Tag: Madhyom

Madhyom

  • India vs Bangladesh: বুমরার বিধ্বংসী বলে বেকায়দায় বাংলাদেশ, ম্যাচের রাশ পুরোপুরি ভারতের হাতে

    India vs Bangladesh: বুমরার বিধ্বংসী বলে বেকায়দায় বাংলাদেশ, ম্যাচের রাশ পুরোপুরি ভারতের হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের শুরুতে ক্রিজে ছিলেন ভারতীয় ব্যাটাররা (India vs Bangladesh)। দিনের শেষেও ক্রিজে ব্যাট করছে ভারত। মাঝে বুমরার বিধ্বংসী স্পেলে দিশাহারা বাংলাদেশ। ভারতের প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রানের টার্গেট সামনে রেখে খেলতে নেমে শাকিবরা ১৪৯ রানেই প্রথম ইনিংস শেষ করে। সুযোগ পেয়েও বাংলাদেশকে ফলো-অন করায়নি ভারত। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ভারত আপাতত ৩০৮ রানে এগিয়ে রয়েছে। আপাতত ম্যাচের রাশ যে সম্পূর্ণভাবে ভারতের হাতে, তা বলাই বাহুল্য।

    হাসান মামুদের রেকর্ড

    ভারতীয় দল (India vs Bangladesh) দিনটা শুরু করেছিল ৩৩৯ রানে ছয় উইকেট নিয়ে। দিনের শুরুতেই রবীন্দ্র জাদেজা ৮৬ রানে ফেরেন। অশ্বিনও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দ্বিতীয় দিন সকালে তাসকিন আমেদের ঝাঁঝালো বোলিংয়ে ভারতীয় দল ৩৭৬ রানে অল আউট হয়ে যায়। যশপ্রীত বুমরাকে আউট করে নিজের পাঁচ উইকেট পূরণ করেন হাসান মামুদ। প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ভারতের মাটিতে পাঁচ উইকেট নিলেন তিনি। 

    বুমরার মাইলফলক

    ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশও (India vs Bangladesh) দাঁড়াতে পারল না চিপকের পিচে। প্রথম ওভারেই শাদমানকে ফেরান বুমরা। আকাশদীপ পর পর বলে মোমিনুলকে শূন্য ও জাকির হাসানকে তিন রানে ফেরালে লাঞ্চের আগেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। শাকিব হাসান, লিটন দাস এবং মেহদি হাসান মিরাজ ছাড়া বাংলাদেশের কারও মধ্যে উইকেট আঁকড়ে থেকে লড়াই করার চেষ্টা দেখা যায়নি। শুক্রবার বুমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছুঁয়ে ফেলেন নতুন মাইলফলক। ভারতের দশম বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪০০ উইকেট পূর্ণ করলেন বুমরা (Jasprit Bumrah)। চেন্নাই টেস্টের আগে বুমরার সংগ্রহে ছিল ৩৯৭টি আন্তর্জাতিক উইকেট। টেস্টে ১৫৯টি, এক দিনের ক্রিকেটে ১৪৯টি এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৮৯টি। ৪০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করতে তাঁর দরকার ছিল ৩টি উইকেট। এদিন ৫০ রান দিয়ে বাংলাদেশের ৪ উইকেট নেন বুমরা।

    ভালো জায়গায় ভারত

    দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ফের রান পেলেন না রোহিত (৫) ও যশস্বী (১০)। সাবধানে খেলার চেষ্টা করেও লাভ হল না কোহলির। ১৭ রান করে মেহদির বলে ফিরলেন সাজঘরে। মেহদির বল কোহলির ব্যাট ছুঁয়ে প্যাডে লাগে। বাংলাদেশের (India vs Bangladesh) আউটের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। কিন্তু কোহলি বুঝতেই পারেননি বল তাঁর ব্যাটে সামান্য লেগেছে। তিনি শুভমনের সঙ্গে আলোচনা করলেও রিভিউ নেননি। পরে রিপ্লেতে বোঝা যায়, কোহলি আউট ছিলেন না। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় অপরাজিত শুভমন (৩৩) এবং ঋষভ পন্থ (১২)। শনিবার ভারত আরও ১৫০ রান করতে পারলেই চাপে পড়ে যাবে বাংলাদেশ। চিপকের পিচে চতুর্থ ইনিংসে ৪০০-এর উপর রান তোলা বেশ কঠিন, তা ভালোই জানে ক্রিকেট মহল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: সন্দীপের নার্কো অ্যানালিসিস এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসির পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে চায় সিবিআই

    CBI: সন্দীপের নার্কো অ্যানালিসিস এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসির পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে চায় সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আরও চাপ বাড়ল। এমনিতে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে সিবিআই বার বার জেরা করেছে। এবার আরও বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে সিবিআই। একই সঙ্গে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের পলিগ্রাফ টেস্ট করতে আদালতে আবদেন করেছে সিবিআই (CBI)।

    সন্দীপের নার্কো অ্যানালিসিস টেস্ট (CBI)

    জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষের নার্কো অ্যানালিসিস টেস্ট করানোর জন্য আবেদন করেছে সিবিআই। শিয়ালদা আদালতে পেশ করা আবেদনে সিবিআই (CBI) জানিয়েছে, আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনার ষড়যন্ত্রে সন্দীপ ঘোষ যুক্ত থাকতে পারেন। এই আশঙ্কায় তাঁর পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় তদন্তকারীদের করা কয়েকটি প্রশ্নে সন্দীপ ঘোষ বিভ্রান্তিকর উত্তর দিয়েছেন। সেই প্রশ্নগুলির সঠিক জবাব পাওয়া দরকার। সেজন্য সন্দীপ ঘোষকে গুজরাতে নিয়ে গিয়ে নারকো অ্যানালিসিস পরীক্ষা করাতে চায় সিবিআই। সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) নারকো অ্যানালিসিস পরীক্ষার মুখোমুখি হতে রাজি হবেন কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্য জুড়ে হওয়া লাগাতার আন্দোলনের জেরে চাপের মুখে বৃহস্পতিবার সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ থেকে টেন্ডার, স্বাস্থ্য দফতরে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি! নথি হাতে নিয়ে সরব শুভেন্দু

