Tag: Madhyom

Madhyom

  • Junior Doctor: “জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন ব্যর্থ”, বললেন শুভেন্দু, মমতাকে নিশানা করলেন সুকান্ত

    Junior Doctor: “জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন ব্যর্থ”, বললেন শুভেন্দু, মমতাকে নিশানা করলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড ইস্যুতে চলা আন্দোলন নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কার্যত জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে ব্যর্থ বললেন তিনি। আর কেন তাঁদের (Junior Doctor) আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে তার কারণও ব্যাখ্যা করলেন বিরোধী দলনেতা। অন্যদিকে, মমতাকে তীব্র আক্রমণ করলেন সুকান্ত মজুমদার।

    জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন ব্যর্থ! (Junior Doctor)

    জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) আন্দোলন ব্যর্থ হওয়া নিয়ে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) মূলত দু’টি কারণ দর্শালেন। প্রথমত, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বাড়িতে এবং নবান্নের বৈঠক। আর দ্বিতীয় হল, রাজ্যের প্রধান এবং একমাত্র বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা। এই দুই ভুলের ফল অনিকেত মাহাতোরা ভুগছেন বলে দাবি করলেন শুভেন্দু। শুভেন্দু বলেন, “জুনিয়র ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশন তৃণমূলের তৈরি সংগঠন। থ্রেট কালচারে যুক্তদের নিয়ে এই সংগঠন তৈরি হয়েছে। এদের অনেকের ছবি সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এসব আটকানো যায় না।” এরপর জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, “শুরু থেকে বাম ও অতিবাম সংগঠনগুলি জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে ভুল পথে চালিত করেছে। জুনিয়র ডাক্তাররা সবাই খুব ভালো। ওঁরা শিক্ষিত। কেউ সাদা খাতা জমা দিয়ে ডাক্তারি পড়তে বা চাকরিতে আসেননি। কিন্তু, বাম ও অতিবামদের প্ররোচনায় পা-দেওয়ার ফল ভুগছেন অনিকেত মাহাতোরা।”

    আরও পড়ুন: “এক কোটি সদস্য হলেই আমরা জিতব”, শাহি সভায় বললেন মিঠুন

    মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে তোপ

    শুভেন্দু বলেন, “রাজ্যের প্রধান ও একমাত্র বিরোধী দল বিজেপি। সেই বিরোধী দলকে সরিয়ে রেখে কোনও সরকার-বিরোধী আন্দোলন সফল হতে পারে না। শুভেন্দুর মতে, জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ও তার কোটি কোটি ভোটারদের দূরে রেখে আন্দোলনে নেমেছিলেন। তারই ফল ভুগতে হচ্ছে।” বিরোধী দলনেতার মতে, জুনিয়র ডাক্তারদের দ্বিতীয় ভুল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বাড়ি এবং নবান্নে গিয়ে বৈঠক করা। তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। যে মুহূর্তে তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠকে বসেছেন, সেই মুহূর্তে মানুষ তাঁদের আন্দোলন থেকে সরে এসেছে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী নিজে আরজি করকাণ্ডের জন্য দায়ী। তাঁর জন্যই পুরো ঘটনা ঘটেছে। আর সেই মুখ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে জুনিয়র চিকিৎসকরা বৈঠক করেছেন। সরকারের সঙ্গে অন্য ভাবেও বৈঠক করা যেত। সেটা মুখ্যসচিব এবং স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে করতে পারতেন তাঁরা। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিবের হস্তক্ষেপ দাবি করতে পারতেন।”

    মমতাকে গ্রেগ চ্যাপেলের সঙ্গে তুলনা

    অন্যদিকে, মতাকে থ্রেট কালচারের জনক বলে নিশানা করলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “মমতা গেমপ্লেনের মতো খেলছেন। কোচ গ্রেগ চ্যাপেলের মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমার মনে হচ্ছে সাউথ আফ্রিকার মতো ডাক্তারবাবুরা (Junior Doctor) চোকার্স হয়ে গিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: “শ্মশানে জাগিছে শ্যামা মা…”, কেওড়াতলা মহাশ্মশানে মা পূজিত হন করুণাময়ী রূপে

    Kali Puja 2024: “শ্মশানে জাগিছে শ্যামা মা…”, কেওড়াতলা মহাশ্মশানে মা পূজিত হন করুণাময়ী রূপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈদ্যুতিক চুল্লিতে পুড়ছে শবদেহ। পাশেই তন্ত্রমতে পুজো হচ্ছে মা শ্মশানকালীর (Kali Puja 2024)। প্রত্যেক বছর কালীপুজোর রাতে এ ছবি দেখা যায় কালীঘাটের কেওড়াতলা (Keoratala Goddess Kali) মহাশ্মশানে। এক সময় এখানে দেহ দাহ হত কাঠের চুল্লিতে। পরে হয়েছে বৈদ্যুতিক চুল্লি। চুল্লি জ্বলে প্রায় সারাদিনই। কালীপুজোর রাতেও এর বিরাম থাকে না। এই আবহেই এখানে হয় মাতৃ আরাধনা। জাগ্রত মায়ের আরাধনায় প্রচুর ভক্তসমাগম হয়।

    মাতৃমূর্তি করুণাময়ী (Kali Puja 2024)

