Tag: Madhyom

Madhyom

  • Indian Navy: ভেঙে পড়া নৌসেনার সি-গার্ডিয়ান ড্রোন প্রতিস্থাপন করবে মার্কিন সংস্থা

    Indian Navy: ভেঙে পড়া নৌসেনার সি-গার্ডিয়ান ড্রোন প্রতিস্থাপন করবে মার্কিন সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখ সংঘাতের পর থেকেই সমুদ্র সুরক্ষা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত (Indian Navy)। চিনকে আরও কড়া বার্তা দিতে সমুদ্রেও রণসজ্জা তৈরি হয়েছে। ভারত মহাসাগরে মোতায়েন করা হয়েছে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ। চিন এবং পাশাপাশি পাকিস্তান, এই দুই বিরোধী শক্তিকে রুখতে সবরকম প্রস্তুতি চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা চলছে দফায় দফায়। গত তিন সপ্তাহ ধরে ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর চষে ফেলছে দুটি ‘এমকিউ-৯বি সি-গার্ডিয়ান’ (MQ-9B Sea Guardian) ড্রোন। এগুলি আমেরিকার থেকে লিজ নিয়েছিল ভারত। কিন্তু গত বুধবার তার মধ্যে একটি ড্রোন হঠাতই যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয় এবং বিকল হয়ে যায়। একটা ড্রোন দিয়ে যেহেতু নজরদারি চালানো সম্ভব নয় তাই শীঘ্রই ওই বিকল ড্রোন প্রতিস্থাপন করতে চলেছে মার্কিন সংস্থা জেনারেল অ্যাটমিকস (General Atomics)। ভারত-মার্কিন (Indian Navy) লিজ চুক্তি অনুযায়ী জেনারেল অ্যাটমিকস ড্রোন পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছে।

    দ্রুত কেন প্রয়োজন এই ড্রোন

    পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর আমেরিকার কাছ থেকে দু’টি ‘এমকিউ-৯বি সি-গার্ডিয়ান’ (MQ-9B Sea Guardian) ড্রোন লিজ নিয়েছিল নয়াদিল্লি। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা কার্যকলাপের উপর নজর রাখতেই ড্রোনগুলি ব্যবহার করছে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। ভারত মহাসাগরে বরাবরই আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। পূর্ব লাদাখে সীমান্ত সংঘাতের পর থেকে সমুদ্রেও চোরাগোপ্তা পথে হামলা চালানোর ছক কষছে তারা। তাই সুরক্ষা কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। চেন্নাইয়ের ৮০ কিলোমিটার পূর্বে আরাক্কোনাম এয়ারবেস থেকে নামানো হয়েছে দুটি সি-গার্ডিয়ান ড্রোন। সি গার্ডিয়ান হল হাই অল্টিটিউড লং এন্ডুর‍্যান্স – রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্র্যাফট (HALE-RPA), যা সমুদ্রের উপরে ৪০ হাজার ফুট উচ্চতা অবধি উড়তে পারে। টানা ৩৩ ঘণ্টা আকাশে ঘুরে নজরদারি চালাতে পারে। রিমোর্ট কন্ট্রোলে চালনা করা যায় এই ড্রোন। নৌসেনা (Indian Navy) জানাচ্ছে, শীত নেমেছে লাদাখে। তাপমাত্রা পৌঁছেছে হিমাঙ্কের নিচে। তুষারপাত শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ি এলাকার বদলে সমুদ্রে হামলা চালানোর চেষ্টা করতে পারে চিন। বিশেষত সমুদ্র উপকূলীয় দ্বীপগুলিতে নজরদারি চালাতে তাই এই ড্রোন প্রয়োজন।

    আরও পড়ুন: “পাকিস্তান আর কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা একই”, কাটরার সভায় সরব মোদি

    ড্রোন প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা

    ভারতীয় নৌবাহিনী (Indian Navy) সূত্রে খবর, বুধবার প্রযুক্তিগত ব্যর্থতার সম্মুখীন হওয়ার পরে চেন্নাইয়ের কাছে বঙ্গোপসাগরে আছড়ে পড়েছিল দুর্ঘটনাগ্রস্ত ড্রোনটি (MQ-9B Sea Guardian)। ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, চেন্নাইয়ের কাছে আরাককোনামের নৌসেনার বিমানঘাঁটি আইএনএস রাজালি থেকে ড্রোনটি পরিচালনা করা হচ্ছিল। চেন্নাইয়ের উপকূলে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনার বিষয়ে ভারতীয় নৌবাহিনী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে জানায়। তারপরই দ্রুত ড্রোনটি প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Flood Situation: রাজ্যকে জানিয়েই জল ছেড়েছে ডিভিসি, মমতার ‘ম্যান মেড বন্যা’ তত্ত্ব ওড়াল কেন্দ্র

    Flood Situation: রাজ্যকে জানিয়েই জল ছেড়েছে ডিভিসি, মমতার ‘ম্যান মেড বন্যা’ তত্ত্ব ওড়াল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টির জেরে পুজোর আগে রাজ্যে একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) তৈরি হয়েছে। হাজার হাজার হেক্টর জমি জলের তলায়। গ্রামের পর গ্রাম জলমগ্ন। প্রাণ বাঁচাতে বাড়িঘর ছেড়ে সকলেই নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। এই আবহের মধ্যে বন্যা পরিদর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই বন্যাকে পরিচিত ধাঁচে ‘ম্যান মেড’ বলে কেন্দ্রের দিকে দায় ঠেলে নিজের দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেছেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই তত্ত্বকে পত্রপাঠ খারিজ করল কেন্দ্র। শুক্রবার জল শক্তি মন্ত্রকের তরফে সাফ জানানো হল, রাজ্যকে জানিয়েই জল ছেড়েছে ডিভিসি।

