Tag: Madhyom

Madhyom

  • Jagadhatri Puja 2024: কীভাবে শুরু হয়েছিল চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো? জানুন সেই অজানা ইতিহাস

    Jagadhatri Puja 2024: কীভাবে শুরু হয়েছিল চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো? জানুন সেই অজানা ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগৎকে ধারণ করেন মা দেবী শক্তি, তাই তাঁর নাম দেবী জগদ্ধাত্রী (Jagadhatri Puja 2024)। তাঁর বিশাল রূপ, টানা চোখ, অপরূপ সুন্দর ত্রিনয়ন, চার হাতে শোভা পাচ্ছে অসুর সংহারের জন্য অস্ত্র। দেবী দুর্গার আরেক রূপ মা জগদ্ধাত্রী। তিনিও সিংহবাহিনী। এই রূপেই পূজিত হন দেবী জগদ্ধাত্রী। সারা বাংলা জুড়েই বিশাল বিশাল মাতৃ মূর্তি নির্মাণ করে আরাধনা করা হয়। কৃষ্ণনগরেই জন্ম জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagaddhatri Puja 2024)। তবুও চন্দননগরের পুজোই বিখ্যাত হয়েছে। এর পিছনে রয়েছে এক অজানা ইতিহাস। উল্লেখ্য চন্দননগরের পুজোর আলোকসজ্জা, সুবিশাল প্রতিমা দর্শনার্থীদের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। আশেপাশের জেলা, রাজ্য এমনকী বিদেশ থেকেও দর্শনার্থীরা পুজো দেখতে আসেন। অথচ এই পুজো শুরুর পিছনে রয়েছে কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের বিশেষ প্রভাব এবং অবদান। কীভাবে প্রচলিত হল চন্দননগরের পুজো? আসুন জেনে নিই এই অজানা কাহিনি। 

    দেবী রাজাকে স্বপ্নাদেশ দেন (Jagadhatri Puja 2024)

    সময়টা তখন ব্রিটিশ শাসনের অধীন। ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকে দমন করতে ব্রিটিশদের সহযোগী হয়ে বাংলার রাজাদের বন্দি করেন মির কাশিম। এই বন্দিদের তালিকায় ছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এবং তাঁর ছেলে। কিন্তু যখন রাজা বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান সেই সময় দেখেন দুর্গাপুজো শেষ হয়ে গিয়েছে। পুজোর আনন্দ থেকে রাজা বঞ্চিত হন এবং এরপর মনমরা হয়ে পড়েন। কথিত আছে রাজা এরপরেই দেবীর কাছে স্বপ্নাদেশ পান। কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে মায়ের চতুর্ভূজা রূপের আরাধনা করার আদেশ পান রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। দেবী রাজাকে স্বপ্নাদেশ দিয়ে বলেন, “জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagaddhatri Puja 2024) করতে হবে। জনসেবা এবং বিশ্বকে সব রকম অশুভ শক্তি থেকে মুক্ত করতে দেবী পুজো আবশ্যক।” সেই থেকে শুরু হয় কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো। পরবর্তীতে রাজবাড়ির রাজপ্রাসাদের গণ্ডি টপকে ছড়িয়ে পড়ে নগরের অলিগলিতে। এরপর থেকেই এই পুজো ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে গোটা কৃষ্ণনগরে। মোটামুটি জানা গিয়েছে, ১৭৬৩-৬৪ সালে হৈমন্তিকার আরাধনা শুরু হয় জলঙ্গি নদীর পাড়ে। তবে, সঠিক সময় নিয়ে মতভেদ রয়েছে।

    কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের নবমী পুজো

    তবে বাংলার জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagadhatri Puja 2024) নিয়ে পৌরাণিক মত খুব একটা স্পষ্ট করে পাওয়া যায় না। একটি মতে বলা হয়, ত্রেতা যুগের শুরুতে করীন্দ্রাসুর নামে এক হস্তীরূপী অসুরকে বধ করার জন্য দুর্গার মতো ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের শক্তি থেকে সিংহবাহিনী, চতুর্ভুজা এই দেবীর জন্ম হয়। জগদ্ধাত্রী দেবী চার হাতে থাকে চক্র, শঙ্খ, ধনুক এবং পঞ্চবান। আবার অপর আরেক মতে, কোনও অসুর বধ নয়, মহিষাসুরের বধের পর অগ্নি, পবন, বরুণ এবং চন্দ্র দেবতা আত্ম অহংকারে ভুগতে শুরু করেন।দেবতাদের দর্পচূর্ণ করতে দেবী জগদ্ধাত্রীর আর্বিভাব। সেখানে হস্তীকে অহংকারের স্বরূপ ধরা হয়। তাঁকেই বধ করেন দেবী। শাস্ত্রমতে কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় জগদ্ধাত্রী পুজো।

    আরও পড়ুনঃ রবিবার মাত্র একদিন জগদ্ধাত্রী পুজো হবে কৃষ্ণনগরে, চলছে চূড়ান্ত পর্যায়ের মণ্ডপসজ্জার কাজ

    সুবিশাল মণ্ডপ, প্রতিমা ভক্তদের আকর্ষণ করে চন্দননগর

    কৃষ্ণনগরের পাশাপাশি চন্দননগরেও পুজো শুরু হয়েছিল। জলঙ্গির পাড় থেকে গঙ্গার পাড়ে কীভাবে পৌঁছাল পুজো? জানা যায়, জমিদার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন ফরাসিদের দেওয়ান জনৈক ইন্দ্রনারায়ণ রায়। তিনি নিজের বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagadhatri Puja 2024) শুরু করেছিলেন। ইন্দ্রনারায়ণ ছিলেন চন্দননগরের লক্ষ্মীগঞ্জের চাউলপট্টির বাসিন্দা। সেখানেই চাউলপট্টির নিচুপাটিতে ইন্দ্রনারায়ণ প্রথম শুরু করেন জগদ্ধাত্রী পুজো। আবার আরেকটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণচন্দ্রের দেওয়ান দাতারামের বিধবা কন্যা থাকতেন ভদ্রেশ্বরের তেঁতুলতলায়। সেখানে রাজার অনুমতি নিয়ে পুজো শুরু হয়েছিল। এই পুজোর অনুদান দিতেন স্বয়ং রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। ক্রমে ক্রমে এই পারিবারিক পুজো এবং সর্বজনীন পুজোতে (Jagadhatri Puja 2024) পরিণত হয়েছে। তবে সময়ের ব্যবধানে জাঁকজমক, আলোর খেলায় চন্দননগরের জনপ্রিয়তা অনেক বড় জায়গা করে নিয়েছে। এখানকার সুবিশাল মণ্ডপ, প্রতিমা ভক্ত, দর্শকদের ব্যাপক ভাবে আকর্ষণ করে। দেশ-বিদেশেও বাঙালির বড় পুজোর মধ্যে এই জগদ্ধাত্রী পুজো বড় জায়গা করে নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: আচমকাই লাইনচ্যুত শালিমার-সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস, নলপুরের দুর্ঘটনা ভাবাচ্ছে রেলকে

