Tag: Madhyom

Madhyom

  • Amit Shah: বুধবার বঙ্গ সফরে আসছেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, একগুচ্ছ কর্মসূচি স্থগিত

    Amit Shah: বুধবার বঙ্গ সফরে আসছেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, একগুচ্ছ কর্মসূচি স্থগিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বঙ্গ সফর আপাতত স্থগিত হয়ে গেল। বুধবার রাতেই তাঁর কলকাতা পৌঁছানোর কথা ছিল। দু’দিনে তিনি সরকারি বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন। একই সঙ্গে দলীয় নেতাদের সঙ্গেও বৈঠকে বসবেন, এমনটাই পরিকল্পনা ছিল। ঠিক কী কারণে ওই কর্মসূচি আপাতত স্থগিত হল, সে ব্যাপারে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে অন্য একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। তার জেরে বুধবার থেকেই বাংলার আবহাওয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন আসতে চলেছে। ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাসও দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া দফতর। সেই কারণেই তাঁর এই প্রোগ্রাম আপাতত স্থগিত রাখা হল বলে মনে করা হচ্ছে।

    কী কী কর্মসূচি ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর? (Amit Shah)

    উল্লেখ্য, আগামী ২৩ অক্টোবর অর্থাৎ বুধবার রাত ১০টায় কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছানোর কথা ছিল অমিত শাহ’র। নিউটাউনের একটি পাঁচতারা হোটেলে রাত্রিবাস করার পর বঙ্গ বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন তিনি, এমন কথাই ছিল। এরপর ২৪ অক্টোবর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার প্রথমে কল্যাণী এবং তারপর আরামবাগে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। সল্টলেকে ইজেডসিসিতে রাজ্য ও জেলাস্তরের নেতাদের নিয়েও একটি বৈঠক করার পরিকল্পনা ছিল অমিত শাহের। বৈঠক শেষে তিনি সোজা কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দিল্লির পথে রওনা হবেন, কর্মসূচি ছিল এমনটাই। অন্যদিকে, আগামী মাসেই রাজ্যের ছয়টি আসনে বিধানসভা উপনির্বাচন। উপনির্বাচন হবে সিতাই, নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, মাদারিহাট এবং তালড্যাংরায়। ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে বিজেপির প্রার্থী তালিকাও। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়েছে। তাই উপনির্বাচনের প্রচার থেকে শুরু করে কী রণকৌশল হতে পারে, সেই নিয়েও দলকে ভোকাল টনিক দিতে পারেন অমিত শাহ, এমনটাও মনে করা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’, কোন দেশ দিয়েছে এই নাম? কীভাবে হয় নামকরণ?

    ছিল পেট্রাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শনে যাওয়ার সম্ভাবনা

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অমিত শাহের (Amit Shah) অন্যান্য কর্মসূচিগুলি সময়ের মধ্যে শেষ হলে তিনি বৃহস্পতিবার বনগাঁয় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পেট্রাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শনে যেতে পারেন, এমনটাও ভেবে রাখা হয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য আগামী কাল থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সীমান্ত দিয়ে পণ্য পরিবহণ বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আপাতত এ সবই স্থগিত রাখতে হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: চিন সীমান্ত নিয়ে বড় আপডেট দিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন জানেন?

    S Jaishankar: চিন সীমান্ত নিয়ে বড় আপডেট দিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইন্দো-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া সংক্রান্ত সমস্যার ৭৫ শতাংশ সমধান হয়ে গিয়েছে।” মাসখানেক আগেই এ কথা জানিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সুইৎজারল্যান্ডের জেনেভায় একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে তিনি এও বলেছিলেন, “২০২০ সালে গলওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে পুরো ইন্দো-চিন সম্পর্ক গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছে। এর মধ্যে সব চেয়ে বড় সমস্যা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বিশাল সংখ্যক সেনা মোতায়েন।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    মাসখানেক পরে সোমবার সেই জয়শঙ্করই জানিয়ে দিলেন, “২০২০ সালের সংঘর্ষের আগে যেসব এলাকায় প্রবেশ সম্ভব ছিল, সেখানে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ফের টহল দিতে পারবে।” প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিদেশ সচিব ঘোষণা করেছিলেন, ভারতীয় ও চিনা নেগোসিয়েটররা পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর টহল দেওয়ার বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন। এদিন তা নিশ্চিত করেন বিদেশমন্ত্রী।

    ‘পেট্রোলিংয়ে ফিরে যেতে পারব’

    এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড সামিটে যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। বলেন, “আমরা ২০২০ সালের পেট্রোলিংয়ে ফিরে যেতে পারব।” এদিনই সকালে বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেছিলেন, “ভারতীয় ও চিনা আলোচকরা শেষ কয়েক সপ্তাহ ধরে অবশিষ্ট বিষয়গুলি সমাধানের জন্য আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বোঝা যাচ্ছিল, ডেপসাং ও ডেমচক অঞ্চলে পেট্রলিং সংক্রান্ত চুক্তির দিকে এগোচ্ছে আলোচনা। এই ব্রেকথ্রুর ঘোষণা এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাশিয়ার কাজান শহরে ব্রিকস সম্মেলনে অংশগ্রহণের একদিন আগেই এসেছে।”

