Tag: Madhyom

Madhyom

  • Allu Arjun: ‘পুষ্পা ২’-এর প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে মহিলার মৃত্যু, গ্রেফতার অভিনেতা অল্লু অর্জুন

    Allu Arjun: ‘পুষ্পা ২’-এর প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে মহিলার মৃত্যু, গ্রেফতার অভিনেতা অল্লু অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার হয়েছেন দক্ষিণের অভিনেতা অল্লু অর্জুন (Allu Arjun)। গত ৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদে ‘পুষ্পা ২’ (Pushpa-2) ছবির প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়ে ছিল এক মহিলার। এবার এই মৃত্যুর ঘটনায় পদক্ষেপ করল পুলিশ। উল্লেখ্য যখন ওই মহিলার মৃত্যু হয়, তখন সেই সময় উপস্থিত ছিলেন এই অভিনেতা। উল্লেখ্য অল্লু অভিনীত সিরিজের প্রথম পর্ব ‘পুস্পা’ বক্স অফিসে ব্যাপক সফল হয়েছিল। সিনেমার দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ছিল। তাই প্রিমিয়ারে অত্যধিক ভিড়ে মর্মান্তিক এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল।

    অত্যন্ত ভিড় সম্পর্কে আগাম তথ্য জানানো হয়নি (Allu Arjun)

    জানা গিয়েছে, অল্লু অর্জুন (Allu Arjun) অভিনীত ‘পুস্পা ২’ (Pushpa-2) সিনেমার প্রিমিয়ার মৃত মহিলার বয়স ছিল ৩৯। এই মহিলার সঙ্গে তাঁর নাবালক ছেলেও ছিল। একই সঙ্গে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে অনেক মানুষ পদপৃষ্ঠ হয়ে গুরুতর আহতও হয়েছিলেন। পরে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর আয়োজক সন্ধ্যা থিয়েটারের ব্যবস্থাপনার কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সেই সূত্রে জানা গিয়েছে, “চলচ্চিত্র কলাকুশলীদের উপস্থিতি সম্পর্কে আগে থেকে জানানো হয়নি। অত্যন্ত ভিড় সম্পর্কে আগাম তথ্য জানানো হয়নি।”

    মৃতের পরিবারের সদস্য অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা

    ঘটনায় বড়সড় গাফিলতি এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার অভিনেতা অল্লু অর্জুনকে (Allu Arjun) আটক করে নিয়ে আসা হয় চিক্কাদপল্লী থানায়। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারার ১০৫ নম্বর ধারার অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই মামলায় হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ যুক্ত করা হয়েছে। একই ভাবে ধারা ১১৮(১) আর ডবলু ৩(৫)-তে স্বেচ্ছায় আঘাত করার মামলাও দায়ের হয়েছে। সেন্ট্রাল জোনের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ, অক্ষাংশ যাদব বলেন, “মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে থিয়েটারের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী সমস্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইন অনুসারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ঘটনা অত্যন্ত মর্মস্পর্শী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে বিচারের নামে প্রহসন! অদ্ভূত যুক্তি দেখিয়ে চিন্ময়ের আবেদন শুনল না আদালত

    Bangladesh: বাংলাদেশে বিচারের নামে প্রহসন! অদ্ভূত যুক্তি দেখিয়ে চিন্ময়ের আবেদন শুনল না আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর মৌলবাদীরা কার্যত দেশ চালাচ্ছে! এমনিতেই সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচার চলছে। চিন্ময় প্রভু (Chinmoy Prabhu) গ্রেফতার হওয়ার পর বিচার বিভাগকেও নিজেদের মর্জি মতো চালাচ্ছে কট্টরপন্থীরা। এখন বিচারের নামে প্রহসন হচ্ছে বাংলাদেশে (Bangladesh)? কারণ, স্থানীয় কোনও আইনজীবী সঙ্গে নেই, এই অজুহাতে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম আদালতে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষের শুনানি এগিয়ে নিয়ে আসার আবেদন খারিজ করা হল। তিনটি মামলার আবেদন করেন রবীন্দ্র ঘোষ নামে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। তিনি ঢাকা থেকে এসেছিলেন চট্টগ্রামে। কিন্তু তাঁর আবেদনে শুনানি হয়নি কোর্টে। দায়রা আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম সেই আবেদন খারিজ করে দেন। উপযুক্ত ওকালতনামা না থাকার কারণ দেখিয়ে খারিজ হয় আবেদন। শুধু তাই নয় কোর্টের মধ্যেই রবীন্দ্রবাবুকে নিগ্রহ করা হয়।

    ঠিক কী হয়েছিল আদালতে? (Bangladesh)

    আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘‘জজসাহেব সকাল ১১টায় যখন কোর্টে (Bangladesh) উঠলেন, আমি বললাম শুনানি করতে চাই। উনি অনুমতি দেন। কিন্তু বিকেল আড়াইটে-তিনটে নাগাদ যখন শুনানি শুরু হল, তখন প্রায় ৩০-৪০ জন আইনজীবী কোনও অনুমতি ছাড়াই এজলাসে ঢুকে পড়ল। এটা কী করে সম্ভব? ওদের কোনও ওকালতনামা ছিল না। কাদের হয়ে ওরা গেল? অভিযুক্তের হয়ে, নাকি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে? কেন আমার কথা শোনা হল না? আমি জজসাহেবের ওপর সত্যিই মনক্ষুন্ন। আমাকে বলা হল, আমি এই আদালতে দাঁড়াতে পারব না। আমি ওকালতনামা নিয়ে এসেছিলাম। আমাকে বলা হয়, আপনার এখানকার আইনজীবী লাগবে। আমি প্রশ্ন করি, কেন? এখানকার আইনজীবী তো লাগার কথা নয়। তারপর জজসাহেব আমাকে এখানকার আইনজীবী আনার কথা বলেন। আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। কেন আইনজীবীরা দাঁড়াবে? চট্টগ্রাম আদালতের ভূমিকা বৈষম্যমূলক। শুনানি স্থগিত রেখে দেওয়ার কী অর্থ?”

    আরও পড়ুন: সর্বকনিষ্ঠ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন! দাবায় সেরা ডি গুকেশ, কুর্নিশ সচিন-মোদি-মুর্মুদের

    কোর্টের মধ্যে নিগ্রহ!

    আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ আরও বলেন, ‘‘মহম্মদ ফিরোজ খান চিন্ময়কৃষ্ণ ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই কেস লড়তে আমি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে (Bangladesh) এসেছি। আমরা ইতিমধ্যে একটি পিটিশন দিয়েছি। যে ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে তার শুনানি যাতে দ্রুত করা যায় তার আবেদন জানিয়েছি। এর তারিখ যাতে এগিয়ে আনা হয় সেই কথাও বলেছি। কিন্তু জজ সাহেবের ভূমিকা ঠিক ছিল না। অপর পক্ষের তিরিশ-চল্লিশ জন আইনজীবী আমাই ধাক্কা মেরেছে। আমি অসুস্থ মানুষ। হাঁটতে পারি না। আমার ৭৫ বছর বয়স। জজ সাহেবের সামনেই কোর্টের ভিতরে নিগ্রহ করেছে। আমি মামলার শুনানি করতে চেয়েছিলাম। করতে দেওয়া হয়নি। যেহেতু আমরা নিম্ন আদালতে বিচার পেলাম না,তাই হাইকোর্টে যাব পরে।”

    যাঁরা বিচার পাচ্ছেন না, তাঁদের হয়ে লড়াই করব

    গোটা ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ প্রবীণ আইনজীবী (Bangladesh) রবীন্দ্র ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘আমি শুধু আইনজীবী নই, মানবাধিকার কর্মীও। আমি ওকালতি করি নিজের জীবন রক্ষার জন্য নয়, সংখ্যালঘুদের পাশে থাকতে। আমি নিষ্ঠা নিয়ে কাজ করি। ফি দিয়ে আমাকে সন্তুষ্ট করা কঠিন হবে কারণ আমি এগুলো পছন্দ করি না। আমি যেহেতু দীর্ঘদিন সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে কাজ করি, আমার ডকুমেন্টেশন, কাগজপত্র, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং অনেক। আমি এটা জজসাহেবকে বিভিন্ন সময়ে দেখিয়েছি। স্থানীয় প্রশাসনকে দেখিয়েছি। কিন্তু মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে এরকম অপরাধের বিরুদ্ধে তাঁরা কোনও পদক্ষেপ করছেন না। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হলে ওঁরা তদন্ত করবেন, ওঁরা সুফল কিছু দিতে পারেন না। সেই জন্য আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছি, শুধু চিন্ময় প্রভু নন, এর আরও যাঁরা আছেন যাঁরা বিচার পাচ্ছেন না এরকম অপরাধের বিরুদ্ধে তাঁরা কোনও পদক্ষেপ করছেন না। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হলে ওঁরা তদন্ত করবেন, ওঁরা সুফল কিছু দিতে পারেন না। সেই জন্য আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছি, শুধু চিন্ময় প্রভু নন, এরকম আরও যাঁরা আছেন, যাঁরা বিচার পাচ্ছেন না, তাঁদের সকলের পাশে দাঁড়িয়ে আমি লড়াই করব।”

    পরবর্তী পদক্ষেপ কী?

    রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘‘উচ্চ আদালতে (Bangladesh) যাব। কীভাবে যাব? ২ জানুয়ারি যদি শুনানি হয়, তাহলেও আরও একমাস লেগে যাবে হাইকোর্টে মামলা নিয়ে যেতে। জেলে থাকতে হবে আরও একমাস। বিচার দেব কী করে?” প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল চিন্ময়কৃষ্ণকে। এরপর তাঁর মামলাটি আদালতে ওঠে। তবে সেই সময় কোনও আইনজীবী তাঁর হয়ে না লড়ায় মামলা খারিজ হয়। কোনও আইনজীবী চিন্ময় কৃষ্ণর পক্ষে সওয়াল করতে চাননি বলে জানা গিয়েছে। চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। এখনও এক আইনজীবী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আইনজীবীদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ ওঠে এর আগে বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয় চিন্ময়ের পক্ষে না সওয়াল করার। সেই সব তোয়াক্কা না করেই ঢাকা শীর্ষ আদালতের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ এলে তাঁকেও হেনস্থা করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hijab Law: মহিলাদের জন্য ইরানে নয়া পোশাকবিধি, না মানলে হতে পারে মৃত্যুদণ্ডও! শুরু বিতর্ক

