Tag: Madhyom

Madhyom

  • Mpox: পুজোর আগে ভারতে হানা মাঙ্কিপক্সের ভয়ানক ভ্যারিয়েন্টের! কেন সতর্ক করেছিল ‘হু’?

    Mpox: পুজোর আগে ভারতে হানা মাঙ্কিপক্সের ভয়ানক ভ্যারিয়েন্টের! কেন সতর্ক করেছিল ‘হু’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই পুজো। তার ঠিক আগেই মাঙ্কিপক্সের (Mpox) নতুন উপরূপ ‘ক্লেড ১বি’-এর সংক্রমণের হদিশ মিলল ভারতেও। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, কেরলের মলপ্পুরমে এক যুবকের শরীরে মাঙ্কিপক্সের ক্লেড ১বি-র সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এমপক্সের নতুন উপরূপ ক্লেড ১ প্রসঙ্গে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।

    ভারতে প্রথম আক্রান্ত

    সরকারি সূত্রে খবর, কেরলের মলপ্পুরমে এক রোগীর শরীরে এমপক্সের (Mpox) ক্লেড ১বি-র সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এমপক্সের এই উপরূপে প্রথম কেউ আক্রান্ত হলেন ভারতে। বছর আটত্রিশের ওই রোগী সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে ফিরেছিলেন। দেশে ফেরার পর থেকেই তাঁর বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। গত মাসেই দেশে ফেরার পর থেকে জ্বরে ভুগছিলেন ওই রোগী। ত্বকে র‌্যাশ বেরিয়েছিল। চিকেনপক্সে যেমন হয়, অনেকটা সেই রকমই। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে যান তিনি। সেই সময়ে উপসর্গ দেখে সন্দেহ হয় চিকিৎসকের। নমুনা পরীক্ষা করা হলে শরীরে এমপক্সের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর আগে দিল্লিতে এক রোগীর শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। তবে সেটি ছিল ক্লেড ২ উপরূপের সংক্রমণ।

    আরও পড়ুনঃ মধ্য চল্লিশেই স্পষ্ট লক্ষণ? অ্যালজাইমার্স রোগের জানান দেবে কোন উপসর্গ?

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগ

    মাঙ্কিপক্সের (Mpox) নতুন উপরূপ বিশ্বের একাধিক দেশে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। যেহেতু সেটি দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়ায়। অফ্রিকায় ছড়ানোর পর গত অগাস্ট মাসে এমপক্স নিয়ে গোটা বিশ্বে সতর্কতা জারি করে হু (WHO)। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মাঙ্কিপক্স নিয়ে সতর্কতা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। উল্লেখ্য, মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিশ্বের একাধিক প্রান্তে উদ্বেগের মধ্যেই সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে উৎসবের মরশুমে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে কেন্দ্র। আশির দশকে প্রথম মাঙ্কি পক্সের খোঁজ মিলেছিল। তার পর থেকে মূলত পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার দেশগুলিতেই এই রোগ সীমাবদ্ধ ছিল। কারণ, মাঙ্কি পক্স পশুবাহিত রোগ। আর যে ধরনের পশুর শরীর থেকে এ রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা, তাদের বাস মূলত গ্রীষ্মপ্রধান এলাকার বৃষ্টি বনাঞ্চলে (রেন ফরেস্ট)। চিকেন পক্সের মতো মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে কেবল গায়ে র‌্যাশ কিংবা ফুসকুড়ি বেরোয়। কিন্তু মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে সারা গায়ের পাশাপাশি, লসিকাবাহেও ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। এই ভাইরাসের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: নবরাত্রির সপ্তম দিনে আরাধিত হন মাতা কালরাত্রি, তিনি ভীষণ দর্শনা, এলোকেশী

    Durga Puja 2024: নবরাত্রির সপ্তম দিনে আরাধিত হন মাতা কালরাত্রি, তিনি ভীষণ দর্শনা, এলোকেশী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবরাত্রির সপ্তম দিনে আরাধিত হন মাতা কালরাত্রি (Mata Kalratri)। বাংলাতে প্রচলিত দুর্গাপুজোর মহাসপ্তমীর (Durga Puja 2024) দেবী তিনি। মাতা কালরাত্রি ভীষণ দর্শনা, এলোকেশী। তাঁর চারটি হাত। ওপরের ডান হাতে আশীর্বাদ, নীচের ডান হাতে অভয় মুদ্রা। বাঁ দিকে ওপরের হাতে খড়্গ এবং নীচের বাম হাতে রয়েছে লোহার কাঁটা। দেবী ত্রিনয়নী এবং তাঁর চোখগুলি গোলাকার। দেবীর গলায় রয়েছে বজ্রের মালা। এই দেবীর বাহন গাধা এবং তাঁর নিশ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে ভয়ঙ্কর অগ্নিশিখা নির্গত হয় বলে কথিত আছে। দেবী কালরাত্রি সম্পর্কে অজস্র পৌরাণিক আখ্যান রয়েছে। তিনি চণ্ড-মুণ্ড নামের দুই অসুরকে বধ করেছিলেন বলে জানা যায়। তাঁর অপর নাম তাই চামুণ্ডা। দেবী মাহাত্ম্যতে উল্লেখ রয়েছে, শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামক দুই দানব ছিল। তারা প্রজাপতি ব্রহ্মার কঠোর তপস্যা করল। খুশি হয়ে প্রজাপতি ব্রহ্মা বর দিতে আবির্ভূত হলেন। দুই দানব বর চাইল যে কোনও পুরুষ যেন তাদের বধ করতে না পারেন। ব্রহ্মা তাঁদের কাঙ্ক্ষিত বর প্রদান করলেন। দুই অসুর চরম অত্যাচার শুরু করল দেবতাদের ওপর। এই দুজনের সঙ্গে যোগ দিলেন চণ্ড-মুণ্ড নামের আরও দুই অসুর। তাঁদের সঙ্গে এল রক্তবীজ। যাঁর প্রতিটি রক্তবিন্দু মাটিতে পড়লে দ্বিতীয় রক্তবীজ তৈরি হবে। এমনটাই বরদান ছিল তাঁর ওপর প্রজাপতি ব্রহ্মার। এই সমস্ত অসুরদের অত্যাচারে দেবতারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেন। অসুরদের ওপর ব্রহ্মার বরদান সম্পর্কেও দেবতারা অবগত ছিলেন। মুনি-ঋষিদের যজ্ঞ পণ্ড করা, ঋষি কন্যাদের নানা ভাবে লাঞ্ছিত করা এসব কাজ তো চলছিলই। অসুরদের এমন আক্রমণে দেবতারা অবশেষে পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হলেন। নিজেদের স্বর্গরাজ্য থেকে তাঁরা বিতাড়িত হলেন।

