Tag: Madhyom

Madhyom

  • Hindus Under Attack: অস্ট্রেলিয়ায় হামলা জোড়া হিন্দু মন্দিরে, ভাঙচুর শিবলিঙ্গ, লুট প্রণামীর বাক্স

    Hindus Under Attack: অস্ট্রেলিয়ায় হামলা জোড়া হিন্দু মন্দিরে, ভাঙচুর শিবলিঙ্গ, লুট প্রণামীর বাক্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ায় দুটি মন্দিরে হামলার খবর সামনে এসেছে। উগ্র মৌলবাদীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, চারজন দুষ্কৃতী (Hindus under attack) একটি ব্ল্যাক হোন্ডা গাড়ি করে আসে এবং রাজধানী ক্যানবেরার (Australia) একটি হিন্দু মন্দিরের সামনে জড়ো হয়। মন্দিরের চারটি প্রণামী বাক্স তুলে নিয়ে চলে যায়। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে একটির ওজন ছিল ২০০ কিলোগ্রাম। জানা গিয়েছে, প্রচুর পরিমাণে সেখানে ডলার ছিল। এরপরেই দুষ্কৃতীরা, ক্যানবেরার বিষ্ণু শিব মন্দিরে চলে যায়, সেখানে গর্ভগৃহে প্রবেশ করে শিব মূর্তি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।

    কী বলছেন হিন্দু (Hindus under attack) সংগঠনের নেতা

    প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার হিন্দু মন্দির সমিতির সহ-সভাপতি তরুণ অগস্তি বলেন, ‘‘যে ঘটনা ঘটেছে খুবই দুঃখজনক। মন্দিরের ওপর হামলা হয়েছে, একইসঙ্গে মন্দিরের প্রণামী বাক্স চুরি করা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছি।’’ এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, যারাই এই ধরনের জঘন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাদের অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া হোক।

    মন্দিরের ওপর হামলা চলছেই (Hindus under attack)

    প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে মেলবোর্নের (Australia) একটি কালীমাতা মন্দিরে ভজন কর্মসূচির আয়োজন করতে না দেওযার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ২০২৩ সালেই জানিয়েছিল যে, খালিস্থানপন্থীরা টার্গেট (Hindus under attack) করছে হিন্দু মন্দিরগুলিকে। হামলার ঘটনা ঘটতে থাকে কানাডাতেও। সেখানেও রাম মন্দিরের ওপর হামলা চালানো হয় ২০২৩ সালে। এর পাশাপাশি সারা বিশ্বজুড়ে হিন্দু মন্দিরগুলির ওপর হামলার ঘটনা সামনে এসেছে। পাকিস্তান, বাংলাদেশে উগ্রপন্থী মুসলমানরা হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের জাতীয় হিন্দু মহাজোট দাবি করেছে, ২০২২ সালে ৮৯১ জমি যা কিনা হিন্দু মন্দিরের ছিল তা জোরপূর্বক দখল করেছে উগ্রপন্থী মুসলমানরা। একইসঙ্গে ৪৮১টি হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে শুধুমাত্র ২০২২ সালেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • DY Chandrachud: গণেশপুজো বিতর্কে মুখ খুললেন চন্দ্রচূড়, মুখের মতো জবাব দিলেন সমালোচকদের

    DY Chandrachud: গণেশপুজো বিতর্কে মুখ খুললেন চন্দ্রচূড়, মুখের মতো জবাব দিলেন সমালোচকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সংবিধানিক আদালতের বিচারপতিদের এবং প্রশাসনিক প্রধানদের যথেষ্ট ম্যাচুউরিটি রয়েছে, যা বিচারবিভাগীয় বিষয়গুলোকে যে কোনও আলোচনার আওতার বাইরে দৃঢ়ভাবে রাখতে পারে।” গণেশপুজো বিতর্কে (Ganpati Puja Row) এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। তিনি বলেন, “বিচারবিভাগ ও এক্সিকিউটিভ বিভাগের মধ্যে যখন আলাপচারিতা হয়, তখন এটি এমন একটি ধারণার সৃষ্টি করে যে মনে হয় যেন চুক্তি করা হচ্ছে।”

    বিতর্কের সূত্রপাত (DY Chandrachud)

    বিতর্কের সূত্রপাত গণেশ পুজোর দিন। সেদিন চন্দ্রচূড়ের বাসভবনে গণেশ পুজো উপলক্ষে আমন্ত্রণ পেয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী সেই ছবি পোস্ট করেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে তাঁকে চন্দ্রচূড় ও তাঁর স্ত্রী কল্পনা দাসের সঙ্গে পুজায় অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। এর পরেই গেল গেল রব তোলে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, এতে বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার জবাব দিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির মনে করিয়ে দেয় ২০০৯ সালের এক ইফতার পার্টির কথা। ওই পার্টিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমন্ত্রণে যোগ দিয়েছিলেন সেই সময় দেশের প্রধান বিচারপতি কেজি বালকৃষ্ণণ। জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ংও। এবার মুখ খুললেন খোদ প্রধান বিচারপতি।

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি?