    ঠিক কী বলেছেন মমতা? (Flood Situation)

    বৃহস্পতিবারই হাওড়ার (Flood Situation) উদয়নারায়ণপুরে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ডিভিসির সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখব কি না, তা ভেবে দেখব।’’ তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই তত্ত্বকে মানতে নারাজ কেন্দ্র। এমনকী, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে ‘ম্যান মেড বন্যা’র কথা শোনা গিয়েছিল। দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন, মাইথন, পাঞ্চেত বাঁধ নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের যেমন জল ছাড়ার জন্য দোষারোপ করেন, একই সঙ্গে কেন্দ্রকেও দুষেছিলেন তাদের দায়িত্ব-জ্ঞানহীনতার জন্য। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘ডিভিসির জলে ভেসে যাচ্ছে বাংলা। আমি জানি না কেন্দ্র কেন ডিভিসির সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলছে না। কেন্দ্রের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য বাংলাকে কেন ভুগতে হবে? এটা পশ্চিমবঙ্গের জল নয়। এটা ঝাড়খণ্ডের জল যা পাঞ্চেত বাঁধ থেকে আসছে।’’

    আরও পড়ুন: নিয়োগ থেকে টেন্ডার, স্বাস্থ্য দফতরে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি! নথি হাতে নিয়ে সরব শুভেন্দু

    মমতার তত্ত্ব ওড়াল কেন্দ্র

    মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবির জবাবে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের তরফে তরফে জানানো হয়েছে যে, ডিভিসি (Flood Situation) সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেই জল ছেড়েছে। পাঞ্চেত ও মাইথন বাঁধ নিয়ন্ত্রণ করে ডিভিসির যে কমিটি, তাতে পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড সরকারের প্রতিনিধিও রয়েছেন। তাদের জানিয়েই জল ছাড়া হয়েছে। এমনকী, আবহাওয়ার পরিবর্তিত পরিস্থিতি সম্পর্কে নিয়মিত অবগত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক যুক্তি দিয়েছে, ঝাড়খণ্ড সরকারের অধীন তেনুঘাট বাঁধ থেকে ৮৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এতে সমস্যা বেড়েছে। এই বাঁধটি দামোদর ভ্যালি জলাধার নিয়ন্ত্রণ কমিটির আওতার বাইরে। বারবার বলা সত্ত্বেও ঝাড়খণ্ড সরকার এ’টি দামোদর ভ্যালি জলাধার নিয়ন্ত্রণ কমিটির অধীনে আনেনি। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডিভিসি-র বাঁধে ৪ লক্ষ ২৩ হাজার কিউসেকের বেশি জল জমলেও মাত্র আড়াই লক্ষ কিউসেকের মতো জল ছাড়া হয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় জলাধারে ৪ লক্ষ ২৩ হাজার ১৬৩ কিউসেক জল জমলেও মাত্র ৯০,৬৬৪ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল। ফলে ৭৮.৫ শতাংশ জলই ধরে রাখা হয়েছিল। ডিভিসি নিজে দায়িত্ব নিয়ে পাঞ্চেত জলাধারে মাত্রাতিরিক্ত জল ধরে রেখেছিল। কিন্তু ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত মাইথন-পাঞ্চেত থেকে আড়াই লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হলেও ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে ৮০ হাজার কিউসেকে নামিয়ে আনা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • FATF: আর্থিক তছরুপ রুখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা, ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এফএটিএফ

    FATF: আর্থিক তছরুপ রুখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা, ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এফএটিএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও অর্থ পাচার (Money Laundering) বিরোধী ব্যবস্থার বিষয়ে ভারতের মূল্যায়ন সম্পর্কিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স, সংক্ষেপে এফএটিএফ (FATF)। ফ্রান্সে স্থিত সন্ত্রাসবিরোধী নজরদারি এই সংস্থা জানিয়েছে, ভারত অপরাধ থেকে অর্থ পাচারের গন্তব্য নয়।

    এফএটিএফ (FATF)

    সংস্থা এও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, প্রতি তিন বছর অন্তর একবার করে হবে ভারতের ঝুঁকি মূল্যায়ন। বিশ্বের আর্থিক তছরুপ ও জঙ্গি সংগঠনের আর্থিক লেনদেনের ওপর নজরদারি চালায় এফএটিএফ। এই প্রতিষ্ঠানের সদর দফতর প্যারিসে। বৃহস্পতিবার ভারত সম্পর্কে মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এই সংস্থা। সেই রিপোর্টে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের হুমকি মোকাবিলায় ভারতের সিস্টেমের প্রশংসা করা হয়েছে। আর্থিক জালিয়াতি মামলায় বিচার ত্বরান্বিত করতে ভারতকে আহ্বানও জানিয়েছে প্যারিস-ভিত্তিক এই সংস্থা।

