Tag: Madhyom

Madhyom

  • Durga Puja 2024: বিজয়া দশমীর দিন কেন আকাশে ওড়ানো হত নীলকণ্ঠ পাখি? জেনে নিন এর কাহিনি

    Durga Puja 2024: বিজয়া দশমীর দিন কেন আকাশে ওড়ানো হত নীলকণ্ঠ পাখি? জেনে নিন এর কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024) আর নীলকণ্ঠ পাখি ওতঃপ্রোতভাবে জড়িত। এক সময় দুর্গাপুজোর পর এই পাখিকে উড়িয়ে দেওয়া বনেদি ও জমিদার পরিবারগুলির ঐতিহ্য ছিল। আর তা দেখতে ভিড় উপচে পড়়ত। কালের নিয়মে বিশেষ করে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ফলে এটা এখন আর সম্ভব হয় না। তবুও এখনও বহু বনেদি বাড়িতে কাঠের বা মাটির নীলকণ্ঠ পাখি তৈরি করে সেটি প্রতিমা নিরঞ্জনের আগে জলে দেওয়ার প্রথা রয়েছে।

    কেন নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো হত? (Durga Puja 2024)

    বিজয়া দশমীর দিন (Durga Puja 2024) নীলকণ্ঠ পাখির দেখা পাওয়াকে শুভ এবং সৌভাগ্যদায়ী বলে মনে করা হয়। কথিত আছে, এই পাখিটি দেখা গেলে সম্পদ বৃদ্ধি পায়, জীবনের সমস্ত অশুভ প্রভাব বিনষ্ট হয়। ফলস্বরূপ, বাড়িতে নিত্য শুভ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হতে থাকে। নীলকণ্ঠ পাখি দেখার বিষয়ে বিভিন্ন ধারণা রয়েছে। নীলকণ্ঠ পাখি উড়ে যাও, সেই কৈলাসে যাও, খবর দাও, উমা আসছে। তখন নীলকণ্ঠ পাখি আগমনের বার্তা নিয়ে মহাদেবের কাছে এসেছিল। আরেকটি জনপ্রিয় বিশ্বাস হল, মনে করা হয়, রাবণবধের ঠিক আগে এই পাখিটির (Durga Puja 2024) দেখা পান রামচন্দ্র। আবার অন্য একটি পৌরাণিক মতে, রাবণবধের আগেও, সেতুবন্ধনের সময় হাজির হয়েছিল নীলকণ্ঠ পাখি। পথ দেখিয়ে রাম-সেনাকে লঙ্কায় নিয়ে গিয়েছিল এই পাখি। এরকম পৌরাণিক কাহিনি থেকেই এই পাখির মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত জায়গায়। তখন থেকেই মনে করা হয়, এই পাখির দর্শন অত্যন্ত শুভ।

    নীলকণ্ঠ পাখিকে শিবের প্রতিনিধি মানা হয়

    পৌরানিক মতে, লঙ্কা বিজয়ে রাম ব্রাহ্মণ হত্যার পাপ করেছিলেন। কারণ দশানন রাবণ ছিলেন ব্রাহ্মণ। তখন লক্ষ্মণ সহ রামচন্দ্র শিবের পুজো করেছিলেন এবং ব্রাহ্মণকে বধ করার পাপ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। সেই সময় শিব নীলকণ্ঠ পাখির (Nilkontho Pakhi) রূপে পৃথিবীতে এসেছিলেন বলে অনেকের বিশ্বাস রয়েছে। নীলকণ্ঠ অর্থ, যার গলা নীল। দেবাদিদেব মহাদেব সমুদ্র মন্থন করার সময় বিষ পান করেছিলেন। কণ্ঠে সেই বিষকে ধারণ করার ফলে মহাদেবের কণ্ঠ নীল হয়ে যায়। তাই শিবের আর একটি নাম হল নীলকণ্ঠ। নীলকণ্ঠ পাখিকে (Durga Puja 2024) মর্ত্যলোকে শিবের প্রতিনিধি মানা হয় এবং দেবাদিদেব মহাদেবের রূপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জনশ্রুতি অনুসারে, শিব পৃথিবীতে নীলকণ্ঠ পাখি রূপেই ঘোরাফেরা করেন।

    নীলকণ্ঠ পাখি কেন কৃষকদের বন্ধু?

    নীলকণ্ঠ পাখির বিজ্ঞানের ভাষায় নাম ইন্ডিয়ান রোলার। এই পাখিটিকে কৃষকদের মিত্রও বলা হয়। কারণ, নীলকণ্ঠ পাখি জমিতে ফসলের সাথে জড়িত পোকামাকড় খেয়ে কৃষকদের উপকার করে থাকে। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, এক সময় দুর্গাপুজোর পর কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়িতে (Durga Puja 2024) নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো হত বিজয়া দশমীর দিনে। তা দেখতে ভিড়ও হত। এখন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ফলে এটা সম্ভব হয় না। শুধু শোভাবাজার নয় রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় আর এই পাখি ওড়ানো হয় না। তবে, প্রতীকী মেনে প্রথাটিকে বনেদি বাড়িতে ধরে রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: সন্ধিপুজোয় লাগে ১০৮টি পদ্ম, জ্বালানো হয় ১০৮টি প্রদীপ, কেন জানেন?

