Tag: Madhyom

Madhyom

  • India-Bangladesh Relation: “ভারত-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিকল্প হতে পারে না”, বললেন ইউনূস

    India-Bangladesh Relation: “ভারত-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিকল্প হতে পারে না”, বললেন ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিকল্প হতে পারে না। দুই দেশের স্বার্থে উভয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকা খুবই জরুরি। সম্প্রতি এমনই অভিমত  প্রকাশ করলেন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গত অগাস্ট মাসেই বাংলাদেশে পতন হয়েছে শেখ হাসিনার সরকারের। তারপর থেকে পদ্মা পাড়ে ভারত বিরোধী মনোভাব মাথা চাড়া দিয়েছে। এই আবহে ইউনূস ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার কথা বললেন। তাঁর দাবি, এই সম্পর্ক হতে হবে স্বচ্ছতা এবং সমতার ভিত্তিতে। এই সম্পর্ক দুই দেশের কাছেই প্রয়োজনীয়।

    ইউনূসের মত

    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস বললেন, “ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নত করতেই হবে। কারণ বাংলাশের চাহিদা এবং ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক এবং আমাদের মধ্যে অনেক কিছুর মিল রয়েছে। আমাদের একটি পারস্পরিক ইতিহাস আছে। তাই আমাদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধানের ওপরও জোর দেন ইউনূস।” তিনি বলেন, “সীমান্তের ওপারে জল বণ্টন ও মানুষের চলাচলের সমস্যার সমাধান করতে হবে।  আমাদের প্রশাসন এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য ভারতের সঙ্গে একসাথে কাজ করবে। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং এসব সমস্যা সমাধানের আন্তর্জাতিক উপায় রয়েছে তা খুঁজে বার করতে হবে।” সার্ক গোষ্ঠীকে পুনরায় শক্তিশালী করার কথাও বলেন ইউনূস।

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনে ভোটভাগের হিসেবে এগিয়ে বিজেপি, বেড়েছে আসনও

    দিল্লির দাবি

    বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সুসম্পর্কের কথা বললেও ভারত মনে করে, ঢাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের চলতি পদক্ষেপগুলি শুধুমাত্র বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রাণই বিপন্ন করছে না, বৃহত্তর আঞ্চলিক নিরাপত্তাকেও বিপদের মুখে ফেলছে। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রশ্নে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সমাজের সব রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় সম্প্রদায়কে সরকার ও প্রশাসনের অংশ করা। বাংলাদেশ সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ণ বন্ধ হলে, সন্ত্রাস থামলে, তবেই দুই দেশের একসাথে গিয়ে চলা সম্ভব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Iran Israel Conflict: ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘাত চরমে! ভূ-গর্ভে কি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে ইরান?

    Iran Israel Conflict: ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘাত চরমে! ভূ-গর্ভে কি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে ইরান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হঠাৎ কেঁপে উঠল ইরান-ইজরায়েল (Iran Israel Conflict) ভূমিখণ্ড। তাহলে কি মাটির নীচেই গোপন পরমাণু পরীক্ষা (Weapon Test) করে ফেলল ইরান? উল্লেখ্য, এই বছরের ৫ অক্টোবর ইরান এবং ইহুদিদের ভূমিখণ্ডে বিরাট কম্পন অনুভূতি হতেই সামজিক মাধ্যমে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। ভূ-গর্ভে কি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল ইরান? এই প্রশ্নের উত্তর মনে হয় মিলল এবার। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে আচমকা হামাস আক্রমণ করলে পশ্চিম বিশ্বে শোরগোল পড়ে যায়। যদিও ইহুদিদের দাবি, হামাস, হিজবুল্লার মতো জঙ্গি সংগঠনকে পরোক্ষ মদত দেয় ইরান।

    রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৫ (Iran Israel Conflict)

    একসঙ্গে একাধিক ইসলামি শক্তিপক্ষের বিরুদ্ধে একাই অস্তিত্বের লড়াই করছে ইহুদিরা (Iran Israel Conflict)। এবার তাদের আরও সঙ্কটে ফেলেতে শিয়া মুসলমান রাষ্ট্র ইরান পরমাণু অস্ত্রকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে। এই বোমার আতঙ্কে কার্যত যুদ্ধের তীব্রতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার ৫ অক্টোবর স্থানীয় সময় রাত ১১ টা নাগাদ আচমকা কেঁপে ওঠে ইরানের সেমনান প্রদেশের আরাদান শহর। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৪.৫। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ইজারায়েলের মাটিও কেঁপে উঠেছিল। তবে দুই কম্পন একই সময়ে হয়েছিল কিনা, তা এখন জানার বিষয়। তবে আমেরিকার ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, মাটির ১০ কিমি গভীরে ছিল কম্পনের কেন্দ্রস্থল। মাত্র ১১০ কিমি দূরে ছিল ইরানের রাজধানী তেহরান। আবার এই কম্পন সম্পর্কে ইউরোপীয় ভুমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র ইএমএসসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১২ টা নাগাদ ইহুদি ভুখণ্ডে কম্পন অনুভূত হয়েছিল। তবে কম্পনের মাত্রা ছিল খুব সামান্য। তাহলে কি আনবিক যুদ্ধ (Weapon Test) আসন্ন মধ্যপ্রাচ্যে?

    বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কড়া হুশিয়ারি

    আমেরিকা জানিয়েছে, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রের খুব কাছেই এই কম্পন হয়েছে। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয় নাকি পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ, এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে আনবিক হাতিয়ার তৈরি করছে ইরান। যেহেতু প্রতিরক্ষা গবেষণার কাছেই এই ঘটনা ঘটেছে, তাই ভূগর্ভের নীচে এই পরীক্ষণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা বিষয়ক গবেষকরা। একই ভাবে এটা খুব চিন্তার বিষয়। অক্টোবরের প্রথমেই ইজরায়েলের (Iran Israel Conflict) উপর প্রায় ২০০ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছিল ইরান। কিন্তু তার বেশিরভাগটাই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সাহায্যে আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে ইজরায়েল। একই ভাবে এই আক্রমণের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইহুদিদের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তবে ইরান পারমানবিক অস্ত্রের ব্যবহার করলে ইজরায়েলও পাল্টা শক্তির ব্যবহারে পিছিয়ে থাকবে যে না, তা বলা বাহুল্য। ইতিমধ্যে হামাস, হিজবুল্লার কোমর ভেঙে দিয়েছে ইজরায়েল।

    আরও পড়ুনঃকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা, পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন হপফিল্ড ও হিন্টন

    নটাঞ্জ হল ইরানের বড় পরমাণু কেন্দ্র

    ইরানের সবচেয়ে বড় পরমাণু কেন্দ্র (Weapon Test) হল নটাঞ্জ। ইহুদিরা নানা সময় টার্গেটে রেখেছে। অপর দিকে আমেরিকাও বারবার বিরোধিতা করেছে ইরানের (Iran Israel Conflict)। এই দুই দেশের গুপ্তচরদের নজরকে উপেক্ষা করে মাটির তলায় নটাঞ্জ কেন্দ্র তৈরি করেছে ইরান, এমনটাই দাবি আমেরিকার। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তেমন ছবি প্রকাশ্যে আসেনি। পাল্টা ইরানও কোন বক্তব্য জারি করেনি। কিন্তু ইরানের বেশ কিছু এলাকায় জমিতে ফাটল লক্ষ্য করা গিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এখনও কোনও দেশ আমেরিকার মতো পরমাণু বোমার হামলা চালায়নি । তবে এই শক্তির অধিকারী রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চিন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া, ইজরায়েল। এখন ইরান-ইজরায়েল সংঘাত আগামী দিনে কোন পথে যায় তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: হরিয়ানার হার হজম করাতে রাহুলকে জিলিপি পাঠাল বিজেপি, কেন জানেন?

    Rahul Gandhi: হরিয়ানার হার হজম করাতে রাহুলকে জিলিপি পাঠাল বিজেপি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিয়ানায় এবার হ্যাটট্রিক করল গেরুয়া শিবির। তৃতীয়বার সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। হরিয়ানাতে (Haryana) প্রথম কোনও রাজনৈতিক দল হিসেবে টানা তিনবার জিতল বিজেপি। গেরুয়া ঝড়ে ধুলিসাৎ হল কংগ্রেস-আপ। সোমবার ফল প্রকাশের পরই আনন্দ-উচ্ছ্বাসে ভাসছেন বিজেপি কর্মীরা। এক্সিট পোলের হিসেবে এই রাজ্যে কংগ্রেসের বাজিমাত করার কথা। কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন রাজ্যের নেতারা। আশাবাদী ছিলেন রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi)। সব স্বপ্নের ফানুস ফুটো করে দিয়েছে ভোটের ফল। কংগ্রেসকে ধরাশায়ী করে বাজিমাত করে বিজেপি।

    বিজেপির কাছে হেরে নির্বাচন কমিশনে কংগ্রেস! (Rahul Gandhi)