    এফএটিএফের মূল্যায়ন রিপোর্ট

    মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিরুদ্ধে ভারতের পদক্ষেপের পূর্ববর্তী মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল ২০১০ সালে। পরবর্তী মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রকাশিত হবে ২০৩১ সালে। এফএটিএফের (FATF) প্রকাশিত মূল্যায়ন রিপোর্টে স্বীকার করা হয়েছে, ভারত অ্যান্টি মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন স্ট্রাকচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই কার্যকরী উন্নয়ন করেছে।

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের ক্ষেত্রে গুরুতর হুমকির মুখোমুখি। এর মধ্যে রয়েছে আইএসআইএল (ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট) বা আল কায়েদার মতো সংগঠনগুলিও। যারা জম্মু-কাশ্মীর ও তার আশপাশে সক্রিয় রয়েছে। সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে ভারতের উল্লেখযোগ্য ভূমিকারও প্রশংসা করা হয়েছে। জটিল আর্থিক তদন্ত পরিচালনা করার ক্ষেত্রে নয়াদিল্লির দক্ষতার প্রশংশাও করেছে সন্ত্রাসবিরোধী নজরদারি এই সংস্থা। সন্ত্রাসে যারা অর্থায়ন করছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলার নিষ্পত্তি ও শাস্তি দেওয়ায় আরও মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার দিকেও ইঙ্গিত করেছে এফএটিএফের এই প্রতিবেদন (FATF)। সন্ত্রাসে অর্থায়নে ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করতে প্রচারাভিযানও চালিয়েছে ভারত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে (Money Laundering), সন্ত্রাসী অর্থায়নের জন্য অলাভজনক খাতের অপব্যবহার রোধেও ভারত সক্রিয়।

    আরও পড়ুন: “পাকিস্তান আর কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা একই”, কাটরার সভায় সরব মোদি

    রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সুন্দর ব্যবহার করা হয়েছে। কার্যকর করা হয়েছে সহযোগিতাও। মানি লন্ডারিং প্রসিকিউশান এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধের ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করতে বড় ধরণের ইমপ্রুভমেন্টের প্রয়োজন বলেও দাবি করা হয়েছে এফএটিএফ-এর ওই প্রতিবেদনে।

    রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ভারতের মূল অর্থ পাচারের উৎসগুলি দেশের অভ্যন্তরে সংঘটিত অবৈধ কার্যকলাপ থেকে উদ্ভূত হয়। এই সব কালো অর্থ সাদা করা হতে পারে ভারতে কিংবা বিদেশে। বিদেশে সাদা করে ভারতে ফিরে মিলিয়ে যেতে পারে বৈধ অর্থনীতির স্রোতে। এনআরএ-র ফল অনুযায়ী, ভারতের সবচেয়ে বড় অর্থ পাচারের ঝুঁকিগুলি প্রতারণার সঙ্গে সম্পর্কিত। এর মধ্যে রয়েছে সাইবার সক্ষমতাসম্পন্ন প্রতারণা, দুর্নীতি ও মাদক পাচারে অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলিও।

    ওই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, ওই জঙ্গি সংগঠনের তরফে ভারতে হামলা চালানো হতে পারে, এমন আশঙ্কা রয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারত ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ও মাওবাদীদের হামলার আশঙ্কাও রয়েছে ভারতে।

    ওই রিপোর্টেই দাবি করা হয়েছে, প্রতিটি জঙ্গি সংগঠনের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা সমান নয়। একে আলাদা ছটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে আইসিস বা জম্মু-কাশ্মীর ও সংলগ্ন এলাকায় সক্রিয় আল কায়েদার সঙ্গে যোগসূত্র থাকা জঙ্গি গোষ্ঠী। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হামলার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। এই তালিকায় উত্তর-পূর্ব ভারত ও উত্তর ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ও মাওবাদীরাও রয়েছে। ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টাও করতে পারে মাওবাদীরা (FATF)।

    আরও পড়ুন: মেডিক্যাল কলেজে কায়েম ‘থ্রেট কালচার’, জানুন এই সংস্কৃতি সম্পর্কে

    ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে অর্থ পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সংখ্যা কনস্টিটিউশনাল চ্যালেঞ্জের একটি সিরিজ। ২০২২ সালে সমাধান হয়েছে। যদিও মামলা ও দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তবুও মুলতুবি মামলার বিরাট সংখ্যাও রয়ে গিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মূল্যায়নের পর ভারতকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ বিভাগে রাখা হয়েছে এবং নিয়ম অনুযায়ী তিন বছরের মধ্যে প্লেনারিতে রিপোর্ট করবে। জানা গিয়েছে, ভারত, ইতালি, ফ্রান্স এবং ব্রিটেন হল মাত্র চারটি দেশ, যাদের নিয়মিত (Money Laundering) পর্যবেক্ষণ বিভাগে রাখা হয়েছে (FATF)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: ষষ্ঠীর ১৫ দিন আগেই ছাগ বলির মাধ‍্যমে হয় দেবীর বোধন! বিসর্জনের রীতিও অনন‍্য

    Durga Puja 2024: ষষ্ঠীর ১৫ দিন আগেই ছাগ বলির মাধ‍্যমে হয় দেবীর বোধন! বিসর্জনের রীতিও অনন‍্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন। তার পরেই দেশ তথা রাজ‍্য জুড়ে শুরু হবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদ উৎসব (Durga Puja 2024), যার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে এখন থেকেই। সেখানে যেমন বড় বাজেটের থিমের পুজো আছে, তেমনই আছে অনেক বনেদি গ্রামীণ ঐতিহ‍্যমণ্ডিত প্রাচীন পুজো। যে পুজোগুলি তাদের অনন‍্য ঘরানায় উল্লেখযোগ‍্য হয়ে আছে। আসানসোল শিল্পাঞ্চলেও এরকম একাধিক প্রাচীন ঐতিহ‍্যমণ্ডিত শারদীয়া পুজোর প্রচলন আছে। তার মধ‍্যে অন‍্যতম বারাবনি বিধানসভার সালানপুর ব্লকের এথোড়া গ্রামের পুজো।