    তিনি বলেন, “এ ধরনের সাক্ষাৎগুলো নিয়মিত এবং এতে বিচার বিভাগীয় সিদ্ধান্তের পরিবর্তে পরিকাঠামো সম্পর্কিত বিষয়গুলি আলোচনায় আসে।” চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud) বলেন, “মানুষ মনে করে যে কিছু চুক্তি হচ্ছে, কিন্তু তা আদৌ সত্য নয়। এটি সরকারের বিভিন্ন শাখার মধ্যে শক্তিশালী আলোচনার অংশ। তিনটি শাখার কাজ জাতির উন্নতির জন্যই নিবেদিত।”

    আরও পড়ুন: “বিকশিত ভারতের জন্যই প্রয়োজন বিকশিত মহারাষ্ট্রের”, বললেন জয়শঙ্কর

    তিনি বলেন, “আমরা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। রাজনৈতিক প্রশাসকরা তাঁদের দায়িত্ব কী, তা জানেন। কোনও বিচারক, বিশেষ করে ভারতের প্রধান বিচারপতি বা প্রধান বিচারকরা, বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতার প্রতি কোনও হুমকিই গ্রাহ্য করেন না।” প্রধান বিচারপতি (DY Chandrachud) বলেন, “আপনি কখনওই জুডিশিয়াল আলোচনা করার জন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন না। আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থার (Ganpati Puja Row) ম্যাচুউরিটি হচ্ছে যে রাজনৈতিক শ্রেণিতেও বিচার বিভাগের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: দূষণের মাত্রা ৭০৭! বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর এখন লাহোর, ধোঁয়াশায় ঢেকেছে আকাশ

    Pakistan: দূষণের মাত্রা ৭০৭! বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর এখন লাহোর, ধোঁয়াশায় ঢেকেছে আকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) লাহোরের বায়ুদূষণের মাত্রা রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ রবিবার সকালে বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে। দূষণের মাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭০৭। তাই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর (Most Polluted City) হিসাবে পরিণত হয়েছে এই লাহোর। বাতাসে ঘন কালো ধূলিকণার মেঘ আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে। দূষণের সঙ্গে কুয়াশা মিশে বিপজ্জনক ধোঁয়াশা (ইংরেজিতে স্মগ) তৈরি হয়েছে। যা ঢেকে দিয়েছে লাহোরের আকাশ। ফলে এই অঞ্চলে শীতের বাতাস ঢুকতে বাধা পড়ছে। মানুষের জনজীবন এবং জনস্বাস্থ্য অত্যন্ত বিপদ জনক অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে। জঙ্গি উৎপাদনের পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ নিয়ে বিশ্ববাসীর এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান। 

    ইউএস কনস্যুলেট একিউআই পরিমাপ করেছে ৭০০ (Pakistan)

    সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, লাহোর এবং তার বিভিন্ন আশেপাশের এলাকাগুলিতে উদ্বেগজনকভাবে উচ্চ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। থকর নিয়াজ বেগ এলাকা একিউআই-এর মাত্রা ৮৭৮। জোহর টাউন এলাকায় মাত্রা ৮৯৩, সৈয়দ মারাতিব আলি রোডে ৭৫৪ এবং শাহরাহ-ই-কায়েদ-ই এলাকায় রেকর্ড হয়েছে ৬৩৩। ইউএস কনস্যুলেট ৭০০ একিউআই রেকর্ড করেছে। আবার পাকিস্তান ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস রিপোর্ট করেছে একিউআই-এর পরিমাণ ৬৮৮। দূষণের এই উচ্চ স্তরগুলি লাহোরকে শুধুমাত্র পাকিস্তানের সবচেয়ে দূষিত শহর (Most Polluted City) নয়, বরং বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে খারাপ শহর হিসেবে চিহ্নিত করেছে।  ফলে পাকিস্তানের নাগরিক জীবন কতটা আশঙ্কাজনক তা অনুমান যোগ্য।

    দৃশ্যমানতা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে

    বর্তমানে লাহোরের (Pakistan) তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আগামী দিনে সর্বোচ্চ ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে৷ আবহাওয়া দফতর আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের কোনওরকম সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়েছে। শহরের জনগণকে এই দূষিত বায়ুর মধ্যেই কাটাতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে পাঞ্জাব এনভায়রনমেন্ট প্রোটেকশন ডিপার্টমেন্ট প্রদেশের জন্য একটি সতর্কতা জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, লাহোরের গত ২৪-ঘণ্টায় গড় আইকিউআই-এর ফলে দৃশ্যমানতা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীত ঘনিয়ে আসার মুখে, লাহোরের নিচু এলাকায় এই সমস্যা আরও জটিল করে তুলছে। ঠান্ডা বাতাসকে আটকে দেয় এই ধূলিকণার ধোয়া, যা বায়ুর গুণমানকে আরও খারাপ করে দেয়। 

    ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুলএম গিয়ে কর্মকাণ্ড স্থগিত

    ভয়াবহ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পাক পাঞ্জাব সরকার (Pakistan) জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য জরুরি সতর্কতা জারি করেছে। লাহোরের সমস্ত স্কুলের কর্মসূচি ৩১ জানুয়ারী, ২০২৫ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্কুলের সময়েও পরিবর্তন করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর থেকে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাড়ি থেকে বৃদ্ধ এবং শিশুদের বের হতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আতশবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার প্রতিক্রিয়া হিসাবে লাহোর ট্রাফিক পুলিশ মোটরসাইকেল চালকদের সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে, কারণ কিছু এলাকায় দৃশ্যমানতা কমতে কমতে এক কিলোমিটারে এসে ঠেকেছে। পরিবেশবিদ এবং চিকিৎসকরা শহরে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে গাছপালার প্রয়োজনীয়তার কথা জোর দিয়ে বলেছেন। শহরের বাসিন্দাদের মাস্ক পরতে, অপ্রয়োজনীয় বাইরে বের হওয়া এড়াতে এবং বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলেছেন।

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভ প্যাকেজে কী কী সুবিধা মিলবে জানেন?

    ৭০ শতাংশ দূষণে নিম্নমানের যানবাহন

    পাকিস্তানের (Pakistan) স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন দেশবাসীকে। কারণ দীর্ঘস্থায়ী বিষাক্ত বাতাস ব্যাপক ভাবে শ্বাসকষ্টের সমস্যার প্রাদুর্ভাবকে বৃদ্ধি করবে। অনেক মানুষ ইতিমধ্যেই কাশি, চোখের জ্বালা, জ্বর এবং গলা ব্যথার নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। ফলে যাঁদের আগে থেকে শ্বাসকষ্ট বা হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে তাঁদের বাইরের কার্যকলাপ সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের মন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব স্বীকার করে বলেন, “ধোঁয়াশা রোধে সরকার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলছে। লাহোরের বাতাসের মান উন্নত হতে আরও ৮ থেকে ১০ বছর সময় লাগবে। তাঁর মতে, লাহোরের দূষণের পেছনে ৭০ শতাংশ দায়ী নিম্ন-মানের স্থানীয় যানবাহন, শিল্প নির্গমন, মৌসুমী ফসল পোড়ানো এবং বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলার কারণে। শহরের ৪৫ হাজার মোটরসাইকেলের মধ্যে ১৮ হাজার বিষাক্ত ধোঁয়া নির্গত করে। সেই সঙ্গে ১ লক্ষ যানবাহন, ১২০০টি ভাটা এবং ৬০,৮০০টি শিল্প ইউনিটও ব্যাপক ভাবে দূষণ ছড়ায়।

    বৈশ্বিক দূষণের তালিকায় একটি হটস্পট হিসেবে লাহোরের (Most Polluted City) নাম উঠে এসেছে। পরিবেশ এবং বিশ্ববাসীর কাছে পাকিস্তান অত্যন্ত চিন্তার বিষয় বলে মনে করছেন ভারতীয় পরিবেশবিদরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর সামনে নরেন্দ্রনাথ চাইলেন বিবেক, বৈরাগ্য, জ্ঞান এবং ভক্তি!

    Kali Puja 2024: দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর সামনে নরেন্দ্রনাথ চাইলেন বিবেক, বৈরাগ্য, জ্ঞান এবং ভক্তি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের বিভিন্ন সময়ে অমাবস্যা তিথিতে কালীপুজো দেখা যায়। তবে কার্তিক মাসের দীপান্বিতা কালীপুজো (Kali Puja 2024) সবথেকে প্রসিদ্ধ। আয়োজন, জাঁকজমক, ধুমধাম সবদিক থেকেই বেশ জনপ্রিয় দ্বীপান্বিতা কালীপুজো। জাগ্রত কালীমন্দিরগুলিতে কার্তিকী অমাবস্যায় ভক্তদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কালী আরাধনা বা সাধনা বললেই উঠে আসে দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দিরের নাম। কামারপুকুরের গদাধর চট্টোপাধ্যায় এখানেই রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব হয়েছিলেন। কথিত আছে, হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত এই দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা করেন রানি রাসমণি (Rani Rasmani), সেটা ছিল ১৮৫৫ সালের ৩১ মে।

    দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ‘ভবতারিণী’ 

    এখানে কালী মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ভবতারিণী নামে প্রসিদ্ধ। জনশ্রুতি রয়েছে, রানি রাসমণি (Rani Rasmani) মা কালীর স্বপ্নাদেশ পেয়েই এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রতিষ্ঠাকালে রানিকে সব থেকে বেশি সাহায্য করেছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের দাদা রামকুমার চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে রামকুমার চট্টোপাধ্যায় দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দিরের (Kali Puja 2024) প্রধান পুরোহিত হন। রামকুমারের হাত ধরেই কামারপুকুরের গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের প্রবেশ ঘটে। দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পরে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের আকর্ষণে এক মহাতীর্থে পরিণত হয় ভবতারিণী মন্দির।