    কেওড়াতলায় মাতৃমূর্তি করুণাময়ী। ১৬ ফুট উচ্চতার মাতৃমূর্তি লোলজিহ্বা নয়, হাস্যময়ী। অসুর মুণ্ডমালিনী নয়। দেবীর থাকে দুই হাত। ডান হাতে নৈবেদ্যরূপী মাংস, অন্য হাতে মদ। অনেকেই এখানে দেবীকে মদ মানত করেন। সেই পানপাত্র থেকে মদের একটা অংশ নিয়ে পুরোহিত দেবীর হাতে থাকা পাত্রে রাখেন। বাকিটা প্রসাদ করে তুলে দেওয়া হয় মানতকারীর হাতে। কালীপুজোয় বলিদান সিদ্ধ। তাই বলিদানের রীতি শুরু থেকেই রয়েছে এখানে। ভক্তদের (Kali Puja 2024) মানত করা পাঁঠা বলি হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, কেওড়াতলার মা কালী কাউকে শূন্য হাতে ফেরান না। যে যা বাসনা করেন তাই ফলপ্রসূ হয়।

    রাতভর চলে পুজো-হোম-বলিদান

    কেওড়াতলার শ্মশানকালী (Kali Puja 2024) পুজোর একটি ইতিহাস রয়েছে। গভীর জঙ্গলে আকীর্ণ এই এলাকায় এক সময় ছিল শুধুই শ্মশান। কেওড়া গাছ প্রচুর পরিমাণে ছিল বলে এই নামকরণ হয়। মূলত দেহ দাহ করতেই লোকজন আসতেন এখানে। এই জায়গাটিকেই সাধনস্থল হিসেবে বেছে নিলেন জনৈক চন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য ও মতিলাল ভট্টাচার্য। ১৯৭০ সালে এক অমাবস্যার রাতে এখানে এসে হাজির হন ভিনদেশি এক তান্ত্রিক। হাতে লৌহনির্মিত একটি ছোট্ট কালীমূর্তি। সাধনারত দুই ব্রাহ্মণকে তিনি বললেন, “আজকের এই রাত্রির লগ্ন মাতৃপূজার শুভক্ষণ। আমি এখানে দেবীর আরাধনা করতে চাই। আপনারা আমায় সহযোগিতা করুন।” তখনই ব্রাহ্মণরা আয়োজন করলেন মাতৃ আরাধনার। স্থানীয় জনবসতি থেকে জোগাড় হল পুজোর উপকরণ। রাতভর চলল পুজো-হোম-বলিদান। তন্ত্রমতে সাঙ্গ হল দেবী আরাধনা।  

    আরও পড়ুুন: পুরীর জগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদের মূল্য একলাফে বেড়ে ৩ গুণ! ভক্তমহলে অসন্তোষ

    আকাশে ভোরের আলো ফোটার আগেই দেবীমূর্তি নিয়ে কোথায় যেন চলে গেলেন তান্ত্রিক। তবে তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আজও হচ্ছে পুজো। যেহেতু তান্ত্রিক তাঁর দেবীমূর্তি নিয়ে চলে গিয়েছেন, তাই এখন মৃণ্ময়ী প্রতিমা গড়ে হয় পুজো। তবে পুজোর নিয়ম অনুসরণ করা হয় সেই তান্ত্রিকের মতোই। জনশ্রুতি এই (Kali Puja 2024) যে, দ্বীপান্বিতা অমাবস্যার রাতে যখন মায়ের আরাধনা হয়, তখনও জ্বলতে থাকে চিতা। কালীপুজোর (Keoratala Goddess Kali) রাতে এখানে এলে মনে পড়ে কাজী নজরুল ইসলামের সেই কথা কটি, “শ্মশানে জাগিছে শ্যামা মা…।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO: ছাব্বিশে ‘গগনযান মিশন’, আঠাশে ‘চন্দ্রযান ৪’, ভারতের মহাকাশ সূচি ঘোষণা ইসরোর

    ISRO: ছাব্বিশে ‘গগনযান মিশন’, আঠাশে ‘চন্দ্রযান ৪’, ভারতের মহাকাশ সূচি ঘোষণা ইসরোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘চন্দ্রযান ৩’-এর সাফল্যের পর, জোর কদমে কাজ চলছে ‘চন্দ্রযান ৪’ এবং ‘গগনযান’ নিয়ে। সব ঠিক থাকলে ২০২৮ সালেই চন্দ্রযান ৪ অভিযান চালানো হতে পারে, বলে জানালেন ইসরো (ISRO) প্রধান এস সোমনাথ। একই সঙ্গে তিনি জানালেন, নিরাপত্তার কারণে চলতি বছর ‘গগনযান’ অভিযান ২০২৫ সালে হচ্ছে না। পরিবর্তে ২০২৬ সালে হবে ওই অভিযান। সোমনাথ বলেছেন, ‘‘আগামী কয়েক দশকে বিশ্বের মহাকাশ গবেষণায় ভারতের বর্তমান অবদান ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করতে ইসরো বদ্ধপরিকর।’’ সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে ইসরো।

    কবে হবে চন্দ্রযান ৪-এর উৎক্ষেপণ 

    ১৮ জুলাই ২০২৩ উৎক্ষেপণের পর, ২৩ আগস্ট সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করেছিল চন্দ্রযান ৩। চাঁদের বাড়িতে চন্দ্রযান (ISRO) পৌঁছে যাওযার পর, নতুন উদ্যমে চন্দ্রযান ৪-এর কথা ভাবা হয়েছিল। সেপ্টেম্বরেই চন্দ্রযান ৪-এর অভিযানে সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। আগেই জানা গিয়েছিল, এই প্রজেক্টের সম্ভাব্য বাজেট। মনে করা হচ্ছে ২১০৪.০৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে চন্দ্রযান ৪-এর অভিযানে। এবার, সর্দার প্যাটেল মেমোরিয়াল বক্তৃতায় সোমনাথ জানান, ২০২৮ সালে রওনা হবে ‘চন্দ্রযান ৪’।