    আরও পড়ুন: এবার মলদ্বীপেও চালু হতে চলেছে ভারতের ইউপিআই ব্যবস্থা, ঘোষণা মুইজ্জুর

    প্রসঙ্গত, যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও (S Jaishankar) কোনও ঘোষণা হয়নি, তবুও ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পার্শ্ববৈঠক হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বিনয় বলেন, “আমরা চিনা পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সামরিকস্তরেও বিভিন্ন স্তরের কমান্ডারদের বৈঠকের মাধ্যমে আলোচনা করেছি। অতীতে এই আলোচনা বিভিন্ন জায়গায় সংঘাতের অবসানে ফলপ্রসূ হয়েছে। আপনারা জানেন, কিছু জায়গায় এখনও অবসান হয়নি দ্বন্দ্বের (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RSS: জয়পুরে স্বয়ংসেবকদের ওপর ছুরিকাঘাত! অভিযুক্তের ভবনে বুলডোজার চালাল ভজনলালের প্রশাসন

    RSS: জয়পুরে স্বয়ংসেবকদের ওপর ছুরিকাঘাত! অভিযুক্তের ভবনে বুলডোজার চালাল ভজনলালের প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানে শারদ পূর্ণিমায় আরএসএস স্বয়ংসেবকদের (RSS) ওপর হামলার অভিযোগে শোরগোল পড়েছে। মোট ১০ জনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। অভিযুক্ত হলেন নসিব চৌধুরী এবং তাঁর ছেলে। ঘটনায় তদন্তে নেমেছে মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল সরকারের পুলিশ-প্রশাসন। একই ভাবে মন্দিরের জমি অবৈধভাবে দখল করার জন্য অভিযুক্তদের বেআইনি একটি ভবনকে বুলডোজার চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    হিংসাত্মক আক্রমণ পূর্ব পরিকল্পিত (RSS)

    জয়পুরে গত ১৭ অক্টোবর লক্ষ্মীপূর্ণিমার দিনেই শারদ পূর্ণিমা পালিত হয়েছে। এই সময় আরএসএসের পক্ষ থেকে কর্নি বিহারের একটি শিব মন্দিরে ফসল কাটার শুভ মুহূর্তে বিশেষ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে মহাপ্রসাদ বিতরণের সঙ্গে হনুমান চাল্লিশা পাঠও চলছিল। ঠিক এমনই আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যে মন্দির চত্বরে নসিব চৌধুরী এবং তাঁর ছেলে ভীষম চৌধুরী আচমকা সব কর্মকাণ্ড বন্ধ করার হুমকি দেন। এরপর তর্কবিতর্ক হতেই প্রায় দশজন স্বয়ংসেবকের উপর আচমকা এলোপাথাড়ি ছুরি নিয়ে আক্রমণ চালান। ছুরির আঘাতে ঘটনাস্থলে অনেকের পায়ে, বুকে, পিঠে, হাতে গুরুতর আঘাত লাগে। এই হিংসাত্মক আক্রমণ পূর্ব পরিকল্পিত বলে দাবি আরএসএস-এর। এরপর আহতদের দ্রুত জয়পুর সওয়াই মান সিং হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।

    বৈধ নথি নেই, তাই বুলডোজার

    একই ভাবে আরএসএস স্বয়ংসেবকরা (RSS) অভিযোগ করে, এলাকায় এবং মন্দিরের বেশ কিছু জমি ওই অভিযুক্তরা জোর করে দখল করে রেখেছে। এরপর জয়পুর উন্নয়ন পর্ষদের পক্ষ থেকে মন্দিরের অবৈধ জমি জরিপ করা হয় এবং অভিযুক্ত নসিব চৌধুরী বেআইনি ভাবে জমি দখল করেছে বলে নোটিশ জারি করা হয়। সেই সঙ্গে এই নির্মাণ নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়। কিন্তু বৈধ নথি না দেখাতে পারায় অবৈধ একটি ভবনকে ভেঙে ফেলা হয় বুলডোজার দিয়ে। জয়পুর উন্নয়ন পর্ষদের বক্তব্য, “নির্ধারিত সময় দেওয়ার পরও অবৈধ নির্মাণ নিয়ে কোনও তথ্য দিতে না পারায় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।” উল্লেখ্য সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে প্রতিমা বিসর্জনের সময় এক হিন্দু যুবককে দুষ্কৃতীরা গুলি করে হত্যা করলে, মূল অভিযুক্তদের অবৈধ নির্মাণের উপর বুলডোজার চালায় যোগী প্রশাসন। ফলে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যোগীর দেখানো পথে এবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মাও কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলার পথে অগ্রসর হয়েছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Air India Flight: ১ থেকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চড়বেন না, হুমকি খালিস্তানি নেতা পান্নুনের

    Air India Flight: ১ থেকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চড়বেন না, হুমকি খালিস্তানি নেতা পান্নুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে (Air India Flight) আবারও হামলার ষড়যন্ত্র করছে খালিস্তানি জঙ্গিরা। ১ থেকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে হামলা চালানো হতে পারে। যার জন্য যাত্রীদের আগেই সতর্ক করলেন খালিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের প্রধান গুরপতবন্ত সিং পান্নুন (Gurpatwant Singh Pannun)। শিখদের ‘গণহত্যা’-র বদলা নিতে চান বলে দাবি করলেন ‘শিখ ফর জাস্টিস’ নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর এই নেতা। গত এক সপ্তাহ ধরে ভারতে একের পর এক বিমানে বোমাতঙ্কের হুমকিবার্তা দেওয়া হচ্ছে। তার মাঝেই পান্নুনের প্রকাশ্যে করা এই মন্তব্য আলোড়ন ফেলেছে।

