Tag: Madhyom

Madhyom

  • Durga Puja 2024: নবরাত্রিতে দেবী দুর্গাকে নয়টি রূপে পুজো করা হয়, জানুন দেবীর রূপ-মহিমা

    Durga Puja 2024: নবরাত্রিতে দেবী দুর্গাকে নয়টি রূপে পুজো করা হয়, জানুন দেবীর রূপ-মহিমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামায়ণে আছে ভগবান শ্রী রামচন্দ্র রাবণকে বধ করার জন্য দেবী দুর্গার (Durga Puja 2024) অকালবোধন করেছিলেন। এই নিয়ম মেনে আশ্বিন মাসে শারদীয়া দুর্গাপুজো করে থাকে গোটা বাঙালি সমাজ। কিন্তু দুর্গাপুজোর আসল সময় হল বসন্ত ঋতুতেই, যা দেবী বাসন্তীর পুজো হিসেবে পরিচিত। বাংলায় দুই পুজোই হয়ে থাকে, কিন্তু শরৎকালের পুজো হল প্রধান এবং বড় পুজো। নবরাত্রির সঙ্গে দেবী দশভূজার একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। তিথি-নক্ষত্র মিলিয়ে একই রীতিনীতির মধ্যেই পুজো করা হয়ে থাকে। বসন্ত ঋতুতে চৈত্র মাসে যে নবরাত্রি (Navratri) পালন করা হয়, তাতে দেবী দুর্গাকে (Goddess Durga) নয়টি অবতারে পুজো করা হয়। শরৎকালের পুজোও হয় একই ভাবে।

    কবে পালিত হয় (Durga Puja 2024)?

    চৈত্র নবরাত্রি (Navratri) পালিত হয় চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের প্রতিপদ তিথিতে। এই সময় মা দুর্গা  (Goddess Durga) নয় রকম অবতারে পূজিতা হন। এই পুজো পশ্চিমবঙ্গে যেমন বাসন্তী পুজো নামে পরিচিত, ঠিক তেমনি মহারাষ্ট্রের কোঙ্কণে চৈত্র নবরাত্রিকে গুড়ি পদওয়াও বলা হয়। আবার দক্ষিণ ভারতে নবরাত্রি উগাদি নামেও পরিচিত। নবরাত্রি (Durga Puja 2024) পালনের সঙ্গে বসন্তকালীন চৈতালি ফসল কাটার একটা আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। এতে ভক্তের মনের বাসনা পূর্ণ হয় বলে যেমন বিশ্বাস করা হয়, সেই সঙ্গে ভক্তদের মনেও বিশেষ আস্থা থাকে।  

    দেবীর নয় অবতার

    দেবী বাসন্তীর ন’টি অবতার হল, দেবী শৈলপুত্রী, দেবী ব্রহ্মচারিণী, দেবী চন্দ্রঘণ্টা, দেবী কুস্মাণ্ডা, দেবী স্কন্ধমাতা, দেবী কাত্যায়নী, দেবী কালরাত্রি, দেবী মহাগৌরী, দেবী সিদ্ধিদাত্রী। তিথি মেনে টানা নয় দিন ধরে পুজো করে মায়ের কাছে বর চেয়ে অশুভ শক্তির পরাজয় এবং শুভ শক্তির জাগরণের জন্য কামনা করা হয়। সংসারের শ্রীবৃদ্ধি, অর্থধন লাভ, সন্তানদের সাফল্য, পারবারিক সুখ সমৃদ্ধি এবং নারী শক্তির জাগরণের আশায় ভক্তরা এই নবরূপে দেবী বাসন্তী মায়ের পুজো করা হয়ে থাকে। বলা হয়ে থাকে, দেবী দুর্গা (Durga Puja 2024) মা নৌকাতে করে পরিবারের সঙ্গে মর্ত্যে বাপের বাড়িতে আসেন। নবরাত্রির পর আবার কৈলাসে পাড়ি দেন মা দুর্গা।

    দেবী শৈলপুত্রী

    দেবী শৈলপুত্রী হলেন হিমালয়ের কন্যা। তাঁর স্বামী হলেন ভগবান শিব। তাঁর দুই সন্তান কার্তিক এবং গণেশ। দক্ষরাজের কন্যা হলেন সতী। সতীর অপর নাম শৈলপুত্রী। এই দেবীর (Durga Puja 2024) পুজো করা হয় নবরাত্রির (Chaitra Navratri 2023) প্রথম দিনে।

    দেবী ব্রহ্মচারিণী

    দেবী ব্রহ্মচারিণী হলেন মা দুর্গার (Goddess Durga) দ্বিতীয় অবতার। তাঁর পুজো করা হয় নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে। দেবী দুর্গার তপস্যার প্রতীক হলেন দেবী ব্রহ্মচারিণী। তিনি ভগবান ব্রহ্মার মার্গের পথে সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করে ছিলেন। এই দেবীর সাধানায় পরিবারে মঙ্গলকামনা এবং বিদ্যা-বুদ্ধির প্রাপ্তি হয়।

    দেবী চন্দ্রঘণ্টা

    দেবী চন্দ্রঘণ্টা হলেন দেবী দুর্গার (Goddess Durga) তৃতীয় রূপ। বাঘের উপর উপবিষ্ট থাকেন স্বয়ং দেবী। অসুর বিনাশিনী দেবী। তাঁর দশ হাতে পদ্ম, গদা, ত্রিশূল, তলোয়ার, তীরধনুক ইত্যাদি দশ অস্ত্রে সুসজ্জিত থাকে। দেবীর মস্তকে অর্ধচন্দ্র অবস্থান করে। তাই দেবীকে চন্দ্রঘণ্টা নামে ডাকা হয়। এই দেবী অভয়ার প্রতীক।

