Tag: Madhyom

Madhyom

  • Israel-Hezbollaah conflict: লেবানানে বোমাবর্ষণে হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লা খতম, দাবি ইজরায়েলের

    Israel-Hezbollaah conflict: লেবানানে বোমাবর্ষণে হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লা খতম, দাবি ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লার (Israel-Hezbollaah conflict) প্রধান সৈয়দ হাসান নাসরাল্লাকে খতম করেছে ইজরায়েল। লেবানানের (Lebanon) রাজধানী বেইরুটে ক্রমাগত বোমাবর্ষণ করেছে ইজরায়েল সেনা। হাসানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে ইজরায়েল সেনার পক্ষ থেকেই। পাল্টা ইরানের মদতপুষ্ট হিজবুল্লা এই মৃত্যু নিয়ে এখনও স্পষ্ট বক্তব্য জারি করেনি। পশ্চিম এশিয়ায় লাগাতর সংঘর্ষের কারণে ইতিমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।

    কয়েক ঘণ্টার অপারেশনে খতম

    গত কয়েক দিন ধরেই লেবানানের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে ক্রমাগত জঙ্গিদের গোপন ঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে আক্রমণ (Israel-Hezbollaah conflict) চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল সেনা। শুক্রবার রাতে তাদের নিশানায় ছিল বেইরুট। দফায় দফায় বিমান এবং ক্ষেপনাস্ত্রের মাধ্যমে হামলা চালানো হয়। বোমা বর্ষণের জেরে ব্যাপক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে লেবানান। ইজরায়েলের সেনার তরফ থেকে দাবি করা হয়, সৈয়দ হাসান নাসরাল্লার গোপন আস্তানাকে চিহ্নিত করা গয়েছিল। এরপর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপারেশনে তাঁকে খতম করা গিয়েছে।

    ১৯৯২ সাল থেকে সক্রিয় নাসারাল্লা (Israel-Hezbollaah conflict)

    বিবিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের হামলায় লেবানানে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা প্রায় ৮০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি হামলায় হিজবুল্লার ড্রোন বাহিনীর প্রধান মহম্মদ হুসেন শ্রাউর এবং অন্যতম কমান্ডার ইব্রাহিম মুহম্মদ কোয়াবিসিরও মৃত্যু হয়েছে। লেবাননের (Lebanon) স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, শুক্রবারে ইজরায়েল সেনার হামলায় ৬ জন নিহত এবং ৯১ জন আহত হয়েছে ৷ হামলায় ছ’টি ভবন ধ্বংস হয়েছে ৷ ১৯৮০ সাল থেকে লেবানানের গৃহযুদ্ধের মধ্যেই এই জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল। ১৯৯২ সাল থেকে ইসলামি ধর্মীয় নেতা এবং রাজনৈতিক নেতা হিসাবে সক্রিয় ছিলেন নাসারাল্লা।

    আরও পড়ুনঃ ডকেই ডুবে গেল পারমাণবিক সাবমেরিন! প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা চিনের

    তিনটি রকেট ছুড়ে হামলা করেছিল হিজবুল্লা

    উল্লেখ্য গত বছর ৭ অক্টোবর আচমকা গাজা থেকে ইজরায়েলে (Israel-Hezbollaah conflict) হামলা চালানো হয়েছিল। ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসবের দিনে একাধিক জায়গায় হামলার ফলে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। একই সঙ্গে হামাস, হিজবুল্লার মতো জঙ্গিরা বহু অসহায় নিরপরাধ মানুষকে পণ বন্দি করে রেখেছিল। প্রচুর মানুষকে ঘুমন্ত অবস্থায় নির্বিচারে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। এরপর থেকে হামাসের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে নেমে পড়ে ইজরায়েল। হিজবুল্লা সরাসরি যুদ্ধে না নামলেও হামাসকে সব রকম সহযোগিতা করেছিল। লেবানান থেকে ইজরায়েল ভূখণ্ডে তিনটি রকেট ছুড়ে হামলা করলে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করে ইজরায়েল। এরপর থেকে প্রত্যক্ষ সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Landslide: ভারী বৃষ্টি হলেই ভাঙছে পাহাড়, বার বার ভারতে নামছে ভূমিধস, কী কারণে?

    Landslide: ভারী বৃষ্টি হলেই ভাঙছে পাহাড়, বার বার ভারতে নামছে ভূমিধস, কী কারণে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গ বিপর্যস্ত। পাহাড়ে একাধিক জায়গায় ধস (Landslide) নেমেছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে রয়েছে। ধসের কবলে রাস্তার পাশাপাশি বাড়িও রয়েছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং নয়, কিছুদিন আগে কেরলের কেরলের ওয়েনাডে ভারী বৃষ্টির জেরে ভূমি ধসের ঘটনার সাক্ষী রয়েছেন দেশবাসী। এই বিপর্যয়ে ২০০ জনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। বার বার ধস কেন হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ভূমি ধস প্রবণ এলাকা কোনগুলি? (Landslide)

    আরএমএসআই (RMSI) নামে একটি প্রযুক্তিগত সংস্থা মূলত ভূমিধসের (Landslide) কারণ নিয়ে কাজ করে। তারা দেশের (India) অন্যান্য ভূমিধস-প্রবণ অঞ্চলের সঙ্গে তুলনা করে বিভিন্ন রাজ্যে ভূমিধসের ধরণগুলি বিশ্লেষণ করে। ওই সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের আনুমানিক ৩০ শতাংশ জমি পাহাড়ি এলাকায়। ২২টি রাজ্য এবং পুদুচেরির কিছু অংশ এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, কেরল, মেঘালয়, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশ।   

    আরও পড়ুন: পুজোর মুখে মরশুমের প্রথম তুষারপাত সিকিমের ছাঙ্গুতে, কিন্তু পর্যটকরা পৌঁছাবেন কীভাবে?

