Tag: Madhyom

Madhyom

  • Israel Iran Conflict: ইজরায়েল-ইরাক দ্বন্দ্ব, তেহরানের পাশে মুসলিম রাষ্ট্র, তেলআভিভের পাশে কারা?

    Israel Iran Conflict: ইজরায়েল-ইরাক দ্বন্দ্ব, তেহরানের পাশে মুসলিম রাষ্ট্র, তেলআভিভের পাশে কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার কাকভোরে ইরানে প্রত্যাঘাত করেছে ইজরায়েল। ইরানের রাজধানী তেহরানের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে (Other Nations Reaction) আকাশপথে হামলা চালিয়েছে তেলআভিভ(ইজরায়েলের রাজধানী) (Israel Iran Conflict)। ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ মুসলিম দুনিয়া।

    ইরানের পাশে পাকিস্তান (Israel Iran Conflict)

    ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ইসলামিক রাষ্ট্রে হামলার তীব্র নিন্দা করেছে আর এক ইসলামিক রাষ্ট্র পাকিস্তান। ইসলামাবাদের (পাকিস্তানের রাজধানী) অভিযোগ, গোটা ঘটনার জন্য দায়ী ইজরায়েল। ইজরায়েল এই হামলার যোগ্য জবাব পাবে বলে হুমকি দিয়েছে ইরান। ইজরায়েলের সঙ্গে পাকিস্তানের সুসম্পর্ক রয়েছে। তবে ইসলামিক রাষ্ট্রে আঘাত হানার পর ফুঁসে উঠেছে পাকিস্তান। হামলার নিন্দা করে পাক বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইরানের ওপর যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা করছে পাকিস্তান। এই হামলা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার রাস্তা নষ্ট করছে। এই হামলায় আঞ্চলিক শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি ওই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেল। যা হচ্ছে তার জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী ইজরায়েল। পাকিস্তানের তরফে জানানো হয়েছে, “আমরা রাষ্ট্রসংঘের কাছে আবেদন জানাব তারা যেন আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা পালন করে ও ইজরায়েলের বেপরোয়া ও অপরাধমূলক আচরণের অবসান ঘটাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ করে।” এক্স হ্যান্ডেলে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ লিখেছেন, “শান্তির পথ খুঁজতে ইরান ও তার প্রতিবেশী দেশগুলির পাশে রয়েছে পাকিস্তান। হিংসা এড়াতে সব পক্ষকে সংযম দেখানোর আবেদন জানানো হচ্ছে।”

    পাশে সৌদি আরবও

    ইসলামিক রাষ্ট্র ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে আর এক মুসলিম রাষ্ট্র সৌদি আরব। ইরানের সামরিক ঘাঁটিতে ইজরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা করেছে তারা। এক্স হ্যান্ডেলে সৌদি বিদেশ মন্ত্রকের তরফে লেখা হয়েছে, “সৌদি আরব ইজরায়েলের এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। অঞ্চলটির নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকি সৃষ্টি করা এই পরিস্থিতির অবনতি রোধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” ইরানের (Israel Iran Conflict) পাশে দাঁড়িয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইরাকও।

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভ প্যাকেজে কী কী সুবিধা মিলবে জানেন?

    তবে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। বাইডেন প্রশাসনের বার্তা, “আমরা ইরানকে পরিষ্কার বার্তা দিতে চাই যে তাদের তরফে কোনও রকমের প্রত্যুত্তর ইজরায়েলের প্রতিরক্ষায় বাধ্য করবে আমেরিকাকে।” ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টার্মার বলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলছি যে নিজেকে (Other Nations Reaction) ইরানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রক্ষা করার অধিকার ইজরায়েলের রয়েছে (Israel Iran Conflict)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kali Puja 2024: আজ ভূত চতুর্দশী, ঘোর অমাবস্যার রাতে বিদেহী আত্মারা নেমে আসেন মর্ত্যলোকে!

    Kali Puja 2024: আজ ভূত চতুর্দশী, ঘোর অমাবস্যার রাতে বিদেহী আত্মারা নেমে আসেন মর্ত্যলোকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi 2024)। এই তিথিকে আবার অনেকে নরক চতুর্দশী বলেও জানেন। দীপাবলির (Kali Puja 2024) একদিন আগে ও ধনতেরসের একদিন পর ভূত চতুর্দশী পালিত হয়। ভূত চতুর্দশীর সঙ্গে জড়িত পৌরাণিক বিশ্বাস অনুযায়ী, ঘোর অমাবস্যার রাতে বিদেহী আত্মারা নেমে আসেন মর্ত্যলোকে। এর ঠিক পরের দিনই চন্দ্রের তিথির নিয়ম মেনে হয় দীপান্বিতা কালীপুজো। পুরাণ মতে, ভূত চতুর্দশীর রাতে শিবভক্ত বলি মর্ত্যে আসেন পুজো নিতে, সঙ্গে আসেন তাঁর অনুচর ভূতেরা। চতুর্দশী তিথির ভরা অমাবস্যায় চারিদিক ঘুটঘুটে অন্ধকার থাকে। সেই ঘন অন্ধকারে যাতে বলি রাজার অনুচরেরা বাড়িতে ঢুকে না পড়েন, তার ব্যবস্থাই করা হত প্রাচীন কালে।

    পশ্চিমী হ্যালোউইনের ভারতীয় সংস্করণ (Kali Puja 2024)