    দেবী কুস্মাণ্ডা

    দেবী কুস্মাণ্ডা হলেন চতুর্থ অবতার। এই দেবী (Durga Puja 2024) স্বয়ং ব্রহ্মাণ্ডকে সৃষ্টি করেছেন। তাঁর অনাহত চক্রে মানুষকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করেন। এই দেবীর আরাধনায় পারিবার সুস্থ এবং রোগমুক্ত থাকে।

    দেবী স্কন্দমাতা

    দেবী স্কন্ধ হলেন পঞ্চম অবতার। তিনি ভক্তের কাছে মুক্তি এবং শক্তির প্রতীক। তিনি এই রূপে সিংহবাহনা। ত্রিনয়নী এবং চারটি মস্তকে সজ্জিত। স্কন্দের জননী হওয়ায় তাঁকে স্কন্দমাতা বলা হয়। এই দেবীর পুজোতে অশুভ শক্তির বিনাশ হয়।

    দেবী কাত্যায়নী

    দেবী কাত্যায়নী হলেন মহিষাসুরমর্দিনী (Durga Puja 2024)। তিনি হলেন মায়ের ষষ্ঠ অবতার। সকল অশুভ শক্তিকে পরাজয় করে অসুরদের বিনাশ করে থাকেন। বৈদিক যুগে কাত্যায়ন নামে এক ঋষি ছিলেন। সেই সূত্রেই এই নামকরণ হয়েছে কাত্যায়নী।

    দেবী কালরাত্রি

    দেবী কালরাত্রি হলেন দুর্গার (Goddess Durga) সপ্তম অবতার। সব রকম রাক্ষস এবং ভূতেদের বিনাশ করে থাকেন এই দেবী। অসুর বিনাশিনী উগ্ররূপিণী রূপ অশুভ শক্তিকে স্বমূলে উৎখাত করেন।

    দেবী মহাগৌরী

    মহাগৌরী হলেন দেবীর অষ্টম অবতার। তিনি হলেন ভক্তের সমৃদ্ধি এবং সুখ প্রদানের দেবী। অর্থ সমৃদ্ধি এবং কল্যাণময় বার্তা আসে।

    দেবী সিদ্ধিদাত্রী

    সিদ্ধিদাত্রী (Durga Puja 2024) দেবী হলেন মহাসিদ্ধি প্রদানের দেবী। নবরাত্রিতে (Navratri) দেবী দুর্গার নবম অবতার এবং ভগবান শিবের পত্নী। তাঁকে সিদ্ধিদাত্রীকে বলা হয় শিবের অর্ধাঙ্গিনী হিসেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IMA: আরজি কর কাণ্ডে কেন নিষ্ক্রিয় আইএমএ-র কলকাতা শাখা? প্রশ্ন তুলে ইস্তফা সহ-সভাপতির

    IMA: আরজি কর কাণ্ডে কেন নিষ্ক্রিয় আইএমএ-র কলকাতা শাখা? প্রশ্ন তুলে ইস্তফা সহ-সভাপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যখন তোলপাড় হয় সারা দেশ, তখনও নিষ্ক্রিয় ছিল চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ-এর (IMA) কলকাতা শাখা। ঠিক এই অভিযোগে সংগঠনের সহ-সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কৌশিক বিশ্বাস। জানা গিয়েছে, ইমেল মারফত তিনি এই ইস্তফাপত্র আইএমএ-এর কলকাতা শাখার সভাপতিকে পাঠিয়েছেন। সূত্রের খবর, রবিবারই সংগঠনের কলকাতা শাখার বৈঠক উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল আরজি কর (RG Kar Issue) ইস্যুতে। সেখানে দু’‌পক্ষের মধ্যে তুমুল বচসাও হয়েছিল। কেন আইএমএ (IMA) কলকাতা নিষ্ক্রিয় ছিল, এই প্রশ্ন বারবার উঠতে থাকে।

    কী বললেন কৌশিক?

    পদত্যাগের পর সংবাদমাধ্যমে কৌশিক বলেন, ‘‘আমি আইএমএ-র (IMA) কলকাতা শাখার সহ-সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। সেই মর্মে একটি ইমেল সংগঠনের সভাপতিকে পাঠিয়েছি। রাজ্য কমিটিকেও সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছি।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আরজি করে (RG Kar Issue) যা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আইএমএ-র কলকাতা শাখার ভূমিকা খুবই হতাশাজনক ছিল। সেটাই আমার এই সিদ্ধান্তের অন্যতম কারণ। গত দেড় মাসে আইএমএ-র কলকাতা শাখা তেমন কোনও পদক্ষেপ করেনি। আমি এটা মেনে নিতে পারছিলাম না। সহ-সভাপতি হিসাবে এই নিষ্ক্রিয়তার দায় আমি এড়াতে পারি না। তাই ইস্তফা দিলাম।’’ কৌশিকের আরও অভিযোগ, ‘‘বর্তমানে আইএমএ-র কলকাতা শাখা যে বা যাঁরা চালান, তাঁরা যে বিশেষ গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত, তাদের সঙ্গে আমি কাজ করতে পারছি না।’’

    স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে কোনও পদক্ষেপ (IMA) সন্দীপের বিরুদ্ধে করা হয়নি

    সংগঠনের কলকাতা শাখার তরফে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে কোনও পদক্ষেপ সন্দীপের বিরুদ্ধে করা হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছেন কৌশিক। দিল্লির নির্দেশেই তাঁকে (সন্দীপ ঘোষ) পদ থেকে সরানো হয়েছিল। কৌশিক বলেন, ‘‘আমার মত ছিল, দিল্লির নির্দেশ আসার আগেই সন্দীপকে সরানো হোক। তা মানা হয়নি। পরে দিল্লি আইএমএ থেকে নির্দেশ আসে এবং তা কার্যকর করা হয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India vs Bangladesh: ‘পাকিস্তান ভেবেছ নাকি?’ ভারত জিততেই বাংলাদেশকে নিয়ে মিমের বন্যা

    India vs Bangladesh: ‘পাকিস্তান ভেবেছ নাকি?’ ভারত জিততেই বাংলাদেশকে নিয়ে মিমের বন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের মাটিতে তাদেরকে দুই টেস্ট-এর সিরিজে দুরমুশ করে বিরাট স্বপ্নের আশা বুনছিল বাংলাদেশ (India vs Bangladesh)। টাইগাররা হুমকি দিয়েছিল, ভারতেও তারা পাকিস্তানে জয়ের পুনরাবৃত্তি করবে। তবে ফল হল উল্টো, বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল ভারত। ২৮০ রানের ব্যবধানে হারের পর যথারীতি তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়তে হল বাংলাদেশকে। নেটিজেনরা তো টাইগারদের সোজাসুজি প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন, ‘পাকিস্তান ভেবেছ নাকি?’ 

