Tag: Madhyom

Madhyom

  • Atal Bihari Vajpayee: হিন্দুত্বের রাষ্ট্রনায়ক, ভারতবর্ষের গর্ব অটল বিহারী বাজপেয়ী

    Atal Bihari Vajpayee: হিন্দুত্বের রাষ্ট্রনায়ক, ভারতবর্ষের গর্ব অটল বিহারী বাজপেয়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একবিংশ শতাব্দীতে ভারতের রূপান্তরের স্থপতি অটল বিহারী বাজপেয়ীর শততম জন্মদিন বুধবার। এদিন থেকেই শুরু হল তাঁর শতবর্ষ উদযাপন। হিন্দুত্ব, জাতীয়তাবাদ এবং সাংস্কৃতিক গর্বের প্রতীক ছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। শক্তিশালী এবং আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনিই প্রথম যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিনি, তাঁর নেতৃত্বে দেশকে এক নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন, যা আজও প্রাসঙ্গিক।

    জীবনের পাঠ

    ১৯২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর গোয়ালিয়রে এক শিক্ষিত ও মূল্যবোধে ভরপুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। তাঁর পিতা কৃষ্ণ বিহারী বাজপেয়ী, একজন শিক্ষক ও পণ্ডিত, ছিলেন। অটলজি’র প্রাথমিক বৌদ্ধিক এবং আধ্যাত্মিক অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন তাঁর বাবাই। বীর সাভারকারের বিপ্লবী চিন্তা এবং ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে অটল বিহারী বাজপেয়ী তরুণ বয়সেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এ যোগ দেন। আরএসএস তাঁকে আত্মনির্ভরতা, সাংস্কৃতিক গর্ব এবং ভারত মাতার প্রতি অবিচল কর্তব্যের মূলনীতিগুলি শেখায়।

    রাজনীতির হাতেখড়ি

    বাজপেয়ীর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ১৯৫১ সালে ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় জনসংঘ (বিজেএস) থেকে। তিনি দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে জাতীয়তাবাদী ভারতের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠেন এবং সাংস্কৃতিক ঐক্যের জন্য নিরলস প্রচার চালাতে থাকেন। তাঁর সংসদীয় ভাষণগুলো ছিল রাষ্ট্রনায়কোচিত, যেখানে তিনি ভারতকে তাঁর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করার আহ্বান জানাতেন। আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রাচীন ভারতের শিক্ষাকে প্রতিষ্ঠিত করাই ছিল তাঁর লক্ষ্য।

    হিন্দুত্বের মৌলিক ভাবনাকে অগ্রাধিকার

    ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থায় যখন ইন্দিরা গান্ধী গণতান্ত্রিক স্বাধীনতাকে দমন করেছিলেন, বাজপেয়ী তা প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে উদিত হন এবং তাঁর বক্তব্য ও লেখনীর মাধ্যমে হিন্দুত্বের মৌলিক ভাবনার পক্ষে শক্তিশালী অবস্থান গ্রহণ করেন। তাঁর ধারা এবং বিশ্বাস ভারতের সাংস্কৃতিক সত্তার রক্ষায় প্রতিনিয়ত অবদান রেখেছিল। ১৯৮০ সালে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) প্রতিষ্ঠার পর বাজপেয়ী দলটির একটি শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তোলেন। তাঁর নেতৃত্বে বিজেপি হিন্দুত্বের আদর্শকে একটি আধুনিক ও সমন্বিত রূপে উপস্থাপন করে। বাজপেয়ীর কৌশলগত সমঝোতা এবং প্রজ্ঞা ভারতকে নতুন দিগন্তে নিয়ে গিয়েছিল, যেখানে আধুনিকীকরণ এবং ঐতিহ্য সমন্বিত ছিল।

    প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সঙ্গে ছিল তাঁর নিবিড় যোগ। কিন্তু দেশের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোর প্রতি ছিল অপার শ্রদ্ধা। এক টালমাটাল সন্ধিক্ষণে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন – এক দিকে জোট রাজনীতির উত্থান, অন্য দিকে দেশের অর্থনীতিতে বড়সড় বদল আনার প্রক্রিয়া। ১৯৯৬, ১৯৯৮ ও ১৯৯৯-২০০৪ সাল এই তিন দফায় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ছিলেন বাজপেয়ী। অর্থাৎ ২২৬৮ দিন প্রধানমন্ত্রী পদে থেকে দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নেতৃত্বের অন্যতম স্মরণীয় ঘটনা ছিল ১৯৯৮ সালে পোখরান-২ পারমাণবিক পরীক্ষা, যা ভারতকে একটি পারমাণবিক শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। বাজপেয়ীর কূটনৈতিক কৌশল এবং রাষ্ট্রীয় আত্মবিশ্বাস ভারতকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদা প্রদান করেছিল। পোখরান পারমাণবিক পরীক্ষা নিয়ে তিনি বলেছিলেন, “এটি আগ্রাসন নয়, আত্মরক্ষার অংশ”।

    কার্যকরী রাষ্ট্রনীতির অংশ ছিল হিন্দুত্ব

    অটল বিহারী বাজপেয়ীর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি হিন্দুত্বকে শুধু একটি আদর্শ হিসেবে নয়, বরং কার্যকরী রাষ্ট্রনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। তাঁর নেতৃত্বে, ভারত তার সাংস্কৃতিক পরিচয় ও গর্ব বজায় রেখে প্রগতির পথে এগিয়েছিল। তাঁর বক্তব্যগুলি দেশবাসীকে ভারত মাতা এবং তার ঐতিহ্যের প্রতি গর্বিত হতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। হিন্দুত্বের এক দৃঢ় পথপ্রদর্শক ছিলেন বাজপেয়ী। সনাতন ভারতের প্রতি ছিল তাঁর অগাধ আস্থা। প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরেই তিনি দেশকে উন্নতির পথ দেখিয়েছিলেন।

