Tag: Madhyom

Madhyom

  • Israel Hezbollah Conflict: নাসরাল্লার পর সপ্তাহ তিনেক আগেই নিকেশ হাসেম সফিদ্দিন, দাবি ইজরায়েলের  

    Israel Hezbollah Conflict: নাসরাল্লার পর সপ্তাহ তিনেক আগেই নিকেশ হাসেম সফিদ্দিন, দাবি ইজরায়েলের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের মুকুটে আরও একটা সাফল্যের পালক! লেবাননে অভিযান চালিয়ে ইজরায়েলি সেনা আগেই খতম করেছিল হিজবুল্লা প্রধান সৈয়দ হাসান নাসরাল্লাকে (Israel Hezbollah Conflict)। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার কথা ছিল হাসেম সফিদ্দিনের (Hashem Safieddine)।

    মৃত হাসেম সফিদ্দিন

    মঙ্গলবার ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়ে দিল, সপ্তাহ তিনেক আগেই লেবাননের রাজধানী বেইরুটের দক্ষিণে দিকের শহরতলিতে (এখানেই লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লার গোয়েন্দা ঘাঁটি) যে রকেট হামলা চালানো হয়েছিল, তাতেই মৃত্যু হয় সফিদ্দিনের। ইজরায়েল সফিদ্দিনের মৃত্যুর খবর দাবি করলেও, হিজবুল্লার তরফে এই খবর নিশ্চিত করা হয়নি।

    সফিদ্দিন

    কিছু দিন আগেই ইজরায়েলের হামলায় মৃত্যু হয় হিজবুল্লা প্রধান নাসরাল্লার। লেবাননের এই সশস্ত্র গোষ্ঠীকে মদত দেয় ইরান। নাসরাল্লার মৃত্যুর পর তাঁর জায়গায় বসানোর কথা ছিল সফিদ্দিনকে। তার আগেই খতম হয়ে গেলেন তিনি। নাসরাল্লা ও সফিদ্দিন প্রায় একই সময়ে হিজবুল্লায় যোগ দিয়েছিলেন। সফিদ্দিন ছিলেন হিজবুল্লার কার্যনির্বাহী কাউন্সিলের প্রধান। সংগঠনের রাজনৈতিক দিকটিও দেখতেন তিনি। যুক্ত ছিলেন জিহাদ কাউন্সিলের সঙ্গেও। নাসরাল্লার সঙ্গে রক্তের সম্পর্কও রয়েছে তাঁর। দুজনকে দেখতেও অনেকটা একই রকম। ২০১৭ সালে সফিদ্দিনকে জঙ্গি তালিকাভুক্ত করেছিল আমেরিকা। তার পরেও প্রায়ই আমেরিকাকে চোখ রাঙাতেন সফিদ্দিন। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে প্যালেস্টাইনের পাশে দাঁড়িয়ে হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি (Israel Hezbollah Conflict)।

    আরও পড়ুন: “মানুষ সরাসরি সরকারি সুবিধাগুলি পাচ্ছেন”, আধারের ভূয়সী প্রশংসায় নোবেলজয়ী পল রোমার

    হিজবুল্লার ঘাঁটি বেইরুটের দক্ষিণ দিকের শহরতলিতে। গত কয়েক মাস ধরে সেই সব ঘাঁটি লক্ষ্য করেই হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। হামাস-ইজরায়েলের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে হিজবুল্লাও। তারপরেই বেইরুটে হামলা চালায় ইজরায়েল। গত ২৭ সেপ্টেম্বর হিজবুল্লার ঘাঁটিতে সব চেয়ে বড় আঘাতটি হেনেছিল ইজরায়েলি সেনা। সেদিন হিজবুল্লার ডেরার বাঙ্কার লক্ষ্য করে হামলা চালায় তেলআভিভ (ইজরায়েলের রাজধানী)। ইজরায়েলি সেনার দাবি, ওই সময় ওই বাঙ্কারেই ছিলেন নাসরল্লা। সেই হামলায়ই মৃত্যু হয় তাঁর। এবার (Israel Hezbollah Conflict) মৃত্যু হল হাসেম সফিদ্দিনের (Hashem Safieddine)।

         

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের জন্য প্রতিবাদী গান গেয়ে সাসপেন্ড হোমগার্ড! রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    RG Kar Case: নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের জন্য প্রতিবাদী গান গেয়ে সাসপেন্ড হোমগার্ড! রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) কাণ্ডে নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের জন্য প্রতিবাদী গান গেয়ে রাজ্য প্রশাসনের কোপের মুখে। হোমগার্ড কাশীনাথ পাণ্ডাকে কেন সাসপেন্ড করা হল, জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে রাজ্যের প্রতিবাদী আন্দোলনে। উল্লেখ্য, ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নামলে প্রশাসনের রোষের মুখে পড়ার ঘটনা আগেও ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানে তিন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। একই ভাবে নানা সময়ে ধর্না, অবস্থান বিক্ষোভ এবং অনশনমঞ্চ থেকে প্রতিবাদীদের জোর করে তুলে দেওয়ার ঘটনা এই রাজ্যে বিরল নয়। তবে প্রবুদ্ধ নাগরিক সমাজকে প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা গিয়েছে।

    উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা খড়্গহস্ত (RG Kar Case)

    জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে থেকে বেলঘড়িয়া থানায় ট্রাফিক হোমগার্ডের চাকরি করছিলেন কাশীনাথ পাণ্ডা। গত ২১ অগাস্ট তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে (RG Kar Case) একটি গান গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছিলেন। মূলত প্রশাসনের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ হল, এই গান গাওয়ার পর থেকেই উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা খড়্গহস্ত হন। একই ভাবে সিনিয়ররা তাঁকে হেনস্থা করেন, পোস্ট তুলে নেওয়ার জন্য ব্যাপক চাপ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সাময়িক ভাবে কাজ থেকে সাসপেন্ড করা হয়। এখন এই ভাবে কেন কাশীনাথকে সাসপেন্ড করা হল, তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে কী অভিযোগ রয়েছে- এসব বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি কৌশিক চন্দ। পুজো অবকাশের পর হাইকোর্টে রিপোর্ট পাঠাতে নির্দেশে দেন বিচারপতি। এই ঘটনায় ফের একবার অভয়ার ন্যায় বিচারের আন্দোলনে প্রতিবাদের ভাষা, বাক স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    আরও পড়ুন: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত”, বললেন মোদি

    আগেও চিকিৎসককে তলব করেছিল পুলিশ

    অপর দিকে অভয়াকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য রাজনীতি ব্যাপক ভাবে উত্তাল। জুনিয়র ডাক্তাররা লাগাতার আন্দোলন, ধর্না, অবস্থান-বিক্ষোভ, আমরণ অনশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবাদ জানিয়ে চলেছেন। রাজ্যের উৎসবের কার্নিভালের বিরুদ্ধে দ্রোহের কার্নিভাল হয়েছে। একই ভাবে প্রতীকী অনশনের (RG Kar Case) ব্যাজ লাগিয়ে প্রতিবাদে সামিল হলে কলকাতা পুরসভার এক চিকিৎসককে তলব করেছিল পুলিশ। ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে চিকিৎসক মহলে। একই ভাবে হোমগার্ড কাশীনাথের প্রতি রোষের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দার বলে জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Modi-Putin Ties: বন্ধুত্বের উষ্ণতা, অনুবাদক ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী মোদির কথা বোঝেন পুতিন! 

    Modi-Putin Ties: বন্ধুত্বের উষ্ণতা, অনুবাদক ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী মোদির কথা বোঝেন পুতিন! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি-পুতিন সম্পর্ক এতটাই গাঢ়, যে একে অন্যের ভাষা বুঝতে অনুবাদের দরকার হয় না। ব্রিকস সম্মেলনে (BRICS Summit 2024) যোগ দিয়ে এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বন্ধু পুতিনের এই কথায় উষ্ণ হাসি ফিরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Modi-Putin Ties)। একই সঙ্গে ফের ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামানোর জন্য মোদি অনুরোধ করলেন পুতিনকে। বললেন, শান্তিপূর্ণ আলোচনাই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ।  

    মোদি-পুতিন মত বিনিময়

    মঙ্গলবার কাজানে ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির (ভারত, রাশিয়া, চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা) ষোড়শ শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেন মোদি। ছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও (Modi-Putin Ties)। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাঝেই পুতিন মোদিকে বলেন, ‘‘আমি ভেবেছিলাম অনুবাদ ছাড়াই আপনি আমার কথা বুঝতে পারবেন! আমাদের বন্ধুত্ব এমনই।’’ বৈঠকে বেশ কয়েক বার মোদি তথা ভারতকে ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন পুতিন। তিনি বলেন, ‘‘আমার জুলাইয়ের বৈঠকের কথা মনে আছে, সেখানেও আমরা নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আমরা ফোনেও বেশ কয়েকবার কথা বলেছি। কাজান সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করার জন্য আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ।’’

    পুতিনকে পরামর্শ মোদির

    প্রধানমন্ত্রী মোদিকে দেখেই জড়িয়ে ধরেন পুতিন (Modi-Putin Ties)। দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। ভারত ফের একবার শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে জোর দিয়েছে। পুতিনের প্রশংসা করে মোদি বলেন, ‘‘আমার রাশিয়া সফরে আমাদের বন্ধুত্ব আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। জুলাই মাসে মস্কোতে অনুষ্ঠিত দুই দেশের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনও আমাদের সম্পর্ককে শক্তিশালী করেছে।’’ বন্ধু পুতিনকে ভারতে আসার জন্য ফের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মোদি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কিছু জরুরি কাজ থাকায় বিভিন্ন পার্শ্ববৈঠক এবং মূল সম্মেলনে যোগ দিয়ে বুধবারই প্রধানমন্ত্রী ফিরে আসবেন দেশে। বৃহস্পতিবার শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিন ব্রিকস ঘোষণাপত্র প্রকাশিত হবে। ভারতের পক্ষ থেকে সেখানে উপস্থিত থাকবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Aaadhaar: “মানুষ সরাসরি সরকারি সুবিধাগুলি পাচ্ছেন”, আধারের ভূয়সী প্রশংসায় নোবেলজয়ী পল রোমার