    পুজো হয় সুরথ রাজার প্রচলিত নিয়ম ও রীতি মেনে

    বৈশিষ্টের দিক থেকে এই গ্রামটি বর্ধিষ্ণু ও অত‍্যন্ত প্রাচীন। যে গ্রামে বর্গী হানার দৃশ‍্য আজও বিদ‍্যমান। বর্তমানে এথোড়া গ্রামে ছোট-বড় মিলিয়ে ১১টি দুর্গাপুজো হলেও সব চেয়ে জনপ্রিয় ও উল্লেখযোগ‍্য হল বড় মা তথা বড় দুর্গা মন্দিরের পুজো, যা প্রায় ৪০০ বছরের প্রাচীন। স্বাভাবিকভাবেই এই পুজোর রীতিনীতিও অত‍্যন্ত প্রাচীন ও স্বতন্ত্র। আমাদের প্রচলিত শারদ উৎসব মূলত দেবীর অকাল বোধন হিসেবে পরিচিত। তবে এথোড়া গ্রামে বড় দুর্গার পুজো (Durga Puja 2024) হয় সুরথ রাজার প্রচলিত নিয়ম ও রীতি মেনে। যে কারণে ষষ্ঠীর ১৫ দিন আগেই এই গ্রামে ছাগ বলির মাধ‍্যমে দেবীর বোধন হয়। পাশাপাশি এই গ্রামে পুজোর দিনে, বিশেষত নবমীতে অসুর রূপে মহিষ তথা কাঁড়া বলির প্রচলন আজও চলে আসছে। সঙ্গে বন্দুকের গুলি উপরে ছুড়ে তার আওয়াজ শোনার পরেই বলি করা হয়। সঙ্গে পাঁঠা বলিও দেওয়া হয়। এছাড়াও পুজোর তিনদিনই (সপ্তমী-অষ্টমী-নবমী) বলি প্রথার প্রচলন আছে।

    দেবীর বিসর্জনের রীতিও অনন‍্য (Durga Puja 2024)

    এথোড়া গ্রামের বড় দুর্গা মন্দিরের পুজোতে প্রাচীন তালপাতার ওপর ভুসো কালিতে লেখা পুঁথির মন্ত্রোচ্চারণের মাধ‍্যমে দেবীর আরাধনা করা হয়। দেবী এখানে তাঁর পুরো পরিবার নিয়ে এক চালাতেই অধিষ্ঠান করেন। দেবীকে প্রতিদিনই দু’বার ভোগ নিবেদন করা হয়। যার মধ‍্যে দেবীর স্নান-আচমন পর্যায়ে লুচি-মিষ্টান্ন-লাড্ডুর ভোগ নিবেদন করা হয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে বলি পর্যায় শেষ হলে গ্রামের মহিলারা স্নানপর্ব শেষে শুদ্ধাচারে দেবীকে পাঁচ রকমের ভাজা ও পায়েস সহযোগে অন্ন ভোগ নিবেদন করেন। দেবীর (Asansol Barabani) বিসর্জনের রীতিও এখানে অনন‍্য। দেবীকে বাঁশের মাচায় চাপিয়ে বাদ‍্য, মন্ত্রোচারণ ও গানের মাধ‍্যমে মানুষের কাঁধে করে গোটা গ্রাম পরিদর্শনের মাধ‍্যমে শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রাচীন কাল থেকেই এই গ্রামের প্রতিমা নিরঞ্জন হয় কুমারা পুকুর নামের জলাশয়ে। যেখানে গ্রামের সব দেব-দেবীরই বিসর্জন হয়ে থাকে। এই পুজোতে (Durga Puja 2024) গ্রামের মানুষ তো পুজোয় আনন্দে মেতে উঠেনই, এছাড়া বাইরে থেকেও মানুষ আসেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Konark Sun Temple: কোনার্ক সূর্য মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে কতটা বালি সরল? খতিয়ে দেখল এএসআই

    Konark Sun Temple: কোনার্ক সূর্য মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে কতটা বালি সরল? খতিয়ে দেখল এএসআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রয়োদশ শতাব্দীতে নির্মিত পুরীর বিখ্যাত কোনার্ক সূর্য মন্দিরের (Konark Sun Temple) গর্ভগৃহে ভরে যাওয়া বালি সরানোর কাজ শুরু করেছে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। সেই কাজের কতটা অগ্রগতি হল, তার মূল্যায়ন করতে মন্দির পরিদর্শন করল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই)-র ছয় সদস্যের একটি দল। সংস্থার অতিরিক্ত মহানির্দেশক জানভিজ শর্মার নেতৃত্বে এই দলটি (ASI) বিশ্ব ঐতিহ্যের স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে গণ্য এই মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বিশেষ পর্যালোচনা করেছে। মন্দিরের স্থাপত্যে গর্ত দেখা দিলে এক সময় বালি দিয়ে তা ভরাট করা হয়েছিল। এখন তা সরানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। অবশ্য, বালি সরিয়ে প্রকট হয়ে পড়া সেই গর্তের স্থানগুলো নতুন পদ্ধতিতে মেরামত করা হবে।