    ভূমিধসের কী কী কারণ রয়েছে?

    গবেষকদের মতে, দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনই ভূমিধসের অন্যতম কারণ। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বার্ষিক বৃষ্টিপাতের তীব্রতা আগামী দশকগুলিতে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। উদাহরণস্বরূপ, কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু শহরে ২০৫০ সালের মধ্যে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের তীব্রতা ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ২০৮০ সালের মধ্যে অসমের গুয়াহাটিতে বার্ষিক বৃষ্টিপাত ২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। পাহাড়ি এলাকায় রাস্তা তৈরি ধসের (Landslide) অন্যতম কারণ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৫০ সাল নাগাদ ভারতের রাস্তার দৈর্ঘ্য ৩, ৯৯,৯৪২ বর্গ কিমি। ২০২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৬২, ৯৫, ৭১৭ বর্গ কিমি হয়েছে। অর্থাৎ, প্রায় চার লক্ষ বর্গ কিমি থেকে বেড়ে প্রায় ৬৩ লক্ষ বর্গ কিমি হয়েছে। ফলে, প্রচুর পরিমাণ গাছ কেটে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে।

    ভূমিধসের তিন প্রধান কারণ

    ভূমিধসের মূলে প্রধানত তিন কারণ। মূল কারণগুলি হল ভূতত্ত্ব, জমির গঠন ও মানুষের কার্যকলাপ। কোনও এলাকার ভূতত্ত্ব ও জমির গঠনের ওপর সেই এলাকা ভূমিধস প্রবণ হবে কিনা তা নির্ভর করলেও মানুষের যথেচ্ছ কার্যকলাপকে অস্বীকার করা যায় না। কেরলে সাম্প্রতিক বছরে ভূমিধসের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উঠে আসছে বেআইনি নির্মাণ কাজ, নিয়ম বহির্ভূতভাবে জমিতে চাষাবাদ। এছাড়াও নিয়ম না মেনে সেচ, বনভূমি উজাড়, বেআইনি খনন কাজ, গাছ ধ্বংস ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। কেরলে অতিবৃষ্টি ভূমিধসের অন্যতম কারণ। কারণ অতিবৃষ্টিতে মাটি আলগা হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মত, বিগত কয়েক বছর ধরে অপরিকল্পিত বাসস্থান নির্মাণ ঘন ঘন ভূমিধসের অন্যতম প্রধান কারণ। এছাড়া গত কয়েক বছরে ভৌগলিক পরিবর্তন ঘটায় এই সমস্যা আরও বেড়েছে।

    সংস্থার অন্যতম কর্মকর্তা কী বললেন?

    সংস্থার অন্যতম কর্মকর্তা পুষ্পেন্দ্র জোহারি বলেন, ‘‘যখন আমরা উন্নয়ন করার নামে প্রাকৃতিক পরিবেশকে নষ্ট করি। বিশেষ করে গাছপালা কেটে ফাঁকা করে, জল শোষণের ধরণগুলি পরিবর্তন করে বা নরম  জমিতে রাস্তা এবং বিল্ডিং তৈরি করে ভূমি ধসে (Landslide) প্রবণতা বাড়িয়ে দিই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Holiday list: ২০২৫ সালে কবে কোন সরকারি ছুটি পড়েছে? দিন ঘোষণা কেন্দ্রের, দেখুন তালিকা

    Holiday list: ২০২৫ সালে কবে কোন সরকারি ছুটি পড়েছে? দিন ঘোষণা কেন্দ্রের, দেখুন তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির (Holiday list) সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। এই ছুটি সরকারি গেজেটে প্রকাশ করা হয়েছে। সরকারি ছুটির এই তালিকা কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গ, জনঅভিযোগ এবং পেনশন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে। প্রকাশিত সার্কুলারে ১৭টি গেজেটেড ও ৩৪টি রেস্ট্রিক্টেড বা নিয়ন্ত্রিত ছুটির ঘোষণা করা হয়েছে। 

    কেন্দ্রের ঘোষিত গেজেটেড ছুটিগুলি (Holiday list) হল বাধ্যতামূলক সরকারি ছুটি। কেন্দ্রীয় সরকারের সকল প্রতিষ্ঠানগুলিতে এই ছুটির দিনগুলি কার্যকর হবে। তবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাজ্যের ভিত্তিতে ছুটিগুলি আবার পরিবর্তিত হয়। ২০২৫ সালের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসগুলির গেজেটেড (Public Gazette) ছুটির তালিকা হল—

    ২৬ জানুয়ারি, রবিবার, প্রজাতন্ত্র দিবস

    ২৬ ফেব্রুয়ারি, বুধবার, মহাশিবরাত্রি

    ১৪ মার্চ, শুক্রবার, হোলি

    ৩১ মার্চ, সোমবার, ইদ-উল ফিতর

    ১০ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার, মহাবীর জয়ন্তী

    ১৮ এপ্রিল, শুক্রবার, গুড ফ্রাইডে

    ১২ মে, সোমবার, বুদ্ধ পূর্ণিমা

    ৭ জুন, শনিবার, ইদ-উদ-জোহা

    ৬ জুলাই, রবিবার, মহরম

    ১৫ অগাস্ট, শুক্রবার, স্বাধীনতা দিবস

    ১৬ অগাস্ট, শনিবার, জন্মাষ্টমী

    ৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার, মিলাদ-উন-নবী (ইদ-ই-মিলাদ)

