Tag: Madhyom

Madhyom

  • RG Kar Case: ডান্স রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চেও আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ, আপ্লুত স্বয়ং বিচারক

    RG Kar Case: ডান্স রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চেও আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ, আপ্লুত স্বয়ং বিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) নিয়ে প্রতিবাদ শুধু এই রাজ্যের রাজপথেই সীমাবদ্ধ ছিল না। আমেরিকা, ইউরোপে সহ একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছে সাধারণ মানুষকে। নির্মম নির্যাতনের বিরুদ্ধে বলিউড, টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রী, কলাকুশলীরাও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এবার ন্যায় বিচারের জন্য প্রতিবাদের আওয়াজ তুলতে দেখা গেল ‘ইন্ডিয়া’জ বেস্ট ডান্সার’-এর (India’s Best Dancer) মঞ্চে। প্রতিবাদের এই অভিনব ভাষায় মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গেলেন বিচারকরাই।

    রিয়েলিটি শো-র মঞ্চে প্রতিবাদের ঝড় (RG Kar Case)

    ‘ইন্ডিয়া’জ বেস্ট ডান্সার’ ৪ রিয়্যালিটি শো-র মঞ্চে নাচের মাধ্যমে ধর্ষণ করে হত্যার (RG Kar Case) বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা তুলে ধরলেন। ‘জিতে হে চল’ গানে নৃত্য পরিবেশন করলেন প্রতিযোগী অর্জুন শাটে এবং কোরিওগ্রাফার পঙ্কজ থাপা। তবে দুই জনেই বাংলার কেউ নন, কিন্তু আরজি করে ঘটা পৈশাচিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একজন ডাক্তারকে ধর্ষণ করে হত্যার প্রতিবাদে নিজেদের নাচের ভাষায় প্রতিবাদ তুলে ধরেন। তাঁদের পারফর্মেন্স দর্শকদের মন জয় করে ন্যায় বিচারের ঝড় তুলেছে।

    নৃত্যের মধ্যে দোষীদের শাস্তির দাবি

    এই শো-র (India’s Best Dancer) বিচারকের আসনে ছিলেন টেরেন্স, গীতা ও অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুর। প্রতিযোগীদের নাচ দেখে একেবারে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন সকলেই। এই নাচে শুধু ধর্ষণ করে খুনের মতো জঘন্যকাণ্ডের (RG Kar Case) সমালোচনাই করা হয়নি, সেই সঙ্গে দোষীদের শাস্তির কথাও বলা হয়েছে। গানের মাধ্যমে বলা হয়েছে, ‘‘ছেলেদের পুরুষ হওয়ার মধ্যে দিয়ে মনুষত্বের পাঠ দিতে হবে। নারীদের প্রতি সম্মানের ভাব মনে রাখতে হবে।’’ এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামজিক মাধ্যমে। তাতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রচুর পরিমাণে দর্শক (India’s Best Dancer)।

    আরও পড়ুনঃআরজি কর-কাণ্ডের অভিনব প্রতিবাদ, ৩০০ তরুণীকে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ এবিভিপি-র

    ৫ দাফ দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা

    গত ৯ অগাস্ট থেকে আন্দোলন, বিক্ষোভ, ধর্না, মানবন্ধন করে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। সর্বত্র একটাই দাবি তিলোত্তমার বিচার চাই। জুনিয়র ডাক্তাররা (RG Kar Case) গত ৩৭ দিন ধরে কর্মবিরতির ডাক দিয়ে ৫ দফা দাবি নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিক বার বৈঠকের কথা হলেও শেষ পর্যন্ত হয়নি। মমতার চায়ের আবেদন প্রত্যাখান করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার বিকেল ৫ টায় ফের একবার কালীঘাটে ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি নিয়ে অনড় তাঁরা। কোনও সমাধান সূত্র বের হয় কিনা তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Census: শীঘ্রই দেশে শুরু হতে চলেছে জনগণনা, জানিয়ে দিল কেন্দ্র

    Census: শীঘ্রই দেশে শুরু হতে চলেছে জনগণনা, জানিয়ে দিল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়ে গেল আদমশুমারির (Census) বা জনগণনার সলতে পাকানোর কাজ। রবিবার একথা জানিয়ে দিল কেন্দ্র। এই জনগণনায় এবার কাস্ট (Caste) কলাম থাকবে কিনা, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি খোলা মনে বিবেচনা করা হবে। তবে আদমশুমারির কাজ দ্রুত শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়ে দিল কেন্দ্র।

    আদমশুমারি (Census)

    প্রতি ১০ বছর অন্তর আদমশুমারি হয় এ দেশে। শেষবার জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। তার পর দেশের জনসংখ্যা কত বাড়ল, বৃদ্ধির হারই বা কেমন, এসব কিছুই জানা যায়নি। ২০১১ সালের পর জনগণনা হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। করোনা অতিমারীর কারণে সেবার জনগণনা হয়নি। সেই সময় বলা হয়েছিল, আদমশুমারি হবে ২০২৩ সালে। সেটাও হয়নি। এবার চলতি মাসেই শুরু হয়ে যাচ্ছে জনগণনার কাজ।