    কী বললেন পান্নুন

    সোমবার এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India Flight) যাত্রীদের সতর্ক করে গুরুপতবন্ত সিং পান্নুন (Gurpatwant Singh Pannun) বলেন, ‘ শিখ দাঙ্গার ৪০ তম বর্ষপূর্তি। আগামী ১ থেকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে কেউ এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে যাত্রা করবেন না। ফল হতে পারে মারাত্মক। এই সময় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে হামলা হতে পারে।’ যদিও কী ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করেছেন, তা স্পষ্ট করেননি জঙ্গি নেতা। গত সোমবার থেকে একের পর এক অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ভারতীয় বিমানে বোমা হামলার হুমকি প্রকাশ্যে আসছে। এই কয়েক দিনে ৭০টিরও বেশি এমন হুমকিবার্তা পেয়েছে বিভিন্ন ভারতীয় বিমান সংস্থা। গত সাত দিনে বোমাতঙ্কের ঘটনা ঘটেছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, আকাসা এয়ারলাইন্সের মতো একের পর এক দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমানে। তবে এখনও পর্যন্ত সবগুলিই ভুয়ো। সেই আবহেই পান্নুনের হুমকি নতুন করে ভাবাচ্ছে কেন্দ্রকে।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’, কোন দেশ দিয়েছে এই নাম? কীভাবে হয় নামকরণ?

    ভারতের আকাশসীমা সম্পূর্ণ নিরাপদ

    এর আগেও একাধিকবার ভারতে নাশকতার হুমকি (Air India Flight) দিয়েছেন গুরুপতবন্ত সিং পান্নুন (Gurpatwant Singh Pannun)। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে হামলার হুমকি দিয়েছিলেন পান্নুন। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘১৯ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চড়লে প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে।’ সে দিন ছিল বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল ম্যাচ। গুজরাটের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ভারতের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ফাইনাল ম্যাচের আগে সেই হুমকিবার্তায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ফের এই ধরনের হামলার হুমকি। বোমা হামলার হুমকি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক সেরেছে। আতঙ্কগ্রস্ত যাত্রীদের আশ্বস্ত করছে অসামরিক বিমান নিরাপত্তা সংস্থা ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (বিসিএএস)। বিভিন্ন বিমান সংস্থার সঙ্গে বৈঠকের পর বিসিএএস-এর ডিরেক্টর জেনারেল জুলফিকর হাসান যাত্রীদের উদ্দেশে জানান, ভারতের আকাশসীমা সম্পূর্ণ নিরাপদ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diamond Harbour Medical: কোটি কোটি টাকা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ! দিনভর বিক্ষোভে জুনিয়র ডাক্তাররা

    Diamond Harbour Medical: কোটি কোটি টাকা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ! দিনভর বিক্ষোভে জুনিয়র ডাক্তাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই আবহের মধ্যে এবার ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল (Diamond Harbour Medical) কলেজে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে সোমবার অবস্থান-বিক্ষোভ চলে। এদিন সকাল থেকে চলা অবস্থান বিক্ষোভে ডাক্তারি পড়ুয়াদের পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের স্থায়ী এবং অস্থায়ী কর্মচারীরা সামিল হন।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Diamond Harbour Medical)

    মূলত, জুনিয়র ডাক্তারদের (Diamond Harbour Medical) দাবি, ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হাসপাতালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবের কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছেন। পাশাপাশি থ্রেট কালচার সহ ১২ দফা দাবিকে সামনে রেখে তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ চালাতে থাকেন। অধ্যক্ষ যতক্ষণ না পর্যন্ত এর সঠিক উত্তর দিচ্ছেন, ততক্ষণ এই অবস্থান বিক্ষোভ চলতে থাকবে। এমনকী, মেডিক্যাল কলেজের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ে তালা মেরে দেওয়া হয় জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে। তবে, এই বিষয় নিয়ে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের বেশ কিছু জুনিয়র চিকিৎসক ও পড়ুয়ারা কোশ্চেন বিক্রি থেকে শুরু করে, টাকা নেওয়া ও জুনিয়রদের থ্রেট কালচারের সঙ্গে যুক্ত। এরজন্য ৯ জন জুনিয়র চিকিৎসক ও পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদিন তাঁদের হস্টেল ছেড়ে দেওয়ার শেষ দিন, যে কারণেই তাঁরা পরিকল্পিতভাবে আমার দুর্নাম করার জন্যই এই পরিকল্পনা করেছে।’’

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’, কোন দেশ দিয়েছে এই নাম? কীভাবে হয় নামকরণ?