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯০ আসন বিশিষ্ট হরিয়ানায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৪৬ আসন। বিজেপি একাই সেখানে পৌঁছে গিয়েছে ৪৯-এ। গতবারের তুলনায় ভোটের শতাংশ বেড়েছে। আর বাকি ৯০ আসনের মধ্যে হরিয়ানাতে কংগ্রেস পেয়েছে ৩৭টি আসন, আইএনএলডি পেয়েছে ২টি আসন এবং নির্দলীয় ভাবে মোট ৩টি আসন পেয়েছে। অথচ, সোমবার সকালে যখন গণনা শুরু হয়, তখন থেকেই খুশির হাওয়া বইছিল কংগ্রেস অফিসে। প্রথম দুই রাউন্ডের গণনার পরই মিষ্টিমুখ শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বেলা গড়াতেই ফলও গেল বদলে। পাশা উলটে সেই বিজেপির ঝুলিতেই গেল হরিয়ানা। ভোটের এই ফলাফল হজম করতে পারছে না কংগ্রেস। কারণ, প্রাথমিক গণনায় এগিয়ে থাকার পরও কীভাবে শেষ মুহূর্তে খেলা বদলে গেল, তা নিয়ে সন্দিহান কংগ্রেস নেতৃত্ব। জাতীয় নির্বাচন কমিশনে এই নিয়ে চিঠিও দিয়েছে। এদিকে, হরিয়ানার জয় নিশ্চিত হতেই বিজেপির তরফে রাহুল গান্ধির (Rahul Gandhi) জন্য কংগ্রেসের সদর দফতরে জিলিপি পাঠানো হয় অনলাইনে। এক্স হ্যান্ডেলে সেই অর্ডারের ছবিও পোস্ট করা হয়। যদিও এই জিলিপি পাঠিয়ে রাহুলকে খোঁচাই দিয়েছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: “বাংলায় আমরা সরকার গঠন করব”, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শুভেন্দু বলে দিলেন কৌশলও

    কেন জিলিপি পাঠাল বিজেপি?

    হরিয়ানায় নির্বাচনী প্রচারের সময় রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বলেছিলেন যে কেন্দ্রের জিএসটি-র কোপে জিলিপি ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সেই সময়ই বিজেপি কটাক্ষ করে বলেছিল যে রাহুল গান্ধী জানেনই না কীভাবে জিলিপি তৈরি হয়। এবার ভোটের ফল প্রকাশ হতেই রাহুলকে জিলিপি পাঠাল বিজেপি। অন্যদিকে, ভোটের ফল নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপি বুথ লেভেল ম্যানেজমেন্ট দুর্দান্ত করতে পেরেছে। হরিয়ানাতে জাঠ ভোট রয়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ। তপশিলি জাতির ভোট ২১ শতাংশ, ওবিসি সম্প্রদায়ের ভোট রয়েছে ৩৩ শতাংশ। এদের মধ্যে উচ্চবর্ণ ও ওবিসি ভোটের বেশিরভাগটাই গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। প্রসঙ্গত, হরিয়ানা বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি ওবিসি জনগোষ্ঠীর। এক্ষেত্রে বিজেপি অনেকটাই সুবিধা পেয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: দুর্গাপুজোর কার্নিভালেও আরজি করের প্রতিবাদ? যোগদানই করতে চান না উদ্যোক্তারা

    Durga Puja: দুর্গাপুজোর কার্নিভালেও আরজি করের প্রতিবাদ? যোগদানই করতে চান না উদ্যোক্তারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর প্রস্তুতি বৈঠকে দু’-একটি ছাড়া বেশিরভাগ ক্লাব দুর্গাপুজোর (Durga Puja) কার্নিভালে যোগ দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু, দিন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে কপালের ভাঁজ চওড়া হচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের। কার্নিভালে (Carnival) যোগদানের জন্য ক্লাব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গত বছর যোগদান করেছিল ১৪টি ক্লাব। আর এক সপ্তাহ বাকি নেই অনুষ্ঠানের। এবার অর্ধেকও যোগদানের সদিচ্ছা দেখায়নি। প্রশাসনের তরফে ক্লাবগুলির সঙ্গে কথাবার্তা চলছে বলে দাবি করা হয়েছে।

    আরজি কর-কাণ্ডের প্রভাব কি কার্নিভালে পড়েছে? (Durga Puja)