    গগনযান অভিযান কবে

    এদিন ইসরো (ISRO) প্রধান গগনযান মিশন সম্পর্কেও বিস্তারিত জানান। ইসরো জানিয়েছে, নিরাপত্তার কারণে ২০২৫ সালে ‘গগনযান’ অভিযান করা সম্ভব হচ্ছে না। পরিবর্তে ২০২৬ সালে এই অভিযান করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২৫ সালে হতে চলেছে ভারত-আমেরিকার যৌথ অভিযান ‘নিসার’। ‘গগনযান’ অভিযান হল ভারতের প্রথম মনুষ্যবাহী মহাকাশ অভিযান। ২০১৮ সালে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রথম এই অভিযানের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কথা ছিল ২০২২ সালেই এই অভিযান হবে। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে তা পিছিয়ে ২০২৫ করা হয়। এখন সেই অভিযানও পিছিয়ে গেল। আসল অভিযানের আগে একাধিকবার মহড়া দেবে ইসরো। খালি মহাকাশযানকে পাঠিয়ে তা নিরাপদে ফিরিয়ে আনার পরীক্ষা করা হবে। সব পরীক্ষায় সফল হয়েই এই অভিযান শুরু করতে চাইছে ইসরো। অভিযান সফল হলে রাশিয়া, আমেরিকা ও চিনের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাকাশে গবেষণার উদ্দেশে নভশ্চর পাঠাবে ভারত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Census: নতুন বছরেই হবে জনগণনা, লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস ২০২৮ সালের মধ্যেই

    Census: নতুন বছরেই হবে জনগণনা, লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস ২০২৮ সালের মধ্যেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা অতিমারির কারণে ২০২১ সালে হয়নি জনগণনা (Census)। নতুন বছরে সম্ভবত সেটাই শুরু করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। শেষ হবে ২০২৬ সালে। জনগণনা-পর্ব শেষ হলে শুরু হবে লোকসভা কেন্দ্রের সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ। ২০২৮ সালের মধ্যে সেই কাজ শেষ হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

    ১০ বছর অন্তর জনগণনা (Census)

    প্রতি ১০ বছর অন্তর জনগণনা হত। নতুন দশকের প্রথম বছরে অনুষ্ঠিত হত এটি। শেষবার জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। হিসেব অনুযায়ী, পরেরবার জনগণনা হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। তবে করোনা অতিমারির কারণে ওই বছর হয়নি জনগণনা। সেটাই হবে ২০২৫ সালে। আর ২০২৫ সালে জনগণনা হলে, পরেরবার সেনসাস হবে ২০৩৫ সালে। তার পরেরটা হবে ২০৪৫ সালে। এভাবেই চলতে থাকবে। এই জনগণনায় জাতিগত জনগণনার দাবি উঠছে। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই সূত্রের খবর।

    সম্প্রদায় সমীক্ষা করা হতে পারে

    তবে সম্প্রদায় সমীক্ষা করা হতে পারে। এটি করা হবে ওবিসি, এসসি এবং এসটি বিভাগগুলির নির্ধারিত কাঠামোর মধ্যে। সম্প্রদায় ভিত্তিক জনগোষ্ঠী সম্পর্কে তথ্য পেতেই এবার সম্প্রদায় সমীক্ষা করা হতে পারে (Census)। যেমন, কর্নাটকের লিঙ্গায়েতরা সাধারণ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। যদিও তারা নিজেদের ভিন্ন সম্প্রদায় হিসেবে বিবেচনা করে। এদিকে, মৃত্যুঞ্জয় কুমার নারায়ণের কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনের মেয়াদ ২০২৬ সালের অগাস্ট মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তিনি বর্তমানে ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সেনসাস কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। উত্তরপ্রদেশ ক্যাডারের ১৯৯৫ ব্যাচের এই আইএএস অফিসার ২০২০ সাল থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: গণেশপুজো বিতর্কে মুখ খুললেন চন্দ্রচূড়, মুখের মতো জবাব দিলেন সমালোচকদের

    এদিকে, নির্বাচনী কেন্দ্রগুলির সীমানা পুনর্বিন্যাসের ফলে লোকসভার আসন সংখ্যা বাড়তে পারে। বর্তমানে লোকসভার আসন সংখ্যা ৫৪৫টি। তার মধ্যে নির্বাচন হয় ৫৪৩টিতে। সীমানা পুনর্বিন্যাসের জেরে লোকসভার আসন বেড়ে হতে পারে ৭৫৩টি। সীমানা পুনর্বিন্যাস হলে বদলে যেতে পারে ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্রও (Census)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।   

  • Food: খাবারে দূষিত পদার্থ রয়েছে কি না, কীভাবে পরীক্ষা করবেন? ব্যাখ্যা দিল এফএসএসএআই

    Food: খাবারে দূষিত পদার্থ রয়েছে কি না, কীভাবে পরীক্ষা করবেন? ব্যাখ্যা দিল এফএসএসএআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি করার কারণে খাবারে (Food) ভেজাল সংক্রান্ত খবর প্রায়ই প্রকাশ্যে আসে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা এবং গুণমান নিশ্চিত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) সম্প্রতি বিভিন্ন ধরণের খারাপ খাবার এবং তাদের প্রতিটিকে কীভাবে সনাক্ত করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করে একটি পোস্ট শেয়ার করেছে।

    খাবার নিরাপদ রাখার উপায় (Food)