    আরজি করকাণ্ডে প্রতীকী অনশন

    সকাল থেকে দফায় দফায় অবস্থান বিক্ষোভের ফলেই ব্যাহত হয়ে পড়ে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের রোগী পরিষেবা। আর সেই অবস্থান বিক্ষোভের মধ্যে আসেন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জোনাল মিতুন কুমার দে, মহকুমা শাসক অঞ্জন ঘোষ, এসডিপিও শাকিব আহমেদ। একদিকে তাঁরা যেমন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন, ঠিক তেমনি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং এমএসভিপি-র সঙ্গে কথা হয়। জুনিয়র চিকিৎসকদের আশ্বস্ত করার পর অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং এর তালা খোলেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা অবস্থান তুলে নেন। পাশাপাশি, জুনিয়র ডাক্তারদের অন্য একটি পক্ষ, আরজি করকাণ্ডের কলকাতায় অবস্থানরত চিকিৎসকদের সমবেদনা জানাতে ১২ ঘণ্টা প্রতীকী অনশন করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Prayagraj: ২০২৫-এর মহাকুম্ভে ভক্তদের জন্য বিলাসবহুল স্লিপিং পডের ব্যবস্থা করছে যোগী প্রশাসন

    Prayagraj: ২০২৫-এর মহাকুম্ভে ভক্তদের জন্য বিলাসবহুল স্লিপিং পডের ব্যবস্থা করছে যোগী প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান হল ভারতের মহাকুম্ভ মেলা (Maha Kumbh 2025)। প্রতি বারো বছর অন্তর প্রয়াগ, হরিদ্বার, উজ্জয়িনী ও নাসিকে পালিত হয় মহাকুম্ভ বা পূর্ণকুম্ভ। এছাড়া প্রতি ছয় বছর অন্তর হরিদ্বার ও প্রয়াগরাজে (Prayagraj) পালিত হয় অর্ধকুম্ভ। কুম্ভ মেলা প্রতি চারবছর অন্তর পালন করা হয়। ২০১৩ সালে মহাকুম্ভের আয়োজন করা হয়েছিল। আবার ২০২৫ সালে  প্রয়াগরাজ মহা কুম্ভমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। সোমবার, উত্তরপ্রদেশ সরকার ঘোষণা করেছে যে প্রয়াগরাজ কুম্ভ মেলা ২০২৫-এ আগত ভক্তদের জন্য আরামদায়ক স্লিপিং পড চালু করা হবে। ভক্তদের এক স্বাচ্ছন্দ্যময় ও আরামদায়ক অভিজ্ঞতা প্রদান করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আগত দর্শনার্থীদের জন্য শহরে বিশাল তাঁবুর ব্যবস্থা করা হবে। একই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশে প্রথমবার আধুনিক স্লিপিং পড চালু করা হবে।

    কেন স্লিপিং পডের ভাবনা

    মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) সময় প্রয়াগে (Prayagraj) লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমাগম হবে। এর জন্য এখন থেকেই শহরের বিভিন্ন হোটেলে ঘর ভাড়া নিয়ে রেখেছেন অগণিত মানুষ। তাই এবার স্লিপিং পডের কথা ভাবছে সরকার। এই কর্মসূচির জন্য রাজ্য পর্যটন বিভাগ ইতিমধ্যেই একটি বিস্তারিত রোডম্যাপ তৈরি করেছে। সব পরিকল্পনা ঠিকমতো চললে, শীঘ্রই ভক্তরা এই অত্যাধুনিক স্লিপিং পডগুলোতে থাকতে পারবেন। প্রয়াগরাজ জংশন রেলওয়ে স্টেশনে স্লিপিং পড আগেই চালু করা হয়েছে। এর জনপ্রিয়তার পর, কুম্ভ মেলার সময় ভক্ত এবং পর্যটকদের এই সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।

    ভক্তদের কাছে বিপুল সাড়া

    প্রয়াগরাজের (Prayagraj) আঞ্চলিক পর্যটন কর্মকর্তা অপরাজিতা সিং, রবিবার, ২০ অক্টোবর, ঘোষণা করেছেন যে প্যারেড গ্রাউন্ডে একটি তাঁবু শহর (Maha Kumbh 2025) গড়ে তোলা হচ্ছে। এর আগে আরাইল এবং ঝুঁসি অঞ্চলে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (PPP) মডেলে দুইটি বিলাসবহুল তাঁবু শহর গড়ে উঠছে। পর্যটক এবং ভক্তদের কাছ থেকে এই সুবিধার ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। আরাইলের ২০০০ তাঁবুর মধ্যে ১৬০০ ইতিমধ্যেই সংরক্ষিত হয়েছে। ঝুঁসির দ্বিতীয় তাঁবু শহরে ৪০০ স্লিপিং পড থাকবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, দরপত্র প্রক্রিয়া বর্তমানে চলছে এবং সমস্ত নিরাপত্তা শর্তাবলী পূরণ হলে কাজ সম্পন্ন করা হবে।

