Tag: Madhyom

Madhyom

  • PM Modi: “এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই”, নেতানিয়াহুকে ফোনে বললেন মোদি

    PM Modi: “এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই”, নেতানিয়াহুকে ফোনে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই।” ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ফোনে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। লেবাননে হিজবুল্লার বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে তেল আভিভ (ইজরায়েলের রাজধানী)। বেইরুটে (লেবাননের রাজধানী) হিজবুল্লার ঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা (Benjamin Netanyahu)। পাশাপাশি, সোমবার থেকে লেবাননে ঢুকে গিয়েছে ইজরায়েলি পদাতিক বাহিনীও। হিজবুল্লার তৈরি করা সুড়ঙ্গে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এই আবহে, দুই রাষ্ট্রনেতার ফোনালাপ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    কী বললেন মোদি? (PM Modi)

    শবিবার, বেইরুটের কাছে নির্দিষ্ট জায়গায় এয়ারস্ট্রাইক করে ইজরায়েলি বায়ুসেনা। তাতেই খতম হয়েছে হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লা। অন্যদিকে, সোমবার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইয়েমেনি হুথিদের ডেরা গুঁড়িয়ে দিয়েছে আইডিএফ। এহেন আবহে ফোনালাপ হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। সেই সময়ই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই বলে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথোপকথনের পর এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লেখেন, “পশ্চিম এশিয়ায় বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই। সমস্ত পণবন্দিদের নিরাপদে উদ্ধার করতে হবে।” তিনি লিখেছেন, “ভারত বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতার দ্রুত পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে তিনি (PM Modi) এ-ও জানান, পশ্চিম এশিয়ায় দ্রুত শান্তি প্রতিষ্ঠায় সব রকম সাহায্যে প্রস্তুত ভারত।

    ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ

    গত বছর অক্টোবরে ইজরায়েলি নাগরিকদের অপহরণ করে প্যালেস্তাইনের গাজা ভূখণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে থাকা হামাসরা। পরে ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলে ঢুকে নৃশংসভাবে হত্যা করে মুসলিম সংগঠন হামাস। তার পরেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইজরায়েল। হামাসকে নির্মূল করতে গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালায় তারা। হামাসকে নিয়মিত মদত জুগিয়ে যাচ্ছিল লেবাননের মদতপুষ্ট সংগঠন হিজবুল্লা। হামাস ‘বধে’র পর বেইরুটে হিজবুল্লার ঘাঁটি লক্ষ্য করে রকেট হানা চালায় ইজরায়েল।

    আরও পড়ুন: “যেচে চড় খেয়েছে রাজ্য”, ডাক্তারদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    বিমান হানা চালানোর পাশাপাশি সীমান্তে হিজবুল্লার ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দিতে গ্রাউন্ড অভিযানও শুরু করেছে ইজরায়েল। ইজরায়েলি সেনার দাবি, চলতি বছরে তাদের ন’জন শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে। খতম হয়েছে হিজবুল্লা প্রধানও। হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর পর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “বিশ্বকে আর সন্ত্রস্ত করতে পারবেন না।” আর মোদি বার্তা দিলেন, “আমাদের এই বিশ্বে সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই।”

    বিশ্বকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে (Benjamin Netanyahu) দুই রাষ্ট্রপ্রধানের গলায় একই সুর (PM Modi)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahalaya 2024: আজ মহালয়া, পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে সূচনা হতে চলেছে দেবীপক্ষের

    Mahalaya 2024: আজ মহালয়া, পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে সূচনা হতে চলেছে দেবীপক্ষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়া (Mahalaya 2024) মানেই বাঙালির কাছে নস্টালজিয়া। রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী দিয়ে শুরু হয় সকাল। মহালয়ায় (Mahalaya 2024) পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হয়। আক্ষরিক অর্থে দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে। কথিত আছে, মহালয়ার দিন অসুর ও দেবতাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। তাই দিনটি হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে মহালয়া শুভ না অশুভ, এনিয়ে বিস্তর মতভেদ রয়েছে। একাংশের মতে, মহান কিংবা মহত্বের আলয় থেকেই এই শব্দের উৎপত্তি। সনাতন ধর্মে বলা হয়, এই দিনে পরলোক থেকে মর্ত্যে আত্মাদের যে সমাবেশ হয়, তাকেই মহালয়া বলা হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক এর আসল ব্যাখ্যা। পুরাণ মতে, ব্রহ্মার বরে মহিষাসুর অমর হয়ে উঠেছিলেন। শুধুমাত্র কোনও নারীশক্তির কাছে তার পরাজয় নিশ্চিত। অসুরদের অত্যাচারে যখন দেবতারা অতিষ্ঠ, তখন ত্রিশক্তি ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর নারীশক্তির সৃষ্টি করেন। তিনিই মহামায়ারূপী দেবী দুর্গা। দেবতাদের দেওয়া অস্ত্র দিয়ে মহিষাসুরকে বধ করেন দুর্গা। এজন্যেই বিশ্বাস করা হয় যে, এই উৎসব খারাপ শক্তির বিনাশ করে শুভশক্তির বিজয়।  

    মহালয়ার দিন পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করার রীতি রয়েছে (Pitri paksha and Devi Paksha)। এদিনই দেবীর দুর্গার চক্ষুদান হয়। মহালয়া শব্দটির অর্থ, মহান আলয় বা আশ্রম। এক্ষেত্রে দেবী দুর্গাই হলেন সেই মহান আলয়। মহালয়ার শুভ, অশুভ দুই হওয়ার পিছনেই ব্যাখ্যা রয়েছে।

    মহালয়া শুভ কেন?

    অনেকেই মনে করেন, এদিন থেকেই দেবীপক্ষের সূচনা, অশুভ শক্তির বিনাশ হয়, তাই মহালয়া শুভ। দুর্গাপুজোর সূচনা হয় এই দিন। এছাড়াও হিন্দু ধর্মের যে কোনও শুভ কাজেই পিতৃপুরুষদের স্মরণ করা হয়। এছাড়াও তর্পণের বৃহত্তর অর্থ মিলন। তাই এই দিন কোনওভাবেই অশুভ হতে পারে না।   

    মহালয়া অশুভ কেন? 