    বিশ্বের সব চেয়ে জনবহুল দেশ

    প্রসঙ্গত, মোদি জমানায় এই প্রথম হতে যাচ্ছে জনগণনা (Census)। পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হতে সময় লাগবে বছর দেড়েক। ২০২৬ সালের মার্চ মাসে জনগণনার রিপোর্ট পেশ করবে কেন্দ্র। গত বছরই রাষ্ট্রসঙ্ঘ জানিয়ে দিয়েছিল, ভারত বিশ্বের সব চেয়ে জনবহুল দেশ। এদিক থেকে চিনকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত। তবে দেশের জনসংখ্যার চিত্রটি ঠিক কেমন, তা জানা যাবে আদমশুমারি শেষ হওয়ার পর।

    চলতি অর্থবর্ষে জনগণনার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১২৫০ কোটি টাকা। যা গতবারের তুলনায় ১৭ শতাংশ কম। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এ জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল এ বারের চেয়ে তিনগুণের বেশি অর্থ। তবে করোনার কারণে বন্ধ ছিল জনগণনার কাজ। করোনা-উত্তরকালে এই খাতে বরাদ্দ ক্রমেই কমছে।

    আরও পড়ুন: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ চালু হচ্ছে মোদি সরকারের এই মেয়াদেই!

    ভারতে জনগণনার কাজ শুরু হয় ১৮৮১ সালে। তার পর থেকে নিয়মিত হয়ে আসছে আদমশুমারি। করোনা-পর্ব ছাড়া ১৫০ বছরের ইতিহাসে একবারও ছেদ পড়নি এই প্রক্রিয়ায়। অথচ, অর্থনীতিবিদদের মতে, নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনগণনা অত্যন্ত জরুরি।

    এদিকে, জনগণনার সঙ্গে সঙ্গেই জাত গণনার দাবি জানিয়েছে বেশ কয়েকটি বিরোধী দলও। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের কয়েকটি শরিকও জাত গণনার দাবি সমর্থন করেছে। আরএসএসের দাবি, জাতগণনায় তাদের কোনও আপত্তি (Caste) নেই, যতক্ষণ তা কল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হবে (Census)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Nuclear Treaty: ভারত বিরোধিতা! পাকিস্তানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির আহ্বান ঢাকার অধ্যাপকের

    Bangladesh Nuclear Treaty: ভারত বিরোধিতা! পাকিস্তানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির আহ্বান ঢাকার অধ্যাপকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের অত্যাচার থেকে মুক্তি দিতে এবং স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল ভারত। ৫০ বছর পর সেই ভারতের বিরুদ্ধে গিয়ে এবার পাকিস্তানের সঙ্গেই পরমাণু চুক্তির (Bangladesh Nuclear Treaty) দাবি করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। বাংলাদেশকে পারমাণবিক সক্ষম করার দাবি তুললেন অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ভারত বিরোধিতা এবং জামাত প্রভাবিত ইসলামি গোঁড়ামি দিনে দিনে বাড়ছে পদ্মাপারে। ভারতের সহায়তা ছাড়া যে স্বাধীন বাংলাদেশ সম্ভবই ছিল না, তা ভুলতে বসেছে ঢাকা। তাঁকে এও দাবি করতে শোনা গিয়েছে যে, পাকিস্তান নাকি বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত নিরাপত্তা সহযোগী! বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মূর্তি যারা ভাঙতে পারে তাদের থেকে এর বেশি কিছুই প্রত্যাশা করা যায় না, এমনই অভিমত কূটনীতিকদের। 

    পাকিস্তানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি

    শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে ভারতের প্রতি বিরূপ মনোভাব বাড়ছে এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের দিকে আরও ঝোঁক দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার, সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ নিত্য-ঘটনা। ভারত-বিরোধিতায় কোনও কসুর করছে না জামাতের মতো সংগঠন। এমন পরিস্থিতিতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তি (Bangladesh Nuclear Treaty) করার আহ্বান জানালেন। তাঁর মতে, এই চুক্তি ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান বলেন, “ভারতের সাধারণ ধারণা পরিবর্তনের জন্য সঠিক উত্তর হবে আমাদের পারমাণবিক সক্ষম হওয়া। পারমাণবিক সক্ষম হওয়া মানে পারমাণবিক শক্তিধর হওয়া নয়, বরং পাকিস্তানের সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তিতে প্রবেশ করা।” 

    ভারতকে ঠেকাতে পাক সহায়তা

    শাহিদুজ্জামান আরও বলেন, পাকিস্তানের কারিগরি সহায়তা (Bangladesh Nuclear Treaty) ছাড়া ভারতকে প্রতিহত করা সম্ভব নয়। তাঁর কথায়, “পাকিস্তান সবসময়ই বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত নিরাপত্তা সহযোগী ছিল। কিন্তু ভারতীয়রা চায় না আমরা এটা বিশ্বাস করি। আওয়ামি লিগও চায় না আমরা এটা বিশ্বাস করি। কিন্তু এটাই সত্য। বাংলাদেশকে পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানিরা আমাদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজন মনে করে না, তবে তারা চায় না আমরা ভারতের সঙ্গে থাকি। তারা আমাদের রক্ষা করতে যে কোনও কিছু করতে প্রস্তুত।”

