Tag: Madhyom

Madhyom

  • Bangladesh Crisis: ইউনূস শিখণ্ডি মাত্র! বাংলাদেশ চালাচ্ছে ২৮ বছরের এক যুবক, বিস্ফোরক তসলিমা

    Bangladesh Crisis: ইউনূস শিখণ্ডি মাত্র! বাংলাদেশ চালাচ্ছে ২৮ বছরের এক যুবক, বিস্ফোরক তসলিমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, মহম্মদ ইউনূসকে সামনে রেখে এখন দেশ চালাচ্ছেন ২৮ বছর বয়সি মাহফুজ আলম বা মাহফুজ আব্দুল্লাহ। ৮৪ বছর বয়সের ইউনূস মাহফুজকে তাঁর বিশেষ সহযোগী করেছেন। সেই ‘বিশেষ সহযোগীই’ তাঁর হয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাজ করছেন বলে দাবি করেন তসলিমা।

    ইউনুস সরকারের কথায়-কাজে অমিল

    ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস। এখন তাঁর হাতেই বাংলাদেশের শাসনভার। কিন্তু ইউনূস সরকারের কথায়-কাজে মিল থাকছে না। তিনি সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন, বাস্তবে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, হুমকি দেওয়া চলছেই। দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করেই মৌলবাদীদের কড়া হুঁশিয়ারি এসেছে। তাই ইউনূসের হাতে যে নিয়ন্ত্রণ নেই, তা স্পষ্ট। বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের দাবি, বাংলাদেশ সরকার চালাচ্ছে এক ২৮ বছর বয়সি যুবক। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক দীর্ঘ পোস্টে এই দাবি করেছেন তসলিমা। তিনি লিখেছেন, “আমি মনে করি বাংলাদেশ চালাচ্ছে একটা ২৮ বছর বয়সি ছেলে, তার নাম মাহফুজ আলম বা মাহফুজ আব্দুল্লাহ। মহম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহযোগী সে। ৮৪ বছর বয়সের ইউনূস জরাগ্রস্ত। সুতরাং খুব স্বাভাবিক যে তাঁর বিশেষ সহযোগীই ইউনূসের হয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাজ করছে।” 

    কে এই মাহফুজ

    গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি নামে এক ছাত্র সংগঠনের নেতা মাহফুজ ২০১৫-১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ যে সংগঠনের নামে বাংলাদেশে হাসিনা বিরোধী আন্দোলন চলেছে, সেই সংগঠনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক ছিলেন তিনি। গত ২৮ অগাস্ট তাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে চুক্তিভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে। বলা হয়েছিল, প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক দায়িত্ব পালনে, প্রধান উপদেষ্টাকে সহায়তা করবেন তিনি।

    আরও পড়ুন: আবার অশান্ত বাংলাদেশ! ইউনূসের বাসভবন দখলের চেষ্টা, হাসিনার মতোই কি পরিণতি?

     ইসলামপন্থী মৌলবাদী

    তসলিমার দাবি, মাহফুজ আলম বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শে বিশ্বাসী নয়। সে ইসলামপন্থী মৌলবাদী। ‘হিজবুত তাহরীর’ নামে এক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও সে যুক্ত বলে অভিযোগ তসলিমার। বিতর্কিত লেখিকা জানিয়েছেন, প্রকাশ্যে যদিও মাহফুজ ওই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তাঁর যোগ নেই বলে দাবি করে। তবে, এটা তাদের কৌশল। তসলিমা লিখেছেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কিন্তু ছাত্ররা নিজেদের শিবির পরিচয় গোপন করে শুধু ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ পরিচয়ে সামনে এসেছিল। এই সময় জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা, কোনও কারণ নেই যে, জানিয়ে দেবে তারা জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। সম্ভবত ভেবেছে, একবারেই জানাবে, তাদের খেলাফত স্বপ্ন সফল করার পর।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: আরজি কর হাসপাতাল-পাড়ার ক্লাব ফেরাল সরকারি অনুদান, শুধুই ‘পুজো’ হবে, ‘উৎসব’ নয়

    RG Kar Protest: আরজি কর হাসপাতাল-পাড়ার ক্লাব ফেরাল সরকারি অনুদান, শুধুই ‘পুজো’ হবে, ‘উৎসব’ নয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড (RG Kar Protest) নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। রাজ্যের একাধিক পুজো কমিটি তৃণমূল সরকারের দেওয়া পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছে।খোদ আরজি কর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ভবনের ঠিক উল্টো দিকের রাস্তায় রয়েছে বেলগাছিয়া যুব সম্মিলনী শারদোৎসব সমিতি নামে একটি ক্লাব। পুজোয় (Durga Puja) সরকারি অনুদান তারা ফিরিয়ে দিয়েছে।

     পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের কী বক্তব্য? (RG Kar Protest)

    এবার বেলগাছিয়া যুব সম্মিলনীর (RG Kar Protest) পুজো ৮০ বছরে পদার্পণ করছে। উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পুজোকে অন্যান্য বারের থেকে আলাদা করে উপস্থাপিত করার। কিন্তু পুজো হচ্ছে একেবারে নমো নমো করে। পুজো কমিটির আহ্বায়ক রমেশ পাণ্ডে বলেন, “আমাদের দোরগোড়ায় এমন একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রাজ্য সরকারের দেওয়া অনুদান গ্রহণ করব না। ভৈরব মুখোপাধ্যায় লেনে আমাদের ক্লাবের পাশেই চায়ের দোকানে, পুরনো বাড়ির রোয়াকে আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারেরা বসেন, নিজেদের মধ্যে গল্পগুজবও করেন। নির্যাতিতা চিকিৎসকও ওই পাড়ায় আসতেন, বসতেন। তাঁর নৃশংস এবং মর্মান্তিক মৃত্যুর পরে ‘মানবিক এবং সংবেদনশীল’ দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই আমরা এ বার অনাড়ম্বর ভাবে পুজো করতে চলেছি।” তিনি আরও বলেন,” ইতিমধ্যেই স্থায়ী দুর্গা বেদিতে প্রতিমা এসে গিয়েছে। সপ্তমী এবং নবমীর দিন প্রতি বছর পঙ্ক্তিভোজন হয়। কিন্তু এ বার সে সব কিছুই হচ্ছে না। একই সঙ্গে হচ্ছে না সাংস্কৃতিক উৎসবও।” এলাকার মানুষজনের উদ্দেশে একটি বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যে বার্তায় বলা হয়েছে, “দুয়ারে দুঃসময়।” আরজি করের উল্টো দিকের পাড়ায় শুধুই ‘পুজো’ হবে। ‘উৎসব’ নয়।

    আরও পড়ুন: শিশুকন্যাকে ধর্ষণ-খুনে ৬ বছর পর মিলল বিচার, তান্ত্রিকের মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত

    নির্যাতিতার বাড়়ির পাশের পুজো কমিটি প্রত্যাখ্যান

    এর আগে বিভিন্ন জেলার বেশ কিছু পুজো কমিটি আরজি করের (RG Kar Protest) ঘটনার প্রতিবাদস্বরূপ রাজ্যের দেওয়া ‘দুর্গার ভান্ডার’ প্রত্যাখ্যান করেছে। সেই তালিকায় রয়েছে পানিহাটিতে নির্যাতিতার বাড়ির পাশের পাড়ার পুজো কমিটিও। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আরজি করের একেবারে উল্টো দিকের পুজো কমিটির নামও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: নির্যাতিতার প্রতীকী মূর্তি আরজি কর হাসপাতালে, মহালয়ায় অসুর-নিধনের সুর

    RG Kar Incident: নির্যাতিতার প্রতীকী মূর্তি আরজি কর হাসপাতালে, মহালয়ায় অসুর-নিধনের সুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ২ মাস অতিক্রান্ত, তবু বিচারের দাবি চলছেই। চলছে লড়াই। মহালয়ার দিন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ (RG Kar Incident) হাসপাতালে নির্যাতিতা তরুণীর প্রতীকী মূর্তির উন্মোচনও সেই লড়াই-এর অংশ। উৎসব এলেও প্রতিবাদের ভাষা অটুট। এদিন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের প্ল্যাটিনাম জুবিলি হলের সামনে বসানো হল নির্যাতিতার মূর্তি। মহালয়ায় দেবীপক্ষের সূচনা পর্বের দিনটিকেই মূর্তি স্থাপনের জন্য বেছে নেওয়া হয়। জুনিয়র চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    প্রতীকী মূর্তির সামনেই বিচারের দাবি