    Train Accident: আচমকাই লাইনচ্যুত শালিমার-সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস, নলপুরের দুর্ঘটনা ভাবাচ্ছে রেলকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার নলপুরের (Nalpur) কাছে সাতসকালেই বেলাইন ডাউন শালিমার-সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস। বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনও ঘটনা না ঘটলেও কেন বেলাইন হল ট্রেন (Train Accident) সেই প্রশ্ন ঘুরছে সহ মহলেই। ইতিমধ্যেই জোরকদমে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে রেল। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন রেলের উচ্চপদস্থ কর্তারা। সব যাত্রীদের উদ্ধার করে তাঁদের গন্তব্যের উদ্দেশে পাঠানো হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Train Accident)

    শনিবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ শালিমারে ঢোকার আগে সেকেন্দ্রাবাদ-শালিমার সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত করবে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। দু’টি কামরা এবং একটি পার্সেল ভ্যান লাইনচ্যুত হয়। এদিন দুপুর পর্যন্ত লাইনের ওপর থেকে ট্রেনের বেলাইন কামরাগুলি সরানো যায়নি। রেল সূত্রে খবর, ডাউন লাইন দিয়ে শালিমারের দিকে আসছিল ট্রেনটি (Train Accident)। আচমকা তার শুরুর দিকের কামরাগুলি মাঝের লাইনে চলে আসে। পরে আবার তা ডাউন লাইনে চলে যায়। এর ফলে ট্রেনের ভিতরে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হয়। ডাউন লাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেঁকে গিয়েছে লাইনের একাংশ। যে লোহার ক্লিপ দিয়ে লাইন সংযুক্ত রাখা হয়, তা-ও চারদিকে ছিটকে পড়েছে। লাইনের সিমেন্টের ঢালাই স্লিপারও ভেঙে পড়েছে।  যার ফলে হাওড়া থেকে লোকাল ট্রেন পরিষেবাও যে কারণে ব্যাহত হয়েছে। সকাল থেকে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব লাইনের যাত্রীরা (Train Accident)। যদিও দুর্ঘটনাগ্রস্ত যাত্রীরা সকলেই সুরক্ষিত। কারও বড় কোনও আঘাত লাগেনি বলে জানিয়েছেন মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ওমপ্রকাশ চরণ। যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১০টি বাস এবং একটি লোকাল ট্রেনের বন্দোবস্তও করে রেল। কিন্তু, কীভাবে তা সম্ভব হল, তা নিয়ে এখনও ধন্দে রেল আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলের রুচিবোধ নিম্নমানের, থ্রেট কালচারের জনক মমতা’’, তোপ শুভেন্দুর

    কী বললেন রেলের আধিকারিকরা?

    লাইনচ্যুত (Train Accident) হওয়ার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বেশ কিছু জিনিস ভাবাচ্ছে দক্ষিণ পূর্ব রেলের আধিকারিকদের। ট্রেনটি ডাউন মেন লাইন থেকে মিডল লাইনে উঠছিল। এই ক্রসিং পয়েন্টে কোনও বিভ্রাট হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন রেলের টেকনিক্যাল বিভাগের কর্তারা। নলপুরের ওই যে অংশে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে সেই অংশে তিনটি লাইন রয়েছে। আপ লাইন, ডাউন মেন লাইন, মিডল লাইন। এই মিডল লাইন দিয়ে আপ এবং ডাউন দুই লাইনের ট্রেন চলাচল করে। যে সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে তখন গাড়ির গতি ছিল ঘণ্টায় ১৫-২০ কিমি। সে কারণেই বড়সড় দুর্ঘটনা (Train Accident) এড়ানো গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদি গতি বেশি থাকত তাহলে অন্য চিত্র দেখা যেত বলে মনে করছেন অনেকেই। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এজিএম সৌমিত্র মজুমদার জানিয়েছেন, যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়াই রেলের অগ্রাধিকার। তার পর লাইনচ্যুত কামরাগুলি সরিয়ে লাইন মেরামতির কাজ হবে। ইতিমধ্যে সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।

    ট্রেন বাতিল, গতিপথ পরিবর্তন

    দুর্ঘটনার (Train Accident) জেরে সকাল থেকে হাওড়া-খড়াপুর শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। ডাউন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় লোকাল ট্রেন সঠিক সময়ে চলছে না। সকাল থেকে দীর্ঘ ক্ষণ কোনও ট্রেনই ছিল না, দাবি যাত্রীদের।  বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল বা তার সময় পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর রেল সূত্রে। বাতিল করা হয়েছে দিঘা থেকে হাওড়া এবং হাওড়া থেকে দিঘাগামী ট্রেন। এ ছাড়া, হাওড়া কিংবা শালিমার স্টেশনে আসার অনেক ট্রেনের গতিপথ সংক্ষিপ্ত হয়েছে। হাতিয়া থেকে হাওড়া, পুরী থেকে শালিমার, সম্বলপুর থেকে শালিমার, চেন্নাই থেকে শালিমার, আদ্রা থেকে হাওড়া, পুরুলিয়া থেকে হাওড়া, ভুবনেশ্বর থেকে হাওড়া আসার ট্রেনের গতিপথ সংক্ষিপ্ত হয়েছে। ঘুরপথে চলবে মুম্বই-শালিমার, মুম্বই-হাওড়া এক্সপ্রেস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISKCON: মৌলবাদীদের খুশি করতে বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে চলেছে ইউনূস সরকার?

