Tag: Madhyom

Madhyom

  • Delhi: জাল পরিচয় পত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক সহ ১১ জন গ্রেফতার

    Delhi: জাল পরিচয় পত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক সহ ১১ জন গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ ভিসা ও পাসপোর্ট তৈরির চক্রের হদিশ পেল দিল্লি পুলিশ (Delhi)। দিল্লিতে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালিয়ে ৫ বাংলাদেশি নাগরিক সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা জাল ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সাথে জড়িত বলে সন্দেহ পুলিশের। ২৪ ডিসেম্বর, দিল্লি পুলিশ এই ১১ জনকে গ্রেফতার করে। এরা অবৈধ অভিবাসীদের জন্য জাল আধার কার্ড, জন্ম সনদ, এবং অন্যান্য পরিচয়পত্র তৈরি করছিল। এই চক্রটি প্রধানত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতীয় পরিচয়পত্র পেতে সাহায্য করছিল।

    জাল নথি তৈরির চক্রের হদিশ

    দক্ষিণ দিল্লির (Delhi) ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (DCP) অঙ্কিত চৌহান জানিয়েছেন, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আধার কার্ড অপারেটর, প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞ এবং জাল ডকুমেন্ট তৈরি সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা রয়েছে। তারা সম্প্রতি সান্তো শেখ নামে একজন ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও যুক্ত। সান্তোই এই অভিবাসীদের ভারতে আনার কাজ করত, বলে অনুমান পুলিশের। ডেপুটি কমিশনার অঙ্কিত চৌহান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে অনেক অবৈধ অভিবাসী ভারতীয় বনাঞ্চল বা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। তারপর দিল্লিতে এসে এই চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারাও সান্তো শেখের মাধ্যমেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিল। শেখের সঙ্গে জড়িত ছিলেন সাহিল নামে একজন ব্যক্তি, যিনি রোহিণী এলাকায় পুণাম কম্পিউটার সেন্টারের মালিক। তারা একসঙ্গে এই বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য জাল জন্ম সনদ এবং আধার কার্ড তৈরি করছিল।

    আরও পড়ুন: বিগ্রহ সরিয়ে ওড়ানো হয়েছিল ইসলামি পতাকা, দখলমুক্ত গঙ্গা মন্দির

    বিধানসভা নির্বাচনের আগে সক্রিয় পুলিশ

    ইতিমধ্যেই পুলিশ (Delhi) একটি ওয়েবসাইট চিহ্নিত হয়েছে, যা এই জাল সনদ তৈরি করতে ব্যবহৃত হতো। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কমপক্ষে ২২৮টি জাল সনদ তৈরি হয়েছে, তবে পুলিশের সন্দেহ, মোট সংখ্যা হাজারেরও বেশি হতে পারে। গ্রেফতার হওয়া ১১ জনের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি এবং ৬ জন তাদের ভারতীয় সহযোগী। অবৈধ অভিবাসীরা এই জাল ডকুমেন্ট ব্যবহার করে দিল্লিতে বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে পারত বলে জানান ডেপুটি কমিশনার চৌহান। এই চক্রের অপারেশন সম্পর্কে আরও তথ্য জানার জন্য পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ অভিবাসীদের অবস্থানও চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কতগুলি জাল ডকুমেন্ট তৈরি করা হয়েছে, তারও খোঁজ চলছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা দিল্লি পুলিশকে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আরও তীব্র অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ১৭৫ জন সন্দেহভাজন বাংলাদেশি অভিবাসী চিহ্নিত হয়েছে। তাদের ডকুমেন্ট যাচাই করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • AAPs Rule: ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যের প্রতিশ্রুতি কেজরি সরকারের, দেখে নিন এক নজরে

    AAPs Rule: ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যের প্রতিশ্রুতি কেজরি সরকারের, দেখে নিন এক নজরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের সকালে দিল্লির মহিলা ও শিশু উন্নয়ন দফতর থেকে দিল্লিবাসীর (Delhi) উদ্দেশে জারি করা হয় বিজ্ঞপ্তি। এই বিজ্ঞপ্তিতে বর্তমানে ঘটে যাওয়া প্রতারণা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে মহিলা সম্মান যোজনা ও সঞ্জীবনী প্রকল্পের উল্লেখ করা হয়েছে (AAPs Rule)। এই প্রকল্পই ঘোষণা করেছিলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মহিলা সম্মান যোজনা প্রকল্পে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রতিটি মহিলাকে মাসে ২,১০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। আর সঞ্জীবনী প্রকল্পে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

    কী বলছে সরকারি বিবৃতি

    বিজ্ঞপ্তিতে ডাব্লুসিডি দফতর স্পষ্টভাবে জানায়, “এমন কোনও প্রকল্প ঘোষণা করা হয়নি। নাগরিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে, এই ধরনের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে বিভ্রান্ত হবেন না।” এই প্রকল্পগুলির মতোই, আপ সরকারের অন্যান্য অনেক বড় প্রতিশ্রুতিও মিথ্যা বলে সমালোচিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, গত দশ বছর ধরে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তার আম আদমি পার্টি নিজেদের দিল্লিতে পরিবর্তন ও স্বচ্ছতার পথিকৃত হিসেবে উপস্থাপন করে এসেছে। তবে, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও জনসেবার ক্ষেত্রে রাজধানীকে এক স্বপ্নপুরীতে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, বাস্তবতা সেই প্রচারের কাছাকাছি নয়। কেজরিওয়ালের শাসনকাল একাধিক প্রতিশ্রুতি, ব্যর্থ প্রকল্প এবং শহরবাসীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের কারণে চিহ্নিত হয়েছে। এখানে আপ সরকারের বিভিন্ন মিথ্যার ‘উদাহরণ’ তুলে ধরা হল।