    দেবতারা শুরু করলেন দেবীর স্তব

    দেবতারা হিমালয়ের কোলে শুরু করলেন দেবীর (Mata Kalratri) স্তব। দেবী মাহাত্ম্যতে এই স্তব সম্পূর্ণ ভাবে উল্লেখ রয়েছে‌, কিছুটা অংশ সংযোজিত করা  হল।

    যা দেবী সর্বভূতেষু বিষ্ণুমাযেতি শব্দিতা 
    নমস্তস্যৈ
    নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ

    যা দেবী সর্বভূতেষু চেতনেত্যভিধীযতে
    নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ

    যা দেবী সর্বভূতেষু বুদ্ধিরূপেণ সংস্থিতা
    নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ

    যা দেবী সর্বভূতেষু নিদ্রারূপেণ সংস্থিতা 
    নমস্তস্যৈনমস্তস্যৈ  নমস্তস্যৈ নমো নমঃ

    যা দেবী সর্বভূতেষু ক্ষুধারূপেণ সংস্থিতা .
    নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ 

    দেবী পার্বতীর কালরাত্রি হয়ে ওঠার কাহিনি

    পুরাণে কথিত রয়েছে, এমন সময় সেখান দিয়ে শিবজায়া দেবী পার্বতী গঙ্গাস্নানের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। দেবী তাদের স্তব শুনে বললেন, হে দেববৃন্দ, আপনারা এখানে কার স্তব করছেন? সেই সময় ভগবতী পার্বতীর শরীর থেকে একই রকম দেখতে আর এক জন দেবী বেরিয়ে এলেন। আবির্ভূত হয়ে নব দেবী (Durga Puja 2024) বললেন, দেবতারা আমার স্তব করছেন। এই দেবীই আদ্যাশক্তি জগত মাতা অম্বিকা মহামায়া। তিনি দেবী পার্বতীর কোষ থেকে সৃষ্টি হয়েছেন বলে তার এক নাম কৌশিকী। কথিত আছে, এরপর নাকি দেবী পার্বতী কৃষ্ণবর্ণা হয়ে যান। যাঁকে আমরা কালরাত্রি বলি। ইনি মাতা কালিকা নামেও পরিচিত। পুরাণে আরও উল্লেখিত আছে, দেবী একদিন হিমালয়ে সিংহপৃষ্ঠে বসে মধু পান করছিলেন। এমন সময় চণ্ড আর মুণ্ড নামক দুই দানব দেবীকে দেখতে পেলেন। চণ্ড-মুণ্ড একথা গিয়ে শুম্ভ-নিশুম্ভকে জানালেন। শুম্ভ-নিশুম্ভ সেই দেবীর রূপ বর্ণনা শুনে দেবীকে লাভ করার জন্য আকুল হলেন। সুগ্রীব নামক এক অসুর দেবীর কাছে গেলেন শুম্ভ-নিশুম্ভের দূত হিসেবে। সুগ্রীব হিমালয়ে সেই পর্বত চূড়ায় গিয়ে দেবীকে শুম্ভ-নিশুম্ভের পরাক্রম, ঐশ্বর্যের কথা বলে বিবাহের প্রস্তাব দিলেন। দেবী একথা শুনে হেসে বললেন, আমার প্রতিজ্ঞাটি শোনো। যিনি আমাকে যুদ্ধে জয় করবেন, তিনিই আমার স্বামী হবেন। এরপর শুম্ভ-নিশুম্ভের সেনাপতি ধুম্রলোচন ষাট হাজার সেনা নিয়ে গেলেন দেবীকে পরাজিত করতে। দেবীর তেজে ধুম্রলোচন ভস্মীভূত হলেন। দেবীর সিংহবাহিনী অসুর সেনাকে ধ্বংস করে দিল। শুম্ভ-নিশুম্ভ এরপর চণ্ড-মুণ্ডকে পাঠালেন। চণ্ড-মুণ্ড বহু সেনা, অশ্ব, রথ, হাতি নিয়ে যুদ্ধে এলেন,।তাঁরা হিমালয়ের চূড়ায় হাস্যরত দেবী অম্বিকাকে দেখতে পেলেন। এরপর দেবী চণ্ডিকা তাঁদের দেখে ভীষণ ক্রুদ্ধা হলেন। ক্রোধে তাঁর মুখমণ্ডল কৃষ্ণবর্ণা হলেন। তখন দেবীর কপাল থেকে এক ভীষণ দর্শনা দেবী প্রকট হলেন। সেই দেবী কালিকা বা কালরাত্রি। অতি ভীষণা, ভয়ঙ্করী, কোটর গতা, আরক্ত চক্ষু বিশিষ্টা। সেই ভয়ঙ্করা দেবী ভীষণ হুঙ্কার দিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করলেন। কতগুলি অসুরকে দেবী তাঁর চরণ ভারে পিষে বধ করলেন। যুদ্ধক্ষেত্রে এই ভাবে দেবী অসুরদের ধ্বংস করে ফেললেন। এরপর দেবী তাঁর খড়গ তুলে ‘হং’ শব্দ করে চণ্ডের দিকে ধেয়ে গেলেন। দেবী চণ্ডের চুলের মুঠি ধরে খড়গ দ্বারা এক কোপে চণ্ডের শিরোচ্ছেদ করে ফেললেন। চণ্ড অসুর বধ হল। চণ্ড নিহত হয়েছে দেখে ক্রোধে মুণ্ড দেবীর দিকে ধেয়ে গেলেন। দেবী তাঁর রক্তাক্ত খড়গ দিয়ে আর এক কোপে মুণ্ডের শিরোচ্ছেদ করলেন। চণ্ড-মুণ্ড বধ হতে দেখেই দেবতারা আনন্দে দেবীর জয়ধ্বনি দিতে থাকলেন‌। দেবী মাহাত্ম্য (Durga Puja 2024) অনুযায়ী, চন্ড আর মুণ্ডের ছিন্ন মস্তক নিয়ে দেবী, মহামায়ার কাছে এসে বিকট  হেসে বললেন, “এই যুদ্ধরূপ যজ্ঞে আমি আপনাকে চণ্ড ও মুণ্ড নামের দুই মহাপশুর মস্তক উপহার দিলাম। এখন আপনি নিজেই শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করবেন।” দেবী অম্বিকা তখন বললেন, “হে দেবী, যেহেতু তুমি চণ্ড ও মুণ্ডের বধ করে মাথা দুটি আমার নিকট নিয়ে এসেছ। সেজন্য আজ থেকে তুমি জগতে ‘চামুণ্ডা’ নামে বিখ্যাত হবে।” মাতা কালরাত্রি শুভফলের দেবী (Durga Puja 2024) বলেও অনেকে মনে করেন। তাই মাতার আরেক নাম হল শুভঙ্করী। মাতা কালরাত্রির আশীর্বাদে জীবনের সমস্ত কুপ্রভাব বিনষ্ট হয় বলে ভক্তদের ধারণা। মাতার নৈবেদ্যতে গুড় নিবেদন করলে তিনি প্রসন্না হন বলে ভক্তদের বিশ্বাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রের পদক্ষেপ তুলে ধরে রাজ্যকে পরামর্শ রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রের পদক্ষেপ তুলে ধরে রাজ্যকে পরামর্শ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টির পাশাপাশি একাধিক জলাধার থেকে জলছাড়ার ফলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যার (Flood) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। হাজার হাজার বিঘা চাষের জমি জলের তলায়। কয়েক হাজার মানুষ ঘরছাড়া। ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এই আবহে সাধারণ মানুষের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার যে পরিকল্পনা ও অর্থ বরাদ্দ করেছে তা বাস্তবায়িত করার পরামর্শ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা ডিভিসি অপরিকল্পিতভাবে জল ছাড়ায় দক্ষিণবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে ২০ সেপ্টেম্বর চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দফতর থেকে পশ্চিমবঙ্গ-সহ কয়েকটি রাজ্যে বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রের বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে বার্তা দেওয়া হল বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    রাজভবনের তরফে কী বার্তা দেওয়া হল? (CV Ananda Bose)