    এই তিথিটি ছোট দীপাবলি (Kali Puja 2024), রূপ চতুর্দশী বা নরকা পুজো নামেও পরিচিত। এদিন মৃত্যুর দেবতা যম ও কৃষ্ণের পুজো করা হয়। অকাল মৃত্যু থেকে বাঁচতে নরক চতুর্দশীতে পুজো করা হয়। অনেকে এই দিনটিকে পশ্চিমী হ্যালোউইনের ভারতীয় সংস্করণ হিসেবেও দেখেন। কৃষ্ণ-সত্যভামার হাতে নরকাসুর-বধ কাহিনি মেনে ভূত চতুর্দশী বা নরক চতুর্দশীতে মুক্তিলাভের আশায় পুজো করা হয়। এদিন সূর্যোদয়ের আগে উঠে স্নান করার প্রথা রয়েছে। মনে করা হয় এর প্রভাবে যমলোকের দর্শন করতে হয় না। বিষ্ণু পুরাণ ও শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ অনুযায়ী, নরকাসুর নামক এক অসুর নিজের শক্তির দ্বারা দেবতা ও মনুষ্যদের অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। ১৬ হাজার স্ত্রী এবং সাধুকে বন্দি বানিয়ে রেখেছিল নরকাসুর। এরপর মুনি-ঋষিরা কৃষ্ণের দ্বারস্থ হন। নরকাসুরের হাত থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব নেন কৃষ্ণ। কিন্তু শুধু স্ত্রীর হাতে মৃত্যুর অভিশাপ পেয়েছিল নরকাসুর। এই কারণে কৃষ্ণ নিজের স্ত্রীসত্যভামাকে সারথী করেন এবং তাঁর সাহায্যে নরকাসুরকে বধ করেন। যেদিন নরকাসুর বধ হয়েছিল, সেই দিনটি ছিল কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি (Kali Puja 2024)। তাই তিথিকে নরক চতুর্দশী বলা হয়।

    বেরিয়ে আসে অশরীরী প্রেতাত্মারা!

    এই তিথিটিকে ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi 2024) বলার পিছনের আরেক ব্যাখ্যা হল, মনে করা হয়, এই তিথিতে সন্ধ্যা নামলেই অশরীরী প্রেতাত্মারা বেরিয়ে আসে। তাদের হাত থেকে মুক্তি পেতে এই তিথিতে গৃহস্থ বাড়িতে ১৪টি প্রদীপ জ্বালানো হয়। আবার আর একটি প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই তিথিতে চোদ্দ পুরুষের আত্মার আসা-যাওয়া থাকে। মনে করা হয় তাঁদের যাতায়াতের পথ আলোকিত রাখার জন্যই প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করার প্রথা রয়েছে।

    হ্যালোউইন শব্দের অর্থ কী?

    আমাদের দেশে যেমন কালীপুজোর আগের রাতে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী, পশ্চিমী দুনিয়ায় তেমনই সবাই মেতে ওঠেন হ্যালোউইন ঘিরে। প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর মৃত আত্মাদের স্মরণ করতে হ্যালোউইন পালিত হয়। আমাদের দেশেও গত কয়েক বছর ধরে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে হ্যালোউইন। স্কটিশ শব্দ ‘অল হ্যালোজ’ ইভ থেকে হ্যালোইন বা হ্যালোউইন শব্দটি এসেছে। এই শব্দের উৎপত্তি মোটামুটি ১৭৪৫ সালে। হ্যালোউইন শব্দের অর্থ পবিত্র সন্ধ্যা। হ্যালোউইনের কথা বলতেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে কুমড়ো এবং ভুতুড়ে সাজগোজ। হ্যালোউইনে কুমড়ো কেটে সেখানে নাক, চোখ, মুখ বানিয়ে ভৌতিক চেহারা তৈরি করার প্রথা প্রচলিত রয়েছে। তার পরে এর ভিতরে মোমবাতি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। অন্ধকার রাতে কুমড়োর ভেতরে মোমবাতি জ্বলায় তা আরও ভৌতিক দেখতে লাগে। ভৌতিক কস্টিউম পরে অনেকেই এদিন অন্যকে ভয় দেখিয়ে মজা করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভ প্যাকেজে কী কী সুবিধা মিলবে জানেন?

    Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভ প্যাকেজে কী কী সুবিধা মিলবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর এবার ফের হবে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025)। নতুন বছরের জানুয়ারিতে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রয়াগরাজে হবে মহাকুম্ভ। স্নান শুরু হবে ১৩ জানুয়ারি, চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। যেহেতু এবার মহাকুম্ভ হচ্ছে এবং আবার ১৪৩ বছর পর এই যোগ আসবে, তাই এবার ব্যাপক ভিড় হবে বলে আশা উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের।

    কাস্টমাইজড প্যাকেজ (Mahakumbh 2025)

    এই মহাকুম্ভের জন্যই এবার কাস্টমাইজড প্যাকেজ তৈরি করেছে পর্যটন বিভাগ। এই প্যাকেজেই থাকবে হেলিকপ্টারে করে তীর্থস্থানগুলি ঘুরে দেখার সুব্যবস্থা। প্রয়াগরাজে এসে মিলিত হয়েছে গঙ্গা-যমুনা এবং পৌরাণিক সরস্বতী নদী। হেলিকপ্টারে চড়ে পুণ্যার্থীরা সেই সঙ্গমস্থল চাক্ষুষ করতে পারবেন। প্রয়াগরাজে নদী তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানের নান্দনিক সৌন্দর্যও উপভোগ করতে পারবেন তাঁরা। গোটা মেলা চত্বরও হেলিকপ্টারে করে ঘুরিয়ে দেখাবেন উদ্যোক্তারা।

    বিলাসবহুল তাঁবু ও কটেজে রাত্রিবাস

    যাঁরা প্যাকেজের আওতায় আসবেন, তাঁরা বিলাসবহুল তাঁবু ও কটেজে রাত্রিবাস করতে পারবেন। এতে একদিকে যেমন তাঁবু কিংবা কটেজে রাত্রিবাসের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা, তেমনি আস্বাদন করতে পারবেন মহাকুম্ভের রসও। হেলিকপ্টার চড়ে সঙ্গমস্থল ঘুরে (Mahakumbh 2025) দেখার পাশাপাশি ‘প্রবচনে’র আয়োজনও করা হবে পুণ্যার্থীদের জন্য। এই প্রবচন তাঁদের আধ্যাত্মিকতার উপলদ্ধিকে আরও গভীর করবে। প্রবচনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে।

