Tag: Madhyom

Madhyom

  • Burdwan Medical: মনোরঞ্জন করতে হবে! অভীকের নৈশপার্টিতে চলত দেদার মদ, ভয় দেখিয়ে ডাকা হত ছাত্রীদের

    Burdwan Medical: মনোরঞ্জন করতে হবে! অভীকের নৈশপার্টিতে চলত দেদার মদ, ভয় দেখিয়ে ডাকা হত ছাত্রীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ অভীক দে (Avik Dey)  এবং তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের কুকীর্তি প্রকাশ্যে এসেছে। যা জানলে বোঝা যাবে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে (Burdwan Medical) অভীক ও তাঁর বাহিনীর দাপট কতটা ছিল। তাঁর দাপটে জুনিয়র ডাক্তাররা ভয়ে সিঁটিয়ে থাকতেন। বিশেষ করে ডাক্তারি পড়়ুয়া ছাত্রীদের সঙ্গে যে আচরণ করা হত, তা শুনলে চোখ কপালে উঠবে। আনন্দ বাজারে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভীকদের রাতভর পার্টি চলত। ছুটত মদের ফোয়ারা। সেখানেই, ছাত্রীদের জোর করে ডাকা হত। তাদের দিয়ে পরিবেশন করা হত। এমনকী, তাদের বলা হত, মনোরঞ্জন করতে!

    কে এই অভীক দে ? (Burdwan Medical)

    দুর্নীতি, দাদাগিরি, তোলাবাজি, ‘থ্রেট কালচার’-সহ একাধিক অভিযোগে বিদ্ধ অভীক। তিনি ছিলেন বর্ধমান মেডিক্যালে আরএমও। পরে, সার্ভিস কোটা এসএসকেএমে সার্জারি বিভাগে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি হন। আরজি কর কাণ্ডের জেরে তাঁকে এসএসকেএম থেকে সাসপেন্ড করা হয়। পাশাপাশি কলেজ ও হস্টেলে ঢোকায় জারি হয় নিষেধাজ্ঞা।

    আরও পড়ুন: তিরুপতির প্রসাদ লাড্ডুতে পশু চর্বি! হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত, সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

     পার্টিতে রাতভর মদ্যপান, জোর করে ছাত্রীদের ডাকা হত!

    আনন্দবাজারে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি অভীকের কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে গঠিত হয়েছে চার সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। কমিটির কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে জানা গিয়েছে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক ভবনের ওপরের তলায় কলেজের গেস্ট হাউস। সেখানে তিন- চারটি ঘর পাকাপাকি ভাবে কব্জায় ছিল অভীক দে ও তাঁর ডান হাত হিসেবে পরিচিত বর্ধমানের চিকিৎসক (Burdwan Medical) বিশাল সরকার ও উমর ফারুখের জন্য। সেখানে রাতভর চলত পার্টি, মদ্যপান। সেখানে হস্টেল থেকে প্রথম, দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি ছাত্রীদের জোর করে এবং ভয় দেখিয়ে ডেকে আনা হত। তাঁদের দিয়ে খাবার ও মদ পরিবেশন করানো হত। এমনকী অতিথিদের মনোরঞ্জনের নির্দেশও দেওয়া হত বলে অভিযোগ। নির্দেশ না মানলে পরীক্ষায় বসতে না দেওয়া এবং রেজিস্ট্রেশন আটকানোর হুমকি দেওয়া হত। ২০২২-২৩ সালের ছাত্রীরা সেই পার্টিতে যাওয়ার নির্দেশ না মানায় অভীক-সঙ্গী বিশাল ওই ব্যাচের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

    রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের রাতে সঙ্গ দিতে ছাত্রীদের প্রস্তাব

    আনন্দবাজারের তথ্য অনুযায়ী, তদন্ত কমিটির কাছে যে লিখিত অভিযোগ এসেছে তাতে বলা হয়েছে, মেডিক্যাল (Burdwan Medical) পড়ুয়াদের ব্যক্তিগত ফোন নম্বর জোর করে নিজেদের কাছে রাখতেন অভীক। তার পরে সেই নম্বর চলে যেত ‘রাজনৈতিক প্রভাবশালী’দের কাছে। এমনকী রাতে তাঁদের সঙ্গ দিতে ডাক পড়ত সেই শিক্ষানবিশদের। সম্মত না হলে চলত ভয় দেখানো, হেনস্থা এবং পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি- এমনই লিখিত অভিযোগ গিয়েছে তদন্তকারীদের কাছে। বহু ছাত্রী তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছেন, সরস্বতী পুজোর আগে বেছে বেছে ছাত্রীদের ডেকে বলা হত, পুজোর দিন অভীকের ঘনিষ্ঠ সিনিয়রদের সঙ্গিনী হয়ে ঘুরতে হবে। সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কমিটিতে এত বিপুল চিঠি, তথ্য জমা পড়ছে যে, রিপোর্ট দিতে আরও ১৪ দিন সময় চেয়েছেন তাঁরা।

    লক্ষ লক্ষ টাকায় ভিন রাজ্যে হাড় পাচার

    কমিটির তদন্তে এ-ও জানা গিয়েছে যে, নিয়মিত বর্ধমানের (Burdwan Medical) মর্গ থেকে মৃতদেহের ভিসেরা ও হাড় ৭ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিহার, উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে পাচার করা হত এবং এর পিছনেও ছিল অভীক বাহিনী। বর্ধমান মেডিক্যালের অধ্যক্ষ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “তদন্ত কমিটির কাজ চলছে। তাদের যা জানানোর জানাচ্ছি। এর বাইরে কিছু বলা যাবে না।”

    ছাত্রীদের মোবাইলে অশালীন মেসেজ!

    আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, পরীক্ষায় কারা গার্ড দেবেন সেই তালিকাও অভীকের তত্ত্বাবধানে ঠিক করতেন চিকিৎসক বিশাল ও অমলেন্দু দাস। বর্ধমানের (Burdwan Medical) এক চিকিৎসক তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছেন, তিনি অভীক বাহিনীর কথা শোনেননি বলে প্রতি বর্ষে এক বার করে তাঁকে ফেল করানো হয়েছে। চূড়ান্ত হতাশ হয়ে তিনি আত্মহননের চেষ্টাও করেছিলেন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ সূত্রের খবর, অভীকের ঘনিষ্ঠ বিশাল ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের মেডিক্যালের শিক্ষানবিশ ছাত্রীদের অশালীন মেসেজ পাঠাতেন, রাতে ঘরে ডেকে পাঠাতেন ও ঘুরতে যেতে চাপ দিতেন। পরীক্ষার হলে ছিল তাঁর অবাধ গতিবিধি। পছন্দের ছাত্রছাত্রীদের কাছে গিয়ে উত্তর বলে দিতেন প্রকাশ্যেই। কারা কারা অনার্স পাবে সেটাও অভীক, বিশাল ও অমলেন্দু কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে ঠিক করতেন বলে অভিযোগ জমা পড়েছে। ২০১৯-২০ এবং ২০২২-২৩ বর্ষের বহু মহিলা চিকিৎসকের অভিযোগ, অমলেন্দু তাঁদের রাতে কলেজের গেস্ট হাউসে ডাকতেন, মোবাইলে অশালীন মেসেজ পাঠাতেন। এ ব্যাপারে জানতে বিশালকে বহু বার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। আর অমলেন্দু বলেন, “এই সবই মিথ্যা অভিযোগ, চক্রান্ত।”

    তৃণমূলের মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য চাপ!

    গত লোকসভা ভোটে অভীক-বাহিনী বর্ধমান মেডিক্যালের (Burdwan Medical) সুপারের ঘরে পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল প্রার্থী চিকিৎসক শর্মিলা সরকারের নির্বাচনী সভার আয়োজন করেছিল এবং সেখানে সব জুনিয়রের উপস্থিত থাকার ফতোয়া দিয়েছিল বলেও অভিযোগ জমা পড়েছে। সন্দীপ ঘোষকে আরজি কর থেকে বদলির পরে বর্ধমান থেকে বহু ছাত্রছাত্রীকে অভীক তাঁর সঙ্গীরা জোর করে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে বিক্ষোভ-মিছিল করতে বাধ্য করেছিলেন বলেও অভিযোগ পেয়েছে কমিটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: তলব সিবিআইয়ের, সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক বিরূপাক্ষর

    RG Kar Case: তলব সিবিআইয়ের, সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক বিরূপাক্ষর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যার তদন্তে সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে সিবিআই-এর (CBI) এই তলবে চাপ আরও বাড়ল হাসপাতালের চিকিৎসক সন্দীপ ঘোষের। ডাক পেয়ে এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছান বিরূপাক্ষ। তাঁকে করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ। ঘটনার দিনের একটি ভিডিওতে সন্দেহজনকভাবে ক্রাইম সিনে তাঁকে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের।

    বেগুনি জামা পরনে ছিলেন বিরূপাক্ষের!

    আরজি কর হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Case) একটি ভিডিও সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়েছিল। (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।) সেখানে বেগুনি জামা পরনে এক ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলে লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাঁর গতিবিধি ছিল ভীষণ করম রহস্যজনক। ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, ক্রাইম সিনে দেখতে পাওয়া ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি হলেন বিরূপাক্ষ। এরপর থেকেই তাঁর উপস্থিতি নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    ঘটনায় কি বিরুপাক্ষ জড়িত?

    বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ মিলেছে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় থ্রেট সিন্ডিকেটের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তিনি বলে জানা গিয়েছে। তিনি এক ইন্টার্নকে ফোনে হুমকি দিয়েছিলেন বলে অডিও ভাইরাল হয়েছিল। (অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ মাধ্যম মাধ্যম।) সিজিও-তে (CBI) ঢোকার সময় প্রশ্ন করলে সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে যান নিজে। তবে কোনও নথি আনতে বারণ করা হয়েছিল। সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে সম্পর্কের কথা বললেই এড়িয়ে যান তিনি। অপর দিকে মামলার (RG Kar Case) তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই বার বার সুপ্রিম কোর্টে বৃহৎ ষড়যন্ত্রের কথা বলেছে। ফলে ঘটনায় কি বিরূপাক্ষ জড়িত? সন্দীপ ঘোষের কথায় কি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন? তথ্য প্রমাণ লোপাটে কি কোনও হাত রয়েছে? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই। যদিও সন্দীপকে সাসপেন্ড করলেও বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে এখনও কোনও কড়া পদক্ষেপ নেয়নি স্বাস্থ্য দফতর। কেবলমাত্র বর্ধমান থেকে কাকদ্বীপে বদল করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘ছোট না হলে প্রণাম করতাম’’, মাঝরাতে মশাল মিছিলে কুর্ণিশ জানালেন নির্যাতিতার মা

    টাকা নিয়ে ভর্তির সঙ্গে জড়িত!

    বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক আরও মারাত্মক অভিযোগ (RG Kar Case) রয়েছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্টিনে ২৩ হাজার ৮০০ টাকা বাকি রেখে চলে গিয়েছেন। ক্যান্টিন থেকে নিয়মিত খবার, চা, সিগারেট খেতেন। কিন্তু কোনও দিন বিল দেননি। ডাক্তারি পরীক্ষায় ভর্তির নামে এক ছাত্রের কাছ থেকে প্রচুর টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দুই দফায় মোট ৮ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। তবে সেই ছাত্রকে ভর্তি করাতে পারেননি তিনি। সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেননি, মাত্র ৪৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। পরে ২০২১ সালে জলঙ্গি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ অনেক দিন পদক্ষেপ নেয়নি, শেষে আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel-Hezbollah Conflict: কীভাবে হিজবুল্লার বিরুদ্ধে পেজার অপারেশনের ছক কষেছিল মোসাদ?

