধের জন্যই এই ধরনের বেআইনি লেনদেন মাধ্যমগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে।  

    আরও পড়ুন: আখনুরে সেনা কনভয়ে হামলায় ব্যবহৃত স্টিল-বুলেট, পাল্টা অভিযানে খতম তিন জঙ্গি

    কোন ধরনের অ্যাকাউন্টের ব্যবহার

    ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন (Home Ministry) সেন্টারের তথ্য অনুসারে, প্রতিদিন প্রায় চার হাজারের আশপাশে এই ধরনের ভাড়া নেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করছে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সমাজমাধ্যম ব্যবহার করেই ভাড়া নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি খোঁজে প্রতারকরা। মূলত ব্যবহার হয় টেলিগ্রাম এবং ফেসবুক। কখনও ভুতুড়ে সংস্থা আবার কখনও কোনও ব্যক্তির নামে থাকা এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি সাধারণত বিদেশ থেকে পরিচালিত হয়। প্রতারণার কাজে ব্যবহারের জন্য এগুলিকেই আগে পছন্দ করে সাইবার জালিয়াতরা। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে ‘পিস পে’, ‘আরটিএক্স পে’, ‘পোকো পে’, ‘আরপি পে’-সহ এমন আরও বেশ কিছু ভুয়ো ‘পেমেন্ট গেটওয়ে’ জালিয়াতরা ব্যবহার করছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী তাড়াতে ‘লঙ্কাকাণ্ডে’র হুঁশিয়ারি হিমন্তের

    Himanta Biswa Sarma: ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী তাড়াতে ‘লঙ্কাকাণ্ডে’র হুঁশিয়ারি হিমন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডে (Jharkahnd) প্রচারে গিয়ে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে দিলেন লঙ্কাকাণ্ডের হুঁশিয়ারি। বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের জন্য ঝাড়খণ্ডের জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নিজের বক্তব্যে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘‘হনুমানজির লঙ্কায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। তাই আমাদেরও সোনার ঝাড়খণ্ড তৈরি করতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে আগুন জ্বালাতে হবে।’’

    অনুপ্রবেশকারীদের আধার কার্ড বানিয়ে দিচ্ছে মাদ্রাসাগুলি 

    প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের (Jharkahnd) নির্বাচনে সহ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব রয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর। সে রাজ্যের ক্ষমতাসীন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেস জোটের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তোষণ করার বড় অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, সেখানকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলাদের বিয়ে করে স্থায়ীভাবে সেখানে বসতি করার অভিযোগও রয়েছে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আধার কার্ড তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে ঝাড়খণ্ডের মাদ্রাসাগুলি থেকে এবং এভাবেই তারা রাজ্যে থাকতে পারছে, এমন অভিযোগও করেন হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma)। তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘ক্রমশই ঝাড়খণ্ডে কমে চলেছে আদিবাসীদের জনসংখ্যা।’’

    আরও পড়ুন: ব্রাজিলে জি২০ সম্মেলনে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন সুকান্ত মজুমদার

    ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এনআরসি চালু করবে, বললেন হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma) 

    এর পাশাপাশি, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) এদিন আরও বলেন, ‘‘প্রত্যেক মুসলমানই অনুপ্রবেশকারী নয়, কিন্তু প্রশ্ন উঠছে মুসলিম জনসংখ্যার বৃদ্ধি দেখে। কীভাবে বিগত পাঁচ বছরে এত বিপুল সংখ্যক বেড়ে গেল মুসলিম জনসংখ্যা! তাদের পরিবার কি ১০ থেকে ১২টি ছেলের জন্ম দিচ্ছে? সেটা নিশ্চই নয়। তাই এটা বুঝতেই হবে যে ভারতের বাইরে থেকে এসেই অনুপ্রবেশকারীরা মুসলিম জনসংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে।’’ এদিন সরাসরি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনকে আক্রমণ শানিয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আরও বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এনআরসি চালু করবে, বিশেষত সাঁওতাল পরগনাগুলিতে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: ৮ বছর পর টনক নড়ল খাদ্য দফতরের! দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বালু ঘনিষ্ঠ রেশন ডিলার সাসপেন্ড

    Malda: ৮ বছর পর টনক নড়ল খাদ্য দফতরের! দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বালু ঘনিষ্ঠ রেশন ডিলার সাসপেন্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) আপাতত জেলে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর সময়কালে ঘটে যাওয়া আরেক রেশন দুর্নীতির প্রমাণ মিলল মালদায় (Malda)। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সঙ্গেও লেনদেন হয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে রেশন ডিলারকে সাসপেন্ড করল খাদ্য সরবরাহ দফতর।  একই সঙ্গে প্রায় আট কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই ডিলার আবার তৃণমূলের গ্রামীণ নেতা। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসকদল।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)

    ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মালদার কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকে রেশন ডিলার ছিলেন আশরাফুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের সাহাবানচক গ্রাম পঞ্চায়েতের ইন্দো-বাংলা সীমান্ত লাগোয়া বোরাবাদ্ধা গ্রামে। তিনি সাহাবানচক অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি। মাস দুয়েক আগে সাহাবানচক এলাকার বাসিন্দা দুখু শেখ তাঁদের রেশন ডিলার আশরাফুলের বিরুদ্ধে খাদ্য দফতর ও অপরাধ দমন বিভাগে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগে তিনি বলেন, “আশরাফুল আমাদের সরকারি নিয়ম মেনে রেশন সামগ্রী দিচ্ছেন না। তাঁর গুদামে প্রচুর পরিমাণে রেশন সামগ্রী আসলেও তা রাতারাতি উধাও হয়ে যেত। রেশন আনতে গিয়ে অধিকাংশ সময় গ্রাহকদের ঘুরে আসতে হয়। পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি, আশরাফুল আমাদের জন্য বরাদ্দ সামগ্রী কালোবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছি।’’ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নেমে রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে জেলা খাদ্য দফতর। খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এক হাজারের বেশি ভুয়ো বা জাল রেশন কার্ড ছাপিয়ে দীর্ঘ প্রায় আট বছর ধরে রেশন তোলা হচ্ছিল। তারপর সে সব জিনিস কালোবাজারে বিক্রি করা হত। ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এই কারবার চলেছে বলে অভিযোগ। তদন্ত চালিয়ে এই দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে বলে জেলা খাদ্য সরবরাহ দফতর সূত্রে দাবি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বদলে গেল সময়, ২০২৫-এর একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু কখন?

    খাদ্য দফতরের কী বক্তব্য?

    মালদা (Malda) জেলা খাদ্য নিয়ামক শাশ্বত সুন্দর দাস বলেন, “সাহবানচকের একজনকে মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৫ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ভুয়ো কার্ডে পণ্য তোলার অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। ৭ কোটি ৮৫ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি ডিলারশিপও সাসপেন্ড করা হয়েছে।’’

    তদন্ত দাবি করেছে বিজেপি

    তৃণমূল নেতা তথা অভিযুক্ত রেশন ডিলার আশরাফুল ইসলামকে এলাকায় (Malda) দেখা যাচ্ছে না। তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় নি। শুধু খাদ্য দফতর নয় এই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছে বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, বাংলাদেশিদের নামেও জাল রেশন কার্ড করা হচ্ছে। রেশন সামগ্রী পাচার হচ্ছে বাংলাদেশে। বর্ডার এলাকা থেকে এইসব লেনদেন চলছে বলেও দাবি বিরোধীদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: আখনুরে সেনা কনভয়ে হামলায় ব্যবহৃত স্টিল-বুলেট, পাল্টা অভিযানে খতম তিন জঙ্গি

    Jammu Kashmir: আখনুরে সেনা কনভয়ে হামলায় ব্যবহৃত স্টিল-বুলেট, পাল্টা অভিযানে খতম তিন জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সীমান্তঘেঁষা আখনুর সেক্টরে ভারতীয় সেনার কনভয়ে জঙ্গি হামলার (Akhnoor Terror Attack) ঘটনার পর জওয়ানদের প্রত্যাঘাতে তিন হামলাকারী খতম হয়েছে। এখনও তল্লাশি-অভিযান চলছে। সেনা অভিযানে বেশ কিছু অস্ত্র এবং গোলা-বারুদ উদ্ধার হয়েছে বলেও খবর। এখানেই দেখা যায়, হামলায় সেনার সাঁজোয়া গাড়ি ভেদ করতে সক্ষম এমন আধুনিক স্টিলের গুলি ব্যবহার করেছিল জঙ্গিরা। এই অভিযানে বীর বিক্রমে লড়াই করে শহিদ হয়েছে সেনা-সারমেয় ফ্যান্টম।

    বানচাল জঙ্গিদের ছক

    সেনার তরফে জানানো হয়, সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ এই জঙ্গি হানার ঘটনা ঘটে। বালতাল এলাকায় তিন জন জঙ্গি আচমকাই সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। স্থানীয়দের দাবি, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল তিন জন। সেনাবাহিনীর কনভয়ে ছিল একটি অ্যাম্বুল্যান্স, যার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এর পরেই জঙ্গিদের ধরতে পাল্টা অভিযান শুরু করে সেনা। দ্রুত গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেন জওয়ানরা। জঙ্গিদের খোঁজে জঙ্গলেও তল্লাশি চালানো হয়। জঙ্গিদের অবস্থান বুঝতে জঙ্গলে যায় সেনার ‘কে-৯’ ব্রিগেডের সদস্য ফ্যান্টম। তাকে দেখেই গুলি চালাতে শুরু করে আত্মগোপন করে থাকা জঙ্গিরা। গুলি এসে লাগে ফ্যান্টমের। কিন্তু, ততক্ষণে জঙ্গিদের অবস্থান সম্পর্কে জেনে যায় বাহিনী। শহিদ হয় ফ্যান্টম। গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় সেনা সারমেয় ফ্যান্টম। এর পর শুরু হয় জঙ্গি-বাহিনীর গুলির লড়াই। প্রায় ২৪-ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পর খবর মেলে যে তিন জঙ্গিই বাহিনীর অভিযানে খতম হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী এলাকা থেকে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাজেয়াপ্ত করেছে।

