Tag: Madhyom

Madhyom

  • Mithun Chakraborty: “ভাগীরথীতে ফেলব না, কেটে মাটিতে পুঁতে দেব”, কাদের উদ্দেশে বললেন মিঠুন?

    Mithun Chakraborty: “ভাগীরথীতে ফেলব না, কেটে মাটিতে পুঁতে দেব”, কাদের উদ্দেশে বললেন মিঠুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এখন আমি বলছি আমরা তাদের কেটে মাটিতে পুঁতে দেব।” এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির (BJP Rally) তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচিতে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছেন মিঠুন। তখনই নিশানা করেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা হুমায়ুন কবিরকে।

    কী বলেছিলেন হুমায়ুন

    লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে হুমায়ুন বলেছিলেন, আপনারা এখানে ৩০ শতাংশ। কিন্তু আমরা ৭০ শতাংশ… যদি আপনারা মনে করেন যে মসজিদ ধ্বংস করবেন আর মুসলিমরা চুপচাপ বসে থাকবে… তাহলে ভুল করবেন। আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব যদি আপনাদের ভগীরথীতে ডোবাতে না পারি…।

    মিঠুনের পাল্টা জবাব

    এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির তারকা নেতা বলেন, “একজন নেতা (পড়ুন হুমায়ুন) বলছেন এখানে ৭০ শতাংশ মুসলমান ও ৩০ শতাংশ হিন্দু রয়েছে। তিনি তাঁদের কেটে ভাগীরথীতে ফেলে দেবেন…আমি ভেবেছিলাম মুখ্যমন্ত্রী (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কিছু বলবেন। তিনি কিছু বলেননি…তাই এখন আমি বলছি, আমরা তাদের কেটে মাটিতে পুঁতে দেব।” মিঠুন বলেন, “আমি বলছি আমরা তোমাদের কেটে টুকরো টুকরো করব। তোমাদের ভগীরথীতে ফেলব না। কারণ তিনি আমাদের মা। কিন্তু আমরা তোমাদের মাটিতে পুঁতে দেব।” আগামী মাসেই রাজ্যের পাঁচ জেলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। তার আগে মিঠুনের (Mithun Chakraborty) এহেন মন্তব্যে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি।

    আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে বিজেপির তারকা প্রচারকের তালিকায় মোদি-শাহ-আদিত্যনাথের সঙ্গে শুভেন্দুও

    মিঠুন বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রী নই… কিন্তু আমি বলছি, আমরা বাংলার মসনদ জয়ের জন্য যে কোনও কিছু করব… ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর এ রাজ্য বিজেপির হবে।” রাজ্যের শাসক দলকে সতর্ক করতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি বারবার বলছি… আমরা যে কোনও কিছু করব (২০২৬ সালের নির্বাচন জেতার জন্য)… যে কোনও কিছু। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজির সামনে বসেই এটা বলছি – আমরা যে কোনও কিছু করব।” এই বিজেপি নেতার অভিযোগ, বাংলার রাজ্য সরকার হিন্দু সম্প্রদায়কে ভোট দিতে দেয় না। বিজেপি (BJP Rally) কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে মিঠুন (Mithun Chakraborty) বলেন, “আমরা সেই সব লোককে চাই, যাঁরা লড়াই করতে পারবেন…যাঁরা দাঁড়িয়ে বলতে পারবেন, গুলি করো…আমায় দেখতে দাও কত বুলেট তোমাদের আছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: মঙ্গলে বিপুল অঙ্কের উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: মঙ্গলে বিপুল অঙ্কের উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার প্রায় ১২ হাজার ৮৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিনই তাঁর সরকারের প্রধান স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প (Health Projects) আয়ুষ্মান ভারতের আওতায় নিয়ে আসবেন ৭০ বছর ও তার বেশি বয়সী সকল নাগরিককে। প্রধানমন্ত্রী নবম আয়ুর্বেদ দিবস এবং চিকিৎসার দেবতা ধন্বন্তরীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই বৃহৎ স্বাস্থ্য খাতের পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এদিকে, একটি পৃথক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের ‘রোজগার মেলা’র অংশ হিসেবে যুবকদের মধ্যে ৫১ হাজারেরও বেশি নিয়োগপত্র বিতরণ করবেন।

    প্রধানমন্ত্রীর গুচ্ছ কর্মসূচি (PM Modi)

    সরকারি একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রথম অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদের দ্বিতীয় পর্যায়ের উদ্বোধন করবেন। এতে একটি পঞ্চকর্ম হাসপাতাল, ঔষধ উৎপাদনের জন্য একটি আয়ুর্বেদিক ফার্মেসি, একটি ক্রীড়া মেডিসিন ইউনিট, একটি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, একটি আইটি ও স্টার্টআপ ইনকিউবেশন সেন্টার এবং ৫০০ আসনের একটি অডিটোরিয়াম-সহ অন্যান্য সুবিধা মিলবে। মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌর, নিমুচ এবং সিওনিতে তিনটি মেডিকেল কলেজের উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    সুবিধা এবং পরিষেবা সম্প্রসারণ

