Tag: Madhyom

Madhyom

  • Durga Puja 2024: পুজোয় চাই টানটান উজ্বল ত্বক! এই পাঁচ ঘরোয়া উপকরণেই রয়েছে সমাধান

    Durga Puja 2024: পুজোয় চাই টানটান উজ্বল ত্বক! এই পাঁচ ঘরোয়া উপকরণেই রয়েছে সমাধান

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আর মাত্র কয়েকদিন! তার পরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শুরু! দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) সময়ে বাঙালি যেমন খাবারে নতুনত্ব চায়, তেমনি পোশাক আর সাজসজ্জাতেও থাকে বিশেষ নজর। কিন্তু দূষণের জেরে এখন অনেকেই ত্বকের নানান সমস্যায় ভুগছেন। খুব কম বয়স থেকেই ব্রণ, কালো ছোপ দাগ-এমন নানান ত্বকের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাজার চলতি নানান রাসায়নিক ক্রিম ত্বকের ক্ষতি করে। এমন একাধিক ক্রিম নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। অভিযোগ, বহু ক্রিম মাত্রাতিরিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহার করে। এর ফলে ত্বকে সাংঘাতিক ক্ষতি হয়। তাই দ্রুত ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল করতে এবং ত্বকের সমস্যা মেটাতে ঘরোয়া উপকরণেই আস্থা রাখছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। আসুন, দেখে নিই, কোন পাঁচ ঘরোয়া উপাদানে মসৃণ ত্বক সম্ভব?

    চিনির সঙ্গে পাতিলেবুর মিশ্রণ (Durga Puja 2024)

    ত্বক বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, লেবু ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত যে কোনও ধরনের লেবু খেলে ত্বকের অধিকাংশ সমস্যা কমে যায়। ত্বকে পাতিলেবুর রস ব্লিচের মতো কাজ করে। সমস্ত কালো ছোপ সহজেই বেরিয়ে যায়। তবে সরাসরি ত্বকের উপরে পাতিলেবু লাগাতে বারণ করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের পরামর্শ, চিনির সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে বৃত্তাকারে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে মুখ পরিষ্কার জলে ধুয়ে ফেললে কালো ছোপ সহজেই মুছে যাবে।

    শশার রস বাড়াবে ত্বকের উজ্জ্বলতা

    বায়ুদূষণের জেরে অনেকেই ত্বকের উজ্জ্বলতা হারান। বিশেষত যাদের নিয়মিত বাড়ির বাইরে যেতে হয়, তাদের এই ধরনের সমস্যা আরও বেশি হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, শশা তাদের জন্য বিশেষ উপকারী। শশার রসে সহজেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়তে পারে। তাঁদের পরামর্শ, একটা গোটা শশা বেটে নিয়ে, তার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। দিনে একাধিকবার সেই মিশ্রণ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে দ্রুত ত্বক মসৃণ হবে এবং উজ্জ্বলতা বাড়বে (Durga Puja 2024)।

    ব্রণ-র জীবাণু রুখতে সাহায্য করবে মধু

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মধু ত্বকের (Bright skin) জন্য খুবই উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, মধু ত্বক কোমল করে, উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে, আবার ব্রণ-র জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়তেও সাহায্য করে। তাই মধু ত্বকে লাগালে ত্বকের একাধিক উপকার পাওয়া যায়। তাঁদের পরামর্শ, সরাসরি ত্বকের উপরে মধু ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। তবে দ্রুত উজ্জ্বলতা পাওয়ার জন্য দই কিংবা শশার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগালে দ্রুত উজ্জ্বলতা বাড়ে‌। আবার ব্রণ-র সমস্যাও কমে।

    ত্বক মসৃণ করবে কলা (Durga Puja 2024)

    ত্বক মসৃণ করতে কলা খুবই উপকারী বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কলা ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী। কলা খুব মিহি করে মেখে, তার সঙ্গে দুধ মিশিয়ে ত্বকে লাগালে খসখসে ভাব সহজেই চলে যায়। ত্বক মস‌ৃণ হয়ে ওঠে।