    ISKCON: মৌলবাদীদের খুশি করতে বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে চলেছে ইউনূস সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) ইউনূস সরকারের প্রাণ ভোমরা রয়েছে বিএনপি সমেত মৌলবাদীদের হাতে। এমন অবস্থায় সে দেশে হিন্দুদের ওপর একের পর এক আক্রমণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামে ওসমান নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী সমাজ মাধ্যমে ইসকনের (ISKCON) বিরুদ্ধে একটি পোস্ট করেন। এই পোস্টে  ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানানো হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয় চট্টগ্রাম। প্রশাসনের তরফ থেকেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার জন্য ইসকনকে দায়ী করা হয়। অনেকেই মনে করছেন বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করে ইউনূস সরকার উগ্র মৌলবাদীদের খুশি করার চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু বেছে বেছে ইসকনকে টার্গেট করা হচ্ছে কেন? এর কিছু কারণ রয়েছে।

    সংখ্যালঘু আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে ইসকন (ISKCON) 

    বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন, ইসকনের সন্ন্যাসী ও ব্রহ্মচারীরা সেদেশের জাগরণ মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত। এই জাগরণ মঞ্চের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন হিন্দু ধর্মীয় মঠ, মন্দির, প্রতিষ্ঠানও যুক্ত রয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওপর মৌলবাদীদের আক্রমণের প্রতিবাদে গত মাসের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে একটি বিরাট সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এই সমাবেশের পরে ঢাকাতেও একটি বিরাট সমাবেশ করা হয়েছিল। সেখানে নিজেদের নিরাপত্তার দাবি তুলেছিলেন হিন্দুরা। ঢাকায় সমাবেশকে সফল করার পিছনে জাগরণ মঞ্চের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। চট্টগ্রাম এবং ঢাকায়- এই দুই জায়গার সমাবেশ, ইউনূস সরকারের আমলে সে দেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনকে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে সমর্থ হয়েছিল এবং এতে বিপাকে পড়তে হয়েছিল ইউনূস সরকারকে। কারণ হিন্দুদের ওপর লাগাতার হামলার কথা তারা অস্বীকার করে আসছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনাকে নাকি অতিরঞ্জিত করে দেখানো হচ্ছে, এমনও বক্তব্য সামনে এসেছে, ইউনূস সরকারের বিভিন্ন কর্তা ব্যক্তিদের মাধ্যমে। কিন্তু চট্টগ্রাম ও ঢাকায় যে সংখ্যালঘুদের সমাবেশ হয়, তা প্রমাণ করে যে ইউনূস সরকারের এমন বক্তব্য ঠিক কত বড় মিথ্যা এবং বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রকৃত দুর্দশা ঠিক কতটা!

    বাংলাদেশে হিন্দুদের দাবি 

    প্রসঙ্গত, সংখ্যালঘু হিন্দুরা ইউনূস সরকারের কাছে নিজেদের দাবিও পেশ করেন। এই দাবিগুলির মধ্যে ছিল- সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক গঠন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য সংসদে আসন সংরক্ষণ, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনার যারা অভিযুক্ত, তাদের বিচারের জন্য ট্রাইবুনাল গঠন, হামলায় যে সমস্ত সংখ্যালঘু হিন্দুদের ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া, সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সংখ্যালঘুদের উপাসনালয় নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলগুলির আধুনিকীকরণ, পালি ও সংস্কৃত শিক্ষা বোর্ডের সংস্কার, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টিকে ফাউন্ডেশনে উন্নত করা, প্রতিবছর দুর্গাপুজোতে পাঁচ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা। এই সমস্ত দাবিগুলি নিয়েই সে দেশের হিন্দুরা লাগাতার আন্দোলনে নেমেছেন। একের পর এক সমাবেশ করেছেন। সাম্প্রতিক ইতিহাসে বাংলাদেশে হিন্দুরা, এর আগে কখনও নিজেদের এতটা সংগঠিত করেননি। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এত বড় সমাবেশ কখনও সে দেশে হতে দেখা যায়নি। বাংলাদেশে হিন্দুদের এমন প্রতিবাদ, গর্জে ওঠা- এই সমস্ত কিছুই সে দেশের কট্টরপন্থী উগ্র ইসলামিক মৌলবাদীদের চমকে দিয়েছে। উগ্র মৌলবাদীদের অনেকেই আবার বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রীও হয়ে রয়েছেন।

    বিশ্বব্যাপী সাড়া ফেলেছে বাংলাদেশে হিন্দুদের সমাবেশ, তাই কি উদ্বিগ্ন মৌলবাদীরা?

    স্বরাজ্য পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আওয়ামী লিগের সঙ্গে যুক্ত ঢাকার এক হিন্দু আইনজীবী বলছেন, ‘‘উগ্র ইসলামিক মৌলবাদীরা কখনও ভাবতে পারেনি যে হিন্দুরা এত বড় সমাবেশ করবে এবং নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে এমনভাবে তাঁরা দাবি জানাবেন। কারণ উগ্র মৌলবাদীরা, সর্বদাই আশা করতেন যে হিন্দুরা বিনয়ী হবেন। তাঁরা বাধ্য হবেন এবং বাংলাদেশে তাঁদের দুঃখজনক পরিণতিকে তাঁরা মেনে নেবেন,- এমনটাই মনে করছিলেন উগ্র মৌলবাদীরা। স্বাভাবিকভাবে সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের এমন প্রতিবাদকে মৌলবাদীরা মেনে নিতে পারছেন না।’’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চট্টগ্রামে হিন্দুদের সমাবেশ যেদিন করা হয় দিনটি ছিল শুক্রবার। শুক্রবার সমাবেশ করাকেও মৌলবাদীরা আবার ভালো চোখে দেখছেন না। কারণ শুক্রবার ইসলামে পবিত্র দিন মানা হয়। মৌলবাদীদের মতে, শুক্রবার সমাবেশের ডাক দিয়ে নাকি তাঁদের প্রতি অবমাননা করা হয়েছে।

    মৌলবাদীদের খুশি করতেই কি ইসকনকে (ISKCON) নিষিদ্ধ করতে পারে ইউনূস সরকার?

    প্রসঙ্গত, হিন্দুদের এই জাগরণে সে দেশে ইসকন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আন্তর্জাতিক স্বনামধন্য এই সংস্থার সন্ন্যাসী হলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। যিনি জাগরণ মঞ্চের নেতৃত্ব প্রদান করছেন এবং নির্যাতিত হিন্দুদের আওয়াজ বিশ্বের মঞ্চে তুলে ধরছেন। এই আবহে ওয়াকিবহাল মনে করছে যে ইসকনকে টার্গেট করে আসলে ইউনূস সরকার, বাংলাদেশের হিন্দুদের কাছে একটি বার্তা পাঠাবে, আন্দোলন করার জন্য চরম মূল্য দিতে হল ইসকনকে। এতে খুশি করা যাবে বাংলাদেশের (Bangladesh) মৌলবাদীদেরও।’’ ঠিক এই কারণেই চট্টগ্রাম সমাবেশের ঠিক একদিন পরেই ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস সমেত ১৮ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। বাংলাদেশের বিএনপি’র স্থানীয় নেতা ফিরোজ খানের অভিযোগের ভিত্তিতে অন্যান্য ১৯ জনের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়। প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওই ঐতিহাসিক সমাবেশ লালদিঘি ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

    কী বলছেন চট্টগ্রামের ব্য়বসায়ী কার্তিক পাল?