    আরও পড়ুন: হিন্দুদের বাধা উপেক্ষা করে দু’দুটো মন্দির ভাঙল তামিলনাড়ু সরকার

    উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালের মহাকুম্ভ সফল করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী জয়বীর সিং জানান, রাজ্য সরকার ও ছ’টি বেসরকারি কোম্পানি যৌথ উদ্যোগে ২ হাজারটি বিলাসবহুল তাঁবু ও কটেজ তৈরি করা হবে। ভিলা, ডিলাক্স রুম এবং বিলাসবহুল কটেজের ব্যবস্থা থাকবে। একটি ভিলায় চারজন থাকতে পারবেন। এজন্য দৈনিক ভাড়া গুণতে হবে ৩৫ হাজার টাকা। মহারাজা কটেজে রাত্রিবাস করতে পারবেন দুজন, ভাড়া দৈনিক ২৪ হাজার টাকা। ডিলাক্স কটেজের দৈনিক ভাড়া ১২ হাজার টাকা। ২০টি ডরমেটরিও থাকবে। এখানে প্রতি রাতে শয্যা পিছু দৈনিক গুণতে হবে দেড় হাজার করে টাকা।

    প্রসঙ্গত, প্রতি ১২ বছর অন্তর প্রয়াগরাজে (Uttar Pradesh) হয় পূর্ণকুম্ভ। ১২টি পূর্ণকুম্ভ শেষে হয় মহাকুম্ভ। এবার সেই মহাকুম্ভ যোগ  (Mahakumbh 2025)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: কালীপুজোর আগে ভূত চতুর্দশীতে ১৪ শাকে আটকে যায় বহু রোগ! কী কী জানেন?

    Kali Puja 2024: কালীপুজোর আগে ভূত চতুর্দশীতে ১৪ শাকে আটকে যায় বহু রোগ! কী কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজো একেবারে দোড়গোড়ায়। সব জায়গায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে হয় কালীপুজো (Kali Puja 2024)। এর ঠিক আগের দিন বাঙালিরা প্রথা অনুযায়ী পালন করেন ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi)। ভূত চতুর্দশী ঘিরে জড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি নিয়মকানুন। এদিন দুপুরে চোদ্দ রকমের শাক খেতে হয় এবং সন্ধ্যাবেলা জ্বালানো হয় চোদ্দটি প্রদীপ বা মোমবাতি। মনে করা হয়, ঘোর অমাবস্যার রাতে বিদেহী আত্মারা নেমে আসেন মর্ত্যলোকে। এর ঠিক পরের দিনই চন্দ্রের তিথি নিয়ম মেনে হয় দীপান্বিতা কালীপুজো।

    কেন চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি? (Kali Puja 2024)

    বাঙালীদের ঘরে ঘরে ভূত চতুর্দশীতে (Kali Puja 2024) দুটি নিয়ম মূলত পালন করা হয়। অনেকে মনে করেন, চোদ্দ ভুবনের অধীশ্বরী দেবীর উদ্দেশে চোদ্দ শাক খাওয়া এবং চোদ্দটি প্রদীপ জ্বালানো হয়। এর সঙ্গে যুগ যুগ ধরে জড়িয়ে রয়েছে অনেক আচার-বিচার। যেমন, ধরুন খাওয়া-দাওয়ার আচার। সরস্বতী পুজোর পরদিন গোটা সেদ্ধ খাওয়ার প্রথা রয়েছে অধিকাংশ বাড়িতে। আবার কিছু ব্রত রয়েছে যেগুলিতে গৃহস্থ কত্রীরা শুধুমাত্র ময়দার তৈরি খাবার খান। প্রতিটি খাওয়া-দাওয়া আচার, পরিবার এবং স্বজনদের মঙ্গল কামনার উদ্দেশ্যেই পালিত হয়। জানেন কি আশ্বিন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী তিথিতে অর্থাৎ কালীপুজোর আগের দিন অনেক বাড়িতেই চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি রয়েছে? এখন প্রশ্ন হল, চোদ্দ শাক খাওয়ার এই আচারের পিছনে কোন ধর্মীয় বিশ্বাস কাজ করছে? কথিত আছে, মৃত্যুর পরে মানুষ পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়। এরপর এই বিশেষ দিনেই নাকি পূর্ব পুরুষদের আগমন ঘটে মর্ত্যলোকে। হিন্দুশাস্ত্র মতে, আকাশ, জল, বায়ু, অগ্নি, মাটি-প্রকৃতির এই পাঁচ উপাদানের মধ্যেই ছড়িয়ে রয়েছেন আমাদের পিতৃপুরুষেরা। বিশ্বাস মতে, চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি পালনের মধ্যে দিয়েই তাঁদের ছুঁয়ে থাকা যায়। অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটাতে প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করা চোদ্দ রকম শাক জলে ধুয়ে, সেই জল বাড়ির চারিদিকে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। পূর্বের সাত পুরুষকে উৎসর্গ করে পরবর্তী সাতপুরুষের জন্য খাওয়া হয় শাক। তাই মোট চোদ্দ রকমের শাক খাওয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে।

    কী কী শাক খাওয়া হয়?

    চোদ্দ রকমের শাক (Kali Puja 2024) গুলি হল, জয়ন্তী, শাঞ্চে, হিলঞ্চ, ওল, পুঁই, বেতো, সর্ষে, কালকাসুন্দে, নিম, পলতা, শুলকা, গুলঞ্চ, ভাঁটপাতা ও শুষণী। এই প্রচলিত রীতিগুলির পিছনে বিজ্ঞানসম্মত কারণ রয়েছে বলে অনেকের ধারণা। এদেশের সমস্ত আচার এবং অনুষ্ঠান বিজ্ঞানসম্মত এবং প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হয়। শরৎকালের শেষ এবং হেমন্তকালের শুরুতে অনেক রকমের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ শাক দেয় বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা।

    কোন কোন শাকে কী কী রোগ সারে?

    এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, এই চোদ্দ রকমের শাক (Kali Puja 2024) গুলির কী কী গুণ রয়েছে। জয়ন্তী-উদরাময়, জ্বর, বহুমূত্র নিয়ন্ত্রণ করে। শাঞ্চে-েরক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। হিংচে- পিত্তনাশক। ওল-অর্শ, রক্ত আমাশা, বাত, চর্মরোগ কমায়। পুঁই-হজমে সহায়ক। বেতো-কৃমিনাশক। সর্ষে-যকৃৎ, চোখ যত্নে রাখে। কালকাসুন্দে-অর্শ, কাশি দূর করে। নিম-যে কোনও চর্মরোগ নাশ করে। পলতা-শ্বাসযন্ত্র ভালো রাখে। শুলকা-হৃদযন্ত্র ভালো রাখে।গুলঞ্চ-উচ্চ রক্তচাপ, যকৃৎ যত্নে রাখে। ভাঁটপাতা-ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক। শুষণী-স্মৃতিবর্ধক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • DMK: হিন্দুদের বাধা উপেক্ষা করে দু’দুটো মন্দির ভাঙল তামিলনাড়ু সরকার

    DMK: হিন্দুদের বাধা উপেক্ষা করে দু’দুটো মন্দির ভাঙল তামিলনাড়ু সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্দির ভাঙতে দেবেন না হিন্দুরা। প্রশাসনও পণ করেছে মন্দির ভাঙবেই। শেষমেশ এক প্রকার জোর করেই মন্দির ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) ডিএমকে (DMK) সরকার। প্রতিবাদকারী হিন্দুরা দাঁড়িয়ে দেখলেন, এই সেদিনও যে মন্দিরে তিনবার করে পুজো হত, প্রশাসনের আর্থমুভারের ধাক্কায় সেই মন্দিরই পরিণত হল কিছু রাবিশে! রাজ্য সরকারের হিন্দু-বিরোধী মনোভাবে ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় হিন্দুরা।

    ভাঙা হল দুই মন্দির (DMK)

    পোল্লাচি ও মন্দির নগরী মাদুরাইতে ছিল যথাক্রমে শক্তি বিনায়গর মন্দির ও কল্যাণ বিনায়গর মন্দির। মন্দির দুটিতেই প্রতিদিন তিনবার করে পুজো হত। স্থানীয়দের বাধা উপেক্ষা করেই সেই মন্দির দুটি ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন। পোল্লাচি রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ছিল শক্তি বিনায়গর মন্দির। অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় ভেঙে ফেলা হয় মন্দিরটি। এলাকায় একটি ফ্লাইওভার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

    কী বলছেন স্থানীয়রা

    প্রশাসনের দাবি, রেলস্টেশনে ঢোকার মুখে থাকায় মন্দিরটি যানজটের কারণ হচ্ছিল। তাই ভেঙে ফেলা হয়েছে সেটি। হিন্দু মুন্নানি সংগঠন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মন্দিরটি এলাকায় রয়েছে দীর্ঘদিন। তাতে কোনও সমস্যা হয়নি। প্রশাসনও আগাম তাঁদের মন্দির ভাঙার বিষয়ে কিছু জানায়নি। তাঁদের দাবি, মন্দিরটি তাঁদের দৈনিক ধর্মীয় আচার-আচরণের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। প্রশাসনের সিদ্ধান্তে হতাশ স্থানীয় বাসিন্দা শিবকুমার। তিনি হিন্দু মন্নানির প্রতিনিধিও। তিনি বলেন (DMK), “মন্দির ভাঙা হবে শুনে আমরা প্যালাক্কাড় রেলওয়ে ডিভিশন ও পোল্লাচি সাব কালেক্টরের কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলাম। মন্দিরটি ভাঙা হয়েছে চতুর্থীর দিন। তিথির দিক থেকে দিনটি অতি পবিত্র। এদিন বিশেষ পুজো হত ওই মন্দিরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে মন্দিরটির গুরুত্ব অপরিসীম।”

    মন্দির ভাঙা হল মাদুরাইয়েও

    তিনি বলেন, “মন্দিরটির কারণে যানজট হচ্ছে বলে যে যুক্তি দেখানো হচ্ছে, তা আদৌ ঠিক নয়।” তিনি জানান, হিন্দু মুন্নানী ছাড়াও মন্দির বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিল ভারতীয় হনুমান সেনা, বিবেকানন্দ সেবা কেন্দ্র এবং অন্যান্য স্থানীয় কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠন। তাদের প্রতিবাদ উপেক্ষা করেই ভেঙে ফেলা হয় মন্দির। মন্দির ভাঙা হয়েছে মাদুরাইয়েও। সেখানকার সন্নিধি রাস্তায় অবস্থিত কল্যাণ বিনায়গর মন্দিরটি ভেঙে ফেলেছেন স্থানীয় প্রশাসন। মন্দিরটি ছিল তিরুপারানকুন্দ্রম মুরগান মন্দিরের কাছে। ভগবান মুরগানের ছয় আবাসের একটি এটি। এই মন্দিরটিও স্থানীয়দের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এখানেও মন্দির ভাঙার বিরুদ্ধে একজোট হন স্থানীয়রা। সব বাধা উপেক্ষা করেই ভগবানের আবাসস্থলটি ভেঙে ধূলিস্যাৎ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন (Tamilnadu)।

    পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ

    দুটি ক্ষেত্রেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সরব হয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, কর্তৃপক্ষ হিন্দু মন্দিরগুলো ভাঙার ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব করছে। উন্নয়নের স্বার্থেও সংখ্যালঘু ধর্মীয় স্থানগুলি ভাঙার দুঃসাহস তারা দেখাচ্ছে না। তাঁদের দাবি, এলাকারই একটি জায়গায় মসজিদ ভাঙতে গিয়েছিল প্রশাসন। স্থানীয়দের বাধায় খালি হাতেই ফিরতে হয় প্রশাসনের আধিকারিকদের। তাঁদের দাবি, মসজিদটি অবৈধভাবে নির্মিত হওয়া সত্ত্বেও, সেটি দিব্যি রয়েছে। অথচ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দু’দুটো মন্দির।