    মুসুর ডাল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার

    আবহাওয়ার পরিবর্তনের জেরে অনেকেই ত্বকের ভিজে ভাব হারাচ্ছেন‌। খুব কম বয়সিদের মধ্যেও তাই ত্বকের শুষ্কতার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, মুসুর ডাল ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, মসুর ডাল বেটে ভালো ভাবে ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে। কিছু সময় পরে ত্বকে সেগুলো শুকিয়ে গেলে ভালোভাবে পরিষ্কার জলে ত্বক ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলেই ত্বকের স্বাভাবিক ময়েশ্চারাইজার ফিরে আসবে। ত্বকের শুষ্কতার সমস্যা কমবে (Durga Puja 2024)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: শনিবার পিএম-কিষান প্রকল্পের ১৮তম কিস্তির টাকা কৃষকদের দেবেন মোদি

    Narendra Modi: শনিবার পিএম-কিষান প্রকল্পের ১৮তম কিস্তির টাকা কৃষকদের দেবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ অক্টোবর পিএম-কিষান (PM-Kisan Scheme) প্রকল্পের ১৮তম কিস্তি প্রদানের কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে মহারাষ্ট্রের ওয়াশিম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্রকল্পে সারা দেশের মোট ৯.৪ কোটিরও বেশি কৃষককে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) কিষান সম্মাননিধির সহায়তা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউণ্টে দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকার এই কিস্তিতে কৃষকদের উদ্দেশে ২০,০০০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দেবেন।

    পাঁচ লক্ষ কমন সার্ভিস সেন্টার থাকবে 

    জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদির (Narendra Modi) এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মোট ২.৫ কোটিরও বেশি কৃষক। দেশব্যাপী বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষকরা ওয়েবকাস্টের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন। এই অনুষ্ঠানের মধ্যে ৭৩২টি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র (KVK), এক লক্ষেরও বেশি প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতি এবং পাঁচ লক্ষ কমন সার্ভিস সেন্টার থাকবে। পাশাপাশি পিএম কিষান সম্মানের মধ্যে মোট ৩.৪৫ লক্ষ কোটি টাকার বরাদ্দ ছড়িয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে। দেশের ১১ কোটি কৃষক এখনও পর্যন্ত সরাসরি লাভ পেয়েছেন এই প্রকল্পের মাধ্যমে। ফলে দেশের গ্রামীণ উন্নয়ন এবং কৃষি সমৃদ্ধির প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতিকে আরও নিশ্চিত করবে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত, মহারাষ্ট্রে ১৭ কিস্তিতে প্রায় ১.২০ কোটি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৩২,০০০ কোটি টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে। এই টাকার অঙ্ক (PM-Kisan scheme) অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টাকার পরিমাণ।

    আরও পড়ুনঃ বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপ, পুজোর আগে লাগাতার বৃষ্টির পূর্বাভাস, উদ্বেগে রাজ্যবাসী

    ৭,৫১৬টি প্রকল্পের ঘোষণা

    মোদির (Narendra Modi) এই ঘোষণায় মহারাষ্ট্র রাজ্যের প্রায় ৯১.৫১ লক্ষ কৃষক, ১,৯০০ কোটি টাকার বেশি সুবিধা পাবেন। প্রধানমন্ত্রী কৃষি পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য (এআইএফ) ৭,৫১৬টি প্রকল্পকে দেশবাসীর জন্য উৎসর্গ করবেন। একই সঙ্গে জাতির উদ্দেশে ৯২০০টি এফপিও (FPO) প্রকল্পের শুভসূচনা করবেন তিনি। ‘গবাদি পশু এবং আদিবাসী সেক্স সর্টেড সিমেন টেকনোলজি’-র জন্য ইউনিফাইড জিনোমিক চিপ এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের সামাজিক উন্নয়ন অনুদানের ই-ডিস্ট্রিবিউশন-এর পাশাপাশি, এমএসকেভিওয়াই ২ (MSKVY 2.0)-এর অধীনে পাঁচটি সোলার পার্কও চালু করার কথা বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: ১১৪ বছর ধরে একই রীতি! একনলা বন্দুকের গুলি ছুড়ে শুরু হয় সন্ধি পুজো