    সমাবেশের সঙ্গে যুক্ত অন্যতম উদ্যোক্তা চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ী কার্তিক পাল স্বরাজ্য পত্রিকাকে টেলিফোনে বলেন, ‘‘গত এক নভেম্বরের ওই সমাবেশে ইউনূস সরকার মনে করছে অত্যধিক পরিমাণে বাড় বেড়েছে হিন্দুদের। তাঁদের এজন্য সবক শেখানো দরকার। ঠিক এই কারণেই অত্যন্ত সহজ উপায় ছিল ইসকনকে (ISKCON) টার্গেট করা। কারণ হিন্দুদের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান সে দেশে ইসকন। বড় অংশের হিন্দুরাই সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। তাই ইসকনকে টার্গেট করে হিন্দুদেরকে সবক শেখাতে চাইছে আসলে ইউনূস সরকার।’’

    চট্টগ্রামের ঘটনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইসকনকে দায়ী করছে প্রশাসন

    প্রসঙ্গত, এর পরই গত ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের ওসমান মোল্লার ইসকনকে নিয়ে সমাজ মাধ্যমে অপমানজনক পোস্টের বিরুদ্ধে হিন্দুরা সংগঠিতভাবে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতেই নামাতে হয় সেনাবাহিনীকে। সেনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, হিন্দুদের বাড়িতে ঢুকে তারা লুটপাট চালিয়েছে। মূল্যবান জিনিসপত্র যেমন ভাঙচুর করেছে তেমনই মহিলাদেরও শ্লীলতাহানি করেছে তারা। স্বরাজ্য পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে, কয়েকজন মহিলাকে গণধর্ষণও করা হয়েছে। নিরাপত্তা কর্মীরা নিজেদের এই তাণ্ডবকে আড়াল করতে নাকি সিসিটিভি ক্যামেরাও ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ। গত ৬ নভেম্বরের এই ঘটনার জন্য বাংলাদেশের প্রশাসন আবার উল্টে ইসকনকেই দায়ী করেছে। এক প্রশাসনের আধিকারিক জানিয়েছেন, অশান্তি সৃষ্টি ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ৫৮২ জন হিন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এর পিছনে ইসকনের সমর্থকরা জড়িত ছিল বলে অভিযোগ করেন ওই আধিকারিক।

    কী বলছেন ঢাকার হিন্দু নেতা সুধাংশু পাল?

    একইসঙ্গে ঢাকার হিন্দু সমাজের অন্যতম নেতা সুধাংশু পাল, স্বরাজ্য পত্রিকাকে বলেন, ‘‘ইসকনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের এমন অভিযোগ আসলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ প্রশাসন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার জন্য ও ইসলামপন্থীদের প্রচারে আরও অক্সিজেন দেওয়ার জন্য এধরনের অভিযোগ আনছে। প্রশাসনের এমন অভিযোগের পরে, ইসকনের ওপর ইউনূস সরকার সহজেই নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে। এতে বাংলাদেশের হিন্দুদের মনোবলও ভেঙে দেওয়া যাবে।’’

    ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে মিছিল, প্রতিবাদ জানিয়ে ট্যুইট শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে সেদেশের মৌলবাদী সংগঠন হেফাজতে-ইসলাম গতকাল শুক্রবার একটি মিছিল করে। সে নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন শুভেন্দু অধিকারী। (যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। নিজের পোস্টে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, আন্তর্জাতিক সংস্থা ইসকন। ৭৬টা দেশে যার শাখা রয়েছে, হরে কৃষ্ণ আন্দোলনকে, যারা ছড়িয়ে দিচ্ছে পৃথিবীজুড়ে, সেই ইসকনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে বাংলাদেশে। তার কারণ সেখানকার সন্ন্যাসী এবং ব্রহ্মচারীরা হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনার আওয়াজ তুলছেন।

     

    তথ্য সহায়তা: স্বরাজ্যমার্গ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BCCI Board Meeting:  বোর্ডের বৈঠকে প্রশ্নের মুখে রোহিত-গম্ভীর, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় ভারতের

    BCCI Board Meeting: বোর্ডের বৈঠকে প্রশ্নের মুখে রোহিত-গম্ভীর, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথমবার টেস্ট সিরিজে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা সহ্য করতে হয়েছে ভারতকে (BCCI Board Meeting)। নিউজিল্যান্ডের কাছে হোম সিরিজে বিধ্বস্ত হয়ে ভারত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়ার রাস্তা নিতান্ত কঠিন করে ফেলেছে। এই আবহে শুক্রবার দীর্ঘ ছয় ঘন্টার বৈঠকে বোর্ড কর্তাদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন কোচ গৌতম গম্ভীর এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বৈঠকে ছিলেন নির্বাচক কমিটির প্রধান অজিত আগরকর, বোর্ড সচিব জয় শাহ ও প্রেসিডেন্ট রজার বিনি। বৈঠকে নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান, কোচ এবং অধিনায়কের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এই ব্যর্থতার ধাক্কা সামলে কীভাবে দল অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে।

    বোর্ডের বৈঠকে আলোচনা

    সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বোর্ডের জনৈক আধিকারিক বলেছেন, ‘‘ছয় ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে ভারতীয় দলকে ত্রুটিমুক্ত করার বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। দল কী ভাবে আবার ছন্দে ফিরতে পারে, তা জানতে চাওয়া হয় কোচ এবং অধিনায়কের কাছে।’’ জানা গিয়েছে, মুম্বই টেস্টে বুমরা-কে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্তে মোটেই সন্তুষ্ট হতে পারেননি বোর্ডের (BCCI Board Meeting) কর্তারা। তা ছাড়়াও কেন পুণে টেস্টে স্পিন সহায়ক উইকেটে হারের পরেও মুম্বইয়ে সেই একই ধরনের পিচ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা নিয়েও বিরক্ত কর্তারা। এখন ভারতের টানা তৃতীয়বার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা নির্ভর করছে আসন্ন বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির পারফরম্যান্সের উপরে। গুরুত্বপূর্ণ অজি সফরে পা হড়কালেই এবারের মতো ডব্লিউটিসি ফাইনালের স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিতে হবে রোহিত শর্মাদের।

    দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়

    টেস্টে ঘরের মাঠে পরাজিত হলেও আইপিএল খেলে অভ্যস্ত ভারতীয় ক্রিকেটাররা টি-টোয়েন্টি-তে নিজেদের দাপট বজায় রাখলেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে শেষ মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকাকে (India vs South Africa) হারিয়েছিল ভারত। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে একই প্রতিপক্ষকে হারাতে বেশি পরিশ্রমই করতে হল না ভারতকে। সঞ্জু স্যামসনের শতরান এবং বরুণ চক্রবর্তীর তিন উইকেটের সৌজন্যে ভারত জিতল ৬১ রানে। সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং— তিন বিভাগেই ভাল খেলেছে ভারত। গোটা ম্যাচই তারা নিয়ন্ত্রণ করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Donald Trump: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্প, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও মজবুত হবে, আশায় ভারত