    বড় ব্যবধানে জয়

    ভারতের (India vs Bangladesh) মাটিতে ভারতকে দুই টেস্ট-এ হারিয়ে সিরিজ জিতে নেবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ভারত হুমকি হালকাভাবে নেয়নি। যেকোনও মূল্যে জয়ের পথ থেকে সরতে নারাজ রোহিত ব্রিগেড। রবিবার চেন্নাইয়ে ভারত বাংলাদেশকে ২৮০ রানে হারিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে লিড নিয়েছে।

    চতুর্থ দিনের সকালে বাংলাদেশের ইনিংসে ধস নামান রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা। ঘরের মাঠে অশ্বিন ভেলকি দেখালেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬টি উইকেট নেন তিনি। জাদেজা নেন তিনটি।

    এই টেস্ট জয়েই অবশ্য আত্মতুষ্ট হতে নারাজ টিম ইন্ডিয়া। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে কানপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। সেই টেস্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই ভাবতে শুরু করেছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। চেন্নাই টেস্ট-এর স্কোয়াড অপরিবর্তিত রেখেছে। 

    নেটিজেনদের কটাক্ষ

    উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত ভারতের (India vs Bangladesh) বিরুদ্ধে টেস্ট জয়ের নজিরই বাংলাদেশ তৈরি করতে পারেনি। সেই ধারা অটুট রেখে চেন্নাইয়ের মাটি রবিবার স্পষ্ট করে দিল, বাংলাদেশ যে হুমকি দিয়েছিল, সেটা তাদের স্বপ্ন। আর, সেই স্বপ্ন সম্পূর্ণ বাস্তববর্জিত।

    প্রথম টেস্টই তার পরিচয়। ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে ভারতের জয়ের পরই নেটিজেনরা বাংলাদেশকে কটাক্ষে ভরিয়ে প্রথম টেস্ট জয়ের আনন্দ নিজেরাই কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুললেন। দেখা যায় নাগিন নাচের মিমও।

    দ্বিতীয় টেস্টে দল

    প্রথম টেস্ট জয়ের পরই কানপুর (India vs Bangladesh) টেস্টের স্কোয়াড ঘোষণা করে দেয় বিসিসিআই। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে কানপুরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামবে ভারত।  মনে করা হয়েছিল আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজ এবং অস্ট্রেলিয়া সিরিজের কথা মাথায় রেখে কানপুরের ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে বুমরাকে।

    কিন্তু অজিত আগারকারের নেতৃত্বে সিনিয়র নির্বাচক কমিটি ফাস্ট বোলার জসপ্রিত বুমরাকে বিশ্রাম দেয়নি। পেসার যশ দয়াল এবং আকাশ দীপ তাঁদের জায়গা ধরে রেখেছেন স্কোয়াডে। সরফরাজ খান এবং ব্যাক-আপ উইকেটরক্ষক ধ্রুব জুরেলও দলের সঙ্গে ভ্রমণ করবেন বলে জানিয়েছে বিসিসিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: দেবী দুর্গা ও তাঁর সন্তানদের সঙ্গে থাকা বাহনগুলির পৌরাণিক তাৎপর্য কি জানেন?

    Durga Puja 2024: দেবী দুর্গা ও তাঁর সন্তানদের সঙ্গে থাকা বাহনগুলির পৌরাণিক তাৎপর্য কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরৎকালে প্রতি বছর মা দুর্গা (Durga Puja 2024) কৈলাস থেকে মর্তে বাপের বাড়িতে আসেন সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে। মা দুর্গা এবং তাঁর সন্তানদের সঙ্গে আসেন বাহনগুলিও। ইঁদুর আসে গণেশের সঙ্গে, হাঁস আসে মা সরস্বতীর সঙ্গে, পেঁচা আসে মা লক্ষ্মীর সঙ্গে, ময়ূর আসে কার্তিকের সঙ্গে এবং স্বয়ং মা দুর্গা আসেন সিংহের পিঠে চড়ে। বাহনগুলির পৌরাণিক কাহিনিতে যাওয়ার আগে বলা দরকার, ভারতীয় উপমহাদেশে প্রকৃতি পুজোর রীতি বৈদিক যুগ থেকেই ছিল। মাটি, অগ্নি, বায়ু, নদী, গাছ সবকিছুই পুজো করা হত ওই যুগে। একটি মন্ত্রে আছে-

    গঙ্গেচযমুনেচৈব
    গোদাবরীসরস্বতী।
    নর্মদে সিন্ধু কাবেরী জলস্মিনসন্নিদ্ধিম কুরু।।

    অর্থাৎ ভারতীয় সভ্যতায় গাছপালা, নদনদীর সঙ্গে সঙ্গে জীবজন্তুও মানুষের দৈনন্দিন কাজে উপকারী বলেই গণ্য হয়। এই ধারণা থেকেই বাহন হিসেবে হয়তো তারাও পূজিত হয়। এবার আসা যাক পৌরাণিক কাহিনিগুলিতে।

    মা দুর্গার বাহন সিংহ (Durga Puja 2024)

