Tag: Madhyom

Madhyom

  • Onion Price Hike: পরিকল্পনা তৈরি, পেঁয়াজের দামে রাশ টানতে কোমর কষে নামছে মোদি সরকার

    Onion Price Hike: পরিকল্পনা তৈরি, পেঁয়াজের দামে রাশ টানতে কোমর কষে নামছে মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিমূল্য আনাজের দর। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো আগুনে-দর হয়েছে পেঁয়াজেরও (Onion Price Hike)। পেঁয়াজের দরে রাশ টানতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, দ্রুত দাম কমাতে সরকারি মজুত ভান্ডার থেকে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার (Modi Government)। সামনেই কয়েকটি রাজ্যে হবে বিধানসভা নির্বাচন।

    মূল্যবৃদ্ধির আঁচে লাগামে উদ্যোগ (Onion Price Hike)

    মূল্যবৃদ্ধির আঁচের জের যাতে ভোটবাক্সে না পড়ে, তাই এখনই মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মূল্যবৃদ্ধির কারণেই লোকসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। এবারও যাতে তার পুনরাবৃত্তি না হয়, তাই আগেইভাগেই ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Government)। সরকারি মজুত থেকে বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হবে (Onion Price Hike) সরকারি সমবায় সংস্থার মাধ্যমে। সচিব নিধি খারে বলেন, “দিল্লি ও অন্যান্য বড়া শহরগুলির পাইকারি বাজারের বাফার স্টক থেকে পেঁয়াজ সরবরাহ করা শুরু করেছে কেন্দ্র। সারা দেশে ভর্তুকিযুক্ত পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে সরকার। ফলে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলেই আশা করা হচ্ছে।”

    ৩৫ টাকা দরে পেঁয়াজ 

    সরকারি তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ২৩ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে খুচরো বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫৮ টাকা প্রতি কেজি। মুম্বইতেও একই দামে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। চেন্নাইতে বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি দুটাকা বেশি দরে। সরকার চাইছে, কেজি প্রতি ৩৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে। সরকারি পরিসংখ্যান থেকেই জানা গিয়েছে, গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৩৮ টাকা দরে (Onion Price Hike)। এ বছর এই দিনে বিক্রি হয়েছে কোথাও ৫৮, কোথাও বা ৬০ টাকা কেজি দরে। অর্থাৎ গত এক বছরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫৩ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: “মানবতার সাফল্য নেই যুদ্ধক্ষেত্রে”, বিশ্বকে ফের শান্তি-বাণী শোনালেন মোদি

    পেঁয়াজের দামের (Onion Price Hike) লাগাম যাতে মধ্যবিত্তের হাতের বাইরে চলে না যায়, তাই গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে মোবাইল ভ্যানে করে কেজি প্রতি ৩৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে সরকার। মোবাইল ভ্যানের পাশাপাশি এনসিসিএফ এবং এনএএফইডির বিভিন্ন আউটলেট থেকেও ওই দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। এ বছর পেঁয়াজের ফলন ভালো হবে বলে আশাবাদী খারে (Modi Government)। তিনি বলেন, “আগামী মাস থেকে বাজারে পেঁয়াজ আসা শুরু হবে। ফলন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও (Onions) কারণ নেই (Price Hike)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • CBI: আরজি করকাণ্ডে সিবিআই খুলবে সিএফএসএল রিপোর্ট, নার্কো টেস্ট নিয়ে কী জানাল আদালত?

    CBI: আরজি করকাণ্ডে সিবিআই খুলবে সিএফএসএল রিপোর্ট, নার্কো টেস্ট নিয়ে কী জানাল আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের ঘটনাস্থলের নমুনা সংক্রান্ত সিএফএসএল রিপোর্ট সিবিআইয়ের (CBI) হাতে এল। সেই রিপোর্ট খোলার অনুমতি দিল আদালত। অন্যদিকে, সন্দীপ ঘোষের নার্কো অ্যানালাসিস টেস্টের অনুমোদন নেওয়ার দিন পিছিয়ে গেল। কারণ, সিবিআই শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। সোমবার আলিপুর কোর্টে ছিল সন্দীপ ঘোষের দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানি। অন্যদিকে, শিয়ালদা কোর্টে ছিল নির্যাতিতার-মামলার শুনানি। সিএফএসএল রিপোর্ট আসার বিষয়টি আদালতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

    আদালতে কী আবেদন জানাল সিবিআই? (CBI)

    সিএফএসএল রিপোর্ট খোলার জন্য আদালতে আবেদন করে সিবিআই। আদালত সেই অনুমতি দেয়। নিয়ম অনুযায়ী, সাক্ষীদের উপস্থিতিতে রিপোর্ট খোলাই নিয়ম। জানা গিয়েছে, টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ও সন্দীপ ঘোষের নার্কো টেস্টের অনুমতি নেওয়ার আবেদন জানানোর কথা ছিল সোমবার। কিন্তু, তা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থার (CBI) কথায় সিএফএসএল এক্সপার্ট অন্য মামলায় ব্যস্ত থাকবেন। তাই ২৫ সেপ্টেম্বর আদালতের অনুমতি নেওয়ার আবেদন জানালে ভালো হয়। সিবিআই-এর এই আর্জি মেনে নিয়েছে আদালত। অর্থাৎ সন্দীপের নার্কো আর অভিজিতের পলিগ্রাফ পরীক্ষা হবে কিনা তা ঠিক করা হবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর। সিবিআই-এর আইনজীবী আদালতে জানান, ঘটনাস্থল থেকে নতুন বেশ কিছু নমুনা বাজেয়াপ্ত করেছে। সেগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    আরও পড়ুন: বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রের পদক্ষেপ তুলে ধরে রাজ্যকে পরামর্শ রাজ্যপালের

    সন্দীপরা প্রভাবশালী!

