Tag: Madhyom

Madhyom

  • India China Relation: দলাই লামার নামে অরুণাচলের অনামী পর্বতশৃঙ্গের নামকরণ ভারতের, রেগে লাল চিন

    India China Relation: দলাই লামার নামে অরুণাচলের অনামী পর্বতশৃঙ্গের নামকরণ ভারতের, রেগে লাল চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সেনার একটি পর্বতারোহী দল অরুণাচল প্রদেশের একটি অনামী পর্বতশৃঙ্গ জয় করে। শুধু জয় করাই নয়, ওই শৃঙ্গের নামকরণও করে দলটি। জানা গিয়েছে, তিব্বতের ষষ্ঠ দলাই লামার নামে ওই পর্বতের নাম রাখা হয়। এতেই রেগে লাল চিন। নামকরণের পর থেকেই চিনের মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গিয়েছে।

    ষষ্ঠ দলাই লামার নামে শৃঙ্গ (India china Relation)

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস বা নিমাস-এর একটি অভিযান করা হয় অরুণাচলে। সেখানে কর্নেল রণবীর সিং জামওয়ালের নেতৃত্বাধীন পর্বতারোহী দলটি অরুণাচলে ২০ হাজার ৯৪২ ফুট উচ্চতার একটি নামহীন শৃঙ্গ জয় করে। এরপর এই শৃঙ্গের নাম রাখা হয় ষষ্ঠ দালাই লামা সাংগ্যাং গ্যাতসো-র নামে। তিনি ১৬৮২ সালে মন তাওয়াং অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (India china Relation) পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “ষষ্ঠ দলাই লামা সাংগ্যাং গ্যাতসোর নামানুসারে পর্বত শিখরটির নামকরণ করা হল। এই নামের অর্থ ছিল, নিরন্তর জ্ঞান এবং মনপা সম্প্রদায়ের প্রতি গভীর ভাবে শ্রদ্ধা ভাব জানানো।” অরুণাচল (Arunachal) প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু পর্বতারোহণকারী নিমাস দলকে কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন৷ তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “এই অভিযানের পরিচালক রণবীর জামওয়ালের নেতৃত্বে, তারা সফলভাবে অরুণাচল প্রদেশের মোন তাওয়াং অঞ্চলের গোরিচেন ম্যাসিফে একটি অজেয় শৃঙ্গজয় করেছে। ৬,৩৩৮ মিটার উঁচুতে পৌঁছানো একটি উল্লেখযোগ্য চিত্তাকর্ষক নজির।”

    আরও পড়ুনঃভারতে মিরাজ-রাফাল রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র খুলতে চায় ফরাসি সংস্থা দাসোল

    চিনের বক্তব্য

    এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দেয় বেজিং। চিনের (India china Relation) বিদেশ দফতরের মুখপাত্র জিয়ান বলেন, “ভারতের এই নির্দিষ্ট নামকরণ সম্পর্কে আপত্তি রয়েছে। এই এলাকার অঞ্চলটি চিনের জায়গায়। চিন ধারাবাহিক ভাবে নিজেদের দখলে রেখেছে।” এখানেই থামেননি লিন জিয়ান। বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অরুণাচলকে ফের একবার চিনের ভূখণ্ড বলে দাবি করে তিনি আরও বলেন, “চিনা জাংনান ভূখণ্ডে তথাকথিত অরুণাচল প্রদেশকে স্থাপন করা ভারতের বেআইনি কাজ। ভারতের দাবিকে মান্যতা দেয় না চিন।”

    বেজিংয়ের দাবি খারিজ ভারতের

    যদিও, বেজিংয়ের দাবি পত্রপাঠ বিদায় করে দিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এরপর থেকে ভারত এবং চিনের (India china Relation) মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সাল থেকে অরুণাচল প্রদেশের একাধিক জায়গাগুলির নাম পরিবর্তন করে চলেছে বেজিং। সময়ে সময়ে ভারত ভূখণ্ডকে নিজের বলে দাবি করে থাকে চিন। পাল্টা বার বার চিনের অনৈতিক দাবিকে খারিজ করে দিয়ে থাকে ভারত। ভারত সরকার সবসময় এই বার্তা চিনকে দিয়ে থাকে যে অরুণাচল প্রদেশ, ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে ছিল, আছে এবং থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: ভারী বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা, দার্জিলিংয়ে ধস, ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে বাড়ছে বিপদ

    Darjeeling: ভারী বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা, দার্জিলিংয়ে ধস, ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে বাড়ছে বিপদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটানা বৃষ্টিতে বিপদের মুখে পাহাড় এবং সমতলের একাংশ। কালিম্পং তো বটেই, দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। সেলফিদারা, ২৮ মাইল, শ্বেতিঝোরায় ধসের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। প্রায় সময়ই বন্ধ থাকছে জাতীয় সড়ক। ধস (Landslide) নেমেছে দার্জিলিঙের সিংমারি-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায়। এরই মধ্যে টানা ভারী বৃষ্টির জেরে জল বাড়ছে তিস্তায়। আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ধস এবং তিস্তার জলোচ্ছ্বাসের কারণে গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ন’বার বন্ধ হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। পূর্ত দফতর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করায় ন’দিন পর গত মঙ্গলবার খুলেছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। তার মধ্যেই আবার বাংলা-সিকিম ‘লাইফলাইনে’ ধস নামার ঘটনা ঘটে। স্বাভাবিকভাবে আতঙ্কে পর্যটকরা। 

    কতদিন চলবে বৃষ্টি? (Darjeeling)