    এদিনই তিনি বিভিন্ন এইমসের সুবিধা এবং পরিষেবা সম্প্রসারণের উদ্বোধনও করবেন। এর মধ্যে রয়েছে হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুর, পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী, বিহারের পাটনা, উত্তর প্রদেশের গোরখপুর, মধ্যপ্রদেশের ভোপাল, আসামের গৌহাটি এবং দিল্লির জন ঔষধি কেন্দ্রের উদ্বোধনও। মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী, রতলাম, খান্ডওয়া, রাজগড় এবং মন্দসৌরে পাঁচটি নার্সিং কলেজের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: গণেশপুজো বিতর্কে মুখ খুললেন চন্দ্রচূড়, মুখের মতো জবাব দিলেন সমালোচকদের

    হিমাচল প্রদেশ, কর্ণাটক, মণিপুর, তামিলনাড়ু এবং রাজস্থানে আয়ুষ্মান ভারত হেলথ ইনফ্রাস্ট্রাকচার মিশনের অধীনে ২১টি ক্রিটিকাল কেয়ার ব্লকের এবং দিল্লি ও হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুরে এইমসের বিভিন্ন সুবিধা ও পরিষেবা সম্প্রসারণেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে তিনি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে একটি ইএসআইসি হাসপাতালের উদ্বোধন করবেন। হরিয়ানার ফরিদাবাদ, কর্ণাটকের বোম্মাসান্দ্র ও নারাসাপুর, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর, উত্তরপ্রদেশের মিরাট এবং অন্ধ্রপ্রদেশের আচ্ছুতাপুরমে ইএসআইসি হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও করবেন (Health Projects) প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে উপকৃত হবেন প্রায় ৫৫ লাখ ইএসআই সুবিধাভোগী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ঝাড়খণ্ডে বিজেপির তারকা প্রচারকের তালিকায় মোদি-শাহ-আদিত্যনাথের সঙ্গে শুভেন্দুও

    Suvendu Adhikari: ঝাড়খণ্ডে বিজেপির তারকা প্রচারকের তালিকায় মোদি-শাহ-আদিত্যনাথের সঙ্গে শুভেন্দুও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গ বিজেপির নেতাদের ভিন রাজ্যের ভোটে তারকা প্রচারক হিসেবে সাধারণত ব্যবহার করা হত না। কিন্তু, ঝাড়খণ্ডের সীমানা লাগোয়া মেদিনীপুরের দাপুটে নেতাকে এবার তারকা প্রচারক হিসেবে বিধানসভা ভোটে কাজে লাগাবে পদ্মশিবির। দিল্লির নির্দেশে ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand Assembly Elections 2024) প্রচার সেরেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সাম্প্রতিককালে বঙ্গ বিজেপি-র প্রথম কোনও নেতা ভিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে তারকা প্রচারক হিসেবে থাকছেন।

    মোদি-শাহের সঙ্গে তালিকায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari),

    আগামী ১৩ ও ২০ নভেম্বর দু’দফায় ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় নির্বাচন হতে চলেছে। আর তার প্রচারে বিজেপির (BJP) হাইপ্রোফাইল তারকা প্রচারক তালিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ইউপি-র মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা-দের সঙ্গে নাম রয়েছে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। ঝাড়খণ্ডে তারকা প্রচারক হিসেবে যে ৪০ জনের নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি, তাতে আছে জেএমএম থেকে আসা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনের নামও।

    উপ নির্বাচনে নজর

    পশ্চিমবাংলার সীমান্তে ঝাড়খণ্ডে বেশ কয়েকটি বিধানসভা আসন আছে। ঝাড়খণ্ড লাগোয়া অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলায় শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সংগঠন ও মানুষের সঙ্গে পরিচয়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত, ২০২১ বিধানসভা ভোটের মুখে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভার ততকালীন সদস্য শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপিতে গিয়ে ক্ষমতায় আসতে না পারলেও নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছিলেন শুভেন্দু। তার সুবাদে শুভেন্দুকে রাজ্যে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা করে বিজেপি। শুভেন্দু এরপর বাংলায় বিজেপিকে নির্বাচনী সাফল্য এনে দিতে পারেননি ঠিকই, কিন্তু লোকসভা ভোটে শুভেন্দু নিজে তাঁর পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দুটি আসনই (কাঁথি ও তমুলক) জিতে নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখেন। তাঁর এই ক্যারিশ্মাকে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। ১৩ নভেম্বর বাংলায় ৬ আসনে বিধানসভা উপনির্বাচন। মেদিনীপুর, নৈহাটি, মাদারিহাটের পাশাপাশি শুভেন্দু ঝাড়খণ্ডে গিয়েও প্রচার করবেন। এই উপ নির্বাচনকেও খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: “এক কোটি সদস্য হলেই আমরা জিতব”, শাহি সভায় বললেন মিঠুন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: ঝোপ-জঙ্গলে ঘেরা মন্দির! দেবী চৌধুরানী-ভবানী পাঠকের কালীপুজোর রোমাঞ্চই আলাদা