    মিথ্যের বেসাতি

    ফ্রি হেল্থ কেয়ার রেভ্যুলিশন(AAPs Rule): কেজরিওয়ালের মহল্লা ক্লিনিক চালুর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবায় বিপ্লব ঘটানোর দাবি দ্রুত ভেঙে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে দিল্লির স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানের উপায় হিসেবে প্রচারিত এই ক্লিনিকগুলো এখন জনসাধারণের উপহাসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্বল পরিকাঠামো, যথাযথ চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব এবং প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের অনুপস্থিতি এই ক্লিনিকগুলোকে অকার্যকর করে তুলেছে।

    শিক্ষা সংস্কার : কেজরিওয়ালের দিল্লিতে শিক্ষা বিপ্লবের প্রতিশ্রুতি তার সরকারের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসেবে প্রচার করা হয়েছিল। সরকারি স্কুলগুলোকে বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করার দাবি তুলে, কেজরিওয়ালের লক্ষ্য ছিল সবার জন্য উচ্চ মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা। কিন্তু বাস্তব অন্য কথা বলছে। গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় দেড় লক্ষ ছাত্রকে ফেল করানো হয়েছে। ৭০০টিরও বেশি স্কুলে বিজ্ঞান শিক্ষার কোনও সুযোগ নেই। দিল্লির শিক্ষা ব্যবস্থা এখন চরম সংকটে।

    আরও পড়ুন: হিন্দুত্বের রাষ্ট্রনায়ক, ভারতবর্ষের গর্ব অটল বিহারী বাজপেয়ী

    ফ্রি রেশন : দিল্লির গরিবদের বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও আপের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ১০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা রেশন কার্ড ছাড়াই রয়েছেন, যার ফলে তাঁরা সরকার প্রদত্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। রেশন সরবরাহে দুর্নীতি ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি এখনও এক মরীচিকা হয়ে রয়ে গেছে।

    বিদ্যুতের দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি : অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিদ্যুতের দাম কমিয়ে সকলের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করবেন। কিন্তু তাঁর শাসনকালে বিদ্যুৎ বিল আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। ত্রুটিপূর্ণ মিটার ও অতিরিক্ত চার্জের কারণে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ দেখা দিয়েছে (AAPs Rule)।

    গণপরিবহণ: গণপরিবহণ আর একটি ক্ষেত্র যেখানে কেজরিওয়াল বিপ্লব আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাঁর সরকারের আমলে বাসের বহর চালু করা, মেট্রো সংযোগ উন্নত করা এবং একটি টেকসই পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। দিল্লি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, এবং কর্মীরা বেতন না পাওয়ায় ধর্মঘট করেছেন।

    ন্নত স্বাস্থ্যসেবার প্রতিশ্রুতি: কেজরিওয়াল বেশ কয়েকটি নতুন হাসপাতাল এবং উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে বাস্তব সেই প্রতিশ্রুতি থেকে অনেক দূরে। প্রচুর পরিমাণে তহবিল পাওয়া সত্ত্বেও, নতুন হাসপাতাল নির্মাণ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিলম্বিত হয়েছে। রোগীদের এখনও প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হা-পিত্যেশ করে থাকতে হয়।

    চাকরির প্রতিশ্রুতি: নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে কেজরিওয়াল চাকরি সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিশেষ করে দলিত সম্প্রদায়ের জন্য। তবে, তাঁর শাসনকালে দিল্লিতে সরকারি খাতে তেমন কোনও চাকরির বৃদ্ধি দেখা যায়নি। দলিতদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কার্যত পরিত্যক্ত হয়েছে।

    মহিলাদের নিরাপত্তা: কেজরিওয়ালের সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দিল্লিকে মহিলাদের জন্য আরও নিরাপদ করে তোলা হবে। নারীদের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য নির্ভয়া ফান্ড বরাদ্দ করা হলেও, তা অপব্যবহার করা হয়েছে, এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের হার বেড়েছে।

    বেকারত্ব বৃদ্ধি: বেকারত্ব বৃদ্ধি দিল্লির একটি বড় সমস্যা। কেজরিওয়ালের কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতির ফানুস গিয়েছে চুপসে। দিল্লির (Delhi) তরুণরা চাকরির জন্য হা-পিত্যেশ করছে। কেজরিওয়ালের অস্থায়ী শ্রমিক ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের ওপর নির্ভরশীলতা দিল্লির চাকরির বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে (AAPs Rule)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Manchester United: ইঁদুরের তাণ্ডবে বিরাট অবনতির মুখে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রেটিং কমে পাঁচ থেকে দু’য়ে

    Manchester United: ইঁদুরের তাণ্ডবে বিরাট অবনতির মুখে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রেটিং কমে পাঁচ থেকে দু’য়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (Manchester United) মাঠের বাইরে একটি নতুন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। পরিকাঠামো এবং সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সেখাকার আইকনিক ওল্ড ট্র্যাফোর্ড স্টেডিয়ামে ইঁদুরের (Rat Race) উপদ্রব ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়ছে এবং এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পেশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে পাশাপাশি মাঠের দুর্বল পারফরম্যান্স এবং স্টেডিয়াম রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যাও মারাত্মক আকার নিয়েছে। এই খবর সেখানকার ডেইলি মেইলের একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে। বর্তমানে স্টেডিয়ামের খাদ্য স্বাস্থ্যবিধি রেটিং পাঁচটির মধ্যে দুই তারাতে নেমে এসেছে।

    প্রশ্ন উঠেছে স্বাস্থ্য বিধি নিয়ে (Manchester United)!

    ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে আরও জানা গিয়েছে, সংক্রমণ দ্বারা খাদ্য ও স্বাস্থ্যবিধির রেটিং দারুণ ভাবে প্রভাবিত হয়েছে। এখানে সমস্যার মূলে রয়েছে ইঁদুর (Rat Race)। স্টেডিয়ামের (Manchester United) খাদ্য স্বাস্থ্যবিধির মান উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ম্যাচ-এর পর সাংবাদিক সম্মেলনের সময় মিডিয়া কক্ষের ছাদে একটি ফুটো দেখা গিয়েছে। ক্লাবের এই দুর্দশাকে স্পষ্ট ভাবে প্রকাশ করেছে একটি ভিডিও। ক্লাব অবশ্য কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় প্রচেষ্টার বিষয়কে তুলে ধরে জনগণকে আশ্বস্ত করেছে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একজন মুখপাত্র ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বলেন, “আমরা কীটপতঙ্গকে নিয়ন্ত্রণ করতে শক্তিশালী ব্যবস্থার বিষয়টি নিশ্চিত করেছি। সমস্ত ক্যাটারিং এলাকায় সাপ্তাহে একাধিকবার পরীক্ষার কাজ করা হচ্ছে। যেখানে খাবার সংরক্ষণ করা হয় বা প্রস্তুত করা হয় বা পরিবেশন করা হয় সেখানেও স্বাস্থ্যবিধি এবং পরিচ্ছন্নতার মাত্রা যাতে বেশি থাকে, তা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ মেলবোর্নে মহারণ! শুরু ভারত অস্ট্রেলিয়া বক্সিং ডে টেস্ট, জানেন কেন এই নাম?

    দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আশ্বাস

    ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে উন্নতিতে কাজ করে ট্র্যাফোর্ড কাউন্সিলের এমন একজন মুখপাত্র বলেন, “ক্লাবকে (Manchester United) নিয়মিত পরিদর্শন করার পর এখন দু’তারার রেটিং দেওয়া হয়েছে। আমাদের পরিবেশগত স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা একটি নিয়মিত পরিদর্শনের পরে দুটি খাদ্য স্বাস্থ্যবিধি রেটিং দিয়েছেন। আমরা এখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছি যাতে রেটিং-এর মান বিচার করে প্রয়োজনীয় সব রকম সুরক্ষা এবং উন্নয়ন করা যায়।”

    ক্লাব বর্তমানে সিদ্ধান্ত নিয়ছে যে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের সংস্কার বা একটি নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে। রবিবার বোর্নমাউথের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারের পর দলটি প্রিমিয়ার লিগে বর্তমানে ১৩তম স্থানে অবস্থান করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sri lanka: শ্রীলঙ্কার শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কৃষির জন্য ২৩৭০ কোটি টাকার অনুদান দিল ভারত

    Sri lanka: শ্রীলঙ্কার শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কৃষির জন্য ২৩৭০ কোটি টাকার অনুদান দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri lanka) শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কৃষির জন্য ২৩৭০ কোটি টাকার অনুদান দিয়ে পাশে দাঁড়াল ভারতের মোদি সরকার। সম্প্রতি ওই দেশের সাধারণ নির্বাচনের পর রাষ্ট্রপতি অনুরা কুমারা দিসানায়েক প্রথম ভারত সফরে এসেছিলেন। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক সৌভ্রাতৃত্ব আরও মজবুত করতে এই প্রচেষ্টা বলে জানা গিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় আর্থিক ভাবে বিরাট বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল, এই অবস্থায় ভারতীয় সহযোগিতা শ্রীলঙ্কাকে বিরাট ক্ষতি থেকে পুনরায় উঠে দাঁড়াতে সুবিধা হবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কৃষির জন্য ৬২ কোটি টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে (Sri lanka)

    শ্রীলঙ্কার (Sri lanka) স্বাস্থ্যমন্ত্রী নালিন্দা জয়থিসা জানিয়েছেন শিক্ষা খাতে ৩১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, স্বাস্থ্যের জন্য ৭৮ কোটি টাকা, কৃষির জন্য ৬২ কোটি টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে। একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পে এই আর্থিক সহযোগিতা বিনিয়োগ করা হবে। ভারতের এই আর্থিক সহযোগিতা শ্রীলঙ্কার জন্য অত্যন্ত অপরিহার্য। কেন না বিগত বেশ কিছু দিন ধরে ওই দেশের আর্থিক সঙ্কট এবং ক্রমবর্ধমান ঋণ দেশটিকে ভীষণ ভাবে বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলেছে। ভারতের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গবেষকরা শ্রীলঙ্কার খারাপ সময় দ্রুত কাটার বিষয়ে দারুণ আশাবাদী।