    স্বাস্থ্য ভবনের অদূরে অবস্থান-বিক্ষোভের সময়েই জুনিয়র ডাক্তারেরা প্রতীকী মূর্তি উন্মোচনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। জানানো হয়েছিল, মহালয়ার দিনেই মূর্তি উন্মোচন করা হবে আনুষ্ঠানিক ভাবে। সেই মতো বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ মূর্তি উন্মোচিত হয়। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ (RG Kar Incident) হাসপাতাল চত্বরে বসানো হয়েছে সেই মূর্তি। প্রতীকী মূর্তির কাছে আন্দোলনের বিভিন্ন মূহূর্তের ছবিও টাঙানো হয়েছে। মূর্তি উন্মোচনের পাশাপাশি পথনাটিকার মধ্যে দিয়ে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। কেউ কেউ ছবি এঁকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নাটকে-ছবিতে-ভাষ্যে মূর্তির সামনে তৈরি হয়েছে প্রতিবাদের মঞ্চ।

    আরও পড়ুন: ‘দেবীপক্ষ চলে এল, অসুর নিধন হবেই’, আরজি কর-কাণ্ডে বললেন নির্যাতিতার মা

    বিনা পারিশ্রমিকে মূর্তি নির্মাণ

    আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ফাইবারের তৈরি মূর্তিটির সঙ্গে ধর্ষিতা এবং নিহত চিকিৎসক পড়ুয়ার চেহারার কোনও মিল নেই। এক নারীর যন্ত্রণার অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আবক্ষ মূর্তিটিতে। ভাস্কর অসিত সাঁই বিনা পারিশ্রমিকে ফাইবার গ্লাসের এই মূর্তিটি তৈরি করে দিয়েছেন। সেই মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে নতুন করে লড়াইয়ের শপথ নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বার্তা দেওয়া হল, এই নারকীয় ঘটনার কথা যেন কেউ ভুলে না যায়। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত ভার রয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ‘‘মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে মন্দির-মসজিদ ভাঙা যাবে’, বলল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: ‘‘মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে মন্দির-মসজিদ ভাঙা যাবে’, বলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘জনসাধারণের নিরাপত্তাই শেষ কথা। সেক্ষেত্রে মন্দির, মসজিদ কিংবা দরগা-সহ কোনও ধর্মীয় স্থান যদি রাস্তা, রেললাইন বা কোনও জলাশয় দখল করে গড়ে ওঠে (Religious Structure), তাহলে তা ভাঙা যাবে।’ মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

    কী বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)

    শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, “ভারত একটি ধর্ম নিরপেক্ষে দেশ। সেক্ষেত্রে জবরদখল বিরোধী যদি কোনও অভিযান হয়, তাহলে তা ধর্ম বা নাগরিক দেখে হবে না। সবার ক্ষেত্রেই একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।” আদালতের মন্তব্য, “যদি রাস্তার মাঝে কোনও ধর্মীয় কাঠামো থাকে, সে গুরুদ্বার কিংবা দরগা অথবা মন্দির হোক, এটি পাবলিকের বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।” বিচারপতি গাভাই বলেন, “অবৈধ নির্মাণের ক্ষেত্রে একটাই নিয়ম হবে। সেই নিয়ম কোনও ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করবে না।”

    ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ

    দেশের একাধিক রাজ্যে বিভিন্ন (Supreme Court) অভিযোগে অভিযুক্তদের সম্পত্তি ধ্বংস নিয়ে হওয়া একটি মামলার শুনানি হচ্ছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, পাবলিকের বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না কোনও ধর্মীয় কাঠামো। এই বেঞ্চই ১৭ সেপ্টেম্বর জানিয়ে দিয়েছিল, কোনও অভিযুক্তর সম্পত্তি ১ অক্টোবর পর্যন্ত ভাঙা যাবে না। আলাদত বলেছিল, কেউ কোনও মামলায় অভিযুক্ত হলেই তার সম্পত্তি ভেঙে দেওয়া যায় না।

    আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ, উদ্বিগ্ন ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    বিচারপতি গাভাই বলেন, “পুরসভা এবং পঞ্চায়েত আইন অবশ্যই মেনে চলতে হবে।” স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে একটা অনলাইন পোর্টাল বাস্তবায়নের পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। বিচারপতি বলেন, “একটি অনলাইন পোর্টালও হওয়া উচিত, যাতে লোকজন সচেতন হয়।” তিনি বলেন, “একাবার আপনি এটিকে ডিজিটাইজড করলে (Religious Structure), একটা রেকর্ড থেকে যাবে (Supreme Court)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Himachal Pradesh: হিমাচলে ভেঙেছিল বায়ুসেনার বিমান, ৫৬ বছর পর বরফের নীচে ৪ অবিকৃত দেহ