    Kali Puja 2024: ঝোপ-জঙ্গলে ঘেরা মন্দির! দেবী চৌধুরানী-ভবানী পাঠকের কালীপুজোর রোমাঞ্চই আলাদা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় উপন্যাস থেকেই দেবী চৌধুরানী, ভবানী পাঠকের সঙ্গে বাঙালির পরিচয়। প্রচলিত গল্প অনুযায়ী, এক সময় বিপ্লবীদের আস্তানা ছিল ভবানী পাঠকের কালীমন্দির (Kali Puja 2024)। সেখানে মাতৃ-আরাধনা করেই তাঁরা যেতেন লক্ষ্যপূরণে। কথিত আছে, ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানী যৌথভাবে ডাকাতি করে বিপ্লবীদের দেশসেবায় সাহায্য করতেন। সেই সময়কার অনেক নিদর্শন আজও বর্তমান বাংলার নানা প্রান্তে, লোকাচারে। 

    দুর্গাপুরে ভবানী পাঠকের মন্দির

    দুর্গাপুর সিটি সেন্টারের অম্বুজা আবাসন এলাকায় এখনও গা-ছমছম জঙ্গলের পরিবেশে অনেক ভক্ত আসেন ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানীর মন্দির দর্শন করতে। তারাপীঠ মন্দিরে মায়ের পুজোর রীতি ও নিয়ম মেনে শ্যামাকালী পুজোর (Kali Puja 2024) আগের নিশিরাতে ভবানী পাঠকের মা কালীর পুজো অনুষ্ঠিত হয় এখানে। ভূত চতুর্দশীতেই শুরু হয় দেবী আরাধনা। ভবানী পাঠকের মা কালী আজও বন্দে মাতরম্ মন্ত্রে পূজিত হন। অম্বুজা আবাসন কংক্রিটে মোড়া অভিজাত এলাকায় অবস্থিত হলেও সেই সময়কার গা-ছমছমে পরিবেশ আজও বিদ্যমান। দুর্গাপুরের মানুষ আজও এই মন্দিরটিকে ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানীর মন্দির নামেই চেনেন। মন্দিরের পুরোহিত সূত্রে জানা যায়, প্রবেশ পথে ও মন্দিরের ভিতরে মায়ের বেদিতে খোদাই করা রয়েছে দেশাত্মবোধক মন্ত্র, ‘ওঁ বন্দে মাতরম্ জয় জয় ভারতবর্ষম’। এছাড়াও এই মন্ত্রের সঙ্গে আরও উচ্চারিত হয় ‘ঐক্যম শরণম্‌ গচ্ছামি’, ‘সত্যম শরণম্‌ গচ্ছামি’, স্বরাজ শরণম্‌ গচ্ছামি’।

    মালদহে দেবী চৌধুরানীর কালী-সাধনা

    প্রাচীন কালীপুজো ঘিরে ভক্তদের ঢল নামে মালদার গোবরজনা কালীবাড়িতে। মনস্কামনা নাকি বিফলে যায় না। তাইতো এই মন্দিরে ভক্তদের ভিড় ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কালীপুজোর দিন শুধুমাত্র বাংলা নয়, বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে বহু ভক্ত আসেন মালদহের প্রাচীন গোবরজনা কালীমন্দিরে। লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে এই পুজো নাকি শুরু করেছিলেন ভবানী পাঠক। এক সময় এই অঞ্চল ঘন জঙ্গলে ঘেরা ছিল। মন্দিরের পাশ দিয়েই বয়ছে কালিন্দ্রী নদী। নৌকায় যাওয়ার পথে দেবী চৌধুরানী ও ভবানী পাঠক এখানে নোঙর করেন নৌকা। সেই সময় জঙ্গলে ভবানী পাঠক কালীর পুজো দিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা প্রতি বছর পুজো দিতেন এই জঙ্গলে বিশাল এক বট গাছের নীচে। কয়েক পুরুষ ধরে এই পুজোর দায়িত্ব পালন করে আসছে স্থানীয় চৌধুরী পরিবার।

    আরও পড়ুন: ধনতেরাসে বিধি মেনে পুজোয় অকাল মৃত্যুর হাত থেকে মুক্তি, লাভ হয় অপার ঐশ্বর্য