    সিবিআই (CBI) এদিন আদালতে জানায়, সন্দীপরা (Sandip Ghosh) প্রভাবশালী। ডিজিটাল ডেটা ক্লোন করতে দেওয়া হয়েছে। তাই তদন্তের স্বার্থে তাদের ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হোক। ধৃত সন্দীপ ঘোষ-সহ চারজনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালত। আরজি করে চিকিৎসক হত্যা ও খুনের ঘটনা ঘটে গত ৯ অগাস্ট। সেই সময় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ ঘোষ আর টালা থানার ওসি ছিলেন অভিজিৎ মণ্ডল। পরবর্তীকালে দুজনকেই তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে, এই মামলায় এবার দুইজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Railway Track: মধ্যপ্রদেশে রেল লাইন থেকে ডেটোনেটর উদ্ধারকাণ্ডে ধৃত রেলকর্মী

    Railway Track: মধ্যপ্রদেশে রেল লাইন থেকে ডেটোনেটর উদ্ধারকাণ্ডে ধৃত রেলকর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh-Punjab) একটি সামরিক ট্রেন (Railway Track) যাওয়ার সময় রেললাইন থেকে ১০টি অক্ষত ডেটোনেটর উদ্ধারকাণ্ডের ঘটনায় একজন রেলকর্মীকে গ্রেফতার করেছে রেল পুলিশ। অপর দিকে পাঞ্জাবের ভাতিন্দায় রেললাইনের উপর থেকে ব্যাপক পরিমাণে রড উদ্ধার করেছে আরপিএফ। পর্যবেক্ষকদের স্পষ্ট মত রেল ব্যবস্থার উপর নাশকতা মূলক বিরাট চক্রান্তের চেষ্টা চলছে। কখনও পাথর, কখনও লোহা, আবার কখনও গ্যাসসিলিন্ডার-সিমেন্টের চাঁই-সহ একাধিক বস্তু রেখে রেল পরিকাঠামোকে ধ্বংস করার বড় ষড়যন্ত্র চলছে। ইতিমধ্যে রেল বাড়তি সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছে এবং সেই সঙ্গে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

    বিস্ফোরণের শব্দ হলে চালক রেল থামিয়ে দেন

    গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভুসাওয়াল ডিভিশনের নেপানগর (Madhya Pradesh-Punjab) এবং খান্ডওয়া স্টেশনের মধ্যে সাগফাটার কাছে রেললাইনে (Railway Track) নাশকতার ছকে দশটি ডেটোনেটর বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে একটির বিস্ফোরণের শব্দ হলে চালক রেল থামিয়ে দেন। সাময়িক ভাবে বেশ কিছু সময় যাতায়েত আটকে যায়। চালকের সতর্কতায় বড়সড় বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে। খবর পেয়ে রেলের আধিকারিক, এসটিএফ এবং এনআইএ তদন্তে নামেন। রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স বা আরপিএফ জানিয়েছে, ঘটনার সাথে জড়িত একজন ​​কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আবার খান্ডওয়া আরপিএফ-এর ইন্সপেক্টর সঞ্জীব কুমার পিটিআই-কে বলেন, “আমরা রবিবার একজনের বিরুদ্ধে, রেলওয়ে সম্পত্তির অবৈধ দখল আইনের ধারা ৩ (এ)-এর অধীনে ডেটোনেটর চুরি করার জন্য একটি মামলা দায়ের করেছি।”

    পাঞ্জাব রেলেও দুষ্কৃতীদের ছক!

    আরও পড়ুনঃ সিএএ-র পক্ষে জোরালো সওয়াল মুসলিম মহিলার, কী বললেন জানেন?

    সোমবার ভোর তিনটে নাগাদ ভাতিন্দা-দিল্লি (Madhya Pradesh-Punjab) সংযোগকারী রেল লাইনের (Railway Track) উপরে ঘটনা ঘটেছে। সেই সময় ট্রেনের উপর দিয়ে একটি মালগাড়ি যাচ্ছিল। কিন্তু লাইনের উপর একসঙ্গে অনেক রড দেখে চালক সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কষেন। ঠিক সময়ে গাড়ি থামানোয় অঘটন থেকে রক্ষা করা গিয়েছে। এই বিষয়ে স্থানীয় স্টেশনের তদন্তকারী অফিসার শবিন্দর কুমার জানিয়েছেন, “দুষ্কৃতীরা এইরকম নাশকতা মূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। সব মিলিয়ে লাইন থেকে মোট ৯টি রড উদ্ধার হয়েছে।” এর আগে, উত্তরপ্রদেশে রেললাইন থেকে গ্যাসের সিলিন্ডার উদ্ধার হয়েছে। রাজস্থানের আজমেরে ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরে মালগাড়ির লাইনের উপড়ে ফেলা হয়েছিল সিমেন্টের চাঁই। এখনও পর্যন্ত মোট ১৮ বার ট্রেন লাইনকে বেলাইন করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। সবটা মিলিয়ে উদ্বিগ্ন ভারতীয় রেল।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: মহাষ্টমী ও নবমীর সংযোগ মুহূর্তে কেন হয় সন্ধি পুজো? কী ফল মেলে?