    ২ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, মহাত্মা গান্ধী জন্মজয়ন্তী

    ২ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, দশেরা

    ২০ অক্টোবর, সোমবার, দীপাবলি

    ৫ নভেম্বর, বুধবার, গুরুনানক জন্মজয়ন্তী

    ২৫ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার, বড়দিন

    গেজেটেড ছুটির পাশাপাশি, নিয়ন্ত্রিত ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সকল কর্মী নিম্নলিখিত তালিকার থেকে যে কোনও দুটি ছুটি নিতে পারবেন। এই তালিকা রয়েছে–

    ১ জানুয়ারি, বুধবার, ইংরেজি নববর্ষ

    ৬ জানুয়ারি, সোমবার, গুরু গোবিন্দ সিংয়ের জন্মদিন

    ১৪ জানুয়ারি, মঙ্গলবার, মকর সংক্রান্তি বা মাঘ বিহু বা পঙ্গল

    ২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার, বসন্ত পঞ্চমী বা সরস্বতী পুজো

    ১২ ফেব্রুয়ারি, বুধবার, গুরু রবি দাসের জন্মদিন

    ১৯ ফেব্রুয়ারি, বুধবার, শিবাজী জয়ন্তী

    ২৩ ফেব্রুয়ারি, রবিবার, স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর জন্মদিন

    ১৩ মার্চ, বৃহস্পতিবার, হোলিকা দহন

    ১৪ মার্চ, শুক্রবার, দোলযাত্রা

    ১৬ এপ্রিল, রবিবার, রাম নবমী

    ১৫ অগাস্ট, শুক্রবার, জন্মাষ্টমী (স্মার্ত)

    ২৭ অগাস্ট, শুক্রবার, গণেশ চতুর্থী/বিনায়ক চতুর্থী

    ৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার, ওনাম বা তিরুওনম

    ২৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার, দশেরা (মহাসপ্তমী)

    ৩০ সেপ্টেম্বর,  মঙ্গলবার, দশেরা (মহাষ্টমী)

    ১ অক্টোবর, বুধবার, দশেরা (মহানবমী)

    ৭ অক্টোবর, মঙ্গলবার, মহর্ষি বাল্মীকির জন্মদিন

    ১০ অক্টোবর, শুক্রবার কারাকা চতুর্থী (কারওয়া চৌথ)

    ২০ অক্টোবর, সোমবার, নরক চতুর্দশী

    ২২ অক্টোবর, বুধবার, গোবর্ধন পুজো

    ২৩ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, ভাতৃদ্বিতীয়া

    ২৮ অক্টোবর, মঙ্গলবার, প্রতিহার ষষ্ঠী বা সূর্য ষষ্ঠী (ছট পুজো)

    ২৪ নভেম্বর, সোমবার, গুরু তেগ বাহাদুরের বলিদান দিবস

    ২৪ ডিসেম্বর, বুধবার, বড়দিন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jyotiraditya Scindia: “৬জি টেলিকম পরিষেবায় ভারত লিডিং প্লেয়ার হয়ে উঠতে পারে”, প্রত্যয়ী সিন্ধিয়া

    Jyotiraditya Scindia: “৬জি টেলিকম পরিষেবায় ভারত লিডিং প্লেয়ার হয়ে উঠতে পারে”, প্রত্যয়ী সিন্ধিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “৬জি টেলিকম পরিষেবায় (6G) ভারত লিডিং প্লেয়ার হয়ে উঠতে পারে।” এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় টেলি যোগাযোগমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia)। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে ভারত ধীর প্রযুক্তি ব্যবহারকারী থেকে উন্নীত হয়ে এক নেতা হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে। আমি নিশ্চিত যে ভারত ৬জি অ্যালায়েন্সের সমস্ত সদস্য এক সঙ্গে কাজ করবেন, যাতে ১৪০ কোটি ভারতীয়র জন্য সর্বব্যাপী, সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য প্রযুক্তি গড়ে তোলার জন্য ভারত সক্ষম হয়।”

    ৬জি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করার পরামর্শ (Jyotiraditya Scindia)

    জানা গিয়েছে, দেশের টেলিকম সংস্থাগুলিকে এখন থেকেই ৬জি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করার পরামর্শও দিয়েছেন টেলিযোগাযোগমন্ত্রী। সম্প্রতি, টেলিকম ক্ষেত্রের পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠকে এই শিল্পের প্রতিনিধিদের তিনি জানান, এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করুক টেলি শিল্প। তাতে আখেরে লাভবান হবে দেশই। সংস্থাগুলি যাতে ৬জির মোট পেটেন্টের ১০ শতাংশ ও তিন বছরে প্রযুক্তির এক-ষষ্ঠাংশ বাজার দখলে রাখতে পারে, সেজন্য পদক্ষেপ করতে হবে। সিন্ধিয়ার (Jyotiraditya Scindia) আশ্বাস, শিল্পের দাবি মতো সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ সহায়তা করা হবে।