    ইংরেজ আমলে অবক্ষয় প্রতিরোধে বালি ভরাট (Konark Sun Temple)

    এএসআই (ASI)-এর অতিরিক্ত মহানির্দেশক জানভিজ শর্মা বলেন, ‘‘এই মন্দির ঐতিহ্যের স্মৃতিস্তম্ভ এবং আমরা সময়ে সময়ে পরিদর্শন ও সমীক্ষা পরিচালনা করে থাকি।’’ জানা গিয়েছে, ইংরেজ আমলেও মন্দিরের (Konark Sun Temple) অবক্ষয় প্রতিরোধ করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন ব্রিটিশরা। বিভিন্ন সময়ে স্থাপত্যে গর্ত সৃষ্টি হলে তা ঠিকঠাক করা হতো। এই বিশাল স্থাপত্যের দ্বারমুখ  স্থানটিকে বালি দিয়ে ভরাট করার কাজ করেছিলেন তাঁরা। এবার প্রায় একশো বছরের পরে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই), স্থাপত্যের চারপাশে পুনরায় কাজ করা শুরু করেছে। মন্দিরের জগমোহন অর্থাৎ দ্বারমুখ-এর স্থায়িত্ব এবং বালির বর্তমান অবস্থার মূল্যায়ন করার জন্য কাজ শুরু হয়েছে (ASI)। বালির স্তর ১৫ ফুট বসে গিয়েছে। যার জেরে একটি বড় গহ্বরের সৃষ্টি হয়েছে।”

    লেজার স্ক্যানিং এবং এন্ডোস্কোপি করা হবে

    ১৯০৩ সালে বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর জেএ বোর্ডিলনের নির্দেশে ৭০ ফুট উঁচু জগমোহন বা দ্বারমুখ বালি দিয়ে ভরাট করা হয়েছিল। এএসআই (পুরী সার্কেল) এর সুপারিনটেনডিং প্রত্নতাত্ত্বিক, দিবাশাদ গডনায়েক বলেন, “মন্দিরের (Konark Sun Temple) সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় বহু-মুখী পদক্ষেপ করা হয়েছে। সবটাই মন্দিরের সংরক্ষণ এবং সমীক্ষা-মূল্যায়নের সঙ্গে সম্পর্কিত। এখন প্রাথমিকভাবে, কাঠামোগত অখণ্ডতা ও স্থিতিশীলতা মূল্যায়ন করার জন্য মন্দিরের দেওয়ালে একটি ছোট গর্ত করা হবে (ASI)। এরপর তাঁকে অনুসরণ করে, লেজার স্ক্যানিং এবং এন্ডোস্কোপির মতো উন্নত কৌশলগুলি ব্যবহার করা হবে।”

    বালি ভরাট প্রায় সাড়ে ১২ ফুট স্থির হয়েছে

    উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত “সূর্য মন্দিরের সংরক্ষণ” বিষয়ক একটি জাতীয় সম্মেলনের সময়, ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তকমা অর্জন করেছিল এই মন্দির। তবে এই সম্মেলনে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। তিনিই ১৯০৩ সালে ব্রিটিশদের দ্বারা মন্দিরের জগমোহন থেকে ভরাট করা বালি সারানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিবিআরআই)-এর নেতৃত্বে এন্ডোস্কোপি গবেষণায় উল্লেখযোগ্য কাঠামোগত ক্ষতি প্রকাশের পর কোনার্ক মন্দিরের (Konark Sun Temple) জগমোহন থেকে বালি সারিয়ে ফেলা অপরিহার্য বলে মনে করা হয়েছিল। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাথায় একটি বড় গর্ত  সৃষ্টি হয়েছে। তাই বালি সরিয়ে আবার বালি দিয়ে ভরাট করা হবে (ASI)। এই কাজ হবে প্রায় সাড়ে ১২ ফুট স্থাপত্যে জুড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “পাকিস্তান আর কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা একই”, কাটরার সভায় সরব মোদি

    PM Modi: “পাকিস্তান আর কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা একই”, কাটরার সভায় সরব মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্সের নির্বাচনী ইস্তাহার দেখে খুশি পাকিস্তান। কাশ্মীরে পাকিস্তানের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয় কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স জোট। কাটরায় নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জম্মু-কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে মোদির দাবি, ভারতে কেউ কংগ্রেস ও তার জোটসঙ্গীদের পাত্তা দেয় না। কিন্তু পাকিস্তানে তাদের নিয়ে রীতিমতো ‘বল্লে বল্লে’ শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ পাকিস্তান আর কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা একই।