    পুরাণ অনুযায়ী (Mythological Significance)-দেবী পার্বতী (Durga Puja 2024) হাজার বছর ধরে তপস্যা করেছিলেন শিবকে তাঁর স্বামী হিসেবে পাওয়ার জন্য। তপস্যার কারণে দেবী অন্ধকারে মিশে যান। বিয়ের পর পার্বতীকে মহাদেব কালী বলে সম্বোধন করলে দেবী তৎক্ষণাৎ কৈলাস ত্যাগ করে ফের তপস্যায় মগ্ন হয়ে যান। তপস্যা রত দেবীকে শিকার করার ইচ্ছায় এক ক্ষুধার্ত সিংহ তাঁর দিকে আসতে শুরু করে। কিন্তু দেবীকে দেখে সেখানেই চুপ করে বসে যায় সে। সেই সময় বসে বসে সিংহ চিন্তা করতে থাকে, দেবী তপস্যা থেকে যখন উঠবেন, তখন তিনি খাবার হিসেবে গ্রহণ করবেন। এর মধ্যে বহু বছর কেটে যায়, কিন্তু সিংহ তার নিজের জায়গা থেকে নড়ে না। এদিকে দেবী পার্বতীর তপস্যা সম্পন্ন হওয়ার পর মহাদেব আবির্ভূত হলে পার্বতীকে গৌরবর্ণ বলে বর্ণনা করেন। যে সিংহটি দেবীকে শিকার করতে এসেছিল, তাকেই বাহন হিসেবে গ্রহণ করেন দেবী। কারণ দেবীর জন্য অনেক বছর অপেক্ষা করেছিল সিংহ। এরপর পার্বতীর বাহনকে সিংহ বলে মনে করা হয়। আবার কালিকাপুরাণ অনুযায়ী, শ্রীহরি দেবীকে বহন করছেন। এই হরি শব্দের এক অর্থ সিংহ। আবার শ্রীশ্রীচণ্ডীতে উল্লেখ আছে গিরিরাজ হিমালয় দেবীকে সিংহ দান করেন। শিবপুরাণ বলে, ব্রহ্মা দুর্গাকে বাহনরূপে সিংহ দান করেছেন। সিংহ হলো শৌর্য, পরাক্রম, শক্তির প্রতীক। অসুরদের বিনাশকারী বাহন সিংহ।

    গণেশের বাহন ইঁদুর

    স্বর্গে দেবলোকের সভায় গান গেয়ে সকলের মনোরঞ্জন করতেন ক্রঞ্চ নামে এক গন্ধর্ব। একদিন বামদেব নামে এক ঋষি এসে উপস্থিত হন সেই সভায়। তিনি গান করতে থাকেন। সেই গান শুনে নিজের হাসি চাপতে পারেননি গন্ধর্ব ক্রঞ্চ। সেই হাসি দেখে ফেলেন বামদেব। সঙ্গে সঙ্গে ক্রোধান্বিত হয়ে পড়ে তিনি ক্রঞ্চকে অভিশাপ দেন। অভিশাপের ফলে ক্রঞ্চ ইঁদুর হয়ে যান। ঋষি অভিশাপ দেন, কোনও দিন আর গান গাইতে পারবেন না ক্রঞ্চ। ক্রঞ্চ নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। কিন্তু তাতে বিশেষ ফল হয়নি। তিনি ইঁদুর হয়ে যান এবং মর্ত্যে নেমে আসেন। তবে মুনি বলেছিলেন কোনও দিন যদি গণেশ তাঁকে বাহন করেন তা হলে মুক্তি মিলবে। মর্তলোকে তিনি যেখানে নেমেছিলেন, কাছেই ছিল পরাশর মুনির কুটির। ইঁদুর ক্রঞ্চ সেখানেই নিজের খাদ্যের সন্ধানে যেতে শুরু করেন। এদিকে ইঁদুরের উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে ওঠেন কুটিরবাসীরা। অপর দিকে একদিন গণেশ সেই মুনির কুটিরে পৌঁছন। সেখানে জানতে পারেন ইঁদুরের কুকীর্তির কথা। তখন তাকে ধরতে উদ্যত হন গণেশ। অবশেষে ধরেও ফেলেন। কিন্তু ক্রঞ্চ নিজের পরিচয় দিয়ে সব কথা বলেন গণেশকে। বলেন, বামদেব বলেছিলেন যে স্বয়ং দুর্গা (Durga Puja 2024) পুত্র গণপতি যদি তাকে তাঁর বাহন করেন, তবেই ঘুচবে তাঁর দুঃখ। এ কথা শুনে ইঁদুরকেই তিনি নিজের বাহন হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

    মা লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা

    পৌরাণিক (Mythological Significance) গল্প অনুযায়ী, যখন দেব-দেবীরা প্রাণীজগতের সৃষ্টি করেছিলেন তখন তাঁরা পৃথিবী ভ্রমণে আসেন। সেই সময় পশু ও পাখিরা  দেবতাদের ধন্যবাদ জানায়। পশু ও পাখিরা বলতে থাকে, আপনারা যেহেতু আমাদের তৈরি করেছেন তাই আপনাদের বাহন হয়ে আমরা পৃথিবীতে থাকব। সেই সময় দেবতারা নিজেদের বাহন পছন্দ করে নেন। যখন দুর্গা কন্যা (Durga Puja 2024) লক্ষ্মীর নিজের বাহন বেছে নেওয়ার সময় আসে, তখন তিনি বলেন আমি যেহেতু রাতে পৃথিবীতে আসি তাই রাতে যে প্রাণী দেখতে পায় সেই হবে আমার বাহন। এরপর পেঁচা হয়ে ওঠে দেবী লক্ষ্মীর বাহন।