    Durga Puja 2024: মহাষ্টমী ও নবমীর সংযোগ মুহূর্তে কেন হয় সন্ধি পুজো? কী ফল মেলে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাষ্টমীর (Durga Puja 2024) শেষ ২৪ মিনিট এবং নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট, এই মোট ৪৮ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হয় সন্ধিপুজো। অষ্টমী থেকে নবমীর সংযোগ মুহূর্তে কোনও এক উদ্যোক্তা ‘জয় মা’ ধ্বনি তোলেন। বাড়ি থেকে পাড়ার পুজো সবেতেই কমবেশি এই রীতি দেখা যায়।

    কেন হয় সন্ধিপুজো? (Durga Puja 2024)

    ১০৮টি পদ্ম এবং ১০৮টি মাটির প্রদীপ সহযোগে সম্পন্ন হয় সন্ধি পুজো। প্রথা অনুযায়ী সন্ধি পুজোয় (Sandhi Puja) দেবী দুর্গাকে পুজো করা হয় চামুণ্ডা রূপে। পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, যখন মহিষাসুরের (Durga Puja 2024) সঙ্গে দেবী যুদ্ধ করছিলেন, সেই সময় চণ্ড ও মুণ্ড দেবীকে আক্রমণ করেছিল। চণ্ড ও মুণ্ড ছিল মহিষাসুরের দুই সেনাপতি। তাদের দেবী দুর্গা বধ করেছিলেন। সেই থেকে দেবীর নাম হয় চামুণ্ডা। ভক্তদের বিশ্বাস, চণ্ড ও মুণ্ডকে যে সন্ধিক্ষণে দেবী বধ করেছিলেন, সেই ক্ষণেই সন্ধি পুজোর আয়োজন করা হয়।

    আবার অন্য একটি পৌরাণিক (Durga Puja 2024) মতে, এই সন্ধিপুজোর সন্ধিক্ষণে দেবী কালিকার জন্ম হয়েছিল মাতা অম্বিকার তৃতীয় নয়ন থেকে। পরাক্রমশালী অসুর রক্তবীজের প্রতিটি রক্তবিন্দু থেকে নতুন অসুরের জন্ম হত। রক্তবীজের সমস্ত রক্ত দেবী কালিকা পান করেছিলেন বলে পৌরাণিক কাহিনিতে উল্লেখ রয়েছে। এই সন্ধিক্ষণে ক্ষণিকের জন্য হলেও দেবীর অন্তরের সমস্ত স্নেহ-মমতার অবসান ঘটে বলে মনে করা হয়। এজন্য সন্ধিপুজো চলাকালীন দেবীর দৃষ্টির সামনে কাউকে যেতে দেওয়া হয় না। দৃষ্টিপথ পরিষ্কার রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

    সন্ধিপুজোয় (Sandhi Puja) কী ফল মেলে জানেন?

    প্রথা অনুযায়ী সন্ধিপুজোয় পুজোর শেষ ধাপ (Durga Puja 2024) অর্থাৎ শেষ ২৪ মিনিটে বলিদান সম্পন্ন হয়। সাধারণত ছাগলের পাশাপাশি কোনও কোনও জায়গায় আখ, কলা, চালকুমড়ো ইত্যাদিও দেবীকে বলি দেওয়া হয়ে থাকে। কথিত আছে, সংযমী হয়ে ভক্তি ভরে নিষ্ঠার সঙ্গে উপবাসী থেকে সন্ধিপুজো করলে যমের হাত থেকেও মুক্তি মেলে। অর্থাৎ মৃত্যুর সময় দেবীর কৃপায় যমের স্পর্শও রোখা যায়। আবার বলা হয়, নিষ্ঠা এবং ভক্তির সঙ্গে সন্ধিপুজো করলে যে ফল পাওয়া যায়, তা সারা বছর পুজোয় ফললাভের সমকক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: ‘ভাঙা বাড়ির বুড়িমার দুর্গাপুজো’য় মা পূজিত হন জগদ্ধাত্রী রূপে, তাই তিনি চতুর্ভূজা!

    Durga Puja 2024: ‘ভাঙা বাড়ির বুড়িমার দুর্গাপুজো’য় মা পূজিত হন জগদ্ধাত্রী রূপে, তাই তিনি চতুর্ভূজা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরনো বুড়িমা। হ্যাঁ, এই নামেই অধিক পরিচিত এই দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024)। তা দেখতে দেখতে প্রায় সাড়ে চারশো বছর বয়স হয়ে গেল এই পুজোর। জানা যায়, পুজো শুরু করেছিলেন বিকল সিং নামে এক ব্যক্তি। এখানে মা চতুর্ভূজা। মাকে এখানে জগদ্ধাত্রী রূপে পুজো করা হয় বলেই তিনি চতুর্ভূজা। মা ভাঙা বাড়ির দুর্গা প্রতিমা বলেও পরিচিত। কারণটাও নামের সঙ্গে যথেষ্ট সামঞ্জস্যপূর্ণ। শোনা যায়, যখন থেকে এই পুজো শুরু হয়েছিল, তখন এখানকার বাড়িঘর ছিল ভাঙা। সেই থেকে এই পুজোর নামকরণ হয় ভাঙা বাড়ির বুড়িমার দুর্গাপুজো।

    পাঁঠা বলি এবং লুচি প্রসাদ (Durga Puja 2024)

    এই পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, সপ্তমীর দিন একটি পাঁঠা বলিদান হয়, অষ্টমী সন্ধ্যায় দুটি ধবধবে সাদা পাঁঠা বলি হয়, নবমীর দিন পাঁচটি পাঠা এবং একটি চাল কুমড়ো বলি দেওয়া হয়। এই ভাঙা বাড়ির বুড়িমা দুর্গোৎসবে অষ্টমীর দিন সন্ধ্যায় লুচিপ্রসাদ ভোগ হয়, যা পারিপার্শ্বিক প্রতিবেশীদের এবং আশপাশের অঞ্চলে বিতরণ করা হয়। এছাড়া প্রতিদিনই সন্ধ্যায় লুচি প্রসাদ হয়। এই পুজোয় রথের দিন শুভ সময় ধরে ঠাকুর মশাই গঙ্গার মাটি কাঠামোতে লাগান। তারপর থেকেই শুরু হয় মূর্তি বানানো।

