Tag: Madhyom

Madhyom

  • Jana Sangh: ১৯৫১ সালের ২১ অক্টোবর প্রতিষ্ঠা, ফিরে দেখা জনসঙ্ঘের প্রথম দিকের ইতিহাস

    Jana Sangh: ১৯৫১ সালের ২১ অক্টোবর প্রতিষ্ঠা, ফিরে দেখা জনসঙ্ঘের প্রথম দিকের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৫১ সালের আজকের দিনেই (২১ অক্টোবর) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ভারতীয় জনসঙ্ঘ (Jana Sangh)। জনসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস জানতে সমসাময়িক ভারতের ইতিহাস জানাটাও জরুরি। জানতে হবে, কেন প্রয়োজন হল কংগ্রেসের বিকল্প রাজনৈতিক দলের? ১৯৪৮ সালে গান্ধী হত্যার পরবর্তীকালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে (RSS) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৯৪৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয় আরএসএস-এর সরসঙ্ঘচালক গুরুজি গোলওয়ালকরকে। দেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে তখন কংগ্রেসের একচ্ছত্র আধিপত্য। কংগ্রেসের যে কোনও ভ্রান্ত নীতির বিরোধিতা করার জন্য সংসদের ভিতের এবং রাজপথে জাতীয়তাবাদী আওয়াজের প্রয়োজন হয়। দেশের আইনসভাগুলিতে কংগ্রেসের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভাবধারা সম্পন্ন কোনও রাজনৈতিক দল ছিল না। এটা পরিষ্কার হয় যে শাসকের যে কোনও ভুল অথবা জাতীয়তাবাদ বিরোধী সিদ্ধান্তের মোকাবিলা শুধুমাত্র সামাজিক সংগঠনের পক্ষে সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি সঙ্ঘকে (RSS) নিষিদ্ধ করার পরে রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে শাসকের রাজনৈতিক আক্রমণ মোকাবিলা করার জন্য।

    ‘অর্গানাইজার’ পত্রিকায় লেখা হয় রাজনৈতিক দল গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা 

    তৎকালীন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ভিতরেও রাজনৈতিক দল গঠনের কথা বলতে থাকেন অনেকেই। ১৯৪৯ সালেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ‘অর্গানাইজার’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক কেআর মালকানি, তাঁর নিজের লেখায় তুলে ধরেন রাজনৈতিক দল গঠন করা কেন প্রয়োজন। সঙ্ঘের তৎকালীন সরসঙ্ঘচালক গুরুজি গোলওয়ালকরকে তখন অনেকেই অনুরোধ করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে (RSS) রাজনৈতিক দলে পরিবর্তিত করার জন্য। কিন্তু গুরুজি গোলওয়ালকর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সামাজিক কার্যপদ্ধতি বদল করতে চাননি।

    গোলওয়ালকার-শ্যামাপ্রসাদ বৈঠক ও জনসঙ্ঘের (Jana Sangh) প্রতিষ্ঠা 

    ১৯৪৮ সালের ২ নভেম্বর এক বিবৃতি দিয়ে সর সঙ্ঘচালক পরিষ্কার করে দেন যে আরএসএস-এর (RSS) কোনও রাজনৈতিক লক্ষ্য নেই। এমন সময়েই গুরুজি গোলওয়ালকারের সঙ্গে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের (Syama Prasad Mukherjee) বৈঠক হয়, জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে। রাজনীতির ক্ষেত্রে গুরুজি কয়েকজন স্বয়ং সেবককে পাঠান। তাঁরা হলেন — দীনদয়াল উপাধ্যায়, অটল বিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আদবানি, জগদীশ মাথুর, সুন্দরসিং ভাণ্ডারি প্রমুখ। শুরু হয় ভারতীয় জনতা পার্টির পূর্বতন ভারতীয় জনসঙ্ঘের যাত্রা। ১৯৫১ সালের ২১ অক্টোবর দিল্লির ‘রাঘোমাল আর্যকন্যা হাইস্কুলে’ প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতীয় জনসঙ্ঘ (Jana Sangh)। প্রথম সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।

    প্রতীক ছিল প্রদীপ, প্রথম অধিবেশনে প্রায় ২০০ নেতা-কর্মী হাজির ছিলেন, পেশ করা হয় ৮ দফা দাবি

    জনসঙ্ঘের (Jana Sangh) প্রতীক ছিল প্রদীপ। ভারতীয় জনসঙ্ঘের প্রথম অধিবেশনে প্রায় ২০০ নেতা-কর্মী হাজির ছিলেন। ওইদিনই দল  ৮ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে। এগুলি হল-  অখণ্ড ভারত, পাকিস্তানের প্রতি তোষণনীতি বর্জন, দেশের স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে স্বাধীন বৈদেশিক নীতি, বিতাড়িত উদ্বাস্তুদের জন্য পাকিস্তান থেকেই ক্ষতিপূরণ নেওয়া, দেশীয় পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি (বিশেষত খাদ্য ও বস্ত্রের) এবং শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ, ভারতীয় সংস্কৃতির বিকাশ, প্রতিটি নাগরিকের জন্য সমান অধিকার (পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, জাতি বা বর্ণ অনুযায়ী বিভেদ না করা), বিহারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সীমানা পুনর্বিন্যাস। ‘অর্গানাইজার’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক কেআর মালকানি এবং আর্য সমাজের নেতা লালা হংসরাজ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন ভারতীয় জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠায়। পরবর্তীকালে ১৯৭৭ সালে লালা হংসরাজ দিল্লি পুরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। অন্যদিকে, কেআর মালকানি পরবর্তীকালে রাজ্যসভার সাংসদ হন।

    জনসঙ্ঘের (Jana Sangh) বিভিন্ন সাংগঠনিক ধাপ কেমন ছিল 

    প্রতিষ্ঠার পরেই জনসঙ্ঘের নেতা-কর্মীরা সংগঠন বিস্তারের কাজ শুরু করেন। স্থানীয় শাখাগুলির নাম ছিল সমিতি। সমিতির কাজ দেখাশোনা করত মণ্ডল কমিটি। মণ্ডল কমিটির ওপরে ছিল জেলা কমিটি। তারপর রাজ্য কমিটি। জনসঙ্ঘ ছিল ক্যাডার ভিত্তিক দল। সেই রীতি বর্তমান দিনে বিজেপিতেও চলছে। প্রতিষ্ঠার কয়েক বছরের মধ্যেই জনসঙ্ঘ (Jana Sangh) ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকে। উত্তর ও মধ্য ভারতের প্রায় সব রাজ্যে এবং পশ্চিমবঙ্গে গঠিত হয় দলের কমিটি। প্রতিষ্ঠার পর পরেই সমগ্র দেশের চারটি অঞ্চলকে দেখভাল করতেন চারজন নেতা। উত্তর ভারতের কাজ দেখতেন বলরাজ মাধোক, পূর্ব ভারতের সংগঠন দেখতেন নানাজি দেশমুখ,পশ্চিম ভারতের সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন সুন্দর সিং ভাণ্ডারি এবং দক্ষিণ ভারতে দলের কাজ দেখতেন জগন্নাথ রাও।

