Tag: Madhyom

Madhyom

  • Dharmapala: বাঙালি সুশাসক রাজা ধর্মপাল কেন পরমেশ্বর ছিলেন জানেন?

    Dharmapala: বাঙালি সুশাসক রাজা ধর্মপাল কেন পরমেশ্বর ছিলেন জানেন?

    ড. সুমন চন্দ্র দাস

    বঙ্গে শশাঙ্কের মৃত্যুর পর শতবর্ষব্যাপী অনৈক্য, আত্মকলহ, বহিঃশত্রু পুনঃ পুনঃ আক্রমণের ফলে বিরাট অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। এই সময় বঙ্গে রাজতন্ত্র ছিল না। ঐতিহাসিক লামা তারানাথ এই সময়কে ‘মাৎস্যন্যায়’ বলেছেন। ছোট ছোট মাছকে যেমন করে বড় বড় মাছ শিকার করে, ঠিক তেমনি রাজনৈতিক অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছিল দেশে। সুশাসক না থাকায় দুর্বল মানুষের উপর সবলের অত্যাচার ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে চরম আকার নিয়েছিল। এই সময় পালবংশের গোপাল ৭৪০ থেকে ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে রাজা হিসেবে নির্বাচিত হন। আনুমানিক ৭৭০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। তাঁর পুত্রের নাম ধর্মপাল, তিনি দ্বিতীয় পালরাজা হিসেবে সিংহাসনে বসেন ৭৭০ খ্রিষ্টাব্দে এবং রাজত্ব করেন ৮১০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। পাল রাজারা অবশ্য বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তিনি বাঙালি রাজা হিসেবে অত্যন্ত বীর সাহসী এবং রাজনীতিককুশল ছিলেন। তাঁর কীর্তি ইতহাসে অবিস্মরণীয়।

    পরমভট্টারক, মহারাজাধিরাজ ধর্মপাল

    রাজা হিসেবে ধর্মপাল (Pala Empire) আর্যাবর্তে এক সাম্রাজ্য স্থাপনার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু সাময়িক ভাবে তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন প্রতীহার বংশের রাজা বৎসরাজ। গুর্জর, হুণদের সঙ্গে বা ঠিক তাঁদের পরপরই ভারতের পাঞ্জাব, রাজপুতানা এবং মালবে সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিলেন। অষ্টম শতকের শেষে বৎসরাজ পূর্বে সাম্রাজ্য বিস্তারে অগ্রসর হন। অপর দিকে ধর্মপাল পশ্চিমদিকে অগ্রসর হলে উভয়পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ হয়। কিন্তু যুদ্ধে ধর্মপাল পরাজিত হয়েছিলেন। তবে বৎসরাজ পূর্ব দিকে কতটা সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিলেন, তার উল্লেখ সঠিক ভাবে পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যে ধর্মপালের সাম্রাজ্য মগধ, বারাণসী এবং প্রয়াগ হয়ে গঙ্গা-যমুনার মধ্যবর্তী ভূ-ভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছিলেন। তাঁকে গৌরব সূচক সম্বোধন হিসেবে পরমেশ্বর, পরমভট্টারক, মহারাজাধিরাজ নামে উপাধি দেওয়া হয়েছে।

    আর্যাবর্তের কান্যকুব্জ জয়

    ধর্মপালের পুত্র দেবপালের একটি তাম্রশাসন থেকে জানা যায়, তিনি দিগ্বিজয়ে প্রবৃত্ত হয়ে কেদার, গোকর্ণ নামক দুই তীর্থ এবং গঙ্গাসাগর সঙ্গম পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন। কেদার হল হিমালয়ের সুপরিচিত জায়গায়। গোকর্ণ বলতে কেউ কেউ বম্বে প্রেসিডেন্সির মধ্যে উত্তর কানাড়ায় তীর্থধাম বোঝান। আবার নেপালে পশুপতি মন্দিরের দুই মাইল উত্তর-পূর্বে গোকর্ণ নামক তীর্থ স্থান রয়েছে। একই ভাবে কাপিলাবস্তুর নিকটে গঙ্গাসাগর বলে একটা জায়গা আছে। ফলে বিজয় সংকল্প যাত্রা নিয়ে এই বাঙালি সম্রাটের যাত্রা ছিল উত্তরের হিমালয়ের গোকর্ণ পর্যন্ত। সেই সঙ্গে করছেন অনেক সংগ্রাম। পালসাম্রাজ্যকে উত্তর এবং পশ্চিম ভারতে প্রতিষ্ঠিত করতে, আর্যাবর্তের কান্যকুব্জ জয় করেছিলেন। এরপর সিন্ধুনদ, পাঞ্জাবের উত্তরের হিমালয়ের পাদদেশ পর্যন্ত সাম্রজ্য বিস্তার করেছিলেন।