    Hijab Law: মহিলাদের জন্য ইরানে নয়া পোশাকবিধি, না মানলে হতে পারে মৃত্যুদণ্ডও! শুরু বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোশাকবিধি না মানলে এবার মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে ইরানি (Iran) নারীদের। এই বিষয়ে চলতি সপ্তাহে নয়া আইন (Hijab Law) চালু করেছে তেহরান। নতুন আইনে পোশাক বিধি না মানার জন্য ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ে আলাদা আলাদা শাস্তির বিধান দেওয়া হয়েছে। কেউ অশোভন পোশাক পরলে কিংবা নগ্নতাকে তুলে ধরছেন বলে মনে করা হলে ভারতীয় মুদ্রায় জরিমানা হতে পারে সাড়ে ১৩ লাখ টাকা।

    কড়া শাস্তির বিধান (Hijab Law)

    বারংবার একই অন্যায় করলে ৫ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত জেলও হতে পারে। যদি কোনও মহিলার অপরাধকে ‘পৃথিবীর প্রতি অনাচার’ বলে মনে করে প্রশাসন, তাহলে ইরানের ইসলামীয় দণ্ডবিধি অনুসারে তাঁর মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। নয়া আইন অনুসারে যাঁরা এই পোশাকবিধি লঙ্ঘন করবেন, তাঁদেরও পেতে হবে শাস্তি। কোনও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, স্কুল, সংবাদমাধ্যম মায় কোনও ট্যাক্সিচালকও যদি মহিলাদের অশোভন পোশাকে দেখেন, তাহলে তা সঙ্গে সঙ্গে জানাতে হবে প্রশাসনকে। না হলে, সেটাও গণ্য হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে।

    পোশাক বিধি

    ইরানে দীর্ঘদিন ধরে মহিলাদের জন্য কড়া পোশাক বিধি চালু রয়েছে। হিজাবে মাথা ঢাকা সে দেশে আবশ্যিক। রাস্তায় বের হলে ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হয় মহিলাদের। ইরানের প্রাক্তন ধর্মগুরু আয়াতোল্লা খোমেইনি এই নিয়ম চালু করেন। বর্তমান ধর্মগুরু আলি খামেনেইও মহিলাদের জন্য জারি রেখেছেন পোশাকবিধি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কড়াকড়ি বেড়েছে পোশাকবিধিতে (Hijab Law)। পোশাক-ফতোয়ার বিরুদ্ধে নানা সময় প্রতিবাদ, বিক্ষোভ হয়েছে সে দেশে। তার পরেও শিথিল হয়নি পোশাক বিধি। বরং প্রশাসন সেই আন্দোলন দমন করেছে কড়া হাতে। শাস্তি হয়েছে কঠোরতর।

    আরও পড়ুন: “জোর করে জমির ফসল কেটে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশিরা”! আতঙ্কে নদিয়ার সীমান্ত এলাকার চাষিরা

    ইরানের নয়া পোশাকবিধিকে ‘ন্যক্কারজনক’ আখ্যা দিয়েছেন মানবাধিকার সংগঠনের পশ্চিম এশিয়ার সহকারি অধিকর্তা ডায়ানা এল্টাহাওয়ে। তিনি বলেন, “নারী স্বাধীনতা ও নারীর অধিকার খর্ব করতে এই আইন চালু করা হয়েছে।” ইরানে হিজাব না পরার অপরাধে মাহসা আমিনিকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ইরানের নীতি পুলিশ। পরে পুলিশি হেফাজতেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে ইরানের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক আন্দোলন হয়। হিজাব পুড়িয়ে বিক্ষোভও দেখাতে দেখা যায় মহিলাদের। সেবার কড়া হাতে সেই আন্দোলন দমন (Iran) করেছিল ইরানের পুলিশ (Hijab Law)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • RBI: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ইমেল, মুম্বইয়ে চাঞ্চল্য

    RBI: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ইমেল, মুম্বইয়ে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদ হামলার বার্ষিকীর আগের দিনই ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে (RBI) বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে একটি রুশ ভাষায় গভর্নরকে বলা হয়েছে “আপনাকে উড়িয়ে দেবে।” এই হুমকি দেওয়া হয়েছে মুম্বইস্থিত শীর্ষ ব্যাঙ্কের সদর দফতরে ইমেলের মাধ্যমে। ঘটনায় দেশের বাণিজ্য নগরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারায় মামালা দায়ের (RBI)

    ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর জঙ্গি হামলা হয়েছিল ভারতীয় গণতন্ত্রের পীঠস্থানে। আজ, শুক্রবার, সংসদ হামলার ২৩ তম বার্ষিকী। এর আগে, গতকাল, বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর, রাশিয়ান ভাষায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর (RBI) সঞ্জয় মালহোত্রার অফিসিয়াল ইমেল আইডিতে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয় মুম্বই সদর দফতরের প্রধান অফিসকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে গর্ভনরকে বলা হয়, “আপনাকে উড়িয়ে দেব।” হুমকি পেয়েই আরবিআই-এর পক্ষ থেকে মুম্বই পুলিশকে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এরপর ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিশেষ ধারায় মামলা রুজু করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    ইমেলের আইপি নিয়ে খোঁজ করা হচ্ছে

