Tag: Madhyom

Madhyom

  • Durga Puja 2024: নবমী মানেই বাঙালির হেঁশেলে মটন চাই! খেয়াল রাখবেন শরীরটারও

    Durga Puja 2024: নবমী মানেই বাঙালির হেঁশেলে মটন চাই! খেয়াল রাখবেন শরীরটারও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবমী মানেই বাতাসে বিদায়ের সুর। আর তো একটা দিন, তার পর আবার এক বছরের অপেক্ষা। তাই মন খারাপের অনুভূতি। তবে এর থেকে ভুলতে ভুরিভোজেই (Durga Puja 2024) মেতে ওঠে বাঙালি। নবমী মানে বাঙালি ঘরে মটন চাই। কচি পাঁঠার ঝোল বা কষা খাসির মাংস-দুটোই সমান জনপ্রিয়। তবে যে যে বাড়িতে পুজো হয় বা যাঁরা নবরাত্রি পালন করেন তাঁরা নবমীর (Navami) মটনটা অন্যদিন চেখে নেন। তবে একথাও ভুলে গেলে চলবে না যে, নবমীতে জমিয়ে ভুরিভোজ করার পর ফেঁপে যেতে পারে পেট। শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খাওয়ার আগে একটু সচেতন হলেই হল।

    কারা সতর্ক হবেন

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মটনের যে কোনও পদ সহজপাচ্য হয় না। এটি চর্বিযুক্ত মাংস। তাই কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। হৃদরোগীদের মটন খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ, মটনে থাকে অতিরিক্ত ফ্যাট আর এই প্রাণীজ প্রোটিন, যা হজম করাও বেশ কঠিন। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। পাশপাশি যাদের কোলেস্টেরল আছে, তাদের ক্ষেত্রেও মটন খাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকছে (Durga Puja Food)। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মটন খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আরও তৈরি হয়। তাই মটনে না হোক, হাই কোলেস্টেরলে আক্রান্তদের সতর্ক হতেই হবে। রক্তচাপ যাদের বেশি তাদের একেবারেই মটন খাওয়া যাবে না বলে সাফ জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।  মটনের অতিরিক্ত চর্বি রক্তচাপ বাড়ায়।

    আরও পড়ুন: এবার দেবী দুর্গার আগমন দোলায়, গমন গজে, এর ফল কী হতে পারে জানেন?

    খেতে হলে অল্প খান

    বছরের বিশেষ দিনে (Durga Puja 2024) অনেক সময়ই নিয়মের বাইরে খাওয়া চলে। নবমীর (Navami) দিন একেবারেই মটন মেনু থেকে বাদ দেওয়াও হয়তো কঠিন। কিন্তু কিছু সতর্কতা অবশ্যই মেনে চলতে হবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।  হৃদরোগ কিংবা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তরা কখনই দুই পিসের বেশি মটন খাবেন না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পরিমিত খাবার খুব জরুরি। তাই খুব সামান্য পরিমাণে খেলে অনেক ক্ষেত্রে বিপদের আশঙ্কা কমে। নবমীতে ভারী খাবার খাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে পুজোর অন্য দিনগুলোতে সহজপাচ্য, কম ফ্যাট জাতীয় খাবারের পরিকল্পনা করা জরুরি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Plastic Waste: তাক লাগিয়ে দিল ভারত! প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে ৪০ হাজার কিমি গ্রামীণ রাস্তা

    Plastic Waste: তাক লাগিয়ে দিল ভারত! প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে ৪০ হাজার কিমি গ্রামীণ রাস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্লাস্টিক। আধুনিক বিশ্বে আপাতত এটাই সব চেয়ে বেশি মাথাব্যথার কারণ বিজ্ঞানীদের। সেই প্লাস্টিককেই কাজে লাগিয়ে তাক লাগিয়ে দিল ভারত। প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে তৈরি হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তা (Plastic Waste)।

    ৪০ হাজার কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ (Plastic Waste)

    জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার অধীনে (India) প্রায় ৪০ হাজার কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে এই প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে। পানীয় জল ও স্যানিটেশন বিভাগের সচিব ভিনি মহাজন জানান, গত দু’বছরে এই টেকসই পদ্ধতি ব্যবহার করে ১৩ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মহাজন বলেন, “এই উদ্ভাবনগুলো আমাদের টেকসইতা এবং ভারতের স্যানিটেশন ব্যবস্থার ভবিষ্যতের প্রতি প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে।” তিনি জানান, গ্রে-ওয়াটার ও প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

    “স্বচ্ছতা একটি সামাজিক বিষয়” 

    তিনি বলেন, “৫৫ শতাংশের বেশি গ্রামকে ওডিএফ প্লাস মডেল ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে সারা দেশে পাঁচ লাখ বর্জ্য সংগ্রহের গাড়ি চালু রয়েছে।” এই অগ্রগতির জন্য তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সমষ্টিগত সহযোগিতাকে কৃতিত্ব দিয়েছেন, বিশেষত স্বচ্ছতা হি সেবা ২০২৪ প্রচারের ক্ষেত্রে। পানীয় জল ও স্যানিটেশন বিভাগের সচিব বলেন (Plastic Waste), “স্বচ্ছতা একটি সামাজিক বিষয় যা আমাদের সবাইকে একত্রিত করে। যা সর্বোচ্চ স্তর থেকে স্থানীয় সম্প্রদায় পর্যন্ত একটি সুসংহত নেতৃত্ব দ্বারা পরিচালিত হয়।”

    আরও পড়ুন: ‘স্বাস্থ্যব্যবস্থা মানুষ মারার ও লুট করার যন্ত্রে পরিণত হয়েছে’, তোপ সুকান্তর

    এদিকে, কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকরি বলেন, “হাইওয়ে নির্মাণে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার এখন বাধ্যতামূলক।” তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত ৮০ লাখ টন বর্জ্য পুনর্ব্যবহৃত করে জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে দিল্লি থেকে মুম্বইয়ের মহাসড়কও রয়েছে (India)। মন্ত্রী বলেন, “বর্জ্য পুনর্ব্যবহার কেবল দূষণ কমাতে সাহায্য করে না, এটি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করে।” বর্জ্য থেকে জ্বালানি তৈরির সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে গডকরি বলেন, “ভারতীয় তেল ও অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গে বর্জ্য থেকে বায়ো-সিএনজি উৎপাদনের প্রকল্প চলছে (Plastic Waste)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: কাল অষ্টমীতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে অসুরেরও! না হলে দেবী বধ করবেন কাকে?

    Durga Puja 2024: কাল অষ্টমীতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে অসুরেরও! না হলে দেবী বধ করবেন কাকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবীর অধিবাস, বোধন পেরিয়ে বাংলায় মহাষ্টমীতেই হয় অসুর পুজো। মহিষাসুরকেও এই সময়ে প্রণাম করা বিধেয়, ‘ওঁ মহিষ ত্বং মহাবীর ইন্দ্রাদিদেবমর্দকঃ।’ মহাষ্টমীর (Mahastomi) দিন অসুরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা না করলে দুর্গাপুজো সম্পন্ন হয় না। প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর চলে অসুর পুজো। তারপর মহিষাসুর বধ।

    কেন হয় অসুরের পুজো

    ষষ্ঠ্যাদি কল্পে যাঁদের পরিবারে দুর্গাপুজো (Durgapujo) হয়, তাঁদের পুজোর তৃতীয় দিন মহাষ্টমী। যে কল্পে সচরাচর পুজো হয়, সেটি হল ষষ্ঠ্যাদি কল্প। যেসব পরিবারে এই কল্পে পুজো হয়, তাঁদের পুজো শুরু ষষ্ঠীর দিন। এদিন দেবতার সঙ্গে সঙ্গে পুজো হয় দানবেরও। এদিন প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয় অসুরের। তার পরেই পুজো হয় অসুরের, তাঁকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা হয়। শাস্ত্রকারদের মতে, দেবী দুর্গা যেদিন মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন, সেদিন ছিল অষ্টমী তিথি। মহিষাসুর বধের সময় হয় অষ্টমী-নবমীর সন্ধিক্ষণ। সপ্তমীতে দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়ে যায়। লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ এবং নবপত্রিকার প্রাণ প্রতিষ্ঠাও হয় এদিনই। বাকি অসুরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয় অষ্টমীতে। কারণ মহিষাসুরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা না হলে দেবী কাকে বধ করবেন? এই কারণেই অষ্টমীপুজোর দিন পুরোহিতের অন্যতম প্রধান কাজ হল অসুরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা। 

    আরও পড়ুন: এবার দেবী দুর্গার আগমন দোলায়, গমন গজে, এর ফল কী হতে পারে জানেন?