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে অবিরাম বৃষ্টি চলছে। শনিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলবে পাহাড়-সহ সমতলে। শুক্রবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং (Darjeeling), কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে কোচবিহারেও। মালদা এবং দুই দিনাজপুরে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনিবার থেকে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা না থাকলেও বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলতে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির কারণে দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার পাহাড়ি এলাকায় ধস নামতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর। তিস্তা, সঙ্কোশ, জলঢাকা, তোর্সার মতো নদীগুলিতে জলস্তর বাড়তে পারে। তার মধ্যেই তিস্তায় নতুন করে জলস্ফীতি ঘটায় তিস্তাপারের বাসিন্দাদের সতর্ক করল প্রশাসন। বিপদ এড়াতে কয়েকটি এলাকায় নজরদারি শুরু করে দেওয়া হয়েছে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক-সহ পাহাড়ি রাস্তাগুলিতে। সমস্যায় তিস্তাপারের বাসিন্দারাও। তিস্তাবাজার, সেবক, বাসুসুবা, গজলডোবা-সহ একাধিক জায়গায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার অপূর্ব সেদিন বারবার সন্দীপের ঘরে কেন? তদন্তে সিবিআই

    কোথায় কোথায় ধস?

    শুক্রবার সকালে নতুন করে ধস নামে দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) মিরিক, ঘুম, সুখিয়াপোখরি রোডে। একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ধস নেমেছে লোয়ার শিটংয়ের ডায়েরি গাঁওয়ে। এছাড়াও ধসের কবলে দুধিয়া, পানিঘাটা রোডও। তবে বেশ কিছু জায়গায় ধস সারানোর কাজ চলছে। রাস্তার একাংশ দিয়ে গাড়ি চলাচলও শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, কালিম্পং জেলার সিংথাম-রংপো রোডের ২০ মাইলে পাহাড় থেকে বোল্ডার নেমে আসায় সেই রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। একই পরিস্থিতি বিরিক ধারায়। পাহাড় থেকে বড় আকৃতির বোল্ডার নেমে আসার ফলে সেই রাস্তাও বন্ধ রেখেছে জেলা প্রশাসন। ভারী বর্ষণের জেরে বৃহস্পতিবারও ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশে ধস নেমেছিল। কালিম্পং জেলার মেল্লি বাজারের কাছে ধস নামে। ফলে শিলিগুড়ি এবং গ্যাংটকের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: দুর্গাপুজোয় ছুটির বিরোধিতা, প্রতিমা বিসর্জনে নিষেধাজ্ঞা! বাংলাদেশে দাপাচ্ছে মৌলবাদীরা

    Durga Puja: দুর্গাপুজোয় ছুটির বিরোধিতা, প্রতিমা বিসর্জনে নিষেধাজ্ঞা! বাংলাদেশে দাপাচ্ছে মৌলবাদীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর স্বরাষ্ট্র-উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন দুর্গাপুজোর ছুটির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। আর তারপরই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর পরই নমাজ আর আজানের সময়ে দুর্গাপুজোর (Durga Puja) বাদ্যযন্ত্র এবং মাইক বন্ধ রাখতে হিন্দুদের ফতোয়া দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শুধু তাই নয়, একাধিক দুর্গাপুজো কমিটিকে তোলা চেয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে এই মর্মে যে, ৫ লক্ষ টাকা না দিলে আয়োজন করা যাবে না পুজো। স্বাভাবিকভাবে, বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর পরই এই সব ঘটনা হিন্দুদের দুর্গাপুজো করা নিয়ে চরম বার্তা দিয়েছিল। এবার পুজো যত এগিয়ে আসছে বাংলাদেশে দুর্গাপুজো নিয়ে আশঙ্কা এবং আতঙ্ক তত বাড়ছে।

    দুর্গাপুজোর বিরোধিতায় রাস্তায় নামল মৌলবাদীরা (Durga Puja)

    অগাস্ট মাসে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদল ঘটেছে। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হতেই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দুরা নিপীড়িত হচ্ছেন বলেও অভিযোগ। বাংলাদেশের পুলিশ এবং মহম্মদ ইউনূসের সরকার শান্তিতে পুজোর (Durga Puja) আশ্বাসই সার। সরকারের এই আশ্বাসকে তোয়াক্কা না করে আগেই খুলনা এবং ময়মনসিংহ এলাকায় পুজো করা নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সেখানে এবার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যাবে না বলে হিন্দুদের সতর্ক করেছে ইসলামপন্থি একটি সংগঠন। ইতিমধ্যে খুলনা জেলায় মন্দির ভাঙচুর, দুর্গাপুজো কমিটিগুলির কাছে তোলা চেয়ে হুমকি চিঠি দেওয়ার মতো ঘটনা সামনে এসেছে। এবার একেবারে ইউনূসের খাসতালুক ঢাকা শহরে দুর্গাপুজোর বিরোধিতায় রাস্তায় নামল মৌলবাদীরা। তাদের দাবি, হিন্দুদের সবথেকে বড় এই উৎসব প্রকাশ্যে উদযাপন করা যাবে না। শুধু তাই নয়, এই সময় গোটা দেশে ছুটিও দেওয়া চলবে না। তাতে নাকি দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হবে। তাদের মতে, দুর্গাপুজোকে সর্বজনীন বলে দাবি করা অন্য ধর্মকে অবমাননা করার সামিল।

    আরও পড়ুন: ‘‘২৬ বছরের চাকরি জীবনে এমন অবহেলায় তৈরি সুরতহাল রিপোর্ট দেখিনি’’, দাবি সিবিআই কর্তার

    মন্দিরগুলিতে ভারত-বিরোধী ব্যানার টাঙানোর ফতোয়া

    ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার ‘ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতা’ নামে একটি চরমপন্থী সংগঠন ঢাকার সেক্টর ১৩-এ মালিবাগ মোড়ে একটি সমাবেশ ডেকেছিল। সেখানে যোগ দেন চরমপন্থী সংগঠনটির কয়েকশো কর্মী-সমর্থক। ঢাকায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে তারা। সেই সময়ে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে পুজোর (Durga Puja) বিরোধিতাও করেছে তারা। জানা গিয়েছে, সেই প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘রাস্তা বন্ধ করে সর্বত্র পূজা নয়। প্রতিমা বিসর্জনের দ্বারা জল দূষণ নয়। প্রতিমা পূজা নয়’। এমনকী ঢাকার উত্তরা এলাকায় একটি খেলার মাঠে দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে মিছিল করাও হয়েছে।

    ভারত-বিরোধিতা করলে তবেই পুজো!