    টালা থানার প্রাক্তন ওসির পলিগ্রাফ টেস্ট

    নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। এবার তাঁর পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অন্যদিকে, সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে আরও ৫ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদনও জানায় তারা। এর আগে সন্দীপ ঘোষ-সহ ৬ জনের পলিগ্রাফ টেস্ট হয়েছে। মূলত কোনও ব্যক্তি কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ে সত্যি বলছেন কি না, তা জানতেই এই বিশেষ পরীক্ষা করা হয়। এটা মূলত লাই ডিটেক্টর। কোনও প্রশ্নের নিরিখে ওই ব্যক্তির রক্তচাপ, শরীরের প্রতিক্রিয়া বুঝিয়ে দেয় তিনি মুখে যে কথা বলছেন, সেটাই সত্যি কি না। সূত্রের খবর, টালা থানার প্রাক্তন ওসিকে জেরা করে এখনও বেশি কিছু বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তাই পলিগ্রাফ পরীক্ষার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। টালা থানার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই হাতে পেয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সিএফএসএলে যে সমস্ত ফুটেজ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, আগামী ১-২ দিনের মধ্যে তার রিপোর্ট আসবে। পাশাপশি আরজি করের সিসিটিভি ফুটেজের পরীক্ষা শেষ। যে সব সন্দেহভাজনদের দেখা গিয়েছে, সেই বিষয় নিয়ে আরও জিজ্ঞেসাবাদের প্রয়োজন অভিযুক্তদের। সুপ্রিম কোর্টের পর এবার শিয়ালদা আদালতেও স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা দ্বিতীয় স্টেটাস রিপোর্টের কপি জমা দেওয়া হল এজেন্সির তরফে। মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO: ২০২৪ সালের শেষেই মানব মহাকাশযান ‘গগনযান’-এর উৎক্ষেপণ হবে, জানালেন ইসরো প্রধান

    ISRO: ২০২৪ সালের শেষেই মানব মহাকাশযান ‘গগনযান’-এর উৎক্ষেপণ হবে, জানালেন ইসরো প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রথম ‘মানব মহাকাশযান প্রোগ্রাম’ হিসেবে ‘গগনযান’ এবছরের শেষে উৎক্ষেপণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইসরো (ISRO) প্রধান ডক্টর এস সোমনাথ। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো) চেয়ারম্যান বলেন, “২০২৪ সালের শেষ নাগাদ ভারতের প্রথম মানব মহাকাশযান মিশন গগনযান চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” একই সঙ্গে চন্দ্রযান-৪ নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেন তিনি। উল্লেখ্য, ভারতের চন্দ্রযান-৩ অভিযানে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে বিশ্ববাসীর নজর কেড়ে নিয়েছিল ভারত। এবার এই গগনযান নিয়েও ইসরো ব্যাপক আশাবাদী।

    মানুষকে নিম্ন আর্থ অরবিটে (LEO) পাঠানো হবে (ISRO)

    কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে স্পেস এক্সপোতে ভাষণ দেওয়ার সময় সোমনাথ (ISRO) বলেন, “গগনযান উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুতি আমাদের চূড়ান্ত পর্যায়ে। সব ঠিকঠাক থাকলে আমরা এই বছরের শেষেই অভিযানের জন্য পরিকল্পনা করেছি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গগনযান প্রোগ্রাম সম্প্রসারণের অনুমোদন দিয়েছে। সেই সঙ্গে ভারতীয় মহাকাশ স্টেশনের উন্নয়ন সম্পর্কিত একাধিক প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।” যদিও ভারত সরকা ডিসেম্বর, ২০১৮ সালে গগনযান অভিযান অনুমোদন করেছিল। এটি ভারতের মহাকাশ ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ ছিল। এই কর্মসূচির অধীনে, মানুষকে নিম্ন আর্থ অরবিটে (LEO) পাঠানো হবে। একই ভাবে ভবিষ্যতে আরও মানব মহাকাশযান তৈরি করা হবে। মিশনটি কেবল মহাকাশে পৌঁছানোর চেষ্টাই করবে না, বরং আরও ব্যাপক ভাবে অনুসন্ধানের জন্য ভিত্তি তৈরির কাজ করবে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ১০ বছরে ভারতে তিনটি আন্তর্জাতিক হাব গড়ে উঠবে, প্রত্যয়ী জ্যোতিরাদিত্য

    চন্দ্রযান-৪ মিশন নিয়ে কী বললেন?

    চন্দ্রযান-৩ মিশনে যে চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করা হয়েছিল, সেগুলির বিষয়েও ইসরোর (ISRO) মতামত বিনিময় করেছেন ইসরো প্রধান। তিনি বলেন, “মিশনের যন্ত্রাংশ ইসরো তৈরি করেছে। সামগ্রিক ভাবে চন্দ্রযান-৪ উপগ্রহের আকার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এখন পাঁচটি মডিউলের প্রয়োজন এবং এই জটিল অপারেশনের জন্য দুটি উৎক্ষেপণের প্রয়োজন হবে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর চন্দ্রযান-৪ মিশনের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। এই মিশনের মাধ্যমে ইসরো এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করবে, যা কার্যত চাঁদে সফল অবতরণ করার পরে পৃথিবীতে ফিরে আসার জন্য সক্ষম হবে। মিশনের সময় পৃথিবীতে চাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে আনবে। এরপর পরীক্ষাও করা হবে। মিশনের ফোকাস হবে ঝুঁকি না নিয়ে মানুষকে চন্দ্রে অবতরণ করা। সেই সঙ্গে পৃথিবীতে নিরাপদে ফিরে আসার জন্য মৌলিক প্রযুক্তি থাকবে সেখানে। বৈশ্বিক মহাকাশ শক্তির তালিকায় ভারতের স্থান আরও পাকাপাকি করতে কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চাভিলাষী দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ করেছে। এই পরিকল্পনায় ২০৩৫ সালের মধ্যে ভারতীয় মহাকাশ স্টেশন স্থাপন করা হবে এবং ২০৪০ সালের মধ্যে একজন ভারতীয় মানুষকে চাঁদে অবতরণ করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘৮ জেলা অন্ধকারে ডুবে যাবে’’, ডিভিসি-সম্পর্ক ছেদ করতে মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘৮ জেলা অন্ধকারে ডুবে যাবে’’, ডিভিসি-সম্পর্ক ছেদ করতে মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ‘ম্যান মেড বন্যা’ বলে কেন্দ্রকে দায়ী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিভিসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকারের দায় তিনি এড়িয়ে যেতে চান বলে বিরোধীদের অভিযোগ। উল্টে, ডিভিসি-র সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার তিনি হুমকি দিয়েছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা করেন।