    কার্তিকের বাহন ময়ূর

    তারকাসুরকে বধ করেছিলেন দেবসেনাপতি কার্তিক। পৌরাণিক কাহিনী মতে, মৃত্যুর আগে তারকাসুর কার্তিকের বাহন হিসেবে থাকতে চেয়েছিল। ময়ূরের ছদ্মবেশে কার্তিককে আক্রমণও করেছিল যুদ্ধ ক্ষেত্রে তারকাসুর। কথিত আছে ওই ময়ূরটিই হল দুর্গা (Durga Puja 2024) পুত্র কার্তিকের বাহন।

    সরস্বতীর বাহন হাঁস

    হাঁস নাকি জল, স্থল, অন্তরীক্ষে থাকতে পারে। জ্ঞান ও বিদ্যার দেবীকেও এই তিনটি জায়গায় থাকতে হয় জ্ঞান ও বিদ্যাদানের জন্য। তাই বাহন হিসেবে হাঁসকেই বেছে নিয়েছেন দেবী দুর্গার (Durga Puja 2024) কন্যা সরস্বতী। একই ভাবে হংস শব্দের ‘হং’ এবং ‘স’ এই দুটি শব্দের মধ্যে জাগতিক শক্তি এবং শাক্তির আধারের মহাজ্ঞান গ্রন্থিত হয়ে রয়েছে। তাই হংস বিদ্যাদেবীর বাহন হয়ে মহাপ্রজ্ঞার প্রতীক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: শিশুদের যৌনতার ভিডিও দেখলে বা রাখলেও সাজা পকসো আইনে, বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: শিশুদের যৌনতার ভিডিও দেখলে বা রাখলেও সাজা পকসো আইনে, বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিশুদের নিয়ে তৈরি পর্নোগ্রাফি দেখা কিংবা তা ডাউনলোড করাও এবার থেকে পকসো (POCSO) আইনে অপরাধ বলে বিবেচ্য হবে। সোমবার মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায় খারিজ করে এমনই বড় নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।  সুপ্রিম কোর্টের তরফে পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ‘‘বর্তমান সময়ে পর্নোগ্রাফি দেখার মতো ভয়ঙ্কর সমস্যা নিয়ে লড়ছে শিশুরা। সমাজকে এতটা পরিণত হতে হবে যে শাস্তির বদলে শিক্ষা দেওয়া যায়।’’ এর আগে মাদ্রাজ হাইকোর্ট তাদের এক রায়ে জানিয়েছিল, শিশুদের নিয়ে নীলছবি দেখা কিংবা তার ক্লিপ ডাউনলোড করা শাস্তিযোগ্য নয়। এদিন মাদ্রাজ হাইকোর্টের সেই নির্দেশকেই খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।

    চেন্নাইয়ের এক ২৮ বছরের যুবকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা বাতিল করে মাদ্রাজ হাইকোর্ট

    সোমবার সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ বলে, মাদ্রাজ হাইকোর্টের এই রায় দিতে গিয়ে গুরুতর ত্রুটি করে ফেলেছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি মাদ্রাজ হাইকোর্ট চেন্নাইয়ের এক ২৮ বছরের যুবকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা বাতিল করে দিয়েছিল। ওই যুবকের বিরুদ্ধে শিশু-পর্ন দেখা এবং ভিডিও ডাউনলোড (POCSO) করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। মাদ্রাজ হাইকোর্ট তাদের রায়ে জানিয়েছিল, ব্যক্তিগতভাবে এ ধরনের বিষয়ের ছবি দেখা পকসো আইনের এক্তিয়ারে পড়ে না।

    ‘চাইল্ড পর্ন’ শব্দটিও সংশোধন করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)

    এদিন এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট ওই যুবকের বিরুদ্ধে ওঠা ফৌজদারি মামলা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। শীর্ষ আদালত (Supreme Court) এও জানিয়েছে, শিশুদের নিয়ে যৌন ছবি তৈরি করা, দেখা এবং ডাউনলোড করা ছাড়াও তা প্রকাশ করা এবং শেয়ার করা সবই অপরাধ। এদিনের নির্দেশে শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় সরকারকে ‘চাইল্ড পর্ন’ শব্দটিও সংশোধন করার নির্দেশ দিয়েছে এবং এর বদলে ‘শিশু যৌন নির্যাতন এবং শোষণমূলক বিষয়’- শব্দ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আইন সংশোধন করতে বলেছে। এর পাশাপাশি দেশের সব আদালতকে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) নির্দেশ দিয়েছে যে, এখন থেকে যেন ‘শিশু পর্নোগ্রাফি’  শব্দটি কোনও মামলায় ব্যবহার না করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nirmal Ghosh: দেহ কেন দ্রুত দাহ করা হল? সিবিআই দফতরে হাজিরা তৃণমূল বিধায়কের

    Nirmal Ghosh: দেহ কেন দ্রুত দাহ করা হল? সিবিআই দফতরে হাজিরা তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় এবার পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষকে তলব করল সিবিআই (CBI)। সোমবার তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। সকাল ১১টার আগেই তিনি কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতরে পৌঁছে যান। নির্যাতিতার দেহ দাহ করার সময়ে তৃণমূল বিধায়ক পানিহাটি শ্মশানে ছিলেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।

    তৃণমূল বিধায়কের তত্ত্বাবধানেই দ্রুত দেহ দাহ! (Nirmal Ghosh)

    জানা গিয়েছে, ৯ অগাস্ট নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গেই স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ (Nirmal Ghosh) হাসপাতালে গিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। তারা বিধায়কের বয়ানও রেকর্ড করছে। পরিবারের দাবি, ঘটনার রাতে প্রথমবার ময়না তদন্তের পর দেহ যখন আরজি কর থেকে বার করে নিয়ে আসা হয়, তখন সঠিক তদন্তের জন্য দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের আগেই দেহ দ্রুত আরজি কর থেকে বাড়িতে আনা হয়। বাবা-মা পৌঁছানোর আগেই সেই রাতে বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন নির্যাতিতার দেহ। বাড়ির সামনে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক নির্মল ঘোষ। অভিযোগ, বিধায়কের তত্ত্বাবধানেই দ্রুত দেহ পানিহাটি শ্মশানে নিয়ে গিয়ে দাহ করে দেওয়া হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, আরজি করকাণ্ডের তদন্তে নেমে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর বিধায়কের কাছ থেকে জানতে চান তদন্তকারীরা। সেই তথ্য জানতে সিবিআই-এর তরফ থেকে বিধায়কের কাছে ফোন যায়। সেই সূত্রেই তিনি এদিন হাজিরা দেন।  

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    কী বললেন নির্মল?