    বুড়িমার পুজোর রীতি

    এই মন্দিরে শালগ্রাম শিলা এবং নারায়ণ মূর্তি থাকার ফলে প্রথমে তাঁদের পুজো (Durga Puja 2024) করার পর মা দুর্গা (Jagadhatri) পূজিত হন। এছাড়া এই মন্দির সংলগ্ন জটাধারী তলায় যে বেল গাছ এবং ঘট আছে, সেখানেও মন্দিরের মতো পুজো করা হয়। এই বাড়ির সদস্যা মল্লিকা সিনহা জানান, এই পুজোয় চার দিন বাড়ির অন্যান্য সদস্য যাঁরা আছেন, তাঁরা বাইরে থেকে দেশের বাড়িতে চলে আসেন। সবাই মিলে খুব আনন্দের সঙ্গে ধুমধাম করে পুজো হয়। তিনি বলেন, আমরা শাশুড়িদের কাছে থেকে দেখেছি এই পুজোয় সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত যখন ছাগ বলি হয়, তখন পুজো মণ্ডপের সকল সধবারা ধুপচি মাথায় দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। এটাই এই বুড়িমার পুজোর রীতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: মহা তৃতীয়ায় আরাধিত হন মাতা চন্দ্রঘণ্টা, কেন দেবীর এমন নামকরণ?

    Durga Puja 2024: মহা তৃতীয়ায় আরাধিত হন মাতা চন্দ্রঘণ্টা, কেন দেবীর এমন নামকরণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিষাসুরের দখলে তখন সম্পূর্ণ স্বর্গরাজ্য। দেবতা, মুনি, ঋষি কেউই রম্ভা পুত্রের ভয়ঙ্কর বীভৎস অত্যাচারে টিকতে পারছেন না। দেবতারা পরাস্ত এবং বিতাড়িত। ব্রহ্মার বরদানে মহিষাসুরকে প্রতিহত করার কেউ নেই। মহিষাসুর জানতেন ব্রহ্মার আশীর্বাদে কোনও পুরুষ তাঁকে হত্যা করতে পারবে না। বিতাড়িত দেবতামু, নি, ঋষিরা শরণাপন্ন হলেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের। মহিষাসুরের অত্যাচারের কাহিনি শোনার পর ক্রোধান্বিত হলেন ত্রিদেব অর্থাৎ ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর। ক্রোধাগ্নির প্রচণ্ড তেজ সম্মিলিত হয়ে মহর্ষি কাত্যায়ন ঋষির আশ্রমে সৃষ্টি হল এক নারীর। তিনি মা দুর্গা (Durga Puja 2024)।

    রাজা ইন্দ্র ঐরাবৎ হাতির গলার ঘণ্টা থেকে একটি নিয়ে দেবীর (Durga Puja 2024) হাতে দিলেন

    নবরাত্রির ন’দিনে মা দুর্গা নয়টি রূপ ধারণ করে অসুরদের সঙ্গে প্রচণ্ড যুদ্ধ করেছিলেন। নবরাত্রির তৃতীয় দিনে পূজিতা হন মাতা চন্দ্রঘণ্টা (Devi Chandra Ghanta)। প্রবল তেজসম্পন্ন এই দেবী (Durga Puja 2024) মাতা চন্দ্রঘণ্টা, ঘণ্টা বাজিয়ে অসুরদের সতর্ক করেন। এখনকার ভাষায় ওয়ার্নিং বলা যেতে পারে। তাই দেবীর নাম চন্দ্রঘণ্টা। কালিকাপুরাণে দেবীর এমন নামকরণের উল্লেখ পাওয়া যায়। কাত্যায়ন মুনির আশ্রমে ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের তেজ থেকে সৃষ্ট নারী মূর্তিকে যখন সমস্ত দেবতা একে একে অস্ত্র দ্বারা সজ্জিত করছিলেন, তখন দেবতাদের রাজা ইন্দ্র তাঁর বাহন ঐরাবৎ হাতির গলার ঘণ্টা থেকে একটি ঘণ্টা নিয়ে দেবীর একটি হাতে দিলেন।

    ঘণ্টার শব্দেই দৈত্যদের প্রাণ ভয়ে খাঁচাছাড়া অবস্থা হয়েছিল

    পুরাণে উল্লেখ রয়েছে, অসুরদের সঙ্গে প্রবল যুদ্ধ চলাকালীন মাতা (Durga Puja 2024) চন্দ্রঘণ্টার এই তীব্র ঘণ্টানাদ বিকট শব্দ সৃষ্টি করেছিল। সেই ঘণ্টার শব্দেই দৈত্যদের প্রাণ ভয়ে খাঁচাছাড়া  হওয়ার অবস্থা হয়েছিল। অসুরদের অশুভ শক্তিকে হরণ করার জন্যই মাতা চন্দ্রঘণ্টা ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন। পৌরাণিক কাহিনিতে এও দেখা যাচ্ছে যে, যুদ্ধ শেষে মাতার এই ঘণ্টার শরণাপন্ন হচ্ছেন দেবতা, মুনি, ঋষিরা। তাঁরা বলছেন, “সা ঘণ্টা পাতু নো দেবি পাপেভ্যো নঃ সুতাম্ইব”। যার অর্থ বিশ্লেষণ করলে দাঁড়ায়, হে মা, তোমার এই প্রবল ঘণ্টাধ্বনি যেভাবে অসুরদের শক্তি ক্ষয় করে, তাদের দুর্বল করেছিল, ঠিক সেভাবেই এই ঘণ্টা যেন আমাদের ভিতরে থাকা সমস্ত পাপবোধকে হরণ করে নেয়। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে, কল্যাণকারী মাতা (Devi Chandra Ghanta) তাঁদের জীবন থেকে সমস্ত পাপবোধ, ভয়, শত্রুতা, বাধা-বিঘ্ন হরণ করে নেন।