    হিন্দু ধর্ম নিয়ে বাজপেয়ীর অভিমত

    বাজপেয়ী নিজে শুধু সনাতনী হিন্দু ছিলেন না, তার পাশাপাশি সনাতন হিন্দু ধর্মের অন্তর্নিহিত নির্যাস তিনি বুঝতেন। হিন্দু ধর্ম নিয়ে এক এক প্রবন্ধে বাজপেয়ী লিখেছিলেন, “হিন্দুধর্মের প্রতি আমার আকর্ষণের প্রধান কারণ হল এটি মানবজাতির সর্বোচ্চ ধর্ম। হিন্দু ধর্ম কোন বইয়ের সাথে বা কোন নির্দিষ্ট ধর্ম প্রচারকের সাথে যুক্ত নয়। হিন্দু ধর্মের রূপটি সর্বদা হিন্দু সমাজ দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং এই কারণেই এটি অনাদিকাল থেকে ক্রমবর্ধমান এবং বিকাশ লাভ করে আসছে।”

    আরও পড়ুন: ক্লাব অফ রোমের মাধ্যমে উচ্চাকাঙ্খা পূরণ করেছিলেন মনমোহন সিং?

    যখন সমগ্র সমাজ ধর্ম ও জাতপাতের ভিত্তিতে সমাজে বিভাজন তৈরি করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ব্যস্ত, ঠিক সেই সময়ই বাজপেয়ীর বক্তব্য খুবই প্রাসঙ্গিক বলেই মনে করা হয়। একবার তিনি বলেছিলেন, “আপনারা জানেন, আমার জীবনের প্রথম দিকে, আমি পৈতে পরিধান করতাম, কিন্তু যখন আমি নিজেকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে নিবেদিত করি, তখন আমি এটি সরিয়ে দিয়েছিলাম কারণ আমি অনুভব করেছি যে এটি আমাকে অন্য হিন্দুদের থেকে আলাদা করেছে। আগে ‘শিখা’ এবং ‘সূত্র’ ছিল হিন্দুদের দুটি পরিচয়। বেশিরভাগ মানুষ শিখাকে আর রাখেন না। শিখা পালন না করে কেউ হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করেছে এমন কথা বলা ভুল। হ্যাঁ, শিখা যখন জোর করে কাটা হয়, ধর্মীয় দমনের রূপক, তখন তা বন্ধ করা আমাদের কর্তব্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: বিগ্রহ সরিয়ে ওড়ানো হয়েছিল ইসলামি পতাকা, দখলমুক্ত গঙ্গা মন্দির

    Uttar Pradesh: বিগ্রহ সরিয়ে ওড়ানো হয়েছিল ইসলামি পতাকা, দখলমুক্ত গঙ্গা মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস খ্যাত ২৫০ বছরের পুরানো মন্দির। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বালিয়েরি অঞ্চলের এই মন্দির চার দশক ধরে দখল করে রেখেছিল জনৈক ওয়াজিদ আলি ও তার পরিবার। গঙ্গা মহারানির (Ganga Maharani Mandir) সেই মন্দিরই দখলমুক্ত হয়েছে সম্প্রতি। কিলা এলাকার কাটঘরে অবস্থিত এই মন্দিরটি রাকেশ সিংয়ের পূর্বপুরুষদের দ্বারা নির্মিত। আধ্যাত্মিক তো বটেই, ঐতিহাসিক দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই মন্দির।

    পাহারাদারের মন্দির দখল (Uttar Pradesh)

    ইসলামপন্থী ওয়াজিদ আলি ছিলেন এই মন্দিরের পাহারাদার। ধীরে ধীরে মন্দির প্রাঙ্গন দখল করে নেন তিনি। পরে পুজো বন্ধ করে দেন। মন্দিরের দরজায় ঝুলিয়ে দেন তালা। অভিযোগ, ওয়াজিদ মন্দিরের মূর্তিগুলি সরিয়ে ফেলেন। এর মধ্যে ছিল একটি সাদা শিবলিঙ্গও। বিগ্রহগুলি সরিয়ে ওয়াজিদ সেখানে তুলে দেন ইসলামি পতাকা। স্বাভাবিকভাবেই মন্দিরে আনাগোনা বন্ধ হয়ে যায় ভক্তদের। মন্দিরটি একসময় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনার কেন্দ্র ছিল। ১৯৫০ সালের পর থেকে পুজো-অর্চনা বন্ধ করে দেন ওয়াজিদ। বছরের পর বছর ধরে মূল ট্রাস্টিদের বংশধর রাকেশ সিংহ এবং হিন্দু সংগঠনগুলো জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন মন্দির পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়ে।

    আরও পড়ুন: ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশন নেওয়ার হুমকি টাইকুন এস আলমের?