    Donald Trump: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্প, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও মজবুত হবে, আশায় ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) আসীন হওয়াটা (India US Trade Security Ties) এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। নতুন বছরের ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন তিনি। তাঁকে ঘিরে আশার আলো দেখছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। কারণ মার্কিন দেশে ক্ষমতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর ‘বন্ধু’। তবে উদ্বেগ যে একেবারেই নেই, তা নয়। উদ্বেগ রয়েছে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য বন্ধন নিয়ে। তবে, দ্রুত সেই উদ্বেগের নিরসন হয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত হবে, আশায় নয়াদিল্লি।

    ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Donald Trump)

    ট্রাম্প হতে চলেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর সঙ্গে মোদির সম্পর্ক খুবই ভালো। এর আগের দফায় প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে ট্রাম্পের উদ্যোগেই হয়েছিল ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠান। গুজরাটে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সখ্যতার প্রমাণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পরেও ভারত-আমেরিকা সুসম্পর্ক বজায় থাকবে বলেও ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

    ভারতের পাশে ট্রাম্প

    ভারতের সঙ্গে ট্রাম্প (Donald Trump) বরাবরই সুসম্পর্ক রেখে চলেছেন। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে চিনা ফৌজ অনুপ্রবেশের সময় ভারতের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য দু’টি সি গার্ডিয়ান ড্রোনের লিজ মঞ্জুর করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ট্রাম্প। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের সময় মোদি সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন ট্রাম্প। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রয়োজনীয়তাও উপলদ্ধি করেছিলেন। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, ট্রাম্প (Donald Trump) ভারতে বৃহত্তর বিনিয়োগের পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: রাতভর অভিযান কাশ্মীরে সাফল্য সেনার, নিহত ২ জঙ্গি, উদ্ধার বিপুল অস্ত্র

    ভারতীয়দের আমেরিকায় বিনিয়োগ করার আহ্বান করেছিলেন। ডাম্পিং সমস্যায় চিনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করেছিলেন তিনি। এর আগের মেয়াদে ট্রাম্প ভারতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে প্রাকৃতিক শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখার কথা বলেছিলেন তিনি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। ভারতীয় বিমান বাহিনীর বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি ক্যাম্পে আক্রমণের সময় পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ভারতের পাল্টা আঘাত করার অধিকারকে স্বীকৃতিও দিয়েছিলেন তিনি। সংখ্যালঘু হিন্দু ও খ্রিস্টানদের ওপর মুসলমানদের হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনাও করেছিলেন ট্রাম্প।

    নানা বিষয়ে মতের মিল হওয়ায় ট্রাম্প যে ভারতের পাশেই থাকবেন, সে ব্যাপারে আশাবাদী (India US Trade Security Ties) ভারত। উদ্বেগ বলতে ওইটুকুই, সেটা হল বাণিজ্য চুক্তি। তবে, ট্রাম্পের (Donald Trump) দ্বিতীয় দফায় দ্রুত সেই উদ্বেগের নিরসন হয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত হবে, আশায় নয়াদিল্লি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: রাতভর অভিযান কাশ্মীরে সাফল্য সেনার, নিহত ২ জঙ্গি, উদ্ধার বিপুল অস্ত্র

    Jammu Kashmir: রাতভর অভিযান কাশ্মীরে সাফল্য সেনার, নিহত ২ জঙ্গি, উদ্ধার বিপুল অস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপত্যকায় বড় সাফল্য নিরাপত্তাবাহিনীর। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) নানা জায়গায় একের পর এক জঙ্গি হামলার ঘটনায় মাঝেই শ্রীনগরে সেনার গুলিতে নিহত হল ২ জঙ্গি। শুক্রবার রাত থেকে বারামুল্লার সোপোর এলাকায় জঙ্গি দমনে অভিযান চালায় সেনা। জঙ্গিদের নিকেশ করার পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র। কাশ্মীর পুলিশের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, ‘সোপোরে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। মৃত জঙ্গিদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।’ 

    জঙ্গি দমনে অভিযান

    পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে খবর আসে বারামুল্লার (Jammu Kashmir) সোপোর এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী। গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযানে নামে সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনী। সোপোরের পানিপুরায় গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। সেনার উপস্থিতি টের পেয়ে এবং পিছু হটবার জায়গা না থাকায় নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেয় বাহিনীও। প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে দুই তরফের গুলির লড়াইয়ের পর ২ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    জঙ্গি কার্যকলাপ

    জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে একের পর এক জঙ্গি কার্যকলাপের ঘটনা ঘটছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কিস্তওয়ার জেলায় দুই ভিডিজি (ভিলেজ ডিফেন্স গার্ড) সদস্যকে অপহরণ করে খুন করল জঙ্গিরা। পুলিশ সূত্রের খবর, ওহলি-কুন্তওয়ারা গ্রামের ওই দুই বাসিন্দার নাম নাজির আহমেদ ও কুলদীপ কুমার। পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের ‘ছায়া সংগঠন’ কাশ্মীর টাইগার্স খুনের দায় স্বীকার করেছে। নিহত দুই ভিডিজি সদস্যের ছবিও প্রকাশ করেছে তারা। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা জঙ্গি হানায় দুই ভিডিজি সদস্যের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘এই সন্ত্রাসের চক্র আমরা ধ্বংস করবই।’’ সেনার তরফে জানানো হয়েছে, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে উপত্যকায় জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাস রুখতে আগামী দিনেও এই ধরনের অভিযান জারি থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    Ram Mandir: অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার ৯ নভেম্বর। ২০১৯ সালের এই দিনেই ঐতিহাসিক অযোধ্যা (Ayodhya) মামলার রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। অযোধ্যার মূল বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি রামলালাকে (Ram Mandir) দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ২.৭৭ একরের বিতর্কিত জমি ঘিরে কেন্দ্রের অধিগৃহীত ৬৭ একর জমিও পেয়েছিল হিন্দু পক্ষ।

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান (Ram Mandir)

    আর মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলমান পক্ষকে অযোধ্যাতেই ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই রায়ের পরেই অযোধ্যায় গড়ে উঠেছে ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের ‘ইমারত’। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ‘স্বগৃহে’ প্রতিষ্ঠিত হন রামলালা। তার পর সেখানেই চলছে পূজার্চনা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাম মন্দির কেবল একটি ধর্মীয় কাঠামো নয়, এটি লক্ষ লক্ষ ভারতীয়ের ঐক্য, অধ্যবসায় এবং যৌথ আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। এই দেবালয়ের দিনের আলো দেখার নেপথ্যে রয়েছে বহু মানুষের আত্মত্যাগ। এটি এমন একটি কাহিনি যা পুরাণ, ইতিহাস, আইনি সংগ্রাম এবং একটি পুরো দেশের আত্মাকে একত্রিত করে।