    Durga Puja 2024: ১১৪ বছর ধরে একই রীতি! একনলা বন্দুকের গুলি ছুড়ে শুরু হয় সন্ধি পুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একনলা বন্দুকের গুলি ছুড়ে শুরু হয় সন্ধি পুজো। ১১৪ বছর ধরে একই রীতিতে বৈষ্ণব নিয়মে পূজিত চৌধুরী বাড়ির দেবী দুর্গা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হল বালুরঘাটের নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বইদুল গ্রামের চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024)। চৌধুরী বাড়ি সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চৌধুরী পরিবারে দুর্গাপুজোর শুভারম্ভ হয় ১৯১১ সালে পান্নালাল চৌধুরী-র হাত ধরে। পান্নালাল চৌধুরী মারা যাওয়ার পরে তাঁর ছয় ছেলে পালাক্রমে এই দুর্গাপুজো চালিয়ে আসেন। বংশানুক্রমে চলে আসা বইদুল গ্রামের চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজো আশপাশের গ্রামের মানুষদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ।

    মঙ্গলচণ্ডীর গানের আসর (Durga Puja 2024)

    কালক্রমে পুজোর জৌলুস বাড়লেও রীতিতে হয়নি কোনও বদল। ষষ্ঠী থেকে নবমী অবধি দেবী দুর্গাকে এখানে ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয় ফল ও মিষ্টি। দশমীতে অন্নভোগ দেওয়ার রীতি রয়েছে। পুজো উপলক্ষ্যে ষষ্ঠী থেকে দশমী অবধি মণ্ডপ প্রাঙ্গণে বসে মঙ্গলচণ্ডীর গানের আসর। যে গান শুনতে ভিড় জমান আশপাশের গ্রামের মানুষ। চৌধুরী বাড়ির পুজোকে ঘিরে আনন্দে মেতে ওঠেন গোটা গ্রামের বাসিন্দারা। পুজোর পাঁচ দিন গ্রামের সবাই এক সঙ্গে পুজোর (Durga Puja 2024) আচার অনুষ্ঠান করে থাকেন। এক গ্রামবাসী বলেন, আমাদের গ্রামের চৌধুরী বাড়ির পুজো দীর্ঘদিনের পুরনো পুজো। এই পুজো শুরু হয়েছিল ১৯৯৯ সালে পান্নালাল চৌধুরী-র হাত ধরে। আজও সেই নিয়ম মত করে পুজো হয়ে যাচ্ছে।

    ধুনুচি নাচের আসর

    চৌধুরী পরিবারের দুই সদস্য বাপ্পাদিত্য চৌধুরী এবং বিশ্বদেব চৌধুরী জানিয়েছেন, পুজোতে (Durga Puja 2024) পরিবারের ৬৫ জন ছেলের নামেই দেবীর উদ্দেশে ভোগ নিবেদন করা হয়। ১১৪ বছর ধরে একই রীতিতে বৈষ্ণব নিয়মে পূজিত আমাদের বাড়ির দেবী দুর্গার পুজো। অষ্টমীর দিন একনলা বন্দুকের গুলি ছুড়ে শুরু হয় সন্ধি পুজো (Sandhi Puja)। পুজোর দিনগুলিতে প্রতিদিনই প্রসাদ বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি পুজোর দিনগুলিতে মন্দির প্রাঙ্গণে বসে ধুনুচি নাচের আসর। সব মিলিয়ে চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজো ঘিরে পুজোর দিনগুলিতে আনন্দে মেতে উঠেন বইদুল সহ আশেপাশের গ্রামের বাসিন্দারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপ, পুজোর আগে লাগাতার বৃষ্টির পূর্বাভাস, উদ্বেগে রাজ্যবাসী

    Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপ, পুজোর আগে লাগাতার বৃষ্টির পূর্বাভাস, উদ্বেগে রাজ্যবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার আরও একটি নিম্নচাপ (Weather Update) তৈরি হতে চলেছে উত্তর বঙ্গপোসাগরে। এমনটা স্পষ্ট করে জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। এখন সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফলে পুজোর মুখে বৃষ্টি এখনই বন্ধ হবার নয়। এদিন দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে কলকাতা এবং শহরতলির একাধিক জায়গায় বৃষ্টিতে ভেজার সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্র উপকূলে জারি হয়েছে সতর্কতা।

    কলকাতার পূর্বাভাস কী(Weather Update)

    শুক্রবার কলকাতার প্রায় সর্বত্র বৃষ্টির (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে। সকাল থেকে ইতিমধ্যে কয়েক দফা বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। বাকি সারাদিন আকাশ মেঘলা থাকবে। বেলার দিকে আবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাতে এবং দিনে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসে তুলনামূলক ভাবে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি রয়েছে। এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৯ ডিগ্রি ছিল। তবে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ছিল ৩২.৫ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের মাত্রা ৬৯ থেকে ৯৭ শতাংশ। দিনের মতো বৃষ্টিপাত হয়েছে ২২.৩ মিলিমিটার।

    দক্ষিণবঙ্গের কোথায় বৃষ্টি?

    কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে। বাকি জেলাগুলিতেও বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূল সংলগ্ন উত্তর এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। তার জেরে ওই অংশের সমুদ্রের উপর ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। শুক্রবার পর্যন্ত সমুদ্র উত্তাল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা। এই সময়ের মধ্যে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। একই ভাবে শনিবার পর্যন্ত প্রাকৃতিক আবহাওয়ার তেমন বদল কিছু ঘটবে না। শনিবার বৃষ্টি হতে পারে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, দুই ২৪ পরগনায়। হাওয়া অফিস বলছে, রবিবার থেকে ধীরে ধীরে কমে আসবে বৃষ্টির পরিমাণ। তবে আংশিকভাবে কিছু কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে।  

    আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ, জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে প্রতীকী কর্মবিরতি সিনিয়রদের

    কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গ?

    দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার একাধিক জেলার অবস্থা বেশ খারাপ হতে পারে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে বাকি সব জেলাতেই। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে অতি ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই জেলাগুলিতে জারি রয়েছে হলুদ সতর্কতা। কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও জারি করেছে হাওয়া অফিস। শনিবার এই দুই জেলা ছাড়াও ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ দিনাজপুরে।

    পুজোর মধ্যেও বৃষ্টি!

    পুজোর সময় কেমন থাকবে আকাশ? আবহাওয়া দফতর তেমন ভালো খবর শোনাতে পারছে না। আগামী বুধবার, ষষ্ঠী পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। পুজোর মধ্যেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টি নিয়ে ইতিমধ্যে পুজো উদ্যোগক্তরা উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। উৎসবের দিনগুলি কীভাবে কাটবে তাই নিয়ে সংশয়ে রয়েছে রাজ্যের মানুষ। তবে, পুজোয় বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টি হলেও ভারী বৃষ্টি বা দুর্যোগের সম্ভাবনা নেই। সম্ভাবনা নেই একনাগারে বা একটানা বৃষ্টিরও। অন্তত এটাই একমাত্র আশার কথা শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: পশ্চিম এশিয়ার উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি নিরাপত্তা বৈঠক প্রধানমন্ত্রী মোদির

    PM Modi: পশ্চিম এশিয়ার উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি নিরাপত্তা বৈঠক প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তপ্ত পশ্চিম এশিয়া (West Asia Crisis)। গাজায় ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে সংঘাতের জেরে গত এক বছর ধরে অশান্ত এই অঞ্চল। ইজরায়েল-লেবানন সংঘাত তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তার ওপর, ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনাচ্ছে পশ্চিম এশিয়ার আকাশে। এর প্রভাব পড়ছে ওই অঞ্চলের বাণিজ্যের ওপর। মূলত ভারতে তেল আমদানি-রফতানির উপর। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত জরুরি বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    বৈঠকে থাকছেন কারা

    পশ্চিম এশিয়ার চলতি নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। বুধবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে যুযুধান সব পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির সদস্যদের। নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) ছাড়াও রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।

    আরও পড়ুন: ধ্রুপদী ভাষার তকমা পেল বাংলা, আপামর বাঙালিকে পুজোর উপহার মোদি মন্ত্রিসভার

    কেন চিন্তা

    বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সম্প্রতি যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ‘‘পশ্চিম এশিয়ায় (West Asia Crisis) ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তার সঙ্কট নিয়ে আমরা গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের অনুরোধ করছি। এই সংঘাত যেন বৃহত্তর এলাকায় ছড়িয়ে না পড়ে, সেটা দেখতে হবে। আমাদের অনুরোধ, সমস্ত সমস্যা আলোচনা এবং কূটনীতির মাধ্যমে সমাধান করা হোক।’’ দিল্লির মতে, একটি সংঘাত শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলিকে প্রভাবিত করে না, এটি পুরো অঞ্চল, এমনকী বিশ্বের ওপরও প্রভাব ফেলে।

    ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে লোহিত সাগর এবং এডেন প্রণালী (গালফ অব এডেন) রুটে বাণিজ্য বিঘ্নিত হচ্ছে। গত বছরের অক্টোবরে ইরান-সমর্থিত হুথি মিলিশিয়া এই অঞ্চলে বিশ্ব বাণিজ্য ব্যাহত করতে শুরু করে। শুধু ভারতেই এর ফলে পেট্রোলিয়াম রফতানি ৩৭.৫৬ শতাংশ কমে গেছে, যা গত বছর একই মাসে ৯.৫৪ বিলিয়ন ডলার থেকে এ বছরের আগস্টে ৫.৯৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এখন আবার, ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধের জেরে দেশের জ্বালানি সরবরাহে প্রভাব পড়তে পারে। দাম বাড়তে পারে তেলের। সমুদ্র পথে বাণিজ্য সুনিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ, জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে প্রতীকী কর্মবিরতি সিনিয়রদের

    RG Kar Incident: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ, জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে প্রতীকী কর্মবিরতি সিনিয়রদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে, জুনিয়রদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এবার কর্মবিরতি পালন করলেন সিনিয়র ডাক্তাররাও। তবে সবটাই হল প্রতীকী।  শুক্রবার এক ঘণ্টার কর্মবিরতিতে গেলেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে বিচার চেয়ে এবং হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন করেই শুক্রবার এক ঘণ্টার কর্মবিরতিতে যোগ দিলেন এনআরএসের সিনিয়র ডাক্তাররা।

    এক ঘণ্টার কর্মবিরতি

    জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে বৃহস্পতিবার এনআরএসের চিকিৎসক এবং চিকিৎসক পড়ুয়াদের কাউন্সিলের একটি বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকেই পড়ুয়াদের তরফে শুক্রবার এক ঘণ্টার জন্য প্রতীকী কর্মবিরতি পালনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কলেজ কাউন্সিল প্রস্তাবে সায় দেয়। এনআরএস হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছেন। তাঁদের সঙ্গে শুক্রবার যোগ দিলেন সিনিয়ররাও। শুক্রবার সকালে এক ঘণ্টার জন্য ওই হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তার এবং মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপকরা কর্মবিরতি পালন করেন। সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চলে সিনিয়রদের কর্মবিরতি।

    আরও পড়ুন: শরীরে অন্তত ২৪টি আঘাত! গণপ্রহারের মতোই মারা হয়েছিল আরজি করের নির্যাতিতাকে

    বিকল্প পদ্ধতির চিন্তা

    জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পাশে থাকলেও সিনিয়ররা কিন্তু পূর্ণ কর্মবিরতি চাইছেন না। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে বিকল্প পদ্ধতির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে সিনিয়র ডাক্তারদের তরফে।  সিনিয়রদের একাংশের মতে, আন্দোলন যেমন চলছে তেমন চলুক। তবে পূর্ণ কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হোক। আংশিক কর্মবিরতি চলতে থাকুক। কাজে ফিরুন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে শেষ পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তাররা কী সিদ্ধান্ত নেনে সেটাও দেখার। তাঁরা দফায় দফায় জিবি মিটিং করছেন। আজ, শুক্রবারই হয়তো এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা। এনআরএসের এক জুনিয়র ডাক্তার পুলস্ত্য আচার্য জানিয়েছেন, পূর্ণ কর্মবিরতির পথে না হেঁটে তার বিকল্প কী হতে পারে, সে বিষয়ে ভেবে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘বাংলার পাঠ্য পুস্তকে উর্দু ভাষার দাপট’’! মমতাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘বাংলার পাঠ্য পুস্তকে উর্দু ভাষার দাপট’’! মমতাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর মুখে বাংলাকে (Bengali Language) ধ্রুপদী ভাষার তকমা দিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার (PM Modi)। সেই আনন্দ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। একই সঙ্গে রাজ্যের পাঠ্য পুস্তকে বাংলা ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে, দেখা যাচ্ছে উর্দু আগ্রাসন, তাই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন সুকান্ত। প্রশ্ন তুললেন বাংলার গৌরব ক্ষুন্ন করে কেন উর্দুকে প্রাধান্য দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। 