    Aaadhaar: “মানুষ সরাসরি সরকারি সুবিধাগুলি পাচ্ছেন”, আধারের ভূয়সী প্রশংসায় নোবেলজয়ী পল রোমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে দেশ জুড়ে চালু করা হয়েছে আধার কার্ড। এখন সরকারি স্তরের সব ক্ষেত্রে আধার অপরিহার্য। কেন্দ্রীয় সরকারের এই আধার (Aadhaar) চালু করার উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করলেন নোবেলজয়ী পল রোমার। একই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই উদ্যোগ গ্রহণ করেও তাতে সফল হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।

    ঠিক কী বলেছেন নোবেলজয়ী? (Aadhaar)

    সোমবার একটি বৈদ্যুতিন মাধ্যমের ওয়ার্ল্ড সামিটে বক্তৃতা দিতে গিয়ে রোমার বলেন, “আধার (Aadhaar) এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে, যাতে সাধারণ মানুষ সরাসরি সরকারি সুবিধাগুলি পাচ্ছেন। একই ধরনের প্ল্যাটফর্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও চালু করার চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু তা করা যায়নি। কারণ, সেখানে এই ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থার একচেটিয়া আধিপত্য ছিল।” নোবেল পুরস্কারজয়ী আরও বলেন, “ভারত সরকার ইউপিআই এবং ডিবিটি-র মতো উদ্যোগে এটা ব্যবহার করতে ভয় পায়নি। আধার প্রকল্পের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অনেক মামলা থাকা সত্ত্বেও, ভারতে সরকার এই ধারণাটিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে এবং অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে।” রোমার মতো নোবেলজয়ী আধার নিয়ে প্রশংসা করায় কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগ যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, তা আরও স্পষ্ট হল।

    আরও পড়ুন: স্কুলে ছুটি ঘোষণা, সতকর্তা দিঘা, বকখালি, সাগরদ্বীপে! ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র আতঙ্কে কাঁপছে বাংলা

    চিন-রাশিয়া নিয়ে ভারতের অবস্থানও স্পষ্ট করলেন রোমার

    নোবেলজয়ী আরও বলেন, “আসন্ন মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কে জিতবে, তা বলা খুব কঠিন।” কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমেরিকায় পছন্দ একজন প্রাক্তন প্রসিকিউটর এবং একজন “অভ্যাসগত অপরাধী”র মধ্যে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি “খুব খারাপ”। বিশ্বব্যাঙ্কের প্রাক্তন প্রধান অর্থনীতিবিদ রোমার বলেন, “চিন ও রাশিয়া উভয়ের লক্ষ্য প্রভাব বাড়ানোর জন্য সাম্রাজ্য বিস্তার করা। ভারতের বলা উচিত আমরা সাম্রাজ্য পছন্দ করি না। এই অবস্থানই দেশের ভারসাম্য রক্ষা করবে।”  রোমার আরও বলেন, “নগরোন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আসে জমি সমাবেশের চ্যালেঞ্জ। আপনি যদি যথেষ্ট পরিমাণ জমি একত্রিত করতে পারেন, তাহলে আপনি সেই জমি খুব কম মূল্যে নিতে পারেন এবং সেখানে একটি আধুনিক শহর তৈরি করে এটিকে অসাধারণ মূল্যবান জমিতে পরিণত করতে পারেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi-Xi Jinping Meeting: গালওয়ান সংঘর্ষের পর প্রথম, আজ চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি 

    PM Modi-Xi Jinping Meeting: গালওয়ান সংঘর্ষের পর প্রথম, আজ চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত সীমান্তরেখায় নজরদারি নিয়ে ভারত-চিন ঐক্যমতে পৌঁছানোর পর প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (PM Modi-Xi Jinping Meeting)। আজ, বুধবার ব্রিকস সম্মেলনের (BRICS Summit) ফাঁকে আলোচনায় বসবেন দুই দেশের রাষ্ট্রনেতা। বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি একথা জানিয়েছেন। গত পাঁচ বছরের মধ্য়ে প্রথমবার, ব্রিকস সামিটের সাইডলাইনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই মিটিং হবে বলে খবর। 

    গালওয়ান সংঘর্ষের পর ফের সাক্ষাত

    ২০২০ গালওয়ান সংঘর্ষের পর আর মুখোমুখি হননি দু’জন। গত কয়েক বছর ধরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর টহল ব্যবস্থার বিষয়ে একাধিকবার ওঠা-নামার সম্মুখীন হয়েছে দুই দেশের সম্পর্ক। এই পরিস্থিতিতে মোদি-জিনপিং বৈঠক (PM Modi-Xi Jinping Meeting) ভারত-চিন সম্পর্কে নতুন দিশা দেখাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২০-র গালওয়ান সংঘর্ষের পর একবারই সাধারণ সাক্ষাৎ হয়েছিল মোদি ও জিনপিংয়ের মধ্যে। সেটা ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনের সাইডলাইনে। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি২০ সম্মেলন চলাকালীনও সাক্ষাত হয় তাঁদের মধ্যে। কিন্তু কখনওই একান্ত আলোচনা সারেননি দুই রাষ্ট্রনেতা।