    মন্দিরের জমি দখল মুক্ত

    একটি দৈনিকে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র কুমার তদন্তের নির্দেশ দেন। এসডিএম সদর গোবিন্দ মৌর্য এবং সমবায় সমিতির কর্মকর্তারা জায়গাটি পরিদর্শন করেন এবং মালিকানার নথি যাচাই করেন। তদন্তে দেখা যায়, মন্দিরের জমি ১৯০৫ সাল থেকে গঙ্গা মহারানি ট্রাস্টের অধীনে নিবন্ধিত ছিল। প্রত্যাশিতভাবেই খারিজ হয়ে যায় ওয়াজিদ আলির আইনি দখলের দাবি। তাঁর দাবি, তাঁর বাবা সমবায় সমিতির একজন প্রহরী ছিলেন (Uttar Pradesh)। সেখান থেকে সরে যাওয়ার জন্য সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ করেছিলেন। তবে, সমবায় সমিতির সচিব বিকাশ শর্মা স্পষ্ট করেন যে ওয়াজিদ বা তার বাবার কোনও চাকরির রেকর্ড তাঁদের কাছে নেই। ২০ ডিসেম্বর, জেলা প্রশাসন, এসপি সিটি মনীশ পারিখের নেতৃত্বে, উচ্ছেদের নির্দেশ কার্যকর করে। এর পরেই ওয়াজিদ ও তার পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে যায়। ২১ ডিসেম্বর পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয় মন্দির (Ganga Maharani Mandir)। অভিষেক-পুজোপাঠও হয় ওই দিনই (Uttar Pradesh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan Air Strike: আফগানিস্তানে পাক বিমান হামলা! মৃত অন্তত ১৫, কড়া হুঁশিয়ারি তালিবানের

    Pakistan Air Strike: আফগানিস্তানে পাক বিমান হামলা! মৃত অন্তত ১৫, কড়া হুঁশিয়ারি তালিবানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের মাটিতে বিধ্বংসী বিমান হামলা চালাল পাকিস্তান। মঙ্গলবার রাতে আফগানিস্তানের (Air Strike on Afghanistan) পাকতিয়া প্রদেশের বারমাল জেলায় এই হামলা চালায় পাক বায়ুসেনা (Pakistan Air Strike)। এই ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা যাচ্ছে। পাক সেনার অতর্কিত এই হামলার পালটা জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তালিবান।

    ৭ গ্রামের উপর বিমান হামলা 

    স্থানীয় সূত্রে খবর, ২৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে লমান সহ ৭ গ্রামের উপর এই বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় একই পরিবারের ৫ সদস্য মারা গিয়েছেন। এই বিমান হামলার তদন্ত ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে। এই হামলার পিছনে আসলে দায় কার, তা খুঁজে বের করা হচ্ছে। তালিবান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলার তীব্র প্রতিবাদ করা হচ্ছে।  পাকিস্তানের (Pakistan Air Strike) পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করা হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের (Air Strike on Afghanistan) মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণেই এই হামলা চালানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, সীমান্তবর্তী তালিবান আস্তানাগুলো লক্ষ্য করেই পাক বায়ুসেনার এই আক্রমণ।

    আরও পড়ুন: বসের সঙ্গে সহবাস করতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর

    তালিবানের নিন্দা

    ইসলামাবাদের সূত্র দাবি করছে, মঙ্গলবার আফগানিস্তানে অবস্থিত একটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অভিযান চালায় পাকিস্তানি বায়ুসেনা (Pakistan Air Strike)। সেই অভিযানে পাক তালিবানের (Air Strike on Afghanistan) প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ধ্বংস হয়েছে। সেই অভিযানে কয়েকজন জঙ্গিও মারা গিয়েছে বলে দাবি করে পাকিস্তানি সরকারি সূত্র। যদিও এই নিয়ে কোনও সরকারি আধিকারিক প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। পাকতিকায় বিমান হামলার পর পাল্টা জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তালিবান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে তালিবানের তরফ থেকে। এই নিয়ে বলা হয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার বৈধ অধিকার রয়েছে তাদের। এদিকে দাবি করা হয়েছে, হামলায় ক্ষতিগ্রস্তরা ‘ওয়াজিরিস্তানি শরণার্থী’। উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিন ধরেই পাকিস্তানি সেনার ওপরে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের হামলা বেড়েছে। আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, পাকিস্তানি পক্ষের জানা উচিত যে, এ ধরনের একতরফা পদক্ষেপ কোনও সমস্যার সমাধান নয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • S Alam: ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশন নেওয়ার হুমকি টাইকুন এস আলমের?

    S Alam: ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশন নেওয়ার হুমকি টাইকুন এস আলমের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি টাইকুন। হাসিনা-উত্তর জমানায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর সম্পদ। নষ্টও করা হয়েছে বর্তমানে সিঙ্গাপুরবাসী এই ব্যবসায়ীর (Bangladesh) সম্পত্তি। এসব ফেরত না দিলে আন্তর্জাতিকভাবে লিগ্যাল অ্যাকশন নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এস আলম (S Alam) নামের ওই ব্যবসায়ী। সম্পদ ও বিনিয়োগ নিয়ে বিরোধের নিষ্পত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ছ’মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মো. সাইফুল আলম।

    আন্তর্জাতিক সালিসি

    এই সময়ের মধ্যে বিষয়টির নিষ্পত্তি না হলে আন্তর্জাতিক সালিসিতে যাবেন তিনি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারে তাঁর সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে বলে দাবি আলমের। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস ও একাধিক উপদেষ্টার কাছে বিরোধ নিষ্পত্তির নোটিশ পাঠিয়েছেন এস আলম। সেই নোটিশেই বেঁধে দেওয়া হয়েছে ছ’মাস। আওয়ামি লিগ সরকারের সময় বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গিয়েছে বলে দাবি ইউনূস সরকারের।