    দুর্গাপুজোকে সামনে রেখে, মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তারা ১৬ দফা দাবি জানিয়েছে। তারই অন্যতম হল, বাংলাদেশি হিন্দুদেরও ভারত বিরোধিতা করতে হবে। কারণ, ভারতকে, বাংলাদেশের ‘জাতীয় শত্রু’ বলে মনে করে এই কট্টরপন্থী সংগঠনটি। শুধু তাই নয়, এই জন্য মন্দিরগুলোতে ভারত- বিরোধী ব্যানার ও দুর্গাপুজোর আলোচনায় ভারত বিরোধী স্লোগানও দিতে হবে বলে দাবি করেছে তারা। মন্দিরে অখণ্ড ভারত গঠনের লক্ষ্যে হিন্দু উগ্রপন্থীরা সভা করে বলেও দাবি তাদের। এই সব অভিযোগ এনে মন্দির বন্ধের দাবি জানিয়েছে তারা। তাদের দাবি, বাংলাদেশের অনেক জমি দখল করে বিভিন্ন মন্দির নির্মিত হয়েছে। সেই মন্দিরগুলি সরিয়ে ফেরতে হবে।

    পুজোর প্রসাদ খাওয়া যাবে না

    মুসলমানের জন্য ফরমান জারি করা হয়েছে যে, তাদের পুজোয় আর্থিক সাহায্য দেওয়া চলবে না, প্যান্ডেলে প্রবেশ করা চলবে না, পুজোর প্রসাদও তারা মুখে তুলতে পারবে না। সম্প্রতি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার, দুর্গাপুজোর সময় ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রফতানি করার ঘোষণা করেছে। এই মৌলবাদী সংগঠন স্পষ্ট জানিয়েছে, এটা কোনও উপহার নয়। ওই মাছ রফতানি করা হচ্ছে মাত্র। ইউনূস সরকারের এই সিদ্ধান্তেরও বিরোধিতা করেছে এই কট্টরপন্থী সংগঠন। তাদের দাবি, বাংলাদেশের রফতানি নীতি অনুসারে, ইলিশ মাছ রফতানিযোগ্য নয়। কাজেই এই সিদ্ধান্তে ইউনূস সরকার সেই নীতি লঙ্ঘন করেছে। দেশের জনগণের এর জন্য সরকারকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেছে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র জনতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh: পুজোর আগে ফের দুর্গার প্রতিমা ভাঙচুর বাংলাদেশে! গ্রেফতার মুসলিম যুবক

    Bangladesh: পুজোর আগে ফের দুর্গার প্রতিমা ভাঙচুর বাংলাদেশে! গ্রেফতার মুসলিম যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের রাজত্বে হিন্দু নির্যাতন এখনও অব্যাহত। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে হাসিনা সরকারের পতন ঘটার পর থেকে মৌলবাদী কট্টর মুসলমানদের আগ্রাসনের (Hindu torture) শিকার হচ্ছে সেদেশের হিন্দুরা। হাতে মাত্র আর কয়েকদিন বাকি দুর্গাপুজোর। ইতিমধ্যে দেশের নানা প্রান্ত থেকে বারবার হিন্দু মন্দির এবং দুর্গা মূর্তির ভাঙচুরের খবর উঠে আসছে। বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর শহরে একজন কট্টরপন্থী মুসলিম যুবক দেবী দুর্গা এবং অন্যান্য হিন্দু দেবতার মূর্তি ভাঙচুর করেছে। অভিযুক্তের নাম ইয়াসিন মিয়াঁ (২২)। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঢাকার উত্তরায় দুর্গাপুজো না করার দাবি নিয়ে জামাত শিবিরের সমর্থকরা বিরাট মিছিল করেছে রাজপথে। সেখানে হিন্দুদের উদ্দেশ্য করে চরম হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সামজিক মাধ্যমে এই ভিডিও ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। তার পরই এই হামলার খবর। ফলে, দুর্গাপুজো নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা।

    গোবিন্দজিউ মন্দিরে ঢুকে মূর্তি ভাঙচুর (Bangladesh)!

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ইয়াসিন মিয়াঁ বুধবার ভোররাতে গৌরীপুর (Bangladesh) শহরে গোবিন্দজিউ মন্দিরের প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়ে। এরপর গত ২০ দিন ধরে যে দেবী দুর্গার মূর্তিগুলি তৈরি করা হচ্ছিল, তা নির্বিচারে ভাঙচুর করা হয়। মূর্তিগুলিকে ভাঙার সময় স্থানীয় ডলি রানী নামে এক হিন্দু মহিলা, এই অপকর্ম করতে দেখে ফেলেন। ঘটনাস্থলের দৃশ্য দেখে অত্যন্ত ভয় (Hindu torture) পেয়ে যান তিনি। খবর পেয়ে, অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন দুই স্থানীয় অখিল চন্দ্র বিশ্বশর্মা এবং বিপুল ঘোষ। এরপর অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

    অভিযুক্ত মানসিক ‘প্রতিবন্ধী’-র তত্ত্ব!