    আবার অনেকে মনে করেন, মহালয়ার দিন পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে জলদান করার রীতি রয়েছে। পিতৃপুরুষদের স্মরণ করার দিনকে অনেকেই শোক পালনের দিন হিসেবে পালন করে থাকেন। তাই মহালয়াকে তারা শুভ মানতে নারাজ। মহালয়া শুভ না অশুভ এই দ্বন্দ্ব চলতেই থাকবে। তব এই দিনটি দিয়েই শুরু হয় দুর্গা পুজো, বাঙালির মিলন উৎসব।

    পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষ

    বছরের ১২ মাসে মোট ২৪টি পক্ষ রয়েছে, তার মধ্যে ২টি পক্ষ বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। এই পক্ষ দুটি হচ্ছে পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষ। ভাদ্র পূর্ণিমার পরের কৃষ্ণ পক্ষকে বলা হয় পিতৃপক্ষ। এই পক্ষের অমাবস্যাকে বলা হয় মহালয়া। মহালয়ার পরের পক্ষকে বলা হয় দেবীপক্ষ। অর্থাৎ মহালয়া (Mahalaya 2024) হচ্ছে পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষ (Pitri paksha and Devi Paksha) নামক পক্ষ দুটির মিলনক্ষণ। পিতৃপক্ষ হল স্বর্গত পিতৃপুরুষের উদ্দেশে পার্বণ শ্রাদ্ধ ও তর্পণাদির জন্য প্রশস্ত এক বিশেষ পক্ষ। সনাতন শাস্ত্র মতে, সূর্য কন্যারাশিতে প্রবেশ করলে পিতৃপক্ষ সূচিত হয়।

    পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষের মিলনক্ষণ মহালয়া! এই দুই পক্ষ আসলে কী?

    মহালয়ায় তর্পণের সঙ্গে পুরাণেরও যোগ রয়েছে। মহাভারতে কর্ণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, সূর্য-পুত্র দানধ্যান করলেও তা ছিল স্বর্ণ, রত্ন, মণিমাণিক্য। তিনি পিতৃপুরুষের পরিচয় না জানায় পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে কখনও জল বা খাদ্য দান করেননি। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে মৃত্যুর পর স্বর্গে গেলে খাদ্য হিসেবে তাই তাঁকে দেওয়া হয় শুধুই সোনা-রত্ন। জীবিত অবস্থায় যা দান করেছেন তারই অংশ। তখনই কর্ণকে দেবরাজ ইন্দ্র জানান, পিতৃপুরুষকে কখনও তিনি জল দেননি বলেই মৃত্যুর পরে তিনি জল পাবেন না। এই ভুল সংশোধনের জন্য এক পক্ষকাল মর্ত্যে ফিরে পিতৃপুরুষকে জল ও অন্ন দিয়ে পাপস্খলন করেন কর্ণ। সেই এক পক্ষ কালই পিতৃপক্ষ। যার শেষ মহালয়ায় (Mahalaya 2023)।

    রামায়ণে দেবীপক্ষ 

    রামায়ণ অনুসারে ত্রেতা যুগে শ্রীরামচন্দ্র অসময়ে অর্থাৎ সূর্যের দক্ষিণায়ন চলার সময় দেবী দুর্গার আরাধনা করেছিলেন লঙ্কা জয় করে সীতাকে উদ্ধার করার জন্য। শাস্ত্র মতে দুর্গাপুজো বসন্তকালে হওয়াই নিয়ম। শ্রীরামচন্দ্র অকালে দুর্গাপুজো করেছিলেন বলে একে অকাল বোধন বলা হয়। সনাতন ধর্মে কোনও শুভ কাজের আগে প্রয়াত পূর্বপুরুষের উদ্দেশে অঞ্জলি প্রদান করতে হয়। লঙ্কা বিজয়ের আগে এমনটাই করেছিলেন শ্রীরামচন্দ্র। সেই থেকে দুর্গাপুজোর আগে মহালয়ায় তর্পণ অনুষ্ঠানের প্রথা প্রচলিত বলে মনে করা হয়। আর দেবী পুজোর এই পক্ষই হল দেবীপক্ষ।

    দেবী দুর্গার মর্ত্যে আবির্ভাব

    শ্রী শ্রী চণ্ডীতে রাজা সুরথের কাহিনি রয়েছে। সুরথ যবনদের কাছে পরাজিত হয়ে মনের দুঃখে বনে চলে যান। সেখানেই দেখা হয় মেধা ঋষির সঙ্গে। সেখানে তিনি শোনেন মহাময়ার কাহিনি। বলা হয়, মহালয়ার দিনে তর্পণ করে সমাধি নদীর তীরে তিন বছর তপস্যার পরে দুর্গাপুজো শুরু করেন রাজা সুরথ। পিতৃপক্ষে আত্মসংযম করে দেবী পক্ষে শক্তি সাধনায় প্রবেশ করতে হয়। দেবী শক্তির আদিশক্তি, তিনি সর্বভূতে বিরাজিত। তিনি মঙ্গল দায়িনী করুণাময়ী। সাধক সাধনা করে দেবীর বর লাভের জন্য, দেবীর মহান আলয়ে প্রবেশ করার সুযোগ পান বলেই এ দিনটিকে বলা হয় মহালয়া (Mahalaya 2024)। পুরাণ মতে এই দিনেই দেবী দুর্গা মর্ত্যলোকে আবির্ভূতা হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: দুর্গাপুজোতে গভীর রাতেও মিলবে মেট্রো, জানুন চতুর্থী থেকে একাদশীর সময়সূচি