    হিন্দুদের বিশ্বাস

    অযোধ্যা, ভারতের অন্যতম প্রাচীন নগরী। ভারতীয় সভ্যতায় এই নগরী একটি অনন্য স্থান অধিকার করে রয়েছে। কারণ হিন্দুদের বিশ্বাস, এটি ভগবান রামের জন্মস্থান। প্রাচীন গ্রন্থে অযোধ্যার ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব ভালোভাবে নথিভুক্ত রয়েছে। এই জায়গায় যে এক সময় মন্দির ছিল, তার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনও মিলেছে। বাল্মীকি রামায়ণেও অযোধ্যার উল্লেখ পাওয়া যায়। সেখানে একে ইক্ষ্বাকু বংশ-শাসিত একটি সমৃদ্ধ ও দৈব শহর হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। ভগবান রাম, যিনি মর্যাদা পুরুষোত্তম হিসেবে পূজিত হিন্দুদের ঘরে ঘরে, সেই তিনিই এখানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ধর্ম অর্থাৎ ন্যায় ও পুণ্যের প্রতীক। কালিদাসের মতো কবি এবং তুলসীদাসের রামচরিতমানসেও স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে অযোধ্যার নাম।

    পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণ

    রাম মন্দিরের খোঁজে এই এলাকায় খননকার্য চালায় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ। যেখানে বাবরি মসজিদ ছিল বলে দাবি করা হচ্ছিল, সেখানে একটি বিশাল মন্দিরের কাঠামোর অস্তিত্বের (Ram Mandir) প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই খননকার্যের সময় উদ্ধার হওয়া স্তম্ভ, শিলালিপি ও স্থাপত্যের উপাদানগুলি বৈষ্ণব ঐতিহ্যের বৈশিষ্ট্যযুক্ত, যা এই জায়গাটাকে রামের জন্মস্থান হিসেবে পবিত্র বলে যে ঐতিহাসিক বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে, তাকে সমর্থন করে। রাম মন্দির মামলার আইনি যাত্রা এক শতাব্দীরও বেশি (Ayodhya) সময় ধরে চলেছে। এই মামলা একাধিক মামলা, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং গুরুত্বপূর্ণ জুডিশিয়াল সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত। এই জটিল আইনি লড়াইয়ের কাহিনি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের বিস্তৃত সংগ্রামের প্রতিফলন ঘটায়।

    প্রথম আইনি উদ্যোগ

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান ঘটাতে প্রথম আইনি উদ্যোগ শুরু হয় ১৮৮৫ সালে, যখন মহন্ত রঘুবর দাস রাম চবুতরার ওপর একটি মন্দির নির্মাণের অনুমতি চেয়ে মামলা দায়ের করেন আদালতে। ব্রিটিশ আদালত অস্বীকৃত হওয়ায় দীর্ঘ আইনি সংগ্রামের সূচনা হয়। তার পর থেকে দীর্ঘদিন আইনি লড়াই চলছিল। ১৯৪৯ সালে বাবরি মসজিদের ভেতরে হঠাৎ করেই রামলালার মূর্তি (Ram Mandir) আবির্ভূত হলে সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠে। সরকার ওই জায়গাটা সিল করে দেয়, যা হিন্দু ও মুসলিম উভয় পক্ষের দাবি ও পাল্টা দাবির সূত্রপাত ঘটায়। পরবর্তীকালে, এই বিবাদ পরিণত হয় একটি জাতীয় ইস্যুতে। রাম জন্মভূমি আন্দোলন গতি লাভ করে আটের দশকে। মাঠে নামে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো সংগঠন। আন্দোলন সমর্থন করেন লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও। ১৯৯০ সালে আডবাণীর নেতৃত্বে রথযাত্রা হয়। শমিল হন লাখ লাখ মানুষ। জোরালো হয় রাম মন্দিরের দাবি। দেশ তো বটেই, এই আন্দোলন নজর কাড়ে তামাম বিশ্বেরও। 

    বাবরি মসজিদ ধ্বংস

    ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ধ্বংস হয় বাবরি মসজিদের কাঠামো। করসেবকরাই ধ্বংস করে ফেলেন মসজিদের কাঠামো। গোটা দেশে তৈরি হয় সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক রায় দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। তার সঙ্গে সঙ্গে হয় শতাব্দীভর ধরে চলা মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান। গড়ে ওঠে হিন্দুদের স্বপ্নের রাম মন্দির। রাম মন্দির (Ram Mandir) আজ শুধুমাত্র আর একটি পুজোস্থল নয়, বরং ভারতের সমষ্টিগত চেতনা ও সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রতীক। এটি লাখ লাখ মানুষের দৃঢ়তা, ঐক্য ও বিশ্বাসের প্রতীক, যারা নানা বাধা সত্ত্বেও তাঁদের বিশ্বাসে অবিচল ছিলেন। মন্দিরের নির্মাণ বহু প্রজন্ম ধরে লালিত একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন, যা ভারতের সভ্যতাগত মূল্যবোধের মর্মকে সযত্নে ধারণ করে।

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলের রুচিবোধ নিম্নমানের, থ্রেট কালচারের জনক মমতা’’, তোপ শুভেন্দুর

    অযোধ্যার রাম মন্দির বিশ্বাসের শক্তি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের গুরুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। স্মরণ করিয়ে দেয় তাঁদের কথা যাঁরা এই ঐতিহাসিক দীর্ঘ যাত্রায় কোনও না কোনও ভাবে তাঁদের ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁদের এই অবদান ভারতের ইতিহাসে একটি (Ayodhya) নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। যে অধ্যায় চোখের সামনে ভেসে উঠবেই অযোধ্যায় (Ram Mandir) আসা দর্শনার্থীদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Awas Yojana: তালিকায় নাম তৃণমূল নেতা থেকে রেশন ডিলারের, জেলায় জেলায় আবাস দুর্নীতি

    Awas Yojana: তালিকায় নাম তৃণমূল নেতা থেকে রেশন ডিলারের, জেলায় জেলায় আবাস দুর্নীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোথাও একজনের নাম রয়েছে পাঁচবার! আবার কোথাও বিলাসবহুল বাড়ি ও প্রচুর সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও আবাসের তালিকায় উঠেছে নাম। জেলায় জেলায় আবাস যোজনায় (Awas Yojana) দুর্নীতির ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে। অভিযোগ উঠছে, প্রকৃত উপভোক্তারা যেখানে টাকা পাচ্ছেন না, সেখানে আবাসের টাকা পাচ্ছেন শাসক দলের নেতারা। এনিয়ে এই মুহূর্তে তোলপাড় গোটা রাজ্য। ফলে, জেলায় জেলায় তৃণমূল (Trinamool Congress) সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