    এদিন অস্ত্রপুজোও হয় এই কারণেই। দেবী অস্ত্র দিয়েই অসুর বধ করবেন। তাই পুজো হবে অস্ত্রেরও। দেবীর বাহন সিংহের প্রাণ প্রতিষ্ঠাও হবে এই দিনেই। অন্যান্য দেবীর বাহনের পুজোও হবে এদিন। অষ্টমীর শেষ চব্বিশ মিনিট ও নবমীর প্রথম চব্বিশ মিনিট এই মোট আটচল্লিশ মিনিটে হবে সন্ধিপুজো। বধ হবেন মহিষাসুর। শুক্লাষ্টমীর বিশেষ মাহেন্দ্রক্ষণে দেবী দুর্গার সন্ধিপুজো হয়। ১০৮ লাল পদ্ম উত্‍সর্গ করা হয় দুর্গার পায়ে। জ্বলে ওঠে ১০৮ প্রদীপ। অষ্টমী আর নবমী তিথির শুভ সন্ধিক্ষণে এই পুজো হয়ে থাকে। মন্ত্রের অণুরণনে মুখরিত হয়ে ওঠে বাতাস। পটকা, দামামা, শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বাদ্যি, উলুধ্বনি, ঘন্টা সব মিলিয়ে শব্দের স্রোত যেন ভাসিয়ে নিয়ে যায় চারপাশ। মন্ত্রোচ্চারণ আর ১০৮ প্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে দুর্গার ঘামতেলযুক্ত মুখমণ্ডল। অষ্টমীতিথির বিদায় আর নবমীর আগমনে এই সন্ধিপুজো চলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jharkhand: তত্তপানি হট ওয়াটার স্প্রিং, রুদ ফরেস্ট..লাতেহার জুড়ে প্রকৃতির অজস্র হাতছানি

    Jharkhand: তত্তপানি হট ওয়াটার স্প্রিং, রুদ ফরেস্ট..লাতেহার জুড়ে প্রকৃতির অজস্র হাতছানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের লাতেহার জেলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু অসামান্য সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান, যেগুলির খবর আমরা অনেকেই রাখি না। এর মধ্যে অন্যতম হল তপ্তপানি হট ওয়াটার স্প্রিং (Jharkhand)। স্থানীয় ভাষায় তত্তপানি কথার অর্থ গরম জল। অনেকেই মনে করেন, বিভিন্ন খনিজ পদার্থ মিশ্রিত থাকার কারণে এই জলে স্নান করলে বহু রোগব্যাধির নিরাময় হয়। বেতলা অরণ্যের খুব কাছেই এই ওয়াটার স্প্রিং। বেতলা থেকে ৩০-৩৫ কিমি দূরে বারেসাদের পথে মারোমার হয়ে ঘন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পথ গিয়েছে কোয়েল নদীর দিকে। এই পথেই পড়বে আর একটি অপূর্ব সুন্দর স্থান “আকশি” (Tourist attractions)। একটু এগিয়ে কোয়েল নদীর তীরে রয়েছে উলফ স্যাংচুয়ারি। সম্পূর্ণ অঞ্চলটাই শাল, পলাশ, পিয়াল, মহুয়া গাছের অরণ্যে ঘেরা।

    ঘন জঙ্গলে ঢাকা স্থান কেঁড় (Jharkhand)