    সোমবার সন্ধ্যায় রাজভবনের (CV Ananda Bose) তরফে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। রাজভবনের তরফে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) গুরুতর বিপর্যয়ের জন্য সবরকম সহায়তা প্রদান করে। এই সংক্রান্ত যে তহবিল রয়েছে তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বন্যা মোকাবিলা ব্যবস্থাকে জোরদার করতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তার উল্লেখও করা হয়েছে রাজভবনের পোস্টে। সেখানে বলা হয়েছে, “ভারত সরকার জীবনের এবং সম্পত্তির ওপর বন্যার প্রভাব কমানোর এবং সুরক্ষার জন্য বেশ কয়েকটি বন্যা ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিয়েছে। রাজ্য সরকারগুলির জন্য বন্যার আগে, বন্যার সময় এবং বন্যার পরে গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। গঙ্গা এবং তার উপনদীগুলির পাশ দিয়ে শক্তিশালী বাঁধ নির্মাণ করা আবশ্যক। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে নদীর জল উপচে পড়া প্রতিরোধ করার জন্য এই ব্যবস্থা প্রয়োজনীয়। হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলাগুলিতে নদীর বাঁধ শক্তিশালী করা উচিত, যাতে ক্ষতি আটকানো যায়। বন্যার ঝুঁকি কমাতে এবং জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং দামোদরের মতো নদীগুলির চ্যানেলাইজেশন করাও উচিত।”

    আরও পড়ুন: ‘নির্যাতিতার আত্মীয় না হয়েও শ্মশানের নথিতে সই’, বিস্ফোরক পোস্ট শুভেন্দুর

    আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ জানানো হয়েছে

    জাতীয় ও রাজ্য দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা তহবিল কর্মসূচির কথা জানিয়ে লেখা (CV Ananda Bose) হয়েছে, “১৫তম অর্থ কমিশন জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা তহবিল (এনডিআরএমএফ) এবং রাজ্য দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা তহবিল (এসডিআরএমএফ) তৈরি করার সুপারিশ করেছে। ২০২১-২৬-এর জন্য এসডিআরএমএফ-এ ১ লক্ষ ৬০ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজ্য দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া তহবিলের জন্য ৮০ শতাংশ এবং রাজ্য দুর্যোগ প্রশমন তহবিলের জন্য ৩২ হাজার ৩১ কোটি টাকা (২০ শতাংশ) বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২১-২৬-এ এনডিআরএমএফ-এর বরাদ্দ ৬৮ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলের জন্য ৫৪ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা (৮০ শতাংশ) বরাদ্দ করা হয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন তহবিলের জন্য ১৩ হাজার ৬৯৩ কোটি টাকা (২০ শতাংশ) বরাদ্দ করা হয়েছে।” বিশেষ করে মালদার মতো জেলাগুলিতে গঙ্গার ভাঙন-প্রবণ তীরগুলির জন্য প্রাসঙ্গিক, তীব্র ভাঙন দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ হাজার কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel-Lebanon Conflict: হিজবুল্লার ১১০০ ঠিকানায় রকেট হামলা ইজরায়েলের, লেবাননে নিহত প্রায় ৫০০

    Israel-Lebanon Conflict: হিজবুল্লার ১১০০ ঠিকানায় রকেট হামলা ইজরায়েলের, লেবাননে নিহত প্রায় ৫০০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধক্ষেত্র দক্ষিণ লেবানন! পেজার, ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণের পর এবার সরাসরি রকেট বর্ষণ। হিজবুল্লার ১১০০টি ঠিকানা লক্ষ্য করে হামলা চালাল ইজরায়েল (Israel-Lebanon Conflict)। তার আগে ইজরায়েলের তরফে লেবাননের বাসিন্দাদের ফোনে সতর্কবার্তা পাঠিয়ে দ্রুত সরে যেতে বলা হয়। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Benjamin Netanyahu) রেকর্ড করা ভয়েস-মেসেজ পাঠানো হয় প্রায় ৮০ হাজারের বেশি ফোনে। তারপরই শুরু হয় হামলা। সোমবারের এই ভয়াবহ আক্রমণে অন্তত প্রায় ৫০০ জন নিহত বলে জানা গিয়েছে। আহতের সংখ্যা প্রায় হাজার দুয়েক।