    Durga Puja 2024: সন্ধিপুজোয় লাগে ১০৮টি পদ্ম, জ্বালানো হয় ১০৮টি প্রদীপ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ধিপুজোর (Sandhi Puja) সময় দেবীকে চামুণ্ডা রূপে পুজো করা হয়। তাই, দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল সন্ধিপুজো। বলা হয়, অষ্টমী এবং নবমীর সন্ধিক্ষণের এই পুজোয় সারা বছর বিশেষ ফল লাভ হয়। অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট এবং নবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিট এই ৪৮ মিনিটের মধ্যেই শেষ হয় সন্ধিপুজো। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেকগুলি নিয়মকানুন এবং রীতিনীতি। যার মধ্যে অনেক নিয়ম অনেকেরই অজানা।

    কেন সন্ধিপুজোয় ব্যবহার করা হয় ১০৮টি পদ্ম ফুল? (Durga Puja 2024)

    পূরাণ মতে, দেবী দুর্গা আবির্ভূত হন অষ্টমী ও নবমী তিথির মিলনক্ষণেই, দেবী চামুণ্ডা রূপে। চন্ড ও মুন্ড নামক দুই ভয়ানক অসুরকে এই সন্ধিক্ষণে বধ করেছিলেন দেবী। অন্যদিকে কৃত্তিবাসের রামায়ণে উল্লেখ আছে, রাক্ষসরাজ রাবণকে বধ করার জন্য আশ্বিন মাসেই রামচন্দ্র অকাল বোধন করেন। সেখানেও সন্ধিপুজোর (Durga Puja 2024) বিশেষ তিথিতে দেবীকে ১০৮টি পদ্ম নিবেদন করা হয়। সেই সময় হনুমানকে দেবীদহ থেকে ১০৮টি পদ্ম ফুল তুলে আনতে বলা হয়। কিন্তু সেখানে পাওয়া যায় ১০৭টি পদ্ম। তখন রাম নিজে তাঁর পদ্ম সমান নেত্র দান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তখন দেবী আবির্ভূত হয়ে বরদান করেন যে, তিনি রাবণের থেকে নিজের সুরক্ষা সরিয়ে নেবেন। পদ্ম পবিত্রতার প্রতীক। পাঁকে জন্মালেও তার গায়ে কাদা লাগে না। সেরকমই বাইরের খারাপ মানুষের অন্তরকে যাতে ছুঁতে না পারে, তার উদ্দেশ্যেই দেবীর পায়ে পদ্ম সমর্পণ করা হয়।

    কেন জ্বালানো হয় ১০৮টি প্রদীপ?

    হিন্দু সংস্কৃতিতে, ১০৮ সংখ্যাটির গুরুত্ব কম নয়। দেবতাদের জপ করা হয় ১০৮টি নামের মধ্য দিয়ে। কৃষ্ণের অষ্টতর শত নামের মাহাত্ম্য সকলের জানা। আবার আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী মানব শরীরে রয়েছে ১০৮টি পয়েন্ট। দুর্গাপুজোতেও (Durga Puja 2024) ১০৮টি পদ্মের পাশাপাশি ১০৮টি প্রদীপ জ্বেলে দেবীর কাছে প্রার্থনা করা হয় অন্ধকার মুছে মানুষকে আলোর পথে নিয়ে যাওয়ার। ১০৮ প্রদীপের আলো অজ্ঞতা ও অশুদ্ধতা বিনাশ করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NRC: “বিজেপি ক্ষমতায় এলেই ঝাড়খণ্ডে এনআরসি হবে”, বললেন শিবরাজ সিং চৌহান

    NRC: “বিজেপি ক্ষমতায় এলেই ঝাড়খণ্ডে এনআরসি হবে”, বললেন শিবরাজ সিং চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপি ক্ষমতায় এলেই ঝাড়খণ্ডে এনআরসি (NRC) চালু হবে।” ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডে বিজেপি আয়োজিত এক নির্বাচনী জনসভায় এ কথাই বললেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj singh Chouhan)। বিজেপি ক্ষমতায় এলে ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশও বন্ধ করা হবে। শিবরাজ বলেন, “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা এ দেশে এসে আধার কার্ড ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নানা নথি তৈরি করে ফেলছেন। ভোটারকার্ডও তৈরি হচ্ছে। সেসব রুখতেই রাজ্যে এনআরসি চালু করবে বিজেপি।”

    বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস (NRC)