    মালদার নিকটে পাওয়া ‘খালিমপুর’ তাম্রশাসন থেকে জানা গিয়েছে, কান্যকুব্জে যখন রাজ্যশ্রী গ্রহণ করেন, সেই সময় পাঞ্চালদেশের বয়োবৃদ্ধরা ধর্মপালের মাথায় স্বর্ণকলস থেকে পবিত্র তীর্থ জলপ্রদান করেছিলেন। গান্ধার, মাদ্র, কুরু, কীর, ভোজ, মৎস্য, যদু, যবন, অবন্তি বিভিন্ন নগরের সামন্তরা ধর্ম পালের প্রভুত্ব স্বীকার করেছিলেন। ফলে এই রাজ্যগুলি অর্থাৎ স্থান বিচারে পঞ্চনদের পূর্ব, মধ্য, উত্তর ভাগ, সিন্ধুনদীর পশ্চিমপাড়, আলোয়ার, মালব, জয়পুর, সুরাট পর্যন্ত বিস্তৃত ভূভাগের রাজা ছিলেন বঙ্গের রাজা ধর্মপাল। তাঁকে চম্পু কাব্যে উত্তরাপথস্বামী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

    বিক্রমশীল, সোমপুর, পাহাড়পুরের বৌদ্ধ মহাবিহার নির্মাণ

    ধর্মপালের (Pala Empire) রাজত্বে বঙ্গে যে ভাবে রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছিল, পরবর্তী কালে এমন ভাবে আর দেখার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় না। যে ভূমি মাত্র ৫০ বছর আগে অরাজকতা, অত্যাচারের ভূমি ছিল, ধর্মপালের সৌজন্যে যেন নিস্তার পেল বঙ্গভূমি। শুধু যে রাজনৈতিক পালা পরিবর্তন হয়েছে তাই নয়, ধর্ম, শিল্প, সাহিত্যের চরম উৎকর্ষলাভ করে। বাঙালি যেন নতুন করে নিজেদের আত্ম প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ পেয়ে গেল। ধর্মপালের রাজ্য যেন বাঙালির জীবন প্রভাতের সূচনা হল। খালিমপুর তাম্র শাসনে তাই বলা হয়েছে, “সীমান্তদেশে গোপগণ, বনের বনচরগণ, গ্রামের জনসাধারণ, বাড়ির শিশুরা, দোকানের ক্রেতা-বিক্রেতা, রাজপ্রসাদের খাঁচার পাখিরা সব সময় সুশাসক ধর্মপালের নামগান করতেন।” তাঁর আমলে নালন্দার মতো বিক্রমশীল ছিল বিখ্যাত অধ্যয়ন কেন্দ্র বৌদ্ধ মহাবিহার। গঙ্গাতটে নির্মাণ করেছিলেন তিনি। চারিদিকে ১০৭টি মন্দির ছিল। ১১৪ জন শিক্ষক ছিলেন এই শিক্ষা কেন্দ্রে। এছাড়াও বরেন্দ্রভূমিতে সোমপুর, রাজশাহীতে পাহাড়পুর এবং বিহারের ওদন্তপুরে আরও একটি মহাবিহার নির্মাণ করেছিলেন। লামাতারা নাথ বলেছেন, তিনি মোট ৫০টি শিক্ষা কেন্দ্র নির্মাণ করেছিলেন। এক কথায় পালযুগের সুবর্ণযুগ ছিল তাঁর সময়ে।

    আরও ইতিহাস খোঁজের ইঙ্গিত

    বাংলার যথার্থ ইতিহাস নিয়ে বার বার দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বঙ্কিমচন্দ্র নিজের লেখায় বাঙালির ইতিহাস লেখার কথা বঙ্গদেশের কৃষক প্রবন্ধে বলে গিয়েছেন। সমাজ সংস্কৃত ধর্ম রাজনীতি নিয়ে সত্যিকারের ইতিহাস খোঁজের কথা বলে গিয়েছেন। ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার তাঁর ‘বাংলাদেশের ইতিহাস’ বইতে আক্ষেপ করে বলেছেন, “একদিন বাংলার মাঠে-ঘাটে ঘরে-বাহিরে যাঁহার নাম লোকের মুখে মুখে ফিরিত, তাঁহার কোন স্মৃতিই আজ বাংলাদেশে নাই। অদৃষ্টের নিদারুণ পরিহাসে বাঙালি তাঁহার নাম পর্যন্ত ভুলিয়া গিয়াছে।… তাঁহার জীবনের বিশেষ কোন বিবরণ জানিতে পারি নাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: ‘‘শতবর্ষে আরএসএস-এর লক্ষ্য সুশৃঙ্খল, শক্তিশালী হিন্দু সমাজ গঠন’’, বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ‘‘শতবর্ষে আরএসএস-এর লক্ষ্য সুশৃঙ্খল, শক্তিশালী হিন্দু সমাজ গঠন’’, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংগঠনের শতবর্ষে আরএসএস-এর (RSS) প্রাথমিক লক্ষ্য হল সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী হিন্দু সমাজ গঠন, রাজস্থানে সঙ্ঘের এক বৈঠকে সম্প্রতি এমনই মন্তব্য করতে শোনা গেল সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতকে (Mohan Bhagwat)। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই ৪ দিনের মরুরাজ্যে সফরে যান ভাগবত। ধর্মদা ধর্মশালায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠক আয়োজিত হয়। সেখানেই এমন মন্তব্য করতে শোনা যায় তাঁকে। প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালে ১০০ বছরে পদার্পণ আরএসএস। এনিয়ে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে আগামী বছর। সেই সমস্ত কর্মসূচিগুলি নিয়েই রাজ্যে-রাজ্যে আলোচনা চলছে। রাজস্থানে সঙ্ঘ প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, ‘‘সংগঠনের শতবর্ষ, উৎসব হিসেবে উদযাপন করা উচিত নয় বরং ঐক্যবদ্ধ-শক্তিশালী-শৃঙ্খলাবদ্ধ হিন্দু সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন কীভাবে বাস্তবায়িত হতে পারে, সেদিকেই মনোনিবেশ করা উচিত আমাদের।’’