    ছিন্নভিন্ন লেবানন

    সোমবার থেকে লেবাননের (Israel-Lebanon Conflict) উপর রকেট বর্ষণ শুরু করেছে ইজরায়েল। ইজরায়েল-লেবানন সীমান্ত এলাকা ইতিমধ্যেই প্রায় খালি হয়ে গিয়েছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। দুই দেশেরই সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীরা প্রাণ হাতে করে বাঁচছেন সন্তান-পরিবার নিয়ে, না জানি কখন বাড়ির ছাদে আছড়ে পড়ে বোমা। হাজার হাজার মানুষ দক্ষিণ লেবানন ছেড়ে বেইরুটের দিকে পালাচ্ছেন। ঘরছাড়া মানুষকে ঠাঁই দিতে স্থানীয় স্কুলগুলিতে ত্রাণ শিবির খোলা হচ্ছে। ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহু লেবনানের বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেছেন হিজবুল্লারা তাঁদের ব্যবহার করছে। তাঁরা এটা না বুঝলে আরও মৃত্যু হবে। এদিন প্রায় ৬০০ রকেট হামলা চালায় ইজরায়েল। শয়ে শয়ে রকেট দুরমুশ করে দিয়ে গিয়েছে লেবাননের একাধিক বাড়ি। শিশু থেকে বৃদ্ধ-মহিলা অসংখ্য সাধারণ মানুষ মারা গিয়েছেন।

    কেন হামলা

    লেবাননের উপর ইজরায়েলের (Israel-Lebanon Conflict) এই হামলার কারণ গাজা। প্রায় এক বছর ধরে ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের হামাসের মধ্যে যে যুদ্ধ চলছে, তাতে গোড়া থেকেই প্যালেস্তাইন এবং হামাসকে সমর্থন করছে লেবানন। এর ফলে লেবাননের উপর খেপেছে ইজরায়েল। ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, লেবাননে আশ্রয় নিয়েছে হিজবুল্লা জঙ্গিরা। প্রায় ৮০০ হিজবুল্লা জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে লেবাননে। তাঁরা লেবাননের বাসিন্দাদের সাহায্য নিয়ে সেখানে অস্ত্র মজুত করছে। এক কথায় লেবাননের সাধারণ মানুষকে ঢাল হিসেবে ব্যববার করেছে হিজবুল্লা জঙ্গিরা।

    পাল্টা হামলা হিজবুল্লার

    হিজবুল্লার (Israel-Lebanon Conflict) তরফেও পাল্টা রকেট ফেলা হয়েছে ইজরায়েলের পাঁচটি জায়গায়। জানা গেছে, লেবানন থেকে রকেট উড়ে আসতে দেখেই সাইরেন বেজে ওঠে উপকূলবর্তী হাইফাতে। একদিন আগেও সেখানে হামলা হয়। ইজরায়েলেকে জবাব দিতে প্রায় ৩০০টি রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লারা। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েল এবং লেবানন, দু’পক্ষকেই যুদ্ধবিরতির আবেদন জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ইজরায়েল লেবাননকে শ্মশানে পরিণত করতে চাইছে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) অবশ্য জানিয়েছেন, নিরাপত্তার স্বার্থেই হিজবুল্লাকে নিকেশ করতে উঠেপড়ে লেগেছে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: মানস সরোবরে স্নান করার পরেই পার্বতী হয়ে উঠেছিলেন গৌরবর্ণা, তাই তিনি মহাগৌরী

    Durga Puja 2024: মানস সরোবরে স্নান করার পরেই পার্বতী হয়ে উঠেছিলেন গৌরবর্ণা, তাই তিনি মহাগৌরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে নবরাত্রি, চলছে বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024)। নবরাত্রির অষ্টম দিনে পূজিতা হন মাতা মহাগৌরী। দেবী মহাগৌরী চতুর্ভূজা। উপরের ডান হাতে রয়েছে ত্রিশূল এবং উপরের বাম হাতে একটি ডমরু। নীচের হাত দুটি অভয়া এবং বরামুদ্রার ভঙ্গিমায় থাকে। মাতা মহাগৌরীর এই রূপে দেবীর বাহন হল একটি ষাঁড়। দুর্গার এই রূপটিকে তাঁর গাত্রবর্ণের কারণে মহাগৌরী বলা হয়। পৌরাণিক মত অনুযায়ী, দেবী শৈলপুত্রী (নবরাত্রির প্রথম দিনে এই মাতা পূজিতা হন) ১৬ বছর বয়সে অসামান্য সুন্দরী এবং গৌরবর্ণা  ছিলেন। এর ফলে তিনি দেবী মহাগৌরী (Mahagauri) হিসেবে পরিচিত হন। তাঁকে শঙ্খ, চাঁদ এবং সাদা ফুলের সাথে তুলনা করা হয়েছে। স্নিগ্ধতা, শুভ্রতার প্রতীক মানা হয় তাঁকে। আরেকটি পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, কালী রূপে মাতা পার্বতীর গাত্রবর্ণ সম্পূর্ণ কৃষ্ণ বর্ণে পরিবর্তিত হয়েছিল। নিজের পূর্ববর্তী বর্ণ ফিরে পেতে মাতা পার্বতী ব্রহ্মার তপস্যায় ব্রতী হয়েছিলেন‌। একাকী গভীর অরণ্য মাঝে, রোদ, ঝড়, বৃষ্টি, হি‌ংস্র জন্তুদের আক্রমণ-এসমস্ত কিছু উপেক্ষা করেই মাতা পার্বতী তপস্যা করছিলেন। অবশেষে ব্রহ্মা প্রসন্ন হয়ে আবির্ভূত হন এবং মাতা পার্বতীকে বরদান করেন যে মানস সরোবরে স্নান করলেই তিনি পূর্বের বর্ণ ফিরে পাবেন। ব্রহ্মার কথামতো মানস সরোবরে স্নান করার পরেই মাতা পার্বতী তাঁর নিজের পূর্বের গাত্রবর্ণ ফিরে পান, অর্থাৎ পুনরায় গৌরবর্ণা হয়ে ওঠেন। এই গৌরবর্ণা মাতা পার্বতী তখন মহাগৌরী নামে প্রসিদ্ধ হন। অন্য একটি পুরাণ অনুযায়ী, হিমায়লকন্যা (Mahagauri) মাতা পার্বতী ছিলেন গৌরবর্ণা।