    কী বললেন সুকান্ত

    এদিন সুকান্ত (Sukanta Majumdar) দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীর ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য বাংলার পাঠ্যপুস্তক থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলা ভাষা। তিনি বলেন,  ‘‘ আপনার ভোট-ব্যাঙ্কের অন্যায় রাজনীতির স্বার্থে বাংলার পাঠ্য পুস্তক থেকে যেভাবে একের পর এক বাংলা শব্দ ধীরে ধীরে রূপান্তরিত হয়েছে উর্দুতে, আজ আনন্দের দিনেও সেগুলি বাঙালির জন্য উদ্বেগের।’’ সম্প্রতি বাংলাদেশেও শেখ হাসিনা সরকারের পতনের উর্দু আগ্রাসন চোখে পড়েছে।

    শহিদ স্মরণ

    মুখ্যমন্ত্রীর তোষণনীতির ফলে রাজ্যে বাংলা ভাষার জন্য লড়াই করা দুই শহিদের কথাও এদিন উল্লেখ করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তাঁর কথায়, ‘‘আজকের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের একজন নাগরিক এবং বাঙালি হিসেবে বাংলা ভাষার (Bengali Language) জাতীয় স্বীকৃতিলাভের আনন্দ আপনার সঙ্গেও ভাগ করে নিচ্ছি। ভারতের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে গৃহীত এই সিদ্ধান্ত সমগ্র বাঙালি সমাজকে গৌরবান্বিত করেছে। তবে একই সঙ্গে আজ স্মরণ করছি সাম্প্রতিক পশ্চিমবঙ্গে বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গ করা দুই শহিদকেও। ২০১৮ সালে বাংলার পবিত্র ভূমিতেই  উর্দু আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে আপনার নিয়ন্ত্রণাধীন পুলিশের গুলিতে ঝাঁঝরা হতে হয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের দাঁড়িভিটের দুই বাঙালি সন্তান রাজেশ বর্মন এবং তাপস সরকার – কে। আজকের দিনে তাঁরা সশরীরে জীবিত থাকলে হয়তো প্রতিটি বাঙালির মতোই গর্বিত অনুভব করতে পারতেন!’’ 

    আরও পড়ুন: ধ্রুপদী ভাষার তকমা পেল বাংলা, আপামর বাঙালিকে পুজোর উপহার মোদি মন্ত্রিসভার

    প্রসঙ্গত,  ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বরে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুল। অবরোধ থেকে শুরু করে ইট পাথর ছোড়ার মতো ঘটনাও ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পেরে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। সেই গুলিতেই মৃত্যু হয় দাড়িভিট হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্র রাজেশ ও তাপসের। এই ঘটনার তদন্ত করছে এনআইএ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bengali Language: ধ্রুপদী ভাষার তকমা পেল বাংলা, আপামর বাঙালিকে পুজোর উপহার মোদি মন্ত্রিসভার

    Bengali Language: ধ্রুপদী ভাষার তকমা পেল বাংলা, আপামর বাঙালিকে পুজোর উপহার মোদি মন্ত্রিসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবীপক্ষের শুরুতেই বাঙালিদের জন্য পুজোর উপহার দিল মোদি সরকার। বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার (Bengali Language) তকমা দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সাহিত্য অ্যাকাডেমি নিয়ন্ত্রণাধীন ভাষা বিশেষজ্ঞ কমিটি (Linguistics Experts Committee) গত ২৫ জুলাইয়ের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলা-সহ মোট পাঁচটি ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার (Classical language) মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুজোর মুখে সেই কথা জানাল কেন্দ্র। 

    কোন কোন ভাষা ধ্রুপদী ভাষা

    এবার মারাঠি, পালি, প্রাকৃত, অসমিয়ার সঙ্গে বাংলাকেও ‘ক্ল্যাসিক্যাল’ ভাষার (Bengali Language) মর্যাদা দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ফলে এই তালিকায় জায়গায় পাওয়া ভাষার সংখ্য়া দাঁড়াল ১১। যা আগে ছিল ৬। আগে এই তালিকায় ছিল তামিল, সংস্কৃত, তেলুগু, কন্নড়, মালায়লাম এবং ওড়িয়া। এ নিয়ে উচ্ছ্বসিত পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ধ্রুপদী ভাষা কী