    এখানকার আর একটি অপরূপ সুন্দর স্থান হল কেঁড়। বেতলা থেকে মহুয়াডার হয়ে নেতারহাট যাওয়ার পথেই চারদিকে ঘন জঙ্গলে ঢাকা স্থান এই কেঁড়। কেঁড়ের খুব কাছেই আরও একটি অপূর্ব সুন্দর স্থান “পরেশ টোলা”। এখান থেকে আবার খুব কাছেই রয়েছে এমন একটি অপূর্ব সুন্দর অরণ্য, যার খবর আমরা অনেকেই রাখি না। এই অরণ্যর নাম “রুদ ফরেস্ট”। বেতলা থেকে প্রায় ৩০-৩৫ কিমি দূরে গাড়ু। গাড়ু থেকে আরও প্রায় ২৫-৩০ কিমি দূরে এই রুদ ফরেস্ট। চতুর্দিকে ঢেউ খেলানো পাহাড়ের শ্রেণি, নিবিড় অরণ্য, নদী, ছোট ছোট ঝর্ণা, অনাবিল সবুজে ঢাকা পরিবেশ, আর আদিবাসী মানুষজনের অকৃত্রিম সারল্য যে কোনও পর্যটককে মুগ্ধ করবেই।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?

    লাতেহারের (Jharkhand) এইসব স্পটগুলিতে আসতে হলে প্রথমে আসতে হবে ডাল্টনগঞ্জ অথবা তার আগের স্টেশন বারাওডি। হাওড়া থেকে আসছে শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস, ভূপাল এক্সপ্রেস প্রভৃতি ট্রেন।ডাল্টনগঞ্জ থেকে বেতলার দূরত্ব প্রায় ২৪ এবং বারাওডি প্রায় ১৬ কিমি। এটুকু পথ যেতে হবে গাড়িতে। বর্তমানে এই স্থানগুলিতে গড়ে তোলা হয়েছে বনবাংলো। বুকিং-এর জন্য প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন ডিএফও, ডাল্টনগঞ্জ সাউথ ফরেস্ট ডিভিশন, পালামৌ-৮২২১০১, অথবা ফোন করতে পারেন ০৬২০৬২২০৩১৪ নম্বরে। আর জঙ্গল সাফারি, গাড়ি প্রভৃতির জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ০৯৯৫৫৫২৭৩৭১ নম্বরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘স্বাস্থ্যব্যবস্থা মানুষ মারার ও লুট করার যন্ত্রে পরিণত হয়েছে’, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘স্বাস্থ্যব্যবস্থা মানুষ মারার ও লুট করার যন্ত্রে পরিণত হয়েছে’, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা মানুষ মারার ও লুট করার যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বালুরঘাটে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। একইসঙ্গে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন তিনি।

    স্বাস্থ্যব্যবস্থা লুটের আখড়া (Sukanta Majumdar)

    মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে ময়না তদন্ত করতে গেলে টাকা দাবি করা হয়। এনিয়ে কয়েকদিন আগে ওই হাসপাতালে গন্ডগোল হয়। এই প্রসঙ্গে এদিন সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “শুধু মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ নয়, পশ্চিমবঙ্গ বঙ্গের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে এক অবস্থা। কোনও রোগী মারা গেলে ময়নাতদন্ত করতে গেলে বলে দশ -পনেরো হাজার টাকা দিতে হবে তাহলে বডি সেলাই করবে না। এই তৃণমূল সরকারের (Trinamool Congress) আমলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা একটা লুটের আখড়ায় পরিণত হয়ে গিয়েছে। এই সরকারের আমলে মানুষ হাসপাতালে গেলে মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। হাসপাতালে ডাক্তাদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। তৃণমূল তো এই রাজ্যটাকে মানুষ খুনের যন্ত্র বানিয়ে দিয়েছে। মানুষ হাসপাতালে গেলে বাঁচবে, না মরবে তার কোনও ভরসা নেই।”

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে ফের নিম্নচাপ! ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ, উত্তরেও বৃষ্টির সম্ভাবনা!