    Kolkata Metro: দুর্গাপুজোতে গভীর রাতেও মিলবে মেট্রো, জানুন চতুর্থী থেকে একাদশীর সময়সূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন, এরপর বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজো দুর্গোৎসব। ইতিমধ্যে পুজোর প্রস্তুতি ঘিরে ব্যস্ততা তুঙ্গে। মণ্ডপে মণ্ডপে ঠাকুর দর্শন করে আনন্দকে উপভোগ করা পুজোতে বাঙালির প্রধান আকর্ষণীয় দিক। কেনাকাটা থেকে ঠাকুর দেখা, সব মিলিয়ে যাতায়েত ব্যবস্থার দিকে নজর দিয়ে মেট্রো রেলের তরফ থেকে একাধিক ঘোষণা করা হয়েছে। পুজোকে কেন্দ্র করে চতুর্থী থেকে একাদশী পর্যন্ত চলবে মেট্রো (Kolkata Metro)। একই সঙ্গে পুজোর মধ্যে গভীর রাত পর্যন্ত চলবে ট্রেন। দর্শনার্থীদের জন্য সুখবর।

    সপ্তমী থেকে নবমী ২৪৮টি মেট্রো চলবে (Kolkata Metro)

    পুজোর সময় ঠাকুর দেখে বাড়ি ফেরার দর্শনার্থীদের আর চিন্তা করতে হবে না। কলকাতা মেট্রো সপ্তমী থেকে নবমীর ভোর পর্যন্ত মিলবে মেট্রো ট্রেন। একই ভাবে ষষ্ঠী এবং দশমীতে পাওয়া যাবে মাঝরাত পর্যন্ত মেট্রো। মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হয়, “চতুর্থী থেকেই মেট্রোর সূচিতে পরিবর্তন করা হচ্ছে। এই সূচি পরিবর্তন চলবে ত্রয়োদশী পর্যন্ত। গভীর রাত পর্যন্ত পরিষেবা দেওয়ার জন্য বাকি দিনের তুলনায় কিছুটা মেট্রো কম চলবে। চতুর্থী, পঞ্চমী এবং ষষ্ঠীতে আপ এবং ডাউন মিলিয়ে চলবে ২৮৮টি ট্রেন। সপ্তমী থেকে নবমী ওই শাখায় চলবে ২৪৮টি ট্রেন। দশমীতে ১৭৪, একাদশীতে ১৩০টি করে পরিষেবা দেওয়া হবে। দ্বাদশী এবং ত্রয়োদশীতে আপ এবং ডাউন লাইন মিলিয়ে ট্রেন চলবে মোট ২৩৬টি।

    চতুর্থী-পঞ্চমীতে সময়সূচি

    চতুর্থী এবং পঞ্চমীতে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বরগামী ব্লু লাইনের প্রথম মেট্রো (Kolkata Metro) চলবে সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে। দমদম থেকে একই সময়ে ছাড়া হবে ট্রেন। দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত প্রথম মেট্রো সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে চলা শুরু হবে। একইভাবে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত প্রথম মেট্রো ছাড়বে সকাল ৭টায়। দমদম এবং কবি সুভাষ থেকে শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে।

    ষষ্ঠীর দিনে সময়সূচি

    ষষ্ঠীতে শেষ মেট্রো (Kolkata Metro) চলবে মধ্যরাত পর্যন্ত। দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ১১ টা ৪৮ মিনিটে। একই ভাবে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে ১১ টা ৫০ মিনিটে। আবার দমদম থেকে কবি সুভাষ থেকে শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ১২টায়।

    সপ্তমী-নবমী পর্যন্ত সূচি

    সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত দুপুর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত চলবে ট্রেন (Kolkata Metro)। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত যাওয়ার প্রথম মেট্রো শুরু হবে দুপুর ১টায়। স্পেশ্যাল মেট্রো চালানো হবে এই সময়ে। দমদম-কবি সুভাষ এবং কবি সুভাষ-দমদম পর্যন্ত শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে ভোর ৪টেয়। দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার শেষ মেট্রো কবি সুভাষ মিলবে ভোর ৩টে ৪৮ মিনিটে।

    দশমীতে স্পেশ্যাল ট্রেন

    দশমীতে চলবে একই ভাবে চলবে স্পেশ্যাল ট্রেন (Kolkata Metro)। প্রথম মেট্রো দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষগামী চলবে দুপুর ১ টায়। শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ১২টায়। একাদশীতে সকাল ৯ টা থেকে প্রথম পরিষেবা পাওয়া যাবে কবি সুভাষ এবং দক্ষিণেশ্বর থেকে। শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। দ্বাদশী এবং ত্রয়োদশীতে প্রথম মেট্রো সকাল ৬টা ৫০ মিনিট এবং শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে।

    গ্রিন, পার্পল এবং ওরেঞ্জ লাইনের সূচি

    ব্লু লাইনের পাশাপাশি গ্রিন (১ এবং ২), পার্পল এবং ওরেঞ্জ লাইনের সূচিও জানিয়েছে মেট্রো রেল। ১ নম্বর গ্রিন লাইন শিয়ালদা থেকে সেক্টর ৫ শাখায় চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী প্রথম মেট্রো (Kolkata Metro) পাওয়া যাবে ৬টা ৫৫ মিনিটে। সেক্টর ৫ থেকে শিয়ালদাগামী মেট্রো চলবে ৭টা ০৫ মিনিটে। শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ৯টা ৩৫ মিনিট এবং রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। সপ্তমী থেকে দশমী ওই লাইনে প্রথম মেট্রো পাওয়া যাবে দুপুর ১টা থেকে। শেষ মেট্রো রাত সাড়ে ১১টা। দশমীতে প্রথম মেট্রো দুপুর ২টো থেকে চলবে এবং শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে।

    আরও পড়ুনঃমাওবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক! নজরে দুই মহিলা, পানিহাটিসহ রাজ্যের সাত জায়গায় এনআইএ হানা