    বিজেপির অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা, পাকুড়, দেওঘর, জামতাড়া, সাহেবগঞ্জের মতো জেলায় বাড়ছে অনুপ্রবেশ। যার ফলে বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস। ঝাড়খণ্ড যখন বিহার থেকে আলাদা হল তখন এর জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশ ছিল আদিবাসী। এখন সেটা কমে গিয়ে হয়েছে ২৪ শতাংশ। সেই কারণেই অনুপ্রবেশ রোখা দরকার। আর তা করতে গিয়েই এনআরসি চালু করতে চায় বিজেপি।

    এনআরসি চালুর দাবি

    ব্যাপক অনুপ্রবেশের কারণেই বাংলা, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে দ্রুত। তাই এই তিন রাজ্যেই এনআরসি চালু করতে চায় বিজেপি। বছরখানেক আগে সেই দাবি তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেও। এই তিন রাজ্যের সরকারই এনআরসির ঘোরতর বিরোধী। তবে ঝাড়খণ্ডে বিজেপি এনআরসিকে হাতিয়ার করেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাইছে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    জানা গিয়েছে, সীমান্ত পেরিয়ে (NRC) পশ্চিমবঙ্গে ঢুকছে বাংলাদেশিরা। পরে জাল নথিপত্র বানিয়ে ঢুকে পড়ছে পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে। স্থানীয় মহিলাদের বিয়ে করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগও উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। বিয়ে করে কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে আদিবাসীদের জমি। যা বস্তুত অবৈধ। অনুপ্রবেশকারীদের এহেন বাড়বাড়ন্তে শঙ্কিত বিজেপি। আদিবাসীদের জমি যাতে কোনওভাবেই বেহাত হয়ে না যায়, তাই অনুপ্রবেশ বন্ধে জোর দিয়েছে বিজেপি। নির্বাচনী প্রচারে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ এবং এনআরসিকেই হাতিয়ার করেছে পদ্মশিবির। ১২ সেপ্টেম্বর ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে দাখিল করা একটি হলফনামায়ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলেছে, কেন্দ্র ঝাড়খণ্ডের নানা অংশে অবৈধ অভিবাসন নিয়ে উদ্বিগ্ন।

    আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকেই বৈঠকে জয়শঙ্কর-তৌহিদ, হাসিনাকে নিয়ে কী আলোচনা হল?

    এদিকে, সোমবার নির্বাচন কমিশনের প্রধান রাজীব কুমারের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা রাঁচি ঘুরে গিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে রাজ্য বিজেপি। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের নির্বাচনে যেন (Shivraj singh Chouhan) অনুপ্রবেশকারীরা কোনওভাবেই অংশ নিতে না পারে (NRC)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Children Diseases: খামখেয়ালি আবহাওয়ায় ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের! কাহিল করে দিচ্ছে কোন কোন রোগ? 

    Children Diseases: খামখেয়ালি আবহাওয়ায় ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের! কাহিল করে দিচ্ছে কোন কোন রোগ? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দিন কয়েক ধরে গরমে জেরবার হচ্ছিল উত্তর থেকে দক্ষিণ! শরতের রোদে প্রায় পুড়েছে সকলে! আবার চলতি সপ্তাহে শুরু প্রবল বৃষ্টি! হাওয়া অফিসের অনুমান, আগামী ছ’দিন একনাগাড়ে চলবে বৃষ্টি! আগামী সপ্তাহে আবার রোদের দেখা মিলবে! তাপমাত্রার পারদ বাড়ছে-কমছে! আর আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনা স্বাস্থ্যের বিপদ (Children Diseases) বাড়াচ্ছে! বিশেষত শিশুদের ভোগান্তি বাড়ছে। তাই সতর্কতা জারি না রাখলে আরও সমস্যা বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে চিকিৎসকদের একাংশ।

    গলাব্যথা, কাশি-সর্দি এবং জ্বর (Children Diseases)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, আবহাওয়ার এই রকমফের বাতাসে একাধিক ভাইরাসের দাপট বাড়াচ্ছে। সক্রিয় হচ্ছে একাধিক রোগসৃষ্টিকারী জীবাণু। আর তার জেরেই নানান রোগের প্রকোপ বাড়ছে। গত দু’সপ্তাহে শিশুদের ভাইরাসঘটিত জ্বরের প্রকোপ কয়েক গুণ বেড়েছে। গলাব্যথা, কাশি-সর্দি এবং জ্বর! এই উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। হঠাৎ গরম আবার তারপরেই লাগাতার বৃষ্টি-সব মিলিয়েই এই ধরনের সমস্যা বাড়ছে বলে জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। 
    আবার দিন কয়েক আগে তাপমাত্রা হঠাৎ অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় (Strange weather) বহু শিশু ‘হিট বার্ন’-এর মতো সমস্যায় ভুগছে বলেও জানাচ্ছে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সর্দি-কাশি বা অন্য কোনও ভাইরাসঘটিত রোগের কবলে না পড়লেও বহু শিশুর দেহের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে। থার্মোমিটারে মাপলে মনে হবে শিশুর জ্বর হয়েছে। দূর্বলতাও দেখা দিচ্ছে। কিন্তু আবহাওয়া হঠাৎ গরম হয়ে যাওয়ার জেরে শিশুর দেহ এই হঠাৎ বদলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে না। প্রাপ্তবয়স্কদের মতো তাদের দেহ পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নিজেকে ঠান্ডা রাখতে পারে না। তাই শরীর গরম হয়ে যাচ্ছে।