    এফএসএসএআই-এর পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রস্তুত খাবার (Food) বা কাঁচা উপাদান কিনে আমরা দূষিত খাবার খাওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারি। উপরন্তু, বাড়িতে স্বাস্থ্যকর রান্না, খাওয়া এবং খাদ্য সঞ্চয়ের অভ্যাসগুলি অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। পরিষ্কার হাত, নিরাপদের জন্য একটু যত্ন আপনার খাবার নিরাপদ রাখতে অনেকটাই সাহায্য করবে! এই ধরনের সচেতনতা আপনাকে যে কোনও সম্ভাব্য দূষিত খাবার খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে সাহায্য করতে পারে। এখানে এফএসএসএআই (FSSAI) দ্বারা ভাগ করা খাদ্য দূষণের ৩ সম্ভাব্য প্রকার রয়েছে। সেগুলি নীচে পর পর ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by FSSAI (@fssai_safefood)

    শারীরিক দূষণ

    খাবারে (Food) বাইরের উপাদান মিশে খাবারের গুণগত মান নষ্ট করে দেয়। যেমন ভেজাল খাদ্য পণ্যের ক্ষেত্রে দেখা যায় সচেতনতার অভাবের কারণে সমস্যা তৈরি হয়। পাথর, ডালপালা, বীজ, পালক, বালি, নখ, ধুলো, ময়লা, খড়, চুল ইত্যাদির মতো বাইরের উপাদান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। খাদ্যের মধ্যে থাকা এই সব জিনিস খাওয়ার সময় শ্বাসরোধের ঝুঁকি হতে পারে এবং আপনার দাঁতের ক্ষতি করতে পারে। কীভাবে শনাক্ত করবেন? এফএসএসএআই-এর (FSSAI) পর্যবেক্ষণ, খাবারটি সাবধানে আপনার হাত দিয়ে অনুভব করা এবং ধোয়া ইত্যাদির দ্বারা পরীক্ষা করার প্রয়োজন।

    রাসায়নিক দূষণ

    বিষাক্ত রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসার কারণে খাবারে (Food) দূষণ ঘটে। রাসায়নিক খাবার বিষক্রিয়ায় পরিণত হয়। মূলত, পুনরায় তেল ব্যবহারের জন্য, কীটনাশক ব্যবহার করার কারণে খাবারে রাসায়নিক দূষণ ঘটে। খাবার তৈরির সারফেস, কাচের পাত্র, থালা-বাসন পরিষ্কার করতে অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। এছাড়াও, ডিটারজেন্ট ব্যবহার করার পরে ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন এবং শুকিয়ে নিন। রান্নার জন্য শুধুমাত্র খাদ্য-গ্রেড প্লাস্টিক এবং ধাতু ব্যবহার করুন।

    মাইক্রোবায়োলজিক্যাল দূষণ

    জৈবিক বা মাইক্রোবায়োলজিক্যাল দূষণ ঘটে যখন খাবারে (Food) জীবিত প্রাণী বা তাদের উৎপন্ন পদার্থ দ্বারা দূষিত হয়। এই ক্ষেত্রে অদৃশ্য দূষণের মধ্যে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া, খামির (ইস্ট), প্রোটোজোয়া, ফাঙ্গাস (ছত্রাক) এবং ভাইরাস। আর মাছি, পোকা, আরশোলা, শুঁয়োপোকা বা গুবরেপোকা খাবারে পড়লে, সেই খাবার খেলে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই ক্ষেত্রে, রোগ সৃষ্টিকারী অণুজীব, যাকে প্যাথোজেনও বলা হয়, খাদ্যে প্রবেশ করে এবং পেটে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়। ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য রোগজীবাণুগুলি আর্দ্র, প্রোটিন বা স্টার্চ বেশি বা অম্লতা নিরপেক্ষ খাবারগুলিতে বৃদ্ধি পায়। কীভাবে সনাক্ত করতে হয়? টেক্সচার, গন্ধ এবং রঙের পরিবর্তনগুলি পর্যবেক্ষণ করুন। প্রতিটি জন্য বিশেষ পরীক্ষা উপলব্ধ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Digital Arrest: ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ ফাঁদে চার মাসে ১২০ কোটি টাকা খুইয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ, উদ্বিগ্ন কেন্দ্র

    Digital Arrest: ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ ফাঁদে চার মাসে ১২০ কোটি টাকা খুইয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ, উদ্বিগ্ন কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার প্রতারণার এক নতুন অস্ত্র ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ (Digital Arrest)। সাম্প্রতিক সময়ে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ যে ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে পুলিশ ও তদন্তকারী আধিকারিকদের কপালে। চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই প্রায় ১২০ কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে। এই নথি শুধু সরকারি হিসাবে। যে অভিযোগগুলো জমা পড়েনি, তার হিসাব যোগ করলে প্রতারণার অঙ্ক আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে সকলকে সতর্ক করেছেন।

    কোন ফাঁদে কত টাকা খুইছে মানুষ

    কেন্দ্রীয় সরকারের সাইবার অপরাধ (Digital Arrest) নথিভুক্তির পোর্টাল (এনসিআরপি)-র তথ্য অনুসারে গত কয়েক বছরে সাইবার অপরাধের প্রবণতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে ৭ লাখ ৪০ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। ২০২৩ সালে গোটা বছরে অভিযোগ জমা হয়েছিল সাড়ে ১৫ লাখের কিছু বেশি। ২০২২ সালে অভিযোগ জমা পড়েছিল সাড়ে ৯ লাখের কিছু বেশি। ২০২১ সালে ছিল তা ছিল সাড়ে ৪ লাখ। এই পরিসংখ্যান ক্রমশ বাড়ছে। সরকারি হিসাব অনুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে ১২০ কোটি ৩০ লাখ টাকার ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ হয়েছে। এ ছাড়া ওই একই সময়ের মধ্যে লগ্নির টোপ দিয়ে প্রতারণা হয়েছে ২২২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার। বন্ধুত্বের অ্যাপ থেকে প্রতারণা হয়েছে ১৩ কোটি ২৩ লাখ টাকার। পাশাপাশি, শেয়ার বাজার সংক্রান্ত সাইবার প্রতারণাতেও প্রচুর মানুষ টাকা খুইয়েছেন। ট্রেডিংয়ের টোপে ১৪২০ কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে চলতি বছরের প্রথম চার মাসে।