    কী বলা হয়েছে নোটিশে

    নোটিশে বলা হয়েছে, এই ক্ষতি আদায়ে সাইফুল আলম আন্তর্জাতিক আইনি প্রচেষ্টা শুরু করেছেন। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে ২০০৪ সালের দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে নোটিশে। ১৮ ডিসেম্বর জারি করা নোটিশে বলা হয়েছে, এস আলমের পরিবার ২০১১ সাল থেকে সিঙ্গাপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। ২০২০ সালে তাঁরা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, মার্কিন আইনি প্রতিষ্ঠান কুইন ইমানুয়েল অ্যান্ড সুলিভানের আইনজীবীরা এই নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকাণ্ড ও অবহেলার কারণে বিনিয়োগকারীদের অর্থাৎ এস আলম গ্রুপের বিনিয়োগ ও সম্পদমূল্য সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।

    বিনিয়োগ চুক্তি

    বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, “শেখ হাসিনার শাসনকালে সরকার প্রধানের ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় ব্যাঙ্ক থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন। এর মধ্যে বিতর্কিত ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলম একাই দেশের বাইরে পাচার করেছেন হাজার কোটি মার্কিন ডলার। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ব্যাঙ্ক ডাকাতির এটাই সব চেয়ে বড় ঘটনা।” তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এস আলম গোষ্ঠী বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে।” অন্যদিকে সাইফুল (Bangladesh) বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক এস আলম গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে ভীতি প্রদর্শনমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে, তার প্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ চুক্তির প্রেক্ষিতে তাঁর সুরক্ষা প্রাপ্য।”

    কোটি কোটি টাকা পাচার!

    বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের বক্তব্য, বিষয়গুলি তদন্তাধীন। তাই এ ব্যাপারে তারা কোনও মন্তব্য করবে না। হাসিনা সরকারের আমলে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ ইউনূস প্রশাসনের। প্রশ্ন হল, শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন যদি তিনি বিদেশে টাকা পাচার করেন, তাহলে তখন কেন কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা কিংবা বিরোধীরা এই অভিযোগ তোলেননি? প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর হাসিনার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে সাধারণ নির্বাচনের আগে এভাবে জনমানসে হাসিনার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে চাইছেন হাসিনা বিরোধীরা।

    শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ

    বাংলাদেশে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছিল ইউনূসের বিরুদ্ধে। তিনি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান। ইউনূস-সহ চারজনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেই সময় বাংলাদেশের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেছিলেন, “সাক্ষ্যপ্রমাণে ইউনূসের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছি। ফলে সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলেই আশা করছি।”

    আরও পড়ুন: বসের সঙ্গে সহবাস করতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এসএম আরিফুজ্জামান। মামলার নথি অনুসারে, আইএফডি কর্তারা ২০২১ সালের ১৬ অগাস্ট ঢাকার মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের অফিস পরিদর্শন করে শ্রম আইনের বেশ কিছু ত্রুটি খুঁজে পান। সেই বছরেরই ১৯ অগাস্ট গ্রামীণ কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির ৬৭ কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি। কর্মচারীদের পার্টিসিপেশন ও কল্যাণ তহবিল এখনও গঠন করা হয়নি। কোম্পানির যে লভ্যাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা ছিল, তার পাঁচ শতাংশও পরিশোধ (Bangladesh) করা হয়নি।

    সেই ইউনূসই বাজেয়াপ্ত করছেন অন্য ব্যবসায়ীদের সম্পত্তি (S Alam)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Haridas Pal: শুধু নিছকই প্রবাদ নয়, কে ছিলেন ‘হরিদাস পাল’?

    Haridas Pal: শুধু নিছকই প্রবাদ নয়, কে ছিলেন ‘হরিদাস পাল’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার পথে মাঠে ঘাটে সামান্য মন কষাকষি বা বিতর্কের স্ফুলিঙ্গ দেখা দিলেই, যুযুধান দুই পক্ষের ঠোঁটের ডগায় উঠে আসে একটি বাক্য, “তুমি কোন হরিদাস পাল?” গত পাঁচ ছয় দশক ধরে কোনও মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে অযোগ্য ও তুচ্ছ বোঝাতে, দ্বিধাহীনভাবে বাঙালি ব্যবহার করেছে ‘হরিদাস পাল’ নামটিকে। কাউকে ‘হরিদাস পাল’ (Haridas Pal) বললেই বক্তব্যটির সত্যতা বোঝা যাবে। মূলত, উপোহাস হিসেবে ব্যবহার হয়। কিন্তু, প্রশ্ন হল হরিদাস পাল আদৌ কেউ ছিলেন, না এটা জনশ্রুতি।

    কে সেই হরিদাস পাল? (Haridas Pal)

    কেউ বলেন এই হরিদাস পাল (Haridas Pal) একটি কাল্পনিক চরিত্র। কারণ বাঙালির ইতিহাসে এই মানুষটির জীবন কাহিনির খোঁজ মিলবে না। অপরপক্ষের মতবাদ হল, গত পাঁচ- ছয় দশক ধরে বাঙালির বুলিতে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নেওয়া মানুষটি ছিলেন রক্ত মাংসেই গড়া। কারণ, এরকম অনেক মানুষের নামই বাঙালি চলতি কথায় ব্যবহার করে, যাঁরা ছিলেন বাস্তব জগতের মানুষ। দু’জন হরিদাস পালই, কিংবদন্তির হরিদাস পাল হওয়ার যোগ্যতা রাখতেন। ফলে তাঁদের মধ্যে কে কিংবদন্তির ‘হরিদাস পাল’ তা নিয়ে আজ অবধি কোনও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। তবুও আসুন, চিনে নিই দুই পালকেই।

