Tag: Madhyom

Madhyom

  • Jammu Kashmir: মন্ত্রিসভার প্রস্তাবে সই উপরাজ্যপালের, ভূস্বর্গ পাচ্ছে রাজ্যের মর্যাদা!

    Jammu Kashmir: মন্ত্রিসভার প্রস্তাবে সই উপরাজ্যপালের, ভূস্বর্গ পাচ্ছে রাজ্যের মর্যাদা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir)। জম্মু-কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব পাশ করেছিল (Statehood Resolution) ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লার মন্ত্রিসভা। পরে তা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহার কাছে। বর্তমানে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। এবার তোড়জোড় চলছে রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাওয়ার।

    রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব (Jammu Kashmir)

    বৃহস্পতিবারই প্রথম বৈঠকে বসে ওমর মন্ত্রিসভা। এদিনের বৈঠকে পাশ হয় জম্মু-কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব। মুখ্যমন্ত্রী ওমর ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তাঁর ডেপুটি সুরিন্দর চৌধুরী, মন্ত্রী সাকিনা মাসুদ ইতু, জাভেদ আহমেদ রানা, জাভেদ আহমেদ দার ও সতীশ শর্মা। মন্ত্রিসভার প্রস্তাবে উপরাজ্যপাল স্বাক্ষর করার পরে সেটি পাঠানো হবে দিল্লিতে। আগামী সপ্তাহেই দিল্লি যাওয়ার কথা ওমরের। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে আনুষ্ঠানিকভাবে মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাব তুলে দেবেন ওমর। আর্জি জানানো হবে জম্মু-কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার।

    সরকারি আধিকারিকের বক্তব্য

    জম্মু-কাশ্মীরের এক সরকারি আধিকারিক জানান, মন্ত্রিসভার পাশ করা প্রস্তাবে বাড়তি কিছু যোগ করেননি উপরাজ্যপাল। মন্ত্রিসভায় গৃহীত প্রস্তাব তাঁর কাছে আসতেই তিনি তাতে স্বাক্ষর করে দেন। তিনি বলেন, “এই প্রস্তাবের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দারা ফিরে পাবেন তাঁদের পরিচিতি ও সাংবিধানিক অধিকার।” ওমর সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশির হাওয়া উপত্যকায়। তবে সরকারের এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছে বিরোধী পিডিপি-সহ একাধিক দল। তাদের দাবি, ন্যাশনাল কনফারেন্স ৩৭০ ধারা ও বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ক্ষমতায় আসতে ন্যাশনাল কনফারেন্স ৩৭০ ধারা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করছে না বলেও অভিযোগ বিরোধীদের।

    আরও পড়ুন: মণিপুরে ফের অশান্তির আগুন, দফায় দফায় গুলির লড়াই

    ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরে রদ করা হয় ৩৭০ ধারা। তার পরেই ভূস্বর্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০২৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক নয়। যদিও সঠিক সময়ে জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে (Statehood Resolution) আশ্বাস দেয় কেন্দ্র (Jammu Kashmir)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Junior Doctor: ‘‘আমাদের দাবি নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই মুখ্যমন্ত্রীর’’, প্রতিক্রিয়া অনশনকারী ডাক্তারদের

    Junior Doctor: ‘‘আমাদের দাবি নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই মুখ্যমন্ত্রীর’’, প্রতিক্রিয়া অনশনকারী ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর বার্তায়ও গলছে না বরফ? ‘মুখ্যমন্ত্রীর ফোন-বার্তা অনভিপ্রেত মনে হয়েছে’, প্রতিক্রিয়া জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor)। বললেন, ‘উনি কোথাও না কোথাও ধৈর্য হারাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। দাবি নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই, মনে হচ্ছে’। ফলে, অনশন চালিয়ে যাবেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    দাবি নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই মুখ্যমন্ত্রীর (Junior Doctor)

    আরজি করকাণ্ডে (RG Kar) বিচার সহ ১০ দফা দাবিতে ১৫ দিন ধরে ধর্মতলায় অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor)। এখানে ৭ জন এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে একজন অনশন করছেন। শুক্রবার সিনিয়রদের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্য সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, সোমবারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে আলোচনায় বসতে হবে এবং সব দাবি মেনে নিতে হবে। দাবি না মানলে মঙ্গলবার সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপরই শনিবার অনশন মঞ্চে যান স্বরাষ্ট্রসচিব এবং মুখ্যসচিব। সেখানেই ফোনে অনশন তুলে নেওয়ার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার নবান্নে বৈঠকের ডাক মুখ্যমন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা বলেন, “আমরা কাজে ফিরতে চাই, আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া হোক। আমাদের দাবি পূরণ না হলে অনশন চলবে। জটিলতার দ্রুত সমাধান আমরা চাই। আমাদের দাবি নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই মুখ্যমন্ত্রীর। আমরা এখনও ন্যায়বিচার পাইনি। মনে হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী কোথাও কোথাও ধৈর্য হারাচ্ছেন। সোমবার আমরা নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করব”।