    সমর্পিত কর্মকর্তাদের সংখ্যা বাড়ানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়

    প্রসঙ্গত, চার দিনের রাজস্থান সফরে জেলা প্রচারক ও ক্ষেত্র প্রচারকদের বৈঠকে সঙ্ঘপ্রধান (RSS) আরও বলেন, ‘‘শক্তিশালী হিন্দু সমাজ গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে সংগঠনের প্রতি সমর্পিত কর্মকর্তাদের সংখ্যা বাড়ানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।’’ উল্লেখ্য চলতি বছরের অগাস্ট মাসেই কেরলের পালাক্কড়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠক চলেছিল ৩১ অগাস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এখানে ২০২৫ সালের সঙ্ঘের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

    ২০২৫ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) কী কী কর্মসূচি নিচ্ছে?

    ২০২৫ সালে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে দেখা যাবে সঙ্ঘকে। ইতিমধ্যেই আরএসএস ঘোষণা করেছে ২০২৫ সালের বিজয়া দশমীতে নেওয়া হবে পঞ্চ পরিবর্তন কর্মসূচি, যা চলবে ২০২৬ সালের বিজয় দশমী পর্যন্ত। পঞ্চ পরিবর্তনের বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে সামাজিক সম্প্রীতি, কুটুম্ব প্রবোধন যার অর্থ হল পরিবারকে শক্তিশালী করা, পরিবেশ সংক্রান্ত ইস্যু, আত্মনির্ভরতা-এক্ষেত্রে ঔপনিবেশিক চিহ্নগুলিকে মুছে ফেলার কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে, সব শেষে রয়েছে সিভিক ডিউটি বা নাগরিক কর্তব্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Zakir Naik: ‘কন্যা বলা যাবে না’! অনাথ মেয়েদের মঞ্চ থেকে নেমে পড়লেন ঘৃণাভাষণকারী জাকির

    Zakir Naik: ‘কন্যা বলা যাবে না’! অনাথ মেয়েদের মঞ্চ থেকে নেমে পড়লেন ঘৃণাভাষণকারী জাকির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুষ্ঠান চলাকালীন মঞ্চ থেকে নেমে পড়লেন পলাতক ঘৃণাভাষণকারী ইসলামি প্রচারক জাকির নায়েক (Zakir Naik)। ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছেন তিনি। বর্তমানে জাকির রয়েছেন পাকিস্তানে (Pakistan)। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে অনাথ মেয়েদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান তিনি।

    মঞ্চ থেকে নেমে পালালেন (Zakir Naik)

    সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই সময় আচমকাই মঞ্চ থেকে নেমে পড়েন তিনি। তাঁর এই মঞ্চ-ত্যাগের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাকিস্তানের গবেষক উসমান চৌধুরির শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মঞ্চে অনাথ মেয়েরা জাকিরকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছিল। সেই সময় তাঁকে একটি স্মারক দিতে যান উদ্যোক্তারা। সেই স্মারক না নিয়েই ত্রস্ত্র পায়ে মঞ্চ ছেড়ে চলে যান তিনি (Zakir Naik)।

    জাকিরের মঞ্চ ত্যাগের কারণ

    কী কারণে স্মারক না নিয়েই মঞ্চ ত্যাগ করলেন জাকির? জানা গিয়েছে, উদ্যোক্তারা ওই অনাথ আশ্রমের মেয়েদের ‘কন্যা’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। এতেই আপত্তি করেন জাকির। তাঁর বক্তব্য, “আপনি তাদের স্পর্শ করতে পারবেন না বা তাদের আপনার কন্যা বলতে পারবেন না।” এই মেয়েদের জাকির ‘নন-মাহরাম’ বলে উল্লেখ করেন। জাকিরের যুক্তি, এই ছোট মেয়েরাই বিবাহযোগ্যা হয়ে গিয়েছে। তাই তাদের আর কন্যা হিসেবে পরিচয় দেওয়া যায় না। ইসলামে ‘মাহরাম’ শব্দটি এসেছে ‘হারাম’ শব্দ থেকে। এর অর্থ, এমন একজনকে বোঝায় যাকে বিয়ে করা যায় না, যেমন পিতা-পুত্রী। ‘নন-মাহরাম’ বলতে বোঝায় এমন একজনকে যাকে কেউ বিয়ে করতে পারে অথবা সেই ব্যক্তিকে বিয়ে করা হারাম নয়।