    চলতি বছরের ৯ অক্টোবর থেকে হিন্দুদের দুর্গাপুজো শুরু হবে। গৌরীপুরের (Bangladesh) গোবিন্দজিউ মন্দিরে বড় করে দুর্গাপুজো হয়। এখানকার হিন্দুরা এই পুজোতে একত্রিত হন। ওই মন্দিরে মৃৎশিল্পীরা আরও একাধিক মূর্তি তৈরি করছিলেন। ইতিমধ্যে ধৃত মুসলিম ব্যক্তিকে এখন পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, আবদুর হান্নানের ছেলে ইয়াসিনের বাড়ি গৌরীপুর উপজেলার গজান্দার গ্রামে। তবে অভিযুক্তের মা মিনা আখতার দাবি করেছেন, ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী। উল্লেখ্য, যখনই মন্দির ভাঙা হয় আর অভিযুক্তদের ধরা হয়, তখনই প্রতিবন্ধী বা বিকারগ্রস্তের তত্ত্ব দিয়ে তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। এমনটাই স্থানীয় হিন্দুদের অভিযোগ। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের (গৌরীপুর উপজেলা) সভাপতি বলেন, “নির্মীয়মাণ সব মাটির মূর্তিগুলিকেই কমবেশি ভাঙা হয়েছে। কেন এটা করা হল বুঝতে পারছি না। আমি আমার জীবনে এমন ঘটনা আগে দেখিনি। হিন্দুদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র (Hindu torture) চলছে।”

    আরও পড়ুনঃ রাষ্ট্রপুুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিকে জোরালো সমর্থন ফ্রান্সের

    লাগাতার হিন্দুদের উপর হামলা

    বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে হিন্দু পরিবার থেকে শুরু করে মন্দির, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অন্তত ২০৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। খুলনা শহরের সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় মিথ্যা অভিযোগে উৎসব মন্ডল নামে এক হিন্দু ছেলেকে উগ্র মুসলিম জনতা কীভাবে প্রায় পিটিয়ে মেরে ফেলেছিল (Hindu torture) সেই কথাও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে কীভাবে মুসলিম ছাত্ররা ৬০ জনের বেশি হিন্দু শিক্ষক, অধ্যাপক এবং সরকারী কর্মকর্তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে, সেই কথাও দেশের হিন্দু নির্যাতনের চিত্রকে স্পষ্ট করেছে।

    জামাত শিবিরে যোগ দিতে চাপ হিন্দুদের

    মানবাধিকার কর্মী এবং নির্বাসিত বাংলাদেশি ব্লগার আসাদ নূর সম্প্রতি জানান, হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে এখন ‘জামাতে ইসলামি’তে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। একই ভাবে হিন্দুদের উপর আক্রমণের ঘটনার কথা তুলে ধরে সামজিক মাধ্যমে সরব হয়েছেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন। গত ৬ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরের কদম মোবারক এলাকায় গণেশের মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রার সময় হিন্দু ভক্তদের উপর হামলা করেছিল কট্টরপন্থীরা। একই ভাবে পুজো করতে গেলে পুজো উদ্যোগতাদের কাছে ৫ লক্ষ করে টাকার দাবিও করছে বিএনপি এবং জামাত শিবির। উল্লেখ্য কয়েক বছর চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর, বরিশালের দুর্গাপুজোর উপর ব্যাপক ভাবে আক্রমণ করেছিল দুষ্কৃতীরা। ইসকনের একাধিক ভক্তকে হত্যা করার ঘটনাও ঘটানো হয়েছিল। রাজনৈতিক ভাবে অস্থির বাংলাদেশে সবথেকে বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন কেবল মাত্র হিন্দুরা। অপর দিকে, সেনাবাহিনী এবং ইউনূস প্রশাসন এই বিষয়ে নির্বাক।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: জমিদার তাঁর বন্দুক থেকে শূন্যে গুলি ছুড়লেই শুরু হত সন্ধিপুজো

    Durga Puja 2024: জমিদার তাঁর বন্দুক থেকে শূন্যে গুলি ছুড়লেই শুরু হত সন্ধিপুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোয় পরম্পরার বিচারে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গও কম যায় না। এখানেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু প্রাচীন পুজো, যেগুলি জমিদার আমল থেকে বংশ পরম্পরায় চলে আসছে। কোথাও হয়তো জাঁকজমক বা আতিশয্য কম। কিন্তু আন্তরিকতায় কেউ কম যায় না। উত্তরবঙ্গের এমনই এক জেলা হল দক্ষিণ দিনাজপুর। এই জেলার গঙ্গারামপুরের ফুলবাড়ি থেকে সাত কিলোমিটার দূরে উদয় গ্রাম। বসতি থাকলেও গ্রামটি নিরিবিলি। গ্রামের মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে জমিদার হৃষিকেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। শোনা যায়, সন্ধিপুজো শুরুর আগে জমিদার তাঁর বন্দুক থেকে শূন্যে গুলি ছুড়তেন। তার পর শুরু হত মায়ের পুজো (Durga Puja 2024)। জমিদার এখন নেই। নেই জমিদারি প্রথাও। তাই এখন আর সন্ধিপুজোর আগে শূন্যে ছোড়া গুলির শব্দও শোনা যায় না। তবে জমিদারের বংশধররা বছরের পর বছর নিয়মনিষ্ঠা ধরে রেখেছেন।

    পঞ্চমুণ্ডির আসন প্রতিষ্ঠিত করে দুর্গাপুজো শুরু (Durga Puja 2024)

    আরও শোনা যায়, প্রজাদের মঙ্গল কামনায় জমিদার হৃষিকেশ বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গারামপুরের উদয় গ্রামে পঞ্চমুণ্ডির আসন প্রতিষ্ঠিত করে দুর্গাপুজো শুরু করেন। মা দুর্গার আসনটি পঞ্চমুণ্ডির আসন হওয়ায় এক সময় মহিষ বলি দেওয়া হত। পুজোর পাঁচদিন পাত পেড়ে প্রজাদের খাওয়ানো হত। দুঃস্থদের হাতে তুলে দেওয়া হত নতুন বস্ত্র। পুজোমণ্ডপ চত্বরে বসত যাত্রাগান ও মঙ্গলচণ্ডী গানের আসর। বসত মেলাও। জমিদারের পুজো ঘিরে কয়েকটা দিন উদয় গ্রাম জমজমাট থাকত (Sandhipujo)। তবে এখনও জমিদারের পুজোয় ১০৮টি বেলপাতা দিয়ে যজ্ঞ হয়। জমিদার হৃষিকেশ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়াত হওয়ার পর পুজোর দায়িত্বভার একে একে কাঁধে তুলে নেন তাঁর বংশধররা। এবারে পুজোর (Durga Puja 2024) দায়িত্বে রয়েছেন জমিদারের অষ্ঠম পুরুষ স্বপন শর্মা রায়, বাবুন শর্মা রায়, দেবাশিস শর্মা রায় ও সমীর শর্মা রায়রা।