    ডিভিসি ইস্যুতে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    শুক্রবার বরানগরে প্রয়াত প্রাক্তন সাংসদ তপন সিকদারের স্মৃতিতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রয়াত দলীয় নেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে মমতার নাম না করে তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘উনি কালকে বলেছেন না ডিভিসির (DVC) সঙ্গে কাট-আপ করে দিতে। উনি কি জানেন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের সাত থেকে আটটি জেলার আলো জ্বলে, কারখানা চলে, ট্রেন যায় ডিভিসির বিদ্যুতে। একটা নতুন পাওয়ার স্টেশন করতে পারেননি, এক ইউনিট বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারেননি। ডিভিসির উপর নির্ভর করেন আবার ডিভিসিকেই কাট-আপ করবেন বলেছেন। আমি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলছি, এক্ষুনি ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে দেখান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের আটটি জেলা অন্ধকারে ডুবে যাবে।’’

    আরও পড়ুন: থ্রেট কালচার! কল্যাণী মেডিক্যালে ৩৯ জন ডাক্তারি পড়ুয়াকে বহিষ্কার

    ঝাড়খণ্ড বর্ডার সিল করা নিয়ে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    শুধু তাই নয়। ঝাড়খণ্ডের সীমান্ত বন্ধ করা নিয়েও মমতাকে তুলোধনা করেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে গত চারদিন ধরে অনবরত জল ছাড়ায় বাংলার বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য আগামী তিনদিন বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্ত সিল করারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সেই নির্দেশের পরেই বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বাংলা ও ঝাড়খণ্ড বর্ডার সিল করে দেওয়া হয়। এই নিয়েই এদিন ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন,  ‘‘ঝাড়খণ্ড বর্ডার আটকে দেওয়া হলে নাসিক থেকে পেঁয়াজ আসতে পারবে না। উত্তর পূর্বাঞ্চলের পণ্য পরিবহণও আটকে যাবে। ঝাড়খণ্ড সীমানা খুলে যদি না দেওয়া হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখব। জাতীয় সড়ক বন্ধ করা যায় না। রাজ্যপালকেও গোটা বিষয়টা জানাব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jyotiraditya Scindia: ১০ বছরে ভারতে তিনটি আন্তর্জাতিক হাব গড়ে উঠবে, প্রত্যয়ী জ্যোতিরাদিত্য

    Jyotiraditya Scindia: ১০ বছরে ভারতে তিনটি আন্তর্জাতিক হাব গড়ে উঠবে, প্রত্যয়ী জ্যোতিরাদিত্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী এক দশকের মধ্যে ভারতে অন্তত তিনটি আন্তর্জাতিক ব্যবসা কেন্দ্র (International Business Centres) গড়ে উঠবে। এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও উন্নয়ন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia)। সম্প্রতি, নয়াদিল্লিতে ‘ভারতের আরোহণ: বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা’ থিমের উপর ৫১তম জাতীয় ব্যবস্থাপনার কনভেনশনে যোগ দিয়েছলেন তিনি। সেখানেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত আর্থিক বৃদ্ধির উপর জোর দিয়ে মত প্রকাশ করেছেন। 

    ১৫৯টি বিমানবন্দর নির্মাণ করতে পেরেছি (Jyotiraditya Scindia)

    সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia) জোর দিয়ে বলেন, “আমি নিশ্চিত যে আগামী এক দশকে, ভারত একটি আন্তর্জাতিক হাব নয়, ভারতে অন্তত তিনটি আন্তর্জাতিক হাব তৈরি হতে দেখব। ভারত আজ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী দেশ (International business cente)। আমরা প্রতিদিন হাইওয়ে নির্মাণের কিলোমিটারের সংখ্যা তিনগুণ বাড়িয়ে ১১ থেকে ৩৩ কিলোমিটার করেছি। আমার অতীতের প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে ভারতের ৭৪টি বিমানবন্দর ছিল। বর্তমানে সেখান ২০২৪ সালের শেষ গণনাতে ১৫৯টি বিমানবন্দর নির্মাণ করতে পেরেছি। আজ আমাদের দিল্লি, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্ষমতাসম্পন্ন বিমানবন্দরে উত্তীর্ণ করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের পূর্ব এবং পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশগুলিকে এখন তাদের বিমান চলাচলের আন্তর্জাতিক রুটকে ভারত কেন্দ্রিক করার উপর জোর দিতে হবে।”