    আবাস তালিকায় পাঁচবার নাম ভূতুড়ে উপভোক্তার (Awas Yojana)  

    পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া-২ নম্বর ব্লকের জগদানন্দপুর গ্রামের সুদেষ্ণা রায় নামে এক বাসিন্দার আবাস যোজনার (Awas Yojana)  তালিকায় তাঁর নাম এসেছে পাঁচবার! কিন্তু, আরও বড় কেলেঙ্কারি সামনে এল এবার। যখন সরকারি আধিকারিকরা সমীক্ষা করতে গিয়ে দেখলেন, ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে সুদেষ্ণা রায় নামে কোনও মহিলার অস্তিত্বই নেই। আর এতেই রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, আবাস যোজনার টাকা লুট করতে কি এবার ভূতুড়ে উপভোক্তা তৈরি করা হচ্ছে? প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তালিকায় যে গরমিলের অভিযোগ উঠেছে, তার সমাধান করা হবে। তালিকা খতিয়ে দেখে, সমস্ত ভুয়ো নাম যোগ হয়েছে। সেই সমস্ত নাম বাতিল করা হবে। বিজেপি নেত্রী সীমা ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের ঝোলা থেকে একের পর এক দুর্নীতি বেরিয়ে আসছে। আবাস যোজনার বাড়ি প্রতি তৃণমূল ২০ হাজার টাকা করে তুলছে। ফলে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলাবাজি চলছে এই আবাস যোজনার বাড়ি থেকে। তাই ভুয়ো নাম ঢুকিয়ে দিয়ে তারা টাকা তোলার কারবার ফেঁদেছে। সুদেষ্ণা রায় নামে এই পঞ্চায়েতে কাউকে পাওয়াই যায়নি।” জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের দাবি, “প্রশাসনিক ব্যাপার এটা। কারও নামে ভুলবশত বাড়ি এলে সেই নাম বাতিল হবে। যাঁরা পাওয়ার যোগ্য, তাঁরাই বাড়ি পাবেন।” অন্যদিকে, যোগ্যকে বঞ্চনা, যাঁর পাকা বাড়ি, তাঁকেই আবাস? পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডিতে ঝালদা-বাঘমুণ্ডি রাজ্য সড়ক  অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান যোগ্যরা। মূলত দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের।

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলের রুচিবোধ নিম্নমানের, থ্রেট কালচারের জনক মমতা’’, তোপ শুভেন্দুর

    আবাসের তালিকায় নাম রেশন ডিলারের

    পশ্চিম বর্ধমানে আবার আবাসের (Awas Yojana) তালিকায় নাম ঢুকেছে রেশন ডিলারের। জানা গিয়েছে, জেলার কাঁকসার বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের জামদোহা এলাকায় থাকেন মৃণালকান্তি ঘোষ। তিনি আবার বিদবিহার গ্রামের রেশন ডিলার। তিনি থাকেন বিদবিহারের জামদহ এলাকায় এই বিলাসবহুল বাড়িতে। তারপরেও কীভাবে বাংলা আবাস যোজনায় নাম ঢুকল ওই ব্যক্তির সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে যখন সমীক্ষা হয়েছিল তখন যে ৭৭৪ জনের নাম তালিকায় ছিল, সেই তালিকা গ্রাম পঞ্চায়েতের সার্ভার থেকে মুছে গিয়েছিল। সম্প্রতি সেগুলি আবার ফিরে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, ওই তালিকায় অধিকাংশ নামের ব্যক্তিরই রয়েছে পাকা বাড়ি। সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আবাসের তালিকায় নাম থাকা রেশন ডিলারকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি তড়িঘড়ি বাইক নিয়ে এলাকা ছাড়েন। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এই ধরনের কারও নাম আবাসের তালিকায় থাকার কথা নয়। যারা পাওয়ার যোগ্য তাদেরকেই দেওয়া হবে বাড়ি। সমালোচনায় সরব বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা সাংগঠনিকজেলার বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “সবাই বুঝতেই পারছে বাংলার কী হাল! যারা পাওয়ার যোগ্য তারা থাকছে মাটির ঘরে, আর যাদের রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি তাদের জাতি বদল করে আবাসের তালিকায় নাম দেওয়া হচ্ছে।” রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় দফতরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “যারা বাংলা আবাস যোজনার যোগ্য ব্যক্তি তাদেরকেই দেওয়া হবে আবাসের পাকা বাড়ি।”

    আবাসের তালিকায় তৃণমূল প্রধানের স্বামীর নাম

    এবার আউশগ্রাম ১ ব্লকের দিগনগর ২ পঞ্চায়েতেও আবাসের (Awas Yojana) অনিয়মের অভিযোগ সামনে এসেছে। অভিযোগ উঠেছে আবাসের তালিকায় নাম রয়েছে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর। যদিও প্রধান সবিতা মাহাতো তাঁর স্বামী পরশুরাম মাহাতোর নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ব্লক প্রশাসনের কাছে চিঠি লিখেছেন। একইভাবে ওই পঞ্চায়েতেরই এক তৃণমূল ছাত্রনেতার নাম জড়িয়েছে। এই অবস্থায় আবাসের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্র নেতার নাম হল তন্ময় গোস্বামী। তিনি আউশগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি এবং দিগনগর ২ পঞ্চায়েতের গোপীনাথবাটীর বাসিন্দা। অভিযোগ উঠেছে আবাসের তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর বাবার। তবে তিনিও প্রধানের মতোই একইভাবে বিডিওকে চিঠি দিয়ে তালিকা থেকে বাবার নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তাঁদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন, বিডিও (আউশগ্রাম ১) শেখ কামরুল ইসলাম। এ বিষয়ে বিডিও জানান, সবকিছু খতিয়ে দেখার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IRCTC: ট্রেনে মোট ১০ দিন ও ১১ রাত, কলকাতা থেকে দেবভূমি পরিদর্শন করাবে রেল, ভাড়া জেনেন?