    জামাত পন্থী অধ্যাপক

    অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান পাকিস্তান থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র (Bangladesh Nuclear Treaty) সংগ্রহ করে উত্তরবঙ্গ ও চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলে মোতায়েন করার প্রস্তাব দেন। এর ফলে ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়া সহজ হবে বলে তিনি মনে করেন। তাঁর দাবি, বাংলাদেশের কিছু অংশ দখল করে এটিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় ভারত এবং পাকিস্তানের পারমাণবিক চুক্তি ও ক্ষেপণাস্ত্র সাহায্য ভারতের এই পরিকল্পনা প্রতিহত করতে পারে। তিনি পাকিস্তানকে “বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বস্ত নিরাপত্তা মিত্র” হিসেবে অভিহিত করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক জামায়াত-ই-ইসলামীপন্থী মন্তব্যের জন্য কুখ্যাত। 

    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বান

    সম্প্রতি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা বলেছিলেন। টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে ইউনূস বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সহ বেশ কয়েকটি দেশের নেতারা তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “আমরা ভারতের সঙ্গে এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই, তবে এই সম্পর্কগুলো ন্যায্যতা এবং সমতার ভিত্তিতে হওয়া উচিত।” যদিও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ইউনূসের মতকে মান্যতা দেয় না।

    আরও পড়ুন: ফের হত্যার চেষ্টা ট্রাম্পকে! গল্ফ ক্লাবে চলল গুলি, অল্পের জন্য বাঁচলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট

    বাংলাদেশের ঐতিহ্য বিলুপ্তপ্রায়

    জামাত-পন্থী ইসলামি শক্তিগুলি শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের (Bangladesh Nuclear Treaty) দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে, সম্প্রতি ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে জিন্নার ৭৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উর্দু গান, কবিতা এবং সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজন করা হয়, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবার ঘটেছে। ইসলামপন্থী বক্তারা অনুষ্ঠানে বলেন, পাকিস্তান ছাড়া বাংলাদেশও অস্তিত্ব লাভ করতে পারত না। বক্তারা জিন্নাকে বাংলাদেশের সৃষ্টিকর্তা এবং পিতা হিসেবে অভিহিত করেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ (সাবেক পূর্ব পাকিস্তান) একটি রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে উর্দু চাপিয়ে দেওয়া জিন্নার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। যেখানে বাংলা ভাষাই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। তবে, জামাত-সহ প্রতিক্রিয়াশীল ইসলামী শক্তিগুলি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশকে সেই উর্দু ভাষার দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যেটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তারা তীব্রভাবে বর্জন করেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mission Sahasi: আরজি কর-কাণ্ডের অভিনব প্রতিবাদ, ৩০০ তরুণীকে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ এবিভিপি-র

    Mission Sahasi: আরজি কর-কাণ্ডের অভিনব প্রতিবাদ, ৩০০ তরুণীকে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ এবিভিপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতলে (RG Kar Case) মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যাকাণ্ড সারা দেশে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেছে। ন্যায় বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ-আন্দোলন হচ্ছে সর্বত্র। এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় মহিলাদের জন্য দু’দিনের আত্মরক্ষা কর্মশালা ‘মিশন সাহসী’ (Mission Sahasi) অনুষ্ঠিত করল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। রাজ্যে ক্রমবর্ধমান যৌন নিপীড়নের ঘটনাকে মাথায় রেখে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভ-আন্দোলনের পাশাপাশি আত্মরক্ষার পাঠে নারী সামাজে ব্যাপক সাড়া পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    ৩০০ জন তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় (Mission Sahasi)

    ১৪ এবং ১৫ সেপ্টেম্বর স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া কমপ্লেক্সে, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) আত্মরক্ষার বিশেষ কর্মশালা ‘মিশন সহসী’-র (Mission Sahasi) শিবির আয়োজন করেছিল। এই কর্মশালায় প্রায় ৩০০ জন তরুণী অংশগ্রহণ করেছিলেন। কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দিয়েছেন বিখ্যাত মার্শাল আর্ট বিশেষজ্ঞ, গ্র্যান্ডমাস্টার শিফুজি শৌর্য ভরদ্বাজ। দুই দিনে টানা ১২ ঘণ্টা করে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দেন তিনি। একইভাবে, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, এবিভিপি-র রাষ্ট্রীয় সংগঠন সম্পাদক আশীষ চৌহান এবং রাষ্ট্রীয় সম্পাদক শালিনী ভার্মা। স্কুল, কালেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং নার্সিং কলেজের ছাত্রী সহ আরও অনেক মেয়েরা অংশগ্রহণ করেছিলেন।