    পাকিস্তানের আগ্রহ

    ন্যাশনাল কনফারেন্স নিজেদের ইস্তাহারে স্পষ্ট বলেছে রাজ্যে তারা ক্ষমতায় এলে ৩৭০ ধারা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী পিডিপিও। কংগ্রেস সরাসরি ৩৭০ ধারা ফেরানোর কথা না বললেও এই ইস্যুতে রাহুল গান্ধীরা নীরব। কংগ্রেস অবশ্য কাশ্মীরকে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা নিজেদের ইস্তাহারে জানিয়েছে। একটি সাক্ষাৎকারে সেই ইস্তাহার নিয়ে মুখ খুলেছেন পাক সরকারের বিদেশমন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। তিনি বলেন, সংবিধানের ৩৭০ ধারা এবং ৩৫-এ অনুচ্ছেদ ফেরানো নিয়ে কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোটের সঙ্গে পাকিস্তানের ভাবনা মিলে যায়। পাক বিদেশমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, “ভারতে কেউ কংগ্রেসের জোটকে গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু পাকিস্তানে এই জোটের যথেষ্ট কদর রয়েছে। পাকিস্তানে তাদের নিয়ে রীতিমতো ‘বল্লে বল্লে’ শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ, পাকিস্তান আর কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা একই। আসলে পাকিস্তানের অ্যাজেন্ডাকে কাশ্মীরে বাস্তবায়িত করতে চাইছে কংগ্রেসের জোট।”

    প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন

    এক দশক পরে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে কাশ্মীরে। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর প্রথমবার। ইতিমধ্যেই প্রথম পর্বের ভোট মিটেছে। প্রথম পর্বে মানুষ বিপুল ভোট দেওয়ায় খুশি প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। তিনি জানান মানুষ গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোট কাশ্মীরকে আবার পিছনের দিকে ঠেলতে চায়। প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, “কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স জোট বলছে পুরোনো সময় ফেরাবে। আপনারা চান আবার হরতাল হোক? খুন হোক? মেয়েরা অধিকার থেকে বঞ্চিত হোক? স্কুলে আগুন লাগুক? সিনেমা হল বন্ধ হোক? ব্যবসা নষ্ট হোক?”

     কাশ্মীরে এখন ইদ, দিওয়ালি দুই হয়

    কাশ্মীরে (Jammu Kashmir Election) প্রথম দফা নির্বাচনে ভোটারদের ভোটদানে আগ্রহ দেখে মোদি (PM Modi) বলেন,  “কিশতওয়ারে ৮০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে, ডোডায় ৭১ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। এই পরিসংখ্যান বেশ কয়েকটি নির্বাচনী এলাকায় আগের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এর থেকে বোঝা যায়, উপত্যকাবাসী সেই দলগুলোকে প্রত্যাখ্যান করেছে যারা পাথর ছোড়া এবং সন্ত্রাসবাদের প্রতি সহানুভূতিশীল।” প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবারের সভায় বললেন, “আমরা যা বলি, তাই করি। বলেছি যখন রাজ্য বানাবই। আপনারা বিজেপিকে সুযোগ দিন, আমাদের প্রার্থীরা আপনাদের সঙ্গে আছে। আপনারা কেশর, টিউলিপ তৈরি করেন, এবার পদ্ম তৈরি করুন।” প্রধানমন্ত্রীর দাবি, “দিল আর দিল্লির দূরত্ব মেটাচ্ছি। গোটা দুনিয়া দেখছে আর অবাক হচ্ছে। জি-২০ হল, খেলো ইন্ডিয়া হল, আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হল। এটাই তো কাশ্মীর। কাশ্মীরের মানুষ আর পাথর ছোড়ে না। আজ সবার হাতে কলম, বই। কাশ্মীরের যুব প্রজন্ম আর মজবুর নয়, মজবুত হচ্ছে। এখন ইদ, দিওয়ালি দুই-ই হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalyani Medical: থ্রেট কালচার! কল্যাণী মেডিক্যালে ৩৯ জন ডাক্তারি পড়ুয়াকে বহিষ্কার

    Kalyani Medical: থ্রেট কালচার! কল্যাণী মেডিক্যালে ৩৯ জন ডাক্তারি পড়ুয়াকে বহিষ্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের (RG Kar) পর পরই জনসমক্ষে চলে এসেছে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে চলতে থাকা ‘থ্রেট কালচার’-এর পরিবেশ। ভয় কাটিয়ে এখন পড়ুয়ারা এই (অপ)‘সংস্কৃতির’ বিনাশ এবং অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন শুরু করেছেন। সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের অনুগামীরা থ্রেট কালচার শুরু করেছিলেন। তাঁদের দাপটে জুনিয়র ডাক্তাররা ভয়ে সিঁটিয়ে থাকতেন। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে নড়েচড়়ে বসে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ১৪ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। হস্টেল থেকে বের করে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার কল্যাণী মেডিক্যাল (Kalyani Medical) কলেজ হাসপাতালেও থ্রেট কালচারের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

    ৩৯ জন ডাক্তারি পড়ুয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা (Kalyani Medical)

    থ্রেট কালচারের অভিযোগে নদিয়ার কল্যাণী জেএনএম মেডিক্যাল (Kalyani Medical) কলেজ কর্তৃপক্ষ ৩৯ জন ডাক্তারি পড়ুয়ার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিল। পাশাপাশি তদন্ত চলাকালীন আগামী ৬ মাস কলেজ ক্যাম্পাস থেকে তাঁদের বহিষ্কার করা হল। এই ৬ মাস অভিযুক্তরা কলেজ ক্যাম্পাস, হস্টেল এবং হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধুমাত্র পরীক্ষার কারণ ও তদন্তের প্রয়োজনে কলেজে বা হাসপাতালে আসতে পারবেন। পাশাপাশি এই ৩৯ জন জনের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত সমস্ত রকমের প্রমাণ পুলিশের কাছে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই হস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ থেকে টেন্ডার, স্বাস্থ্য দফতরে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি! নথি হাতে নিয়ে সরব শুভেন্দু