    শিলিগুড়িতে ভবানী পাঠকের আরাধ্যা কালী

    বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসে ভবানী পাঠক চরিত্রের বাস্তবে কোনও অস্তিত্ব রয়েছে কি না, তা নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। তবে উপন্যাসেই ইঙ্গিত ছিল, অষ্টাদশ শতাব্দীতে সন্ন্যাসী বিদ্রোহের সময়ে ভবানী পাঠক নাকি তিস্তা লাগোয়া বোদাগঞ্জে আত্মগোপন করেছিলেন। সেই সময়েই তিনি এখনকার শিকারপুর চা বাগানের জমিতে অস্থায়ী কালী মন্দির (Kali Puja 2024) গড়ে পুজো করতেন বলে মানুষের বিশ্বাস। উপন্যাসের সেই চরিত্রের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ নিয়ে যত বিতর্কই থাক না কেন, স্থানীয় বাসিন্দারা ভবানী পাঠকের অস্তিত্বে কেবল বিশ্বাসীই নন, তাঁর প্রতিষ্ঠিত কালীমন্দিরের মূর্তি গড়ে আজও পুজো করেন তাঁরা। মূলত, দেবী চৌধুরানীর মন্দিরের খ্যাতিতেই বিভিন্ন প্রান্তের কালী-গবেষকরা এখানে আসেন। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের পর্যটকদের কাছে এটি বাড়তি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এখানকার কালীমন্দির জাগ্রত ও প্রসিদ্ধ বলেই স্থানীয় ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে। এই মন্দিরে রীতিমতো নিয়ম ও নিষ্ঠার সঙ্গে বছরে দুবার কালীপুজো হয়। একবার আষাঢ় মাসে, আরেকবার কার্তিক মাসে। ঝোপ-জঙ্গলে ভরা, অরণ্যের মাঝে এই কালীপুজোর আলাদা রোমাঞ্চ রয়েছে ভক্তদের কাছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctor: “জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন ব্যর্থ”, বললেন শুভেন্দু, মমতাকে নিশানা করলেন সুকান্ত

    Junior Doctor: “জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন ব্যর্থ”, বললেন শুভেন্দু, মমতাকে নিশানা করলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড ইস্যুতে চলা আন্দোলন নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কার্যত জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে ব্যর্থ বললেন তিনি। আর কেন তাঁদের (Junior Doctor) আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে তার কারণও ব্যাখ্যা করলেন বিরোধী দলনেতা। অন্যদিকে, মমতাকে তীব্র আক্রমণ করলেন সুকান্ত মজুমদার।

    জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন ব্যর্থ! (Junior Doctor)

    জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) আন্দোলন ব্যর্থ হওয়া নিয়ে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) মূলত দু’টি কারণ দর্শালেন। প্রথমত, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বাড়িতে এবং নবান্নের বৈঠক। আর দ্বিতীয় হল, রাজ্যের প্রধান এবং একমাত্র বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা। এই দুই ভুলের ফল অনিকেত মাহাতোরা ভুগছেন বলে দাবি করলেন শুভেন্দু। শুভেন্দু বলেন, “জুনিয়র ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশন তৃণমূলের তৈরি সংগঠন। থ্রেট কালচারে যুক্তদের নিয়ে এই সংগঠন তৈরি হয়েছে। এদের অনেকের ছবি সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এসব আটকানো যায় না।” এরপর জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, “শুরু থেকে বাম ও অতিবাম সংগঠনগুলি জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে ভুল পথে চালিত করেছে। জুনিয়র ডাক্তাররা সবাই খুব ভালো। ওঁরা শিক্ষিত। কেউ সাদা খাতা জমা দিয়ে ডাক্তারি পড়তে বা চাকরিতে আসেননি। কিন্তু, বাম ও অতিবামদের প্ররোচনায় পা-দেওয়ার ফল ভুগছেন অনিকেত মাহাতোরা।”

    আরও পড়ুন: “এক কোটি সদস্য হলেই আমরা জিতব”, শাহি সভায় বললেন মিঠুন

    মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে তোপ

    শুভেন্দু বলেন, “রাজ্যের প্রধান ও একমাত্র বিরোধী দল বিজেপি। সেই বিরোধী দলকে সরিয়ে রেখে কোনও সরকার-বিরোধী আন্দোলন সফল হতে পারে না। শুভেন্দুর মতে, জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ও তার কোটি কোটি ভোটারদের দূরে রেখে আন্দোলনে নেমেছিলেন। তারই ফল ভুগতে হচ্ছে।” বিরোধী দলনেতার মতে, জুনিয়র ডাক্তারদের দ্বিতীয় ভুল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বাড়ি এবং নবান্নে গিয়ে বৈঠক করা। তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। যে মুহূর্তে তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠকে বসেছেন, সেই মুহূর্তে মানুষ তাঁদের আন্দোলন থেকে সরে এসেছে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী নিজে আরজি করকাণ্ডের জন্য দায়ী। তাঁর জন্যই পুরো ঘটনা ঘটেছে। আর সেই মুখ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে জুনিয়র চিকিৎসকরা বৈঠক করেছেন। সরকারের সঙ্গে অন্য ভাবেও বৈঠক করা যেত। সেটা মুখ্যসচিব এবং স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে করতে পারতেন তাঁরা। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিবের হস্তক্ষেপ দাবি করতে পারতেন।”

    মমতাকে গ্রেগ চ্যাপেলের সঙ্গে তুলনা

    অন্যদিকে, মতাকে থ্রেট কালচারের জনক বলে নিশানা করলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “মমতা গেমপ্লেনের মতো খেলছেন। কোচ গ্রেগ চ্যাপেলের মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমার মনে হচ্ছে সাউথ আফ্রিকার মতো ডাক্তারবাবুরা (Junior Doctor) চোকার্স হয়ে গিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: “শ্মশানে জাগিছে শ্যামা মা…”, কেওড়াতলা মহাশ্মশানে মা পূজিত হন করুণাময়ী রূপে