    সোমবার সিজিওতে পৌঁচ্ছে নির্মল (Nirmal Ghosh) বলেন, ‘‘এটা তো আমার এলাকার ঘটনা। আমার কিছু জিনিসপত্র জমা দেওয়ার আছে। তাই এসেছি।’’ ঘটনার দিন আরজি কর থেকে সংবাদমাধ্যমকে নির্মল বলেছিলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য মূল অপরাধীকে ধরা। সকলে তার জন্য চেষ্টা করছেন। সিপি-সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এসেছেন। প্রশাসনিক কর্তারাও আছেন। একটি নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। কর্তব্যরত চিকিৎসককে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। বিচার সুনিশ্চিত করার জন্য আমাদের তরফ থেকে যা করার করছি। ক্যামেরার সামনেই যা হওয়ার হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, আরজি করকাণ্ডে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গ্রেফতার করা হয়েছে টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও। এই মামলায় চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে, টালা থানার এসআইকে সিজিওতে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা। নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত করেছিলেন যে চিকিৎসক, সেই অপূর্ব বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ বার নির্মলকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: দশমীর দিনেই অপরাজিতা পুজো করতেন রাজারা! কেন জানেন?

    Durga Puja 2024: দশমীর দিনেই অপরাজিতা পুজো করতেন রাজারা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণত নবরাত্রির পরেই এই অপরাজিতা পুজোর অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। অবশ্য উদ্দেশ্য বিজয়সংকল্পের পুজো। প্রাচীনকাল থেকেই হিন্দু রাজারা যুদ্ধে জয়ী হতে দেবী শক্তির আরাধনা করতেন। দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) দশমীর দিনেই এই অপরাজিতা পুজো অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সকাল সকাল স্নান সেরে এক্কেবারে পুজোতে বসে পড়তে হয়। বাড়ির পুজোর ক্ষেত্রে একটু আবেগ বেশি থাকে। এরপর চলে সিঁদুর খেলা, মন্ত্রপাঠ, ঘট বিসর্জনের রীতি। কিন্তু এসব চলার মধ্যেই অপরাজিতা গাছের পুজো হয়। পুজো শেষে অপরাজিতা (Aparajita Puja) লতা হাতে জড়িয়ে নেওয়া হয়।  

    কৌটিল্য কী বলেছেন(Durga Puja 2024)?

    অপরাজিতা (Aparajita Puja) গাছের পুজো কেন হয়? কেনই বা অপরাজিতা লতা আমরা বাঁধি নিজেদের হাতে। কার্যত দেবী দুর্গার (Durga Puja 2024) দশমীর পুজোতে বিজয়লাভের সংকল্প বা প্রতিজ্ঞা নিয়ে হয় অপরাজিতা পুজো। কথিত রয়েছে, আগেকার দিনে নবরাত্রির পরই রাজারা যুদ্ধযাত্রা করতেন। দিনটা হত বিজয়া দশমীর দিনেই। যুদ্ধের জন্য এই সময়টাকেই বেছে নিতেন রাজারা। তার অবশ্য একটা কারণ ছিল। আচার্য চাণক্য বা কৌটিল্য তাঁর ‘অর্থশাস্ত্র’-এ লিখেছেন, এই সময় হল যুদ্ধযাত্রার শ্রেষ্ঠ সময়। পণ্ডিত রঘুনন্দন তাঁর ‘তিথিতত্ত্ব’ গ্রন্থেও একই কথা বলেছেন। ওখানে বলা হয়, রাজা যদি দশমী তিথির পর যুদ্ধযাত্রার  সূচনা করেন, তাহলে পরাজয় সম্ভব নয়। তাই যুদ্ধে অপরাজেয় থাকতে এদিনেই যাত্রা করতেন রাজারা। বিজয়কে আলিঙ্গনের প্রত্যাশা নিয়েই করা হত অপরাজিতা পুজো। একই সঙ্গে চলত রাজাদের বিজয়কে বরণের রীতিনীতি। এই ধারা আজও প্রতীকী রূপে প্রবহমান।

    ফুল, বেলপাতা দিয়ে পুজো করা হয়

    সাদা অপরাজিতা গাছকে বিজয়া দশমীর পুণ্য তিথিতে পুজো করা হয়। গাছটিকে দেবীরূপে কল্পনা হয়, ঠিক যেমনটা মহা সপ্তমীতে (Durga Puja 2024) নবপত্রিকাকে স্নান করানোর সময় উপাচার করা হয়। নবপত্রিকা যেমন নব দুর্গার প্রতীক, মা দুর্গার বৃক্ষরূপ ভেবে পুজো করা হয়, একই ভাবে অপরাজিতা গাছকে দেবীর বিজয়ের প্রতীকরূপে পুজো করা হয়। অশুভ শক্তির উপর শুভ শক্তির জয়ের প্রতীক, আসুরিক সমস্ত শক্তির বিনাশের প্রতীক। ফুল, বেলপাতা দিয়ে পুজো হয় অপরাজিতা গাছের। অনেকে আবার ঘটস্থাপন করেও পুজো করে থাকেন। পুজোর ফললাভের জন্য হাতে অপরাজিতা লতা বাঁধার রীতির কথা তো আগেই বলা হয়েছে।