    মৃত বিজেপি নেত্রীর পরিবারের পাশে সুকান্ত

    এদিন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বালুরঘাট হাসপাতালের চিকিৎসায় গাফিলতিতে মৃত বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মামনি বর্মনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন সুকান্ত মজুমদার। মৃত বিজেপি নেত্রীর নাবালিকা মেয়ের হাতে এক লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। পাশাপাশি মৃত মামনি বর্মনের নাবালক ছেলেকেও এক লক্ষ টাকার চেক দেবেন বলে জানালেন। মৃত বিজেপি নেত্রীর নাবালক ছেলে এবং মেয়ের পড়াশুনা এবং ভবিষ্যতের কথা ভেবেই মোট দুই লক্ষ টাকা দেওয়া হয় বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার কারণে বিজেপি নেত্রী মামনি বর্মনের মৃত্যু হয়েছে দিন কয়েক আগে। ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর কারণে তার পরিবার থেকে সেদিনই বালুরঘাট থানায় অভিযোগ করা হয়। কিন্তু, সেই মামলায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে দলের পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja Sweets: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দশমীর ‘স্পেশাল’ মিষ্টি’ কতখানি বিপজ্জনক? 

    Durga Puja Sweets: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দশমীর ‘স্পেশাল’ মিষ্টি’ কতখানি বিপজ্জনক? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দশমী মানেই মিষ্টিমুখ। বাঙালির দুর্গোৎসবের এই শেষ দিনে একদিকে মাকে বিদায় জানানোর পালা, আরেকদিকে মিষ্টিমুখ করে পাশের মানুষের সঙ্গে সৌহার্দ্য-সম্পর্ক আরও মজবুত করাই রেওয়াজ (Durga Puja Sweets)। মিষ্টি বাঙালির উৎসবের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে। আনন্দে, বিষাদে, উদযাপনে মিষ্টি ছাড়া চলে না। কিন্তু মিষ্টি যে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বড়ই বিপজ্জনক। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের দশমীর দিন উদযাপনে অনেক সময়েই মিষ্টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু অনেক সময়েই ডায়বেটিস রোগীরা নিজেরাই বিকল্প খুঁজে নেন। দশমীতে অনেক জায়গাতেই পাওয়া যায়, ‘ডায়বেটিস স্পেশাল’ মিষ্টি। আর এই মিষ্টিগুলো বেশিরভাগ তৈরি হয় কৃত্রিম চিনিতে। কিন্তু এই কৃত্রিম চিনি আরও বিপজ্জনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই দশমীর দিনে কৃত্রিম চিনিতে একেবারেই মিষ্টিমুখ করা যাবে না বলেই সাফ জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন কৃত্রিম চিনি ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বিপজ্জনক? (Durga Puja Sweets)

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কৃত্রিম চিনি স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এক নির্দেশিকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়, কৃত্রিম চিনিতে কোনও পুষ্টিগুণ নেই। বরং এর কিছু উপাদান শরীরের জন্য বিপজ্জনক। তাই কৃত্রিম চিনিকে কখনই প্রাকৃতিক মিষ্টির তুলনায় ভালো উপকরণ মনে করা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কৃত্রিম চিনিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে সুক্রোজ, অ্যাসপার্টেম, স্যাকারিন, স্টিভিয়ার মতো একাধিক উপকরণ। রাসায়নিক একাধিক উপকরণে তৈরি এই কৃত্রিম চিনি তাই শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের শর্করা নিয়ন্ত্রণে কৃত্রিম চিনির কোনও ভূমিকাই নেই। বরং এই ধরনের রাসায়নিক কিডনির উপরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে।

    কিডনি রোগের ঝুঁকি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনির রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। তার উপরে কৃত্রিম চিনির (Artificial sugar) তৈরি খাবার খেলে সেই ঝুঁকি আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এছাড়াও কৃত্রিম চিনির রাসায়নিক স্নায়ুর উপরেও চাপ বাড়ায়। তাই স্নায়ু ঘটিত অসুখের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মাইগ্রেনের মতো সমস্যাও বাড়াতে পারে কৃত্রিম চিনি। এমনকী কৃত্রিম চিনির রাসায়নিক পদার্থ ক্যান্সারের মতো রোগের প্রকোপ বাড়িয়ে দেয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
    ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কৃত্রিম চিনির তৈরি মিষ্টি খাওয়ার তুলনায় প্রাকৃতিক চিনিতে তৈরি মিষ্টি শরীরের জন্য কম ক্ষতিকারক। তবে ডায়বেটিস আক্রান্তদের মিষ্টি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ (Durga Puja Sweets)। 