    Israel-Hezbollah Conflict: কীভাবে হিজবুল্লার বিরুদ্ধে পেজার অপারেশনের ছক কষেছিল মোসাদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লেবাননের হিজবুল্লা (Israel-Hezbollah Conflict) গোষ্ঠীর ওপর বারবার আক্রমণ চালাচ্ছে ইজরায়েল। পেজার, (Pager Blast) ওয়াকিটকির পর ল্যান্ডফোন বিস্ফোরণেই থেমে নেই তেল আভিভ। এয়ারস্ট্রাইকের মাধ্যমে লেবাননে হিজবুল্লার সামরাস্ত্রকেও টার্গেট করেছে ইজরায়েলি সেনা। এককথায় যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। মঙ্গলবার লেবাননের বিভিন্ন স্থানে একযোগে পেজার বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে হয়েছিল যার সূচনা। জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের বিশ্বখ্যাত গুপ্তচর বাহিনী মোসাদের তৈরি একটি বেনামি সংস্থাই এই পেজারগুলি তৈরি করেছিল এবং সেগুলিতে বিস্ফোরক সংযোজন করেছিল। এরপর গোপনে পরিকল্পনা করে সেই পেজার ইরান-সমর্থিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লাহকে সরবরাহ করা হয়।

    কীভাবে পেজার হামলার পরিকল্পনা

    এর আগে, মনে করা হয়েছিল যে ইজরায়েলের (Israel-Hezbollah Conflict) গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ সরবরাহ চেনে ঢুকে তাইওয়ানে তৈরি পেজারগুলিতে বিস্ফোরক লাগিয়েছিল। তবে নতুন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, ইজরায়েল প্রথম থেকেই একটি শেল (ভুয়ো) কোম্পানি তৈরি করেছিল, যার মাধ্যমে পেজারগুলি সরবরাহ করা হয়। এমনকী, আরও দুটি কোম্পানি তৈরি করেছিল ইজরায়েল, যাতে আসল নির্মাতাদের পরিচয় লুকানো যায়। মোসাদ তাদের ফোনে আড়ি পাতছে বা ট্র্যাক করছে ধরে নিয়ে হিজবুল্লার শীর্ষ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ তার সদস্যদের আধুনিক যোগাযোগ ডিভাইস, যেমন মোবাইল ফোন, ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন, কারণ সেগুলি হ্যাক বা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। সেই মোতাবেক, ফোনের বদলে পেজার ব্যবহার করার ফরমান জারি করেন নাসরাল্লাহ। কিন্তু পেজারকেও যে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে তা বুঝতে পারেনি হিজবুল্লা। আচমকা পেজার-অ্যাটাকের দাপটে হিজবুল্লা ঘাবড়ে গিয়েছে বলে একাংশের মত। 

    পরিকল্পনা করে হামলা

    নিরাপদ এবং গোপনীয় যোগাযোগের জন্য হিজবুল্লা (Israel-Hezbollah Conflict) হাজার হাজার পেজার কেনার আদেশ দেয়। গত কয়েক মাসে পেজারগুলি হাঙ্গেরি-ভিত্তিক একটি কোম্পানির মাধ্যমে লেবাননে আমদানি করা হয়। লেবানন থেকে পেজারগুলির অর্ডার পাওয়ার পরে, ইজরায়েলের গোয়েন্দারা একটি সংস্থা তৈরি করে। এই শেল কোম্পানিটি তিন বছরের ব্র্যান্ড-লাইসেন্সিং চুক্তির অধীনে তাইওয়ানের কোম্পানি গোল্ড অ্যাপোলোর ব্র্যান্ডিং ব্যবহার করেছিল। শেল কোম্পানিটি হাঙ্গেরিতে সদর দফতর স্থাপন করে, এবং তাইওয়ানের গোল্ড অ্যাপোলোর সাথে চুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের জন্য পেজার তৈরি করতে দেখা যায়। এরাই পরে হিজবুল্লার জন্য বিস্ফোরক যুক্ত পেজার তৈরি করে।

    লেবাননই এখন যুদ্ধক্ষেত্র

    মিডিয়ার একাংশের দাবি, পেজার-বিস্ফোরণের (Pager Blast) ঠিক আগে লেবাননে হামলা চালাবে বলে ইজরায়েল (Israel-Hezbollah Conflict) আগাম জানিয়ে রেখেছিল আমেরিকান প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনকেও। ওয়াশিংটন তা স্বীকার করলেও তাদের দাবি, হামলার ধরন সম্পর্কে তারা একেবারেই অবগত ছিল না। ইজরায়েল যে কোনও মুহূর্তে লেবাননে ‘গ্রাউন্ড ইনভেশন’ চালাতে পারে বলেও এখন আশঙ্কা একাংশের। লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অরাষ্ট্রীয় মিলিটারি (নন স্টেট অ্যাক্টর) সংগঠন বলে মনে করা হয়। লেবানন, সিরিয়া, ইরানে ছড়িয়ে থাকা হিজবুল্লার সদস্য সংখ্যা লাখখানেকের বেশি। যার মধ্যে শুধু লেবাননেই অ্যাক্টিভ যোদ্ধা অন্তত ২০ হাজার। ইজরায়েলি আগ্রাসন রুখতে ১৯৮২ সালে লেবানেন জন্ম নেয় ‘হেজবোল্লা— পার্টি অফ গড’। তাই হামাসের মতো হিজবুল্লার সঙ্গেও ইজরায়েলের সংঘাত কয়েক দশকের। গত ৭ অক্টোবরের পর হিজবুল্লা প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের পক্ষ নেওয়ার পর থেকেই তিক্ততা আরও বেড়েছে। ইলেকট্রনিক্স অ্যাটাকের পর এয়ারস্ট্রাইক তারই জের বলে মনে করা হচ্ছে। 