    প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

    এই ৩৯ জন পড়ুয়ার পাশাপাশি প্রাক্তন অধ্যক্ষ (Kalyani Medical) এবং একজন চিকিৎসকও থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত হয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধেও শুরু হচ্ছে বিভাগীয় তদন্ত। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ২ জন আগামী দিনে পরীক্ষা সহ কোনও প্রশাসনিক কাজে যুক্ত থাকতে পারবেন না। গত সপ্তাহে একাধিক ছাত্র-ছাত্রী একযোগে থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে ইমেল করে প্রিন্সিপাল সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কলেজ কাউন্সিলের বর্ধিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করায় রাজ্যের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজকে বড় বার্তা দেওয়া হল বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel-Lebanon Conflict: হিজবুল্লা প্রধানের হুমকির মধ্যেই লেবাননে এয়ারস্ট্রাইক ইজরায়েলের

    Israel-Lebanon Conflict: হিজবুল্লা প্রধানের হুমকির মধ্যেই লেবাননে এয়ারস্ট্রাইক ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লেবাননে (Israel-Lebanon Conflict) হিজবুল্লা গোষ্ঠীকে খতম করতে পূর্ণমাত্রায় হামলা শুরু করল ইজরায়েল। পেজার, ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণের পর এবার সরাসরি এয়ারস্ট্রাইক। ইজরায়েলকে সতর্ক করে ইরানের মদতপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লা জানিয়েছিল, তেল আভিভ যেন ‘লক্ষ্মণরেখা’ অতিক্রম না করে। কিন্তু সে সব উপেক্ষা করেই লেবাননে ফের হামলা চালাল ইজরায়েল। বৃহস্পতিবার হিজবুল্লার (Hezbollah) শতাধিক ‘রকেট লঞ্চার’ লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ইজরায়েলি সেনা এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

    ১০০টি রকেট লঞ্চারে হামলা

    ইজরায়েলি (Israel-Lebanon Conflict) সেনা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলের পর যুদ্ধবিমানের সাহায্যে দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন প্রান্তে হিজবুল্লার অন্তত ১০০টি রকেট লঞ্চারে হামলা চালানো হয়েছে। ইজরায়েলের দাবি, ওই রকেট লঞ্চারগুলি থেকে অন্তত এক হাজার ক্ষেপণাস্ত্র তাদের দেশে ছোড়ার পরিকল্পনা করেছিল হিজবুল্লা। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার লেবাননে পেজার হামলা এবং বুধবার ওয়াকি-টকি হামলার পরেই ইজরায়েলের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন হিজবুল্লার প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ। তার মধ্যেই লেবাননে হিজবুল্লার (Hezbollah) ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাল ইজরায়েল। 

    আরও পড়ুন: পেজারের পরে ওয়াকিটকি! ফাটছে মোবাইল, ল্যান্ডফোনও, লেবাননে নিহত অন্তত ৩২

    যুদ্ধক্ষেত্র দক্ষিণ লেবানন

    আইডিএফের (Israel-Lebanon Conflict) তরফেও লেবাননে এই হামলা চালানোর কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে আইডিএফ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “হিজবুল্লা জঙ্গিদের নিকেশ করতে এবং তাদের ঘাঁটি ধ্বংস করতে লেবাননে আক্রমণ করেছে আইডিএফ। কয়েক দশক ধরে হিজবুল্লা (Hezbollah) সাধারণ মানুষের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে, তাদের বাড়ির নীচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে এবং বিপদের মুহূর্তে সাধারণ নাগরিকদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে। দক্ষিণ লেবাননকে এরা যুদ্ধক্ষেত্র বানিয়ে তুলেছে।” আইডিএফের দাবি, হিজবুল্লা প্রধান ভিডিও বার্তা দেওয়ার সময়, তাদের তরফ থেকেও ইজরায়েলকে নিশানা করে কয়েকটি রকেট ছোড়া হয়। তবে আয়রন ডোমের দৌলতে অধিকাংশ রকেটই ইজরায়েলের আকাশসীমায় ঢুকতে পারেনি। অন্যদিকে, এই হামলা-পাল্টা হামলার জেরে মধ্য প্রাচ্যে উত্তাপ বাড়তেই দুই পক্ষকে সংযত হতে অনুরোধ করেছে আমেরিকা ও ব্রিটেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: মিউনিসিপ্যাল বিল্ডিং ট্রাইবুনাল গঠন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত রাজ্য, মিলল হুঁশিয়ারি

    Supreme Court: মিউনিসিপ্যাল বিল্ডিং ট্রাইবুনাল গঠন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত রাজ্য, মিলল হুঁশিয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিপাকে মমতা সরকার। এবার মিউনিসিপ্যাল বিল্ডিং ট্রাইবুনাল গঠন নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে বেকায়দায় পড়ল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। জানা গিয়েছে, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে মিউনিসিপ্যাল বিল্ডিং ট্রাইবুনাল গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের আরও নির্দেশ, সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ট্রাইবুনাল গঠন সম্পন্ন হল কি না তা জানাতে হবে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, আরজি কর ইস্যুতে এমনিতেই সুপ্রিম কোর্টে ল্যাজে গোবরে অবস্থা হয়েছে শাসক দলের, তার সঙ্গে এবার জুড়ল মিউনিসিপ্যাল বিল্ডিং ট্রাইবুনাল।