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohammad Azharuddin: ২০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপ! মহম্মদ আজহারউদ্দিনকে তলব ইডির

    Mohammad Azharuddin: ২০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপ! মহম্মদ আজহারউদ্দিনকে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা কংগ্রেস নেতা মহম্মদ আজহাউদ্দিনকে (Mohammad Azharuddin) নোটিস পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত আর্থিক তছরুপের মামলায় বৃহস্পতিবার আজহারকে তলব করেছিল ইডি (ED Notice)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক চিঠি দিয়ে সময়ে চেয়েছেন।

    কী অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন আজহার (Mohammad Azharuddin)। সেই সময়ই তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপির অভিযোগ ওঠে। এই বিষয়ে প্রথমবার কংগ্রেস নেতাকে সমন পাঠাল ইডি। বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবরের মধ্যে ইডির সামনে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মহম্মদ আজহারউদ্দিনকে। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে ডিজেল জেনারেটর কেনা, অগ্নিনির্বাপক পদ্ধতির উন্নতির জন্য যে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, সেই অর্থের হেরফেরের অভিযোগ উঠেছে আজহারউদ্দিনের বিরুদ্ধে। চার্জশিট অনুসারে, সময়সীমা থাকা সত্ত্বেও, বেশ কয়েকটি কাজ অত্যধিকভাবে বিলম্বিত হয়েছিল যার ফলে ব্যয় বৃদ্ধি হয় হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের। পরিচিত কন্ট্রাক্টারদের মার্কেটের দামের থেকে বেশি মূল্যে বিভিন্ন কন্ট্রাক্ট পাইয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে তৎকালীন সচিব, সভাপতিদের বিরুদ্ধে। এমনকী বিভিন্ন কোম্পানিকে অগ্রিম অর্থ দেওয়া হলেও, অনেক ক্ষেত্রে কোনওরকম কাজই হয়নি।

    আরও পড়ুন: ইউনূস শিখণ্ডি মাত্র! বাংলাদেশ চালাচ্ছে ২৮ বছরের এক যুবক, বিস্ফোরক তসলিমা

    সময় চাইলেন আজহার

    তবে আজহারউদ্দিন (Mohammad Azharuddin) ইডির অফিসে যাননি। তিনি হাজিরার আগে খানিকটা সময় চেয়ে নিয়েছেন। চিঠি লিখে ইডিকে (ED Notice) মহম্মদ আজহারউদ্দিন জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্র নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারবেন না। ৩-৪ সপ্তাহ সময় চেয়েছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। তবে কবে তিনি হাজিরা দেবেন সে বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করে জানাননি। আজহারকে ইডির সামনে হাজিরা দিয়ে গোটা ঘটনায় তাঁর ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছিল। হায়দরাবাদের অ্যান্টি-কর্পারেশন ব্যুরোর দায়ের করা তিনটি এফআইআরের ভিত্তিতে গত বছরের নভেম্বর মাসে ইডি তেলঙ্গানার  নয় জায়গায় অভিযান চালায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tushar Goel: “রাহুলের মহব্বত কি দুকানে এখন মাদকও বিক্রি হচ্ছে”, তোপ বিজেপির

    Tushar Goel: “রাহুলের মহব্বত কি দুকানে এখন মাদকও বিক্রি হচ্ছে”, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫৬২ কেজিরও বেশি কোকেন বাজেয়াপ্ত করেছে দিল্লি পুলিশ। বাজারদর কয়েক হাজার কোটি টাকা। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড তুষার গোয়েল (Tushar Goel)। এক সময় কংগ্রেসের (Congress) আরটিআই সেলের চেয়ারপার্সন ছিলেন তিনি।

    কোকেন পাচারে জড়াল কংগ্রেস নেতা (Tushar Goel)