    ১৯৫১ সালের নির্বাচনে জনসঙ্ঘের ইস্তেহারে দেশকে ‘ভারত মাতা’ সম্বোধন করা হয়

    ২১ অক্টোবর ১৯৫১ সালে পথ চলা শুরু হয় ভারতীয় জনসঙ্ঘের (Jana Sangh)। প্রতিষ্ঠার দু’মাসের মধ্যেই পার্টিকে লড়তে হয় স্বাধীন ভারতের প্রথম লোকসভা নির্বাচন। প্রসঙ্গত, দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫১ সালের ডিসেম্বর মাসে। জনসঙ্ঘের নির্বাচনী ইস্তেহারে দেশকে ‘ভারত মাতা’ সম্বোধন করা হয় এবং ‘দেশের স্বার্থ সবার ঊর্ধে’ (Nation First) একথা বলা হয়। ওই নির্বাচনী ইস্তেহারে আরও বলা হয়, দল ক্ষমতায় এলে গ্রামীণ অর্থনীতি মজবুত করা হবে, কৃষি ও শিল্পভিত্তিক অর্থনীতিতে জোর দেওয়া হবে। নির্বাচনী ইস্তেহারে ‘স্বদেশিয়ানা’র উল্লেখও করা হয়।

    প্রথম সাধারণ নির্বাচনে বাংলা থেকে জোড়া আসন জয়

    দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে মোট আসনের সংখ্যা ছিল ৪৮৯। এরমধ্যে ৯৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করে ভারতীয় জনসঙ্ঘ (Jana Sangh)। ৩টি আসনে জয় পায় দল।  দক্ষিণ কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ) থেকে জেতেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Syama Prasad Mukherjee), মেদিনীপুর (পশ্চিমবঙ্গ) থেকে জেতেন দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, চিতোর (রাজস্থান) থেকে জেতেন উমাশঙ্কর ত্রিবেদী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Fake Buddhist Monk: ১০ বছর বৌদ্ধ সন্ন্যাসী সেজে ভারতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন! গয়ায় গ্রেফতার বাংলাদেশি

    Fake Buddhist Monk: ১০ বছর বৌদ্ধ সন্ন্যাসী সেজে ভারতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন! গয়ায় গ্রেফতার বাংলাদেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর (Fake Buddhist Monk) ভেক ধরে টানা প্রায় ১০ বছর ভারতে গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পর এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার বিহারের গয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Gaya airport) থেকে আটক করা হয় তাঁকে। ধৃত এই অসাধু যুবকের নাম বাবু জো বড়ুয়া ওরফে রাজীব দত্ত। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনায় রীতিমতো অবাক পুলিশ।

    চতুর ভাবে পুলিশকে ধুলো দিয়ে ছিলেন (Fake Buddhist Monk)

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এত বছর ধরে নিজের আসল পরিচয় গোপন করে বুদ্ধ গয়ায় (Gaya airport) ঘাঁটি গেড়েছিলেন ওই বাংলাদেশি যুবক। এখনেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না। রীতিমতো আটঘাট বেঁধে বিলাসবহুল জীবন-যাপন করছিলেন ওই যুবক। দীর্ঘদিন অত্যন্ত চতুরভাবে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে আস্তানা গেড়ে ছিলেন।

    তাইল্যান্ড যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল

    জানা গিয়েছে, শনিবার ভারত থেকে তাইল্যান্ড যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন ওই যুবক (Fake Buddhist Monk)। এরপর নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে প্রশ্ন করলে তাঁর বক্তব্যের মধ্যে একাধিক অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়। আধিকারিকরা প্রশ্ন করতেই একে একে সত্য কথা উগড়ে দেন জাল সন্ন্যাসী। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে হাজতে পাঠিয়ে দেয়। পুলিশের অবশ্য দাবি, বিমানবন্দরে দেখেই কর্তব্যরত অভিবাসন আধিকারিকদের সন্দেহ হয়। আচরণ খুব একটা সুবিধাজনক বলে মনে হয়নি। তবে সন্ন্যাসীর কাছে ভারতের পাসপোর্ট উদ্ধার হয় (Fake Buddhist Monk)। নিজেই শিকার করেন যে তিনি ভারতীয় নয়, বাংলাদেশি। বেআইনি ভাবে ভারতে বসবাস করছিলেন। তবে জেরায় আরও বেশকিছু পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে। এক একটি পাসপোর্টে আলাদা আলাদা পরিচয় রয়েছে তাঁর। ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ স্বরূপ আধার কার্ড এবং প্যান কার্ডও বাজেয়াপ্ত করা হয়। একইভাবে ভারত এবং তাইল্যান্ডের মুদ্রা পাওয়া যায় তাঁর কাছ থেকে। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয় ইউরো এবং মার্কিন ডলারও।

    আরও পড়ুনঃ আজ আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠা দিবস, নেতাজিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অমিত শাহের

    পুলিশের বক্তব্য

    গয়ার সিনিয়র সুপারিনটেন্ডেণ্ট অফ পুলিশ আশিস ভারতী বলেন, “ধৃত ব্যক্তি (Fake Buddhist Monk) আদতে বাংলাদেশের নাগরিক। সেই পরিচয় গোপন করে গত ১০ বছর ধরে তিনি ভারতে বসবাস করছিলেন। তাঁর কাছে ভারতে থাকার ভিসা ছিল না। বাংলাদেশের বৈধ পাসপোর্টও ছিল না। একাধিক ভুয়ো ও জাল নথি উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা তাঁকে গ্রেফতার করে হাজতে পাঠিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISL Kolkata Derby: ডার্বির উন্মাদনার কাছে ফিকে বিশ্বকাপও! গোল করে আপ্লুত সবুজ-মেরুনের ম্যাকলারেন

    ISL Kolkata Derby: ডার্বির উন্মাদনার কাছে ফিকে বিশ্বকাপও! গোল করে আপ্লুত সবুজ-মেরুনের ম্যাকলারেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় দলের জার্সি গায়ে বিশ্বকাপ (ISL Kolkata Derby) খেলার অনুভূতি আলাদা কিন্তু ডার্বির উন্মাদনা সবকিছুকে ছাপিয়ে যায়। আইএসএল ডার্বি জয়ের পর এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলারেন। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এখনও অবধি দুটো ম্যাচ খেলেছেন তিনি। দুটো ম্যাচেই গোল। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলারেনকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছেন মোহনবাগান সমর্থকরা। সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে গোল করতে পেরে আপ্লুত ম্যাকলারেনও। তাঁকে নিয়ে মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্টও উচ্ছ্বসিত। ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে আইএসএল টেবলে আপাতত দু’নম্বরে উঠে এসেছে  মোহনবাগান (Mohun Bagan super Giant)।