    Himachal Pradesh: হিমাচলে ভেঙেছিল বায়ুসেনার বিমান, ৫৬ বছর পর বরফের নীচে ৪ অবিকৃত দেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরফের নীচ থেকে ৫৬ বছর পর ৪ সেনাকর্মীর অবিকৃত দেহ উদ্ধার করা হল। দিনটা ছিল ১৯৬৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। চণ্ডীগড় থেকে ১০২ জন যাত্রীকে নিয়ে উড়েছিল বায়ুসেনার এএন-১২ (AN 12) বিমান। কিন্তু হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) রোটাং পাসের কাছাকাছি পৌঁছেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে। অবশেষে রোটাং (Rohtang) পাসেই যাত্রী সহ ভেঙে পড়ে বিমানটি (Plane Crash)। তারপর কেটে গিয়েছে দশকের পর দশক। কিছু দেহ উদ্ধার হলেও অধিকাংশেরই কোনও খোঁজ মেলেনি।

    চলছে উদ্ধার অভিযান

    ২০০৩ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী শৈলারোহণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা প্রথম ওই বিমানের বরফে ঢাকা ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান। এর পর থেকে ওই অঞ্চলে ভারতীয় সেনার ডোগরা স্কাউট দলের উদ্যোগে একাধিক উদ্ধার অভিযান হয়েছে। কিন্তু এত চেষ্টা করেও এ পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে মাত্র পাঁচটি দেহ। এ বার আরও চারটি দেহ উদ্ধার করলেন চন্দ্রভাগা পর্বত অভিযানের সদস্যেরা। যার ফলে সব মিলিয়ে উদ্ধার হওয়া দেহের সংখ্যা দাঁড়াল ৯। লাহুল-স্পিতির এসপি মায়াঙ্ক চৌধরি জানান, সেনার একটি পর্বতারোহী দল স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে উদ্ধারের এই খবর দিয়েছে৷ তাঁর কথায়, ‘স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে, চারটি দেহ পাওয়া গিয়েছে৷ ৫৬ বছর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতীয় বায়ুসেনার এএন-১২ বিমানটি চন্দ্রভাগা ১৩-র কাছে ভেঙে পড়ে ৷ অতীতেও এই দুর্ঘটনায় মৃতদের দেহ উদ্ধারে অভিযান (Himachal Pradesh)  চালানো হয়েছে৷ তখনও কিছু দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এর আগে ২০০৫, ২০০৬, ২০১৩ এবং ২০১৯ সালে তল্লাশি অভিযান হয়েছে। চারটি অভিযানে ৫টি দেহই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: “ওঁর জীবন অনুপ্রেরণার”, জাতির জনক গান্ধীর জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মৃতদের পরিচয়

    মৃতদের পরিচয় সম্পর্কে পুলিশ জানায়, সাহরানপুরের বাসিন্দা মালখান সিং, উত্তরাখণ্ডের চামোলির নারায়ণ সিং, হরিয়ানার রেওয়াড়ির মুন্সি রাম ও কেরালার টমাস চেরিয়ানের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ তাঁর প্রত্যেকেই ভারতীয় সেনার ‘সেপাই’ পদে কাজ করতেন। মৃতদের আত্মীয়দের দেওয়া বিবরণ অনুযায়ী দেহগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে। চেরিয়ানের পরিবারে মা ও ভাই রয়েছেন৷ তাঁদের ছেলের দেহ উদ্ধারের খবর দেওয়া হয়েছে৷ বিমান দুর্ঘটনার সময় টমাসের বয়স ছিল মাত্র ২২ বছর। খবর শুনে তাঁর ভাইয়ের প্রতিক্রিয়া, ‘এটা যন্ত্রণাদায়ক৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত দাদার দেহটা যে উদ্ধার হল, সেটা স্বস্তির। দাদার দেহাবশেষ পরিবারের সমাধি ক্ষেত্রে সমাহিত করা হবে।’ মালখান সিংকে শনাক্ত করা হয়েছে সরকারি রেকর্ড দেখে৷ নারায়ণ সিং সেনার মেডিক্যাল বিভাগে কাজ করতেন৷ তাঁকে সরকারি কাগজপত্রের নিরিখে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ লোসারে ময়নাতদন্তের পর দেহগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, এই উদ্ধার অভিযান আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: দেড় লক্ষ সরকারি কর্মীর চাকরি গেল, বন্ধ ছয় মন্ত্রক! ফের ঋণ চাইল ‘ভিখারি’ পাকিস্তান