    হিজবুল্লা-র কাছে বড় ধাক্কা

    লেবাননে পেজার (Pager Blast) ও ওয়াকি-টকির বিস্ফোরণে ৮৭৯ জন হিজবুল্লা সদস্য নিহত হয়েছেন, এমনই তথ্য উঠে এসেছে হিজবুল্লার অভ্যন্তরীণ সামরিক গোয়েন্দা নথি থেকে। এই বিস্ফোরণে ১৩১ জন ইরানি ও ৭৯ জন ইয়েমেনিও প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২৯১ জন হিজবুল্লার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাও রয়েছেন। হিজবুল্লা প্রকাশ্যে বলেছিল যে বিস্ফোরণে তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় ক্ষতি হয়েছে, প্রথমিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে এই ঘটনায় ৩২ জন নিহত এবং ৩,০০০ জন আহত হয়েছেন। তবে হিজবুল্লার গোয়েন্দা নথি অনুযায়ী ৮৭৯ জন সদস্যের মৃত্যু, সংগঠনের জন্য এক বিশাল ধাক্কা।

    ইজরায়েলকে হুমকি

    হিজবুল্লা নেতা হাসান নাসরাল্লাহ ইজরায়েলকে (Israel-Hezbollah Conflict) হুমকি দিয়ে বলেছেন, এই হামলার জন্য ইজরায়েলকে চরম মূল্য দিতে হবে, কারণ তারা সব সীমা অতিক্রম করেছে।  এরপরই ফের বৃহস্পতিবার রাতে ইজরায়েলের যুদ্ধবিমান লেবাননের দক্ষিণে সবচেয়ে তীব্র হামলা চালায়। যা প্রায় এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় আক্রমণ। ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তারা দক্ষিণ লেবাননে শতাধিক রকেট লঞ্চার ধ্বংস করেছে। ওই লঞ্চারগুলো ইজরায়েলের দিকে নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: আরজি করের টেন্ডারের চিঠিও টালা থানার ওসিকে দিয়েছিলেন সন্দীপ, আর কী পেল সিবিআই?

    CBI: আরজি করের টেন্ডারের চিঠিও টালা থানার ওসিকে দিয়েছিলেন সন্দীপ, আর কী পেল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ থাকাকালীন ‘বেতাজ বাদশা’ হয়ে উঠেছিলেন সন্দীপ ঘোষ। হাসপাতালে অনুগামীদের নিয়ে আর্থিক দুর্নীতি করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর (CBI) সিজার লিস্টে সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh) নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। যা দেখে হতবাক হয়ে যান সিবিআই কর্তারা।

    সন্দীপের বাড়িতে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য

    সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে ২৮৮ পাতার আরটিআই-এর কপি ও অভিযোগপত্র। পাওয়া গিয়েছে ৭৩০ পাতার টেন্ডার সংক্রান্ত নথিও। সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকে মিলেছে অভ্যন্তরীণ কমিটির ৫১০ পাতার গোপন রিপোর্ট। যে সব নথি সন্দীপ ঘোষের অফিসে থাকার কথা সেগুলি তাঁর বাড়িতে কেন ছিল? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই। সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) সরকারি ই-টেন্ডারের সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। ই-টেন্ডারের চিঠি কেন টালা থানার ওসি-কে দেওয়া হয়েছিল জানার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    ষড়যন্ত্রে যোগসাজশ সন্দীপ-অভিজিতের

    ইতিমধ্যেই আরজি কর মেডিক্যালে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের মধ্যে যোগসাজশ ও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দাবি করেছে সিবিআই। রিমান্ড লেটারে কেন্দ্রীয় এজেন্সির (CBI) দাবি, ৯ অগাস্ট দুপুরে আর জি কর মেডিক্যালের সুপারকে দিয়ে সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) টালা থানায় যে অভিযোগ করিয়েছিলেন, তাতে সঠিক তথ্য ছিল না। এমনকী, জেনে বুঝে আত্মহত্যার তত্ত্ব ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সিবিআই আরও দাবি করেছে, গোটা ঘটনাটাকে গুরুত্বহীন করে দেখাতে চাওয়ার জন্যই তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেননি তৎকালীন অধ্যক্ষ। এমন ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যা করণীয়, তাতেও গাফিলতি দেখিয়েছেন সন্দীপ। ৯ অগাস্ট সকাল ১০টা ৩ মিনিটে টালা থানার ওসি-কে ফোন করলেও সন্দীপ নিজেই এক ঘণ্টা দেরিতে হাসপাতালে যান। রিমান্ড লেটারে দাবি করেছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: তিরুপতির প্রসাদ লাড্ডুতে পশু চর্বি! হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত, সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

    ওসির ওপর প্রভাবশালীর চাপ!

    জানা গিয়েছে, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিতের ওপরে প্রভাবশালীর চাপ ছিল। এক সিবিআই (CBI) আধিকারিক বলেন, ‘খুন হওয়া তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার ময়নাতদন্ত করানোয় স্থানীয় ওসি বা তদন্তকারী অফিসারের ওপরে প্রভাবশালীর চাপ ছিল বলে সন্দেহ বাড়ছে। এমনকী দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের সব সম্ভাবনা নির্মূল করে রাতেই মৃতদেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্যেও ওসি-র ওপরেও প্রভাবশালীরা কলকাঠি নাড়ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ইঙ্গিত মিলেছে।’ তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ যাতে দ্বিতীয়বার কোনও মতে ময়নাতদন্ত না করা যায়, তার জন্যেই অভিজিৎবাবু অতিসক্রিয়তা দেখিয়েছিলেন বলে সূত্র মিলেছে।

    ওসি-র মাথার ওপর কে কলকাঠি নেড়েছে?