    রিষড়ার হরিদাস পাল

    জানা গিয়েছে, রিষড়ার হরিদাস পাল (Haridas Pal) হুগলির রিষড়া এলাকার এক গন্ধবণিক পরিবারের ১৮৭৬ সালে জন্মেছিলেন। নিতাইচরণ পালের পরিবারে জন্ম নেওয়া হরিদাস পালের সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিল দারিদ্র। তাই ষোল বছর বয়সে কাজ নিয়েছিলেন কলকাতার শোভাবাজার এলাকার একটি সোনার দোকানে। মাইনে ছিল অতি সামান্য। তাতে সংসার চলত না। একসময় ঋণের ফাঁদে পড়ে শেষ হতে বসেছিলেন। কিন্তু অভাবনীয়ভাবে একদিন ঘুরে গিয়েছিল ভাগ্যের মোড়। হরিদাস পালকে তাঁর সুবিশাল সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকারী করে, প্রয়াত হয়েছিলেন তাঁর নিঃসন্তান মামা। রাতারাতি ধনকুবের হয়ে গিয়েছিলেন, ঝাঁপ তুলে সোনার দোকানে ঝাঁট দেওয়ার কর্মী হরিদাস পাল। পেল্লায় দোকানঘর কিনে ফেলেছিলেন বড়বাজারে। বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিটে কিনে ফেলেছিলেন প্রাসাদোপম বাড়ি। শুরু করেছিলেন বিদেশি কাচ ও লণ্ঠনের ব্যবসা। সাফল্যের মুখ দেখেছিলেন ব্যবসাতেও। ব্যবসা প্রসারিত হয়েছিল গুয়াহাটি সহ ভারতের অন্যান্য শহরে। বিপুল বিত্তশালী হওয়া সত্ত্বেও এই হরিদাস পাল ছিলেন সৎ ও দয়ালু। আমরা দানবীর হাজি মহম্মদ মহসীন ও দানবীর আলামোহন দাসের নাম জানি। কিন্তু দানের দিক থেকে এই হরিদাস পাল সেই উচ্চতায় পৌঁছতে না পারলেও, সমাজের স্বার্থে একসময় প্রচুর অর্থব্যয় করেছিলেন। গড়ে তুলেছিলেন প্রচুর দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও অবৈতনিক শিক্ষা কেন্দ্র।

    হরিদাস পাল লেন

    জনশ্রুতি আছে, তাঁর কিছু বাড়িও দুঃস্থদের দান করে গিয়েছিলেন এই হরিদাস পাল। রিষড়া (Haridas Pal) থেকে কলকাতায় আসা এই হরিদাস পাল, প্রয়াত হয়েছিলেন ১৯৩৩ সালে। কিডনির অসুখে ভুগে মাত্র সাতান্ন বছর বয়সে বিদায় নিয়েছিলেন প্রভাবশালী মানুষটি। ১৯৬৫ সালে, এই হরিদাস পালের সম্মানার্থে, কলকাতা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট ও মহাত্মা গান্ধী রোডকে সংযুক্ত করা কলেজ লেনের নাম দিয়েছিল হরিদাস পাল লেন।

    হরিপুরের হরিদাস পাল

    ঊনবিংশ শতকের এই হরিদাস পাল (Haridas Pal) ছিলেন বাংলাদেশের হরিপুরের বাসিন্দা। হরিপুরের হরিদাস পাল কিন্তু রিষড়ার হরিদাস পালের মতো প্রথম জীবনে দারিদ্রের সম্মুখীন হননি। কারণ সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্ম হয়েছিল তাঁর। হরিপুরের হরিদাস পালের পূর্বপুরুষেরা ইংরেজদের মোসাহেবি করে প্রভুত সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন। স্ফূর্তি করতে নিয়মিত কলকাতায় আসতেন তাঁরা। বিভিন্নভাবে টাকা উড়িয়ে ফিরে যেতেন হরিপুরে। হরিপুরের হরিদাস পালের ওপরেও তাঁর পূর্বপুরুষের এই বদগুণগুলির প্রভাব ফেলেছিল। প্রচুর অর্থ নিয়ে হরিদাস পাল, হরিপুর থেকে পাকাপাকিভাবে চলে এসেছিলেন কলকাতায়। কিনেছিলেন প্রচুর স্থাবর সম্পত্তি। শুরু করেছিলেন নানান ব্যবসা। দু’হাতে অর্থ বিলিয়ে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিলেন কলকাতায়। কিন্তু ভোগবিলাস ও দান খয়রাতে ব্যস্ত থাকায়, ব্যবসাগুলির গণেশ উল্টে গিয়েছিল। একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলেন হরিপুরের হরিদাস পাল। নিঃস্ব হরিদাস পালকে কেউ আগের মতো মান্য করত না। সমস্ত সুনাম ও সম্মান হারিয়ে ফেলেছিলেন প্রভাবশালী এই মানুষটি। নানান অসুখে হারিয়ে ফেলেছিলেন শরীর ও স্বাস্থ্য। চিকিৎসা করার মতো অর্থও তাঁর কাছে ছিল না শেষজীবনে।