    আরও পড়ুনঃ ভেঙে পড়া নৌসেনার সি-গার্ডিয়ান ড্রোন প্রতিস্থাপন করবে মার্কিন সংস্থা

    ১১৯ কোটি মোবাইল গ্রাহকে উন্নীত

    সম্মেলনে ভাষণ দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia) আরও বলেন, “আয়ুষ্মান ভারত যোজনার অধীনে, আজ সাড়ে ২৮ কোটি লোকের বার্ষিক পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বীমা দেওয়া হয়েছে। আমাদের ১০ কোটি মা-বোনেদের উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় আনা হয়েছে। উল্লেখ্য এসব দেশে গত ৭৫ বছরে ঘটেনি। এই সবই ভারতের অগ্রগতির গত এক দশকে সম্পন্ন হয়েছে। দেশের ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি থেকে ৯৪ কোটিতে পৌঁছে গিয়েছে। শুধুমাত্র গত এক দশকে ৩০ লাখ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে আমরা ১১৯ কোটির মোবাইল গ্রাহক সংখ্যায় উন্নীত হয়েছি। ভারতে ডিজিটাল বিপ্লবও ব্যাপক ভাবে সফল হয়েছে। মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ ২৫ কোটি থেকে ৯৪ কোটিতে পৌঁছে গিয়েছে। প্রতি জিবি ডেটার খরচ আজ ২৮০ টাকা থেকে ১২.৮ টাকায় নেমে এসেছে, মোট খরচ প্রায় ৯৫ শতাংশ কমেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chandrababu Naidu: চন্দ্রবাবুর দাবি সত্যি, পরীক্ষায় তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডুতে মিলল পশুর চর্বির অস্তিত্ব

    Chandrababu Naidu: চন্দ্রবাবুর দাবি সত্যি, পরীক্ষায় তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডুতে মিলল পশুর চর্বির অস্তিত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও রাজনীতি নয়, যা বলছেন তা সত্যি! তিরুপতির বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের লাড্ডু নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইড়ুর (Chandrababu Naidu) অভিযোগকে মান্যতা দিল সরকারি ল্যাবরেটরি। চন্দ্রবাবুর অভিযোগ ছিল, ‘ওয়াইএসআর কংগ্রেসের শাসনকালে তিরুপতি মন্দিরের (Tirupati Temple) লাড্ডুতে পশুর চর্বি ব্যবহার করা হত।’ বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে লাড্ডু তৈরির সময় পশুর চর্বি মেশানোর কথা অস্বীকার করেছিল পূর্বতন সরকার। কিন্তু নিজের দাবিকে সত্যি প্রমাণিত করলেন চন্দ্রবাবু। তিনি ওই লাড্ডু গুজরাটের একটি সরকারি ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠান। ল্যাবরেটরির রিপোর্ট বলছে, তিরুপতির লাড্ডুতে ব্যবহার করা ঘিতে মাছের তেল, গরু ও শূকরের চর্বি মিলেছে। এই নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হওয়ায় অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্র।

    কী বলছে ল্যাবের রিপোর্ট?

    গুজরাটের ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের সেন্টার অফ অ্যানালাইসিস অ্যান্ড লার্নিং ইন লাইভস্টক অ্যান্ড ফুড (CALF) ল্যাবরেটরির একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রসাদ তৈরির জন্য ব্যবহৃত ঘিতে “এস ভ্যালু” (S-value) নির্ধারিত সীমার বাইরে ছিল, যা নির্দেশ করে যে সেই ঘিতে বিদেশি চর্বি মেশানো হয়েছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, লাড্ডুতে ব্যবহার করা হয়েছে মাছের তেল, গরুর চর্বি এবং শূকরের চর্বি। এছাড়াও লাড্ডুতে সয়াবিন, সূর্যমুখী, অলিভ, রেপসিড, লিনসিড, গমের ভুসি, ভুট্টার ভুসি, নারকেল এবং পাম অয়েলের মতো বিভিন্ন উদ্ভিজ্জ উপাদানও ব্যবহার করা হয়েছে।

    হতাশ ভক্তরা

    তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম (TTD) দ্বারা পরিচালিত তিরুমালা ভেঙ্কটেশ্বর মন্দির অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুমালা পাহাড়ে অবস্থিত এবং এটি ভগবান বিষ্ণুর অবতার শ্রী ভেঙ্কটেশ্বরকে উৎসর্গ করা হয়েছে। এই মন্দিরটি হিন্দুদের মধ্যে অত্যন্ত পূজনীয় এবং বিশ্বজুড়ে ভক্তরা এখানে প্রার্থনা করতে আসেন। বিশেষ করে বিখ্যাত “লাড্ডু প্রসাদাম” এখানে ভক্তদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রতিদিন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তদের ঢল নামে এই লাড্ডু সংগ্রহের জন্য। সেই প্রসাদেই পশুর চর্বির কথা শুনে মাথায় হাত পড়েছে ভক্তদের।

    রিপোর্ট তলব

    লাড্ডু নিয়ে এই বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই তিরুপতি মন্দির কর্তৃপক্ষ একটি প্যানেল গঠন করেছেন। ওই প্যানেল ঘিয়ের গুণগত মান পরীক্ষা করে দেখবে। তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের এক্সিকিউটিভ অফিসার জানিয়েছেন, এই কমিটিতে চারজন থাকবেন। এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের রিপোর্ট দিতে হবে।

    আরও পড়ুন: ভেঙে পড়া নৌসেনার সি-গার্ডিয়ান ড্রোন প্রতিস্থাপন করবে মার্কিন সংস্থা

    কী অভিযোগ

    বুধবার অমরাবতীতে এনডিএ বিধায়কদের বৈঠকে ছিল। সেই বৈঠকেই চন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘তিরুমালা লাড্ডুও নিম্নমানের উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল…ঘিয়ের বদলে ওরা পশুর চর্বি ব্যবহার করেছিল।’’ এখানে ‘ওরা’ বলতে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের আমলের কথাই বলেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, এখন খাঁটি ঘি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং মন্দিরে সবকিছু স্যানিটাইজ করা হয়েছে। ফলে সার্বিক গুণমান উন্নত হয়েছে। আবার একই সুরে জগন মোহন রেড্ডির সরকারকে তোপ দেগেছেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী নারা লোকেশ। তিনি বলেন, ‘‘তিরুমালার ভগবান ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দির আমাদের সবচেয়ে পবিত্র মন্দির। আমি অবাক হয়েছি যে ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডি প্রশাসন তিরুপতি প্রসাদে ঘিয়ের পরিবর্তে পশুর চর্বি ব্যবহার করেছে।’’