    এক সিবিআই আধিকারিক বলেন, ‘অনায়াসে রাতে মৃতদেহ সংরক্ষণ করা যেত। কিন্তু পুলিশ রাতেই দাহ কাজ সারতে মরিয়া হয়ে ওঠে। তদন্তকারীদের এমন ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার জোরালো কারণ রয়েছে।’ সিবিআইয়ের (CBI) দাবি, দেহ ময়নাতদন্ত করা বা না-করা নিয়ে সব সিদ্ধান্ত একা ওসি-র পক্ষে নেওয়া সম্ভব ছিল না। সেদিন মৃতার মা, বাবা তো দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের অনুরোধও করেছিলেন। এই আবহে ধৃত অভিজিতের ফোনের কিছু নথি থেকে বেশ কিছু সূত্র মিলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই আবহে টালা থানার অতিরিক্ত ওসির সঙ্গে ইতিমধ্যে কথাও বলেছে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sealdah: পুজো উপলক্ষে রেলের বড় উদ্যোগ, শিয়ালদা ডিভিশন নিয়ে হল একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত

    Sealdah: পুজো উপলক্ষে রেলের বড় উদ্যোগ, শিয়ালদা ডিভিশন নিয়ে হল একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন পরেই দুর্গাপুজো (Durga puja)। এদিকে রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে একাধিক প্রশাসনিক বৈঠকের আয়োজন শুরু হয়েছে। একই ভাবে রেলের তরফ থেকেও পুজোর ব্যস্ততাকে মাথায় রেখে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত করা হয়েছে। জেলা ও মফস্বলের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ কলকাতায় যেমন কেনাকাটা করতে আসে, একই ভাবে পুজোমণ্ডপ-প্রতিমা দেখার জন্য বহু মানুষ ভিড় জমান শহরে। এই বিষয়কে মাথায় রেখে রেল বাড়তি উদ্যোগ নিয়েছে। শিয়ালদা (Sealdah) ডিভিশনে যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে যাত্রা নিরাপদ এবং স্বাচ্ছন্দ করতে একাধিক পদক্ষেপ করছে রেল। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে যেমন মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে জেনারেল কোচ বাড়ানো হবে। তেমনই, ভিড় সামলাতে খোলা হবে অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টার। আবার, নিরাপত্তাও জোরদার করা হবে।

    থাকবে ‘মে আই হেল্প ইউ’ (Sealdah)

    পুজোতে (Durga puja) যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে রেলের পক্ষ থেকে ‘মে আই হেল্প ইউ’ লেখা বুথ খোলার পরিকল্পনা করেছে পূর্ব রেল। শিয়ালদা (Sealdah), দমদম, কলকাতা স্টেশনের মতো ব্যস্ত স্টেশনগুলিতে এই পরিষেবা দেওয়া হবে। সেখানে হাসপাতাল, ফায়ার ব্রিগেড-সহ একাধিক প্রয়োজনীয় নম্বর দেওয়া হবে। বারাসত, খড়দা, বালিগঞ্জ, বারাকপুর, বনগাঁ সহ একাধিক জাগয়ায় বেশি পরিমাণে মোতায়েন করা হবে নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়াও রেললাইনের ধারের প্যান্ডেলে আরপিএফ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে জেনারেল কোচ বাড়ানো হবে। পাশাপাশি, গ্যালোপিং ট্রেনগুলি সব স্টেশনে থামবে বলে জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘ছোট না হলে প্রণাম করতাম’’, মাঝরাতে মশাল মিছিলে কুর্ণিশ জানালেন নির্যাতিতার মা

    ২৪ ঘণ্টা পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে

    অতিরিক্ত ৫টি নতুন টিকিট কাউন্টার খোলা হবে। শিয়ালদা মেইন লাইনে ৪টি এবং দক্ষিণ  শাখায় ১টি করে টিকিট কাউন্টার খোলা হবে। কাউন্টারগুলিতে বুকিং ক্লার্কও মোতায়েন করা হবে। শিয়ালদা (Sealdah), বিধাননগর, দমদম, বালিগঞ্জ, সোনারপুর, কলকাতা, কাঁচরাপাড়া, বারাকপুর, মাঝেরহাট, কৃষ্ণনগরের মতো স্টেশনে ট্রেন ইন্ডিকেশন বোর্ড এবং প্যাসেঞ্জার অ্যাড্রেস ব্যবস্থা বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এখানে ২৪ ঘণ্টা পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে। মহিলা, শিশু এবং প্রবীণ নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। বিকেল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিনিয়র স্কাউটস, সেন্ট জনস অ্যাম্বুল্যান্স এবং সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের নিয়োগ করা হবে। স্টেশন গুলিতে থাকবে বাড়তি সুরক্ষার ব্যবস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: ‘‘ছোট না হলে প্রণাম করতাম’’, মাঝরাতে মশাল মিছিলে কুর্ণিশ জানালেন নির্যাতিতার মা

    RG Kar Protest: ‘‘ছোট না হলে প্রণাম করতাম’’, মাঝরাতে মশাল মিছিলে কুর্ণিশ জানালেন নির্যাতিতার মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Protest) সুবিচারের দাবিতে রাত জাগল কলকাতা। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে মধ্যরাতে অঙ্গীকার করলেন আন্দোলনকারীরা। প্রতিবাদের এই লড়াই চলবে, সাফ জানিয়ে দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররাও। এই আন্দোলনে যোগ দিয়ে নির্যাতিতার বাবা-মা জুনিয়র ডাক্তারদের কুর্ণিশ জানালেন। জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে বললেন, ‘‘ছোট না হলে প্রণামই করতাম।’’ 

    মশাল মিছিলে হুইলচেয়ারে প্রবীণরা (RG Kar Protest)