    দেবী চন্দ্রঘণ্টা আসলে হিমালয়কন্যা ও শিবের স্ত্রী মাতা পার্বতী

    পৌরাণিক কাহিনিতে আরও উল্লেখ রয়েছে, দেবী চন্দ্রঘণ্টা আসলে হিমালয়কন্যা ও শিবের স্ত্রী মাতা পার্বতী। শিব-পার্বতীর বিবাহ পণ্ড করতে তারকাসুর দৈত্য, দানবদের মিলিত এক বাহিনী নিয়ে আক্রমণ করে। এই অবস্থায় বিবাহকে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে দেবী পার্বতী, মাতা চন্দ্রঘন্টার রূপ ধারণ করেন। তিনি ছিলেন বাঘের পিঠে সওয়ার। চন্দ্রের মতো বিশালাকার ঘণ্টা তিনি বাজাতে থাকেন। ঘণ্টার তীব্র আওয়াজে ভীতগ্রস্ত হয়ে দানবরা রণে ভঙ্গ দেয়। একটি পৌরাণিক মত অনুযায়ী, দেবী পার্বতী এক্ষেত্রে কোনও উগ্র ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেননি। কারণ জন্মের পর যখন দশম মহাবিদ্যা ও বিশ্বরূপ দেবী পার্বতী তাঁর পিতা এবং মাতাকে দর্শন করিয়েছিলেন, তখন দেবী পার্বতীকে তাঁর মাতা মেনকা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করিয়ে নিয়েছিলেন যে যখন দেবী পার্বতী নিজ পিতৃগৃহে অবস্থান করবেন, তখন কোনও অবস্থাতেই তিনি উগ্র রূপ ধারণ করবেন না এবং তৃতীয় চক্ষুকে লুকিয়ে রাখবেন। অর্থাৎ মাতা পার্বতী (Durga Puja 2024) পিতৃগৃহে থাকলে শান্ত হিমালয় কন্যা হিসেবেই থাকবেন।

    কল্যাণ প্রদানকারী মাতা চন্দ্রঘণ্টা

    কল্যাণ প্রদানকারী মাতা চন্দ্রঘণ্টার বাহন বাঘ অথবা সিংহ। তিনি ত্রিনয়নী এবং কপালে ঘণ্টার আকৃতির অর্ধচন্দ্রের অবস্থান। মাতা চন্দ্রঘণ্টা আসুরিক শক্তিকে ধ্বংস করতে বা বিনাশ করতে সদা প্রস্তুত। তাঁর ভক্তদের বিশ্বাস মাতা চন্দ্রঘণ্টা জীবনের সকল বাধাবিঘ্ন দূর করে চলার পথকে সুগম করে তোলেন। এই দেবীর পছন্দের রঙ কমলা বলেই মনে করেন ভক্তরা। তাই এই নির্দিষ্ট রঙের পোশাক পরিধান করে মাতা চন্দ্রঘণ্টার আরাধনা করলে সুফল বা শুভফল মেলে বলে ভক্তদের ধারণা। মাতার উদ্দেশে তাঁর ভক্তরা সাধারণত দুগ্ধজাত ভোগ নিবেদন করেন মায়ের নৈবেদ্যতে, এটা সাধারণত মিষ্টি, ক্ষীর বা রাবড়ি হয়। ভক্তদের বিশ্বাস এতে মাতা চন্দ্রঘণ্টা প্রসন্ন হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “মানবতার সাফল্য নেই যুদ্ধক্ষেত্রে”, বিশ্বকে ফের শান্তি-বাণী শোনালেন মোদি

    PM Modi: “মানবতার সাফল্য নেই যুদ্ধক্ষেত্রে”, বিশ্বকে ফের শান্তি-বাণী শোনালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মানবতার সাফল্য লুকিয়ে রয়েছে আমাদের সমবেত শক্তির ওপর। তা কখনওই যুদ্ধক্ষেত্রে নয়।” সোমবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations Summit) মঞ্চ থেকে তামাম বিশ্বকে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নিউইয়র্কে ‘সামিট অফ দ্য ফিউচার’ শীর্ষক আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বশান্তির বার্তা বিশ্ববাসীর কানে পৌঁছে দিতে এই মঞ্চটাকেই বেছে নেন প্রধানমন্ত্রী। এবং বললেন, “মানবতার সাফল্য লুকিয়ে রয়েছে আমাদের সমবেত শক্তির ওপর, যুদ্ধক্ষেত্রে নয়।”

    বিশ্বশান্তির পক্ষে সওয়াল মোদির (PM Modi)

    বিশ্বশান্তি ও উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সংগঠনের সংস্কারের কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। গত দু’বছর ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সোমবারই লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লার ঘাঁটিতে এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছে ইজরায়েল। এহেন প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই অভিমত আন্তর্জাতিক মহলের। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বশান্তি ও সুরক্ষায় একদিকে রয়েছে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ, আবার সাইবার, মহাকাশ-সহ বিরোধের একাধিক নয়া ক্ষেত্রও তৈরি হয়েছে। এসব দিকে নজর রেখে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ অবশ্যই হওয়া প্রয়োজন আন্তর্জাতিক উচ্চাকাঙ্খার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “সংস্কারই প্রাসঙ্গিকতার মূল। নয়াদিল্লি সম্মেলনে আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি২০-তে স্থায়ী সদস্যপদ প্রদান এদিকেই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল।”

    প্রসঙ্গ সন্ত্রাসবাদ 

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এসেছে সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি হিসেবে রয়ে গিয়েছে সন্ত্রাসবাদ। সাইবার, সামুদ্রিক ও মহাকাশের মতো ক্ষেত্রগুলি নয়া সংঘাতের ক্ষেত্র হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “এই সব বিষয়ে আমি জোর দেব যে বৈশ্বিক পদক্ষেপকে অবশ্যই বৈশ্বিক উচ্চাকাঙ্খার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।”