    এই হুমকির কথা বলতে গিয়ে মুম্বই পুলিশের এক সিনিয়র অফিসার জানিয়েছেন, “আরবিআই (RBI) এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে একটি হুমকিমূলক ইমেলে অভিযোগ এসেছে। তবে ইমেলটি রাশিয়ান ভাষায় লেখা ছিল। প্রধান অফিসে বোমা মারার অভিযোগ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা কেস দায়ের করেছি। মাতা রমাবাঈ মার্গের থানায় অজ্ঞাত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তবে ইমেলে ভিপিএন ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত ইমেলের আইপি ঠিকানাও খুঁজে দেখা হচ্ছে।”

    আরও পড়ুনঃ মণিপুরে ১১০ একর অবৈধ আফিম চাষ নষ্ট করেছে প্রশাসন, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং

    আগেও হুমকি এসেছিল

    উল্লেখ্য গত মাসের শুরুতে মুম্বইয়ের এই আরবিআই (RBI) কাস্টোমার কেয়ার সেন্টারে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আরবিআই-এর এক অফিসারকে ফোন করেছিল অজ্ঞাত পরিচয়ে এক ব্যক্তি। অফিসের একটি রাস্তাকে ব্লক করতে বলা হয়েছিল ফোনে। কারণ বৈদ্যুতিক গাড়ি ভেঙে গিয়েছিল। পরে অবশ্য মুম্বই পুলিশ তদন্ত করে জানায়, সন্দেহজনক তেমন কিছু পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Relation: সরাসরি যুদ্ধের ডাক বিএনপি নেতার! বাংলাদেশে আরও তীব্র ভারত-বিদ্বেষের বিষ

    India Bangladesh Relation: সরাসরি যুদ্ধের ডাক বিএনপি নেতার! বাংলাদেশে আরও তীব্র ভারত-বিদ্বেষের বিষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের রাজনীতির আঙিনায় এখন ভারত বিরোধিতার প্রতিযোগিতা চলছে। কখনও মানচিত্র বদলের হুঁশিয়ারি, কখনও কলকাতা তো কখনও সেভেন সিস্টার্স দখলের ডাক। সীমান্ত ডিঙিয়ে আগরতলা অভিযানের ডাকও দিয়েছে এখন বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। এবার সরাসরি যুদ্ধের ডাক দিলেন বিএনপি নেতা হাফিজউদ্দিন আহমেদ। তাঁর কথায়, ‘প্রত্যেক বাংলাদেশি নাগরিককে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা হবে। প্রত্যেক ছাত্রকে রাইফেল চালানো শিখতে হবে।’ বৃহস্পতিবার ঢাকার এক সভায় এমনই মন্তব্য করতে দেখা যায় বিএনপি নেতাকে।

    ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ!

    নানা ঘটনায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বাংলাদেশ এখন উত্তাল। বাংলাদেশের এই অস্থিরতায় বারবার সেদেশের মৌলবাদীরা ভারতের দিকে আঙুল তুলছে। বাংলাদেশে ক্রমে ভারত বিরোধিতার সুর জোরালো হচ্ছে। যে দেশ স্বাধীন করার জন্য ভারতের অনেক যোদ্ধা রক্ত দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ আন্দোলনে যোগ দিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু ভারতীয়। ভারত না থাকলে একদা বাংলাদেশের জন্মই হতো না, সেই বাংলাদেশেই ভারত বিরোধিতার স্লোগান উঠছে। বঙ্গবন্ধুকে যারা অপমান করে, তারাই পাকিস্তানের মদতে ঢাকার বাতাসে ভারত বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে বলে মত কূটনৈতিক মহলের। 

    কট্টরপন্থী নেতাদের হুঙ্কার

    ভারতের জন্য হুমকির তো অন্ত নেই। বিগত কয়েকদিনে বাংলাদেশের একের পর এক কট্টরপন্থী নেতাদের হুঙ্কারে চিন্তিত আন্তর্জাতিক মহলও। এবার বিএনপি নেতা হাফিজউদ্দিন আহমেদকে বলতে শোনা যায়, “প্রত্যেক ছাত্রকে বেসিক মিলিটারি ট্রেনিং আমরা দেব। আমাদের দিকে যাতে কেউ রক্তচক্ষু না দেখাতে পারে তাই এটা দরকার। আমরা যুদ্ধ করে তৈরি হয়েছি। চিরকাল জয়ী হবে বাংলাদেশের মানুষ।” এর আগে চার ঘণ্টায় কলকাতা দখলের ডাক দিতে দেখা গিয়েছিল সে দেশের প্রাক্তন সেনা কর্তাকে। 

    ভারতীয়দের উৎখাতের ডাক

    হিন্দুদের উপরে হামলা-অত্যাচারের পর পরিবর্তনের বাংলাদেশে ভারতীয়দের উৎখাত করার হুমকিও উঠেছে। ‘ভারতীয়দের লাথি মেরে তাড়ানোর’ হুমকি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম মুখ তথা গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বাংলাদেশি নেতাদের হুমকির ভিডিও। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ভারতীয়দের লাথি মেরে তাড়ানোর হুমকি দিচ্ছেন তারেক রহমান। ভারতের বিরুদ্ধে হিংসা, ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, “রাঙামাটি থেকে সিলেট পর্যন্ত ৪৫ কিমি রাস্তা ভারত আমাদের দেয়নি। ৪০০ কিমি ঘুরে যেতে হয়। তাহলে কেন ভারতকে ১৫০০ কিমি বাঁচানোর জন্য ৪০০ কিমি ট্রানজিট দেওয়া হল?”