    এসপ্ল্যানেড-হাওড়া সময়সূচি

    একইভাবে এসপ্ল্যানেড এবং হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মেট্রোর (Kolkata Metro) ২ নম্বর গ্রিন লাইনের সূচিতে পরিবর্তন করা হয়েছে। এই রুটে চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী পর্যন্ত ওই শাখায় প্রথম মেট্রো পাওয়া যাবে। শেষ মেট্রো চলবে রাত ৯টা ৫৪ মিনিটে। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা পাওয়া যাবে বেলা ১টায় এবং শেষ মেট্রো মিলবে রাত ১টা ৪৫ মিনিটে। দশমীর দিনে মেট্রো মিলবে দুপুর ২ টোর সময় এবং শেষ মেট্রো চলবে রাত ৯টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। একই ভাবে জোকা-মাঝেরহাট পার্পল লাইনে চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী পর্যন্ত মেট্রো চলবে। চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী জোকা-মাঝেরহাট লাইনে প্রথম মেট্রো পাওয়া যাবে সকাল সাড়ে ৮টায় এবং শেষ মেট্রো দুপুর সাড়ে ৩টে পর্যন্ত।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: ‘শিরদাঁড়া’য় আপত্তি, কোথাও পুজোর থিমের ঠাঁই হল আস্তাকুঁড়ে, কোথাও ঢাকল ত্রিপলে!

    Durga Puja: ‘শিরদাঁড়া’য় আপত্তি, কোথাও পুজোর থিমের ঠাঁই হল আস্তাকুঁড়ে, কোথাও ঢাকল ত্রিপলে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর নিয়ে আন্দোলনের মাঝে ‘শিড়দাঁড়া’ প্রসঙ্গ নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় হয়। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের হাতে প্রতীকী শিরদাঁড়া তুলে প্রশাসনের শিরদাঁড়া সোজা রাখার বার্তা দিয়েছেন। যা তাঁদের আন্দোলনকে এক নতুন মাত্রা দেয়। তারপর থেকে ‘শিরদাঁড়া’ ইস্যুতে রক্তচাপ বেড়েছে প্রশাসনের। এবারের পুজোয় প্রতীকী শিরদাঁড়াকে থিম করে মণ্ডপসজ্জার কথা ভেবেছিল শহর ও শহরতলির কয়েকটি পুজো কমিটি। প্রবল ‘পারিপার্শ্বিক চাপে’ পুজোর সেই শিরদাঁড়া মডেলের ঠাঁই হয়েছে কোথাও মণ্ডপের পিছনে আবর্জনার স্তূপে। কোথাও আবার শিরদাঁড়া মডেল ঢাকা পড়ল ত্রিপলে।

    ‘শিরদাঁড়া’ মডেলের ঠাঁই হয়েছে মণ্ডপের পিছনে আবর্জনার স্তূপে (Durga Puja)

    বেলেঘাটা গান্ধীমাঠ ফ্রেন্ডস সার্কেলের পুজো (Durga Puja) থিমের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘বাবারা পরিবারের শিরদাঁড়া’। উদ্যোক্তাদের দাবি, ‘বাবা’রা হাজারো প্রতিকূলতার মধ্যে থেকে পরিবারকে আগলে রাখেন। সন্তানকে মানুষ করতে প্রাণপাত করেন। সকল ঘাত- প্রতিঘাত সামলে পরিবারের গায়ে আঁচড় টুকু লাগতে দেন না। মেরুদন্ডকে সোজা রেখে নিঃশব্দে লড়াই জারি রাখেন। বাবাদের সেই সংগ্রাম আত্মত্যাগকে কুর্নিশ জানাতেই এই থিম। গত ফেব্রুয়ারি থেকেই সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। থিমের নকশাতে ছিল ৪০ ফুটের এই মেরুদণ্ডটি। সেই মতোই কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন শিল্পীরা। মণ্ডপসজ্জার সামগ্রী দিয়ে মেরুদণ্ড তৈরি করে তা মণ্ডপে বসানোও হয়ে গিয়েছিল। আচমকা, তা সরিয়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, শিরদাঁড়া মডেলের ঠাঁই হয়েছে মণ্ডপের পিছনে আবর্জনার স্তূপে। পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘আমরা যে কোনও রকমের বিতর্ক এড়িয়ে যেতে চেয়েছি। আরজি কর আবহে এই ‘শিরদাঁড়া’ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের। এমন পরিস্থিতিতে আমরা দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে আমরা অন্য কিছু ভাবছি না। আমরা উৎসব নিয়েই থাকতে চাই।’’ 

    আরও পড়ুন: রাজ‍্যজুড়ে ফের কর্মবিরতি শুরু জুনিয়র ডাক্তারদের, সিদ্ধান্ত জিবি বৈঠকে

    হাওড়ার সাঁতরাগাছির ক্লাবে ‘শিড়দাঁড়া’ ঢাকা পড়ল ত্রিপলে

    এ বার ৪১তম বর্ষে পা দিয়েছে হাওড়ার সাঁতরাগাছি কল্পতরু স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো। তাদের পুজোর থিম বাস্তবতা। মণ্ডপে ঢোকার মুখেই তৈরি করা হয়েছে ২০ ফুট লম্বা প্রতীকী শিরদাঁড়া। প্রতিবাদের প্রতীক হিসাবে পুজোর মণ্ডপে ব্যবহার করা হয়েছে মানুষের মেরুদণ্ড। সঙ্গে মণ্ডপের গায়ে লেখা, ‘মা আমি ডাক্তার হতে পারলাম না’। মা দুর্গার হাতে অস্ত্রের বদলে থাকছে আয়না। মানুষের বিবেককে জাগ্রত করতে এই প্রতীকী আয়না ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পী সৌরভ ঘোষ। পুজো উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, এক চিকিৎসকের স্বপ্নকে বোঝাতে প্যান্ডেল জুড়ে মুখ বাঁধা ছোট ছোট থলি ব্যবহার করা হয়েছে। যে স্বপ্ন প্রতি দিন বাস্তবতার আঘাতে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, অন্যায় দেখে মানুষের নির্লিপ্ততা বোঝাতে ছোট ছোট মূর্তির চোখে কালো কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে। সোমবার সেই প্যান্ডেলে ঢোকার মুখেই বসানো হয়েছিল শিরদাঁড়া। পুজো কমিটি সূত্রে খবর, এরপরই পুলিশ আসে মণ্ডপে। এরপরই ত্রিপল দিয়ে তা ঢেকে ফেলা হয়।