    আরও পড়ুনঃ হিন্দুত্বের রাষ্ট্রনায়ক, ভারতবর্ষের গর্ব অটল বিহারী বাজপেয়ী

    ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ 

    ভারত এই মোটা অঙ্কের অনুদানের বাইরে আরও সাতটি লাইন-অফ-ক্রেডিট প্রকল্পে অর্থ প্রদানের জন্য ২০ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। একই ভাবে শ্রীলঙ্কার (Sri lanka) উত্তরে কানকেসান্থুরাই বন্দরকে পুনর্গঠনের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এই খাতে মোট খরচ করা হবে ৬১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রতিবেশী ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলির উপর চিনা আগ্রাসনকে ঠেকাতে ভারত এখন বিশেষ নজর দিয়েছে। প্রতিবেশী দেশে অস্থিরতা ভারতের জন্য একটি মাথাব্যথা স্বরূপ। তাই আগ্রাসী শক্তির কবল থেকে প্রতিবেশীকে রক্ষা করা যেমন এক গুরুদায়িত্ব, ঠিক তেমনি বিপর্যস্ত আর্থিক ব্যবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বিশেষ সহযোগিতা করাও ভারতের বিরাট কর্তব্য। বহু প্রাচীন কাল থেকেই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারতের আধ্যাত্মিক, সাংস্কৃতিক সংযোগ রয়েছে। ভারত সব সময় এই দেশের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Boxing Day Test: মেলবোর্নে মহারণ! শুরু ভারত অস্ট্রেলিয়া বক্সিং ডে টেস্ট, জানেন কেন এই নাম?

    Boxing Day Test: মেলবোর্নে মহারণ! শুরু ভারত অস্ট্রেলিয়া বক্সিং ডে টেস্ট, জানেন কেন এই নাম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের পরের দিন অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট ম্যাচ শুরু হলেই তাকে ‘বক্সিং ডে’ টেস্ট (Boxing Day Test) বলে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) থেকে মেলবোর্নে শুরু হবে সেই ম্যাচ। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হবে ভারতের (India vs Australia)। বর্ডার-গাওস্কর সিরিজের চতুর্থ টেস্ট এটি। এই ম্যাচ দুই দলের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার জন্য ভারতকে এই ম্যাচ জিততেই হবে। আবার এই ম্যাচ জিতলে এক দশক পর ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ের দিকে এক কদম এগিয়ে যেতে পারবেন ব্যাগি গ্রিনরা। সিরিজ এখন ১-১। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশায় দুই দল। ৯০ হাজারের মেলবোর্নে বৃহস্পতিবার একটিও আসন খালি থাকবে না বলেই অনুমান এমসিজি ক্রিকেট কর্তাদের। ইতিমধ্যেই ৮৬ হাজার টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। 

    বক্সিং ডে কাকে বলে?

    বড়দিনের পরের দিন এই টেস্টের (Boxing Day Test) এই নামকরণের পিছনে দু’টি তত্ত্ব আছে। অনেকে মনে করেন, বড়দিন, অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বর যে সব উপহার পাওয়া যায়, সেগুলি আর সেই দিন দেখার সময় পাওয়া যায় না। তাই উপহারের বাক্স (বক্স) খোলা হয় পরের দিন, অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর। বক্স খোলা হয় বলে এর নাম হয়েছে ‘বক্সিং ডে’। দ্বিতীয়টি হল, ২৫ ডিসেম্বর অনেকে খেটে কাজ করেন, বিশেষ করে পরিচারকেরা। সেই কাজের জন্য তাঁদের পরের দিন ২৬ ডিসেম্বর পুরস্কারের বাক্স দেওয়া হয়। সেই কারণে এর নাম ‘বক্সিং ডে’।

    বক্সিং ডে টেস্টের শুরু

    অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউ জিল্যান্ডের মতো দেশগুলিতে ২৬ ডিসেম্বর দিনটি ‘বক্সিং ডে’ (Boxing Day Test) নামে পরিচিত। ক্রিকেটে ‘বক্সিং ডে’-র জন্ম অস্ট্রেলিয়ায়। ‘বক্সিং ডে’-র প্রথম হদিস পাওয়া যায় ১৮৬৫ সালে। তবে তখন এই নামকরণ হয়নি। শেফিল্ড শিল্ডে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) ভিক্টোরিয়া এবং নিউ সাউথ ওয়েলসের মধ্যে ম্যাচ ছিল। সেই ম্যাচ যদিও ‘বক্সিং ডে’, অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর শুরু হওয়ার কথা ছিল না। ম্যাচের মাঝে একটি দিন পড়েছিল ২৬ ডিসেম্বর। কিন্তু পরিবারের সঙ্গে বড়দিনের ছুটি কাটাতে পারবেন না বলে নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্রিকেটারেরা মনখারাপ করে বসে থাকেন। তাঁদের দাবি মেনে সেই ম্যাচ বড়দিনের পরের দিন শুরু হয়েছিল। সেই ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছিল তিন দিনে। ভিক্টোরিয়া ইনিংস ও ২০ রানে জিতে যায়।