    সিন্ধিয়ার আশ্বাস

    টেলি সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে সারা দেশকে ব্রডব্যান্ড পরিষেবার আওতায় আনতে কেন্দ্রের কাছে যে সাহায্য চাওয়া হয়েছিল, তা-ও দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিশ্বমানের প্রযুক্তি, টেস্টবেড এবং অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার মাধ্যমে ভারত যেন বৈশ্বিক ৬জি ক্ষেত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে সরকার আগ্রহী। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে এই সহযোগিতামূলক পদ্ধতির মাধ্যমে ভারত ৬জি পরিষেবার ক্ষেত্রে একটা শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হতে পারবে।”

    আরও পড়ুন: ‘গান পয়েন্টে ধর্ষণ আইএএসের স্ত্রীকে’! পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের, রাজ্যকে আক্রমণ মালব্যর

    প্রসঙ্গত, সরকার চায় যে ভারত ৬জি প্রযুক্তি বিকাশে নেতৃত্ব গ্রহণ করুক। এজন্য, ভারত অন্যান্য দেশের সঙ্গে বেশ কয়েকটি মউ স্বাক্ষর (6G) করেছে, যাতে এই ক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়নকে উৎসাহিত করা যায় (Jyotiraditya Scindia)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sagar Dutta Medical College: রোগী মৃত্যুর জেরে হামলা পরিজনদের, সাগর দত্তে কর্মবিরতি জুনিয়র ডাক্তারদের

    Sagar Dutta Medical College: রোগী মৃত্যুর জেরে হামলা পরিজনদের, সাগর দত্তে কর্মবিরতি জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের রেশ এখনও রয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই আবহে রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College) উত্তেজনা ছড়াল শুক্রবার। এক রোগীর মৃত্যু ঘিরে চিকিৎসকদের (Junior Doctors Protest) উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় আহত ৩ জুনিয়র ডাক্তার, নার্স-সহ ৩ স্বাস্থ্যকর্মী ও এক পুলিশকর্মী। চিকিৎসকদের উপর হামলার ঘটনার পর সাগর দত্তে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শনিবার সকালেও চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি, ধর্না। 

    ঠিক কী ঘটেছিল

    বছর ছত্রিশের রঞ্জনা সাউ নামে এক মহিলাকে শুক্রবার শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College) ভর্তি করা হয়। রোগীর পরিজনদের দাবি, হাসপাতালে কোনওরকম চিকিৎসা হয়নি রোগীর। এর ফলে মৃত্যু হয় তাঁর। যখন অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে, সেই সময় স্বাস্থ্যকর্মী অক্সিজেন দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তা সফল হয়নি। রোগীর মৃত্যুর পর হাসপাতালের ভিতরেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন রোগীর পরিজনরা। হাসপাতালের আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ, রোগীর পরিজনরা চিকিৎসকদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। চিকিৎসকদের ধাক্কাধাক্কি করা হয়। তাঁরা এগিয়ে গেলে তাঁরাও আহত হন।

    চলছে ধর্না, কর্মবিরতি

    এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাত ১১টা থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। হাসপাতাল (Sagar Dutta Medical College) চত্বরে চলছে ধর্নাও। বহির্বিভাগ বা জরুরি বিভাগে আপাতত পরিষেবা বন্ধ রেখেছেন তাঁরা। কত ক্ষণ কর্মবিরতি চলবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। হাসপাতাল চত্বরে অবস্থানে বসে থাকা জুনিয়র ডাক্তারেরা জানাচ্ছেন, শনিবার তাঁদের কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক রয়েছে। ওই বৈঠকের পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে টানা ৪২ দিন জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলেছে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে। সরকারের তরফে নিরাপত্তা ও পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে ইতিবাচক কিছু আশ্বাস পাওয়ার পর সদ্য কাজে ফিরেছিলেন তাঁরা। আংশিক ভাবে শুরু করেছিলেন রোগী পরিষেবা। কিন্তু এরই মধ্যে ফের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলায় ক্ষুব্ধ ডাক্তাররা। এদিকে, হামলার খবর পেয়ে শুক্রবার রাতেই সাগর দত্ত (Sagar Dutta Medical College) মেডিক্যালে পৌঁছে যান পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের (ডব্লিউবিজেডিএফ) প্রতিনিধিরা। সেখানকার জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন কিঞ্জল নন্দ, দেবাশিস হালদাররা। 

    আরও পড়ুন: ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ’, দোষ প্রমাণ হলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে সন্দীপের

    জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ

    হামলার অভিযোগে ইতিমধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors Protest) বক্তব্য, তাঁরা কর্মস্থলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সাগর দত্তের এক জুনিয়র ডাক্তার জানান, ঘটনার পর হাসপাতালের অধ্যক্ষ এবং এমএসভিপির সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়ে তাঁরা মৌখিক আশ্বাস পেয়েছেন কর্তৃপক্ষের থেকে। কিন্তু বাস্তবে সেই আশ্বাসের কোনও প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না বলেই দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের। শুধু তাই নয়, হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সাগর দত্তের এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, “শুক্রবার সন্ধ্যায় মহিলা ওয়ার্ডে রোগীর পরিজনেরা প্রবেশ করে ধস্তাধস্তি শুরু করেছিলেন। তাহলে নিরাপদ কর্মস্থল কোথায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Malviya: ‘গান পয়েন্টে ধর্ষণ আইএএসের স্ত্রীকে’! পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের, রাজ্যকে আক্রমণ মালব্যর