    মানসিক শক্তিকে আরও উচ্চ স্তরে নিয়ে যায়

    ‘মিশন সাহসী’ হল এবিভিপি-এর চলমান কর্মকাণ্ডের মধ্যে একটি প্রধান ধারা, যেখানে তরুণী, যুবতী, ছাত্রী সহ সমাজের নানা বর্গের মহিলাদের আত্মরক্ষার কৌশলের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ হয়ে থাকে। এই কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য হল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে মেয়েদের আত্মবিশ্বাসকে বৃদ্ধি করা। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে আশিস চৌহান এই উদ্যোগের গুরুত্বের উপর জোর দেন। তিনি বলেন, “মিশন সাহসী (Mission Sahasi) মহিলাদের শক্তিশালী করে দাঁড়াতে সক্ষম করে, তাঁদের আত্মরক্ষার দক্ষতাকে বৃদ্ধি করে। অটল সাহসের সঙ্গে যেকোনও চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার মানসিক শক্তিকে আরও উচ্চস্তরে নিয়ে যায়। সম্প্রতি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার প্রেক্ষিতে এই প্রশিক্ষণ একান্ত আবশ্যক হয়ে পড়েছে। এই রাজ্য সন্দেশখালির মতো নারী নির্যাতনের ঘটনা মানুষের মনকে ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত করেছে। তাই আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। আমরা ২০১৯ সাল থেকে এই মিশন সহসীর কাজ শুরু করেছিলাম। ইতিমধ্যেই ভারত জুড়ে দেড় কোটির বেশি মেয়েকে আত্মরক্ষামূলক কর্মসূচিতে প্রশিক্ষণ দিতে পেরেছি। পশ্চিমবঙ্গে সম্প্রতি মহিলাদের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহ করে হত্যার ঘটনা ক্রমবর্ধমান ভাবে ঘটে চলেছে। এই রাজ্যের সরকার নারী সুরক্ষা নিয়ে অত্যন্ত উদাসীন। তাই মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে ঘটা নির্মম অত্যাচারের বিরুদ্ধে মিশন সাহসী একটি প্রতিবাদের ভাষা।”

    আন্দোলনের সঙ্গে চাই সমাধানও

    এই কর্মশালাটিকে (Mission Sahasi) মহিলাদের ক্ষমতায়নের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে দেখা হয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের জন্য আরও বিষয়টি প্রসাঙ্গিক। নারী নির্যাতনের ঘটনা রাজ্যে মারাত্মক আকার নিয়েছে। এবিভিপির রাষ্ট্রীয় সম্পাদক শালিনী ভার্মা অনুষ্ঠানে বলেন, “মিশন সহসীর উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গের যুবতী মহিলাদের আত্মরক্ষার জন্য একান্ত প্রয়োজন। নির্মমভাবে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এটি একটি সংঘটিত জঘন্য অপরাধ। এবিভিপি-র কর্মীরা প্রতিবাদে রাজপথে বিক্ষোভ করছে এবং ন্যায় বিচারের দাবিতে একই সময়ে মিশন সাহসী অভিযান শুরু করেছে। এই পদক্ষেপ রাজ্যের মহিলাদের আত্মরক্ষার দক্ষতা শিখতে এবং কঠিন পরিস্থিতিতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম করবে। আমরা মেয়েদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ প্রদান করছি। স্কুল, কলেজ, মেডিক্যাল, প্যারামেডিক্যাল কলেজ এবং নার্সিং ইনস্টিটিউটের শত শত মেয়েরা এখানে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এবার তাঁরা নিজ নিজ ক্যাম্পাস বা জেলায় মেয়েদের আরও শেখানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য হল পশ্চিমবঙ্গে চলমান সমস্যার একটি যৌক্তিক সমাধান খুঁজে বের করা। শুধু আন্দোলন নয়, চাই সমাধানের রাস্তাও।”

    মেয়েদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ মমতা সরকার

    অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের জাতীয় কার্যনির্বাহী সদস্য তুলসী সরকার বলেন, “রাজ্যের মেয়েদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ মমতা সরকার। তাই আমরা মেয়েদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়ার কর্মসূচি (Mission Sahasi) নিয়েছি। দুই দিনে মোট চারটি অধিবেশনে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন আত্মরক্ষার কৌশল শিখেছেন। এরপর আমরা জেলা স্তরে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করব। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করব।”

    মেয়দের নির্ভীক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করবে

    একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সভাপতি রশ্মি সামন্ত। তিনি বলেন, “মিশন সাহসী (Mission Sahasi) হল এবিভিপির একটি মহৎ উদ্যোগ। যার লক্ষ্য মেয়েদের একটি শক্তিশালী এবং নির্ভীক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একটি উন্নত জীবন প্রদান করা। এই প্রশিক্ষণ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া এবং এটি বাংলার ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব তৈরি করবে। আমরা আশাবাদী যে বাংলা এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসবে এবং এবিভিপি একটি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘ট্রান্সজেন্ডারদের সঙ্গে সম্পর্ক পাতাতেন সন্দীপ, কামড়াতেন-মারতেন’’! বিস্ফোরক দাবি

    মামলায় গ্রেফতার এখনও পর্যন্ত ৩

    উল্লেখ্য, গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল (RG Kar Case) কলেজ ও হাসপাতালের হলে চতুর্থ তলায় সেমিনার অর্ধনগ্ন অবস্থায় এক মহিলা চিকিৎসককে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। মেডিক্যাল পরীক্ষায় জানা যায় যে যৌন নিপীড়ন করে খুন করা হয়েছিল। মামলার তদন্ত পুলিশ করলেও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তমানে সিবিআই তদন্ত করছে। ইতিমধ্যে হাসপাতলের প্রাক্তন অধ্যক্ষ, টালা থানার ওসি এবং এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঘটনার দিন থেকে ন্যায় বিচারের দাবিতে বিদ্যার্থী পরিষদ ‘লক্ষ্মীর সুরক্ষা’, স্বাস্থ্য ভাবন অভিযান, মশাল মিছিল, রাত দখল-সহ একাধিক কর্মসূচি পালন করতে দেখা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ravneet Singh Bittu: “রাহুল গান্ধী দেশের এক নম্বর সন্ত্রাসবাদী,” তোপ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    Ravneet Singh Bittu: “রাহুল গান্ধী দেশের এক নম্বর সন্ত্রাসবাদী,” তোপ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) দেশের এক নম্বর সন্ত্রাসবাদী।” এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রভনীত সিং বিট্টু (Ravneet Singh Bittu)। এক সময় কংগ্রেসে ছিলেন বিট্টু। পরে যোগ দেন বিজেপিতে। রবিবার রেলের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিট্টু। এই অনুষ্ঠান থেকেই রাহুলকে চাঁদমারি করেন তিনি। এদিন ভাগলপুরে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন বিট্টু।