    আধুনিক ক্রিকেটে বক্সিং ডে

    ১৯৭৪-৭৫ অ্যাশেজ সিরিজে ছ’টি টেস্ট ছিল। সব ক’টি ম্যাচ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাতে শেষ করা যায়, সেই কারণে মেলবোর্নে তৃতীয় টেস্ট দেওয়া হয়েছিল ২৬ ডিসেম্বর থেকে। আধুনিক ‘বক্সিং ডে’ টেস্টের সেটিই শুরু। তবে ১৯৮০ সালে ‘বক্সিং ডে’ টেস্ট (Boxing Day Test) নিয়ে মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের চুক্তি হয়। তার পর থেকে প্রতি বছর নিয়ম করে এমসিজি-তে ২৬ ডিসেম্বর থেকে টেস্ট শুরু হয়। ধারাবাহিকতায় এক বারই ছেদ পড়ে। ১৯৮৯ সালে ‘বক্সিং ডে’-তে টেস্ট ম্যাচের বদলে অস্ট্রেলিয়া এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে একটি এক দিনের ম্যাচ খেলা হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানায়, পরের বছর, অর্থাৎ ২০২০ সাল থেকে প্রতি বছর ‘বক্সিং ডে’ টেস্টের সেরাকে তাদের দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার জনি মুল্লাঘের নামে মুল্লাঘ পদক দেওয়া হবে।

    বক্সিং ডে টেস্টের নানা ঘটনা

    অনেক স্মরণীয় ঘটনার সাক্ষী ‘বক্সিং ডে’ টেস্ট (Boxing Day Test)। ১৯৮৫ সালের অ্যাশেজে ‘বক্সিং ডে’ টেস্টেই অভিষেক হয়েছিল স্টিভ ওয়ের। ১৯৮৮ সালে ম্যালকম মার্শাল ৩০০ টেস্ট উইকেট নিয়েছিলেন। ১৯৯৪ সালে শেন ওয়ার্ন অ্যাশেজে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। ১৯৯৫ সালে এই টেস্টেই অস্ট্রেলিয়ার আম্পায়ার ড্যারেল হেয়ার শ্রীলঙ্কার স্পিনার মুথাইয়া মুরলীধরনকে বল ছোড়ার অভিযোগে বার বার ‘নো বল’ ডাকেন। সেই নিয়ে তোলপাড় হয় ক্রিকেটবিশ্ব। ২০০৬ সালে ‘বক্সিং ডে’ টেস্টেই শেন ওয়ার্ন ৭০০ টেস্ট উইকেট নেন। 

    আরও পড়ুন: হিন্দুত্বের রাষ্ট্রনায়ক, ভারতবর্ষের গর্ব অটল বিহারী বাজপেয়ী

    চলতি বছর বক্সিং ডে টেস্টের গুরুত্ব

    বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির পাঁচ টেস্টের সিরিজ আপাতত দাঁড়িয়ে ১-১-এ (India vs Australia)। দুই দলেরই লক্ষ্য থাকবে এই টেস্ট জেতা। বিশেষ করে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ওঠার আশা জিইয়ে রাখতে ভারতকে জিততে হবে মেলবোর্ন ও সিডনিতে। মেলবোর্ন টেস্ট জিতলেই সিরিজ হারার সম্ভাবনা থাকবে না ভারতের। সেক্ষেত্রে রোহিত শর্মারা দখলে রাখতে পারবেন বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি। অস্ট্রেলিয়া যদি জেতে তাহলে এক দশক পর ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জেতার সম্ভাবনা বাড়বে অস্ট্রেলিয়ার। একই সঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের গত দুই বারের ফাইনালিস্ট ভারত ছিটকে যাবে ২০২৬-এর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল থেকে।

    কখন শুরু খেলা: ভারতীয় সময় ভোর ৫টা থেকে খেলা শুরু হবে। টস হবে ভোর সাড়ে চারটেয়।

    ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: যশস্বী জয়সওয়াল, লোকেশ রাহুল, শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), রবীন্দ্র জাদেজা, নীতীশ কুমার রেড্ডি বা ওয়াশিংটন সুন্দর, আকাশ দীপ, জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ। 

    অস্ট্রেলিয়ার সম্ভাব্য একাদশ: উসমান খোয়াজা, স্যাম কনস্টাস, মার্নাস লাবুশেন, স্টিভ স্মিথ, ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটকিপার), প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), মিচেল স্টার্ক, নাথান লিয়ঁ, স্কট বোল্যান্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mahakumbh 2025: ১৪০০ বছর আগেও কুম্ভমেলায় এসেছিলেন চিনা পর্যটক!