    আরও পড়ুন: সাইবার অপরাধের নতুন ফাঁদ ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’! সতর্কবার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

     সজাগ থাকার পরামর্শ

    এর মধ্যে একেবারে নতুন প্রতারণার পন্থা হল ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ (Digital Arrest)। নামের সঙ্গেই রয়েছে ‘গ্রেফতার’। প্রথম বার ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ শুনলে মনে হতেই পারে, হয়তো ডিজিটাল মাধ্যমে গ্রেফতার করা হচ্ছে। প্রতারকরাও এটাই বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু গ্রেফতারির সঙ্গে এর দূর দূরান্তেও কোনও সম্পর্ক নেই। পুরোটাই জালিয়াতি। সাইবার প্রতারণা থেকে বাঁচতে মানুষকে ভেবেচিন্তে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। ভয় না পেয়ে সজাগ থাকতে বলেছেন সকলকে। ন্যাশনাল সাইবার হেল্পলাইনে ফোন করে জানানোর পরামর্শ দেন মোদি। হেল্পলাইন নম্বরটি হল ১৯৩০। পাশাপাশি স্থানীয় থানাতেও এ বিষয়ে অভিযোগ জানানোর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gujarat: জনবিন্যাস নষ্ট করার ষড়যন্ত্র ফাঁস! গুজরাটে গ্রেফতার ৫১ অবৈধ বাংলাদেশি

    Gujarat: জনবিন্যাস নষ্ট করার ষড়যন্ত্র ফাঁস! গুজরাটে গ্রেফতার ৫১ অবৈধ বাংলাদেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ (Bangladeshis) করে অবৈধভাবে গুজরাটে (Gujarat) বসবাস করছিলেন বেশ কিছু বাংলাদেশি। একই ভাবে তারা এলাকা দখল করে প্রাকৃতিক ভারসাম্য এবং জনবিন্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে নাশকাতামূলক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানা যাচ্ছে। আমেদাবাদ পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত ২৫ অক্টোবর মোট ৫১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছে। একই ভাবে আরও ২৫০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্যান্য যোগসূত্র এবং ষড়যন্ত্রের তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

    স্যাটেলাইটে চিত্র ধরা পড়েছে (Gujarat)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা (Bangladeshis) বেআইনি ভাবে চান্দোলা লেকের আশেপাশের এলাকায় জবরদখল করে অস্থায়ী বসতি নির্মাণ করেছিল। উল্লেখ্য এই এলাকায় নর্মদা নদীর পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। যে সব এলাকায় জল সঙ্কট দেখা দেয়, সেখানে এই পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হয়। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, “এই অনুপ্রবেশকারীরা নিকটবর্তী পিরানা (Gujarat) বর্জ্য ফেলার জায়গা থেকে প্রক্রিয়াজাত নোংরা এবং আবর্জনা জলের পাইপ লাইনে ফেলে জল সরবরাহকে বন্ধ করে দেওয়ার কাজ করছিল। উপগ্রহ চিত্রে ১৯৮৫, ২০১১ এবং ২০২৪ সালের স্যাটেলাইটে স্পষ্টভাবে সেই চিত্র ধরা পড়েছে। ফলে হ্রদের জলের স্তর ব্যাপক ভাবে কমে গিয়েছে। এই ভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে নষ্ট করার গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আপাতত তদন্ত চলছে। এই অপকর্মের সম্পূর্ণ জালকে খোঁজ করা হচ্ছে।”

    বেআইনি ভাবে হ্রদের আশে পাশে ঝুপড়ি নির্মাণ!

    উপগ্রহ চিত্র সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই চান্দোলা (Gujarat) এলাকায়, বাংলাদেশিরা বেআইনি ভাবে হ্রদের আশে পাশে ঝুপড়ি নির্মাণ করে জমি কব্জা করে রেখে ছিল। সেই সঙ্গে জলাজমি বেআইনি ভাবে মাটি দিয়ে ভরাট করে ক্রমাগত বাস্তুতন্ত্রকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। একদিকে, যেমন পানীয় জল সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটেছে, তেমনি বর্জ্য পদার্থের প্রক্রিয়াজাত কাজেও অত্যন্ত প্রভাব ফেলেছে। উপগ্রহ চিত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ বছরে এলাকার বিরাট পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলা হয়েছে। এখন প্রশ্ন এই ভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে নষ্ট করার মূলচক্রী কে? এটা কী কোনও বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অঙ্গ, সেটাই তদন্ত করছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ।

    ৬০-৭০ শতাংশ অবৈধ নির্মাণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে

    আমেদাবাদ (Gujarat) দুর্নীতি দমনকারী শাখার এসিপি ভরত প্যাটেল বলেন, “গত কয়েক মাস ধরে, আহমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চ অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে৷ অভিযানের অধীনেই তাদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। আবার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷ গত মাসে, মানব পাচার, অবৈধ লেনদেন এবং জাল ভারতীয় নথির দুটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল। এরপর আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপরেও তদন্ত থেমে নেই। এবার মোট ৫১ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া নথি থেকে যাচাই করা হয়েছে। ভুয়ো কাগজ এবং নথি তৈরি করার জন্য এফআইআর করা হয়েছে। এখন এই চান্দোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬০-৭০ শতাংশ অবৈধ নির্মাণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”