    Amit Malviya: ‘গান পয়েন্টে ধর্ষণ আইএএসের স্ত্রীকে’! পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের, রাজ্যকে আক্রমণ মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘গান পয়েন্টে ধর্ষণ আইএএসের স্ত্রীকে’! খোদ কলকাতার ঢাকুরিয়ার ঘটনা। মামলা লঘু করে দেখিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে। কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য সরকার। তার পরেই বাংলায় নারী (Women In Bengal) সুরক্ষা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুললেন বিজেপির আইটি সেলের আহ্বায়ক অমিত মালব্য (Amit Malviya)। এক আইএএস অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণের মামলাকে লঘু করার অপরাধে কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে পুলিশ।

    অমিতের ট্যুইট-বাণ (Amit Malviya)

    এই প্রসঙ্গেই অমিতের ট্যুইট-বাণ। তিনি লিখেছেন, “বন্দুকের নলের সামনে দুদিন ধর্ষণের শিকার হন একজন আইএএসের স্ত্রী। এক মহিলা থানায় গেলে পুলিশ অপরাধীকে বাঁচাতে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট ও লোপাট করার চেষ্টা করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে এভাবেই মানুষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত।” এই বিজেপি নেতার দাবি, “এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং বাংলায় নারীর প্রতি যৌন অপরাধের প্রবণতা ক্রমবর্ধমান।” তাঁর প্রশ্ন, ‘যদি কলকাতায় একজন প্রভাবশালী আইএএস অফিসারের স্ত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হন এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ অপরাধের চিহ্ন মুছে ফেলার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে, তাহলে দরিদ্র ও প্রান্তিকরা কতটা দুর্বল, তা কল্পনা করা যায়?’ অমিতের বক্তব্য, এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সন্দেশখালি থেকে আরজি কর, বাংলায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে।

    হাইকোর্টের পদক্ষেপ

    গত ১৫ জুলাই লেক থানা এলাকায় এক আইএএসের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ ধর্ষণের চেষ্টার পরিবর্তে লঘু ধারায় মামলা রুজু করে বলে অভিযোগ। মহিলার বয়ানের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটিও বাদ দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিম্ন আদালতে পেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই জামিন পান অভিযুক্ত। তার আগাম জামিনও মঞ্জুর করে (Amit Malviya) আদালত। যদিও নিম্ন আদালত থেকে পাওয়া জামিন ও আগাম জামিন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলা হস্তান্তর করা হল লালবাজারে কর্মরত ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার এক মহিলা পুলিশ আধিকারিককে। হাইকোর্টের নির্দেশ, তিনি এই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক হবেন। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে লেক থানার ওসি, এক সাব ইনস্পেক্টর, একজন সার্জেন্ট ও তিন মহিলা পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেয় আদালত।

    জানা গিয়েছে, এফআইআর দায়ের করার পরেই অভিযুক্তের স্ত্রী ও ছেলেকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। নিগৃহীতাকে চাপ দেওয়ার জন্যই এদের নিয়ে আসা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা পরে তাঁর জামা-কাপড় ও অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করতে পুলিশ বাড়িতে যায় বলে দাবি নিগৃহীতার। হাইকোর্টে দায়ের করা মামলায় দাবি, অভিযুক্ত যে বাড়িতে ঢুকছে এবং বেরোচ্ছে, সেই সিসিটিভি ফুটেজ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। নিগৃহীতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করার প্রয়োজন বোধ করেননি তদন্তকারী আধিকারিক। নিগৃহীতা নিজেই সরকারি হাসপাতালে যান এবং মেডিক্যাল রিপোর্ট দেন তদন্তকারী আধিকারিককে।

    আরও পড়ুন: ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ’, দোষ প্রমাণ হলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে সন্দীপের

    কী বলছে আদালত

    এদিন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ নির্দেশে জানান, লেক থানার পুলিশ আধিকারিক সুজাতা বর্মণ, তিলজলা থানার এসআই কল্পনা রায় ও কড়েয়া থানার এসআই অর্পিতা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ নির্যাতিতার অভিযোগ গ্রহণ করা ও তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করার ক্ষেত্রে গাফিলতি রয়েছে (Women In Bengal) বলে মনে করছে আদালত (Amit Malviya)। আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিকভাবে সঠিক ধারায় এফআইআর দায়ের না হওয়া এবং অভিযোগপত্র বিকৃত করার যে অভিযোগ উঠেছে, তার ফলে এই তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিচারপতি ভরদ্বাজের পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্তের পরিবার নিগৃহীতাকে থানায় বসে হুমকি দিচ্ছে। এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ নিয়েও কোনও তদন্ত হয়নি। এছাড়াও ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে নিগৃহীতা মহিলার শারীরিক পরীক্ষাও করেনি পুলিশ।

    ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা

    কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ থেকে এটা স্পষ্ট, রাজ্যে (Amit Malviya) কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। অভিযোগ, সন্দেশখালি কিংব অন্যত্র ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেই তৃণমূলের দলদাস পুলিশ কর্মীরা ঘটনাকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করে। কোথাও এফআইআরে ধর্ষণের কথা উল্লেখ করা হয় না, তো কোথায় আবার নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করা হয় না। কোথাও আবার শারীরিক পরীক্ষা করা হলেও, তা ঘটনার পরে পরেই নয়, বেশ কয়েকদিন পরে। অভিযোগ, প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশেই এসব করা হয়। ঢাকুরিয়ার বধূর ক্ষেত্রেও কী তাই করার চেষ্টা করেছিল রাজ্য, উঠছে প্রশ্ন (Amit Malviya)।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: আরজি করে বসানো হবে অভয়ার মূর্তি, মহালয়ায় মহাসমাবেশের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG Kar Case: আরজি করে বসানো হবে অভয়ার মূর্তি, মহালয়ায় মহাসমাবেশের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার ন্যায় বিচারের দাবিতে কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসেই মূর্তি বসবে নির্যাতিতার। শুক্রবার এসএসকেএম মেডিক্যাল হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের গণকনভেনশেনে এমনটাই জানালেন বিশিষ্ট চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী। একইভাবে মহালয়ার (Mahalaya) দিনে মহাসমাবেশ এবং মহামিছিলের ডাক দেয় জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্ট।