    Mahakumbh 2025: ১৪০০ বছর আগেও কুম্ভমেলায় এসেছিলেন চিনা পর্যটক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজকে তীর্থরাজ (Mahakumbh 2025) বলা হয়। ১৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এটি চিনাদেরও কাঙ্খিত গন্তব্য হয়ে উঠেছে (Prayagraj)। এই স্থায়ী সম্পর্কের শুরু ৭ম শতকে, যখন খ্যাতনামা চিনা পর্যটক হিউয়েন সাং এই অঞ্চলে আসেন এবং এর সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও সমৃদ্ধির প্রশংসা করেন। প্রায় ১৬ বছর ধরে ভারতবর্ষ ঘুরে দেখেন তিনি।

    “সি-ইউ-কি” (Mahakumbh 2025) 

    তাঁর বই “সি-ইউ-কি”-তে হিউয়েন সাং বিশেষভাবে ৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দে রাজা হর্ষবর্ধনের শাসনকালের প্রশংসা করেছেন। এই বইতে প্রয়াগরাজের প্রচুর শস্য, অনুকূল আবহাওয়া এবং স্বাস্থ্যকর সুবিধাগুলির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ফলদায়ক গাছগুলির উপস্থিতি এবং এই অঞ্চলের সামগ্রিক আকর্ষণও উল্লেখ করেন। চিনা পর্যটকের শহরের নম্রতা, বুদ্ধিবৃত্তিক সাধনা এবং প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক জীবন সম্পর্কে প্রশংসা আজও প্রাসঙ্গিক।

    প্রয়াগরাজের ঐতিহাসিক গুরুত্ব

    প্রয়াগরাজের (Mahakumbh 2025) ঐতিহাসিক গুরুত্ব আরও স্পষ্ট হয়েছে হিউয়েন সাংয়ের বর্ণনায়, যেখানে তিনি শহরের বিশাল ধর্মীয় উৎসবের কথা বলেছেন। তাঁর বর্ণনা থেকেই জানা যায়, সেখানে ৫ লাখেরও বেশি মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। এর মধ্যে ছিলেন উপমহাদেশের বিভিন্ন কোণ থেকে আসা রাজা ও শাসকরাও। গঙ্গা ও যমুনা নদীর মধ্যে শহরের কৌশলগত অবস্থান, এর আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে এর গুরুত্ব তৈরিতে করতে সহায়ক ছিল।

    হিউয়েন সাং যে সব মন্দিরে গিয়েছিলেন, তার মধ্যে একটি হল পাটালপুরী মন্দির। এই মন্দির গুরুত্বপূর্ণ তার অলৌকিক বিস্ময়গুলির জন্য। হিউয়েন সাং উল্লেখ করেছেন যে ভক্তরা বিশ্বাস করতেন, মন্দিরে একটি মুদ্রা দান করা মানে হাজার মুদ্রা দান করা। মন্দিরের উঠোনে রয়েছে একটি পবিত্র গাছ, অক্ষয়বট। বিশ্বাস করা হয়, যে এর নীচে স্নান করলে পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

    আরও পড়ুন: বিগ্রহ সরিয়ে ওড়ানো হয়েছিল ইসলামি পতাকা, দখলমুক্ত গঙ্গা মন্দির

    এছাড়াও গঙ্গা, যমুনা ও পৌরাণিক সরস্বতী নদীর মিলনস্থলে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত উপস্থিত হন। হিউয়েন সাং লিখেছেন, ধনী তীর্থযাত্রীরা সঙ্গমে স্নান করে তাদের ধন-সম্পদ দান করে চলে যেতেন। এই প্রাচীন প্রথা আজও বহমান, এবং মহাকুম্ভ মেলা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাবেশ (Prayagraj) হিসেবে অনুষ্ঠিত হয় (Mahakumbh 2025)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Kazakhstan Plane Crash: কাজাখস্তানের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা! মৃত অন্তত ৪২, উদ্ধার দুই নাবালক সহ ২৫

    Kazakhstan Plane Crash: কাজাখস্তানের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা! মৃত অন্তত ৪২, উদ্ধার দুই নাবালক সহ ২৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনেই বিষাদের খবর। ৬৭টি জন যাত্রী এবং ৫ জন ক্র সদস্য নিয়ে কাজাখস্তানে ভেঙে পড়ল একটি বিমান। প্রথমে সব যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১১ বছর এবং ১৬ বছরের দুই নাবালক সহ ২৫ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৪২ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে কাজাখস্তান (Kazakhstan Plane Crash) প্রশাসন। 

    কেন এই দুর্ঘটনা

    বিমান দুর্ঘটনার খবর দেওয়া হয়েছে কাজাখস্তানের পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে৷ তারা জানিয়েছে, যে বিমানটি ভেঙে পড়েছে, সেটি আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের ৷ বিমানটি আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রোজনিতে যাচ্ছিল ৷ কাজাখস্তানের আকতাউ শহরের কাছে বিমানটি ভেঙে পড়ে ৷ মাঝপথে কোনও এক কারণে বিমানের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন পাইলট। দুর্ঘটনার মুহূর্তের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, বিমানটি ক্রমশ নীচের দিকে নামতে শুরু করছিল এবং তাতে আগুন লেগে যায়। রাশিয়ার সংবাদসংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কুয়াশার কারণে হয়তো পাইলট দিকভ্রষ্ট হয়েছিলেন। যার ফলে তিনি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা। 

    জরুরি অবতরণের অনুরোধ

    আজারবাইজাইন এয়ারলাইন্সের তরফে জানানো হয়েছে যে এই বিমানটি কাস্পিয়ান সাগরের পূর্ব তীরে তেল ও গ্যাসের কেন্দ্র বলে পরিচিত আকাউত থেকে তিন কিলোমিটার দূরে জরুরি অবতরণ করার জন্য অনুরোধ জানায়৷ ভেঙে পড়ার আগে বিমানের পাইলট এমারজেন্সি ল্যান্ডিং-এর অনুরোধ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তিনি কোনও উত্তর পাননি। এরপর মাঝ আকাশেই কয়েক রাউন্ড চক্কর কাটার পর ভেঙে পড়ে বিমানটি। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিমান দুর্ঘটনার একাধিক ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Attacks On Hindus: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলা, কঠোর বার্তা আমেরিকার

