Tag: Madhyom

Madhyom

  • Flights: চারদিনে দেশের ২০ বিমানে বোমাতঙ্ক, মিলল লন্ডন-জার্মানি যোগ! কড়া পদক্ষেপের পথে কেন্দ্র

    Flights: চারদিনে দেশের ২০ বিমানে বোমাতঙ্ক, মিলল লন্ডন-জার্মানি যোগ! কড়া পদক্ষেপের পথে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝ আকাশে বোমাতঙ্ক ছড়ানোয় তৎপরতার সঙ্গে অবতরণ করতে হচ্ছে, এমন ঘটনা নতুন নয়। ভারতের একাধিক বিমানবন্দরে (Flights) এভাবে বিমান অবতরণ করতে দেখা গিয়েছে। এই ধরনের ঘটনায় বারবার হয়রানির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করেই গত চার দিনে ২০টি বিমানে হুমকিবার্তা (Bomb Scare) পাঠানো হয়েছে। আর সে কারণেই ওই বার্তা প্রেরকদের দ্রুত চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক সূত্রে অন্তত তেমন দাবিই করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Flights)

    গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে দেশের ২০টি বিমানে (Flights) হুমকিবার্তা পাঠানো হয়। তার মধ্যে আন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমানও ছিল। সোমবার তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। মঙ্গলবার আরও ১০টি বিমানে, বুধ এবং বৃহস্পতি মিলিয়ে আরও সাতটি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। কিন্তু প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে সেগুলি ভুয়ো। লাগাতার চার দিন ধরে বিমানে বোমাতঙ্কের ঘটনায় একটি সন্দেহভাজন এক্স হ্যান্ডলকে চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, ‘স্কিজ়োবম্বার ৭৭৭’ নামে ওই অ্যাকাউন্টটি এই ঘটনার কয়েক দিন আগেই বানানো হয়েছিল। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে সাতটি হুমকিবার্তা পাঠানো হয়। তার পরই সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাদের যাতে কোনও ভাবে চিহ্নিত করতে না পারা যায়, তার জন্য অবস্থান গোপন করতে ভিপিএন ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। মোট ১৪টি বিমানসংস্থায় থ্রেট মেসেজ এসেছে শুধুমাত্র শুক্রবারই। গত এক সপ্তাহে বোমাতঙ্কের ভুয়ো মেসেজের সংখ্যা ৩৪।

    আরও পড়ুন: ইএসআই হাসপাতালে আগুন, ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু ১ রোগীর

    ইউকে-জার্মানির আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার

    সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে বার্তা প্রেরকদের আইপি অ্যাড্রেস চিহ্নিত করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, হুমকিবার্তা (Flights) পাঠাতে যে আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলি লন্ডন এবং জার্মানির। কিন্তু ভিপিএন ব্যবহার করায় বার্তাপ্রেরকদের চিহ্নিত করতে বেগ পেতে হচ্ছে। সূত্রের খবর, তাই তদন্তকারী সংস্থাগুলি এই সব হুমকি ফোনের উৎস খুঁজতে ভিপিএন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলির সাহায্য চেয়েছে। যে এক্স হ্যান্ডলগুলি থেকে এই হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে সেগুলি চিহ্নিত করতে ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (১৪সি), ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (সার্ট ইন) একযোগে কাজ করছে।

    আইনি পদক্ষেপের উদ্যোগ

    বিমানে (Flights) বোমাতঙ্ক ছড়ালে আজীবন বিমানযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে এবার এই বিষয়ে আইন সংশোধনীর পথে হাঁটছে অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক। আইনে নতুন শাস্তির রূপরেখা ঠিক কী হবে, তা ঠিক করতে আলোচনা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, আইন মন্ত্রক এবং অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে। এতদিন পর্যন্ত বিমানের অভ্যন্তরে অভব্য আচরণ এবং বিমানে থাকাকালীন বোমাতঙ্ক ছড়ালে নো ফ্লাই লিস্ট- এ নাম অন্তর্ভুক্তি হত। এবার বাইরে থেকে ফোন কল, সোশ্যাল মিডিয়া, বা ইমেলের মাধ্যমে বোমাতঙ্ক ছড়ালেও বিমানযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি হবে, এমন আইন সংশোধনীর পথেই হাঁটছে সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: উত্তরাখণ্ডে খাবার বিক্রেতাদের পরতে হবে মাস্ক-গ্লাভস, থাকতে হবে ফটো আইডি