    আরও পড়ুন: সিএএ-র পক্ষে জোরালো সওয়াল মুসলিম মহিলার, কী বললেন জানেন?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রযুক্তির নিরাপদ ও দায়িত্বশীল ব্যবহারের জন্য বৈশ্বিক পর্যায়ে ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন রয়েছে।” তিনি বলেন, “আমাদের এমন বৈশ্বিক ডিজিটাল শাসনব্যবস্থা প্রয়োজন, যা জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষা করে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ডিজিটাল পাবলিক পরিকাঠামোকে বৈশ্বিক কল্যাণের জন্য একটি সেতু হতে হবে, বাধা নয়।” ভারত তার ডিজিটাল পাবলিক পরিকাঠামো পুরো বিশ্বের সঙ্গে শেয়ার করে নিতে প্রস্তুত বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী (United Nations Summit)। তিনি (PM Modi) বলেন, “ভারতের জন্য এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ, একটি অঙ্গীকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ‘করেননি ক্লাস, মানেননি নিয়ম’! ডিনের চিঠিতে প্রকাশ্যে পিজি-তে অভীকের দৌরাত্ম্য

    RG Kar: ‘করেননি ক্লাস, মানেননি নিয়ম’! ডিনের চিঠিতে প্রকাশ্যে পিজি-তে অভীকের দৌরাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar) ধৃত সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ অভীক দে-র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ সামনে এল। জানা গিয়েছে, পিজি (এসএসকেএম) হাসপাতালে নিজের ক্ষমতার দেখিয়ে যা খুশি করতেন। কোনও নিয়মের তোয়াক্কা করতেন না। করতেন না ক্লাস। দিতেন না অ্যাটেনডেন্স। অথচ, তাঁর বিরুদ্ধে কারও কথা বলার সাহস ছিল না। তাঁর দাপটের কথা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (RG Kar)

    চিকিৎসক পড়ুয়া অভীক দে-র বেনিয়মের আরও নজির প্রকাশ্যে এসেছে সোমবার। আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মর্মান্তিক খুনের আগের দিন থেকেই পিজিতে গরহাজির ছিলেন অভীক দে। গত ৮ অগাস্ট ওই খুনের ঘটনা ঘটে। তার আগের দিন থেকে গোটা মাস, এমনকী সেপ্টেম্বরেও কলেজে অনুপস্থিত তিনি। অভীক দে এসএসকেএমের জেনারেল সার্জারি বিভাগের স্নাতকোত্তর পড়ুয়া বা পিজিটি। তাই গত ৪ সেপ্টেম্বর পিজি হাসপাতালের ডিন অভিজিৎ হাজরা বিষয়টি লিখিতভাবে জানান রাজ্যের তৎকালীন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েককে। সেই চিঠি সোমবার প্রকাশ্যে এসেছে। সেই চিঠিতে অভীকের গরহাজিরার খতিয়ান দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর নানাবিধ অনিয়মের কথাও চিঠিতে তুলে ধরে ডিন লেখেন, ‘এমন বেনজির পরিস্থিতিতে পিজি-কে এর আগে পড়তে হয়নি।’ কোনও রকম ‘ইন্টিমেশন’ ছাড়াই যে অভীক ডিউটি করছেন না, ক্লাস করছেন না, সে কথা জেনারেল সার্জারি বিভাগ থেকে ৩ সেপ্টেম্বর জানার পরেই এই চিঠি লেখেন ডিন। স্বাস্থ্য-অধিকর্তার থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ চান তিনি।

    আরও পড়ুন: বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রের পদক্ষেপ তুলে ধরে রাজ্যকে পরামর্শ রাজ্যপালের

    ডিনের চিঠিতে কী কী উল্লেখ রয়েছে?

    স্বাস্থ্য ভবন (RG Kar) সূত্রের খবর, বিষয়টি খতিয়ে দেখে এর কিছু দিন পরেই অভীককে (Avik Dey) সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্য দফতর। কী কী অনিয়মের কথা তুলে ধরা হয়েছে ডিনের লেখা চিঠিতে? ২০২৪-এর ২০ ফেব্রুয়ারি জেনারেল সার্জারির পিজিটি হিসেবে অভীক কাজে যোগ দিলেও তিনি স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের নাম নথিভুক্ত করার নিয়মটি মানেননি। ইতিমধ্যে ছ’মাস পেরিয়ে গেলেও থিসিসের সিনপসিস জমা দেননি অভীক। এমনকী, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)-এর নিয়ম মেনে আধার যুক্ত বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্স সিস্টেমেও নিজেকে রেজিস্টার করাননি তিনি। ফলে তাঁর হাজিরা এত দিন পরেও শূন্য। ডিন অফিস থেকে পিজিটি-দের সচিত্র পরিচয়পত্রও তোলেননি। এতগুলি অনিয়মের সাক্ষী, এর আগে পিজি কর্তৃপক্ষ কখনও হননি বলেও চিঠিতে দাবি করেছেন ডিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: ত্রিদেবের তেজ থেকে উদ্ভব হল অষ্টাদশভূজা এক নারীমূর্তির, ইনিই মাতা কাত্যায়নী