    তরুণ নরেনের রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ

    এখানেই আগমন ঘটে নরেন্দ্রনাথ দত্তের, যিনি পরবর্তীকালে স্বামী বিবেকানন্দ হন। তরুণ নরেন্দ্রনাথ দত্ত সাংসারিক অনটনে ভুগছেন তখন। এমনই সময় রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব তাঁকে পাঠালেন ভবতারিণীর সামনে। অর্থ কষ্ট মেটানোর প্রার্থনা করতে বললেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। ভবতারিণীর সামনে নরেন্দ্রনাথ দত্ত চাইলেন বিবেক, বৈরাগ্য, জ্ঞান এবং ভক্তি। দক্ষিণেশ্বরে কালীমন্দির (Kali Puja 2024) চত্বরে একাধিক দেবদেবীর মন্দিরও রয়েছে। দ্বাদশ শিবমন্দির নামে পরিচিত রয়েছে বারটি আটচালার মন্দির। মন্দিরের উত্তর দিকে রয়েছে রাধাকান্ত মন্দির, দক্ষিণে রয়েছে নাটমন্দির। উত্তর-পশ্চিম কোণে রয়েছে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের বাসগৃহ। সারা বছর ধরেই ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকে মন্দিরে। তবে কালীপুজো এবং কল্পতরু উৎসবে বিপুল জনসমাগম ঘটে এখানে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “বিকশিত ভারতের জন্যই প্রয়োজন বিকশিত মহারাষ্ট্রের”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “বিকশিত ভারতের জন্যই প্রয়োজন বিকশিত মহারাষ্ট্রের”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিকশিত ভারতের (Viksit Bharat) জন্যই প্রয়োজন বিকশিত মহারাষ্ট্রের। জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখার ক্ষেত্রে মহারাষ্ট্র সব সময় অগ্রণী ভূমিকা রাখে।” কথাগুলি বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    ‘বিকশিত ভারত’ (S Jaishankar)

    ভোটমুখী মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “মোদি সরকারের তৃতীয় মেয়াদে আমরা দ্রুতগতিতে কাজ করছি। আমাদের লক্ষ্য হল ‘বিকশিত ভারত’। এ জন্য ‘বিকশিত মহারাষ্ট্র’ও প্রয়োজন।” এর পরেই তিনি বলেন, “মহারাষ্ট্র সব সময় জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখার ক্ষেত্রে প্রধান রাজ্য।” মন্ত্রীর মুখে এদিনও ডাবল ইঞ্জিন সরকারের প্রশস্তি শোনা গিয়েছে।

    ডাবল ইঞ্জিন সরকার

    তিনি বলেন, “আমরা চাই মহারাষ্ট্রেও ডাবল ইঞ্জিন সরকার হোক। এটি অন্যান্য অনেক রাজ্যে সফল হয়েছে।” সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত যে নেতা, তাও মনে করিয়ে দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “মুম্বই ভারত ও বিশ্বের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী প্রতীক। যখন আমরা রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য ছিলাম, তখন আমরা সন্ত্রাসবিরোধী কমিটির সভাপতি ছিলাম। আমরা মুম্বইয়ের সেই হোটেলে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আয়োজন করেছিলাম, যেখানে জঙ্গি হামলা হয়েছিল।”

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “যখন বিশ্ব দেখে এই সন্ত্রাসবাদের চ্যালেঞ্জের সামনে কে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তখন মানুষ বলে, ভারত। সন্ত্রাস-বিরোধী লড়াইয়ে আজ আমরা নেতা। আমরা চাই না মুম্বইয়ের ঘটনা আবারও ঘটুক। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সত্য উন্মোচন আমাদের করতেই হবে।” তিনি বলেন, “মোদি সরকার সীমান্ত নিরাপত্তা, সন্ত্রাস-বিরোধী কার্যক্রম এবং ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিতে অস্থিরতার বিষয়ে সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে ফের তৃণমূলকে গোল দিলেন শুভেন্দু, সমবায়ে জয়ী বিজেপি

    যুদ্ধে ইতি টানতে উদ্যোগী মোদি

    জয়শঙ্কর বলেন, “সীমান্ত নিরাপত্তা হোক কিংবা সন্ত্রাসবাদ-বিরোধিতা বা আমাদের প্রতিবেশী দেশে অস্থিরতা— আমরা ভালোভাবে এসবেরই মোকাবিলা করছি। বিশ্বে বিভিন্ন অঞ্চলে উত্তেজনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি রাশিয়া গিয়েছেন, ব্রিকস সম্মেলনের সময় তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গেও দেখা করেছেন।”

    প্রসঙ্গত, ২০ নভেম্বর হবে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন। বিধানসভার ২৮৮টি আসনেই নির্বাচন হবে ওই দিন। উনিশের বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে বিজেপি জিতেছিল (Viksit Bharat) ১০৫টি আসনে। তার আগের ভোটে বিজেপি পেয়েছিল ১২২টি আসন (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।   