    স্লিপিং পড কী

    স্লিপিং পড হল এক ধরনের ক্ষুদ্র ক্যাপসুল আকৃতির ঘর যা আধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা সজ্জিত। এই সুবিধাগুলির মধ্যে ফোন চার্জিং, ওয়াই-ফাই সুবিধা, লকার রুম এবং বিলাসবহুল শৌচাগারসহ আরও অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রয়াগরাজে স্লিপিং পডের ধারণাটি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে চালু করা হয়েছিল। বিজেপি নেত্রী রীতা বহুগুনা যোশী বিজেপি সরকারকে প্রশংসা করে বলেন যে ভারতে মাত্র দুটি স্লিপিং পড স্থাপন করা হয়েছে। উভয়ই মুম্বাইয়ে অবস্থিত, এখন তৃতীয়টি প্রয়াগরাজ, উত্তর প্রদেশে নির্মাণ করা হচ্ছে। মহাকুম্ভ শুরু হবে ১৪ জানুয়ারি ২০২৫-এ মকর সংক্রান্তির দিনে এবং শেষ হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ মহা শিবরাত্রির দিনে। 

    কোথায় কোথায় স্লিপিং পড

    রিপোর্ট অনুযায়ী, দর্শনার্থীরা এই স্লিপিং পড ভাড়া নিতে পারবেন, যা ধর্মীয় সমাবেশের সময় তাদের অবস্থানকে আরও আরামদায়ক করে তুলবে। বিমানবন্দর লবি এবং রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে স্লিপিং পড স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। মহাকুম্ভ ২০২৫ উপলক্ষে গড়ে ওঠা তাঁবু শহরটি প্রায় ৪০০০ হেক্টর জুড়ে বিস্তৃত, যা সঙ্গম, আরাইল এবং ফাফামাউ এর মধ্যে ২৫টি সেক্টরে বিভক্ত। এই ৪৫ দিনের মেলায় প্রায় ৪০ কোটি দর্শনার্থীকে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে এই তাঁবু শহরে সাধারণ থেকে বিলাসবহুল বিভিন্ন ধরনের বাসস্থানের ব্যবস্থা থাকবে। এর আগে, ৬ অক্টোবর সরকার বলেছিল যে, মহাকুম্ভ মেলা ২০২৫-এ অংশ নেওয়া ভক্তদের জন্য সমস্ত সুবিধা ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রদান করা হবে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আরও বলেছেন যে, সরকার এআই পদ্ধতি ব্যবহার করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।

    কী কী ভাবনা

    মহাকুম্ভ ২০২৫ (Maha Kumbh 2025) -এর প্রস্তুতি নিয়ে তিনি আরও বলেন যে উৎসবের সময় কোনও ভক্তকে ১ কিলোমিটারের বেশি হাঁটতে হবে না, শুধুমাত্র ৬ দিন, যার মধ্যে মকর সংক্রান্তি, মৌনি অমাবস্যা, মহাশিবরাত্রি, পৌষ পূর্ণিমা এবং মাঘী পূর্ণিমা অন্তর্ভুক্ত। ভক্তদের পরিবহণের সুবিধার্থে, সরকার ৭০০টির বেশি শাটল ইলেকট্রিক বাস সরবরাহ করবে। ২০২৫ সালের মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) প্রথম শাহি স্নান পালিত হবে ১৩ জানুয়ারি। সেদিন আবার পৌষ পূর্ণিমাও পালিত হবে। ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির শাহি স্নান পালিত হবে। ২৯ জানুয়ারি পালিত হবে মৌনী অমাবস্যার শাহী স্নান। এছাড়া ৩ ফেব্রুয়ারি পালিত হবে বসন্ত পঞ্চমীর শাহী স্নান ও তারপর ৮ ফেব্রুয়ারি অচলা সপ্তমী, ১২ ফেব্রুয়ারি অচলা সপ্তমী, ১২ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা ও ৮ মার্চ মহাশিবরাত্রির শাহি স্নান পালিত হবে। মোট ২১টি শাহি স্নান পালিত হবে মহাকুম্ভের সময়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফাই দেননি শেখ হাসিনা! এ কী কথা শোনালেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি?

    Sheikh Hasina: প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফাই দেননি শেখ হাসিনা! এ কী কথা শোনালেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর ছেলের দাবি, প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেননি শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। সম্প্রতি বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিনেরও দাবি, হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, এমন কোনও প্রামাণ্য নথি তাঁর কাছে নেই। সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। তার পর কেটে গিয়েছে প্রায় সাড়ে তিন মাস। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকারউজ জামান জানিয়েছেন, হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন। যদিও হাসিনার ছেলে কিংবা রাষ্ট্রপতির দাবি ভিন্ন।

    কী বলছেন রাষ্ট্রপতি? (Sheikh Hasina)

    বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৭(ক) ধারা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হলে ইস্তফাপত্র পাঠাতে হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের দৈনিক ‘মানবজমিন’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে শাহবুদ্দিন জানান, হাসিনা দেশ ছাড়ার আগে তাঁকে কিছুই জানাননি। সেনাপ্রধান ওয়াকারকেও তিনি এ বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। তিনিও সুস্পষ্টভাবে তাঁকে কিছু জানাতে পারেননি বলেই দাবি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির। শাহবুদ্দিন বলেন, “ওয়াকারও জানিয়েছিলেন, তিনি শুনেছেন হাসিনা পদত্যাগ করেছেন।” তবে সেটা হাসিনা রাষ্ট্রপতিকে জানানোর সময় পাননি বলেই অনুমান ওয়াকারের।