    ভাঙা হয়নি মসজিদ

    অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছিল চেন্নাইয়ে মসজিদ-ই-হিদায়া মসজিদ। জুন মাসে সেটি ভাঙতে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল প্রশাসনের আধিকারিকদের। স্থানীয় মুসলমানদের প্রতিবাদের কাছে নতি স্বীকার করে ফিরতে হয়েছিল তাঁদের। অথচ অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ওই মসজিদটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টও। স্থানীয়দের দাবি (DMK), তা সত্ত্বেও স্থানীয় মুসলমান সংগঠনের নেতৃত্ব ও মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের মধ্যে বৈঠকের মাধ্যমে মসজিদ বাঁচিয়েও কীভাবে উন্নয়নের রাস্তা খোঁজা হয়েছিল, তা এলাকাবাসী জানেন। হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি, হিন্দুদের মন্দির ভাঙার ক্ষেত্রে এসব কিছু করা হয় না প্রশাসনের তরফে।

    হিন্দুদের দাবি

    হিন্দু মুন্নানি নেতাদের দাবি, প্রশাসনের এই পক্ষপাতিত্বের ছাপ সর্বত্র স্পষ্ট। তাঁদের দাবি, ড্রাভিডিয়ান মডেল সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিন বছরে ২৫০টিরও বেশি মন্দির ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, অবৈধভাবে নির্মিত হলেও প্রশাসনের ধ্বংসের হাত থেকে রেহাই পায় মসজিদ এবং গির্জা। আদালতের নির্দেশ থাকলেও, সেগুলি ভাঙা হয় না। অথচ নির্বিচারে ধ্বংস করা হয় হিন্দু মন্দির।

    আরও পড়ুন: ভারতের বহু শহরে ‘রেল জিহাদ’-এর চক্রান্ত করছে পাক জঙ্গি, সতর্কবার্তা এনআইএ-র

    প্রসঙ্গত, গত বছরই (DMK) সেপ্টেম্বর মাসে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের পুত্র উদয়নিধি এক জনসভায় বলেছিলেন, “দেখুন, কিছু জিনিসের বিরোধিতা করা যায় না। এটা একেবারে শেষ করে দিতে হয়। আমরা ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, মশা, করোনার বিরোধিতা করতে পারি না। আমাদের এগুলো তাড়াতে হয়। সেই কারণেই আমাদের তাড়াতে হবে সনাতন ধর্মকে। ওই সনাতন ধর্মের আপত্তি না করে একে তাড়ানো দরকার।”

    পর পর দু’দুটো মন্দির ভেঙে, সেই প্রক্রিয়াই কি শুরু করল তামিলনাড়ু (Tamilnadu) সরকার (DMK)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে রাস্তা, ডেবরায় টিউবে বসিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল রোগিণীকে

    Cyclone Dana: বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে রাস্তা, ডেবরায় টিউবে বসিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল রোগিণীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংসদ থেকে বিধায়ক সকলেই তৃণমূল। ২০১১ সাল থেকে রাজ্যে তৃণমূলের সরকার চলছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদও শাসক দলের দখলে রয়েছে দীর্ঘদিন। কিন্তু, নিকাশির হাল ফেরেনি ডেবরা (Debra) ব্লকের ৫/১ অঞ্চলের বাড়াগড় এলাকায়। ডেবরা ব্লকের এই এলাকা ঘাটাল লোকসভার অধীনে রয়েছে। ঘাটালের সাংসদ রয়েছেন দেব। তিনিও এই এলাকার নিকাশি সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হননি বলে অভিযোগ। অল্প বৃষ্টিতেই ভেসে যায় পথ। ঘূর্ণিঝড় দানার (Cyclone Dana) প্রভাবে লাগাতার বৃষ্টিতে তাই রাস্তা এখন আস্ত নদী। তখন এলাকায় কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে এভাবেই টিউবের উপর বসিয়ে রোগীকে নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। স্থানীয় বাসিন্দার প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ,  তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় থেকেও এতবছর যে নিকাশি সমস্যা সমাধানে কিছু করেনি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cyclone Dana)

    তৃণমূল সরকারের উদাসীনতার খেসারত দিত হল ডেবরার স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মী নায়েক ও তাঁর পরিবারকে। দিন দশেক আগে মা হয়েছেন লক্ষ্মী। শুক্রবার বাইরে তখন প্রচণ্ড বৃষ্টি (Cyclone Dana)। তার মধ্যে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সিজ়ার হওয়া রোগিণীকে আবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু রাস্তার কোথাও কোমরসমান, তো কোথাও হাঁটুর উপর জল। উপায় কী? অগত্যা বাতিল হওয়া টিউবে রোগিণীকে চাপিয়ে পার করা হল জলমগ্ন রাস্তা। কোনওক্রমে রোগিণীকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়নি। হাসপাতাল থেকে তাঁকে বাপের বাড়ি নিয়ে যান পরিজনেরা। অসুস্থ বধূকে টিউবে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায়।

    আরও পড়ুন: বিরাম নয় বারিধারায়! শনিবারও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয়দের (Cyclone Dana) বক্তব্য, “দীর্ঘদিন ধরে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে টিউবে চাপিয়ে জলমগ্ন রাস্তা পার করানো ছাড়া আমাদের আর কোনও উপায় থাকে না। কিন্তু, প্রশাসন এ বিষয়ে উদাসীন। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়কদের বারবার বলা হলেও এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাই, ফি-বছর বৃষ্টির সময় কাউকে হাসপাতাল নিয়ে যেতে হলে টিউবই আমাদের কাছে একমাত্র ভরসা।”

    স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কী বললেন?