    Uttarakhand: উত্তরাখণ্ডে খাবার বিক্রেতাদের পরতে হবে মাস্ক-গ্লাভস, থাকতে হবে ফটো আইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যোগী রাজ্যের পরে এবার উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand)। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি, খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে বড় নির্দেশিকা জারি করলেন। উত্তরপ্রদেশের মতো এবার উত্তরাখণ্ডেও খাদ্য বিক্রেতাদের ফটো আইডি পরে থাকা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। যে কোনও ধরনের খাবারের দোকান, রেস্টুরেন্ট, হোটেল, ধাবা- সমস্ত ক্ষেত্রে এই নির্দেশিকা পালন করতে হবে বলে জানিয়েছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন (Food Safety Guidelines)। একইসঙ্গে, খাবার বিক্রেতাদের মাস্ক, গ্লাভস ইত্যাদিও ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ধাবা, রান্নাঘরগুলিতে ক্যামেরা ইনস্টল করার কথাও নির্দেশিকায় জানিয়েছে পুস্কর সিং ধামির প্রশাসন  (Uttarakhand)।

    মুসৌরিতে (Uttarakhand) খাবারে থুতু দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেরাদুন পুলিশ, মুসৌরিতে একটি চায়ের পাত্রে থুতু ফেলার জন্য দুজনকে গ্রেফতার করে। ঠিক এর পরেই অন্যান্য জায়গা থেকেও খাবারে থুতু ফেলা বা প্রস্রাব মেশানোর মতো ঘটনাগুলি (Food Safety Guidelines) সামনে আসতে থাকে। এরপরেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ভাবনা-চিন্তা করে উত্তরাখণ্ড সরকার। প্রসঙ্গত, একইসঙ্গে মাংস ব্যবসায়ীদের জন্যও নির্দেশিকা জারি করেছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন এবং তাদেরকেও ফটো আইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি বিক্রি করা মাংস, হালাল নাকি ঝটকা, তা সাইনবোর্ডের মাধ্যমে লিখে রাখতে বলা হয়েছে।

    নির্দেশ অমান্য করলে জরিমানা  (Uttarakhand)

    ওই নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, এ সংক্রান্ত নির্দেশ অমান্য করলে অপরাধীদের ২৫ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুণতে হবে। উত্তরাখণ্ডের প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, খাদ্য নিরাপত্তার মান বজায় রাখা নিশ্চিত করতে রাজ্যজুড়ে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে, বিভিন্ন হোটেল রেঁস্তোরাগুলিতে ঢুকে খাবারের নমুনাও নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন খাবার বিক্রির দোকানগুলিতে স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশিকাও জারি করেছে। সেখানে অপরিহার্য বিষয় হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, কোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে খাদ্য তৈরি বা পরিবেশন সহ যে কোনও কাজে যুক্ত রাখা যাবে না। একই সঙ্গে ওই নির্দেশিকাতে আরও বলা হয়েছে, খাবার বিক্রেতারা তাঁদের লাইসেন্সগুলিকে স্পষ্টভাবে দোকানের সামনে রেখে দেবেন এবং কোথা থেকে কাঁচামাল ব্যবহার করা হচ্ছে, কিভাবে খাবার প্রস্তুত করা হচ্ছে এবং কত পরিমাণ খাবার বিক্রয় হচ্ছে, তার দৈনিক হিসাবও তাঁরা রাখবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: সমুদ্রে ঢেউয়ের উচ্চতা উঠতে পারে ৫ ফুট! বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি

    Weather Update: সমুদ্রে ঢেউয়ের উচ্চতা উঠতে পারে ৫ ফুট! বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের (Weather Update) ভ্রুকুটি! আগামী সপ্তাহ থেকে দক্ষিণবঙ্গে বাড়তে পারে বৃষ্টি। সমুদ্র উত্তাল হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে উঁচু ঢেউয়ের সতর্কতা (Low pressure) জারি করা হয়েছে। 

    ২২ অক্টোবর নিম্নচাপ অঞ্চল সৃষ্টির সম্ভাবনা (Weather Update)

    আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং সংলগ্ন উত্তর উপকূলীয় তামিলনাড়ুতে একটি নিম্নচাপ (Weather Update) বলয় তৈরি রয়েছে। ওই এলাকায় সমুদ্রের উপর রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্তও। আগামী কয়েক ঘণ্টায় তা আরও উত্তর পশ্চিম দিকে সরবে এবং শক্তি ক্ষয় করবে। এরপর, আগামী ২০ অক্টোবর উত্তর আন্দামান সাগরে তৈরি হতে পারে একটি ঘূর্ণাবর্ত। যার ফলে আগামী দুই দিনের মধ্যে নতুন নিম্নচাপ বলয় তৈরি হতে পারে মধ্য বঙ্গোপসাগরে। পূর্বাভাস, ২২ অক্টোবর ওই নিম্নচাপের অঞ্চল সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আবহবিদরা নজরে রেখেছেন।

    শনিবার পর্যন্ত সমুদ্র উত্তাল থাকতে পারে

    পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় উঁচু ঢেউয়ের সতর্কতা (Weather Update) জারি করা হয়েছে। ১৯ অক্টোবর, শনিবার পর্যন্ত সমুদ্র উত্তাল (Low pressure) থাকতে পারে। গভীর সমুদ্রের মৎস্যজীবীদের তাতে কোনও সমস্যা হবে না। তাঁদের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়নি। তবে সতর্ক করা হয়েছে সমুদ্র সৈকতে থাকা লোকজনকে। পর্যটক এবং সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি থাকা বাসিন্দাদের সতর্কে থাকার জন্য বলা হয়েছে। তবে সমুদ্রে ঢেউয়ের উচ্চতা হতে পারে প্রায় পাঁচ ফুট পর্যন্ত।

    আরও পড়ুন: গণস্বাক্ষর অভিযানের পর এবার ন্যায় বিচার যাত্রার ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    দক্ষিণবঙ্গে হলুদ সতর্কতা

    শুক্র ও শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি (Weather Update) হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং নদিয়ায়। এই জেলাগুলিতে রীতিমতো হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কলকাতা-সহ দক্ষিণের অন্যন্য জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায়, বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার রাতের তাপমাত্রা ছিল ২৭.৩ ডিগ্রি। অন্যদিকে, দিনের তাপমাত্রা ৩১.৬ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান ৬৮ থেকে ৯৩ শতাংশ। উত্তরবঙ্গে এখনও কোনও বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়নি। কিন্তু দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India-Canada Relation: ভারতের সঙ্গে সু-সম্পর্কের দাবি, কানাডার অভ্যন্তরে চড়ছে ট্রুডো-বিরোধী সুর

    India-Canada Relation: ভারতের সঙ্গে সু-সম্পর্কের দাবি, কানাডার অভ্যন্তরে চড়ছে ট্রুডো-বিরোধী সুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অভ্যন্তরে (India-Canada Relation) তীব্র সমালোচনার মুখে পড়লেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। ভারতের সঙ্গে কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে। এই আবহে ট্রুডোর বিপক্ষে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ, কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়ের পোয়ালিয়েভ্রে। তাঁর দাবি, চিনের সহায়তায় দুটি নির্বাচন জিতেছেন ট্রুডো। ভারত সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে বিভ্রান্তিকর প্রচার করছেন কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।

    চিনের সঙ্গে ট্রুডোর সম্পর্ক

    সম্প্রতি ট্রুডো অভিযোগ করেছিলেন যে, কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদরা বিদেশি শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন। এই অভিযোগের জবাবে পোয়ালিয়েভ্রে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি জানতে চেয়েছিলাম, কোন কোন এমপি বিদেশি শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন, প্রকাশ করতে। কিন্তু উনি তাঁদের নাম বলতে পারেননি। মিথ্যা প্রচার করাই ওনার লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাস্তবে লিবারেল পার্টি তথা ট্রুডোর দল সর্বদা চিনের সহায়তা নিয়ে চলে। তাঁরা চিনের সাহায্যেই দুটো নির্বাচন জিতেছে। এইবিষয়টি সামনে আসতেই নানা রকম মিথ্যা দাবি করছেন ট্রুডো।”

    ভারতের বিরুদ্ধে প্রমাণ কই?