    রামের মতো বিজয় সঙ্কল্প

    পুজোর (Durga Puja 2024) সময় দেবীর উদ্দেশে প্রার্থনা জানানো হয়, ‘‘হে অপরাজিতা দেবী, তুমি সর্বদা আমার বিজয় যাত্রাকে অক্ষুণ্ন রাখ। শত্রুপক্ষকে  বিনাশ করার মতো পর্যাপ্ত ক্ষমতা আমাকে প্রদান করো। অশুভ সমস্ত শক্তি যেন পরাভূত হয় আমার কাছে। আমাকে তুমি অপ্রতিরোধ্য করে তোল। আমার সমস্ত আত্মীয়, পরিবার, পরিজন , মিত্রদের  মঙ্গল করো। শত্রুপক্ষকে ধ্বংস করে বিজয় লাভের জন্য আমি তোমাকে দক্ষিণ হাতে ধারণ করছি। তুমি শত্রু নাশ করে নানা সমৃদ্ধির সাথে আমাকে বিজয় দান কর। আমার জীবন যেন সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ হয়। রামচন্দ্র যেমন অত্যাচারী রাবণের উপর বিজয় লাভ করেছিলেন, আমিও যেন সেইরূপ জয় লাভ করতে পারি”।

    দশমীতে অস্ত্রপূজন হয়

    রামায়ণে দশমীর (Durga Puja 2024) তিথিতেই রাবণ বধ হয়েছিলেন। আবার এই তিথিতেই মহিষাসুর বধ হন। একই ভাবে মহাভারতে এই তিথিতেই পান্ডবরা অজ্ঞাত বাস শেষে শমী বৃক্ষের কোটর থেকে তাঁদের লুকিয়ে রেখে যাওয়া অস্ত্র বের করেন। দশমীতে অস্ত্রপূজন করা হয়। আবার এই তিথিতেই কুবের অযোধ্যায় স্বর্ণবৃষ্টি করেছিলেন বলেই পৌরাণিক মত রয়েছে। বিজয়, সমৃদ্ধির জন্য মাতৃ আরাধনা করেই যুদ্ধ যাত্রার রীতি ছিল প্রাচীন ভারতীয় হিন্দু রাজাদের মধ্যে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বন্যায় ভেঙেছে বাড়ি, বেতন থেকে দুর্গতকে ৫ লক্ষ টাকা তুলে দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বন্যায় ভেঙেছে বাড়ি, বেতন থেকে দুর্গতকে ৫ লক্ষ টাকা তুলে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসহায় বন্যা দুর্গত পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু, এভাবে তিনি যে কথা রাখবেন তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া (Panskura Flood) ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গনেশচন্দ্র ভুঁইঞা। কথা দিয়েছিলেন তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার। সেই কথা রাখলেন শুভেন্দু। ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই সাহায্য পৌঁছে গেল ভাঙা বাড়ির মালিকের কাছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Suvendu Adhikari)

    টানা বৃষ্টি এবং ব্যারেজের জল ছাড়ার জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা বানভাসি। হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান সবচেয়ে বেশি প্লাবিত। ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে ঘাটালে বন্যার্তদের ভয়াবহ ছবি। একটু খাবার-ত্রিপলের জন্য হাহাকার করতে দেখা যায় তাঁদের। ২০ সেপ্টেম্বর প্লাবিত পাঁশকুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের জড়ন্দায় গিয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁকে (Suvendu Adhikari) সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন গণেশবাবু ও তাঁর স্ত্রী। বলতে থাকেন কীভাবে নিমেশের মধ্যে তাঁর দোতলা বাড়ি-ঘর সর্বস্ব জলে ভেঙে গিয়েছে। সেদিন আশ্রয়হীন দুর্গতের গামছা দিয়ে চোখের জল মুছিয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর সামনে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগড়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, বাঁধের ধস আটকাতে সেচ দফতরকে জানিয়েছিলাম। সেচ দফতরের ঠিকাদার কয়েকটি বস্তা দিয়ে চলে যান। বাঁধ মেরামত করেননি। সেদিন শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “আমি সরকার নই। তবে, আমি ব্যক্তিগতভাবে ৫ লক্ষ টাকা দেব।” তিনি আরও বলেন, “মেদিনীপুরের লোক মানেই আমার আত্মীয়। আমি সরকারের কেউ নই। তবুও বন্যার্তদের জন্য যতটুকু পারব করব।”

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    শুভেন্দুর দেওয়া চেক পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন দুর্গত

    রবিবার শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) প্রতিশ্রুতি মতো সেই টাকা দিয়ে যান শুভেন্দুর টিমের সদস্যরা। তাঁর মাসিক বেতন থেকে এই টাকা শুভেন্দু দিয়েছেন বন্যাদুর্গতদের। পাঁচ লক্ষ টাকার চেক হাতে পেয়ে ফের কান্নায় ভেঙে পড়লেন গণেশবাবু। সেদিন কেঁদেছিলেন আশ্রয় হারিয়ে, এদিন কাঁদলেন অন্ধকারের মধ্যে আশার আলো দেখে। অশেষ কৃতজ্ঞতা জানালেন শুভেন্দু অধিকারীকে। এই ঋণ তিনি কোনওদিন শোধ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Heart Disease: ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যেও বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা!