    তদন্তের দাবি

    বিজেপি অন্ধ্রের মুখপাত্র জি ভানুপ্রকাশ রেড্ডি এই বিষয়ে একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর দাবি পূর্ববর্তী ওয়াইএসকে সরকার এই ঘটনার জন্য দায়ী। জগন মোহন রেড্ডি সরকার “স্পষ্টভাবে হিন্দু বিরোধী” এবং তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের তহবিলের অব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। তিনি ঘি সরবরাহের শৃঙ্খল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, গরু বেল্ট অঞ্চলে সমবায় সমিতিগুলিকে দরপত্র দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর কাছে তিরুপতি লাড্ডু তৈরিতে ব্যবহৃত ঘিতে পশুর চর্বি থাকার অভিযোগে একটি “বিস্তারিত প্রতিবেদন” চেয়েছেন। এদিকে, খাদ্যমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন তা গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। একটি বিশদ তদন্ত প্রয়োজন এবং অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North Bengal Medical: ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে কাজে যোগ, গ্রেফতার ২

    North Bengal Medical: ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে কাজে যোগ, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে এখন তোলপাড় চলছে। এই আবহের মাঝে এবার জাল নিয়োগপত্র নিয়ে বিড়ম্বনায় রাজ্য। স্বাস্থ্য দফতরের লোগো, আধিকারিকের সই জাল করা নিয়োগপত্র প্রতারণা চক্র সক্রিয়। এক যুবক জাল নিয়োগপত্র নিয়ে শিলিগুড়ির (Siliguri) উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজে কাজে যোগ দিতে এসে ধরা পড়ায় এই দিকটি প্রকাশ্যে এসেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই যুবক ও তার সঙ্গে আসা আর এক যুবককে। দু’জনেই উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের কুমারজল গ্রামের বাসিন্দা।

    কীভাবে ধরা পড়ল জাল নিয়োগপত্র? (North Bengal Medical)

    চতুর্থ শ্রেণির পদের একটি নিয়োগপত্র নিয়ে বৃহস্পতিবার কলেজের অধ্যক্ষ অফিসে কাজে যোগ দিতে আসেন মুস্তাক আলি নামে এক যুবক। নিয়োগপত্রটি দেখে অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহার সন্দেহ হয়। মুস্তাক আলি ও তাঁর সঙ্গী ইমরানকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন অধ্যক্ষ। মেডিক্যাল কলেজ (North Bengal Medical) ফাঁড়ির পুলিশ এসে অভিযুক্ত ও তার সঙ্গীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিত সাহা বলেন, ‘‘কোনও নিয়োগপত্র ছাড়া হলে স্বাস্থ্যভবন থেকে পোর্টালে তা তোলা হয়। কিন্তু পোর্টালে এই নিয়োগপত্রের উল্লেখ নেই। নিয়োগপত্রে যে আধিকারিকের সই রয়েছে সেটিও সন্দেহজনক। এত অসঙ্গতি দেখে মেডিক্যাল কলেজ ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দেওয়া দেয়।’’

    আরও পড়ুন: নিয়োগ থেকে টেন্ডার, স্বাস্থ্য দফতরে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি! নথি হাতে নিয়ে সরব শুভেন্দু

    কীভাবে প্রতারিত হলেন মুস্তাক আলি?

     প্রায় এক বছর আগে গ্রামেরই এক পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে রায়গঞ্জের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটে দেখা হয় মুস্তাকের। ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে হাসপাতালে ওয়ার্ডবয়ের কাজের টোপ দেন সেই ব্যক্তি। মুস্তাক বলেন, ‘‘৫০ হাজার টাকা দেওয়ার পর দীর্ঘদিন তার দেখা পাইনি। হঠাৎই কিছুদিন আগে হোয়াটসঅ্যাপে একটি লিঙ্ক আসে। তাতে কাজে যোগ দেওয়ার কথা জানানো হয়। তারপর ওই ব্যক্তি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজের নিয়োগপত্র দিয়ে ছ’লক্ষ টাকা চান। ওই ব্যক্তি দাবি করেন, সরকারি চাকরি তাই বেশি টাকা দিতে হবে। বন্ধুদের কাছ থেকে ধার দেনা ৬০ হাজার টাকা ওই ব্যক্তিকে দিয়ে বলি বাকি টাকা পরে দেব। সেই নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে আসি। বুঝতে পারিনি যে, আমাকে জাল নিয়োগপত্র দিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে।’’ 

    জাল নিয়োগপত্র চক্রে ফের উত্তর দিনাজপুর যোগ

    এই ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতরে চাকরির প্রতারণা চক্রে ফের উত্তর দিনাজপুর যোগ উঠে এল। প্রায় দুবছর আগে জাল নিয়োগপত্র নিয়ে উত্তরবঙ্গ মোডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজ হাসপাতালে কাজে যোগ দিতে এসে গ্রেফতার হয়েছিলেন মালদার এক ব্যক্তি। সেই ঘটনাতেও জাল নিয়োগপত্র দেওয়ার পিছনে উত্তর দিনাজপুর জেলার একটি প্রতারণা চক্রের হাত ছিল। পুলিশ তদন্ত করে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছিল। তারপরেও এই চক্রের সক্রিয়তায় উঠছে প্রশ্ন।

     কী বলছে পুলিশ?

    মেডিক্যাল ফাঁড়ির পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকদের জেরা করে জানা গিয়েছে, তাঁদের গ্রামেরই এক ব্যক্তি প্রতারণা করেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শুধু ওই ব্যক্তি একা নন। এই চক্রের জাল (North Bengal Medical) অনেক দূর বিস্তৃত। এর সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। নিয়োগপত্রে যেভাবে স্বাস্থ্যভবনের লোগো ও স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হয়েছে তাতে স্বাস্থ্যভবনের কোনও কর্মীর যুক্ত থাকার সম্ভাবনাও পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। চক্রের মাস্টারমাইন্ডের খোঁজ চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ‘৫ লক্ষ টাকা দাও, না হলে প্রাণনাশ’! বাংলাদেশের দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে হুমকি মৌলবাদীদের