    আরও পড়ুন: সুষমার পরে এবার জয়শঙ্কর, ৯ বছর পরে পাকিস্তানে যাচ্ছেন ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী

    সোমবারই মাসখানেকের জন্য ইসালামাবাদ সফরে গিয়েছেন জাকির। ভারতের এই শত্রুকে রেড কার্পেটে বরণ করে পাকিস্তানের সরকার। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা।

    এদিকে, জাকিরের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিল ভারত। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, পাকিস্তান যেভাবে জাকিরকে সম্মানিত করেছে, তার নিন্দা করার কয়েক ঘণ্টা পরেই জাকিরের এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা রিপোর্টে দেখেছি, জাকিরকে নিয়ে পাকিস্তানে কীভাবে মাতামাতি হচ্ছে। কীভাবে তাঁকে সেখানে (Pakistan) স্বাগত জানানো হচ্ছে (Zakir Naik)।”

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

     

  • Electricity Trade Deal: ভারত-নেপাল-বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যুৎ বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হল

    Electricity Trade Deal: ভারত-নেপাল-বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যুৎ বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঠমান্ডুতে গত ৩ অক্টোবর ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি ত্রিদেশীয় চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এর ফলে তিন দেশের আন্তঃসীমান্ত বিদ্যুৎ বাণিজ্যে (Electricity Trade Deal) আরও গতি আসবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। প্রসঙ্গত, এই চুক্তির মাধ্যমে ভারতবর্ষে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাংলাদেশে তার অতিরিক্ত জলবিদ্যুৎকে রফতানি করতে পারবে নেপাল। দক্ষিণ এশিয়ার জ্বালানি সহযোগিতার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    এর ফলে নেপাল প্রতি বছর ৯২ লাখ মার্কিন ডলার আয় করতে পারবে

    এই চুক্তির মাধ্যমে প্রতি বছর বর্ষাকালে, বিশেষত ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত নেপাল, বাংলাদেশে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ (Electricity Trade Deal)  করতে পারবে। ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে যাওয়া ধলকেবর-মুজাফফরপুর ৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রফতানি করবে নেপাল। প্রসঙ্গত, এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলে নেপাল প্রতিবছর ৯২ লাখ মার্কিন ডলার আয় করতে পারবে। চুক্তি স্বাক্ষরের সময় হাজির ছিলেন নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটির (এনইএ) আধিকারিক কুলমান ঘিসিং, ভারতের এনটিপিসি-র সিইও ডিনো নারান এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহম্মদ রিজওয়ান করিম। এছাড়াও হাজির ছিলেন নেপালের জ্বালানিমন্ত্রী দীপক খাডকা এবং বাংলাদেশের জ্বালানিমন্ত্রী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

    আগেই স্বাক্ষরিত হত, তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে যায়

    বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নেপাল (Nepal), ভারত ও বাংলাদেশের জন্য এই চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণ এর মাধ্যমে শুধু অর্থনৈতিক সম্পর্কই নয়, তার সঙ্গে এই তিন দেশের জ্বালানি নিরাপত্তাও (Electricity Trade Deal)  শক্তিশালী হবে। নেপাল তার অতিরিক্ত জলবিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে। প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের ২৮ তারিখে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তখনকার মতো তা স্থগিত করে দেওয়া হয়। এর পরবর্তীকালে তিন দেশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা কাঠমান্ডুতে বিস্তারিত আলোচনা করেন এই নিয়ে। তারপরেই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ নিয়ে পরবর্তীকালে তিন দেশের আধিকারিকদের মধ্যেই মউ সাক্ষরিত হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: কুপওয়ারায় অনুপ্রবেশ রুখে দিল সেনা, খতম দুই জঙ্গি, উদ্ধার প্রচুর বিস্ফোরক

    Jammu and Kashmir: কুপওয়ারায় অনুপ্রবেশ রুখে দিল সেনা, খতম দুই জঙ্গি, উদ্ধার প্রচুর বিস্ফোরক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) ফের অনুপ্রবেশ রুখে দিল ভারতীয় সেনা। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইতে খতম হয়েছে দুই জঙ্গি। একই ভাবে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্র এবং বিস্ফোরক। শনিবার সীমান্ত টপকে কুপওয়ারা হয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিল একদল জঙ্গি। এরপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। রাতভর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আর তাতেই মেলে বিরাট সাফল্য।

    দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি (Jammu and Kashmir)

    সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শ্রীনগরস্থিত সেনার (Jammu and Kashmir) চিনার কোর তাদের এক্স হ্যান্ডলে একটি বিবৃতি দিয়ে জানায়, “যৌথবাহিনী গুগল লোকেশন নির্ণয় করে অভিযানে যেতেই জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। জঙ্গিরা নিয়ন্ত্রণরেখা ধরে অনুপ্রবশ করতে চেষ্টা করছিল। তাদের আটকে দিয়ে পালটা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। সংঘর্ষে মারা পড়ে দুই জঙ্গি। জঙ্গি দমনের এই বিশেষ অভিযানে নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন গুগলধর’।”

    আরও পড়ুনঃসুষমার পরে এবার জয়শঙ্কর, ৯ বছর পরে পাকিস্তানে যাচ্ছেন ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী

    উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বিস্ফোরক

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশ এবং সেনার যৌথ অভিযানের ফলে জঙ্গিরা পিছনে হঠতে শুরু করে। লড়াইতে দুই জঙ্গি মারা পড়লে বাকিরা পালিয়ে যায়। মৃত দুই জঙ্গির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বিস্ফোরক এবং অস্ত্র। এরপর এলাকায় চলে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান। তবে যে পরিমাণে অস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে তাতে মনে হয় বেশকিছু দিন ধরে লড়াই করার ভাবনা নিয়ে হয়ত অনুপ্রবেশ করতে চেয়েছিল জঙ্গিরা। কিন্তু সময় মতো অভিযান চালিয়ে সব চক্রান্তকে বানচাল করে দেওয়া হয়েছে। তবে দুই জঙ্গি ঠিক কোন সংগঠনের, তার তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।

    একই ভাবে কিস্তওয়ারে জঙ্গিদের সঙ্গে এনকাউন্টার হয় নিরাপত্তা বাহিনীর। সেনার পক্ষথেকে বলা হয় গোপন খবরের ভিত্তিতে এই এলাকার ছাত্রো গ্রামে অভিযান চালায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনা। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার ধারা ৩৭০ বাতিল করেছে। এরপর থেকে বিশেষ অনুচ্ছেদের অধ্যায় সমাপ্ত হয়েছে এই রাজ্যে। সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশাল সংখ্যায় ভোটগ্রহণের গণতান্ত্রিক উৎসবে অংশ নেওয়ার জন্য ভোটারদের অভিনন্দন জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন মিটতেই ফের অশান্ত করার চক্রান্ত শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে খুন করার চক্রান্ত করছেন’’, বিস্ফোরক অর্জুন

    Arjun Singh: ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে খুন করার চক্রান্ত করছেন’’, বিস্ফোরক অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার জগদ্দলের মেঘনা মোড়ে অর্জুন সিংয়ের বাড়ি মজদুর ভবন লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বোমাবাজি, গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। তদন্তে নেমে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। হামলার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) তিনি তোপ দাগেন।

    মমতা আমাকে খুন করার চক্রান্ত করছেন (Arjun Singh)

    শনিবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, ‘‘পুলিশের সামনেই আমার বাড়িতে হামলার ঘটনাটি ঘটেছ। পুলিশের ওপরে আমাদের কোনও আস্থা নেই। ঘটনায় ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু, সঠিক যারা দোষী তাদেরকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করেনি।’’ তিনি বলেন, ‘‘নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে খুন করার চক্রান্ত করছেন। এই পশ্চিমবঙ্গে যাঁরা প্রতিবাদ করবেন তাঁদেরকেই সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন এই মুখ্যমন্ত্রী। আরজি করের ঘটনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যাগ ফুটে চলে গিয়েছেন। কোনও রাজনৈতিক দল নয়, ডাক্তার, সাধারণ মানুষ যাঁরাই প্রতিবাদ করবেন, তাঁদের কাউকে মিথ্যা কেস দিয়ে বা খুন করিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেবেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মিডিয়া তাঁর বিপক্ষে কেউ কথা বললে তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হচ্ছে। মিথ্যা কেস দেওয়া হচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: জয়নগরে নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ করে খুন’, নিষ্ক্রিয় পুলিশকে ঝাঁটাপেটা, ফাঁড়িতে আগুন   

    হিটলারের সঙ্গে মমতার তুলনা

    এদিন হিটলারের সঙ্গে মমতার তুলনা করে অর্জুন (Arjun Singh) বলেন, ‘‘হিটলারের মতো ক্ষমতা প্রয়োগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় থাকতে চাইছেন। কিন্তু, জেনে রাখুন তিনি বেশিদিন এভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না। আরজি করের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলেই মমতার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে সরব হয়েছেন।’’ প্রসঙ্গত, শুক্রবার জগদ্দলের মেঘনা মোড়ে অর্জুন সিংয়ের বাড়ি মজদুর ভবন লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বোমাবাজি এবং গুলিও চলে বলে অভিযোগ। তৃণমূল নেতা নমিত সিং ও তাঁর দলবল এই কাজ করেছে বলেই দাবি প্রাক্তন সাংসদের। অর্জুন সিং দাবি করেছিলেন, ২০-২৫ জন পুলিশকর্মী ছিলেন। তাঁদের সামনেই বোমা ছোড়া হয়। কয়েকজন পুলিশকর্মীকেও হামলাকারীরা ধাক্কাধাক্কি করে।