    আরও পড়ুন: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত”, বললেন মোদি

    গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক

    দুই রাষ্ট্রনায়কই এখন ব্রিকস সম্মেলনে (BRICS Summit) যোগ দিতে রাশিয়ার কাজানে রয়েছেন। যেখানে সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ব্রাজিলের লুলা ডা সিলভা ও দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিল রামাফোসা। ইতিমধ্যেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ২০২০ সালের মে মাসের আগে যেমন দুই দেশের সেনা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নজরদারি চালাত, সেই অবস্থা ফিরছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, দেপসাং সমতল এলাকা এবং দেমচকে নজরদারি চালানো নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে ভারত ও চিন। দুই দেশের সেনাই সেখানে টহল দেবে। দুই দেশের এই ঐক্যমতের ফলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় দুই দেশের সেনার মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এরপরই আলোচনায় বসতে চলেছেন মোদি-জিনপিং (PM Modi-Xi Jinping Meeting)। সেখানে সীমান্ত নিয়ে কোনও আলোচনা হয় কি না, তার দিকে নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের। দুই রাষ্ট্রনেতার এই বৈঠকের নির্যাস কী হবে, তার উপর নির্ভর করছে ভারত-চিন আগামী সম্পর্ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Meeting: কল্যাণের ‘নাটক’! ওয়াকফ সংশোধনী বিল বিতর্কে নিজেই কাচের বোতল ভেঙে রক্তাক্ত

    Waqf Meeting: কল্যাণের ‘নাটক’! ওয়াকফ সংশোধনী বিল বিতর্কে নিজেই কাচের বোতল ভেঙে রক্তাক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ বিল (Waqf Meeting) নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটি থেকে বরখাস্ত করা হল তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ওয়াকফ কমিটির বৈঠকে কাচের বোতল ভেঙে নিজেই আহত হন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। তার আগে কল্যাণ (Kalyan Banerjee) বিজেপি সাংসদ তথা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিতর্কে জড়ান। কমিটির চেয়ারপার্সন, বিজেপি সাংসদ জগদম্বিকা পালের সম্পর্কে অসংসদীয় শব্দ প্রয়োগের অভিযোগও রয়েছে কল্যাণের বিরুদ্ধে। 

    কল্যাণের কু-কথা

    গত ৮ অগাস্ট লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Meeting) পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। বিরোধীরা বিলটির বিরোধিতা করলে ঐক্যমতের লক্ষ্যে বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। সূত্রর খবর, মঙ্গলবার জগদম্বিকা পালের সভাপতিত্বে, ওয়াকফ বিল সম্পর্কে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং আইনজীবীদের মতামত শুনছিল কমিটি। ওড়িশার কটকের ‘জাস্টিস ইন রিয়েলিটি’ এবং ‘ওড়িশা বাণী মণ্ডলী’র উপস্থাপনা চলাকালীন, চেয়ারপার্সনের অনুমতি না নিয়েই নিজের মতামত প্রকাশ করতে যান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। তারও আগে অনুমতি না নিয়ে তিনবার কথা বলেছিলেন কল্যাণ। বারবার তিনি এইভাবে উপস্থাপনায় বাধা দেওয়ায়, আপত্তি তোলেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কল্যাণের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এতেই উত্তেজিত হয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কটু ভাষা ব্যবহার করেন তৃণমূল সাংসদ। 

    আরও পড়ুনঃ ইতিহাস তৈরি বিজেপির, সদস্য সংখ্যা পৌঁছল ১০ কোটির ঘরে, এবার লক্ষ্য ১১ কোটি

    বোতল ভেঙে নিজেই আহত

    এর আগে যখন অভিজিৎ ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিত, তখন আইনজীবী কল্যাণের সঙ্গে আদালত কক্ষে একাধিক বার বিতণ্ডা হয়েছে। দু’জন দু’জনের উদ্দেশে কটাক্ষ ছুড়ে দিতেন। মঙ্গলবার সংসদের যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে পুরনো ‘বিতণ্ডা’ নতুন করে ফিরে আসে। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকস্থলে রাখা একটি কাচের জলের বোতল হাতে তুলে নিয়ে টেবিলে ছুড়ে মারেন। বোতলটি ভেঙে চুরচুর হয়ে যায়। বোতল ভাঙা কাচে তিনি নিজেই আহত হন। তাঁর ডানহাতের বুড়ো আঙুল ও তর্জনিতে আঘাত লাগে। বিজেপি সদস্যদের অভিযোগ, এরপর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) ভাঙা বোতলটি চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পালের দিকে ছুড়ে দেন। এই ঘটনার জেরে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে কল্যাণকে কমিটি (Waqf Meeting) থেক বরখাস্ত করার প্রস্তাব দেন। ৯ জন সাংসদ কল্যাণকে বরখাস্ত করার পক্ষে ভোট দেন, ৮ জন বিপক্ষে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: স্কুলে ছুটি ঘোষণা, সতকর্তা দিঘা, বকখালি, সাগরদ্বীপে! ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র আতঙ্কে কাঁপছে বাংলা