    কী বললেন ম্যাকলারেন

    ডুরান্ড ডার্বি (ISL Kolkata Derby) বাতিল হয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই আইএসএলে মরসুমের প্রথম ডার্বি ঘিরে উন্মাদনাও ছিল তুঙ্গে। বড় ম্যাচ সব সময়ই নায়কের জন্ম দেয়। প্রথম বার কলকাতা ডার্বিতে নেমেছিলেন ম্যাকলারেন। আর প্রথম বড় ম্যাচেই গোল। আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে বড় ম্যাচের অন্যতম নায়ক অজি বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলারেন বলছেন, ‘বিশ্বকাপে খেলেছি। এ ছাড়াও অনেক বড় ম্যাচেই খেলেছি। কিন্তু এই কলকাতা ডার্বি অসাধারণ। এই ম্যাচে গোল করে সবার সঙ্গে সেলিব্রেশন দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। সত্যি বলতে আরও সেলিব্রেট করতে চেয়েছিলাম। ইচ্ছে করছিল ফেন্সিং টপকে সমর্থকদের মাঝে চলে যাই। তবে এখনও আরও ম্যাচ বাকি আছে। এমন সুযোগ আরও পাব।’

    মোলিনার চালে মাত

    পরপর দুটো ডার্বি (ISL Kolkata Derby) জয়। ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে মোহনবাগানের (Mohun Bagan super Giant) আইএসএল টেবলে দু’নম্বরে উঠে আসে। এর পিছনে রয়েছে মোহনবাগানের নতুন কোচ মোলিনার ম্যান ম্যানেজমেন্ট নীতি। মোলিনা চার বছর ধরে স্পেনের মতো বিশ্বের সেরা ফুটবল টিমের স্পোর্টিং ডিরেক্টরের কাজ করায় ম্যান ম্যানেজমেন্টে খুব ভালো। তাই তিনি দ্রুত তিন ব্যাকের বদলে মহামেডান ম্যাচ থেকে চার ব্যাকে টিম সাজানো শুরু করেন। যা তাঁর রক্ষণের ছবিটাকেই বদলে দেয়। দুই ডার্বিতে ক্লিনশিট রেখেছে মোলিনার টিম। তাঁর ম্যান ম্যানেজমেন্ট দক্ষতাতেই টিমের তিন অজি বিশ্বকাপার— ম্যাকালারেন, দিমিত্রি, কামিংসরা রিজার্ভ বেঞ্চে বসলেও টিম স্পিরিটে ধাক্কা খাচ্ছে না। অ্যাটাকে বৈচিত্র্য আনতে স্টুয়ার্টকে ফ্রি ফুটবলার হিসেবে খেলানোটাই মোলিনার বড় চাল। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে দাপুটে ফুটবলে মোলিনার মার্কিং নীতিও দারুণভাবে কাজে লেগেছে। তিনি জানতেন, লাল হলুদের দুই মিডফিল্ডার সল ক্রেসপো আর মাদিহ তালাল টিমটাকে চালনা করেন। এই দু’জনেই ক্রমাগত উইংয়ে বল সাপ্লাই করে যান। আর সেই বলেই প্রান্তিক অ্যাটাকে ঝড় তোলেন মহেশ-নন্দরা। মোলিনা তাই শনিবার রাতে ক্রেসপোর পিছনে অনিরুদ্ধ থাপা আর তালালের পিছনে আপুইয়াকে লাগিয়ে দেন। আর তাতেই জারিজুরি শেষ লাল হলুদের মাঝমাঠের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UPI in Maldives: এবার মলদ্বীপেও চালু হতে চলেছে ভারতের ইউপিআই ব্যবস্থা, ঘোষণা মুইজ্জুর

    UPI in Maldives: এবার মলদ্বীপেও চালু হতে চলেছে ভারতের ইউপিআই ব্যবস্থা, ঘোষণা মুইজ্জুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হাসি হাসল ভারতই! ভারতের ইউপিআই ব্যবস্থা এবার চালু হতে চলেছে দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপেও (UPI in Maldives)। অনলাইনে টাকা লেনদেন বা কোনও কিছু কেনাকাটা করতে ভারতে ব্যবহার করা হয় ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস, সংক্ষেপে ইউপিআই (UPI)। এই ব্যবস্থারই সুবিধা এবার মিলবে মলদ্বীপে। ফলে মলদ্বীপ বেড়াতে গিয়ে আর নগদ লেনদেনর ঝক্কি পোহাতে হবে না ভারতীয়দেরও। সম্প্রতি এই মর্মে ঘোষণা করেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু (Md Muizzu)।

    মহম্মদ মুইজ্জু চিনপন্থী (Md Muizzu)

    মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু চিনপন্থী। তাঁর আমলে নানা কারণে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে মলদ্বীপের। তার জেরে মলদ্বীপ বয়কটের ডাক দেন ভারতীয় পর্যটকরা। পেটে টান পড়ে দ্বীপরাষ্ট্রের। কারণ ফি বছর যত পর্যটক মলদ্বীপ বেড়াতে যান, তার সিংহভাগই ভারতীয়। এর পরেই নড়েচড়ে বসে মুইজ্জু প্রশাসন। চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতে আসেন তিনি। নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর। সেখানেই মলদ্বীপকে ডিজিটাল ও আর্থিক দিক থেকে সহায়তার আশ্বাস দেয় নয়াদিল্লি। তার পরেই দ্বীপরাষ্ট্রের মন্ত্রিসভায় ভারতীয় ইউপিআই (UPI in Maldives) ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    চালু হচ্ছে ইউপিআই

    দেশে ইউপিআই চালু করার আগে একটি কেন্দ্রীয় সহায়তা ব্যবস্থা চালু করার কথা ঘোষণা করেন মুইজ্জু। জানিয়ে দেন, দ্বীপরাষ্ট্রের সমস্ত ব্যাঙ্ক, টেলিকম সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাকে ওই ব্যবস্থার অধীনে আনা হবে। অর্থমন্ত্রক, প্রযুক্তি মন্ত্রক-সহ একাধিক মন্ত্রককে ইউপিআই চালু করার বিষয়ে একত্রে কাজ করতে বলা হয়েছে।মলদ্বীপ সরকারের আশা, দেশে এই ব্যবস্থা চালু (UPI in Maldives) হলে অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটবে। বৃদ্ধি পাবে আর্থিক লেনদেন। ডিজিটাল পরিকাঠামোও উন্নত হবে আগের চেয়ে ঢের বেশি। মুইজ্জু (Md Muizzu) সরকারের তরফে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে উপনির্বাচন, রাজ্যের পাঁচ জেলায় আবাস যোজনার সমীক্ষা বন্ধের আর্জি বিজেপির