    উদ্ধার ভুয়ো আধার-প্যান

    একইভাবে আমেদাবাদে (Gujarat) গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশিদের (Bangladeshis) কাছ থেকে যে সব সমগ্রী পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ভারতীয় আধার কার্ড, প্যান কার্ড। ধৃতরা সকলেই বাংলাদেশের নাগরিক। তবে প্রত্যেকের কাগজে পশ্চিমবঙ্গের উল্লেখ রয়েছে। বেআইনি ভাবে কাজপত্র তৈরি করে সরকারি সুবিধাগুলি নিচ্ছিল বলে দাবি করেন তদন্তকারী অফিসাররা। ভারতীয় নাগরিকদের জন্য যে জনমুখী কল্যাণকর প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়, সেগুলি আইনের ফাঁক দিয়ে সুযোগ নিচ্ছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

    আরও পড়ুন: “বিকশিত ভারতের জন্যই প্রয়োজন বিকশিত মহারাষ্ট্রের”, বললেন জয়শঙ্কর

    যোগ মিলেছে নারী পাচারের চক্র!

    তবে আমেদাবাদ (Gujarat) পুলিশের ডিসি অজিত রাজিয়ান এবং যুগ্ম কমিশনার শরদ সিংঘল সহ পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, “স্থানীয় মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে এই ধরনের ভুয়ো নথি কাগজ ব্যবহার করেছে দুষ্কৃতীরা। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ থেকে নারী পাচার করে আমেদাবাদে আনা হত এবং সেখান থেকে অন্যত্র পাচার চক্র চলত।” একইভাবে দেশ-বিরোধী একাধিক কাজের সূত্র মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকায় এখন পুলিশ এবং নিরাপত্তা কর্মীদের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। হ্রদের প্রকৃতিক ভারসাম্য এবং নর্মদা থেকে জল সরবরাহে কোনও রকম সমস্যা তৈরি করা হলে প্রশাসন কড়া হাতে দমন করবে বলে স্পষ্ট মত প্রকাশ করেছে গুজরাট সরকার।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diwali Festival: আলোর উৎসবে দেদার শব্দবাজি! কোন কোন রোগের প্রকোপ বাড়িয়ে দিতে পারে?

    Diwali Festival: আলোর উৎসবে দেদার শব্দবাজি! কোন কোন রোগের প্রকোপ বাড়িয়ে দিতে পারে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে শুরু হবে আলোর উৎসব (Diwali Festiva)। দীপাবলির উৎসবে মাতবেন সকলেই। তবে বাঙালির এই আনন্দ আলোর উৎসবেই আটকে থাকে না।‌ তার সঙ্গে জুড়ে যায় দেদার বাজি! আতসবাজি হোক কিংবা শব্দবাজি, কলকাতা থেকে রাজ্যের সর্বত্র দীপাবলির উৎসবে বাজির দাপট থাকেই। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাজি নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। পরিবেশবিদদের একাংশের অভিযোগ, প্রশাসনের সক্রিয়তাও সর্বত্র নেই। তাই প্রত্যেক বছর বাড়ে বাজির দাপট। তবে পরিবেশের এই দূষণ মারাত্মকভাবে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাজি নিয়ে সচেতনতা তৈরি না হলে বড় বিপদ হবেই। দেখে নেওয়া যাক, বাজির দাপট কোন রোগের প্রকোপ বাড়ায়?

    ফুসফুসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা (Diwali Festiva)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে বাড়ছে ক্রনিক পালমোনারি ডিজিজ। এছাড়াও হাঁপানি, শ্বাসকষ্টের মতো একাধিক ফুসফুসের সমস্যায় জেরবার অনেকেই। শিশুদের মধ্যেও বাড়ছে ফুসফুসের রোগ। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ফুসফুসের অসুখের অন্যতম কারণ বায়ুদূষণ। আর বাজি এই দূষণের মাত্রা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, আতসবাজি পোড়ানোর পরেই আকাশ সাদা ধোঁয়ায় ভরে যায়। আর এই ধোঁয়া বাতাসে কার্বন মনো-অক্সাইডের পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। এর জেরে বায়ুদূষণ হয়। ফলে ফুসফুসের অসুখ বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের আগে অনেকেই ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত হন। এই সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ যথেচ্ছভাবে আতসবাজি পোড়ানো।

    শ্রবণ যন্ত্রের চিরস্থায়ী ক্ষতি হতে পারে

    প্রত্যেক বছরেই দীপাবলির রাতে (Diwali Festiva) বাড়ে বাজির দাপট। কলকাতা থেকে জেলা, সর্বত্র শব্দের প্রকট আওয়াজ চলে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শব্দের এই দাপটের জেরে প্রত্যেক বছরেই শ্রবণ সমস্যা বাড়ছে।‌ বিশেষত শিশুদের শ্রবণশক্তি চিরস্থায়ী ক্ষতির মুখেও পড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, হঠাৎ বিকট তীব্র আওয়াজের জেরে মস্তিষ্কে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। কানের ভিতরেও তার ফলে রক্তক্ষরণ হতে পারে। আর তার জেরেই চিরস্থায়ী ভাবে শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলার ঝুঁকি তৈরি হয়।

    বাড়তে পারে চোখের সমস্যা (Diwali Festiva)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাজি চোখের জন্যও ক্ষতিকারক। দৃষ্টিশক্তি হ্রাস এবং শুষ্ক চোখের সমস্যা বাড়ছে‌। জীবনযাপনের ধরনের জন্য শিশুরাও চোখের নানান সমস্যায় ভুগছে। আতসবাজি পোড়ানোর সময়ে একটা অদ্ভুত আলো দেখা যায়। এই আলো চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এর ফলে কনজাংটিভাইটিসের মতো রোগের দাপট বাড়তে পারে। শুষ্ক চোখ অর্থাৎ চোখ লাল হয়ে যাওয়া, লাগাতার জল পড়া এবং একনাগাড়ে দেখায় সমস্যা তৈরি হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আতসবাজিতে থাকে নানান ক্ষতিকারক রাসায়নিক। আগুনে পোড়ার সময়ে সেই রাসায়নিক বের হয়। তার জেরেই চোখে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে।