    দীপাবলি উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তা

    দীপাবলি উৎসব উপলক্ষে নিরাপত্তা বাহিনী জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) নিরাপত্তার কড়াকড়ি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তারই মধ্যে ঘটে গেল এই হামলার ঘটনা। জঙ্গিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত গোলা-বারুদের মধ্যে বেশ কিছু ছিল অত্যাধুনিক। সহজেই সেনার সাঁজোয়া গাড়ি ভেদ করতে সক্ষম এরকম স্টিলের বুলেট ব্যবহার করেছিল জঙ্গিরা। মঙ্গলবার সকালে সেনার তরফে জানানো হয়, সোমবার সারাদিন তল্লাশি অভিযান চলে আখনুরে। অবশেষে তিন জঙ্গি নিহত হয়।

    আরও পড়ুন: বদলে গেল সময়, ২০২৫-এর একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু কখন?

    গত কয়েক দিন ধরেই জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) বার বার জঙ্গি হামলার ঘটনা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যটন কেন্দ্র গুলমার্গ থেকে কিছু দূরে সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। নিহত হন দুই জওয়ান এবং সেনাবাহিনীর দুই মালবাহক। আরও এক মালবাহক এবং জওয়ান ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন। জঙ্গিদের ধরতে ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে সেনা। এর আগে ২০ অক্টোবর গান্ডেরবাল জেলার শ্রীনগর-লেহ্ জাতীয় সড়কে একটি নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের কাছে জঙ্গি-হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ছয় নির্মাণ শ্রমিকের। তাঁরা সকলেই ভিন্‌রাজ্যের বাসিন্দা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Swarup Biswas: যৌন হেনস্থা মন্তব্য! স্বরূপের বিরুদ্ধে ২৩ কোটির মানহানির মামলা ২৩৩ জন পরিচালকের

    Swarup Biswas: যৌন হেনস্থা মন্তব্য! স্বরূপের বিরুদ্ধে ২৩ কোটির মানহানির মামলা ২৩৩ জন পরিচালকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলির আবহে উত্তপ্ত টলিউড। ৬০ শতাংশ পরিচালক-প্রযোজক নাকি যৌন হেনস্থার মতো অভিযোগে অভিযুক্ত, গত সেপ্টেম্বরে পুজোর আগে এমনই অভিযোগ এনেছিলেন ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিসিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস (Swarup Biswas)। তাঁর আরও একটা পরিচয় রয়েছে, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই। এমন মন্তব্যের কারণে টলিউডের ২৩৩ জন পরিচালক এবার স্বরূপের বিরুদ্ধে ২৩ কোটির মানহানির (Defamation Case) মামলা করলেন।

    আরও পড়ুন: ব্রাজিলে জি২০ সম্মেলনে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন সুকান্ত মজুমদার

    দুর্গাপুজো মিটতেই মানহানির মামলা (Defamation Case) করা হল

    প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনার পরেই, গত অগাস্ট মাস থেকে উত্তাল হয় সারা রাজ্য। যৌন নির্যাতন, শ্লীলতাহানি, মহিলাদের ওপর যে কোনও অত্যাচারের প্রতিবাদে সরব হয়ে রাস্তায় নামতে দেখা যায় মানুষকে। এরই মধ্যে বেফাঁস মন্তব্য করে ফেলেন স্বরূপ বিশ্বাস। বিতর্কিত মন্তব্যে তিনি (Swarup Biswas) বলেন, ‘‘টলিউডের ৬০ শতাংশ পরিচালক যৌন হেনস্থা করেন।’’ এমন মন্তব্যের কারণেই নড়েচড়ে বসেন টলিউডের পরিচালকরা। এই তালিকায় ছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, অঞ্জন দত্ত, সুদেষ্ণা রায়-সহ ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। এরপরে দুর্গাপুজো মিটতেই মানহানির মামলা করা হল স্বরূপের বিরুদ্ধে।

    এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি স্বরূপ (Swarup Biswas)

    এনিয়ে ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সুব্রত সেন জানিয়েছেন, পরিচালকরা একজোট হয়ে এমন পদক্ষেপ করেছেন। সুব্রতর নিজের ভাষায়, “কোনও সংগঠন এই রকম পদক্ষেপ করতে পারে না। পরিচালকরা এক জোট হয়ে ব্যক্তিগত স্তর থেকে এই পদক্ষেপ করেছেন।”  তবে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল ঘনিষ্ঠ পরিচালকরা স্বরূপ বিশ্বাসের (Swarup Biswas) এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন কি না সে বিষয়ে কিছু স্পষ্ট জানা যাচ্ছে না। পরিচালক রাজ চক্রবর্তী তৃণমূলের বিধায়কও বটে। তাই তাঁর কী মন্তব্য স্বরূপ বিশ্বাসের কথার প্রসঙ্গে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। আবার স্বরূপ বিশ্বাসও এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share