    আরও পড়ুন: রানিমার সঙ্গে কৃষ্ণনগরের নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, দিলেন আইনি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি

    অনশনকে খাটো করে দেখা হচ্ছে

    অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) এও বলেন, “আমরা মনোক্ষুণ্ণ হলেও মুখ্যমন্ত্রীকে অভিভাবক হিসেবেই দেখি। আমাদের ১০ দফা দাবির কথা উনি স্পষ্টভাবে জানেন না। এতদিন পর কেন শুনতে হল, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দাবির কথা জানেন না? তাহলে কি আমাদের দাবির কথা মুখ্যমন্ত্রীর কানে পৌঁছয়নি? আমদের বলা হচ্ছে, কাজে ফিরছি না কেন? রাজ্য জুড়ে সব জায়গায় পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। আমাদের অনশনকে খাটো করে দেখা হচ্ছে।”

    মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন?

    এদিন মুখ্যমন্ত্রী ফোনে অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctor) বলেন, “৩-৪ মাস সময় দিন, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে নির্বাচন করব। মেডিক্যাল পরীক্ষা যাতে সঠিক ভাবে হয়, তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। যতটুকু করা সম্ভব, কথা দিচ্ছি নিশ্চয় করব। সরকারি হাসপাতাল পরিষেবা না দিলে মানুষ কোথায় যাবে? দিদি হিসেবে বলছি, আপনাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া হবে। আপনারা অনশন তুলে দয়া করে কাজে যোগ দিন”।

    মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা নিয়ে কী বললেন আন্দোলনকারীরা?

    আন্দোলনকারীরা (Junior Doctor) বলেন, “এতদিনের আমাদের অনুরোধ, আমাদের কাতর আর্তি, এত মানুষের ভুখা পেটের কষ্ট, কোনওটাই কি তাঁর কানে পৌঁছচ্ছে না? আমরা খুব দুঃখ পেয়েছি যখন বলা হয়, তোমরা কাজে ফিরছ না বলে, স্বাস্থ্য পরিষেবায় সমস্যা হচ্ছে। আমরা এখানে (ধর্মতলায়) জুনিয়র ডাক্তার অনশন করছে ৭ জন। উত্তরবঙ্গে আছে ১ জন। আমরা ঘোষিতভাবে কর্মবিরতি কিন্তু তুলে নিয়েছি। সবকটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান, সব জায়গায় চিকিৎসা হচ্ছে। জরুরি পরিষেবা চলছে, অপারেশন হচ্ছে।  আমাদের কোথাও গিয়ে মনে হচ্ছে, এভাবে যে বারবার বলা হচ্ছে, কাজে ফিরতে ওরা হয় জানে না সরকারি হাসপাতালগুলি চলছে, অথবা আমাদের অনশনের কোনও মূল্যই নেই”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: মণিপুরে ফের অশান্তির আগুন, দফায় দফায় গুলির লড়াই

    Manipur Violence: মণিপুরে ফের অশান্তির আগুন, দফায় দফায় গুলির লড়াই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তি ছড়াল মণিপুরে (Manipur Violence)। মাসখানেকের বিরতির পর শনিবার ভোর থেকে দফায় দফায় গুলির লড়াই হয় (Militants Attack) জিরিবাম জেলায়। মেইতেই ও কুকি সশস্ত্র বাহিনীর লড়াইয়ের জেরে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে রাজ্যে। হামলা হয়েছে বরোবেকেরা থানায়ও।

    কুকি জঙ্গিদের হামলা (Manipur Violence)

    জানা গিয়েছে, জিরিবামের জেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে বরোবেকেরায় হামলা চালায় কুকি জঙ্গিরা। এলাকাটি পাহাড়-জঙ্গল ঘেরা। কুকি জঙ্গিদের রুখতে প্রতিরোধ গড়ে তোলে মেইতেই সশস্ত্র বাহিনী আরাম্বাই টেঙ্গলের যোদ্ধারা। দুপক্ষে দফায় দফায় গুলি বিনিময় হয়। এই সময় কুকিদের একাংশ হামলা চালায় বরোবেকেরা থানায়। মাসখানেক আগেও একবার জিরিবাম জেলায় গুলির লড়াই হয়েছিল কুকি এবং মেইতেইদের। দুপক্ষের সেই লড়াইয়ে হত হয়েছিলেন পাঁচজন। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের অশান্তির আগুন ছড়াল চিত্রাঙ্গদার দেশে।