    পেটের অসুখ

    জ্বরের পাশপাশি পেটের অসুখের সমস্যাও বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, রাজ্যের একাধিক জেলায় জল জমে রয়েছে। বন্যা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শিশুরা মারাত্মক পেটের অসুখে ভুগছে। অনেক জায়গায় পরিশ্রুত জল নেই। ফলে সমস্যা (Children Diseases) আরও বাড়ছে‌। এই আবহাওয়ায় আরেকটি সমস্যা হচ্ছে ছত্রাক সংক্রমণ। ত্বক বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, শুষ্ক আর ভিজে আবহাওয়ার এই ঘনঘন পরিবর্তনের জেরে শিশুদের ত্বকে নানান ছত্রাক সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে! ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া আবার হালকা একটা আস্তরণ দেখা দিচ্ছে!

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Children Diseases)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, বর্ষায় রাজ্যে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ মারাত্মক। তাই জ্বর হলে কোনও ভাবেই অবহেলা করা চলবে না।‌ দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি। তবে আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় ভাইরাস ঘটিত অসুখ থেকে বাঁচতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া জরুরি। পাশপাশি নিয়মিত লেবু জাতীয় ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও লেবু জাতীয় ফলে থাকে ভিটামিন সি। সর্দি-কাশি কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে এই ধরনের ফল বিশেষ সাহায্য করে। স্কুল পড়ুয়াদের টিফিনে নিয়মিত কিউই জাতীয় ফল দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে ভাইরাস ঘটিত অসুখের (Children Diseases) প্রকোপ কমবে‌। 
    ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে শিশুকে নিয়মিত স্নান করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ত্বক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে এই ধরনের অসুখের ঝুঁকি কমে। 
    জলের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বর্ষার জেরে বহু জায়গায় জলের পাইপ ফেটে গিয়েছে‌। পরিশ্রুত পানীয় জল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই জলঘটিত অসুখ যেমন কলেরা, ডায়ারিয়ার মতো রোগ প্রতিরোধ করতে শিশুদের জল ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: আরজি কর দুর্নীতি মামলায় আলমারি ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও ফাইল উদ্ধার করল সিবিআই

    RG Kar Case: আরজি কর দুর্নীতি মামলায় আলমারি ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও ফাইল উদ্ধার করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Case) রাজ্য রাজনীতি ব্যাপক ভাবে উত্তাল। কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির (Corruption Case) তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে এই কেলেঙ্কারির অভিযোগে জেলে রয়েছেন ওই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তদন্তে নেমে মঙ্গলবার, সিবিআই হাসপাতালের আলমারি ভেঙে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছে। মনে করা হচ্ছে দুর্নীতি মামলায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    নথি নিয়ে যাওয়া হয়েছে সিজিও-তে(RG Kar Case)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই-এর দুর্নীতিদমন (Corruption Case) শাখার গোয়েন্দারা হাসপাতালে (RG Kar Case) গিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং ফাইল উদ্ধার করেছে। সেগুলিকে পরে সিজিও-তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২০২১ সাল থেকে সন্দীপ ঘোষ আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদে ছিলেন। এই উদ্ধার হওয়া নথি সন্দীপ ঘোষের সময়কালের বলে জানা গিয়েছে। দুর্নীতি বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন ওই হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আক্তার আলি। ২০২৩ সালে একাধিকবার অভিযোগ করলেও কোনও রকম তদন্তের ইঙ্গিত মেলেনি। গত ৯ অগাস্ট চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পরেই দুর্নীতির বিষয়ে ওই হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স এবং কর্মচারীরা একাধিক বিষয়ে আন্দোলনে নামেন। এরপর সন্দীপ ঘোষের একাধিক কুকর্মের বিষয় প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ধর্ষণ ও খুনের মামলায় ধৃত সঞ্জয় রায়। প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং শাসকদল তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন এই  অভিযুক্ত।

    আরও পড়ুনঃ সকাল থেকেই আকাশের মুখভার! দফায় দফায় বৃষ্টি, ৯ জেলায় জারি হলুদ সতর্কতা

    মৃতদেহ পাচার করতেন সন্দীপ?