    “রাহুল গান্ধী ভারতীয় নন” (Ravneet Singh Bittu)

    তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধী ভারতীয় নন। তিনি বেশিরভাগ সময় দেশের বাইরে কাটিয়েছেন। তিনি দেশকে খুব একটা ভালোবাসেন না। তাঁর পরিবার থেকে শুরু করে বন্ধুরা ভারতে থাকলেও, তিনি এই দেশটাকে ততটা ভালোবাসেন না। আর তাই বিদেশে গিয়ে ভারত সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেন।” বিট্টু বলেন, “রাহুল বিদেশে গিয়ে সব ভুল বলেন। যারা মোস্ট ওয়ান্টেড, বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং বোমা-বন্দুক ও শেল তৈরিতে সিদ্ধহস্ত, তারা রাহুল গান্ধীর কথার প্রশংশা করে। যারা দেশের শত্রু, যারা বিমান, ট্রেন, রাস্তা উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, তারা রাহুল গান্ধীর সমর্থনে।”

    “রাহুল গান্ধী দেশের এক নম্বর সন্ত্রাসী”

    এর পরেই কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন (Ravneet Singh Bittu), “রাহুল গান্ধী দেশের এক নম্বর সন্ত্রাসী। দেশের সব চেয়ে বড় শত্রু, যাকে এজেন্সিদের ধরা উচিত, তিনি হলেন রাহুল গান্ধী।” মন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস দেশের মুসলমান সম্প্রদায়কে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। তাতে কাজ না হওয়ায় তারা এখন শিখদের মধ্যে বিভাজন তৈরির অপচেষ্টা শুরু করেছে।” জাতি ভিত্তিক জনগণনা নিয়ে রাহুলকে নিশানা করে বিজেপির এই নেতা বলেন, “রাহুল ওবিসি থেকে শুরু করে অন্য বিভিন্ন জাতির মানুষের হয়ে কথা বলেন। অথচ সাধারণ কর্মী থেকে শুরু করে অন্যদের যন্ত্রণা তিনি বোঝেন না।” বিট্টু বলেন, “এর চেয়ে আর হাস্যকর কী হতে পারে।”

    আরও পড়ুন: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ চালু হচ্ছে মোদি সরকারের এই মেয়াদেই!

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে আমেরিকায় গিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, ভারতে ধর্মীয় আচার পালন করার আগে শিখদের ভাবতে হয়। মাথায় পাগড়ি বা হাতে বালা পরার আগে নিরাপত্তার বিষয়ে (Rahul Gandhi) তাঁদের ভাবতে হয় (Ravneet Singh Bittu)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিল মূক-বধিরদের, বিক্ষোভ পান্ডুয়া-উত্তরপাড়াতেও

    RG Kar Protest: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিল মূক-বধিরদের, বিক্ষোভ পান্ডুয়া-উত্তরপাড়াতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড (RG Kar Protest) নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। দোষীদের শাস্তির দাবিতে সাধারণ মানুষও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন। বিশেষভাবে সক্ষমরাও এই প্রতিবাদে সামিল হয়ে নির্যাতিতার খুনের সুবিচারের দাবি জানালেন। নিম্নচাপের কারণে রবিবার রাজ্যজুড়ে দিনভর বৃষ্টি হয়েছে। সেই বৃষ্টি মাথায় নিয়েই আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রবিবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পথে নামলেন সাধারণ মানুষ।

    কোথায় কোথায় বিক্ষোভ? (RG Kar Protest)

    আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে (RG Kar Protest) পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে মোমবাতি হাতে মিছিলে শামিল হন মূক ও বধিররা। আসানসোলের রবীন্দ্রভবনের সামনে হাতে জাতীয় পতাকা, প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদে শামিল হন তাঁরা। মোমবাতি জ্বালিয়েও জানানো হয় প্রতিবাদ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়। পান্ডুয়াতেও মিছিলে পা মেলায় ছাত্রসমাজ এবং প্রতিবাদী নাগরিকবৃন্দ। রবিবার সন্ধ্যায় বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই পান্ডুয়ার জিটি রোডে নামল জনতার ঢল। পান্ডুয়া স্টেশন সংলগ্ন পুরানো বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিলে পা মেলান শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী। ছিলেন বহু সাধারণ নাগরিকও। জিটি রোডের কাছে তেলিপাড়া পর্যন্ত গিয়ে মিছিল শেষ হয়। কিছুক্ষণের জন্য জিটি রোড আটকে চলে বিক্ষোভ (Agitation)। স্থানীয় সূত্রে খবর, আরজি করের ঘটনায় জড়িত সকল দোষীরা অবিলম্বে কঠিনতম শাস্তি এবং মেয়েদের নিরাপত্তার দাবিতেই এই প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। একইভাবে উত্তরপাড়াতেও প্রায় পাঁচ হাজার লোকের জমায়েত হয়েছিল। স্থানীয় কয়েকটি স্কুলের প্রাক্তনী এবং ১৭টি ক্লাব-সংগঠনের ডাকে উত্তরপাড়ার গৌরী সিনেমা হল মোড়ে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সঙ্গে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। মিছিলে স্লোগান উঠেছে ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’।

    আরও পড়ুন: ইস্তফা দিচ্ছেন কেজরিওয়াল! দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে?