    শাহবুদ্দিনের দাবি

    শাহবুদ্দিন জানান, ৫ অগাস্ট (এদিনই দেশ ছেড়েছিলেন হাসিনা) সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনে ফোন এসেছিল। বলা হয়েছিল, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বঙ্গভবনে আসবেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। ঘণ্টাখানেক পরেই আবারও ফোন এসেছিল। এবার তাঁকে জানানো হয় হাসিনা আর যাচ্ছেন না রাষ্ট্রপতি ভবনে (বঙ্গভবন)।

    হাসিনার (Sheikh Hasina) ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেছিলেন, “আমার মা কোথাও লিখিতভাবে পদত্যাগ করেননি।” হাসিনা নিজেও এ ব্যাপারে কিছু জানাননি। এবার রাষ্ট্রপতিও জানিয়ে দিলেন, হাসিনার পদত্যাগের প্রামাণ্য কোনও নথি বঙ্গভবনে নেই। প্রসঙ্গত, ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন হাসিনার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার খবর।

    আরও পড়ুন: কেজরির শিশমহলের কড়ি-বর্গায়ও জমিদারির ছাপ, আপ নেতার হলটা কী?

    ওই সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, “এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী চলে গিয়েছেন, এটাই সত্য। এই বিষয়ে যাতে কখনও কোনও প্রশ্ন না ওঠে, সেজন্য (Bangladesh Crisis) সুপ্রিম কোর্টের মতামতও নেওয়া হয়েছে (Sheikh Hasina)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Organ Donor: শরীর থেকে বের করা হচ্ছিল হৃদযন্ত্র, আচমকা জেগে উঠলেন ‘মৃত’ অঙ্গদাতা!

    Organ Donor: শরীর থেকে বের করা হচ্ছিল হৃদযন্ত্র, আচমকা জেগে উঠলেন ‘মৃত’ অঙ্গদাতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীর থেকে হৃদযন্ত্র (Organ Donor) বের করার সময় হঠাৎই জেগে উঠলেন ‘মৃত’। অঙ্গদান করতে গিয়ে এখন খবরের শিরোনামে আমেরিকা (America)। অপারেশন টেবিলেই ‘মৃত’ ব্যক্তি আচমকা নড়েচড়ে বসেন। কিন্তু তারপরেও অস্ত্রোপচার চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন পরিবার। এই ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় ফেলে দিয়েছে চিকিৎসক মহলে।

    টেবিলেই ছটফট করতে থাকেন (Organ Donor)

    ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে। আমেরিকার (America) কেন্টাকিতে এই ঘটনা ঘটেছিল। টিজে হুভার নামের এক ব্যক্তি বেশি পরিমাণে মাদক সেবন করেছিলেন। এরপর নিজে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপর হুভারকে ব্যাপটিস্ট হেলথ রিচমন্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে ব্রেন ডেড ঘোষণা করা হয়। এরপর অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি (Organ Donor) প্রতিস্থাপন যোগ্য কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। এরপর অপারেশন টেবিলে তোলা হলে আচমকা নড়েচড়ে বসেন তিনি। আমেরিকার নিউ ইয়র্ক (America) পোস্ট এই বিষয় নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, অস্ত্রোপচার করতে গেলে হুভারের শরীরে প্রাণের অস্তিত্ব মেলে বলে জানান হাসপাতালের কর্মীরা। রীতিমতো টেবিলেই ছটফট করতে থাকেন তিনি। এমন কী তাঁর চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ার কথাও বলেন হাসপাতালের কর্মীরা। এক কর্মী আরও বলেন, “অঙ্গদানকারী ওই রোগীর অবস্থা দেখে দুই চিকিৎসক পিছু হটেন। কিন্তু তখনও রোগীর শরীর থেকে অঙ্গ বের করতে রাজি হননি দুই চিকিৎসক। তবুও কেন্টাকি অর্গ্যান ডোনার অ্যাফিলিয়েটস-এর পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এমন কী রোগীর দেহে ওষুধ প্রয়োগ করে নিস্তেজ করে শরীর থেকে অঙ্গ বের করে নেওয়া হয়।” উল্লেখ্য এই ঘটনা অত্যন্ত অমানবিক বলে মন্তব্য করেন ওই কর্মী।

    আরও পড়ুনঃ এবার মলদ্বীপেও চালু হতে চলেছে ভারতের ইউপিআই ব্যবস্থা, ঘোষণা মুইজ্জুর

    চোখ খোলার অর্থ বেঁচে থাকা নয়

    এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক নাতাশা মিলার বলেন, “ওই সময় অত্যন্ত ছটফট করছিলেন হুভার। আমি স্পষ্ট দেখতে পেয়েছি ওর চোখ দিয়ে জল পড়ছিল। হৃদযন্ত্র (Organ Donor) অঙ্গদানের উপযুক্ত কিনা যখন পরীক্ষা করা হচ্ছিল, সেই সময় জেগে উঠেছিলেন হুভার।” আবার হুভারের দিদি ডনা বোরার বলেন, “আইসিইউ থেকে যখন বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেই সময় ভাই চোখ খুলেছিলেন। হাসপাতালে জানালে ওরা আমায় বলে, চোখ খোলা রিফ্লেক্স মাত্র। চোখ খোলার অর্থ বেঁচে থাকা নয়। হয় তো বেঁচে ছিলেন দাদা, বোঝাতে চেয়েছিলেন।” কিন্তু শেষ পর্যন্ত শরীরের সব অঙ্গ কেটে বের করা হয়নি। কোডা-র কর্মীদের মধ্যে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেন। কেউ কেউ আবার হাসপাতাল থেকে পদত্যাগও করেন।

    তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করছেন। কেন্টাকির অ্যাটার্নি জেনারেল বলেন, গোয়েন্দারা তদন্ত করছেন। তবে হুভার এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তবে সবকিছু স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: আয়লার মতো দাপট হবে সাইক্লোন ‘দানা’র! ল্যান্ডফল বৃহস্পতিবার? প্রস্তুত এনডিআরএফ

    Cyclone Dana: আয়লার মতো দাপট হবে সাইক্লোন ‘দানা’র! ল্যান্ডফল বৃহস্পতিবার? প্রস্তুত এনডিআরএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর আগেই আবহাওয়ার বড় পরিবর্তনের আশঙ্কা। চোখ রাঙাতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। আর এই ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই ওড়িশা ও বাংলার উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশা-বাংলার কাছে পৌঁছবে ‘দানা’। তবে বুধবার থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে শুরু করবে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকবে উপকূলে। ঝড় কোথায় আছড়ে পড়বে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবুও, সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে তৎপর নবান্ন। আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ডানা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক বসেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের ক্যাবিনেট সেক্রেটারি রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন সোমবার। ঘূর্ণিঝড় ও তার প্রভাব নিয়ে কেন্দ্রের জাতীয় বিপর্যয় ম্যানেজমেন্ট কমিটির এই বৈঠক হয়।

    প্রস্তুতির তথ্য তলব কেন্দ্রের (Cyclone Dana)

    এই ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) নিয়ে রাজ্যের তরফে কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট নেয় কেন্দ্র। রবিবার মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ বুলেটিন প্রকাশ করা হয়। সেখানেই জানানো হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরের ওপর থাকা ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপ অঞ্চলে পরিণত হতে পারে। এই নিম্নচাপ অঞ্চল সাগরের ওপর দিয়ে ক্রমেই পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে পারে। ফলে, ২২ অক্টোবর, মঙ্গলবার সকালে সেই নিম্নচাপ অঞ্চল শক্তিবৃদ্ধি করে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ঠিক এর পরের দিন, অর্থাৎ ২৩ অক্টোবর, বুধবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

    আয়লার আতঙ্ক!

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে বইতে পারে ঝড়। ফলে, সমুদ্র উত্তাল হবে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ২০০৯ সালে আয়লা ঘূর্ণিঝড়েরও গতিবেগ ছিল ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। তাই আবারও ঝড়ের (Cyclone Dana) প্রভাবে সব তছনছ হয়ে যেতে পারে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাত কাটাচ্ছেন উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। ‘দানা’ ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে ত্রস্ত সুন্দরবনের উপকূল এলাকা।  সোমবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে সব মৎস্যজীবী ট্রলারকে উপকূলে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। একটানা তিন দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে, সঙ্গে ঝড়। পূর্বাভাসে এমনটাই বলা হয়েছে। বাড়তে পারে সমুদ্র ও নদীর জলস্তর।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’, কোন দেশ দিয়েছে এই নাম? কীভাবে হয় নামকরণ?

    মাইকিং করে সতর্ক!

    জেলার সুন্দরবন উপকূলে বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসনও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। সুন্দরবন পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে উপকূলবর্তী সাগর, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, বকখালি, পাথরপ্রতিমা ও রায়দিঘি এলাকায় মাইক নিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কাকদ্বীপ মহকুমার সাগর, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা ও নামখানা ব্লকে সাইক্লোন (Cyclone Dana) সেন্টার খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গঙ্গাসাগরের কচুবেড়িয়া ঘাটে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা মাইকিং করে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেন। আর যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের ফিরে আসার কথা বলা হচ্ছে। এছাড়াও উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষদেরকে সতর্ক করা হচ্ছে মাইকিং এর মাধ্যমে। বাঁধের কাছে বসবাসকারী বাসিন্দাদের ধীরে ধীরে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিভিল ডিফেন্স, এসডিআরএফ এবং এনডিআরএফকে (NDRF) সতর্ক করে সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে সুন্দরবনের উপকূল এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে মোতায়েন করা হতে পারে ওই বিশেষ বাহিনী।

    খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম

    ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েতগুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কাকদ্বীপ মহকুমা শাসকের দফতরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেচ দফতরের আধিকারিক এবং কর্মীরা বাঁধের ওপর নজরদারি চালাবে। কোথাও কোনও বাঁধে (Cyclone Dana) সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত মেরামত করা হবে বলে সেচ দফতরের নির্দেশ। পঞ্চায়েত এবং ব্লক অফিসগুলিতে শুকনো খাবার, পানীয় জলের পাউচ এবং ত্রিপল মজুদ করা হচ্ছে। উপকূল এলাকায় নজরদারি চালাতে বিডিও অফিসগুলোতেও একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

    সব থেকে ক্ষতি কোথায় হবে?

    হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘুর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত, বাংলাদেশ ও মায়ানমার। ‘দানা’ সম্পর্কে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে দক্ষিণ ভারতে মুষলধারে বৃষ্টি হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়টি ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের হিসেব বলছে, আন্দামান সাগরের ঘূর্ণাবর্ত ঘনীভূত হয়ে বঙ্গোপসাগরের দিকে আসছে। আগামিকাল মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির প্রবল সম্ভবনা। এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসবে ওড়িশা উপকূলের দিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: আতঙ্ক কাটাতে হাসপাতালের লাশকাটা ঘরেই শুরু হয়েছিল মা কালীর আরাধনা!

    Kali Puja 2024: আতঙ্ক কাটাতে হাসপাতালের লাশকাটা ঘরেই শুরু হয়েছিল মা কালীর আরাধনা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় শবদেহ রাখা হত। হাসপাতাল অন্যত্র সরে গেলেও ঘরটি রয়ে যায় পুরনো জায়গাতেই। তাই শবঘর বা লাশকাটা ঘর নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের বেশ ভালোরকম আতঙ্ক ছিল। সেই ভয়ের জন্য বালুরঘাটের প্রাইভেট বাসস্ট্যান্ড এলাকা এড়িয়ে চলতেন বাসিন্দারা। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাটাতেই শুরু হয় কালীপুজো। সেই থেকে কালিকাই ভয়-ভীতি কাটিয়েছেন সাধারণের। বালুরঘাট শহরের এই দেবী জাগ্রত (Kali Puja 2024) হিসেবে পরিচিত। চৈত্র সংক্রান্তিতে বাৎসরিক পুজো হলেও, কার্তিক মাসের প্রথম অমাবস্যায় মায়ের পুজো ঘিরে বাড়তি উন্মাদনা তৈরি হয়।

    বছর ৫০ আগে এই পুজোর সূচনা (Kali Puja 2024)

    বালুরঘাট শহরের প্রাইভেট বাসস্ট্যান্ড এলাকার এই পুজো মোটরকালী পুজো নামে পরিচিত। এটি তেমন প্রাচীন না হলেও এর অতীত বেশ সমৃদ্ধ। প্রায় বছর ৫০ আগে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন গাড়ি অর্থাৎ মোটর মালিকরা। স্থানীয়ভাবে আগে গাড়ির প্রচলিত শব্দ ছিল মোটর। বর্তমানে যেখানে মোটরকালী পুজো হয়, সেখানে আগে ছিল ফুটানিগঞ্জের হাট। এর কিছুটা দূরে ছিল পশ্চিম দিনাজপুরের জেলা হাসপাতালটি। আর হাসপাতালের লাশকাটা ঘরটি ছিল ফুটানিগঞ্জের হাটের মধ্যে। পরবর্তীতে জেলা হাসপাতালটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় রঘুনাথপুর এলাকায়। কিন্তু ফুটানিগঞ্জের হাটের মধ্যে থাকা লাশকাটা ঘর এবং লাশ বহনকারী গাড়ি থেকে যায় পরিত্যক্ত অবস্থায়। এই লাশকাটা ঘরের অদূরে ছিল একটি প্রাইভেট গাড়ির স্ট্যান্ড। দিনের বেলা কিছু গাড়ি চলাচল করত। সপ্তাহে হাটের দিন বাদ দিয়ে সাধারণ মানুষ ওই চত্বরে যাওয়ার সাহস পেত না। ভূতের ভয় সাংঘাতিকভাবে কাজ করত সাধারণ মানুষের মধ্যে।

    লাশকাটা ঘরে মা কালীর মুর্তি

    আতঙ্ক কাটাতে এগিয়ে আসেন এলাকার প্রবীণরা। জুজু সরাতে স্ট্যান্ডের বাস মালিকরা পরিত্যক্ত লাশকাটা ঘরে মা কালীর মুর্তি (Kali Puja 2024) স্থাপন করেন। নাম দেওয়া হয় মোটরকালী। এরপর থেকে পাঁঠাবলি ও অনান্য নিয়ম মেনে নিষ্ঠা সহকারে পূজিতা হয়ে আসছেন মোটরকালী। তবে মন্দিরে মায়ের পুজোর আগে ঘাটপু্জো দিতে হয় পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রেয়ী খাঁড়িতে। সেখানেই নাকি ঈশ্বরীয় কিছু ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন বহু মানুষ। কথিত আছে যেখানে ঘাটকালীর পুজো দেওয়া হয়, সেখানকার জল নাকি শুকোয় না কখনও। পরীক্ষামূলক ভাবে সেচ লাগিয়েও তা সম্ভব হয়নি বলে প্রমাণ হয়েছে। খরার সময় আশেপাশে জল শুকিয়ে গেলেও জল থেকে যায় আত্রেয়ী খাঁড়িতে।

    বছরে দু’বার মায়ের পুজো (Kali Puja 2024)

    এই বিষয়ে মন্দিরের পুরোহিত বলেন, এই মন্দির বহু পুরনো। মানুষের মধ্যে ভুতের ভয় কাটাতে এইখানে (Balurghat) এই মায়ের পুজো শুরু হয়েছিল। মায়ের পুজো দেবার পর মানুষের মধ্যে ভুতের ভয় কাটে। তারপর থেকে বছরে দুবার মায়ের পুজো হয়। চৈত্র সংক্রান্তিতে মায়ের বাৎসরিক পুজো হয় ও কার্তিক মাসের প্রথম অমাবস্যায় মায়ের পুজো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share