    গোড়ার কথা

    মণিপুরে অশান্তির (Manipur Violence) সূত্রপাত ২০২৩ সালের ৩ মে। সেদিন জনজাতি ছাত্র সংগঠন অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুরের মিছিল ছিল। মেইতেইদের তফশিলি জাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার নির্দেশ রাজ্য সরকারকে দিয়েছিল মণিপুর হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই নির্দেশের বিরোধিতায় পথে নেমেছিল জনজাতি ছাত্র সংগঠন অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর। সংঘাতের শুরু সেখানেই। মণিপুরের আদি বাসিন্দা মেইতেইরা হিন্দু। অন্যদিকে, তাদের বিরুদ্ধে যারা লড়ছে, সেই কুকি, জো-সহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠী। এদের সিংহভাগই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। দুপক্ষের এই লড়াইয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২০০ জনের। আহত হয়েছেন প্রচুর মানুষ। আতঙ্কে ঘর ছেড়েছেন হাজার ষাটেক মানুষ।

    আরও পড়ুন: কোটার মধ্যে কোটা ব্যবস্থা, দেশে প্রথম চালু হতে চলেছে হরিয়ানায়

    মণিপুর পুলিশের ডিজি রাজীব সিং বলেন, “ আজও জিরিবাম জেলা সহ কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত গোলাগুলি চলছে। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে  এসেছে। অশান্তির আগুন (Militants Attack) যাতে অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে, তাই মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী (Manipur Violence)।” মণিপুরে শান্তি ফেরাতে চেষ্টার কসুর করছে না কেন্দ্র। শান্তি ফেরাতে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বিধায়কদের নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই বৈঠক হওয়ার কথা চলতি সপ্তাহে। এরই মধ্যে নতুন করে অশান্তির আগুন লাগল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে (Manipur Violence)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar Protest: দাবি আদায়ে ন্যায় বিচার যাত্রা, শামিল নির্যাতিতার বাবা-মা

    RG Kar Protest: দাবি আদায়ে ন্যায় বিচার যাত্রা, শামিল নির্যাতিতার বাবা-মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Protest) ধর্মতলায় অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। গণস্বাক্ষর সংগ্রহ সহ একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে। এই আবহে এবার নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে ন্যায় বিচার যাত্রার সূচনা করলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। আর প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলালেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ।

    সিবিআইয়ের ওপর আস্থা রয়েছে (RG Kar Protest) 

    শুক্রবারই জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন সোদপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ন্যায় বিচার যাত্রা ‘রিলে পদ্ধতি’তে এগোবে। এভাবেই ধর্মতলার অনশন মঞ্চে (RG Kar Protest) এসে পৌঁছবে এই যাত্রা। শনিবার পানিহাটির এইচবি টাউন মোড়ে এই যাত্রার সূচনা করেন নির্যাতিতার বাবা-মা। মিছিলে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি প্রচুর সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। কর্মসূচির সূচনা করে নির্যাতিতার বাবা-মা  বলেন,”বিচারের আশায় আমাদের আরও ধৈর্য ধরতে হবে। সিবিআই ও শীর্ষ আদালত সকলেই বলছে ধৈর্য ধরতে হবে এবং সিবিআইয়ের ওপরেও আমাদের আস্থা রাখতে হচ্ছে। কারণ, সিবিআই কাজ করছে। এই ঘটনায় অন্য যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে সিবিআই।”

    আরও পড়ুন: রানিমার সঙ্গে কৃষ্ণনগরের নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, দিলেন আইনি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি

    আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান হোক

    নির্যাতিতার বিচার চেয়ে আমরণ অনশনে (RG Kar Protest) শামিল হয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor)। এই বিষয়টি নিয়ে যে তাঁরা উদ্বিগ্ন বুঝিয়ে দিলেন তাও। নির্যাতিতার বাবা বলেন, “অনশন শেষ অস্ত্র। অনশন মানে মৃত্যু। আমরা কখনওই চাইনি এটা। আমরা জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে তারা যেন হাসপাতালে ভর্তি হয়।” নির্যাতিতার মা বলেন “মুখ্যমন্ত্রী যেন আলোচনা করে এই অচলাবস্থা কাটিয়ে নেওয়ার একটা ব্যবস্থা করেন। আমার খুব খারাপ লাগছে। আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান হলে একটু নিশ্চিন্ত হব।” একইসঙ্গে তাঁরা এও বলেন, “আমাদের মেয়ের বিচার এখনও অধরা। আমার মেয়ের সঙ্গে কী ঘটেছিল সেটা এখনও আমরা জানি না। তাই আন্দোলন তো করতেই হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India vs New Zealand: সরফরাজ-পন্থের দুরন্ত জুটি ভাঙতেই ভারত শেষ ৪৬২ রানে,  জয়ের স্বপ্ন দেখছে নিউজিল্যান্ড