    Pakistan: দেড় লক্ষ সরকারি কর্মীর চাকরি গেল, বন্ধ ছয় মন্ত্রক! ফের ঋণ চাইল ‘ভিখারি’ পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ দেউলিয়া হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে থাকলেও তা মানতে রাজি নয় ইসলামাবাদ। গত বছর প্রায় দেউলিয়া অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছিল পাকিস্তান (Pakistran)। অর্থনীতি বাঁচাতে আইএমএফের কাছে হাত পাতে ইসলামাবাদ। আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার থেকে ওই সময় ৩০০ কোটি ডলার ঋণ পেয়েছিল পশ্চিমের এই প্রতিবেশী দেশ। বছর ঘুরতে না ঘুরতে অর্থনীতির কঙ্কালসার চেহেরা ফের প্রকাশ্যে। অর্থনীতি বাঁচাতে আইএমএফের কাছে ফের হাত পাতে শাহবাজ শরিফ সরকার। আর্থিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ঋণ না পেলে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করা ছাড়া পাকিস্তানের কাছে আর কোনও দ্বিতীয় রাস্তা খোলা ছিল না।

    দেড় লক্ষ সরকারি কর্মচারীর চাকরি বাতিল (Pakistran)

    দেড় লক্ষ সরকারি কর্মচারীর চাকরি বাতিলের পাশাপাশি ছ’টি মন্ত্রক পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ (Pakistran)। ২৯ সেপ্টেম্বর যা ঘোষণা করেন পাক অর্থমন্ত্রী মহম্মদ অওরঙ্গজেব। যে মন্ত্রকগুলি বন্ধ হচ্ছে সেখানকার সিংহভাগ কর্মীকেই ছাঁটাইয়ের তালিকায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া খরচ কমাতে দু’টি মন্ত্রক মিলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে পাক সরকার। ফলে সেখানকার কর্মীদের কাজ হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। যদিও এই নিয়ে স্পষ্ট ভাবে কিছু জানায়নি ইসলামাবাদ। সূত্রের খবর, এখনই ওই দুই মন্ত্রকের কর্মচারীদের ছাঁটাই করবে না শরিফ সরকার। আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশটিতে গণবিক্ষোভের জন্ম দিতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞেরা।

    আরও পড়ুন: শিশুকন্যাকে ধর্ষণ-খুনে ৬ বছর পর মিলল বিচার, তান্ত্রিকের মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত

    ফের ৭০০ কোটি ডলার ঋণ

    চরম আর্থিক সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসতে আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার বা ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড (আইএমএফ) থেকে ঋণ নিতে চলেছে ইসলামাবাদ। সেই টাকা দেওয়ার শর্ত হিসেবে পাকিস্তানকে (Pakistran) বেশ কিছু কড়া সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। যে কারণে মন্ত্রক তুলে দিয়ে কর্মচারীদের ছাঁটাই করতে হয়েছে বলে জানিয়েছে শরিফ সরকার। আইএমএফের থেকে ৭০০ কোটি ডলার ঋণ বাবদ পেতে চলেছে পাকিস্তান। চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর যার অনুমোদন দিয়েছে এই আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা। ঋণ পেতে পাক সরকারকে খরচ কমাতে বলেছিল আইএমএফ। পাশাপাশি, কর-জিডিপির অনুপাত বৃদ্ধি, কৃষি ও রিয়েল এস্টেটের মতো অপ্রচলিত খাতে কর বসানো এবং ভর্তুকি কমিয়ে দেওয়ার মতো শর্তও মানতে হচ্ছে ইসলামাবাদকে।

    কী বললেন পাক অর্থমন্ত্রী?