    Weather Update: স্কুলে ছুটি ঘোষণা, সতকর্তা দিঘা, বকখালি, সাগরদ্বীপে! ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র আতঙ্কে কাঁপছে বাংলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়লা আমফান-এর পর এবার ধেয়ে আসছে দানা। এই দানার (Cyclone Dana) হানাও জোড়াল হওয়ার আশঙ্কা কলকাতা, সাগরদ্বীপ, মেদিনীপুরের সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে। বৃহস্পতিবার পুরী-সাগরদ্বীপে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৩৫ কিলোমিটার। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ মঙ্গলবার রাতেই পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে। বুধবার গভীর নিম্নচাপ পরিণত হতে পারে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে। বুধবার বিকেল থেকেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলায় ভারী বৃষ্টির (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে।

    কতদূরে অবস্থান

    সাগর দ্বীপ থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৭৭০ কিমি দূরে অবস্থান করছে নিম্নচাপ। আগামী ২৪ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার রাত এবং পরের দিন ২৫ অক্টোবর, অর্থাৎ শুক্রবার ভোরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় দানা (Cyclone Dana) আছড়ে পড়বে। কোথায় আছড়ে পড়বে? হাওয়া অফিস জানিয়েছে,জায়গাটা ওড়িশার পুরী এবং বাংলার সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী কোনও এলাকা। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, ‘দানা’র প্রভাবে বুধবার থেকেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলা, যেমন দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার পরিস্থিতি আরও ‘জটিল’ হয়ে উঠতে পারে। ওই সময় সমুদ্র উত্তাল থাকবে বলে জানাচ্ছেন আবহবিদেরা। 

    ‘দানা’র মানে কী

    কাতার এই ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) নাম দিয়েছে ‘দানা’। অর্থ মুক্ত বা স্বাধীনতা। আরবীতে আবার এর অর্থ, ‘সুন্দর এবং মূল্যবান মুক্তো’। এর একটা মানেও আছে. ‘উদারতা’ বা ‘দান’। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। বুধবার থেকে ওড়িশার উপকূলবর্তী জেলার সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবারের মধ্যেই পুরীর সৈকত পর্যটকশূন্য করার নির্দেশ দিয়েছে ওড়িশা সরকার। 

    কলকাতায় প্রভাব

    ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে শহর কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামে। কলকাতায় বুধবার বিকেল থেকেই বৃষ্টি নামবে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে থাকবে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করে ইতিমধ্যেই রাজ্য ও জেলা স্তরে ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোল রুম চালু করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আধিকারিকদের সর্বক্ষণ পরিস্থিতির ওপর কড়া নজরদারি রাখবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ছুটি দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, হুগলি, হাওড়া এবং কলকাতায় সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    উত্তাল দিঘা

    ইতিমধ্যেই ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে দিঘার সমুদ্র। মঙ্গলবার জোয়ারের সময় সমুদ্রের সেই রূপ দেখার জন্য সৈকত এলাকায় হাজির হয়েছিলেন পর্যটকেরা। কিন্তু দুর্ঘটনার আশঙ্কায় তড়িঘড়ি বেলাভূমি এলাকা দড়ি দিয়ে ঘিরে দেয় প্রশাসন। কাউকেই সমুদ্রস্নানে নামতে দেওয়া হয়নি। নদী এবং সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী প্রচুর মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, আবহাওয়ার সঙ্গে সমুদ্রের চেহারাও বদলাচ্ছে। দিঘার সমুদ্র অশান্ত হতে শুরু করেছে। পর্যটকদের দিঘায় আসার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি না হলেও সমুদ্রে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। দিঘা বেড়াতে আসা পর্যটকেরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস দেখবার জন্যই তাঁরা ছুটে এসেছেন। মঙ্গলবার নিরাপদ দূরত্ব থেকে সমুদ্র দেখেছেন। তবে বুধবার সমুদ্রের কতটা কাছে ঘেঁষতে পারবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে সাইক্লোন ‘দানা’! পূর্ব রেলে জারি একগুচ্ছ প্রোটোকল, তৎপর বিমানবন্দরও

    সতর্ক সুন্দরবন

    সাবধানী দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রশাসনও। সাগর, সুন্দরবন, বকখালি ইত্যাদি এলাকায় সতর্কতামূলক প্রচার চলছে। মাইকিং হচ্ছে এলাকায় এলাকায়। মঙ্গলবার প্রায় সারা দিন ধরে গঙ্গাসাগরের কচুবেড়িয়া ঘাটে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মীরা মাইকিং করে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করছেন। ইতিমধ্যে যাঁরা সমুদ্রে চলে গিয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা হচ্ছে। উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদেরও সতর্ক করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Daily Horoscope 23 october 2024: প্রেমের প্রতি ঘৃণাবোধ হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 23 october 2024: প্রেমের প্রতি ঘৃণাবোধ হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ব্যবসায় মুনাফা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) ঋণমুক্তির সুযোগ পাবেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) প্রেমে নৈরাশ্য থেকে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর অশান্তির দায় আপনার কাঁধে চাপতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মিথুন