    চিকিৎসকদের আন্দোলনেও ছিল শিড়দাঁড়া

    আরজি কর-কাণ্ডের আবহে সেই শিরদাঁড়ার অনুষঙ্গ বার বার ঘুরে ফিরে এসেছে। শিরদাঁড়ার প্রসঙ্গ এসেছে সাহসিকতার প্রতিরূপ হিসেবে। প্রতীকী শিরদাঁড়া নিয়ে মিছিল (Durga Puja) করেছিলেন চিকিৎসকেরা। শুধু তা-ই নয়, কলকাতার সদ্য প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকেও চিকিৎসকেরা শিরদাঁড়া উপহার দিয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে, চিকিৎসকের আন্দোলনের চাপেই বিনীতকে কলকাতার কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। পুজোর থিমেও সেই শিরদাঁড়া নিয়ে বিতর্ক এখন তুঙ্গে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “যেচে চড় খেয়েছে রাজ্য”, ডাক্তারদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “যেচে চড় খেয়েছে রাজ্য”, ডাক্তারদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যেচে চড় খেয়েছে রাজ্য।” ১ অক্টোবর ডাক্তারদের মিছিলে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তার প্রেক্ষিতেই কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে কেউ যদি যেচে (Mamata Banerjee) চড় খেতে চায়, তো খাবে। সুপ্রিম কোর্ট তো আগেই বলে দিয়েছিল, ডাক্তারদের কেন, যে কোনও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বাধা দিতে পারবে না সরকার।”

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    তিনি বলেন, “এর আগে ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানও আটকাতে গিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট তা শোনেইনি। ডিভিশন বেঞ্চও তো তা গ্রাহ্য করেনি। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকার এসব করতে যায়। যদি লেগে যায়। ফাটকা খেলতে যায় আর কি!” তৃণমূল সুপ্রিমোকেও নিশানা করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “আরজি কর, সাগর দত্ত, তারপর ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারদের ওপর নিগ্রহ হয়েছে। সব সমস্যার মূলে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “ওঁকে প্রাক্তন করা না হলে, কোনও সমস্যা মিটবে না। কারণ পুলিশের যে কাজ করার কথা, সেটা তারা করে না। পুলিশ দলের কাজ করে, টাকা তোলে।”

    মিছিলের ডাক চিকিৎসকদের

    আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে আজ, ১ অক্টোবর বিকেল ৫টায় মিছিলের ডাক দিয়েছে চিকিৎসকদের ৫৫টি সংগঠন। উদ্যোক্তা জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। মিছিল হবে কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত। চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও এই মিছিলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে উদ্যোক্তাদের তরফে। মিছিলের জন্য অনুমতি চাওয়া হলেও, পুলিশ তা দেয়নি। এর পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন উদ্যোক্তারা।

    আরও পড়ুন: মাওবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক! নজরে দুই মহিলা, পানিহাটিসহ রাজ্যের সাত জায়গায় এনআইএ হানা

    শর্ত সাপেক্ষে মিছিলের অনুমতি দেয় আদালত। আদালতের শর্ত হল, নির্দিষ্ট রুটেই মিছিল হবে। নামাতে হবে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকও। রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ বলেন, “এক কাজ করুন। গোটা শহরেই আপনারা ১৪৪ ধারা জারি করুন (Mamata Banerjee)।” আদালতের এহেন মন্তব্য প্রসঙ্গেই ‘যেচে চড়’ খাওয়ার উপমা দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

       

  • Durga Puja 2024: রাত জেগে দুর্গাপুজোয় ঠাকুর-দর্শন! লাগাতার এই অভ্যাস কতখানি অস্বাস্থ্যকর?

    Durga Puja 2024: রাত জেগে দুর্গাপুজোয় ঠাকুর-দর্শন! লাগাতার এই অভ্যাস কতখানি অস্বাস্থ্যকর?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    প্রায় সারা রাত জেগে থাকা। ভোরের আলো ফোটার আগে ঘুমোতে‌ যাওয়া।‌ আবার বেলা গড়িয়ে ঘুম থেকে ওঠা! তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশ এই অভ্যাসে চলছেন। কখনও কাজের প্রয়োজনে, আবার কখনও মোবাইল, ল্যাপটপের পর্দায় ওটিটি সিরিজে বুঁদ হয়ে রাত কাটিয়ে দেন তরুণ প্রজন্মের একাংশ। তাই কলকাতা ঘুরে ঠাকুর-দর্শনের জন্যও আদর্শ সময়, রাতের কলকাতাকেই বেছে নেন বেশিরভাগ তরুণ-তরুণী। অবশ্য দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) সময়ে রাত জেগে উৎসব উদযাপনে বাদ যায় না কচিকাঁচারাও। পরিবারের সঙ্গে অনেকেই সারা রাত জেগে উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম, ‘প্যান্ডেল হপিং’ চলে। কিন্তু এই রাত জেগে প্রতিমা-দর্শন একেবারেই অস্বাস্থ্যকর বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, রাত জাগার এই অভ্যাস শরীরে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করে। এর ফলে একাধিক জটিল রোগের ঝুঁকি তৈরি হয়।