    যদিও পঞ্চায়েত প্রধান পূর্ণিমা ভুঁইয়া বলেন, “চলতি মরসুমেই নিকাশি সংস্কারের (Cyclone Dana) লক্ষ্য রয়েছে আমাদের। দ্রুত নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কার করা হবে। যে পরিস্থিতিতে ওই মহিলাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে তা মর্মান্তিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dhanteras 2024: কাল ধনতেরাস, শুভ সময়ে ঘরে আনুন সোনা-রূপো, কিনুন ঝাঁটা! তবে ভুলেও কিনবেন না…

    Dhanteras 2024: কাল ধনতেরাস, শুভ সময়ে ঘরে আনুন সোনা-রূপো, কিনুন ঝাঁটা! তবে ভুলেও কিনবেন না…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর পরই এবার কালীপুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন বাঙালিরা। তবে, কালীপুজোর আগে রয়েছে ধনতেরাস (Dhanteras 2024)। আগে বেশিরভাগ সময়ে অবাঙালি হিন্দুদের মধ্যে এই পুজোর চল ছিল। এখন বাঙালিরাও ধনতেরাস পালন করেন। এই ধনতেরাসে শুভ মুহূর্তে সোনা সহ নানান সামগ্রী কিনে ধনলক্ষ্মীর কৃপা লাভের আশায় থাকেন ভক্তরা। 

    ধনতেরাসের দিন জিনিস কেনার আগে ভাবুন

    ধনতেরাসের (Dhanteras 2024) দিন ভগবান ধন্বন্তরীর পুজো করা হয়। কথিত রয়েছে এই দিনে সমুদ্র মন্থন করে শ্রী ধন্বন্তরী অমৃত কলস নিয়ে আবির্ভূত হন। এই দিনে সোনা, রুপো সহ নানান ধাতু কেনা শুভ। এছাড়াও এমন বহু সামগ্রী রয়েছে, যা ধনতেরাসের দিন কেনা শুভ হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এমন কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলি এই দিন একেবারেই কেনা উচিত নয়। এর ফলে সৌভাগ্যের বদলে দুর্ভাগ্য নেমে আসতে পারে। জেনে নেব এই দিন কী কেনা উচিত এবং কী কেনা উচিত নয়।

    ধনতেরাসে কী কী কেনা শুভ

    ধার্মিক মান্যতা অনুসারে ধনতেরাসে (Dhanteras 2024) ঝাড়ু কেনা খুবই শুভ। এই ঝাড়ুকে লক্ষ্মীদেবীর প্রতীক বলে মনে করা হয়। এই দিনে ঝাড়ু কিনলে আর্থিক কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই সময় জমি, বাড়ি কেনা যায় ও সোনা, রুপোও কেনা যায়। এছাড়াও গাড়িও কেনা যায়। কথিত রয়েছে, এই দিন যদি সোনা কেনা যায় তা হলে ধনসম্পত্তি তিন গুণ বৃদ্ধি পায়। রুপোর কয়েন বা রুপোর অন্যান্য জিনিস কেনাও এই দিন শুভ বলে মানা হয়। বিশেষ করে রুপোর গয়না যদি বাড়ির মহিলাদের উপহার দিতে পারেন তা হলে খুবই ভালো হয়। এই দিন বাড়িতে অবশ্যই নুন কিনবেন এবং সেই নুন দিয়েই বাড়ির সমস্ত রান্না করবেন। ধনতেরসের দিন গুড়ের বাতাসা, গাঁট হলুদ, কড়ি, গোমতীচক্র, জায়ফল, হরিতকি, সুপুরি, ধান এই কয়েকটা জিনিস কেনা অত্যন্ত শুভ। এই দিন বাড়িতে গণেশ-লক্ষ্মীর মূর্তি কেনা অত্যন্ত শুভ।

    আরও পড়ুন: আকাশ প্রদীপ জ্বালালে সন্তুষ্ট হন ভগবান বিষ্ণু, পূরণ করেন ভক্তের মনস্কামনা

    ধনতেরাসের দিন কী কী কিনবেন না

    ধনতেরাসের (Dhanteras 2024) দিন লোহা এবং কাচের তৈরি কোনও জিনিস কিনবেন না। এই দিন বাড়িতে কোনও পাত্র কিনে খালি অবস্থায় আনবেন না, তাতে কিছু জিনিস ভরে তবেই বাড়িতে আনবেন। এই দিন নকল সোনার জিনিস অর্থাৎ নকল গয়না কিনবেন না। এই দিন অ্যালুমিনিয়ামের কোনও জিনিস বাড়িতে কিনে আনবেন না। এতে মা লক্ষ্মী অসন্তুষ্ট হন।  ধনতেরাসের দিন কোনও ধারালো জিনিস কেনা উচিত নয়। অর্থাৎ ছুরি, কাঁচি, ব্লেড জাতীয় কোনও ধারালো জিনিস না কেনাই ভালো। তা দুর্ভাগ্য বয়ে আনতে পারে। ধনতেরাসের দিন ধাতুর জিনিস কেনার চল রয়েছে। কিন্তু তাই বলে এই দিনে কোনও রকম প্লাস্টিকের জিনিস কিনবেন না। ধনতেরাসের পুজো করতে গেলে ঘি, তেল লাগবেই। কিন্তু তা আগে থেকে কিনে রাখুন। এই দিনে তেল, ঘি কিনবেন না। পোশাক কিনলেও মনে রাখবেন তার রং যেন কালো না হয়। এদিন কোনও ব্যক্তিকে টাকা ধার দেবেন না কারুর থেকে ধার নেবেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dhanteras 2024: ধনতেরাসে বিধি মেনে পুজোয় অকাল মৃত্যুর হাত থেকে মুক্তি, লাভ হয় অপার ঐশ্বর্য