    কোনও ভাষার (Bengali Language) ইতিহাস বা প্রাপ্ত নথির বয়স যদি ১,৫০০ থেকে ২০০০ বছর হয়, আদি ভাষা এবং সাহিত্যের সঙ্গে বর্তমানের ভাষা এবং সাহিত্যের ফারাক যদি স্পষ্ট হয়, তবেই সেই ভাষাকে ধ্রুপদীর স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ধ্রুপদী ভাষার (Classical language) বিস্তারের জন্য কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রককে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একাধিক দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সংস্কৃতের জন্য তিনটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করা হয়েছে। বাংলার ক্ষেত্রেও এধরনের পদক্ষেপের সুযোগ থাকবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রথম ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে মর্যাদা পেয়েছিল তামিল। 

    ধ্রুপদী মর্যাদা পাওয়ার ফলে কোন কোন সুবিধা 

    এই স্বীকৃতি পেলে সেই ভাষা (Classical language) নিয়ে গবেষণা এবং সাহিত্য চর্চার জন্য বিশেষ অনুদান দেয় কেন্দ্র। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলাদা বিভাগ বা কেন্দ্র গঠন করা হয়। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সেই ভাষার মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। ধ্রুপদী ভাষার (Bengali Language)  মর্যাদা পেলে তাতে লেখা প্রাচীন পাণ্ডুলিপি, শিলালিপি, এবং দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থসমূহ সংরক্ষণের জন্য বিশেষ উদ্যোগী হওয়া হয়। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই স্বীকৃতি প্রাপ্ত ভাষাকে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ বৃদ্ধি পায়। ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পাওয়ার ফলে বাংলার সাহিত্যিক, গবেষক ও ভাষাবিদদের জন্য বিশেষ পুরস্কার ও সম্মাননার ব্যবস্থাও করা হবে। ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদার কারণে পেশাদারী ক্ষেত্রে বাংলার ব্যবহারিক প্রয়োগ আরও যে বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এর ফলে কর্মসংস্থান এবং আর্থিক লাভের সম্ভাবনা হবে বলেও কেন্দ্র সরকারের দাবি।

    ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’, প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    বাংলা (Bengali Language) ধ্রুপদী ভাষার (Classical language) তকমা পাওয়ায় খুশির হাওয়া সর্বত্র। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, আপামর বাঙালিকে পুজোর আগে বিশেষ উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রের এই স্বীকৃতি যারা বাংলায় কথা বলেন তাঁদের কাছে পুজোর সেরা উপহার। এই স্বীকৃতির ফলে বাংলা ভাষা নিয়ে গবেষণা এবং সাহিত্য চর্চার জন্য বিশেষ অনুদান দেবে কেন্দ্রীয় সরকার, এর ফলে প্রাচীন পাণ্ডুলিপি, শিলালিপি ও দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থসমূহ সংরক্ষণের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হবে।’’

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মতে, বাঙালিদের জন্য এটা ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’। তিনি বলেন, ‘‘সমগ্র রাষ্ট্রের দরবারে বাংলা ভাষাকে অন্যতম ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সুদীর্ঘকাল ধরে প্রতিটি বাঙালির মাতৃভাষাকে ঘিরে যে স্বপ্ন, তা আজ পূরণ হল প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে।’’ একটি ‘স্ক্রিনশট’ও তিনি শেয়ার করেছেন। সেখানে জানানো হয়েছে, তামিল, সংস্কৃত, তেলুগু, কন্নড়, মালয়ালম, ওড়িয়ার সঙ্গে ধ্রুপদী ভাষার তালিকায় জুড়ল বাংলা, মরাঠি, পালি, অহমিয়া এবং প্রাকৃত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • Daily Horoscope 04 october 2024: অশান্তি থেকে সাবধান থাকা দরকার এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 04 october 2024: অশান্তি থেকে সাবধান থাকা দরকার এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বন্ধুদের জন্য অশান্তি বাড়তে পারে।

    ২) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা। 

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) অশান্তি থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ২) ব্যবসায় বাড়তি লাভ হতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মিথুন

    ১) ব্যবসায় কাজের দায়িত্ব বাড়তে পারে।

    ২) নেশার প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) সখপূরণ হবে।

    কর্কট

    ১) লোকে দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে।

    ২) ব্যবসায় সমস্যা বাড়তে পারে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) দাম্পত্য জীবনে অশান্তির সময়।

    ২) মায়ের সঙ্গে বিবাদ ও মনঃকষ্ট।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কন্যা

    ১) অর্শের যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) ব্যবসায় অশান্তি বাড়তে পারে।

    ২) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) শারীরিক সমস্যার জন্য ব্যবসায় সময় দিতে পারবেন না।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির সময়।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    ধনু