    Bangladesh: ‘৫ লক্ষ টাকা দাও, না হলে প্রাণনাশ’! বাংলাদেশের দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে হুমকি মৌলবাদীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) ইসলামি মৌলবাদীরা, দুর্গাপুজোর (Durga Puja) জন্য হিন্দু সংখ্যালঘুদের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা দাবি করেছে। দুর্গাপুজো যতই ঘনিয়ে আসছে, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর উগ্র ধর্মান্ধগোষ্ঠীগুলির হুমকি এবং জুলুমবাজি ক্রমেই ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। গত ৫ অগাস্ট, ছাত্র আন্দোলনের নামে চক্রান্ত করে ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল। দেশে মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার এবং সেনার শাসন কায়েম হলেও সংখ্যালঘু হিন্দুদের জনজীবন এবং সম্পত্তি রক্ষা অত্যন্ত দুষ্কর হয়ে উঠেছে।

    চাঁদা না দিলে হামলা হবে (Bangladesh)

    সম্পত্তি লুট, বাড়ি-ঘর ভাঙচুরের পর উগ্র মুসলমানরা এখন বাংলাদেশের (Bangladesh) দুর্গাপুজোর (Durga Puja) উৎসবকে টার্গেট করেছে। দেশের প্রতিটি দুর্গাপুজো কমিটিকে চাঁদাবাজির শিকার করা হচ্ছে। এই বছর দুর্গাপুজো করতে ইচ্ছুক যে কোনও পুজো কমিটিকে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুজো কমিটির এক সদস্য জানান, মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন ছেলে এসে চাঁদার চিঠি দিয়ে গিয়েছে আমাদের ‘বীনাপানি’ নামক দুর্গাপুজো কমিটিকে। এমন চিঠি আরও বেশ কয়েকটি পুজো কমিটিও পেয়েছে। স্পষ্ট ভাবে বাংলায় লেখা, পুজো কমিটিগুলি যদি চাঁদা না দিয়ে অনুষ্ঠান করে, তাহলে হামলার শিকার হতে হবে। বাংলাদেশের সুপরিচিত হিন্দু সম্প্রদায়ের ফেসবুক পেজ ‘অগ্নিবীর’-এও চাঁদাবাজির হুমকির কথা স্বীকার করেছে। চাঁদার টাকা না দিলে সরকার, পুলিশ এমনকী সেনাবাহিনীর কাছ থেকেও নিরাপত্তাও মিলবে না। শুধু তাই নয়। চিঠিতে পুজো কমিটির সদস্যদের পরিবারকেও হত্যার হুমকি দিয়েছে মৌলবাদীরা।

    উগ্র মুসলমানরা আক্রমণ চালাচ্ছে

    হিন্দু সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে (Bangladesh) কার্যত জামাত শিবির, বিএনপি এবং জেএমবি-সহ একাধিক জেহাদি সংগঠনের দ্বারা সংঘটিত হামলা ক্রমাগত অব্যাহত রয়েছে। কোটা বিরোধী আন্দোলনের আড়ালে শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাতের এক গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গণতান্ত্রিক সরকার এবং পুলিশ প্রশাসন না থাকায় বাংলাদেশের হিন্দু সংস্কৃতি, ধর্ম, পুজো এবং সম্পত্তির উপর উগ্র মুসলমানরা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। সামনেই দুর্গাপুজো (Durga Puja) তাই মন্দির, মানুষ, পরিবার, ব্যবসা, সম্পত্তি এবং মূর্তিকে টার্গেট করছে দুষ্কৃতীরা। ফলে, গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন পদ্মাপারের সমগ্র হিন্দু সমাজ।

    আরও পড়ুনঃ হিজবুল্লা প্রধানের হুমকির মধ্য়েই লেবাননে এয়ারস্ট্রাইক ইজরায়েলের

    রাত জেগে মন্দির পাহারা দিতে হয়

    উল্লেখ্য, বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য পুজো করা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। উগ্র মুসলমানরা প্রতি বছর দুর্গাপুজোর সময় হিন্দু মন্দির এবং দুর্গা পুজোর প্যান্ডেল ভাঙচুরের কাজ করে থাকে। হিন্দুদের রাত জেগে মন্দির পাহারা দিতে হয়। শেখ হাসিনার শাসনামলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার অসংখ্য ঘটনা ঘটেছিল। হিন্দুরা ন্যায় বিচার কোনও সময় সেই দেশে পায়নি। তবে প্রতিবেশী এই দেশে সাম্প্রতি ক্ষমতার লড়াই এবং জামাতের মতো উগ্র ইসলামপন্থীদের উত্থান, হিন্দু জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যন্ত ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গোটা হিন্দু সম্প্রদায় এখন আতঙ্কিত। যদিও চট্টগ্রাম, ঢাকা, রংপুর, সিলেট, গোপালগঞ্জ সহ একাধিক জায়গায় হিন্দুরা প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • One Nation One Election: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ কার্যকর করতে চাইছেন মোদি, কী এর উপকারিতা?

    One Nation One Election: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ কার্যকর করতে চাইছেন মোদি, কী এর উপকারিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election)। দীর্ঘদিন ধরেই এর পক্ষে সওয়াল করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোমবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বলেছিলেন, মোদি সরকারের তৃতীয় মেয়াদেই এক দেশ, এক নির্বাচন কার্যকর করা হবে। এ সংক্রান্ত রিপোর্টও পেশ করেছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি।

    কেন এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election)

    বুধবার কোবিন্দ কমিটির সেই প্রস্তাব অনুমোদনও করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। জানা গিয়েছে, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই পেশ করা হবে এ সংক্রান্ত বিলটি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের এহেন প্রস্তাবের বিরুদ্ধাচরণ করতে শুরু করেছে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দল। তার পরেও বিলটি সংসদে পেশ করতে ও পাশ করাতে মরিয়া মোদি সরকার। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের যুক্তি স্পষ্ট। এক দেশ, এক নির্বাচন কার্যকর হলে বারবার ভোট করতে যে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ হয়, তা বন্ধ হবে। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরেই লাগু হয়ে যায় আদর্শ আচরণবিধি। এই কারণে থমকে যায় উন্নয়নমূলক কাজকর্ম। উন্নয়নের গতির চাকা থমকে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। এহ বাহ্য। ঘন ঘন নির্বাচন হলে ঝামেলা পোহাতে হয় ভোট কর্মীদের। তাদের প্রশিক্ষণের পেছনে ব্যয় হয় সময়, অর্থ। কাজকর্ম ফেলে তাঁদের যেতে হয় ভোট করাতে। এক দেশ, এক নির্বাচন হলে, এই তিন সমস্যাই মিটবে। তার পরেও অযথা বিরোধীরা হইচই করছেন বলে অভিযোগ।