    কোকেন পাচারে দলীয় নেতার নাম জড়িয়ে যাওয়ায় যারপরনাই বিব্রত কংগ্রেস। তুষার যে দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত, তা জানা গিয়েছে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল থেকে। সেখানে তাঁর নাম রয়েছে ডিক্কি গোয়েল। পুলিশি জেরায় তুষার কবুল করেছেন, তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।২০২২ সালে তিনি দলের আরটিআই সেলের চেয়ারপার্সন ছিলেন। তুষার ছাড়াও কোকেন পাচারের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরও তিনজনকে। এরা হল ভরত জৈন, হিমাংশু এবং আওরঙ্গজেব। কোকেনের পাশাপাশি পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে (Tushar Goel) ৪০ কেজি মারিজুয়ানা বাজেয়াপ্ত করেছে। এই পরিমাণ মাদকের মূল্য ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এ পর্যন্ত দিল্লিতে যত মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, এটাই সব চেয়ে বড়।

    বিজেপির তোপ

    মাদক পাচারের ঘটনায় তুষার গ্রেফতার হতেই আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি। দলের নেতা সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “রাহুল গান্ধীর মহব্বত কি দুকানে এখন মাদক বিক্রি হচ্ছে।” বিজেপির এই নেতা জানান, ২০০৬ থেকে ২০১৩ এই সময় ইউপিএ আমলে দিল্লিতে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার মাদক। তিনি বলেন, “আর ২০১৪ থেকে ২০২২ (বিজেপির রাজত্বে) মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকার। মূল অভিযুক্ত তুষার গোয়েল ভারতীয় যুব কংগ্রেসের আরটিআই সেলের প্রধান। ঘটনাটি খুবই সিরিয়াস।”

    আরও পড়ুন: টার্গেট হিন্দু মেয়েরা! ব্যাপকহারে চলছে ‘লাভ জিহাদ’, বড় মন্তব্য আদালতের

    রাহুলকে নিশানা করে তিনি বলেন, “এটা এখন স্পষ্ট যে রাহুল গান্ধীর মহব্বত কি দুকান থেকে ঘৃণা ছড়ানো হত। এখন এরা আবার মাদকও বিক্রি করছে।” কংগ্রেস এই টাকা নির্বাচনে ব্যয় করছে কিনা, সে প্রশ্নও তোলেন ত্রিবেদী। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য বলেন, “তুষার গোয়েল ওরফে ডিক্কি নামে একজন গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁর সোশ্যাল প্রোফাইল থেকে জানা যাচ্ছে, হরিয়ানা কংগ্রেস (Congress) নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে (Tushar Goel)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: টালিগঞ্জে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের হামলা, জল গড়াল হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: টালিগঞ্জে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের হামলা, জল গড়াল হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর ইস্যুতে টলিগঞ্জে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে হামলার ঘটনার জল গড়াল এবার হাইকোর্টেও (Calcutta High Court)। মূলত, ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল। তৃণমূল কাউন্সিলরের মদতে ওই কর্মসূচিতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। মহিলাদের মারধর করারও অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। শুক্রবার মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Calcutta High Court)

    আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ১ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে রাত দখলের ডাক দিয়ে প্রতিবাদ মিছিল (Calcutta High Court) হয়। টালিগঞ্জের করুণাময়ী এলাকাতেও একটি মিছিল হয়। অভিযোগ সেখানে অতর্কিত হামলা করেন ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রত্না শূর এবং তাঁর লোকজন। আগাম অনুমতি নিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালীন হামলার সময় পুলিশ ঘটনার সময় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। এক আন্দোলনকারী বলেন, “প্রণব রায়, গোড়া রায় নামে গুন্ডারা এসে ট্রাফিক কন্ট্রোল করা শুরু করে। সেখান থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। রত্না শূর নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এই হামলা সংগঠিত করিয়েছেন। বাচ্চাদের মহিলা, বয়স্কদেরও মেরেছে।”আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। সেই কারণে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে ফের নিম্নচাপ! ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ, উত্তরেও বৃষ্টির সম্ভাবনা!