    Kali Puja 2024: “শ্মশানে জাগিছে শ্যামা মা…”, কেওড়াতলা মহাশ্মশানে মা পূজিত হন করুণাময়ী রূপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈদ্যুতিক চুল্লিতে পুড়ছে শবদেহ। পাশেই তন্ত্রমতে পুজো হচ্ছে মা শ্মশানকালীর (Kali Puja 2024)। প্রত্যেক বছর কালীপুজোর রাতে এ ছবি দেখা যায় কালীঘাটের কেওড়াতলা (Keoratala Goddess Kali) মহাশ্মশানে। এক সময় এখানে দেহ দাহ হত কাঠের চুল্লিতে। পরে হয়েছে বৈদ্যুতিক চুল্লি। চুল্লি জ্বলে প্রায় সারাদিনই। কালীপুজোর রাতেও এর বিরাম থাকে না। এই আবহেই এখানে হয় মাতৃ আরাধনা। জাগ্রত মায়ের আরাধনায় প্রচুর ভক্তসমাগম হয়।

    মাতৃমূর্তি করুণাময়ী (Kali Puja 2024)

    কেওড়াতলায় মাতৃমূর্তি করুণাময়ী। ১৬ ফুট উচ্চতার মাতৃমূর্তি লোলজিহ্বা নয়, হাস্যময়ী। অসুর মুণ্ডমালিনী নয়। দেবীর থাকে দুই হাত। ডান হাতে নৈবেদ্যরূপী মাংস, অন্য হাতে মদ। অনেকেই এখানে দেবীকে মদ মানত করেন। সেই পানপাত্র থেকে মদের একটা অংশ নিয়ে পুরোহিত দেবীর হাতে থাকা পাত্রে রাখেন। বাকিটা প্রসাদ করে তুলে দেওয়া হয় মানতকারীর হাতে। কালীপুজোয় বলিদান সিদ্ধ। তাই বলিদানের রীতি শুরু থেকেই রয়েছে এখানে। ভক্তদের (Kali Puja 2024) মানত করা পাঁঠা বলি হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, কেওড়াতলার মা কালী কাউকে শূন্য হাতে ফেরান না। যে যা বাসনা করেন তাই ফলপ্রসূ হয়।

    রাতভর চলে পুজো-হোম-বলিদান

    কেওড়াতলার শ্মশানকালী (Kali Puja 2024) পুজোর একটি ইতিহাস রয়েছে। গভীর জঙ্গলে আকীর্ণ এই এলাকায় এক সময় ছিল শুধুই শ্মশান। কেওড়া গাছ প্রচুর পরিমাণে ছিল বলে এই নামকরণ হয়। মূলত দেহ দাহ করতেই লোকজন আসতেন এখানে। এই জায়গাটিকেই সাধনস্থল হিসেবে বেছে নিলেন জনৈক চন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য ও মতিলাল ভট্টাচার্য। ১৯৭০ সালে এক অমাবস্যার রাতে এখানে এসে হাজির হন ভিনদেশি এক তান্ত্রিক। হাতে লৌহনির্মিত একটি ছোট্ট কালীমূর্তি। সাধনারত দুই ব্রাহ্মণকে তিনি বললেন, “আজকের এই রাত্রির লগ্ন মাতৃপূজার শুভক্ষণ। আমি এখানে দেবীর আরাধনা করতে চাই। আপনারা আমায় সহযোগিতা করুন।” তখনই ব্রাহ্মণরা আয়োজন করলেন মাতৃ আরাধনার। স্থানীয় জনবসতি থেকে জোগাড় হল পুজোর উপকরণ। রাতভর চলল পুজো-হোম-বলিদান। তন্ত্রমতে সাঙ্গ হল দেবী আরাধনা।  

    আরও পড়ুুন: পুরীর জগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদের মূল্য একলাফে বেড়ে ৩ গুণ! ভক্তমহলে অসন্তোষ

    আকাশে ভোরের আলো ফোটার আগেই দেবীমূর্তি নিয়ে কোথায় যেন চলে গেলেন তান্ত্রিক। তবে তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আজও হচ্ছে পুজো। যেহেতু তান্ত্রিক তাঁর দেবীমূর্তি নিয়ে চলে গিয়েছেন, তাই এখন মৃণ্ময়ী প্রতিমা গড়ে হয় পুজো। তবে পুজোর নিয়ম অনুসরণ করা হয় সেই তান্ত্রিকের মতোই। জনশ্রুতি এই (Kali Puja 2024) যে, দ্বীপান্বিতা অমাবস্যার রাতে যখন মায়ের আরাধনা হয়, তখনও জ্বলতে থাকে চিতা। কালীপুজোর (Keoratala Goddess Kali) রাতে এখানে এলে মনে পড়ে কাজী নজরুল ইসলামের সেই কথা কটি, “শ্মশানে জাগিছে শ্যামা মা…।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO: ছাব্বিশে ‘গগনযান মিশন’, আঠাশে ‘চন্দ্রযান ৪’, ভারতের মহাকাশ সূচি ঘোষণা ইসরোর