    India vs New Zealand: সরফরাজ-পন্থের দুরন্ত জুটি ভাঙতেই ভারত শেষ ৪৬২ রানে, জয়ের স্বপ্ন দেখছে নিউজিল্যান্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের (India vs New Zealand) চাই ১০৭ রান। ভারতের চাই ১০ উইকেট। বেঙ্গালুরু টেস্টে পঞ্চম দিনে সহজ অঙ্ক দুই দলের কাছে। বৃষ্টি যদি বাধ না সাধে তাহলে এই টেস্টে ফয়সালা হচ্ছেই। সেক্ষেত্রে পাল্লা বেশ কিছুটা হেলে নিউজিল্যান্ডের দিকে। বুমরাহ-সিরাজ-যাদেজা-অশ্বিনদের ভেলকিই একমাত্র ম্যাচে ফেরাতে পারে ভারতকে। শনিবার ৪৬২ রানে শেষ হয়ে যায় ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস। প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল ভারত। তার পরেও পাল্টা লড়াই করলেন সরফরাজ খান, ঋষভ পন্থেরা। শুক্রবার রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলিও রান পান।

    সরফরাজ-পন্থের লড়াকু ইনিংস

    ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ভরাডুবির পর, দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় দল দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা দ্রুত আউট হওয়ার পর, চতুর্থ নম্বরে ক্রিজে আসেন সরফরাজ খান। তিনি বিরাট কোহলির সঙ্গে ১৬৩ বলের জুটি বেঁধে ১৩৬ রান যোগ করেন। কোহলি আউট হওয়ার পরেও সরফরাজ নিজের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান এবং ঋষভ পন্থের সঙ্গে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন। সরফরাজ খান ১১০ বল খেলে তার প্রথম টেস্ট শতক পূর্ণ করেন। ৫৬.৩ ওভারে টিম সাউদির বলে এক দুর্দান্ত বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তিনি তার শতক পূর্ণ করেন। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর, দ্বিতীয় ইনিংসে তার অসাধারণ পারফরম্যান্স ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আপাতভাবে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে।

    [tw]


    [/tw]

    তৃতীয় দিন শেষে ভারতের (India vs New Zealand) রান ছিল ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২৩১ রান। গতকাল দিনের শেষ বলে ব্যক্তিগত ৭০ রান করে আউট হন বিরাট কোহলি। ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন সরফরাজ খান। চতুর্থ দিনে সরফরাজের সঙ্গে ব্যাট করতে নামেন ঋষভ পন্থ। এই দুই ব্যাটার লম্বা ইনিংস খেলার লক্ষ্যে ব্যাট করতে থাকেন। দ্বিতীয় ইনিংসে কিউই বোলারদের ব্যাট হাতে নাকানিচোবানি খাওয়ান সরফরাজ ও পন্থ। ১৫০ রান করে টিম সাউদির বলে কভারে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সরফরাজ। মাত্র ১ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া হয় ঋষভ পন্থের। ৯৯ রান করে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তাঁদের ব্যাটিং তাণ্ডব ভারতকে লিড এনে দেন। পন্থ ফিরে যেতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ। নিউজিল্যান্ড ব্যাট করতে নামলে রান করতে পারেনি। শেষ বেলায় চার বল খেলা হয়। তার পরেই আলো কম থাকার জন্য আম্পায়ার খেলা বন্ধ করেন। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি শুরু হয় বেঙ্গালুরুতে। মাঠ ঢেকে দেওয়া হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Internship Scheme: পিএম ইন্টার্নশিপ আবেদনে বিরাট সাড়া, সর্বাধিক আবেদন এই দুই সংস্থায়

    PM Internship Scheme: পিএম ইন্টার্নশিপ আবেদনে বিরাট সাড়া, সর্বাধিক আবেদন এই দুই সংস্থায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী ইন্টার্নশিপ স্কিমে (PM Internship Scheme) এবার ২১ থেকে ২৪ বছর বয়সি যুবক-যুবতীদের বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়ার যোজনা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১.২৫ লক্ষ যুবাদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। কর্মসংস্থান এবং স্বনির্ভর করার জন্য এই প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের সুবিধা নিতে বিভিন্ন দেশীয় সংস্থা এগিয়ে এসেছে। বহু সংস্থায় নাম নথিভুক্ত করছেন দেশের তরুণ-তরুণীরা। তবে, আবেদনকারীদের মধ্যে সবচেয়ে উৎসাহ দেখা গিয়েছে মারুতি ও ওএনজিসিতে (Maruti-ONGC) প্রশিক্ষণ নেওয়ার ক্ষেত্রে।

    ২৫০টি কোম্পানিতে আবেদন (PM Internship Scheme)