    আন্দোলনকারীদের কী বক্তব্য?

    আন্দোলনকারীরা সকলেই দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়ার (RG Kar Protest) ওপর যে ঘটনা ঘটেছে তা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা নিরাপদ ভারতবর্ষ চাই। সুরক্ষিত পশ্চিমবঙ্গ চাই। এই ভাবে ‘উৎসব’ হয় না। আজকের এই মিছিলে হাঁটাই হল আমাদের আসল উৎসব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: আম আদমি পার্টির দুর্নীতি! প্রদেশজুড়ে প্রচার চালাবেন দিল্লির সাত বিজেপি সাংসদ

    BJP: আম আদমি পার্টির দুর্নীতি! প্রদেশজুড়ে প্রচার চালাবেন দিল্লির সাত বিজেপি সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির আম আদমি সরকারের বিরুদ্ধে এবার তেড়েফুঁড়ে নামছে প্রদেশ বিজেপি (BJP)। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে সাতটি আসনের মধ্যে সাতটিই দখল করে গেরুয়া শিবির। সেই সাংসদরা এবার প্রচার অভিযান চালাবেন দিল্লির আপ সরকারের দুর্নীতি নিয়ে। প্রসঙ্গত, একাধিক দুর্নীতির ইস্যুতে নাম জড়িয়েছে আম আদমি পার্টির। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হিসেবে উঠে আসে আবগারি দুর্নীতি। গ্রেফতার হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী (Arvind Kejriwal) ও উপমুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৭০টি বিধানসভা আসন ও ২৫০টি ওয়ার্ডেই এই প্রচার অভিযান চলবে। ঘরে ঘরে গিয়ে জনগণকে বিজেপির (BJP) সংসদ সদস্যরা বোঝাবেন কেজরিওয়ালের দুর্নীতি নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ব্যর্থতার কথাও তুলে ধরবেন বিজেপির সাংসদরা।

    কী বলছেন দিল্লি বিজেপির (BJP) প্রধান? 

    এ নিয়ে দিল্লি বিজেপির (BJP) সভাপতি বীরেন্দ্র সাচদেব সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) হোক কিংবা মনীশ সিসোদিয়া, সমগ্র আম আদমি পার্টিই হল দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড। দুর্নীতি লুকোতে তাঁরা এখন কেজরিওয়ালের পদত্যাগকে সামনে আনতে চাইছেন, দুর্নীতি থেকে মানুষের নজর ঘোরানোর জন্য কিন্তু মানুষ কখনও ভুলে যাবে না কেজরিওয়ালের দুর্নীতির কথা এবং বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে পরাস্ত করবে দিল্লির জনগণ।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, বিজেপি কর্মীরা প্রতিটি নাগরিকের বাড়িতে পৌঁছাবে এবং কেজরিওয়ালের ব্যর্থতা ও দুর্নীতির কথা তাঁরা তুলে ধরবেন।

    গলি থেকে রাজপথ- আন্দোলনে নামছে দিল্লি বিজেপি (BJP) 

    আম আদমি পার্টির কাউন্সিলর থেকে বিধায়কদেরও দুর্নীতির কথা বিজেপির (BJP) কর্মীরা তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন বীরেন্দ্র সাচদেব। দিল্লির জনগণ কেজরিওয়াল সরকারের প্রতি তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছে বলেও জানান দিল্লি বিজেপির প্রধান। দিল্লি বিজেপি আরও জানিয়েছেন যে, কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই দিল্লির রাস্তাতেই হবে। সাতজন বিজেপি সাংসদ সর্বদাই রাস্তায় থাকবেন- সংকীর্ণ গলি থেকে রাজপথ সর্বত্র প্রচার অভিযান চালানো হবে কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) দুর্নীতি ইস্যুতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • One Nation One Election: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ চালু হচ্ছে মোদি সরকারের এই মেয়াদেই!

    One Nation One Election: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ চালু হচ্ছে মোদি সরকারের এই মেয়াদেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে জম্মু-কাশ্মীরে রদ হয়েছিল ৩৭০ ধারা। আর তৃতীয় মেয়াদে চালু হতে চলেছে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election)। জানা (NDA) গিয়েছে, এনডিএ সরকারের চলতি মেয়াদেই কার্যকর হয়ে যাবে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’। সূত্রের দাবি, অবশ্যই এটি চলতি মেয়াদেই কার্যকর হবে। এটি বাস্তব রূপ নেবে। এই সংস্করমূলক পদক্ষেপকে সব দলই সমর্থন জানাবে বলেও আশাবাদী ওই সূত্র।

    ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election)