    Durga Puja 2024: ত্রিদেবের তেজ থেকে উদ্ভব হল অষ্টাদশভূজা এক নারীমূর্তির, ইনিই মাতা কাত্যায়নী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমালয়ের কোলে ঘন অরণ্য ঘেরা এক ঋষির আশ্রম। কাত্য গোত্রধারী ওই ঋষির নাম কাত্যায়ন। দীর্ঘদিন তিনি মাতা অম্বিকাকে (Durga Puja 2024) নিজের কন্যা রূপে পাওয়ার জন্য তপস্যায় রত ছিলেন। পুরাণে কথিত আছে, দেবী তাঁর এই তপস্যায় প্রসন্ন হয়েছিলেন এবং তাঁকে এরূপ বর দিয়েছিলেন যে, যখন দেবতাদের প্রয়োজন হবে, তখন তিনি তাঁর কন্যা রূপে অবতীর্ণ হবেন। বামন পুরাণ অনুযায়ী, মহিষাসুরের কাছে স্বর্গরাজ্য হারিয়ে বিতাড়িত দেবতারা শরণাপন্ন হয়েছিলেন ত্রিদেব অর্থাৎ ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের। মহর্ষি কাত্যায়নের আশ্রমে এই ত্রিদেবের তেজ থেকে উদ্ভব হয় অষ্টাদশ ভূজা এক নারীমূর্তির, ইনিই মাতা কাত্যায়নী। নবরাত্রির মহাষষ্ঠীর দিন আরাধিতা হন দেবী কাত্যায়নী। মহর্ষি কাত্যায়নের আশ্রমে সমস্ত দেবগণ নিজেদের অস্ত্র দ্বারা সাজাতে শুরু করলেন মাতা কাত্যায়ানীকে। শিব দিলেন তাঁর ত্রিশূল, ভগবান বিষ্ণু প্রদান করলেন তাঁর সুদর্শন চক্র, অগ্নি দিলেন শক্তি, বায়ু দিলেন ধনুক, সূর্য দিলেন তীরভরা তূণীর, ইন্দ্র দিলেন বজ্র, কুবের দিলেন গদা, ব্রহ্মা দিলেন অক্ষমালা ও কমণ্ডলু, কাল দিলেন খড়্গ ও ঢাল এবং বিশ্বকর্মা দিলেন কুঠার ও অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র। এইভাবে সমস্ত দেবতা তাঁদের অস্ত্র তুলে দিলেন দেবীর হাতে মহিষাসুর বধের নিমিত্তে।

    মহিষাসুরের সঙ্গে দেবীর যুদ্ধ (Durga Puja 2024)

    পুরাণে কথিত আছে, এরপর দেবী (Durga Puja 2024) গেলেন মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করতে। মহিষাসুরের দু’জন চর দেবীকে দেখে মহিষাসুরের নিকটে গিয়ে তাঁর রূপ বর্ণনা করলেন। দেবীর রূপে মুগ্ধ মহিষাসুর দেবীকে লাভ করতে চাইলেন। মাতা কাত্যায়নী তখন শর্ত দিলেন যে, তাঁকে লাভ করার পূর্বে যুদ্ধে পরাস্ত করতে হবে। শুরু হল মহিষাসুরের সঙ্গে মাতা কাত্যায়নীর এক প্রবল যুদ্ধ। মাতা কাত্যায়নী ছিলেন তাঁর বাহন সিংহের ওপর সওয়ার, অন্যদিকে মহিষাসুর ছিলেন মহিষের রূপে। পুরাণে আরও উল্লেখ রয়েছে, যুদ্ধ চলাকালীন মাতা কাত্যায়নী (Mata Katyayan) পা দিয়ে তীব্র আঘাত করেন ওই ছদ্মবেশী মহিষকে। আঘাতে মহিষাসুর ধরাতলে পতিত হলে, মাতা কাত্যায়নী তাকে ত্রিশূল দ্বারা বধ করেন। এভাবেই মাতা কাত্যায়নী হয়ে ওঠেন ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। যে মহিষাসুরমর্দিনীকে কেন্দ্র করেই প্রতি বছর সম্পন্ন হয় দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024)। যে মহিষাসুরমর্দিনীর স্তব প্রত্যেক মহালয়ার ভোরবেলায় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে আমরা শুনতে পাই। পুরাণ অনুযায়ী, দেবতারা যুদ্ধ শেষে মাতার কাত্যায়নীর উদ্দেশে পুষ্পবৃষ্টি করেন। রম্ভাপুত্র মহিষাসুরের অত্যাচারে যে দেবতারা স্বর্গ থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন, তাঁরাই আবার স্বর্গরাজ্যের অধিকার ফিরে পেলেন মাতা কাত্যায়নীর কৃপায়।

    শাক্তরা মনে করেন, মাতা কাত্যায়নী যোদ্ধাদেবী, ঠিক মাতা চণ্ডী বা ভদ্রকালীর মতোই

    বামন পুরাণে উল্লেখিত এই আখ্যান বরাহ পুরাণ এবং দেবী ভাগবত পুরাণেও একইভাবে উল্লেখ করা আছে। অন্যদিকে কালিকা পুরাণ অনুযায়ী, দেবী কাত্যায়নী তিনবার মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। আদি সৃষ্টিকল্পে অষ্টাদশভূজা উগ্রচণ্ডী রূপে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। দ্বিতীয় সৃষ্টিকল্পে ষোড়শভুজা ভদ্রকালী রূপে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। আবার তৃতীয় সৃষ্টিকল্পে দশভূজা দেবী দুর্গা রূপে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। মহিষাসুর তৃতীয়বার বধ হওয়ার পর দেবীর আশীর্বাদে তিনি চিরতরে দেবীর পদতলে স্থান পান। বেদের অন্য একটি আখ্যান অনুযায়ী, কাত্যায়নী ও মৈত্রেয়ী ছিলেন শতপথ ব্রাহ্মণের রচয়িতা ঋষি যাজ্ঞবল্ক্যের দুই স্ত্রীর নাম। শাক্তরা মনে করেন, মাতা কাত্যায়নী (Mata Katyayan) যোদ্ধাদেবী ঠিক মাতা চণ্ডী বা ভদ্রকালীর মতোই। মহর্ষি পতঞ্জলি রচিত ‘মহাভাষ্য’ গ্রন্থে মাতা কাত্যায়নীকে সৃষ্টির আদি শক্তিরূপে বর্ণনা করা হয়েছে।

    দেবী কাত্যায়নীর প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় তৈত্তিরীয় আরণ্যক গ্রন্থে