    আরজি কর-কাণ্ডের প্রভাব কি এবার তাহলে দক্ষিণ দিনাজপুরের কার্নিভালে পড়েছে? প্রতিবাদের জন্যই কি ক্লাবগুলি যোগদান করতে চাইছে না? এই প্রশ্ন জেলায় কার্নিভালের মাত্র কয়েক দিন আগে উঠেছে। বালুরঘাটে ওই অনুষ্ঠানের জন্য এখনও পর্যন্ত অল্প কয়েকটি ক্লাব আসবে বলে জানিয়েছে। কয়েকটি ক্লাব দোটানায়। বাকিরা নানা কারণ দেখিয়ে পিছিয়ে গিয়েছে। যদিও, এগুলির পিছনে আরজি করের কোনও প্রতিবাদ নেই বলেই দাবি করছে ক্লাবগুলি। বালুরঘাটের অভিযাত্রী ক্লাব কার্নিভালে থাকছে না। ক্লাব সম্পাদক সুমিত চক্রবর্তী বলেন, “এ’ বছর দশমীতে শহরে বড় শোভাযাত্রা (Durga Puja) এবং ভাসান করব। তাই কার্নিভালে যাওয়া সম্ভব নয়। সাম্প্রতিক ঘটনার সঙ্গে এটা সম্পর্কিত নয়।” পাশাপাশি, বালুরঘাট সংকেত ক্লাবের কার্যকরী সভাপতি নিলয় ভাদুড়ী বলেন, “আমরা কী করব, সেই ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি।” জেলা প্রশাসনের তরফে কয়েকটি ক্লাব কর্তৃপক্ষকে বারবার ফোন করে অনুরোধও করতে হচ্ছে, ‘কার্নিভালে আসুন’ বলে।

    আরও পড়ুন: “শোকের পুজো কাটাতে ধর্নায় বসেছি”, বললেন আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার মা

    জেলা প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    এই বিষয়ে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেন, “কী কারণ জানি না। তবে ক্লাবগুলির সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। আশা করছি, আরও কয়েকটি ক্লাব যোগদান করবে।” প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “বিদ্যুতের বেশিরভাগটাই ছাড়। ৮৫ হাজার টাকার অনুদানের পরেও, একাধিক ক্লাব রক্তদানের মতো সামাজিক কাজ এবং কার্নিভালে উপস্থিত থাকতে চাইছে না। ক্লাবগুলির তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, বালুরঘাটে দশমীর দিন ভাসানের (Durga Puja) ঐতিহ্য পুরনো। তা ভেঙে দু’-এক বছর কার্নিভালে যোগদানের উৎসাহ ছিল। কিন্তু, বছর বছর ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাড়তি ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ। বাড়তি টাকা খরচ করতে চাইছে না পুজো উদ্যোক্তারা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • J.P. Nadda: “প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মানুষের আস্থার পরিচয় হল এই জয়”, হরিয়ানায় হ্যাটট্রিকের পর বললেন নাড্ডা

    J.P. Nadda: “প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মানুষের আস্থার পরিচয় হল এই জয়”, হরিয়ানায় হ্যাটট্রিকের পর বললেন নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) রাজনৈতিক ঐতিহ্যের পরিবর্তন করেছেন।” হরিয়ানাতে তৃতীয় বার বিজেপির অভূতপূর্ব জয়ের পর বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J.P. Nadda)। একই ভাবে জম্মু-কাশ্মীরে একক ভাবে বিরোধী দলের স্বীকৃতি পেয়ে বিরাট চমক দিয়েছে বিজেপি। মঙ্গলবার, দিল্লিতে ভোটের ফলাফলে, নবরাত্রির শুভলগ্নের আনন্দঘন পরিবেশে অত্যন্ত উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

    কংগ্রেসের মিথ্যা প্রচারে কান দেয়নি  মানুষ (J.P. Nadda)

    ৯০ বিধানসভা আসনে বিজেপি পেয়েছে ৪৮টি আসন। এককভাবে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে রাজ্যে নয়া নজির গড়েছে বিজেপি। এই শুভক্ষণে দলের হয়ে নড্ডা (J.P. Nadda), পরিবর্তনের কাণ্ডারি স্বরূপ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) কৃতিত্বের শিরোপা দিয়েছেন। এদিন সদর দফতরে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মানুষের আস্থার পরিচয় হল এই জয়। হরিয়ানাতে বিরাট জয় এসেছে এবং জম্মু-কাশ্মীরেও আমাদের ভোট বেড়েছে। কংগ্রেস সব সময় মিথ্যা প্রচার করেছে। জনগণ তাদের কোথায় কোনও কান দেয়নি। দেশের মতো হরিয়ানায়ও তৃতীয় বারের মতো সরকার গড়বে বিজেপি।”

    আরও পড়ুনঃ হরিয়ানায় খাতাই খুলতে পারল না ‘আপ’, হাজার বাধার মুখেও অপ্রতিরোধ্য বিজেপি