    সীমা ছাড়াচ্ছে ভারত-বিদ্বেষ

    তারেক রহমানের প্রশ্ন, “ফেণী, চট্টগ্রামে ইকোনমিক জোন দিয়েছেন শেখ হাসিনা। আমি প্রশ্ন করছি, আপনি কি বাংলাদেশের সন্তান? এরকম সাঙ্ঘাতিক কাজ করলেন কী করে। আমরা কি পারব ভারতে চিকেন নেকে ইকোনমিক জোন তৈরি করতে? এখান নেপাল-ভুটান যাওয়ার রাস্তাটুকু আমরা পাইনি। এভাবে হবে না। আমাদের ওই অর্থনৈতিক অঞ্চলে যেতে হবে। একটা একটা করে ভারতীয়কে লাথি মেরে ভারত সীমান্তে ঢুকিয়ে দিয়ে আসতে হবে।” তারেক আরও বিষোদগার করে বলেন, “ভারত নিজের সুবিধার জন্য চট্টগ্রাম, মঙ্গলা বন্দর ব্যবহার করে। কিন্তু নেপাল-ভুটানের মতো ছোট দেশ যখন বন্দর ব্যবহার করতে চাইল, ভারত অনুমোদন দেয়নি। এবার সোজাসুজি হিসেব করার সময় এসেছে।”

    বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা 

    হিন্দুদের ওপর হামলার মধ্যেই ভারতের বিরোধিতায় ঢাকায় মিছিল হচ্ছে প্রতিদিন। ঢাকায় প্রাক্তন সেনাকর্মীদের মিছিলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগানও উঠেছে। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ঢাকার সঙ্গে বিরোধিতা করছে দিল্লি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস অনুরোধ জানিয়েছেন, ইইউ ভিসা সেন্টার যেন দিল্লি থেকে অন্য দেশে স্থানান্তর করা হয়। তাঁর অনুরোধেই স্পষ্ট, ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোরই চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। বিগত কয়েকদিনে একের পর এক বিএনপি নেতাকে লাগাতার ভারত-বিরোধী মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে। এমনকী ভারতীয় পণ্য বয়কটেরও ডাক দিতে দেখা গিয়েছে। এবার তাতে নবতম সংযোজন হাফিজউদ্দিন, তারেক রহমানদের মন্তব্য। 

    আরও পড়ুন: নিশানায় হিন্দু পুলিশ অফিসাররাও, সংখ্যালঘু পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধে একাধিক খুনের মামলা!

    সক্রিয় পাকিস্তান

    বাংলাদেশের ভারত-বিরোধিতার মধ্যেই পাকিস্তান প্রীতিও প্রকাশ্যে এসেছে। পাকিস্তানের আরও কাছাকাছি এসেছে ইউনূস সরকার। পাক নাগরিকদের ভিসা পাওয়া আরও সহজ করেছে ঢাকা। নৈরাজ্যের বাংলাদেশে, ফায়দা তুলতে আসরে নেমেছ পাকিস্তান-চিনও। জামাত প্রধানের সঙ্গে চিনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠক হয়েছে। খালেদা জিয়ার বাড়িতে পৌঁছেছেন পাক হাই কমিশনার। যে ভারতের দয়ায় মাত্র ৫৩ বছর আগে পাকিস্তান সেনা বাহিনীর হাত থেকে স্বাধীনতা পেয়েছিল বাংলাদশ, সেই বাংলাদেশ এবার ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি শুরু করে দিল। শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে মৌলবাদী সংগঠনগুলির রমরমা বাড়ছে। পাশাপাশি মাথা চাড়া দিয়েছে জামাতের মতো জঙ্গি সংগঠন। সেখান হিন্দু -সহ একাধিক সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ক্রমশই বাড়ছে। এই অবস্থায় মৌলবাদী, জামাত আর পাকিস্তানের হাতে কাঠের পুতুল হয়ে পড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 2001 Parliament Attack: সংসদ হামলার ২৩ তম বার্ষিকী, শহিদদের স্মরণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    2001 Parliament Attack: সংসদ হামলার ২৩ তম বার্ষিকী, শহিদদের স্মরণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০১ সালের সংসদ হামলায় (2001 Parliament Attack) প্রাণ হারানো সাহসী কর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu)। শুক্রবার তিনি ফের মনে করিয়ে দেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের অটুট প্রতিশ্রুতির কথা। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রমুখ।

    কী লিখলেন রাষ্ট্রপতি? (President Draupadi Murmu)