    এর আগেও একবার ভারত সফরে এসেছিলেন মুইজ্জু। সেবার মলদ্বীপে রুপে কার্ড চালু করেছিল ভারত। প্রতিবছর যে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় পর্যটক মলদ্বীপ বেড়াতে যান, তাঁদের জন্যই চালু হয়েছিল ওই রুপে কার্ড। ভারত ভ্রমণে আসা মলদ্বীপের পর্যটকরাও (UPI in Maldives) এই কার্ডের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। রুপে কার্ডের পর এবার সে দেশে চালু হয়ে গেল ইউপিআই সিস্টেম (Md Muizzu)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NCERT: ‘সাথী পোর্টাল’ চালু এনসিইআরটি-র, বিনামূল্যে কোচিং পাবেন জেইই-নিট পরীক্ষার্থীরা

    NCERT: ‘সাথী পোর্টাল’ চালু এনসিইআরটি-র, বিনামূল্যে কোচিং পাবেন জেইই-নিট পরীক্ষার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইঞ্জিনিয়ারিং (JEE), মেডিক্যাল (NEET) এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (NCERT) ‘সাথী পোর্টাল ২০২৪’ (Sathee Portal) চালু করেছে। পোর্টালে হিন্দি, ইংরেজি এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষায় অধ্যয়ন করা এবং নিখরচায় কোচিং-এর সুব্যবস্থা রয়েছে। এই কোচিং ক্লাসের সুবিধা নিতে ছাত্র-ছাত্রীদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

    উপকৃত হবেন ৪.৩৭ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী (NCERT)

    ‘সাথী’ (Sathee Portal) প্ল্যাটফর্ম একটি সম্পূর্ণ অনলাইন ব্যবস্থা, যা শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়তা করার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই অনলাইন কোচিং-এ বিনামূল্যে পাঠ্যক্রমের উপকরণ, ভিডিও পাঠ, মক টেস্ট এবং বিশেষজ্ঞ দ্বারা নির্দেশিকা প্রদান করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মটি সমাজের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের সহায়তা করবে। তবে এই কোচিং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি ২০২০)-এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে, সরকার এই বিনামূল্যে কোচিং প্রোগ্রামের মতো উদ্যোগগুলিতে শিক্ষা গ্রহণে সমানাধিকার দেওয়ার ভাবনাকে সুনিশ্চিত করা হয়েছে। ‘সাথী’ পোর্টালে মাধ্যমে পড়াশুনার উপকরণ সরবরাহ করে সরকার শিক্ষাগত বৈষম্য কমাতে এবং দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের জন্য সমান সুযোগের প্রচার করতে চায়। এই উদ্যোগের মাধ্যমে উপকৃত হতে ৪.৩৭ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী এখনও পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    এনসিইআরটি সাথি পোর্টাল কীভাবে কাজ করে?

    এনসিইআরটি (NCERT) ‘সাথী পোর্টাল’ (Sathee Portal)-এ সাইন আপ করার পরে, শিক্ষার্থীরা ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিসিন বা এসএসসি-র মতো পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন। লাইভ পাঠদান, অনুশীলন, এনসিইআরটি-ভিত্তিক বই এবং সমাধানসূত্র সূচক ভিডিওগুলিকে দেখা এবং পড়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। একই ভাবে সীমিত ইন্টারনেট সংযোগ যুক্ত এলাকাগুলিতে পড়ুয়াদের এই পরিষেবা দিতে সম্পূর্ণ কোচিং ক্লাসের প্রোগ্রামকে ডিটিএইচ (DTH) চ্যানেলের মাধ্যমেও সম্প্রচার করা হবে। পোর্টালে একটি চ্যাটবক্স উপলব্ধ থাকবে, যাতে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন রাখতে সহায়ক হয় এবং দ্রুত সমাধান সূত্রও দেওয়া হবে। রবিবার এবং সরকারি ছুটির দিন ছাড়া পোর্টালটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাজ করবে। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার অপার সম্ভাবনার রাস্তা খুলে যাবে।

    সাথী পোর্টালের মূল বৈশিষ্ট্য

    জেইই (JEE) এবং অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে সাহায্য করার জন্য ৪৫ দিনের ক্র্যাশ কোর্স চালু করা হয়েছে। সর্বভারতীয় পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এই ধরনের কোচিং (NCERT) উপলব্ধ হলে ছাত্রছাত্রীরা দারুণভাবে উপকৃত হবেন। একই ভাবে গেট (GATE), ক্যাট (CAT), এবং ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষার প্রার্থীদের জন্যও পোর্টালটি ভীষণ ভাবে কার্যকরী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আবার আইআইটি (IIT), এনআইটি (NIT) এবং এইমস (AIIMS)-এর মতো জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা নানা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির ক্লাস করাবেন। এতে শিক্ষার্থীরা ভীষণ ভাবে উপকৃত হবেন। লাইভ ইন্টারেক্টিভ সেশনের মাধ্যমে গাইডেন্স দেওয়া হবে। যেখানে পরামর্শদাতা শিক্ষক এবং সিনিয়র ছাত্ররাও অংশগ্রহণকারীদের সহায়তা প্রদান করতে পারবেন।

    একাধিক আঞ্চলিক ভাষায় হবে কোচিং

    পোর্টালটিতে (NCERT) ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিসিন এবং এসএসসি সম্পর্কিত বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় ভিডিও লেকচার উপলব্ধ করা হয়েছে। বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার পটভূমিতে শিক্ষার্থীরা বিষয়বস্তু বুঝতে দারুণ ভাবে উপকৃত হবেন। একই ভাবে একটি এআই-চালিত স্ব-মূল্যায়নের ব্যবস্থা থাকবে, যা শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি এবং পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি মূল্যায়ন করতে সহায়ক হবে। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুর্বলতাগুলি সনাক্ত করে তার সমাধানেরও ব্যবস্থা থাকবে। একই ভাবে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা মক টেস্ট এবং সমস্যা সমাধানের সেশনও রয়েছে। যা শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষার অভিজ্ঞতা দেবে।

    আরও পড়ুনঃ মোদি সরকারের উন্নয়ন যজ্ঞ রোধ করাই লক্ষ্য! কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় নিহত ডাক্তার সহ ৭

    কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন?

    ‘সাথী’ পোর্টালে (Sathee Portal) নাম নথিভুক্ত করতে নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করুন। যথা-

    ১> প্রথমে sathee.prutor.ai লিঙ্কটি অনুসরণ করে অফিসিয়াল ভাবে এনসিইআরটি (NCERT) ওয়েবসাইটে যান।

    ২> এরপর আপনার নাম, ইমেল ঠিকানা, এবং পূর্ববর্তী একাডেমিক বিবরণ প্রবেশ করে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।

    ৩> তারপর আপনি যে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে চান তা বেছে নিন, যেমন- জেইই (JEE), নিট (NEET) বা এসএসসি (SSC)।

    একবার রেজিস্ট্রেশন (Sathee Portal) হয়ে গেলে, আপনি লাইভ সেশনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। স্ব-মূল্যায়ন সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারবেন এবং ভিডিও লেকচারগুলি দেখার সুযোগ পাবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: কেজরির শিশমহলের কড়ি-বর্গায়ও জমিদারির ছাপ, আপ নেতার হলটা কী?