    এ প্রসঙ্গে পাক অর্থমন্ত্রী বলেছেন, “আইএমএফের সঙ্গে একটি ত্রাণ প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা পাকিস্তানের জন্য শেষ প্যাকেজ হবে। আমরা আমাদের অর্থনীতির উন্নতির জন্য আইএমএফের সব দাবি মেনে নিয়েছি।” পাকিস্তান জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির সংগঠনে যোগ দিতে চাইছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তবে তার জন্য দেশের অর্থনীতিকে অনেক বেশি সমৃদ্ধিশালী করার কথা বলেছেন অওরঙ্গজেব। অর্থমন্ত্রী অওরঙ্গজেব আরও জানিয়েছেন, “অর্থনীতি সঠিক পথে চলছে। দেশের বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।” পাকিস্তানের জাতীয় রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

    গাড়ি-সম্পত্তি কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি

    দেশের (Pakistran) করদাতাদের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন পাক অর্থমন্ত্রী। অওরঙ্গজেব জানিয়েছেন, “গত বছরের (২০২৩) নতুন করদাতার সংখ্যা ছিল আনুমানিক তিন লক্ষ। এ বছর এখনও পর্যন্ত নতুন করদাতা হিসেবে নাম নথিভুক্ত করেছেন ৭ লক্ষ ৩২ হাজার জন। অর্থাৎ দেশে করদাতার সংখ্যা এক লাফে দ্বিগুণ হয়েছে।”যাঁরা করদাতা নন, তাঁদের সম্পত্তির ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু হতে চলেছে বলে জানিয়েছে পাক অর্থমন্ত্রী। এই ধরনের বাসিন্দারা আর সম্পত্তি বা গাড়ি কিনতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাকিস্তান বার বার আইএমএফের থেকে টাকা পাওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে নয়াদিল্লি। কারণ ইসলামাবাদের সিন্দুকে টাকা এলেই তা যে সন্ত্রাসবাদের পিছনে খরচ হয়, তা কারও অজানা নয়। সে ক্ষেত্রে এ দেশে জঙ্গি হামলার মাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘স্বচ্ছতা হি সেবা’ প্রচারের সূচনা, “স্বচ্ছ ভারত মিশন সব চেয়ে বড় আন্দোলন”, বললেন মোদি

    PM Modi: ‘স্বচ্ছতা হি সেবা’ প্রচারের সূচনা, “স্বচ্ছ ভারত মিশন সব চেয়ে বড় আন্দোলন”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘স্বচ্ছতা হি সেবা’ (Swachhata Campaign) প্রচারের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এবার এই সেবার ১০ বছর পূর্তি। তিনি বলেন, “স্বচ্ছ ভারত মিশন এই শতাব্দীর সব চেয়ে বড় ও সব চেয়ে বেশি সফল আন্দোলন। এই আন্দোলন লোকে দীর্ঘ দিন মনে রাখবে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    তিনি বলেন, “স্বচ্ছ ভারত মিশন জনগণের অংশগ্রহণ ও পাবলিক লিডারশিপের প্রদর্শনের মাধ্যমে জণগণের শক্তিকে প্রতিফলিত করেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছ ভারত মিশন কোটি কোটি ভারতবাসীর নিঃস্বার্থ দায়বদ্ধতার প্রতীক। কোটি কোটি ভারতবাসী এই মিশন গ্রহণ করেছেন। এটিকে তাঁরা তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ করে ফেলেছেন।” তিনি বলেন, “স্বচ্ছ ভারত অভিযান আগামী হাজার বছর পরেও স্বীকৃত হবে। যখন ইতিহাসবিদরা ২১ শতাব্দীর ভারতকে পর্যবেক্ষণ করবেন। স্বচ্ছ ভারত মিশন যত সফল হবে, ততই আমাদের দেশ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।”

    সব চেয়ে সফল জন আন্দোলন

    বুধবার বিজ্ঞান ভবনে এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “হাজার বছর পরে যখন ২১ শতাব্দীর ভারতের ওপর গবেষণা করা হবে, তখন স্বচ্ছ ভারত অভিযান স্মরণ করা হবে।” এর পরেই তিনি বলেন, “এই শতাব্দীতে স্বচ্ছ ভারত বিশ্বের সব চেয়ে বড় এবং সব চেয়ে সফল জন আন্দোলন, যা মানুষের দ্বারা পরিচালিত ও মানুষের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যে রণদামামা! ইজরায়েলে হামলা ইরানের, “মাশুল গুণতে হবে”, বলছেন নেতানিয়াহু

    ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি। ওই বছরেরই ২ অক্টোবর স্বচ্ছতা অভিযান শুরু করেন তিনি। এই অভিযান হল দেশব্যাপী একটি প্রচার, যার মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধির প্রচার ও উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম নির্মূল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই মিশনটি জনগণের শক্তিশালী উদ্দীপনা প্রতিফলিত করেছে। কারণ তারা স্বচ্ছ ভারত মিশনে যোগ দিয়েছে। স্বচ্ছ ভারত মিশন যত সফল হবে, আমাদের দেশ তত উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেছে।” তিনি বলেন, “আমি জানতে পেরেছি যে সেবা পক্ষদার ১৫ দিনের মধ্যে স্বচ্ছ ভারত মিশন সম্পর্কিত ২৭ লাখেরও বেশি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে ২৮ কোটিরও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছে।” তিনি বলেন, “ক্রমাগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা আমাদের ভারতকে পরিষ্কার (Swachhata Campaign) করার কাজ করতে পারি (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Arambagh: শিশুকন্যাকে ধর্ষণ-খুনে ৬ বছর পর মিলল বিচার, তান্ত্রিকের মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত

    Arambagh: শিশুকন্যাকে ধর্ষণ-খুনে ৬ বছর পর মিলল বিচার, তান্ত্রিকের মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলন হয়েছে। এখনও জুনিয়র ডাক্তাররা বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই আবহের মধ্যে এবার চার বছরের শিশুকন্যাকে খুন করে ধর্ষণ করার ঘটনায় ঐতিহাসিক রায় দিল আরামবাগ আদালত। ঘটনায় অভিযুক্ত তান্ত্রিকের স্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড দিল আরামবাগ (Arambagh) আদালত। পাশাপাশি খুনের ঘটনায় সহযোগিতা করার অভিযোগে শিশুকন্যার দিদিমা সুশীলা মাঝিকে আজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন বিচারক কিষেণ কুমার আগরওয়াল। অপরদিকে, অভিযুক্ত তান্ত্রিকের জেল হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয়েছে। আদালতে এই রায়দান নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Arambagh)

    তন্ত্রসাধনার বলি হয়েছিল এক শিশুকন্যা। ঘটনাটি ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারির। খানাকুলের (Arambagh) বাসিন্দা ওই শিশুকন্যার বাবা তাঁর চার বছরের মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন খানাকুল থানায়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। নিখোঁজ শিশুকন্যার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। অবশেষে খানাকুলেই প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বাড়ির শৌচালয়ের চেম্বারের মধ্যে থেকে মুখে গামছা বাঁধা অবস্থায় ওই শিশুকন্যাকে উদ্ধার করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মৃত শিশুকন্যার দিদিমা স্থানীয় ওই তান্ত্রিকের তন্ত্রসাধনার জন্য তাঁর নিজের নাতনিকে দিয়ে দেন। জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, ওই তান্ত্রিক ও তাঁর স্ত্রী প্রথমে ওই শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে। পরে, তার মৃতদেহ স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়ির শৌচালয়ের চেম্বারের মধ্যে ফেলে দেয়। শিশুকন্যাকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনার পরেই অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে টানা প্রায় ছ’বছর ধরে এই ঘটনার বিচার-প্রক্রিয়া চলে। এই ঘটনায় একাধিক সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এদিন এই অভিযোগের রায়দান করেন বিচারক। ইতিমধ্যেই শুনানি চলাকালীন জেল হেফাজতেই শারীরিক অসুস্থতার জেরে মৃত্যু হয় অভিযুক্ত তান্ত্রিকের।

    আরও পড়ুন: ‘দেবীপক্ষ চলে এল, অসুর নিধন হবেই’, আরজি কর-কাণ্ডে বললেন নির্যাতিতার মা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: আবার অশান্ত বাংলাদেশ! ইউনূসের বাসভবন দখলের চেষ্টা, হাসিনার মতোই কি পরিণতি?

    Bangladesh Crisis: আবার অশান্ত বাংলাদেশ! ইউনূসের বাসভবন দখলের চেষ্টা, হাসিনার মতোই কি পরিণতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরল না বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। এবার বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল মহম্মদ ইউনূসকেও। সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩১ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার দাবিতে সোমবার থেকে ফের ঢাকার (Fresh protests in Bangladesh) রাজপথে নতুন করে শুরু হয়েছে আন্দোলন। হাসিনার মতো এবার ইউনূসের বাসভবনের দিকেও ছুটল উন্মত্ত জনতা।

    নতুন করে আন্দোলন

    সম্প্রতি ঢাকার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। সেখান থেকে মিন্টো রোডে অবস্থিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’র দিকে পদযাত্রা করে তারা। এদিকে ইউনূসের বাসভবনের সামনে সভা-সমাবেশে করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) পুলিশ। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই যমুনা দখল করার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। তবে মিছিল এগোতে থাকলে সেখানে মোতায়েন পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ।