    পুজোর চারদিন সারাক্ষণ যজ্ঞের আগুন জ্বলে

    এবিষয়ে জমিদার বাড়ির বংশধররা বলেন, পুজোর (Durga Puja 2024) পুরনো রীতি আমরা এখনও ধরে রেখেছি। পুজোর চারদিন সারাক্ষণ আমাদের যজ্ঞের আগুন জ্বলে। বাবুন শর্মা রায় বলেন, ‘বাপঠাকুরদার মুখে শুনেছি আমাদের এই পুজো বহু পুরনো। তাঁর স্মৃতি হিসেবে বলি দেওয়ার খড়্গ, কাঁসার বাসনপত্র সহ বেশ কিছু জিনিস রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dassault: ভারতে মিরাজ-রাফাল রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র খুলতে চায় ফরাসি সংস্থা দাসোল

    Dassault: ভারতে মিরাজ-রাফাল রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র খুলতে চায় ফরাসি সংস্থা দাসোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পর ভারতকে উন্নত অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহকারী দেশগুলির মধ্যে অন্যতম হল ফ্রান্স। দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারি রয়েছে। সম্প্রতি ভারতকে হাতিয়ার বিক্রির পাশাপাশি ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রস্তাব দিয়েছে ইমানুয়েল মাক্রঁর (Emmanuel Macron) দেশ। এবার ফ্রান্সের দাসোল অ্যাভিয়েশন (Dassault) ঘোষণা করল যে তারা উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় একটি যুদ্ধবিমান রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত কেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে। এই কেন্দ্রতে ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) ব্যবহৃত ফরাসি যুদ্ধবিমানের রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। 

    ফ্রান্সের সহায়তা

    ভারতীয় বায়ুসেনা প্রায় ৫০টি মিরাজ-২০০০ একক ইঞ্জিন মাল্টি-রোল যুদ্ধবিমান এবং ৩৬টি রাফাল বিমান ব্যবহার করে। দাসোলের (Dassault) প্রস্তাবিত নতুন কেন্দ্র থেকে দুই ধরনের বিমানেরই কাজ করা যাবে। সূত্রের খবর, চলতি বছরেই নয়াদিল্লির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা চুক্তি সেরে ফেলতে চাইছে ফরাসি প্রশাসন। যা ভারতের সামরিক ক্ষেত্রে বিপ্লব এনে দেবে। ভারতীয় নৌবাহিনী দাসোলের (Dassault) সঙ্গে আরেকটি ২৬টি রাফাল-মেরিন যুদ্ধবিমান কেনার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে। এই বিমানগুলি আইএনএস বিক্রান্তের ডেক থেকে পরিচালিত হবে। এই বিমানগুলিরও রক্ষণাবেক্ষণ নতুন কেন্দ্র থেকে হবে। ইতিমধ্যেই, ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) জন্য পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন মাক্রঁ। সম্পূর্ণ প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতকে ১১০ কিলোনিউটন ক্ষমতাসম্পন্ন জেট ইঞ্জিন দিতে রাজি হয়েছে ফ্রান্স। এছাড়া, নতুন প্রযুক্তি সম্বলিত চারটি অত্যাধুনিক পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন এবং মানববিহীন ডুবোযান (আনম্যানড্ আন্ডারওয়াটার ভেহিক্যল) দিতেও রাজি প্যারিস।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপুুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিকে জোরালো সমর্থন ফ্রান্সের

    নয়া কেন্দ্র স্থাপন

    দাসোলের (Dassault) আধিকারিকরা জানান, ফরাসি সংস্থাটি ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে নতুন ভারতীয় কোম্পানি, দাসোল অ্যাভিয়েশন মেইনটেনেন্স রিপেয়ার অ্যান্ড ওভারহোল ইন্ডিয়া (ডিএমআরওআই) প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে। ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারদের জেট ইঞ্জিন নির্মাণের কলাকৌশল শেখানোর কথাও বলেছে এই ফরাসি সংস্থা। উল্লেখ্য, ৩০ সেপ্টেম্বর ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রঁর কূটনৈতিক উপদেষ্টা ইমানুয়েল বানের সঙ্গে ভারত-ফ্রান্স কৌশলগত সম্পর্ক নিয়ে বৈঠক করার কথা জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের। এর জন্য প্যারিস যাচ্ছেন তিনি। ১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে ওই বৈঠক।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lung infections: বর্ষায় বাড়ছে সংক্রমণ! রান্নাঘরের কোন পাঁচ উপাদানে সহজেই সুস্থ থাকবে ফুসফুস? 