    Arvind Kejriwal: কেজরির শিশমহলের কড়ি-বর্গায়ও জমিদারির ছাপ, আপ নেতার হলটা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি দেশের রাজা নন। নিছক জমিদারও নন। ভারতের একটা অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। এখন অবশ্য সেই কুর্সিটাও নেই। তবে রয়ে গিয়েছে তাঁর সাধের শিশমহল (Sheesh Mahal)। যে মহলের অন্দরে উঁকি দিলে মানসপটে ভেসে উঠতে বাধ্য রাজতন্ত্রের জমকালো ছবি। যাঁর বাসভবন নিয়ে এত ধানাই পানাই তাঁর দলের নামের গায়ে মাটির গন্ধ – আম আদমি পার্টি। সেই দলের নেতার বাসভবন দেখলে মনে হয় না, তাঁর দল সত্যিকারেরই আম আদমির। কারণ বাড়িটার প্রতিটি ইটে, কড়ি বর্গায়ও বড়লোকি গন্ধ।

    কেজরিওয়ালের কীর্তি ফাঁস

    দিল্লির ৬ নম্বর ফ্ল্যাগস্টাফ রোডে বাড়িটার নামই শিশমহল। গত ৯ বছর ধরে এখানেই বাস করছিলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন কেজরি। তাঁর জায়গায় বসানো হয়েছে অতিশি মারলেনাকে। স্বাভাবিকভাবেই তার আগে রাজ্যের পূর্ত দফতর ওই মহলের আসবাবপত্রের একটা তালিকা প্রকাশ করেছে। যা দেখে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) প্রথমবার নজরে আসেন ২০২৩ সালের মে মাসে, যখন সংবাদমাধ্যমে তাঁর ব্যক্তিগত বিলাসিতায় করদাতাদের অর্থ অপচয়ের বিবরণ ফাঁস হয়ে যায়।

    বিজেপির নিশানা আপ সুপ্রিমোকে (Arvind Kejriwal)

    পিডব্লুডির তালিকা দেখার পরে আপ সুপ্রিমোকে নিশানা করেছেন বিজেপির মুখপাত্র অমিত মালব্য। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, “এই হচ্ছে বৈদ্যুতিক নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী এবং গ্যাজেটসের তালিকা, যেগুলো ইনস্টল করা হয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের শিশমহলে (Sheesh Mahal)।” মালব্য আরও লিখেছেন, “বিস্ময়ের আরও আছে। সেন্সর-সজ্জিত পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় টোটো স্মার্ট টয়লেট রয়েছে। স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সেটা খোলা-বন্ধ হয়। রয়েছে হিটেড সিট, ওয়্যারলেস রিমোট ডিওডোরাইজার এবং অটোমেটিক ফ্ল্যাশিং। এই জাতীয় টয়লেট সিটের দাম ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা।”

    আরও পড়ুন: দুয়ারে উপনির্বাচন, রাজ্যের পাঁচ জেলায় আবাস যোজনার সমীক্ষা বন্ধের আর্জি বিজেপির

    শিশমহলের (Sheesh Mahal) অন্দরে

    একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক শিশমহলের অন্দরে। ১৬টা ভয়েস কন্ট্রোলড আল্ট্রা স্লিম স্মার্ট ৪কে টিভি রয়েছে, দাম ৬৪ লাখ টাকা। সাড়ে ১৯ লাখের স্মার্ট এলইডি-ও রয়েছে। ফ্রিস্ট্যান্ডিং লুমিনেয়ার রয়েছে, মূল্য ৯.২ লাখ। ৪ লাখ টাকা দামের ওএসএডিএ ফুল বডি ম্যাসেজ চেয়ারও রয়েছে। রয়েছে ১০ লাখ টাকা দামের রিক্লাইনার সোফা, ৮টি মোটোরাইজড রিক্লাইনার সোফা রয়েছে ১০ লাখ টাকা দামের, বোস লাউডস্পিকার রয়েছে সাড়ে ৪ লাখ টাকা দামের। দুটো স্মার্ট রেফ্রিজারেটর রয়েছে ৯ লাখ টাকা দামের। এই রেফ্রিজারেটরের মধ্যেই রয়েছে ইনবিল্ট টিভি এবং এআই ভিশন স্ক্রিন। ৯ লাখ টাকা দামের ৭৩ লিটারের স্টিম ওভেনও রয়েছে শিশমহলে (Sheesh Mahal)।

    দামি গ্যাজেটসে সাজানো অন্দর

    কেজরিওয়ালের বাংলোতে (Arvind Kejriwal) ৫০ লিটারের মাইক্রোওয়েভ ওভেন রয়েছে, যার দাম ৬ লাখ টাকা। ৬ লাখ টাকা দামের দুটো মাউন্টেড হুডস ১৪০ সেমি স্টেনলেস স্টিল চিমনিও রয়েছে। বিওএসসিএইচ সিরিজের ৮ বিল্ট ইন কফি মেশিন রয়েছে, মূল্য আড়াই লাখ টাকা। তিনটে হট ওয়াটার জেনেরেটর রয়েছে, মূল্য সাড়ে ২২ লাখ টাকা। ১৫ কোটি টাকা মূল্যের সুপিরিয়র ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটারি ইনস্টলেশনও রয়েছে। ২.১ লাখ টাকা দামের এলজির ১২ কেজি ফ্রন্ট লোড অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিনও রয়েছে শিশমহলে (Sheesh Mahal)। এসএস রেলিং, স্টিয়ারকেস কভারিং রয়েছে ১.২ কোটি টাকা মূল্যের। রয়েছে ২০টি গ্র্যান্ড এজেড ব্রাশ এন্ট্রাস স্কোনস আউটডোর লাইট, মূল্য ১০ লাখ টাকা। উডেন ও গ্লাসডোর উইথ অটোমেটিক স্লাইডিং সেন্সর রয়েছে ৭০ লাখ টাকা দামের। ২৪টি ডেকোরেটিভ পিলার রয়েছে, যার মূল্য ৩৬ লাখ টাকা। জানালার পর্দা রয়েছে ৮০টি, মূল্য ৪ থেকে ৫.৬ কোটি টাকা। সুপিরিয়র ওয়াটার সাপ্লাই রয়েছে ১৫ কোটি টাকার।

    আপ সুপ্রিমোর চমক!