    সন্দীপ ঘোষের (RG Kar Case) বিরুদ্ধে আক্তার আলি আরও বলেছিলেন, “আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তি। তিনি টেন্ডার দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত। মৃতদেহ পাচার, স্বাস্থ্য খাতে খরচ, সিসিটিভি, রেস্টরুমের জন্য টাকার ঠিকঠাক ব্যবহার করেননি। ডাক্তারি পড়ুয়াদের টাকার বিনিময়ে পাশ-ফেল করানো, টাকা নিয়ে পছন্দের বিষয়ে গবেষণা করানোর কাজ-সহ একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই সন্দীপ ঘোষ। অত্যন্ত প্রভাবশলী ব্যক্তি। থ্রেট কালচারের মধ্যমণি ছিলেন।” আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডিও। অপর দিকে চিকিৎসক তরুণীকে খুনের মামলায়ও তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India vs Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার! গোয়ালিয়রে ম্যাচের দিন বনধ ডাকল হিন্দু মহাসভা

    India vs Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার! গোয়ালিয়রে ম্যাচের দিন বনধ ডাকল হিন্দু মহাসভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ্মাপাড়ে হিন্দুদের উপর ‘নারকীয়’ অত্যাচারের প্রতিবাদে বাংলাদেশ দলকে ভারতে খেলতে দিতে নারাজ হিন্দু মহাসভা (Hindu Mahasabha)। ভারত-বাংলাদেশ টি২০ ম্যাচের দিনই গোয়ালিয়র বনধের ডাক দিল হিন্দু মহাসভা। ৬ অক্টোবর গোয়ালিয়রে ভারত-বাংলাদেশ (India vs Bangladesh) ম্যাচ রয়েছে। সেই দিন, ‘ম্যাচ হতে দেব না’ বলে হুমকি দিয়েছেন হিন্দু মহাসভার নেতারা। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, তারা আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেবে।

    হিন্দু মহাসভার দাবি

    হিন্দু মহাসভার (Hindu Mahasabha) জাতীয় সহ-সভাপতি জয়বীর ভরদ্বাজ অভিযোগ করেছেন,“হিন্দুরা বাংলাদেশে (India vs Bangladesh) নির্যাতিত হচ্ছে। বাংলাদেশে একের পর এক মন্দির ধ্বংস করা হচ্ছে। আমরা কিছুতেই বাংলাদেশকে ভারতের মাটিতে খেলতে দেব না। আমাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে বাংলাদেশ যখন গোয়ালিয়রে খেলতে আসবে, আমরা প্রতিবাদ জানাব।”  জয়বীর জানিয়েছেন, তাঁরা এই বনধের আওতা থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীকে ছাড় দিয়েছেন। পালটা গোয়ালিয়র পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, “ওই দিন অন্যান্য কাজের দিনের মতই নিরাপত্তা বজায় রাখা হবে। আমরা সবরকম ব্যবস্থা করে ফেলেছি।”  গোয়ালিয়রে শেষবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছিল ২০১০ সালে। তার ১৪ বছর পর ৬ অক্টোবর কোনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হতে চলেছে গোয়ালিয়রে। 

    আরও পড়ুন: সকাল থেকেই আকাশের মুখভার! দফায় দফায় বৃষ্টি, ৯ জেলায় জারি হলুদ সতর্কতা

    কানপুরেও প্রতিবাদ

    ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট (India vs Bangladesh) সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের জন্য কানপুরেও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। হিন্দু মহাসভার (Hindu Mahasabha) ‘হুমকি’র পর আশ্বস্ত করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। কানপুর পুলিশের এসিপি হরিশ চান্দের জানিয়েছেন, শুক্রবারের ম্যাচের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত স্টেডিয়াম। নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। কানপুর পুলিশ জানিয়েছে, স্টেডিয়াম থেকে ক্রিকেটারদের হোটেল সর্বত্র নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হচ্ছে। সবকটি এলাকাকে আলাদা আলাদা জোনে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি জোনে উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ম্যাচের জন্য নিযুক্ত নোডাল অফিসার শারওয়ান কুমার সিং জানিয়েছেন, “ম্যাচের আগে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আমরা এ বিষয়ে আইবি এবং রাজ্য ও কেন্দ্রের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।” কানপুরে শাকিবরা খেলতে এলে তাঁদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হবে। এমনকী, ম্যাচের আয়োজন করতে না দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে হিন্দু মহাসভা। তাদের দাবি, বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই প্রতিবেশী দেশে হিন্দুদের গণহত্যা চলছে। অত্যাচার, মন্দির ভাঙা রোজকার ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ দল কানপুরে খেলতে এলে ঘোর বিক্ষোভের মধ্যে পড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: পুজো হয় ১৫ দিন ধরে, সন্ধিক্ষণের সময়ে মা জানান দিয়ে যান নিজের উপস্থিতি!