    Dhanteras 2024: ধনতেরাসে বিধি মেনে পুজোয় অকাল মৃত্যুর হাত থেকে মুক্তি, লাভ হয় অপার ঐশ্বর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্তিক কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে ধনতেরাস (Dhanteras 2024) পালিত হয়। এদিন নতুন বাসন, অলঙ্কার, ইত্যাদি কেনা শুভ মনে করা হয়। ‘ধন’ শব্দের মানে সম্পত্তি। ত্রয়োদশী শব্দের অর্থ হিন্দু ক্যালেন্ডারের ১৩ তম দিন। দীপাবলির সময় লক্ষ্মীপুজোর দুই দিন আগে ধনতেরাস হয়। বলা হয়, ধনতেরাসের দিন দেবী লক্ষ্মী তাঁর ভক্তদের গৃহে যান ও তাঁদের ইচ্ছাপূরণ করেন। ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের কাছে এই দিনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা এদিন দামি ধাতু কেনেন। সম্পদের দেবতা কুবেরও এ দিন পূজিত হন।

    কেন পালিত হয় ধনতেরাস

    পুরাণ অনুযায়ী, সমুদ্র মন্থনের সময় এই তিথিতেই হাতে অমৃত কলস নিয়ে ধন্বন্তরী প্রকট হন। কথিত আছে, ইন্দ্রের অভদ্র আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে মহর্ষি দুর্বাসা তিন লোককে শ্রীহীন হওয়ার অভিশাপ দেন। এর ফলে পৃথিবী থেকে নিজের লোকে গমন করেন অষ্টলক্ষ্মী। জগৎ সংসারে শ্রী প্রতিষ্ঠার জন্য সমুদ্র মন্থনের পরামর্শ দেন শিব। সমুদ্র মন্থনের ফলে ১৪টি প্রমুখ রত্নের উৎপত্তি হয়। চতুর্দশ রত্ন হিসেবে স্বয়ং অমৃত কলশ নিয়ে ধন্বন্তরী প্রকট হন। এর ঠিক দুদিন পর প্রকট হন লক্ষ্মী। তাই ধনতেরাসের (Dhanteras 2024) দুদিন পর দীপাবলীতে লক্ষ্মী পুজো করা হয়।

    ধন্বন্তরীর উপাসনা 

    বিষ্ণু ধন্বন্তরীকে দেবতাদের বৈদ্য ও বনস্পতি এবং ঔষধির অধিপতি নিযুক্ত করেন। তাঁর আশীর্বাদেই সমস্ত বৃক্ষ ও বনস্পতির মধ্যে রোগনাশক শক্তির সঞ্চার হয়।  জনকল্যানের জন্য ধন্বন্তরীই অমৃতময় ঔষধির খোঁজ করেন। মহর্ষি বিশ্বামিত্রের পুত্র সুশ্রুত তাঁর শিষ্য ছিলেন। সুশ্রুতই আয়ুর্বেদের মহানতম গ্রন্থ সুশ্রুত সংহিতার রচনা করেন। এদিন স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ধন্বন্তরীর উপাসনা করা হয়। পৌরাণিক ধারণা অনুযায়ী, ধনতেরাসের দিনে বিধি মেনে পুজো করলে ও দীপ দান করলে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

    পৌরাণিক আখ্যান

    কথিত আছে, রাজা হিমার ১৬ বছরের ছেলের এক অভিশাপ ছিল। তার কুষ্টিতে লেখা ছিল, বিয়ের চার দিনের মাথায় সাপের কামড়ে তার মৃত্যু হবে। তার স্ত্রীও জানত সেই কথা। তাই সেই অভিশপ্ত দিনে সে তার স্বামীকে সে দিন ঘুমোতে দেয়নি। শোয়ার ঘরের বাইরে সে সমস্ত গয়না ও সোনা-রূপার মুদ্রা জড়ো করে রাখে। সেই সঙ্গে সারা ঘরে বাতি জ্বালিয়ে দেয়। স্বামীকে জাগিয়ে রাখতে সে সারারাত তাকে গল্প শোনায়, গান শোনায়। পরের দিন যখন মৃত্যুর দেবতা যম তাদের ঘরের দরজায় আসে, আলো আর গয়নার জৌলুসে তাঁর চোখ ধাঁধিয়ে যায়। রাজপুত্রের শোয়ার ঘর পর্যন্ত তিনি পৌঁছন ঠিকই। কিন্তু সোনার উপর বসে গল্প আর গান শুনেই তাঁর সময় কেটে যায়। সকালে কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই চলে যান তিনি। রাজপুত্রের প্রাণ বেঁচে যায়। পরদিন সেই আনন্দে ধনতেরাস (Dhanteras 2024) পালন শুরু হয়।

    আরও পড়ুন: আকাশ প্রদীপ জ্বালালে সন্তুষ্ট হন ভগবান বিষ্ণু, পূরণ করেন ভক্তের মনস্কামনা

    এই বছর ধনতেরাসের যোগ

    চলতি বছর,২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার পড়ছে ধনতেরাস (Dhanteras 2024) । ২৯ অক্টোবর, সকাল ১০.৩১ মিনিটে ধনতেরাস শুরু হবে। ৩০ অক্টোবর ধনতেরাসের তিথি শেষ হবে দুপুর ১ টা ১৫ মিনিটে। উদয়া তিথি অনুসারে ২৯ অক্টোবর ধনতেরাস পালিত হবে। ভারতে ধনতেরাস উত্সব উদযাপিত হয় সোনা, রুপো বা বাসন কিনে। একে সৌভাগ্যের লক্ষণ বলা হয়। নতুন জামাকাপড়ও এ সময় কেনে মানুষ। এরপর করা হয় লক্ষ্মী পুজো। চারিদিকে প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবীর আরাধনা করা হয়। এদিন ধন- সমৃদ্ধির জন্য কুবেরেরও পুজো করা হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North Bengal Medical: ছিল ছেলে হল মেয়ে! সদ্যোজাত বদলের অভিযোগে তোলপাড় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল

    North Bengal Medical: ছিল ছেলে হল মেয়ে! সদ্যোজাত বদলের অভিযোগে তোলপাড় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিতর্কে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ (North Bengal Medical) হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ। এবার শিশু (Newborn Babies) বদলের চেষ্টার অভিযোগ। জন্মের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সদ্যোজাতর লিঙ্গের পরিচয় বদলে দেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার শোরগোল পড়ে যায়। হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রসূতির বাড়ির লোকজন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North Bengal Medical)

    বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ফাঁসিদেওয়ার (North Bengal Medical) শৈলানি জ্যোতের বাসিন্দা বৃষ্টি বিশ্বাস নামে এক প্রসূতি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।  তাঁর পরিবারের অভিযোগ, জন্মের পরপরই তাঁদের ডেকে পুত্র সন্তান দেখানো হয়েছে। শুক্রবার বলা হয়, কন্যা সন্তান হয়েছে। এখবর পেয়ে ওই প্রসূতির পরিবারের লোকজন উত্তরবঙ্গ মোডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগে এসে জনে জনে জবাবদিহি করেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। প্রসূতির এক আত্মীয়া ললিতা বিশ্বাস বলেন, ‘‘রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ আমাদের মেয়ে পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। সঙ্গে সঙ্গে লেবার রুমে আমাদের ডেকে দেখানো হয় ছেলে হয়েছে। সেই মতো একটি কাগজে ফর্ম ফিলআপ করে দিয়ে জরুরি বিভাগে জমা দিয়ে ভর্তির টিকিট আনতে বলা হয়। সব করে এদিন ভোরে বাড়ি ফিরে যাই। তার কিছুক্ষণ বাদে হাসপাতাল থেকে আমাদের খবর দেওয়া হয় বৃষ্টির ছেলে নয়, মেয়ে হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে প্রথমে খারাপ ব্যবহার করা হয়। পরে, চেপে ধরতেই প্রসূতি বিভাগের নার্স ও কর্মীরা ভুল স্বীকার করে জানান, পূত্র সন্তানই হয়েছে। লেখার ভুলে এই বিভ্রান্তি। সেই সদ্যোজাত এসএনসিইউতে রয়েছে। গিয়ে দেখে আসতে বলা হয়।  সেই মতো এসএনসিইউতি গিয়ে মেয়ের পূত্র সন্তান দেখে আমরা শান্ত হই।’’

    আরও পড়ুন: বিরাম নয় বারিধারায়! শনিবারও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কী সাফাই দিল?

    এই ঘটনায় হাসপাতালের (North Bengal Medical) লেবার রুমে স্বাস্থ্য কর্মীদের শিশু বদল চক্রের সঙ্গে  যুক্ত থাকার অভিযোগ জোরালো হতে শুরু করেছে। কয়েক বছর আগে প্রসূতি বিভাগ থেকে এক সদ্যোজাতের চুরি যাওয়ার ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তোলপাড় হয়েছিল। পরে পুলিশ উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার এক পরিবার থেকে সেই সদ্যোজাতকে উদ্ধার করলেও প্রসূতি বিভাগের চূড়ান্ত গাফিলতির দিকটি আড়াল করা যায়নি। এবার শিশু বদলের চেষ্টার অভিযোগে ফের গাফিলতির দিকটি প্রকাশ্যে আসায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসেছে। হাসপাতালের অ্যাডিশনাল সুপার নন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের হাসপাতালে প্রতিদিনই অনেক শিশুর জন্ম হচ্ছে। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। তবে ফাঁসি দেওয়ার এক মহিলাকে প্রথমে পুত্র সন্তান দেখিয়ে পরে কন্যা সন্তান হওয়ার কথা বলার অভিযোগ আমরা পেয়েছি। কেন এমনটা হল, কোথাও গাফিলতি রয়েছে কিনা আমরা তা খতিয়ে দেখছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ মামলায় প্রসন্ন রায়ের ১৬৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ মামলায় প্রসন্ন রায়ের ১৬৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ মামলায় (SSC Scam) বড় পদক্ষেপ করল ইডি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের মামলায় ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের ১৬৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট নিজেদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে একটি পোস্ট করেছে। যেখানে কয়েকশ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কথা বলা হয়েছে। 

    কত কোটা টাকার সম্পত্তি

    শনিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রসন্ন, তাঁর স্ত্রী কাজল সোনি রায়ের নামে থাকা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে একাধিক হোটেল, রিসর্টও। বাজেয়াপ্ত করা মোট সম্পত্তির মূল্য ১৬৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। ইডি যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে, তা মূলত প্রসন্ন এবং তাঁর স্ত্রীর নামে থাকলেও একটি সংস্থার ভাগও তাতে রয়েছে। শ্রী দুর্গা ডিলকম প্রাইভেট লিমিটেডের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্তের তালিকায় রয়েছে। ইডি জানিয়েছে, ওই সংস্থাটি প্রসন্নই নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করতেন। এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ফলে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি মামলায় ইডির বাজেয়াপ্ত করা মোট অর্থ এবং সম্পত্তির মূল্য দাঁড়াল ৫৪৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। 

    ২৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ

    আদালতের নির্দেশে এসএসসি নিয়োগ (SSC Scam) সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। বিপুল আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ইডি। আর এই তদন্ত নেমেই ‘মিডলম্যান’ হিসাবে প্রসন্ন রায়ের খোঁজ পান আধিকারিকরা। দীর্ঘ জেরার পর সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন প্রসন্ন। অন্যদিকে, ইডির তরফেও বিষয়টির খোঁজ নেওয়া হয়। তদন্তকারীরা প্রসন্নর বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পান। যা একেবারে চমকে দেওয়ার মতো। প্রসন্ন, তাঁর স্ত্রী এবং ঘনিষ্ঠদের মোট ২৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস পাওয়া গিয়েছে। সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির ফরেন্সিক অডিট করিয়েছিল সিবিআই। চার্জশিটে ইডির দাবি, অ্যাকাউন্টগুলিতে ৭২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ইডি আরও জানায়, প্রসন্নর স্ত্রীর আয়ের অন্য কোনও উৎস নেই। তাঁর অ্যাকাউন্টেও দু’কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share