    Attacks On Hindus: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলা, কঠোর বার্তা আমেরিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকায় শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের (Attacks On Hindus) উপর নির্যাতন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এই আবহে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসকে সমস্ত ধর্মের অধিকার রক্ষার কথা বলল আমেরিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) জেক সুলিভান এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান মুহাম্মদ ইউনুসের মধ্যে এই নিয়ে ফোনে কথা হয়। হোয়াইট হাউসের একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, “দুই নেতা মানবাধিকার রক্ষার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।”

    ঢাকাকে নির্দেশ

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক মাস পরেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। এর ঠিক আগে, ইউনুসের সঙ্গে কথা বললেন সুলিভান। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি এবং গণতান্ত্রিক শাসনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে এবং বাংলাদেশ যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে তাতে তাদের সহায়তা করবে। কিন্তু বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকেও সে দেশে সকল ধর্মের মানুষের অধিকার রক্ষা করতে হবে।”

    বাংলাদেশে হিন্দুদের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ

    বাংলাদেশে হিন্দু (Attacks On Hindus) এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতার ঘটনা এবং মন্দিরে আক্রমণের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। ১৩ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউস জানায় যে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল থাকার নির্দেশ দেয় হোয়াইট হাউস।

    আরও পড়ুন: হিন্দুত্বের রাষ্ট্রনায়ক, ভারতবর্ষের গর্ব অটল বিহারী বাজপেয়ী

    সম্প্রতি, ভারতীয়-আমেরিকান ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসম্যান শ্রী থানেদার হোয়াইট হাউসকে বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের হত্যাকাণ্ড (Attacks On Hindus) এবং তাদের মন্দিরে আক্রমণ নিয়ে সরকারিভাবে চরম পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। থানেদার বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের অধিকার ও মানবাধিকার রক্ষার ইতিহাস দীর্ঘ এবং এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিক্রিয়া যথাযথ হওয়া উচিত।” হিন্দু অ্যাকশন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক উৎসব চক্রবর্তীর মতে, “গত পাঁচ মাসে যা ঘটেছে তা পরিষ্কারভাবে দেখাচ্ছে যে, ইউনুস তার সহযোগী জামাত-এ-ইসলামি দলের সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে, যারা এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির পুড়িয়ে দিচ্ছে, মানুষ হত্যা করছে, নারীদের ধর্ষণ করছে এবং পুরোহিতদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cough and cold: শহর জুড়ে সর্দি-কাশির দাপট! নাজেহাল আট থেকে আশি! কেন বাড়ছে ভোগান্তি?

    Cough and cold: শহর জুড়ে সর্দি-কাশির দাপট! নাজেহাল আট থেকে আশি! কেন বাড়ছে ভোগান্তি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদের ওঠানামা লেগেই আছে। কখনও রাতের দিকে বাড়ছে তাপমাত্রা, আবার কখনও ভোরে শীতের আমেজে মুড়ে যাচ্ছে আশপাশ। আর তার মাঝেই ভোগান্তি বাড়াচ্ছে কাশি।শিশু থেকে বয়স্ক, অধিকাংশ মানুষের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে সর্দি-কাশি (Cough and cold)। বিশেষত কলকাতা ও তার আশপাশে এই কাশির দাপট আরও বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক সপ্তাহে কাশির ভোগান্তি বেড়েছে। ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগ শিশু এবং প্রবীণ নাগরিক।

    কেন বাড়ছে কাশির দাপট? (Cough and cold)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার খামখেয়ালির জন্যই সর্দি-কাশির দাপট বেড়েছে। কখনও গরম আবার কখনও ঠান্ডা, আবহাওয়ার এই রকমফেরে বাতাসে নানান ভাইরাসের দাপট বাড়ে। এর ফলে ফুসফুসের সংক্রমণ এবং শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাই এই সময়ে কাশির ভোগান্তি বাড়ে। তাছাড়া, এই সময়ে বাতাসে ধুলিকণার পরিমাণ বাড়ে। তাই কাশির সমস্যা দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাশি আসলে অ্যালার্জির প্রকাশ। শ্বাসনালীতে যে কোনও রকম সংক্রমণ কিংবা অ্যালার্জি হলে কাশি হয়। এই সময়ে আবহাওয়ার বারবার পরিবর্তনের জেরেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এখন দেখা যাক, কোন ঘরোয়া উপাদান উপশম করবে?