    Heart Disease: ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যেও বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি! বাদ নেই ভারত। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বছর সময়ের আগেই ভারতীয়দের মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ হৃদরোগ। বিশেষত ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। হার্ট অ্যাটাকে (Heart Disease) আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগ বেড়ে যাওয়া যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল। তাই এ বছর ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে উপলক্ষে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সতর্কতাই পারবে হৃদরোগের বড়‌ ঝুঁকি রুখতে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সময় মতো হৃদযন্ত্রের খেয়াল রাখতে পারলে, হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগের মোকাবিলা সহজ হয়। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই অসচেতনতার জেরে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে।

    তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে কেন বাড়তি উদ্বেগ? (Heart Disease)

    সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ভারতে ৫৫ বছর বয়সের আগেই ৫০ শতাংশ ভারতীয় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। বিশেষত করোনা পরবর্তীকালে এই সমস্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। তিরিশ থেকে চল্লিশ বছর বয়সি ভারতীয়দের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বেড়েছে। এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে। দেড় দশক আগেও‌ এই ধরনের শারীরিক সমস্যা ৫০ বছর বয়স পার করেই দেখা দিত। তার সঙ্গে কম বয়সিদের মধ্যে ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরলের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সব মিলিয়ে তরুণ প্রজন্মের স্বাস্থ্য সমস্যা দেশের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা?

    ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে উপলক্ষে দেশ জুড়ে নানান কর্মসূচি নিয়েছেন চিকিৎসকেরা। মানুষকে হৃদরোগ (Heart Disease) সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করতে নানান কর্মশালার আয়োজন করেছেন তাঁরা। জীবন যাপন স্বাস্থ্যকর থাকলে হার্ট অ্যাটাক মোকাবিলা সহজ, এই সব কর্মশালায় সে সম্পর্কেও সাধারণ মানুষকে সজাগ করা হচ্ছে। তবে, বংশানুক্রমিক হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে, নিজের উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা থাকলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষাও জরুরি। যাতে হৃদযন্ত্রের কোনও সমস্যা হলে প্রথম পর্বেই রোগ চিহ্নিত হয়। তাহলে বড় বিপদ আটকানো সহজ হবে।

    তরুণ প্রজন্মকে কোন ‘তিন মন্ত্রে’ হৃদযন্ত্রের যত্ন শেখাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক কসরত এবং ঘুম-এই তিনটি দিকে তরুণ প্রজন্ম নজর দিলেই হৃদরোগের (Heart Disease) ঝুঁকি কয়েকগুণ কমবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, বছর কুড়ির চৌকাঠে পৌঁছনোর আগেই স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনকে অভ্যাস করতে হবে। তাঁদের পরামর্শ, প্রথম থেকে ঘুমের জন্য পর্যাপ্ত সময় নির্ধারণ করতেই হবে। দিনে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। স্কুল জীবনে রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়া এবং ভোরে ওঠার অভ্যাস থাকলেও পরবর্তীতে অনেকেই সেই অভ্যাস ধরে রাখতে পারেন না। ফলে গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকা এবং অনেক দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা, প্রাতঃরাশ না করার মতো একাধিক অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু নিয়মিত ভোরে ঘুম থেকে ওঠা, সকালে অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটা কিংবা অন্য কোনও শারীরিক কসরত করার অভ্যাস শরীরকে সুস্থ রাখার অন্যতম হাতিয়ার (High blood pressure)। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, ডায়াবেটিস আটকানোর সহজ পথ শরীরে পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং যোগাভ্যাস। এর পাশপাশি খাবারেও নজরদারি জরুরি। বিশেষত তেলজাতীয় খাবার যে কোনও রকম ভাজা কিংবা অতিরিক্ত রাসায়নিক দিয়ে তাজা রাখা মাংস খাওয়া একেবারেই চলবে না। প্রাণীজ প্রোটিনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সব্জি এবং ফল নিয়মিত খেতে হবে। খাওয়ার পরিমাণেও সতর্কতা জরুরি। রক্তের শর্করা, দেহের ওজন এবং কোলেস্টেরল-এই তিনের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই তরুণ প্রজন্ম হৃদরোগকে সহজেই মোকাবিলা করবে বলেই মনে করছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন সুস্থ জীবনের একমাত্র পথ!

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: জোড়া ঘূর্ণাবর্ত, মহালয়ার আগেই ভাসবে বাংলা! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    Weather Update: জোড়া ঘূর্ণাবর্ত, মহালয়ার আগেই ভাসবে বাংলা! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে ফের বৃষ্টি বাংলায়। হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে, সোমবারই বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হতে চলেছে। তা থেকে পরবর্তী সময়ে নিম্নচাপও দানা বাঁধতে পারে। মঙ্গলবার থেকে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) সম্ভাবনা রয়েছে। 

    কোথায় নিম্নচাপ

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানিয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ মায়ানমার উপকূল সংলগ্ন এলাকায় দু’টি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। মৌসুমি অক্ষরেখা বিস্তৃত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার উপর দিয়ে। তা ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল থেকে দক্ষিণ মায়ানমার উপকূল পর্যন্ত আরও একটি অক্ষরেখা রয়েছে। এর প্রভাবে ঘূর্ণাবর্তগুলি থেকে সোমবারই একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে। অন্যদিকে, আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, সোমবার থেকেই দেশ থেকে মৌসুমী বায়ু একটু একটু করে সরে যাবে।  ২৩ সেপ্টেম্বর, সোমবার রাজস্থানের বেশ কিছু অংশ থেকে বর্ষা বিদায় নিতে পারে। ধীরে ধীরে উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলি থেকে বর্ষা বিদায় নেবে।

    কোথায় কত বৃষ্টিপাত

    আলিপুর হাওয়া অফিসের (Weather Update) পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার সতর্কতা রয়েছে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার জন্য। তবে বুধবার থেকে দক্ষিণের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধ এবং বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি (Heavy Rain) হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পূর্ব বর্ধমানে। বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে সর্বত্র।

    আরও পড়ুন: প্রজ্ঞা-তানিয়াদের দাপট! দাবা অলিম্পিয়াডে প্রথম বার জোড়া সোনা ভারতের

    উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাত

    সোমবার দার্জিলিং থেকে মালদা সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update) রয়েছে। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি (Heavy Rain), সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে। বুধবার উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। সঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি এই তিন জেলায়। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এই চার জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। বাকি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share