    তৃণমূলকে নিশানা শুভেন্দুর

    অর্জুনের বাড়ি লক্ষ্য করে হামলার ভিডিও শেয়ার করে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই হামলা চালায় বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। ঘটনাস্থলে পৌঁছেও হামলাকারীদের না ধরে কার্যত হাত গুটিয়েই বসে ছিল পুলিশ, অভিযোগ শুভেন্দুর। ভিডিয়োয় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে কড়া শাস্তিরও দাবি তুলেছেন বিরোধী দলনেতা।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Artillery Firing Range: চিনের নাকের ডগায় হাই-অল্টিটিউড আর্টিলারি ফায়ারিং রেঞ্জ গড়ল ভারত  

    Artillery Firing Range: চিনের নাকের ডগায় হাই-অল্টিটিউড আর্টিলারি ফায়ারিং রেঞ্জ গড়ল ভারত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের চোখরাঙানি উপেক্ষা করতে অরুণাচলপ্রদেশের (Arunachal Pradesh) দুর্গম পাহাড় ঘেরা অঞ্চলে তৈরি করা হল হাই-অল্টিটিউড আর্টিলারি ফায়ারিং রেঞ্জ (Artillery Firing Range)। সেনার আর্টিলারি রেজিমেন্টগুলো অনুশীলন করবে এখানে।

    সম্ভাব্য চিনা হামলা ঠেকানোর উদ্যোগ (Artillery Firing Range)

    অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সম্ভাব্য চিনা হামলা ঠেকাতে গত কয়েক বছর ধরেই সক্রিয় সেনা। তারই ফলশ্রুতি হিসেবে একদিকে যেমন পার্বত্যযুদ্ধে পদাতিক ব্যাটেলিয়নগুলিকে নিয়ে কয়েক বছর আগেই গড়া হয়েছে মাউন্টেন স্ট্রাইক কোর, তেমনি অন্যদিকে এই কোরের সেনারা যাতে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলেই অনুশীলন করতে পারে, তাই তাওয়াংয়ে নির্মাণ করা হল হাই-অল্টিটিউড আর্টিলারি ফায়ারিং রেঞ্জ।

    কী বলছেন সেনা কর্তা

    সেনার আর্টিলারি কোরের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আধোশ কুমার বলেন, “সেনাদের যুদ্ধের প্রকৃত পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দিতেই আমরা ওই ফায়ারিং রেঞ্জটি তৈরি করেছি। পরবর্তী সময়ে হিমালয়ের উচ্চ পার্বত্যক্ষেত্রে আরও দুটি নির্মাণ (Artillery Firing Range) করা হবে।” তিনি বলেন, “উত্তর সীমান্তে এই রেঞ্জ বাহিনীকে প্রকৃত অভিযানের অনুভূতি দেবে। সেনা সদস্য, বিশেষ করে অগ্নিবীরদের বাস্তবসম্মত পরিবেশে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আর্টিলারি বাহিনী বড় আকারের সিমুলেটরের ব্যবস্থাও করেছে।”

    আধোশ কুমার বলেন, “ড্রাইভিং, অস্ত্র প্রশিক্ষণ ও রেডিও টেলিফোনির মতো বিভিন্ন কাজের জন্য সিমুলেটর আনা হয়েছে।” তিনি বলেন, “সম্প্রতি আমরা আর্টিলারি স্কুলে একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অবজারভেশন পোস্ট সিমুলেটরও চালু করেছি।” তিনি জানান, পিনাকা রকেটগুলোর পাল্লা প্রায় চারগুণ পর্যন্ত বাড়ানোর কাজ চলছে। পাহাড়ি এলাকায় এর কার্যকারিতা পরীক্ষা চলছে। সেনাবাহিনীর হাই এক্সপ্লোসিভ প্রি-ফ্র্যাগমেন্টেড শেলগুলির পাল্লাও ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: সুষমার পরে এবার জয়শঙ্কর, ৯ বছর পরে পাকিস্তানে যাচ্ছেন ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী

    সোয়ার্ম ড্রোনের পাশাপাশি রানওয়ে ইনডিপেন্ডেন্ট রিমোট পাইলটেড এয়ারক্র্যাফ্ট সিস্টেমও সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে। কে-৯ বজ্র কামান, ধনুশ কামান, শারাং কামানগুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। গত দু বছরে অরুণাচল প্রদেশে দুটি ফায়ারিং রেঞ্জ চিহ্নিত করেছে সেনাবাহিনী। তাওয়াংয়ে একটি ফায়ারিং রেঞ্জ চালু হয়ে গিয়েছে। অন্যটির জন্য শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি জারি করা (Arunachal Pradesh) হবে। উত্তর সীমান্তে আরও দুটো রেঞ্জ (Artillery Firing Range) চিহ্নিত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বঙ্গোপসাগরে তৈরি হল নিম্নচাপ, পঞ্চমী থেকে একাদশী কেমন কাটবে দুর্গাপুজো?