    Durga Puja 2024: পুজো হয় ১৫ দিন ধরে, সন্ধিক্ষণের সময়ে মা জানান দিয়ে যান নিজের উপস্থিতি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলের গাড়ুই গ্রামে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024) একেবারেই ব্যতিক্রমী। প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন এই পুজো হয় ১৫ দিন ধরে। জিতাষ্টমীর পরের দিন নবমীতে মঙ্গলঘট প্রতিষ্ঠা দিয়ে শুরু হয় বোধন। সেই দিন থেকে পুজো চলে দশমী পর্যন্ত। শুধু তাই নয়, সন্ধিক্ষণের সময়ে মা নিজের উপস্থিতি জানান দিয়ে যান। লোকমুখে এমন বিশ্বাসের কথাই শোনা যায়।

    পারিবারিক দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024)

    আসানসোল পুর নিগমের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত এই গাড়ুই গ্রাম। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে অবস্থিত প্রাচীন এই গ্রামে পুরনো পারিবারিক দুর্গাপুজো এটি। চট্টোপাধ্যায়, মুখোপাধ্যায় এবং বন্দ্যোপাধ্যায়-এই তিন পরিবার রয়েছে এই পুজোয়। এই প্রাচীন পুজোকে ঘিরেই মানুষের উন্মাদনা বেশি। এখনও এই মূল ও প্রাচীন পুজোর নবপত্রিকাকে স্নান করিয়ে নিয়ে আসার সময় সেই পালকিই আগে আসে। অন্য দুটো পুজোর নবপত্রিকা তার পরে আনা হয়। শুধু তাই নয়, সন্ধিক্ষণ থেকে বলিদান বা অন্যান্য সমস্ত কিছু নিয়মকানুন এই প্রাচীন মন্দিরে আগে হয়, তারপর গ্রামের অন্য দুটি মন্দিরে সেই নিয়ম মানা হয়।

    অষ্টধাতুর মূর্তি

    পারিবারিক সদস্য ও মন্দিরের পুরোহিত বিপত্তারণ চট্টোপাধ্যায় ও ধীরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো এই পুজো। মন্দিরে অষ্টধাতুর মূর্তি রয়েছে। তা নিত্যপুজো হয়। যদিও পুজোয় দেবী দুর্গার মৃন্ময়ী মূর্তিও বানানো হয়। জিতাষ্টমীর পরের দিন নবমী তিথি পড়লেই গাড়ুই গ্রামের এই প্রাচীন মন্দিরে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024) শুরু হয়ে যায়। পুকুর থেকে নিয়ে আসা হয় মঙ্গলঘট। স্থাপন করা হয় মন্দিরের ভিতর। তিনি আরও বলেন, অষ্টধাতুর মূর্তিকে নিয়ে যাওয়া হয় সেই ঘটের সামনে। সেখানে শুরু হয় দুর্গার আরাধনা, পুজো-আর্চা, চণ্ডীপাঠ। দুর্গাপুজোর ১১ দিন আগে থেকেই পুজো শুরু হয়। অর্থাৎ, মোট ১৫ দিন ধরে এখানে (Asansol) দুর্গাপুজো হয়।

    মিলন উৎসবের চেহারা (Durga Puja 2024)

    শরিকি পরিবারের হলেও বর্তমানে এই পুজো গ্রামের মানুষের পুজো হয়ে গিয়েছে। সমস্ত গ্রামের মানুষ এসে এখানে আনন্দ করেন, অঞ্জলি দেন এবং প্রসাদ গ্রহণ করেন। পুজোর চারদিন বাইরে যাঁরা থাকেন, পরিবারের সেই সদস্যরাও ফিরে আসেন গ্রামে। একটা মিলন উৎসবের চেহারা নেয় গাড়ুই গ্রামের (Asansol) এই দুর্গাপুজো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: দুর্গাপুজোয় কেন অষ্টমীর অঞ্জলি গুরুত্বপূর্ণ? জেনে নিন এবার কখন অঞ্জলি?

    Durga Puja 2024: দুর্গাপুজোয় কেন অষ্টমীর অঞ্জলি গুরুত্বপূর্ণ? জেনে নিন এবার কখন অঞ্জলি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবতাকে অর্ঘ্য নিবেদন করাই অঞ্জলিদান। পুজোর (Durga Puja 2024) চারদিন পুষ্পাঞ্জলি দিলেও মহাষ্টমী মানেই সকালবেলা স্নান সেরে নতুন জামাকাপড় পরে মণ্ডপে গিয়ে দু’হাত ভরে ফুল নিয়ে মায়ের কাছে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার আনন্দই আলাদা। যাঁদের বাড়িতে পুজো হয়, তাঁরা প্রতিদিন পুজো পর্যন্ত উপবাস করে অঞ্জলি দিয়ে প্রসাদ নেন। পুজোর প্রধান অঙ্গই হল অঞ্জলি। তাই, অঞ্জলি দেওয়ার জন্য মণ্ডপে ভিড় উপচে পড়ে।

    কেন অষ্টমীর অঞ্জলি গুরুত্বপূর্ণ? (Durga Puja 2024)