    ১) সকালের দিকে বন্ধুদের আচরণে বিব্রত হতে পারেন।

    ২) শরীরে ব্যথা-বেদনা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সখপূরণ হবে।

    কর্কট

    ১) ভ্রমণে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।

    ২) প্রেমের প্রতি ঘৃণাবোধ হতে পারে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) প্রেমের ব্যাপারে অতিরিক্ত আবেগ প্রকাশ করবেন না।

    ২) শরীরে ক্ষয় বৃদ্ধি।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কন্যা

    ১) বাড়তি কিছু খরচ হতে পারে।

    ২) বৈরী মনোভাবের জন্য ব্যবসায় শত্রু বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) কোথাও আপনার বিষয়ে সমালোচনা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) সকালের দিকে একই ব্যাপারে বার বার খরচ হবে।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) রক্তাল্পতায় ভুগতে পারেন।

    ২) কারও প্ররোচনায় দাম্পত্য কলহ।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    ধনু

    ১) বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বিবাদের জন্য মনঃকষ্ট।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্তিবোধ।

    ২) সন্তানের জন্য সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে তর্কে জড়াতে পারেন।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সামান্য কারণে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) কর্মস্থানে বন্ধুদের বিরোধিতা আপনাকে চিন্তায় ফেলবে।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য মানসিক চাপ বৃদ্ধি।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ivory Smuggling Case: বালি-কয়লা-গরুর পর এবার হাতির দাঁত পাচারে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

    Ivory Smuggling Case: বালি-কয়লা-গরুর পর এবার হাতির দাঁত পাচারে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারে নাম জড়িয়েছিল তৃণমূলের (TMC)। নাম জড়িয়েছিল গরু পাচারেও। বালি পাচারেও কাঠগড়ায় সেই তৃণমূল। এবার হাতির দাঁত পাচারেও (Ivory Smuggling Case) নাম জড়াল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের। তবে কয়লা এবং গরু পাচারে যেহেতু দলের হেভিওয়েট নেতাদের নাম জড়িয়েছে, তাই তাঁদের বহিষ্কার করার ‘দুঃসাহস’ দেখায়নি রাজ্যের শাসক দল। আর হাতির দাঁত পাচারে যেহেতু দলের এক ‘ছোট’ নেতার নাম জড়িয়েছে, তাই কলঙ্ক এড়াতে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।

    গ্রেফতার তৃণমূল নেতা (Ivory Smuggling Case)

    হাতির দাঁত পাচারে অভিযুক্ত নেতার নাম অশোককুমার ঝা। জানা গিয়েছে, পুলিশ ও বনবিভাগের আধিকারিকরা হানা দেন বক্সারের রাহপুর থানার দেবকুলি গ্রামের একটি বাড়িতে। সেখান থেকে উদ্ধার হয় দুটি বড় হাতির দাঁত। ওজন ২০ কেজিরও বেশি। দাঁত দুটির বাজার দর লক্ষাধিক টাকা। এই ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যেই রয়েছেন অশোকও। অশোক উত্তর কলকাতার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের যুব সংগঠনের সভাপতি। বর্তমানে (Ivory Smuggling Case) তিনি রয়েছেন তৃণমূলের হিন্দি সেলের সহ-সভাপতি পদে। জোড়াসাঁকোর তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তিনি। জানা গিয়েছে, বক্সারের যে বাড়িটি থেকে হাতির দাঁত দুটি উদ্ধার হয়েছে, সেই বাড়ির মালিক অশোক। হাতির দাঁত পাচারে অশোকের নাম জড়ানোর পরেই তড়িঘড়ি তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল।

    সাফাই দিচ্ছে দল!

    দলের গা থেকে কলঙ্ক মুছতে অশোককে বহিষ্কার করার পাশাপাশি সাফাইও গাইতে শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বকে। বিবেক বলেন, “শুনেছি ওরা (অশোক) বাড়িতে হাতি পুষত। বিহারের অনেকেই বাড়িতে হাতি পোষেন। সম্প্রতি ওদের একটি হাতি মারা যায়। সেই মরা হাতিটি ওরা বিক্রি করে দিয়েছিল। হাতির দাঁত দুটি রেখে দিয়েছিল বাড়িতে। এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। দল এবং দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাকে।”

    আরও পড়ুন: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত”, বললেন মোদি

    অশোককে তৃণমূলের নতুন ‘বীরাপ্পন’ বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তিনি বলেন, “এতদিন ওরা বালি, কয়লা, গরু, চাকরি চুরি করত (TMC)। এখন ওরা হাতির দাঁতের চোরাচালানেও সিদ্ধহস্ত (Ivory Smuggling Case)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raghu Dakat: ল্যাটামাছ পোড়া দিয়ে কালীপুজো, দিতেন নরবলিও, কে ছিলেন এই রঘু ডাকাত?