    Weather Update: বঙ্গোপসাগরে তৈরি হল নিম্নচাপ, পঞ্চমী থেকে একাদশী কেমন কাটবে দুর্গাপুজো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর মুখেই বঙ্গোপসাগরে নতুন নিম্নচাপ (Weather Update) রাজ্যবাসীর কাছে অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার রাত থেকেই ঘূর্ণাবর্ত সাগরে তৈরি হয়েছে। ফলে আগামী দুদিন রাজ্যের অধিকাংশ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পুজোর আগে বৃষ্টির কথা, আবহাওয়া দফতর থেকে আগেই বলা হয়েছে। পুজোর (Durga Puja) পঞ্চমী থেকে একাদশী পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    দক্ষিণবঙ্গে হলুদ সর্তকতা জারি (Weather Update)

    দুর্গাপুজোর (Durga Puja) আগে আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে বলা হয়েছে, শনিবার হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে এই জেলায় হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। কলকাতা সহ বাকি জেলাগুলিতে আগামী কয়েকদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নতুন করে আর কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি।

    উত্তরবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা

    বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। শনিবার উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দক্ষিণ দিনাজপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। রবিবার থেকে লাগাতার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং সোমবারে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়িতেও বৃষ্টিপাত হবে। একই ভাবে হাওয়া অফিস থেকে জানা গিয়েছে, উত্তর বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের উপর এই মুহূর্তে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনুমানিক উচ্চতা ৫.৮ কিলোমিটার। আবার উত্তর-পূর্ব উত্তরপ্রদেশ থেকে বিহার হয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত রয়েছে অক্ষরেখা। শুক্রবার রাতে উত্তর বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকায় একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে। ফলে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির অনুকুল পরিস্থিতি রয়েছে।

    আরও পড়ুনঃদাড়িভিটে নিহত দুই ছাত্রকে বাংলা ‘ভাষা শহিদ’ ঘোষণার দাবি সুকান্তর, চিঠি মমতাকে

    পশ্চিমবঙ্গের উপকূল সংলগ্ন এলাকায় উত্তাল

    উত্তর-পূর্ব এবং উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া (Weather Update) বইছে। ফলে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূল সংলগ্ন এলাকায় সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। শনিবার বিকেল পর্যন্ত অবস্থার পরিবর্তন হওয়ার তেমন কোনও ইঙ্গিত নেই। আর তাই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না নামার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কলকাতায় শনিবার, দিনের মতো সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩১ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctor: পুলিশের হুমকিতে বেপাত্তা ডেকোরেটর! বৃষ্টি মাথায় ধর্মতলায় মঞ্চ বাঁধলেন জুনিয়র ডাক্তাররা

    Junior Doctor: পুলিশের হুমকিতে বেপাত্তা ডেকোরেটর! বৃষ্টি মাথায় ধর্মতলায় মঞ্চ বাঁধলেন জুনিয়র ডাক্তাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে হাতে স্টেথো ধরেন অথবা অস্ত্রোপচার করেন, সেই হাতেই শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে মঞ্চ বাঁধলেন চিকিৎসকরা। বৃষ্টি মাথায় দিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) নিজেরাই বাঁধলেন নিজেদের ধর্না মঞ্চ। এমনিতেই কর্মবিরতি তুলে নিয়েছেন চিকিৎসকরা। ফিরেছেন কাজে। তবে, আরজি করকাণ্ডে (RG Kar) নির্যাতিতার ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের মঞ্চ ছেড়ে নড়তে নারাজ তা বুঝিয়ে দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    ডেকোরটরদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ (Junior Doctor)

    কয়েকদিন আগে যখন স্বাস্থ্য ভবনের সামনে চিকিৎসকদের (Junior Doctor) অবস্থান চলছিল, তখন অভিযোগ ওঠে, ডেকোরেটরদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। না বলে-কয়েই ত্রিপল, ফ্যান খুলে নিয়ে গিয়েছিলেন কেউ কেউ। আর শুক্রবার রাতে ধর্মতলায় মঞ্চ বাঁধতেই ডেকোরেটরদের বাধা দেওয়া হল বলে অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। হুমকিও দেওয়া হয়। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মধ্যরাতে বাঁধা হল সেই মঞ্চ। ধর্নাস্থলে মঞ্চ বাঁধতে গিয়ে পুলিশি ‘বাধা’র সম্মুখীন হতে হল জুনিয়র ডাক্তারদের। তাঁদের অভিযোগ, ধর্নাস্থলে মঞ্চ বাঁধতে দিচ্ছে না পুলিশ। ভীত এবং সন্ত্রস্ত ডেকোরেটরের কর্মীরা কাজ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। প্রথমে পুলিশ মৌখিক অনুমতি দিলেও এখন মঞ্চ বাঁধতে দিচ্ছে না।

    আরও পড়ুন: জয়নগরে নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ করে খুন’, নিষ্ক্রিয় পুলিশকে ঝাঁটাপেটা, ফাঁড়িতে আগুন

    দাবি না মানলে আমরণ অনশন!