    ট্রাইবুনাল গঠন না হলে আদালত অবমাননার (Supreme Court) মামলা শুরুর নির্দেশ

    শুধু তাই নয়। এই ইস্যুতে মমতা সরকারকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মানা না হলে কলকাতা হাইকোর্টকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ১৯৮০ সালের কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন আইন অনুযায়ী, কোনও অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশের বিরুদ্ধে মিউনিসিপ্যাল বিল্ডিং ট্রাইবুনালে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করার সুযোগ আছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে মিউনিসিপ্যাল বিল্ডিং ট্রাইবুনাল এখনও যথাযথভাবে গঠিতই হয়নি বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: নিলামে প্রধানমন্ত্রীর উপহার, রোজগারের টাকা ব্যয় হবে নমামি গঙ্গে প্রকল্পে

    ৯ অগাস্ট ট্রাইবুনাল গঠন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) চূড়ান্ত নির্দেশ দিয়েছিল

    এই মর্মে গত ৯ অগাস্ট ট্রাইবুনাল গঠন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) চূড়ান্ত নির্দেশ দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে তাতে কর্ণপাত করেনি রাজ্য। বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চের বক্তব্য, ‘‘রাজ্য সরকার ট্রাইবুনালের চেয়ারপার্সন নিয়োগ করলেও বিচার বিভাগীয় ও টেকনিক্যাল স্টাফদের নিয়োগ এখনও করেনি, যার ফলে ট্রাইবুনাল কার্যকর করা যাচ্ছে না।’’

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: মেডিক্যাল কলেজে কায়েম ‘থ্রেট কালচার’, জানুন এই সংস্কৃতি সম্পর্কে

    RG Kar Protest: মেডিক্যাল কলেজে কায়েম ‘থ্রেট কালচার’, জানুন এই সংস্কৃতি সম্পর্কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Protest) পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তার মধ্যে একটা দাবি একটু অন্য রকম। সেটা হল ‘থ্রেট কালচার’ (Threat Culture) শেষ করতে হবে। বন্ধ করতে হবে ‘দাদাগিরি’। আন্দোলনকারীদের এই দাবি থেকেই স্পষ্ট, রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে দিব্যি চলছে ‘থ্রেট কালচার’, ‘দাদাগিরি’।

    ‘থ্রেট কালচার’ (RG Kar Protest)

    এই কালচারের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের সকলরেই মাথায় রয়েছে শাসক দলের ছাতা। যে কারণে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা, মেদিনীপুর সর্বত্রই চলছে তৃণমূলের চিকিৎসক সংগঠনের ছত্রছায়ায় থাকা কোনও কোনও ‘দাদা’র দাদাগিরি। এই ‘দাদা’রা আবার নাড়া বেঁধে রেখেছেন তৃণমূলের ওপরতলার কোনও চিকিৎসক নেতার কাছে। তার জেরে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে কায়েম রয়েছে ‘থ্রেট কালচার’।

    তৃণমূল জমানায় জন্ম

    এবং এই সংস্কৃতি শুরু হয়েছে তৃণমূল জমানায়। ডাক্তারি পড়ুয়াদের একটা বড় অংশের দাবি, ২০২০-২১ সাল থেকে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে মাথা তুলতে শুরু করে থ্রেট কালচার। আনুগত্য লাভের ইচ্ছে, জুনিয়রদের কাছে সমীহ আদায় করা এবং নিজেকে কেউকেটা বলে জাহির করার উদ্দেশ্যেই এই সংস্কৃতির জন্ম। কৌশলে শাসকদলের সংগঠন বাড়ানো এবং তোলাবাজিও এই দাদারা করত বলে অভিযোগ। কখনও হুমকি (RG Kar Protest) দিয়ে তোলা আদায়, কখনও আবার অন্য কোনও কৌশলে টাকা আদায় করে এই স্বঘোষিত ‘দাদা’রা।

    আরও পড়ুন: উঠল ধর্না, শুক্রবার মিছিল, শনি থেকে জরুরি পরিষেবায় জুনিয়র ডাক্তাররা

    জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, দাদারা যাঁদের আনুগত্য আদায় করতে পারত না, তাঁদের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হত। ফল রিভিউ করার সুযোগও নেই। ইন্টার্নশিপ করার সময় বিভিন্নভাবে সমস্যার সৃষ্টি করা হত। ইন্টার্নশিপের শংসাপত্র দেওয়া হত না। যে সিনিয়র ডাক্তারের অধীনে ওই জুনিয়র ডাক্তার ইন্টার্নশিপ করতেন, তাঁকেও হুমকি দেওয়া হত। আর যাঁরা দাদার আনুগত্য লাভ করতেন, ডিগ্রি পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকতেন তাঁরা। ফলে পড়াশোনা করার চেয়ে তাঁরা বেশি ব্যস্ত থাকেন দাদাদের চামচামি করতেই।

    চিকিৎসক দ্বৈপায়ন মজুমদার বলেন, “মেডিক্যাল কলেজগুলিতে দীর্ঘদিন নির্বাচন না হওয়াটা থ্রেট কালচার জাঁকিয়ে বসার কারণ। নির্বাচন না হওয়ায় কারও দায়িত্ব নেই। অথচ সকলে দায়িত্বহীন ক্ষমতা ভোগ করতে চাইতেন (Threat Culture)। তাই হুমকি দিয়ে কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা করা হত (RG Kar Protest)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share