    Raghu Dakat: ল্যাটামাছ পোড়া দিয়ে কালীপুজো, দিতেন নরবলিও, কে ছিলেন এই রঘু ডাকাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রঘু ডাকাতকে নিয়ে লৌকিক-অলৌকিক গল্পকথার শেষ নেই। মুখে মুখে উড়ে বেড়ানো সে সব জনশ্রুতির খোসা ছাড়িয়ে প্রকৃত ইতিহাসে পৌঁছনো খুব সহজ নয়। ইতিহাসের তথ্যপ্রমাণ বলে, রঘু ডাকাত জন্মেছিলেন অষ্টাদশ শতকের শেষ দিকে, অবিভক্ত বাংলার এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে। জন্মসূত্রে তাঁর নাম রঘু ঘোষ (Raghu Dakat)।  

    কীভাবে ডাকাত হলেন রঘু? (Raghu Dakat)

    প্রায় দুশো বছর আগের কথা। সুতানুটি, গোবিন্দপুর, কলিকাতায় তখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাহেবপ্রভুরা। আর বাংলার গ্রামদেশে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে নীলকর সাহেবদের দল। নীল চাষে জমির উর্বরতা নষ্ট হত। অন্য ফসল ফলত না আর। কিন্তু সেসব কথা লালমুখোরা শুনবে কেন! যে সব চাষিরা নিজেদের জমিতে নীল চাষে আপত্তি জানাত, তাদের পেয়াদা দিয়ে তুলে আনত তারা। চলত মারধর, অত্যাচার। বাদ যেত না চাষিদের পরিবার পরিজনেরাও। শোনা যায় রঘু ডাকাতের (Raghu Dakat) বাবাও ছিলেন এমনই একজন সাধারণ চাষি। নীল চাষে রাজি না হওয়ায় নীলকরের পেয়াদা এক রাতে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। সাহেবকুঠিতে ভয়ংকর অত্যাচারে অসহায়ভাবে মারা যান রঘুর বাবা। বাবার এই নির্যাতন আর অন্যায় মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি তরুণ রঘু। এই হত্যার বদলা নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি। ছেলেবেলা থেকেই লাঠিখেলায় বেশ পোক্ত ছিলেন রঘু। নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের সামনে সেই লাঠিকেই অস্ত্র হিসেবে তুলে নিলেন তিনি। তাঁর পাশে এসে দাঁড়াল একরোখা আরও একদল মানুষ। গড়ে উঠল লাঠিয়াল বাহিনী। যাদের প্রথম কাজই ছিল নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। দলবল নিয়ে একের পর এক নীলকুঠিতে চড়াও হন রঘু ঘোষ। লুটপাট চালান, জ্বালিয়ে দেন নীলকরদের ঘরবাড়ি। ধীরে ধীরে এলাকার অত্যাচারী জমিদার-মহাজনদের ত্রাস হয়ে ওঠেন রঘু।

    কাদের লুট করত রঘুর বাহিনী?

    শুধু নীলকরদের অত্যাচারের প্রতিশোধ নেওয়াই নয়, ছোট-বড় যে কোনও শোষণযন্ত্রের কাছেই রঘু ডাকাত (Raghu Dakat) ছিল মূর্তিমান যম। সদলবলে বড়লোকদের বাড়িঘর টাকাপয়সা লুট করা শুরু করেছিল তারা। সেসময় যারাই সাধারণ মানুষের সম্পদ কুক্ষিগত করত, তাদের বাড়িতেই হানা দিত রঘু ঘোষের দল। জ্বালিয়ে দেওয়া হত জমির বেনামি দলিল, পুড়িয়ে দেওয়া হত অন্যায়ভাবে হস্তগত করা গরিবের ধন-সম্পদের খতিয়ান। প্রায় কপর্দকশূন্য করে ছেড়ে দেওয়া হত তাদের। কখনও কখনও পিটিয়ে মারা হত অত্যাচারী শোষক জমিদার জোতদারদের। আর লুণ্ঠিত টাকা পয়সার সবটাই ভাগ-বাটোয়ারা করে দেওয়া হত সাধারণ গরিব প্রজাদের ভিতর।

    দিনে দিনমজুর, রাতে ডাকাতি!