    হরিদাস পালকে নিয়ে কাহিনী

    ডক্টর মোহাম্মদ আমীন, ‘হরিদাস পাল (Haridas Pal) কে ছিলেন: কেন প্রবাদে হরিদাস এলেন’ প্রবন্ধে উল্লেখ করেছিলেন হরিপুরের হরিদাস পালের একটি কাহিনি। অসুস্থ শরীর নিয়ে হরিপুরের হরিদাস পাল একদিন গিয়েছিলেন তাঁর এক প্রাক্তন কর্মচারীর কাছে। সাহায্য পাওয়ার আশায়। কিন্তু তাঁর স্বাস্থ্য তখন এতটাই ভেঙে গিয়েছিল, সেই কর্মচারী হরিদাস পালকে প্রথমে চিনতে পারেননি। তখন হরিদাস পাল তাঁর পরিচয় দিয়ে, প্রাক্তন কর্মচারীর কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু সুনাম হারানো ও নিঃস্ব প্রাক্তন মালিকের কথা পাত্তাই দেননি সেই কর্মচারী। বিস্মিত হরিদাস পাল বলেছিলেন, “এক সময় তুমি আমার কথা শুনতে।” তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে বিরক্ত কর্মচারীটি বলেছিলেন, “তুমি কোন হরিদাস পাল, যে তোমার কথা এখনও শুনতে হবে?” কর্মচারীটি বোঝাতে চেয়েছিলেন, তুমি আর আগের মতো প্রভাবশালী হরিদাস পাল নেই, তাই তোমার কথা শোনার কোনও প্রয়োজন নেই। মাথা নিচু করে সেদিন ফিরে এসেছিলেন অপমানিত হরিদাস পাল। এই ঘটনাটির পর থেকেই নাকি প্রথমে কলকাতা ও পরে সারা বাংলায় “তুমি কোন হরিদাস পাল” বাগধারাটি প্রচলিত হয়ে গিয়েছিল।

    দুই হরিদাস পালের (Haridas Pal) জীবন কাহিনি থেকে এটা স্পষ্ট, তাঁরা দু’জনেই ধনী, দাতা ও প্রভাবশালী ছিলেন। তাই তাঁরা জীবনের সর্বক্ষেত্রে অসফল ছিলেন, একথা বলা যাবে না। বরং গড়পড়তা বাঙালির থেকে অনেক ওপরেই ছিল তাঁদের অবস্থান। তবুও রঙ্গপ্রিয় বাঙালির নিদারুণ পরিহাসে, ‘হরিদাস পাল’ নামটি তার সাবেক গরিমা হারিয়ে, আজ হয়ে উঠেছে উপহাসের বস্তু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra: বসের সঙ্গে সহবাস করতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর

    Maharashtra: বসের সঙ্গে সহবাস করতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়ের পর থেকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বসের সঙ্গে ২৮ বছরের স্ত্রীকে শারীরিক সম্পর্ক করতে জোর করেছিলেন ৪৫ বছরের সোহেল শেখ। কিন্তু, প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে তিন তালাক দিলেন স্বামী। এই ঘটনার পরেই থানায় গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন স্ত্রী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) কল্যাণে।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Maharashtra)

    নির্যাতিতা বধূ (Maharashtra) পুলিশকে জানিয়েছেন, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। যুবকের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। ৪৫ বছর বয়সি সোহেল পেশায় ইঞ্জিনিয়ার।  তিনি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। বিয়ের কয়েক মাস পরেই সোহেল জানান, প্রথম স্ত্রীকে তিনি ডিভোর্স দিতে চান। তার জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন। তখন থেকেই তরুণীর পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করতেন সোহেল। প্রথম স্ত্রীকে দেওয়ার জন্য দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিবারের কাছ থেকে প্রতি মাসে ১৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। টাকা না পেলে তিনি তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাড়িতে আসতে দেবেন না বলে হুমকি দেন। দাবি না মানলে তাঁকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়।

    বসের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে স্ত্রীকে চাপ!

    অফিসের বসের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে স্ত্রীকে বারবার জোর করেছিলেন সোহেল। তাতেও রাজি হননি ওই মহিলা। একটি পার্টিতে গিয়েও বসের সঙ্গে সহবাসের জন্য জোর করেন তাঁকে। বারবার স্ত্রীর থেকে ‘না’ শুনেই মেজাজ হারান সোহেল। এরপর তরুণীকে বেধড়ক মারধর করেন। ৫ ডিসেম্বর ওই বধূ বাড়িতে এলে তাঁদের মধ্যে শুরু হয় অশান্তি। সোহেল তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং তিন তালাক (Talaq) দিয়ে দেন। এরপরই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই বধূ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ১১৫ (২), ৩৫১ (২), ৩৫১ (৩) এবং ৩৫২ সেই সঙ্গে মুসলিম নারী (বিবাহের অধিকার সুরক্ষা) আইন, ২০১৯-এর প্রাসঙ্গিক ধারাগুলি যুক্ত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বেআইনি”, ভিসিকে বার্তা রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বেআইনি”, ভিসিকে বার্তা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে চিঠি লিখে ২৪ ডিসেম্বরের সমাবর্তনকে “বেআইনি” বলে অভিহিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য সমস্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যপাল রাজ্য-চালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরও। চিঠিতে তিনি বলেছেন, যে যেহেতু নিয়মিত ভিসি নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে, তাই সমাবর্তনটি নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে।