    IRCTC: ট্রেনে মোট ১০ দিন ও ১১ রাত, কলকাতা থেকে দেবভূমি পরিদর্শন করাবে রেল, ভাড়া জেনেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইআরসিটিসির (IRCTC) তরফে ভারত গৌরব বিশেষ ট্রেনের সূচনা সম্পর্কে জানানো হয়েছে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আইআরসিটিসি-র জেনারেল ম্যানেজার মনোজ কুমার সিং জানিয়েছেন, “আইআরসিটিসি এবং উত্তরাখণ্ড পর্যটন দফতর যৌথভাবে এই ট্রেন চালাবে। মোট যাত্রাপথ ১১ রাতের। ভাড়া ৩৮ হাজার টাকা। কলকাতা থেকেই ছাড়া হবে এই ট্রেন।”

    কলকাতা থেকে নৈনিতাল বা আলমোড়া যাবে ট্রেন (IRCTC)

    ট্রেনে (IRCTC) করে অনেক জায়গায় ভ্রমণ করতে গেলে বারবার গাড়ি পাল্টাতে যাত্রীদের ব্যাপক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। এবার থেকে এক সঙ্গে অনেক জায়গায় ভ্রমণের সুবিধা দেবে ভারতীয় রেল। ট্রেন পথে ভ্রমণের আনন্দকে আরও সুন্দর, মসৃণ, নিরাপদ এবং ঝঞ্ঝাটমুক্ত করতে রেল বিশেষ ব্যবস্থা করেছে। কলকাতা থেকে নৈনিতাল বা আলমোড়ার মতো জায়গায় যাবে একটি ট্রেন। এখন আর গাড়ি বদল করতে হবে না। ট্রেনে বসেই সবটা প্রত্যক্ষ করা যাবে। এই যাত্রা পথ অনেক পর্যটক বা ভ্রমণবিলাসীদের কাছে খুব আনন্দদায়ক হবে। ইতিমধ্যে যাত্রী মহলে খুব উচ্ছ্বাস ব্যক্ত করা হয়েছে।

    ৩ টায়ার এসি ক্লাসে নিয়ে যাওয়া হবে

    আইআরসিটিসির (IRCTC) পক্ষ থেকে সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার মনোজ কুমার সিং বলেন, “আইআরসিটিসি এবং উত্তরাখণ্ড পর্যটন দফগত যৌথভাবে এই ট্রেন চালাবে। মোট ১০ দিন  এবং ১১ রাত ট্রেনে কাটিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে পারবেন ট্রেনের যাত্রীরা। ৩ টায়ার এসি ক্লাসে নিয়ে যাওয়া হবে ওই যাত্রীদের। মূলত দেবভূমি নামে পরিচিত স্থানগুলিকে বোঝায়। এই সব ধর্মীয় পবিত্র স্থানগুলিতে দর্শনার্থীদের পরিদর্শনের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের প্রচারে মহিলাদের বিরুদ্ধে কুমন্তব্য! কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের

    দেবভূমি উত্তরাখণ্ড যাত্রা প্যাকেজ

    আইআরসিটিসি-র (IRCTC) প্যাকেজটির নামকরণ করেছে ‘দেবভূমি উত্তরাখণ্ড যাত্রা (EZUBG14)। যেখানে ট্রেনটি ৩ ডিসেম্বর কলকাতা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছাড়বে। তাতে পরিষেবাগুলির মধ্যে রয়েছে ট্রেনে ভ্রমণ। সেই সঙ্গে থাকবে বোর্ডের বাইরে নিরামিষ খাবারের সঙ্গে উপলব্ধ হোম স্টে, গেস্ট হাউস, বাজেট হোটেলে থাকার ব্যবস্থা। একই ভাবে থাকবে এবং নন-এসি বা এসি সড়ক পরিবহণ। এই প্যাকেজের যাত্রাপথের মধ্যে রয়েছে তানকপুর-চম্পাওয়াত বা লোহাঘাট-চৌকোরি-আলমোড়া-নৈনিতাল-ভীমতাল-কলকাতা-বর্ধমান-আসানসোল-ঝাঝা-বরাউনি-হাজিপুর-গোরখপুর-লখনউ স্টেশন। সব জায়গায় থাকার ব্যবস্থা থাকবে। পূর্ব রেলওয়ে অফিস থেকে জানা গিয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক এবং পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সি শিশুদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজের মূল্য ৩০,৯২৫ টাকা এবং ডিলাক্স প্যাকেজের মূল্য ৩৮,৫৩৫ টাকা। আরও বিস্তৃত ভাবে জানার জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর প্রদান করা হয়েছে যা হল- 8595904074/75। সেই সঙ্গে এই বিষয়ে আরও জানতে ওয়েবসাইট দেখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ওয়েবসাইট হল-www.irctctourism.com।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CEC: ভোটের প্রচারে মহিলাদের বিরুদ্ধে কুমন্তব্য! কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের

    CEC: ভোটের প্রচারে মহিলাদের বিরুদ্ধে কুমন্তব্য! কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী জনসভায় মহিলাদের উদ্দেশে কুমন্তব্যের ঘটনা একের পর এক ঘটেই চলেছে। ঠিক এই আবহে এই ধরনের ঘটনাকে তীব্র নিন্দা জানালেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC) রাজীব কুমার। শুধু তাই নয়, এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এমনটাই জানা গিয়েছে মহারাষ্ট্রের নির্বাচন কমিশন সূত্রে। জানা গিয়েছে, ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। সেখানেই মহিলাদের উদ্দেশে কুমন্তব্যের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। জেলা নির্বাচনী আধিকারিক, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপারদের নিয়ে ওই বৈঠকে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC) মহিলাদের উদ্দেশে অবমাননাকর ভাষা প্রয়োগের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন ও নিন্দা জানান।

    কী বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC)? 

    জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে তিনি (CEC) বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদেরকে সেই সমস্ত কাজ এবং বক্তব্য থেকে বিরত থাকতে হবে যা মহিলাদের সম্মান ও মর্যাদাহানি করবে।’’ একইসঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের কোনও দিক যা জনগণের সঙ্গে জড়িত নয় এমন ধরনের ঘটনা টেনে প্রচারে বিরোধীদের আক্রমণ করা যাবে না বলেও বৈঠকে উল্লেখ করেন তিনি। উল্লেখ করা যাবে না। ওই বৈঠকে তিনি আরও বলেন, ‘‘বিরোধী দলের প্রার্থীদেরকে নিম্নস্তরের ব্যক্তিগত আক্রমণ কখনও করা যাবে না। একইসঙ্গে এই ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেই জন্য তিনি (Rajiv Kumar) ওই বৈঠকে জানিয়েছেন, মহিলাদের উদ্দেশে যাঁরা কুরুচিকর মন্তব্য করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

    রেখার বিরুদ্ধে ফিরহাদের মন্তব্য

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্র সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতা তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে। পড়ে অবশ্য চাপে পড়ে দুঃখপ্রকাশ করতে বাধ্যও হন তিনি। ঠিক এই আবহে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (Rajiv Kumar) মন্তব্য় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share