    নম্রতা, শুদ্ধতা, পবিত্রতার প্রতীক রূপে পূজিতা হন দেবী মহাগৌরী

    শিবকে স্বামী রূপে, পতি রূপে পাওয়ার জন্য মহর্ষি নারদের পরামর্শ মতো তিনি গভীর তপস্যা শুরু করেন (Durga Puja 2024)। গভীর অরণ্যে, সমস্ত আরাম, সুখ ত্যাগ করে ব্যাপক কৃচ্ছসাধনের মধ্যে দিয়ে এই তপস্যা চলতে থাকল বছরের পর বছর ধরে। সূর্যের তাপ, শীতের হিমেল হাওয়া, বৃষ্টি এবং ব্যাপক ঝড়ের মধ্যেও তপস্যায় ছেদ পড়ল না। কথিত আছে, এই সময় মাতার সমস্ত অঙ্গ ধূলিকণা, মাটি, গাছের পাতা দিয়ে ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। গৌরবর্ণা মাতার সমস্ত শরীরের উপর একটি কৃষ্ণ বর্ণের আস্তরণ বা ত্বক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে, ভগবান শিব দেবীর তপস্যায় প্রসন্ন হয়ে মাতা পার্বতীর সম্মুখে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং মাতাকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে তাঁকেই (ভগবান শিবকে) মাতা পার্বতী (Durga Puja 2024) স্বামী রূপে, পতি রূপে লাভ করবেন। এরপর গঙ্গার পবিত্র জলরাশির দ্বারা ভগবান শিব, মাতা পার্বতীকে স্নান করিয়েছিলেন। তপস্যারত অবস্থায় মাতার শরীরে যে ময়লার আবরণ তৈরি হয়েছিল, যার জন্য মাতা গৌরবর্ণা থেকে কৃষ্ণবর্ণা হয়ে গিয়েছিলেন। মহাদেব শিব তাঁকে স্নান করানোর পর মাতা পূর্বের মতো পুনরায় গৌরবর্ণা হয়ে ওঠেন। গৌরবর্ণা এই মাতাই মহাগৌরী নামে পরিচিত। যিনি নম্রতা, শুদ্ধতা, পবিত্রতার প্রতীক রূপে পূজিতা হন।

    মহাগৌরীর বন্দনা মন্ত্র

    মাতা মহাগৌরীর বিষয়ে আরও কথিত রয়েছে যে, একদিন দেবী, গৌরী রূপে আট বছরের বালিকা সেজে শিবের সামনে নৃত্য করে তাঁকে আনন্দিত করছিলেন। এরপরে শিব তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে দেবী পার্বতী নিজের রূপ প্রকাশ করেন।
    শ্বেত বৃষ সমারূঢ়া শ্বেতাম্বর ধরা শুচিঃ,
    মহাগৌরী শুভং দধান্মহোদৈ ব প্রমোদ্দা ।

    যা দেবী সর্বভূতেষু মা মহাগৌরী রূপেন সংস্থিতা।
    নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ ॥
    এই বৈদিক মন্ত্রের দ্বারাই মূলত মাতা মহাগৌরীর বন্দনা করা হয়‌ মহাষ্টমীর দিনে। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে, মাতা সমস্ত অশুভ শক্তিকে বিনাশ করেন এবং তাঁর আশীর্বাদে জীবন সম্পূর্ণভাবে সুখময় ও প্রেমময় হয়ে ওঠে। উজ্জ্বল সৌন্দর্যের প্রতীক এই দেবী অষ্টমীতে ভক্তদের দ্বারা আরাধিত হন। তাঁর নৈবেদ্যতে নারকেল রাখার রীতি রয়েছে। বিশ্বাস রয়েছে, মাতার আশীর্বাদ স্বরূপ (Durga Puja 2024) ভক্তদের ভালো বিবাহ হয়।

    সিঁদুর, মেহেন্দি, কাজল, টিপ, চুড়ি, পায়ের আংটি, চিরুনি, আলতা, আয়না, পায়ের পাতা, সুগন্ধি, কানের দুল, নাকের পিন, নেকলেস, লাল চুনরি, মহাভার, চুলের পিন ইত্যাদি দ্বারা মায়ের পুজো সম্পন্ন হয়। সবজির তরকারি এবং হালুয়া দিয়ে মাতা মহাগৌরীকে (Mahagauri)  ভোগ নিবেদন করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের তপস্যায় প্রসন্না হয়েই দেবী প্রকট হয়েছিলেন ‘সিদ্ধিদাত্রী’ রূপে

    Durga Puja 2024: ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের তপস্যায় প্রসন্না হয়েই দেবী প্রকট হয়েছিলেন ‘সিদ্ধিদাত্রী’ রূপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবরাত্রির (Navatari) শেষ দিনে পূজিতা হন মাতা সিদ্ধিদাত্রী (Durga Puja 2024)। এই দেবী মা দুর্গার নবম রূপ বলে পরিগণিত হন। ভক্তদের বিশ্বাস মতে, মাতা সিদ্ধিদাত্রী দেবাদিদেব মহাদেবের শরীরের অংশ। তাই তিনি অর্ধনারীশ্বর (Durga Puja 2024) নামেও প্রসিদ্ধ। ভক্তদের বিশ্বাস, এই মহাবিশ্ব যখন তৈরি হয়নি, চারদিকে যখন ঘন অন্ধকার ছিল, প্রাণের চিহ্ন যখন কোথাও ছিল না, তখন একটি দৈব আলোকরশ্মি নারীমূর্তির আকার ধারণ করতে থাকে। ইনিই দেবী মহামায়া, মহাশক্তি। এই আদি দেবীর থেকেই জন্ম হয়েছিল ত্রি শক্তির-ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর। বিশ্ব বা জগত সংসার পরিচালনার জন্য এই আদিমাতা ত্রিদেবকে দায়িত্ব দেন। এর পরে মহাসাগরের তীরে বসে বহু বছর ধরে মহামায়ার তপস্যায় রত ছিলেন ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর। তপস্যায় প্রসন্না হয়ে দেবী তাঁদের সামনে ‘সিদ্ধিদাত্রী’ রূপে প্রকট হন।