    কোন ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা? (Durga Puja 2024)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাত জেগে থাকলে শরীরে একাধিক অঙ্গের উপরে চাপ পড়ে, এর ফলে শরীরে নানান রোগের ঝুঁকি বাড়ে। রাত জাগার অভ্যাস লিভার এবং পাকস্থলীর জন্য ক্ষতিকারক। তাঁরা জানাচ্ছেন, পুজোর সময়ে অনেকেই গভীর রাতে নানান রকমের ভারী খাবার খান। অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার, চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার পরে সারা রাত জেগে থাকা শরীরে মারাত্মক ক্ষতিকারক। এর জেরে হজমের সমস্যা তৈরি হয়। অন্ত্র ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।‌ এর ফলে লিভার এবং পাকস্থলীর সমস্যা তৈরি হতে পারে। রাত জাগার ফলে শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের নির্দিষ্ট ঘড়ি আছে। যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় ‘বায়োলজিক্যাল ক্লক’ বলা হয়। সেই নিয়ম অনুযায়ী, দিনে বিভিন্ন কাজের সময় শরীরের নানান হরমোন নিঃসরণ হয়। আবার রাতের সময় শরীরের বিশ্রামের সময়। সেই সময়েও শরীরের বিভিন্ন হরমোন নিঃসরণ হয়। শরীরের এমন কিছু হরমোন রয়েছে, যা রাতে ঘুমোনোর পরেই নিঃসরণ হয়। তাই রাত জাগলে হরমোনের ভারসাম্যের অভাব ঘটে। এর ফলে বিভিন্ন অঙ্গের সক্রিয়তা হারায়। আবার মানসিক চাপ, খিটখিটে মেজাজ তৈরি হয়। অসম্ভব ক্লান্তি বোধ গ্রাস করে।
    রাত জেগে থাকলে (Durga Puja 2024) মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও কমে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কের বিশ্রাম জরুরি। রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোলে তবেই মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসরণ হয়। যা মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখতে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই রাত জাগার অভ্যাস মস্তিষ্কে বিশেষত স্মৃতিশক্তিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। স্থূলতার সমস্যায় ভুক্তভোগীদের জন্যও রাত জাগার অভ্যাস বাড়তি সমস্যা তৈরি করতে পারে। ঠিকমতো বিশ্রাম না নিলে শরীরের ওজন বেড়ে যায় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কাদের বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুজোর সময়ে (Durga Puja 2024) অনেকেই রাত জেগে উদযাপনে যোগ দেন। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এই অভ্যাস বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই তাদের আগাম সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকতে রাত জাগা এড়িয়ে চলাই উচিত। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঠিকমতো খাওয়া এবং ঘুম, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খুবই জরুরি। রাত জাগলে রক্তচাপ ওঠা-নামা করতে পারে। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে‌। 
    আবার ডায়বেটিস আক্রান্তদের রাত জাগা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাওয়া, ঠিকমতো হজম হওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে এগুলো খুব জরুরি। তাই রাত জেগে থাকা (Pratima-darshan) কিংবা গভীর রাতে অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খাওয়া, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপদ তৈরি করতে পারে। হজমের সমস্যা থাকলে রাত জেগে উদযাপন এড়িয়ে চলাই উচিত বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাত জাগার অভ্যাস অন্ত্রের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।‌ তাই রাত জাগলে হজমের আরও গোলমাল হয়। 
    মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে রাত জাগার অভ্যাস এড়িয়ে চলতে হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাইগ্রেনের যন্ত্রণা কমাতে নির্দিষ্ট সময়ে বিশ্রাম, পর্যাপ্ত ঘুম খুব জরুরি। তাই মাইগ্রেন সমস্যা কমাতে রাত জাগার অভ্যাস এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birendra Krishna Bhadra: “আশ্বিনের শারদপ্রাতে..”, মহালয়ার প্রাক্কালে জেনে নিন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের জীবনকথা

    Birendra Krishna Bhadra: “আশ্বিনের শারদপ্রাতে..”, মহালয়ার প্রাক্কালে জেনে নিন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের জীবনকথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  তাঁর কণ্ঠস্বরই বার্তা নিয়ে আসে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের (Mahalaya 2024)। রেডিওতে এবারও ভোরবেলায় বেজে উঠবে “আশ্বিনের শারদপ্রাতে…. “। বোঝা যায়, কৈলাস থেকে মায়ের আসার সময় হয়ে গিয়েছে। মূলত এই কণ্ঠস্বরই পুজোর আমেজ, গন্ধ, আনন্দ সব বয়ে আনে। তিনি বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের (Birendra Krishna Bhadra) স্তোত্র পাঠ ছাড়া যেন দুর্গাপুজো সম্পূর্ণই হয় না।

    বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের জন্ম ও বংশ পরিচয়

    ১৯০৫ সালের ৪ অগাস্ট উত্তর কলকাতায় আহিরীটোলায় জন্মগ্রহণ করেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র (Birendra Krishna Bhadra)। তাঁর পিতার নাম রায়বাহাদুর কালীকৃষ্ণ ভদ্র ও মা সরলাবালা দেবী। জানা যায়, ঠাকুমা যোগমায়া দেবীর কেনা ৭, রামধন মিত্র লেনে উঠে আসেন তাঁর পরিবারবর্গ। তাঁর পিতা কালীকৃষ্ণ ভদ্র ছিলেন বহুভাষাবিদ। তিনি ১৪টি ভাষা জানতেন বলেও শোনা যায়। বাংলা সাহিত্য জগতে তিনি হয়ে উঠেছিলেন এক পরিচিত ব্যক্তিত্ব। ১৯২৭ সালে তিনি “রায়বাহাদুর” খেতাব পান। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র ১৯২৬ সালে ইন্টারমিডিয়েট ও ১৯২৮ সালে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে স্নাতক হন।

    কর্মজীবনে প্রবেশ

    বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র (Birendra Krishna Bhadra) ছিলেন একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি বেতার সম্প্রচারক, নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক। দীর্ঘদিন অল ইন্ডিয়া রেডিওয় বেতার সম্প্রচারকের কাজ করেছেন। কলকাতার আকাশবাণীর অত্যন্ত সুপরিচিত মুখ তিনি। রেডিও ছিল তাঁর প্রাণ। তিনি একাধিক নাটক রচনা ও প্রযোজনাও করেন। এমনকী নিজে পরিচালনা ও অভিনয় করেছেন। ১৯৫৫ সালে ‘নিষিদ্ধ ফল’ নামে একটি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যও রচনা করেছিলেন তিনি।

    ‘মহিষাসুরমর্দিনী’