    শুক্রবার রাত পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ইন্টার্নশিপ স্কিম পোর্টালে (PM Internship Scheme) ২৫০টি কোম্পানিতে আবেদনে সাড়া ফেলেছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক আবেদন এসেছে নিম্নলিখিত সেক্টরগুলিতে। এই সেক্টর হল-তেল, গ্যাস, জ্বালানি, অটোমোটিভ, ভ্রমণ-হাসপাতাল, ব্যাঙ্ক-অর্থনীতি, ধাতু-খনি। সরকারি সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে দেখা গিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত মারুতিতে (Maruti-ONGC) ১০ হাজার ৯৬০টি আবেদন ইন্টার্নশিপের জন্য পাওয়া গিয়েছে। তারপরে আইশার মোটর্সে ৪২৬০টি, হিরো মোটোকর্পে ১৭৪৪টি, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রায় ১০টি, টাটা মোটর্সে ৮৩৮টি করে আবেদন জমা পড়েছে। তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস সেক্টরে পাবলিক সেক্টরের উদ্যোগে ওএনজিসিতে ৬০০০টি আবেদন জমা পড়েছে। তারপরেই পাওয়ার গ্রিড হিসেবে ৪০০৪টি, এনটিপিসি ৩৫৭০টি, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনে ২৯৯১টি এবং আরইসি লিমিটেডে ১৭০০টি আবেদন জমা পড়েছে।

    আরও পড়ুনঃ আপনি কি পিএম ইন্টার্নশিপ স্কিমে প্রশিক্ষণ নিতে চান? আজই আবেদন করুন

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সরঞ্জাম ব্যবহারেও স্কিম

    এই স্কিমে (PM Internship Scheme) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সরঞ্জাম ব্যবহার করার মতো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এই প্রকল্প বা যোজনাগুলি ২ ডিসেম্বর থেকে চালু করা হবে। ১২ মাসের প্রশিক্ষণের জন্য ইন্টার্নদের ৫০০০ টাকা করে মাসিক সহায়তা প্রদান করা হবে। প্রতি মাসে কোম্পানি তার সিএসআর তহবিল থেকে প্রতিটি ইন্টার্নকে ৫০০ করে টাকা দেবে।  কোম্পানি প্রথমে ওই অর্থপ্রদান করলে, সরকারও ইন্টার্নদের আধার সংযুক্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি আরও ৪৫০০ টাকা প্রদান করবে। এই স্কিমে আবেদন করতে হলে নিম্নলিখিত যোগ্যতা একান্ত প্রয়োজন। যথা- প্রার্থীরা হাইস্কুল, উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন। এছাড়াও আইটিআই থেকে একটি শংসাপত্র আছে, পলিটেকনিক থেকে ডিপ্লোমা করেছেন বা বিএ, বিএসসি, বিসিএ, বিবিএ, বি ফার্মা ইত্যাদি সহ স্নাতকরাও আবেদন করতে পারবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kangana Ranaut: সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেল কঙ্গনা রানাউতের ‘ইমার্জেন্সি’, কী বললেন অভিনেত্রী?

    Kangana Ranaut: সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেল কঙ্গনা রানাউতের ‘ইমার্জেন্সি’, কী বললেন অভিনেত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut) অভিনীত ‘ইমার্জেন্সি’ অবশেষে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি) ছাড়পত্র দিয়েছে। অভিনেত্রী নিজেই এই তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে এই ছবিটি ৬ সেপ্টেম্বর বড় পর্দায় আসার কথা ছিল। তবে, সেন্সর বোর্ড ছবিটিকে মুক্তির জন্য সবুজ সঙ্কেত না দেওয়ায় এতদিন তা ঝুলে ছিল। এবার সব জটিলতা কাটিয়ে ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে বলে অভিনেত্রীর দাবি।

    ‘ইমার্জেন্সি’র জন্য সেন্সর সার্টিফিকেট (Kangana Ranaut)

    কঙ্গনা (Kangana Ranaut) তাঁর ভক্তদের সঙ্গে খবরটি শেয়ার করেন এক্স হ্যান্ডেলে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে, আমাদের সিনেমা ‘ইমার্জেন্সি’র (Emergency) জন্য সেন্সর সার্টিফিকেট পেয়েছি। আমরা শীঘ্রই মুক্তির তারিখ ঘোষণা করব। আপনার ধৈর্য এবং সমর্থনের জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।’’

     