    অভয়ার কর্মস্থলে বাসনো হবে মূর্তি (RG Kar Case)

    কার্যত নিজের কর্মক্ষেত্রেই খুনের শিকার হয়েছেন অভয়া। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুবিচারের দাবিতে আন্দোলনের আঁচ রাজ্য, দেশ তথা বিদেশও গিয়ে পড়েছে। সর্বত্র ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’-স্লোগানে মুখরিত হয়েছে। হত্যার ৫০ দিনের মাথায় এসএসকেএম হাসপাতালের একটি প্রেক্ষাগৃহে গণকনভেনশনের ডাক দেওয়া হয়। তাতে উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিভিন্ন বর্গের মানুষ। কবি, সাহিত্যিক, সমাজকর্মী, ছাত্রছাত্রী, গবেষক, অধ্যাপক এবং সাংবাদিকরা যোগদান করেছিলেন। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে অভিজিৎ চৌধুরী দাবি করেন, যেখানে অভয়ার নির্যাতন হয়েছে, সেখানেই তাঁর মূর্তি বাসনো হবে। তবে ঠিক কোথায় বাসানো হবে তা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করা হবে। একই ভাবে এই মূর্তি বাকি হাসপাতালেও বাসানো হবে। ন্যায় বিচারের দাবিতে আমরা অনড়।

    আরও পড়ুনঃ ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ’, দোষ প্রমাণ হলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে সন্দীপের

    কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল

    এবারের দুর্গাপুজো হবে প্রতিবাদের উৎসব, ঠিক এমন দাবি তোলা হয় এদিনের গণকনভেনশেনে। আগামী ২ অক্টোবর মহালয়ার (Mahalaya) দিনে ন্যায় বিচারের (RG Kar Case) দাবিতে মহামিছিলের ডাক দিয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের ফ্রন্ট। সেদিন কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করা হবে। মিছিলের শেষে ধর্মতলায় হবে মহাসমাবেশ। এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সমাজের নানা স্তরের মানুষকে যোগদানের জন্য আহ্বান করা হয়েছে। একই ভাবে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ফের রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, এবারের স্লোগান হবে, ‘পাড়ায় থাকছি এক সাথে, উৎসবে নয় প্রতিবাদে’। এদিকে আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়ার টানা ৪২ দিন কর্মবিরতির পর কাজে যোগদান করলেও আন্দোলনের তীব্রতা একটুও কম হয়নি। একই ভাবে ডাক্তারদের দাবি-দাওয়া না মানলে, আবার কর্মবিরতি ঘোষণা করতে পারেন বলে রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sikkim: পুজোর মুখে মরশুমের প্রথম তুষারপাত সিকিমের ছাঙ্গুতে, কিন্তু পর্যটকরা পৌঁছাবেন কীভাবে?

    Sikkim: পুজোর মুখে মরশুমের প্রথম তুষারপাত সিকিমের ছাঙ্গুতে, কিন্তু পর্যটকরা পৌঁছাবেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর বাকি হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন। পুজোর ছুটিতে অনেকেরই ডেস্টিনেশন হয় পাহাড়। ব্যাগপত্র গোছানোও শুরু হয়ে গিয়েছে। এরইমধ্যে অবিরাম বৃষ্টি চলছে পাহাড়ে। নামছে ধস। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলবে পাহাড়-সহ সমতলে। কার্যত বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। বন্ধ রয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। পুজোর ছুটির মুখেই মন ভালো করা খবর এল সিকিম (Sikkim) থেকে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার উত্তর সিকিমের ছাঙ্গুতে তুষারপাত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানাচ্ছে, এটাই এই মরশুমের প্রথম তুষারপাত। দুপুর নাগাদ একটু একটু করে তুষারপাত (Snowfall) শুরু হয়েছিল। চলে বেশ খানিক ক্ষণ। ফলে, তুষারপাতের আমেজ নিতে পর্যটকরা কীভাবে যাবেন তা নিয়ে পর্যটকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

    পর্যটকরা পৌঁছাবেন কীভাবে? চিন্তায় ব্যবসায়ীরা 

    পাহাড়ে নাগাড়ে বৃষ্টি আর ধসের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়িয়েছিল। তবে, যাঁরা পুজোয় সিকিমের (Sikkim) দিকে যাচ্ছেন, তাঁদের জন্য এবার দারুণ সুখবর রয়েছে। বছরের প্রথম তুষারপাতের সাক্ষী থাকল সিকিমের ছাঙ্গু ও চোপ্তা ভ্যালি। এই খবর পেয়ে যারপরনাই আনন্দে আত্মহারা হবেন পর্যটকরা। যে পর্যটকরা ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন, বছরের প্রথম তুষারপাত হতেই তাঁরা উচ্ছ্বসিত। তুষারপাতের খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশাবাদী পর্যটন ব্যবসায়ীরা। আসন্ন পুজোর ছুটির মরশুমে পর্যটকরা তুষারপাতের টানে পাহাড়মুখী হবেন বলে তাঁদের আশা। তবে, টানা ধসের কারণে বন্ধ রয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সিকিম (Sikkim) যেতে হলে পর্যটকদের গরুবাথান, লাভা পেরিয়ে আলগাড়া হয়ে যেতে হবে। তা বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু, সেখানেও বিপদ! গরুবাথান থেকে লাভা হয়ে যে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের যোগ্য ছিল, সেটিও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। খুব প্রয়োজন না থাকলে সেই রাস্তা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। সেজন্যই পর্যটকদের আগমন নিয়ে চিন্তায় সিকিমের হোটেল ব্যবসায়ীরা। 