    কংগ্রেস দুর্নীতিগ্রস্ত দল

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J.P. Nadda) কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, “কংগ্রেস এখন দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অপরাধীদের দল হিসেবে বিরাট স্বীকৃতি লাভ করেছে। কংগ্রেস স্বজনপোষণ এবং জাতপাতের রাজনীতি করে। সমাজে কীভাবে বিভাজন বাড়বে এবং মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা তৈরি হবে, সেই চেষ্টাই করে থাকে।” একই ভাবে আম আদমি পার্টির তীব্র সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, “আপ হরিয়ানায় কোনও আসন পায়নি। তাদের দুর্নীতির প্রতিফল হিসেবে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। অপর দিকে আমাদের গত বারের তুলনায় ভোটের শতাংশ বেড়েছে।” নির্বাচন কমিশন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বাকি ৯০ আসনের মধ্যে হরিয়ানাতে কংগ্রেস পেয়েছে ৩৭টি আসন, আইএনএলডি পেয়েছে ২টি আসন এবং নির্দলীয় ভাবে মোট ৩টি আসন পেয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Haryana: হরিয়ানায় খাতাই খুলতে পারল না ‘আপ’, হাজার বাধার মুখেও অপ্রতিরোধ্য বিজেপি

    Haryana: হরিয়ানায় খাতাই খুলতে পারল না ‘আপ’, হাজার বাধার মুখেও অপ্রতিরোধ্য বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিয়ানাতে (Haryana) প্রথম কোনও রাজনৈতিক দল হিসেবে টানা তিনবার জিতল বিজেপি (BJP)। গেরুয়া ঝড়ে ধুলিসাৎ হল কংগ্রেস-আপ। মুখে লম্বা-চওড়া কথা বলার পরেও আম আদমি পার্টির অবস্থা সেখানে আরও করুণ। দেখা যাচ্ছে, ৯০ আসন বিশিষ্ট হরিয়ানায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৪৬ আসন। বিজেপি একাই সেখানে পৌঁছে গিয়েছে ৪৯-এ। অন্যদিকে, আম আদমি পার্টি খাতাই খুলতে পারল না। বহু আসনে দেখা যাচ্ছে, নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়েছে তারা। হরিয়ানার পড়শি রাজ্য পঞ্জাবে সরকার রয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের। কংগ্রেসের সমর্থনে চণ্ডীগড়ের মেয়রও কেজরিওয়ালের দলের। এমন অবস্থায়, আবগারি দুর্নীতি মামলায় জামিন পাওয়ার পরে হরিয়ানা জিততে তেড়েফুঁড়ে নেমেছিলেন কেজরিওয়াল। কৃষক আন্দোলন থেকে শুরু করে বিনেশ ফোগাটের বঞ্চনা-এমন নানা ইস্যু হরিয়ানাতে (Haryana) সামনে এনেছিল আম আদমি পার্টি। তবে এমন মিথ্যাচার যে ধোপে টেকেনি, তা ফলাফল বের হতেই পরিষ্কার হয়ে গেল। ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এনিয়ে।

    হরিয়ানার (Haryana) ফলাফল প্রভাব ফেলতে পারে দিল্লির নির্বাচনেও

    আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই রয়েছে দিল্লি বিধানসভার ভোট। হরিয়ানার (Haryana) ফলাফলের প্রভাব সেখানে পড়তে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আপ-কংগ্রেস জোট হলে কি চিত্র বদলে যেত হরিয়ানাতে? এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গত লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে সাতটি আসনে জোট হয়, আম আদমি পার্টি ও কংগ্রেসের। কিন্তু সাতটি আসনেই বিজেপির কাছে ধরাশায়ী হয় আপ-কংগ্রেসের জোট।

    অপ্রতিরোধ্য বিজেপি (BJP)

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরও জানাচ্ছেন, টানা এক দশক ধরে ক্ষমতায় থাকার পরেও কোনও প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া কাজই করেনি হরিয়ানাতে। এর কারণ বিজেপির উন্নয়ন। সদ্য সমাপ্ত হওয়া নির্বাচনের আগেও ইস্তেহারে একাধিক আশ্বাস দিয়েছে বিজেপি। শিল্পশহর গড়ে তোলা, মহিলাদের প্রতিমাসে ভাতা প্রদান ইত্যাদি। হরিয়ানার (Haryana) মানুষ যে আগামী দিনেও বিজেপির উন্নয়নে ভরসা রাখতে চান, তা ফলাফলেই পরিষ্কার হয়েছে। অন্যদিকে অগ্নিপথ প্রকল্প ঘিরে ক্ষোভের ছায়া, কুস্তিগীরদের তোলা যৌন নিগ্রহ কাণ্ড-এ সমস্ত কিছুর ছায়াও পড়েনি হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপি বুথ লেভেল ম্যানেজমেন্ট দুর্দান্ত করতে পেরেছে। হরিয়ানাতে (Haryana) জাঠ ভোট রয়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ। তপশিলি জাতির ভোট ২১ শতাংশ, ওবিসি সম্প্রদায়ের ভোট রয়েছে ৩৩ শতাংশ। এদের মধ্যে উচ্চবর্ণ ও ওবিসি ভোটের বেশিরভাগটাই গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। প্রসঙ্গত, হরিয়ানা বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি ওবিসি জনগোষ্ঠীর। এক্ষেত্রে বিজেপি অনেকটাই সুবিধা পেয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনে ভোটভাগের হিসেবে এগিয়ে বিজেপি, বেড়েছে আসনও