    ISRO: ছাব্বিশে ‘গগনযান মিশন’, আঠাশে ‘চন্দ্রযান ৪’, ভারতের মহাকাশ সূচি ঘোষণা ইসরোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘চন্দ্রযান ৩’-এর সাফল্যের পর, জোর কদমে কাজ চলছে ‘চন্দ্রযান ৪’ এবং ‘গগনযান’ নিয়ে। সব ঠিক থাকলে ২০২৮ সালেই চন্দ্রযান ৪ অভিযান চালানো হতে পারে, বলে জানালেন ইসরো (ISRO) প্রধান এস সোমনাথ। একই সঙ্গে তিনি জানালেন, নিরাপত্তার কারণে চলতি বছর ‘গগনযান’ অভিযান ২০২৫ সালে হচ্ছে না। পরিবর্তে ২০২৬ সালে হবে ওই অভিযান। সোমনাথ বলেছেন, ‘‘আগামী কয়েক দশকে বিশ্বের মহাকাশ গবেষণায় ভারতের বর্তমান অবদান ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করতে ইসরো বদ্ধপরিকর।’’ সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে ইসরো।

    কবে হবে চন্দ্রযান ৪-এর উৎক্ষেপণ 

    ১৮ জুলাই ২০২৩ উৎক্ষেপণের পর, ২৩ আগস্ট সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করেছিল চন্দ্রযান ৩। চাঁদের বাড়িতে চন্দ্রযান (ISRO) পৌঁছে যাওযার পর, নতুন উদ্যমে চন্দ্রযান ৪-এর কথা ভাবা হয়েছিল। সেপ্টেম্বরেই চন্দ্রযান ৪-এর অভিযানে সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। আগেই জানা গিয়েছিল, এই প্রজেক্টের সম্ভাব্য বাজেট। মনে করা হচ্ছে ২১০৪.০৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে চন্দ্রযান ৪-এর অভিযানে। এবার, সর্দার প্যাটেল মেমোরিয়াল বক্তৃতায় সোমনাথ জানান, ২০২৮ সালে রওনা হবে ‘চন্দ্রযান ৪’।

    গগনযান অভিযান কবে

    এদিন ইসরো (ISRO) প্রধান গগনযান মিশন সম্পর্কেও বিস্তারিত জানান। ইসরো জানিয়েছে, নিরাপত্তার কারণে ২০২৫ সালে ‘গগনযান’ অভিযান করা সম্ভব হচ্ছে না। পরিবর্তে ২০২৬ সালে এই অভিযান করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২৫ সালে হতে চলেছে ভারত-আমেরিকার যৌথ অভিযান ‘নিসার’। ‘গগনযান’ অভিযান হল ভারতের প্রথম মনুষ্যবাহী মহাকাশ অভিযান। ২০১৮ সালে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রথম এই অভিযানের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কথা ছিল ২০২২ সালেই এই অভিযান হবে। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে তা পিছিয়ে ২০২৫ করা হয়। এখন সেই অভিযানও পিছিয়ে গেল। আসল অভিযানের আগে একাধিকবার মহড়া দেবে ইসরো। খালি মহাকাশযানকে পাঠিয়ে তা নিরাপদে ফিরিয়ে আনার পরীক্ষা করা হবে। সব পরীক্ষায় সফল হয়েই এই অভিযান শুরু করতে চাইছে ইসরো। অভিযান সফল হলে রাশিয়া, আমেরিকা ও চিনের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাকাশে গবেষণার উদ্দেশে নভশ্চর পাঠাবে ভারত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Census: নতুন বছরেই হবে জনগণনা, লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস ২০২৮ সালের মধ্যেই

    Census: নতুন বছরেই হবে জনগণনা, লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস ২০২৮ সালের মধ্যেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা অতিমারির কারণে ২০২১ সালে হয়নি জনগণনা (Census)। নতুন বছরে সম্ভবত সেটাই শুরু করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। শেষ হবে ২০২৬ সালে। জনগণনা-পর্ব শেষ হলে শুরু হবে লোকসভা কেন্দ্রের সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ। ২০২৮ সালের মধ্যে সেই কাজ শেষ হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

    ১০ বছর অন্তর জনগণনা (Census)

    প্রতি ১০ বছর অন্তর জনগণনা হত। নতুন দশকের প্রথম বছরে অনুষ্ঠিত হত এটি। শেষবার জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। হিসেব অনুযায়ী, পরেরবার জনগণনা হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। তবে করোনা অতিমারির কারণে ওই বছর হয়নি জনগণনা। সেটাই হবে ২০২৫ সালে। আর ২০২৫ সালে জনগণনা হলে, পরেরবার সেনসাস হবে ২০৩৫ সালে। তার পরেরটা হবে ২০৪৫ সালে। এভাবেই চলতে থাকবে। এই জনগণনায় জাতিগত জনগণনার দাবি উঠছে। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই সূত্রের খবর।