    Lung infections: বর্ষায় বাড়ছে সংক্রমণ! রান্নাঘরের কোন পাঁচ উপাদানে সহজেই সুস্থ থাকবে ফুসফুস? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    একটানা বৃষ্টিতে স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া। স্কুল যাতায়াতে কিংবা বাজার করতে গেলেও ভিজতে হচ্ছে! মামুলি সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। তার সঙ্গে দেখা দিচ্ছে ফুসফুসের জটিল অসুখ। অনেকেই ফুসফুসের একাধিক সংক্রমণে ভুগছেন। বিশেষত শিশু ও বয়স্করা ফুসফুসের সংক্রমণে (Lung infections) নাজেহাল। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বায়ুদূষণের জেরে কলকাতা সহ দেশের একাধিক শহরের বাসিন্দারা ফুসফুসের রোগে কাবু। ক্রনিক পালমোনারি ডিজিজ-এ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পাশপাশি খুব কম বয়স থেকেই অনেকে হাঁপানির সমস্যায় ভুগছে। এছাড়াও ফুসফুসের নানান অসুখের জেরে কাশি, জ্বর এমনকী শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, কিছু ঘরোয়া উপাদান নিয়মিত ব্যবহার করলেই ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো‌ যাবে। বাড়ির রান্নাঘরের সেই উপাদান শিশু থেকে বয়স্ক, সকলের জন্যই উপকারী। এবার দেখে নেওয়া যাক, রান্নাঘরের কোন উপাদান ফুসফুস সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে?

    হলুদ (Lung infections)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, হলুদ প্রায় প্রত্যেক রান্নাঘরেই থাকে। নিয়মিত রান্নায় হলুদের ব্যবহার করলে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। তবে গরম ভাতের সঙ্গে অন্তত এক টুকরো কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেলে কাজ আরও ভালো হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, হলুদে থাকে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। এই উপাদান ফুসফুসের জন্য বিশেষ উপকারী। এছাড়াও হলুদে থাকে কারকিউমিন উপাদান। এই উপাদান ফুসফুসের ক্যান্সার রুখতেও বিশেষ সাহায্য করে‌।

    রসুন

    খালি পেটে এক কোয়া রসুন ফুসফুসের সংক্রমণ (Lung infections) রুখতে বিশেষ উপকারী বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বর্ষার শুরুতেই প্রতিদিন সকালে এক কোয়া রসুন খাওয়ায় অভ্যস্থ হলে ফুসফুসের অসুখ সহজে‌ মোকাবিলা করা সম্ভব।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, রসুনে থাকে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। তাই নিয়মিত রসুন খেলে সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমে।

    গোলমরিচ (Lung infections)

    বর্ষায় ফুসফুসের সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমাতে গোলমরিচ বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের পরামর্শ, দিনে অন্তত যে কোনও একটি রান্নায় গোলমরিচ ব্যবহার করলে ফুসফুসের সংক্রমণ ঠেকানো‌ সহজ হবে‌‌। গোলমরিচ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। তাই গোলমরিচ সংক্রমণ রুখতে বিশেষ সাহায্য করবে।

    আদা

    ফুসফুসের সংক্রমণ (Lung infections) রুখতে আদা খুবই উপকারী বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় প্রবীণরা চায়ে আদা দিয়ে খেতে পারেন। আবার শিশুদের আদার ছোট্ট টুকরো খাওয়ানো যেতে পারে। এতে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে। আদা হল প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। তাই আদাকে ফুসফুসের রক্ষাকবচ বলা হয়। নিয়মিত আদা খেলে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।

    আখরোট

    সকালে খালি পেটে আখরোট (Kitchen  Ingredients) খেলে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। এই অভ্যাস অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। বিশেষত ফুসফুস সুস্থ রাখতে আখরোট বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আখরোট ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর। রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি।‌ তাই মস্তিষ্কের পাশপাশি ফুসফুসের জন্য ও আখরোট বিশেষ উপকারী।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার অপূর্ব সেদিন বারবার সন্দীপের ঘরে কেন? তদন্তে সিবিআই

    RG Kar: ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার অপূর্ব সেদিন বারবার সন্দীপের ঘরে কেন? তদন্তে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar) নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে প্রায় চারবার সিবিআই দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অপূর্বসহ তদন্তকারী তিন চিকিৎসকের থেকে আলাদা আলাদা করে ব্যাখ্যা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আরও একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে সিবিআই। এছাড়া ৯ অগাস্ট নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের দিন সন্দীপ ঘোষের ঘরে বারবার কেন গিয়েছিলেন চিকিৎসক অপূর্ব, সেই প্রশ্নে উত্তরও সিবিআই খুঁজছে।

    সন্দীপের ঘরে বারবার কেন অপূর্ব? (RG Kar)

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস ৯ অগাস্ট সন্দীপ ঘোষের (RG Kar) ঘরে বারবার গিয়েছিলেন। কেন তাঁকে সেখানে বার বার যেতে হয়েছিল, সেই প্রশ্নের উত্তরও খুঁজতেই তাঁকে একাধিকবার তলব করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ময়না তদন্ত শুরুর আগে প্রায় এক ঘণ্টা সন্দীপের ঘরে বসেছিলেন অপূর্ব। সন্ধ্যায় ময়না তদন্ত শেষ হতেই ফের তিনি যান ওই ঘরে। আধ ঘণ্টা পরে ফিরে এসে ময়না তদন্তের রিপোর্ট তৈরি করেন। এর পরে ফের সন্দীপের ঘরে গিয়ে ফের ঘণ্টা দেড়েক বসে ছিলেন অপূর্ব। কেন? কোনও চাপ কি ছিল ফরেন্সিক মেডিসিনের ওই চিকিৎসকের ওপর? কে চাপ দিয়েছিল? তা জানার চেষ্টা করছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: কলকাতাকে ‘পরম রুদ্র সুপার কম্পিউটার’ উপহার মোদির, সহজ হবে জটিল গবেষণা

    পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    তরুণী চিকিৎসকের (RG Kar) শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনাগুলি দু’দিন ধরে মর্গেই রাখা ছিল। যদিও নিয়মানুযায়ী ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গেই পুলিশ নমুনাও নিয়ে যায় পরীক্ষায় পাঠানোর জন্য। আরজি করের ক্ষেত্রে তা হয়নি। সূত্রের খবর, ৯ অগাস্ট রাতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছিল এবং রাত ১০টা নাগাদ পোর্টালে আপলোডও হয়ে গিয়েছিল। তার পরেও পুলিশ নমুনা দু’দিন ফেলে রাখল কেন? আরও জানা যাচ্ছে, দু’দিন পরে মর্গ থেকে নমুনাগুলি পুলিশকে হস্তান্তর করেছেন অপূর্ব একাই। প্রত্যেক নমুনার ওপরে যে সিল করা হয়েছে, তাতে একমাত্র সই অপূর্বেরই, ময়নাতদন্তে থাকা বাকি দু’জনের সই নেই। ফলে, ওই নমুনার বিষয়ে তিন জনের উপস্থিতির বিষয়টি আর গ্রাহ্য হচ্ছে না।

    তিন চিকিৎসকের আলাদা করে বয়ান

    আরজি করকাণ্ডে (RG Kar) ময়নাতদন্তকারী তিন চিকিৎসকের থেকে আলাদা করে ব্যাখ্যা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আরও একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে সিবিআই। জানা যাচ্ছে, আরজি কর থেকে ময়না তদন্তের যে রিপোর্ট মিলেছিল, তা দিল্লি এবং কল্যাণী এমসের ফরেন্সিক বিভাগের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু, ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফির ছবি খুব স্পষ্ট না হওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়। রিপোর্টে যে বিষয়গুলি উল্লেখ করা হয়েছিল, তার ব্যাখ্যা কী, তা জানার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। এজন্য ৯ অগাস্ট ময়না তদন্তকারী তিন চিকিৎসককে বেশ কয়েক বার করে তলব করে সিবিআই (CBI)। সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের দু’দিন পরে সংগৃহীত নমুনাগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তার কয়েকটির রিপোর্ট তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। সেই রিপোর্ট এবং ময়না তদন্তের রিপোর্টের বিস্তারিত ব্যাখ্যাও দিল্লি এমসে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। এক চিকিৎসকের মোবাইলবন্দি ১৫টি ছবিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তাঁরা। সমস্ত রিপোর্ট একত্রিত করে মৃতের শরীরের আঘাতগুলির কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Income Tax Rule: ১ অক্টোবর থেকে বদলে যাবে আয়করের একাধিক নিয়ম, জানেন তো?

    Income Tax Rule: ১ অক্টোবর থেকে বদলে যাবে আয়করের একাধিক নিয়ম, জানেন তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১ অক্টোবর থেকে বদলে যাবে আয়কর (Income Tax Rule) সংক্রান্ত সমস্ত নিয়ম। শেয়ার বাজার ফিউচার ও অপশন ট্রেডিং সিকিউরিটিজ ট্রান্সাকশন ট্যাক্স, টিডিএস রেট সহ যাবতীয় আয়করের সমস্ত ক্ষেত্রে ‘বিবাদ সে বিশ্বাস ২০২৪’ স্কিমে বদল আনা হয়েছে। এই সংক্রান্ত পরবর্তী মাস থেকে কার্যকর হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে কী কী পরিবর্তন হচ্ছে জেনে নেওয়া প্রয়োজন।

    শেয়ার বাজার ফিউচার করে বদল (Income Tax Rule)

    উল্লেখ্য ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের জন্য পূর্ণাঙ্গ বাজেট সংসদে পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানে আয়কর (Income Tax Rule) বিষয়ে বেশ কিছু নিয়ম বদলের কথা জানিয়েছেন তিনি। এবার তা কার্যকর হতে চলেছে। নির্মলা জানিয়েছিলেন, শেয়ার বাজার ফিউচার ও অপশন ট্রেডিং সিকিউরিটিজ ট্রান্সাকশন ট্যাক্স (এসটিটি) দিতে হয় যাঁদের, তাঁদের ট্যাক্স রেটে বদল আসছে। এত দিন পর্যন্ত ০.১ শতাংশ এসটিটি নেওয়া হত, এখন থেকে ০.২ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে ট্রেডার ডেরিভেটিভ বাজার ট্রেড করার জন্য আরও বেশি করে কর দিতে হবে। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI) বোনাস শেয়ারের লেনদেনকে বৃদ্ধি করার জন্য একটি নতুন কাঠামো বাস্তবায়ন করেছে। শেয়ার বাইব্যাকের ক্ষেত্রে শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার সারেন্ডার করলে যে লাভ হত, তার উপর এখন থেকে ট্যাক্স দিতে হবে। শেয়ার কেনা বা বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে খরচের বিষয়কে সমানে রেখে মূলধনের লাভ-ক্ষতি গণনা করা হবে। এর ফলে যাঁরা বিনিয়োগ করবেন, তাঁদের উপর কর বৃদ্ধি হবে।

    ফ্লোটিং রেট বন্ড টিডিএস

    বাজেট ঘোষণা করে বলা হয়েছিল, কেন্দ্র বা রাজ্যের বন্ড বা ফ্লোটিং রেটে ১০ শতাংশ হারে টিডিএস দিতে হবে। এই পরিবর্তনের মধ্যে বন্ডে বিনিয়োগ থেকে ১০ হাজার টাকার বেশি আয় হলে ১০ শতাংশ হারে টিডিএস (Income Tax Rule) দিতে হবে। তবে আয় ১০ হাজার টাকার কম হলে কোনও টিডিএস দিতে হবে না। একই ভাবে টিডিএস রেটে বদলের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন। আয়করের ১৯ ডিএ, ১৯৪ এইচ, ১৯৪-১ বি, ১৯৪ এম ধারার অধীনে টিডিএস-এর হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। একই ভাবে ই-কমার্স অপারেটারদের জন্য টিডিএস-এর হার ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.১ শতাংশ করা হয়েছে। সিবিডিটি ঘোষণা করেছে, আয়কর সম্পর্কিত মুলতুবি মামলা নিষ্পত্তির জন্য ‘বিবাদ সে বিশ্বাস ২০২৪’ নামে প্রকল্প চালু হবে।