    লেবু এবং কিউই জাতীয় ফল

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি। শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি যথেষ্ট থাকলে বিভিন্ন ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় নিয়মিত লেবু এবং কিউই জাতীয় ফল খাওয়া জরুরি। এই দুই ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। এর জেরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাই নিয়মিত এই দুই ফল খেলে কাশির (Cough and cold) ভোগান্তিও কমবে।

    রান্নায় আদা

    রান্নায় আদার ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শ্বাসনালীর সংক্রমণ কমাতে (Suffering) আদা খুবই উপকারী। কাশির অন্যতম কারণ শ্বাসনালীর সংক্রমণ। তাই এই সময়ে নিয়মিত আদা খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে।

    এলাচ ও লবঙ্গ (Cough and cold)

    এলাচ এবং লবঙ্গের মতো মশলা নিয়মিত রান্নায় ব্যবহার করলে কাশির উপশম হবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এলাচ এবং লবঙ্গ, এই দুই মশলা ফুসফুসের জন্য বিশেষ উপকারি। ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমায় এই মশলা। তাই এই সময়ে এই দুই মশলা রান্নায় থাকলে নানান ভাইরাস ঘটিত রোগের ঝুঁকি কমবে। কাশির দাপট ও কমবে। 
    সকালে এক চামচ মধু নিয়ম করে খেলে কাশির ভোগান্তি অনেকটাই কমবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, সর্দি-কাশির দাপট কমাতে ও এই আবহাওয়ায় শরীরকে সুস্থ রাখতে মধু বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত মধু খেলে শরীর সুস্থ থাকে।

    তুলসী পাতা

    কাশির দাপট কমাতে বিশেষ সাহায্য করে তুলসী পাতা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তুলসী পাতায় রয়েছে একাধিক উপাদান। তুলসী পাতা খেলে শরীরের একাধিক ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মুক্তি ঘটে‌। তাই কাশি-সর্দির (Cough and cold) বিরুদ্ধে মোকাবিলা ও সহজ হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tulsi Pujan Diwas: ২৫ ডিসেম্বর পালিত হয় তুলসী পূজন দিবস, দিনটির গুরুত্ব জানেন?

    Tulsi Pujan Diwas: ২৫ ডিসেম্বর পালিত হয় তুলসী পূজন দিবস, দিনটির গুরুত্ব জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৫ ডিসেম্বর। কেবল খ্রিস্টান নন, হিন্দুদের কাছেও দিনটি অত্যন্ত পবিত্র। এই দিনে হিন্দুরা উপাসনা করেন দেবী তুলসীর (Significance)। দিনটি তুলসী পূজন দিবস হিসেবে পালন করেন সনাতনীরা (Tulsi Pujan Diwas)।

    তুলসী পূজন উৎসব (Tulsi Pujan Diwas)

    হিন্দুদের বিশ্বাস, তুলসী অত্যন্ত পবিত্র। তাই হিন্দুদের ঘরে ঘরে নিত্যদিন তুলসী পুজো হয়। প্রতিদিন তুলসীর আরাধনা করলে সমস্ত বাধাবিপত্তি দূর হয়। ২০১৪ সালে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় তুলসী পূজন। তার পর থেকে ফি বছর ২৫ ডিসেম্বর দিনটিতে পুজো হয় তুলসীর। চতুর্দশী তিথিতে হয় তুলসী পূজন উৎসব। তুলসীর আর এক নাম বিষ্ণুপ্রিয়া।তুলসীকে ঐশ্বর্য ও সৌভাগ্যের দেবী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তুলসীর কাছে প্রার্থনা করা সৌভাগ্য আনে বলে বিশ্বাস। তুলসী পুজন দিবসে বাড়িতে নতুন তুলসী গাছ আনা হয়। এদিন তুলসী চারা কোনও মন্দির বা উপাসনা স্থলে দান করলে পুণ্য লাভ হয়। জীবনভর সুখ-শান্তি বজায় রাখতে চাইলে অবশ্যই তুলসীর পুজো করা উচিত।

    শুভ দিন

    তুলসী পূজন দিবস জাঁকজমকপূর্ণ আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয়, যা বিবাহ ও গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানের জন্য শুভ বলে বিবেচিত হয়। এদিন ভক্তরা ভোরে উঠে বাড়িঘর পরিষ্কার করেন। তুলসী গাছকে ফুল-মালা-গয়নায় সাজানো হয়। তুলসী ও ভগবান বিষ্ণুর বৈবাহিক অনুষ্ঠানের আয়োজন অত্যন্ত ভক্তিভরে করা হয়। তুলসী পূজন ভক্তদের জীবনে সমৃদ্ধি, সুখ এবং আধ্যাত্মিক কল্যাণ বয়ে আনে বলে হিন্দুদের বিশ্বাস। তুলসী পূজন দিবসের (Tulsi Pujan Diwas) উৎপত্তি বর্ণিত হয়েছে হিন্দু পুরাণে।

    আরও পড়ুন: ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশন নেওয়ার হুমকি টাইকুন এস আলমের?

    কিংবদন্তি অনুসারে, তুলসী মূলত এক নিবেদিতপ্রাণ নারী। তাঁর নাম ছিল বৃন্দা। তিনি অসুররাজ জলন্ধরের স্ত্রী। বৃন্দার পবিত্রতার শক্তি থেকে অপরাজেয় হয়ে উঠেছিলেন তিনি। দেবতারা যখন জলন্ধরকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হলেন, তখন তাঁরা বিষ্ণুর সাহায্য চাইলেন। বিষ্ণু ছদ্মবেশে বৃন্দার পবিত্রতা ভঙ্গ করেন। যার ফলে জলন্ধর হেরে যান। দুঃখে বৃন্দা তুলসী গাছে রূপান্তরিত হন। বিষ্ণু এই পাপ মোচনের জন্য তুলসীকে প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি প্রতি বছর এই দিনে তুলসীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন (Significance)। সেই থেকেই তুলসী পূজন দিবস পালন করা হয় (Tulsi Pujan Diwas)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share