       

  • Indian Navy: শঙ্কায় চিন! আরও দুটি উন্নত পারমাণবিক ঘাতক ডুবোজাহাজ নির্মাণে অনুমোদন কেন্দ্রের

    Indian Navy: শঙ্কায় চিন! আরও দুটি উন্নত পারমাণবিক ঘাতক ডুবোজাহাজ নির্মাণে অনুমোদন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তান ইস্যুতে কানাডা ও আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক যুদ্ধ। চিনের সঙ্গে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সীমান্ত সংঘাতে ইতি। এসবের মাঝে ফৌজি প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখছে না ভারত। সম্প্রতি ভারতীয় নৌবাহিনীর (Indian Navy) জন্য দুটি পারমাণবিক শক্তিচালিত (Nuclear Submarines) ঘাতক সাবমেরিন (SSN) নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। এই সাবমেরিনগুলো বিশাখাপত্তনমের শিপ বিল্ডিং ইয়ার্ডে তৈরি করা হবে। প্রকল্পটির জন্য ব্যয় হবে প্রায় ৪৫,০০০ কোটি টাকা।

    অপেক্ষার ফল

    এই চুক্তিটি দীর্ঘদিন ধরে আটকে ছিল। ভারতীয় নৌবাহিনী (Indian Navy) এর অনুমোদনের জন্য ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে। ভারত ছয়টি এরকম সাবমেরিন অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করছে, যা বৃহত্তর সাবমেরিন যুদ্ধ-কৌশলের অংশ। এই এসএসএন অ্যাটাক সাবমেরিনগুলোর ভূমিকা, কার্যপদ্ধতি বা বৈশিষ্ট্য পারমাণবিক ব্যালিস্টিক সাবমেরিন (Nuclear Submarines) বা এসএসবিএন-এর থেকে আলাদা। গত ৯ অক্টোবর কেন্দ্রের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি নৌসেনার এই অ্যাটাক বা ঘাতক ডুবোজাহাজ তৈরির পরিকল্পনায় ছাড়পত্র দিয়েছে। যাতে জল-যোদ্ধার আরও দু’টি পরমাণু শক্তিচালিত ‘হামলাকারী’ ডুবোজাহাজ (অ্যাটাক সাবমেরিন) তৈরির কথা বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সাইবার অপরাধের নতুন ফাঁদ ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’! সতর্কবার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    অন্য সাবমেরিনের থেকে কেন আলাদা

    এসএসএন (SSN) এবং এসএসবিএন (SSBN) উভয় সাবমেরিনই পারমাণবিক শক্তিচালিত (Nuclear Submarines)। তবে তাদের ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা এবং বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। পরমাণু শক্তির হামলাকারী ডুবোজাহাজ থেকে পরমাণু অস্ত্রবহণে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা যায় না। কিন্তু আকারে ছোট এই জলযানগুলি মাসের পর মাস জলের নীচে থাকতে পারে। শুধু তাই নয়, নিঃশব্দে শত্রুর যুদ্ধজাহাজ ডোবাতে এগুলি সিদ্ধহস্ত। ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) যুক্তি, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় ‘দাদাগিরি’ চালায় চিনের পিপলস্‌ লিবারেশন আর্মির জলযোদ্ধারা। তা ছাড়া বেজিংয়ের হাতে বেশি সংখ্যায় ডুবোজাহাজ রয়েছে। সেটা মোকাবিলার জন্য এখন থেকে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন নৌসেনা অফিসারেরা।

    প্রতিরক্ষায় গুরুত্ব মোদি সরকারের

    ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রতিরক্ষা বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সমর বিশেষজ্ঞদের কথায়, চিনা ডুবোজাহাজগুলিতে ‘ডং ফেং ২১’ এবং ‘ডং ফেং ২৬’-এর মতো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। যুদ্ধ বাঁধলে তা ভারতের বড়সড় ক্ষতি করতে পারে। ওই সময়ে বেজিংয়ের রণতরী ডোবানোর প্রয়োজন হবে। আর সেই কারণেই নৌসেনায় (Indian Navy) এবার নিউক্লিয়ার ব্যালিস্টিক সাবমেরিনের (Nuclear Submarines) পাশাপাশি নিউক্লিয়ার অ্যাটাক সাবমেরিনের সংখ্যাও বাড়াতে চাইছে নয়াদিল্লি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Hoax Bomb Threat: একদিনে ফের ৫০টি বিমানে বোমাতঙ্ক! আইন সংশোধনের ভাবনা কেন্দ্রের

    Hoax Bomb Threat: একদিনে ফের ৫০টি বিমানে বোমাতঙ্ক! আইন সংশোধনের ভাবনা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বিমানে (Indian Flights) বোমাতঙ্কের ভুয়ো বার্তা (Hoax Bomb Threat) পাঠানোর ধারা অব্যাহত। রবিবার দিনভর ৫০টি ভারতীয় বিমানকে টার্গেট করে বোমাতঙ্ক উস্কে দিয়ে পর পর ভুয়ো বার্তা এসেছে। এই নিয়ে এপর্যন্ত ৩৫০টির বেশি বিমানকে টার্গেট করে এসেছে ভুয়ো বার্তা। দেখা গিয়েছে, এর বেশিরভাগ ভুয়ো বার্তাই এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে।