    আরও পড়ুন: রক্ত পরীক্ষার রিএজেন্ট কেনাতেও কোটি টাকার দুর্নীতি! সন্দীপের নয়া কুকীর্তি প্রকাশ্যে

    পাহাড়ে কতদিন চলবে বৃষ্টি? কী বলছে পূর্বাভাস?

    গত দু’দিন ধরে টানা উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি সিকিমেও (Sikkim) ভারী বর্ষণ চলছে। দু’দিনের ভারী বর্ষায় ফুঁসছে তিস্তা-সহ অন্যান্য নদী। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলবে পাহাড়-সহ সমতলে। আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ির বেশ কয়েকটি জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির কথা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, বৃষ্টিতে পাহাড়ে ধস নামতে পারে। তার মধ্যেই তিস্তায় নতুন করে জলস্ফীতি ঘটায় তিস্তাপারের বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে প্রশাসন। বিপদ এড়াতে কয়েকটি এলাকায় নজরদারি শুরু হয়েছে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক-সহ পাহাড়ি রাস্তাগুলিতে। টানা চার দিনের বৃষ্টিতে বিপদের মুখে পাহাড় এবং সমতলের একাংশ। কালিম্পং তো বটেই, দার্জিলিংয়ের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। প্রায় সময়ই বন্ধ থাকছে জাতীয় সড়ক। প্রায় লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত উত্তরে বৃষ্টি থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    আরও দুদিন তুষারপাতের সম্ভাবনা সিকিমে (Sikkim)!

    শুক্রবার তুষারপাত (Snowfall) হতে পারে বলে আগেই অবশ্য পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার সিকিম আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর ডক্টর গোপীনাথ রাহা বলেন, “নামচি জেলায় তাপমাত্রা অনেকটাই নেমেছে। যে কারণে ছাঙ্গুতে তুষারপাত হয়। আগামী দু’দিনও সেখানে তুষারপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি গোট পাহাড়ে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।” সিকিমের (Sikkim) ব্যবসায়ীদের এখন একটাই প্রার্থনা, বৃষ্টি যেন দ্রুত বন্ধ হয়ে যায়। যাতে তুষারপাতের আমেজ নিতে রাজ্যে আসতে পারেন পর্যটকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: গোটা পুজোয় ঝড়বৃষ্টি! ভিজবে কোন কোন জেলা? কী পূর্বাভাস মৌসম ভবনের?

    Weather Update: গোটা পুজোয় ঝড়বৃষ্টি! ভিজবে কোন কোন জেলা? কী পূর্বাভাস মৌসম ভবনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর তিনদিন পর মহালয়া। দেবীর আগমনী বার্তা আকাশে-বাতাসে। তবে, জোড়া ঘূর্ণাবর্ত আর নিম্নচাপের প্রভাবে চলতি সপ্তাহে বৃষ্টি (Rain Forecast) লেগেই রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। আগামী, সোমবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ একটু কমলেও পুজোয় ফের ভাসতে পারে দক্ষিণবঙ্গ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না। ১৩ অক্টোবর (একাদশী) পর্যন্ত উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে। 

    পুজোয় বৃষ্টির আশঙ্কা

    পুজোর মাত্র আর কয়েকটা দিন, পুজোতে কেমন থাকবে আবহাওয়া? আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, মহালয়াতে বৃষ্টি (Rain Forecast) হবে। আসন্ন পুজোতেও বৃষ্টিপাত জারি থাকবে। পুজোতে কলকাতা-সহ সব জেলাতে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি হবে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ৫ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর, ষষ্ঠী পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার বেশির ভাগ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ১০ অক্টোবর, সপ্তমী থেকে ১৩ অক্টোবর, একাদশী পর্যন্ত হালকা বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ডকেই ডুবে গেল পারমাণবিক সাবমেরিন! প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা চিনের

    জোড়া ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব

    হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ এবং সংলগ্ন এলাকার উপর রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। অন্য দিকে, দক্ষিণ গুজরাট থেকে উত্তর-পশ্চিম বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে একটি অক্ষরেখা। এই দুইয়ের প্রভাবেই বঙ্গোপসাগর থেকে ছুটে আসছে জলীয় বাষ্প। তার প্রভাবেই রাজ্যে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। মৌসম ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, ৩ তারিখ পর্যন্ত উত্তর ও দক্ষিণ- দুই বঙ্গেই বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের থেকে বেশি হবে। ৪ তারিখ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত দুই বঙ্গে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত (Rain Forecast) হবে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোচবিহারেও ভারী বৃষ্টি চলবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rainfall: টানা বৃষ্টিতে দর্জিলিংয়ে ধসের কবলে বাড়ি-রাস্তা, জারি লাল সতর্কতা, উদ্বেগে পর্যটকরা