    চিঠিতে কী বলা হয়েছে?(CV Ananda Bose)

    বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (JU) সমাবর্তন ২৪ ডিসেম্বর স্থির করা হয়েছিল। ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একটি কার্যনির্বাহী বৈঠকের পরে এই দিন ধার্য করা হয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৮১ অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সমাবর্তন ২৪ ডিসেম্বর বা নির্ধারিত যে কোনও তারিখে অনুষ্ঠিত হতে পারে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “এটি উল্লেখ্য যে ১৭ ডিসেম্বর একটি কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা তাড়াহুড়ো করে ২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তন অনুষ্ঠানের তারিখ ঠিক করা হয়েছে।” রাজ্যপাল অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন এবং এই বিষয়ে ব্যাখ্যার জন্য রাজভবনে তলব করেন। চিঠিতে (CV Ananda Bose) বলা হয়, “এছাড়াও দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় আদালতকে বাইপাস করেছে। সমাবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আইনি এক্তিয়ার আদালতের রয়েছে। পর্যাপ্ত নোটিশ দিয়ে আদালতকে ডাকতে হবে। একইসঙ্গে এই ত্রুটি সমাবর্তনের ক্ষেত্রে অননুমোদিত ব্যয়ের দিকে পরিচালিত করেছে। আপনার ১৮ ডিসেম্বরের চিঠিতে, আপনি স্বীকার করেছেন যে বিশাল আর্থিক জড়িত থাকার সমস্ত লজিস্টিক ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে। যা আইনত প্রদত্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের মতো বেআইনি।”

    ভাইস চ্যান্সেলর জমা দেওয়া ব্যাখ্যা “অগ্রহণযোগ্য”

    চিঠিতে গভর্নর (CV Ananda Bose) আরও বলেছেন, “ভাইস চ্যান্সেলরের জমা দেওয়া ব্যাখ্যা “অগ্রহণযোগ্য”। কারণ ভাইস চ্যান্সেলর আইন এবং বিধিতে বর্ণিত আইনি বিধানগুলি মেনে চলার ক্ষেত্রে যথাযথ অধ্যাবসায় প্রয়োগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO: ২০৪০ সালের মধ্যেই চাঁদে ভারতীয় নভোচারীকে অবতরণ করাবে ইসরো!

    ISRO: ২০৪০ সালের মধ্যেই চাঁদে ভারতীয় নভোচারীকে অবতরণ করাবে ইসরো!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ISRO)-এর চেয়ারম্যান এস সোমানাথের (S Somanath) মতে, “ভারত একটি উচ্চাকাঙ্খী মহাকাশ উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছে। যার লক্ষ্য হল ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে একজন নভোচারীকে অবতরণ কারনো।” উল্লেখ্য, ভারতই একমাত্র দেশ যা চন্দ্রযান ৩কে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে ল্যান্ডিং করাতে পেরেছে। অত্যন্ত কম খরচে এই অভিযান চালিয়ে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ইসরো।

    দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গিতে বাজেট অনুমোদন মোদির (ISRO)

    ইসরো কর্ণধারের এই ঘোষণায় যারপরনাই খুশি বিভিন্ন মহল। ভারতের মহাকাশ সেক্টরে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এবং অভূতপূর্ব উন্নয়নের জন্য চলতি বছরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ইসরো (ISRO)-র প্রকল্পের জন্য ৩১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের অনুমোদন করেছে। ফলে আগামী ২৫ বছর ধরে দেশের মহাকাশ প্রচেষ্টার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গির রোডম্যাপকে বাস্তবায়নের কাজ করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ হিন্দুরা চলে যাচ্ছেন, মিনি পাকিস্তানে পরিণত হচ্ছে আলিগড়ের বানিয়াপাড়া!

    ২৫ বছরের জন্য একটি রোড ম্যাপের পরিকল্পনা

    ইসরো (ISRO) প্রধান সোমনাথ (S Somanath) একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, আমরা যে মিশনগুলি সম্পন্ন করেছি তাতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গির রোডম্যাপ বিরাট সহযোগী হয়েছে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই বছরটি আমাদের জন্য একটি দুর্দান্ত বছর ছিল। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মহাকাশ কর্মসূচির বিষয়ে আমাদের আগামী ২৫ বছরের জন্য একটি রোড ম্যাপ পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে। এই রোডম্যাপের অংশ হিসাবে, ভারত ২০৩৫ সালের মধ্যে তার নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন, ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন স্থাপন করবে। এর একটি পর্যায় সম্পন্ন করে করা হবে ২০২৮ সালের মধ্যে একটি স্পেস স্টেশন মডিউল চালু করার মাধ্যমে। আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ রূপে অপারেশনের মঞ্চ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা হবে। এই দৃষ্টিভঙ্গির যদি চূড়ান্ত পরিণতি হয় তাহলে ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে একজন ভারতীয় মহাকাশচারীকে সফল ভাবে অবতরণ করানো যাবে।”