    Jammu and Kashmir: জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনে ভোটভাগের হিসেবে এগিয়ে বিজেপি, বেড়েছে আসনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) বিধানসভা নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে ভালো ফল এবার করেছে বিজেপি। ভোটভাগের শতকরা হিসেবে সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির। উপতক্যায় ২৫.৬৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি, যা জম্মু-কাশ্মীরে সব চেয়ে বেশি আসন পাওয়া ন্যাশনাল কনফারেন্সের থেকেও দুই শতাংশ বেশি। এর জন্য উপত্যকাবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। 

    গণতন্ত্রের জয়

    দশ বছর পর নির্বাচন হল জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir)। ভোটের ফলাফল সরিয়ে রেখে এই নির্বাচনকে গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের আস্থা হিসেবে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। গতকাল ভোটের ফল ঘোষণার পর এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের এই নির্বাচন খুবই স্পেশাল ছিল। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর প্রথম নির্বাচন হল সেখানে। ভোটদানের হার এবার উল্লেখযোগ্য। এর অর্থ মানুষ গণতন্ত্রে আস্থা রেখেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রতিটি মানুষকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই।” সেই সঙ্গেই তিনি লেখেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপির পারফরম্যান্সে আমি গর্বিত। যাঁরা আমাদের দলকে ভোট দিয়েছেন এবং আমাদের উপরে বিশ্বাস রেখেছেন, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। আমি জনতাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমরা জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নতির জন্য কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের কার্যকর্তাদের অসামান্য চেষ্টারও তারিফ করতে চাই।’

    ভালো ফল বিজেপির

    জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) সরকার গড়ছে কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোট। তবে এখানে একক ভাবে ভালো ফল করেছে বিজেপি। ইন্ডিয়া জোটের তিন শরিক মিলে পেয়েছে ৪৯টি আসন। তার মধ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্স একাই পেয়েছে ৪২টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছে ৬টি আসন। অন্যদিকে, বিজেপি একাই পেয়েছে ২৯টি আসন। বিজেপি ২৯টি আসনই জিতেছে জম্মু ডিভিশনে। এই ডিভিশনের ভোটাররা ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলকে সমর্থন জানিয়েছেন। সরকার গড়ার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যা না পেলেও, জম্মু ও কাশ্মীরে ক্রমশ বাড়ছে বিজেপির আসন। ২০০২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র একটি আসন পেয়েছিল বিজেপি। ২০০৮ সালে তা বেড়ে হয় ১১টি আসন। ২০১৪ সালে আরও ১৪টি আসন বেশি পায়। আর এবার জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভার ইতিহাসে নিজেদের সব চেয়ে বেশি আসন জিতেছে বিজেপি। বেড়েছে প্রাপ্ত ভোটের হারও। ২০১৪ সালে বিজেপি পেয়েছিল ২২.৯৮ শতাংশ ভোট। এবার তা বেড়ে হয়েছে ২৫.৬৪ শতাংশ। জম্মু ও কাশ্মীরে দলের এই ফলে ‘গর্বিত’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বাংলায় আমরা সরকার গঠন করব”, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শুভেন্দু বলে দিলেন কৌশলও

    Suvendu Adhikari: “বাংলায় আমরা সরকার গঠন করব”, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শুভেন্দু বলে দিলেন কৌশলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় বিজেপি সরকার গঠন করবে। মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে একটি দুর্গামণ্ডপে (Durga Puja) গিয়ে এই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একই সঙ্গে আরজি করকাণ্ড থেকে জয়নগরে নাবালিকাকে খুনের ঘটনা নিয়ে তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করেন তিনি।