    ২১ মাসের জরুরি অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে

    সেপ্টেম্বরের শুরুতে একটি সাক্ষাৎকারে ছবিটির মুক্তি দেরি হওয়ার প্রসঙ্গে কঙ্গনা (Kangana Ranaut) বলেছিলেন,  ‘‘আমি জানি কীভাবে আমি এই ছবিটি তৈরি করেছি। আমি চলচ্চিত্র শিল্প থেকে কোনও সমর্থন পাইনি। এটি একটি বিশাল বাজেটে তৈরি করা হয়েছে। এখন সিনেমাটি রিলিজ হতে দেরি হওয়ায় সবাই একটি বিশাল ক্ষতি বহন করছে। আমি মনে করি, সেন্সর বোর্ডের উচিত দ্রুত এই ছবিটি মুক্তি দেওয়ার দায়িত্ব নেওয়া।’’ প্রসঙ্গত, এই সিনেমাটি রাজনৈতিক থ্রিলার ধর্মাবলম্বী। ইন্দিরা গান্ধীর জীবনকে তুলে ধরা হয়েছে। যিনি ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ২১ মাসের জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। জি স্টুডিও এবং মণিকর্ণিকা ফিল্মস দ্বারা প্রযোজিত ছবিটি ভারতের সবচেয়ে উত্তাল রাজনৈতিক সময়ের একটির পটভূমিতে তৈরি করা হয়েছে। ঐতিহাসিক ঘটনাগুলির চিত্রিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Haryana: কোটার মধ্যে কোটা ব্যবস্থা, দেশে প্রথম চালু হতে চলেছে হরিয়ানায়

    Haryana: কোটার মধ্যে কোটা ব্যবস্থা, দেশে প্রথম চালু হতে চলেছে হরিয়ানায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই দ্বিতীয়বারের জন্য হরিয়ানার (Haryana) মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন বিজেপির নয়াব সিং সাইনি। তার পরেই যুগান্তকারী একটি সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন বছর চুয়ান্নর সাইনি। কোটার মধ্যে কোটা (Quota Within Quota) চালু করতে চলেছে সাইনি সরকার। এটা চালু হলে, হরিয়ানায়ই হবে প্রথম রাজ্য যারা এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করতে চলেছে। এর আগে বিজেপিরই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর সরকার রাজ্যের যুবক-যুবতীদের চাকরির সুযোগ দিতে নয়া আইন প্রণয়নে উদ্যোগী হয়েছিল। ওই আইনের প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, এ বার থেকে বেসরকারি ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে চাকরি সংরক্ষিত রাখা হবে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য। খট্টরের পর রাজ্যের ক্ষমতায় আসে সাইনি সরকার। তারা চালু করতে চলেছে কোটার মধ্যে কোটা ব্যবস্থা।

    কোটার মধ্যে কোটা

    বৃহস্পতিবার শপথ নেওয়ার পরে শুক্রবার প্রথম বৈঠকে বসে সাইনি সরকার (Haryana)। সেখানেই তফসিলি জাতি ও উপজাতি সংরক্ষণের উপ-শ্রেণিকরণ সম্পর্কিত সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে মেনে নেওয়ার ও অবিলম্বে তা কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের দাবি, এই সিদ্ধান্ত বিদ্যমান সংরক্ষণ ব্যবস্থার মধ্যে নিশ্চিত করবে সুষ্ঠু বণ্টন। বর্তমানে হরিয়ানায় তফশিলি জাতির জন্য ১৫ শতাংশ এবং তফশিলি উপজাতির জন্য সাড়ে ৭ শতাংশ সংরক্ষণ রয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে হরিয়ানা এই সাড়ে ২২ শতাংশ সংরক্ষণের নির্দিষ্ট কোটা বরাদ্দ করতে পারবে তফশিলি জাতি-উপজাতির মধ্যের সেই উপ-গোষ্ঠীগুলির জন্য, যাদের কর্মসংস্থান ও শিক্ষায় কম প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১ অগাস্টই সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, ইতিবাচক পদক্ষেপের সুবিধা দেওয়ার জন্য সংরক্ষিত বিভাগ গোষ্ঠীর মধ্যে একটি উপ-শ্রেণিবিভাগ অনুমোদিত হবে। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। তার পর দেশের মধ্যে এই প্রথম তা কার্যকর করতে চলেছে হরিয়ানা (Haryana) সরকার।

    ‘বঞ্চিত তফশিলি জাতি’

    এর আগে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে তফশিলি জাতির জন্য নির্দিষ্ট যে কোটা, তাকে দুভাগে ভাগ (Quota Within Quota) করতে বিল পাশ করা হয়েছিল। নাম দেওয়া হয়েছে, বঞ্চিত তফশিলি জাতি। এই বিভাগে রয়েছে বাল্মীকি, বাজিগর, দেহা, সানসি, ধানক এবং সাপেরা-সহ ৩৬টি সম্প্রদায়। ওই বিলে বলা হয়েছিল, যে কোনও সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য এসসিদের জন্য সংরক্ষিত ২০ আসনের পঞ্চাশ শতাংশ আলাদা করে রাখা হবে বঞ্চিত তফশিলি জাতির জন্য। হরিয়ানায় (Haryana) অন্যান্য তফশিলি জাতির জনসংখ্যা রাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১১ শতাংশ। কিন্তু হরিয়ানার সরকারি পরিষেবাগুলিতে প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণ গ্রুপ এ, বি এবং সিতে যথাক্রমে ১১ শতাংশ, ১১.৩১ শতাংশ এবং ১১.৮ শতাংশ। তফশিলি জাতির উপশ্রেণির মধ্যে সব মিলিয়ে যেমন ৩৬টি সম্প্রদায় রয়েছে, তেমনি ওবিসি গ্রুপে রয়েছে চামার, জাতিয়া চামার, রেঘার, রায়গর, রামদাসী, রবিদাসী এবং জাঠ। এ রাজ্যে এই জাঠেদের আর্থ-সামাজিক প্রতিনিধিত্ব ওবিসি গ্রুপের অন্যান্য সম্প্রদায়ের চেয়ে ঢের ভালো।