    ২৫০টির বেশি মহাকাশ স্টার্টআপ কাজ করছে

    ইসরো (ISRO) প্রধান সোমনাথ (S Somanath) আরও বলেন, “যখন আমরা দেশের স্বাধীনতার শততম বর্ষ উদযাপন করব, তখন একটি ভারতীয় পতাকা চাঁদে উড়বে এবং সেই সঙ্গে আমাদের দেশের মানুষও চাঁদে পৌঁছে যাবেন। একই ভাবে তাঁকে নিরাপদে আবার দেশের মাটিতে ফিরিয়েও আনাও হবে, আর এটাই আমাদের বিরাট কর্মযজ্ঞ হবে। তাই আমাদের লক্ষ্য হল ২০৪০ সাল। আগামী দিনে চন্দ্রযান ৪-সহ একাধিক প্রস্তুতিমূলক মিশন পরিচালিত হবে ইসরোর তরফ থেকে। স্পেস প্রোগ্রামে বৈজ্ঞানিক সাফল্য ব্যাপক ভাবে এসেছে। ২৫০টির বেশি মহাকাশ স্টার্টআপগুলি বর্তমানে উদ্ভাবনী শক্তির জোগানে কাজ করছে। ইতিমধ্যে অগ্নিকুল কসমস একটি তরল-চালিত সাব-অরবিটাল রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। মহাকাশে ব্যয় করা প্রতি টাকার খরচ বাড়িয়ে ২.৫২ টাকা করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 25 december 2024: সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 25 december 2024: সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। 

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম লাভ বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ২) অপরের উপকার করতে গেলে বিপদ হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) বাতজ রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা।

    ২) কর্মস্থলে নিজের মতামত প্রকাশ না করাই ভাল হবে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) বাড়িতে সবাই সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য আপনাকে বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Joe Biden: সাজা প্রাপ্ত ৪০ জন অপরাধীর মধ্যে ৩৭ জনের জনের মৃত্যুদণ্ড মকুব বাইডেনের

    Joe Biden: সাজা প্রাপ্ত ৪০ জন অপরাধীর মধ্যে ৩৭ জনের জনের মৃত্যুদণ্ড মকুব বাইডেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুদণ্ড (Death Penalty) প্রাপ্ত ৪০ জন অপরাধীদের মধ্যে ৩৭ জনের জনের মৃত্যুদণ্ড মকুব করেছেন। একটি বিবৃতি দিয়ে তিনি বলেন, “আমার এই সিদ্ধান্তের জন্য কোনও ভুল বুঝবেন না। আমি এই খুনিদের নিন্দা জানাই, তাদের ঘৃণ্য কাজের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের জন্য শোক জানাই। এই অকল্পনীয় এবং অপূরণীয় ক্ষতির শিকার সমস্ত পরিবারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।”

    ট্রাম্প দ্বিতীয়বার দায়িত্ব নেওয়ার আগেই বাইডেনর ঘোষণা(Joe Biden)

    একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে বাইডেন (Joe Biden) নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, “আমি আগের চেয়ে আরও বেশি নিশ্চিত যে আমাদের অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় মৃত্যুদণ্ডের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে। আমি বিবেকের কাছে ঠিক থাকতে চাই। আমি সকলের পাশে দাঁড়াতে চাই। তবে নতুন প্রশাসনকে মৃত্যুদণ্ড আবার শুরু করতে পারে।” মৃত্যুদণ্ডের সমর্থনকারী প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার দায়িত্ব নেওয়ার এক মাসেরও কম সময় আগে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই ভাবে শাস্তি মকুবের পরিকল্পনা করেছেন। এটা অনেক ইঙ্গিতপূর্ণ।

    আরও পড়ুনঃ চার স্ত্রী রাখার ফতোয়া নাকচ করেছে রাশিয়ারই প্রগতিশীল মুসলিম গোষ্ঠী

    কোন তিন বন্দির মৃত্যুদণ্ড মাপ হয়নি?

    ডেথ পেনাল্টি ইনফরমেশন সেন্টারের তরফে বলা হয়েছে, আমাদের সংস্থা অলাভজনক সংস্থা। আমাদের লক্ষ্য মিডিয়া, নীতিনির্ধারকদের সেবা করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে মৃত্যুদণ্ডের (Death Penalty) সাজাপ্রাপ্ত বন্দি-সহ সব মিলিয়ে ২২৫০ জন বন্দি রয়েছে। ৪০ জনের মধ্যে ৩৭ জনের ফাঁসি মকুব করা হয়েছে। আর বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ এবং ঘৃণ্য গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ৩ জনের মধ্যে জোখার সারনায়েভ এক জন। সে ম্যাসাচুসেটসে ২০১৩ সালের বোস্টন ম্যারাথন বোমা হামলা চালিয়েছিল। যাতে তিনজন নিহত হয়েছিল। দ্বিতীয় ব্যক্তি হল ডিলান রুফ। সে ২০১৫ সালে চার্লসটন, সাউথ ক্যারোলিনার একটি গির্জায় নয়জন উপাসককে হত্যা করেছিল। আর এক আসামী হল রবার্ট বোয়ার্স, যে ২০১৮ সালে পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গের একটি সিনাগগে ১১ জনকে হত্যা করেছিল।

    বাইডেন (Joe Biden), একজন ক্যাথলিক, মৃত্যুদণ্ডের ব্যবহারের বিরোধিতা করেছেন এবং তাঁর প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রীয় মৃত্যুদণ্ডের ওপর স্থগিতাদেশ আরোপ করেছে। হোয়াইট হাউস রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করে একটি নোটে বলেছেন, “তাঁর আজকের পদক্ষেপ পরবর্তী প্রশাসনকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে বাধা দেবে, যা বর্তমান নীতি ও অনুশীলনের অধীনে হস্তান্তর করা হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share