    ২০১৩ সালে কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) বলেছিলেন তিনি ও তাঁর দলের মন্ত্রীরা সরকারি বাংলো ব্যবহার করবেন না। তার পরিবর্তে তাঁরা ব্যবহার করবেন ছোট ছোট সরকারি ফ্ল্যাট। আপ সুপ্রিমোর সেই প্রতিশ্রুতি যে নিছকই চমক, তাঁর বাংলোর ছবিই তার প্রমাণ। ১৩ হাজার স্কোয়ার ফিট এলাকজুড়ে রয়েছে শিশমহল (Sheesh Mahal)। এর মধ্যে লন রয়েছে ৩৯৯ স্কোয়ার ফিট। সমস্ত ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা মেলে সেখানে।

    ‘অপারেশন শিশমহল’ নাম দিয়ে একটি খবর প্রকাশ করে ‘টাইমস নাও’-ও। সেখানেও দেখানো হয় শিশমহলের (Sheesh Mahal) অন্দরের সাজসজ্জা। যে অন্দরসজ্জা দেখলে হয়তো হাত কামড়াতেন রাজা-রাজড়ারাও। কারণ রাজার ঘরে যে ধন আছে…।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’, কোন দেশ দিয়েছে এই নাম? কীভাবে হয় নামকরণ?

    Cyclone Dana: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’, কোন দেশ দিয়েছে এই নাম? কীভাবে হয় নামকরণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলোর উৎসবে মাততে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন রাজ্যবাসী। এই আবহের মধ্যে রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’ (Cyclone Dana)। ২৩ তারিখ শক্তি বাড়িয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) তৈরি হবে। ২৪ তারিখ সকালে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল এবং ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি চলে আসবে (Cyclone Alert) ।

    কীভাবে হয় ঝড়ের নামকরণ? (Cyclone Dana)

    সাগরে নিম্নচাপের সময় বাতাসের প্রচণ্ড ঘূর্ণায়মান গতির ফলে সংঘটিত বায়ুমণ্ডলীয় উত্তাল অবস্থাকে সংক্ষেপে ঘূর্ণিঝড় বলা হয়। বাতাসের এই একটানা ঘূর্ণায়মান গতি যখন একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌঁছায়, তখনই এর নামকরণ করা হয়। আটলান্টিক মহাসাগর ও এর আশপাশের অঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটারে উঠে গেলে নিম্নচাপ ঝড়ে পরিণত হয়। আর এ সময়ই ঘূর্ণিঝড়টিকে একটি নাম দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। Q, U, X, Y ও Z- ইংরেজি বর্ণমালার এই ৫টি অক্ষর বাদ দিয়ে বাকি ২১টি অক্ষর ব্যবহার করে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়। এগুলো সাধারণত এক বছরের জন্য পর্যায়ক্রমিকভাবে করা হয়। তবে, কোনও বছর যদি ২১টির বেশি ঘূর্ণিঝড় দেখা দেয়, তবে নামগুলির সঙ্গে গ্রিক বর্ণমালা যুক্ত করা হয়। নামকরণের পদ্ধতি অঞ্চলভেদে পরিবর্তিত হয় (Cyclone Dana)।

    আরও পড়ুন: দিল্লি বিস্ফোরণে খালিস্তানি যোগ? সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল পোস্ট, চলছে তদন্ত

    ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে কারা?

    বিশ্ব আবহাওয়া (Cyclone Alert) সংস্থা আঞ্চলিক কমিটির অধীনে মোট ৫টি আঞ্চলিক সংস্থা তাদের স্ব-অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ করে। এগুলি হলো- ইএসসিএপি (ইকনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক) বা ডব্লিউএমও (বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা) টাইফুন কমিটি, ডব্লিউএমও বা ইএসসিএপি প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোন, আরএ (রেজিওনাল অ্যাসোসিয়েশন) ট্রপিক্যাল সাইক্লোন কমিটি, আরএ-৪ হারিকেন কমিটি, আরএ-৫ ট্রপিক্যাল সাইক্লোন কমিটি। ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলির (Cyclone Dana) নামকরণ করে ১৩টি দেশ। সেগুলি হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মায়নমার, মলদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, ওমান, ইরান, সৌদি আরব, ইয়েমেন, সংযুক্ত আরব আমিশাহি ও কাতার। ডব্লিউএমওর অংশ হিসেবে উত্তর ভারতীয় ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ করে থাকে- আরএসএমসি, ট্রপিক্যাল সাইক্লোন ওয়ার্নিং সিস্টেমস (টিসিডব্লিউএস) ও ভারতের আবহাওয়া দফতর(আই.এমডি)। এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে- ‘দানা’ (Cyclone Dana)। এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে কাতার। এই ‘দানা’ (শব্দভেদে ডানা)-নামের অর্থ মুক্ত (Free)।

    কেন নামকরণ?

    ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) নামকরণের পিছনে মূল কারণ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে জনসাধারণের সতর্কতা। এই উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে বাতাসের গতিবিধি ও আসন্ন দুর্যোগ নিয়ে গবেষণা করা হয়ে থাকে। এই গবেষণায় ঝড়ের তীব্রতা এবং একাধিক ঝড়ের মধ্যে তুলনামুলক বিশ্লেষণে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করে এগুলোর নামকরণ। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ তারিখ উপকূল এর হাওয়ার গতিবেগ থাকবে সম্ভাব্য ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। সেটা বেড়ে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়ও হতে পারে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ পৌঁছতে পারে ১৩৫ কিমিতে (Cyclone Alert) ।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India-Canada Relation: খালিস্তানি জঙ্গিরা কানাডার গুপ্তচর! বিস্ফোরক দাবি ভারতীয় হাই কমিশনারের

    India-Canada Relation: খালিস্তানি জঙ্গিরা কানাডার গুপ্তচর! বিস্ফোরক দাবি ভারতীয় হাই কমিশনারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় থাকা খালিস্তানি জঙ্গিরা আদতে কানাডা সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের গোপন এজেন্ট। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনই দাবি করেছেন কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় ভার্মা। তাঁর বিরুদ্ধে কানাডা সরকারের আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে সঞ্জয় দাবি করেন, প্রথম থেকেই কানাডায় খালিস্তানি কট্টরপন্থীদের প্রশ্রয় দিয়ে এসেছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতির জন্যও দায়ী ট্রুডো সরকার। তিনি জানান, খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কানাডা ভারতকে কোনও প্রমাণ দেখায়নি। অভিযোগগুলো ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’।

    খালিস্থানপন্থীদের সঙ্গে কানাডা-যোগ

    সম্প্রতি কানাডার এক সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় বলেন, ‘আমি জানি বেশ কয়েকজন খালিস্থানপন্থী জঙ্গি সিএসআইএস-এর ডিপ অ্যাসেট। এটা আমার অভিযোগ। অবশ্য আমি এর পরিপ্রেক্ষিতে কোনও প্রমাণ দিচ্ছি না এখন।’ এদিকে নিজ্জরের খুন নিয়ে সঞ্জয় বলেন,  ‘‘যে কোনও খুনই দুর্ভাগ্যজনক এবং জঘন্য। আমি এই খুনের নিন্দা জানাচ্ছি। আমি এর আগেও বলেছি, এই ঘটনার মূলে যেতে হবে আমাদের।’’ ভারতীয় কূটনীতিবিদ আরও বলেন,  ‘‘আমরা চাই, কানাডার বর্তমন সরকার এমন কারও সঙ্গে মাখামাখি না করুক, যারা ভারতের অখণ্ডতাকে চ্যালেঞ্জ করছে। আমরা চাই যাতে কানাডা সরকার আমাদের সমস্যাটা বোঝে।’’