    পোয়ালিয়েভ্রে আরও জানান নিজ্জর হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে ভারতের যুক্ত থাকার যে দাবি ট্রুডো এনেছিলেন তারও কোনও প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি। প্রসঙ্গত, বুধবার তদন্ত কমিশনের কাছে জমা দেওয়া বিবৃতিতে ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজেই জানিয়েছিলেন, গত বছর সেপ্টেম্বরে ভারতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলার সময়ে তাঁর কাছে শুধুমাত্র গোয়েন্দাসূত্রে পাওয়া খবর ছিল, হাতে-কলমে কোনও তথ্যপ্রমাণ ছিল না। পোয়ালিয়েভ্রে বলেন, “আমি ১৪ অক্টোবর ন্যাশনাল সিকিউরিটি এবং ইন্টেলিজেন্স উপদেষ্টা নাথালি ড্রুইন, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার ডেপুটি মন্ত্রী ডেভিড মরিসন, এবং সিএসআইএস পরিচালক ড্যানিয়েল রজার্সের কাছ থেকে ব্রিফিং পেয়েছিলাম ভারতের হস্তক্ষেপ সম্পর্কে। কিন্তু ট্রুডোর দল তখনও কোনও বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেনি।” পোয়ালিয়েভ্রে বলেন, “যদি ট্রুডোর কাছে ভারতের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ থাকে, তবে তিনি তা জনসমক্ষে প্রকাশ করুন। কিন্তু তিনি তা করবেন না, কারণ তিনি এগুলো তৈরি করছেন।”

    ট্রুডো সরকারের অপপ্রচার

    পোয়ালিয়েভ্রে ছাড়াও পিপলস পার্টি অব কানাডার নেতা ম্যাক্সিম বার্নিয়ার বৃহস্পতিবার বলেছেন, রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (RCMP) এবং লিবারেল সরকার ভারতের (India-Canada Relation) বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে, তা অত্যন্ত গুরুতর। কিন্তু ভারতীয় কূটনীতিকদের বিপক্ষে এখনও কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি ট্রুডোর সরকার। আসলে ট্রুডো এবং লিবারেল পার্টি তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগ থেকে নজর ঘোরাতেই এই সব মিথ্যা দাবি তুলছেন। বার্নিয়ার আরও দাবি করেন যে, গত বছর নিহত খলিস্তানি সন্ত্রাসী হরদীপ সিং নিজ্জর কানাডিয়ান ছিলেন না। বার্নিয়ার বলেন, “একটি ভুল ধারণা ভেঙে দেওয়া উচিত। সত্য হল, এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর আসলে একজন বিদেশি সন্ত্রাসবাদী। যিনি ১৯৯৭ সাল থেকে একাধিকবার ভুয়া নথি ব্যবহার করে কানাডায় আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। তাঁর আবেদনগুলি প্রত্যাখ্যাত হলেও, তাকে এই দেশে থাকতে দেওয়া হয়েছিল এবং ২০০৭ সালে তাঁকে কোনওভাবে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়।”

    ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক কাম্য

    বার্নিয়ার বলেন, এই পরিস্থিতি কানাডার দীর্ঘদিনের ভুলের ফল, যেখানে বিদেশিদের এবং তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি ভারতের (India-Canada Relation) সঙ্গে ফের সু-সম্পর্ক স্থাপন করার আহ্বান জানান। বার্নিয়ার দাবি করেন, গুরুত্বপূর্ণ মিত্রের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা উচিত নয়। এই পরিস্থিতির সমাধান খুঁজতে ভারতের সরকারের সঙ্গে শীঘ্রই কথা বলা উচিত। বিশ্বের একটি ক্রমবর্ধমান শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা কখনওই কাম্য নয়।

    আরও পড়ুন: উচ্ছ্বাস ইজরায়েলে, হামাস প্রধান সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত ডিএনএ পরীক্ষায়

    দিল্লির দাবি

    ইতিমধ্যেই নিজ্জর হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে ট্রুডো সরকারের অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক লাভের জন্য ভারতকে অপমান করার একটি ইচ্ছাকৃত অপপ্রচার’ বলে জানিয়েছে সাউথ ব্লক। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের অভিযোগ, কানাডার আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচনে কট্টরপন্থী খলিস্তানি গোষ্ঠীগুলির সমর্থন পাওয়ার জন্য ট্রুডো সরকার নতুন করে নিজ্জর বিতর্ক সামনে নিয়ে আসছে। খলিস্তানি নেতা নিজ্জরকে ২০২০ সালে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে ঘোষণা করেছিল ভারত। তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের সারের একটি গুরুদ্বারের সামনে তাঁকে হত্যা করা হয়। এর পরে নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘ভূমিকা’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো।  তার পর থেকেই দু’দেশের সম্পর্কে চিড় ধরে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রাজ্যে নারী নিরাপত্তা তলানিতে, কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: রাজ্যে নারী নিরাপত্তা তলানিতে, কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড থেকে শুরু করে কুলতলি, পুরুলিয়া, কৃষ্ণনগর। রাজ্যে (West Bengal) একের পর এক মহিলাদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় নারী সুরক্ষা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবীকে চিঠি দিলেন। মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sukanta Majumdar)