    অসুরবধের আনন্দে নবমী তিথিতে মেতে ওঠেন দেবতারা

    অসুরবধের আনন্দে নবমী তিথিতে কাত্যায়ন ঋষির আশ্রমে দেবীর বন্দনায় মেতে উঠেছিলেন দেবতারা। এখানেই নবমী পুজোর মাহাত্ম্য বা গুরুত্ব বলে পণ্ডিতদের ধারণা রয়েছে। হিন্দু শাস্ত্র মতে, এদিন তাই দেবীর সম্পূর্ণ পুজো সম্পন্ন হয়। এই তিথিতেই বলি, হোম, কুমারী পুজো এবং ষোড়শ উপাচারের বিধান আছে। দেবীকে প্রসন্ন করতে নৈবেদ্যতে তিল নিবেদন করার রীতি দেখা যায়। ভক্তদের বিশ্বাস, মাতা সিদ্ধিদাত্রীর কৃপায় জীবনের সমস্ত কুপ্রভাব বিনষ্ট হয় এবং সফলতা আসে জীবনে‌। মাতা সিদ্ধিদাত্রী ভগবান ব্রহ্মাকে বিশ্বস্রষ্টার স্রষ্টা, ভগবান বিষ্ণুকে সৃষ্টি ও জগত রক্ষার ভূমিকা এবং দেবাদিদেব মহাদেবকে প্রয়োজন হলে জগৎ ধ্বংস করার ভূমিকা প্রদান করেন। ভক্তদের (Durga Puja 2024) আরও বিশ্বাস, দেবী সিদ্ধিদাত্রী পরবর্তীতে সরস্বতী, লক্ষ্মী এবং মাতা পার্বতী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। সিদ্ধিদাত্রী মাতা সর্বদাই ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের সঙ্গে শক্তি হিসেবে আছেন, এটা বোঝাতেই তিনি এই ত্রিদেবের পত্নী রূপে অবস্থান করেন‌। পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী, দেবী সিদ্ধিদাত্রী জগৎ পরিচালনা, পালন এবং সংহারের জন্য অলৌকিক ক্ষমতা প্রদান করেছিলেন এই ত্রিদেবকে। অতিপ্রাকৃত এই আটটি শক্তিকে মার্কণ্ডেয় পুরাণে অষ্টসিদ্ধি বলা হয়েছে যা দেবী সিদ্ধিদাত্রী দেন।

    সিদ্ধি আট প্রকারের- 

    অণিমা: এই শক্তির দ্বারা দেহকে আকারে ছোট করা যায়। 

    মহিমা: এই শক্তির দ্বারা দেহকে অসীম প্রসারিত করা যায়।

    গরিমা: এই শক্তির দ্বারা দেহকে অকল্পনীয় ভারী করা যায়।

    লঘিমা: এই শক্তির দ্বারা দেহ ভারহীন হয়ে যায়।

    প্রাপ্তি: এই শক্তির দ্বারা সর্বভূতে বিরাজ করা যায়।

    প্রাকাম্য: এই শক্তির দ্বারা সমস্ত মনের কামনা পূর্ণ করা যায়।

    ঈশিত্ব : এই শক্তির দ্বারা প্রভুত্ব স্থাপন করা যায়।

    বশিত্ব: এই শক্তির দ্বারা সকলকে পরাধীন রাখা যায়।

    ভক্তদের বিশ্বাস, মার্কণ্ডেয় (Durga Puja 2024) পুরাণ অনুসারে যে ৮ প্রকার সিদ্ধি মাতা সিদ্ধিদাত্রী ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরকে প্রদান করেছিলেন, মহানবমীর (Navatari) দিন মাতা সিদ্ধিদাত্রীর আরাধনা করলে ভক্তদের মধ্যে এই সকল শক্তির প্রবেশ ঘটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 24 September 2024: সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 24 September 2024: সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) যানবাহন খুব সাবধানে চালাতে হবে, বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

    ২) প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    বৃষ

    ১) আগুপিছু না ভেবে উপার্জনের রাস্তায় পা দেবেন না।

    ২) অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতার যোগ।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মিথুন

    ১) কর্মচারীদের জন্য ব্যবসায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ভ্রমণের পক্ষে দিনটি শুভ নয়। 

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কর্কট

    ১) প্রেমের ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ।

    ২) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    সিংহ

    ১) ভালো কথার দ্বারা অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন।

    ২) দুপুর নাগাদ ব্যবসা ভাল হবে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরুন।

    কন্যা

    ১) প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) সমাজের কাজে সাফল্য।

    তুলা

    ১) চাকরিতে সুখবর আসতে পারে।

    ২) রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ৩) প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় কর্মে ক্ষতির আশঙ্কা।

    ২) আপনার সহিষ্ণু স্বভাবের জন্য সংসারে শান্তি রক্ষা পাবে।

    ৩) চোখ কান খোলা রেখে বিশ্বাস করুন।

    ধনু

    ১) কাজের চাপে সংসারে সময় না দেওয়ায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মকর

    ১) সন্তান-স্থান শুভ।

    ২) আজ কোনও সুসংবাদ পাওয়ার জন্য মন চঞ্চল থাকবে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ২) আইনি সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মীন

    ১) ধর্মালোচনায় আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘নির্যাতিতার আত্মীয় না হয়েও শ্মশানের নথিতে সই’, বিস্ফোরক পোস্ট শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘নির্যাতিতার আত্মীয় না হয়েও শ্মশানের নথিতে সই’, বিস্ফোরক পোস্ট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্যাতিতার কাকুর পরিচয় দিয়ে দ্রুত ময়নাতদন্ত না করলে রক্ত গঙ্গা বইয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। এমনই অভিযোগ করেছেন আরজি কর মেডিক্যালের ফরেন্সিক বিভাগের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাস। ময়না তদন্তকারী এই চিকিৎসকের দাবিকে হাতিয়ার করে ফের তৃণমূলকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    মমতার নির্দেশে শ্মশানে বিধায়ক, কাকুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন (Suvendu Adhikari)

    এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন শুভেন্দু। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি (Suvendu Adhikari) লিখলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছেন। দাবি করেছেন, নির্যাতিতা চিকিৎসকের কাকু পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি হুমকি দেয়, ময়নাতদন্ত দ্রুত না করলে রক্তগঙ্গা বইবে। ওই ব্যক্তি পানিহাটি পুরসভার প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর, যিনি পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন এবং পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের ঘনিষ্ঠ। সবাই জানে চিকিৎসকের দেহ তাড়াহুড়ো করে সৎকার করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শ্মশানে হাজির ছিলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক। এটা আরও আশ্চর্যের যে, সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় নিহতের আত্মীয় না হয়েও শ্মশানের নথিতে সই করেছিলেন।’

     

    কে এই পানিহাটির কাকু?