    আরও পড়ুন: কঠোর পদক্ষেপ! জঙ্গি তালিকায় কানাডার পুলিশ আধিকারিকের নাম জুড়ল ভারত

    কোনও বৈধ প্রমাণ ভারতকে দেওয়া হয়নি

    নিজ্জর খুন প্রসঙ্গে সঞ্জয় বলেন, ‘‘কানাডার পক্ষ থেকে কোনও বৈধ প্রমাণ ভারতকে দেওয়া হয়নি, যা ভারতীয় আইনের ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য হতে পারে। ভারত সরকার তদন্তের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত, কিন্তু কানাডা এখনও কোনও প্রমাণ দেয়নি। প্রমাণ ছাড়া কোনও বিষয় নিয়ে এগনো যায় না।’’ সঞ্জয় আরও বলেন, ‘‘ভারত আইন মেনে চলা দেশ। কানাডার আদালতে যদি কোনও প্রমাণ গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে তা ভারতের আদালতেও গ্রহণযোগ্য হবে। তবে কানাডার আধিকারিকরা তো আমাদের সেই ক্ষেত্রে সাহায্য করেননি।’’ দাবি করা হয়, গত ৮ অক্টোবর কানাডার অফিসাররা ভারতে আসতে চেয়েছিলেন নিজ্জর খুনের ‘প্রমাণ’ তুলে ধরার জন্যে। এই নিয়ে সঞ্জয় ভার্মা বলেন, ‘‘এই সব ক্ষেত্রে ডেলিগেশনের ভিসা অ্যাফিক্স করতে হয়। এই ধরনের সরকারি দলকে অন্য দেশে যেতে হলে একটি অ্যাজেন্ডা থাকতে হয়। তারা এমন সময়ে আমাদের অ্যাজেন্ডা জানায়, যখন তাদের বিমান টেকঅফ করে চলে গিয়েছে। আমার মনে হয়, ইচ্ছে করেই তারা এটা করেছে। তারা জানত যে এভাবে আধ ঘণ্টা, এক ঘণ্টায় ভিসা ইস্যু করা যায় না। এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আমার মনে হয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Eye Infections: বহু শিশুই চোখে সংক্রমণ, ঝাপসা দেখার মতো সমস্যায় ভুগছে! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    Eye Infections: বহু শিশুই চোখে সংক্রমণ, ঝাপসা দেখার মতো সমস্যায় ভুগছে! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কম বয়স থেকেই বাড়ছে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা। স্কুলের চৌকাঠে প্রবেশ করার আগেই অনেক শিশুর একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের চোখের সমস্যা বাড়তি উদ্বেগজনক। শিশুদের অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি শেখানোর মতো প্রথম থেকেই চোখের যত্নের (Eye Infections) বিষয়ে সজাগ করা জরুরি। কীভাবে চোখ ভালো থাকবে, দৃষ্টিশক্তি বজায় থাকবে, এসব নিয়ে সচেতনতা জরুরি। অক্টোবর মাসে ‘ওয়ার্ল্ড সাইট অ্যাওয়ারনেস’ পালন করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্ব জুড়ে চোখের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষত শিশুদের দৃষ্টিশক্তি বাড়তি উদ্বেগজনক। তাই অন্ধত্ব,‌ দৃষ্টি ক্ষীণ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা নিয়ে আরও বেশি সতর্কতা জরুরি।

    কেন শিশুদের দৃষ্টিশক্তির সমস্যা বাড়তি উদ্বেগজনক? (Eye Infections)

    সাম্প্রতিক এক সর্বভারতীয় রিপোর্ট দেশ জুড়ে শিশুদের চোখ নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতি বছর ৩০ হাজার শিশু নতুন করে চোখের দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়ার সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। ১৫ বছরের কম বয়সি শিশুরা একাধিকবার চোখের নানান সংক্রমণের শিকার হচ্ছে। যা তাদের কর্নিয়ায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। বিশেষত বারবার চোখের কনজাংটিভাইটিস জাতীয় সংক্রমণ একদিকে ভোগান্তি বাড়াচ্ছে, আরেকদিকে চোখের ক্ষতি করছে। এর নিরিখে ভারতে চোখের নিয়মিত পরীক্ষা করার সচেতনতা খুবই কম। দেশ জুড়ে মাত্র ৪৬ শতাংশ শিশুর নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করা হয়। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও ড্রাই আই জাতীয় রোগের প্রকোপ বাড়ছে। যার ফলে চোখের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, অধিকাংশ শিশুর চোখের মারাত্মক সমস্যা হওয়ার আগে কিছু বোঝাই যায় না। ফলে দৃষ্টিশক্তির বড় ক্ষতি আটকানো আরও কঠিন হয়ে উঠছে। তাই শিশুদের চোখের স্বাস্থ্য নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।

    সন্তানের চোখের বাড়তি যত্ন নেবেন কীভাবে?

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, শিশুর চোখ ভালো রাখার প্রথম ও প্রধান শর্ত ‘স্ক্রিন টাইম’-এ রাশ টানা। খুব কম বয়স থেকেই এখন সকলে মোবাইল, ট্যাবলেট, ল্যাপটপে অভ্যস্ত। কিন্তু এই অভ্যাস চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। তাই শিশু কতক্ষণ মোবাইল কিংবা ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থাকবে, সে নিয়ে সচেতনতা জরুরি। ছোট থেকে শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য মোবাইল দেওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে একাধিক শারীরিক সমস্যা (Eye Infections) তৈরি হয়। বিশেষত শিশুদের চোখে ড্রাই আই সহ নানান সংক্রমণ হতে পারে‌‌।
    দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে (Blurred vision) সবুজ সব্জি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন,‌ দিনে অন্তত একটা লেবু এবং বেরি জাতীয় ফল খাওয়া জরুরি।‌ পাশাপাশি কমলালেবু, অ্যাপ্রিকট, স্ট্রবেরি কিংবা মাল্টা, যে কোনও একটা ফল নিয়মিত খাওয়া উচিত। তাহলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। তবে এর পাশপাশি পালং শাক, ঝিঙে, পটলের মতো সবুজ সব্জি নিয়মিত খাওয়া জরুরি।‌ কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। এগুলো চোখের জন্য খুবই উপকারী। 
    পাশপাশি কম বয়সি শিশুরা এখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুদের ডায়াবেটিস চোখের উপরে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে (Eye Infections)। ভারতীয় শিশুদের চোখের সমস্যার অন্যতম কারণ ডায়াবেটিস। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই ছোট থেকেই খাদ্যাভ্যাসে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। যাতে শিশু ডায়াবেটিসের‌ মতো রোগে আক্রান্ত না‌ হয়। শিশু যাতে অতিরিক্তি মিষ্টি খাওয়া এবং বাইরের চটজলদি খাবারে অভ্যস্ত না হয় সেদিকেও‌ খেয়াল‌ রাখা জরুরি। তবেই চোখের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার মোকাবিলা করা সহজ‌ হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Azad Hind Fauj: আজ আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠা দিবস, নেতাজিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অমিত শাহের