    সম্প্রদায় সমীক্ষা করা হতে পারে

    তবে সম্প্রদায় সমীক্ষা করা হতে পারে। এটি করা হবে ওবিসি, এসসি এবং এসটি বিভাগগুলির নির্ধারিত কাঠামোর মধ্যে। সম্প্রদায় ভিত্তিক জনগোষ্ঠী সম্পর্কে তথ্য পেতেই এবার সম্প্রদায় সমীক্ষা করা হতে পারে (Census)। যেমন, কর্নাটকের লিঙ্গায়েতরা সাধারণ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। যদিও তারা নিজেদের ভিন্ন সম্প্রদায় হিসেবে বিবেচনা করে। এদিকে, মৃত্যুঞ্জয় কুমার নারায়ণের কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনের মেয়াদ ২০২৬ সালের অগাস্ট মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তিনি বর্তমানে ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সেনসাস কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। উত্তরপ্রদেশ ক্যাডারের ১৯৯৫ ব্যাচের এই আইএএস অফিসার ২০২০ সাল থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: গণেশপুজো বিতর্কে মুখ খুললেন চন্দ্রচূড়, মুখের মতো জবাব দিলেন সমালোচকদের

    এদিকে, নির্বাচনী কেন্দ্রগুলির সীমানা পুনর্বিন্যাসের ফলে লোকসভার আসন সংখ্যা বাড়তে পারে। বর্তমানে লোকসভার আসন সংখ্যা ৫৪৫টি। তার মধ্যে নির্বাচন হয় ৫৪৩টিতে। সীমানা পুনর্বিন্যাসের জেরে লোকসভার আসন বেড়ে হতে পারে ৭৫৩টি। সীমানা পুনর্বিন্যাস হলে বদলে যেতে পারে ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্রও (Census)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।   

  • Food: খাবারে দূষিত পদার্থ রয়েছে কি না, কীভাবে পরীক্ষা করবেন? ব্যাখ্যা দিল এফএসএসএআই

    Food: খাবারে দূষিত পদার্থ রয়েছে কি না, কীভাবে পরীক্ষা করবেন? ব্যাখ্যা দিল এফএসএসএআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি করার কারণে খাবারে (Food) ভেজাল সংক্রান্ত খবর প্রায়ই প্রকাশ্যে আসে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা এবং গুণমান নিশ্চিত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) সম্প্রতি বিভিন্ন ধরণের খারাপ খাবার এবং তাদের প্রতিটিকে কীভাবে সনাক্ত করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করে একটি পোস্ট শেয়ার করেছে।

    খাবার নিরাপদ রাখার উপায় (Food)

    এফএসএসএআই-এর পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রস্তুত খাবার (Food) বা কাঁচা উপাদান কিনে আমরা দূষিত খাবার খাওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারি। উপরন্তু, বাড়িতে স্বাস্থ্যকর রান্না, খাওয়া এবং খাদ্য সঞ্চয়ের অভ্যাসগুলি অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। পরিষ্কার হাত, নিরাপদের জন্য একটু যত্ন আপনার খাবার নিরাপদ রাখতে অনেকটাই সাহায্য করবে! এই ধরনের সচেতনতা আপনাকে যে কোনও সম্ভাব্য দূষিত খাবার খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে সাহায্য করতে পারে। এখানে এফএসএসএআই (FSSAI) দ্বারা ভাগ করা খাদ্য দূষণের ৩ সম্ভাব্য প্রকার রয়েছে। সেগুলি নীচে পর পর ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by FSSAI (@fssai_safefood)

    শারীরিক দূষণ

    খাবারে (Food) বাইরের উপাদান মিশে খাবারের গুণগত মান নষ্ট করে দেয়। যেমন ভেজাল খাদ্য পণ্যের ক্ষেত্রে দেখা যায় সচেতনতার অভাবের কারণে সমস্যা তৈরি হয়। পাথর, ডালপালা, বীজ, পালক, বালি, নখ, ধুলো, ময়লা, খড়, চুল ইত্যাদির মতো বাইরের উপাদান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। খাদ্যের মধ্যে থাকা এই সব জিনিস খাওয়ার সময় শ্বাসরোধের ঝুঁকি হতে পারে এবং আপনার দাঁতের ক্ষতি করতে পারে। কীভাবে শনাক্ত করবেন? এফএসএসএআই-এর (FSSAI) পর্যবেক্ষণ, খাবারটি সাবধানে আপনার হাত দিয়ে অনুভব করা এবং ধোয়া ইত্যাদির দ্বারা পরীক্ষা করার প্রয়োজন।

    রাসায়নিক দূষণ

    বিষাক্ত রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসার কারণে খাবারে (Food) দূষণ ঘটে। রাসায়নিক খাবার বিষক্রিয়ায় পরিণত হয়। মূলত, পুনরায় তেল ব্যবহারের জন্য, কীটনাশক ব্যবহার করার কারণে খাবারে রাসায়নিক দূষণ ঘটে। খাবার তৈরির সারফেস, কাচের পাত্র, থালা-বাসন পরিষ্কার করতে অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। এছাড়াও, ডিটারজেন্ট ব্যবহার করার পরে ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন এবং শুকিয়ে নিন। রান্নার জন্য শুধুমাত্র খাদ্য-গ্রেড প্লাস্টিক এবং ধাতু ব্যবহার করুন।