    কোন কোন বিমান সংস্থায় বোমাতঙ্ক! (Hoax Bomb Threat)

    রবিবার একদিনের মধ্যে এপর্যন্ত আকাসা এয়ারলাইন্সের (Indian Flights) ১৫ টি বিমানকে টার্গেট করে বোমাতঙ্কের জেরে নিরাপত্তা অ্যালার্ট জারি হয়েছে। তবে বহু চেকিংয়ের পর সমস্ত এয়ারক্রাফ্টের অপারেশনে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। পাওয়া যায়নি কোনও সন্দেহজনক কিছু। একইভাবে দিনভর ইন্ডিগো পেয়েছে ১৮ টি বিমানে হুমকির বার্তা (Hoax Bomb Threat)। সেখানেও সমস্ত বিমান ভালো করে খতিয়ে দেখার পর দেখা গিয়েছে কোনও সন্দেহজনক কিছু নেই। ভিস্তারাতেও এদিন এখনও পর্যন্ত ১৭ টি বিমানে বোমা হুমকি ছিল। তবে, ওই ১৭টি বিমান (Indian Flights) চেক করে দেখার পর কোনও সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। বিমানগুলিতে ভুয়ো বোমাতঙ্ক বন্ধ করতে একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং তদন্তকারী সংস্থার সাহায্য নিচ্ছে কেন্দ্র। ভুয়ো বোমাতঙ্ক (Hoax Bomb Threat) ছড়িয়ে কেউ ধরা পড়লে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া শাস্তি এবং জরিমানার কথাও ভাবা হচ্ছে। শীঘ্রই এ বিষয়ে সরকারি ভাবে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: “এক কোটি সদস্য হলেই আমরা জিতব”, শাহি সভায় বললেন মিঠুন

    বোমাতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার

    প্রসঙ্গত, শনিবারই  ভুয়ো বোমাতঙ্ক (Hoax Bomb Threat) ছড়ানোর অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লির উত্তম নগর এলাকার বাসিন্দা শুভম উপাধ্যায়কে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরের ডিসিপি ঊষা রঙ্গানি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শুভম সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলেন। মজার ছলেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন। মূলত ‘প্র্যাঙ্ক’ হিসেবে পোস্ট করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন শুভম। তাঁর বিরুদ্ধে অসামরিক বিমান (Indian Flights) চলাচল সুরক্ষা আইন এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীনে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেও, উত্তর প্রদেশের একাধিক জায়গায় রেল দুর্ঘটনার ষড়যন্ত্র ঘিরে কিছু সন্দেহজনক দিক উঠে আসে। এরপর একাধিক বিমানে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বোমা থাকা নিয়ে ভুয়ো বার্তা (Hoax Bomb Threat) দেওয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আসছে।

    অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী কী বললে

    ইতিমধ্যে পরিবহণ মন্ত্রী কে রামমোহন নাইডু ভুয়ো বোমাতঙ্কে (Hoax Bomb Threat) জড়িতদের বিমানে ওঠা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। অসামরিক বিমান পরিবহণ সংক্রান্ত দু’টি আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনারও ভাবনাচিন্তা চলছে কেন্দ্রের। তিনি বলেন, ‘‘এগুলো প্রতিরোধে আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, গোয়েন্দা ব্যুরোর সহায়তাও নিচ্ছি। আমরা দুটি অসামরিক বিমান চলাচল আইনে পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করছি (Indian Flights)। যারা এই ধরনের কর্মকাণ্ডের অবলম্বন করে চলেছে, তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে এবং জরিমানা আরোপ করা হবে। আমরা এই ধরনের ব্যক্তিদের উড়ান নিষিদ্ধ করার জন্যও পদক্ষেপ নিচ্ছি। আগামী দিনে আমরা সেগুলো ঘোষণা করব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorist Attack: গুলমার্গের পর আখনুর, জম্মু-কাশ্মীরে ফের সেনার গাড়ির ওপর হামলা জঙ্গিদের

    Terrorist Attack: গুলমার্গের পর আখনুর, জম্মু-কাশ্মীরে ফের সেনার গাড়ির ওপর হামলা জঙ্গিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উপত্যকায় জঙ্গি হামলা (Terrorist Attack)। সোমবার সাত সকালে সেনাবাহিনীর গাড়ির (Army Vehicle) ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। জম্মু কাশ্মীরের আখনুর সেক্টরের বাতাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এরপরে পাল্টা গুলি চালাতেই পিছু হঠে জঙ্গিরা। সংঘর্ষে কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। এরপরেই গোটা এলাকা ঘিরে ধরে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, এখনও চলছে এই অভিযান। প্রসঙ্গত, দুদিন পরেই দীপাবলি, তার আগে এমন জঙ্গি হামলা উদ্বেগ বাড়িয়েছে উপত্যকায়।