    কালীঘাটের কাকুর পর সম্প্রতি বঙ্গ রাজনীতিতে আরও এক কাকুর আবির্ভাব ঘটেছে। কেউ তাঁকে বলছেন, ‘শ্মশানঘাটের কাকু’, কেউ আবার বলছেন ‘পানিহাটির কাকু’। এই কাকু আরজি করের (RG Kar) নির্যাতিতার পাশের বাড়ির বাসিন্দা। তাঁর নাম সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। সঞ্জীবকে ‘কাকু’ বলেই সম্বোধন করতেন নির্যাতিতা। এক সময়ে তিনি ছিলেন সিপিএমের কাউন্সিলর। তার পর ভোটে হেরে গিয়ে বেশ কয়েক বছর ‘দলহীন’। ২০১৯ সালে যোগ দেন তৃণমূলে। সেই যোগদান পর্বে ছিলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ (নান্টু) এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রথম জনকে আরজি করের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সোমবার জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। আর দ্বিতীয় জন খাদ্য দুর্নীতি মামলায় আপাতত জেলে। সঞ্জীব পেশায় ব্যবসায়ী। বাংলার বাইরেও তাঁর ব্যবসার কাজ চলে। জানা গিয়েছে, মূলত বৈদ্যুতিক প্রকল্পে ঠিকাদারি করেন তিনি। তৃণমূল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ হিসেবে তিনি পরিচিত।

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    কী বললেন প্রাক্তন কাউন্সিলর?  

    জানা গিয়েছে, ৯ অগস্ট রাতে পানিহাটির শ্মশানঘাটে অনেকের সঙ্গে ছিলেন সঞ্জীব। যেমন ছিলেন বিধায়ক নির্মলও। ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে, নির্যাতিতার দেহ ‘তড়িঘড়ি’ দাহ করার জন্য সেই রাতে পরিবারের উপর ‘চাপ’ তৈরি করা হয়েছিল। সঞ্জীব বলেন, “সেই সময়ে আমার এ সব কথা বলার অবস্থাই ছিল না। অত পুলিশ, স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ আধিকারিক, অত ছাত্রছাত্রী- আমি ময়নাতদন্ত কখন হবে কি হবে না, সে কথা বলার আমি কে? আমাকে সিবিআই ডাকলে সমস্ত বিষয়টি বলব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandip Ghosh:  ১৮টি ডিভাইসের ক্লোনিং, আরজি করকাণ্ডে নয়া তথ্য সিবিআইয়ের হাতে

    Sandip Ghosh: ১৮টি ডিভাইসের ক্লোনিং, আরজি করকাণ্ডে নয়া তথ্য সিবিআইয়ের হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় ধৃত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)- সহ চারজনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। বিচারক সুজিত কুমার ঝা ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত জেলেই থাকবেন তাঁরা।

    ১৮টি ডিজিটাল ডিভাইসের ‘ক্লোনিং’ (Sandip Ghosh)

    সোমবার সন্দীপ-সহ (Sandip Ghosh) আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ধৃত চার জনের শুনানি হয় আলিপুরে সিবিআই বিশেষ আদালতে। আদালতে সিবিআইয়ের (CBI) দাবি ছিল, আরজি করে দুর্নীতিতে অভিযুক্তেরা ‘অত্যন্ত প্রভাবশালী’। ফলে, তাঁরা অন্য সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। সিবিআইয়ের এই যুক্তি শুনেই শেষমেশ অভিযুক্তদের আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। সন্দীপ ছাড়াও জেল হেফাজত হল সুমন হাজরা, বিপ্লব সিংহ এবং সন্দীপের নিরাপত্তারক্ষী আফসর আলির। আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের আরও দাবি, মোবাইল, ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক, মেমরি কার্ড-সহ অন্তত ১৮টি ডিজিটাল ডিভাইসের ‘ক্লোনিং’ করা হয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখছে সিবিআই। ওই যন্ত্রগুলিতে থাকা নথি থেকে তদন্তে সহায়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলেও মনে করছে। এই মামলায় ধৃত সুমন ও বিপ্লবের বিরুদ্ধেও আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সন্দীপের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে এই দু’জনের সংস্থাই হাসপাতালে বিভিন্ন জিনিস সরবরাহ করত। আফসর হাসপাতালের অ্যাডিশনাল সিকিউরিটির পদে কাজ করতেন। সন্দীপের নিরাপত্তা রক্ষীর দায়িত্বে থাকায় হাসপাতালে তাঁর বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি’রও অভিযোগ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    আরজি করে টেন্ডার দুর্নীতি

    প্রসঙ্গত, আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গত ১৯ অগাস্ট সন্দীপ ঘোষ-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। টেন্ডার দুর্নীতি থেকে সরকারি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে সন্দীপের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে। আরজি কর হাসপাতালের ফুড স্টল, ক্যাফে, ক্যান্টিনের জায়গা টেন্ডার না ডেকেই বণ্টন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সরবরাহকারীদের কাজের বরাত দেওয়ার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের জৈব বর্জ্য বেআইনিভাবে বাইরে বিক্রি করাতেও  নাম জড়িয়েছে সন্দীপের। কলকাতা হাইকোর্টে এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করেন হাসপাতালের প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখতার আলি। সেই মামলার তদন্ত ভার দেওয়া হয় সিবিআইকে। পরে, নির্যাতিতা খুনের ঘটনায়ও সন্দীপকে গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: ষষ্ঠী থেকে দশমী, কোন কোন নিয়ম মেনে হয় মায়ের আরাধনা? জেনে নিন বিশদে