    উপশ্রেণিকরণ

    সাইনি ঘোষণা করেন, রাজ্য মন্ত্রিসভা (Haryana) উপশ্রেণিকরণের প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে। তিনি বলেন, “মন্ত্রিসভায় আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে তফশিলিদের দুটি গোষ্ঠীতে ভাগ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত মেনেই এটা করা হচ্ছে। এই উপশ্রণিকরণের সিদ্ধান্তটি প্রযোজ্য হবে আজ থেকেই।” সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “রাজ্যে তফশিলি জাতির জন্য যে ২০ শতাংশ কোটা রয়েছে, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে তার মধ্যে ৫০ শতাংশ সংক্ষরিত থাকবে বঞ্চিত তফশিলি জাতির জন্য। শীঘ্রই এ ব্যাপারে নোটিফিকেশন জারি করবে রাজ্যের মুখ্যসচিব।” সাইনি সরকারের এহেন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন হরিয়ানার বাসিন্দারা। এই সিদ্ধান্তের রাজনৈতিক প্রভাবও বেশ গভীর। 

    আরও পড়ুন: দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য কানাডা! কীভাবে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠল?

    হরিয়ানাবাসীকে উপহার বিজেপির

    সম্প্রতি হরিয়ানা (Haryana) বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি উপশ্রেণিকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তফশিলি জাতি ভোটের সিংহভাগই যাতে গেরুয়া ঝুলিতে পড়ে, তাই এই ব্যবস্থা। তৃতীয়বারের জন্য হরিয়ানার কুর্সিতে বসেছে বিজেপি। সাইনির ক্ষেত্রে এটা হল দ্বিতীয়বার শপথ নেওয়ার অনুষ্ঠান। ৯০ আসন বিশিষ্ট বিধানসভার হরিয়ানায় নির্বাচনোত্তর বিভিন্ন বুথ ফেরত সমীক্ষায় বিজেপির পরাজয়ের ইঙ্গিত উঠে এসেছিল। কিন্তু, সব সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণিত করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় হরিয়ানায় (Haryana)  ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। এ রাজ্যে তফশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত আসন রয়েছে ১৭টি। তার মধ্যে বিজেপি একাই জয়ী হয়েছে ৮টিতে। উনিশের বিধানসভা নির্বাচনে সব মিলিয়ে বিজেপি জিতেছিল এ রাজ্যের ৫টি তফশিলি সংরক্ষিত আসনে। সেটাই এবার বেড়ে হয়েছে ৮। তাই এই সম্প্রদায়কে কিছু দেওয়ার ছিল বিজেপির। গেরুয়া-পার্টির হয়ে যে উপহারটা (Quota Within Quota) দিয়ে দিলেন দ্বিতীয় বার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসা সাইনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RSS: আরএসএসের সর্বভারতীয় বৈঠক যোগ দিতে ১০ দিনের মথুরা সফরে মোহন ভাগবত

    RSS: আরএসএসের সর্বভারতীয় বৈঠক যোগ দিতে ১০ দিনের মথুরা সফরে মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই ১০ দিনের সফরে মথুরা পৌঁছেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সর সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। প্রসঙ্গত, আগামী বছরেই শতবর্ষ পূর্তি হতে চলেছে সংগঠনের। সেই আবহে মথুরার এই বৈঠক খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ সারা দেশ থেকেই আরএসএসের নেতারা হাজির হবেন এই বৈঠকে। প্রসঙ্গত, শতবর্ষকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজ্যে সফর করছেন মোহন ভাগবত।

    কী বলছেন সুনীল আম্বেকর?

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সর সঙ্ঘচালকের (Mohan Bhagwat) মথুরা সফর নিয়ে সংগঠনের প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর বলেন, ‘‘মথুরার কাছেই পারখম গ্রামে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আগামী বছরেই আরএসএস তার শতবর্ষ পূরণ করবে। সেই লক্ষ্যেই দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, তা নিয়েই আলোচনা চলবে বৈঠকে।’’

    ১০ দিনে ঠাসা বৈঠক করবেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)