    মাইক্রোবায়োলজিক্যাল দূষণ

    জৈবিক বা মাইক্রোবায়োলজিক্যাল দূষণ ঘটে যখন খাবারে (Food) জীবিত প্রাণী বা তাদের উৎপন্ন পদার্থ দ্বারা দূষিত হয়। এই ক্ষেত্রে অদৃশ্য দূষণের মধ্যে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া, খামির (ইস্ট), প্রোটোজোয়া, ফাঙ্গাস (ছত্রাক) এবং ভাইরাস। আর মাছি, পোকা, আরশোলা, শুঁয়োপোকা বা গুবরেপোকা খাবারে পড়লে, সেই খাবার খেলে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই ক্ষেত্রে, রোগ সৃষ্টিকারী অণুজীব, যাকে প্যাথোজেনও বলা হয়, খাদ্যে প্রবেশ করে এবং পেটে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়। ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য রোগজীবাণুগুলি আর্দ্র, প্রোটিন বা স্টার্চ বেশি বা অম্লতা নিরপেক্ষ খাবারগুলিতে বৃদ্ধি পায়। কীভাবে সনাক্ত করতে হয়? টেক্সচার, গন্ধ এবং রঙের পরিবর্তনগুলি পর্যবেক্ষণ করুন। প্রতিটি জন্য বিশেষ পরীক্ষা উপলব্ধ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Digital Arrest: ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ ফাঁদে চার মাসে ১২০ কোটি টাকা খুইয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ, উদ্বিগ্ন কেন্দ্র

    Digital Arrest: ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ ফাঁদে চার মাসে ১২০ কোটি টাকা খুইয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ, উদ্বিগ্ন কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার প্রতারণার এক নতুন অস্ত্র ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ (Digital Arrest)। সাম্প্রতিক সময়ে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ যে ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে পুলিশ ও তদন্তকারী আধিকারিকদের কপালে। চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই প্রায় ১২০ কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে। এই নথি শুধু সরকারি হিসাবে। যে অভিযোগগুলো জমা পড়েনি, তার হিসাব যোগ করলে প্রতারণার অঙ্ক আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে সকলকে সতর্ক করেছেন।

    কোন ফাঁদে কত টাকা খুইছে মানুষ

    কেন্দ্রীয় সরকারের সাইবার অপরাধ (Digital Arrest) নথিভুক্তির পোর্টাল (এনসিআরপি)-র তথ্য অনুসারে গত কয়েক বছরে সাইবার অপরাধের প্রবণতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে ৭ লাখ ৪০ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। ২০২৩ সালে গোটা বছরে অভিযোগ জমা হয়েছিল সাড়ে ১৫ লাখের কিছু বেশি। ২০২২ সালে অভিযোগ জমা পড়েছিল সাড়ে ৯ লাখের কিছু বেশি। ২০২১ সালে ছিল তা ছিল সাড়ে ৪ লাখ। এই পরিসংখ্যান ক্রমশ বাড়ছে। সরকারি হিসাব অনুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে ১২০ কোটি ৩০ লাখ টাকার ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ হয়েছে। এ ছাড়া ওই একই সময়ের মধ্যে লগ্নির টোপ দিয়ে প্রতারণা হয়েছে ২২২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার। বন্ধুত্বের অ্যাপ থেকে প্রতারণা হয়েছে ১৩ কোটি ২৩ লাখ টাকার। পাশাপাশি, শেয়ার বাজার সংক্রান্ত সাইবার প্রতারণাতেও প্রচুর মানুষ টাকা খুইয়েছেন। ট্রেডিংয়ের টোপে ১৪২০ কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে চলতি বছরের প্রথম চার মাসে।

    আরও পড়ুন: সাইবার অপরাধের নতুন ফাঁদ ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’! সতর্কবার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

     সজাগ থাকার পরামর্শ

    এর মধ্যে একেবারে নতুন প্রতারণার পন্থা হল ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ (Digital Arrest)। নামের সঙ্গেই রয়েছে ‘গ্রেফতার’। প্রথম বার ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ শুনলে মনে হতেই পারে, হয়তো ডিজিটাল মাধ্যমে গ্রেফতার করা হচ্ছে। প্রতারকরাও এটাই বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু গ্রেফতারির সঙ্গে এর দূর দূরান্তেও কোনও সম্পর্ক নেই। পুরোটাই জালিয়াতি। সাইবার প্রতারণা থেকে বাঁচতে মানুষকে ভেবেচিন্তে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। ভয় না পেয়ে সজাগ থাকতে বলেছেন সকলকে। ন্যাশনাল সাইবার হেল্পলাইনে ফোন করে জানানোর পরামর্শ দেন মোদি। হেল্পলাইন নম্বরটি হল ১৯৩০। পাশাপাশি স্থানীয় থানাতেও এ বিষয়ে অভিযোগ জানানোর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share