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল কাউন্সিলর অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ (Calcutta High Court) অস্বীকার করেন। রত্না শূর বলেছিলেন, “কালো গেঞ্জি পরা একটা মেয়ে তাঁকে ‘চটি চাটা চটি চাটা’ বলে আঙুল তুলে ধমকাচ্ছিল।” তিনি এও বলেন, “আমার নেতৃত্বে হামলা হচ্ছে। আমার নেতৃত্বে হলে তো আমার ১০০ লোক জড়ো করার ক্ষমতা রয়েছে। এই সব তো আমি জানিই না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: ৫০০ বছরের প্রাচীন রানাঘাটের ঘোষবাড়ির দুর্গাপুজোয় সাবেকিয়ানার ছোঁয়া

    Durga Puja 2024: ৫০০ বছরের প্রাচীন রানাঘাটের ঘোষবাড়ির দুর্গাপুজোয় সাবেকিয়ানার ছোঁয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানাঘাট শুধু নয়, নদিয়ার প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম ঘোষবাড়ির দুর্গাপুজো। ১৫২০ খ্রিস্টাব্দে চৈতন্যচরণ ঘোষ হুগলি জেলার আকনা থেকে আসেন ব্রহ্মডাঙ্গায়, যা পরে রানাঘাট নামে পরিচিত হয়। এখানে তিনি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) সূচনা করেন। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর তাঁর ছোট ভাই মকারন্ধ ঘোষের বংশধররা দুর্গাপুজো করে আসছেন। বর্তমানে ২৯ তম বংশপরম্পরায় এই পুজো হচ্ছে। এই বংশের ২৯ তম পুরুষ রণজিৎ ঘোষ বলেন, দুর্গাপুজো প্রথম শুরুর যে মাটি দিয়ে পাটা তৈরি হয়েছিল, সেই মাটি দিয়ে আজও পাটা তৈরি হয়ে আসছে। তুলে রাখা হয় কিছু মাটি। সেই মাটি দিয়েই পাটা তৈরি হয় বছরের পর বছর। এই ভাবে হয়ে আসছে দেবীমূর্তি।

    ১৯৩৪ সালে পাঁঠাবলি বন্ধ (Durga Puja 2024)

    ৫০৪ বছর ধরে হয়ে আসছে এই পুজো। এ বছর পড়ল ৫০৫ তম বছরে। একটা সময় ৫১টি পাঁঠা ও মোষ বলি হত। ১৯৩৪ সালে পাঁঠাবলি বন্ধ হয়ে যায় স্বপ্নাদেশে এবং ঘোষ বংশের রামগোপাল ঘোষ মারা যান, ক্ষয়ক্ষতিও হয়। তার পর থেকে আর বলি হয়নি। পঞ্চমীতে বোধন শুরু হয়, ষষ্ঠীতে নয়। তার পর অধিবাসের সময় রক্ষা প্রদীপ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। প্রদীপ জ্বালান এই বংশের পুরুষ, যে প্রদীপ নেভে না। বিসর্জন হয়ে গেলে পাঠ ভেঙে সেই রক্ষা প্রদীপের থেকে প্রদীপ জ্বালিয়ে বাড়ির বিভিন্ন ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই প্রদীপের আলোতে ১০৮বার দুর্গা নাম লেখা হয় কলাপাতার ওপর। তার পর চূর্ণী নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়, নয়তো তুলসী তলায় দেওয়া হয়। এরপর মুড়ি-মুড়কি, পকান্ন দেওয়া হয় (Ranaghat)।

    দশমীর দিন শুক্ত, মাছ, ভাত খাইয়ে বরণ

    নবমীর দিন (Durga Puja 2024) থোর ও মোচার ভোগ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কাদা খেলা হয়। রান্না করা ভোগ অষ্টমী দিন দেওয়া হয়। আর অন্য দিনগুলিতে মশলা, চাল ইত্যাদি কাঁচা ভোগ দেওয়া হয়। দশমীর দিন শুক্ত, মাছ, ভাত খাইয়ে বরণ করা হয়। ওই দিন টাটকা ফুলে পুজো হয় না, বাসি ফুলে পুজো হয়। এই প্রাচীন পুজো দেখতে  দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসেন, পাশাপাশি এখানে পুজো ও অঞ্জলি দেন অনেকে। রানাঘাটের ঘোষবাড়ির পুজো আজও তার ঐতিহ্য বহন করে চলেছে (Ranaghat)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share