    কৃষ্ণনগরে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। পুলিশ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চাইছে বলে অভিযোগ। যদিও ইতিমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে সিট গঠন করা হয়েছে। তবে, পুলিশি তদন্তের ওপর আস্থা নেই পরিবারের। ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন পরিবারের লোকজন। পুরুলিয়ার বরাবাজার এলাকায় নদীর ধার থেকে এক তরণীর দেহ উদ্ধার হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, ওই তরুণীর ওপর নির্যাতন চালিয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ দেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। এই সব ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    আরও পড়ুন: গণস্বাক্ষর অভিযানের পর এবার ন্যায় বিচার যাত্রার ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    মন্ত্রীকে চিঠিতে কী লিখলেন সুকান্ত?

    পর পর নারী নির্যাতিনের ঘটনার নিয়ে এবার সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তিনি (Sukanta Majumdar) লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের সুরক্ষা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তদন্তের আবেদন জানাচ্ছি।” আরজি করের ঘটনার পর কুলতলির ঘটনা নিয়েও সরব হয়েছিলেন তিনি। কুলতলির নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ সামনে আসার পরেই আন্দোলনে নিজে পথে নেমেছিলেন। এবার পুরুলিয়া এবং কৃষ্ণনগরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে নানা মহলে। কৃষ্ণনগর ও পুরুলিয়ার ঘটনা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে সুকান্তর অভিযোগ, “বাংলার মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মহিলাদের নিরাপত্তা চাই।” এর আগে কুলতলির ঘটনা নিয়েও কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবীকে চিঠি লিখেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর এবার কৃষ্ণনগর এবং পুরুলিয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবিতে সরব সুকান্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hindu Women: সমাজমাধ্যমে দুই হিন্দু মহিলাকে কুরুচিকর আক্রমণ, ভাইরাল হতেই ক্ষমা চাইল মুসলিম যুবক

    Hindu Women: সমাজমাধ্যমে দুই হিন্দু মহিলাকে কুরুচিকর আক্রমণ, ভাইরাল হতেই ক্ষমা চাইল মুসলিম যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাস কলকাতার বুকে আজান জাহাঙ্গির নামের এক মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে সমাজমাধ্যমে, দুই হিন্দু মহিলাকে (Hindu Women) কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল। পরে গালিগালাজ ও যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যের সেই পোস্ট ভাইরাল হতেই ক্ষমাপ্রার্থনা করে ওই যুবক। গালিগালাজের ওই স্ক্রিনশট অথবা যুবকের ক্ষমা প্রার্থনার ভিডিও-র কোনওটারই সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। 

    আসল ঘটনা (Hindu Women)

    ওপি ইন্ডিয়াতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ১৭ অক্টোবর ওই মুসলিম যুবক, দুই হিন্দু মহিলার (Hindu Women) উদ্দেশে বেশ কিছু অশালীন শব্দ প্রয়োগ করে। এর পরেই ওই যুবকের পরিচয় প্রকাশ্যে আনা হয় @HPhobiaWatch-এই প্রোফাইল থেকে (Muslim man)। @HPhobiaWatch তাদের পোস্টে অভিযুক্ত যুবকের কলেজকেও ট্যাগ করে। তাদের পোস্টে প্রশ্ন রাখা হয় যে, ছাত্রের ওই ধরনের বয়ানকে কলেজ সমর্থন করে কিনা এবং এটা শৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে কিনা! @HPhobiaWatch-র ট্যুইটের ১২ ঘণ্টা পরে আজান জাহাঙ্গির নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এসে ক্ষমাপ্রার্থনা (Muslim man) করে ভিডিও পোস্ট করে।

    আজান জাহাঙ্গিরের ক্ষমা চাওয়ার পোস্ট

    ভিডিওতে সে বলে, ‘‘আমাকে ক্ষমা করে দিন। আমি সমস্ত হিন্দুদের কাছ থেকে ক্ষমা চাইছি। আমার কেরিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে। আমাকে ক্ষমা করে দিন।’’ শুধু তাই নয় সে আরও বলতে থাকে, ‘‘বেশ কিছু উগ্র মৌলবাদীর খপ্পরে পড়ে সে এই ঘটনা (Hindu Women) ঘটিয়েছে।’’ এর পাশাপাশি সে দাবি করে যে ভবিষ্যতে আর কখনও সমাজ মাধ্যমে তাকে দেখা যাবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dengue: উৎসবের মরশুমে বাড়তে পারে ডেঙ্গি! কেন বাড়ছে উদ্বেগ? কীভাবে সতর্ক থাকবেন? 