    তাঁর সর্বাধিক পরিচিত বেতার সম্প্রচার হল ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। এই অনুষ্ঠানটির গ্রন্থনা করেছিলেন বাণীকুমার ভট্টাচার্য এবং সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন পঙ্কজকুমার মল্লিক। এই অনুষ্ঠানে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ভাষ্য ও শ্লোকপাঠ প্রত্যেক বাঙালির মন ছুঁয়ে যায়। সেই ১৯৩১ সাল থেকে আজও প্রতি বছর ‘মহালয়া’-র (Mahalaya 2024) দিন ভোর চারটের সময় কলকাতার আকাশবাণী থেকে এই অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হয়ে আসছে। অর্থাৎ ২০২৪ সালে ৯৩ বছর পূর্তি হবে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’-এর।

    ১৯৭৬ সালে উত্তমকুমারের কণ্ঠে শোনা যায় মহিষাসুরমর্দিনী

    এত প্রতিভার পরেও তাঁর জীবনে খারাপ সময় আসেনি, এটা বলাটা বোধহয় ভুল হবে। সালটা ১৯৭৬। হঠাৎই, আকাশবাণী কর্তৃপক্ষের ইচ্ছায় চিরাচরিত ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের (Birendra Krishna Bhadra) পরিবর্তে বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা উত্তমকুমারকে দিয়ে অন্য একটি অনুষ্ঠান সম্প্রচার করানোর কথা ঠিক হল। জনমানসে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে উত্তমকুমারের ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। সমালোচনার ঝড়, বিক্ষোভে পুনরায় সে বছর ষষ্ঠীর দিনই আবার বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের সেই চিরাচরিত ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ সম্প্রচার করা হয়। তারপর থেকে আকাশবাণী কখনও তাঁর কণ্ঠস্বর বদল করার কথা ভাবেনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: মাওবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক! নজরে দুই মহিলা, পানিহাটিসহ রাজ্যের সাত জায়গায় এনআইএ হানা

    NIA: মাওবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক! নজরে দুই মহিলা, পানিহাটিসহ রাজ্যের সাত জায়গায় এনআইএ হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের একটি মাওবাদী নাশকতা এবং মাওবাদী সংগঠন সংক্রান্ত তদন্তে রাজ্যের (West Bengal) ৭ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে এনআইএ (NIA)। মঙ্গলবার সকাল থেকেই আসানসোল এবং পানিহাটিতে রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর সদস্যদের নিয়ে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন এনআইএ আধিকারিকরা। তল্লাশি চলছে জগদ্দলেও। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুদীপ্তা পাল এবং শিপ্রা চক্রবর্তী নামের দুই মহিলার বিরুদ্ধে মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতেই তাদের এই অভিযান।

    কোথায় কোথায় হানা? (NIA)

    জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় মাওবাদী নাশকতার ফান্ডিং ও সংগঠন সংক্রান্ত তদন্তে নেমে এ রাজ্যের সাত জায়গার নাম জানতে পারে এনআইএ (NIA)। তার ভিত্তিতেই তল্লাশি চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সোদপুরের পল্লিশ্রী এলাকায় মানবাধিকার কর্মী শিপ্রা চক্রবর্তী ও তাঁর স্বামী মানবেশ চক্রবর্তীর বাড়িতে তল্লাশি চলছে। আসানসোলের দুটি জায়গায় তল্লাশি চলছে। একজনের নাম অভিজ্ঞান সরকার, যিনি মূলত গবেষক হিসেবেই পরিচিত। যাদবপুরের এই প্রাক্তনী এর আগে সিঙ্গুর আন্দোলনেও যোগ দিয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। পরবর্তীকালে দেউচা পাচামি আন্দোলনের সময়েও তাঁকে দেখা গিয়েছিল। অন্যদিকে, আসানসোলের সুদীপ্তা পাল, তিনিও একজন মানবাধিকার কর্মী। তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চলছে। তল্লাশি অভিযান চলছে আসানসোলের ডিসেরগড় এলাকাতেও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুদীপ্তা এবং শিপ্রা নানা সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কয়লাখনির শ্রমিকদের অধিকারের দাবিতেও সামনের সারিতে দেখা গিয়েছিল তাঁদের। ‘অধিকার’ নামক একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁরা। পরে ‘মজদুর অধিকার’ নামে একটি সংগঠন শুরু করেন এবং কয়লাখনির শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে তাঁরা আন্দোলন করেন। অভিযোগ, ছত্তিশগড়ের মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতেন সুদীপ্তা এবং শিপ্রা।

    আরও পড়ুন: রাজ‍্যজুড়ে ফের কর্মবিরতি শুরু জুনিয়র ডাক্তারদের, সিদ্ধান্ত জিবি বৈঠকে

    পাঁচিল টপকে বাড়িতে এনআইএ

    স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আসানসোলের একাধিক জায়গায় বাড়িভাড়া নিয়ে থেকেছেন সুদীপ্তা এবং শিপ্রা। বছর পাঁচেক আগে শিপ্রা আসানসোল থেকে চলে যান। তাঁর আসল বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির পল্লীশ্রী এলাকায়। তবে শিপ্রা পানিহাটি চলে যাওয়ার পর ডিসেরগড় এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতেই থাকতেন সুদীপ্তা। মঙ্গলবার সকালে পানিহাটি পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের পল্লীশ্রী এলাকায় শিপ্রার বাড়িতে যান এনআইএ আধিকারিকেরা। প্রথমে ডাকাডাকি করা হলেও ভিতর থেকে দরজা খোলা হয়নি। পরে পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকেন এনআইএ (NIA) আধিকারিকরা। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।

    এনআইএ আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    এনআইএ (NIA) এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রত্যেকের সঙ্গেই মাওবাদী সংগঠনের যোগ রয়েছে। ‘আর্বান নকশাল’ হিসেবে তাঁরা চিহ্নিত। তাঁদের সঙ্গে ছত্তিশগড়ের নাশকতার কী যোগ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় আইইডি বিস্ফোরণে আহত হন সিআরপিএফ জওয়ান। আহতদের রায়পুরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে সময়ে সিআরপিএফের ১৫৩ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা টহল দিচ্ছিলেন। তখনই তাঁরা ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) দেখতে পান। তাঁরা নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করছিলেন, তখনই বিস্ফোরণ হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ‘‘এরকম ঘটনা বারবার ঘটলে তবেই কি সরকারের হুঁশ ফিরবে?’’ প্রশ্ন নির্যাতিতার বাবার