    ১) চিকিৎসার জন্য খরচ বৃদ্ধি।

    ২) কোনও বন্ধুর সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) স্ত্রীর কথায় বিশেষ ভাবে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

    ২) খেলাধুলায় নাম করার ভালো সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) ভ্রমণের সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ২) নিজের অজান্তেই কোনও কাজের সুবাদে সকলের প্রীতিলাভ করবেন। 

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মীন

    ১) কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাবেন।

    ২) একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে।

    ৩) ভালোই কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: ফিরবে সৌভাগ্য! শাস্ত্র মতে বিশেষ রঙের পোশাক পরুন পুজোর পাঁচ দিন

    Durga Puja 2024: ফিরবে সৌভাগ্য! শাস্ত্র মতে বিশেষ রঙের পোশাক পরুন পুজোর পাঁচ দিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ একটা বছর অপেক্ষার পর মা দুর্গা আবার আসছেন বাপের বাড়ি। চারপাশে ঢাকের বাদ্যি, উৎসবের মেজাজ। সাজগোজ হোক কিংবা পোশাক—পুজোর চার দিন সব কিছুই হতে হবে পরিপাটি। পুজো মানেই নিজের পছন্দের পোশাকে নিজেকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা। সারা বছর কেনাকাটা হোক বা না হোক, দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2024) কেনাকাটা মাস্ট। তাই পুজোর চারদিন বিভিন্ন রঙের পোশাকে নিজেকে সাজিয়ে নিন। তবে, সৌভাগ্য বজায় রাখতে হলে বা মায়ের আশীর্বাদ পেতে হলে শাস্ত্র মতে বিশেষ রঙের পোশাক পরুন পুজোর কটা দিন। 

    বিশেষ রঙের গুরুত্ব

    জ্যোতিষশাস্ত্রে রঙের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রং আমাদের সৌভাগ্য বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকে। হিন্দু ধর্ম অনুসারে বিভিন্ন দেবদেবীর নিজস্ব প্রিয় রং রয়েছে। শাস্ত্রেই রয়েছে মা দুর্গার ৯টি রূপের, নয়টি আলাদা রং রয়েছে। দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2024) পোশাক বেছে নেওয়ার সময় এই ৯টি রঙের কথা মাথায় রাখুন। এক্ষেত্রে অবাঙালিরা নবরাত্রি পালন করলেও, বাঙালিরা পুজোর চারদিনের পোশাকই বেছে নিন। 

    আরও পড়ুন: বর্গিদের হাত থেকে সুন্দরবনবাসীকে রক্ষা করতে শুরু হয়েছিল মা দুর্গার আরাধনা!

    কোন দিন কোন রঙ (Durga Puja 2024)

    দুর্গা ষষ্ঠীতে মা দুর্গার মা কাত্যায়নী রূপের পুজো হয়। কাত্যায়নীর পছন্দের রঙ লাল। তাই আমরা ষষ্ঠীতে লাল রঙের পোশাক পরলে মায়ের আশীর্বাদ পাওয়ার সম্ভবনা থাকে। মায়ের কালরাত্রি রূপের পুজো হয় এ দিন। দুর্গার এই রূপের পছন্দের রঙ নীল। তাই এবার সপ্তমীতে নীল রঙের পোশাক পরলে দুর্গার আশীর্বাদ পেতে পারেন। মা দুর্গার মহাগৌরী রূপ এ দিন পূজিত হয়। মহা গৌরীর প্রিয় রঙ গোলাপী। তাই অষ্টমীর সন্ধ্যেয় আমাদের নতুন পোশাকের রঙও গোলাপি হলে মা দুর্গার কৃপাদৃষ্টি পেতে পারি আমরা। নবরাত্রির শেষ দিন মহা নবমীতে দুর্গার মা সিদ্ধিধাত্রী রূপের পুজো করা হয়। মায়ের এই রূপের পছন্দের রঙ বেগুনি। নতুন পোশাক-কাপড়ও এদিন আমরা বেগুনি রঙের পরলে মা দুর্গার আশীর্বাদ লাভ করতে পারি। দশমীতে দেবীর বিসর্জন, আবার অপেক্ষা এক বছরের। এদিন লাল ও সাদা রঙের পোশাক পরা সবচেয় শুভ বলে প্রচলিত বিশ্বাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share