    Dengue: উৎসবের মরশুমে বাড়তে পারে ডেঙ্গি! কেন বাড়ছে উদ্বেগ? কীভাবে সতর্ক থাকবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দুর্গাপুজো শেষ। শেষ লক্ষ্মীপুজো। সামনেই কালীপুজো ও দীপাবলি। উৎসব চলছে। কিন্তু এই মরশুমে নতুন উদ্বেগ রাজ্য জুড়ে! একদিকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বন্যার জেরে জীবন বিপর্যস্ত। দেখা দিচ্ছে নানান স্বাস্থ্য সমস্যা। ডায়ারিয়া থেকে জ্বর, রোগের কবলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আরেকদিকে নতুন রোগের ভ্রুকুটি দেখছেন চিকিৎসক মহল। তাঁদের আশঙ্কা, উৎসবের মরশুমে নতুন ভাবে বিপদ (Dengue) জাঁকিয়ে বসতে পারে। তাই আগাম সতর্কতা জরুরি।

    কোন বিপদ নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্য জুড়ে ফের বাড়তে পারে ডেঙ্গির (Dengue) দাপট। তাঁদের আশঙ্কা, উৎসবের মরশুমে এই রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। বিশেষত, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলাগুলিতে এই মশাবাহিত এই রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সেপ্টেম্বর মাস থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গি সংক্রমণ হচ্ছে। অক্টোবরে সেই সংক্রমণ কয়েকগুণ বাড়তে পারে বলেই তাঁদের আশঙ্কা।

    কেন উৎসবের মরশুমে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়তে পারে? (Dengue)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছিল। কিন্তু গত মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে রাজ্য জুড়ে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। যার জেরে মশাবাহিত রোগের দাপট কিছুটা কমে। তাঁরা জানাচ্ছেন, লাগাতার বৃষ্টি পড়লে মশা কম জন্মায়। তার জেরেই ডেঙ্গির মতো রোগের প্রকোপ কিছুটা কমে। তবে, অক্টোবরে (Festive season ডেঙ্গির দাপট বৃদ্ধির প্রধান কারণ জমা জল হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, আপাতত বৃষ্টি একনাগাড়ে হচ্ছে না। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জল জমেছে। নিকাশি ব্যবস্থা অধিকাংশ জায়গায় খুব খারাপ। আর এই জমা জল মশাবাহিত রোগের মূল কারণ। তাই উৎসবের মরশুমে মশার দাপট বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে‌ বাড়তে পারে ডেঙ্গি। বছরের এই মরশুমে ডেঙ্গি সংক্রমণ বেশি হয়।

    বাড়তি বিপদ কেন? (Festive season)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, উৎসবের মরশুমে একাধিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ঠিকমতো কাজ হয় না। অধিকাংশ পুরকর্মী ছুটিতে থাকেন। এর ফলে জ্বর হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ‌ মতো সময়ের মধ্যে ডেঙ্গি (Dengue) পরীক্ষা হয় না। এর জেরে রোগ নির্ণয়ে অনেক সময়েই দেরি হয়ে যায়। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কাও বাড়তে থাকে। আবার পরিস্থিতি জটিল হলে হাসপাতালে ভর্তি এবং চিকিৎসা চালানো নিয়ে নানান‌ সঙ্কট তৈরি হয়। প্রত্যেক বছর রক্তের আকালের একাধিক অভিযোগ ওঠে। ব্লাড ব্যাঙ্কেও উৎসবের মরশুমে প্লেটলেটের জোগান পাওয়া যায় না। সব মিলিয়ে রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। পরিজনদের হয়রানিও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা একাংশের।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Dengue)

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, পরিবেশ-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এলাকায় জল জমলে, অপরিচ্ছন্ন‌ বাগান‌ কিংবা পার্ক থাকলে সংশ্লিষ্ট পুর কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। মশার বংশবিস্তার রুখতে পারলেই বিপদ কিছুটা আটকানো যাবে। তবে জ্বর, কাশি, মাথাব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। প্রথম থেকেই রোগীকে মশারি টাঙিয়ে, তার ভিতরে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। পাশাপাশি জ্বর হলেই বেশি পরিমাণে জল খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ শরীরের ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমলে‌ ডেঙ্গির বড় বিপদ আটকানো‌ সহজ হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ESI Hospital: ইএসআই হাসপাতালে আগুন, ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু ১ রোগীর