    আন্দোলন দমনে সক্রিয় পুলিশ

    গত অগাস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পড়েছিলেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। জুলাই-অগাস্টের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে এখনও পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেনি বাংলাদেশ। এদিকে তার মধ্যেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকারকে। সোমবারই, ঢাকার উপকণ্ঠে অবস্থিত আশুলিয়ায়, বকেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান পোশাক শ্রমিকরা। ওই এলাকায় দোকানপাট ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে তারা। এই হিংসাত্মক আন্দোলন দমন করতে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয় এবং আরও ৫০ জনের মতো আহত হয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: বন্যার জন্য মমতা দায়ী করেছিলেন কেন্দ্রকে, বৈরিতা ভুলে মোদিই রাজ্যকে দিলেন ৪৬৮ কোটি টাকা!

    এরপর সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন। এই নিয়ে বাংলাদেশে (Fresh protests in Bangladesh) এর আগেও বিক্ষোভ-আন্দোলন হয়েছে। তখন ক্ষমতায় ছিল শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ সরকার। সেই সময়, এই ধরনের বেশ কয়েকটি আন্দোলন হয়েছিল। হাসিনা সরকার অবশ্য তাদের দাবি মানেনি। তবে, এখন সরকার পাল্টে গিয়েছে। কিন্তু নতুন অন্তর্বর্তী সরকারও এই দাবি মানবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ, উদ্বিগ্ন ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ, উদ্বিগ্ন ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ক্রমেই ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ। মঙ্গলবারই ইজরায়েলে (Israel Iran War) হামলা চালিয়েছে ইরান। পাল্টা হুমকি দিয়েছে ইজরায়েলও। এহেন আবহে মধ্যপ্রাচ্যের এই দ্বন্দ্ব নিয়ে ভারত যে যারপরনাই উদ্বিগ্ন, তা স্পষ্ট করে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ভারত যে এই যুদ্ধে জড়াবে, তাও জানিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।

    কী বললেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)

    তিনি বলেন, “ভারত আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে এই যুদ্ধে জড়াবে।” ইজরায়েলের দাবি, ইরান সব মিলিয়ে ১৮১টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। তার আগেই ইরান-ইজরায়েল সম্ভাব্য যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জয়শঙ্কর। বলেন, “জটিল পরিস্থিতিতে কমিউনিকেশনের গুরুত্বকে ছোট করে দেখা উচিত নয়।” তিনি বলেন, “যদি কিছু বলার ও আদান-প্রদান করার থাকে, তবে আমি মনে করি সেগুলোই আমাদের কনট্রিবিউশন হতে পারে এবং আমরা তা করি…।” জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “আমরা সংঘাতের বিস্তারের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন। কেবল লেবাননে যা ঘটেছে, তা নয়, বরং হুথিদের সঙ্গে রেড সি পর্যন্ত, এবং ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যা কিছু ঘটতে পারে, তা-ও।”

    অসামরিক জনগণের ক্ষতি নয়

    তিনি বলেন, “যে কোনও দেশের প্রতিক্রিয়া অবশ্যই হতে হবে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। অসামরিক জনগণের যাতে ক্ষতি না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “৭ অক্টোবরকে আমরা সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে বিবেচনা করি। আমরা বুঝতে পারি যে ইজরায়েলকে প্রতিক্রিয়া জানাতে হয়েছিল। তবে আমরা এটাও বিশ্বাস করি যে, যে কোনও দেশের প্রতিক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের কথা বিবেচনা করতে হবে। অসামরিক জনগণের ক্ষতি বা তাদের ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক হতে হবে।

    আরও পড়ুন: মমতা জমানায় নারী নির্যাতনের বধ্যভূমি বাংলা! ‘ব্ল্যাক পেপার’ বই প্রকাশ রাজ্য বিজেপির

    প্রসঙ্গত, ইজরায়েলি সেনার দাবি, ইরান ইজরায়েলে অন্তত ১৮১টি মিসাইল ছুড়েছে। তার বেশিরভাগই প্রতিরোধ করা গিয়েছে। তেল আভিভের (ইজরায়েলের রাজধানী) কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জখমও হয়েছেন বেশ কিছু মানুষ। এর পরেই ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, “বিরাট ভুল করে ফেলেছে (Israel Iran War) ইরান। যথা সময়ে ওরা এর জবাব পেয়ে যাবে (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share