    রাত বাড়ার পর নিজেরাই মঞ্চ বাঁধার কাজে হাত লাগান চিকিৎসকেরা। কেউ ত্রিপল ধরে রইলেন, কেউ বাঁশের উপর উঠে দড়ি বাঁধলেন। রাতেই তৈরি হল মঞ্চ। ধর্নামঞ্চে একটি বড় ঘড়ি নিয়ে আসেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেই ঘড়িকে সামনে রেখে রাজ্য সরকারকে সময় বেঁধে দিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা (Junior Doctor)। শনিবার সকালে দেখা গেল, নিজেদের তৈরি সেই মঞ্চেই বসে আছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। ন্যায়বিচারের দাবিতে যে তাঁরা কতটা অনড়, সেই মনোভাবই কার্যত এদিন বুঝিয়ে দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এই ঘটনার মোটিভকে সামনে আনতে হবে। শনিবার রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। দাবি না মানা পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না। প্রয়োজনে আমরণ অনশন শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: সুষমার পরে এবার জয়শঙ্কর, ৯ বছর পরে পাকিস্তানে যাচ্ছেন ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী

    S Jaishankar: সুষমার পরে এবার জয়শঙ্কর, ৯ বছর পরে পাকিস্তানে যাচ্ছেন ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরফ গলছে ভারত-পাক সম্পর্কের! ন’বছর আগে সে দেশে গিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। আর এবার যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, অক্টোবরে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে যোগ দিতে পাকিস্তানে যাচ্ছেন তিনি।

    কী বলছে বিদেশমন্ত্রক

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “১৫ ও ১৬ অক্টোবর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এসসিও-র বৈঠক রয়েছে। সেখানে আমাদের প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেবেন বিদেশমন্ত্রী।” ওই বৈঠকে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। যদিও তিনি যাচ্ছেন না, যাচ্ছেন জয়শঙ্কর। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানে শুধু সম্মেলনেই যোগ দেবে প্রতিনিধি দল। প্রতিবেশী দেশের সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কোনও বৈঠকে বসার সম্ভাবনাই নেই ভারতের।

    সুষমার পরে এবার জয়শঙ্কর

    আফগানিস্তান নিয়ে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন সুষমা। তার পর ভারতের আর কোনও বিদেশমন্ত্রী পাকিস্তানমুখো হননি। কূটনীতিকদের মতে, এই সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রীকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে বড় বার্তা দিল নয়াদিল্লি। এসসিও আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহযোগিতায় বড় ভূমিকা নেয়। সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রীকে পাঠিয়ে নয়াদিল্লি বুঝিয়ে দিল, এই সম্মেলনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় ভারত।

    ভারত (S Jaishankar) ছাড়াও এসসিও-র সদস্য হল চিন, রাশিয়া, পাকিস্তান, কিরঘিজস্তান, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান এবং তাজিকিস্তান। সংগঠনের জন্ম ২০০১ সালে, সাংহাইতে এক সম্মেলনের মাধ্যমে। এই সম্মেলনে ভারত যোগ দেয়নি। ২০০৫ সালে প্রথমবার ভারত যোগ দেয় এসসিও সম্মেলনে। ২০১৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান একই সঙ্গে এই সংগঠনের স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে। ২০২৩ সালে সম্মেলনের আয়োজন করে ভারত। সেবার অবশ্য ভার্চুয়াল মাধ্যমে হয়েছিল বৈঠক।

    আরও পড়ুন: বড় সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর, ছত্তিশগড়ে গুলির লড়াইয়ে খতম ৩০ মাওবাদী

    ভারতের পর এবার সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে পাকিস্তান। সেই সম্মেলনেই যোগ দিতে ইসলামাবাদ যাচ্ছেন জয়শঙ্কর। সীমান্ত সন্ত্রাস ছড়ানোয় গত সপ্তাহেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় পাকিস্তানকে একহাত নিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। ওই মঞ্চেই পাকিস্তানকে তুলোধনা করেছিলেন ভারতের তরফে ফার্স্ট সেক্রেটারি ভাবিকা মঙ্গলানন্দন। তিনি বলেছিলেন, “যে দেশ তার জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য, মাদকদ্রব্য পাচার এবং আন্তর্জাতিক অপরাধের জন্য বিখ্যাত, সেই দেশই পৃথিবীর সব চেয়ে বড় গণতন্ত্রকে আক্রমণের ঔদ্ধত্য দেখায়।” এহেন আবহেই পাকিস্তানে যাচ্ছেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share