    RG Kar: ‘‘এরকম ঘটনা বারবার ঘটলে তবেই কি সরকারের হুঁশ ফিরবে?’’ প্রশ্ন নির্যাতিতার বাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর (RG Kar) মামলার শুনানির ছিল। শুনানি শেষে সন্ধ্য়ায় নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘আমরা সবসময় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এবং সিবিআই তদন্তের ওপর ভরসা রাখছি। আমরা আশা করছি কিছু একটা হবে।’’ একইসঙ্গে রাজ্য সরকারকে সরকারি হাসপাতালে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত, সেগুলি দ্রুত বাস্তবায়নের ব্যাপারে আর্জিও জানান তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘এরকম ঘটনা বারবার ঘটলে তবেই কি সরকারের হুঁশ ফিরবে?’’

    সরকারের উচিত জুনিয়র ডাক্তারদের দিকে নজর দেওয়া (RG Kar)

    নির্যাতিতার (RG Kar) বাবা বলেন, ‘‘সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হলে এগুলো করা উচিত। আমার মেয়ের সঙ্গে একটা ঘটনা ঘটেছে। তারপরেও গত ২-৩ দিনে এরকম বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। সাগর দত্তে জুনিয়র ডাক্তারদের ওপরে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে সেটাও খুবই দুঃখজনক। ছাত্ররা একদিকে পরিষেবা দিচ্ছে, আবার পড়াশোনা করছে সুতরাং সরকারের উচিত তাঁদের দিকে নজর দেওয়া।’’

    আমার মেয়েটার সঙ্গে যা হয়েছে, ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা না ঘটে, তা সুনিশ্চিত করতেই এই আন্দোলন

    প্রসঙ্গত, সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়েছিল রাজ্য সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে রাজ্যের অধীনে থাকা ২৮টি হাসপাতালেই সিসিটিভি বসানো যায়, শৌচাগার নির্মাণ করা যায় ও সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করা যায়। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না করলে পুরো কর্মবিরতি যে কোনওভাবেই তোলা হবে না তা জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এনিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘জুনিয়র ডাক্তাররা যে ইস্যুতে কর্মবিরতি (RG Kar) ঘোষণা করছে বা করতে চাইছে, সেটা কি কোনও অন্যায়? আজকে আমার মেয়েটার সঙ্গে এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে। ভবিষ্যতে যাতে আর কোনওদিন এরকম ঘটনা না ঘটে, তা সুনিশ্চিত করতেই তাঁদের এই আন্দোলন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের স্ট্যাটাস দেখেছি এবং আমার সোশ্যাল মিডিয়া আমার মেয়ের ছবি যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এই নিয়ে মন্তব্য করেছে রাজ্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: আজ জম্মু-কাশ্মীরে তৃতীয় তথা শেষ দফার নির্বাচন, ৪০ কেন্দ্রে চলছে ভোটগ্রহণ

    Jammu Kashmir: আজ জম্মু-কাশ্মীরে তৃতীয় তথা শেষ দফার নির্বাচন, ৪০ কেন্দ্রে চলছে ভোটগ্রহণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir)। উপত্যকার মোট ৪০টি বিধানসভা কেন্দ্রে মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ চলবে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ৫,০৬০ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। জম্মু কাশ্মীরে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, শেষ দফায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৪০ লাখ। মোট প্রার্থী রয়েছেন ৪০৫ জন। প্রসঙ্গত, তৃতীয় দফার (Assembly Election) ভোটে জম্মু ডিভিশনের ২৪টি এবং কাশ্মীরের ১৬টি আসনে ভোটাভুটি হবে।

    প্রথম দফায় ৬১ শতাংশ, দ্বিতীয় দফায় ৫৭.৩ শতাংশ ভোট পড়েছিল  

    প্রসঙ্গত, ১০ বছর পরে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) বিধানসভার ভোট হচ্ছে, প্রথম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ১৮ সেপ্টেম্বর। ৯০ আসনের মধ্যে প্রথম দফায় ২৪টি আসনে ভোট হয়েছিল, ২৫ তারিখে জম্মু কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। ওইদিন ২৬টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়। আজ তথা মঙ্গলবার রয়েছে শেষ দফার ভোট। প্রথম দফায় ভোট পড়েছিল প্রায় ৬১ শতাংশ। ২৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে প্রায় ৫৭.৩ শতাংশ ভোট পড়েছিল। মঙ্গলবার (Assembly Election) সকাল থেকে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, দিনের শেষে বোঝা যাবে কত শতাংশ ভোট পড়ল।

    কোন কোন আসনে ভোট (Jammu Kashmir)  

    কাশ্মীর উপত্যকার কারনা, ত্রেগাম, কুপওয়ারা, লোলাব, হান্দওয়ারা, লাঙ্গাতে, সপোর, রাফিয়াবাদ, উরি, বারামুল্লা, গুলমার্গ, ওয়াগুরা-কৃরি, পাট্টান, সোনাওয়ারি, বন্দিপোরা এবং গুরেজে ভোটগ্রহণ চলছে। পাশাপাশি জম্মুর উধমপুর পশ্চিম, উধমপুর পূর্ব, চেনানি, রামনগর, বানি, বিল্লাওয়ার, বাসোলি, জাসরোতা, কাঠুয়া, হিরানগর, রামগড়, সাম্বা, বিজয়ুুর, বিষ্ণা, সুচেতাগড়, আরএস পুরা, জম্মু দক্ষিণ, বাহু, জম্মু পূর্ব, নাগরোটা, জম্মু পশ্চিম, জম্মু উত্তর, মাড়, আখনুর এবং ছাম্বে ভোটগ্রহণ চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share