    দীর্ঘদিন ধরেই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর পক্ষে সওয়াল করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর যুক্তি, এতে লাভ হবে দুভাবে। এক, বারবার নির্বাচন করতে যে বিপুল খরচ হয়, তা কমবে। আর দুই, আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়ার কারণে বারবার যে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম থমকে থাকে, তা আর হবে না। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, বারংবার ভোট করাতে গিয়ে সরকারি কর্মী এবং প্রশাসনকে যে হ্যাপা পোহাতে হয়, তাও আর হবে না। দেশের রাজনৈতিক দলগুলিকেও ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর প্রস্তাব সমর্থন জানানোর আহ্বানও জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে বিরোধীদের দাবি, মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ও সংসদীয় গণতান্ত্রিক ভাবনার পরিপন্থী। তাঁদের মতে, মোদি সরকার ঘুরপথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে এ দেশে।

    আরও পড়ুন: অন্য কাশ্মীর! ৩৭ বছর পর দোরে দোরে ঘুরে প্রচার করছেন প্রার্থীরা

    কমিটির রিপোর্ট

    ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) ব্যবস্থা চালু করা কতটা বাস্তবসম্মত, তা খতিয়ে দেখতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল সরকার। গত মার্চ মাসেই সেই কমিটি রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। সূত্রের দাবি, ওই কমিটিও মত দিয়েছে এক দেশ, এক নির্বাচনের পক্ষে। ৪৭টিরও বেশি রাজনৈতিক দল কোবিন্দ কমিটির কাছে তাদের মতামত ব্যক্ত করেছিল। এর মধ্যে ৩২টি দলই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর ধারণাকে সমর্থন করেছে। সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছিল। সেখান থেকেও প্রতিক্রিয়া এসেছে ২১ হাজার ৫৫৮টি। এর মধ্যেও ৮০ শতাংশ সায় দিয়েছে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর (One Nation One Election) পক্ষেই (NDA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: বয়স ৮০ ছুঁই ছুঁই! ঐতিহ্যকে আঁকড়ে পটচিত্র এঁকে চলেছেন কৃষ্ণনগরের রেবা পাল

    Durga Puja 2024: বয়স ৮০ ছুঁই ছুঁই! ঐতিহ্যকে আঁকড়ে পটচিত্র এঁকে চলেছেন কৃষ্ণনগরের রেবা পাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, নারী মানে অসীম ধৈর্যের এক অন্যতম নাম। মহিষাসুরকে বধ করার জন্য যেমন মা দুর্গার আবির্ভাব হয়েছিল, এখনও যুগ যুগ ধরে দেবী দুর্গা রয়েছেন বিরাজমান। হ্যাঁ, এমনই এক নারীশক্তির (Durga Puja 2024) কথা না বললেই নয়। বয়স প্রায় ৭৫ বছরের অনেক বেশি হলেও মনের শক্তি এবং অদম্য ইচ্ছেতে সূক্ষ্ম-নিপুণ কাজের সঙ্গে এখনও পটচিত্র এঁকে চলেছেন নদিয়ার কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণির বক্সিপাড়ার বাসিন্দা রেবা পাল। করেন ভাঙা ঘরে বসবাস। বয়স ৮০ ছুঁই ছুঁই,, স্বামীর কাছ থেকে পটচিত্রের কাজ শেখা, এরপর স্বামী পরলোক গমন করলে সম্পন্ন সংসারের দায়ভার তার কাঁধে এসে পড়ে। আর অন্য কোনও কাজ জানা ছিল না তাঁর। তাই স্বামীর শিল্পকেই ধরে রেখেছেন তিনি।

    হাল ছাড়তে নারাজ (Durga Puja 2024)

    এরপর সংসারের অনেকটাই হাল ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। প্রত্যেক বছর দুর্গাপুজো আসতেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কাজের বরাত আসত। আর দিনরাত এক করে পটচিত্রর কাজ করতে হত তাঁকে। যত দিন গিয়েছে, ততই তাঁর হাতের কাজের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। এখন বার্ধক্যজনিত কারণে কমেছে দৃষ্টিশক্তি। কিন্তু হাল ছাড়তে নাড়াজ তিনি। তাঁর নিপুণ কাজের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পেয়েছেন শংসাপত্র। এখনও কলকাতা সহ জেলার (Krishnanagar) বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুজো উদ্যোক্তারা ছুটে আসেন তাঁর কাছে, পটচিত্রর জন্য। এক কথা বলা যেতেই পারে, এই বয়সেও এখনও তাঁর লড়াইটা থেমে থাকেনি।

    মন ভার রেবা দেবীর (Krishnanagar)

    শিল্পী রেবা পালের কথায়, তিনি যতদিন বাঁচবেন, এই শিল্পকে বজায় রাখবেন। কিন্তু এবছর ঠিকঠাক কাজের বরাত না পাওয়ায় অনেকটাই মন ভার রেবাদেবীর। কারণ বলে মনে করছেন, আরজি করেন ঘটনা। বলাই বাহুল্য,, নদিয়ার কৃষ্ণনগর ঘূর্ণির মোড় মাটির প্রতিমা এবং পুতুল তৈরিতে এক খ্যাতনামা জায়গা। মৃৎশিল্পীদের অতুলনীয় প্রতিভা ফুটে ওঠে সূক্ষ্ম কাজে, কম যান না রেবাদেবীও। দিনরাত এক করে পটচিত্র এঁকে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে দেশে-বিদেশে। রেবাদেবী আক্ষেপের সুরে বলেন, বয়স তো অনেক হল, কমেছে দৃষ্টিশক্তি কমছে মনবল। আর পেশির শক্তিও দিন দিন কমতে থাকছে। জানি না ভবিষ্যতে কী হবে (Durga Puja 2024)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো একজন দয়ালু, সরকারিভাবে যদি কিছু আর্থিক সহযোগিতা পেতেন তাহলে হয়তো যেমন বাঁচিয়ে রাখতে পারতেন তাঁর এই শিল্পকে, তেমনি হতে পারতেন আরও হয়তো স্বাবলম্বী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ

  • Sandip Ghosh: ‘‘ট্রান্সজেন্ডারদের সঙ্গে সম্পর্ক পাতাতেন সন্দীপ, কামড়াতেন-মারতেন’’! বিস্ফোরক দাবি

    Sandip Ghosh: ‘‘ট্রান্সজেন্ডারদের সঙ্গে সম্পর্ক পাতাতেন সন্দীপ, কামড়াতেন-মারতেন’’! বিস্ফোরক দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। আর্থিক তছরূপের ঘটনার পাশাপাশি নির্যাতিতাকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনাতেও সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই আবহের মধ্যে এবার সন্দীপের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির প্রথম সারির যোদ্ধা কাজি আলি আফতাব। তাঁর দাবি, একাধিক ট্রান্সজেন্ডারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছেন সন্দীপ। শুধু তাই নয়। তাঁরা সন্দীপের পাশবিকতারও শিকার হয়েছেন! বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ট্রান্সজেন্ডারদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে অত্যাচার (Sandip Ghosh)

    ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির প্রথম সারির যোদ্ধা কাজি আলি আফতাব বলেন, “উনি (Sandip Ghosh) ফেসবুকের মাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডারদের ফোন নম্বর জোগাড় করতেন। তাঁদের ডেকে পাঠাতেন। এরপর তাঁদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতেন। তারপর তাঁদের ওপর নির্যাতন করতেন। কামড়ানো-খিমচানো-মারধর করা — এই ধরনের ব্যবহার করতেন। আমাদের কমিউনিটির তিনজনের সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা থানায় সেই সময় যেতে পারেননি। যেহেতু তিনি প্রভাবশালী তার ওপর আবার ডাক্তার ছিলেন। তারপর তিনি সমাজের স্বীকৃত মানুষ।” কাজি আলির এও দাবি, “এই নিয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে হয়ত বলবে আপনি স্বেচ্ছায় সম্পর্কে গিয়েছেন। তখন নির্যাতিতা বা নির্যাতিত যেই হোন না কেন দোষী হয়ে যান।”

    আরও পড়ুন: ইস্তফা দিচ্ছেন কেজরিওয়াল! দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে?

    সিভিকের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন

    সিভিক ভলান্টিয়রের সঙ্গে কি সম্পর্ক ছিল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের? ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির প্রথম শ্রেণির যোদ্ধা কাজি আলি আফতাব তেমনই আশঙ্কা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, “নির্যাতিতার ঘটনায় যে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে, হয়ত তাঁর সঙ্গে সন্দীপের (Sandip Ghosh) কোনও সম্পর্ক থাকতে পারে। নয়ত অভিযুক্ত সব দোষ নিজের মাথায় নিয়ে নিচ্ছে! এমনি-এমনি তো কেউ নিজের মাথায় দোষ নেবে না। আর ওঁর যেমন স্বভাব, উনি এমন সম্পর্কে লিপ্ত থাকবেন না এর কোনও গ্যারান্টি নেই।”

    সিভিকের ফোনে বিপুল পরিমাণে নীল-ছবি!

    প্রসঙ্গত, ‘তিলোত্তমা’র দেহ উদ্ধার পর যখন কলকাতা পুলিশের হাতে অভিযুক্ত সিভিক গ্রেফতার হয়েছিলেন, সেই সময় ও তিনি পুলিশের কাছে ফাঁসির আবেদন করেছিলেন। দোষ করে বলেছিলেন, “আমায় ফাঁসি দিন।” এ দিন হয়ত সেই বিষয়টিই বোঝাতে চেয়েছেন কাজি আলি আফতাব। বস্তুত, আরজি করের ঘটনার তদন্তে নামার পর অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের ফোন ঘেঁটে একাধিক নীলছবি খুঁজে পেয়েছিলেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। কার্যত চমকে ওঠেন তাঁরা। গোয়েন্দা আধিকারিকদের দাবি ছিল, অভিযুক্ত এমন ধরনের নীলছবি দেখতেন যা সুস্থ মস্তিস্কের মানুষ দেখেন না।

    ছাত্রের শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত সন্দীপ!

    এর আগে, ২০১৭ সালে হংকং এক নার্সিং ছাত্রের শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তিনি ওই ছাত্রের গোপনাঙ্গ ছোঁয়ার চেষ্টা করেন। হংকং এর কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে এই ঘটনার ঘটার অভিযোগ রয়েছে। এদিকে, সন্দীপ ঘোষের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া এক গোপন ল্যাপটপ নিয়েও বেশ কিছু বিস্ফোরক বিষয় উদ্ধার হয়েছে বলে বহু মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করেছে। এই ল্যাপটপ উদ্ধার করে ইডি। নথির পাশাপাশি সেই ল্যাপটপ থেকে বহু ছবি উদ্ধার হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সন্দীপের ওই ল্যাপটপে মিলেছে বহু নগ্ন পুরুষের ছবি। তবে সেই ছবি নিয়ে সেভাবে এখনও ভাবনা চিন্তা শুরু করেননি তদন্তকারী সংস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share