    শুক্রবার স্বাস্থ্যভবন থেকে সিজিও পর্যন্ত মিছিল করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অন্যদিকে দক্ষিণ কলকাতার হাইল্যান্ড পার্ক থেকে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার পর্যন্ত দীর্ঘ ৪২ কিলোমিটার রাস্তা মশাল হাতে মিছিল (RG Kar Protest) করল নাগরিক সমাজ। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছিল, ‘তিলোত্তমার জন্য একসাথে, এক পথে’। রাত দখল আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সির গবেষক ছাত্রী রিমঝিম সিন‍্‍হা। তিনিই শুক্রবারের মশাল মিছিলের অন্যতম আয়োজক। তিনি জানান, রাত দখলের কর্মসূচির দিনেই ঘোষণা করা হয়েছিল আরজি করের ঘটনায় দোষীদের সাজা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। শুক্রবারের মিছিল চলমান আন্দোলনের আর একটি ধাপ। 

    এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ শুরু হয় এই মিছিল। রুবি ক্রসিং, ভিআইপি বাজার, সায়েন্স সিটি, চিংড়িঘাটা, বেলেঘাটা বিল্ডিং মোড়, মল্লিক বাজার, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও এসএসকেএম হাসপাতাল হয়ে মিছিল শেষ হয় শ্যামবাজারে। বিচারের দাবিতে মিছিলে পা মেলান সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। কোথাও হুইলচেয়ারে, কোথাও ওয়াকার নিয়েই মিছিলে সামিল হয়েছিলেন প্রবীণরাও। মিছিলে ছিলেন তারকা, বুদ্ধিজীবী, কর্পোরেট সংস্থার কর্মী, সরকারি চাকরিজীবী, বিজ্ঞানী, অধ্যাপক এমনকী বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরাও৷ মিছিলে নেমেছিলেন সেলিব্রিটিরাও। শুক্রবারের মিছিলে ছিলেন কিছু অভিনেতা ও ফিল্ম পরিচালকও। মিছিলে দেখা যায় বিরসা দাশগুপ্তকেও। পথে নেমেছিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র, বিদীপ্তা চক্রবর্তীরাও। মিছিলে স্লোগান ওঠে, ‘মশাল হাতে এক স্বর/ জাস্টিস ফর আর জি কর’। ‘আামার রাজ্য আমার দেশ/ অত্যাচারির হবে শেষ’। আন্দোলনের জনজোয়ারই বুঝিয়ে দিচ্ছিল যে এই প্রতিবাদ থামার নয়। এই আগুন নিভবে না। ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা শহর। নির্যাতিতার বিচার না হওয়া পর্যন্ত পথে নেমে এই আন্দোলন চলবে। এদিন গড়িয়াহাট মোড় থেকে রাসবিহারী পর্যন্তও হয় আরও একটি নাগরিক মিছিল। 

    আরও পড়ুন: তিরুপতির প্রসাদ লাড্ডুতে পশু চর্বি! হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত, সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

    ছোট না হলে প্রণাম করতাম

    শ্যামবাজারে নেতাজির মূর্তির পাদদেশে হাজির ছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সেখান থেকে কিছুটা দূরেই আরজি কর। রাত তখন আড়াইটে মশাল তুলে দেওয়া হল নির্যাতিতার পরিবারের হাতে। সকলের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চোখের জল ঝরালেন নির্যাতিতার মা। তিনি বললেন, ‘‘৯ তারিখের পর থেকে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছি। মুখে কোনও কথা আসে না। কারণ, বুকের ব্যথা মুখ দিয়ে ব্যক্ত করা যায় না। ব্যথাটা বুকেই রয়েছে। তবে, একটাই আশা যে এত সাধারণ নাগরিক আমার পাশে আছেন, সবাই আমার মেয়েকে তাঁদের পরিবারের মেয়ে ভেবে আন্দোলনে নেমেছেন। আর জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) তাঁরা তো আমার ছেলে-মেয়ে। তাঁরা যেভাবে ঝড়ে-বৃষ্টিতে রোদে পুড়ে কষ্ট করে এতদিন ধরে লড়াই (RG Kar Protest) চালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের তো আমি কী বলব? ছোট না হলে প্রণামই করতাম। তাঁরা তো জনগণের সেবার জন্যই ডাক্তার হন। আজ সমাজই তাঁদের রাস্তায় এনে দাঁড় করিয়েছেন। তাই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সমাজের সেবা করবেন, আন্দোলনও চালিয়ে যাবেন। এটাতে আমি খুব খুশি হয়েছি। যতদিন না আমার মেয়ে বিচার পাই, ততদিন এভাবেই রাস্তায় থাকুন। আমার পাশে থাকুন।’’

    কাজের মধ্যে থেকে বিচার ছিনিয়ে আনবে জুনিয়র ডাক্তাররা

    মিছিল (RG Kar Protest) থেকেই বিচার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, “সিবিআইয়ের ওপরে আস্থা রাখতে হবে, উচ্চ আদালতের ওপরও আস্থা রাখতে। এত সহজে বিচার আসবে না, সময় লাগবে। জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরেছে। কাজের মধ্যে থেকেই বিচার ছিনিয়ে আনবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tirupati Temple: তিরুপতির প্রসাদ লাড্ডুতে পশু চর্বি! হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত, সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

    Tirupati Temple: তিরুপতির প্রসাদ লাড্ডুতে পশু চর্বি! হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত, সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিরুপতি মন্দিরের (Tirupati Temple) প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মিশিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। অগণিত ভক্ত যাঁরা এই প্রসাদকে পবিত্র আশীর্বাদ হিসাবে মনে করেন, তাঁরা মানসিকভাবে আহত হয়েছেন। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন এক আইনজীবী। শীর্ষ আদালতে জমা পড়া আবেদনে বলা হয়েছে, প্রকৃত তদন্ত করে সত্যিটা সামনে আনা হোক।