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘‘আমি ২০০১ সালের এই দিনে (2001 Parliament Attack) আমাদের সংসদ রক্ষায় জীবন উৎসর্গ করা সাহসী যোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। তাঁদের সাহস এবং নিঃস্বার্থ সেবা আমাদের অনুপ্রাণিত করে চলেছে। জাতি তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারগুলির প্রতি গভীর কৃতজ্ঞ। এই দিনে, আমি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার ভারতের অবিচল সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করছি। আমাদের দেশ সন্ত্রাসের শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।’’

    এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, ‘‘২০০১ সালের সংসদ হামলায় (2001 Parliament Attack) শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলাম। তাঁদের ত্যাগ চিরকাল আমাদের জাতিকে অনুপ্রাণিত করবে। আমরা তাঁদের সাহস এবং উৎসর্গের জন্য চিরকাল কৃতজ্ঞ।’’ এদিন সংসদে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অন্য গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ।

    ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সংসদে হামলা (2001 Parliament Attack) হয়। সেই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ২৩তম বার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করা হয়। হামলাকারীরা পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা (LeT) এবং জইশ-ই-মহম্মদ (JeM)-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল। তারা ভারতীয় সংসদকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালায়। যার জেরে বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মী প্রাণ হারান। ওই জঙ্গি হামলায় নিহত হন দিল্লি পুলিশের পাঁচ কর্তা, দুজন সংসদ নিরাপত্তা কর্মী, একজন সিআরপিএফ কনস্টেবল এবং একজন সিপিডব্লিউডি মালি।

    আরও পড়ুন: বার বার নির্বাচন দেশে উন্নতির পথে বাধা, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিলে সায় মোদি মন্ত্রিসভার

    সেদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও সংসদের ভুয়ো লেবেলযুক্ত একটি গাড়ি ব্যবহার করে সংসদে ঢুকে পড়েছিল জঙ্গিরা। পাঁচজন বন্দুকধারী নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে সংসদ ভবনের ভিতরে হামলা চালায়। এই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলির দাবি, বন্দুকধারীরা পাকিস্তান (2001 Parliament Attack) থেকে নির্দেশ পেয়েছিল। পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (ISI) সংস্থার মাধ্যমে তাদের পরিচালিত করা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: জাঁকিয়ে শীত রাজ্যে! এক ধাক্কায় বিরাট পতন তাপমাত্রায়, কোন কোন জেলায় শৈত্যপ্রবাহ?

    Weather Update: জাঁকিয়ে শীত রাজ্যে! এক ধাক্কায় বিরাট পতন তাপমাত্রায়, কোন কোন জেলায় শৈত্যপ্রবাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান। এবার জাঁকিয়ে শীত পড়তে চলেছে রাজ্যে। অবশেষে রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহ শুরু! বাধাহীন ভাবে বইছে উত্তুরে হাওয়া। বিশেষত পশ্চিমের জেলাগুলিতে কাঁপুনি দিয়ে পড়তে পারে শীত। শুষ্ক আবহাওয়া (Weather Update)  রাজ্যে। অবাধ উত্তুরে হাওয়া। আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। দু-এক জেলায় সকালের দিকে সামান্য কুয়াশা দিনভর পরিষ্কার আকাশ।

    কতদিন চলবে শৈত্য প্রবাহ? (Weather Update)  

    হাওয়া (Weather Update) অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মরশুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ রাজ্যে। ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার থেকে ১৫ ডিসেম্বর রবিবার পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহ চলবে রাজ্যের পশ্চিমের জেলায়। ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতি শীতের প্রথম ইনিংসের দাপুটে ব্যাটিং। শুক্রবার শৈত্যপ্রবাহ শুরু দক্ষিণবঙ্গের চার জেলা পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে। কাল এবং পরশু, অর্থাৎ শনি ও রবিবারে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কবার্তা পাঁচ জেলায়। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম এই পাঁচ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ চলবে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে ১০ ডিগ্রির নিচে নামল পারদ। ১৪ ডিসেম্বর রাতেই দক্ষিণের জেলাগুলোর তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত নিচে নেমে যেতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাতেও তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা স্বাভাবিকের নিচে থাকবে। জাঁকিয়ে শীতের পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরের ৪ জেলাও পড়তে পারে শৈত্যপ্রবাহের কবলে। দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পূর্বাভাস।

    আরও পড়ুন: সর্বকনিষ্ঠ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন! দাবায় সেরা ডি গুকেশ, কুর্নিশ সচিন-মোদি-মুর্মুদের

    কোন কোন জেলায় কুয়াশার দাপট?