    পুরাণ মতে, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণা নবমী তিথিতে (Durga Puja 2024) দেবতাদের তেজ ক্রমশ পুঞ্জিভূত হতে শুরু করে। সপ্তমী তিথিতে সেই পুঞ্জিভূত তেজ রাশি অবয়ব ধারণ করে। তাই সপ্তমী থেকে দেবীর মূর্তিতে পুজো শুরু হয়। মহাষ্টমী তিথিতে দেবতারা দুর্গাকে নানান অস্ত্র, রত্নহার, পদ্মের মালা দিয়ে সাজিয়ে তোলেন। যেহেতু মহাষ্টমীতে দেবী দুর্গাকে দেবতারা সাজিয়ে দিয়েছিলেন, তাই ওই দিন আমরাও মা দুর্গাকে সাজিয়ে দেবার চেষ্টা করি। সবচেয়ে উৎকৃষ্ট জিনিস দিয়ে সেদিন পুজো করা হয়। আমরা নিজেরাও সেরা বস্ত্রটি পরে মায়ের কাছে গিয়ে ফুল দিয়ে অঞ্জলি দিই। তাই মহাষ্টমীর অঞ্জলি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

    এবার কখন অঞ্জলি?

    এবছর ২ অক্টোবর, বুধবার মহালয়া। তবে পুজো কিন্তু এবার তিনদিনেই শেষ। মহাষষ্ঠী ২৩ আশ্বিন, ৯ অক্টোবর, বুধ (Durga Puja 2024) বার। মহাসপ্তমী ২৪ আশ্বিন, ১০ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার। মহাঅষ্টমী ২৫ আশ্বিন, ১১ অক্টোবর, শুক্রবার। উল্লেখ্য, গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুযায়ী সন্ধিপুজো শুরু হবে সকাল ৬। ২২। ৫৮ সেকেন্ডে। বলিদানের নির্ঘণ্ট সকাল ৬। ৪৬। ৫৮ সেকেন্ডে এবং সন্ধিপুজো সমাপন হবে সকাল ৭। ১০। ৫৮ সেকেন্ডে। নিয়ম অনুযায়ী সন্ধিপুজো শুরুর আগে অবধি চলবে অঞ্জলি। মহানবমী ও দশমী পুজো ২৬ আশ্বিন, ১২ অক্টোবর।

    অঞ্জলির ফল

    কথিত আছে, মহাষ্টমীতে দেবীর পুজো (Durga Puja 2024) করার সময় সঠিক নিয়ম মেনে চললে জীবনে কখনও আর্থিক দিক থেকে অবনতি ঘটে না। সব সময় সাফল্য আসে। জীবনে বহুদূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। তাই ভোরে উঠে স্নান সেরে, নতুন পোশাক পরে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি (Pushpanjali) দেওয়ার জন্য ভিড়ের ছবি চোখে পড়ে সকাল থেকেই। শক্তির আরাধ্যা দেবী দুর্গার কাছে নিজের ইচ্ছের কথা জানিয়ে প্রার্থনা করার শুভ সময় এটাই। এমনটাই মনে করেন শাক্তরা। অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে স্বর্গরাজ্য রক্ষা করেছিলেন সর্বশক্তিমান দেবী মহিষাসুরমর্দিনী। প্রতি বছর শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে দুর্গাষ্টমী ব্রত পালন করা হয়। বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মধ্যে এই দুর্গাষ্টমীর ব্রত রন্ধ্রে রন্ধ্রে জড়িয়ে রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: মার্কিন মুলুকেই বৈঠকে জয়শঙ্কর-তৌহিদ, হাসিনাকে নিয়ে কী আলোচনা হল?

    S Jaishankar: মার্কিন মুলুকেই বৈঠকে জয়শঙ্কর-তৌহিদ, হাসিনাকে নিয়ে কী আলোচনা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে রাষ্ট্রসংঘের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করতে চেয়েছিলেন ইউনূস। সেই বৈঠক হয়নি।

    বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক (S Jaishankar)

    তবে মোদি-ইউনূস বৈঠক না হলেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বৈঠক হয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar) সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, মঙ্গলবার নিউইয়র্কে ওই বৈঠক হয়েছে। সূত্রের খবর, বৈঠকে জয়শঙ্কর ও তৌহিদ ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে একমত হন। প্রসঙ্গত, হাসিনা-উত্তর জমানায় এই প্রথম দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হল।

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    বৈঠক শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় করা এক পোস্টে জয়শঙ্কর বলেন, “আজ সন্ধেয় নিউইয়র্কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক হল। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।” বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফেও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে বৈঠকের একটি ছবি। সেখানে লেখা হয়েছে, “রাষ্ট্রসংঘের ৭৯তম সাধারণ সভার পাশে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন এবং বাংলাদেশ ও ভারতের পারস্পরিক স্বার্থের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।” তবে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কোনও কথা হয়েছে কিনা, সে ব্যাপারে মুখ খোলেনি কোনও পক্ষই।