    কী নিয়ে বিতর্ক

    লাড্ডু বিতর্কের সূত্রপাত অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর একটি দাবিকে কেন্দ্র করে। তিনি গুজরাটের সরকারি এক ল্যাবের রিপোর্ট সামনে এনে দাবি করেন, তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডুতে (Tirupati Temple) ব্যবহৃত ঘিয়ের সঙ্গে মেশানো হয়েছে পশুর চর্বি। এই ঘটনায় জন্য চন্দ্রবাবু এবং এবং তাঁর ডেপুটি জনসেনা পার্টির প্রধান পবন কল্যাণ দায়ী করেছেন, তাঁদের পূর্বতন জগন্মোহন রেড্ডির সরকারকে। বিজেপিও এই বিষয়ে সরব হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জয় বান্দির দাবি, এ ভাবে মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মিশিয়ে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার চেষ্টা করা হয়েছে। উঠেছে আইনি পদক্ষেপের দাবিও। এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা জানিয়েছেন, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর থেকে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি৷ পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেও অভিযোগের তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি৷

    আরও পড়ুন: আমেরিকার পথে প্রধানমন্ত্রী মোদি, যোগ দেবেন কোয়াড বৈঠকে, সাক্ষাৎ ট্রাম্পের সঙ্গেও

    শীর্ষ আদালতে মামলা

    তিরুপতি মন্দিরের (Tirupati Temple) প্রসাদী লাড্ডুতে গরু এবং শুয়োরের চর্বি মেশানোর গুরুতর অভিযোগ তোলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইড়ু। তাঁর বক্তব্যে সিলমোহর পড়ে কেন্দ্রের ল্যাব রিপোর্টে। মামলা গড়িয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। ধর্মীয় অধিকার রক্ষার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলা করেছেন এক আইনজীবী। মামলাকারীর অভিযোগ, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রীতি লঙ্ঘন করা হয়েছে। প্রসাদী লাড্ডুকে পবিত্র এবং ঈশ্বরের আশীর্বাদ মনে করেন তিরুপতির বেঙ্কটেশ্বরে ভক্তরা। সেক্ষেত্রে লাড্ডুতে গরু এবং শুয়োরের চর্বি থাকার প্রমাণে ভক্তদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। তবে চন্দ্রবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে পাল্টা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন জগন্মোহন রেড্ডি। বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। হাইকোর্ট তাঁর আইনজীবীকে ২৫ সেপ্টেম্বর একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার পরামর্শ দিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Daily Horoscope 21 September 2024: কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছ থেকে চাপ আসতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 21 September 2024: কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছ থেকে চাপ আসতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ইচ্ছাপূরণ হওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ২) অভিনেতারা খুব ভালো সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) সমাজে খ্যাতি বাড়বে।

    বৃষ

    ১) বাড়িতে অশান্তির জন্য পাড়ার লোকের কাছে হাসির পাত্র হবেন।

    ২) চাকরির স্থানে সুনাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মিথুন

    ১) প্রেমের ব্যাপারে চিন্তার খবর আসতে পারে।

    ২) বাইরে থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন। 

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কর্কট

    ১) কোনও কারণে উদ্বেগ বাড়তে পারে।

    ২) সংসারের দায়িত্ব দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    সিংহ

    ১) মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) পিতার সঙ্গে মতান্তর হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কন্যা

    ১) অতিরিক্ত উদারতার জন্য কাজের ক্ষতি হতে পারে।

    ২) হঠাৎ করে কোনও চাকরির যোগ আসতে পারে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে খুব বেশি।

    তুলা

    ১) শত্রুর কারণে সকালে মাথাগরম হতে পারে।

    ২) সাবধান থাকতে হবে, শরীরে অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না কারও সঙ্গে।

    বৃশ্চিক

    ১) সকালবেলাতেই কিছু দান করার জন্য ইচ্ছা হতে পারে।

    ২) অভিভাবকদের পরামর্শ আপনার জন্য কার্যকর হবে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথাবার্তা বলুন।

    ধনু

    ১) অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্য কাজের প্রতি অনীহা দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার যে কোনও কাজ সফল হবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মকর

    ১) সকালে অহেতুক কোনও অশান্তিতে জড়িয়ে পড়তে পারেন।

    ২) প্রতিবেশীদের হিংসার কারণে কাজে বাধা আসতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছ থেকে চাপ আসতে পারে।

    ২) কর্মস্থানে মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মীন

    ১) কিছু কেনাকাটার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।

    ২) শত্রুর সঙ্গে আপস করতে হতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের কাছে সুনাম অর্জন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: ধর্না তুললেও বিচারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের মহামিছিল, মশাল হাতে পথে নাগরিক সমাজ

    RG Kar Protest: ধর্না তুললেও বিচারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের মহামিছিল, মশাল হাতে পথে নাগরিক সমাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ধর্না প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ধর্না তোলার ঘোষণা বৃহস্পতিবার রাতেই করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে ধর্না প্রত্যাহার করেন তাঁরা। আপাতত ধর্না তুলে নিলেও আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Protest) ন্যায় বিচারের দাবিতে অনড় ডাক্তাররা। সিবিআইয়ের কাছে বিচারের দাবিতে স্বাস্থ্যভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। সমাজের সকল স্তরের মানুষ এদিনের মিছিলে অংশ নেন।

    মশাল হাতে মিছিল (RG Kar Protest)

    এদিন জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মশাল হাতে মিছিলে (RG Kar Protest) সামিল হন সাধারণ মানুষও। ১১ দিনের মাথায় স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে ধর্না তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার তাঁরা কাজে ফিরবেন। দাঁড়াবেন বন্যা দুর্গতদের পাশে। শনিবার থেকেই জরুরি পরিষেবায় যোগ দিচ্ছেন তাঁরা। মাঝে এক সপ্তাহের বিরতি। সরকার প্রতিশ্রুতি পূরণ না করলে তাঁরা ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাবেন। অন্যদিকে, সিবিআইয়ের ওপর চাপ বাড়াতে শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্যভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। নির্যাতিতার বিচার চেয়ে এদিন পথে নামে নাগরিক সমাজও। হাইল্যান্ড পার্ক থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত চলছে মশাল মিছিল। মিছিলে যোগ দিয়েছেন অনেক বিশিষ্ট চিকিৎসক। পথে নেমেছেন অনেক শিল্পী।

    আরও পড়ুন: থ্রেট কালচার! কল্যাণী মেডিক্যালে ৩৯ জন ডাক্তারি পড়ুয়াকে বহিষ্কার

    কী বললেন জুনিয়র ডাক্তার?