    আরএসএস (RSS) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ১০ দিনে ঠাসা বৈঠক করবেন মোহন ভাগবত। ২৫ ও ২৬ অক্টোবর সঙ্ঘের কার্যকরী মণ্ডলের বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে। মথুরার পারখম গ্রামের এই বৈঠক নিয়ে আরএসএস নেতা তথা সহ প্রান্ত প্রচারক কীর্তি জানিয়েছেন, ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোহন ভাগবত থাকবেন এখানে। ৮ থেকে ৯ দিন ঠাসা বৈঠক চলবে। যা শুরু হচ্ছে রবিবার থেকে।

    ২৩ ও ২৪ অক্টোবর প্রশিক্ষণ পর্ব চলবে

    জানা যাচ্ছে, আরএসএসের (RSS) বিভিন্ন পদাধিকারী ও দেশের ৪৬টি সাংগঠনিক প্রান্তের সঙ্ঘ নেতারা হাজির থাকবেন বৈঠকে। জানা যাচ্ছে, ২২ অক্টোবরই দেশের বিভিন্ন রাজ্যের আরএসএস নেতারা হাজির হবেন মথুরায়। ২৩ ও ২৪ অক্টোবর প্রশিক্ষণ পর্ব চলবে। আরএসএস সূত্রে খবর, প্রতিবছর দীপাবলীর আগেই এমন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মোহন ভাগবত ছাড়াও এই বৈঠকে হাজির থাকবেন সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। এই বৈঠকে প্রান্ত প্রচারক, সহ প্রান্ত প্রচারক, কার্যবাহ এবং অন্যান্য প্রচারকরাও হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yahya Sinwar: ভাঙা হয় দাঁত, কাটা হয় তর্জনী! সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত করাই লক্ষ্য ছিল ইজরায়েলের

    Yahya Sinwar: ভাঙা হয় দাঁত, কাটা হয় তর্জনী! সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত করাই লক্ষ্য ছিল ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাথায় গুলি লেগেই মৃত্যু হয়েছিল হামাস প্রধান (Hamas leader death) ইয়াহিয়া সিনওয়ারের (Yahya Sinwar)। ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে এই তথ্য। জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর ৮২৮ ব্রিগেড অভিযান চালাচ্ছিল তেল আল সুলতান নামে একটি অঞ্চলে। সেই অভিযান চালানোর সময়েই তাঁরা দেখতে পান সিনওয়ারের দেহ পড়ে রয়েছে। মৃতদেহের ডিএনএ পরীক্ষা করে সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয় ইজরায়েলের তরফে। 

    ডিএনএ পরীক্ষা করে মৃত্যু নিশ্চিত করাই লক্ষ্য

    সিএনএন-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মাথায় গুলি করে হামাস প্রধানকে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর ডান হাতের একটি আঙুলও কেটে নেওয়া হয়। সিনওয়ারের (Yahya Sinwar) দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। ময়নাতদন্তকারী এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন থাকলেও মাথায় গুলি লাগার কারণেই সিনওয়ারের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মাথার খুলির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ ছাড়া, ট্যাঙ্ক শেলের আঘাতেও গুরুতর জখম হয়েছিলেন তিনি। তাঁর মৃতদেহের ডান হাতের তর্জনী ছিল না। মৃত্যুর পরেই তা কাটা হয়েছে। হামলার পর ইজরায়েলি (Israel) সেনা সিনওয়ারের মৃতদেহ থেকে ওই আঙুল কেটে নিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা করে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্যই আঙুল কাটা হয়।

    আরও পড়ুন: উচ্ছ্বাস ইজরায়েলে, হামাস প্রধান সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত ডিএনএ পরীক্ষায়

    ভাঙা দাঁত দিয়ে ডিএনএ মেলানোর চেষ্টা

    প্রায় দু’দশক ধরে ইজরায়েলের জেলে বন্দি ছিলেন সিনওয়ার (Yahya Sinwar)। ২০১১ সালে ছাড়া পান তিনি। ইজরায়েলের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ফরেন্সিক মেডিসিনের চিফ প্যাথোলজিস্ট চেন কাগেল জানিয়েছেন, সিনওয়ার জেলে থাকাকালীন তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যে প্রোফাইল ছিল, তার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয় কাটা আঙুলের প্রোফাইল। তবেই ইজরায়েল নিশ্চিত হয়। জানা গিয়েছে, দাঁতও ভেঙে নেওয়া হয়েছিল। ভাঙা দাঁত দিয়ে ডিএনএ মেলানোর চেষ্টা করেছিল সেনাবাহিনী। কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না বলে জানিয়েছেন ওই প্যাথোলজিস্ট। তাই আঙুল কেটে নেওয়া হয়। সূত্রের খবর, সিনওয়ারের মৃত্যুর পর ইতিমধ্যেই নেতৃত্ব সঙ্কট তৈরি হয়েছে হামাসের অন্দরে। এক জন রাজনৈতিক নেতার সন্ধান করছে তারা, যিনি গাজার বাইরে থেকে সংগঠন পরিচালনা করতে পারবেন। ইতিমধ্যেই ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর পর হামাসকে (Hamas) হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share