    হুগলির যে সাতটা গ্রাম নিয়ে সপ্তগ্রাম বন্দর, তার অন্যতম গ্রাম বাসুদেবপুর। সপ্তগ্রাম থেকে পাণ্ডুয়ার দিকে যেতে পূর্ব দিকে নেমে গিয়েছে এক পায়ে চলা পথ, জঙ্গলের ভেতর দিয়ে এই পথ এঁকেবেঁকে গিয়ে মিশেছে সুদূর গঙ্গাতীরে, ত্রিবেণীতে। এটা সেই সময়ের কথা যখন গোরুর গাড়ি ভিন্ন যানবাহন ছিল না। সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটেই পাড়ি দিতেন ক্রোশের পর ক্রোশ পথ। ত্রিবেণীতে গঙ্গা স্নানের সংকল্প নিয়ে সে সময় বহু পুণ্যার্থী মানুষের যাতায়াত ছিল ঘন জঙ্গলে ঢাকা এই সুঁড়িপথে। এ পথের উত্তর পাড়ে বাগহাটি গ্রাম, এই বাগহাটি জয়পুর গ্রামেই সেসময় আস্তানা গেড়েছিল রঘু ডাকাতের দল। তারা দিনের বেলা আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো ক্ষেতমজুরের কাজ করত, আর সূর্যাস্তের পর রাতে এলাকার ধনী ও প্রভাবশালীদের বাড়িতে ডাকাতি (Raghu Dakat) করতে বের হত।

    ল্যাটামাছ পোড়া দিয়ে কালীর পুজো করতেন রঘু

    বাংলার ডাকাতদের (Raghu Dakat) অধিকাংশই মা কালীর পরম ভক্ত ছিলেন। অমাবস্যার রাতে ভক্তি সহকারে কালীপুজো করে, সিঁদুর আর বলির রক্ত মেশা তিলক পরে তবেই লুটপাটে বের হতেন তাঁরা। বাগহাটির জয়পুরের বাসিন্দা বিধুভূষণ ঘোষ সম্পর্কে রঘু ডাকাতের ভাই। দুই ভাই মিলেই দল চালাতেন সে সময়। পুলিশের ভয়ে সেসময় দুভাই গা ঢাকা দিয়েছিলেন দেবীপুরের ঘন জঙ্গলে। সেই বনের মধ্যেই তাঁরা প্রতিষ্ঠা করেন আরাধ্যা মা কালীর মন্দির। রঘু ডাকাতের দলবল জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাওয়া আসা করা ধনী মানুষজনদের টাকাপয়সা কেড়ে নিয়ে তাদের বেঁধে নিয়ে যেতেন মায়ের মন্দিরে। এরপর অমাবস্যা বা বিশেষ দিনে পুণ্যতিথি দেখে ঢাকঢোল পিটিয়ে পুরোহিত ডেকে হত নরবলি। এতেই নাকি তুষ্ট হতেন করাল বদনা মা কালী। এক চূড়াবিশিষ্ট সেই ডাকাত কালীমন্দির আজও আছে। লোকশ্রুতি বলে, স্বপ্নাদেশ পেয়ে রঘু এই কালীমূর্তি খুঁজে বের করেছিলেন এক পুকুরের তলা থেকে। দেবী নিজেই রঘুর পুজো চেয়েছিলেন। এই কালীই বর্তমানে রঘু ডাকাতের কালী নামে জনপ্রিয় ও সিদ্ধেশ্বরী কালী হিসেবে এখনও ভক্তদের পুজো পান। ল্যাটামাছ পোড়া দিয়ে কালীর পুজো করতেন রঘু। আজও দেবীর প্রসাদে একইরকমভাবে ব্যবহার করা হয় পোড়া ল্যাটামাছ।

    রামপ্রসাদ ও রঘু ডাকাত

    কার্তিকের অমাবস্যা তিথি। কিন্তু, সেদিনই পথঘাট আশ্চর্য নিঝুম, জনমানবশূন্য। রঘু পড়লেন মহা বিপাকে। মায়ের বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে, এদিকে বলির দেখা নেই। ঠিক সেদিনই নিজের বাড়ি হালিশহরে ফিরছিলেন সাধকশ্রেষ্ঠ রামপ্রসাদ (Ramprasad)। তাড়াতাড়ি ত্রিবেণীর গঙ্গাঘাটে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দৈবদুর্বিপাকে রঘু ডাকাতের কুখ্যাত জঙ্গলে পা রাখেন তিনি। রঘু ডাকাতের বাহিনী বলির জন্য প্রস্তুত করে রামপ্রসাদকে। হাসিমুখে মায়ের ইচ্ছে জ্ঞান করে ডাকাতদলের সব অত্যাচার সহ্য করেন তিনিও। সামনে রক্তজবায় সাজানো হাড়িকাঠ, খাঁড়া নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে জল্লাদ। কিন্তু মরে গেলে মা’কে তো আর গান শোনানো হবে না। তাই মৃত্যুর আগে মা কালীর সামনে একটি গান গাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন রামপ্রসাদ। অনুমতি দেন রঘু। গান শুনে ভাবান্তর হয়েছিল  রঘু ডাকাতের। জনশ্রুতি মতে, সেদিন যূপকাষ্ঠে রামপ্রসাদের বদলে আরাধ্যা দেবী কালীকেই দেখেছিলেন রঘু। তক্ষুনি রামপ্রসাদকে সসম্মানে মুক্তি দেন তিনি। ক্ষমা চান কবির কাছে। আর এরপর থেকেই মা সিদ্ধেশ্বরীর সামনে নরবলি দেওয়ার প্রথা এক্কেবারে বন্ধ করে দেন রঘু ডাকাত। চালু হয় পাঁঠাবলির রীতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share