    সম্প্রতি জঙ্গিদের গুলিতে (Terrorist Attack) ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে 

    জঙ্গিদের গুলিতে ২ জওয়ান সহ মোট ১২ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে সম্প্রতি। এর আগে গত ২৪ অক্টোবর বারামুল্লার গুলমার্গে একই কায়দায় সেনাবাহিনীর গাড়িতে (Terrorist Attack) হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। সে সময় সংঘর্ষে প্রাণ হারান দুইজন জওয়ান। তার আগে গত ২০ অক্টোবর সোনমার্গে হামলা চলে শ্রমিকদের ওপরে। সেই সময় ৬ জন শ্রমিক ও এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয় জঙ্গিদের গুলিতে।

    চলছে লাগাতার তল্লাশি (Terrorist Attack) 

    জঙ্গি হামলা বেড়ে যাওয়ার পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় জোরকদমে তল্লাশি শুরু করে (Army Vehicle) সেনাবাহিনী। তল্লাশি অভিযানে নামে পুলিশের ‘কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স উইং’। শ্রীনগর, গান্ডেরবাল, কুলগাম, বদগাম, অনন্তনাগ এবং পুলওয়ামায় শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। জানা গিয়েছে, লাগাতার তল্লাশি চালিয়ে বুধবারই পুঞ্চে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তইবা (এলইটি)-র একটি শাখা সংগঠনের ঘাঁটি ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনী। তবে তার পরও একের পর এক জঙ্গি হামলার ঘটনা উদ্বেগ বৃদ্ধি করছে প্রশাসনের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: বাঘের হাত থেকে বাঁচতে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে শুরু হয়েছিল এই কালীপুজো

    Kali Puja 2024: বাঘের হাত থেকে বাঁচতে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে শুরু হয়েছিল এই কালীপুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঘের হাত থেকে বাঁচতেই আনুমানিক ৩০০ থেকে ৪০০ বছর আগে শুরু হয়েছিল এই কালীপুজো (Kali Puja 2024)। এখনও রীতি মেনেই হয় এই পুজো। ভৌগোলিক পরিবর্তনের ফলে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় গজিয়ে উঠেছিল একটি দ্বীপ, বর্তমানে যার নাম সাগরদ্বীপ। আনুমানিক ৪০০ থেকে ৫০০ বছর আগে এই দ্বীপ গড়ে উঠেছিল। তৎকালীন সময়ে এই দ্বীপ ঘন জঙ্গলে ঢাকা ছিল। রুটিরুজির টানে সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষজন এখানে এসে সুন্দরবন থেকে কাঠ সংগ্রহ করতেন। এছাড়াও এই দ্বীপের মধ্যে এসে মধু সংগ্রহ করতেন উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষজন। সেই সময় এই দ্বীপ এত আধুনিক হয়নি। তৎকালীন সময়ে জঙ্গলের হিংস্র জীবজন্তুর হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে একটি বটবৃক্ষের তলায় পুজো-অর্চনা করে জঙ্গলে যেতেন এলাকাবাসী। জঙ্গলের এই নিয়ম দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলে আসছিল। তৎকালীন সময়ে হিংস্র জীবজন্তুর আক্রমণে মৃত্যু হত সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষজনের। এই বটবৃক্ষের তলায় পুজো-অর্চনা দেওয়ার পর থেকে হিংস্র জীবজন্তুদের আক্রমণের ফলে প্রাণ হারানোর সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছিল বলে মানুষের বিশ্বাস।

    ঘন জঙ্গল পরিষ্কার করে দেবীমূর্তির প্রতিষ্ঠা (Kali Puja 2024)

    এর পর বেশ কয়েকজন উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষ জঙ্গল পরিষ্কার করে এই সাগরদ্বীপেই বসবাস শুরু করেন। এমনই এক অলৌকিক মন্দির রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের ধসপাড়া এলাকায়। এলাকায় এই মন্দির আদি কালীমন্দির নামে পরিচিত। তৎকালীন সময়ে সাগরদ্বীপের এক বাসিন্দা, অমূল্যকুমার পান্ডা স্বপ্নাদেশ পান কালীমাতার। এরপর তিনি ঘন জঙ্গল পরিষ্কার করে মন্দির তৈরি করে দেবীমূর্তির প্রতিষ্ঠা করেন। এর পর থেকে ওই মন্দিরে কালীপুজো (Kali Puja 2024) হয়ে আসছে আনুমানিক ৩০০ থেকে ৪০০ বছর ধরে। গঙ্গাসাগর এলাকায় এই মন্দির আদি কালীমন্দির নামে পরিচিত। এই জাগ্রত কালীমন্দিরে নিজেদের মনস্কামনা জানাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু মানুষ  ছুটে আসেন পুজো দিতে। প্রতি বছর কালীপুজোর দিন জাঁকজমকের সাথে গঙ্গাসাগরে আদি কালীমন্দিরে পূজিত হন মা কালী।