    নতুন সরকার গঠনের কী কৌশল বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    বাংলায় বিজেপির সরকার গঠন কীভাবে হবে, তাও বললেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “বাংলায় ৭০ ভাগ হিন্দু। আরও তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হব। আমরা একটা সরকার গড়ব, যে সরকার সুশাসন দেবে, সুরক্ষা দেবে। আমাদের কোনও ধর্মের প্রতি বিতৃষ্ণা নেই। কারও বিরোধিতা নেই।” জয়নগরের নাবালিকাকে খুনের ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন না করা পর্যন্ত আমাদের কোনও দিদি, বোন, কেউ সুরক্ষিত নয়। সব জায়গায় অভিযুক্তরা তৃণমূলের লোক।”জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে বায়ো টয়লেট বসানো নিয়ে পুলিশের সঙ্গে টানাপোড়েন চলে আন্দোলনকারীদের। এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু বলেন, “জ্যোতিবাবুর আমলে সিপিএম যা করেছিল, এখন তৃণমূল একই কাজ করছে। সিপিএম ও তৃণমূল এক। কয়েনের এপিঠ আর ওপিঠ।”

    আরও পড়ুন: ধর্ষণ করে খুন মাত্র ২৮ মিনিটে! সঞ্জয়ের সেদিনের বিশদ গতিবিধি সিবিআইয়ের চার্জশিটে

    সিবিআইয়ের চার্জশিট নিয়ে মুখ খুললেন শুভেন্দু

    আরজি করকাণ্ডে সিবিআইয়ের চার্জশিটে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রকে ধর্ষণ ও খুনে জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “তিনটে পার্টে সিবিআই কাজ করছে। ধর্ষণ ও খুন, প্রমাণ লোপাট ও আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি। ৬০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক চার্জশিট না দিলে ধৃত জামিন পেয়ে যেত। এরপর সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেবে।” সিবিআইয়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “ধর্ষণের প্রমাণ লোপাট করার ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে। সিবিআই ভালো কাজ করছে। আমরা তাদের ওপর ভরসা রাখছি। তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও ধর্ষকদের বাঁচানোর চেষ্টা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সিবিআই যেন কড়া ব্যবস্থা নেয়, এটাই আমাদের দাবি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nobel Prize in Physics: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা, পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন হপফিল্ড ও হিন্টন 

    Nobel Prize in Physics: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা, পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন হপফিল্ড ও হিন্টন 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে যুগান্তকারী গবেষণার জন্য চলতি বছর পদার্থবিদ্যায় নোবেল (Nobel Prize in Physics) পেলেন জন হপফিল্ড (John Hopfield) ও জেফারি হিন্টন (Geoffrey Hinton)। হপফিল্ড আমেরিকার। হিন্টন ব্রিটিশ-কানাডিয়ান। টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন তিনি। আমেরিকার প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা করেন হপফিল্ড।

    নোবেল জয়ীদের কাজ

    নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, জন ও হিন্টন জুটি ফিজিক্সের মাধ্যমে এমন উপায় তৈরি করেছেন, যা বর্তমান যুগের শক্তিশালী মেশিন লার্নিংয়ের ভিত্তিপ্রস্তর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসের (Royal Swedish Academy of Sciences) নোবেল কমিটির সদস্য ইলেন মুনস জানান, তাঁরা ‘আর্টিফিসিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্ক’ (মেশিন লার্নিংয়ের মডেল, যা মস্তিষ্কের স্নায়ুর মতো কাজ করে থাকে) তৈরি করেছেন। ফেসিয়াল রেকগনিজেশন (মুখ চেনা) বা ভাষা অনুবাদের মতো কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সেই ‘আর্টিফিসিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্ক’ তৈরি করতে তাঁরা পরিসংখ্যানগত পদার্থবিদ্যার মৌলিক ধারণাকে কাজে লাগিয়েছেন। হপফিল্ড এমন এক ধরনের মেমরি তৈরি করেছেন, যা ছবি এবং অন্যান্য ডেটা সংরক্ষণ করে রাখতে পারে। সেগুলিকে নতুনভাবে তৈরি করতেও সক্ষম।

    হিন্টন আগে গুগ্‌লে কাজ করতেন। ২০২৩ সালে চাকরি ছেড়ে গবেষণায় মন দেন। এআইয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী হিন্টন। তাঁর কথায়, ‘‘আজকের দিনে এআইয়ের এই প্রসারকে সে যুগের শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে তুলনা করলেও ভুল হবে না। শুধু তফাতটা হল, সে সময় শারীরিক কর্মক্ষমতায় মানুষকে ছাপিয়ে গিয়েছিল যন্ত্র। আর এখন ছাপিয়ে যাবে বুদ্ধিমত্তাতেও।’’ তবু কোথাও যেন উঁকি দিয়ে যায় আশঙ্কাও, হিন্টন বলে চলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, শীঘ্রই মানুষকে হারিয়ে দেবে কম্পিউটার। আর প্রযুক্তি কখনও কখনও অভিশাপও হয়ে উঠতে পারে!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: “শোকের পুজো কাটাতে ধর্নায় বসেছি”, বললেন আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার মা