    Azad Hind Fauj: আজ আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠা দিবস, নেতাজিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর আজাদ হিন্দ ফৌজ (Azad Hind Fauj) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhas Chandra Bose)। সোমবার এই ঐতিহাসিক দিবসের বার্ষিকীতে নেতাজিকে স্মরণ করলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। পরাধীন ভারতে নেতাজির গঠিত প্রথম স্বাধীন আজাদ হিন্দ সরকারের কথাও উল্লেখ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জানান, এই পদক্ষেপ ভারতের স্বাধীনতার লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এদিন এ নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে পোস্টও করেন অমিত শাহ। নিজের পোস্টে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘‘ঐতিহাসিক এই পদক্ষেপেই ব্রিটিশদের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিতে পেরেছিলেন নেতাজি (Netaji Subhas Chandra Bose)। এদিন আজাদ হিন্দ ফৌজের বীর সৈন্যদের শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। স্মরণ করেন ‘দিল্লি চলো’ স্লোগানকেও। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আজাদ হিন্দ ফৌজের (Azad Hind Fauj) গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ‘দিল্লি চলো’ স্লোগান ভারতবর্ষের আপামর যুব সমাজকে আন্দোলিত করেছিল বলেও লেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    নেতাজি (Netaji Subhas) ছিলেন সরকারের প্রধানমন্ত্রী, রেঙ্গুন ও সিঙ্গাপুরে ছিল সদর দফতর

    প্রসঙ্গত, ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর সিঙ্গাপুরে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhas Chandra Bose) নেতৃত্বে তৈরি হয়, আজাদ হিন্দ ফৌজ। সেদিনই অস্থায়ী সরকার তৈরির ঘোষণা করেন নেতাজি। যে সরকারের নাম দেন আজাদ হিন্দ সরকার। আজাদ হিন্দ সরকারের (Azad Hind Fauj) প্রধানমন্ত্রী, যুদ্ধমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন নেতাজি নিজেই। আজাদ হিন্দ সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্যই ছিল, বিদেশি শাসন মুক্ত ভারত তৈরি করা এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা। নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজের এই আপসহীন সংগ্রামে উজ্জীবিত হয়ে সারা ভারত আন্দোলিত হয়েছিল সেসময়। অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকারকে স্বীকৃতি দেয় সে সময় ব্রিটিশ বিরোধী অক্ষশক্তির জোট, জাপান, জার্মানি ও ইতালি সমেত মোট ৮টি দেশ। আজাদ হিন্দ সরকারের সদর দফতর স্থাপিত হয় মায়ানমারের রেঙ্গুন ও সিঙ্গাপুর-দুই জায়গাতেই। এখান থেকেই পরিকল্পনামাফিক চলত ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।

    ছিল নিজস্ব নারী বাহিনীও

    আজাদ হিন্দ ফৌজকে (Azad Hind Fauj) তিনটি ব্রিগেডে সাজিয়েছিলেন নেতাজি (Netaji Subhas Chandra Bose)। ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব মহাত্মা গান্ধীর নামে তৈরি হয় গান্ধীজী ব্রিগেড। এছাড়া আরও দুটি ব্রিগেডের নাম ছিল, আজাদ ব্রিগেড এবং নেহরু ব্রিগেড। এর পাশাপাশি সে সময়ে নারীদেরও যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ করান নেতাজি। তৈরি হয় রানি ঝাঁসির ব্রিগেড। এর দায়িত্ব দেওয়া হয় ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী সাইগলকে। নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজের সৈন্যরা সাহস এবং সংকল্পের আদর্শ হয়ে রয়েছেন আজও আপামর ভারতবাসীর কাছে।

    ভারতের মাটিতে প্রবেশ করেছিল আজাদ হিন্দ ফৌজ (Azad Hind Fauj)

    ১৯৪৪ সালে ভারতের কোহিমা ও ইম্ফলের কাছে ব্রিটিশ বাহিনীর সঙ্গে মরণপণ লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল নেতাজির (Netaji Subhas Chandra Bose) সেনাদল। এরপর জাপানের কাছ থেকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অধিকার আজাদ হিন্দ সরকার অর্জন করেছিল। মণিপুরে ভারতের মাটিতে জাতীয় পতাকা ওড়াতে সক্ষম হয় আজাহ হিন্দ সরকার। ১৯৪৫ সালে আজাদ হিন্দ বাহিনীর (Azad Hind Fauj) প্রভাব ব্যাপক ভাবে পড়ে ভারতে। দেশজুড়ে আন্দোলনে নড়ে যায় ব্রিটিশ সরকারর ভিত। ১৯৪৬ সালের নৌ বিদ্রোহকে ভারতের স্বাধীনতার প্রত্যক্ষ কারণ মনে করা হয়। আর এই নৌ বিদ্রোহের মূলেই ছিল আজাদ হিন্দ ফৌজের তিন সেনানায়ক পিকে সায়গল, শাহনওয়াজ খান এবং গুরুবক্স সিং ধীলনের বিচারের নামে চলা প্রহসন। লালকেল্লায় আজাদ হিন্দ ফৌজের তিন সেনানায়কের বিচার শুরু হলে বিদ্রোহ শুরু হয় নৌবাহিনীতে।

    ক্লিমেন্ট অ্যাটলি ও মহাত্মা গান্ধীর বয়ান 

    ভারতের স্বাধীনতা লাভের প্রধান কারণ নেতাজি (Netaji Subhas Chandra Bose) এবং তাঁর আজাদ হিন্দ ফৌজ, একথা বলেছিলেন ভারতের স্বাধীনতার সময়ে থাকা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এটলি। জানা যায়, বাংলায় এসে ১৯৫৬ সালে তৎকালীন রাজ্যপাল ফণীভূষণ চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে রাজভবনে একথা বলেন এটলি। জাতির জনক মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীও আজাদ হিন্দ বাহিনীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। গান্ধীজী বলেছিলেন, “যদিও আজাদ হিন্দ ফৌজ (Azad Hind Fauj) নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি, তথাপি তাঁরা এমন অনেক কিছু করেছেন, যে জন্য গর্ববোধ করা যায়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share