    Heavy Rainfall: টানা বৃষ্টিতে দর্জিলিংয়ে ধসের কবলে বাড়ি-রাস্তা, জারি লাল সতর্কতা, উদ্বেগে পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাগাতার বৃষ্টির (Heavy Rainfall) জেরে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি দার্জিলিং (Darjeeling) ও কালিম্পং জেলায়। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও মিরিক, দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াংয়ের নানা এলাকায় ধস (Landslide) নামে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিরিকদারায় পাহাড় থেকে লাগাতার বড় আকারের পাথর জাতীয় সড়কের ওপরে নামার জেরে যান চলাচল বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জায়গায় লাল সতার্কতা জারি হয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, শনিবার পর্যন্ত চলবে এই বৃষ্টি। ফলে আরও দুর্ভোগ বৃদ্ধির আশঙ্কা পাহাড়ে। পর্যটকরা উদ্বেগে। কারণ, যারা ঘুরতে গিয়েছেন, তাঁরা বাড়ি ফিরতে গিয়ে চরম নাকাল হচ্ছেন। অনেকে আবার এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছেন না। 

    কোথায় লাল সতর্কতা? (Darjeeling)

    গত ২৪ ঘণ্টায় পাহাড়ের একাধিক জায়গায় ধস (Landslide) নেমেছে। পরিস্থিতি এমন যে, তিস্তাবাজার থেকে কালিম্পং যাওয়ার রাস্তা আপাতত বন্ধ। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিং (Darjeeling), কালিম্পং জেলার পাশাপাশি সিকিমের গ্যাংটক, মংগন, নামচি-সহ একাধিক জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টি (Heavy Rainfall) হতে পারে। ওই সব জায়গায় ইতিমধ্যে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তিস্তা সংলগ্ন এলাকাতেও বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে প্রশাসন। গত অক্টোবর থেকেই বিপর্যস্ত সিকিম। এ বছর মে মাসে নতুন করে বিপর্যস্ত হয়। নতুন করে সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে তাঁর প্রভাব কালিম্পং জেলাতেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা জেলা প্রশাসনের।

    কালিম্পঙে বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জীবন

    শুক্রবার সিকিম, কালিম্পং এবং মিরিকে নতুন করে ধস (Landslide) নেমেছে। সিকিমের মঙ্গন থেকে চুংথাং যাওয়ার রাস্তা ধসের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মিরিকের ডাডা গ্রাম পঞ্চায়েতের থরবু গ্রামে ধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি বাড়ি। বেশ কিছু বাড়ি ধসে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ওই বাড়িগুলির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কালিম্পঙে ভারী বৃষ্টি (Heavy Rainfall) এবং ধসের কারণে বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জীবন। আবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। কালিম্পঙের ইয়াংমাকুম গ্রামে ট্রান্সফর্মার ধসের কবলে পড়ায় গোটা এলাকা এখন বিদ্যুৎহীন। আগামী সাত দিনেও ওই পরিস্থিতির উন্নতি হবে কি না, সন্দেহ রয়েছে। সেবক থেকে কালিঝোরা যাওয়ার রাস্তার একাংশ ধসে গিয়ে বিপত্তি ঘটেছে। তিস্তায় জল বৃদ্ধির ফলে আতঙ্ক বাড়ছে সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যে।

    আরও পড়ুন: দাবি বিচারের! মহালয়াতে মহামিছিলের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের, ধর্মতলায় হবে মহাসমাবেশ

    বিপর্যস্ত শিলিগুড়িও

    ভারী বৃষ্টির (Heavy Rainfall) প্রভাবে বিপর্যস্ত শিলিগুড়িও (Darjeeling)। মহানন্দা নদী ছাড়াও ভারত-নেপাল সীমান্ত মেচি নদীতেও হুহু করে জল বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফুলবাড়িতে সেচ দফতরের আধিকারিকরা মহানন্দা ব্যারাজের সমস্ত গেট খুলে দেন। তাতে শিলিগুড়ি শহরে বিপদ এড়ানো গেলেও দুপুরে মেচি নদী পেরিয়ে নেপাল থেকে গরুর দুধ আনার সময়ে জলের তোড়ে ভেসে যান এক গোয়ালা। স্থানীয় বাসিন্দারা ভেসে যেতে দেখে নকশালবাড়ি থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও প্রবল জলের তোড়ে উদ্ধার কাজে নামা সম্ভব হয়নি। বাগডোগরায় জলের তলায় ডুবে গিয়েছে এশিয়ান হাইওয়ে।

    ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এড়ানোর পরামর্শ

    পুজোর মুখে এমন বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা পূর্ত দফতরের। কোথায় ধস মেরামতিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে তা ঠিক করতেই নাকাল হচ্ছেন তাঁরা। জাতীয় সড়ক ছাড়াও ধস (Landslide) নেমেছে দার্জিলিং কলেজ, কালিম্পংয়ের ভালুখোপ, ইয়ামাকুম, বিজনবাড়ির কাছে রিম্বিক, সুখিয়াপোখরি এলাকাতেও। সিকিমের আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর গোপীনাথ রাহা বলেন, “শনিবারের পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ খানিকটা কমে আসবে। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে বেশ কয়েক জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টি (Heavy Rainfall) হতে পারে। বিশেষ করে পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি চললেও সমতলে তার প্রকোপ কমে আসতে পারে।” কালিম্পংয়ের জেলাশাসক টি সুব্রহ্মণ্যম সকলকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share