    উত্তরবঙ্গে শুক্রবার কুয়াশা থাকবে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুর জেলাতে। আবহাওয়া (Weather Update) দফতর জানাচ্ছে, কুয়াশার দাপট থাকবে দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলাতে। পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলাতে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা সহ বাকি জেলাতেও সকালের দিকে ধোঁয়াশা থাকবে। কলকাতায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচে। সারাদিন উত্তরে হাওয়ার অবাধ বিচরণ। রাতের তাপমাত্রা শুক্রবার সামান্য নামবে। শনিবার রাতের তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি কম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur: মণিপুরে ১১০ একর অবৈধ আফিম চাষ নষ্ট করেছে প্রশাসন, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং

    Manipur: মণিপুরে ১১০ একর অবৈধ আফিম চাষ নষ্ট করেছে প্রশাসন, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) যৌথ অভিযানে উখরুল জেলার ১১০ একর অবৈধ আফিম চাষের বাগান নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। এদিন উখরুল জেলা পুলিশ, বনবিভাগ, ১৮ অসম রাইফেল এবং রাজ্যের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে খামাসোম পাহাড়ি অঞ্চলে বেআইনি এই চাষকে সম্পূর্ণরূপে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister Viren Singh) নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই খবর জানিয়েছেন। এর ফলে মাদক পাচারকারীরা জোর ধাক্কা খাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ৫০ জনকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে (Manipur)

    উখরুল (Manipur) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অবৈধ আফিম বাগানের মধ্যে পাওয়া ৮টি ঝুপড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ৫০ জনকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে চাষের সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআরও করা হয়েছে। অনেক দিন ধরেই পুলিশ এই অবৈধ আফিম চাষের উপর নজর রেখেছিল। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং (Chief Minister Viren Singh) নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে নিরাপত্তাকর্মীদের ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “মাদক পাচার এবং অবৈধ আফিম চাষের বিরুদ্ধে তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম প্রশংসার যোগ্য।”

    মাদকচক্র থেকে মুক্তি দেওয়াই লক্ষ্য

    মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং (Chief Minister Viren Singh) আরও বলেন, “আমাদের রাজ্যকে (Manipur) মাদকচক্র থেকে মুক্তি দেওয়াই একমাত্র প্রধান লক্ষ্য। পুলিশ এবং নিরাপত্তা কর্মীরা নিরলস কঠিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। রাজ্যকে ভয় মুক্ত এবং নিরাপদে রাখাই আমাদের একমাত্র কর্তব্য। এই মাদক চাষের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত ৫০ জনকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।” উল্লেখ্য এই জেলায় আগে ৭ ডিসেম্বর একই ভাবে আফিম চাষের উপর অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের কাজ শুরু করা হয়েছে।

    মণিপুরে বেআইনি আফিম চাষের কারবার ব্যাপকহারে চলছিল। বিজেপির অভিযোগ, আগের দীর্ঘ সময় ধরে চলমান কংগ্রেস শাসিত সরকার এই অবৈধ আফিম চাষের প্রচার প্রসার ঘটেয়েছিল। অনেক নিরাপাত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মণিপুরে অশান্তির মূল কারণ হল এই অবৈধ আফিম চাষের উপর কর্তৃত্ব বা অধিকার এবং অবৈধ লেনদেন।  আফিম থেকে প্রাপ্ত অর্থ নাশকতামূলক কাজে ব্যবহার করা হয় বলে জানান নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Places of Worship Act: মন্দির-মসজিদের সমীক্ষা আপাতত স্থগিত, কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    Places of Worship Act: মন্দির-মসজিদের সমীক্ষা আপাতত স্থগিত, কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সমস্ত উপাসনালয় অর্থাৎ মন্দির-মসজিদ-গির্জায় সমীক্ষায় (Places of Worship Act) স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। মন্দির বা মসজিদ নিয়ে নতুন করে কোনও মামলাও করা যাবে না এখনই। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আগে এই সংক্রান্ত মামলাগুলির নিষ্পত্তি হবে, তার পর নতুন মামলা গৃহীত হবে আদালতে।  নিম্ন আদালতগুলিতে এই সংক্রান্ত মামলায় এখনই তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ দিতে নিষেধ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। 

    কেন স্থগিতাদেশ

    ১৯৯১ সালের ‘প্লেসেস অফ ওয়ারশিপ (স্পেশাল প্রভিশনস) অ্যাক্ট’-এর (Places of Worship Act) সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হয়েছে একাধিক আবেদন। বর্তমানে সেই সমস্ত আবেদনেরই শুনানি চলছে দেশের শীর্ষ আদালতে। এদিকে বর্তমান আইন বলছে কোনও মন্দির-মসজিদ বা গির্জার চরিত্র পাল্টানো যাবে না। স্বাধীনতার সময় থেকে যে মন্দির-মসজিদ-গির্জা যেখানে ছিল সেখানেই রাখতে হবে। কিন্তু আইনে বদল চেয়ে মামলা হয়। মামলাকারীদের তরফে বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২২৬ অনুযায়ী, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে আদালতের কাছে তাঁদের ক্ষোভ জানাতে পারছেন না। ওই আইনের জন্য ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্টের আগে ‘দখলীকৃত’ হিন্দু ধর্মস্থানের ধর্মীয় চরিত্র পুনরুদ্ধার করা যাচ্ছে না। সাড়ে তিন বছর ধরে এই মামলাগুলির কোনও শুনানিই হয়নি। বৃহস্পতিবার ছিল এই সংক্রান্ত মামলার শুনানির দিন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে উপসনাস্থল আইন মামলার শুনানি হয়। 

    আরও পড়ুন: চালিয়ে খেলছে শীত! কলকাতায় ১৩ ডিগ্রির ঘরে পারদ, বঙ্গে তাপমাত্রা নামল ১০-এর নিচে