    বিশ্বের অনেক দেশেই রয়েছে এই ব্যবস্থা

    অথচ, বিশ্বের অনেক দেশেই চালু হয়েছে এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election) ব্যবস্থা। এই তালিকায় যেমন রয়েছে সুইডেন, বেলজিয়ামের মতো দেশ, তেমন রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাও। এই দেশগুলিতে জাতীয় ও রাজ্য নির্বাচন হয় একই সঙ্গে। বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশেও চালু রয়েছে এই ব্যবস্থা। এ তো গেল বিদেশের কথা। ভারতেও বেশ কয়েকবার একই সঙ্গে নির্বাচন হয়েছে লোকসভা ও বিধানসভার। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হয়। প্রথমবার নির্বাচন হয় ১৯৫২ সালে। তার পর থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে, প্রতিবারই লোকসভার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন হয়েছে বিধানসভারও। দিব্যিই চলছিল এই ব্যবস্থা। গোল বাঁধে ১৯৬৮ ও ১৯৬৯ সালে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে গিয়েছিল কয়েকটি বিধানসভা। শুরু হয় অকাল নির্বাচন। তার পর থেকে আর এক সঙ্গে ভোট হয়নি। লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন হয়েছে আলাদা আলাদা সময়ে।

    এই ব্যবস্থায়ই বদল আনতে চান মোদি

    এই ব্যবস্থাতেই বদল আনতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আজ নয়, তিনি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় থেকেই। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি। সেই সময়ও তিনি এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রস্তাব দেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপি যে ইস্তাহার প্রকাশ করেছিল, তাতেও এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় মোদি জমানায় সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। সেই দফায় জম্মু-কাশ্মীর থেকে রদ হয়েছিল ৩৭০ ধারা এবং ৩৫ এ ধারা। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেই এক দেশ, এক নির্বাচন কার্যকর করতে কোমর কষে মাঠে নেমে পড়েছে মোদি সরকার। সোমবারই যার প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের গলায়।

    কোবিন্দ কমিটি

    তবে এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election) কার্যকর করতে মোদি সরকার যে বদ্ধপরিকর, তার আঁচ মিলেছিল গত সেপ্টেম্বরেই। তখনও লোকসভা নির্বাচনের ঢের দেরি। মোদি সরকার ক্ষমতায় ফিরবে কিনা, তাও নিশ্চিত ছিল না। তা সত্ত্বেও, কার্যত দেশের স্বার্থেই এক দেশ, এক নির্বাচন প্রস্তাব কার্যকর করতে কোবিন্দের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে মোদি সরকার। সেই কমিটি কথা বলে দেশের ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। আলোচনা করে অর্থনীতিবিদ এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। বিশ্বের যেসব দেশে এক সঙ্গেই সাধারণ নির্বাচন ও প্রাদেশিক আইনসভাগুলির নির্বাচন হয়, সেসব দেশে কীভাবে এই ব্যবস্থা পরিচালিত হয়, তাও খতিয়ে দেখে কোবিন্দ কমিটি। শেষমেশ দিন কয়েক আগে রিপোর্ট পেশ করে সেই কমিটিই। তার পরেই এ নিয়ে শুরু হয়েছে দেশজুড়ে চর্চা।

    কীভাবে কার্যকর করা হবে

    কোবিন্দ কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দু’ধাপে কার্যকর করা যেতে পারে এই ব্যবস্থা। প্রথমে একযোগে হবে লোকসভা ও বিধানসভাগুলির নির্বাচন (One Nation One Election)। এর ঠিক ১০০ দিনের মধ্যে করা হবে দেশের সব পুরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচন। অবশ্য, এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন। সংসদ ও রাজ্য বিধানসভাগুলির মেয়াদ, লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভা ভেঙে দেওয়া এবং রাষ্ট্রপতি শাসন জারি সংক্রান্ত বিষয়গুলি সংশোধন করতে হবে। সংশোধন করতে হবে সংবিধানের ৮৩ ও ১৭২ নম্বর ধারা। এই দুই ধারায় বলা হয়েছে সংসদ ও রাজ্য বিধানসভাগুলির মেয়াদ কতদিনের হবে।

    কমিটি জানিয়েছে, শাসন ব্যবস্থাকে ব্যাহত না করে নির্বাচনগুলিকে একত্রিত করার জন্য টেকসই আইনি ব্যবস্থা প্রয়োজন। মেয়াদ ফুরনোর আগে কোনও সরকারের বিলুপ্তি ঘটাতে হলে সেই জায়গায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে। অথবা সুসঙ্গত নির্বাচন চক্রে সামিল করতে নির্বাচনের মাধ্যমে স্বল্পমেয়াদের সরকার গঠন করা যেতে পারে।

    বাড়বে ভোটার

    কোবিন্দ কমিটির রিপোর্টে এক দেশ, এক নির্বাচনের (One Nation One Election) সুখ্যাতি গাওয়া হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছিল, একযোগে নির্বাচন হলে নির্বাচনী খরচ এক ধাক্কায় কমে যাবে অনেকটা। প্রশাসনিক বোঝাও হালকা হবে। বাড়বে ভোটারের সংখ্যাও। কমিটির বক্তব্য, বারবার নির্বাচন হলে অনেক সময়ই ভোট দেওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন ভোটাররা। কর্মসূত্রে যাঁরা বাইরে থাকেন, তাঁদের সমস্যাটা আরও বেশি। কাজের ক্ষতি করে মোটা টাকা গচ্চা দিয়ে বারবার ভোট দিতে ‘গাঁয়ে’ ফেরা তাঁদের পক্ষেও বোঝা স্বরূপ। এক সঙ্গে নির্বাচন হলে, এক ঢিলে তাঁরা মারতে পারবেন দুই পাখি। এক খরচে এবং এক ছুটিতেই লোকসভা ও বিধানসভার ভোট দিয়ে তাঁরা ফিরতে পারবেন কর্মস্থলে।