    ESI Hospital: ইএসআই হাসপাতালে আগুন, ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু ১ রোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়ালদা ইএসআই হাসপাতালে (ESI Hospital) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। হাসপাতালের মেল সার্জিক্যাল বিভাগে শুক্রবার ভোরে আচমকাই আগুন লাগে (Hospital Fire)। প্রবল ধোঁয়ায় হাসপাতাল ঢেকে যায়, ফলে দমবন্ধ হয়ে আসে রোগীদের। আগুনে দমবন্ধ হয়ে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাঁর নাম উত্তম বর্ধন। ক্যান্সারে আক্রান্ত আরও ২ জনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে (ESI Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Hospital Fire)

    পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রের খবর, শুক্রবার ভোর ৫টা নাগাদ হাসপাতালের দোতলা থেকে কালো ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীরাই দমকলে খবর দেন। আচমকা দেখা যায়, হাসপাতালের একটা অংশ দাউ দাউ করে জ্বলছে (Hospital Fire)। এরপরই কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা হাসপাতাল। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের মধ্যে। জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় হাসপাতালে (ESI Hospital) চিকিৎসাধীন ছিলেন ৮০ জন রোগী। পুলিশ ও দমকলের কর্মীরা স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহায্যে পুরুষ সার্জিক্যাল বিভাগে ভর্তি থাকা রোগীদের দ্রুত বাইরে বের করে আনেন। রোগীদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। খবর পেয়ে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও দমকলের উচ্চ পদস্থ কর্তারা হাসপাতালে পৌঁছন। পৌনে আটটা নাগাদ আগুন আয়ত্তে আসে। তাঁদের দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। ধোঁয়ায় একজন রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে (Hospital Fire)। দমবন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাঁকে ইএসআই হাসপাতালের (ESI Hospital) ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে, হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয় মৃত্যু হয়েছে ওই রোগীর। উত্তম বর্ধন নামে ওই রোগী ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। হাসপাতালে প্রচণ্ড ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। তিনি ক্যান্সারের সঙ্গে শ্বাসকষ্ট ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে সুপার। 

    আরও পড়ুন: ফোর লেন হচ্ছে ধূপগুড়ি-ফালাকাটা জাতীয় সড়ক, ১৬০৬ কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রের

    দমকল দফতরের কী বক্তব্য?

    দমকল দফতরের এক আধিকারিক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, বিদ্যুৎ সংযোগ থেকেই আগুন (Hospital Fire) লেগেছে। হাসপাতালের এইচডিইউ বিভাগে আগুন লাগে এদিন ভোরে। সেখান থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। একাধিক বিভাগে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন হাসপাতালের কর্মীরাও। পরিস্থিতি কত দ্রুত স্বাভাবিক করা যায়, সেদিকে নজর রয়েছে হাসপাতাল (ESI Hospital) কর্তৃপক্ষের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NDA: ঐক্যবদ্ধ জোটের ছবি চণ্ডীগড়ে, এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক মোদির

    NDA: ঐক্যবদ্ধ জোটের ছবি চণ্ডীগড়ে, এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার এনডিএ (NDA) শাসিত রাজ্যেগুলির মুখ্যমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে জাতীয় স্তরের নানা ইস্যু সমেত দারিদ্র দূরীকরণ কর্মসূচি নিয়েও বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। বৈঠক শেষে এনডিএ-এর ঐক্যবদ্ধ চেহারাও সামনে আসে। জোটের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে ছবি তোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও হাজির ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা-সহ কেন্দ্রীয় বিজেপির একাধিক নেতা। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির ১৩ জন মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। বিজেপি ছাড়াও এনডিএ-তে (NDA) থাকা মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, সিকিম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীরাও হাজির ছিলেন। 

    প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইট 

    বৈঠকের পর নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লেখেন, ‘‘সুশাসন এবং মানুষের জীবন-জীবিকার উন্নয়নের নানা ইস্যু নিয়েই আমরা বিস্তৃত আলোচনা করেছি। এনডিএ জোট (NDA) দেশের অগ্রগতি এবং গরিবদের জীবন জীবিকার উন্নয়নের প্রশ্নে বদ্ধপরিকর।’’