    মিছিলে (RG Kar Protest) হাঁটতে হাঁটতেই এক জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctor) বললেন, “আমরা রাজনীতি করতে চাইলে এতদিন ধরে দাবি-দাওয়া নিয়ে বসে থাকতাম না। চেয়ারের লড়াই শুরু করতাম। সেটা আমরা করিনি। হাসপাতাল থেকে শুরু করে সামগ্রিক স্বাস্থ্য কাঠামো নিয়ে যে দাবিতে আমরা ছিলাম, সেখানেই আছি। আর বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতেই আমরা ধর্না তুলে বন্যা দুর্গত জায়গায় যাচ্ছি। তাই রাজনীতির কথা বলে আমাদের মনের জোর কমানো যাবে না।” এদিকে আরজি কর কাণ্ডে রাজ্য সরকারের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার কাছে আহ্বান জানিয়েছেন ডাক্তাররা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India vs Bangladesh: বুমরার বিধ্বংসী বলে বেকায়দায় বাংলাদেশ, ম্যাচের রাশ পুরোপুরি ভারতের হাতে

    India vs Bangladesh: বুমরার বিধ্বংসী বলে বেকায়দায় বাংলাদেশ, ম্যাচের রাশ পুরোপুরি ভারতের হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের শুরুতে ক্রিজে ছিলেন ভারতীয় ব্যাটাররা (India vs Bangladesh)। দিনের শেষেও ক্রিজে ব্যাট করছে ভারত। মাঝে বুমরার বিধ্বংসী স্পেলে দিশাহারা বাংলাদেশ। ভারতের প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রানের টার্গেট সামনে রেখে খেলতে নেমে শাকিবরা ১৪৯ রানেই প্রথম ইনিংস শেষ করে। সুযোগ পেয়েও বাংলাদেশকে ফলো-অন করায়নি ভারত। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ভারত আপাতত ৩০৮ রানে এগিয়ে রয়েছে। আপাতত ম্যাচের রাশ যে সম্পূর্ণভাবে ভারতের হাতে, তা বলাই বাহুল্য।

    হাসান মামুদের রেকর্ড

    ভারতীয় দল (India vs Bangladesh) দিনটা শুরু করেছিল ৩৩৯ রানে ছয় উইকেট নিয়ে। দিনের শুরুতেই রবীন্দ্র জাদেজা ৮৬ রানে ফেরেন। অশ্বিনও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দ্বিতীয় দিন সকালে তাসকিন আমেদের ঝাঁঝালো বোলিংয়ে ভারতীয় দল ৩৭৬ রানে অল আউট হয়ে যায়। যশপ্রীত বুমরাকে আউট করে নিজের পাঁচ উইকেট পূরণ করেন হাসান মামুদ। প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ভারতের মাটিতে পাঁচ উইকেট নিলেন তিনি। 

    বুমরার মাইলফলক

    ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশও (India vs Bangladesh) দাঁড়াতে পারল না চিপকের পিচে। প্রথম ওভারেই শাদমানকে ফেরান বুমরা। আকাশদীপ পর পর বলে মোমিনুলকে শূন্য ও জাকির হাসানকে তিন রানে ফেরালে লাঞ্চের আগেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। শাকিব হাসান, লিটন দাস এবং মেহদি হাসান মিরাজ ছাড়া বাংলাদেশের কারও মধ্যে উইকেট আঁকড়ে থেকে লড়াই করার চেষ্টা দেখা যায়নি। শুক্রবার বুমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছুঁয়ে ফেলেন নতুন মাইলফলক। ভারতের দশম বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪০০ উইকেট পূর্ণ করলেন বুমরা (Jasprit Bumrah)। চেন্নাই টেস্টের আগে বুমরার সংগ্রহে ছিল ৩৯৭টি আন্তর্জাতিক উইকেট। টেস্টে ১৫৯টি, এক দিনের ক্রিকেটে ১৪৯টি এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৮৯টি। ৪০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করতে তাঁর দরকার ছিল ৩টি উইকেট। এদিন ৫০ রান দিয়ে বাংলাদেশের ৪ উইকেট নেন বুমরা।

    ভালো জায়গায় ভারত

    দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ফের রান পেলেন না রোহিত (৫) ও যশস্বী (১০)। সাবধানে খেলার চেষ্টা করেও লাভ হল না কোহলির। ১৭ রান করে মেহদির বলে ফিরলেন সাজঘরে। মেহদির বল কোহলির ব্যাট ছুঁয়ে প্যাডে লাগে। বাংলাদেশের (India vs Bangladesh) আউটের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। কিন্তু কোহলি বুঝতেই পারেননি বল তাঁর ব্যাটে সামান্য লেগেছে। তিনি শুভমনের সঙ্গে আলোচনা করলেও রিভিউ নেননি। পরে রিপ্লেতে বোঝা যায়, কোহলি আউট ছিলেন না। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় অপরাজিত শুভমন (৩৩) এবং ঋষভ পন্থ (১২)। শনিবার ভারত আরও ১৫০ রান করতে পারলেই চাপে পড়ে যাবে বাংলাদেশ। চিপকের পিচে চতুর্থ ইনিংসে ৪০০-এর উপর রান তোলা বেশ কঠিন, তা ভালোই জানে ক্রিকেট মহল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share