    ২০২৯ সালেই এক দেশ, এক নির্বাচন

    দেশে ফের লোকসভা নির্বাচন হবে ২০২৯ সালে। সে ক্ষেত্রে কী হবে সেই সব রাজ্যের, যেগুলিতে আগামী বছরই নির্বাচন রয়েছে? এই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু। কোবিন্দ কমিটির রিপোর্টে সেই প্রসঙ্গেরও অবতারণা করা হয়েছে। এবং কীভাবে এর সমাধান করা হবে, তাও বাতলে দেওয়া হয়েছে। যেসব রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে ২০২৫ সালে, সেই সব রাজ্যের বিধানসভার মেয়াদ হবে চার বছরের। আবার কর্নাটকের মতো রাজ্য যেখানে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা ২০২৮ সালে, সেখানে বিধানসভার মেয়াদ হবে মাত্রই কয়েক মাসের।

    আরও পড়ুন: মেডিক্যাল কলেজে কায়েম ‘থ্রেট কালচার’, জানুন এই সংস্কৃতি সম্পর্কে

    যদি কখনও কোনও কারণে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রয়োজন হয়, তখন নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শও দিয়েছে কোবিন্দ কমিটি। সেক্ষেত্রে পরবর্তী মেয়াদকে এমনভাবে সীমাবদ্ধ করতে হবে যাতে তাকে মিলিয়ে (PM Modi) দেওয়া যায় পরবর্তী এক দেশ, এক নির্বাচনের (One Nation One Election) সঙ্গে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Purulia: শাল, পলাশ, মহুয়ার ইতস্তত অরণ্য, মাঝে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে জয়চণ্ডী পাহাড়!

    Purulia: শাল, পলাশ, মহুয়ার ইতস্তত অরণ্য, মাঝে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে জয়চণ্ডী পাহাড়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার এক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র জয়চণ্ডী পাহাড় (Purulia)। প্রকৃতপক্ষে এই জয়চণ্ডী পাহাড় হল পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি পাহাড়ের সমষ্টি। এইসব পাহাড়গুলির নামও আলাদা আলাদা। যেমন, একটি পাহাড়ের নাম ‘ঘড়ি’, একটির নাম ‘রাম-সীতা’, আবার অন্য একটি পাহাড়ের নাম ‘যোগীঢাল’ প্রভৃতি।

    অত্যন্ত জাগ্রত দেবী জয়চণ্ডী (Purulia)

    পুরুলিয়া জেলার সদর শহর রঘুনাথপুর থেকে তিন-সাড়ে তিন কিমি দূরে পুরুলিয়া-বরাকর রোডের ওপর অবস্থিত এই পাহাড় শ্রেণির মধ্যে মধ্যমণি হল এই জয়চণ্ডী পাহাড়। প্রায় ৫০৯ ফুট উঁচু এই পাহাড়ের শীর্ষে রয়েছে মা জয়চণ্ডী দেবীর মন্দির। বেশ কয়েক ধাপ সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠে যেতে হয় মন্দিরে। এখানকার স্থানীয় মানুষ এই দেবী জয়চণ্ডীকে অত্যন্ত জাগ্রত বলে মনে করেন। পাহাড়ের (Joychandi Pahar) আশেপাশে শাল, পলাশ, মহুয়া গাছের ইতস্তত বিক্ষিপ্ত অরণ্য। নৈসর্গিক সৌন্দর্য, এক কথায় বলা যায়, অসাধারণ। উল্লেখ্য, এই জয়চণ্ডী পাহাড়েই হয়েছিল বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় পরিচালিত জনপ্রিয় ছবি ‘হীরক রাজার দেশে’-র শুটিং।

    ঘুরে নিতে পারেন বড়ন্তি

    জয়চণ্ডী থেকে মাত্র ২১ কিমি দূরে পুরুলিয়ার আর এক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র বড়ন্তি (Purulia)। ইচ্ছে হলে আর হাতে সময় থাকলে এক সঙ্গেই ঘুরে নেওয়া যায় বড়ন্তিও। সেক্ষেত্রে এক সঙ্গে রথ দেখা আর কলা বেচা, দুই-ই হবে। মন্দির দর্শনের পুণ্য যেমন হবে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝেও থাকা হবে। এখানকার লাল মাটির রাস্তা, আদিবাসী গ্রাম, সবই মন কেড়ে নেওয়ার মতো।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?

    কলকাতা থেকে জয়চণ্ডী যাওয়ার জন্য প্রথমে আসতে হবে আসানসোল। হাওড়া স্টেশন থেকে প্রচুর ট্রেন আসছে আসানসোল। ধর্মতলা থেকে বাসেও আসা যায় আসানসোল। এখান থেকে আদ্রা শাখার ট্রেনে মিনিট পনেরোর পথ জয়চণ্ডী স্টেশন (Purulia)। স্টেশন থেকে সামান্য পথ রিকশায় গেলেই জয়চণ্ডী পাহাড়। তবে মন্দির পর্যন্ত যেতে হলে শেষ ১ কিমি পথ পাহাড় ভেঙে উঠতে হবে।থাকা-খাওয়া-এখানে রয়েছে জয়চণ্ডী যুব আবাস (ফোন-৬২৯২২৪৮৮৭১)। এছাড়াও আছে কয়েকটি বেসরকারি হোটেল বা লজ। তবে এখানে হোটেলের অপ্রতুলতা আছে। সেক্ষেত্রে বড়ন্তি থেকেও ঘুরে নেওয়া যায় জয়চণ্ডী। বড়ন্তিতে তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি হোটেল রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share