    মন্দিরের মা খুবই জাগ্রত (Kali Puja 2024)

    প্রতিদিনই এই মন্দিরে নিত্যপুজোর ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও প্রতি সপ্তাহে মঙ্গল ও শনিবার বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। এই মন্দিরের প্রধান সেবায়েত প্রকাশ পন্ডা বলেন, “সাগরদ্বীপ যখন থেকে গড়ে উঠেছিল, তার পর থেকেই এই মন্দিরে কালীমায়ের পুজো (Kali Puja 2024) শুরু হয়েছিল। আমাদের পূর্বপুরুষ এই মন্দিরে মায়ের সেবা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। বংশপরম্পরায় এখন আমি এই মন্দিরের প্রধান সেবায়েত। এই মন্দিরের মা খুবই জাগ্রত। মায়ের কাছে পুজো দিতে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ ছুটে আসেন। মা করুণাময়ী সবার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা মধুসূদন মণ্ডল বলেন, এই বটগাছের নীচেই মায়ের মূর্তি ছিল এবং মা একজনকে স্বপ্নাদেশ দেন যে এখানেই তাঁর মন্দির প্রতিষ্ঠা করে পুজো করার জন্য। তৎকালীন সময় এই এলাকা ঘন জঙ্গলে ঢাকা ছিল। আমরা প্রত্যেকদিন বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেতাম (Sundarbans)। কিন্তু মায়ের আশীর্বাদে আমাদের কোনও প্রকার ক্ষতি হয়নি। এই মা খুবই জাগ্রত। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই মায়ের কাছে পুজো দিতে আসেন। কালীপুজোর সময় বিশেষ পুজোর ব্যবস্থা করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SBI: স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মুকুটে নয়া পালক, মার্কিন পত্রিকার বিচারে পেল ‘ভারত সেরা’ স্বীকৃতি

    SBI: স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মুকুটে নয়া পালক, মার্কিন পত্রিকার বিচারে পেল ‘ভারত সেরা’ স্বীকৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই)-এর মুকুটে নয়া পালক সংযোজন হল। ভারত সেরা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সম্মান পেয়েছে। মার্কিন পত্রিকা গ্লোবাল ফিন্যান্স ভারতের সেরা ব্যাঙ্ক (SBI) হিসেবে এসবিআইকে বেছে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির তরফে ৩১তম বার্ষিক সেরা ব্যাঙ্কের পুরস্কার (Bharat Sera award) পেয়েছে এসবিআই।

    এই সম্মান দেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের (SBI)

    ২০২৪ সালের অক্টোবরে আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটনে আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার অর্থাৎ ইন্টার ন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড বা আইএমএফ এবং বিশ্ব ব্যাঙ্কের বার্ষিক সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই গ্লোবাল ফিন্যান্স ভারতের সেরা ব্যাঙ্ক (SBI) হিসেবে এসবিআইকে বেছে নেওয়া হয়। উল্লেখ্য গত কয়েক দশক ধরে এই ধরনের পুরস্কার (Bharat Sera award) বিশ্বের বিভিন্ন ব্যাঙ্কগুলিকে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের মান নির্ধারণে এই পুরস্কার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতি নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এসবিআই-এর এই সম্মান দেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের।

    শেয়ার বাজারের অস্থিরতার দিকে না যেতে চাইলে ফিক্সড ডিপোজিটের নিশ্চিত রিটার্ন নেওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে স্টেট ব্যাঙ্কের স্কিমে ভালো সুদ পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, এই স্কিমে সুদের পরিমাণ ৭.৭৫ শতাংশ। এসবিআই গত ১৬ জুলাই থেকে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তার মেয়াদি আমানত ‘অমৃত বৃষ্টি’ স্কিম শুরু করেছে। ১৫ জুলাই ২০২৪ থেকে ৪৪৪ দিনের মেয়াদের জন্য একটি আকর্ষণীয় সুদের হার অফার করেছে। আবাসিক ভারতীয় গ্রাহক, প্রবীণ নাগরিক অতিরিক্ত সুদের সুবিধা ভোগ করছেন। ৩১ মার্চ, ২০২৫ পর্যন্ত এই বিনিয়োগ করা যেতে পারে।

    আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রী আর বিরোধী নেতা কীভাবে হয়, রাহুলকে তা স্মরণ করালেন অমিত শাহ

    গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেছে এসবিআই

    এই শিরোপা পাওয়ার পর এসবিআই (SBI)-এর পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, “গ্লোবাল ফিন্যান্সের দেওয়া পুরস্কার (Bharat Sera award) গ্রহণ করেছেন চেয়ারম্যান সিএস শেঠি। ব্যতিক্রমী পরিষেবা এবং আমাদের অটল প্রতিশ্রুতির জন্য এই বিশেষ স্বীকৃতি মিলেছে। সাড়া দেশে গ্রাহকদের কাছ থেকে যে আস্থা এবং বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি, এটা তারই উল্লেখ যোগ্য প্রমাণ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share