    আধারে পরিবর্তন

    প্যান কার্ডের (Income Tax Rule) অপব্যবহার এবং ডুপ্লিকেশন রোধ করার জন্য আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বা প্যানের জন্য আবেদন সময় আধার নম্বরের বদলে আধার এনরোলমেন্ট নম্বর দেওয়ার নিয়ম আর কার্যকর থাকবে না। আগামী ১ অক্টোবর, ২০২৪ থেকে প্যান-এর জন্য আবেদন করার সময় বা আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সময় আধার তালিকাভুক্তি আইডি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হবে না।

    টিকিটবিহীন যাত্রীদের জন্য ড্রাইভ

    ভারতীয় রেল টিকিটবিহীন যাত্রীদের বিরুদ্ধে একটি বিশেষ ড্রাইভ চালু করবে। অতিরিক্ত ভিড়ের জন্য উৎসবের সপ্তাহগুলিতে যাত্রীদের চাহিদা পূরণ করতে এই ব্যবস্থা করা হবে। বিনা টিকিটে ভ্রমণ রোধ করতে এবং কঠোর টিকিট-চেকিং পদ্ধতি প্রয়োগ করতে এই উদ্যোগটি চালু করছে ভারতীয় রেল। ফলে যাত্রীদের টিকিট না কাটার প্রবণতাকে অনেকটাই রোখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে সরকারের আয় (Income Tax Rule) বৃদ্ধি হবে।

    আরও পড়ুনঃ পুজোর আগে খুশির খবর, অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের ন্যূনতম পারিশ্রমিক বাড়াল কেন্দ্র

    সুকন্যা সমৃদ্ধি অ্যাকাউন্ট সচল হবে (National Small Savings)

    কেন্দ্রীয় অর্থ দফতর পোস্ট অফিসের মাধ্যমে জাতীয় ক্ষুদ্র সঞ্চয় স্কিমের (এনএসএস) অধীনে ত্রুটিপূর্ণ ভাবে খোলা অ্যাকাউন্টগুলিকে ঠিক করার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে। ত্রুটিযুক্ত অ্যাকাউন্টগুলি ত্রুটিমুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে এই বিষয়ে তথ্য জমা দিতে হবে। এনএসএস অ্যাকাউন্ট (National Small Savings), অপ্রাপ্তবয়স্কদের নামে খোলা পিপিএফ অ্যাকাউন্ট, একাধিক পিপিএফ অ্যাকাউন্ট, এনআরআইদের দ্বারা পিপিএফ অ্যাকাউন্টের এক্সটেনশন সহ ছয়টি মূল বিভাগের জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে। বাবা-মা অভিভাবকদের পরিবর্তে অন্য কোনও ব্যক্তির দ্বারা খোলা সুকন্যা সমৃদ্ধি অ্যাকাউন্ট (SSA) সচল করা হবে। ফলে সরকারের কর (Income Tax Rule) গ্রহণে স্বচ্ছতা আসবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: ‘‘বিধানসভা ভোট মিটলেই পাক-অধিকৃত কাশ্মীরও যুক্ত হবে ভারতের সঙ্গে’’, বড় দাবি যোগীর

    Yogi Adityanath: ‘‘বিধানসভা ভোট মিটলেই পাক-অধিকৃত কাশ্মীরও যুক্ত হবে ভারতের সঙ্গে’’, বড় দাবি যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন (Jammu Kashmir Assembly Election 2024) শেষ হলেই ভারত সরকার পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের জন্য লড়াই শুরু করবে। তাদেরও ভারতের অংশ হিসেবে নিয়ে আসা হবে।  এমনই দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। বৃহস্পতিবার জম্মুর আরএস পুরা এলাকায় বিজেপির নির্বাচনী সভায় তিনি বলেন, ‘‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর আদতে জম্মু ও কাশ্মীরেরই অংশ। এই বিধানসভার ভোট শেষ হলে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে আবার জম্মু ও কাশ্মীরের অংশ করে তোলা হবে।’’

    যোগীর অভিমত

    নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়ে যোগী (Yogi Adityanath) বলেন, ‘‘পাকিস্তান এখন ভিখারিতে পরিণত হয়েছে। তারা নিজেরদেরই সামলাতে পারছে না, অধিকৃত কাশ্মীর কী করে সামলাবে? পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারাই এখন পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আন্দোলন করছেন।’’ ঘটনাচক্রে, গত মে মাসের গোড়া থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজফ্‌ফরাবাদ-সহ সামাহনি, সেহানসা, মিরপুর, রাওয়ালকোট, হাত্তিয়ান বালা, খুইরাট্টা, তত্তাপানির মতো এলাকায় ইসলামাবাদ-বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। রাজস্ব, মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ সংকটের কারণে ক্ষুব্ধ পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। 

    ভালো নেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর

    লোকসভা ভোটের প্রচারে বিজেপি নেতা তথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী (Yogi Adityanath) বলেছিলেন, “আমরা আমাদের শত্রুর পুজো করব না। যদি কেউ আমাদের মানুষদের হত্যা করে, আমরা তাদের পুজো করব না। তাদের যোগ্য জবাব দেব। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরকে রক্ষা করা পাকিস্তানের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলে, ছয় মাসের মধ্যে পিওকে ভারতের অংশ হয়ে যাবে।” সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বিক্ষোভ চলছে। অভিযোগ, ওই অঞ্চলে উৎপন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে পাকিস্তানের অন্যান্য শহরে। অথচ অন্ধকারে দিন কাটছে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদর। এর প্রতিবাদে পথে নেমেছেন অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। খোলাখুলি পাকিস্তান বিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা। পাক পুলিশ ও আধাসেনার গুলিতে ইতিমধ্যেই বহু বিক্ষোভকারী হতাহতও হয়েছেন। পাকিস্তানের শাসন থেকে মুক্ত হওয়াই ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের লক্ষ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share