    ত্বকের সংক্রমণ বাড়াতে পারে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাজির জেরে অনেকেই ত্বকের সমস্যায় ভুগতে পারে। অনেক সময়েই বাজির রাসায়নিক থেকে ত্বকে নানান অ্যালার্জি দেখা দেয়। ফলে বাজি পোড়ানোর আগে সে সম্পর্কেও সতর্কতা জরুরি।

    মাইগ্রেনের রোগীদের বাড়তি বিপদ!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শব্দবাজির হঠাৎ তীব্র আওয়াজ মানুষের শরীরে স্নায়ুর কাজে বাধা তৈরি করে। তাই মস্তিষ্কে এর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে। বিশেষত যাঁরা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য এই তীব্র আওয়াজ মারাত্মক প্রভাব ফেলে। মাথার যন্ত্রণা, বমি ভাব বাড়িয়ে দেয়। আবার বাজির দাপট মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও প্রভাব ফেলে। লাগাতার আওয়াজের জেরে মানসিক অবসাদের মতো সমস্যা তৈরি হয়। যাঁরা নানান মানসিক রোগে ভুগছেন, তাঁদের জন্য এমন পরিবেশ আরও সঙ্কট তৈরি করতে পারে।

    সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Diwali Festiva)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাজি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক। তাই মানুষের শরীর এবং মনেও এর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে। তাই পরামর্শ, দীপাবলি আলোর উৎসব (Festival of lights) হলেই তা মানুষ এবং পরিবেশ সকলের জন্য ইতিবাচক হবে। বাজির ক্ষতিকারক দিক নিয়ে আরও লাগাতার সচেতনতা জরুরি। প্রশাসনের তরফে সক্রিয়তাও প্রয়োজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবেশবান্ধব বাজি হিসেবে যেগুলি বাজারে পাওয়া যায়, তার গুণমান আরও ভালোভাবে পরীক্ষা করা জরুরি। তাছাড়া, নজরদারিও বাড়ানো প্রয়োজন। বাজির দাপট কমাতে না পারলে নানান রোগের দাপটও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: প্রয়াত রতন টাটাকে স্মরণ! বরোদায় সি-২৯৫ বিমান তৈরির কারখানার উদ্বোধন মোদির

    PM Modi: প্রয়াত রতন টাটাকে স্মরণ! বরোদায় সি-২৯৫ বিমান তৈরির কারখানার উদ্বোধন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরোদায় টাটা এয়ারক্রাফ্ট কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সাঞ্চেজ। এই কমপ্লেক্সে তৈরি হবে সি-২৯৫ সামরিক বিমানের ৫৬টি ইউনিট, যার মধ্যে ১৬টি স্পেন থেকে সরাসরি এয়ারবাস দ্বারা সরবরাহ করা হবে এবং বাকি ৪০টি বরোদার কারখানায় তৈরি হবে। এটি ভারতে বেসরকারি খাতের প্রথম ফাইনাল অ্যাসেম্বলি লাইন (FAL) যা সামরিক বিমান তৈরির জন্যই ব্যবহৃত হবে।

    বড় পদক্ষেপের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

    এই প্রকল্পে বিমানের পূর্ণাঙ্গ নির্মাণ, অ্যাসেম্বলি, পরীক্ষা, মান যাচাই, সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হবে। ২০২১ সালে স্পেনের এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস এসএ-র সঙ্গে ২১,৯৩৫ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যার আওতায় এই বিমানগুলো সরবরাহ করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “টাটা-এয়ারবাস ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটি ভারত-স্পেন সম্পর্ককে মজবুত করবে এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া, মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ মিশনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।” ভবিষ্যতে এই কারখানায় তৈরি বিমানগুলো ভারত থেকে রফতানি করা হবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    রতন টাটার স্মৃতিচারণা প্রধানমন্ত্রীর

    টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরণ জানান, এই প্রকল্পের ধারণা রতন টাটা ২০১২ সালে করেছিলেন। তিনি বলেন, “এই প্রকল্পের পুরো ভাবনা এবং এয়ারবাসের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তি তিনিই স্থাপন করেছিলেন। তাঁর পথপ্রদর্শক নেতৃত্বকে আমি শ্রদ্ধা জানাই।” প্রাক্তন টাটা সন্সের চেয়ারম্যান রতন টাটার স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সম্প্রতি আমরা দেশের মহান সন্তান রতন টাটাজিকে হারিয়েছি। তিনি আজ আমাদের মধ্যে থাকলে খুশি হতেন। কিন্তু যেখানে তাঁর আত্মা আছে, সেখানেই তিনি খুশি থাকবেন।” 