    আরও পড়ুন: এশিয়ায় তৃতীয় শক্তিশালী দেশ ভারত, বলছে সমীক্ষা

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের জেরে ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ভারতে চলে আসেন তিনি। বাংলাদেশের রশি যায় অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে, যার প্রধান মহম্মদ ইউনূস। ক্ষমতায় বসেই তিনি বুঝত পারেন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করা ছাড়া বাংলাদেশের কাছে আর কোনও পথ খোলা নেই। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নত করতেই হবে। কারণ বাংলাদেশের চাহিদা ও ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক ও আমাদের মধ্যে অনেক কিছু বিষয়ে মিল রয়েছে। আমাদের একটি পারস্পরিক ইতিহাস রয়েছে। তাই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ছাড়া বাংলাদেশের (Bangladesh) আর কোনও উপায় নেই (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Railway Track: গুজরাটের কিম ও কোসাম্বা রেল স্টেশন থেকে ৭০টির বেশি খোলা তালা উদ্ধার! গ্রেফতার ৩

    Railway Track: গুজরাটের কিম ও কোসাম্বা রেল স্টেশন থেকে ৭০টির বেশি খোলা তালা উদ্ধার! গ্রেফতার ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার গুজরাটের কিম এবং কোসাম্বা রেল স্টেশনের (Railway Track) ট্র্যাক থেকে ৭০টিরও বেশি তালা এবং দুটি ফিশপ্লেট খোলা অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। ফের আরও একবার ষড়যন্ত্রের চক্র ফাঁস হয়েছে। ঘটনায় ৩ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বর্তমানে পুলিশে হেফাজতে রাখা হয়েছে। ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, গত রবিবার মধ্যপ্রদেশ-উত্তর প্রদেশের রেল লাইন থেকে ১০টি ডেটোনেটর এবং একটি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধারের পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র চাঞ্চাল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহজনক রেল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।

    রেল লাইবনে সন্দেহজনক তিনজনকে অবস্থায় দেখা যায় (Railway Track)

    গুজরাটের রেলকর্মী (Gujarat) সুভাষ পোদার, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে বলেন, “শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে লক্ষ্য করি যে রেল লাইনের বেশ কয়েকটি তালা খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেই সঙ্গে দুটি ফিশপ্লেট-যা দুটি রেলওয়ে ট্র্যাককে সংযুক্ত করে, তাও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিম এবং কোসাম্বা রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে সংলগ্ন রেললাইনে এই ঘটনা ঘটেছে। যখন টহল দিচ্ছিলাম তখন ট্র্যাকের কাছে তিনজনকে লক্ষ্য করি। তারা ভিডিও করছিল। এরপর ডাকাডাকি করলে সকলে পালিয়ে যায়।” এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশ এবং এনআইএ আধিকারিকরা বলেন, “নাশকতার বিষয়ে তদন্ত শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে পোদারের কথার সূত্রকে মিলয়ে দেখা হচ্ছে।”। তবে অন্য ট্রেনের লোকো পাইলট, ষড়যন্ত্র ফাঁসের কয়েক মিনিট আগে ট্র্যাকের উপর দিয়ে গেলেও কোনও ত্রুটি দেখতে পাননি। ১২৯৫২ দিল্লি-মুম্বই রাজধানী এক্সপ্রেস ভোর ৪.৫৩ এবং ৪.৫৮ টার মধ্যে ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে অতিক্রম করেছিল। আবার পোদার অ্যালার্ম দেওয়ার প্রায় ২৫ মিনিট আগে ১৪৮০৮ দাদার জেইউ এক্সপ্রেস ১১০ কিলোমিটার গতিতে ৪.৩৮ থেকে ৪.৪৪ টার মধ্যে অতিক্রম করেছিল। সেই সময় সব ঠিকঠাক ছিল তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, রেলের লাইন থেকে মোট ৭১টি তালা খোলা হয়েছে। বেশ কিছু ফিশপ্লেটগুলি খুলে দেওয়া হয়। ট্রেন চালকরা দেখেছিলেন পার্শ্ববর্তী রেল লাইনের উপর পড়ে রয়েছে সরঞ্জাম । যদিও রাজধানী যাওয়ার সময় সেগুলি ঠিক জায়গাতেই ছিল। পরবর্তী সময়ে ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ এশিয়ায় তৃতীয় শক্তিশালী দেশ ভারত, বলছে সমীক্ষা

    ধৃতদের বক্তব্য

    তিনজন অপরাধী (Gujarat) নিজেদের কুকর্ম স্বীকার করেছেন তদন্তকারী অফিসারদের সামনে। এই রেলে নাশকতা কাজের জন্য টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করে তারা। তবে এই ঘটনায় মূলচক্রী কারা, কাদের নির্দেশে এই কাজ করা হচ্ছে? অর্থ যোগান কারা করছে ইত্যাদি এই সব বিষয়ে তদন্ত চলছে। উল্লেখ্য আগে উত্তরপ্রদেশে রেললাইন থেকে গ্যাসের সিলিন্ডার উদ্ধার হয়েছে। রাজস্থানের আজমেরে মালগাড়ির লাইনের উপরে ফেলা হয়েছিল সিমেন্টের চাঁই। ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের উপর ফেলা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত মোট ১৮বার ট্রেন লাইনকে বেলাইন করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। সবটা মিলিয়ে উদ্বিগ্ন রেল।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share