    কী বলল শীর্ষ আদালত

    আদালত জানিয়েছে, এই মুহূর্তে দেশে মন্দির, মসজিদ বা অন্য উপাসনাস্থল (Places of Worship Act) নিয়ে যত মামলা চলছে, যত সমীক্ষা চলছে, তা আপাতত স্থগিত থাকবে। নিম্ন আদালত, এমনকি হাইকোর্টগুলিকেও এই সংক্রান্ত মামলায় আপাতত তাৎপর্যপূর্ণ কোনও নির্দেশ দিতে নিষেধ করা হয়েছে। নিম্ন আদালতগুলি এই সংক্রান্ত নতুন কোনও মামলাও শুনবে না। সুপ্রিম কোর্টে উপাসনাস্থল আইন মামলার নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ জারি থাকবে। উপাসনাস্থল আইনের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলিতে বৃহস্পতিবারও কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট আকারে তা জানাতে হবে। কেন্দ্রকে এই জন্য চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: আধাসেনায় ৪৬ হাজার নিয়োগে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট, রোজগার মেলায় নিয়োগপত্র দিতে পারবেন মোদি!

    Calcutta High Court: আধাসেনায় ৪৬ হাজার নিয়োগে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট, রোজগার মেলায় নিয়োগপত্র দিতে পারবেন মোদি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে আধাসামরিক বাহিনীতে ৪৬ হাজার ৬১৭ শূন্য পদে নিয়োগে সবুজ সঙ্কেত দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মূল মামলাকারীরা পরবর্তী কালে যোগ্য বলে বিবেচিত হলে তাঁদের মেধা তালিকায় স্থান দিতে হবে।বৃহস্পতিবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আধাসেনা বাহিনীর ওই নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ করা যাবে। ফলে, রোজগার মেলায় চাকরিপ্রার্থীদে নিয়োগপত্র দিতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।  

    মামলাকারীদের কী বক্তব্য? (Calcutta High Court)

    গত বছর দেশ জুড়ে আধাসেনার ৪৬ হাজার ৬১৭ শূন্য পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় স্টাফ সিলেশন কমিশন (এসএসসি)। সেই মতো সারা দেশে তিন লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়ে। নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে এসএসসি। পশ্চিমবঙ্গের কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী তথা মামলাকারীদের বক্তব্য, আধাসেনার পদে চাকরি পেতে গেলে ১৭০ সেন্টিমিটার উচ্চতা হতে হবে বলে জানানো হয়। তাঁদের উচ্চতা ‘আধ সেন্টিমিটার’ কম রয়েছে, এই যুক্তিতে চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। অথচ নিয়ম অনুযায়ী, ‘আধ সেন্টিমিটার’ উচ্চতা কম হলে ওই পদের যোগ্য বলে বিবেচনা করতে হয়। এরপরই আদালতে মামলা হয়। ওই মামলায় (Calcutta High Court) প্রথমে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য এবং পরে বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ জানায়, ৩৮ জনের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। তাঁদের পুনরায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ দিতে হবে। তত দিন মেধাতালিকা প্রকাশ করতে পারবে না এসএসসি। সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশ পরিবর্তন করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, মেধাতালিকা প্রকাশ করা যাবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপে মামলাকারীরা উত্তীর্ণ হলে জায়গা পাবেন মেধাতালিকায়।

    আরও পড়ুন: চালিয়ে খেলছে শীত! কলকাতায় ১৩ ডিগ্রির ঘরে পারদ, বঙ্গে তাপমাত্রা নামল ১০-এর নিচে

    রোজগার মেলায় হবে নিয়োগ

    ২০২২ সাল থেকে কেন্দ্র রোজগার মেলার আয়োজন করে। ওই কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় চাকরি প্রাপকদের সরাসরি নিয়োগপত্র দেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ২৩ ডিসেম্বর ওই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে আধাসামরিক বাহিনীর এই ৪৬ হাজার শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা। বাকি দেশে হলেও এ রাজ্যে মামলার জটে নিয়োগপ্রক্রিয়া থমকে গিয়েছিল। সুযোগ না-পেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন ৩৮ জন। তাঁদের মামলায় (Calcutta High Court)সিঙ্গল বেঞ্চ জানায়, মামলাকারীদের বিষয়টি বিবেচনা না-করে ওই নিয়োগপ্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না। ১০ দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান রয়েছে। এই অবস্থায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে তড়িঘড়ি ডিভিশন বেঞ্চে যায় কেন্দ্র। তারা দ্রুত শুনানির আর্জি জানায়। বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চ সেনাবাহিনীর ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ছাড়পত্র দেয়।

    কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কী বললেন?

    কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এএসজি অশোককুমার চক্রবর্তী বলেন, “সেনাবাহিনীর ওই নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ করা যাবে। আদালত (Calcutta High Court) নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে। এর ফলে ওই নিয়োগের আইনি জট কেটে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিয়োগপত্র দিতে পারবেন। সব মিলিয়ে এই রায় নিয়ে আমরা খুবই খুশি। তবে কোর্টের নির্দেশ মেনে মামলাকারীদের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share