    বিমানের সুবিধা

    সি-২৯৫ হল ৫-১০ টন ক্ষমতার একটি সামরিক পরিবহণ বিমান। যা বর্তমান অ্যাভ্রো-৭৪৮ বিমানের পরিবর্তে ব্যবহার করা হবে। বিমানটি ৭১ জন জওয়ান বা ৫০ জন প্যারাট্রুপার (কমান্ডো) পরিবহণের জন্য উপযুক্ত এবং সব ধরনের আবহাওয়ায় কাজ করতে সক্ষম। এই প্রকল্প প্রসঙ্গে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সাঞ্চেজ বলেন, “এই প্রকল্প ভারতীয় এয়ারস্পেস শিল্পের অগ্রগতিতে নতুন দ্বার উন্মুক্ত করবে।” তিনি টাটাকে একটি “বিশ্বজোড়া প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান” হিসেবে অভিহিত করেন। তাঁর কথায়, “এই প্রকল্প আমাদের শিল্প সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে এবং আমাদের দেশকে একটি নির্ভরযোগ্য কৌশলগত অংশীদার হিসেবে তুলে ধরবে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: ১৩ ফুটের মাতৃমূর্তি রূপসজ্জায় যেন জ্বলজ্বল করে! প্রথা মেনেই পূজিত হন আগমেশ্বরী মাতা

    Kali Puja 2024: ১৩ ফুটের মাতৃমূর্তি রূপসজ্জায় যেন জ্বলজ্বল করে! প্রথা মেনেই পূজিত হন আগমেশ্বরী মাতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে আনুমানিক তিনশো বছর আগে আগমেশ্বরী কালীপুজো (Kali Puja 2024) শান্তিপুরে শুরু করেছিলেন সার্বভৌম আগমবাগীশ। তিনি ছিলেন পণ্ডিত কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের প্রপৌত্র। তিনি ছিলেন তন্ত্রসাধক। তাঁরা আগমশাস্ত্রজ্ঞ ছিলেন বা সেই শাস্ত্রে পাণ্ডিত্য লাভ করেছিলেন বলে তাঁদের আগমবাগীশ উপাধি দান করা হয়। সেই সময় শাক্ত ও বৈষ্ণবদের মধ্যে বিরোধ চলছিল বলেই শোনা যায়। তাই শান্তিপুরের অদ্বৈতাচার্য্যের পৌত্র মথুরেশ গোস্বামী শক্তি আর আর ভক্তির মিলনের আশায় তাঁর নিজ কন্যার সাথে বিবাহ দিয়েছিলেন সার্বভৌম আগমবাগীশের। এর ফল তো আশানুরূপ হয়নি, বরং জটিলতা আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় মথুরেশ গোস্বামী তাঁর কন্যা সহ জামাতাকে নিয়ে চলে আসেন শান্তিপুরে। শান্তিপুরে এসে মথুরেশ গোস্বামী তাঁর বসতবাটী থেকে কিছুটা দূরে একটি পঞ্চমূণ্ডির আসন স্থাপন করে দেন তাঁর জামাতার তন্ত্রচর্চার জন্য। কারণ যেহেতু শান্তিপুরের গোস্বামীরা প্রত্যক্ষ ভাবে শক্তির উপাসনা করেন না তাই। সেখানেই সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেন সার্বভৌম আগমবাগীশ। মায়ের নির্দেশে তিনি গঙ্গা থেকে মাটি নিয়ে এসে মূর্তি নির্মাণ করে পুজো করেন। তার পরই মূর্তি বিসর্জন দিয়ে দেন। এই প্রাচীন প্রথা আজও হয়ে আসছে মা আগমেশ্বরীর (Agameshwari Mata) পুজোয়।

    নিরামিষ পদে মায়ের ভোগ রান্না (Kali Puja 2024)

    বর্তমানে এই পঞ্চমূণ্ডির আসন সংলগ্ন স্থানটি আগমেশ্বরীতলা নামেই পরিচিত। এইভাবে ঐতিহ্যের সাথে ও আধ্যাত্মিকতার এক উজ্জ্বলতম প্রকাশ দেখা যায় শান্তিপুরের আগমেশ্বরীর পুজোয়। এ তো গেল মাতা আগমেশ্বরীর ইতিহাসের কথা। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়। শান্তিপুরের বড় গোস্বামী বাড়ির বংশধরদের অবদান থাকলেও এখন আগমেশ্বরী মাতা পুজো সমিতি এই পুজো পরিচালনা করে। মায়ের ভোগের ক্ষেত্রে রয়েছে অনন্য নিয়ম। বৈষ্ণব মতে দক্ষিণা কালী রূপে পূজিত হোন দেবী আগমেশ্বরী (Kali Puja 2024)। তাই বড় গোস্বামী বাড়ির গৃহবধূরা নিরামিষ পদে মায়ের ভোগ রান্না করেন। ভক্তদের প্রসাদের জন্য কয়েক কুইন্টাল ভোগ রন্ধনের ব্যবস্থা করা হয়।

    বিসর্জনের সময় রয়েছে বিশেষ আকর্ষণ

    এছাড়াও দেবী এতটাই জাগ্রত যে ভক্তদের মনস্কামনা অবশ্যই পূরণ হয়। আর সেই কারণে ভক্তদের দেওয়া দানে মাতা আগমেশ্বরীর মাতৃমূর্তি সোনা এবং রুপোর অলঙ্কারে মুড়ে ফেলা হয়। প্রায় ১৩ ফুট উচ্চতার মাতৃমূর্তি যেন রূপসজ্জায় জ্বলজ্বল করে। শুধু নদীয়া নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ভক্তবৃন্দ পুজোর দিন (Kali Puja 2024) সকাল থেকেই ছুটে আসেন শান্তিপুরে আগমেশ্বরী মাতার মন্দিরে। দেবীর বিসর্জনের সময় রয়েছে বিশেষ আকর্ষণ। মাতৃমূর্তির উচ্চতা বেশি হওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় বিসর্জনের পথে যাওয়া প্রত্যেকটি রাস্তার আলোর। আর মাত্র দু’দিনের অপেক্ষা, এরপরেই মাতা আগমেশ্বরীর আরাধোনায় ব্রতী হবেন অসংখ্য ভক্তবৃন্দ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share