    কী বললেন নাড্ডা

    প্রসঙ্গত, বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেন, ২০২৫ সালে জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই ঘটনাকে গণতন্ত্রের হত্যা বলে উল্লেখ করে প্রস্তাবও পাশ করেন।’’ এর পাশাপাশি নাড্ডা আরও জানিয়েছেন, বৈঠকে (NDA) আত্মনির্ভর ভারত, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, দেশের অর্থনীতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctor: গণস্বাক্ষর অভিযানের পর এবার ন্যায় বিচার যাত্রার ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    Junior Doctor: গণস্বাক্ষর অভিযানের পর এবার ন্যায় বিচার যাত্রার ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar) প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এখনও চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) অনশন। তার মধ্যেই এবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আমরণ অনশনকারীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে ও ন্যায় বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার পদযাত্রার ঘোষণা করল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট।

    ন্যায় বিচার যাত্রার আয়োজন (Junior Doctor)

    আগামী শনিবার সোদপুর থেকে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ পর্যন্ত ন্যায় বিচার যাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) তরফে বলা হয়েছে, অনশনকারীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সোদপুর থেকে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ পর্যন্ত ন্যায় বিচার যাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। তার সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ওই একই সময়ে ন্যায় বিচার যাত্রাও করা হবে বলে জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। অন্যদিকে, এদিন স্বাস্থ্য ভবনের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। তাদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টে মিথ্যাচার করছে রাজ্য সরকার। যে কাজের খতিয়ান স্বাস্থ্যভবনের তরফে সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া হয়েছে, তার কোনওটাই সম্পূর্ণ হয়নি। নিজেদের দাবির সমর্থনে একাধিক ছবিও দেখিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    আরও পড়ুন: ফোর লেন হচ্ছে ধূপগুড়ি-ফালাকাটা জাতীয় সড়ক, ১৬০৬ কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রের

    স্বাস্থ্য সচিব মিথ্যাচার করছেন

    জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফে সত্যজিৎ সরকার (Junior Doctor) বলেন, ‘‘দুপুর দু’টোর সময় আমরা ছবি তুলেছি। কোথায় কী কাজ রয়েছে, তা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। কেন এই মিথ্যাচার? মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা যে রিপোর্ট অধ্যক্ষের কাছে জমা দিয়েছিলেন, সেখানে ৮৩৯টি সিসিটিভির প্রয়োজন আছে। কিন্তু স্বাস্থ্য ভবন অনুমতি দিয়েছে ৩৬০টি সিসিটিভির। এর মধ্যে কর্তৃপক্ষ বলছে এখনও বসানো হয়েছে ৩৩১টি। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে। বহু জায়গায় সিসিটিভি বসানো এখনও বাকি। স্বাস্থ্যসচিব মিথ্যাচার করছেন। ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের কাছে। এর সঙ্গে আমরা জানতে পারছি, এই সিসিটিভি বসানো হয়েছে মাত্র ৪৫ দিনের জন্য।’’

    নারী সুরক্ষা উপেক্ষিত

    জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) বলেন, ‘‘বাংলার বিভিন্ন যাত্রায় নারী সুরক্ষার বিষয়টি উপেক্ষিত। বাংলার বিভিন্ন জায়গায় একই দিনে সমস্ত নাগরিক মঞ্চের তরফ থেকে ন্যায় বিচার যাত্রার আয়োজন করুন। প্রথম দিন থেকে যেভাবে প্রতিবাদে রয়েছেন সেটা চালিয়ে যান। যে মানবিক সরকারের কথা বলা হত সেই সরকারের যে অমানবিক মুখ দেখতে পাচ্ছি তাতে আমরা ক্ষুব্ধ ও হতাশ।’’ সেই সঙ্গেই জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন গণস্বাক্ষর অভিযান যেমন চলছে তেমনি চলবে। রাজ্যের জেলায় জেলায় এই কর্মসূচি পালন করা হবে। অনশনে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। অনিকেত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও শারীরিকভাবে এখনও যথেষ্ট দুর্বল। ৬ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন। অনিকেত মাহাতোর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ডাঃ সোমা মুখোপাধ্যায় জানান, নির্দিষ্ট সময় পর অনিকেতর প্রেসার মাপতে হবে। খেতে হবে প্রচুর পরিমাণ জল। আর আপাতত তিনি এখন অনশনে যোগ দিতে পারবেন না। আপাতত অনশনে যাচ্ছেন না অনিকেত। তবে লড়াইয়ের মঞ্চ ছাড়ছেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share