    দেবী কাত্যায়নীর প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় তৈত্তিরীয় আরণ্যক গ্রন্থে। মার্কন্ডেয় রচিত ‘দেবী মাহাত্ম্যে’ মাতা কাত্যায়নীর দিব্যলীলার বর্ণনা রয়েছে, এর সাথে সাথে দেবী ভাগবত পুরাণেও মাতা কাত্যায়নীর লীলা বর্ণিত হয়েছে। আবার বৈষ্ণবদের ভাগবত পুরাণেও মাতা কাত্যায়নীর পূজার উল্লেখ পাওয়া যায়। ভাগবত পুরাণে এটি কাত্যায়নী ব্রত নামেই পরিচিত। ব্রজের গোপীরা শ্রী কৃষ্ণকে পতি রুপে পেতে এই ব্রত উদযাপন করত। মাঘ মাস জুড়ে এই ব্রত চলত। যমুনা নদীর তীরে মাতা কাত্যায়নীর মাটির মূর্তি তৈরী করে দীপ, ফল, চন্দন, ধূপ দ্বারা মাতার আরাধনা করার পরম্পরা ছিল উত্তর ভারতে। আবার একই ভাবে মকর সংক্রান্তিতে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে পোঙ্গল উৎসবে মাতা কাত্যায়নীর পুজো চালু রয়েছে।

    রোগ-ভয়-ব্যাধি সমস্ত কিছু মাতা হরণ করে নেন বলেই ভক্তদের ধারণা

    মাতা কাত্যায়নীর (Mata Katyayani) স্বরূপ শৌর্য, তেজ এবং পরাক্রমের প্রতীক বলেই বিবেচিত হয়। পুরাকালে মাতা কাত্যায়নী যেমন মহিষাসুরকে বধ করে আসুরিক শক্তি তথা অশুভ শক্তির বিনাশ করেছিলেন, ঠিক একইভাবে ভক্তদের জীবন থেকে সমস্ত অশুভ শক্তিকে তিনি বিনষ্ট করেন এবং আসুরিক যা কিছু প্রবৃত্তি সেটাও তিনি ধ্বংস করেন বলেই বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের। মাতার এই রূপের উপাসনা করলে সমস্ত অশুভ প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত করা যায়, জীবনের সমস্ত বাধাবিঘ্ন দূর হয়, রোগ, ভয়, ব্যাধি সমস্ত কিছু মাতা হরণ করে নেন বলেই ভক্তদের ধারণা। মাতা কাত্যায়নীর ভক্তরা নৈবেদ্যতে মায়েরা (Mata Katyayani) উদ্দেশ্যে মধু নিবেদন করেন। এতে মা সন্তুষ্ট হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mpox: পুজোর আগে ভারতে হানা মাঙ্কিপক্সের ভয়ানক ভ্যারিয়েন্টের! কেন সতর্ক করেছিল ‘হু’?

    Mpox: পুজোর আগে ভারতে হানা মাঙ্কিপক্সের ভয়ানক ভ্যারিয়েন্টের! কেন সতর্ক করেছিল ‘হু’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই পুজো। তার ঠিক আগেই মাঙ্কিপক্সের (Mpox) নতুন উপরূপ ‘ক্লেড ১বি’-এর সংক্রমণের হদিশ মিলল ভারতেও। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, কেরলের মলপ্পুরমে এক যুবকের শরীরে মাঙ্কিপক্সের ক্লেড ১বি-র সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এমপক্সের নতুন উপরূপ ক্লেড ১ প্রসঙ্গে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।

    ভারতে প্রথম আক্রান্ত

    সরকারি সূত্রে খবর, কেরলের মলপ্পুরমে এক রোগীর শরীরে এমপক্সের (Mpox) ক্লেড ১বি-র সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এমপক্সের এই উপরূপে প্রথম কেউ আক্রান্ত হলেন ভারতে। বছর আটত্রিশের ওই রোগী সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে ফিরেছিলেন। দেশে ফেরার পর থেকেই তাঁর বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। গত মাসেই দেশে ফেরার পর থেকে জ্বরে ভুগছিলেন ওই রোগী। ত্বকে র‌্যাশ বেরিয়েছিল। চিকেনপক্সে যেমন হয়, অনেকটা সেই রকমই। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে যান তিনি। সেই সময়ে উপসর্গ দেখে সন্দেহ হয় চিকিৎসকের। নমুনা পরীক্ষা করা হলে শরীরে এমপক্সের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর আগে দিল্লিতে এক রোগীর শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। তবে সেটি ছিল ক্লেড ২ উপরূপের সংক্রমণ।

    আরও পড়ুনঃ মধ্য চল্লিশেই স্পষ্ট লক্ষণ? অ্যালজাইমার্স রোগের জানান দেবে কোন উপসর্গ?

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগ

    মাঙ্কিপক্সের (Mpox) নতুন উপরূপ বিশ্বের একাধিক দেশে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। যেহেতু সেটি দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়ায়। অফ্রিকায় ছড়ানোর পর গত অগাস্ট মাসে এমপক্স নিয়ে গোটা বিশ্বে সতর্কতা জারি করে হু (WHO)। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মাঙ্কিপক্স নিয়ে সতর্কতা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। উল্লেখ্য, মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিশ্বের একাধিক প্রান্তে উদ্বেগের মধ্যেই সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে উৎসবের মরশুমে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে কেন্দ্র। আশির দশকে প্রথম মাঙ্কি পক্সের খোঁজ মিলেছিল। তার পর থেকে মূলত পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার দেশগুলিতেই এই রোগ সীমাবদ্ধ ছিল। কারণ, মাঙ্কি পক্স পশুবাহিত রোগ। আর যে ধরনের পশুর শরীর থেকে এ রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা, তাদের বাস মূলত গ্রীষ্মপ্রধান এলাকার বৃষ্টি বনাঞ্চলে (রেন ফরেস্ট)। চিকেন পক্সের মতো মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে কেবল গায়ে র‌্যাশ কিংবা ফুসকুড়ি বেরোয়। কিন্তু মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে সারা গায়ের পাশাপাশি, লসিকাবাহেও ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। এই ভাইরাসের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share