    Durga Puja 2024: ষষ্ঠী থেকে দশমী, কোন কোন নিয়ম মেনে হয় মায়ের আরাধনা? জেনে নিন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু বাঙালির (Hindu Bengali worship) সবথেকে বড় উৎসব হল দুর্গাপুজো (Durga Puja 2022)। সম্প্রতি কয়েক বছর আগে বাঙালির এই মহোৎসব পেয়েছে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমাও। এই উৎসব শুধুই আর ধর্মীয় উৎসবে সীমাবদ্ধ নেই। এই উৎসব আজ হয়ে উঠেছে সর্বধর্ম সমন্বয়ের উৎসব। যদিও মহালয়া থেকেই পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। দেবীপক্ষের সূচনা থেকেই শুরু হয় পুজো। পুজোর এই কয়েক দিন, মানুষ তাঁর জীবনের সমস্ত দুঃখ-কষ্ট ভুলে উৎসবে মেতে ওঠেন। মহাষষ্ঠী থেকে মহাদশমী, দুর্গাপুজোর এই পাঁচ দিনে বহু নিয়ম মেনে মা দুর্গার আরাধনা করা হয়। জেনে নিন দুর্গা পুজোয় কবে কোন কোন নিয়ম পালন করা হয়।

    মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধন

    মহাষষ্ঠীর দিনই শুরু হয়ে যায় দেবীর আরাধনা। দেবীপক্ষের শুক্লা ষষ্ঠী তিথিতে মা দুর্গার বোধন করা হয়। এই রীতির সঙ্গে জড়িত আছে এক পৌরাণিক কাহিনি। বোধনের অর্থ জাগ্রত করা। জাগ্রত করা হয় দেবীকে। মা দুর্গার মৃন্ময়ী মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। কথিত আছে, শরৎকালে দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন শ্রীরামচন্দ্র। লঙ্কার রাজা রাবণকে পরাজিত করার জন্য দেবীর আশীর্বাদ কামনায়, তিনিই এই সময় দুর্গার অকাল বোধন করেন। বোধনের মাধ্যমেই দুর্গাকে আবাহন করা হয়। আর তাতে রামচন্দ্রকে সাহায্য করেছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা।

    মহাসপ্তমীতে নবপত্রিকা বা কলা বউ স্নান

    সপ্তমীতে কলা বউ স্নানের রীতি প্রচলিত আছে। একেই বলা হয় নবপত্রিকা। নবপত্রিকার অর্থ হল নটি পাতা। কিন্তু এই ক্ষেত্রে নটি গাছ দিয়ে নবপত্রিকা গঠন করা হয়। এই নটি গাছ মা দুর্গার নয় শক্তির প্রতীক। গাছগুলি হল-কলাগাছ, কচু, হলুদ, জয়ন্তী, বেল, ডালিম, অশোক, মান ও ধান। সপ্তমীর সকালে নবপত্রিকাকে স্নানের জন্য নদী বা পুকুরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর লাল পাড় সাদা শাড়িতে মুড়িয়ে ঘোমটা দিয়ে বধূর আকারে সেটিকে গণেশের পাশে স্থাপন করা হয়। অনেকেই বলে থাকেন, নবপত্রিকার পুজো প্রকৃতপক্ষে শস্যদেবীর পুজো। ফসলের উর্বরতার সঙ্গে একটা প্রত্যক্ষ যোগ থাকে এই পুজোতে।

    মহাষ্টমীর অঞ্জলি

    মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী-এই তিনদিনই পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া যায়। কিন্তু অষ্টমীর অঞ্জলিকে একটু বেশিই গুরুত্ব দেন বাঙালিরা। হাত ভরে ফুল নিয়ে পুরোহিতের বলা মন্ত্র উচ্চারণের পর, হাতে ধরে থাকা ফুল-পাতা দেবীর চরণে অর্পণ করা হয়। অঞ্জলি দেওয়ার মাধ্যমে মায়ের প্রতি নিজেদের বিশ্বাস, শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন ভক্তরা। সকলেই মায়ের আশীর্বাদ চান। অশুভ শক্তির বিনাশ চেয়ে শুভ শক্তির প্রকাশ চান।

    কুমারী পুজো 

    অষ্টমী বা নবমী তিথিতে বহু জায়গায় কুমারী পুজোর রীতি পালিত হয়। শাস্ত্রমতে, এক থেকে ষোল বছর বয়স পর্যন্ত, যেসব মেয়েরা ঋতুচক্রে পা দেয়নি তাদের দেবী রূপে পুজা করা হয়।

    সন্ধি পুজো

    মহাঅষ্টমীর সমাপ্তি ও মহানবমীর সূচনার সন্ধিক্ষণে করা হয় সন্ধিপুজো। মনে করা হয়, মহাঅষ্টমী ও মহানবমীর সন্ধিক্ষণে দেবী চামুণ্ডা চণ্ড ও মুণ্ড নামে দুই অসুরকে বধ করেছিলেন। তাই এই সময় দেবীকে চামুণ্ডা রূপে পুজো করা হয়। সন্ধিপুজোর সমস্ত মন্ত্রই চামুণ্ডা দেবীর মন্ত্র। সন্ধিপুজোয় দেবীকে ১০৮ পদ্ম এবং ১০৮ দীপ জ্বালিয়ে পুজো করা হয়।

    বিজয়া দশমীতে সিঁদূর খেলা

    বিজয়া দশমীতেই সকলকে কাঁদিয়ে মা দুর্গা শ্বশুরবাড়ি পাড়ি দেন। বিজয়ার দিনে সিঁদুর খেলা দুর্গাপুজোর এক বিশেষ অনুষ্ঠান। পতিগৃহে রওনা দেওয়ার আগে উমাকে বরণ করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। তাই, দশমীর দিন ঘরের মেয়েকে সিঁদূরে রাঙিয়ে, মিষ্টি মুখ করিয়ে, পান, ধান, দূর্বা দিয়ে বরণ করা হয়। দেবীর বরণের পরই গৃহবধূরা (Hindu Bengali worship) মেতে ওঠেন সিঁদূর খেলায়।

    দেবীর বিসর্জন

    প্রতিমা পুজার অন্তিম পর্যায় বিসর্জন। জলের মাধ্যমেই মাটির প্রতিমা প্রকৃতিতে লীন হয়। নৌকায় করে মাঝ নদীতে নিয়ে গিয়ে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। আর শুরু হয় মায়ের অপেক্ষা। পরের বছর মায়ের আগমনের এক বছরের অপেক্ষা। শুরু হয় দিন গোনা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share