    RG Kar: “শোকের পুজো কাটাতে ধর্নায় বসেছি”, বললেন আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর এই সময় দুর্গাপুজো (Durga Puja) হত আরজি করকাণ্ডের (RG Kar) নির্যাতিতার বাড়িতে। নির্যাতিতা নিজে উদ্যোগী হয়ে সেই পুজোর আয়োজন করতেন। এবছরও তাঁর পুজোকে ঘিরে নানা পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু, সব শেষ। এ বছর পুরো বাড়ি জুড়ে অন্ধকার। নির্যাতিতার মা-বাবা তাঁদের আত্মীয়-স্বজন প্রত্যেকেই শোকে বিহ্বল। পরিবারের তরফে শোনা গিয়েছিল, ষষ্ঠী থেকে চারদিন ধর্নায় বসবেন তাঁরা। সুবিচারের দাবিতে এক বুক হাহাকার নিয়ে পঞ্চমীর সন্ধ্যাতেই বাড়ির সামনে মঞ্চে ধর্নায় বসল পরিবার।

    শোকের পুজো কাটাতে ধর্নায় বসেছি (RG Kar)

    সাদা-কালো কাপড় দিয়ে তৈরি মঞ্চের গায়ে ঝুলছে একটি ব্যানার। তাতে লেখা, ‘স্মৃতিভারে মোরা পড়ে আছি, ভারমুক্ত, সে এখানে নেই-শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ।’ সন্ধ্যায় মোমবাতি জ্বালিয়ে মেয়েকে স্মরণ করতে গিয়ে চোখে জল বাবা-মায়ের। তাঁরা বলেন, “মেয়ের উদ্যোগেই বাড়িতে দুর্গাপুজো হত। আর হয়তো কখনও পুজো করব না বাড়িতে। কিন্তু, উৎসবের এই ক’টা দিন বাড়িতে থাকতেই দমবন্ধ লাগছে আমাদের। মেয়ের কথা, পুজোর দিনে মেয়ের ব্যস্ততার স্মৃতি ঘুরেফিরে আসছে মনে।” নির্যাতিতার (RG Kar) বাবা ধর্না প্রসঙ্গে বলেন, “এটা কোনও কর্মসূচি নয়। আসলে মনের ব্যথা নিয়ে এখানে এসে বসেছি। অন্যান্য বছর তো এদিনে (পঞ্চমী) ঠাকুর আসত বাড়িতে। এবার সব শেষ। বিচারের জন্য আমরা চেয়ে আছি।”মৃতার মা বললেন, “আমরা তো সব হারিয়ে ফেলেছি। আর কিছুই হারানোর নেই। পুজোর দিন বাড়িতে গমগম করত লোক। এবার বাড়িতে থাকতেই পারছি না। তাই এখানে শোকের পুজো কাটাতে ধর্নায় বসেছি।”

    আরও পড়ুন: ধর্ষণ করে খুন মাত্র ২৮ মিনিটে! সঞ্জয়ের সেদিনের বিশদ গতিবিধি সিবিআইয়ের চার্জশিটে

    সিবিআই তদন্তে আস্থা

    গত ৯ অগস্ট আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের ভয়ঙ্কর ঘটনা এক লহমায় বদলে দিয়েছে ওই চিকিৎসকের বাবা-মায়ের জীবন। মেয়ের ধর্ষণ এবং খুনের বিচার চেয়ে রাজপথে হেঁটেছেন বাবা-মা। কলকাতার ধর্মতলায় যখন বিচারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারেরা আমরণ অনশনে বসেছেন, তখন নিজেদের বাড়ির সামনে মঞ্চ করে ধর্নায় বসলেন প্রৌঢ় দম্পতি। তাঁরা জানালেন, চাইলে যে কেউ ওই ধর্নামঞ্চে আসতে পারেন। তবে মঞ্চে থাকবেন শুধু আত্মীয়েরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই ধর্নামঞ্চ ঘুরে গিয়েছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ এবং কৌস্তভ বাগচী। আরজি কর-কাণ্ডে প্রথম চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। সেখানে মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের। মৃতা চিকিৎসকের বাবা-মা জানাচ্ছেন, সিবিআইয়ের তদন্তে তাঁরা আস্থাশীল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share